Monday, April 6, 2015

মাননীয় প্রধান মন্ত্রির কাছে প্রবাসির খোলা চিটি




                                                   মহান আল্লাহর নামে।

প্রিয়,  প্রধান মন্ত্রি জননেত্রি শেখ হাসিনা ওয়াজেদ,সুদুর প্রবাস থেকে অন্তরের অন্তরস্হল থেকে শ্রদ্ধা ও ভক্তি ভরে আপনাকে জানাচ্ছি আমার বাঙ্গালী সালাম।আশা করি অদেখা স্রষ্টার নেক কৃপায় আপনি কুশৌলেই আছেন।আমার কামনা ও তাই।
প্রিয় প্রধান মন্ত্রি আজ কিছু দাবিদাওয়া এবং প্রস্তাবনা নিয়েই আপনার কাছে আমার এই খোলা চিটি লেখা।   জানিনা এই পত্র কোনদিন আপনার দৃষ্টি গোচর হবে কিনা।

প্রিয় নেত্রি আসলে সত্যি কথা বলছি, আমি কোন দিনও কামনা করিনি আপনি বাংলাদেশে ফিরে আসুন।আর পিতা মাতা ভাইদের  মত নিসংশ ভাবে হত্যার শিখার হউন।আমার মনে ভয় ছিল বাঙ্গালীরা পিতার মত আপনাকেও মেরে ফেলবে।কারন আমি দেখেছি পৃথিবীর কোন জাতি যাহা করতে পারেনি, বাঙ্গালীর রাতের আঁধারে জাতির জনককে হত্যা করে তাহাই দেখায়ে দিয়েছে।বাঙ্গালীরা আরো জগন্য কাজ করতে পারে এবং পারবে। আমি চাইনি কারন আমি কিশোর বয়সে দেখেছি স্বাধিনতার মাত্র সাড়ে তিন চার বছরের ব্যবধানে পনরই আগষ্ট সকালে নেংটা পাগলকে চান তারা পতাকা হাতে দশহাত লাপাতে।

মাননীয় প্রধান মন্ত্রি, আমি সেই শৈশবে ১৫ই আগষ্ট দেখেছি।সেদিন কেমন যেন থমকে দাঁড়িয়েছিল সদ্য স্বাধিন বাংলাদেশ। মুহুর্তেই কেমন যেন নিদারুন মলিন মুখা হয়ে গিয়েছিল হেমন্তের প্রকৃতি পানোরমা।কেমন যেন ধুসর তামাটে রঙে চেয়ে গেছে বাংলার আকাশ বাতাস।মহুয়ায় সতেজ দেবদারু গুলো যেন ইউক্লিপিটাসে পরিনত হয়ে নিরবতা পালন করছিল, আর পাখির সুরের মুর্চনার বদলে ব্যঞ্জনাই প্রতিধ্বনিত হচ্ছিল চারিদিক।সে দিনের কথা মনে করে আমি আজো কাঁদি।

প্রিয় নেত্রি, আমি চাইনি আপনি দেশে ফিরে আসুন, কারন আমি দেখেছি সেদিন বাঙ্গালীরা, কেমন করে সত্যের মুখো মুখি দাঁড়িয়ে মিথ্যাবাদী সেজে তসবি জপতে শুরু করে দিল।কিছু কিছু বেজন্মা কুলাঙ্গার তো এখনো জপছে নিরন্তর।তবু আপিনি দৃঢ় মনোবল ও সাহস নিয়ে স্বদেশের মাটিতে ফিরে এসেছেন।পিতা হত্যার প্রতিশোধ নিতে নয়, বরঞ্চ সত্য প্রতিষ্টা করে অসূভ শক্তির হাত থেকে দেশকে রক্ষা করে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করে দেশকে সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে। আপনি স্বদেশের মাটিতে ফিরে এসেছেন বাংলার চির দুঃখি গরিব মানুষের ভাগ্যউন্নয়ন করতে। আপনি ফেরে এসেছেন অবহেলিত মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার ফিরিয়ে দিতে।আপনি সফল হয়েছেনও অনেকটা। আপনি পথহারা বাংলাদেশকে সঠিক পথে ফিরিয়ে এনেছেন।সে জন্য আপনাকে জানাই ধন্যবাদ।বঙ্গ বন্ধুর মত বাঙ্গালী জাতি হাজার বছর পরে হলেও আপনাকে মনে রাখতে হবে। আপনি বাঙ্গালী জাতির ইতিহাসে মাইল ফলক দৃষ্টান্ত স্হাপন করেছেন।

প্রিয় নেত্রি বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে বাঙ্গালীরা যেই কলঙ্ক তীলক কপোলে লাগিয়েছে তা কোনদিনও মুছে যাবেনা এবং মুছে যাবার মতও নয়। পৃথিবীর সমস্ত সাবান দিয়ে ধুলেও মুছা  যাবেনা এই কলঙ্কময় অধ্যায়।বাঙ্গালী সেজে বিশ্বে আজ যতই সুনাম কামাক না কেন বাঙ্গালী বেঈমানের জাত হয়েই থাকবে।

প্রিয় নেত্রি আপনার কাছে  আমার দাবিদাওয়া ও প্রস্তাবনা গুলোঃ-
১, আমার এক নাম্বার দাবি হলো প্রবাসিদের জন্য সকল প্রকার ব্যগেজ রুল উড্র করে নিন, এবং কাস্টমের নামে সকল প্রকার হয়রানি থেকে মুক্ত করুন।কারন একবার আপনি গভির ভাবে ভেবে দেখুন আমরা যে আশি নব্বই লাখ প্রবাসি প্রবাস নামের বনোবাসে থেকে হাঁড় ভাঁঙা পরিশ্রম করে দেশটাকে তীলে তীলে গড়ে এই পর্যায়ে নিয়ে এসেছি।আমাদের এই সফলতাকে খাটো করে দেখার কোন অবকাশ নেই।আমরা প্রিয় জনের স্নেহ মায়া মমতা বিসর্জন দিয়ে প্রবাসে হাঁড় ভাঙ্গা শ্রম দিয়ে আশি লাখ প্রবাসি আশি লাখ পরিবারকে সচ্ছল করেছি।পাকা বাড়ি ঘর দোকান পাট বানিয়ে লক্ষ লক্ষ বেকার লোকের কর্ম সংস্হান করেছি।সেই আমরা জাগ্রত বাংলার লড়াকু মুক্তি যোদ্ধারা পরিবার পরিজনের সুখের জন্য যদি বিদেশ থেকে রঙিন টিবি কিংবা সামর্থ থাকলে বিদেশ থেকে বিদেশি গাঁড়ি নেব, এবং দেশেই ব্যবহার করবো, তাতে কেন কাস্টম দিতে হবে কেন? কেন?????? এটাই আমার মাথায় ধরেনা, একটু ভেবে দেখবেন।

২,প্রশাসনের সকল প্রকার হয়রানি থেকে প্রবাসিদেরকে মুক্ত করে তাদের কাজকর্ম গুলি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আইন করে প্রয়োগ করুন।কারণ আমরা প্রবাসিরা সারা বছরে ছুটি পাই মাত্র এক মাসের।এই সল্প সময়ে প্রসাসনের ব্যুরোক্রেটির কারনে কোন কাজই সমাধা করা যায় না।তাড়াহুড়া করে আবার কর্মস্হলে ফিরে আসতে হয়।

৩, প্রধানত বাংলাদেশের চার প্রাকারের গৃহ সত্রু আছে। ১, সমুদ্র ও ঝড় বন্যা।২, ঘুষ ও দুর্নিতী।৩,জঙ্গিবাজ ও মৌলবাদ।৪,সন্ত্রাসি চাঁদাবাজ।
এই চার প্রকারের গৃহ সত্রু মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে দেশ বাসিকে নিয়ে এক যোগে কাজ করতে হবে। এখানে আমার প্রস্তাব হলো, প্রকৃতিক সত্রু থেকে মুক্ত হতে দেশি বিদেশি বিশেষ করে নেদাল্যান্ড কোছ থেকে পরামর্শ নিয়ে মোকাবেলা করতে হবে। আর ঘুষ দুর্নিতী জঙ্গিবাজ ও মৌলবাদ আইন করে নিসিদ্ধ করে কঠোর ব্যবস্তা গ্রহন করতে হবে। আর সন্ত্রাসি চাঁদাবাজকে প্রতি মহল্লায় বা গ্রামে বেসরকারি প্রতিনিধি কমিটি করে দায়িত্ব দিতে হবে যে তারা শুধু নিজ এলাকার উঠতি বয়সি অপরাধিদের খেয়াল ও খোঁজ খবর রেখে তাদেরকে সৎ পথে ফিরে আনার ব্যবস্হা করবে এবং ব্যর্থ হলে আইনের হাতে তুলে দিবে।
৪,সকল প্রকার যুদ্ধপরাধি ও মানবতা  অপরাধি দন্ডপ্রাপ্ত আসামিদেরকে ফাঁসি দিয়ে ফাঁসি দন্ড আইনটি চিরতরে তুলে ফেলুন বা বন্দ করে দিন।
৫,কম দামে ইন্টার নেট ও টেলিফো ব্যবস্হা চালু করে মোবাইল চিকিৎসা ব্যবস্হা চালু করেন। যাতে মোবাইলের মাধ্যমে ফোন করে স্হানিয় কোন ডাক্তারে পরামর্শে ছোট খাটো রোগের জন্য ফ্রি চিকিৎসা  নিতে পারে।

৬, সকল প্রকার ড্রাগ বা নেশা জাতিয় দ্রব্য নিসিদ্ধ করুন, এবং নেশাগ্রস্হদেরকে সৎপথে ফিরানোর ব্যস্হা গ্রহন করুন।
৭,পতিতা বৃত্তি চিরতরে নিসিদ্ধ করে দিন।
৮,বস্তি গুলি উচ্ছেদ করে ছিন্নমুল মানুষদের জন্য বাসস্হানের ব্যবস্হা করুন।
৯, নিরাপদ সড়ক এবং মানুষের জানমালের হেফাজত করার ব্যবস্হা করুন।
১০,শিক্ষা ব্যবস্হাকে ডেলে সাজাতে হবে। যেমন মাদ্রাসা এবং ইংলিশ স্কুলের ছাত্র ছাত্রিকে প্রাইমারিতেই বাছাই করে যার যে দিকে জোঁক বেশি সেদিকে বা সে লাইনে পাঠিয়ে দিয়ে সেই ভাবেই গড়ে তুলুন।
১১,আমার শেষ প্রস্তাব হলো বাংলাদেশ আওয়ামী ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সবার জন্য একটা দলিয় পরিচয় পত্রের ব্যবস্হা করুন।
আপনার দীর্গায়ু কামনা করে একানেই ইতি রেখা টানলাম---,
-------ফারুক, জার্মানি।
          ০৭,০৪,১৫

Tuesday, March 10, 2015

বাংলার প্রথম এবং শেষ নবাব,

নবাব সিরাজ দৌল্লা
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান।






বাংলার প্রথম নবাব সিরাজ উদ দৌলাঃ-
ধারনা করা হয় আলীবর্দি খাঁর তিন কন্যার মধ্যে সবচেয়ে কনিষ্ট কন্যা আমেনা বেগমের গর্ভে এবং জয়েনউদ্দিন এর ঔরোশে নবাব মির্জা মোহাম্মদ সিরাজ দ্দৌলার জন্ম হয় ১৭৩২ সালের কোন একদিনে। কারণ তার কোন সঠিক জন্ম তারিখ কোন ইতিহাসে পাওয়া যায়নি।আলীবর্দি খাঁর কোন পুত্র সন্তান ছিল না বিদায় তাঁর তিন কন্যাকে বড় ভাই হাজী আহম্মেদ এর তিন পুত্রের সাথে  বিবাহ দেন।নবাব সিরাজ- উদ-দৌলার জন্মের সময় আলীবর্দি খাঁ পাটনার শাসনভার লাভ করেন।তাই সোভাগ্য ও আনন্দের বশে নাতি সিরাজকেই পৌষ্যপুত্রের ন্যায় আদর যত্নে লালন পালন করেতে থাকেন।

এখানে আগেই একটি সত্য কথা আমাকে বলতে হচ্ছে।ভারত বর্ষের ইতিহাস বেত্তারা তাদের লেখা ইতিহাসে নবাব সিরাজ উদ-দৌলার দোষ ক্রুটি তার চরিত্র হননের অপচেষ্টা করেছেন অনেক বেশি। রবার্ট ক্লাইবের জীবনীতে তো নবাবকে তুলেধুনো করে চেড়েছেন, স্যার ম্যাকলে।যেমন নবাব ছিলেন নেশাখোর, চরিত্রহীন, ঘরে স্ত্রি সন্তান থাকলেও উপপত্নি, বেশ্যা বাঈঝি নিয়ে পড়ে থাকতেন। তার নষ্ট চরিত্র এমন কি রুগ্ন দেহের অধিকারি ইত্যাদি।এই সব কথা একটিও আমার কাছে বিশ্বাস যোগ্য বলে মনে হয়নি। বরঞ্চ তাদের লেখাতেই ফুটে উঠেছে নবাবের বিচক্ষনতা, এবং বিরত্ব ও শাহসিকতা।

অনেকে আবার বলে থাকে নবাব কোন বাঙ্গালী ছিল না। এটা অত্যান্ত সত্যি কথা।নবাবরা বাঙ্গালী ছিল না, এবং তারা বা তার পূর্ব পুরুষরা ইরান তুরান বা আরবের  কোথায় থেকে এসেছে, সেটাও কেউ সঠিক ভাবে বলতে পারেনা। সেটা যাই হউক নবাব যে বাংলা বিহার উড়িস্যার নবাব ছিল, এবং বাঙ্গালীদের যে প্রিয় নবাব ছিল এটা কেউ অশ্বিকার করতে পারে না এবং পারবে ও না।

যেমন ১৭৪৬ সালে নানা আলিবর্দী খাঁ যখন মারাঠাদের  বিরুদ্ধে যুদ্ধে যান, তখন সিরাজ তাঁর সাথে যুদ্ধে সামিল হয়ে বিরত্বের পরিচয় দিয়েছিলেন।তারপর সতের বছর বয়সের বালক সিরাজকে আলিবর্দী খাঁ পাঠনার শাসন কর্তাও নিযুক্ত করেছিলেন।তার বয়স কম ছিল বিদায় জানকিরামকে প্রতিনিধি নিযুক্তু করা হয়।অতচ বালক নবাব যুদ্ধ করে জানকিরামকে হঠিয়ে নিজেই সর্মবয় ক্ষমতার অধিকারি হন।সিরাজের বিরত্ব দেখেই আলিবর্দী খাঁ তাকে উত্তরাধিকারি হিসেবে ঘোষনা করেন।

মুলত এই ঘোষনাকেই অনেকেই মেনে নিতে পারে পারেনি।বিশেষ করে খালা ঘসেটি বেগম এবং তার স্বামি নোয়াজেশ ও তার বিশিষ্ট বন্ধু  রাজবল্লভ ও তার পুত্র কৃষ্ণ বল্লভ।মির জাপর তার পুত্র মিরন এবং জামাতা মীর কাশেম। ঘসেটি বেগম স্বপ্ন দেখেছিলেন ষড়যন্ত্র করে যেমন করে হউক তার নাবালক পুত্রকেই বাংলা বিহার উড়িস্যার নবাব বানাবেন।এই রকম পরিস্হিতে হঠাৎ করে ১৭৫৬ সালের ১০ই এপ্রিল আলিবর্দী খাঁ মৃর্ত্যুবরন করলে সিরাজ সিরাজ সিংহাসনে আরোহন করেন।

সিরাজ মসনদে  বসার সময় ইংরেজদের একটু বাড়তি প্রতাপ দেখে সিরাজ কুঠিয়াল ওয়াটসনকে ডেকে নির্দেশ দেন কলকাতার সব কুঠির ভেঙে ফেলতে।কিন্তু ইংরেজরা  তার নির্দেশ অমান্য করলে সে নিজেই গিয়ে ইংরেজদের সব কুঠির ভেঙে দেয়।এখানেও তার বিরত্বের পরিচয় পাওয়া যায়।



---------অসমাপ্ত--













Monday, March 9, 2015

অপশক্তির হাত থেকে দেশকে বাঁচাও,

                                                                                                                                                         













অপশক্তি কারা, স্বাধিনতার চল্লিশ বছর পরে এসে আজ বাঙ্গালী জাতিকে  নতুন করে একবার ভাবতে হবে, এই অপশক্তি কারা।কে বাংলা মায়ের গৃহ সত্রু। তাদেরকে আগে চিহ্নিত করতে হবে, তারপর ভাবতে হবে কেন আজ স্বাধিন বাংলার মাটিতে  এত গৃহানল।কেন এত অস্বাভাবিক মৃর্ত্যু? কেন এত লাশের মিছিল।কেন পেট্রলবোমা মেরে জীবন্ত মানুষকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দগ্ধ করে মারা হচ্ছে।কেন কে ওরা ? কি চায় তারা?

এই সব অপশক্তিকে দেখি শুধু মানুষের মুখোশ পরা সাধারণ মানুষ হিসেবে।আসলে কিন্তু ওরা সবে সয়তান।ওরা গোঁড়া মুর্খ।ওরা  অসৎ উদ্দেশ্যে ধর্ম ব্যবহারকারি।ওরা শুধু গনতন্ত্র ব্যবহারকারি। ওরা ধর্মপ্রাণ সাধারন মানুষকে শুধু ধোকা দিয়ে যাচ্ছে। বাঙ্গালীর উত্থান এবং নব জাগরনের সময় ওরা আজ বাধার বেদি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ওদেরকে ভাল করে চিনতে হলে আমাদেরকে পরাধিন বাংলার  ইতিহাসের দিকে একটু চোখ ভুলাতে হবে।

মুলতঃ ১৭০৭ সালে সম্রাট সাজাহানের বিদ্রোহী এবং সুযোগ্য পুত্র সম্রাট আওরঙ্গজেবের মৃর্ত্যুর চল্লিশ বছরের মধ্যে যেমনি তৈমুর লঙ্গের বংশধর বাবরের গড়া বিশাল মোঘল সামরাজ্যে ধস ধরে অবশেষে ভেঙে ঝুর ঝুর হয়ে পড়ে।সেই সুজোগে ধনে জনে ভরা সমবৃদ্ধ বাংলা তথা পুরো ভারত উপমহাদেশে চারিদিক থেকে বহিঃসত্রুরা ডুকে পড়ে।যে সব বন দস্যু জলদস্যু,পর্বত দস্যু যারা এতদিন আওরঙ্গজেবের ভয়ে আত্মগোপন করে প্রাণ রক্ষা করেছিল।যাদের নজর পড়েছিল এতদিন বাংলার ধন সম্পদ আর দিল্লীর ময়ূর সিংহাসন, মাউন্টেন অফ লাইট কিংবা হিরা জহরত মণিমুক্তার প্রতি।সেই অপশক্তিকে ভিতরে প্রবেশ করার সুজোগ করে দেয় দেশিয় কিছু কুলাঙ্গাররা।


সম্রাট আওরঙ্গজেবের উত্তর সুরিরা নামে মাত্র দিল্লীর মসনদে বসে রাজ্য পরিচালনা করতো। তারা আরবীয় কায়দায় উপপত্নি বেশ্যা বার বনিতা পতিতা  বাঈঝী নিয়ে সরাব গাঁজার নেশায় নাচ গানে বুঁধ হয়ে পড়ে থাকতো।সেই সুজোগে  হিন্দু রাজপুতেরাও বিদ্রোহী হয়ে উঠে।সেই সুজোগেই ডুকে পড়ে পার্সি ফরাসি  জাট মারাঠা  মগ ওলন্দাজ হার্মাদ, বেনিয়া সহ আরো ছোট বড় নাম না জানা অপশক্তি সত্রুরা। তারা প্রথমেই লুটে নেয় হিরা মণি মুক্তায় খচিত মহা মুল্যবান ময়ূর সিংহাসন। তারপরে তারা লুটপাঠ করে নিতে শুরু করে নিরিহ মানুষের জান মাল ধন সম্পদ।মারাঠারা তো বিরাট একটা রাজ্য ধখল করে নেওয়ার পরও তাদের পুরানো বদ অভ্যাস  দস্যুপনা  চাড়তে পারেনি কোন দিন।যার কারণে ইংরেজদের হাতে মোখ্যম সুজোগ এসে যায়, এবং তারা অনায়াসেই বাংলা তথা সমগ্র ভারত বর্ষের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারি হয়ে জগদ্দল পাথরের মত চেপে বসে দুশ বছরের জন্য।

ভারতীয় আর ইংরেজ ইতিহাসবীদরা তো বাংলার তুরুন নবাব সিরাজদৌল্লার দোষ ক্রুটি দেখেছেন,বেশি। কিন্তু তাদের লেখা ভারত বর্ষের ইতহাসেই পুটে উঠেছে বিশ বছর বয়সি নবাবের বিচক্ষতা এবং বিরত্ব ও শাহসিকতা।কি করবে তরুন নবাব একা, ঘরেই তার গৃহ দুষমন, ঘসেটি বেগম, মির জাপর।ঠিক যেমন আজ খালেদা মান্নারা। উর্মি চাঁদ, জগত সেটেরা না হয় বাহিরের।অসহায় নবাব মুর্সিদাবাদে মৃর্ত্যুর পুর্বক্ষন পর্যন্ত বাংলার স্বাধিনতা টিকিয়ে রাখার জন্য সংকল্পবদ্ধ ছিলেন।
এটাই ধ্রুব সত্য।

ঠিক তেমনি ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট বঙ্গবন্ধুকে সহপরিবারে নির্মম ভাবে হত্যার পর দেশীয় কিছু কুলাঙ্গাররা কিছু অপশক্তিকে সদ্য স্বাধিন বাংলাদেশে ডুকার সুজোগ করে দেয়।যারা এই দেশ চায়নি, যারা আমাদের স্বাধিনতা চায়নি। যারা আমার তিরিশ লক্ষ ভাইকে হত্যা করেছে, যারা আমার দুলক্ষাধিক মা বোনের ইজ্জত লুন্ঠন করেছে। যারা খুন হত্যা ধর্ষন করে আমাদের ঘর বাড়িকে পুড়ে ভষ্ম করে দিয়েছে। যারা আমাদের জাতিয়তা বোধ, যারা আমাদের ধর্মবোধকে ধুলিস্যাত করে ওহাবী, মদুদী মতবাদ আর পাকিস্তানি  জাতিয়তা বাদ প্রতিষ্টা করতে চেয়েছিল।তারা আজ বন জঙ্গল তথা ইঁদুরের গর্ত থেকে বাহির হয়ে ইসলামের মুখোশ পড়ে ফোঁসফাঁস করিতেছে।তারাই আজ বি এন পির কাঁধে বসে নিঃসংস সন্ত্রাসি কর্মকান্ড করে নির্বিচারে পেট্রল বোমা মেরে নিরীহ মানুষকে হত্যা করছে।তারাই আজ মুক্ত মনের মানুষকে হত্যা করছে, তারাই আজ চাপাতির কোপে ক্ষতবিক্ষত করছে আমার সোনার বাংলাকে।     


এই সব অপশক্তিকে এখনই বাংলার মাটি থেকে চিরতরে বিতাড়িত করে দিতে হবে।তা না হলে আমাদের ভাইয়ের রক্ত দিয়ে কেনা মহান স্বাধিনতাকে হারাতে হবে।ঠিক যেমনি আওরঙ্গজেবের মৃর্ত্যুর মাত্র চল্লিশ বছর পরে, তার উত্তরসুরিদের খামখেয়ালিপনায় বাংলা বিহার উড়িস্যা তথা সমগ্র ভারত উপমাদেশের স্বাধিনতাকে হারাতে হয়েছে দুশ বছরের জন্য, ঠিক তেমনি আমাদের খামখেয়ালিপনায় হারাতে হবে চিরতরে আমাদের মহান স্বাধিনতাকে। হারাতে হবে আমাদের প্রিয় লাল সবুজের পতাকাকে।মনে রাখবা এবার হারালে আবার বঙ্গবন্ধু দিতীয় বার জন্ম নিবেনা তোমাদেরকে স্বাধিনতা ফিরিয়ে দিতে।

ওরা আমাদের সোনার বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানাতে চায়। ওরা আমাদের লাল সবুজের পতাকাকে বদলে দিয়ে চানতারা পতাকা বানাতে চায়। ওরা আমাদের সুন্নি বাদ ধর্মকে পাল্টিযে ওহাবী মদুদী বাদ বানাতে চায়।ওরা নবীর আকিদা মানেনা।ওরা নবীর বিদায় হজ্ব,নবীর মদিনা সনদ কিছুই মানেনা। ওরা কোরআন হাদিছ কিছুই মানেনা।ওরা সরিয়া পতুয়া আর কিসাস আইন বলবৎ করে মানুষ হত্যা করে আনন্দ লুঠে।ওরা আল্লাহু আকবর বলে মানুষকে বলি করে।ওদের হাত থেকে সোনার বাংলাকে বাঁচাও।ওদের হাত থেকে আমাদের মহান স্বাধিনতাকে বাঁচাও।

ধর্মকে আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি, প্রবিত্র গ্রন্হগুলি পড়লে সত্যিই মনে হয় সব কিছুই যেন ঐশি বাণী, কিন্তু ধর্ম ব্যবসায়িদের কান্ডকির্তী দেখলে মনে হয় ধর্মগুলি সব মিথ্যা।


------ফারুক। 

Thursday, March 5, 2015

আমার আহত স্বপ্নগুলি শুধু কাঁদছে।

সেই শৈশব থেকেই আমি স্বপ্ন দেখে আসছি।চেতনে অবচেতনে  চোখে মুখে বুকে কত যে স্বপ্ন।কোন দিন চিত্বের বিরাম ছিল না।ছিল না এই অবুজ মনের। মা-কে বানাবো প্রতিমার প্রতিমা,বাবাকে বানাবো ভগবানের ভগবান, ভাই বোন আত্মিয় অনাত্মিয় সবার জন্য আকির্ন করবো একটি অতসী প্রভাত।কিছুই কি বুঝি হলো না, কিছুই কি বুঝি আর হবে না।এই জীবনে বুঝি আর দেখিতে পাইবনা। আমার আহত স্বপ্নগুলি শুধু চিৎ হয়ে কাঁদবে আর কাঁদবে।কে যেন বলেছিল স্বপ্ন বিলশীরাই জগতে বেশি কাঁদে।তবে কি তা-ই সত্যি?

তরুন বয়সে আমি প্রথম যখন ইউরোপে আসি।যুগোস্লাবাকিয়া অস্ট্রিয়া হয়ে জার্মানীতে প্রবেস করি।তারপর কয়মাস যেতে না যেতে বেলজিয়াম, ফ্রান্সও দেখা হয়ে গেলো।আরো কিছুদিন পরে ইসপেন পর্তুগাল নেদারল্যান্ড ডেনমার্ক দেখা হলো।ওয়া! কি অপূর্ব সুন্দর ইউরোপ। আলপনা আঁকা পানোরমা।সত্যিই প্রসাদ চাড়া রাজ কুমরি ইউরোপা প্রকৃতির প্রেমে পড়ে নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে একাকার হয়ে আছে।কি সুন্দর তার পানোরমা দিগন্তবদি দুষ্টি মেলে দেখি, আর ভাবি, আপছোস করি, আহা সে গরমের দেশে আমার জন্ম না হয়ে এই সূভ্র বরপ পড়া শীতের দেশে যদি আমার জন্ম হতো। তো কি হতো? কি আর হতো, আমি মাতাল হতাম তার প্রেমে।

কি সুন্দর বাড়ি ঘর, কি সুন্দর ছবির মত  প্রকৃতি।কি সুন্দর ঝকমকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন সব কিছু্।কোথাও কোন ময়লা আবর্জনা বলতে কিছুই নজরে পড়েনি।একটা পার্কে চকলেট খেয়ে কাগজটা পেলে দিলাম, আমার ড্রাইবার দেখে উঠায়ে নিয়ে ডাস্টবিনে পেলে দিল।আমি অবাক বিশ্মিত হলাম সেদিন।সাদা মানুষ, যাদেরকে আমার স্বদেশে রেড মানকি বলে চেঁতাতাম, তাদের দেশে এসে দেখি তারা কেমন সাদা দিলের মানুষ।কি অমায়িক আচার কানুন পুলিশের ব্যবহার।এডমিনিস্ট্রেশনে অফিসে  সবখানে যাচাই বাছাইয়ের জন্য কিছু ব্যুরোক্র‌্যটি আছে কিন্তু স্বদেশের মত ঘুষ দুর্নিতী বলতে কিছুই নাই।ঘুষ কাকে বলে এরা চিনেনা।

সিনিয়র বড় ভাইদের সাথে বসলে তো্ ইউরোপের গুনগান শুনে আমি রিতিমত ডানা মেলে আকাশে উড়ার স্বপ্ন দেখতাম।বড় ভাইরা বলতেন, দ্যাখ এই দেশে কুকুরের জন্য পাঠশালা আছেে। আবার পায়খানা ও আছে।তা হলে চিন্তা করে দ্যাখ ইউরোপের তুলনায় আমাদের দেশ কত পিছে পড়ে আছে।কমপক্ষে দুশ বছর।

আমি ইউরোপের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে গুরে পিরে দেখেছি। নগরের পর কোলাহল নগরে নগরে কতো উঁচেল সাড়ি সাড়ি কনক্রিটের কানন, কলকারখানার কালো কালো ধোঁয়া ঢাকা কৃত্তিম মেঘলা আকাশ।চলন্ত ট্রেনের কম্পার্টমেন্টে অথবা কোন নির্জনে বসে বসে ভেবেছি,কল্পনায় কাতর হয়ে আমি স্বপ্ন দেখেছি একটি রাঙা সকালের।

বিশ বছর আগে আমি স্বপ্ন দেখেছি, ভেবেছি এখন যেই অবস্হানে আছে ইউরোপ, হয়তো আগামি বিশ, তিরিশ কিংবা চল্লিশ বছর পরে হলেও এই ইউরোপের দেখাদেখি বদলে যাবে সমগ্র বিশ্ব, বদলে যাবে মানুষের জীবন যাত্রার মান।মানুষ অনায়াসে গুরে বেড়াবে বিশ্বভ্রম্মান্ডে। আবিষ্কার করবে নতুন নতুন পৃথিবী। পৃথিবীতে থাকবেনা আর মানুষের কোন দুঃখ কষ্ট।থাকবেনা  কোন রোগ শোক।থাকবেনা দেশে দেশে সিমানার কোন প্রাচির।সমগ্র বিশ্ব হবে শুধু একটি  বিশ্ব।মানুষে মানুষে থাকবে না কোন মারামারি হানাহানি বৈরি বৈশম্য।

আমি স্বপ্ন দেখেছি এই অখন্ড বিশ্বে থাকবেনা  কোন মসজিদ মন্দির গির্জা পাকুডা কিংবা ছিনাগগি।আমি স্বপ্ন দেখেছি এই বিশ্বে থাকবে না কোন প্রশাসন, থাকবেনা কোন থানা ফাঁড়ি। থাকবেনা কোন পুলিশ মিলিটেরি,কিংবা বোয়াডার গার্ড। কেন? কেন থাকবে মানুষের এই পৃথিবীতে এত সব কিছু।কেন? কেন এত ধর্ম কর্ম। কেন এত স্রষ্টা কেন এত ভ্রষ্টা।
মানুষের মাঝে কেন এত বর্বরতা্। কোথায় মানুষের মানবিক গুনাবলি, কোথায় মানুষের মানবতা?


আমি স্বপ্ন দেখি, এমন যদি হতো কাল সকালে ঘুম থেকে উঠেই দেখি আমার স্বপ্ন গুলি সবিই বাংলাদেশে বাস্তবায়িত হয়ে গেছে।আমার আহত স্বপ্নগুলি এখন আর কাঁদছে না।বাংলাদেশে আর নেই সন্ত্রাসি কোন কর্মকান্ড।পেট্রল বোমায় আর কেহ জ্বলেপুড়ে মরছেনা।মানুষে মানুষে নেই কোন ভেদাভেদ বৈরি বৈশম্য।

আধুনিক এই বর্বর যুগ পেরিয়ে সত্যিই একদিন মানুষ হবে প্রকৃত মানুষ।সেদিন থাকবেনা কোন প্রশাসন, থাকবেনা কোন উপাসনালয়।সেদিন স্রষ্টার সাথে মিলে আমরা করবো সৃষ্টির পরিচর্যা।কারন আমরাই স্রষ্টার শ্রেষ্ট সৃষ্টি।




------ফারুক।


Monday, March 2, 2015

আমার পরম শ্রদ্ধেয় মা- বাবা



“আমার মা-বাবা,, 





 
আমার বাবা 













(এক) 
মারহাবা মা মারহাবা, মারাহাবা মা মারহাবা/
তুমি  আমার গঙ্গা যমুনা,তুমি
আমার মক্কা মদিনা,
তুমি আমার কৈলাশ কাবা//
আমি ঘরে বসে হজ্ব করি মা তোমার চরন ধরি/
আমার বুকের ঘরে বসত তোমার কে বলেগো গেছ মরি/



আমার প্রিয় জান্নাত বাসি মা-বাবা
দেখগো মা আজ কত গন্ধ বিলায় তোমার রক্তজবা//
মা হয়েই এলে তুমি আরশেরই পরশ মণি/
যার জীবনে এলে তুমি তারেই করেছ ধনি/
নিজে না দেখা দিয়া তোমাকে দেখালেন দয়াল রাব্বা//



  ১০ই মে খ্রিষ্টান বিশ্ব পালন করছে  Father Day আর ১৩ই মে পালন হলো Mother Day.
খ্রিষ্টানরা পালন করে এই কারণে যে ঈশ্বর পুত্র  যিষুখ্রিষ্ট নাকি এই দিনে তার পিতা মহান ঈশ্বরের সাথে দেখা করতে আকাশে পাড়ি জমান।আর মাদার ডে একেক দেশে একেক দিন পালন করে থাকে।কেন করে থাকে তার বর্ণনাও আছে নানা রকমের।আসলে সত্য ঘটনা হলোগ্রীক পৌরানে পাওয়া যায় প্রাচীন গ্রিসীয়রা তাদের দেবী মায়ের নামে মাদার ডে পালন করতো।
সে যাই হউক ফাদার মানে পিতা,আর পিতা মানে বুঝায় প্রতিপালক।অনুরুপ জনক শব্দের অর্থ বুঝায় জন্মদাতা। এই জগত সংসারে রক্তমাংসের পিতাই আমাদের প্রতিপালক এবং জন্মদাতা।এই পিতাকে আমরা আদর করে আব্বা বা আব্বু বলে থাকি।মর্ডার্ন ছেলেমেয়েরা অবশ্য পাপা পাপি কিম্বা ড্যাড ও বলে থাকে।আমরা ভাই বোনেরা সবাই আমাদের পিতাকে বাবা বলেই ডাকতাম।
 আবার ইংরেজি মাদার মানে মাতা হলেও মাতাকে আমরা বাঙ্গালীরা বেশির ভাগ মা,বা আম্মু বলেই বেশি ডেকে থাকি।এখনকার ছেলেমেয়েরা মামা মামি বলেও ডেকে  থাকে।আসলে এই মামা বা মামি পশ্চিমা বিশ্বে মৃত মমিকেই বলা হয়।            

১০ই মে আন্তঃর্জাতিক ফাদার ডে হলেও ১০ই মে ২০০৫ সালে আমার বাবা এই পৃথিবীর মায়া মমতা ছেড়ে আকাশের পথে পাড়ি দিয়েছেন। সেই থেকে আমরা সকল  ভাই বোন চিরদিনের মত এতিম হয়ে যাই।
আজ বাবার ১৯তম প্রয়ান দিবস। আমি মহান আল্লাহর দরবারে  দুহাত তুলে আমার বাবার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি,হে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমার বাবার সকল গুনা মাপ করে তাঁকে জান্নাত বাসি করুন আমিন!


আজ আমাকে নষ্টাল জিয়ায় পেয়ে বসেছে। মা-বাবার কথা মনে করে পলাতক সৃতিগুলি বারবার উথলি উঠছে হৃদয় মোক্তবে।মোটা মোটা জলে চোখ দুটি ঝাপসা ঝাপসা হয়ে গেছে নিজের অজান্তেই।এই মুহুর্তে আমি কাঁদছি বোবা কান্না, এই অজানা অচেনা  পাষান প্রবাসে বসে। এখানে নেই  কোন মাতা পিতা স্বজন পরিজনের আদর মমতা স্নেহ প্রেম ভালবাসা।আগুন্তক সৃতিগুলিই তো শুধু বেঁচে থাকার একমাত্র প্রেরণা ও শান্তনা।
 


পৃথিবীর সব সন্তানের মতই আমার মা-বাবা ও আমার কাছে সবার চেয়ে বেশি প্রিয়।শুধু প্রিয় বললে কম বলা হয়। আমার মা-বাবা আমার আদর্শ ও চিত্ব শক্তির প্রধান উৎস। তাঁরা আমার জীবনের অন্ধগলির ঝলমল আলোক রশ্মি।

সত্যিই আমার মা-বাবা দুজনই ছিলেন আদর্শ পিতা-মাতা।আমাকে চিরতরে এতিম করে অনেক আগেই তাঁরা দুজনই  এই  পৃথিবী চেড়ে চলে গেছেন কোন এক পৃথক  পৃথিবীতে। এই নিদারুন প্রবাসে অবস্হানের কারনে তাঁদেরকে শেষ বারের মত দেখার  সুজোগ হয়নি আমার। একমুটো শুকনো মাটি তাঁদের কবরে দেওয়ার সৌভাগ্য বা তৌফিক  হয়নি আমার।সে কথা মনে পড়লে শোকে দুঃখে কষ্টে কলিজাটা পেটে যেতে চায়।  আমার প্রিয় মা.বাবাকে মনে করে আমি প্রায়ই ঠুকরে ঠুকরে কাঁদি অবুঝ শিশুটির মত।
 



 
আমার বাবা কোন রাজনীতিবীদ কিংবা তেমন কোন বিদ্যানী ব্যক্তি ছিলেন না। কিন্তু তিনি স্বশিক্ষিত সহজ সরল প্রজ্ঞাবান  জ্ঞানি একজন অসাধারণ মানুষ  ছিলেন।আমি তাঁকে বলি এ যুগের সক্রেটিস কিংবা কনফুসিয়াস।মায়ের কাছ থেকেই তাঁর অক্ষরজ্ঞান দস্তখত ও সুরা কেরাত নামাজ শিক্ষা।কারণ আমার প্রিয় মা মনি বাংলা আরবি ভালো লেকাপড়া জানতেন।বাবা দেশ বিদেশের জটিলতা ও জায়গা জমিনের হিসেবের ব্যপারে ছিল তাঁর প্রচুর অভিজ্ঞতা।ফরিন শিপে চাকুরি করার সুবাধে তিনি অনেক দেশে ভ্রমন করার সুজোগ পেয়েছেন।অনেক জাতি অনেক ভাষা বাসির মানুষের সাথে মিশেছেন,হয়তো সেই কারণেই এত অভিজ্ঞ হতে পেরেছিলেন।

 
আমার জীবনে যত টুকু শিক্ষাদীক্ষা, বা যত টুকু নিজেকে  পৃথিবীকে  প্রকৃতিকেও নিজের পারিপার্শিকতাকে চিনেছি সব টুকুই মা-বাবার কাছেই শিখেছি।আমার লেখাপড়ার হাতে খড়িও মা এর কাছে হয়েছে।গৃহ শিক্ষক স্কুল শিক্ষক কিংবা বড় ভাই বোনেরা কেউ আমাকে অক্ষরজ্ঞান শিক্ষা দিতে পারেনি।মা এর কোলে বসে বসে আমি শিখেছি।মা আমাকে একবার যে টা পড়াতেন সেটা আমার সাথে সাথে মুখাস্ত হয়ে যেত।মা-বাবাই আমার প্রকৃত শিক্ষাগুরু।মা-বাবাই আমার পীর-মোরশেদ।শুধু আমার কাছে নয় অনেকের কাছেই আমার মা ছিলেন দৃস্টান্ত সরুপ তেমনই একজন।

 
আমার মা মপস্বলে জন্ম গ্রহন করলেও তিনি আরবি এবং বাংলাতে ভালো লেখা পড়া জানতেন। নগরের এক ব্যস্ততম সংসারে এসেও তিনি আজীবন জ্ঞ্যন চর্চা করে গেছেন, এবং তার নাড়ি চেঁড়া সন্তানদেরকে নিয়মিত জ্ঞ্যান দান করে গেছেন।শুধু সন্তানদেরকে নয়, আমাদের পুড়ো বংশের এবং প্রতিবেশি ছেলে মেয়েদেরকে  সুশিক্ষা দিয়ে গেছেন।প্রতিদিন আমাদের উঠোনে বাড়ির এবং প্রতিবেশির প্রায় পন্সাশ ষাটটি ছেলে মেয়ে এসে আমার মা এর কাছে আরবি শিক্ষা গ্রহন করতো। আমি নিজেও খুব অল্প বয়সে আমার মায়ের কাছেই  প্রবিত্র কোরআন সরিফ শিক্ষা গ্রহন করেছি।
 
অনেক মুরুব্বির মুখে অনেকবার শুনেছি সংসারে একজন পুরুষ শিক্ষিত হলে নাকি কিছু যায় আসেনা, কিন্তু একজন নারি শিক্ষীত হলে নাকি পুরো সমাজই শিক্ষিত হয়ে উঠে। আমার মা ছিলেন সেই রকমই এক দৃষ্টান্ত কারি মহিষী।

 
আমার মা এর সংগ্রহে ছিল বাংলা আরবি মিলায়ে অনেক গুলি বই পুস্তোক,তন্মধ্যে কয়টা গল্পের বই এবং পুঁথিরও ছিল।এই বই গুলিকে আমার মা বিশেষ সম্পদ হিসেবে যত্ন করে রাখতেন।কোন ভাবে কারো অবহেলা করা দেখলে বা অযতনে পড়ে থাকা দেখলে বকেচকে উঠায়ে সালাম করে ‍চুমো খেয়ে যত্ন করে রেখে দিতেন।সেই সমস্ত বই পুস্তক সেই সময় বাংলাদেশে পাওয়া যেতনা।বেশির ভাগ বই আমার নিরক্ষর বাবা কলিকাতা থেকে কিনে এনে মাকে উপহার দিয়েছিলন।মা অবসরে মনের আনন্দে পড়তেন, অনেক সময় রাত জেগে জেগে পড়ে বাবাকে শুনাতেন এবং বুঝাতেন।মাঝে মধ্যে বাড়ির অনেক লোক এসে মাকে গিরে ধরতেন, গল্প কবিতা, আর পুঁথি শুনতেন।আর আমি যখন পড়তে শিখেছি, তখন আমাকেও পড়তে  দিতেন। আমাকে দিয়ে পড়াতেন।আমি মা এর অনুকরনে শব্দ করে সুর ধরে পড়তাম। অনেক সময় বড়দের সামনে পড়তে  লজ্জাবোধ করতাম,কারন পুঁথি বা কবিতায় মানব জন্মের পুরো বর্ননা তুলে ধরা হতো, যেটা আমারা বড় হয়ে বাইয়োলজিতে প্রজনন তন্ত্রে পড়েছি একেবারেই সে রকম।
(এখানে কবিতা বলতে সেই সময় দ্রৌপদি ত্রেপদি বা চৌপদি সুরে আট বা ষোল পৃষ্টার কবিতা পাওয়া যেত, তাকেই সবাই কবিতা বলতো)

 
ঠাকুরমার ঝুলির গল্পগুলি তো মা এর কোলে থেকে শিশু বেলা থেকে শুনছিলাম। মা ওরকম গল্পগুলি শুনায়ে শুনায়ে আমাকে গুম পাড়াতেন।একটু বড় হবার পরে  একদিন তাকের মধ্যে মলাট বিহিন ঠাকুর মার ঝুলি বইটা আমি আবিষ্কার করি।তখন বুঝতে পারি মা এর ছালাকি। মা এই সব গল্প কত্থেকে শিখেছেন। আরেক দিন সিলিং এর উপর পুরানো টিনের সুটকেসের ভিতর আবিষ্কার করি গুনে ধরা বিষাধ সিন্ধু এবং নকসি কাঁথার মাঠ সহ আরো বেশ কয়টা টা বই।আগের দিনের গল্পের বা উপন্যাস গুলির কি ধারুন কাব্যিক ভাষায় লিখা হতো।ঠিক গদ্যকেই মনে হত পদ্য। পয়ার দোপদি তৃপদি চৌতুসপদি মিলে কি সুন্দর চন্দের ঝংকার।নকসী কাঁথার মাঠ মা তো পড়তেন একেবারে পুঁতির সুরে।  মা এর কাছ থেকে সর্বশেষ আমার বই পড়া হয়েছে সম্ভবত মনোয়ারা উপনাসটি। আর বইটি লিখেছেন বোধ হয় ফরিদুর রেজা সাগরের মা সুলেখিকা রাবেয়া খাতুন।
 

আমার বাবা ছিলেন নিরক্ষর, কিন্তু তিনি ছিলেন অসাধরন জ্ঞ্যানের অধিকারি এক জন মানুষ। আমি বাবাকে যতটুকু কাছ থেকে জেনেছি, তার চেয়ে বেশি শুনেছি অন্যের কাছ থেকে।আটানব্বেই সালে আমি দেশে যাবার পর জমিন সংক্রান্ত ব্যপারে মাইজদীতে একজন  বিজ্ঞ উকিলের  সাথে আলাপ করতে যাই।তাঁর নাম ছিল সম্ভোবত সামছুল হক উকিল, ঠিক নামটা মনে নেই। তখন বাবাও জিবীত ছিলেন।অবশ্য  আমার বড় ভগ্নিপতি সাজাহান তহশিলদারই আমাকে নিয়ে যান তাঁর কাছে।উকিল সাহেব আমার বাবাকে খুব কাছ থেকে জানতেন।তিনি বললেন, আপনার বাবার মত এমন এক জন জ্ঞ্যানী লোক আমি আর দেখি নাই। উনি অসাধরন জ্ঞানী।বেশ কিছু দিন ধরে উনাকে দেখিনা, উনি কি এখনো বেঁচে আছেন?

সামছুল হক উকিলের বিশ্ময়কর প্রশ্নের জবাবে বললাম, হ্যাঁ বাবা এখনো বেঁচে আছেন।বেশ সুস্হও আছেন।
তিনি বললেন, আপনার বাবার বয়স শত বছরের উপরে হবে।
হ্যাঁ সত্যিই এই রকম বয়সেই আমার বাবা এ পৃথিবী চেড়ে চলে গেছেন।কিন্তু শেষ দিন পর্যন্ত উনার স্মরন শক্তি ছিল তরুন বয়সের মত।

এরকম অনেক দৃষ্টান্ত আমার বাবাকে নিয়ে দেওয়া যায়, যা মানুষের মুখে শুনেছি।এক কথায় বলতে গেলে পৃথিবীর সব মানুষের মতই তিনি ছিলেন দোষগুনে মিলে একজন মানুষ,আমার আদর্শ পিতা।

আমার বাবা ধন সম্পদের দিক দিয়েও সফল মানুষ ছিলেন।তিনি সারা জীবন ফরিন সিপে চাকুরি করেছিলেন।তিনি যত সম্পদ রেখে গেছেন তার সন্তানদের জন্য, আমরা চার ভাই আজ ইউরোপ আমেরিকা আফ্রিকাতে যুগের পর যুগ কাটিয়েও তার সমপরিমান  জোড়াতে পারছিনা। তার কেনা জমিনেই আমরা চার ভাইকে পাকা বাড়ি বানাতে হয়েছে।আমি শুনে বিশ্মিত হয়েছি,আমার জন্মেরও পুর্বে আমার বাবা নাকি একবার এরেষ্ট হন।তাঁকে অভিযুক্ত করা হয় তাঁর কাছে নাকি টাকা বানানোর মেশিন আছে এই বলে।

আমার মা-বাবাকে নিয়ে লিখলে বিশাল একটা বই হয়ে যাবে,কোন দিন সুযোগ হলে পারিবারিক সংগ্রহের জন্য হলেও লিখার আশা রাখি। আমার মা-বাবার কাছে যা কিছু শিখেছি  আজ পরিপুর্ণ বয়সে এসে সে সব কথা মহামানব বা দার্শণিকের জীবনীতে খুঁঝে পাই।মা তো সব সময় ছড়া ক্ষনার বচন,এবং সোল্লক দিয়ে আমাদেরকে শাসন করতেন।

আমার মা-বাবার দুজনেরই মন ছিল স্নেহ মমতায় পরিপুর্ন।বলা যায় দুজনই ছিলেন ভালবাসার কারখানা।  আমরা ছোট তিন ভাই বোনকে চাড়া বাবাতো খেতেই বসতেন না, বা খেতেই পারতেন না।দিদার আর মায়া ছিল আমার ছোট, তাদের নাক দিয়ে পানি পড়ছে, মাঝে মধ্যে মা চাপ করে দিচ্ছে, বাবা ভাতের লোকমা ছোট করে করে তাদের  মুখে তুলে দিচ্ছে আর নিজেও খাচ্ছে।আমার অবশ্য বসা কমই হতো। মা অনেক সময় বলতো,অত কুয়ারা করার দরকার নাই তুমি খাও, তবুও বাবা বসাতেন খাওয়াতেন।আবার সাথে নিয়ে গোসল করাতেন।

একবার তো বাবা গোসল করাতে নিয়ে গিয়ে ডুবেই মরতে বসেছিলেন। আমার খুব মনে পড়ছে। আমি দিদার তখন খুব ছোট।তখনও নেংটা বাঁদর। আমাদের বাড়ির সামনে এবং পিছনে দিগীর মত বড় দুটা পুকুর ছিল।বর্তমানে জেলখানার সিমানায় পড়ায় বেশি অংশ ভরাট হয়ে গেছে।বাবা আমাকে এবং দিদারকে দু পাঁজরের কোলে  বসায়ে  সে পুকুরে  গোসল করাতে নিয়ে গেলেন।বাবা আমাকে আর দিদারকে গোসল করায়ে উপরে রেখে তিনি নিজে গোসল করতে ছিলেন।এমন সময় আমার চোখ পড়ল পুকুরের স্বচ্ছ জলের উপর একটা লাল পদ্ম ফুটে আছে।শুধু একটাই ফুল।
আমি ঠ্যাং নাচিয়ে নাচিয়ে বায়না ধরলাম বাবা ফুলটা  আমাকে লয়ে  দাও।বাবা ছিলেন মোটা মানুষ, সাঁতার জানতেন না, তাই  ফুলটা তুলতে গিয়েই ডুবে যাচ্ছেলেন।তবু ফুলটি চাড়েননী কয়ডোক পানি খেয়ে ফুলটা লয়ে ঠিকই উপরে এসে আমার হাতে দিলেন।আমার চোখে মুখে সেকি আনন্দ। পরে বাড়িতে   এসে মাকে বললেন যে তিনি ফুল উঠাতে গিযে পানি খেয়ে মরেতে যাচ্ছিলেন।মা তো শুনে অবাক হলেন।

আমার মা- বাবা সব সময় সৎ পথে চলার জন্য প্রেরনা দিতেন।হারামে কোন দিন আরাম নাই, পরের সম্পদ কোন দিন লুটে পুটে খেয়না।,বিদ্যাবুদ্ধির কোন দিন ভাগ বাটোয়ারা  হয়না, ইত্যাদি।তরুন বয়সে একবার প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে  গিয়ে নিশী রাতে চোরের উপর বাটপারি করে কিছু চুরি বা ডাকাতির মাল  ঘরে নিয়ে আসি।আমার মা-বাবা এবং বড় ভাই তিন জনই আমাকে মারতে আসলেন, এই বলে যে, আমি নাকি চুরি করে নিয়ে এসেছি।আমার কথা কিছুতেই তারা বিশ্বাস করতে চাননি। বিস্তারিত বলার পর  তারা বললেন, জিনিস গুলি যেখানে পেয়েছ,ঠিক সেখানে গিয়ে পেলে আস।আমি তাই করলাম।পরে শুনলাম পুলিশ লাইনের আরাই সাহেবের বাসা নাকি চুরি হয়েছিল।হয়তো ওগুলো আরাই সাহেবের মালামাল ছিল।

আজ সংসারে, সমাজে,রাষ্টে এমন কি পৃথিবীতে আদর্শবান মা-বাবার সংখ্যা অতি নগন্য।আর সে কারনেই সমাজে হচ্ছে এমন অন্যায় অনিয়ম অশৃঙ্খল। সে কারনেই  নিত্য নতুন হচ্ছে ভয়াবহ খুন খারাবি ধর্ষন লুটপাট।সে কারনেই সমাজের এত অবক্ষয়।

আজ সারা বাংলাদেশে যে ভাবে সন্ত্রাসিরা রাজনিতীর নামে সাধারন নিরীহ মানুষকে পেট্রল বোমা মেরে জালিয়ে পুড়িয়ে মারছে, সন্ত্রাসির বাবা মা ভাই বোনরা কি কিছুই জানেনা ?তার সন্তানের চরিত্র কেমন,? জানে সবাই জানে অল্প বিস্তর।কিন্ত তারা সন্তানদের সেরকম শিক্ষা দেননা বোধ হয়।
আসলে মা-বাবা কোথাও চলে যান না,কিম্বা মারা যান না। মা-বাবা চিরদিনই বেঁচে থাকেন তাঁদের সন্তানের
মাঝে।
 
আজ মা দিবসে মাকে নিয়ে গান---
১,আমার বেঁচে থাকার কোন মানে নেই,
আমার বেঁচে থাকার অনেক মানে আছে।
আমার জীবনে কত স্নেহমায়া মমতা
দিয়ে আমার মা চলে গেছে//
এ জীবন তো তারি দেওয়া, এ দুটি চোখে চাওয়া/
এ সুন্দর পৃথিবীতে এখনো তো বহে সুনিল হাওয়া/
আমার শ্বাসেপ্রশ্বাসে শরিরে শিরায় মাতৃগন্ধ মিশে আছে//
স্বশরিরে মা নেই অশিরিরে তিনি আছেন আমার মাঝে/
চিত্বের চেতনায়, বিপুল ভাবনায় ছুটে যাই সদা তাঁর কাছে/
আমার বুকের বিবরে আমার মা বেঁচে আছে//
২, মা তোমার বিরহ ব্যদনা আমাকে করেছে উদাসী ফকির/
একবার আওয়াজ তুলি ডুগডুগির, আবার করি জিগির//
মা-গো তুমি রুদ্র তুমি সমূদ্র তুমি আমার বিশ্ব ভ্রম্মান্ড/
তুমি আমার সুখ দুঃখ ব্যদনা,তুমি হাসি কান্না আনন্দ/
তোমার সাধনায় আমি স্বাধ পাই গো মা অমর জিন্দিগীর//
মা-গো তুমি অসিম তুমি সশীম তুমি চাঁদ সুরুজ তুমি রাতদিন/
বুকের ভিতরে তুমি বসত কর বলেই মনে হয়না দিনহীন/
অভাগাকে করেছ তুমি লাকির কি ফকির//


মানুষ হত্যা করে যদি রাজনিতী করতে হয় তবে সে রাজনিতীর নেতাকে আমি ঘৃনা করি।
মানুষ হত্যা করে যদি পুলছেরাত পার হয়ে জান্নাত যেতে হয়, তবে সে জান্নাত এর চেয়ে 
নড়কই আমার কাছে উত্তম,যেখানে যেতে কোন পুলছেরাত  পড়ে না।
 
--------ফারুক,
 



Friday, February 13, 2015

“যত মত, তত পথ”

যত মত তত পথ, এই উধিৃটি সনাতান ধর্মের গুরু  রামকৃষ্ণ পরমহংসের।শ্রী রামকুষ্ণ বাংলায় লেখা পড়া জানতেন অতি সামান্য। কোন রকমে ধর্মিয় বই পুস্তক পড়তে জানতেন।কিন্তু তাঁর শিষ্যরা অনেকেই উচ্চ  ডিগ্রিধারি।তাঁর প্রধান শিষ্য স্বামি বিবেকানান্দ তো দর্শণের উপর ডিগ্রি নিয়েছিলেন।

সুপ্রাচিন গ্রীস দা্র্শণিক প্লেটোর আগে অনেক দার্শনিকেরই প্রাথমিক শিক্ষা ও ছিল না, এমন কি নিরক্ষরও ছিলেন রিতিমত, কিন্তু তাদের   তত্ত ও তাত্বিকের প্রভাব আজো আধুনিক বিশ্বে আধুনিক মানুষের উপর পড়ে আছে।যেমন সক্রেটিস, কনপুসিয়াস, বা চানক্য এর  কথাই ধরেন। তারা সবাই নিরক্ষর হলেও তাদের এক একটি বাণী বা উধিৃতি আমার কাছে মনে হয় ঐশি বাণীর মত।

সেকালের শিষ্য প্লেটো যেভাবে তার গুরু মহামতি সক্রেটিসের তত্ব উপাত্ব লিপিবদ্ধ করে গুরুকে সর্বকালের সেরা দার্শনিক হিশেবে অমর করে রেখেছেন, ঠিক তেমনি একালের স্বামি বিবেকানন্দও তার গুরু  রাম কৃষ্ণের উপর বই পুস্তক ও বক্তিতা বিবৃতি দিয়ে গুরুকে অমর করে রেখেছেন। আজ সারা বিশ্বে  তিন শতাধিক রাম কৃষ্ণ মঠ বা মন্দির প্রতিষ্টিত হযেছে।

রাম কৃষ্ণের “যত মত তত পথ” এই বাণীটি আমার খুব প্রিয়। যদিও তিনি ধর্ম গত ভাবে এই তত্বটি দিয়েছেন, ততাপি আমার কাছে মনে হয় এই তত্তটি  রাজনৈতিক সামাজিক এবং সাংসারিক ও সর্বখেত্রেই প্রযজ্য।

পৃথিবীর সব মানুষই ভাববাদি।সবাই চেতনে অবচেতনে কম বেশি ভাবনা করে, কল্পনা করে, স্বপ্ন দেখে, কিন্তু সবার ভাবনা কোন দিনও এক হতে পারে না। সবার অভিজ্ঞতাও এক বা সমান না। একা একা ভেবে চিন্তে একাই একটা কাজ সমাধা করা এক ধরনের বোকামি।কারণ হযতো কাজটা সমাধা করার পরেই আপনি  ধরতে পেরেছেন গোড়াই  মস্তবড় এক গলদ বা ভূল।তাই যদি আগে ভাগেই বন্ধু বান্দব দু এক জনের পরামর্শ নিয়ে কাজটা করতে পারতেন, তা হলে হয়তো কম শ্রমে কম কষ্টে এবং কম খরচে অতি সহজেই কাজটা করতে পারতেন।মনে অনাবিল  শান্তি ও আনন্দও পেতেন।

উপরের কথা গুলি বলার উদ্যেশ্য আমার একটাই।দীর্ঘ দিন যাবত প্রবাস নামের বনোবাসে নির্বাসিত জীবন যাপন করছি। প্রতিদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে এসে যখন শুতে যাই তখন শ্রমের ব্যথায় দু চোখে  আর গুম আসেনা।বিছানায় পড়ে এপাশ ওপাশ করি। মনটা পড়ে থাকে প্রিয় জন্ম ভূমি বাংলাদেশের প্রতি।হৃদয় মনিটরে ভেসে উঠে প্রিয় জনদের কখানা মুখ।বার বার মোটা মোটা জলে চোখ দুটি ঝাপসা ঝাপসা হয়ে উঠে।আই প্যাড বা আই ফোন অন করি।খবর পড়ি, ইউ টিউব দেখি, খবর ঠকশো কোন খানেই বালাই নেই,ভালো কথা নেই, ন্যয় বা উচিত কথা নেই। সব সালারাই চাটুকার দালাল, দলকানা, রাতকানা হারামির দল।বুদ্ধিজিবী আর শুশিল সমাজ নাম ধারি ঐ সুয়োরের বাচ্ছাদের মধ্যে গর্ধবের কান্ডজ্ঞানও নাই।

ক্রোদে বার বার আমার হাতের মুষ্টি কষে আসে। মন চা্য় এখুনি উড়াল দিয়ে বাংলাদেশে গিয়ে সংসদ ভবনের উপর কিংবা কোন উঁচু টাওয়ারের উপর  দাঁড়িয়ে শুশিল সমাজের মা মাসি তুলে চিৎকার করে বকি দেই। সা---লা--- তোগো---------মা বোন---কে--


আবার ভাবি বকে চকে মেরে কেটে কি লাভ? মানুষ যদি নিজেই না ভাবে মানুষ কেন হলাম?

মানুষ হয়ে যারা মানুষকে নির্মম ভাবে রগ কেটে গলা কেটে কল্লা কেটে আগুনে পুড়ে হত্যা করে, তারা কোন দিন মানুষ হতে পারেনা। তারা হাইওয়ান, হাইওয়ান জংলী জানোয়ার এর চেয়েও তারা নিকৃষ্ট।

পৃথিবীর সব মানুষের প্রথম পরিচয় হউক আমি মানুষ। তার পর হউক ধর্ম কর্ম গোত্র বংশ ইত্যাদি।

                                            -------ফারুক, জার্মানী।

Wednesday, February 11, 2015

গীত লতা Lyricism: বিএনপি জামাতের লক্ষ ওহাবী মতবাদ প্রতিষ্টা করা।

গীত লতা Lyricism: বিএনপি জামাতের লক্ষ ওহাবী মতবাদ প্রতিষ্টা করা।: জেনারেল জিয়াউর রহমান ছিলেন ওহাবী মতবাদে বিশ্বাসি।সে হিসেবে খালেদা তারেকও তার অনুসারি, অর্থ্যাৎ ওহাবী মতবাদে বিশ্বাসি। বিএনপি বা জাতিয়বাদী দ...

Wednesday, February 4, 2015

রিজেক্ট লাইপ,

তারেক রহমানের জিন্দিগী রিজেক্ট হয়ে গেছে অনেক আগেই।ব্যক্তিগত ভাবে,স্বাস্হগত ভাবে, রাজনৈতিক ভাবে, সামাজিক ভাবে।তারেক রহমান নিজেই তার জীবনটাকে রিজেক্ট লাইপে পরিনত করেছেন। একজন জনপ্রিয়, ও সাবেক রাষ্টপতির জৈষ্ট ছেলে ও একটা জনপ্রিয় দলের নেতা হয়ে কোন জ্ঞান বুদ্ধি ও দুর দৃষ্টিসম্পর্ন প্রজ্ঞার পরিচয় না দিয়ে তারেক রহমান  হাওয়া ভবন সৃষ্টি করে মৌলবাদ ও ওহাবী বাদের প্ররোচনায় দুর্নিতীর বরপুত্তর হয়েই খ্যাতি কুড়িয়েছেন।তার রাজনিতীর ক্যারিয়ার শুরু হতেই শেষ।

পিতার  ভাঙ্গা সুটকেস  এর সততা, একজন জনপ্রিয় নেতার ছেলে হয়েও তিনি কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে দুর্নিতীর মাধ্যমে দেশের হাজার হাজার কুঠি টাকা নিজেতো আর্তসাথ করেছেন, বাবর গিয়াস মামুনদের মত অনেক গরু ছাগলকে ও  হাজার কুঠি টাকার মালিক বানিয়েছেন।আবার জঙ্গিবাজের ও উত্থান ঘঠিয়ে বিরোধি দলের জনপ্রিয় নেত্রি এবং বঙ্গবন্ধুর একমাত্র সাকসেসর কন্যা শেখ হাছিনা সহ বিরোধি দলের নেতা নেত্রি ও ভিন্ন দল মত ও ধর্মের
লোককে নিধনের প্রকল্প হাতে নিয়েছিলেন তিনি।

শুধু তিনি নন, মা  ভাই কোকো সহ তিন জন মিলে দুর্নিতী, জঙ্গিবাজ,ও ওহাবী মতবাদ প্রতিষ্টা করে জিয়া পরিবারকে সৌদি রাজপরিবারের আদলে বাংলাদেশের নবাব  পরিবার হিসেব প্রতিষ্টা করার প্রকল্প হাতে নিয়ে ছিলেন ।অনেক দিক দিয়ে কিছুটা সাকসেসও হয়েছেন তিনি। সে সময় পত্র পত্রিকায় দেখেছি তিনি কলেজে ভর্তি হয়েই নাকি সাবেক নৌ প্রধানের মেয়ে জোবেদাকে নিয়ে পালিয়ে যান।লেখা পড়ার ইতি সেখানে হলেও পরে শুনতেছি জোবেদা নাকি ডাক্তার হয়েছে, আর তারেক নাকি ইউনিতেও পড়েছে।

যাহাই হউক দেখতে দেখেতে অনাথ এতিম বালক সে তারেক নাকি এখন ৩৫হাজার কুঠি টাকার মালিক। আর তার ছোট ভাই কোকো পিচ্ছা দোকানের ক্লিনারে  চাকুরি করা কোকো হাজার হাজার কুঠি টাকার মালিক। যেন আলাদীনের চেরাগ তারা দুই ভাইয়ের হাতে। দেশে দুভাইয়ের একাধিক গাড়ি বাড়ি ব্যবসা প্রতিষ্টান জাহাজ জমিন থাকা সত্যেও এক ভাই লন্ডনে আর এক ভাই মালয়েশিয়া বাড়ি কিনেছেন ।

ফকরুল মহিন উদ্দিনের সরকার এর এক নাড়াতেই তা লাইপ রিজেক্ট হয়ে গেছে চিরকালের জন্য।সেই খাম্বা চোর, দুর্নিতীর বর পুত্তর, হাওয়া ভবনের নবাব এই চরিত্রহীন তারেকের পিছে যারা গুরছে, তাদের জিন্দিগীও রিজেক্ট হয়েছে, এবং যারা গুরবে তাদের জিন্দিগীও রিজেক্ট হয়ে যাবে।

বিএনপিকে অবশ্যই গুরে দাঁড়াতে হবে, কিন্তু প্রথমে তারেক রহমানকে বাদ দিয়ে,পরে দেখে দেখে আরো কিছু সিনিয়র নেতাকে বাদ দিয়ে।

------- মোহাম্মেদ ফারুক।

Monday, February 2, 2015

ইসলামের লেঁজ কাটা কুকুরেরা!

                                                                                                                                                             

আচ্ছালা মালাইকুম  ওবারা কাতুহু শুনো হে দুনিয়ার মানব সন্তানেরা!


      
প্রকৃত ইসলাম বলে কি? আর ইসলামের লেঁজ কাটা কুকুরেরা বলে কি? আমার প্রিয়  শান্তির ধর্ম এই ইসলাম সম্পর্কে লেঁজ কাটা নিলর্জ কুকুরদের মুখে আর কোন  ফতুয়া বা অপব্যখ্যা শুনতে চাই না।জীবন ভরে এই সব নেড়ি কুত্তাদের মুখে অনেক গেউ গেউ শুনেছি।অনেক দেখেছি তাদের ভন্ডামি,আজ তাদের পরিচালিত কোন মাদ্রাসা মসজিদে যেতে আমার ইচ্ছেই করে না। তাদের পিছনে বসে আমার দুরাকাত নামাজ পড়তে ইচ্ছে করে না।আমি শৈশব থেকেই ইসলামের প্রতি দুর্বল ছিলাম, আমি শৈশবেই  আমার মা এর কাছে প্রকৃত ইসলামের শিক্ষা ও দীক্ষা গ্রহন করেছি। আর এই দীর্ঘ প্রবাসে বসেও ইসলামি বইপুস্তক হাদিছ কিতাব পড়ে ইসলাম সম্পর্কে যতেষ্ট জেনেছি।ইসলামের আসল সত্য আজ আমার কাছে ধরা দিয়েছে।আর সেই কারনেই এই সব লেঁজ কাটা কুকুরদের বিরুদ্ধে কিছু লিখে এবং প্স্বরয়োজন বোধে স্বশস্ত্র যুদ্ধ করে জিয়াদের জন্য আমি দৃঢ় প্রতিজ্ঞা বদ্ধ হয়েছি।

ইসলাম বলে কি? আর লেঁজ কাটা কুকুরেরা বলে কি?
আরবি আল্ ইসলাম শব্দ দিয়ে শান্তির ধর্ম ইসলামের নাম করন করা হয়েছে। ইসলাম শব্দের প্রকৃত অর্থ হলো আত্মসমর্পন। আর ধর্মিয় ভাবে ব্যখ্যা করে বললে এর অর্থ হয়, অদেখা এবং নিরাকার সর্বশক্তিমান আল্লাহ এবং তার প্রেরিত ঐশি গ্রন্হ আল কোরআন ও তাঁর প্রিয় হাবিব আমাদের পেয়ারে মুহাম্মদ (সাঃ)ও তাঁর প্রচারিত সত্য ধর্ম ইসলামের আকিদা সমূহকে মনে প্রানে বিশ্বাস করে নিজেকে সমর্পন এবং বিশ্বাস করার নামই হলো ইসলাম, আর বিশ্বাস কারীকেই  প্রকৃত মুসলমান বলা হয়।

ওহে দুনিয়ার মানব সন্তান শুনো!
তোমরা মন দিয়ে আমার কথা শুনো! শুধু লম্বা কোর্তা লম্বা দাঁড়ি আর কারুকাজ করা গোল টুপি পড়লে প্রকৃত মুসলমান হওয়া যায় না, যাবেও না কোন দিন। ইসলামি মাদরাসায় বড় বড় হাদিছ কিতাব পড়ে বড় বড় টাইটেল লয়ে আলেম ওলেমা আল্লামা সেজে ভূল ভ্রান্তি ভরা ওয়াজ নছিহত করে বা ইসলামের অপব্যখ্যা করে ফতুয়া দিয়ে ঝোলা ভরলে হবেনা, প্রকৃত ইসলামের পথ থেকে তোমরা সরে গিয়ে কাপের হয়ে সেরেকি গুনাহ  করছ কিনা সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

মহা নবী জিবীতাবস্হায় ভবিষ্যত বাণি করে গেছেন যে আমার মির্ত্যুর পর ইসলামে ৭৩টা দলে ভিবক্ত হবে, কিন্তু আমার খাঁটি ইসলামি দল হবে একটাই, আর তারাই জান্নাতবাসি হবে। আর বাঁকি ৭২টাদলই হবে জাহন্নামী। নবিজীর আগাম বাণি অক্ষরে অক্ষরে সত্য প্রমানিত হয়েছে।আজ বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর ভিবিন্ন দেশে সত্যিই ৭৩টি ইসলামি দল গঠিত হয়েছে। খাঁটি মহা নবীর কোন দল সেটা চেনাই মুসকিল হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশে আজ কেউ জামাতি কেউ হেপাজতি,  কেউ আহলে হাদিছ, কেউ আবার আহলে সুন্নুা,কেউ মাইজভান্ডারি, কেউ আটরশির পীর কেউ আবার শাহাবগি কুতুববাগি মতাদর্শ জাহের করিতেছে, এরা সবাই ইসলামের দৃষ্টিতে এক একটি লেঁজ কাটা কুকুর। তারা ইসলামের অপব্যখ্যা দিয়ে প্রকৃত মুসলমানকে শেরেকি  ‍গুনাহর মধ্যে নিজ্জিত করাচ্ছে।

মুলত মহা নবীর ইন্তেকালের পরই তাঁর স্তলাভিসক্ত বা উত্তরাধিরী নিয়েই মুসলমানের মধ্যে দন্ধের সৃষ্টি হয়। সেই সময়ই মহান এই ইসলাম ধর্মের অনুসারিরা দ্বিধাভিবক্ত হয়ে পড়ে। এক দল সুন্নি আর একদল শিয়া-ই আলি, বা আলির গোস্টি নামে। সেই শিয়াতে আবার উগ্রবাদি চরমপন্হি নামে আরেক দল সৃষ্টি হয়ে খারেজি নামে আখ্যা পেল। সেই খারেজি থেকে পরবর্তিতে ইছমাইলী, আলাওয়ী,দ্রুজ, সালাফি , ওহাবী আহম্মেদী, মওদুদী,এবং সর্বশেষ গোলাম আজমীতে এসে ঠেঁকেছে।

সেই সময় খারেজিরা দুটা কারনে ফতুয়া দিত। এক,প্রবিত্র কোরা্নে মযিদে ৭০ হাজার আয়াত নাকি আল্লাহ পাক নাযিল করেছেন, কিন্তু সুন্নিরা মাত্র ৬৬৬৬টি প্রকাশ করেছেন।দুই,হযরত আলীই মহা নবীর প্রকৃত উত্তরাধিকারি বা উত্তরসরি, এবং তিনিই খালিফা হওয়ার যগ্য। আবুবক্কর নহে।

সেই খারেজির অনুসারিরা পর্যায়ক্রমে এসে ইবনে তাইমিয়ার নেতুত্বে সালাফি, ইবনে আবদুল ওহাবের নেতৃত্ ওহাবী এবং মওদুদীর নেতৃত্বে জামাতি মতবাদ গঠিত করেছে।উপমহাদেশে তথা বাংলাদেশে মওদুদীর একজন খাঁটি সাকসেসর হিসেবে গোলাম আজম দায়িত্ববার গ্রহন করলেও তাতে ভাগ বসান দেল্লা রাজাকার ওরফে দেলোয়ার হোসেন সায়েদি।

ইবনে তাইমিয়ার মনুষ্য আকৃত বিশিষ্ঠ আল্লাহ তাআলার আকৃতি হিসেবে ফতুয়া দিলেও,গেলাম আজম ফতুয়া দিয়েছিলেন প্রবিত্র কোরআনের প্রথম সুরা ফাতেয়া না হয়ে সুরা আল বাকেরা হওয়া উচিত ছিল বলে। দেখুন এবার  কত বড় নাস্তিক ও কাপের, খোদার উপর খোদাগিরি। এই সব নাস্তিক সয়তানরাই আজ বাংলাদেশে জ্বালাও পোড়াও, ভিন্ন ধর্ম মতের মাুষকে নির্বিচারে হত্যা করছে। এরাই ইসলামের লেঁজ কাটা কুকুর।এদেরকে বাংলার মাঠি থেকে চিরতরে বিতাড়িত করতে হবে।যেমনি ভাবে স্ব স্ব দেশ থেকে বিতাড়িত হয়েছে তাদের পুর্বসুরিরা।

তবেই মহা নবীর সুন্নাহ এবং আকিদা সুমুহ এক ও অদ্বিতীয় হয়ে থাকবে বাংলার মাটিতে,তবেই আমরা হানেফি মাযহাবের মুসলমানেরা আত্মায় শান্তি পাবো, ইনশআল্লা।


                                ------মোহাম্মেদ ফারুক, জার্মানী।

Sunday, February 1, 2015

বিএনপি জামাতের লক্ষ ওহাবী মতবাদ প্রতিষ্টা করা।

জেনারেল জিয়াউর রহমান ছিলেন ওহাবী মতবাদে বিশ্বাসি।সে হিসেবে খালেদা তারেকও তার অনুসারি, অর্থ্যাৎ ওহাবী মতবাদে বিশ্বাসি। বিএনপি বা জাতিয়বাদী দল নামটা তো শুধু লোক দেখানো ছিল। সাধারণ মানুষকে ধোকা ও বোকা বানানোর জন্যে। একথা বিএনপির ৯৯% লোক জানতো না এবং আদো জানেনা। জেনারেল জিয়া চেয়েছিলেন ওহাবী মতবাদে বিশ্বাসি ৭১এর যুদ্ধাপরাধি জামাত চক্রকে পুর্নবাসিত করে তাদের কাঁদে ভর করে আরবের এককালের দুদর্শ ডাকাত আবদুর রহমান সৌদ ও তার ডাকাত ছেলে আবদুল আজিজ এর মত বাংলাদেশে ও বাঙ্গালী সুন্নি মুসলমানের হাজার বছরের ধর্ম বিশ্বাসকে এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তি যুদ্ধের চেতনাকে ধুলিস্যাত করে রাজতন্ত্র কায়েম করে নিজেকে নিজে  বাদশা হিসেবে ঘোষনা করতে। শুধু ঘোষনা ও প্রকাশ করাই বাঁকি ছিল,কাগজে কলমে জেনারেল জিয়া নিজেকে নিজে নবাব বংশের নবাব হিসেবে সব মিথ্যে কাহিনী দালাল বুদ্ধিজিবী দ্বারা লিকে ঠিক করে ও রেখেছিলেন। সে কারনে তারেক ও খালেদা জিয়া চিকিৎসাও ওমরার নাম করে বারবার সৌদি আরব গিয়ে ওহাবী রাজার যুক্তিপরামর্শ ও সাহায্য নিয়ে আসেন, এবং সে কারনেই যুদ্ধাপরাধি জামাত শিবিরের সঙ্গ চাড়তে পারছেন না।সে কারনেই তাদের মধ্যে এমন আটা আটা ভাব।
এই ওহাবী মতবাদে বিশ্বাসি হয়ে তারেক রহমান এখন লন্ডনে বসে নিজেকে প্রিন্স বা যুবরাজ ভাবেন, আর খালেদা জিয়া নিজেকে ভাবেন রানী মহা রানী।ইতিমধ্যে তারেক রহমানের  একটা ওয়েব সাইটে তা প্রকাশিত ও হয়েছে। সমগ্র জাতি এখনো অন্ধকারে, বিএনপির লোকজন এখনো অন্ধকারে, ক্ষমতাসিন আওয়ামী লীগ এখনো অন্ধকারে,  সর্বপরি বাংলাদেশের সুন্নি আলেম সমাজ এখনো অন্ধকারে।অতচ তারা অনেক দুরে এগিয়ে গেছে। ওহাবী মতবাদের দালালরা টকশোতে কেমন নিলর্জের মত বলে বলে বুলি আওড়ায়, আর মাত্র কয়টা দিন বাঁকি, তারাইতো ক্ষমতায় যাবে, তারাইতো ইসলামি রাষ্টের নামে ওহাবী মতবাদ প্রতিষ্টা করবে। তারা তখন সুন্নিদের মসজিদ মাজার,হিন্দুদের মন্দির গীর্জা পাকোডা গুড়ো গুড়ো করে দিবে। ভিন্ন মতবাদ ও ভিন্ন ধর্মিয় সংখ্যা লগুদেরকে  আল্লাহু আকবর করে জবাই করে আবার টুকরো টুকরো করবে গানের তালে তালে। সেকুলার বাংলাতে তারা সরিয়া আইন বলবৎ করে নগ্ন পতুয়া দিয়ে মাবোনের পাছায় একশএক দোররা মারবে,মাটিতে অর্ধাঙ্গ গেঁড়ে পাথর মেরে হত্যা করবে।প্রকাশ্যে কিসসা করবে, আর মির্ত্যুর পুর্বে ভুক্তভোগি চিৎকার করে বলবে আনা মা! কিসাস! আনা মাও কিসাস!
ঠিক আঠারশ উন্নিশ এবং বিংশ শতাব্দির প্রথম দিকে আরবে যেমনি হাজার হাজার সুন্নি  আলেম ও তাদের নারী শিশুকে ওহাবীরা জবাই করে হত্যা করেছিল, এবং বর্তমানে যেমনি  মধ্রপ্রাচ্যে তালেবান ও আই এস আই এস টেররিস্টরা ইসলামি খালিফা  রাস্টের নামে নিরিহ মানুষকে কল্লাকেটে বলি দিচ্ছে ঠিক তেমনি বাংলাদেশেও হরতাল অবরোধের নামে গনতন্ত্রের কথা বলে নির্মম ভাবে পেট্রলবোমা মেরে নাশকতা করে  আজ সাধারন মানুষকে হত্যা করছে।সুজোগ পেলে তারাও কল্লা কাটে হাত পাঁয়ের রগ কাটে, জামাতিরাই তো ওহাবী সালাফির পুর্ন জাগরন, আধুনিক রুপ বা
মুখোশ।
এই জামাতি দুষ্ট চক্রের মুখোশ উন্মেষ করতে হলে  আজ আমাকে দুঃখের সহিত ইসলামের ইতিহাস থেকে তাদের উত্থান সম্পর্কে কিছু কথা তুলে ধরতে হচ্ছে। বারশ শতাব্দির প্রথমদিকে মঙ্গলরা তুর্কির উপর হামলা চালালে এক ঈমাম তার কিশোর ছেলে ইবনে তাইমিয়াকে সহ পুরো পরিবারেকে নিয়ে উদবাস্তের ন্যয় দামেস্কে গমন করেন। সেখানে তিনি জামে মসজিদে ঈমামেরই চাকুরি পান। বেশকয় বছর পর ঈমাম সাহেব মারা যাবার পর তাঁরি ছেলে ইবনে তাইমিয়ার তাঁর স্তলাভিসক্ত হন। এই ইবনে তাইমিয়ার পরবর্তিতে ইসলামের পাঁচ আকিদা এবং মুল ইসলামের বিরুদ্ধে ফতুয়া দিয়ে এবং বই পুস্তক লিখে ইসলামের অপব্যখ্যা শুরু করতে লাগলেন। তিনি একদিন মিম্বার থেকে নিজে নেমে দেখায়ে বললেন, আল্লাহ ঠিক এভাবে সাত আসমান থেকে নামেন, এভাবেই আল্লাহ সাত আসমানের উপর বিচরন করেন এবং জমিনে পায়চারি করেন। তিনিই সালাফি মতবাদ প্রতিষ্টা করে মাজারে  যাওয়া হারাম ও শেরেকি ফতুয়া দেন। এই তাইমিয়ার যুক্তি তর্ক ও পতুয়াতে অতিষ্ট হয়ে তৎকালিন সিরিয়া সরকার তাকে একবার মিশরে নির্বাসনে পাঠান আরেক বার কারাগারে নিক্ষেপ করেন, এবং সেখানেই তার মির্ত্যু হয়।

তার মির্তুর অনেক পরে এসে আঠার শতাব্দির শুরুতে   সৌদি আরবের নজদে জন্ম নেওয়া ইবনে আবদুল ওহাব নামে আরেক বকধার্মিক আলেম জন্ম নিয়ে ইবনে তাইমিয়ার আদর্শকে সমুন্নত রেখেই  ইসলমের অপব্যাখ্যা দিয়ে তিনি নিজের  ওহাবি মতবাদ  প্রকাশ করে ওহাবী আন্দলন শুরু করলেন ।তিনিই ওসমানি খেলাফত এর অংশ আরব মুল্রুকে লেবাননি বনিক নামি দস্যু আবদুর রহমান সৌদ এবং তার ভয়ানক দস্যু পুত্র আবদুল আজিজ বৃটিশ গুপ্তচর হ্যাম্পার ও লরেন্স এর মাধ্যমে ওহাবী আন্দলনের মাধ্যমে রাজতন্ত্র প্রতিস্টিত করে ওহাবী মতবাদকে রাজনৈতিক ভাবে সিকৃতি দেন।তারপর থেকেই তারা শিয়া সুন্নিদের মাঝার মসজিদ ভেঙে আলেম ওলেমাদেরকে কল্লা কেটে কিসাস আইন বলবৎ করেন। তাদের হাত থেকে ঈমাম হোসেনের প্রবিত্র মাঝার পর্যন্ত রক্ষা পেলনা।মহানবীর মাজার ততা মসজিদ নববী মদিনা বাসির প্রবল চাপে রক্ষা পেলো।তারা মহানবীর অনেক সৃতি বিজড়িত স্হাপনাকে ভেঙে গুড়ো গুড়ো করেমাঠির সাথে মিশেয়ে দিয়েছেন।তারা মুসলমানদের অনেক ঐতিহাসিক বাড়ি ঘর এমন কি ঐতিহাসি পাঠাগার পর্যন্ত আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছেন। যে পাঠাগারে মানব জাতির প্রায় ষাট হাজার বই পুস্তক দলিল সংরক্ষিত ছিল। তারা মুসলমানের মালামাল  গনিমতের মাল হিসেবে লুট করে দস্যুদের ভরন পোষন করতো।

এই ওহাবী মতবাদে বিশ্বাসি ভারতের এক নাস্তিক মাল আল মওদুদী জামাত ইসলামি প্রতিষ্টা করে বাংলা দেশের আরেক নাস্তিক গোলাম আজমকে দিয়ে মওদুদী বাদের কার্যক্রম চালান। যে গোলাম ছাত্র জীবনে মাওবাদি ও নকসালে আদর্শে বিশ্বাসি ছিলেন, সে  গোলাম আযম হঠাৎ করে ওহাবী বিশ্বাসি হয়ে গেলেন, আর সেই ভ্রান্তি বিশ্বাসের কারনে তারা একাত্তরে যুদ্ধাপরাধ এর মত জগন্য কাজ করেছে, মানবতা অপরাধির মত কুৎসিত কাজ করেছে। তারা হত্যা লুন্ঠন জ্বালাও পোড়া কি কাজ না করেছে।আজ আবার সেই খুনি জামাত বিএনপি দুষ্ট চক্র  বাঙ্গালীর নব জাগরনের সময়ে এসে তারা ইসলামের বিকল্প ইসলামের নবজাগরন ঘঠাতে চায়।তারা প্রবিত্র কোরাআনের বিকল্প কোরআন প্রকাশ করতে চায়। তারা ইসলামের মুল আকিদার বিকল্প আকিদা সৃষ্টি করতে চায়।তারা  জিয়া পরিবারকে  ওহাবী নবাব হিসেবে প্রতিষ্টিত করতে চায়। তারা মাঝার মন্দির গুড়ো করে ভিন্ন মত ও ধর্মের লোককে হত্যা করে নিঃশেষ করে দিতে চায়।সে কারণেই তারেক রহমান লন্ডনে বসে একর পর এক আমাদের স্বাধিনতার ইতিহাস বিকৃত করে যাচ্ছে।সে কারনেই তারেক বঙ্গবন্ধুকে পাকবন্দু বলছে। সে কারনেই তারেক নিজেকে নবাব ভাবছে,  আর সেই কারণেই খালেদা জিয়া নিজেকে আপষহীন নেত্রি ভাবে এবং সেই কারণেই তিনি নিজেকে ভাবেন ওহাবী মতাদর্শের মহারানি।
                        ------ মোহাম্মেদ ফারুক, জার্মানী।

 

Sunday, January 25, 2015

কুকুরের ব্যর্থ লেঁজ।

              






                                                                                                                                                            কুকুরের লেঁজটাই ব্যর্থ।না জানি ইশ্বর কেন কুকুরকে এরকম একটা উদ্ভট লেঁজ দিয়েছেন? যে লেঁজ দিয়ে না পারে নিজের কান খোঁছাতে, না পারে মশা মাছি তাড়াতে, আবার না পারে নিজের লজ্জা স্হানকে ঢাকতে।সব সময় বাঁকা করে রাখে, বাঁকা করে খায় গুমায়। বাঁকা করে হাঁটে আবার বাঁকা করেই দৌড়ায়।সবাই বলতো কুকুরের লেঁজ নাকি বার বছর  ‍চুঙ্গার ভিতর ভরে রাখলেও শিদা হয় না।আবার কেউ কেউ বলতো লেঁজে নাকি আগুন ধরিয়ে দিলে শিদা হয়ে যায়। আমি শৈশবে বহুবার কুকুরের লেঁজে আগুন ধরিয়ে দেখেছি, কোন দিন সিদা হতে দেখিনি, এটাই ধ্রুব সত্য।

বাংলাদেশে আবার অনেককে দেখেছি, বিরক্ত হয়ে পোশা কুকুরের লেঁজের গোড়া দিয়ে কেটে দিতে। সেই কাটা অংশটুকুও কুকুর বাঁকা করে রাখার চেষ্টা করতো।উচ্ছিষ্ট বিস্টা পোলাপানের পায়খানা খেয়ে সারা রাত জেগে গৃহ পাহারা দিয়ে   মনিবের যতই  বিশ্বস্হ হওয়ার চেষ্টা করুক না কেন কুকুরকে মুসলমানেরা সব সময় ঘৃনার চোখেই দেখে।কুকুর দেখলে ছোটরা যেমনি ডিল চুড়ে,বড়রা তেমনি লাথি মারে।

বাংলাদেশে  বিএনপি নামে জাতিয়তা বাদী দলটা আজ, জামাত শিবির নামক এক ধরনের বন্য কুকুর পুশে পড়েছে এক মহা বিপদে। যারা একাত্তরে আমাদের মহান মুক্তি যুদ্ধে পাকিদের পাঁ চেটে কুলশিত হয়েছে।যারা নিজেদের কৃত কর্মের জন্য একটুও অনুতপ্ত অনুসোচনা বা দুঃখ প্রকাশ  না করে পুরনো সভাবেই লেঁজ বাঁকা করে আছে।তাদেরকে নিয়ে বিএনপি না পারছে মশা মাছি তাড়াতে, না পারছে লজ্জা স্হান ঢাকতে।

এই বর্বর জামাতি কুকুর পুশে আজ বিএনপি জাতিয়তা বাদী আদর্শ থেকে নৈরাজ্য বাদী দল বা ( Anarchism ) এ পরিনত হয়েছে।নৈরাজ্যবাদীরা যেমনি সব সময় রাষ্ট, সমাজ,ও তার জনগনকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য মনে করে।ঠিক তেমনি আজ বিএনপিও বদ চরিত্রের কুকুরদের প্ররোচনায় পড়ে রাষ্ট সমাজ ও তার জনগনকে পেট্রল বোমা ও ককটেল মেরে নিঃশেষ করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে।

আজ আমাদের সোনার বাংলার উত্থান ও বাঙ্গালী জাতির নব জাগরনের সময় তারা ইসলামের অপব্যাখ্যা দিয়ে আমাদের জাগরনকে ধমিয়ে দিতে চাচ্ছে।তারা একাত্তরের নয়টি মাস নিরীহ বাঙ্গালীর উপর যেমনি হত্যা ধর্ষন লুটপাট চালিয়েছে, আজ আবার ঠিক একি কায়দায়  নিরীহ মানুষ হত্যা শুরু করে দিয়েছে।এই জামাতি কুত্তাদেরকে পাথর মেরে  এখনি বাংলার মাঠি থেকে চির তরে বিদায় করতে হবে।

প্রবাসে বসে টিভি বা ফেসবুক ইউটুবে অবরোধের নামে বাংলাদেশে চলন্ত যাত্রি ভোজাই বাসে পেট্রল বোমায় জীবন্ত মানুষকে জ্বলতে দেখে, ঢাকা বার্ন ইউনিটে জ্বলন্ত মানুষের আর্তনাদ দেখে আমি বিএনপি নামের  জাতিয়তা বাদী এই দলকে সন্ত্রাসী জঙ্গীবাজ চাড়া আর কিছু ভাবতেই পারছিনা।সত্যিই বিএনপি  আজ একটি নৈরাজ্য বাদী দলে পরিনত হয়েছে।


                                          --------মোহাম্মেদ ফারুক।


                    

Sunday, January 11, 2015

মিথ্যাবাদির দল বিএনপি

সদ্য স্বাধিন হওয়া  বাংলাদেশের প্রথম আমাদের প্রবিত্র সংবিধান প্রনয়ের সময়, বঙ্গবন্ধুর দিক নির্দেশনায়  প্রধানত মুল  চারটি স্তম্ভের উপর ভিত্তি করেই সংবিধানটি রচিত হয়।যেমনঃ- গনতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, জাতিয়তাবাদ,এবং ধর্ম নিরপেক্ষতা।পৃথিবীর কোন দেশে এমন আধুনিক, এবং যুগান্তকারি সংবিধান রচিত হয়েছে  কিনা আমার জানা নেই।

তবু অবৈধ ভাবে রাষ্ট ক্ষমতা ধখল করে জেনারেল জিয়া আমাদের সেই প্রবিত্র সংবিধানের পাতায় বিসমিল্লা জুড়ে দিয়ে আরো প্রবিত্রতার নামে প্রপাগান্ডা ও ভাওতাভাজির জালজালিয়াতি শুরু করে দিলেন।বঙ্গবন্ধু ও  জেলখানায় বন্দী অবস্হায় আমাদের জাতিয় চার নেতাকে নির্মম ভাবে হত্যা করে তিনি ইনডেমেনেটিব নামে এক কালো আইন ও জুড়ে দিলেন সংবিধানের পাতায়।তার মানে খুনিদের কোনদিন বিচার করা যাবেনা।

তারপর তিনি হ্যাঁ না ভোট দিয়ে নিজেকে নিজেই বিজয়ি ঘোষনা করে নিজের ক্ষমতা আরো পাকা পোক্ত করে তিরিশ লাখ শহিদের রক্ত  আর দুলক্ষাধিক মা বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমাদের শ্রেষ্ট অর্জন স্বাধিনতা ও সংবিধানকে খন্ডবিখন্ড করতে লাগলেন।একে একে তিনি সংধিানের পাতা থেকে সমাজ তন্ত্র, গনতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, উঠিয়ে দিয়ে তিনি জাতিয়তা বাদির নামে রাজ কোষের কুঠি কুঠি টাকা খরচ করে এবং জনগনের রিলিপের টাকা  মেরে  জাতিয়তাবাদি দল নামে একটা অদ্ভূদ রাজনৈতিক প্লাটপরম গঠন করেন।অবশ্য পৃথিবীর সব সৈরচাররাই এমনটাই করেন বা করেছেন।যেমন, হিটলার, মুসোলিনি, পিনোসেট,মুভরতো, সুকোর্ন,সাদ্দাম, গাদ্দাপি, আতাতুর্ক আরো অনেক।

জেনারেল জিয়া এই প্লাটপরমের মাধ্যমে সর্বমোট এগারটা দল গঠন করার পর ও আবার গ্রাম সরকার গ্রাম চৌকিদার এমন কি ডান বাম দলের প্রগতি শিল এবং প্রতিভাবান নেতাদেরকে লোভ লালসা দেখিয়ে চরিত্র হরন করার লক্ষে মন্ত্রি মিনিস্টারের পদ পদবি দিয়ে অতবা রাজকোষের কুঠি কুঠি টাকা দিয়ে কিনতে লাগলেন। আর যুদ্ধা অপরাধিদেরকে পুর্নবাসিত করে করে  তিরিশ লাখ শহিদের আত্মাকে কষ্ট দিতে লাগলেন।

মিথ্যাচার দিয়ে শুরু করা স্বৈরচার জিয়ার সেই জাতিয়তা বাদী প্লাটপরম আজ অবধি মিথ্যাচারই করে যাচ্ছে।তারা একের পর এক মিথ্যাচার করে জাতিকে বিভ্রান্ত ও ভিবক্ত করার অপচেস্টা করছে।এই প্লাটপরমের প্রথম সারির সব নেতাই মিথ্যাবাদি ও প্রপাগান্ডা কারি। তন মধ্যে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান তো জগন্য মিথ্যাবাদি। 

জাতিয়তা বাদী নাম ধারি এই ধখল দার দল, নব্বই দশকের শুরুতে বাংলাদেশি না বাঙ্গালী এই  বিতর্ক তুলে পুরো জাতিকে ভিবক্ত করার পাঁয়তারা করে।তার পরে হঠাৎ করে একদিন তুললো জেনারেল জিয়াই স্বাধিনতার প্রকৃত ঘোষক।আজব কথা মুক্তি যুদ্ধের নয় মাস আমরা রেডিও বুকে লয়ে গুমাতাম, কোনদিন স্বাধিনতা ঘোষনা তো দুরের কথা কোনদিন আত্মগোপন কারি জিয়া নামে এই মুক্তি যোদ্ধার নামও শুনিনি।স্বাধিনতার পঁচিশ বছর পরে এসে এই অদভূত পঁচা কথা জাতিকে শুনতে হলো।

তারপর ১৫ই আগস্ট সকালে জাতির কিছু কুলাঙ্গার ছেলে বাংলাদেশের স্তপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানকে পরিবারের ১৭জন সদস্যসহ নির্মম ভাবে স্বপরিবারে হত্যা করে।যে মর্মান্তিক ঘঠনা কারবালার ইতিহাসকে পর্যন্ত হার মানিয়েছিল। আর সেই ১৫ই আগস্ট আসলেই বেগম জিয়া ভূয়া জন্মদিনের কি মহা উৎসব পালন করেন।কেক কাটেন,গান বাজনা করেন মদ খান, আরো কতো কিছু করেন।


আর এখন আবার তাদের অপকর্ম ঢাকা দেওয়ার জন্য নতুন করে তুলছে জিয়াই ছিল বাংলাদেশের প্রথম রাষ্টপতি।মিথ্যা বাদীদের মুখে কি জগন্য আজব কথা। স্বাধিনতার অনেক পরে এসে জানতে পেরেছি জেনারেল জিয়া ছিলেন আমাদের স্বাধিনতা যুদ্ধের পিছের সারির ২১ নাম্বার ব্যক্তি।আর সেই ২১ নাম্বার ব্যক্তিকে এতদিন ২১ থেকে ১ বাদ দিয়ে ২ নাম্বার বানানোর চেস্টো করা হয়েছে, আর আজ দেখি আবার ২১ থেকে ২ বাদ দিয়ে ১ নাম্বার বানানোর চেস্টা করা হচ্ছে।কি আজব অবিশ্বাস্ব কথা!

                                   ----------মোহাম্মেদ ফারুক, জার্মানি।

Thursday, January 8, 2015

তারেক রহমান জগন্য মিথ্যাবাদী,

তারেক রহমান একজন জগন্য মিথ্যাবাদী।রহমান আল্লাহ সুবাহান তা-আলার নিরাব্বই নামের মধ্যে একটি নাম হলেও, জেনারেল জিয়াউর রহমানের এই কূপুত্র রহমতহীন ফেরারী আসামি হয়ে লন্ডনে বসে বাঙ্গালীর চির ও শ্রেষ্ট অহঙ্কার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের নামে একের পর এক মিথ্যা অপবাদ ও কূৎসা  রটিয়ে যাচ্ছে।বাংলাদেশের মহান স্বাধিনতা স্বচক্ষে দেখা, বলতে গেলে আমি নিজেই ইতিহাসের একটি পাতা হয়ে তারেকের একটি কথা বিশ্বাস তো দুরের কথা শুনতেও অসহ্য বোধ করছি।

বঙ্গবন্ধু এমন এক জন মানুষ।যাঁর তুলনা শুধু করা চলে মানব জাতির ইতিহাসে যুগে যুগে সমগ্র পৃথিবীতে আবিরভূত মহামানব গনের সাথে।বঙ্গবন্ধু চির উন্যত।বঙ্গবন্ধু মহান। বঙ্গবন্ধু কালজয়ি।বঙ্গবন্ধু হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙ্গালী, সেটা আজ আন্তর্জাতিক ভাবে সিকৃত।বঙ্গবন্ধুর তুলনা কোন বাঙ্গালীর সাথেই করা চলে না, এবং কোন দিন চলবেও না।

জেনারেল জিয়া মিথ্যাকে সত্য করে বললে হয়তো স্বাধিনতার ঘোষক হতে পারেন।এম জি ওসমানি সাহেব মুক্তি যোদ্ধার সর্বাধি নায়ক হতে পারেন।মরহূম তাজউদ্দিন বাংলাদেশের প্রথম প্রথম প্রধান মন্ত্রি এবং সফল মুক্তি যুদ্ধ পরিচালনা কারি হতে পারেন। সৈয়দ নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের অস্হায়ি রাস্ট পতি হতে পারেন।আ,স,ম রব স্বাধিনতার প্রথম পতাকা উত্তলন কারি হতে পারেন, আর সাজাহান সিরাজ, তোফায়েল আহম্মেদ, নুহে আলম, সিরাজুল আলম খান অার বাঘা ছিদ্দিকীর কথাই বলেন, সেদিন  বঙ্গবন্ধু বিনা সবাইর, এমন কি সাড়ে সাত কুঠি বাঙ্গালীর ও কোন মূল্যই ছিলনা।সেদিন সাড়ে সাত কুঠী বাঙ্গালীর আত্মা এক মজিব এর তর্জনি হয়ে এটম বোমের মত গর্জে  উঠেছিল সাত আসমানে। আর সে কারনেই মজিব সব অসম্ভবকে সম্ভব করে দিতে পেরেছে আমাদেরকে স্বাধিন একটি দেশ।

বাংলাদেশের অপর নাম শেখ মজিবর রহমান।আশির দশকের প্রথম দিকে যখন আমি বিদেশে আসি।তখন বিদেশিরা বাংলাদেশি বললে চিনতোই না।বাংলাদেশ নামক দেশটা পৃথিবীর কোন প্রান্তে কেহই জানতনা। আর যখন আমরা  আমাদের মহান নেতা শেখ মজিবের দেশের পরিচয় দিতেই বিদেশিরা  বলতো ও!হো এবার চিনতে পেরেছি।আর সেই মহান নেতার নামে কুৎসা রটানো তারেক রহমানের লজ্জা করা উচিৎ বাঙ্গালী হিসেবে আর বাঙ্গালীর নেতা হিসেবে পরিচয় দেওয়ার।

তারেক রহমানের বোধদয় হবার জন্য লিখছি।আপনার পিতার নির্মম ভাবে  মির্ত্যু হওয়ার আগে একদিন বঙ্গবন্ধুর মাঝারে গিয়ে বলেছিলেন, বাংলাদেশে কেউ রাজনিতী করতে হলে বঙ্গবন্ধুর পাঁ ছুয়ে করতে হবে।নতুবা কেউই রাজনিতি করতে পারবেনা। ৭৯ বা ৮০সালের পত্রিকা গাটলে ছবি সহ দেখতে পাবেন। আর আমার বিশ্বাস সে কারণেই আপনি নিজেও রাতের আঁধারে বঙ্গবন্ধুর মাজারে গিয়ে পাঁ ছুয়ে এসেছেন বাংলাদেশে রাজনিতি করার জন্য। 

ভাল কথা আপনি বাংলাদেশে রাজনিতি করবেন, গনমানুষের মঙ্গলের জন্য।কিন্তু প্রবাস নামের বনবাসে বসে বার বার এই সব কি বলছেন? ছিঃ ছিঃ আমরা তো নিজেরাই ইতিহাসের একটা পাতা, আপনার কাছ থেকে আপাতত ইতিহাসের কোন পাঠ নিতে হবে না।মনে রাখবেন যে নেতার জন্ম না হলে আপনার মা-বাবা বাংলাদেশের রাষ্ট প্রধান তো দুরের কথা, জেনারেল ও হতে পারতো না, আর আপনিও হাওয়া ভবনে বসে দুর্তিনির বরপুত্র হয়ে সেনা বাহিনীর হাতে এমন মার খেতেন না।এত বিত্তভৈববের মালিকও হতে পারতেন না।

                         ---মোহাম্মেদ ফারুক, জার্মানী।

Sunday, September 14, 2014

সত্যের সাক্ষ্য,

 হে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমান!
আজ  আমি সাক্ষ্য দিতেছি যে হে মহান নেতা, এই বঙ্গ বাসি সর্বসন্মতিক্রমে তোমাকেই বঙ্গবন্ধু উপাদিতে ভূষিত করেছিল, সুতরাং তুমিই বঙ্গবন্ধু,তুমিই এই অসহায় জাতির স্বাধিনতার ঘোষক এবং রুপক, সুতরাং তুমিই জাতির পিতা।তুমি হাজার বছরের শ্রেস্ট বাঙালি এটা আজ সারা বিশ্বে সিকৃত।সুতরাং তুমি ছাড়া অদ্বিতীয় কোন বাঙালী আজ পর্যন্ত জন্ম নেয় নেই এই বাংলার বুকে, এবং যতদিন পর্যন্ত এই বাংলাদেশ ও এই দেশের স্বাধিনতা টিকে থাকেবে ততদিন পর্যন্ত কেহই জন্ম নিবেনা, অর্থাৎ অপর কেহই তোমার স্হান ধখল করিতে  পারিবে না।না না না কোন দিনও না............কুঠি কুঠি বার না।

হে জাতির জনক!
তুমি তো নিশ্চয় জানতে, চৌদ্দশ বছর আগে আমাদের প্রবিত্র গ্রন্থ কোরআনে মজিদ নাযিল হওয়ার পর মহা নবীর আদেশকে অমান্য করে নব্য খারেজি মুসলমানেরা বিকৃত কোরআন শরিফ প্রকাশ করে মুসলমানকে ধোকা ও ইসলামকে অবমাননা করিতে লাগিল।সেই সময় খারিজিরা বলতে লাগল প্রবিত্র কোরআনে নাকি আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সত্তর হাজার আয়াত নাযিল করেছিলেন, আর মহানবী মাত্র সাতহাজার সাতশ সাতাত্তরটি আয়াতের কথা বলছেন।যাক অবশেষে অনেক হানাহানি খুনাখুনি ও জানমালের ক্ষয়খতির পরে সত্যের জয় হয়ে সাত হাজার সাতশ সাতাত্তর আয়াত বিশিস্ট কোরআনে মযিদ নেয়ামত স্বরুপ সমগ্র মুসলিম জাহানের মুমিন মুসলমানের জন্য নির্ভুল ভাবেই আজ অবদি রয়ে গেছে, এবং কেয়ামত পর্যন্ত একটি ঝের জবরও কেউ বদলাতে পারিবেনা।ঠিক তেমনি থাকিবে, যেমনি আছে। মহা নবী তাঁর জীবদশায় তাঁর অমর বিদায় হজ্বের ভাসন এবং মদীনা সনদের মাধ্যমে দুনিয়ার মুসলমানদেকে সঠিক দিক নির্দেশনা দিয়ে গেছেন।আমরা তার অনুসারি লক্স কুঠি সুন্নি মুসলমানেরা কেয়ামত পর্যন্ত তাঁর আদর্শে অনুপ্রানিত হয়ে তার দেখানো পথেই চলবো ইন্শআল্লাহ।

হে বাংলার অবিসংবাদিত মহান নেতা!
তুমি তো জানতে, তিব্বত হিমালয় আর প্রবিত্র কৈলাশের ধুলাবালি নিয়ে শত নদির অববাহিকায় জন্ম নেওয়া এই ব-দ্বীপ বাসী কত ভীরু নিরীহ ও সরল প্রকৃতির সাড়ে সাত কুঠি বাঙালীকে  তীলে তীলে কি কঠিন ও জগন্য নিউক্লিয়াস বোমে পরিনত করেছ।যে বাঙালী শত শত বছর ধরে মগ ওলন্দাজ আর হার্মাদ জল দস্যুদের ভয়ে ভাঘ বল্লুকের ভয় উপেক্ষা করে নিজের পোটলা পাটলি লয়ে জঙ্গলে লুকায়ে যেত।সেই বাঙালিকে তুমি মহান স্বাধিনতার মন্ত্র শিখায়ে কতো অল্প সময়ে বিশ্বের প্রথম শক্তিধর বলয়ের কাছ থেকে বাংলার স্বাধিনতা ছিনিয়ে এনেছ।

হে জাতির জনক !
অতচ আজ তোমার আনুগত তোমারই সেই ভালবাসার বন্ধুরা তোমারি দেওয়া উপাদি খেতাবি প্রাপ্ত লোকেরাই তোমাকে  এমন নির্মম ভাবে স্বপরিবারে হত্যা করার এত বছর পরও তোমকে অবমাননা করে তোমার সৃষ্টি ইতিহাসকে একের পর এক বিকৃত করে যাচ্ছে।ঠিক যেমনি মহা নবীর বংশকে নিঃশ্বেষ করে দিয়ে মহা নবী আর তার আদর্শ ধর্ম ইসলামকে নিয়ে করেছিল, ঠিক তেমনি।

হে মহান নেতা !
একটা পাগল আর নির্বোধ ও বুঝতে পারবে, ৭ই মার্চ এর ভাসনে তুমি জয় বাংলার পরে জয় পাকিস্তান বা জিয়ে পাকিস্তান বলতে পারনা। কোন দিনও না। কারন সব কিছুর মত ভাসনের ও তো একটা পিনিসিং আছে, একটা সোভা আছে।তুমি জানতে সেই ছিল হয়তো তোমার জীবনের শেষ ভাসন। তুমি জানতে এটাই হবে তোমার জন্য আব্রাহাম লিংকনের গেটেসবার্গের ভাসন আর মহা নবীর বিদায়ী হজ্বের ভাসনের মত। তুমি নিশ্চয় জানতে তুমি শুধু পাকিস্তানি একটা বিশৃঙ্খল হায়েনার সাথে যুদ্ধের জন্য বাঙালীকে প্রস্তুত করছনা। বরনঞ্চ বিশ্বের প্রধান শক্তিধর বলয়ের  সাথে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করছ।তাই তো তুমি যখন বলেছ আমরা ভাতে মারব, আমরা পানিতে মারব,তখন বাংলার আকাশ বাতাস প্রকম্পিত হয়ে বাংলার নদীনালা খালবিলে ধ্বনিত হলো কল্লোল। বাংলার হরিৎ মহুয়ায় সালিক খঞ্জনা দোয়েল কোয়েল আবাবিলের মত রনোসাজে মেতে উঠল।তুমি যখন বলেছ রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেব,আমি যদি হুকুম দিবার নাহি পারি প্রত্যেক ঘরে ঘরে দূর্ঘ গড়ে তুলো।তখন লাখো কুঠি তরুনের মাথায় রক্ত উৎরায়ে উঠল, হয় প্রান নয় তো মায়ের মান, মানে বাংলার স্বাধিনতা।তুমি শেষ বলেছ এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধিনতার সংগ্রাম,আর সর্বশেষ  ভরাট কন্ঠে বলেছ জয় বাংলা।এই ভরাট কন্ঠি জয় বাংলার মানে আমি বুঝেছি তুমি নিরীহ নিরস্র বাঙালীর মাঝে টর্নাডো, সুনামি বা নিউক্লিয়াস বোমের মত কোন দৈব শক্তি প্রয়োগ করেছ।

হে জাতির জনক !
তুমি জানতে এই বাঙালী জাতির  অনেক দুর্নাম আছে।তুমি নিজেই বলেছ বাঙালীরা পরশ্রিকাতর।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন রেখেছ বাঙালী করে মানুষ করোনি।পাকিরা বলতো বাঙালীরা চুতিয়া।আজ তোমার সেই বাঙালীর মধ্যে সত ও সত্য বলার মানুষের বড়ই অভাব।কিছু কিছু মুখোশ ধারি সয়তান বাঙালীকে অকৃতজ্ঞ ও মিথ্যা বাদী বানিয়ে সত্যের মুখোমুখি বসিয়ে রেখেছে এবং চিরদিন রাখতে চায়।তোমাকে নিয়ে তোমার সৃষ্টি করা ইাতহাস বিকৃত করে খন্দকারের মত আরো লাখো কোড় বই লেখা হবে, এখানেই তোমার সার্থকতা, তুমি যে জাতির জনক, তুমি যে বঙ্গের বন্ধু, তুমি যে হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙালী।প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম সত্যিই একদিন জেনে নিবে তোমাকে।কারন তুমি শুধু জাতির জনক, আর বঙ্গ বন্ধু নয়, তুমি বাঙালী জাতির চির অহঙ্কারও।

হে জাতির জনক!
আজ আর আমি জয় বাংলা বলবো না, বলবো শুধু জয় বঙ্গবন্ধু, আর জয় বঙ্গ বন্ধু।আমার জবিনে আমি জিবিত এবং স্বশরিরে কোন নবী পয়গম্বরকে দেখিনি।আমি যিষু বৌদ্ধা রামের মত কোন মহামানবকে দেখিনি।আমি লেলিন মাও চেগুয়েভারার মত কালজয়ি কোন মহাপুরুষকে দেখিনি।আমি আমার ক্ষুদ্র জীবনে প্রমিথিউস এর মত বাংলার বুকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমানের মত মহান নেতা তোমাকে জিবিত অবস্হায়  দেখেছি।তুমিই অন্ধাকারে নিমজ্জিত একটা জাতিকে প্রমিউথিউসের মত সর্ঘ থেকে একটি ছোট অতি ছোট আগুনের স্ফুলিঙ্গ এনে সেই আগুনের পরশমনিতে সমগ্র বাংলাকে আলোকিত করে নাম দিয়েছ বাংলাদেশ।আমি তোমাকে ব-দ্বিপ বঙ্গবাসির পক্ষ থেকে নয়,সমগ্র বিশ্বের সত্যবাদি মানব জাতির পক্ষ থেকেই বিনম্র শ্রদ্ধায় তোমাকে জানাই বাঙ্গালী সালাম, জয় বঙ্গ বন্ধু। জয় হবে নিশ্চয় সত্যের।
                                                 ---------------- মোহাম্মেদ ফারুক, জার্মানী।

Tuesday, June 10, 2014

আমাদের প্রিয় প্রধান মন্ত্রি,


হ্যাঁ ভাই ঠিকই ধরেছেন, আমি বলছি আমাদের প্রিয় প্রধান মন্ত্রি জন নেত্রি শেখ হাছিনার কথা ।চোখের পলকে তিনি প্রিয় মা-বাবা আদরের তিন ভাই একে একে  পরিবারের সবাইকে হারিয়ে নিঃস্ব এতিমের মত দীর্ঘ দিনের প্রবাসের নির্বাসিত কঠিন জীবন পার করে দৃঢ় মনোবল ও হিম্মত নিয়ে ফিরে এসেছিলেন স্বদেশের মাটিতে ।তখনো বত্রিশ নম্বর বাড়ির শিঁড়ি থেকে জাতির জনকের রক্তের ছোপ মুছে যায়নি  ।তখনো বাংলার আকাশে উড়ছিল বন্য শকুনের দল ।তখনো বাংলার কাঁচা পথে পথে গুরছিল একাত্তরের পরাজিত জঙ্গলি হায়েনার দল । তখনো আমাদের প্রবিত্র স্বাধিনতা দখলদার বাহিনীর হাতে ।ঠিক তখনই তিনি সব ভয় ডরকে উপেক্ষা করে মির্ত্যুকে আলিঙ্গন করে সত্য প্রতিষ্টার সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন ।কারণ তাঁর মুখে ছিল ইতিবাচক নিতীকথা সত্যের বাণী, কারণ তাঁর বাবা সব সময় বলতেন,যে মরতে জানে তার কোন দিন মরন হয়না। পকৃত মানুষ মরে শুধু একবারই ।

উন্নিশ একাশি সালের কোন একদিন হবে, আজকের  মাননীয় প্রধান মন্ত্রি শেখ হাছিনাকে আমি দেখেছিলাম খুব কাছে থেকে।তিনি এসেছিলেন সেদিন মাইজদী সহীদ ভূলু স্টোডিয়ামে বিরাট জনসভায় ভাসন দিতে।বিরাট বলতে কি, মানুষ হবে তিন চার কিংবা পাঁচ হাজার।অতচ বাহাত্তর সনে এই স্টোডিয়ামে এসেছিলেন জাতির জনক বঙ্গ বন্ধু শেখ মজিবর রহমান। সেদিন জাতির জনককে এক নজর দেখার জন্য লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড়ে চার পাঁচজন পদদলিত হয়েই মারা গিয়েছিল।

সেদিন সহীদ ভূলু স্টোডিয়ামে আজকের মত পাকা গেলারি ছিলনা, খেলা ঘর ছিল না।পাকা কোন দালান ছিল না।শেখ হাসিনা এসেছিলেন আকাশি রঙের একটা শাড়ি পরে। চিম চাম শরির গোল গাল চেহারা, দেখতে অবিকল আমার বড় বোন এর মত। যে বোনটার কোলে পিটে চড়ে আমি বড় হয়েছি,যে বোনটাকে আমি মা এর মত শ্রদ্ধা করি। আমি মনে মনে শেখ হাছিনার প্রতি শ্রদ্ধায় মাথা নত করি।

সেদিন শেখ হাসিনা যখন বক্তৃতা দিতে মাইক্রফোনের সামনে দাঁড়ালেন, তখন শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠল সমগ্র জনসভা।তিনি শোকার্ত কন্ঠে বললেন আমি এসেছি শুধু আপনাদের কাছে আমার মা বাবা ভাই বোন এর হত্যার বিচার চাইতে। কি অপরাধ করেছিল আমার ভাই শিশু রাসেল?কেন তাকে হত্যা করা হয়েছিল ?কি অপরাধ করেছিল আমার মা ?কি অপরাধ করেছিল আমার দু ভাবি যাদের হাতের মেন্দি তখনো শুকায়নি। কি অপরাধ করেছিল তাদের অনাগত শিশু? কেন তাদেরকে হত্যা করা হয়েছিল ?জানি এই সব প্রশ্নের সঠিক কোন উত্তর  জাতির দুচারটি কুলঙ্গার সন্তানের কারনে আমরা কোনদিন দিতে পারিনি আর পারবনাও।

বিচার প্রাকৃতিক ভাবেই হয়েছে । এক দখলদার বাহিনী খতম হওয়ার পর আর এক উর্দিপরা দখলদার বাহিনী পুনরায় বন্দুক ঠেকিয়ে স্বাধিন বাংলার ক্ষমতা দখল করে, চলে বলে কলে কৌশলে দীর্ঘ নয় বছর অগ্রগামি  এই জাতিকে ধাবিয়ে রাখে ।কত বড় বেহায়া আর নিলর্জ হলে তা সম্ভব,স্বৈরচারি এরশাদকেই আমরা তার জলন্ত প্রমান দেখেছি । 

জাতির জনকের কন্যা স্বৈরচারির রক্ত চক্ষু আর বন্দুকের নল বুলেট বুলডুজারকে ভয় না করে  রাজপথে  সংগ্রাম করে করে  নব্বইর ছয়ই ডিসেম্বর স্বৈরচারের পতন ঘঠাতে সক্ষম হন ।কিন্তু রহস্য জনক ভাবে আবার পূর্বের প্রয়াত দখলদার বাহিনীর লাঠিয়ালরাই ক্ষমতা দখল করে ।তারা শুধু ক্ষমতা দখল করেই ক্ষ্যান্ত হয়নি, তারা ক্ষমতার মোহে অন্ধ হয়ে একটা অশূভ শক্তিকে নিয়ে শুরু করে দেয় রাজনিতীর নামে চিনিমিনি খেলা । তারা আমাদের  প্রবিত্র ধর্মের অপব্যখ্যা করে প্রকাশ্যে অপ্রকাশ্যে ধর্ম প্রান মুসলমানকে নাস্তিক বলতে থাকে ।এমনকি আমাদের স্বাধিনতা যুদ্ধের নেতৃত্ব দানকারি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে তারা নাস্তিকের দল হিসেবে প্রকাশ করতে থাকে।তাদের মন্ত্রি মিনিস্টার পর্যন্ত সংসদে দাঁড়িয়ে  মা ফাতেমা সমতূল্য শেখ হাসিনাকে কটুক্তি করে। তারা একের পর এক অশূভ শক্তি তথা জঙ্গিবাজ সৃষ্টি করে  অগনিত সাধারণ নিরিহ মানুষকে নির্মম ভাবে হত্যা করে অবশেষে শেখ হাসিনাকেই প্রানে মারার জন্য একুশে আগষ্ট বায়তুল মোকারমের সামনে বিশাল জনসভায় গ্রেনেট হামলা ঘঠায়।

কিন্তু মহান আল্লাহর অলোকিক ইশারায় চব্বিশ জন নেতানেত্রি প্রান হারালেও আহত হয়েও ভাগ্যক্রমে শেখ হাসিনা বেঁচে যান।
হাজার হাজার শুকরিয়া মহান আল্লাহর দরবারে।আমাদের সোভাগ্য যে তিনি এখনও বেঁচে আছেন। তিনিই বাংলাদেশের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর পরে রাজনৈতিক ভাবে এবং রাস্টপ্রধান হিসেবে সফল মানুষ ।তিনি দেশ বিদেশে শুনাম কুড়ায়ে অনেক অনারারি ডক্টরেট ডিগ্রি প্রাপ্ত হয়ে  জাতিসঙ্গে বিশ্ব শান্তির ইশতেহার পেশ করে বিশ্বের দরবারে নতুন বাঙ্গালী আর বাংলাদেশের উন্মেশ ঘঠান।

তিনিই পার্বত্য এলাকায় শান্তি চুক্তি করে বিশ্বের দরবারে এক অনন্য দৃস্টান্ত স্হাপন করেন।সিমান্ত চুক্তি নদির পানির সমবন্টন চুক্তি এবং প্রতিবেশি মায়ানমারের সাথে  সান্তিপুর্ন ভাবে সমূদ্র সিমানা মিমাংসা করে নতুন ইতিহাস সৃস্ঠি করেন।তিনিই বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন। তিনিই সোনার বাংলাদেশের পাশাপাশি ডিজিটেল বাংলাদেশ গড়ার দিপ্ত সফত গ্রহন করেন।তিনি আজ দেশে উন্নতির ছোঁয়া লাগায়ে আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার জন্য আপ্রান চেস্টা করে যাচ্ছেন।

নিলর্জ শুশিল আর রক্ষনশীল সমাজিরা তো  নিন্দুকরা চর্ম ঠোঁট নাড়বেই।তিনিই প্রথম ক্ষমতায় এসেই কবি সাহিত্যিক তথা বুদ্ধিজিবীকে গনভবনে দাওয়াত করে সন্মান করার প্রথা চালু করেন।দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি প্রধান মন্ত্রি হয়ে তরুনদেরকে নেতৃত্বে আনেন, কিন্তূ দুঃখ্যের বিষয় তরুনরা প্রায় সবাই বেয়াদপ এমন কি কেউ কেউ খুনি হিসেবে আবির্ভাব হয়েছে।  তিনি নিজেও লেখা পড়া ও এবাদত বন্দেগী করে সময় কাঠান । আমি তার লেখা দুতিনটা  বই পড়ে বুঝেছি তিনি যে কত বড় প্রজ্ঞাবান। আমি তার শুস্বাস্হ ও দীর্ঘ জীবন কামনা করছি।আল্লাহ যেন তাকে আরো অনেক দিন বাঁচিয়ে রাখেন। আমিন! জয় বাংলা, জয় বঙ্গ বন্ধু।
                                                           ----ফারুক জার্মানী ।

Monday, June 2, 2014

খ্যপা সংগীত: দুধের মূল্য না হয়,

খ্যপা সংগীত: দুধের মূল্য না হয়,: দুধের মূল্য না হয় তোমায় দেবো গো মা-বলো মা্টির মূল্য মোরা কারে দেবো।কার চরনে লুটে পড়ে আকূল হয়ে সালাম জানাবো। যে মাটির পরে বাঁচি মোরা,য...

Wednesday, May 28, 2014

তীলে তীলে দেশটা ধ্বংশ হয়ে যাচ্ছে,








            তীলে তীলে দেশটা ধ্বংশ হয়ে যাচ্ছে,


খুব কম সময়ে আমরা স্বাধিনতা পেয়েছি । মাত্র নয় মাসে ।এত কম সময়ে বোধ হয় পৃথিবীর কোন দেশে  কোন জাতি স্বাধিনতা পায়নি । আমরা দেখেছি অতি কম সময়ে স্বাধিনতার মুখ । তাই বুঝি আজ আমাদের ঘরে ধরা দিয়েছে পৃথিবীর এত্তসব  দুঃখ । যদিও কম সময়ে আমরা স্বাধিনতা পেয়েছি, ততাপি আমাদেরকে দিতে হয়েছে একসাগর রক্ত আর তিরিশ লক্ষ সহীদের তাজা প্রাণ ,দু-লক্ষাধিক মা-বোনের  সম্ভ্রোম ।অতচ এতকিছু ত্যাগের বিনিময়ে ও আজ আমরা সেই অলিক স্বাধিনতা পেয়েও স্বাধিনতার মর্ম মোটেই বুঝিতেছিনা । স্বাধিন দেশের নাগরিক হিসেবে আমরা না হতে পেরেছি ধন্য, না হতে পেরেছি মানুষ নামে গন্য ।দিন দিন আমরা তলিয়ে যাচ্ছি দুর্নিতীর অতল গহভ্বরে । দিন দিন আমরা চলে যাচ্ছি ভাষাহীনদের দলে ।স্বাধিন দেশে  বসবাস করা আজ আমাদের সোভা পাচ্ছে না ।

সবার মুখে  শুধু হাম্ হাম্‌ আর খাম্ খাম্ । কার আগে কে কার  ধন সম্পদ লুটে পুটে খাবে, কার আগে কে বড়লোক হবে, কার আগে কে কাকে খুন  আর গুম করবে, এই প্রতিযোগিতায় নেমে গেছে  দেশের ষোল কুঠি মানুষ ।ধর্ম কর্ম শিক্ষা দীক্ষা  নিয়ম নিতী আইন কানুন মানবতা মনুষ্যতা বলতে বুঝি আজ কাল দেশের মানুষের  মাঝে কিছু নেই ?কেন  মানুষ এমন জগন্য হয়ে গেল ?

চুরি ডাকাতি  খুন খারাবি  চাঁদাবাজি  পরের সম্পদ দখলবাজি ঘুষ দুর্নিতী কালোবাজারির পরে এখন  এসে মডার্ন সিস্টেমে  গুম আর খুন হচ্ছে  নিত্যদিন ।অনলাইনে গেলেই  এই ‍ গুম আর খুনের  কাহিনী পড়তে পড়তে  রিতিমত হাঁপিয়ে উঠেছি ।বিশেষ  করে নারায়ন গঞ্জ এর সাত খুন আর ফেনিতে দিবোলোকে জনসমাগম রাস্তার উপর নির্মম ভাবে ফুলগাজির চ্যায়ারম্যান  একরামকে হত্যার পর  গান পাউডার দিয়ে পুড়ে ফেলার দৃশ্য দেখে  আমি অত্যান্ত মর্মাহত হয়েছি । ছিঃ মানুষের মানবতা গেল কোথায় ?আগে দেখেছি প্রতিটা হত্যার পিছে একজন গঠপাদার আছে, এখন দেখি একজন গঠমাদারও আছে । সাংবাদিক ভাইয়েরা  পুলিশের পাশাপাশি  যে ভাবে অপরাধি সনাক্তি আর  অনুসন্ধান করে ব্যকূল হয়ে লেখালেখি করতে  করতে হয়রান হয়ে যাচ্ছেন তাদের  শ্রমের মুল্যায়ন করে ধন্যবাদ দিতেই হয় ।

কিন্তু আমার কাছে মনে হয়  দেশের ষোল কুঠি মানুষ আমরা সবাই  কোন না কোন ভাবে অপরাধি ।একজন  অপরাধির পরিবারের তার মা বাবা  ভাই বোন স্ত্রি -সন্তান  এমনকি পড়শি সবাই  জানে লোকটা  অন্যায় অনিয়মে  পয়সা কামাচ্ছে ।প্রতিজন মা-বাবা জানেন তার সন্তানের অনিয়মের  খবর, আর প্রতিজন বোন জানেন তার স্বামির অবৈধ রোজগারের খবর ।যে বাবার মসজিদে নামাজ পড়তে পড়তে কপালে কালো মেছতা পড়ে গেছে, যিনি হজ্ব করে নিজেকে হাজি বানিয়ে মুমিন মনে করেন, তিনি অবশ্যই জানেন তার পোলার ঘুষের টাকা দিয়ে অথবা নিজের  ঘুষের টাকা দিয়ে তিনি হজ্ব করেছেন । আর আমরা সাধারন পাবলিকরা  যারা এই সব অন্যায় অনিয়ম সব দেখেশুনেও কোন প্রতিবাদ করিনা, আমরা সবাই কোন না কোন ভাবে অপরাধি । মা আমাদের কে জনম দিয়েছেন নিঃস্পাপ  ছোট শিশু হিসেবে, আর বড় হয়ে  আমরা সবাই যদি পাপি হয়ে মরে যাই, দেশটার কি হবে ? কবির ভাষায় -রেখেছ বাঙ্গালি করে মানুষ করোনি ।এটাই কি নির্মম সত্য ? 

এবার আমার অনেক আগের লেখা একটা গান পড়ুনঃ-

চোরের বাড়িত কোনদিন দালান উঠেনা,

এই কথাটা হাঁছানারে  ভাই এই কথাটা হাছানা ।

বাংলাদেশে চোরের বাড়িত যব্বর উঠে

দালান কোঠা  ভিলা বালাখানা ।



---- ফারুক, জার্মানি ।


Monday, May 12, 2014

গীত লতা: আমার হাজার,

গীত লতা: আমার হাজার,: আমার হাজার সুখের রাতের চেয়ে বড়, দুঃখের এ রাত।জেগে থাকা শুধু কস্টের ব্যদনা নহে গো, হাজার স্বপ্নের সাথে মধুর মোলাকাত। স্বপ্নেরা আমাকে প...

Wednesday, December 25, 2013

কিসের সংলাপ?

কিসের সংলাপ ? আর কিসেরই বা সমজোতা ?
গনতন্ত্র, সমাজতন্ত্রর , ধর্ম না মানবিধিকার প্রতিষ্টার
সংলাপ?অনাহুত সাবাই বলছে সংলাপ আর সংলাপ ।

আমি তো দেখেছি  স্বাধিনতার বিয়াল্লিশ পরে এসেও
বাঙ্গালী সংলাপে বসে কোন কিছুই সমাধা করতে পারেনি ।
বাঙ্গালী না বাংলদেশি, না কে স্বাধিনতার ঘোষক, আজো
অমিমাংশিত ।অতচ অযতা সবাই বলছে সংলাপ আর সংলাপ ।
কিসের সংলাপ ?

আমি তো কোন দিন বাঙ্গালীকে দেখিনি সংলাপে বসতে ।

আমি শৈশবে দেখেছি দলে দলে পিপিলালিকা আর উই
পোকাকে সংলাপে বসতে । আমি দেখেছি একঝাঁক
গাং চিলকে সংলাপে বসে সমূদ্রের মহি সোপান নির্ধারন
করতে ।আমি দেখেছি শিয়াল আর কুকুরকে সংলাপে
বসতে ।আমি কোন দিন বাঙ্গালীকে দেখিনী সংলাপে
বসতে, কিসের সংলাপ ?

বাঙ্গালীর যতটুকু অর্জন সবটুকুই সংগ্রাম আর যুদ্ধের
মধ্যে দিয়েই চিনিয়ে আনা ।অতচ সবাই আজ বলছে
সংলাপ  সংলাপ । কিসের সংলাপ ?

আজ যদি সংলাপে বসেতই হয়, তো স্হায়ি ভাবে
সমজোতা হয়ে যাক, বাংলাদেশ না আপগানিস্তান ।
না ভারত না পাকিস্তান ?

আজ যদি সংলাপে বসতেই হয়, তো স্হায়ি ভাবে
সমাধা হয়ে যাক তাদের সমাধিস্হানের ।সমাধা হয়ে
যাক স্বাধিন বাংলার কোন এলাকায় সাজা হবে
তাদের নগ্ন বেহায়াফনার । রংপুর দিনাজ পুর নাকি
ঢাকায় ।বরিশাল নোয়াখালি, সিটাগাং সিলেট নাকি
আজিমপুর বনানীতে ।

সমাধান হয়ে যাক স্হায়ি সমাধান । যাতে করে তাদের
সমাধিতে আমি দিতে পারি রক্ত গোলাপ, আর নিন্দুকেরা
দিতে পারে মুত্র জল ।

               ২৪,১২,১৩, জার্মানী

অজ্ঞসব জনপ্রতিনীধি,

সত্যই শক্তি, সত্যই সুন্দর,