Sunday, January 25, 2015

কুকুরের ব্যর্থ লেঁজ।

              






                                                                                                                                                            কুকুরের লেঁজটাই ব্যর্থ।না জানি ইশ্বর কেন কুকুরকে এরকম একটা উদ্ভট লেঁজ দিয়েছেন? যে লেঁজ দিয়ে না পারে নিজের কান খোঁছাতে, না পারে মশা মাছি তাড়াতে, আবার না পারে নিজের লজ্জা স্হানকে ঢাকতে।সব সময় বাঁকা করে রাখে, বাঁকা করে খায় গুমায়। বাঁকা করে হাঁটে আবার বাঁকা করেই দৌড়ায়।সবাই বলতো কুকুরের লেঁজ নাকি বার বছর  ‍চুঙ্গার ভিতর ভরে রাখলেও শিদা হয় না।আবার কেউ কেউ বলতো লেঁজে নাকি আগুন ধরিয়ে দিলে শিদা হয়ে যায়। আমি শৈশবে বহুবার কুকুরের লেঁজে আগুন ধরিয়ে দেখেছি, কোন দিন সিদা হতে দেখিনি, এটাই ধ্রুব সত্য।

বাংলাদেশে আবার অনেককে দেখেছি, বিরক্ত হয়ে পোশা কুকুরের লেঁজের গোড়া দিয়ে কেটে দিতে। সেই কাটা অংশটুকুও কুকুর বাঁকা করে রাখার চেষ্টা করতো।উচ্ছিষ্ট বিস্টা পোলাপানের পায়খানা খেয়ে সারা রাত জেগে গৃহ পাহারা দিয়ে   মনিবের যতই  বিশ্বস্হ হওয়ার চেষ্টা করুক না কেন কুকুরকে মুসলমানেরা সব সময় ঘৃনার চোখেই দেখে।কুকুর দেখলে ছোটরা যেমনি ডিল চুড়ে,বড়রা তেমনি লাথি মারে।

বাংলাদেশে  বিএনপি নামে জাতিয়তা বাদী দলটা আজ, জামাত শিবির নামক এক ধরনের বন্য কুকুর পুশে পড়েছে এক মহা বিপদে। যারা একাত্তরে আমাদের মহান মুক্তি যুদ্ধে পাকিদের পাঁ চেটে কুলশিত হয়েছে।যারা নিজেদের কৃত কর্মের জন্য একটুও অনুতপ্ত অনুসোচনা বা দুঃখ প্রকাশ  না করে পুরনো সভাবেই লেঁজ বাঁকা করে আছে।তাদেরকে নিয়ে বিএনপি না পারছে মশা মাছি তাড়াতে, না পারছে লজ্জা স্হান ঢাকতে।

এই বর্বর জামাতি কুকুর পুশে আজ বিএনপি জাতিয়তা বাদী আদর্শ থেকে নৈরাজ্য বাদী দল বা ( Anarchism ) এ পরিনত হয়েছে।নৈরাজ্যবাদীরা যেমনি সব সময় রাষ্ট, সমাজ,ও তার জনগনকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য মনে করে।ঠিক তেমনি আজ বিএনপিও বদ চরিত্রের কুকুরদের প্ররোচনায় পড়ে রাষ্ট সমাজ ও তার জনগনকে পেট্রল বোমা ও ককটেল মেরে নিঃশেষ করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে।

আজ আমাদের সোনার বাংলার উত্থান ও বাঙ্গালী জাতির নব জাগরনের সময় তারা ইসলামের অপব্যাখ্যা দিয়ে আমাদের জাগরনকে ধমিয়ে দিতে চাচ্ছে।তারা একাত্তরের নয়টি মাস নিরীহ বাঙ্গালীর উপর যেমনি হত্যা ধর্ষন লুটপাট চালিয়েছে, আজ আবার ঠিক একি কায়দায়  নিরীহ মানুষ হত্যা শুরু করে দিয়েছে।এই জামাতি কুত্তাদেরকে পাথর মেরে  এখনি বাংলার মাঠি থেকে চির তরে বিদায় করতে হবে।

প্রবাসে বসে টিভি বা ফেসবুক ইউটুবে অবরোধের নামে বাংলাদেশে চলন্ত যাত্রি ভোজাই বাসে পেট্রল বোমায় জীবন্ত মানুষকে জ্বলতে দেখে, ঢাকা বার্ন ইউনিটে জ্বলন্ত মানুষের আর্তনাদ দেখে আমি বিএনপি নামের  জাতিয়তা বাদী এই দলকে সন্ত্রাসী জঙ্গীবাজ চাড়া আর কিছু ভাবতেই পারছিনা।সত্যিই বিএনপি  আজ একটি নৈরাজ্য বাদী দলে পরিনত হয়েছে।


                                          --------মোহাম্মেদ ফারুক।


                    

Sunday, January 11, 2015

মিথ্যাবাদির দল বিএনপি

সদ্য স্বাধিন হওয়া  বাংলাদেশের প্রথম আমাদের প্রবিত্র সংবিধান প্রনয়ের সময়, বঙ্গবন্ধুর দিক নির্দেশনায়  প্রধানত মুল  চারটি স্তম্ভের উপর ভিত্তি করেই সংবিধানটি রচিত হয়।যেমনঃ- গনতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, জাতিয়তাবাদ,এবং ধর্ম নিরপেক্ষতা।পৃথিবীর কোন দেশে এমন আধুনিক, এবং যুগান্তকারি সংবিধান রচিত হয়েছে  কিনা আমার জানা নেই।

তবু অবৈধ ভাবে রাষ্ট ক্ষমতা ধখল করে জেনারেল জিয়া আমাদের সেই প্রবিত্র সংবিধানের পাতায় বিসমিল্লা জুড়ে দিয়ে আরো প্রবিত্রতার নামে প্রপাগান্ডা ও ভাওতাভাজির জালজালিয়াতি শুরু করে দিলেন।বঙ্গবন্ধু ও  জেলখানায় বন্দী অবস্হায় আমাদের জাতিয় চার নেতাকে নির্মম ভাবে হত্যা করে তিনি ইনডেমেনেটিব নামে এক কালো আইন ও জুড়ে দিলেন সংবিধানের পাতায়।তার মানে খুনিদের কোনদিন বিচার করা যাবেনা।

তারপর তিনি হ্যাঁ না ভোট দিয়ে নিজেকে নিজেই বিজয়ি ঘোষনা করে নিজের ক্ষমতা আরো পাকা পোক্ত করে তিরিশ লাখ শহিদের রক্ত  আর দুলক্ষাধিক মা বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমাদের শ্রেষ্ট অর্জন স্বাধিনতা ও সংবিধানকে খন্ডবিখন্ড করতে লাগলেন।একে একে তিনি সংধিানের পাতা থেকে সমাজ তন্ত্র, গনতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, উঠিয়ে দিয়ে তিনি জাতিয়তা বাদির নামে রাজ কোষের কুঠি কুঠি টাকা খরচ করে এবং জনগনের রিলিপের টাকা  মেরে  জাতিয়তাবাদি দল নামে একটা অদ্ভূদ রাজনৈতিক প্লাটপরম গঠন করেন।অবশ্য পৃথিবীর সব সৈরচাররাই এমনটাই করেন বা করেছেন।যেমন, হিটলার, মুসোলিনি, পিনোসেট,মুভরতো, সুকোর্ন,সাদ্দাম, গাদ্দাপি, আতাতুর্ক আরো অনেক।

জেনারেল জিয়া এই প্লাটপরমের মাধ্যমে সর্বমোট এগারটা দল গঠন করার পর ও আবার গ্রাম সরকার গ্রাম চৌকিদার এমন কি ডান বাম দলের প্রগতি শিল এবং প্রতিভাবান নেতাদেরকে লোভ লালসা দেখিয়ে চরিত্র হরন করার লক্ষে মন্ত্রি মিনিস্টারের পদ পদবি দিয়ে অতবা রাজকোষের কুঠি কুঠি টাকা দিয়ে কিনতে লাগলেন। আর যুদ্ধা অপরাধিদেরকে পুর্নবাসিত করে করে  তিরিশ লাখ শহিদের আত্মাকে কষ্ট দিতে লাগলেন।

মিথ্যাচার দিয়ে শুরু করা স্বৈরচার জিয়ার সেই জাতিয়তা বাদী প্লাটপরম আজ অবধি মিথ্যাচারই করে যাচ্ছে।তারা একের পর এক মিথ্যাচার করে জাতিকে বিভ্রান্ত ও ভিবক্ত করার অপচেস্টা করছে।এই প্লাটপরমের প্রথম সারির সব নেতাই মিথ্যাবাদি ও প্রপাগান্ডা কারি। তন মধ্যে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান তো জগন্য মিথ্যাবাদি। 

জাতিয়তা বাদী নাম ধারি এই ধখল দার দল, নব্বই দশকের শুরুতে বাংলাদেশি না বাঙ্গালী এই  বিতর্ক তুলে পুরো জাতিকে ভিবক্ত করার পাঁয়তারা করে।তার পরে হঠাৎ করে একদিন তুললো জেনারেল জিয়াই স্বাধিনতার প্রকৃত ঘোষক।আজব কথা মুক্তি যুদ্ধের নয় মাস আমরা রেডিও বুকে লয়ে গুমাতাম, কোনদিন স্বাধিনতা ঘোষনা তো দুরের কথা কোনদিন আত্মগোপন কারি জিয়া নামে এই মুক্তি যোদ্ধার নামও শুনিনি।স্বাধিনতার পঁচিশ বছর পরে এসে এই অদভূত পঁচা কথা জাতিকে শুনতে হলো।

তারপর ১৫ই আগস্ট সকালে জাতির কিছু কুলাঙ্গার ছেলে বাংলাদেশের স্তপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানকে পরিবারের ১৭জন সদস্যসহ নির্মম ভাবে স্বপরিবারে হত্যা করে।যে মর্মান্তিক ঘঠনা কারবালার ইতিহাসকে পর্যন্ত হার মানিয়েছিল। আর সেই ১৫ই আগস্ট আসলেই বেগম জিয়া ভূয়া জন্মদিনের কি মহা উৎসব পালন করেন।কেক কাটেন,গান বাজনা করেন মদ খান, আরো কতো কিছু করেন।


আর এখন আবার তাদের অপকর্ম ঢাকা দেওয়ার জন্য নতুন করে তুলছে জিয়াই ছিল বাংলাদেশের প্রথম রাষ্টপতি।মিথ্যা বাদীদের মুখে কি জগন্য আজব কথা। স্বাধিনতার অনেক পরে এসে জানতে পেরেছি জেনারেল জিয়া ছিলেন আমাদের স্বাধিনতা যুদ্ধের পিছের সারির ২১ নাম্বার ব্যক্তি।আর সেই ২১ নাম্বার ব্যক্তিকে এতদিন ২১ থেকে ১ বাদ দিয়ে ২ নাম্বার বানানোর চেস্টো করা হয়েছে, আর আজ দেখি আবার ২১ থেকে ২ বাদ দিয়ে ১ নাম্বার বানানোর চেস্টা করা হচ্ছে।কি আজব অবিশ্বাস্ব কথা!

                                   ----------মোহাম্মেদ ফারুক, জার্মানি।

Thursday, January 8, 2015

তারেক রহমান জগন্য মিথ্যাবাদী,

তারেক রহমান একজন জগন্য মিথ্যাবাদী।রহমান আল্লাহ সুবাহান তা-আলার নিরাব্বই নামের মধ্যে একটি নাম হলেও, জেনারেল জিয়াউর রহমানের এই কূপুত্র রহমতহীন ফেরারী আসামি হয়ে লন্ডনে বসে বাঙ্গালীর চির ও শ্রেষ্ট অহঙ্কার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের নামে একের পর এক মিথ্যা অপবাদ ও কূৎসা  রটিয়ে যাচ্ছে।বাংলাদেশের মহান স্বাধিনতা স্বচক্ষে দেখা, বলতে গেলে আমি নিজেই ইতিহাসের একটি পাতা হয়ে তারেকের একটি কথা বিশ্বাস তো দুরের কথা শুনতেও অসহ্য বোধ করছি।

বঙ্গবন্ধু এমন এক জন মানুষ।যাঁর তুলনা শুধু করা চলে মানব জাতির ইতিহাসে যুগে যুগে সমগ্র পৃথিবীতে আবিরভূত মহামানব গনের সাথে।বঙ্গবন্ধু চির উন্যত।বঙ্গবন্ধু মহান। বঙ্গবন্ধু কালজয়ি।বঙ্গবন্ধু হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙ্গালী, সেটা আজ আন্তর্জাতিক ভাবে সিকৃত।বঙ্গবন্ধুর তুলনা কোন বাঙ্গালীর সাথেই করা চলে না, এবং কোন দিন চলবেও না।

জেনারেল জিয়া মিথ্যাকে সত্য করে বললে হয়তো স্বাধিনতার ঘোষক হতে পারেন।এম জি ওসমানি সাহেব মুক্তি যোদ্ধার সর্বাধি নায়ক হতে পারেন।মরহূম তাজউদ্দিন বাংলাদেশের প্রথম প্রথম প্রধান মন্ত্রি এবং সফল মুক্তি যুদ্ধ পরিচালনা কারি হতে পারেন। সৈয়দ নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের অস্হায়ি রাস্ট পতি হতে পারেন।আ,স,ম রব স্বাধিনতার প্রথম পতাকা উত্তলন কারি হতে পারেন, আর সাজাহান সিরাজ, তোফায়েল আহম্মেদ, নুহে আলম, সিরাজুল আলম খান অার বাঘা ছিদ্দিকীর কথাই বলেন, সেদিন  বঙ্গবন্ধু বিনা সবাইর, এমন কি সাড়ে সাত কুঠি বাঙ্গালীর ও কোন মূল্যই ছিলনা।সেদিন সাড়ে সাত কুঠী বাঙ্গালীর আত্মা এক মজিব এর তর্জনি হয়ে এটম বোমের মত গর্জে  উঠেছিল সাত আসমানে। আর সে কারনেই মজিব সব অসম্ভবকে সম্ভব করে দিতে পেরেছে আমাদেরকে স্বাধিন একটি দেশ।

বাংলাদেশের অপর নাম শেখ মজিবর রহমান।আশির দশকের প্রথম দিকে যখন আমি বিদেশে আসি।তখন বিদেশিরা বাংলাদেশি বললে চিনতোই না।বাংলাদেশ নামক দেশটা পৃথিবীর কোন প্রান্তে কেহই জানতনা। আর যখন আমরা  আমাদের মহান নেতা শেখ মজিবের দেশের পরিচয় দিতেই বিদেশিরা  বলতো ও!হো এবার চিনতে পেরেছি।আর সেই মহান নেতার নামে কুৎসা রটানো তারেক রহমানের লজ্জা করা উচিৎ বাঙ্গালী হিসেবে আর বাঙ্গালীর নেতা হিসেবে পরিচয় দেওয়ার।

তারেক রহমানের বোধদয় হবার জন্য লিখছি।আপনার পিতার নির্মম ভাবে  মির্ত্যু হওয়ার আগে একদিন বঙ্গবন্ধুর মাঝারে গিয়ে বলেছিলেন, বাংলাদেশে কেউ রাজনিতী করতে হলে বঙ্গবন্ধুর পাঁ ছুয়ে করতে হবে।নতুবা কেউই রাজনিতি করতে পারবেনা। ৭৯ বা ৮০সালের পত্রিকা গাটলে ছবি সহ দেখতে পাবেন। আর আমার বিশ্বাস সে কারণেই আপনি নিজেও রাতের আঁধারে বঙ্গবন্ধুর মাজারে গিয়ে পাঁ ছুয়ে এসেছেন বাংলাদেশে রাজনিতি করার জন্য। 

ভাল কথা আপনি বাংলাদেশে রাজনিতি করবেন, গনমানুষের মঙ্গলের জন্য।কিন্তু প্রবাস নামের বনবাসে বসে বার বার এই সব কি বলছেন? ছিঃ ছিঃ আমরা তো নিজেরাই ইতিহাসের একটা পাতা, আপনার কাছ থেকে আপাতত ইতিহাসের কোন পাঠ নিতে হবে না।মনে রাখবেন যে নেতার জন্ম না হলে আপনার মা-বাবা বাংলাদেশের রাষ্ট প্রধান তো দুরের কথা, জেনারেল ও হতে পারতো না, আর আপনিও হাওয়া ভবনে বসে দুর্তিনির বরপুত্র হয়ে সেনা বাহিনীর হাতে এমন মার খেতেন না।এত বিত্তভৈববের মালিকও হতে পারতেন না।

                         ---মোহাম্মেদ ফারুক, জার্মানী।

Sunday, September 14, 2014

সত্যের সাক্ষ্য,

 হে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমান!
আজ  আমি সাক্ষ্য দিতেছি যে হে মহান নেতা, এই বঙ্গ বাসি সর্বসন্মতিক্রমে তোমাকেই বঙ্গবন্ধু উপাদিতে ভূষিত করেছিল, সুতরাং তুমিই বঙ্গবন্ধু,তুমিই এই অসহায় জাতির স্বাধিনতার ঘোষক এবং রুপক, সুতরাং তুমিই জাতির পিতা।তুমি হাজার বছরের শ্রেস্ট বাঙালি এটা আজ সারা বিশ্বে সিকৃত।সুতরাং তুমি ছাড়া অদ্বিতীয় কোন বাঙালী আজ পর্যন্ত জন্ম নেয় নেই এই বাংলার বুকে, এবং যতদিন পর্যন্ত এই বাংলাদেশ ও এই দেশের স্বাধিনতা টিকে থাকেবে ততদিন পর্যন্ত কেহই জন্ম নিবেনা, অর্থাৎ অপর কেহই তোমার স্হান ধখল করিতে  পারিবে না।না না না কোন দিনও না............কুঠি কুঠি বার না।

হে জাতির জনক!
তুমি তো নিশ্চয় জানতে, চৌদ্দশ বছর আগে আমাদের প্রবিত্র গ্রন্থ কোরআনে মজিদ নাযিল হওয়ার পর মহা নবীর আদেশকে অমান্য করে নব্য খারেজি মুসলমানেরা বিকৃত কোরআন শরিফ প্রকাশ করে মুসলমানকে ধোকা ও ইসলামকে অবমাননা করিতে লাগিল।সেই সময় খারিজিরা বলতে লাগল প্রবিত্র কোরআনে নাকি আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সত্তর হাজার আয়াত নাযিল করেছিলেন, আর মহানবী মাত্র সাতহাজার সাতশ সাতাত্তরটি আয়াতের কথা বলছেন।যাক অবশেষে অনেক হানাহানি খুনাখুনি ও জানমালের ক্ষয়খতির পরে সত্যের জয় হয়ে সাত হাজার সাতশ সাতাত্তর আয়াত বিশিস্ট কোরআনে মযিদ নেয়ামত স্বরুপ সমগ্র মুসলিম জাহানের মুমিন মুসলমানের জন্য নির্ভুল ভাবেই আজ অবদি রয়ে গেছে, এবং কেয়ামত পর্যন্ত একটি ঝের জবরও কেউ বদলাতে পারিবেনা।ঠিক তেমনি থাকিবে, যেমনি আছে। মহা নবী তাঁর জীবদশায় তাঁর অমর বিদায় হজ্বের ভাসন এবং মদীনা সনদের মাধ্যমে দুনিয়ার মুসলমানদেকে সঠিক দিক নির্দেশনা দিয়ে গেছেন।আমরা তার অনুসারি লক্স কুঠি সুন্নি মুসলমানেরা কেয়ামত পর্যন্ত তাঁর আদর্শে অনুপ্রানিত হয়ে তার দেখানো পথেই চলবো ইন্শআল্লাহ।

হে বাংলার অবিসংবাদিত মহান নেতা!
তুমি তো জানতে, তিব্বত হিমালয় আর প্রবিত্র কৈলাশের ধুলাবালি নিয়ে শত নদির অববাহিকায় জন্ম নেওয়া এই ব-দ্বীপ বাসী কত ভীরু নিরীহ ও সরল প্রকৃতির সাড়ে সাত কুঠি বাঙালীকে  তীলে তীলে কি কঠিন ও জগন্য নিউক্লিয়াস বোমে পরিনত করেছ।যে বাঙালী শত শত বছর ধরে মগ ওলন্দাজ আর হার্মাদ জল দস্যুদের ভয়ে ভাঘ বল্লুকের ভয় উপেক্ষা করে নিজের পোটলা পাটলি লয়ে জঙ্গলে লুকায়ে যেত।সেই বাঙালিকে তুমি মহান স্বাধিনতার মন্ত্র শিখায়ে কতো অল্প সময়ে বিশ্বের প্রথম শক্তিধর বলয়ের কাছ থেকে বাংলার স্বাধিনতা ছিনিয়ে এনেছ।

হে জাতির জনক !
অতচ আজ তোমার আনুগত তোমারই সেই ভালবাসার বন্ধুরা তোমারি দেওয়া উপাদি খেতাবি প্রাপ্ত লোকেরাই তোমাকে  এমন নির্মম ভাবে স্বপরিবারে হত্যা করার এত বছর পরও তোমকে অবমাননা করে তোমার সৃষ্টি ইতিহাসকে একের পর এক বিকৃত করে যাচ্ছে।ঠিক যেমনি মহা নবীর বংশকে নিঃশ্বেষ করে দিয়ে মহা নবী আর তার আদর্শ ধর্ম ইসলামকে নিয়ে করেছিল, ঠিক তেমনি।

হে মহান নেতা !
একটা পাগল আর নির্বোধ ও বুঝতে পারবে, ৭ই মার্চ এর ভাসনে তুমি জয় বাংলার পরে জয় পাকিস্তান বা জিয়ে পাকিস্তান বলতে পারনা। কোন দিনও না। কারন সব কিছুর মত ভাসনের ও তো একটা পিনিসিং আছে, একটা সোভা আছে।তুমি জানতে সেই ছিল হয়তো তোমার জীবনের শেষ ভাসন। তুমি জানতে এটাই হবে তোমার জন্য আব্রাহাম লিংকনের গেটেসবার্গের ভাসন আর মহা নবীর বিদায়ী হজ্বের ভাসনের মত। তুমি নিশ্চয় জানতে তুমি শুধু পাকিস্তানি একটা বিশৃঙ্খল হায়েনার সাথে যুদ্ধের জন্য বাঙালীকে প্রস্তুত করছনা। বরনঞ্চ বিশ্বের প্রধান শক্তিধর বলয়ের  সাথে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করছ।তাই তো তুমি যখন বলেছ আমরা ভাতে মারব, আমরা পানিতে মারব,তখন বাংলার আকাশ বাতাস প্রকম্পিত হয়ে বাংলার নদীনালা খালবিলে ধ্বনিত হলো কল্লোল। বাংলার হরিৎ মহুয়ায় সালিক খঞ্জনা দোয়েল কোয়েল আবাবিলের মত রনোসাজে মেতে উঠল।তুমি যখন বলেছ রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেব,আমি যদি হুকুম দিবার নাহি পারি প্রত্যেক ঘরে ঘরে দূর্ঘ গড়ে তুলো।তখন লাখো কুঠি তরুনের মাথায় রক্ত উৎরায়ে উঠল, হয় প্রান নয় তো মায়ের মান, মানে বাংলার স্বাধিনতা।তুমি শেষ বলেছ এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধিনতার সংগ্রাম,আর সর্বশেষ  ভরাট কন্ঠে বলেছ জয় বাংলা।এই ভরাট কন্ঠি জয় বাংলার মানে আমি বুঝেছি তুমি নিরীহ নিরস্র বাঙালীর মাঝে টর্নাডো, সুনামি বা নিউক্লিয়াস বোমের মত কোন দৈব শক্তি প্রয়োগ করেছ।

হে জাতির জনক !
তুমি জানতে এই বাঙালী জাতির  অনেক দুর্নাম আছে।তুমি নিজেই বলেছ বাঙালীরা পরশ্রিকাতর।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন রেখেছ বাঙালী করে মানুষ করোনি।পাকিরা বলতো বাঙালীরা চুতিয়া।আজ তোমার সেই বাঙালীর মধ্যে সত ও সত্য বলার মানুষের বড়ই অভাব।কিছু কিছু মুখোশ ধারি সয়তান বাঙালীকে অকৃতজ্ঞ ও মিথ্যা বাদী বানিয়ে সত্যের মুখোমুখি বসিয়ে রেখেছে এবং চিরদিন রাখতে চায়।তোমাকে নিয়ে তোমার সৃষ্টি করা ইাতহাস বিকৃত করে খন্দকারের মত আরো লাখো কোড় বই লেখা হবে, এখানেই তোমার সার্থকতা, তুমি যে জাতির জনক, তুমি যে বঙ্গের বন্ধু, তুমি যে হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙালী।প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম সত্যিই একদিন জেনে নিবে তোমাকে।কারন তুমি শুধু জাতির জনক, আর বঙ্গ বন্ধু নয়, তুমি বাঙালী জাতির চির অহঙ্কারও।

হে জাতির জনক!
আজ আর আমি জয় বাংলা বলবো না, বলবো শুধু জয় বঙ্গবন্ধু, আর জয় বঙ্গ বন্ধু।আমার জবিনে আমি জিবিত এবং স্বশরিরে কোন নবী পয়গম্বরকে দেখিনি।আমি যিষু বৌদ্ধা রামের মত কোন মহামানবকে দেখিনি।আমি লেলিন মাও চেগুয়েভারার মত কালজয়ি কোন মহাপুরুষকে দেখিনি।আমি আমার ক্ষুদ্র জীবনে প্রমিথিউস এর মত বাংলার বুকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমানের মত মহান নেতা তোমাকে জিবিত অবস্হায়  দেখেছি।তুমিই অন্ধাকারে নিমজ্জিত একটা জাতিকে প্রমিউথিউসের মত সর্ঘ থেকে একটি ছোট অতি ছোট আগুনের স্ফুলিঙ্গ এনে সেই আগুনের পরশমনিতে সমগ্র বাংলাকে আলোকিত করে নাম দিয়েছ বাংলাদেশ।আমি তোমাকে ব-দ্বিপ বঙ্গবাসির পক্ষ থেকে নয়,সমগ্র বিশ্বের সত্যবাদি মানব জাতির পক্ষ থেকেই বিনম্র শ্রদ্ধায় তোমাকে জানাই বাঙ্গালী সালাম, জয় বঙ্গ বন্ধু। জয় হবে নিশ্চয় সত্যের।
                                                 ---------------- মোহাম্মেদ ফারুক, জার্মানী।

Tuesday, June 10, 2014

আমাদের প্রিয় প্রধান মন্ত্রি,


হ্যাঁ ভাই ঠিকই ধরেছেন, আমি বলছি আমাদের প্রিয় প্রধান মন্ত্রি জন নেত্রি শেখ হাছিনার কথা ।চোখের পলকে তিনি প্রিয় মা-বাবা আদরের তিন ভাই একে একে  পরিবারের সবাইকে হারিয়ে নিঃস্ব এতিমের মত দীর্ঘ দিনের প্রবাসের নির্বাসিত কঠিন জীবন পার করে দৃঢ় মনোবল ও হিম্মত নিয়ে ফিরে এসেছিলেন স্বদেশের মাটিতে ।তখনো বত্রিশ নম্বর বাড়ির শিঁড়ি থেকে জাতির জনকের রক্তের ছোপ মুছে যায়নি  ।তখনো বাংলার আকাশে উড়ছিল বন্য শকুনের দল ।তখনো বাংলার কাঁচা পথে পথে গুরছিল একাত্তরের পরাজিত জঙ্গলি হায়েনার দল । তখনো আমাদের প্রবিত্র স্বাধিনতা দখলদার বাহিনীর হাতে ।ঠিক তখনই তিনি সব ভয় ডরকে উপেক্ষা করে মির্ত্যুকে আলিঙ্গন করে সত্য প্রতিষ্টার সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন ।কারণ তাঁর মুখে ছিল ইতিবাচক নিতীকথা সত্যের বাণী, কারণ তাঁর বাবা সব সময় বলতেন,যে মরতে জানে তার কোন দিন মরন হয়না। পকৃত মানুষ মরে শুধু একবারই ।

উন্নিশ একাশি সালের কোন একদিন হবে, আজকের  মাননীয় প্রধান মন্ত্রি শেখ হাছিনাকে আমি দেখেছিলাম খুব কাছে থেকে।তিনি এসেছিলেন সেদিন মাইজদী সহীদ ভূলু স্টোডিয়ামে বিরাট জনসভায় ভাসন দিতে।বিরাট বলতে কি, মানুষ হবে তিন চার কিংবা পাঁচ হাজার।অতচ বাহাত্তর সনে এই স্টোডিয়ামে এসেছিলেন জাতির জনক বঙ্গ বন্ধু শেখ মজিবর রহমান। সেদিন জাতির জনককে এক নজর দেখার জন্য লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড়ে চার পাঁচজন পদদলিত হয়েই মারা গিয়েছিল।

সেদিন সহীদ ভূলু স্টোডিয়ামে আজকের মত পাকা গেলারি ছিলনা, খেলা ঘর ছিল না।পাকা কোন দালান ছিল না।শেখ হাসিনা এসেছিলেন আকাশি রঙের একটা শাড়ি পরে। চিম চাম শরির গোল গাল চেহারা, দেখতে অবিকল আমার বড় বোন এর মত। যে বোনটার কোলে পিটে চড়ে আমি বড় হয়েছি,যে বোনটাকে আমি মা এর মত শ্রদ্ধা করি। আমি মনে মনে শেখ হাছিনার প্রতি শ্রদ্ধায় মাথা নত করি।

সেদিন শেখ হাসিনা যখন বক্তৃতা দিতে মাইক্রফোনের সামনে দাঁড়ালেন, তখন শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠল সমগ্র জনসভা।তিনি শোকার্ত কন্ঠে বললেন আমি এসেছি শুধু আপনাদের কাছে আমার মা বাবা ভাই বোন এর হত্যার বিচার চাইতে। কি অপরাধ করেছিল আমার ভাই শিশু রাসেল?কেন তাকে হত্যা করা হয়েছিল ?কি অপরাধ করেছিল আমার মা ?কি অপরাধ করেছিল আমার দু ভাবি যাদের হাতের মেন্দি তখনো শুকায়নি। কি অপরাধ করেছিল তাদের অনাগত শিশু? কেন তাদেরকে হত্যা করা হয়েছিল ?জানি এই সব প্রশ্নের সঠিক কোন উত্তর  জাতির দুচারটি কুলঙ্গার সন্তানের কারনে আমরা কোনদিন দিতে পারিনি আর পারবনাও।

বিচার প্রাকৃতিক ভাবেই হয়েছে । এক দখলদার বাহিনী খতম হওয়ার পর আর এক উর্দিপরা দখলদার বাহিনী পুনরায় বন্দুক ঠেকিয়ে স্বাধিন বাংলার ক্ষমতা দখল করে, চলে বলে কলে কৌশলে দীর্ঘ নয় বছর অগ্রগামি  এই জাতিকে ধাবিয়ে রাখে ।কত বড় বেহায়া আর নিলর্জ হলে তা সম্ভব,স্বৈরচারি এরশাদকেই আমরা তার জলন্ত প্রমান দেখেছি । 

জাতির জনকের কন্যা স্বৈরচারির রক্ত চক্ষু আর বন্দুকের নল বুলেট বুলডুজারকে ভয় না করে  রাজপথে  সংগ্রাম করে করে  নব্বইর ছয়ই ডিসেম্বর স্বৈরচারের পতন ঘঠাতে সক্ষম হন ।কিন্তু রহস্য জনক ভাবে আবার পূর্বের প্রয়াত দখলদার বাহিনীর লাঠিয়ালরাই ক্ষমতা দখল করে ।তারা শুধু ক্ষমতা দখল করেই ক্ষ্যান্ত হয়নি, তারা ক্ষমতার মোহে অন্ধ হয়ে একটা অশূভ শক্তিকে নিয়ে শুরু করে দেয় রাজনিতীর নামে চিনিমিনি খেলা । তারা আমাদের  প্রবিত্র ধর্মের অপব্যখ্যা করে প্রকাশ্যে অপ্রকাশ্যে ধর্ম প্রান মুসলমানকে নাস্তিক বলতে থাকে ।এমনকি আমাদের স্বাধিনতা যুদ্ধের নেতৃত্ব দানকারি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে তারা নাস্তিকের দল হিসেবে প্রকাশ করতে থাকে।তাদের মন্ত্রি মিনিস্টার পর্যন্ত সংসদে দাঁড়িয়ে  মা ফাতেমা সমতূল্য শেখ হাসিনাকে কটুক্তি করে। তারা একের পর এক অশূভ শক্তি তথা জঙ্গিবাজ সৃষ্টি করে  অগনিত সাধারণ নিরিহ মানুষকে নির্মম ভাবে হত্যা করে অবশেষে শেখ হাসিনাকেই প্রানে মারার জন্য একুশে আগষ্ট বায়তুল মোকারমের সামনে বিশাল জনসভায় গ্রেনেট হামলা ঘঠায়।

কিন্তু মহান আল্লাহর অলোকিক ইশারায় চব্বিশ জন নেতানেত্রি প্রান হারালেও আহত হয়েও ভাগ্যক্রমে শেখ হাসিনা বেঁচে যান।
হাজার হাজার শুকরিয়া মহান আল্লাহর দরবারে।আমাদের সোভাগ্য যে তিনি এখনও বেঁচে আছেন। তিনিই বাংলাদেশের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর পরে রাজনৈতিক ভাবে এবং রাস্টপ্রধান হিসেবে সফল মানুষ ।তিনি দেশ বিদেশে শুনাম কুড়ায়ে অনেক অনারারি ডক্টরেট ডিগ্রি প্রাপ্ত হয়ে  জাতিসঙ্গে বিশ্ব শান্তির ইশতেহার পেশ করে বিশ্বের দরবারে নতুন বাঙ্গালী আর বাংলাদেশের উন্মেশ ঘঠান।

তিনিই পার্বত্য এলাকায় শান্তি চুক্তি করে বিশ্বের দরবারে এক অনন্য দৃস্টান্ত স্হাপন করেন।সিমান্ত চুক্তি নদির পানির সমবন্টন চুক্তি এবং প্রতিবেশি মায়ানমারের সাথে  সান্তিপুর্ন ভাবে সমূদ্র সিমানা মিমাংসা করে নতুন ইতিহাস সৃস্ঠি করেন।তিনিই বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন। তিনিই সোনার বাংলাদেশের পাশাপাশি ডিজিটেল বাংলাদেশ গড়ার দিপ্ত সফত গ্রহন করেন।তিনি আজ দেশে উন্নতির ছোঁয়া লাগায়ে আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার জন্য আপ্রান চেস্টা করে যাচ্ছেন।

নিলর্জ শুশিল আর রক্ষনশীল সমাজিরা তো  নিন্দুকরা চর্ম ঠোঁট নাড়বেই।তিনিই প্রথম ক্ষমতায় এসেই কবি সাহিত্যিক তথা বুদ্ধিজিবীকে গনভবনে দাওয়াত করে সন্মান করার প্রথা চালু করেন।দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি প্রধান মন্ত্রি হয়ে তরুনদেরকে নেতৃত্বে আনেন, কিন্তূ দুঃখ্যের বিষয় তরুনরা প্রায় সবাই বেয়াদপ এমন কি কেউ কেউ খুনি হিসেবে আবির্ভাব হয়েছে।  তিনি নিজেও লেখা পড়া ও এবাদত বন্দেগী করে সময় কাঠান । আমি তার লেখা দুতিনটা  বই পড়ে বুঝেছি তিনি যে কত বড় প্রজ্ঞাবান। আমি তার শুস্বাস্হ ও দীর্ঘ জীবন কামনা করছি।আল্লাহ যেন তাকে আরো অনেক দিন বাঁচিয়ে রাখেন। আমিন! জয় বাংলা, জয় বঙ্গ বন্ধু।
                                                           ----ফারুক জার্মানী ।

Monday, June 2, 2014

খ্যপা সংগীত: দুধের মূল্য না হয়,

খ্যপা সংগীত: দুধের মূল্য না হয়,: দুধের মূল্য না হয় তোমায় দেবো গো মা-বলো মা্টির মূল্য মোরা কারে দেবো।কার চরনে লুটে পড়ে আকূল হয়ে সালাম জানাবো। যে মাটির পরে বাঁচি মোরা,য...

Wednesday, May 28, 2014

তীলে তীলে দেশটা ধ্বংশ হয়ে যাচ্ছে,








            তীলে তীলে দেশটা ধ্বংশ হয়ে যাচ্ছে,


খুব কম সময়ে আমরা স্বাধিনতা পেয়েছি । মাত্র নয় মাসে ।এত কম সময়ে বোধ হয় পৃথিবীর কোন দেশে  কোন জাতি স্বাধিনতা পায়নি । আমরা দেখেছি অতি কম সময়ে স্বাধিনতার মুখ । তাই বুঝি আজ আমাদের ঘরে ধরা দিয়েছে পৃথিবীর এত্তসব  দুঃখ । যদিও কম সময়ে আমরা স্বাধিনতা পেয়েছি, ততাপি আমাদেরকে দিতে হয়েছে একসাগর রক্ত আর তিরিশ লক্ষ সহীদের তাজা প্রাণ ,দু-লক্ষাধিক মা-বোনের  সম্ভ্রোম ।অতচ এতকিছু ত্যাগের বিনিময়ে ও আজ আমরা সেই অলিক স্বাধিনতা পেয়েও স্বাধিনতার মর্ম মোটেই বুঝিতেছিনা । স্বাধিন দেশের নাগরিক হিসেবে আমরা না হতে পেরেছি ধন্য, না হতে পেরেছি মানুষ নামে গন্য ।দিন দিন আমরা তলিয়ে যাচ্ছি দুর্নিতীর অতল গহভ্বরে । দিন দিন আমরা চলে যাচ্ছি ভাষাহীনদের দলে ।স্বাধিন দেশে  বসবাস করা আজ আমাদের সোভা পাচ্ছে না ।

সবার মুখে  শুধু হাম্ হাম্‌ আর খাম্ খাম্ । কার আগে কে কার  ধন সম্পদ লুটে পুটে খাবে, কার আগে কে বড়লোক হবে, কার আগে কে কাকে খুন  আর গুম করবে, এই প্রতিযোগিতায় নেমে গেছে  দেশের ষোল কুঠি মানুষ ।ধর্ম কর্ম শিক্ষা দীক্ষা  নিয়ম নিতী আইন কানুন মানবতা মনুষ্যতা বলতে বুঝি আজ কাল দেশের মানুষের  মাঝে কিছু নেই ?কেন  মানুষ এমন জগন্য হয়ে গেল ?

চুরি ডাকাতি  খুন খারাবি  চাঁদাবাজি  পরের সম্পদ দখলবাজি ঘুষ দুর্নিতী কালোবাজারির পরে এখন  এসে মডার্ন সিস্টেমে  গুম আর খুন হচ্ছে  নিত্যদিন ।অনলাইনে গেলেই  এই ‍ গুম আর খুনের  কাহিনী পড়তে পড়তে  রিতিমত হাঁপিয়ে উঠেছি ।বিশেষ  করে নারায়ন গঞ্জ এর সাত খুন আর ফেনিতে দিবোলোকে জনসমাগম রাস্তার উপর নির্মম ভাবে ফুলগাজির চ্যায়ারম্যান  একরামকে হত্যার পর  গান পাউডার দিয়ে পুড়ে ফেলার দৃশ্য দেখে  আমি অত্যান্ত মর্মাহত হয়েছি । ছিঃ মানুষের মানবতা গেল কোথায় ?আগে দেখেছি প্রতিটা হত্যার পিছে একজন গঠপাদার আছে, এখন দেখি একজন গঠমাদারও আছে । সাংবাদিক ভাইয়েরা  পুলিশের পাশাপাশি  যে ভাবে অপরাধি সনাক্তি আর  অনুসন্ধান করে ব্যকূল হয়ে লেখালেখি করতে  করতে হয়রান হয়ে যাচ্ছেন তাদের  শ্রমের মুল্যায়ন করে ধন্যবাদ দিতেই হয় ।

কিন্তু আমার কাছে মনে হয়  দেশের ষোল কুঠি মানুষ আমরা সবাই  কোন না কোন ভাবে অপরাধি ।একজন  অপরাধির পরিবারের তার মা বাবা  ভাই বোন স্ত্রি -সন্তান  এমনকি পড়শি সবাই  জানে লোকটা  অন্যায় অনিয়মে  পয়সা কামাচ্ছে ।প্রতিজন মা-বাবা জানেন তার সন্তানের অনিয়মের  খবর, আর প্রতিজন বোন জানেন তার স্বামির অবৈধ রোজগারের খবর ।যে বাবার মসজিদে নামাজ পড়তে পড়তে কপালে কালো মেছতা পড়ে গেছে, যিনি হজ্ব করে নিজেকে হাজি বানিয়ে মুমিন মনে করেন, তিনি অবশ্যই জানেন তার পোলার ঘুষের টাকা দিয়ে অথবা নিজের  ঘুষের টাকা দিয়ে তিনি হজ্ব করেছেন । আর আমরা সাধারন পাবলিকরা  যারা এই সব অন্যায় অনিয়ম সব দেখেশুনেও কোন প্রতিবাদ করিনা, আমরা সবাই কোন না কোন ভাবে অপরাধি । মা আমাদের কে জনম দিয়েছেন নিঃস্পাপ  ছোট শিশু হিসেবে, আর বড় হয়ে  আমরা সবাই যদি পাপি হয়ে মরে যাই, দেশটার কি হবে ? কবির ভাষায় -রেখেছ বাঙ্গালি করে মানুষ করোনি ।এটাই কি নির্মম সত্য ? 

এবার আমার অনেক আগের লেখা একটা গান পড়ুনঃ-

চোরের বাড়িত কোনদিন দালান উঠেনা,

এই কথাটা হাঁছানারে  ভাই এই কথাটা হাছানা ।

বাংলাদেশে চোরের বাড়িত যব্বর উঠে

দালান কোঠা  ভিলা বালাখানা ।



---- ফারুক, জার্মানি ।


Monday, May 12, 2014

গীত লতা: আমার হাজার,

গীত লতা: আমার হাজার,: আমার হাজার সুখের রাতের চেয়ে বড়, দুঃখের এ রাত।জেগে থাকা শুধু কস্টের ব্যদনা নহে গো, হাজার স্বপ্নের সাথে মধুর মোলাকাত। স্বপ্নেরা আমাকে প...

Wednesday, December 25, 2013

কিসের সংলাপ?

কিসের সংলাপ ? আর কিসেরই বা সমজোতা ?
গনতন্ত্র, সমাজতন্ত্রর , ধর্ম না মানবিধিকার প্রতিষ্টার
সংলাপ?অনাহুত সাবাই বলছে সংলাপ আর সংলাপ ।

আমি তো দেখেছি  স্বাধিনতার বিয়াল্লিশ পরে এসেও
বাঙ্গালী সংলাপে বসে কোন কিছুই সমাধা করতে পারেনি ।
বাঙ্গালী না বাংলদেশি, না কে স্বাধিনতার ঘোষক, আজো
অমিমাংশিত ।অতচ অযতা সবাই বলছে সংলাপ আর সংলাপ ।
কিসের সংলাপ ?

আমি তো কোন দিন বাঙ্গালীকে দেখিনি সংলাপে বসতে ।

আমি শৈশবে দেখেছি দলে দলে পিপিলালিকা আর উই
পোকাকে সংলাপে বসতে । আমি দেখেছি একঝাঁক
গাং চিলকে সংলাপে বসে সমূদ্রের মহি সোপান নির্ধারন
করতে ।আমি দেখেছি শিয়াল আর কুকুরকে সংলাপে
বসতে ।আমি কোন দিন বাঙ্গালীকে দেখিনী সংলাপে
বসতে, কিসের সংলাপ ?

বাঙ্গালীর যতটুকু অর্জন সবটুকুই সংগ্রাম আর যুদ্ধের
মধ্যে দিয়েই চিনিয়ে আনা ।অতচ সবাই আজ বলছে
সংলাপ  সংলাপ । কিসের সংলাপ ?

আজ যদি সংলাপে বসেতই হয়, তো স্হায়ি ভাবে
সমজোতা হয়ে যাক, বাংলাদেশ না আপগানিস্তান ।
না ভারত না পাকিস্তান ?

আজ যদি সংলাপে বসতেই হয়, তো স্হায়ি ভাবে
সমাধা হয়ে যাক তাদের সমাধিস্হানের ।সমাধা হয়ে
যাক স্বাধিন বাংলার কোন এলাকায় সাজা হবে
তাদের নগ্ন বেহায়াফনার । রংপুর দিনাজ পুর নাকি
ঢাকায় ।বরিশাল নোয়াখালি, সিটাগাং সিলেট নাকি
আজিমপুর বনানীতে ।

সমাধান হয়ে যাক স্হায়ি সমাধান । যাতে করে তাদের
সমাধিতে আমি দিতে পারি রক্ত গোলাপ, আর নিন্দুকেরা
দিতে পারে মুত্র জল ।

               ২৪,১২,১৩, জার্মানী

Friday, December 20, 2013

ইসলামের ইতিহাস আর বাংলার ইতিহাস প্রায় একি রকম।

আমি কোন ইতহাসের ছাত্র নই, আর ইতিহাসবীদ ও নই । তবে  ইতিহাসবীদদের লেখা ইতিহাস পড়ে যা বুঝেছি, এবং আমার ক্ষুদ্র জীবনে বাংলার স্বাধিনতা যুদ্ধ দেখে যতটুকু জেনেছি তাতে আমি গর্ববোধ করে বলি আমি বাংলার ইতিহাসের একটা অবিচ্ছেদ্ধ পাতা ।আর সে কারনেই আমি বার বার ইসলামের শুরুর ইতিহাস এর সাথে স্বাধিন বাংলাদেশের ইতিহাস মিলিয়ে দেখেছি ।আমার কাছে  জানিনা কেন যেন মনে হয় বেশ কিছু দিক দিয়ে ইসলামের ইতিহাস আর বাংলাদেশের  ইতিহাস  প্রায় একি রকম ।

সে চৌদ্দশ বছর আগে প্রাতাপ শালি  আবু জাহেলের যুগে মুখে শাহাদাতের বাণী নিয়ে মহা  নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর আগমন ঘঠে বর্তমান সোদি আরবের মক্কা নগরিতে ।মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নির্দেশে জিবরাইল (আঃ) ওহীর মাধ্যমে মহা নবী (সঃ)কে সত্যের ধর্ম ইসলাম প্রচারের জন্য প্রেরনা ও সাহস যোগায় ।মহান আল্লাহর ইচ্ছায় মহা নবী হযরত মুহাম্মদ(সঃ) নানা বাধা বিপত্বি অতিক্রম করে সমগ্র আরব জাহানে ইসলাম প্রচার করে দোজাহানের বাদশাহের মত আরব বিশ্বকে পরিচালিত করেন ।তাই আজ সারা বিশ্বের জ্ঞ্যানি গুনি এখনও এক বাক্যে শিকার করে মানব ইতিহাসে একমাত্র তিনিই এমন এক একক ব্যক্তি যিনি রাজনৈতিক ভাবে ধার্মিক ভাবে সামাজিক ভাবে এবং মানবিক ভাবে সফল ও সার্থক ব্যক্তি ।সুবহান আল্লা ।

মহানবী (সঃ) ইসলাম ধর্মকে পূর্নাঙ্গ রুপে প্রচার ও প্রকাশ করে ইসলামের মূল পাঁচ ভিত্তি কালেমা, রোজা,  নামাজ, হজ্ব, জাকাত,এর উপর দাঁড় করিয়ে প্রবিত্র কোরআনে করিম সাহাবীদের হাতে নির্ভূল লিখিত আকারে রেখে এবং শত শত হাফেজদের দ্বারায় মুখাস্ত করায়ে বিশ্বস্ত কয়জন সাহাবীর হত্যার বদলা নিতে সঙ্গী সাথি নিয়ে সিরিয়ার উদ্যেশ্যে রওানা হন, কিন্তু যাত্রার পথে তিনি অসুস্হ হয়ে পড়েন ।সাহাবীরা পথে তাঁবু টানায়ে অনেক সেবা শুস্রসা করলে ও এই মহা মানবকে আর বাঁচাতে পারেননি ।

তাঁর ওফাতের পরে যদিও তাঁর অসমাপ্ত কোন কাজই আর অসমাপ্ত পড়ে থাকেনি, তথাপি তাঁর ইন্তেকালের পর তাঁর জায়নামাজ এবং দাপন কাজ সম্পর্ন না হতেই তাঁরি কিছু সাহাবি এবং নব্য মুসলমানেরা নানা মতবেধে ও মতনৈক্য সৃস্টি করে ধন্দে লিপ্ত হল যে কে মহা নবীর স্তলাভিসক্ত হবেন ।কেউ বলছে ইসলাম ধর্ম প্রচারে আমাদের অবধান বেশি, আমাদের মধ্য থেকেই একজন হবেন ।কেউ বলছে আমাদের গোত্রই সুশিল সমাজ শিক্ষায় দীক্ষায় আমরাই বড় সুতারাং আমাদের গোত্র থেকেই হবেন খালিফা । ঈমামদের মধ্যে কেউ কেউ আবার নবীত্ব দাবী করে বসলেন । আবার ধর্মান্তরিত নব্য মুসলিমরা ধর্ম ত্যগ করে নিজের পুরানা ধর্মে ফিরে যেতে উদ্যত হলেন ।

এমতা অবস্হায় হট্রগোলের মধ্যে কে একজন বলে উঠল, আবু বক্কর ছিদ্দিক কোথায়, তাঁকে ডাকা  হউক ।সেই পারবে সঠিক ভাবে সমাধান করতে ।আবু বক্কর ছিদ্দিক তখন বেটি আয়েশার ঘরে মহা নবী (সঃ) এর লাশের পাশে ব্যদনায় বিধির্ন হয়ে কাঁদছেন ।
হযরত আবু বক্কর ছিদ্দিক মহা নবী (সঃ) এর চেয়ে তিন বছরের ছোট হলেও তিনি শৈশব থেকেই ছিলেন মহা নবী (সঃ) এর বিশ্বস্ত বন্ধু এবং পরে এসে বিবি খাদিজার মির্তুর পর আয়েশাকে বিয়ে দিয়ে হন শ্বশুর ।বিশ্বস্ত এবং অগাধ বিশ্বাসের কারনেই তিনি ছিদ্দিক উপাধিকে ভূশিত হন । জিবিত অবস্হায়  দুজন এক সাথে বসে যুক্তি পরামর্শ করে দীনি কাজ কর্ম সমাধা করতেন এবং আগামী দিনের ইসলামের দিক নির্দেশনা ঠিক করতেন ।
ঠিক বাংলাদেশে যেমনি একাত্তরের পূর্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমান আর তাজ উদ্দিন একে অপরের ঘৃহে গিয়ে বসে বসে সলা পরামর্শ করে স্বাধিনতা সংগ্রামের নীল নকসা আঁকতেন,আর দিক নির্দেশনা ঠিক করতেন ।বিদ্যাবুদ্ধি জ্ঞ্যান গরিমায় তাজ উদ্দিন ছিলেন হযরত আবু ব্ক্কর ছিদ্দিক (রাঃ) এর মতনই । তিনি আমাদের স্বাধিনতা যুদ্ধের সফল নেতৃত্ব দিয়ে মাত্র নয়মাসের মধ্যে বিজয়ের রক্তিম সূর্য্টা ছিনিয়ে এনেছেন ।যদি বঙ্গবন্ধুর সাভাবিক ভাবে মির্ত্যু হতো,আর তাজ উদ্দিন বেঁচে থাকতেন, তাহলে নিশ্চিত তিনিই বঙ্গবন্ধুর স্হলাভিশিক্ত হতেন ।

হযরত আবু বক্কর ছিদ্দিক ছিলেন অত্যান্ত ব্যক্তিত্বশীল ব্যক্তি । জ্ঞ্যান বিদ্যা বুদ্ধি যুক্তি তর্কে ছিলেন পরিপক্ষ ও সবার ছেয়ে অগ্রগামি ।তিনি প্রধানত ব্যবসা করে জিবিকা নির্বাহ করলে ও কাব্য চর্চা করতেন সব সময় ।হযরত ওমর ফারুক  নানা মতের ধন্ধকে তলোয়ার দিয়ে যেখানে মিমাংশা করতে চাইলেন, সেখানে হযরত আবু বক্কর ছিদ্দিক এসে যুক্তি ও বুদ্ধি মত্বায় তা নিমিশে মিমাংসা করে দিলেন ।সাথে সাথে উপস্হিত সবাই সব ধন্ধ ভুলে তাঁকেই খালিফার দায়িত্ব গ্রহন করতে অনুরোধ করতে লাগলেন ।অবশেষে অনিচ্ছাকৃত সত্যেও  সবার অনুরোধে তিনি খালিাফার দায়িত্ব গ্রহন করে সবার উদ্যেশ্যে যে ভাসন দান করেন তা আজোবদি সরকার প্রধানদের অনুকরনিয় হয়ে আছে । এই জন্যই তাঁকে বলা হয় খালিফাতুন রাসুলুল্লাহ ।

মাত্র দুবছর তিন মাস এই মহান খালিফা  দায়িত্ব পালন করে রোগে আক্রান্ত হয়ে কিছুদিন রোগ সর্যায় থেকে তিনি শাহাদাত বরন করেন । শাহাদাতের আগেই সবার সন্মতিক্রমে তিনি তাঁর উত্তরসরি  হযরত ওমর (রাঃ)কে খালিফা নিযুক্ত করে গেলেন ।এই মহাবীর খলিফা দায়িত্ব গ্রহন করার পর চারিদিকে উগ্রবাদি মুসলমানরা  মাথা চাড়া দিয়ে উঠলেও তিনি কঠোর হস্তে ধমন করতে সক্ষম হন । তিনি সব সময় দোররা ও চড়ি হাতে ঘোড়ার পিটে চলাফেরা করতেন প্রকৃত শাসকের মত ।কথিত আছে তাঁকে দেখলে নাকি সয়তানও পালিয়ে যেত ।ইসলামে তাঁর অবধান অনেক বেশি । তিনি মদ জুয়া জেনা সব কিছু নিশিদ্ধ করে  অপরাধিকে আশি দোররা মারার শরিয়া আইন জারি করলেন । প্রকৃত মুসলমানদের জন্ম নিবন্দন করে সবার জন্য পরিচয় পত্রের  ব্যবস্হা করলেন । তারাবির নামাজ জামাতে পড়ার প্রচলন করলেন ।একহাজার চত্রিশটা বড় বড় শহর ধখল করে  রাজ্যভিত্বিক  আধুনিক ইসলামিক রাস্ট কায়েম করলেন ।তিনিই সর্ব প্রথম মুসলমানদেরকে প্রবিত্র কাবা শরিফে জামাতে নামাজ পড়ার ব্যবস্হা করেন ।তিনিই হারাম হালালের পার্থক্য নির্নয় এবং আজানের প্রচলন করেন ।মহা নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) তাঁকে ফারুক উপাধিতে ভূসিত করেন ।তাঁকেই বলা হয় আমেরুল মুমেনিন ।

অতচ এই মহান খালিফাকে ফজরের নামাজ পড়া অবস্হায় উগ্রবাদি মুসলমানদের নির্দেশে আবু লুলু ফিরোজ নামে এক মুসলমান তালেবান নির্মম ভাবে হত্যা করেন ।তিনি শাহাদাত বরন করার পূর্বে সবার সন্মতিক্রমে ইসলামের তৃতিয় খালিফা সত্তর বয়স্ক হযরত উসমান গনি (রাঃ)কে নির্বাচিত করে যান ।
গনি শব্দের অর্থ হলো ধনি ।তিনি ছিলেন তৎকালে আরবের মাঝে একজন শেরা ধনি ।খালিফাত্ব লাভের পর তিনি তাঁর ধনের অর্ধেকই ইসলামের নামে ওয়াকফা করে দিয়ে দেন ।তিনিই ইহুদীদের কাছ থেকে মুসলমানদেরকে  সুপেয় পানি খাবার জন্য বীরে রুমা নামে একটা গভির কূপ  খরিদ করে দান করে দেন ।অতচ উগ্রবাদি খারেজি  মুসলমানরা এই মহান খালিফাকেই ঐ কূপের পানি থেকে বঞ্চিত করে উপাসে কাপাশে কষ্ট দিয়ে শেষ পর্য্ন্ত কোরআন পড়া অবস্হায় রোজা মুখে নিজের গৃহে ডুকে আশি বছরের বৃদ্ধকে আছরের নামাজের  একটু  পরে নির্মম ভাবে হত্যা করে ।এই মহান খালিফা ছিলেন হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর দুমেয়ে রোকেয়া ও কুলসুমের জামাতা । তাঁকে হত্যার পরে উগ্রবাদি খারেজিদের  ডরে ভয়ে রাতের  আঁধারে মাত্র সতের জন লোক কোন রকমে তাঁর জায়নামাজে শরিখ হয়ে দাপন কাজ সম্পর্ন করেন ।

হযরত উসমান গনি (রাঃ) এর নির্মম হত্যার পর মুসলমানদের মধ্যে নানা মতবেদ ও ধন্ধ ক্রমেই চরম পর্যায়ের দিকে যেতে লাগল ।হযরত উসমান গনি (রাঃ) উমাইয়া বংশের হওয়াতে দামেস্কো তথা সিরিয়ার  গভর্নার হযরত মুআবিয়ার নেতৃত্বে একদল মুসলান উগ্রবাদিরা ক্ষুদ্ধ হয়ে আন্দলন শুরু করল উসমান গনি (রাঃ) এর হত্যার শুস্ট বিচার অথবা প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য ।আবার হযরত আয়েশার নেতৃত্বে আরেক দল হযরত আলি (রাঃ) এর বিপক্ষে অবস্হান নিল ।আবার কোরেশী এবং হাঁসেমী বংশের মধ্যে তো একটা ধন্ধ লেগেই আছে ।তার উপর  উগ্রবাদি খারেজি মুসলমান গ্রুপ তো প্রবিত্র কোরআনে মজিদ নিয়ে আগে থেকে ধন্ধে লিপ্ত ছিল ।উগ্রবাদিদের  প্রধান দাবি  ছিল আল্লাহ পাক নাকি প্রবিত্র কোরআনে সত্তর হাজার আয়াত নাযিল করেছিলেন ।কিন্তু পূর্বের খালিফারা অন্যায় ভাবে কেটে চিঁড়ে ৬৬৬৬টি আয়াত নির্ধারন করে বাঁকি আয়াত গুলি বাদ দিয়েছেন ।সেই কারনেই খারেজি মুসলমানেরা দুজন মহান খালিফাকে নির্মম ভাবে হত্যা করে ।

হযরত উসমান গনি (রাঃ) জিবিত অবস্হায় পরবর্তি খালিফা নির্বাচিত করে যেতে না পারলেও তাঁর হত্যার সুষ্ট তদন্ত করে খুনির উপযুক্ত বিচার করার  প্রতিশ্রিুতি দিয়ে মেজরেটি পার্সেন্ট মান্ডাট নিয়ে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এরই  আপন চাচাত ভাই ও আপন কনিস্ট মেয়ে ফাতেমার জামাতা  আবু তালেবের ছেলে হযরত আলি (রাঃ)খালিফার দায়িত্ব গ্রহন করেন ।তিনি দায়িত্ব ভার গ্রহন করেই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে মুআভিয়াকেই গভর্নারের পদ থেকে বরখাস্ত করে দেন ।যার পরিনামে দু-দুটা যুদ্ধে লক্ষাধিক নিরিহ মুসলমান সহীদ হন ।শুরু্তেই মুসলমান এর হাতে মুসলমান নিদনে ইসলামের কত বড় ক্ষতি হলো তা বলার প্রয়োজন নেই ।তারপরে শুশিল সমাজের মুসলমানেরা গোপনে সলা পরামর্শ করে ঠিক করেন  হযরত আলি (রাঃ) এবং মু আভিয়া দুজনকেই যে ভাবেই হউক হত্যা করা হলেই দেশে শান্তি ফিরে আসবে ।পরে তারা পুরাপুরি সফল না হলেও ফজরের নামাজের জন্য মুসল্লিকে আহব্বান রত অবস্হায় পিছন থেকে চাপাতির কোপে এই  মহা বীর হযরত আলী (রাঃ)কে নির্মম ভাবে হত্যা করতে সক্ষম হন ।
এই চার জন খালিফা  শুধু শ্রেষ্ট খালিফাই ছিলেন না, তাঁরা চার জন তৎকালে  আরব জাহানে  শ্রেষ্ট মানুষ কেন মহা মানব ছিলেন । চারজনই ছিলেন ভাববাদি ও আল্লাহর অস্তিতে অঘাধ বিশ্বসি ।বিদ্যা বুদ্ধি জ্ঞ্যান গরিমায় আচরন আকলাখে ছিলেন সবার সেরা । চার জনই কাব্য চর্চা করতেন ।তাদের ন্যয়ের বাণিগুলি সর্বকালের মনিষীদের বাণীর চেয়ে অন্যতম ।অতচ এই চার জন খালিফার মধ্যে তিন জনকেই বর্বর মুসলমানেরা নির্মম ভাবে হত্যা করে ।

খারেজিরা  হযরত আলী (রাঃ)কে হত্যার পরে উত্তরাধিকারি সুত্রে তাঁরই জৈস্ট পুত্র ঈমান হাসান খালিফার দায়িত্ব লাভ করলেও মুসলমানদের মধ্যে এত হানাহানি বিবাধ দেখে  ইসলামের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তিনি মাত্র ছয় মাসের মাথায় শান্তির লক্ষে মুআবিয়ার  হাতে খালিফার দায়িত্ব ভার দিয়ে ইসলামকে রক্ষা করেন ।কিন্তু তারপরও খারেজিদের ক্যূ থেমে থাকেনি । তারা  সর্বশেষ কারবালার মরুপ্রান্তরে ফোরাতের উপকুলে কুপা নগরির দ্বার প্রান্তে এসে মুআবিয়ার ছেলে এজিদের নেতৃত্বে সীমার নামে এক খারেজি মহা নবী (সাঃ)এর আদরের  দৌহিত্র হোসেনের শিরচ্ছেদ করে  আনন্দ উল্যাশে মেতে উঠেন,এবং  খন্ডিত মাথা নিয়ে এজিদের রাজ দরবারে উপহার দেন ।সে মাথার মাঝার জিয়ারত করার সৌভাগ্য হয়েছে আমার ।সে সময় এজিদের বংশ এর লোকেরা  নবীর বংশের আরো সত্তর জন লোককে নির্মম ভাবে হত্যা করে ।

আপছোশ তারা সবাই ছিল কোন না কোন ক্রমে মুসলমান ।মুসলমানরাই মুসলমানকে নির্মম ভাবে কল্লা কেটে জবাই করে হাত পাঁয়ের রগ কেটে সেল বল্লম খঞ্জর মেরে তলোয়ার চাপাতি দিয়ে কোপায়ে সেই চৌদ্দশ বছর আগ থেকে আজঅবধি হত্যা করে যাইতেছে  আর যাইতেছে নিরন্তর । অন্য কোন ধর্মের লোকের ক্রুসেড যুদ্ধ ব্যতিত এত বড় সাহস হয়নি একজন মুসলমানকে এমন নির্মম ভাবে মারার ।

আজ আমাকে দুঃখের সাথে বলতে হয়েছে, একাত্তর সালে  বাঙ্গালী মুসলমানরা  কি অপরাধ করেছিল?কেন আমার মুসলমান বাঙ্গালী আর মুসলমান পাকিস্তানি ভায়েরা কেন এত জুলুম অত্যাচার করে  মাত্র নয় মাসের ব্যবধানে তিরিশ লক্ষ মুসলমানকে নির্মম ভাবে হত্যা করল ? কেন দু তিন লক্ষ মা বোনের ইজ্জত লুটা হলো ।কেন মুসলমানেরা অসহায় মুসলমান ভাইয়ের বাড়িতে আগুন দিয়ে লুটপাট করলো?কেন কই তারা তো কোন খারেজি ছিল না । তারা তো ইসলাম বা প্রবিত্র কোরআন নিয়ে কোন কটুক্তি করেনি ?কেন এত ধ্বংশযজ্ঞ?

কারবালার মরুপ্রান্তরে যে লোম হর্ষক ঘঠনা মুসলমানরা ঘঠাল,চৌদ্দশ বছর পরে এসে ঠিক সেই রকম ঘঠনাই পঁচাত্তরের পনরই আগস্ট গঠালো ধান মন্ডির বত্রিশ নাম্বার বাড়িতে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মম ভাবে হত্যার মাধ্যমে ।সে ইতিহাস সবাইরই জানা ।তারপর আবার বন্দি অবস্হায় হত্যা করা হলো খালিফার সমতুল্য আমাদের জাতিয় চার নেতাকে ।তারা সবাই ছিল মুসলমান ।খুনিরা শুধু মুসলমানের আগে ব্যবহার করে খাঁটি ।

                                                                              -----ফারুক, জার্মানী ।







Sunday, July 28, 2013

কলঙ্ক তিলক,

আচ্ছা ভাই বলুন তো, মেয়ে লোকের কোন জায়গায় টিপ দিলে ভাল লাগে? কি পেসে গেলেন ভাই, তাহলে আমিই বলে দেই, উত্তর হলো কপালে।হাঃ হাঃ হাঃ।
আচ্ছা তা হলে আরেকটা প্রশ্নের উত্তর দেন তো এবার, রাজনীতিবীদদের কোন জায়গায় তিলক লাগলে ভাল লাগে? কি ভাই এবারো, তাহলে শুনুন তার চরিত্রে। আমাদের দেশের অনেক রাজনীতিবিদের কপালেই কলঙ্ক তিলক লেগেছে। তার মধ্যে আমার প্রিয় একজন নেতা সেন বাবুর কপোলে। এবার লাগলো আমাদের অনেকরই প্রিয়,( বিশেষ করে যারা টকশো এবং ফেসবুক ব্যবহার করেন অথবা যারা  রনি ভাইয়ের কলাম গুলি নিয়মিত পড়ে থাকেন)রনি ভাইয়ের চরিত্রে ছোট করে একটা কলঙ্কের তিলক লেগে গেছে।ডিজিটেল যুগের তিলক তো, মূহুর্ত্যেই এটার রৌশন সারা বিশ্বে চড়িয়ে ঝলমল করিতেছে।

এবার একটা ছোট গল্প শুনুন ভাই।আমাদের দেশে এক ধরনের চামচা নেতা কেডার,বা মাস্তান আছে।অঞ্চল বেধে আমরা কেউ  আবার উপোস নেতাও বলে থাকি। ঠিক এ রকমই এক চামচা নেতা একদিন ঘরে এসে তার বউ এর সাথে ধাপ দেখায়ে বললো, তোর কাছেই আমার কোন দাম নেই, শহরে বন্দরে গেলে দারোগা পুলিশ পর্য্ন্ত আমাকে চ্যায়ার চ্যায়ার লয়ে দৌড়ায়, মানে চেড়ে  দেয়।
বউ বললো তোমার এত পাওয়ার (মানে দাম বা ক্ষমতা) কই আমাকে তো একদিন একটু শহরে নিয়া গিয়ে দেখালে না?
স্বামি রেগে গিয়ে বললো, তুই দেখতে চাস? সত্যিই দেখতে চাস?
বউ তো নাচার বান্দা বললো হ্যাঁ  আমি দেখতে চাই।
স্বামি বেচারা একটু চিন্তায় পড়ে গেল, তবু বউয়ের কাছে হারতে নারাজ, পরে শাহস করে বললো চল্ এক্ষুনি চল।
বউটা তড়িগড়ি করে  সেজেগুজে তৈরি হয়ে স্বামির সাথে শহরের দিকে চললো স্বামির পাওয়ার দেখতে।
রেল লাইনের পাশে দিয়ে যেতে যেতে পাওয়ার পুল স্বামিটা  ভাবছে তার বউকে আজ কি ক্ষমতা দেখানো যায়?এই সময় দুরে দেখা গেল একটা ট্রেন আসছে । হঠাৎ একটা বুদ্ধি খেলল তার মাথায়, তার বউয়ের লাল রঙের ওড়নাটা টেনে লয়ে নাড়তে লাগলো। ট্রেন চালক বিপদ সংকেত মনে করে ট্রেনটা থামিয়ে নীচে নেমে স্বামি লোকটার দিকে ছুটে এল। স্বামী লোকটা তখন সবে মাত্র তার বউকে বলছে এ্যই দেখছ আমার কত বড় পাওয়ার এত বড়ে একটা ট্রেন থামিয়ে দিলাম, দেখছ, দেখছ আমার কত বড় পাওয়ার আছে।শুধু তুমি একটুও দাম দেওনা।
ট্রেন চালক ব্যপারটা বুঝতে পেরে কাছে এসে লোকটার দু গালে কষে দু চড় বসিয়ে দিল।
এবার লোকটার বউ বললো, হ দেখছি তোমার এত হ্যঁডম থাকলে   বলো তোমাকে লকমাস্টার এত জোরে এ ভাবে থাপ্পর মারল কেন?

স্বামি বললো আরে পাগলি বুঝলি না আমি  আমার হ্যাঁডম দেখালাম আর ঔ লোকটা ওর হ্যাঁডম দেখাল  আর কি ব্যপারটা বুঝলা না।
বউ বললো হ বুঝছি লও বাড়ি যাই আর হ্যঁডম দেখানোর কাম নাই।

আমাদের রনি ভাইয়ের অবস্হাটাও হলো ঠিক তেমনি।উনি সংবাদিক দু ভাইকে মেরে উনার পাওয়ার দেখাল, আর পুলিশ উনাকে গ্রেপতার করে আইনের পাওয়ার দেখাল।

অবশ্য এরকম কলঙ্কের তিলক বাংলাদেশের  অনেক জানু জানু প্রথম সারির নেতার চরিত্রে ও লেগে আছে।আমাদের সুরঞ্জিত বাবু তো কালো বিড়ালের তিলক লাগায়ে  প্রধান মন্ত্রির খোয়ারের গৃহ পালিত  পশুতে পরিনত হয়েছেন।হায়রে বিধি  জানু রাজনিতি বীদদের কি অপূর্ব পুরুষ্কার।
আগের দিনে দেখেছি এই সব জ্ঞানি লোকদের চরিত্রে যদি ভূল বসত কোন দিন এই  তিলক লাগত,তো তাঁরা গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করতেন।আর এখন দেখি আরো বড় পুরুষ্কার গ্রহন করেন।
আর রনি ভাই তো একজন হাইব্রিট নেতা।বিগত দিনে উনার কান্ডজ্ঞান দেখে মনে হল উনি যেন  টাকা দিয়ে নমিনেসন কিনে মন্ত্রি তো দুরের কথা একজন উপ মন্ত্রি বা একজন উপদেস্টাও হতে না পেরে ঈমাম গাজ্জালির আদর্শে প্রভাবিত এই তরুন নেতার  এত খোব ছিল আওয়ামী লীগের উপর।রিতিমত উনি বেসামাল হয়ে গেছেন পুঁজি উঠাতে।পার্টির আদর্শ উদ্দেশ্য নিয়ম নিতীকে তোয়াক্কা না করে উনি সমালোচনায় মুখোর হয়ে উঠেছেন।সমালোচনা করা ভালো কিন্তু পার্টির বিরুদ্ধে অবস্হান নেওয়া মানে নিজের পাঁয়ে কুড়াল মারা।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বিশাল এক বটগাছের মত রাস্তার ধারে গজিয়ে উঠেছে।কি মধুর অনাবিল ছায়াই  না দিত গাছটা।এক সময় দিশেহারা ক্লান্ত পতিক এই বটগাছের নীচে বিশ্রাম নিয়ে শ্রান্ত হতো।এমন কি একদিন সমগ্র বাঙ্গালি জাতি এই বিশাল বট গাছের ছায়ায় সমবেত  হয়ে মুক্তির নীল নকসা এঁকেছেন।আজকে হয়তো সেই ঐতিহাসিক বটগাছটায় কিছু জ্বীন ভূত পেত্নি শকুন বাজ পাখি আর আপনার মত কিছু কাক পক্ষির আকড়ায় পরিনত হয়েছে।কিন্তু আমার বিশ্বাস এটা কোন দিন স্হায়ি হবেনা।একদিন জ্বীত ভূতরা পালিয়ে যাবে, শকুন আর বাজ পক্ষিরা উড়ে যাবে নতুবা মরে যাবে।আবার এই বট গাছটা আরো সবুজ এবং সতেজ হয়ে একটা হিজল বৃক্ষে পরিনত হবে, আবার এই গাছটায় গানের পাখিরা উড়ে এসে বসে মধুর কন্ঠে গান গাহিবে, আবার ক্লান্ত পতিকরা এই গাছের ছায়ায় বসে শ্রান্ত হবে।কারন এই বটগাছটার নিচেই পূজা প্রর্থনার উত্তম স্হান।

.......ফারুক জার্মানি।


 

Monday, July 1, 2013

ডাঃ ইউনুসকে নিয়ে যত তর্কবিতর্ক।

বাংলাদেশের এক জন কৃতি সন্তান এর নাম প্রফেসার ডাঃ মুহাম্মদ ইউনুস।এ কথা নিঃসন্দেহে আজ সারা বিশ্বে সিকৃত।তিনিই এক মাত্র বাংলাদেশি বাঙ্গালী, যিনি শান্তিতে নোভেল পুরুষ্কার পেয়ে তাঁকে ও তার জন্মভূমি বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে মিডিয়া এবং অনলাইনের মাধ্যমে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেন।শুধু নোবেল পুরুষ্কার নয়, তার মত এত পুরুষ্কার বাংলাদেশেতো নয় সারা বিশ্বেও আজ পর্যন্ত কেউ পায় নাই।তার কারনেই প্রবাসে আমাদের নতুন একটা ইমেজ তৈরি হয়েছে। যদিও নোভেল প্রাইজটা তাঁকে ও তাঁর প্রতিস্টিত প্রতিস্টান গ্রামিন ব্যংককে যৌত ভাবে দেওয়া হয়েছে।এ কথাটি ভাবতেই গর্বে আমার বুকটা পুলে উঠে।

তাঁকে যেদিন এই নোভেল প্রাইজটা দেওয়ার ঘোষনা করা হলো, সে দিন আমার কর্মস্তলে এক কলিগ এসে প্রথম আমাকে খবরটা শুনালো।আমি তো শুনে খুশিতে আত্মহারা।ঐদিন আমার সহকর্মিটা সারক্ষন কাজের পাঁকে পাঁকে ডাঃ ইউনুস সম্পর্কে নানান প্রশ্ন আমাকে জিজ্ঞেস করলো।আমি তখন ডাঃ ইউনুস সম্পর্কে তেমন কিছুই জানিনা।ডাঃ কামাল হোসেন যখন আওয়ামী লীগ থেকে বাহির হয়ে গন ফোরাম নামে একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেন, তখন পত্র পত্রিকায় তার ব্যপারে কিছু খবর পড়েছি, ওটুকুই।তবুও সেদিন আমি ঐ সহকর্মিটার কাছে সত্য মিথ্যা ডাঃ ইউনুসের অনেক গুনগান করলাম,এবং বাঙ্গালীরা যে অনেক জ্ঞানি ও বুদ্ধিমান, এবং এর আগেও আরো যে দুটা নোভেল প্রাইজ ঘরে তুলেছে, সে কথাটি তাকে বার বার বলে শুনালাম।

সত্যিই ডাঃ ইউনুস একজন মহান ব্যক্তি।অতচ তাঁকে নিয়ে দীর্ঘ দিন যাবত বাংলাদেশে পক্ষে বিপক্ষে অনেক তর্ক বিতর্ক চলিতেছে।পত্র পত্রিকায় ফেসবুকে ব্লগে,কতো রকমের লেখালেখির পরেও বর্তমানে টকশোতে ভাঁড়দের বেফাঁস কথা বার্তা শুনেই আমার এ লেখার অবতারনা।

প্রথমে আমাকে বলতে হচ্ছে, সবাই বলে এবং বিশ্ববাসি জানে যে ডাঃ ইউনুস একজন ক্ষুদ্র ঋনের উদ্যক্তা।আসলে ক্ষদ্র ঋনটা কি, এবং কি ভাবে দেওয়া হয়।তিনি নাকি আশি লাখ দরিদ্র নারিকে এই ঋন দিয়ে আসছেন।একটাকা করে দিয়ে আসলেও প্রতি মাসে তিনি আশি লাখ টাকা দিয়ে থাকেন।এতটাকা তিনি কই পান কে তাঁকে এত টাকা জোগান দিয়েছেন,বা দেন।

আমরা সবাই জানি তিনি উচ্চ শিক্ষিত, এবং প্রফেসারি ডাক্তারির মত অনেক ডিগ্রিও তাঁর আছে।এক সময় তিনি প্রচুর লেখালেখিও করেছেন।কিন্তু আমার মত মুর্খের মনে বার বার একটা প্রশ্নই গুরপাক খাচ্ছে,যে তিনি এতটাকা কোথায় পেলেন, কে তাকে এতটাকা জোগান দিয়েছেন্।

আমার মনে আরেকটা প্রশ্ন জাগে গ্রামিন ব্যাংক যদি একান্ত তারি ব্যক্তিগত সম্পদ হয়ে থাকে, কিংবা আশি লাখ দরিদ্র নারি সদশ্যেরই হয়ে থাকে কি করে সরকার তাঁর বা তাঁদের ব্যক্তিগত সম্পদ কেঁড়ে নিয়ে যাবে? এটা কি মগের মুল্লুক?কই বাংলাদেশে তো আমারও কম বেশি ধন সম্পদ আছে, কই সরকার তো কেঁড়ে নিল না।সরকারের বাপের শক্তি আছে আমার সম্পদ কেঁড়ে নেওয়ার?

এবার আসা যাক ক্ষুদ্র ঋনের কথায়, ক্ষুদ্র ঋনটা আসলে একটা সমিতির মত।এই ঋনটা যে শুধু দরিদ্র নারি কে দেওয়া হয় তা ঠিক নয়। প্রতিটা গ্রুপে দু একজন স্বচ্চল নারিকে ও রাখা হতো।আমি স্বচোক্ষে দেখেছি বিশ জন নারিকে এক করে সবাইকে পাঁচ হাজার টাকা করে মাথা গুনে প্রথমে একজনকে একসাথে  একলাখ টাকা দিয়ে দিল, পরের মাসে সবাইর কাছ থেকে আবার পাঁচ হাজার টাকা করে লয়ে অন্য আরেক জনকে একলাখ টাকা দেওয়া হলো।পরে দেখা গেল বিশ মাসে ঋনের কিস্তী দিতে দিতে দেড় লাখে পোঁছে গেছে।এভাবে প্রতি জন থেকে দেড় লাখ টাকা করে লয়ে বিশ মাসে দেখা গেল বিশ জন থেকে দশ লাখ টাকা মুনাফা খেলো গ্রামিন ব্যাংক।পৃথিবীর কোন ব্যাংক গ্রামিন ব্যাংকের মতএত বেশি সুদ নেয় না।
অতচ এই আন্চলে এই ক্ষুদ্র ঋনের  সিস্টেমটা ছিল একটা চিরাচরিত নিয়ম। দশ জন এক সাথে কাজ করলে সবাই প্রতি মাসে সমিতি করে দুচার পাঁচ শত টাকা করে একেক মাসে একজন নিত।বা ব্যাংকে জমায়ে আয় উন্নতি করত।ডাঃ ইউনুস  গ্রামিন মানুষের সেই সিস্টেমটাকে কাজে লাগায়ে আধুনিক ক্ষুদ্র ঋনের জনক হয়ে গেলেন।

তার পর প্রশ্ন আসে সত্যিই কি বর্তমান সরকার তাঁর উপর ক্ষুদ্ধ? নোভেল বিজয়ি একজন সন্মানিত ব্যক্তিকে সরকার কেন অসন্মানি করবে?তার অনেক গুলি কারন আছে। তিনি ক্ষুদ্র ঋনের প্রথমে কাজ শুরু করেছেন সরকারি টাকা দিয়েই।তার পর যখন ব্যবসা জমে উঠেছে, তিনি এক দিকে গ্রামিন ব্যাংকের মত আরো অনেক প্রতিস্টান গড়ে তুলে আস্তে আস্তে সরকারের শেয়ারটা চোশা আমের বিচির মত সরকারকে ফিরিয়ে দিতে থাকলেন। আবার অন্য দিকে তিনি দরিদ্র নারিকে দেখাযে বিদেশ থেকে কুঠি কুঠি টাকা সাহায্য এনে নিজের সিন্ধুকে ভরলেন।এমন কি দেশের টাকা গুলি তিনি বিদেশে বিনিয়গ করে তাঁর ব্যবসার প্রসার করতে লাগলেন।বিদেশী প্রচার মাধ্যমেই প্রথম তাঁর বিরুদ্ধে প্রচারনা শুরু হয়।তার পরই তার দেশের সরকারও তাঁর পিছে লেগে যায়।

 তিনি এ পর্যন্ত যত গুলি পুরুষ্কারের টাকা পেয়েছেন, সে টাকার যদি এক আনি ও তিনি বাংলাদেশে কোন উন্নয়ন কাজে ব্যয় করতেন তা হলে হয় তো বাংলাদেশ আরো কিছুটা উন্নতি করতে পারতো। দেশে কতো আপদ বিপদ গেল, আজ পর্যন্ত শুনি নাই তিনি কোন সৎ কাজে দু এক টাকা খরচ করেছেন, মানুষের  মঙ্গলের কাজে।

তার পিছে বর্তমান সরকারের লাগার মেইন কারন হলো, আমাদের মহান স্বাদিনতার নেতৃত্ব দান কারি বাংলাদেশ আওয়ামি লীগ স্বধীন সার্বভূমিত্বে বিশ্বাস করে।এই দলটি এক সাগর রক্তের দামে কেনা বাংলার স্বাধিনতা অখন্ড রাখতে সদা সচেস্ট।অবশ্য নিন্দুকেরা বলে দলটি দেশকে নিজের সম্পত্তি হিসেবে মনে করে।এটা সম্পূর্ন একটা মিথ্যা কথা।আওয়ামি লীগ চায় না হাজার হাজার বছর ধরে  পরাধিনের ঘানি টানা  শোষিত বাঙ্গালীর উপর আরো কোন ওলন্দাজ হার্মাদ মগ বেনিয়া মার্কিনীরা এসে স্বাধিন বাংলাদেশের মাটিতে এসে তাম্বু ফেলে ঘাঁটি তৈরি করুক।

ডাঃ ইউনুস যেমনি উচ্চাখাঙ্কী তেমনি উচ্চ বিলাসিও। তিনি একবার ডাঃ কামালকে দিয়ে প্রথমে অপচেস্টা করেছিলেন আওয়ামী লীগকে ভেঙে খন্ড বিখন্ড করে নিজেই রাজনিতির প্রান প্রদিপে পিরে আসতে।সে সময় তাঁর ভাষনেই গন ফোরামের গঠন তন্ত্র প্রকাশ পায়।পরে অবস্তা বুঝে তিনি সরে পড়েন। তার পর ফকরুল মহিউদ্দিনের তত্ববধায়ক সরকারের সময় তিনিই সব কল কবজা নাড়তে থাকেন।একদিন তিনি নিজেই ঘোষনা করলেন তিনি বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট হতে চান।আবার অবস্হা বেগতিক দেখে সরে পড়লেন।রাজনিতির কথা আর মুখেই আনেন না। শুরু করলেন অন্য পন্হা অবলম্বন।
তিনি বিদেশিকে দিয়ে বাংলাদেশকে হুমকি ধমকি দিতে লাগলেন। বাংলাদেশের উন্নতির প্রতিটা ধাপে তিনি বিদেশে বসে কল কবজা নেড়ে বাধা হয়ে সৃস্টি করলেন।তিনি নিজেই নিজের দোষে একজন বিতর্কিত মানুষে পরিনত হলেন।আজ বাংলাদেশে এত বড় রাজনিতিক ক্রাইসিজ যেতেছে, অতচ তিনি কোন গুরত্ব পূর্ন ভূমিকা পালন না করে রহস্য জনক ভাবেই অবস্হান করছেন।এত এত সমস্যা দেশে তিনি কোন একটা সমস্যার ব্যপারে একটু সৎ পরামর্শও জাতিকে দিতে ব্যর্ত্য হলেন, পারলে আরো সমস্যা সৃস্টি করে দিতে পারেন।

ব্যক্তি জীবনে তিনি মাত্র দুটা কন্যা সন্তানের জনক, তাও তারা আমেরিকার নাগরিক। এত টাকা পয়সা তিনি কি করবেন। আসলে তিনি শত শত পুরুষ্কার পেলেও মানুষের ভালবাসার মত শ্রেস্ট পুরুষ্কার এখনো তিনি পাননি।চুয়াত্তর বছর বয়সি ডাঃ ইউনুস বাংলার ইতিহাসে  একজন বিতর্কিত ব্যক্তি হয়েই থাকবেন,এটাই ধ্রুব সত্য।

       -----ফারুক জার্মান প্রবাসি।
 

Thursday, June 27, 2013

এরশাদের একাল সেকাল---!









বর্তমানে বাংলাদেশের রাজনীতিতে হোসেন মুহাম্মদ এরশাদ একটি ফ্যক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটা জাতির জন্য লজ্জাও কলঙ্কের বিষয়। দীর্ঘ নয় বছর কতো আন্দলন সংগ্রামের মাধ্যমে ভার্সিটি এলকায় পানি বিক্রেতা ১২-১৩ বছরের কিশোর বাদশা থেকে নুর হোসেন ডাক্তার মিলনসহ অসংখ্যা প্রাণের বিনিময়ে ৯০ এর ৬ই ডিসেম্বর ঐতিহাসিক গনউভ্যত্থানের মাধ্যমে এই দুষ্ট স্বৈরচারের পতন ঘটে।পৃথিবীর সকল স্বৈরচারদের নির্মম মৃর্ত্যু হলেও এই স্বৈরচার ভাগ্যক্রমে বেঁচে যায়। এটা আমাদেরই চরম ভূল।কথায় আছেনা সাঁপ মেরে লেজঁ জিন্দা রাখতে নেই।

১৯৮২ সালের মার্চ মাসের তেইশ বা চব্বিশ তারিখের দিকে তখন বাংলাদেশে চলছিল মেট্রিক পরিক্ষা । আমি তখন ছয়ানি বাজারে চা দোকানে বন্ধুদের সাথে চা-খাচ্ছিলাম। সম্ভবত বাংলা প্রথম পত্রের পরিক্ষা চলছিল ।টেপে জারি গান বাজছিল।হঠাৎ দেখি কেশ টেবিলে বসা লোকটি গান বন্ধ করে খবর ধরলেন। কিচুক্ষনের মধ্যে দেখি দোকানের সামনে অসংখ্য মানুষ এসে জড়ো হয়ে দাঁড়ায়ে  খবর শুনতে লাগলো।তাজা এবং গরম খবর।জেনারেল এরশাদ   জেনারেল জিয়ার  মত রাষ্ট্রপতি আবদুর ছাত্তারকে বন্দুকের নল দেখায়ে ক্ষমতা দখল করে নিয়েছে। অনির্দিষ্ট কালের জন্য সামরিক আইন মার্শাল-ল জারি করা হলো। আমি লক্ষ করলাম সাথে সাথে গ্রামীন মানুষের চোখেমুখে আতঙ্কের চাপ ফুটে উঠলো।আমরা কিন্তু মাইজদীর পোলা হিসেবে একেবারে নর্মাল ছিলাম।কি আর হবে স্বৈরচার আইয়ুবের শাসনামল না দেখেলেও স্বৈরচার জিয়ার শাসনামল তো দেখেছি।

সবাইকে শান্তনা দিয়ে তাচ্ছিল্যের ভঙ্গিতে বললাম,কি আর হবে, কয়দিন আর্মিকে দিয়ে রাস্তাঘাট পরিষ্কার করাবে, তারপর হ্যাঁ না ভোট দিবে, খালি মাঠে গোল দিয়ে নিজে নিজেকে বিজয়ি ঘোষনা করবে,নিজেই  দেশের প্রেসিডেন্ট হবে।রাজ কোষের কুঠি কুঠী টাকা খরচ করে দল গঠন করবে।জগতের সকল সৈরচারিরা তো এমনই করে।জোর করে ক্ষমতায় যেতে পারলেই নেসালিস্ট পার্টি ঘঠন করা তাদের চরিত্রের লক্ষন।গনতন্ত্র না হয় কিছু দিনের জন্য আর্মির বুটের তলায় আর তাদের জলপাই রঙের কনভয়ের চাকার নীচে পিস্ট হবে, আর চেয়ে বেশি আর  কি হবে?

 পরিক্ষা চলাকালিন সময় আমি বেশ কয়দিন সেখানে ছিলাম।ছয়ানিতে আমার এক বোনের বাড়ি থাকার কারনে সেখানের অনেক গনমান্য লোকের সাথে আমার পরিচয় ছিল।ইতিমধ্যে আমাদের শহরে আর্মিরা এসে ঘাঁটি গেঁড়ে বসলো।একেবারে ঠিক পাঞ্জাবীদের মত।একাত্তরের প্রথম দিকে ঠিক পাঞ্জাবীরাও এভাবে এসে আতঙ্ক সৃস্টি করলো আমাদের মাইজদী শহরে।আর্মিরা এসে শহরের দোকান দারদেরকে মারধর শুরু করে দিল,কারো কারো  জরিমানা ও করেছে । কেন পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নাই্? কেন ডাস্টবিন নাই? এই সব কারণে মারছে,জবর দস্তি সবাইকে দিয়ে রাস্তা ঘাট পরিষ্কার করাতে লাগলো। খালে বিলের কচুরিপানা জঙ্গলা জাঙ্গলি চাপ করায়ে পিজের ড্রামে রঙ রাগিয়ে ডাস্টবিন বানিয়ে কোনায় কোনায় বসায়ে দিয়ে একেবারে চাপচুত্র পরিপাটি করে ফেললো।

।প্রতিদিন মা্ইজদী থেকে খবর পাই।আমার মা বাবা এবং বড় ভাই সবাই আমাকে নিয়ে তটব্যস্ত, চিন্তায় অস্তির। আমার মাথার চুলগুলি ছিল একটু লম্বা টাইপের। আর্মিরা  লম্বা চুলওলাদের দেখলে নাকি বিষম মারে, এমন কি জেলে ও দেয়।প্রতিদিন আমার ভাই এসে এমন তাজা তাজা গুলি চোড়ে আমার দিকে।শাড়ি পরা মেয়েদের যদি মাথায় গোমটা না থাকে তাহলে নাকি মাথার চুল কেটে দেয়। নাভী উদাম থাকলে নাকি আলকাতরা লাগিয়ে দেয়।আমাদের মাইজদী শহর নাকি এখন অন্য রকম হয়ে গেছে।আরো কতো বাজে খবর শুনাতো আমার ভাই। গ্রামের কেউ কেউ শুনে বলতো মিলিটিরিরা উচিত কামডাই করিতেছে।

আমাকে জনম দেওয়া মাইজদী দেখার জন্য আমি অস্হির হয়ে উঠলাম।রিতিমত কৌতুহলিও। আমি জানি আমার ভীরু বড় ভাইটার স্বশুর বাড়িটাও এই এলাকায় থাকার ধরুন ও ডরে ভয়ে প্রতিদিন নিজের বাড়ি ঘর চেড়ে গ্রামে চলে আসে।আর এসে আমাকে সাবধান করে, তুই এই লম্বা চুল নিয়ে বাড়ি যাইস না, আর্মিরা দেখলে খবর আছে।

ভাইয়ের কথায় আমি রিতিমত বিরক্তিবোধ  করতাম। যে আমি কবি নির্মলেন্দু গুনের মত হুলিয়া মাতায় রেখে শহরের থানা পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিয়ে আমার মায়ের আঁচলের তলে গিয়ে আবদ্ধ হতাম। সে আমি একদিন অনেক অনিকের চোখকেও ফাঁকি দিয়ে বাড়ি চলে গেলাম।মা তো আমাকে দেখে আতঙ্কিত হয়ে বললো বাবা তুই  তাড়াতাড়ি চুল কাটিয়ে আয়।মায়ের অনুরোধে আমি তখন সেলুনে গিয়ে চুল কাটিয়ে এলাম, মা দেখে বললো, না ছোট হয় নাই আবার যা লক্ষিটি চুল কাটিয়ে আয়।আমি মায়ের কথা মত আবার গিয়ে চুল কাটিয়ে এলাম।  পরের দিন গেলাম  শহর দেখেতে।বাহ! সত্যিই শহরটা ঝকমক করছে একেবারে চাপচুত্রা।প্রতিটি দোকানের সামনে কালো পিজের ড্রাম কেটে রাঙিয়ে আমাকে ব্যবহার করুন ডাস্টবীন সোভা পাচ্ছে।বড়সড় গাছ গুলোর গোড়ায় চুনের শাড়ি পরানো হয়েছে।কোর্ট বিল্ডিংয়ের সামনে বড় দিঘীর পাড়ে মাঠের মধ্যে সামরিক আদালত বসানো হয়েছে।বিচারপতি হলেন  বিগ্রেডিয়ার রাব্বানি সাহেব।

পুরো শহর গুরে ফিরে গেলাম আর্মির বিচার দেখতে।যেয়ে দেখি আমার বাবার বয়সি এক বৃদ্ধ লোককে আর্মিরা ছাতি ব্যগ  কাপড় চোপড় সহ বড় দিঘীতে নামায়ে সাঁতার কাটাইতেছে।তার অপরাধ চর থেকে আসা লোকটি নগরের নিয়ম কানুন না জেনে আর্মিদের বানানো পেন্ডেলের ভিতর বিনা অনুমতিতে ডুকে পড়েছে।তাই এমন  জগন্য সাজা দেওয়া হলো।বৃদ্ধ লোকটি পানি খেয়ে ডুবে যাবার দশা হলে আর্মিরা উঠে আসতে বলে।সেদিন অসংখ্য উৎসুখ জনতার সাথে দাঁড়িয়ে আমি এরশাদের সামরিক আইনের একটি নোংড়া বিচার দেখলাম।

ঠিক এরকম জেনারেল জিয়ার আর্মিরা ও সাধারন মানুষের উপর জগন্য অত্যাচার করেছে।আমি নিজেও একদিন তাদের অত্যাচারের শিকার হয়েছি।একদিন মাইজদী কোর্ট স্টেষনে জিয়ার আর্মিরা অনাহুত এমন জোরে আমার দুগালে দুটা থাপ্পর দিয়েছে যে আমি গুরে পড়ে বেহুঁষ হয়ে গেছি। বেশ কয় ঘন্টা পরে আমার হুঁস আসে।আমার অপরাধ ছিল আমি তাদের সামনে ধুমপান করেছি।
যাক জিয়ার কথা, আসি এরশাদের কথা। একটা স্বাধিন দেশে সামরিক আইন জারি করে দিয়ে এই কুখ্যাত এরশাদ স্বাধিন জনতার উপর অনেক অত্যাচার করেছে।বাংলার সহজ সরল নিরিহ মানুষেরা অল্প কয়দিনের মধ্যেই যেন ভুলে গেছে তার অত্যাচারের কথা।যখন দিকে দিকে শ্লোগান উঠছে আর্মি বেরাকে ফিরে যাও, তখন এই চতুর এরশাদ সামরিক আইন লগু করে যুব সংহতি নামে প্রথম একটি রাজনৈতিক দল গঠন করে।যাক আমার একটা ধারনা ঠিক হলো।

তারপর একদিন একটা খবরের কাগজে একটা খবর শুনে আমি রিতিমত অবাক বিশ্মিত হলাম, যে এরশাদ নাকি আটাইশ বছর পরে সন্তানের বাপ হলো।এই আটাশ বছর এরশাদ আটকুড়া ছিল।আগের প্রেসিডেন্ট সাত্তারও নাকি আজীবন আটকুড়া ছিল।খবরটা কিছুতেই আমার বিশ্বাস হলো না সেদিন।কি করে সম্ভোব?

এই এরশাদ জনগনের মৌলিক ক্ষমতা দখল করে তার আর্মি পুলিশ লেলিয়ে দিয়ে প্রথমে ভার্সিটি এলাকায় মধ্য ফেব্রুয়ারিতে পানি বিক্রেতা বার তের বছরের  বাদশা নামে একটা কিশোরকে গুলি করে হত্যা করে।এই কেশোরকে নিয়ে তখন বাংলাদেশ লেখক শিবির এর পক্ষে কথাশিল্পি আহম্মেদ ছপার নির্দেশে সুনাট্যকার মামুনুর রশিদ একটা নাটক লিখে 'ক্ষুধিরামের দেশে” নামে নাটকটির ছাত্রনেতার চরিত্রে আমি অভিনয় করেছিলাম।কি যে মর্মান্তিক বাস্তব ঘঠনা নিয়ে নাটকটি লেখা ছিল, যারা নাটকটি দেখেছেন বা পড়েছেন অবশ্যই তারা অবগত আছেন।
তারপর ডাঃ মিলন থেকে নুর হোসেন পর্যন্ত এই সৈরচার এরশাদ অসংখ্য তাজা প্রান জরিয়ে দিয়ে কতো  মায়ের বুক খালি করেছে, কে তার হিসেব দিবে।সবাই তাকে বলে সৈরচার আর বিশ্ব বেহায়া, কিন্তু কেহ তাকে খুনি বলে না।এরশাদ একজন প্রকৃত খুনি।তার নামে অসংখ্য কেইছ হয়েছে বোধহয় খুনের মামলা হয়নি।
অনেক অপরাধে অপরাধি এরশাদ। এখানে তার কয়েকটি অপরাধের  কথা আমি তুলে ধরছি যেমনঃ-
১, এরশাদ গনভোটে  নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে জবরদস্তি বন্দুকের নল দেখায়ে হঠিয়ে দিয়ে ক্ষমতা দখল করেছে, এখানে সে রাস্টোদ্রহি অপরাধ করেছে।
২, সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান হত্যার সাথে এরশাদ জড়িত।
৩, রাজ কোষের কুঠি কুঠি টাকা খরছ করে রাজনৈতিক দল গঠন করেছে।এটা তার একটা চরম অপরাধ।
৪, সে  একজন খুনি, তার নির্দেশে অনেক মানুষকে হত্যা করা হয়েছে।খুনির বিচার হওয়া উচিৎ।
৫, রাস্টের কুঠি কুঠি টাকা খরচ করে সে মাঝারে মাঝারে গিয়েছে, এবং কুঠি কুঠি টাকা মাঝারে দান করেছে।শুধু আজমীর সরিফে ১৯৮৬ সালের জুলাই মাসের দিকে সে দান করেছে বিশ কুঠি টাকা।
৬,কুঠি কুঠি টাকা বিদেশে পাচার করেছে, মিডেলইস্টে তার নিজশ্ব ব্যবসা প্রতিস্টান আছে।
৭, ক্ষমতায় থেকে নিজের স্ত্রি ঘরে থাকতে নারিবাজি করেছে,এবং নামে বেনামে অনেক সম্পদ গড়েছে।
৮,এই এরশাদ তিরিশ লক্ষ সহীদ আর লক্ষ লক্ষ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের মহান স্বাধিনতার সাথে মশকরা করে পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট মরহুম জিয়াউল হকের কাছ থেকে `` খোদ পাকিস্তানি”খেতাব গ্রহন করেছে।
এগুলি ছিল তার চরম অপরাধ।

এই স্বৈরচারি এরশাদ আর্মি অডিনেন্স গঠন করে অবৈধভাবে জবরদস্তি নয় বছর ক্ষমতায় থেকেছে।
১৯৯০ সালের দিকে জনগনের  তুমল আন্দলনে ক্ষমতা চাড়তে বাদ্য হয়ে পাঁচ বছর কারাবরন করতে হয়েছে।যে এরশাদ কারাগারে বন্দি থেকে নিঃসর্ত আওয়ামি লীগকে সমর্তন দিয়ে যাবৎজীবন সাজা  কিংবা ফাঁসির দড়ি থেকে মুক্ত বা প্রাণে বাঁচলো।সে এরশাদ কেমন করে এখন রাজনৈতিক পেক্টর হয়ে যায়।তাকে নিয়ে কেনই বা এত টানাটানি হবে।কি আছে তার কাছে।অদুর ভবিষ্যতে তার জাতিয় পার্টির কোন অস্তিত্বই টিকে থাকবে না।আমাদের মত আগামি প্রজন্মও তাকে একদিন প্রত্যাক্ষান করবে।সেদিন বেশি দুরে নয়।


আমার কাছে মনে হয় এরশাদ গ্রাম বাংলার একটা ভাঙা সেতু।
আবার আমার কাছে মনে হয়, এরশাদ মরুভূমির একটা চর্মসার উট,
আবার আমার কাছে মনে হয় এরশাদ শিশুর খেলনা কাঠের টাট্টু ঘোড়া, 
সব অপকর্মের হেতু।


আমার কাছে মনে হয় এরশাদ পত্র পল্লবহীন একটা বটগাছ।
আবার আমার কাছে মনে হয় এরশাদ জবুথবু বৃষ্টি ভেজা একটা
খেক শিয়াল,গৃহস্তের মোরগ নয়, চায় একদুটা সুটকি মাছ।


আমার কাছে মনে হয় এরশাদ দুর্গত মহামারি অভিসাপ।
আবার আমার কাছে মনে হয় এরশাদ খরা বন্যা, ঘুর্নিঝড়।
আবার মনে হয  এরশাদ একটা মরা নদী,তাকে কখনও করা
যায়না মাপ।

                                    -----ফারুক, জার্মানি।
 

Tuesday, June 25, 2013

ভালবাসা একটি মিথ্যা শব্দ,

ভালবাসা যে একটি মিথ্যে শব্দ,
বুঝেছি  তা আমি অনেক দিন
পরে এসে।তোমাকে আমি ভালবাসি
এই মিথ্যে ভুলি তুমি বহুবার আওড়ায়েছ,
তোমার চামড়ার মুখে হেসে হেসে।

ভালবাসার নামে তুমি আমাকে দেখায়েছ,
একটি বিশাল রঙিন আকাশ।কতো জোসনা
ভরা রাতে,  হাত রেখে হাতে, ভালবাসার কতো
মহাকাব্য করেছ প্রকাশ।

ভালবেসে মোহময়ি বেশে বদলে দিয়েছ মোরে।
মুক্তপথে চলতে দাওনি আমাকে আমার মত করে।
দুযুগ পরে এসে বদলে গেছ তুমি, কি অভিনবরুপে
অভিনয় করে।

বুঝিনি তোমাকে, বুঝেছি তোমার ভালবাসা।
তোমার ভালবাসার নামে, কুড়ায়েছি দুনিয়ার
যত হতাশা।খুজোনি আমাকে, খুজেছ আমার
শরির,ছুঁতে পারনি হৃদয়,বর্বরের মত করেছ
মেলামেশা।

Tuesday, May 28, 2013

দু নয়ন ভরে আমরা দেখেছি

দু নয়ন ভরে আমরা দেখেছি মহান স্বাধিনতার মুখ।
তাই তো আমাদের ঘরে ধরা দিয়েছে, পৃথিবীর যত
ছিল সুখ । স্বাধিনতা স্বাধিনতা তুমি গুছায়ে দিয়েছ
আমাদের যত ছিল দুঃখ।


স্বাধিনতা তোমার জন্যে আমরা দিয়েছি এক সাগর রক্ত।
স্বশস্র যুদ্ধ করে পরাধিনের শৃঙ্খল ভেঙে হয়েছি মুক্ত।
বাংলার মাটি থেকে তাড়িয়ে দিলাম হায়েনা শকুন।
বাংলার মুক্ত আকাশে উড়িয়ে দিলাম বিজয় কেতুন।
রক্তিম সূর্যটা আমাদেরকে দেখায়েছে আলোর মুখ।


স্বধিনতা ঔ আমার স্বাধিনতা, তুমি সুখ তুমি শান্তি।
আমাদের জীবনে নেই আর কোন ক্লান্তি।
ভ্রান্তির ভেড়াজাল আমরা ভেঙে দিয়েছি।
মুক্ত আকাশে শান্তির পায়রা আমরা উড়িয়েছি।
স্বাধিনতা, তুমি আনন্দ,তুমি ব্যদনা, তুমি সর্ঘ সূখ।


বিঃদ্রঃ- আগের লেখা আমার এ গানটা এখন কি মিথ্যে প্রমান হলো?

 

আমলা নেতা চোরের দেশ---

আমলা নেতা চোরের দেশ সে আমাদের বাংলাদেশ।
লজ্জাবতি মায়ের দেশ, সে আমাদের বাংলাদেশ,
বাংলাদেশ বাংলাদেশ------
এমন দেশটি কোথাও খুজে পাওয়া যাবেনা।
যে দেশেতে চোর ডাকাতের বিচার হয়না।
যে দেশেতে খুন খারাবির বিচার হয়না।
যে দেশেতে দুর্নিতীবাজ ঘুষখোরের বিচার হয়না।
আন্ধা কানুনের একটি দেশ সে আমাদের বাংলাদেশ,
বাংলাদেশ বাংলাদেশ----
সবুজ স্যামল ফলে ফুলে ভরা, আমাদের দেশটা
দেখতে বড় সুন্দর।বার বাটপার তের কোঁৎপাল
হলো দেশটা মাতাব্বর।মিথ্যাবাদি মুকোশ দারির
নাইরে শেষ, সে আমাদের বাংলাদেশ, বাংলাদেশ,
বাংরাদেশ।
ঔ ভাই এদেশেতে  নিত্য নতুন কতো অঘটন ঘটে।
এদেশেতে মানুষের ভাগ্য, মানুষে খায় লুটেপুটে।
দুঃখ কস্ট যন্ত্রনার নাইরে শেষ, সে আমাদের
বাংলাদেশ বাংলাদেশ।

মাগো.. শুধু তোমায় ভালবাসি বলে......

মাগো-- শুধু তোমায় ভালবাসি বলে, 
আমি নেতা হতে পারলাম না।
একজন খাঁটি মানুষ হতে গিয়ে,
পেলাম শুধু দুঃখ আর যন্ত্রনা।

মা গো পড়ে আছি অচিন পরবাসে,
প্রতিক্ষন তোমার কথা শুধু মনে আসে।
কতো ব্যথা আর ব্যদনায়,
হলাম চিন্নভিন্ন, প্রানে আর সহেনা।

মা গো নিতিহীন নেতা যারা,
কামড়ায়ে খেল তোমায় তারা।
মাকড়োসার মত মাগো তুমি,
ছোট আমার প্রিয় জন্মভূমি,
দেহ থেকে দানবদেরকে কেন,
জেড়ে ফেলে দাওনা।

মা গো হায়েনা শকুন গিধর যত,
জনম নিবে তোমার পেটে কে জানিত।
সবাই চাটুকার চাপাবাজ, লম্পট লুটতোরাজ,
ঔরা নেতা নামের কলঙ্ক,বন্ধ কর উল্লু ধ্বনি
সঙ্ক।তোমাদেরকে নেতা বলে মানতে পারিনা।

প্রবাস আমায় যা দিয়েছে।

প্রবাস আমায় যা দিয়েছে তার চেয়ে বেশি খয়ে নিয়েছে।
দুঃসহ যন্ত্রনায় আমার জীবন বন্দি হয়ে আছে।

নির্মম এ প্রবাসের অলিতে গলিতে, কেটে গেল আমার
একটি জীবন।তারি মাঝে হারালাম মাতা পিতা
কতো স্বজন পরিজন।

কোথায় যেন হারিয়ে গেল আমার সকল বন্ধু বান্দব।
ভালবাসার ব্যথা এত ভয়ানক কি করে সম্ভব।

কোথায় যেন হারিয়ে গেল শৈশবের অতসি দিনগুলি।

প্রতিদিন প্রতিক্ষন, বুকের ভিতর হয় ব্যথার ক্ষরন।
মনে হয় যখন তখন, হয়ে যাবে আমার মরন।

হৃদয় মাঝে উতলি উঠে হাজারো সৃতি।
দুনয়নের মোটা মোটা জলে বাঁধি করুন গিতী।
 

আমার দুঃখবোধ ও প্রত্যাশা,

   

 

                                                                                                                                                                        ১,--এ নববর্ষে আমার প্রত্যাশা আমাদের প্রিয় সোনার বাংলাদেশটি পরম বাংলাদেশে পরিণত হয়ে সমগ্র বিশ্বের মাঝে একটি আদর্শবান রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্টা পেয়ে এক অভিনব দুষ্টান্ত স্হাপন করুক।

আমার প্রত্যাশা মুক্তিযুদ্ধের মুল চেতনা বাস্তবায়িত হয়ে মুক্তি যুদ্ধের চেতনায় ভর করে বাংলাদেশ তর্ তর্ করে শান্তির সোফানে  বেয়ে উন্নতির চরম শিকড়ে পুঁছে যাক। আমার প্রিয়  এদেশে সৌম্য সাম্য সমতা ন্যয়বিচার প্রতিষ্টিত হউক।উন্নত সমাজ ব্যবস্হা কায়েম হউক।

যাদেরকে বঙ্গ বন্ধুর পরবর্তি নেতা  ভাবতাম, যাদেরকে আমি আদর্শ মনে করতাম, যাদেরকে আমাদের পরবর্তি প্রজন্ম আদর্শ মনে করার কথা ছিল, তাদেরকে এখন আর আমি আদর্শ মনে করিনা। আর আগামি প্রজন্ম ও যে আদর্শ মনে করবে, সে কথাও বিশ্বাস করিনা।

এক সময় সিরাজুল আলম খান, আ,স,ম, আবদুর রব, তোপায়েল আহম্মেদ, নুরে আলম, কাদের ছিদ্দিকী,সবাইকে আমি আমিার আদর্শ মনে করতাম,এবং আদর্শবাদি দেশ প্রেমিক নেতা ও মনে করতাম।যাদের কথা শুনলে গায়ের পশম খাড়ায়ে যেত।কোনদিন স্বচোক্ষে দেখিনি, তবু হাতের মুস্টি কষে মনে মনে বলতাম আমি উনার  মত ভাগা বাঙ্গালি হবো।সে বাঘকে এখন আর শেয়াল ও মনে হয়না।জানিনা এখন কেন যেন মনে হয় ওনা রাই আমাদের গৃহ সত্রু।ওনারাই দেশের দুষমন।

 

 

----অসমাপ্ত

Friday, May 24, 2013

আলিমের কাছে জালিমের ছবক শিখতে হবে না।

                   


আমার পূর্ব পুরুষরা খাঁটি মুসলমান ছিলেন।আমার দাদার বাবা পরদাদা হাজি ছিলেন। উনার নাম ছিল ইসলাম হাজি নামে খ্যাত ছিল । উনার নামানুসারে আমাদের বিশাল বাড়িটা ইসলাম হাজির বাড়ি নামে সুপরিচিতি পেয়েছে ।পরবর্তি বংশের তৃতীয় জেনারেসনের চাচা জেটা বড় ভাই বোন অনেকেই হজ্ব করেছেন।আল্লাহ তৌপিক দান করলে আমারও হজ্ব করার ইচ্ছে আছে ।ইনশআল্লা!

আমরা সবাই  সবসময় আল্লাহভীরু মানুষ। এবাদত বন্দেগী আমাদের পারিবারিক জীবনের অনুষাঙ্গিক বিষয় । এতে কোন আলসেমি বা নস্টেমি নাই ।সবাই মহা নবীর আদর্শে বিশ্বসী।সবাই ইসলামে পাঁচ স্তম্ভ ও পাঁচ কালেমা মেনে চলি ।আমার মা তিরিশ পায়রা কোরআন শরিফের বারআনাই মুখাস্ত জানতেন।
আমার মা পাড়ার শত শত ছেলে মেয়েকে বাড়ির উঠানে বসায়ে প্রবিত্র কোরআন শরিফ ও ইসলামের আদর্শে শিক্ষিত করে তুলেছেন।আমি নিজেও শৈশবে পাক কোরআন শিক্ষা শিক্ষা গ্রহন করি আমার মায়ের কাছেই । আমার মা আমাদের নতুন বংশকে আধুনিক ইসলামি আদর্শে শিক্ষিত করে তুলেছেন।তাই তো আমি গর্ববোধ করে বলি, আমরা খাঁটি মুসলমান বংশের লোক।

আর তাই আমার বাবা মায়ের শেষ ইচ্ছা অনুযায়ি নোয়াখালি নতুন জেল রোডের পাশে আমার প্রয়াত মা বাবার কবরের পাশে ইসলাম হাজি জামে মসজিদ নামে একটা মসজিদ নির্মান করে দিয়েছি।আজ সে মসজিদে প্রতিদিন শতেশতে পরেজগার মুমিন মুসলমানেরা এসে জামায়াতে নামাজ আদায় করেন। প্রতিদিন সকালে শতে শতে ছেলে মেয়েরা এসে আরবি শিক্ষা গ্রহন করে।গত বছর আমি দেশে গিয়ে মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়ে স্বচক্ষে দেখে আনন্দে অভিভূত হয়ে গেছি।আমি সেদিন আমার মা বাবার নামে মিলাদ শরিফ পড়ায়ে ঘোষনা করেছি এই মসজিদটা আমার কাছে মক্কা এবং মদিনার মত পূত প্রবিত্র। কারন এ মসজিদেরই পাশে আমার প্রিয় মা বাবা গুমিয়ে আছেন।

হাফেজ মোল্লা মুন্সি মাওলানা, আলিম আল্লামা গনদের আমি শ্রদ্ধা করি। আমার জীবনে আমি এরকম অনেক বুজর্গ লোকের সানিধ্য পেয়েছি।ওনারা আমাকে খুবি স্নেহ করতেন।আমি ওনাদের কাছ থেকে দীন দুনিয়া সম্পর্কে অনেক কিছু শিখেছি এবং বুঝেছি।ওনারা  বেশির ভাগই সৎ ও মুমিন লোক হয়ে থাকেন।কচিত হয়তো দু একজন বদচরিত্রের অধিকারি হয়ে থাকেন।আর জগতে সৎ ও মুমিন লোকদেরকেই বিশ্বাস করা যায়।সরকারি প্রশাসনে তথা অফিস আদালতে যদি এমন মুমিন ও সৎ লোকদেরকে বসানো হয়, তবেই প্রশাসন থেকে ঘুষ দুর্নিতি চিরতরে দুর করা সম্ভোব।তবেই উন্নত সমাজ ব্যবস্হা ও গড়া সম্ভবপর হবে আমার বিশ্বাস।

এখানে দু একটি সৃতি কথা আমাকে তুলে ধরতে হচ্ছে, যেমন  উন্নিশ চৌরাশির দিকে আমি আজকের ক্ষতিগ্রস্ত সিরিয়ার রাজধানি দামেস্কে  থাকা অবস্হায় একদিন সকালে নাইট শিপটে কাজ শেষে ভোর বেলায় বাসে করে এসে সৈয়দা জনাব নেমে নিজের
বাসার দিকে যাচ্ছিলাম।তখন আমার বয়স  আঠার কি উন্নিশ ।হঠাৎ আমার পিছন থেকে তিন জন লোক দ্রুত হেঁটে এসে পর পর তিনজনই আমাকে সালাম দিলেন।আমি তাঁদের সালাম এর কোন উত্তর না দিয়েই, হতভম্ব হয়ে তাঁদের দিকে চেয়ে রলাম।

তাঁরা তিনজনই  মাওলানা টাইফের  মুরুব্বি গোচের মানুষ।মুখভরা শূভ্র দাঁড়ি, সফেত পায়জামা, পাঞ্জাবী গায়ে, মাথায় হাতে বুনা গোল টুপি।কপালে কালো মেজ পড়ে আছে। প্রথ্যহ পাঁচওয়াক্ত নামাজ পড়াকারি  লোকের নাকি এরকম মেজ পড়ে ।
তাঁদের মধ্যে একজন লোক বাংলাতে বললো, আপনি কথা বলছেন না কেন ভাই?
আরেকজন বললো, আপনি কি মুসলমান?
আমি অবুঝের মত হ্যাঁ এবং না সুচক ভাবেই মাথা নাড়লাম।
তৃতীয় জন জিজ্ঞেস করলো,  তো আপনি আমাদের সালামের উত্তর  দিলেন না কেন?
আমি অসহায়ের মত বললাম, দেখুন আপনারা আমার বাবার  সমবয়সি হবেন, মুরুব্বি মানুষ,আপনারা আগে এসে পিছন থেকে আমাকে সালাম করলেন।আমি ছোট মানুষ, আপনাদেরকে আগে সালাম করা আমার উচিত ছিল, তাই আগে সালাম করতে পারি নাই বিদায় আমি লজ্জাবোধ করছি।
আমার কথা শুনে লোকগুলি হা হা হো হো করে হাসতে লাগলো, এবার আমি আরো বেশি লজ্জা পেলাম।কিছুক্ষন হেসে প্রথম জন হাসি থামিয়ে  আমাকে একটা  প্রশ্ন করলেন  আচ্ছা বলুন তো আল্লহ বড় না রাসুল বড়?
আমি সাথে সাথে বললাম, আল্লাহ বড়। আল্লহই তো সারা জাহান সৃষ্টি করেছেন ।
উনি বললেন, আপনি ঠিকই বলেছেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিনই সবার বড়, শ্রেষ্ট ও অদ্বিতীয়। যিনী কূল মাকলুকাত সৃস্টি করেছেন।কিন্তু সেই মহান আল্লাহ সয়ং আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ(সঃ) যখন সবেমেরাজ গিয়েছিলেন তখন তাঁকে সালাম করেছেন।সুতরাং,এতে গাবরাবার তো কিছু নেই, বড়রাও ছোটদেরকে সালাম করতে পারে বুঝলেন।
পরে বললেন, দেখুন আমরা পাকিস্তান থেকে এসেছি।আজকে তিন দিন হতে অমুক হোটেলে আছি অনেক টাকা খরচ হচ্ছে। এখানে কম টাকায় কি কোন থাকার  ব্যবস্হা আছে কিনা ?


বললাম হ্যাঁ আছে, এখানে পিলিস্তানী কলোনীতে তারা কামড়া ভাড়া দেয়, জনপ্রতি মাসে সিরিয়ান একশ লিরা, সাথে চুলা হাঁড়ি পাতিল মাট্রাস সবকিছু দিয়ে দেয়।চলুন আমার বাসায়, একটা কামড়া লয়ে দেওয়া যাবে। আমি তিন জন হুজুরকে আমার বাসায় নিয়ে রেঁধে বেড়ে খাওয়ালাম।পরে তাঁদেরকে একটা কামড়া ভাঁড়া করে দিলাম দু সপ্তাহের জন্য।এই দু সপ্তাহ ধরে তাদেরকে নিয়ে গুরে পিরে ঐতিহাসিক এই শহরের বিখ্যাত স্হান গুলি দেখালাম।তাদের সাথে আমার অনেক কথাবার্তা হতো।

তারা তিনজনই ছিলেন করাচিতে তিন মসজিদের প্রেস ঈমান।তিন জনই বেশ কয়বার হজ্ব করেছেন।দেখেছেন সৌদী মুসলমানের হাল অবস্হা, দেখেছেন আরো অনেক দেশের মুসলমানকে, পরিশেষে দেখতে এলেন এজিদের দেশে।প্রচুর অভিজ্ঞতা সম্পর্ন এই লোক গুলি বললেন, এই আরবির জাত মুসলমানরা যদি একজন বেহেশতে যায়, তাহলে বাঙ্গালীরা সবাই বিনা বিচারে বেহেশতে চলে যাবে।ইসলাম ধর্ম থাকলে বাংলাদেশে আছে, আর কোথাও নাই।

সত্যিই আমি সেদিন  অবাক বিশ্মৃত হলাম, তাঁদের মুখে এমন কথা শুনে।
আর আজ দেখি বাংলাদেশে কত রকমের আলেম আল্লামা,কতো রকমের হুজুর মাওলানা।কত রকমের ওয়াজ নছিয়ত। কত রকমের ফতুয়া ফজিলত পাজলামি। কত রকমের ইসলামি দল, লীগ।সবাই মিলে ইসলাম ও নবির আদর্শের বারটা বাজিয়ে দিচ্ছে।সবাইকে কড়জোড়ে বলছি, বন্দ করুন আপনাদের ফতুয়া, আপনাদের কাছ থেকে আর কোন ছবক শিখতে চাই না আমরা। দ্বীনে ইসলামকে আমরা বুকে ধারন করেছি হেফাজতে। আমরা আল্লাহর খাঁটি বান্দা নবিজীর খাঁটি ওম্মত,আপনাদের মুখে সোভা পায়না ইসলাম। 
                                    -------মোহাম্মেদ ফারুক, জার্মানি।

অজ্ঞসব জনপ্রতিনীধি,

সত্যই শক্তি, সত্যই সুন্দর,