খালেদা তারেক আর বিএনপির জগন্যতম নিষ্ঠুরতা, রক্তাক্ত ২১শে আগষ্ট--!
রক্তাক্ত ২১শে আগস্ট খালেদার নিষ্ঠুরতা |
পড়ে আছে লাশ আর লাশ!রক্তের মধ্যে ডুবে আছে ছিন্নভিন্ন হতাহত মানুষের লাশ,নারি-পুরুষ জোয়ান বুড়ো হতভাগ্য মানুষের লাশ, বিশেষ করে তাদের পরিচয় ছিল তারা আওয়ামী লীগ নেতা কর্মিদের তাজা লাশ--!
বন্ধুরা কেন বলতে পারবে--? কেন মানব ইতিহাসের ভীবৎস এই নিশংস হত্যাযজ্ঞ?শুনলে তুমি অবাক্ হবে--!যেমনি সেদিন সমগ্র বিশ্ব অবাক্ হয়েছিল---!
কি ছিল আঃলীগের অপরাধ--?কেন এমন নির্মম হত্যাযজ্ঞ?
২০০৪ সালের ২১শে আগষ্ট বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার নেতৃত্ব দান কারি দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেত্রি জাতির জনকের কন্যা জননেত্রি শেখ হাসিনা সারা দেশে এক যোগে ৫০০শত বোমা হামলার প্রতিবাদে বিক্ষুব মিছিলের ডাক দিয়েছিলেন।তখন মিছিলের ডাকে সারা দিয়ে হাজার হাজার নেতাকর্মির সমাগম ঘটে প্রবিত্র মসজিদ বাইতুল মোকারমের সামনে। সেখানে শেখ হাসিনা ট্রাকের উপর দাঁড়িয়ে মাত্র ২০ মিঃ সংখিপ্ত বক্তৃতা দেন। বক্তুতা শেষে সবাই যখন মিছিলে যেতে উদ্যত ঠিক তখনই বিএনপি জামায়াত শিবিরের ক্যাডাররা পর পর ১৩টা অস্ট্রিয়ার তৈরি আর্সেস গ্রেনেট বোমা নিক্ষেপ করে। শক্তিশালি এই ১৩টা বোমার মধ্যে ১১টা বিস্ফোরিত হয়, বাকি ২টা অবিস্ফোরিত পাওয়া যায়। সাথে সাথে বোমার বিস্ফোরণে প্রকম্পিত হয়ে রক্তাক্ত রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।তাদের উদ্দেশ্য ছিল শেখ হাসিনাকে হত্যা করে পুরো আওয়ামী লীগকেই নিশ্চিন্ন করে দেওয়া।মহান আল্লাহর কি অসাধরণ রহমতের কুদরৎ নেতা কর্মিরা মানব ডাল দিয়ে শেখ হাসিনাকে সেদিন বাঁচিয়ে রাখেন।কিন্তু ঘটনাস্হলেই প্রাণ হারান ১৪ জন জিন্দা মানুষ। বাকিরা সব পরে মারা যায়।প্রিয় বন্ধুরা তখন ঘড়ির কাঁটায় বাজছিল ৫টা২২ রোজ সনিবার।
সেদিন যারা মারা যান--তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রি আইভি রহমান।দেড় বছর পরে মারা যান ঢাকার প্রথম মেয়র হানিফ।মোট ২৪জন মারা যান আর আহত হন ৫শতাধিক।
কেন তাদেরকে এমন নিষ্ঠুর ভাবে হত্যা করা হলো---!
বন্ধুরা তোমরা জানো নিশ্চয় ২০০১ সালে গনতান্ত্রিক পক্রিয়ায় জাতীয় নির্বাচনে কোন দলই একক ভাবে সংখ্যাগরিষ্ট লাভ করতে পারেনি। তাই আঃলীগ বা বিএনপি দুদলেরই জামায়াত এর সার্পটের দরকার পড়ে। অথ্যাৎ জামায়াত ছাড়া কেহই সরকার গঠন করতে পারেনা।তখন তথ্যাবধায়ক সরকারের রাষ্ট্রপতি ছিলেন বিচারপতি সাহাবউদ্দিন,এমন কি শেখ হাসিনা তাকে বিশ্বাস করে তাকে পাঁচ বছরের জন্য রাষ্ট্রপতি বানিয়েছিলেন। মফস্বলে বেড়ে উঠা জামায়াত ঘেঁসা এই রাষ্ট্রপতি তড়িগড়ি করে বিএপির সাথে জামায়াতের জোট গঠন করায়ে বিদায় নিলেন।তারপর জামায়াতের বড় বড় রাজাকারকে খালেদা জিয়া মন্ত্রি বানায়ে স্বাধিন বাংলাদেশের পতাকা উঠায়ে দিয়ে শুরু করে দিলেন সারা দেশে অরাজকতা।জঙ্গিবাদ জিএমবির উত্থান,দ্রব্যমুল্যের উর্দগতি,খালেদার কুপুত্র তারেক হাওয়া ভবন বানিয়ে
ক্ষমতাকে বিকেন্দ্রিয় করে শুরু করে দিলেন লুটপাটের মহাউৎসব। স্বাধিন বাংলাদেশের শহীদের প্রবিত্র রক্তে ভেজা মাটি ব্যবহার করে শুরু করে দিল অস্ত্রের চোরা ব্যবসা,১০ ট্রাক অস্ত্র এক ট্রাক বুলেট বারুদ ধরা পড়া বোমাবাজি সারা দেশে এক অরাজকতা সৃষ্টি করলো তারা। সমগ্র দেশে একদিনে ৫০০ শত বোমা হামালা করে হতাহত করেছে শত শত নিরীহ মানুষকে। বাংলা ভাই জিএমবি সবি এই জোট সরকারই সৃষ্টি করেছিল বিরোধি মতাদর্শের মানুষকে হত্যা করে নিঃশেষ করে দিতে।রাজাকার মন্ত্রি নিজামীকে সেদিন সাংবাদিকরা জিজ্ঞাস করলে সে উপহাস করে বলে বাংলা ভাই জঙ্গি এইসব মিডিয়ার সৃষ্টি।তারা সেসময় সার বিদ্যুতের দাবিতে ২৬জন মানুষকে গুলি করে হত্যা করলো এই রাজাকার জোট সরকার। মুলতঃ-এই সবের বিরুদ্ধে মানুষের জান মালের হেফাজত ও গনতন্ত্রের দাবিতে বিক্ষোব মিছিলের ডাক দিয়েছিল মাটিও গন মানুষের দল আওয়ামী লীগ।
২১শে আগষ্টের হত্যাযজ্ঞ ডাইনী খালেদার বর্বরতা |
No comments:
Post a Comment