Tuesday, May 28, 2013

দু নয়ন ভরে আমরা দেখেছি

দু নয়ন ভরে আমরা দেখেছি মহান স্বাধিনতার মুখ।
তাই তো আমাদের ঘরে ধরা দিয়েছে, পৃথিবীর যত
ছিল সুখ । স্বাধিনতা স্বাধিনতা তুমি গুছায়ে দিয়েছ
আমাদের যত ছিল দুঃখ।


স্বাধিনতা তোমার জন্যে আমরা দিয়েছি এক সাগর রক্ত।
স্বশস্র যুদ্ধ করে পরাধিনের শৃঙ্খল ভেঙে হয়েছি মুক্ত।
বাংলার মাটি থেকে তাড়িয়ে দিলাম হায়েনা শকুন।
বাংলার মুক্ত আকাশে উড়িয়ে দিলাম বিজয় কেতুন।
রক্তিম সূর্যটা আমাদেরকে দেখায়েছে আলোর মুখ।


স্বধিনতা ঔ আমার স্বাধিনতা, তুমি সুখ তুমি শান্তি।
আমাদের জীবনে নেই আর কোন ক্লান্তি।
ভ্রান্তির ভেড়াজাল আমরা ভেঙে দিয়েছি।
মুক্ত আকাশে শান্তির পায়রা আমরা উড়িয়েছি।
স্বাধিনতা, তুমি আনন্দ,তুমি ব্যদনা, তুমি সর্ঘ সূখ।


বিঃদ্রঃ- আগের লেখা আমার এ গানটা এখন কি মিথ্যে প্রমান হলো?

 

আমলা নেতা চোরের দেশ---

আমলা নেতা চোরের দেশ সে আমাদের বাংলাদেশ।
লজ্জাবতি মায়ের দেশ, সে আমাদের বাংলাদেশ,
বাংলাদেশ বাংলাদেশ------
এমন দেশটি কোথাও খুজে পাওয়া যাবেনা।
যে দেশেতে চোর ডাকাতের বিচার হয়না।
যে দেশেতে খুন খারাবির বিচার হয়না।
যে দেশেতে দুর্নিতীবাজ ঘুষখোরের বিচার হয়না।
আন্ধা কানুনের একটি দেশ সে আমাদের বাংলাদেশ,
বাংলাদেশ বাংলাদেশ----
সবুজ স্যামল ফলে ফুলে ভরা, আমাদের দেশটা
দেখতে বড় সুন্দর।বার বাটপার তের কোঁৎপাল
হলো দেশটা মাতাব্বর।মিথ্যাবাদি মুকোশ দারির
নাইরে শেষ, সে আমাদের বাংলাদেশ, বাংলাদেশ,
বাংরাদেশ।
ঔ ভাই এদেশেতে  নিত্য নতুন কতো অঘটন ঘটে।
এদেশেতে মানুষের ভাগ্য, মানুষে খায় লুটেপুটে।
দুঃখ কস্ট যন্ত্রনার নাইরে শেষ, সে আমাদের
বাংলাদেশ বাংলাদেশ।

মাগো.. শুধু তোমায় ভালবাসি বলে......

মাগো-- শুধু তোমায় ভালবাসি বলে, 
আমি নেতা হতে পারলাম না।
একজন খাঁটি মানুষ হতে গিয়ে,
পেলাম শুধু দুঃখ আর যন্ত্রনা।

মা গো পড়ে আছি অচিন পরবাসে,
প্রতিক্ষন তোমার কথা শুধু মনে আসে।
কতো ব্যথা আর ব্যদনায়,
হলাম চিন্নভিন্ন, প্রানে আর সহেনা।

মা গো নিতিহীন নেতা যারা,
কামড়ায়ে খেল তোমায় তারা।
মাকড়োসার মত মাগো তুমি,
ছোট আমার প্রিয় জন্মভূমি,
দেহ থেকে দানবদেরকে কেন,
জেড়ে ফেলে দাওনা।

মা গো হায়েনা শকুন গিধর যত,
জনম নিবে তোমার পেটে কে জানিত।
সবাই চাটুকার চাপাবাজ, লম্পট লুটতোরাজ,
ঔরা নেতা নামের কলঙ্ক,বন্ধ কর উল্লু ধ্বনি
সঙ্ক।তোমাদেরকে নেতা বলে মানতে পারিনা।

প্রবাস আমায় যা দিয়েছে।

প্রবাস আমায় যা দিয়েছে তার চেয়ে বেশি খয়ে নিয়েছে।
দুঃসহ যন্ত্রনায় আমার জীবন বন্দি হয়ে আছে।

নির্মম এ প্রবাসের অলিতে গলিতে, কেটে গেল আমার
একটি জীবন।তারি মাঝে হারালাম মাতা পিতা
কতো স্বজন পরিজন।

কোথায় যেন হারিয়ে গেল আমার সকল বন্ধু বান্দব।
ভালবাসার ব্যথা এত ভয়ানক কি করে সম্ভব।

কোথায় যেন হারিয়ে গেল শৈশবের অতসি দিনগুলি।

প্রতিদিন প্রতিক্ষন, বুকের ভিতর হয় ব্যথার ক্ষরন।
মনে হয় যখন তখন, হয়ে যাবে আমার মরন।

হৃদয় মাঝে উতলি উঠে হাজারো সৃতি।
দুনয়নের মোটা মোটা জলে বাঁধি করুন গিতী।
 

আমার দুঃখবোধ ও প্রত্যাশা,

   

 

                                                                                                                                                                        ১,--এ নববর্ষে আমার প্রত্যাশা আমাদের প্রিয় সোনার বাংলাদেশটি পরম বাংলাদেশে পরিণত হয়ে সমগ্র বিশ্বের মাঝে একটি আদর্শবান রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্টা পেয়ে এক অভিনব দুষ্টান্ত স্হাপন করুক।

আমার প্রত্যাশা মুক্তিযুদ্ধের মুল চেতনা বাস্তবায়িত হয়ে মুক্তি যুদ্ধের চেতনায় ভর করে বাংলাদেশ তর্ তর্ করে শান্তির সোফানে  বেয়ে উন্নতির চরম শিকড়ে পুঁছে যাক। আমার প্রিয়  এদেশে সৌম্য সাম্য সমতা ন্যয়বিচার প্রতিষ্টিত হউক।উন্নত সমাজ ব্যবস্হা কায়েম হউক।

যাদেরকে বঙ্গ বন্ধুর পরবর্তি নেতা  ভাবতাম, যাদেরকে আমি আদর্শ মনে করতাম, যাদেরকে আমাদের পরবর্তি প্রজন্ম আদর্শ মনে করার কথা ছিল, তাদেরকে এখন আর আমি আদর্শ মনে করিনা। আর আগামি প্রজন্ম ও যে আদর্শ মনে করবে, সে কথাও বিশ্বাস করিনা।

এক সময় সিরাজুল আলম খান, আ,স,ম, আবদুর রব, তোপায়েল আহম্মেদ, নুরে আলম, কাদের ছিদ্দিকী,সবাইকে আমি আমিার আদর্শ মনে করতাম,এবং আদর্শবাদি দেশ প্রেমিক নেতা ও মনে করতাম।যাদের কথা শুনলে গায়ের পশম খাড়ায়ে যেত।কোনদিন স্বচোক্ষে দেখিনি, তবু হাতের মুস্টি কষে মনে মনে বলতাম আমি উনার  মত ভাগা বাঙ্গালি হবো।সে বাঘকে এখন আর শেয়াল ও মনে হয়না।জানিনা এখন কেন যেন মনে হয় ওনা রাই আমাদের গৃহ সত্রু।ওনারাই দেশের দুষমন।

 

 

----অসমাপ্ত

Friday, May 24, 2013

আলিমের কাছে জালিমের ছবক শিখতে হবে না।

                   


আমার পূর্ব পুরুষরা খাঁটি মুসলমান ছিলেন।আমার দাদার বাবা পরদাদা হাজি ছিলেন। উনার নাম ছিল ইসলাম হাজি নামে খ্যাত ছিল । উনার নামানুসারে আমাদের বিশাল বাড়িটা ইসলাম হাজির বাড়ি নামে সুপরিচিতি পেয়েছে ।পরবর্তি বংশের তৃতীয় জেনারেসনের চাচা জেটা বড় ভাই বোন অনেকেই হজ্ব করেছেন।আল্লাহ তৌপিক দান করলে আমারও হজ্ব করার ইচ্ছে আছে ।ইনশআল্লা!

আমরা সবাই  সবসময় আল্লাহভীরু মানুষ। এবাদত বন্দেগী আমাদের পারিবারিক জীবনের অনুষাঙ্গিক বিষয় । এতে কোন আলসেমি বা নস্টেমি নাই ।সবাই মহা নবীর আদর্শে বিশ্বসী।সবাই ইসলামে পাঁচ স্তম্ভ ও পাঁচ কালেমা মেনে চলি ।আমার মা তিরিশ পায়রা কোরআন শরিফের বারআনাই মুখাস্ত জানতেন।
আমার মা পাড়ার শত শত ছেলে মেয়েকে বাড়ির উঠানে বসায়ে প্রবিত্র কোরআন শরিফ ও ইসলামের আদর্শে শিক্ষিত করে তুলেছেন।আমি নিজেও শৈশবে পাক কোরআন শিক্ষা শিক্ষা গ্রহন করি আমার মায়ের কাছেই । আমার মা আমাদের নতুন বংশকে আধুনিক ইসলামি আদর্শে শিক্ষিত করে তুলেছেন।তাই তো আমি গর্ববোধ করে বলি, আমরা খাঁটি মুসলমান বংশের লোক।

আর তাই আমার বাবা মায়ের শেষ ইচ্ছা অনুযায়ি নোয়াখালি নতুন জেল রোডের পাশে আমার প্রয়াত মা বাবার কবরের পাশে ইসলাম হাজি জামে মসজিদ নামে একটা মসজিদ নির্মান করে দিয়েছি।আজ সে মসজিদে প্রতিদিন শতেশতে পরেজগার মুমিন মুসলমানেরা এসে জামায়াতে নামাজ আদায় করেন। প্রতিদিন সকালে শতে শতে ছেলে মেয়েরা এসে আরবি শিক্ষা গ্রহন করে।গত বছর আমি দেশে গিয়ে মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়ে স্বচক্ষে দেখে আনন্দে অভিভূত হয়ে গেছি।আমি সেদিন আমার মা বাবার নামে মিলাদ শরিফ পড়ায়ে ঘোষনা করেছি এই মসজিদটা আমার কাছে মক্কা এবং মদিনার মত পূত প্রবিত্র। কারন এ মসজিদেরই পাশে আমার প্রিয় মা বাবা গুমিয়ে আছেন।

হাফেজ মোল্লা মুন্সি মাওলানা, আলিম আল্লামা গনদের আমি শ্রদ্ধা করি। আমার জীবনে আমি এরকম অনেক বুজর্গ লোকের সানিধ্য পেয়েছি।ওনারা আমাকে খুবি স্নেহ করতেন।আমি ওনাদের কাছ থেকে দীন দুনিয়া সম্পর্কে অনেক কিছু শিখেছি এবং বুঝেছি।ওনারা  বেশির ভাগই সৎ ও মুমিন লোক হয়ে থাকেন।কচিত হয়তো দু একজন বদচরিত্রের অধিকারি হয়ে থাকেন।আর জগতে সৎ ও মুমিন লোকদেরকেই বিশ্বাস করা যায়।সরকারি প্রশাসনে তথা অফিস আদালতে যদি এমন মুমিন ও সৎ লোকদেরকে বসানো হয়, তবেই প্রশাসন থেকে ঘুষ দুর্নিতি চিরতরে দুর করা সম্ভোব।তবেই উন্নত সমাজ ব্যবস্হা ও গড়া সম্ভবপর হবে আমার বিশ্বাস।

এখানে দু একটি সৃতি কথা আমাকে তুলে ধরতে হচ্ছে, যেমন  উন্নিশ চৌরাশির দিকে আমি আজকের ক্ষতিগ্রস্ত সিরিয়ার রাজধানি দামেস্কে  থাকা অবস্হায় একদিন সকালে নাইট শিপটে কাজ শেষে ভোর বেলায় বাসে করে এসে সৈয়দা জনাব নেমে নিজের
বাসার দিকে যাচ্ছিলাম।তখন আমার বয়স  আঠার কি উন্নিশ ।হঠাৎ আমার পিছন থেকে তিন জন লোক দ্রুত হেঁটে এসে পর পর তিনজনই আমাকে সালাম দিলেন।আমি তাঁদের সালাম এর কোন উত্তর না দিয়েই, হতভম্ব হয়ে তাঁদের দিকে চেয়ে রলাম।

তাঁরা তিনজনই  মাওলানা টাইফের  মুরুব্বি গোচের মানুষ।মুখভরা শূভ্র দাঁড়ি, সফেত পায়জামা, পাঞ্জাবী গায়ে, মাথায় হাতে বুনা গোল টুপি।কপালে কালো মেজ পড়ে আছে। প্রথ্যহ পাঁচওয়াক্ত নামাজ পড়াকারি  লোকের নাকি এরকম মেজ পড়ে ।
তাঁদের মধ্যে একজন লোক বাংলাতে বললো, আপনি কথা বলছেন না কেন ভাই?
আরেকজন বললো, আপনি কি মুসলমান?
আমি অবুঝের মত হ্যাঁ এবং না সুচক ভাবেই মাথা নাড়লাম।
তৃতীয় জন জিজ্ঞেস করলো,  তো আপনি আমাদের সালামের উত্তর  দিলেন না কেন?
আমি অসহায়ের মত বললাম, দেখুন আপনারা আমার বাবার  সমবয়সি হবেন, মুরুব্বি মানুষ,আপনারা আগে এসে পিছন থেকে আমাকে সালাম করলেন।আমি ছোট মানুষ, আপনাদেরকে আগে সালাম করা আমার উচিত ছিল, তাই আগে সালাম করতে পারি নাই বিদায় আমি লজ্জাবোধ করছি।
আমার কথা শুনে লোকগুলি হা হা হো হো করে হাসতে লাগলো, এবার আমি আরো বেশি লজ্জা পেলাম।কিছুক্ষন হেসে প্রথম জন হাসি থামিয়ে  আমাকে একটা  প্রশ্ন করলেন  আচ্ছা বলুন তো আল্লহ বড় না রাসুল বড়?
আমি সাথে সাথে বললাম, আল্লাহ বড়। আল্লহই তো সারা জাহান সৃষ্টি করেছেন ।
উনি বললেন, আপনি ঠিকই বলেছেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিনই সবার বড়, শ্রেষ্ট ও অদ্বিতীয়। যিনী কূল মাকলুকাত সৃস্টি করেছেন।কিন্তু সেই মহান আল্লাহ সয়ং আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ(সঃ) যখন সবেমেরাজ গিয়েছিলেন তখন তাঁকে সালাম করেছেন।সুতরাং,এতে গাবরাবার তো কিছু নেই, বড়রাও ছোটদেরকে সালাম করতে পারে বুঝলেন।
পরে বললেন, দেখুন আমরা পাকিস্তান থেকে এসেছি।আজকে তিন দিন হতে অমুক হোটেলে আছি অনেক টাকা খরচ হচ্ছে। এখানে কম টাকায় কি কোন থাকার  ব্যবস্হা আছে কিনা ?


বললাম হ্যাঁ আছে, এখানে পিলিস্তানী কলোনীতে তারা কামড়া ভাড়া দেয়, জনপ্রতি মাসে সিরিয়ান একশ লিরা, সাথে চুলা হাঁড়ি পাতিল মাট্রাস সবকিছু দিয়ে দেয়।চলুন আমার বাসায়, একটা কামড়া লয়ে দেওয়া যাবে। আমি তিন জন হুজুরকে আমার বাসায় নিয়ে রেঁধে বেড়ে খাওয়ালাম।পরে তাঁদেরকে একটা কামড়া ভাঁড়া করে দিলাম দু সপ্তাহের জন্য।এই দু সপ্তাহ ধরে তাদেরকে নিয়ে গুরে পিরে ঐতিহাসিক এই শহরের বিখ্যাত স্হান গুলি দেখালাম।তাদের সাথে আমার অনেক কথাবার্তা হতো।

তারা তিনজনই ছিলেন করাচিতে তিন মসজিদের প্রেস ঈমান।তিন জনই বেশ কয়বার হজ্ব করেছেন।দেখেছেন সৌদী মুসলমানের হাল অবস্হা, দেখেছেন আরো অনেক দেশের মুসলমানকে, পরিশেষে দেখতে এলেন এজিদের দেশে।প্রচুর অভিজ্ঞতা সম্পর্ন এই লোক গুলি বললেন, এই আরবির জাত মুসলমানরা যদি একজন বেহেশতে যায়, তাহলে বাঙ্গালীরা সবাই বিনা বিচারে বেহেশতে চলে যাবে।ইসলাম ধর্ম থাকলে বাংলাদেশে আছে, আর কোথাও নাই।

সত্যিই আমি সেদিন  অবাক বিশ্মৃত হলাম, তাঁদের মুখে এমন কথা শুনে।
আর আজ দেখি বাংলাদেশে কত রকমের আলেম আল্লামা,কতো রকমের হুজুর মাওলানা।কত রকমের ওয়াজ নছিয়ত। কত রকমের ফতুয়া ফজিলত পাজলামি। কত রকমের ইসলামি দল, লীগ।সবাই মিলে ইসলাম ও নবির আদর্শের বারটা বাজিয়ে দিচ্ছে।সবাইকে কড়জোড়ে বলছি, বন্দ করুন আপনাদের ফতুয়া, আপনাদের কাছ থেকে আর কোন ছবক শিখতে চাই না আমরা। দ্বীনে ইসলামকে আমরা বুকে ধারন করেছি হেফাজতে। আমরা আল্লাহর খাঁটি বান্দা নবিজীর খাঁটি ওম্মত,আপনাদের মুখে সোভা পায়না ইসলাম। 
                                    -------মোহাম্মেদ ফারুক, জার্মানি।

আমি ছাগলের তিন নম্বর বাচ্ছা।

আমার মা এর দু-দুধের বোঁটা চুষে চুষে মায়ের  বুকের সুসাধু পুস্টিকর  দুধ খেয়ে মাথায় মগজে কদে কন্দে মোটা তাজা হয়েছে আমার ভাইয়েরা।বোনেরা তো সোনার সামচ মুখে নিয়ে জন্মানো সব জল পরি, ফুল পরি।কতো হরিন হরিনী, ময়ূর ময়ূরী প্রসব করে আজ তারা বেহেশতি বাগানে  সুখে শান্তিতে ডুবে আছে।এ আমি ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্ছাটা জংগলী শিয়াল কুকুর নেকড়ের ভয়ে অবেলায় মাঠে ময়দানে পড়ে অনাহুত চিল্লাই ম্যা ম্যা ম্যা করে, শুধু ম্যা ম্যা করে।বাপের লগে তো দেখা নেই, হালার মা-টা ও আমাকে লাথি দিয়ে পালায়ে ভাগলো।----- অসমাপ্ত

প্রিয় তারেক রহমান, বন্ধু তোমার শাহস থাকলে স্বদেশের মাটিতে ফিরে আস।

তারেক রহমান তুমি প্রবাস নামের বনবাসে কেন আজ নির্বাসিত হয়ে পড়ে আছ। তুমি যদি স্বদেশ আর স্বদেশের দুঃখি মানুষকে বিন্দু পরিমানও ভালবেসে থাক তবে কেন স্বদেশের মাটি আর মানুষের বুকে ফিরে আসনা।তোমার প্রতিক্ষায় স্বদেশের মাটি আর মেহনতি মানুষ।তোমার প্রতিক্ষায় পদ্মা মেঘনা আর যমুনার ঘোলাটে ঢেউয়ের জল।তোমার প্রতিক্ষায় এ বাংলার  সব দোয়েল কোয়েলে হরিৎ টিয়া কালো কাকাতুয়া।তোমার প্রতিক্ষায় টেকনাপ থেকে তেতুলিয়া পর্যন্ত বিস্তৃর্ন সবুজ ঘাসের মাঠ, আর সোনালি ধানের ক্ষেত, বন্ধু তোমার প্রতিক্ষায় আজ  অতসি রঙের সকাল আর জাপরানি রঙের বিকেল। তোমার প্রতিক্ষায় যুগ যুগ ধরে  শোষিত এ বাংলার অগনিত কিষান কামার কুমার জ্বেলে মাঝি তাঁতি। তোমার প্রতিক্ষায় নেংটা শিশুর দল।তুমি কখন ফিরে আসবে, কখন তাদেরকে ঝড়িয়ে ধরে  আদর করবে, ভালবাসবে।
বন্ধু তুমি ফিরে আস তোমার প্রিয় জন্মভূমি স্বদেশের মাটিতে।এখানে তোমার জন্য অপেক্ষা করছে, তোমার বাবা মরহুম জেনারেল জিয়ার হাতে গড়া বাংলাদেশ জাতিয়তাবাদি দল বি এন পির লাখো কুঠি কর্মি ভক্ত।দেখ নিন্দুকেরা যে যতই বলুক বন্দুকের নল আর রাজ কোষের কুঠি কুঠি টাকা খরচ করে  মানুষের ফিৎরা যাকাত আর রিলিপের টাকা খরচ করে  তোমার বাবা  এই এগারটা দল গঠন করেছে, তুমি সে সবে কান দিওনা।দেখ আজ এগার দলের লাখ লাখ কর্মি তোমার জন্য অপেক্ষা করছে।
দেখ বন্ধু যে যাহাই বলুক, এ বাংলার খেটে খাওয়া আপামার জনতা, এই এগারটা দলকে ভালবেসেছে। এই দলের মোহময়ি মার্কা ধানের শীষ কে ভালবেসেছে। তোমার মা বাবার কথা কি বলবো, ঔদের জনপ্রিয়তা আর জনতার ভালবাসার কথাতো এদেশের আকাশ বাতাস তরুলতা বলবে।আর তোমাকে না কত ভালবাসে দ্বিধাদন্ধে দন্ধিত এ অন্ধ জাতি।
দেখ বন্ধু আমি তোমার মধ্যে তারুন্যের তরঙ্গ দেখেছি।তোমার মধ্যে আমি সয়তানি আর দুস্টোমি করার দ্রোহ দেখেছি।তুমি ধারুন খেলাড়ি, সন্ত্রাসি চাঁদাবাজ  মৌলবাদী আর মাফিয়া ডনদের সাথে তোমার খেলার স্পর্দা দেখে আমি অভিভূত।আমি তোমার সাহসের তারিপ করি গর্বের সাথে।তুমি ফিরে এসো, হাওয়া ভবন কেন এবার প্রয়োজন বোধে  আমি তোমাকে আসমান অথবা আকাশ ভবন বানিয়ে দেবো।
তবু তুমি ফিরে আস বন্ধু, দেখ আজ তোমার মা বড় একা, তোমার সহোদর কোকোও তোমার মত আজ নির্বাসিত।দেখ ছেলে বউ নাতি নাতনী বীনা কোন বিধবা মা কি নিঃসঙ্গ একা থাকতে পারে? দেখ বন্ধু ঐ ক্ষমতাসিন জালিম সরকার ক্ষমতায় এসেই প্রথমে তোমাদের কেন্টেরমেন্টের  ভিলেটা  জবর দস্তি কেড়ে নিয়ে গেছে।তোমার মাকে গলা ধাক্কা দিয়ে বাহির করে তাড়িয়ে দিয়েছে।দেখ বন্ধু তোমাদের গুলশানে আরেকটা শাহেন শাহি ভিলা থাকতে তোমার মা একটা ভাঁড়া বাসায় উঠেছে।না জানি ঐ ভিলা থেকেও  কখন তাড়িয়ে দেয় এই জালিম সরকার, সে ভয়ে।সারা দুনিয়ায় দেখেছে তোমার মায়ের কান্না, তুমিও নিশ্চয় লন্ডনে বসে জোবায়েদাকে সাথে নিয়ে দেখেছ টিভির পর্দায়।নিশ্চয় তুমি অনেক কস্ট পেয়েছ বন্ধু, আমি তোমার কস্টের কথা একটু হলেও বুঝি।
দেখ বন্ধু তোমার কিসের এত ভয়, তুমি অতি সত্তর ফিরে আস।তোমার প্রিয় বন্ধু বাবর মামুন জেলে তো কি হয়েছে? আমরা আছি না।দেখেো খোকা আব্বাস দুলু ভূলু তোমার জন্য কেমন ব্যকূল হয়ে আছে।দেখো ফারুক পুলিশের ডান্ডার আঘাতে কেমন রক্তাক্ত হয়েও রাজপথে বেহায়া নিলর্জের মত হুঙ্কার দিয়ে বলছে ওটা কিছু না, আমরা ক্ষমতায় থাকতে আসাদ্দু জামান নুর আর হাজি সেলিমকে আরো বেশি মারায়েছি।প্রয়োজন বোধে আরো বেশি মারাবো ক্ষমতায় গেলে।দেখো দেলোয়ার তো পরপাড়ে চলে গেছেন, আল্লাহ নিশ্চয় তাকে জান্নাত বাসি করবেন।কান্ডারি ফকরুল আজ জেল জুলুমে অতিস্ট, এখন নাকি তার হার্টের মারাত্বক অসুক, তবু রাজপথ ছাড়েনি, ক্ষমতায় গেলে তাকে ছোট খাটো মন্ত্রি হলেও বানিয়ে দিও, যেন রাজকোষের পয়সা খরছ করে মাউন্ট এলিজাবেত হসপিটাল গিয়ে উন্নত সিকিৎসা নিতে পারে।আর তোমাদের কান্ডারি মওদুদ তো কোর্টে গিয়ে সত্যি করে বলেছে তোমার বাবা ছিল কর্নেল তাহেরের সিকৃত খুনি।আর হারিছ চৌধুরির তো আজ পর্যন্ত কোন হদিছ নেই।ইন্টারপোল চিরুনী অভিযান চালিয়েছিল,  উকুনের মত,কোন সন্ধানই পেলনা।জগতে সুবিধাবাদি চাটুকার চোর বদমাসরা এমনই হয়।আর তরিকুল তো ডাইবেটিসে বিষন ভাবে আক্রান্ত।আর তোমার বাবার হাতে গড়া  দলের একশ ষাট জনের মত চুলে রঙ করা রাজ পথে সিংহের মত হুঙ্কার দেওয়া কান্ডারিকে এ জালিম সরকার জেলে বন্দি করে হিটলারের মির্ত্যু শিবিরের ডাক্তারের মত পরিক্ষা করে দেখেছে।সবার হার্ট,  মাথা, রক্তে নানা জটিল রোগ, সুতারাং ওদেরকে বিষাক্ত ইনজেকসান বা জুলম নির্যাতন করে মারতে হবে না ওরা এমনিতেই যে কোন সময় অঘঠনে পড়বে।
দেখো বন্ধু তোমার এত ভয় কেন আমরা আছি না।দেখো সাহস থাকলে তুমি স্বদেশের মাটিতে ফিরে আস। দেখো বন্ধু কোন অপরাধি যদি পালিয়ে গুরে বেড়ায় তো তার অপরাধ প্রমান হয়ে যায়, কোর্ট কাছারি লাগেনা্।তুমি সাহস থাকলে নেতাজি সূভাস বসুর মত ফিরে আস স্বদেশের মাটিতে। বঙ্গ বন্ধুর মত বিজয়ি বীর বেসে ফিরে আস স্বদেশের মাটিতে।
এসে হাল ধর এ দিশেহারা জাতির এ দেশের, তোমার প্রিয় দলের।
তুমি সাহস থাকলে স্বদেশের মাটিতে এসে বলো তুমি নিরাপরাধি।তুমি হাওয়া ভবনে বসে কোন অপরাধ করোনি। মাফিয়া ডনের সাতে তোমার কোন সম্পর্ক ছিলনা। তুমি বিদেশে কোন টাকা পাচার করোনি।কোন ঘুষ দূর্নিতী করোনি।সন্ত্রাসিদেরকে দশট্রাক অস্র আনার জন্য স্বাধিন বাংলাদেশের  মাটি ব্যবহার করতে সুজোগ করে দাওনি। তোমার সাহস থাকলে স্বদেশের মাটিতে পিরে এসে তুমি বলো একুশে আগস্টের বোমা মেরে প্রতিপক্ষের নেতা নেত্রিকে হতাহত করাতে আমার কোন হাত ছিল না।প্রিয় বন্ধু তারেক তোমার সাহস থাকলে স্বদেশের মাটিতে ফিরে এসে তুমি  তোমার বিরুদ্ধে আনিত সব অভিযোগ মোকাবেলা করো।মনে রেখো ভীরুর হাতে নেই কোন ভূবনের ভার, কোন ভিরুকে আগামিতে প্রধান মন্ত্রি বানালে দেশটা হবে চারখার।তার আগে বাঙ্গালি জাতির গন আত্ম হত্যাই শ্রেয়।

 

কোন সংলাপ নয়, চাই রাজনিতির স্হায়ি সমাধান।

কিসের সংলাপ, কার সাথে সংলাপ, যারা পনরই আগস্টের পর অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে  বন্দুকের নল আর রাজ কোষের কুঠি কুঠি টাকা আর জনগনের পিৎতরা জাকাত  রিলিপের টাকা খরচ করে রাজরৈতিক দল গঠন করেছে।যারা লক্ষ লক্ষ জাল ভোটার বানিয়ে  কৌশল করে প্রশাসনে রদবদল করে কালো টাকার মাধ্যমে বার বার ক্ষমতায় আরোহন করেছে। যারা পরাজিত শক্তির সাথে জোট গঠন করে নব্য রাজাকার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।যারা রাজ নিতির নামে বারে বারে হরতাল ধর্মগঠ দিয়ে দেশে নৈরাজ্য সৃস্টি করে  জনজীবন অতিস্ট করে তুলেছে।যারা দেশের সম্পদ জ্বালিয়ে পুড়িয়ে সারা দেশে অরাজকতা সৃস্টি করেছে। যারা মানুষকে নির্মম ভাবে পুড়িয়ে মারছে। যারা সংখ্যালগুদের বাড়ি ঘর জ্বালিয়ে দিয়ে মানুষ হত্যা করছে, তাদের সাথে কিসের সংলাপ।----অসমাপ্ত

Wednesday, May 22, 2013

আমি স্বাধিনতার যুদ্ধ ইতিহাসের একটি পাতা।

শুনো বন্ধু শুনো তোমরা যারা প্রজন্ম একাত্তর, তোমরা  সবাই শুনো, তোমরা আমাকে পড়ো, তোমরা  আমাকে জানো , সঠিক ভাবে জানো।আমি তোমাদের  স্বাধিন বাংলাদেশের  প্রবিত্র স্বাধিনতার যুদ্ধ ইতিহাসের লক্ষ কুঠি পাতার মধ্যে একটি পাতা।আমি অক্ষরে অক্ষরে তোমাদেরকে বলছি শুনো, আমি আমার দুচোখে যাহা দেখেছি তাহাই বলছি শুনো। আমি সঠিক সত্য কথাটিই বলছি শুনো। আমি একজন মুসলমান হিসেবে বলছি শুনো আমার কথা।পড়ো আমাকে আমি যে ইতিহাসের একটি পাতা।-----অসমাপ্ত

বুকে আগুন জ্বলে ধাউ ধাউ করে,

                                                                                                        
                                                         






 হে আমার প্রিয় স্বদেশ বাসি ।শুনো আজ আমার হৃদয়ে  আগ্নি গিরীর অগ্নি লাভার মত জ্বলছে  যে আগুন ।এই পৃথিবীর কোন ফায়ার বিগ্রেডে  সে  ধগ ধগে জলন্ত আগুন নিভাতে পারিতেছেনা।তোমরা সবে শুনো সে কাহিনী।এখনও জ্বলছে ধাউ ধাউ করে ।আমার প্রাণো প্রিয় জন্মভূমির এমন করুন অবস্হা দেখে ।শুনো সোনার বাংলার সোনা বন্ধুরা শুনো, সেই শৈশব থেকেই  আমার বুকের মধ্যখানে গোলাপের পাঁপড়ির মত ছোট্ট হৃদয় টাতে ধা্‌উ ধাউ করে আগুন জ্বলতে শুরু করেছে।আজো অবধি জ্বলিতেছে নিভিতেছেনা।জ্বলতে আছে শুধু  জ্বলতে আছে পিয়তমা জননীর এমন দুরাবস্হা দেখে জ্বলতে আছে বুঝি ।


 দুঃসহ যন্ত্রনায় আজ আমার হৃদয় ক্ষত বিক্ষত।আমি বন্দি প্রবাস নামের নির্মম কারাগারে।আজ আমার জীবন প্রদীপ নিভূ নিভূ।এরি মাঝে হারালাম কতো স্বজন পরিজন, বন্ধু বান্ধব, ভাই বোন বাবা।শেষ সম্বল বলতে আমার ছিল মাত্র একটি দুঃখিনী মা।কয় বছর আগে আমাকে এতিম করে আমার সে দুঃখিনী মা ও পাড়ি দিলেন আকাশের পথে।আমি বিমানের ককপিটে বসে বসে  ইউরোআমেরিকা, আফ্রিকা থেকে এশিয়ার আকাশে বাতাসে অনেক খুজেছি আমার মাকে, কোথাও পেলাম না আমার সে রক্ত মাংশের মাকে।প্রবাসের নির্জন কুঠিরে বসে নিশীরাত অবধি কেঁধে কেঁধে আমি হই মাতাল নেশাখোরের মত চিন্নভিন্ন।কি ধারুন নেশাই না ছিল আমার সেই প্রান প্রিয় মায়ের বুকের দুধে। এমন যদি জানিতাম আগে, মায়ের বুকের দুধে এত নেশা লাগে, আরো বেশি খেয়ে নিতাম সে সুযোগে ।

পাশের রুমে আমার  স্ত্রি কন্যা গুমে অচেতন আমি মাতাল, নেশার চোটে আমার রুমে বেঁহুষ হয়ে পড়ে রই।হঠাৎ একটি কোয়েল এসে  গুন গুন করে আমার কানে কানে চির চেনা বাংলার সেই মেঠো সূরে একটি মেলডি শুনাতে থাকে।দুস্ট বালকের হাত থেকে প্রান বাঁচাবার জন্য খরগোস যেমনি  দুকান খাড়া করে  দুপাঁয়ে ভর করে দাঁড়িয়ে এদিক ওদিক দেখে, আমিও ঠিক তেমনি কান খাড়া করে সজাগ হই। মোটা মোটা জলে ভরা  ঝাপসা ঝাপসা দু চোখে আমি দৃষ্টি দেই বাহিরে, দুরে অদুরে পানোরমায়।আমি দুনয়ন ভরে দেখি আমার রঙিন ঘর দুয়ার ইঁদিরা উঠান, ডোবা পুকুর,নোয়াবাড়ির আঙিনা পারিজাত সবুজ সতেজ গাছগাছালি,সবুজ ঘাঁস, সোনালি ধানের ক্ষ্যত,শৈশবের ইকিড়ি মিকিড়ি খেলার মাঠ।দেখি অসংখ ল্যাংটা শিশুর দল। দেখি নাঙ্গল কান্ধেঁ কয়জন কৃষক।দেখি খেয়া পাড়ে কয়জন মাঝি বসে আছে ক্ষ্যপের অপেক্ষায়।তার পর দেখি আমার শৈশবের সেই সাথি গুলি,রহিম করিম কিরন, মানিক পলাশ বকুল পারুল চির সবুজ  রুপসি বাংলার স্যামল মাটি অঙ্গে মাখি হাত ছানি দিয়ে ডাকছে আমাকে, আয় আয় বন্ধু অনেক দিন পরে  হলো তোর সাথে মোলাকাত,আয় বন্ধু একটু খেলি তোর সাথ। আমি আমার অক্ষমতার কন্ঠে গেয়ে উঠি।আগে দে মা মোরে এক মুঠো মাটি, পরে দিস মা এক মুঠো ভাত, আমি একটু খেলে আসি আমার সাথিদের সাথ।

তার পর  কয়েকটি শালিক টিয়া ঘু ঘু বুলবুলি মাছরাঙা ডাহুক ছবা বক সমবেত কন্ঠে গেয়ে উঠলো  একটি দেশাত্ব বোধক গান, এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি, সকল দেশের রানি সে যে আমার জন্ম ভূমি।সে যে আমার জন্মভূমি।তাদের কন্ঠে  এ মধুর গান শেষ হতে না হতে একটি দোয়েল এসে করুন সুরে গেয়ে উঠলো, আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি।চিরদিন তোমার আকাশ তোমার বাতাস আমার প্রানে বাজায় বাঁশি, ওমা আমার প্রানে বাজায় বাঁশি।আমি তোমায় ভাল বাসি।
বাংলার চির চেনা সে দোয়েলের সাথে আমি কন্ঠ মিলাই। সাথে সাথে আমি আমার রক্ত মাংশের  সে দুঃখিনী মা কে হারানোর দুঃখ ব্যদনা শোখ সব কিছু ভুলে সবুজ স্যামল মাটির  মাকে আমি মা ডাকতে শুরু করে দেই।একটু খানি স্নেহ মায়া মমতা পাওয়ার জন্য আমি আমার এতিম শরিরটাকে তার লাল সবুজ শাড়ির  আঁচলের নীচে লুকাই।সে থেকে আর কোন দিন আমি আমাকে আর একটুও এতিম মনে করিনা।আমার বাবা নেই তো কি হয়েছে, আমার তো একজন মা আছে। আমার মা নেই আমার মা আছে আমার পরম মা, আমার বাংলা মা। এই মাটির বাংলা মাকে পেয়ে আমি আমার সকল দুঃখ যন্ত্রনা ভুলে গিয়েছি, ভূলে গেছি স্বজন পরিজন ভাই বোন বাবা মা হারানোর শোখ।
আজ অবিশ্বাস  হলে ও সত্যি আমার সে মাটির মা যাকে আমি পরম মা বলে ডাকি, সে মায়ের দেখি করুন হাহাকার।ছোট একটি মাকড়সার মত আমার সে মাটির দুঃখিনী মা।এতই ছোট যে তার ছোট ছোট আটটা পাঁ ছুতে পারে শুধু টেকনাপ থেকে তেতুলিলিয়া পর্যন্ত।মাঝখানে সুতার মত চিকন,আধা ধড় আধা পেট, তারি মাঝে পনর কুঠি সন্তান কে আঁকড়ে ধরে কত দুঃখে কস্টে  কোনরকমে খেয়ে না খেয়ে হিমশিম খেয়ে বেঁচে আছে।বারে বারে কত হায়েনা শকুন দিয়েছিল থাবা,চিন্নভিন্ন করেছিল মায়ের শরির বিষাক্ত নখের আঁচরে করেছিল ক্ষত বিক্ষত।এসে ছিল কতো বেনিয়া গোলাম হার্মাদ ওলন্দাজ, মগ আরো কতো জলদস্যু ভূমি দস্যু, তার উপর দুর্দশ্য ডাকাতের মত  বারে বারে হানা দেয় কত গৃহ দুষমন খরা বন্যা  জল উছস্যাস।চিরতরে  খতম করে দিতে চেয়েছিল আমার মাকে, তবু কিন্ত  অসম্ভব হলেও  সত্যি আমার মা দিগ্বীজয়ি হয়ে বেঁচে আছে পনর কুঠি সন্তানেরে আঁকড়ে ধরে।

আজ আমার সেই পরম করুনা ময়ি মাটির মা এর বুকে  এ সব হচ্ছে কি? আমরা নয় মাস  স্বশস্র যুদ্ধ করে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে  পাক বর্বরদেরকে চিরতরে তাড়িয়ে দিয়ে আমার মায়ের মান রেখেছি।আজ সে মায়ের মান সন্মান নিয়ে সে একাত্তরের পরাজিত  সত্রু স্বদেশি রাজাকাররা কি করে পারে এমন অরাজকতা সৃস্টি করতে।কেমন  করে হেপাজতি আর জংলী জংগীবাজের উত্থান হয় স্বাধিন বাংলার মাটিতে।কেমন করে আজ একজন বাঙালি ভাই বাঙালিকে প্রকাশ্যে পথে প্রান্তরে নির্মম ভাবে কুপিয়ে গুলি করে হত্যা করতে পারে? কেমন করে একজন খাঁটি মুসলমান তার প্রিয় মুসলমান ভাইকে জবাইকরে  হত্যা করতে পারে? আজ কেন আমার মায়ের বুক হয় এত রক্তে রঞ্জিত?  আমার ভাইয়েরা কেন এত খুন আর গুম হয়? আজ কেন রাজনিতীর এত ধন্ধ কলহ? কেন এত হরতাল ধর্মঘট কেন এত জ্বালাও পোড়াও  আর  তীলে তীলে  গড়া আমার মায়ের সম্পদ ধ্বংশ করা?
আজ আমার সেই দুঃখিনী মায়ের শরির কামড়ায়ে কামড়ায়ে খাচ্ছে তারি উদরে জনম নেওয়া তারি কতো গুলি কূলাঙ্গার ছেলে।আজ ভয়ে বাঁচে মানুষ ভয়ে মরে, ভয়ে আগামি প্রজন্মের শিশু জন্ম নেয়। ঠিক মাকড়সার মতো আমার মায়ের এই করুন পরিনতি দেখে আমার বুকে আজ আরো বেশি করে আগুন জ্বলে, শুধু ধাউ ধাউ করে।
শুনো বন্ধু শুনো, আজ আমার হৃদয়ে আগুন জ্বলে এক সাগর রক্তের দামে কেনা আমাদের প্রবিত্র স্বাধিনতার ইতিহাস বিকৃত দেখে।আজ আমার বুকে আগুন জ্বলে স্বাধিন দেশে আমাকে পরাধিন বলে মনে হয় বলে।আজ আমার বুকে আগুন জ্বলে স্বাধিন সোনার বাংলার মাটিতে আমার সাভাবিক মির্ত্যুর ঘেরান্টি নেই বলে।আজ আমার বুকে আগুন জ্বলে তিরিশ লাখ সহীদের রক্তের সাথে বেঈমানি দেখে। আজ আমার বুকে আগুন জ্বলে স্বাধিনতার ঘোষনা নিয়ে এ হেন তুচ্ছ ঘঠনা  এত বিবেধ বিশৃন্খলা দেখে।আজ আমার বুকে আগুন জ্বলে সচেতন বুদ্ধিজিবীদের মুখে কান্ডজ্ঞ্যন হীন কথা শুনে।আজ আমার বুকে আগুন জ্বলে বীর  খেতাব দারি মুক্তি যুদ্ধাদের মুখে অযোক্তিক আর রাজাকারের পক্ষে কথা বলা দেখে।আজ আমার বুকে  আগুন জ্বলে মিডিয়াতে জাতিকে বিব্রান্ত করার অপপ্রচার দেখে।আজ আমার বুকে আগুন জলে টিভিতে নস্ট মাথাদের টকশো দেখে।আজ আমার বুকে আগুন জ্বলে আমাদের জাতিয় নেতা,যারা আমাদের মহান স্বাধিনতা যুদ্ধের সফল নেতুত্ব দিয়েছিল,যাদেরকে আমরা আর আমাদের পরবর্তি প্রজন্ম আদর্শ ভাববে তাদের খামোশি নস্ট চরিত্র দেখে।আজ আমার বুকে আগুন জ্বলে রাজাকার আর হেফাজতিদের আস্ফালন দেখে।আজ আমার বুকে আগুন জ্বলে পৃথিবীর শ্রেস্ট ধর্ম আমার সকল বিশ্বাস ভালবাসার ধর্ম ইসলামের অপব্যাখ্যা ও অপব্যবহার দেখে।
শুনো বন্ধু শুনো অনেক দুঃখে কস্টে খোবে অভিমানে আজ আমি জ্বলে পুড়ে দগ্ধ হচ্ছি।দেখো বন্ধু আমরা সবাই অদলিয় মুক্ত ভোটার আমরা সাধারন মানুষ, আমরাই সকল ক্ষমতার উৎসহ।আমরাই নিজ হাতে সরকারি দল তথা এই কূবের সরকারকে আমাদের মহান মূলবান ভোট দিয়ে আমাদের প্রবিত্র সংসদে পাঠিয়েছি পাঁচটি বছরের জন্য।যে সরকার আমাদের জীবন যাত্রার মান উন্যত করে আমাদের মৌলিক চাহিদা গুলি গ্যাস বিদ্যুৎ পানির চাহিদা গুলি পুরন করবে।যুদ্ধা অপরাধির  বিচার করবে।সন্ত্রাসি চাঁদা বাজ নির্মূল করবে, ঘুষ দূর্নিতি বন্ধ করবে।দ্রব্য মূল্যের উর্দগতি রোধ করবে।কিন্থু এ সরকার আমাদের মহান সংসদ ভবনে বসেই আছে ভারি ভোজার মত, অতচ পাঁচটি বছর প্রায় শেষ হয়ে যাচ্ছে।
আমরা সাধারন জনগন বিরুধি দলকে আমাদের মহা মূল্যবান মান্ডাট দিয়ে পার্লামেন্ট এবং রাজপথ দুটাই দিয়েছি, যে বিরুধি দল আমাদের পক্ষে থেকে আমাদের কথা বলবে।আমাদের জন্য হক কথা বলবে, এমন কি আমারদের সাথে লড়বে।সে বিরুধি দল রাজপথ পার্লামেন্ট দুটাই বাদ দিয়ে বেছে নিয়েছে কারাগার।অতচ আমাদের মূল্যবান পাঁচটি বছর গত হয়ে গেছে।
শুনো বন্ধু সরকারি বেসরকারি দুটা দলেরই কান্ডকির্তী দেখে আজ আমার বুকে আরো বেশি আগুন জ্বলে। ধাউ ধাউ করে জ্বলে।তোমরা যদি পারো জ্বালিয়ে পুড়িয়ে আমাকে ভস্ম করে নিঃস্বেশ করে দাও। আমি আর এভাবে জ্বলতে চাইনা।
                                                                                                                ..........ফারুক,  ------ফারুক, জার্মানী





         

Monday, May 20, 2013

খ্যপা সংগীত: দুধের মূল্য না হয়,

খ্যপা সংগীত: দুধের মূল্য না হয়,: দুধের মূল্য না হয় তোমায় দেবো গো মা-বলো মা্টির মূল্য মোরা কারে দেবো।কার চরনে লুটে পড়ে আকূল হয়ে সালাম জানাবো। যে মাটির পরে বাঁচি মোরা,য...

খ্যপা সংগীত: আমার খ্যাপা,

খ্যপা সংগীত: আমার খ্যাপা,: আমার খ্যাপা এবার খেয়াজানে বসেছে। ভূলকে দূলকে খ্যাপা রতের রথী হয়েছে। যুদ্ধবিদ্যা শিখে খ্যাপা রনে নেমেছে। শুন্যে মহাশুন্যে আকাশে বাতাসে হা...

খ্যপা সংগীত: আমার খ্যাপা,

খ্যপা সংগীত: আমার খ্যাপা,: আমার খ্যাপা এবার খেয়াজানে বসেছে। ভূলকে দূলকে খ্যাপা রতের রথী হয়েছে। যুদ্ধবিদ্যা শিখে খ্যাপা রনে নেমেছে। শুন্যে মহাশুন্যে আকাশে বাতাসে হা...

অজ্ঞসব জনপ্রতিনীধি,

সত্যই শক্তি, সত্যই সুন্দর,