Sunday, May 17, 2015

মিথ্যা কথা সত্য কথা, সত্য কথা মিথ্যা কথা,


মিথ্যা কথাকে মানুষ এমন ভাবে ইনিয়ে বিনিয়ে প্রকাশ করে যে আমরা সত্য বলে মেনে নিতে রিতিমত বাদ্য হয়ে যাই।বর্তমানে তো মিডিয়া আর নানা প্রচার মাধ্যম  এমন ভাবে রঙ লাগিয়ে বলে যে সত্য না ভেবে পারা যায়না।আসলে সত্য জিনিসটা কি? সত্যের কি কোন সঠিক সংজ্ঞা আছে?

আমার মনে হয়  জগতে সত্য বলতে কিছুই নেই।মনে প্রাণে অঘাধ  বিশ্বাসই সত্যের মূল ভিত্তি।তত্ব তাত্বিক জ্ঞান বিজ্ঞানে ধ্রুব সত্য বলতে কিছু নেই।আমি যেটাকে সত্য বলে মনে করি, আপনি সেটাকে মিথ্যা বলে  মনে করেন, এমন কি প্রমানও দিতে পারেন। আবার আপনি যেটাকে সত্য বলে মনে করেন সেটাকে আমি মিথ্যা বলে প্রমান করে দিতে পারবো।আমি না পারলেও অন্য কেউ পারবে। আপনি দেখবেন আপনার তত্ব বা আবিষ্কার অটোমেটিক মিথ্যা হিসেবে প্রমান হয়ে যাবে। এটাই চিরাচরিত স্বাভাবিক নিয়ম।

মানব জাতির ইতিহাসের শুরু থেকেই যুগেযুগে কত শত সভ্যতা বিকশিত হয়েছে, আবার কত শত সভ্যতা ধুলয় মিশে গেছে। কালজয়ি দার্শণিকরা জ্ঞান প্রজ্ঞায় কেউ ধর্মের মাধ্যমে আবার কেউ তত্বতাত্বিকের মাধ্যমে কত রকমের দর্শন এবং মতবাদ দিয়ে গেছেন তার  বেশির ভাগই নতুন নতুন দর্শনের আবির্ভাবে মিথ্যা প্রমানিত হয়ে বিলিন হয়ে গেছে।একমাত্র ধর্মের নামে হাতেগনা কয়টা দর্শন টিকে আছে ভয়ানক সত্য হিসেবে।

নির্দশন স্বরুপ বলা যায় দু-নদের মধ্যস্হলের মেচোপটিনিয়া সভ্যতা, ব্যবিলন সভ্যতা, ফেরাউদের সভ্যতা, চেচেন ইৎজারকে গিরে মায়া সভ্যতা,ইমকার সভ্যতা প্যাটরা সভ্যতা, মহেনজুদারু সভ্যতা, গ্রীসিয়, রোমের মত আধুনিক সভ্যতা গুলোও বর্তমান আধুনিক মানুষের কাছে বাতিল মিথ্যা কথাবার্তা চাড়া কিছুই নয়।

মানুষ সৃজনশীল, মানুষ পরিবর্তনশীল এটাই প্রকৃতির নিয়ম ও স্বাভাবিক ধারা। অনাদিকাল থেকেই চলে আসছে এই ধারা, এবং হয়তো অনন্তকাল পর্যন্ত চলতে থাকবে এই ধারা। মানুষ জ্ঞান মেধা প্রজ্ঞা দিয়ে জয় করতে থাকবে কঠিন কঠিন সময়কে।

প্রত্যেক মানুষের মনেই চেতনে অবচেতনে ভাব আসে খেয়াল আসে।একটা শিশুও পাগলেরও আসে।ভাবটা হলো মুদ্রার এপিট ওপিট, যার একপিটে লেখা সত্য, আরেকপিটে লেখা মিথ্যা। সেই সত্য মিথ্যা ভাবটাকে সংসারে সমাজে কিংবা রাষ্টে ভাববাদিরা শুধু সত্যের বীজ হিসেবে  জোর করে মানুষের মগজে বপে দেয় যে, পরে দেখা যায় সেখানে গজায়েছে এক বিরাট মিথ্যার নিষ্ফলা অটবি।আর সেই অটবির মগ ডালে বসে শুধু কাক পক্ষিরাই কা কা করে।

মিথ্যার বিভিন্ন প্রকারভেদ আছে, যেমন গুজবে মিথ্যা সত্য হিসেবে প্রকাশিত হয়ে ভিষন বিশ্বাসে পরিণত হয়। আবার হুজগে মিথা কথা সত্য কথা হিসেবে প্রকাশ হয়।আরেক রকম মানুষ নিজেকে ছালাক স্মার্ট ও জ্ঞানি হিসেবে প্রকাশ করার জন্য অকপটে শুধু মিথ্যাই বলে যায়,আর ভক্তরা তো সত্য হিসেবে বিশ্বাস করতে থাকে।

এক গবেশনায় দেখা গেছে যে শিক্ষিত মানুষরাই বেশি মিথ্যা কথা বলে।দৈনিক পাঁচ শতবার মিথ্যা কথা বলার রেকর্ডও নাকি আছে শিক্ষিত মানুষের। দালাল চাটুকার সাংবাদিক আর রাজনিতীবীদদের ব্যপারে কোন গবেশনা হয়েছে বলে আমার জানা নেই। তবে আমি নিশ্চিত তারাও মিথ্যা কথা সত্য কথা কম বলেন না।

চাকুরিজিবী সাংবাদিকরা তো মিডিয়ার মালিকের অনুমতি চাড়া কোন কথাই বলতে পারেন না। তাই তারা পিটও পেট বাঁচায়ে খবর পরিবেশন করেন।অনেকে আবার আগে দিয়ে সর্ত জুড়ে দেন এভাবে যে নাম না প্রকাশ করার সর্তে অমুক বলেছে যে ------বা গোপন সুত্রে জানা গেছে যে----ইত্যাদি। কি ভয়ানক গাঁজাখোরি ভয়ানক সত্য কথা।

চন্দ্রাভিযান মানব জাতির ইতিহাসে কি ভয়ানক সত্য কথা, ষাট বছর পরেও আমরা সত্য হিসেবে আজো কি গভির বিশ্বাস করি।
নিউইয়র্কের টুইন টাওয়ার হামলা ও বীন লাদেন হত্যা রহস্য কি ভয়ানক সত্য কথা কতভাবে কতরকম আমরা শুনতেছি।
সম্প্রতি সালাউদ্দিন গুম ও শিলং এ উদ্ধার নিয়ে কি ভয়ানক সত্য কথা গুলি শুনে যাচ্ছি, জানি না আরো কতো শুনতে হবে।

আসলে আমরা মানুষরাই অবিশ্বাসকে যত বেশি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি, অন্য কোন প্রাণি সে ভাবে করে না। আমরা মানুষরাই যে ভাবে অখাদ্যকে খাই সেভাবে অন্য কোন প্রাণি খায় না।

আমার কাছে কেন জানি মনে হয়, গনতন্ত্র, সমাজতন্ত্র,ধর্মতন্ত্র,মানবতা বাদি,পরিবার পরিজন তন্ত্র এমনকি ভালবাসাও এক একটি মিথ্যা শব্দ।ধ্রুব সত্য বলতে এই পৃথিবীতে দুটা জিনিস আছে, তা হলো মানুষের জন্ম ও মির্ত্যু।

----------------------------ফারুক,


Thursday, May 14, 2015

ঐতিহাসিক দ্বান্দ্বিক বস্ত্তুবাদ,





জার্মানী দার্শনিক মহামতি কার্ল মাক্স ঐতিহাসিক দ্বান্দ্বিক বস্ত্তুবাদের প্রবক্তা।বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রেরও প্রবক্তা তিনি।দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদ শুধু কল্পনাপ্রসূত  দুরদর্শিতা কোন দর্শণ নয়, এটার একটা বৈজ্ঞানিক ব্যখ্যা বা বিশ্লেষণও আছে। তাই এইটাকে বৈজ্ঞানিক বস্তুবাদও বলা হয়।মাক্স এর মতে মানব ইতিহাসের বিকাশ দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদ পক্রিয়ায় ঘটে থাকে। কোন কারণ ব্যতীত আপনা আপনি দৈব বলে সংঘঠিত হয় না।বস্ত্তুর  আভ্যন্তরেই  দ্বন্দ্ব বা বিরোধ তীব্র আকার ধারন করার পরে যে পরিস্হিতির সঙ্গে যে দ্বন্দ্ব তাহাই তার পরিণতি।

দ্বান্দ্বিক বস্ত্তুবাদ এমন এক প্রজ্ঞাবান দর্শণ যে এইটা দিয়ে পৃথিবীর সব বিষয়কে ব্যখ্যা বিশ্লেষণ করা সম্ভব।আর তাই তো মহামতি কার্লমাক্স এই বস্ত্তুবাদের মাধ্যমে  মানব জাতির ইতিহাস ও সমগ্র বিশ্বকে বড় জোরে একটা নাড়া দিতে সক্ষম হয়েছেন।তিনি প্রকৃতির লিলাখেলা থেকে দ্বান্দ্বিক বস্ত্তুবাদের সুত্রকে আমাদের সামনে খুব সুস্পষ্ট ভাবে তুলে ধরেছেন।
দার্শণিক হেগেল

কার্লমাক্স আইন, ইতিহাস, ও দর্শণের উপর বন ওবার্লিনের হমবল্ট ইউনিভারসিটি থেকে উচ্চতর ডিগ্রি নেওয়ার পর ১৯৪১ সালে ইউনিভারসিটি অফ জেনা থেকে পি এইচ ডি ডিগ্রি লাভ করেন।তাঁর পি এইচ ডির বিষয় ছিল, প্রকৃতি সম্বন্ধে গ্রিসীয় পিলোসপি দেমোক্রেতোসীয় ও এপিকুরোসীয়  দর্শনের মধ্যে পার্থক্য।তাচাড়া তিনি শৈশব থেকেই স্বভাব কবি ছিলেন, আর কবিকে প্রকৃতি থেকেই সঠিক শিক্ষা লাভ করতে হয়। না হয় কবিতার কঠিন ভাষা প্রয়োগ করা অসম্ভব।আবার গুরু মুর্শিদের কাছ থেকেও শিক্ষা গ্রহন করতে হয়। নতুবা তো কোন সাধনাই পরিপূর্ন হয় না।তেমনি মাক্সেরও ভাব গুরু ছিলেন অনেকেই। ফয়ারবাক হেগেল আরো অনেকে।

বিশেষ করে জার্মান দার্শণিক হেগেলের ভাববাদ ও নাস্তিকতাবাদ  থেকেই মাক্সবাদ ও নবভাববাদ বা স্বৈরতান্ত্রিক রাজনৈতিক মতবাদের উৎপত্তি হয়েছে।

এখানে সর্ব প্রথম আমাদেরকে বুঝতে হবে দ্বান্দ্বিক বস্ত্তুবাদ আসলে কি?সোজা কথায় বললে,দ্বন্দ্বটা হলো বিরোধ আর বস্ত্তুটা হলো একটা যে কোন জিনিস বা (Meterial বা  matter)।মুলত দ্বান্দ্বিকতা আসে আড়াই হাজার বছর পূর্বে মহামতি সক্রেটিসের দর্শণ থেকে।তিনি দ্বন্দ্বের মাধ্যমেই আলোচনা করে মানুষকে বুঝানোর চেষ্টা করতেন।যেমন তাঁর একটা উদ্ধৃতি-তারা জানে যে তারা জানে না, আমি জানি যে আমি জানি না।

দ্বান্দ্বিক বস্ত্তুবাদের  মুল উপাদান আসে হেগেলের ভাববাদি দর্শন থেকে। হেগেল পুরো দর্শণ বা জ্ঞানকান্ডকে দুই ভাগে     অর্থাৎ ভাববাদ  Idealism ও বস্ত্তুবাদ     Materialsm   বুঝায়েছেন।হেগেলের মতে সভ্যতার বিকাশ হয় দ্বান্দ্বিক প্রক্রিয়ায়।হেগেলের দ্বান্দ্বিকতাবাদ হলো তিনটি বিষয়ের উপর তিনটি প্রস্তাবের মধ্যে উত্তম প্রস্তাবটির সমন্বয় বা ফলাফল।যেমন একজনে প্রথমে একটা প্রস্তাব বা  থিসিস দিল, অন্যজন প্রতিপ্রস্তাব বা এ্ন্টিথিসিস দিল।আরেকজন এসে কথাটার প্রতিবাদ বা প্রতিপ্রস্তাব দিল।এই প্রস্তাব প্রতিপ্রস্তাব এর মধ্য দিয়ে যে যুক্তিটি অধিকতর গ্রহনযোগ্য তা হলো সিনথিসিস।আবার সিনথিসিসের মাধ্যমে পাওয়া নতুন যুক্তিটি নতুন প্রস্তাব প্রতিপ্রস্তাব হিসেবে আসবে। সেভাবেই নতুন প্রস্তাব তৈরি হতে থাকবে, এবং এই ভাবেই সভ্যতা বিকাশের দ্বান্দ্বিক প্রক্রিয়া অনির্দিষ্টকালের জন্য চলতে থাকবে, তাকেই মুলত বলা হয় দ্বান্দ্বিক বস্ত্তুবাদ।

হেগেলের মতে দ্বন্দ্বের মাধ্যমেই মানুষ পুরান সমাজ ভেঙে নতুন সমাজ গড়বে।সভ্যতার এক স্তর থেকে অন্য স্তরে উন্নীত হবে, এবং সব কিছু সম্ভব হবে নতুন নতুন ভাব বা আইডিয়ার মাধ্যমে।কিন্তু কার্ল মাক্স এর মতে প্রত্যেকটি বিষয়ের পিছনে একটা বস্ত্তু কাজ করে,প্রস্তাব, প্রতি প্রস্তাব আসবে ঠিক আছে, কিন্তু ভাব থেকে নয় বরং বস্ত্তু থেকে আসবে।মাক্স মনে করেন বস্তুবাদের এই দ্বান্দ্বিক প্রক্রিয়া  সম্পূর্ন ভাবে বৈজ্ঞানিক উপায়ে চলতে থাকবে, এবং নতুন নতুন সমাজ ও সভ্যতা বিকশিত হবে, এটাই হলো মাক্সিয় দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদ।

হেগেলের দ্বান্দ্বিক বস্ত্তুবাদ আর কার্ল মার্ক্সের দ্বান্দ্বিক বস্ত বাদের মধ্যে অনেক পার্থক্য।দুই মতবাদের এই পার্থক্য নির্ণয় করতে গিয়ে আমরা অনেকেই হোঁচটা খাই।এখানে কার্ল মার্ক্স নিজেই বলেছেন,হেগেলের দৃস্টিতে চিন্তা বা ধারনাই হলো জগত স্রষ্টা এবং প্রকৃত জগত হচ্ছে মন নির্ভর জগত।পক্ষান্তরে আমার কাছে মনে হয় বস্তু জগতই হচ্ছে একমাত্র জগত বা আদর্শ, এবং মানুষ তার মনের সাহায্যে এই বস্ত্তু জগতকে চিত্বের চিন্তার মাধ্যমে জানতে চেষ্টা করে।মার্ক্স মনে করেন বস্ত্তুই হলো একমাত্র সত্বা, এবং গতি হলো তার স্বাভাবিক ধর্ম।বস্ত্তুর অস্তিত্ব মনের উপর নির্ভরশীল নয় বরং মনের অস্তিত্বই বস্ত্তুর উপর নির্ভরশীল।



---- ফারুক,

x

Monday, May 4, 2015

সাম্যবাদ বা কমিউনিজম,

 

সাম্যবাদকে ইংরেজিতে Communism, বলা হয়।লাতিন শব্দ Communis  শব্দ থেকে কমিউনিজম এবং কমিনিষ্ট শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে। কমিউনিস এর মানে এজমালি বা সর্বজনীন।কমিউনিষ্ট মানেও হলো সর্বজনীন।কমিউনিষ্ট সমাজ  ব্যবস্হাটাই হলো সর্বজনীন,ভূমি,কলকরখানা, শ্রম,সমান অধিকার,কর্তব্যের অধিকার,এবং শ্রেণীহীন সমাজ।এই সব মিলেই হলো সাম্যবাদ।

 মোট কথা, সাম্যবাদ হলো সমাতন্ত্রের একটি উন্নত স্তর, বা চুরান্ত শিখড়।সেখানে যেতে হলে বা সাম্যবাদ সমাজ গড়তে হলে ধাপে ধাপে মানুষকে এগুতে হবে, অর্থাৎ সমাজের সকল অসংগতি এবং সকল বৈশম্য দুর করে,নাগরিকের সকল মৌলিক অধিকার পুরন করে, উন্নত জাতি ও সুসংগঠিত সমাজই হলো সাম্যবাদি সমাজ।

 সাম্যবাদ আর সমাজতন্ত্রের মধ্যে পার্থক্য হলোঃ----

 ১,সমাজতন্ত্রে শ্রেণী বিলোপের সুত্রপাত ও বৈরী শ্রেণীদের বিলোপ ( abolition of classes) আর কমিউনিজমে সমস্ত শ্রেণীর উচ্ছেদ ও লোপ (classes disappear)।

২, সমাজতন্ত্রে কিছুটা কাল যাবৎ বুর্জোয়া চেতনাগত অধিকারই শুধু নয়, রাষ্ট্র ও টিকে থাকে।আবশ্যিকতার রাজ্য। আর কমিউনিজমে বুর্জোয়া চেতনাগত অধিকার ও রাষ্ট কি‍ছুই থাকবে না।মুক্তির রাজ্য।

৩, সমাজতন্ত্রে প্রলেতারিয়েতের একনায়কত্ব থাকে আর কমিউনিজমে কোন শ্রেণীরই অস্তিত্ব থাকে না।শ্রেণীহীন সমাজ।

৪, সমাজতন্ত্রে বেতন ও মজুরির অনুপাত সমান থাকে এবং পরে কাগজি ভাউচার থাকে, আর কমিউনিজমে বেতন বা মজুরির কোন অস্তিত্বই থাকে না।

৫, সমাজতন্ত্রে স্হায়ী সেনাবাহিনীর বদলে গনমিলিশিয়া থাকে, আর কমিউনিজমে কোন বাহিনীনিরই অস্তিত্ব থাকে না।

৬, সমাজতন্ত্রে কায়িক ও মানসিক, শিল্প ও কৃষি, দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমের ভাগ থাকে, আর কমিউনিজমে কোন ভাগ থাকে না।

৭, সমাজতন্ত্রে মালিকানার দুই রুপঃ, সর্জবনীন ও সমবায় মূলক, আর কমিউনিজমে একরুপঃ সমাজের।

৮, সমাজতন্ত্রে শ্রম হলো, জীবন
ধারনের উপায়, আর কমিউনিজমে জীবনেরই প্রাথমিক প্রয়োজন হলো শ্রম।

 

 

সাম্যবাদের  দুটা স্তর আছেঃ

 

১, সমাজতন্ত্র নিম্নতম স্তর--এ পর্বে উৎপাদনের উপায়ে সমাজতান্ত্রিক মালিকানা হলো এর অর্থনৈতিক ভিত্তি। সমাজতন্ত্র উৎখাত ঘঠায় ব্যক্তিগত মালিকানার ও মানুষ মানুষের শোসনের বিলোপ ঘঠায় শ্রেণীর বিলোপ ঘঠায় অর্থনৈতিক সংকটের ও বেকারীর, উন্মুক্ত করে উৎপদনী শক্তির পরি কল্পিত বিকাশ ও উৎপাদন সম্পর্কের পূর্নতর রুপদানের প্রান্তর।

 

২,সম্পূর্ন কমিউনিজম উচ্চস্তরেএ- পর্বে শ্রম অনুসারে বন্টন চেড়ে সমাজ এগিয়ে যাবে চাহিদা অনুযায়ি বন্টনের দিকে।বাস্তবায়িত হবে কমিউনিজমের মুলনীতি, প্রত্যেকের কাচ থেকে সামর্থ অনুযায়ী, এবং প্রত্যেক চাহিদা অনুযায়ী।শ্রেণী লোপ পেয়ে  লোকদের সম্পূর্ণ সামাজিক সমতায় সমাজ হয়ে উঠবে শ্রেণীহীন।

 

 

 

 

------ফারুক।

Tuesday, April 28, 2015

সমাজতন্ত্রের প্রবক্তা কে?




                       সমাজ তন্ত্রের প্রবক্তা কে ....?









*সমাজতন্ত্রের প্রবক্তা কে?

* সমাজতন্ত্র   Sicialism কি?

* মাক্সবাদ কি?

* বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র কাকে বলে?

* সাম্যবাদ  Communism  কি? 


* কমিনিষ্ট  Communist  কি?






এ রকম  অনেক প্রশ্নই আমাদের  মাথায় মগজে মননে  আসা স্বাভাবিক।সমাজ তন্ত্রের সঠিক প্রবক্তা কে? আমার কাছে এটা একটা জটিল প্রশ্নই মনে হয়।আমরা সবাই জানি কার্লমাক্সই সমাজতন্তের প্রবক্তা, আসলে কি তাই?এখানে একটু বিশ্লেসন করা দরকার মনে করছি।



এঙ্গেলস
 
 
 
 
 
 
 
 
ফরাসি দার্শনিক রুসো
যেমনি প্রাচিন গ্রীসে খ্রিষ্টপূর্ব ৩০০শত থেকে ৬০০ শত সতাব্দীর মধ্যে ঘটে যায় এক নতুন সভ্যতার বিপ্লব।জন্ম নেন দার্শণিক মহামতি সক্রেটিস, প্লেটো, এরিস্টেটল, ঈশপ, ডেমোক্রেটাস ক্লাইদিনেস    সহ অসংখ্য দার্শণিক।তাঁদের সবারই লেখনে এবং বলনে ফুটে উঠেছে গনতন্ত্রের কথা।পরে প্লেটো এসে রিপাব্লিক নমে বই লিখে এটার সংজ্ঞা বা রুপরেখা প্রনোয়ন করেন।

ঠিক তেমনি ১৪০০ সালের পর থেকে একে একে  সমগ্র ইউরোপ জুড়ে বিশেষ করে ইটালি,ফ্রান্স,জার্মান ইসপেন, সুিইডেন ইংল্যান্ডে জন্ম নিতে থাকেন অসংখ্য বুদ্ধিজিবী তথা কবি সাহিত্যিক দার্শণিক,বিজ্ঞানি, শিল্পি এবং স্তপতি।তাঁদের মধ্যে আবার বেশ কয়জন হয়ে উঠেন কালজয়ি।সেই যুগ বা  সময়টাকে ইতিহাস রেনেসাাঁর যুগ বা নবজাগরণের যুগ বলে।




যেমনঃ-জার্মানী দার্শনিক হেগেল, ফয়ার বাক.কান্তা, গোতে, শিলা, কার্লমাক্স, এঙ্গেলস,বিজ্ঞানি কেপলার ফরাসি দার্শনিক, রুসো, কোঁত, রনি, সহ অনেকে।





১৭৭৯-১৭৯৯ সালের মধ্যে সাম্য, স্বাধিনতা, ভাতৃত্ব, নতুবা মির্ত্যু এই মন্ত্রে, ঘঠে যাওয়া ফরাসি  বিপ্লবের মাধ্যমে ইউরোপে গনতন্ত্র উত্তরনের এক নতুন অধ্যায়ের সুচনা হয়।বিশ্লেশকের মতে দার্শণিক রুসো, জঁ-জাক, রুসোর খুর ধার লেখনিতে সাম্য, সমাজবাদ ফুটে উঠলেও, সমাজবিদ্যা বা সমাজ বিজ্ঞানের প্রবক্তা ছিলেন ওগোস্ত কোঁত।

সে যাই হউক ইমানুয়েল কান্ত, হেগেল ফয়ার বাক সহ অনেকের লেখাতে বিশ্ব শান্তি সমাজবাদ বা সমাজতন্ত্রের কথা উঠে আসলে ও এটার আধুনিক রুপ রেখা প্রনয়ন করেন মহামতি কার্লমাক্স।তিনি এঙ্গেল্সের সাথে যৌতভাবে সমাজ তন্ত্রের বৈজ্ঞানিক ব্যখ্যা দিয়ে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখায়ে দিয়ে গেছেন।সমাজতন্ত্রের মুল রুপরেখা ও দ্বান্ধিক বস্তুবাদ ১৯৪৮ সালের দিকে কমিনিষ্ট পার্টির ইশতেহারে উপস্হাপন করার পর  বিশ্বব্যপি যে ঝড় তুলে, তা আজো সারা বিশ্বে তত্ব ও তাত্বিক ভাবে অত্যান্ত গুরুত্বপুর্ন।
এছাড়া মহামতি কার্লমাক্স দ্যাস ক্যাপিটেল বা পুঁজি নামে বই লিখে সমাজতন্ত্রের রুপরেখা সমাজ পরিবর্তনের উপায় গুলি দর্শণ দৃষ্টিতে বিশ্লেসন করে উপস্হাপন করে দেখিয়ে দিয়েছেন।তার জীবনের শেষ তেতাল্লিশ বছর তিনি ব্যয় করেছেন এই মহা মুল্যবান বইটি রচনার পিছে।জীবিতাবস্হায় মাত্র একখন্ড প্রকাশিত হয়েছিল,আর বাঁকি তিনখন্ড তার মৃর্ত্যুর পর তারি বিশিষ্ট বন্ধু এঙ্গেলস প্রকাশ করেছিলেন।
উনবিংশ শতাব্দী ধরে তো  মার্ক্সবাদের ভিত্তিতে দুনিয়ার মজদুর এক হও, এই শ্লোগানে  ভলশেবিক বিপ্লবের মাধ্যমে দেশে দেশে সমাজতন্ত্র কায়েমের লক্ষে স্বশস্ত্র বিপ্লব শুরু হতে লাগলো।সেই সময় জন্ম নিলেন বেশ কয়জন কালজয়ি বিপ্লবি নেতা।মহাবীর লেনিন, স্টালিন স্ট্রুটস্কোভ, মাও,চেগুয়েভারা, কাস্ত্রো, কিম জন ইল,হোচিমিন,  বাঙ্গালী মানবেন্দ্র রায় সহ অনেকে।

ফরাসি দার্শনিক কোঁত


* সমাজতন্ত্র কি?

এই প্রশ্নের উত্তর খুব সোজা ও স্বাভাবিক।আমরা সবাই শৈশবেই একপাকে জেনেছি যে সমাজতন্ত্রের মানে হলো, সমাজতন্ত্র সম্পুর্ন গনতন্ত্রের বিকল্প রাজনৈতিক অর্থনৈতিক এবং সামাজিক একটা জীবন ব্যবস্হা।আমরা আরো বুঝেছি যে মিলকারখানা প্রাকৃতিক সম্পদ সবকিছু থাকবে রাষ্ট মালিকানায়। পাবলিকের যার যা কিছু লাগবে,অন্ন বস্ত্র বাসস্হান কর্মস্হান, শিক্ষা শান্তি প্রগতি সবকিছু সমবায় ভিত্তিতে প্রয়োজন অনুসারে সুসমবন্টন হবে সবার মাঝে। থাকবেনা সমাজে কোন শ্রেণী বৈশম্য।এমনকি শিক্ষায় দীক্ষায় সুশিক্ষিত হয়ে প্রলেতারিয়েতরাই রাষ্ট ক্ষমতা পরিচালনা করবে।প্রলেতারিয়েত মানে শোসিত জনগন।খেত মুজুর শ্রমজিবী ইত্যাদি।  এটার একটা বৈজ্ঞানিক সমাধানও আছে, যাকে বলে ঐতিহাসিক দ্বান্ধিক বস্তুবাদ, এবং এটা একটা যুগান্তরকারি সমাধান ও।সমাজতন্ত্র কায়েমের পরে আবার সাম্যবাদি সমাজ ব্যবস্হার কথাও বলা হয়েছে।সাম্যবাদ হলো সামাজতন্ত্রে উপরের উন্নত স্তর।সাম্যমৈত্রির ভিত্তিতে সুন্দর শোসনহীন ঝগড়া বিবাধহীন সমাজ ব্যবস্হার কথাই বলা হয়েছে।

  সমাজতন্ত্র (Socialism) হলো দু ধরনেরঃ একটা হলো কল্পোলৌকিক বস্তুবাদি সমাজতন্ত্র, আরেকটা হলো বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র।
কল্পোলৌকিক বস্তুবাদি সমাজতন্ত্র হলো---পুর্ন সমাজতন্ত্র কায়েম করা যাক আর না যাক যতটুকু সম্ভোব শ্রমজিবী মানুষের মঙ্গল করা হবে।কার্লমাক্সের জন্মের আগেও রাজনীতি বীদরা শুধু মুখে মুখে বলে বেড়াত।হলে হলো, না হলে কি যায় আসে--এমন আর কি।

সমাজতেন্ত্রর অনেক গুলি বৈশিষ্টও আছে, যেমনঃ-

* সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্হায় প্যধান বৈশিষ্ট হলো মিল কারখানা খেত-খামার এর সব উপকরন সামাজিক রাষ্ট্রীয় মালিকানাধিন থাকবে।
* এর অর্থনৈতিক ব্যবস্হায় জাতীয় আয় সুষমভাবে বন্টিত হয়।এই অর্থব্যবস্হায় জাতীয় আয় বন্টনের মূলনীতি হলঃপ্রত্যেকে তার নিজ নিজ যোগ্যতা  অনুযায়ী কাজ করবে, এবং কাজ অনুযায়ী পারিশ্রমিক পাবে।এভাবে আয় ও সম্পদের সুষম বন্টন নিশ্চিতের মাধ্যমে ন্যয় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়।
* এই অর্থনৈতিক ব্যস্হায় ব্যক্তি মুনাফার কোন সযোগ থাকে না।
* এই অর্থনৈতিক ব্যবস্হায় দেশের উৎপাদন ও বন্টন ব্যবস্হা দেশ বা সমাজের কল্যানের দিকে লক্ষ রেখে করা হয়।
অর্থ্যাৎ সামাজিক কল্যান সাধনই এই অর্থ ব্যবস্হার মুল উদ্যেশ্য।
* সমাতান্ত্রিক ব্যবস্হায় উৎপাদন, বন্টন, বিনিয়োগ ইত্যাদি ব্যবস্হাপনার জন্য কেন্দ্রিয় পরিকল্পনা কতৃপক্ষ থাকে।
* সমাতান্ত্রিক ব্যবস্হায় শ্রমিকদের শোষনের কোন সুযোগ থাকেনা এবং প্রত্যেকেই সমান সমান সুবিধা ভোগ করে।
*সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতিতে মানুষের সকল মৌলিক প্রয়োজনিীয়তার নিশ্চয়তা করা হয়।
* সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্হায় কৃষি শিল্প শিক্ষা সাস্হ্য, যোগাযোগ প্রভৃতি খাতে যথাযত গুরত্ব সহকারে উন্নয়ন করা হয়।
* সমাজতান্ত্রিক অর্ব্যথবস্হায়  কেন্দ্রীয় কতৃপক্ষের পরিকল্পনা মাপিক সকল অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাই বেকারহীনতা ও মুদ্রাস্ফীতির সম্ভাবনা থাকে না।
* এই অর্থনৈতিক ব্যবস্হায় পরিকল্পিত উপায়ে উৎপাদন ও বন্টন ব্যবস্হা পরিচালিত হয় বিদায় অতিউৎপদন বা কম্ৎপাদন সন্কট দেখা দেয় না।
* সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্হায় দ্রব্যের মূল্য পুঁজিবাদের ন্যয় চাহিদা ও যোগানের ঘাত প্রতিঘাত অনুযায়ী নির্ধারিত হয় না। কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা কতৃপক্ষই দ্রব্যসাগ্রীর দাম নির্ধারন করে থাকে।


আজ বড় হয়ে যাহা বুঝেছি, আমার কাছে মনে হয়. গনতন্ত্র আর সমাজতন্ত্র আসমানের চাঁদ আর সুর্য এর মত দুটি গ্রহ বা নক্ষত্র।যা ধরা ছোঁয়ার বাহিরে কিংবা ক্রোশ ক্রোশ মাইল দুরে। সত্যিই সেটা আমাদের নাগালের অনেক অনেক দুরে।যেটা দেখা যায় অতচ কোন দিন ধরা যায় না ছোঁয়া যায় না, শুধু অনুভব উপভোগ করা যায়। পৃথিবীর কোথাও আজ পর্যন্ত গনতন্ত্র সমাজতন্ত্র বলতে যা বুঝায় তা বাস্তবায়িত হয়নি।  নেতারা শুধু এ দুটি শব্দকে নিজ স্বার্থে ব্যবহার করে যাচ্ছে। হত্যা ধর্ষন খুন গুম ভয় ভীতি ধর পাকর দেখায়ে গনতন্ত্র সমাজতন্ত্র কোনদিনও হয়না হতে পারেনা।কায়েম হয় শুধু একপ্রকার আজিব স্বৈরতন্ত্র। আজ পৃথিবীতে হচ্ছেও তাই।

আমাদের বাংলাদেশে আজ ছোট বড় প্রায় ৪৮টা সমাজ তন্ত্র বাদী বা বামদল আছে।কেউ রুশ পণ্হি, কেউ চিন পণ্হি, কেউ আবার ল্যাটিন আমেরিকা পন্হি। কেউ শ্রেণী সংগ্রামের মাধ্যমে স্বশস্ত্র বিপ্লব করে সমাজতন্ত্র কায়েম করতে চায়।আবার কেউ সমাজিক গন আন্দোলন বা বিপ্লবের মাধ্যমে বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র কায়েম করতে চায়।আবার আরেক দল আছে যারা বুর্জোয়াদের, ধনিদের কল্লা কেটে সমাজতন্ত্র কায়েম করতে চায়।
তাজ্জব ও অবাক হওয়ার ব্যপার হলো বাংলাদেশে বড় দুটা দলের মুলনীতি বা মতাদর্শ ও হলো সমাজতন্ত্র কায়েম করা।এবার যতটুকু সম্ভোব ততটুকু।
আঃ লীগের মুলনীতি হলে---গনতন্ত্র, সমাজ তন্ত্র,জাতীয়তাবাদ, ও ধর্মনিরপেক্ষ।
বিএনপি র মুল নীতি হলো--- আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস, গনতন্ত্র, সমাজ তন্ত্র, ও জাতীয়তাবাদ।

আসলে এটা হলো নষ্টমাথার নষ্ট রাজনিতী ছাড়া আর কিছুই নয়।রাজনীতির নামে ভন্ডামি  ভাওতাভিাজি ও প্রতারনা মাত্র।
 
 
 
 
 



মার্ক্সবাদ কি--?
মহামতি কার্লমাক্সের দৃষ্টিভঙ্গি তার লেখা দর্শণভিত্তিক বই এবং দিকনির্দেশনা সমূহই হচ্ছে মূলত মার্ক্সবাদ।তার নামানুসারে তারি বিশিষ্ট বুন্ধফেড্রিক এঙ্গেলস মাক্সবাদ শব্দটি ব্যবহার শুরু করেছিলেন।মার্ক্সবাদ হলো একটি সার্বিক ও সামগ্রিক চিন্তাধারা সমাজ বা রাষ্ট্র দর্শণ।মাক্সবাদ হলো দ্বান্দিক ও ঐতিহাসিক বস্তবাদের মুলভিত্তি বা স্তম্ভ।এটা একটি সামগ্রিক তত্ব উপাত্ত সম্বৃদ্ধ চিন্তাধারা।যা যে কোন জ্ঞান বিজ্ঞান শৃঙ্খলাতেই প্রয়োগ সম্ভোব।লেলিনের মতে মার্ক্সবাদ হলো মহাশক্তিমান স্বত্বা।এটি একটি বিশ্বাসযোগ্যও গ্রহন যোগ্য মতবাদ।জগতকে ব্যাখ্যা করা নয় তাকে বদলে দেওয়াই মার্ক্সবাদের মূল বৈশিষ্ট।

যখন তৎকালিন দার্শণিক আর সমাজপতিরা গরিবি এবং শ্রমজিবী মানুষের দুর্দশাকে নিয়তি আর ঈশ্বর কতৃক অবধারিত বলে প্রলেতারিয়েতের উপর জুলম নির্যাতন চালাতেন। তখন মার্ক্স এসে বললেন না এটা একটা সামাজিক এবং ঐতিহাসক বৈষম্য ছাড়া আর কিছুই নয়।মার্ক্সের উদ্দেশ্য হলো সমাজের এই অর্থনৈতিক সামাজিক বৈশম্য কমিয়ে সমতা ভিত্তিক সুসমবন্টনের মাধ্যমে নতুন সাম্যবাদী সমাজ ব্যবস্হা কায়েম করা।


---চলবে


-----ফারুক, জার্মানী।














Saturday, April 25, 2015

হিটলারের উত্থান পতন ও বাংলাদেশে জ্বীন ভূতের উৎপত্তি,

ছবিটা মোমের, ম্যাডাম তুঁসো যাদু  ঘরের ।

হিটলারের নাম শুনেনি এমন লোকের সংখ্যা পৃথিবীতে খুব কমই আছে।বিংশ শতাব্দির তিরিশের দশকের দিকে সারা বিশ্বে এডলফ হিটলার ছিল এক মহা আতঙ্কের নাম।
জন্ম সুত্রে জানা যায় হিটলারের বাবা এলিওস ছিলেন একজন জারত সন্তান।এলিওস ছিলেন একজন সরকারি চাকুরি জীবি।তার তিন স্ত্রির মধ্যে তৃতীয় স্ত্রির তৃতীয় সন্তান ছিলেন এডলফ হিটলার।তার জন্ম অসিট্রয়ার লিনসে নামে একটি ছোট্ট গ্রামে। হিটলার নামটি তার বাবা কোথায় থেকে পেয়েছেন তা আজো জানা যায়নি।বাল্যকালে হিটলার বাবার কাছ থেকে ছিলেন উপেক্ষিত,এবং বাবাকে সে প্রচুর ভয়ও করত । অল্প বয়সে বাবা মা দুজনকেই হারান।তার পর ফাইন আর্ট কলেজে ভর্তি হওয়ার চেস্টা করলেন,টিকলেন না।পরে গেলেন সেনা বাহিনীতে যোগ দিতে, কিন্তু দুর্বল স্বাস্হের কারনে সেখানেও টিকলেন না।

কি করে এক অসহায় এতিম শিশু থেকে জার্মান বাসীর অধিশ্বর হয়ে উঠলেন হিটলার? তা এক বিশ্ময়!যে শিশু নাকি কিশোর বয়সে ভিয়েনার ফুটপাতে নিজের আঁকা ছবি বিক্রি করে কোন ভাবে খেয়ে না খেয়ে জীবন যাপন করেছিল।কি করে যে কিশোরের বরফাচ্ছন্ন রাতে একটুখানি মাথা গুছাবার জন্য আশ্রয়স্হল ছিলনা।রাতের পর রাত সোসাল হাইমে আর স্টেশনের প্লাটপরমে উদভাস্তুর মত জীবন অতিবাহিত করেছিল। যে কিশোরের গায়ে ছিলনা গরম কাপড়, পাঁয়ে ছিলনা শিতের জুতা।যে কিশোর স্টেশনের প্লাটপরমে শুয়ে শুয়ে নিজকে মনে করত এ বিশাল জনসমূদ্রে এক খন্ড ভাসমান তৃন লতাসম।সে কিশোর কি করে  অস্ট্রিয়াতে জন্ম নেওয়া সত্বেও জার্মানের মত এত বড় একটা দেশের চ্যাঞ্চেলার হয়ে বিশ্ব জয়ের নেশায় উন্মাদ উনমত্ত্ব হয়ে উঠেছিল?যার নেতৃত্বে কেয়ামতের মত দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল এবং যার নিজস্ব নাৎসী বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়ে সত্তর মিলিয়ন এর মত লোককে হত্যা করা হয়েছিল।তার মধ্যে আশি লক্ষ ছিল নিরস্র নিরীহ ইহুদি। আর ধ্বংশস্তুপে পরিনত করেছিল জার্মান সহ পৃথিবীর অনেক দেশের মেট্রপলিটন সিটিগুলো।

সে বর্বর হিটলারে উত্থান হয়  এক অলৌকিক দানবীয় বলে।নতুবা গ্রোসা ফুরার  (মানে বড় নেতা)জার্মানের মত একটা সুসঙ্গঠিত রক্ষনশীল দেশে চ্যঞ্চেলার হওয়ার মত কোন রকম যোগ্যতা ছিলনা তার ।তার এই অসম্ভবকে সম্ভব করে দিয়েছিল সে সময়ের প্রজাতন্ত্রি শাসিত জার্মানের দুর্নিতীবাজ আমলা নেতা কবি সাহিত্যিক সংবাদিক চাপাবাজ চাটুকার বুদ্ধিজিবী এলিট সামাজ।আজকের  আধুনিক ওয়েস্ট মিনিস্ট্রির মতই সে সময় ছিল জার্মানের শাসন ব্যবস্হা।আজকে বাংলাদেশেও ঠিক হিটলারের সময়কার মত রাজনিতীতে  ভূত পেত্নি আর জ্বীনের বাদশার আবির্ভাব ঘটতে যাচ্ছে।

মুলতঃ হিটলারের উত্থান ঘটে জার্মানের শেষ  প্রয়েশেন সম্রাট কাইজার ভিলহেল্ম দ্বিতীয় এর শেষ সময়ে।১৮৭০ দশকে কাইজার ভিলহেল্ম প্রথম এর সময় চ্যঞ্চেলার অটো ফন বিসমার্ক এর রাজনৈতিক প্রজ্ঞার কারনে জার্মানে ঘটে যায় শিল্প বিপ্লব।মিল ইন্ডাস্ট্রি,অটো কার জাহাজ যুদ্ধ জাহাজ বিমান অস্র গোলাবারুদ
নির্মানে  সর্বোতভাবে জার্মান হয়ে উঠে সয়ংসম্পূর্ন ও সম্বৃদ্ধ একটা শক্তিশালি   স্বাভলম্বি রাষ্ট্র।সে সুজগে কাইজারের মাথায় ভূতের মত চেপে বসে আদিপত্ববাদ আর সামরাজ্যবাদ এর ভোজা।যদিও জার্মানির কাইজাররা সব সময় ইংল্যান্ড ইসপেন ও পর্তুগালের রাজাদের চেয়ে কম রাজ্যই ধখল করতে সক্ষম হয়েছিল।তাদের ধখলে ছিল সে সময় নামিভিয়া, পাপুয়া নিউঘিনি, আর টগোর মত ছোট একটা দেশ।মাত্র তিনটা দেশ হলেও  শুধু নামিভিয়াতেই পষ্ণাস হাজার হারেরে উপজাতিকে হত্যার অভিযোগ ছিল কাইজারের উপর।
কাইজার ভিলহেল্ম দ্বিতীয়  বিংশ সতাব্দির দ্বিতীয় দশকে জাগরিবে অস্ট্রিয়ার রাজা এক আততায়ির গুলেতে নিহত হলে  প্রথম বিশ্ব যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে।সে সময় বেকার হিটলার কাইজার আর্মিতে স্বেচ্ছাসেবি হিসেবে নাম লিখিয়ে স্বসস্র যুদ্ধে অংশ গ্রহন করে।জান প্রান উজার করে যুদ্ধ করেছেন জার্মানির জন্য।যুদ্ধের ময়দানে হিটলার স্বচোক্ষে দেখেছে যুদ্ধের লোমহর্ষক ভয়াবহ দৃষ্য আর নিজের সহপার্টির বিভতশ লাশ।লাশের সাথে তাকে থাকতে হয়েছে রাতের পর রাত দিনের পর দিন নোংরা ব্যংকারের ভিতর।হিটলার নিজেও আহত হয়ে বেশ কিছুদিন হাসপাতালেও ছিলেন।

জার্মান অস্ট্রিয়ার অন্যান্য রাজা যেমন রাজা হেরছগ, লুদভিক ফেড্রিক, সবাই ছিল কাইজার ভিলহেল্মের বংশধর।চার পাঁচ বছর যুদ্ধে বিপুল পরিমান ক্ষয় ক্ষতি প্রাণ হানি ও ধবংশের পর কাইজারের  মসনদ নড়েবড়ে হয়ে উঠে।কাইজার হয়ে উঠে দিশেহারা। যুদ্ধাশেষে হিটলার কাইজারের নিয়মিত সেনা বাহিনীতে চাকুরি পাওয়ার সুজোগ পায়।তখন থেকেই হিটলারের ক্যরিয়ার শুরু হয়ে যায়।
যুদ্ধ শেষে পরাজিত কাইজারকে ভার্সাই চুক্তিতে ২২৬বিলিয়ন মার্ক জরিমানা দিতে জবরদস্তি বাদ্য করা হয়।এই চুক্তি জার্মানির সাধারন নাগরিক কোন ভাবেই মেনে নিতে পারেনি।সারা দেশে নেমে এল অসান্তি অসন্তেস।নতুন পুরানো ছোট বড় রাজনৈতিক দলগুলির মাঝে সৃস্টি হলো বিবাধ বিশৃঙ্খলা।কোন ভাবেই কাইজার নিয়ন্ত্রন করতে পারছেনা তার দেশ বা রাজ্যকে।জনগনের মুখে মুখে উচ্ছারিত হতে লাগলো কাইজার গেলেই বাঁচি।কাইজার গেলেই দেশে শান্তি।দিশেহারা কাইজারকে পরে বলতে শুনা যায় দলমল বুঝিনা, বুঝি শুধু সংযুক্ত জার্মান বা জার্মানীর ঐক্য।। ১৯১৮ সালের শেষের দিকে কাইজারকে অপসারন করে  সর্বদলিয়   নেতা সোসাল ডেমোক্রেটিক লিগের ফেডরিক এবার্টকে চ্যঞ্চেলার বানিয়ে ভাইমা রিপাব্লিক গঠন করার পরও  শেষ রক্ষা হয়নি কাইজারের।গনভোটে তাকে হারাতে হয়েছে ক্ষমতা রাজবংশের ঐতিহ্য এবং উত্তরাধিকার আর কাইজারিত্ব।
কাইজারের এমন অবস্হা, এবং রাজনৈতিক দলগুলির বিবাধ বিশৃঙ্খলা মারা মারি হানাহানি অনৈক্য দেখে হিটলার সুজোগে সৎব্যবহার করার লক্ষ্যে একটা ক্যূ করে বসে।অবশ্য সে ক্যূতে হিটলার সফল হলো না,বরঞ্চ কিছুদিনের জন্য তাকে জেলে যেতে হয়। জেলে বসে হিটলার মাইনে ক্যাম্প নামে তার রাজনিতক বই লিখে নস্ট মাথার বুদ্ধিজিবী আর নস্ট চাটুকার নীতিহারা নেতাদের মাথা দেয় নস্ট করে।জেল থেকে চাড়া পেয়ে হিটলার ওয়ার্কাস পার্টি নামে একটি দলে যোগ দেয়, পরে মোহময়ি বক্তিতার কারনে এই দলের অধিপতি বনে যায়, এবং এদলকে নেসানাল সোসালিস্ট পার্টি হিসেবে গঠন করে, পরে আবার গঠন করে নাৎসী বাহিনী বা তার নতুন রাজতিক দল।

১৯১৭ সালে যখন যার সম্রাট নিকোলাইয়ের মসনদ তসনস করে দিয়ে মহাবীর লেনিন ভলসেবিক বিপ্লব গঠিয়ে পৃথিবীর বুকে সর্বপ্রথম কৃষক শ্রমিক মেহনতি মানুষের জন্য সমাজতন্ত্রিক রাস্ট ব্যবস্হা কায়েম করলেন।তখন সমগ্র বিশ্বের বুর্জ্যুয়া পুঁজিবাদি সামরাজ্যবাদি, সামন্তবাদি গনতন্ত্রের লেভাস ধারিদের গালে চপেটগাত পড়ে।দেশে দেশে গড়ে উঠে ভলসেবিক বা লেনিন বাদ।
যদিও সমাজতন্ত্রের জন্মভূমি এই জার্মান, কিন্তু তখন পর্যন্ত এই জার্মানে কমিনিস্ট পার্টি নামে কোন রাজনৈতিক দলই গড়ে উঠেনি।বিপ্লব তো দুরের কথা।কিন্তু সে সময় হিটলার তার এক বন্ধু দিয়েট্রিক এবার্ট কে দিয়ে ভলসেবিক বাদ মুসা থেকে লেনিন নামে বুক লেট লিখায়ে  কাজাখি লেনিন কে ইহুদী সন্বোধন করে প্রপাগান্ডা করতে থাকে।কারন সমাজতন্ত্রের জনক আধুনিক দার্শণিক কার্লমাক্স ছিলেন ইহুদী বংশোদ্ভুদ।ভলসেবিক বাদ আর মাক্সবাদকে হিটলার আর তার বুদ্ধিজিবী বন্ধুরা ভুতের মতবাদ হিসেবে জারি করতে শুরু করে দিয়েছিল।তখন লেনিন বাদের জয় জয়কারের হাওয়া বহিতেছিল ইউরোপ তথা জার্মানের ঘরে ঘরে।

 বাংলাদেশে যেমন মাহমুদুর রহমান প্রজন্ম চত্তর এবং ব্লগারদেরকে নাস্তিক আখ্যায়িত করে হেফাজতিদেরকে ক্ষ্যাপায়ে দিয়ে রাজনৈতিক মঞ্চটাকে গোলাটে করে দিয়েছে, অনেকটা ঠিক তেমনি।
এমন কি জার্মানের সব চেয়ে ঐতিহ্যবাহি এবং বড় দল এস পি ডি র কিছু নেতারা পর্যন্ত হিটলারের অনুসারিদের সাথে সুর মিলায়ে এটাকে ভূতের মতবাদ বলে জাহের করতে থাকে।পরে দেখা গেল সর্বোতভাবে সর্বদলিয় ভাইমা রিপাব্লিক গঠন করেও রিপাব্লিকে আরো বেশি অসান্তি নেমে এল।ঘরে বাহিরে দলগুলির মধ্যে অন্তঃকলহ দন্ধ লেগে গেল।কে কেমনে পারবে নতুন দল গঠন করবে কে কেমনে পারবে জোট মহাজোট গঠন করবে,--- 
একে বারে আজকের বাংলাদেশের অবস্হা আর কি, রোজার মাস আসলে একটু ভাল জমে।আজ অমুকের ঘরে কাল তমুকের ঘরে ইফতারের দাওয়াত এর নামে জোট গঠন করা দুর্নিতীর টাকার ভাগাভাগি,একটু শরম ভরম ও নেই হারাম জাদাদের।নিলর্জ্জের মত পাঞ্জাবি টুপির অপমান করতে।

এই অন্তঃকলহে জাতিয়তাবাদি সবচেয়ে বড় দল এস পি ডি থেকে একটা ছোট অংশ বাহির হয়ে গঠন করলো ইউ ডি পি।পরে এই  ইউ ডি পি, রোজা লুক্সেম বার্গ এবং কার্ল  লিভনেখট এর স্পাটাকার্স  দলের সাথে মিলে প্রথম গনতন্ত্রি ভাইমা রিপাব্লিক  সমাজতন্ত্রের জনক কার্ল মাক্সের জন্মভূমিতে কমিনিস্ট পার্টি নামে একটা  সোসালিস্ট দল গঠন করতে সক্ষম হয়।

আর এস পি ডির অপর সংখ্যাগরিস্ট  অংশটি কাইজার বাদি রক্ষনশীল দলগুলির সাথে গিয়ে জোট বাঁধল।অন্যদিকে সংগঠিত হতে লাগল যুদ্ধফেরত জেনারেলরা।হিটলার তো ইতি মধ্যে নস্ট মাতার এলিট শ্রেনির বুদ্ধিজিবীদের নিয়ে সুসংগঠিত।ভলসেবিক বাদ তথা ইহুদীবাদের ভূত,গেছ ভূত মেছভূত একেবারে যত প্রকারের ভূত আছে,সব ভূত দল আর নেতাদের উপর চাপিয়ে দিয়ে যুদ্ধ ফেরত উগ্রবাদি সৈনিকদের দিয়ে  বার্লিনের রাস্তায় প্রকাশ্যে রোজা লক্সেমবার্গ এবং কার্ল লিভনেখটকে  হত্যা করে, কমিনিস্ট পার্টিকে অঙ্কুরেই ধবংশ করে দিল।
এই পরাজিত অস্রধারি যুদ্ধফেরত ফ্রেইক পর্স  সৈনিক গুলিকে সবাই কোন না কোন ভাবে ব্যবহার করেছিল।
ঠিক বাংলাদেশে যেমন এত ত্যগ তিতিক্ষা আর নয়মাস স্বশস্ত্র যুদ্ধকরে তিরিশ লক্ষ সহিদ আর দু লক্ষ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অনাঙ্খাক্ষিত স্বাধিনতা অর্জনের পরই জাসদ সহ কিছু দল উপদল সৃস্টি হয়ে যুদ্ধ ফেরত সৈনিকদেরকে দিয়ে পনরই আগস্ট এ বাংলার প্রমিথিউস বঙ্গ বন্ধুকে স্ব পরিবারে নির্মম ভাবে হত্যা করে দিয়ে শান্ত বাংলাকে রাজনৈতিক কলহে জর্জরিত করে  অশান্ত করে তুললো।তারাই আজ বিষের মত করে তুলেছে  বাংলাদেশের রাজনীতিকে।আজ রাজনীতি এবং নেতা সাধারন মানুষের কাছে এক আতঙ্ক ও ঘৃনার বস্তুতে পরিনত হয়েছে।

জার্মানে ও তখন জাতিয়তা বাদী এস পি ডি এবং রক্ষন শীল কিছু দলের নেতা ও নস্ট মাথার বুদ্ধিজিবীদের ভুল দিক নির্দেশনা এবং নেতার ভূল রাজনীতির কারনেই মাত্র পাঁ ছয় বছরের মাথায় আধুনিক গনতন্ত্র এর আদলে গড়া সেই ভাইমা রিপাব্লিক ভেঙে খান খান হয়ে যায়।

১৯২৫ সালে ভাইমা রিপাব্লিকের চ্যঞ্চেলার ফ্রেডরিখ এভার্টের মিত্যুর পর রিপাব্লিকে  আবার রাজনৈতিক সংকট আরো তীব্র ভাবে দেখা দেয়।সবাই হন্যে হয়ে খুঁজছিল একজন যোগ্যতম রাস্টপতি।নাৎসীরা কিছু রক্ষনশীল ছোট দল নিয়ে দাঁড় করে দিয়েছিল মার্শাল হিনডেন বুর্গ কে।এস পি ডি ও লিভারেলরা  মিলে প্রার্থি দিল ভিলহেল্ম মাক্স কে, আর কমিনিস্টরা  প্রার্থি দিল এর্নস্ট থাইলম্যানকে।প্রথম ধাপে কেউই নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিস্ট পেয়ে সরকার গঠন করতে পারলনা। হলো দ্বিতীয় রাউন্ড।

অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি দ্বিতীয় রাউন্ডে হিটলারের নাৎসী সমর্থিত মার্শাল হিন্ডেন বুর্গ  ৪৮% ভোট পেয়ে বিজয়ি হলো। হিন্ডেনবুর্গ এর বিজয় মানেই হিটলারের বিজয়।কিছু দিন পরেই হিন্ডেন বুর্গকে হঠায়ে হিটলার নিজেই নিজকে  জার্মানের চ্যঞ্চেলার ঘোষনা করলো।ক্ষমতা ধখল করে হিটলার বসে থাকেনি। ভেঙে পড়া অর্থনিতিকে ঢেলে সাজালো।বেকার সমস্যা দুর করলো।   এমন কি ভার্সাই চুক্তি মুক্তি সব অস্বিকার করতে লাগলো।

অপরদিকে তার নিকটতম প্রতিধন্ধি  বড় দল এস পি ডি ও লিবারেলের প্রার্থি ভিলহেল্ম মাক্স ৪৫% ভোট পেয়ে পরাজয় বরন করল, আর কমিনিস্ট প্রার্থি থাইলম্যান পান ৬,৩% ভোট।শুধু ক্ষমতার লোভে ডানবাম নেতাদের ভুল নিতি ও ভুল সিদ্ধান্তের কারনেই নাৎসী ফুরার দানব হিটলারের উত্থান হলো।

যদি ডান বাম এক হয়ে  সে দিন ভিলহেল্ম মাক্সকে  সমর্থন করে যেতেন, তাহলে কেয়ামতের মত একটা বিশ্বযুদ্ধ হতোনা,হিটলারের মত একটা বর্বর স্যাটার বা দানবের ও উত্থান হতো না। আর হয়তো এর্নস্ট থাইলমানকে ও হিটলারের কনস্ট্রেশন লাগারে এমন নির্মম ভাবে মরতে হতো না।

ঠিক তেমন ভাবেই আজ বাংলাদেশের কনিনীস্ট পার্টির নেতারা ভুল করে যাচ্ছে, কেন করে যাচ্ছে?তার কচু আমার মাথায় মুন্ডে কিছু ধরছে না।অতচ একাত্তরে আওয়ামীলীগ তথা বঙ্গবন্ধুর বলিষ্ট আওয়াজে কমরেড মনি সিং, কমরেড ফরহাদের নেতৃত্বে কমিনিস্টরা ও ছাত্র ইউনিয়নের টগবগে তরুনরা   নিঃসর্ত এবং নিঃসার্থ ভাবে নয় মাসের রক্তাত্ত যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে অলিক স্বাধিনতাকে চিনিয়ে এনছে।অতচ আজ ভন্ড জুয়াড়ি মিথ্যাবাদি, যুদ্ধাপরাধির পক্ষে কথা বলা কিছু চাটুকার বুদ্ধিজিবীদের সাথে সুর মিলায়ে   কমিনিস্ট নেতাদের বকবকানি দেখলে মাথায় রক্ত উঠে যায়।কেন তারা বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনার হাতকে স্বাধিনতা রক্ষার জন্য এবং উন্নত বাংলাদেশ গড়ার জন্য শক্তিশালি করছেনা,বুঝতে পারছিনা।

এত বড় একটা প্রথম বিশ্ব যুদ্ধ এর উপর দাঁড়িয়ে গনতন্ত্র সমাজ তন্ত্র এবং পার্লামেন্ট রিপাব্লিক রক্ষা করা কোন সহজ ব্যপার ছিল না।যুদ্ধগ্রস্হ দেশে- দেশ গঠন অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন  বেকার সমস্যা দুরিকরণ, খাদ্য সমস্য সবি দুর করা ছিল কষ্টসাদ্য ব্যপার।

বাংলাদেশে ও স্বাধিনতার পর ধবংশস্তুপের উপর দিয়ে বঙ্গ বন্ধুকে হত্যা করে দিয়ে জেনারেল জিয়া আর সৈরচার এরশাদ শুরু করে দিয়েছে রাজনৈতিক বেহায়াপনা।জিয়াউর রহমানের উত্থানের পর তিনি উত্থান করে দিয়ে গেছেন পরাজিত শক্তি রাজাকার আলবদর আল সামসকে। যারা এই স্বাধিন বাংলা চায়নি, যারা এই আমাদের প্রিয় লাল সবুজের জিলিমিলি পতাকা চায়নি।যারা আমাদের মা বোনের ইজ্জত  পাক হায়েনাদের হাতে তুলে দিয়েছেন, যারা আমার তিরিশ লক্ষ ভাইকে নির্বিচারে হত্যা করেছেন,যারা আমাদের কুড়ে ঘরে আগুন দিয়েছেন, যারা হিটলারের পোড়ামাটি নিতী অনুসরন করে আমাদের জ্ঞ্যানি সুবুদ্ধিজিবীদের  হত্যা করে সোনার বাংলাকে সুশান নগরিতে পরিনত করেছিল।তাদের এ দেশে রাজনিতি করার কোন অধিকার নেই।
কে দিয়েছে তাদেরকে রাজতিক অধিকার? আমরা সবাই জানি জেনারেল জিয়াউর রহমান।
জেনারেল জিয়া শুধু রাজনৈতিক অধিকার দেননি, তিনি আমাদের প্রবিত্র পার্লামেন্টে ও ঠাঁই দিয়েছেন কুখ্যাত রাজাকারদেরকে।মন্ত্রি মিনিস্টার এমন কি প্রধান মন্ত্রি পর্যন্ত বানিয়েছেন।এখানেই জিয়ার রাজনৈতিক প্রজ্ঞার বিরাট অভাব এবং ভূল ছিল।
তার মর্মান্তিক পরিনতির পর তারি বিধবা পত্নি তারি গড়া জাতিয়তাবাদি একটা বড় দল (যদিও বন্দুকের নল আর রাজকোষের বিপুল অর্থের বিনিময়ে নস্টমাথার বাম আর মৌলবাদিদের নিয়ে গড়া)কি করে জামাতির মত একটা ভূতরে দলকে নিয়ে জোট গঠন করে? যে দলকে আপামার জনতা খেটে খাওয়া মানুষ সাদরে গ্রহন করে বুকের মনি কোটায় স্হান করে দিয়েছিল।কি করে সে দলের একজন জনপ্রিয় নেত্রি রাজাকারকে মন্ত্রি মিনিস্টার বানায়?ভাবতেই অবাক লাগে।
জিয়া যেমনি ভূল করেছেন, তেমনি খালেদা জিয়াও ভুল করে বসেছেন।এই ভূলের খেসারত বি এন পি এবং সাধারন পাব্লিককে দিতে হচ্ছে।আজ এই জামাতি ভূত যেমনি বি এন পির উপর চেপে বসেছে, তেমনি বসেছে জনগনের উপর।
কুৎসিত ভূতের মত এই জামাতিদের আবির্ভাব আজ আমাদের সোনার বাংলাদেশে।জঙ্গিবাজ তার আধুনিক রুপ।
এই জামাতি ভূত জোট সরকারে চারটা মন্ত্রির পদ পেয়ে বেসামাল হয়ে পড়ে।আরো বেশি ক্ষমতা চাই এই মর্মে।প্রথমে তারেক রহমানের উপর এই জামাতি ভূত সওয়ার হয়ে যায়। ঠিক যার সম্রাট নিকোলাইয়ের উপর যেমনি সওয়ার হয় রাজপুতিনের ভূত।প্রধান ভূতেরা কয়জন হাওয়া ভবনে গিয়ে তারেক রহমানকে তাদের একটা খসরা কনসেপ দেখায়ে বললো, দেখুন শাহাজাদা আপনাকে একেবারে ইরানের শাহরেজা পাহল্লিবির মত মহারাজা বানিয়ে দিবো।শাহ রেজার বাবাওেআপনার বাবার মত এক সময় একজন জেনারেল ছিল।
তারেক রহমান সভাব সূলভ ভাবে বললো, আরে বাবা কি কনসেপ নিয়ে এসেছেন সোজাসুজি বললেই তো পারেন।
আর না হয় সৌদ পরিবারের মত জিয়া পরিবারকেও বানিয়ে দিব বাদশা পরিবার।বাদশা কেন বাদশাহর বাদশাহ।ওহাবী বাদশাহ।
আরে ডাইরেক্ট বলুন।
জ্বি আমাদের প্রথম কনসেপ হলো দশট্রাক অস্র আনাতে হবে, আপনার এক পয়সাও দিতে হবে না।শুধু ভিতরে ডুকার অনুমতি দিলে হবে।
আরে হুজুর, কি কন? সেটা কি কোন ব্যপার হলো?গালের মাঝে ঢোল ফেলে মৃদু হেসে তারেক বললো্।
আর দ্বিতীয় কনসেপ হলো, একটু কানের কাছে গিয়ে ভূতের সর্দার বললো,তাইনারে শেষ করে দিতে পারলে আপনার মহারাজা হবার সব রাস্তা খোলসা হয়ে যাবে।
মানে?
শেখ হাছিনা।তাইনারে শেষ করতে পারলে আপনার রাস্তাও খোলাসা আমাদের রাস্তাও খোলাসা, বুঝলেন?

তারেক রহমান ভিজ্ঞ লোকের মত একটু ভেবেচিন্তে মুসকি হেসে দিয়ে বললো, হ বুঝছি, আর বুঝাতে হবেনা, তার পর  ডাক দিলেন কইরে বাবর, দুলু ভুলু,  এদিকে একটু আয়।
পাশের রুমে দর্জার পাঁকে উঁকি দিয়ে থাকা বাবর,রা তাড়াহুড়া করে ছুটে এসে বললো, জ্বি হুজুর ।
শুনো হুজুরদের দুটা কনসেপ্ট আছে, যে ভাবে যেমন করে হউক কনসেপ্ট দুটা বাস্তবায়ন করে দিবে।
জ্বি স্যার।আপনি কোন চিন্তা করতে হবেনা, ধরে নেন বাস্তবায়ন হয়ে গেছে।
বস এই প্রথম বারের মত জামাতি ভুতেরা সয়তানি বুদ্ধি চেলে একাত্তরে পরাজয়ের পর একটু বিজয়ের হাসি হাসল।তারা অনেকটা সফল হয়ে গিয়েছিল।দশ ট্রাক অস্রও আনা হলো, ২১শে আগস্টের মত একটা বিশাল জনতার
মহা সমাবেশে বোমা হামলা ঘঠায়ে  কতো গুলো নিরীহ মানুষকে জানেও মারল,আবার অনেকেরে চিরতরে পঙ্গুও করে দিল।কিন্তু তাদের তার্গেট সঠিক মত হলো না। কথায় বলে যে রাখে আল্লা মারে কে। অদেখা স্রস্ট্রার অলৌকিক কুদরতে বঙ্গ বন্ধুর সূযৌগ্য কন্যা জননেত্রি শেখ হাছিনা মারাত্বক ভাবে আহত হলে ও প্রাণে বেঁচে যান।আর বেঁচে গিয়েই সিদ্ধান্ত নেন এই জামাতি ভূতদেরকে বতলে ভরার।কিন্তু ততদিনে এই ভুতদের আন্ডা বাচ্ছার সংখ্যা এতই বেড়ে গেছে যে একটাকে বতলে ভরতে আরেকটা বাহির হয়ে যায়।
তার উপর আবার আবির্ভাব হয়েছে হেফাজতি পেত্নিদের।এই হেফাজতি পেত্নিরা পঁচা মাছের উপর যেমনি ভন ভন করে মাছি বসে ঠিক তেমনি পেত্নিরা চেপে বসলো একে একে সৈরচার এরশাদ কাদের সিদ্দকী বদরোদজা থেকে ছোট বড় নতুন প্রজন্মের নেতা মাহিবী প্রার্থ এর মাথায় পর্যন্ত।
আবার এই পেত্নির কাঁধে চড়ে আবির্ভাব হলো কিছু নস্ট  জ্বীনের।এই নস্ট জ্বীনরা চেপে বসল কিছু নস্ট মাথার বুদ্ধিজিবীর মাথায়।তারা বুদ্ধি দিয়ে আর জিবীকা নির্বাহ করতে পারেনা, তাই নস্ট জ্বীনের বাদশা সেজে আলাদীনের চেরাগ পেতে চায়।
এই সব জ্বীন আর ভূত পেত্নির নাম আমরা অনেক শুনেছি।আমি সবিনয়ে বলছি হে নস্ট ভূত পেত্নি আর জ্বীনের বাদশারা তোমাদেরকে বতলে ভরার আগে অন্তত পক্ষে বাংলা দেশ চেড়ে অন্য কোথাও চলে যাও,নতুবা তোমাদের শেষ পরিনতি হবে হিটলারের চেয়ে ভয়াবহ ও করুন।

হিটলারের উত্থান অতি সহজে হলেও পরিনতি হয় অত্যান্ত কঠিনও করুন ভাবে ।আত্ম হত্যার পূর্বক্ষন পর্যন্ত খুব কস্টে কাটে। বার্লিনে তার আত্ম রক্ষার জন্য নবনির্মত দুমিটার মাটির নীচে সাড়ে তিন মিটার  পুরো কনক্রিটের ছাদ  দুমিটার পুরো দেয়াল বিশিস্ট ব্যংকারের ভিতর।
না ভাইমা রিপাব্লিক টিকল না গনতন্ত্র না সমাজ তন্ত্র টিকল, বাংলাদেশের হায হায় কম্পানির মত জাতিয়তা বাদি নেতারা হারিয়ে গেল।নাই মামার পরিবর্তে কানা মামা নাৎসীরা এল ক্ষমতায়।ফুটফাতের হিটলার হয়ে গেল সর্ব ক্ষমতার অধিকারি।ধর মার  ইহুদী শুয়রদের মার, জ্বালাও পোড়াও নাৎসীদের গন সংগীতে পরিনত হলো।এবার হিটলারের মাথায় আরো বড় ভূত চেপে বসল, হয় বিশ্ব জয় নতুবা জার্মানের ধ্বংশ।
ধ্বংশের কথা তো পরে, আগে বিশ্ব জয় এর প্রস্তুতি শুরু করে  দিল  এডলপ হিটলার। সমগ্র বিশ্ব হবে একটা।নাম হবে গামানিয়া।আর গামানিয়ার রাজধানি হবে বার্লিন।চাই বিশ্বনেতাদের জন্য একটা আধুনিক মানের পার্লামেন্ট ভবন,নির্মান করা হলো ,চাই বিশ্ব মানের হাইওয়ে এয়ার পোর্টের মত করে নির্মান করা হলো অসংক্ষ হাইওয়ে।চাই উন্নতমানের মিল ইন্ড্রাস্ট্রি, নির্মান করা হলো, চাই যুদ্ধ করার মত গোলাবারুদ যুদ্ধ জাহাজ, বিমান,ট্রান্ক কামান, আন্ডার বোট,রকেট,পর্যাপ্ত পরিমান টাকা পয়সা, প্রয়োজন বোধে নকল টাকার মেশিন।সৈনিকদের ভরন পোসন খাবার দাবার।সত্রুদের জন্য কনট্রেনসেন ক্যাম্প।তার পরে চাই বিশ্বস্হ বন্ধু, যারা তাকে বিপদের দিনে দিক নির্দেসনা বা অন্তত পক্ষে পাশে থাকবে।
খুব অল্প সময়ের মধ্যে হিটলার সব কিছু প্রস্তুত করতে সক্ষম ও হলো।দেশেও বেকার সমস্যা দুর হয়ে গেল।ইউ বোট নির্মান করা হলো, রকেট নির্মানের কারিগর বিজ্ঞানি ভেরনা ব্রাউনকে পেয়ে গেল,যে ব্রাউনকে রকেটের জনক বলা হয়।যাকে পরে যুদ্ধশেষে জামাই বাবুর মত আমেরিকায় নিয়ে নাসার রকেট বানাবার কাজে লাগিয়ে দেয়।বিমান বাহিনী প্রধান হারমান গোয়রিং এর মত একজন বিশ্বস্হ বন্ধুও পেয়ে গেল।তাকেই হিটলার তার যোগ্যতম উত্তরসুরি মনে করতেন। এমনকি ১৯৪১ সালে এক ফরমান জারি করে তার ওসিয়ত নামায় করেও রাখলেন।পরে অবশ্য গোরিংকে না করে গোয়েবলসকেই করা হয়।আরো দুজন বিস্বস্হ বন্ধু পেয়ে গেল হাইনরিখ হিমলার আর যোসেপ গোবেলসকে।যে গোবেলস হিটলারের প্রপাগান্ডা মিনিস্টার ছিলেন, এমন কি শেষ সময়ে অল্প কিছু সময়ের জন্য কাগজে কলমে হিটলারের স্হলাভিশিক্ত হন। আর হাইনরিখ হিমলার  স্বরাস্ট মন্ত্রির পদে ছিলেন।
এডলপ হিটলার যুদ্ধের জন্য সম্পূর্ন প্রস্তুতি এমন ভাবে গ্রহন করলো যে পরবর্তি জেনারেশন নারি থেকে শিশু, যাদের বয়স দশের নীচে, তাদেরকেও সামরিক শিক্ষায় প্রসিক্ষন দিয়ে প্রস্তুত করে রাখলো।চারটা মৃত্যু শিবির বানায়ে রাখা হলো।আমি তার জাকসেন হাউজের মৃত্যু শিবিরটা গুরে দেখেছি।মৃত্যু শিবিরটা ছিল এ রকম।বিশাল এলাকা নিয়ে  হলের মত পাঁচটা ঘর,একটা ঘরে ছোট ছোট কামড়ায় বিরুধী দল মতের নেতাদের ধরে নিয়ে এসে বন্দি করে রাখা হতো,সেখানে তাদেরকে ঠিকমত খানা পিনা না দিয়ে উপাসে কাপাসে মারা হতো।আরেকটা বড় ঘরে তার প্রপা গান্ডার মেশিন যেমন নকল টাকার  ও প্রিন্ট মেসিন ইত্যাদি রাখা হতো। আরেকটা ঘর ছিল ফাঁসির কাজের জন্য। সেখানে একটানে চার থেকে পাঁজনকে ফাঁসি দেওয়া হতো।আরেকটা ঘরে ডাক্তারের প্রাক্সিস, সেখানে বিষাক্ত ইনজেকশান পুশিং আর বিষাক্ত কেপসুল খাওয়ায়ে মারা হতো।আরেকটা ঘর ছিল নাৎসী নেতাদের অফিস।আরেকটা বিশাল ঘর, দেখতে মিল পেক্টরির মত।সেই ঘরে যেখানেই ইহুদী নারী পুরুষ শিশু পেত ধরে ট্রেনে করে এনে পরনের কাপর চোপর সাথে সোনারুপা যাহা পেত খুলে নিয়ে রেখে দিত যুদ্ধের খরচ মিঠাবার জন্য। শুধু দাঁতের সোনা রুপাই নাকি টনে টনে হয়েছে। এসবের আমি ফটো দেখেছি।সে মৃর্ত্যু শিবিরটা এখন মিউজিয়ামের মত করে রাখা হয়েছে।আর সবাইকে সরু করিডোর দিয়ে নিয়ে জলন্ত আগুনের ওফেনে নিক্ষেপ করা হয়েছে।জ্বলে পুড়ে সবার ছাঁই অপরদিকে দিয়ে বাহির হয়েছে।আর সে ছাঁই ট্রাকে ভরে নিয়ে কৃষকের কাছে বিক্রি করা হয়েছে ভাইও সার হিসেবে।
চুড়ান্ত প্রস্ততির পর হিটলারের প্রপাগান্ডা মিনিস্টার গোবলস ডিকলার দিল আমারা চাই টোটাল যুদ্ধ।তার পরেই এক থাবায় পোলেনকে নিয়ে নিল, তারপর অস্ট্রিয়া ও চ্যকোস্লাভিকিয়া,তার পর  একে একে ইউরোপের প্রায় চাব্বিশটা দেশ ধখল করতে সক্ষম হয়।তন্মেধ্যে প্রান্সের মত এত বড় দেশের জেনারেলরা তো আগেবাগে হাত তুলে দাঁড়ায়ে গেল।শুধু ইংল্যান্ডকে জয় করতে হিটলারের হিমশিম খেতে হলো।একমাত্র কারন ইংল্যান্ড সাগরের ওপাড়ে তাই।সে কারনে ইংল্যান্ডকে আপাতত বাদ দিয়ে হিটলারের নাৎসী বাহিনী হামলা করে বসল সোভিয়েট ইউনিয়ন রাশিয়াকে।প্রায় ২২মিলিয়ন লোককে নির্বিচারে হত্যা করলো।ডকোমেন্টারিতে দেখেছি কতো জায়গায় লাশ দিয়ে ছোট ছোট খাল বিল কেনেল এর উপর বাঁধ দিয়ে নাৎসীরা ট্রান্ক চালিয়ে গেছে।যদিও প্রথমে রাশিয়ার নেতা স্টার্লিনের সাথে যুদ্ধ না করার চুক্তি করে রেখেছিল হিটলার।
অপর দিকে হিটলারের প্রধান প্রতিদন্ধি উইনস্টন সার্সিল আমেরিকার প্রেসিডেন্ট রোজভেল্ট ও স্টার্লিন সহ পঁছিশটা দেশ নিয়ে হিটলারের বিরুদ্ধে চুরান্ত যুদ্ধের ঘোষনা দিয়ে প্রতিরোধের যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়লো। রাশিয়ার রেড আর্মি প্রতিহত করে করে সামনের দিকে আগাতে থাকল।আমেরিকা ইংল্যান্ড প্রান্স হয়ে প্রতিহত করতে লাগল।মিত্র বাহিনীর আঘাতে নাৎসী বাহিনী এখন প্রায় দূর্বল নেড়ি কুত্তার মত হয়ে পড়েছে।











১৯৪৫ সালের ২০ই এপ্রিল ছিল হিটলারের ৫৬তম জন্ম দিবস।বড় ঘটা করে হিটলারের জন্ম দিবস পালন করা হলো ব্যংকারের ভিতর।ঐ রাতে হিঠলারের বিশ্বস্হ বড় বড় সব নাৎসী নেতারা এল তাকে জন্মদিনের সূভেচ্ছা জানাতে।পরে গভির রাতে চাটুকার নেতারা প্রানের ভয়ে তাদের প্রাণপ্রিয় নেতাকে পাতাল পুরির ব্যংকারে রেখে চলে গেল।হিটলার আঁছ করতে পেরেছে তার যে সময় ঘনিয়ে এসেছে।
এদিকে মিত্র বাহিনী একের পর এক বড় শহর ধ্বংশ ও ধখল করে বার্লিনের দ্বার প্রান্তে এসে পোঁছে গেছে।হিটলার আর গোয়বলস অবরুদ্ধ ব্যংকারে।কোন দিক নির্দেসনা দিতে পারছেনা।সে কারনে হারমান গোরিং তারবার্তায়  তার কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে কিনা হ্যাঁ এবং না দুটা শব্দের উত্তর চেয়ে বসল।সে কোন উত্তরই দিতে পারল না।তার পরেই খবর এল হিটলারের আরেক জন আস্তাভাজন বন্ধু হাইনরিখ হিমলার সুইডেস দুতাবাসে  আমেরিকার প্রতিনিধিদের সাথে স্বসন্মানে আর্তসমর্পন করার জন্য কথাবার্তা চালিয়ে যাচ্ছে।
সহ কর্মিদের  এমন কার্যকলাপ  দেখে  রাগে দুঃখে খোবে হিটলার পাগল উন্মাদের মত হয়ে গেল।ভেঙে গেল তার ধর্যের বাঁধ।সাথে সাথে  পদচ্যুত করে  এরেস্ট করার নির্দেশ দিল গোয়েরিংকে। উত্তরাধিকারি থেকে ও বাদ দেওয়া হলো। হিটলার তখন আর কাউকে বিশ্বাস করতে পারছিলনা।তার বান্ধবি ইভা ব্রাউন এর বোনের স্বামি  জেনারেল ফেগলিনকে বিশ্বাস ভঙ্গের অভিযোগে হত্যা করা হলো।ইভার অনেক অনুনয় বিনয় সত্বেও।প্রায় বারটি বছর যে হিটলারের সাথে বাস করছে,এখন যেন সে হিটলারকেই চিনতে পারছেনা।প্রেয়সির ভেঙে পড়া অবস্হা দেখে  এবং বিশ্বকে দেখানোর জন্য হিটলার ইভাকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিল।ব্যংকারে অবস্হান রত একজনকে পৌরহিত করে গোয়বলস তার সহকারিকে সাক্ষি করে বিয়ের অনুস্টানটা ও সেরে ফেললো।তার পর হিটলার তার মহিলা সেক্রেটারিকে দিয়ে তার শেষ ইচ্ছা ডিকটেট করতে বসল।সারা রাত ভর সেক্রেটারি গেট্রুট তার অসমাপ্ত যুদ্ধের দলিল লিপিব্ধ করলো।এই দলিলে বিশ্বাস ঘাতকতার দায়ে তার সহকর্মি গোয়বলস কে চাড়া সবাইকে পদচ্যুত করলো। গোয়বলসকে বানাল তার স্হলাভিশক্ত চ্যন্সেলার এবং সেনা বাহিনীর সুপ্রিম প্রধান।দলিলের শেষ প্রান্তে লিখল পরাজয়ের চেয়ে সদ্য বিবাহিত ইভাকে নিয়ে আত্ম হত্যাই তার জন্য শ্রেয়।পরদিন ২৯ই এপ্রিল সাকালেই  হিটলার খবর পেল ব্যংকারের অদুরেই লাল ফোজ অবস্হান করে আশেপাশে গোলাগুলি করছে।অবশ্য তখনও হিটলারের যুবনেতা  আরটুর কিশোর নাৎসী বাহিনী নিয়ে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।
কয়দিন আগে হিটলার এক কমান্ডারকে দিয়ে মির্ত্যু শিবির থেকে বিষাক্ত ক্যপসুল আনিয়ে রাখল।প্রথমে ইভা ব্রাউনের পোষা কুকুর ব্লন্ডিকে একটা ক্যপসুল খাওয়ায়ে টেস্ট করলো,  সাথে সাথে কুকুরটা মারা যায়।তখনও হিটলারের ব্যক্তিগত পাইলট বাওয়ার এসে শেষ বারের মত অনুরোধ করে বললো, আপনি ইভাকে নিয়ে আর্জেন্টিনা অথবা জাপান পালিয়ে যান।হিটলার জানিয়ে দিল তার পাদার ল্যান্ড জার্মান চেড়ে সে কোথাও যাবেনা।হিটলার জানে তার বন্ধু ও রাজনিতিক গুরু ইটালির ফ্যসিসট বনৈটো মুসোলিনির  নিহত হবার পরেও কপালে কি জুটেছিল।এরপর হিটলার তার দুজন ভৃত্য গুনসে ও হাইনছ কে  নির্দেশ এবং অনুরোধ করলো। তার মির্ত্যুর পর যেন তার ও ইভার লাশকে পুড়ে পেলে। সে চায় না তার লাশ নিয়ে ভলশোবিকরা মমি করে রাখুক বা নৃত্য করুক।


জেনারেল ভাইডেন কে নির্দেশ দিল সন্মুক যুদ্ধে না টিকতে পারলে বনে জঙ্গলে থেকে যুদ্ধ চালিয়ে যাও, তবু আত্মসমর্পন নয়।তারপর হিটলার একে একে ব্যংকারের সকল কর্মচারির কাছ থেকে বিদায় নিল।সেক্রিটারি গেট্রুটকে একটা রুপার শিায়াল , মহিলা নেত্রি গিজিলাকে দিল বাসর রাতের ইভার পোশাক জোড়া। সবাইকে কিছু না কিছু  উপহার দিয়ে হিটালার আর ইভা গিয়ে শোয়ার ঘরের সোপায় বসল।সারা ব্যংকার সুশান নিরব নিস্তব্দ।দেহ রক্ষি গুনসের পাশে গোয়বলেস এর স্ত্রি মাগদা নিরব দাঁড়িয়ে আছে।তখন দুপুর গড়িয়ে বিকেল,হঠাৎ কামড়ার ভিতর থেকে একটা মাত্র গুলির শব্দ ভেসে  এল।কর্মচারিরা গিয়ে দেখে সোপার উপর দুজনেরই নিথর দেহ পড়ে আছে।হিটলার আগে ইভাকে ক্যপসুল খাওয়ায়ে মির্ত্যু নিশ্চিত করে নিজেই নিজের পিস্তল মাথায় ঠেকায়ে গুলি করে আত্ম হত্যা করে।পরে গুনসে এবং হাইন লিঙে দু জনের লাশ ধরাধরি করে উপরে চ্যন্সেলারি বাগানে নিয়ে ড্রাইবার এরিক থেকে পেট্রোল নিয়ে তাড়াহুড়া করে পুড়ে পেলে।
পরদিন সকালে  পহেলা মে গোয়েবলস ও এডমিরাল ডোয়েনিভস হতাশ হয়ে রেডিওতে এ সংবাদ প্রচার করে পরাজয় শিকার করে নিল।তার পর গোবেলসও তার ছয়টা সন্তান সবাইর বয়স বার বছরের নিছে সবাইকে নিয়ে আত্ম হত্যা করে।পরে রাশিয়ান আর্মি এসে বংকারে প্রবেশ করে মনি মুক্তা সোনা দানা খুজতে লাগল।এলমেল পড়ে আছে এত গুলো তাজা লাশ সেদিকে সৈনিকদের কোন খেয়ালই নেই।পরে কে গে বি প্রধান সহ অফিসাররা এসে হিটলারের দন্ত সিকিৎসকের মাধ্যমে  হিটলারের লাশ সনাক্ত করে সর্বমোট এগারটা লাশ গোলা বারুদের খালি কক্সে ভরে মিলিটারি কনভয়ে উঠায়ে অজানার উদ্দেশ্যে লাশ গুলি নিয়ে গেল।আজ তক গোপন ই রয়ে গেল হিটলারের শেষ পরিনতির রহস্য।
                                                            ------মোহাম্মেদ ফারুক, জার্মানি ।














মার্ক্সবাদের সোনার ফসল, মে দিবস,






মার্ক্সবাদের প্রথম সোনার ফসল হলো ``মে দিবস”বা (Laber day) অথবা আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস।আর দ্বিতীয়টি হলো দেশে দেশে স্বাধিনতার বিপ্লব।আর তৃতীয়টি হলো বিংশ সতাব্দীতে সমগ্র বিশ্বকে নাড়া দিয়ে বিশ্বের ২৮টা দেশ স্বসস্ত্র বিপ্লবের মাধ্যমে শ্রেণী সংগ্রাম ও সমাজতন্ত্র কায়েমের লক্ষে সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট হিসেবে ঘোষনা।যদিও স্বৈরতন্ত্রের কবলে পড়ে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্টা পরবর্তিতে লক্ষচ্যুত হয়ে পড়ে।

আমরা সবাই কমবেশি জানি মে দিবসের ইতহাস।এই দিবসটি কোন আনন্দ বা খুশির দিবস নয়,এই দিবসটি একটি মর্মান্তিক শোকাবহ দিবস।  ১৮৮৬ সালে মে মাসের তিন কিংবা চার তারিখে , আমেরিকার শিকাগো শহরের ``হে মার্কেট এর সামনে সাধারন শ্রমিকের বুকে পুলিশের বর্বরোচিত ব্রাশফায়ারে হতাহত শ্রমিকের রক্তে রঞ্জিত হয় এই   দিবসটি।






ফ্রেড্রিক এঙ্গেলস


* কেন কি অপরাধ করেছিল তারা?
* কেন পুলিশ অতর্কিতে গুলি চালিয়েছিল নিরীহ নিরপরাধী শ্রমিকের বুকে?
* কেনই বা তারা সেদিন মিছিল করার সাহস ফেল?
* কে তাদেরকে উসকে দিয়ে, উদ্ভোদ্ধ করেছিল ন্যয্য পাওনা আদায়ের জন্য।
* দুনিয়ার মজদুর এক হও” বিশ্বকে একবার  নাড়া দেওয়া  এই মহিনী মন্ত্রের প্রবক্তা কে?
* প্রলেতারীয়েত কারা?
* সাম্যবাদ কি?
* সমাজতন্ত্র কি?
* সমাজতন্ত্রের প্রবক্তা কে ছিলেন?
* কার্লমাক্স কে ছিলেন?
* কমিনিষ্ট শব্দের অর্থ কি?
* কমরেড কাকে বলে?
* সামরাজ্যবাদ কাকে বলে?
* সামন্তবাদ কাকে বলে?
* ঐতিহাসিক দ্বান্দিক বস্তুবাদ কাকে বলে?
* কমিনিষ্ট এবং কমিনিউজম কাকে বলে?


এই সব প্রশ্নের উত্তর ছোট করেও দেওয়া যায়,আবার বিচার বিশ্লেসন করে অনেক বড় করেও দেওয়া যায়।বিস্তারিত জানতে হলে আমাদেরকে যেতে হবে আরো অনেক গভিরে।যেতে হবে মানব সভ্যতার ইতিহাসে ও।আমি সে দিকে আপাতত না গিয়ে  এখানে শুধু মে দিবসের ব্যাপারে কিছু লিখছি।

ছোট করে উত্তর দিলে  এমন হয়, সেদিন হাজার হাজার  শ্রমিক সমবেত হয়ে নিত্য ৮ঘন্টা কাজের এবং ন্যয্য বেতনের দাবিতে সাদা পতাকা হাতে করে শান্তিপুর্ন  মিছিল লয়ে আমেরিকার শিকাগো শহরে অবস্হিত ,তখনকার বিখ্যাত, হে মার্কেটের সামনে জড়ো হতেই পুলিশ অতর্কিতে নির্বিচারে গুলি চালালে সাথে সাথে ১১, ১২ জন শ্রমিক নিহত হয়, এবং আহত হয় অসংখ্য শ্রমিক, আবার এরেস্টও  হয় ১৫ জন।তন্মধ্যে পরবর্তিতে বিচার করে উন্মুক্ত স্হানে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয় আরো ৫ জনকে, আবার বন্দি অবস্হায় ও একজন আত্মহত্যা করে। বাদ বাঁকিদেরকে ১০, ১৫,বছরের করে ভিবিন্ন মেয়াদের সাজা দেওয়া হলেও ১৯৯৩ সালের দিকে এসে বিশ্বব্যপি প্রচুর গন দাবির কাছে পদানত করে মার্কিনি সরকার  সবাইকে বেকসুর খালাস করে  দিতে বাদ্য হয়।

সেদিন শ্রমিকের হাতে শান্তির প্রতিক সাদা পতাকা তাদের রক্তে ভিজে লাল হয়ে যায়। অতচ পরিতাপের বিষয়, তৎকালিন মার্কিনি সরকার একদিনের  তো দুরের কথা এক মিনিটের জন্য ও শোক পালন করে নাই।আন্তর্জাতিক ভাবেও  কোন প্রতিষ্টান কোন উদ্যেগ গ্রহন করে নাই।

সেদিন সমগ্র বিশ্বের শ্রমজিবী মানুষের আপন জন, যিনি ভালবেসে যাদেরকে ডাকতেন প্রলেতারিয়েত,যিনি সাজতন্ত্রের প্রবক্তা, যার অমোঘ বাণী, দুনিয়ার মজদুর এক হও, তে সারা বিশ্বের কুঠি কুঠি শ্রমিক উজ্জিবিত হতো, মেহনতি মানুষের নয়ন মনি  সেই  মহামতি কার্ল মাক্স সেদিন   জিবীত ছিলেন না।

 কিন্তূ তিনি জিবিত না থাকলে কি হবে, তিনি তো জিবিত থাকা কালেই কমিনিষ্ট পার্টির ইশতেহার প্রকাশ করে  ১৮৫০, ৬০ এর দশকেই দেশে দেশে শ্রমিকদেরকে তাঁর মাক্সবাদি আদর্শে উজ্জিবিত করে তোলেন। সেই থেকেই দিকে দিকে তারা  তাদের ন্যয্য দাবি আদায়ের লক্ষে সংগঠিত হতে থাকে।আস্তে আস্তে শ্রমিকরা বুঝতে পারে, গুটি কয়েক বণিক আর মালিক মিলে তাদেরকে ঝোঁকের মত শোষন করে যাচ্ছে।তাত্বিক দিক দিয়ে মার্ক্স বাদই তাদের আদর্শ হয়ে উঠে।

শ্রমিকদের এই সংঘঠিত হওয়া ও দাবিকে তৎকালিন নব্য সামরাজ্য বাদি রাষ্ট আমেরিকা ও তার গুরু ইউরোপের সামরাজ্যবাদি এবং রাজতন্ত্র শাসিত রাষ্ট গুলি কোন ভাবেই মেনে নিতে পারেনি। তারা শ্রমিকের ন্যয্য দাবিকে অশ্বিকার করে অন্যায় দাবি হিসেবে আখ্যা দিতে থাকে। তারা দোষারোপ করতে থাকে মাক্সবাদি বিপ্লবিদেরকে।বণিক, মালিক,বুর্জোয়া, পেটি বুর্জ্যুয়া, পুঁজিপতি, সামরাজ্যবাদি, সামন্তবাদি, নৈরাজ্যবাদি, মৌলবাদি আর স্বৈরতন্ত্রিবাদি দুষ্ট চক্ররা উঠে পড়ে লাগে দুনিয়ার মজদুর খেত মজুর ও মেহনতি মানুষের অকৃতিম বন্ধু  মাক্সবাদি বিপ্লবিদেরকে ধমন পিড়ন এবং হত্যা করতে।তারা সন্মিলিত ভাবে না জেনে শুনে না বুঝে মাক্সবাদিদেরকে নাস্তিক বলে প্রচারনা প্রপাগান্ডা করতে থাকে।সমস্ত মানব কল্যানের একমাত্র বৈজ্ঞানিক মতবাদ ও সমাধান সমাজতন্ত্র এর মতবাদ বা ব্যবস্হাকে তারা নাস্তিকের মতবাদ বলতে থাকে।কমিনিষ্ট বলতে তারা টেঁডা ত্রিসূল কিংবা বল্লম সাদৃশ্য কোন জগন্য কিছুকে বুঝতে থাকে।কমরেড বলতে তারা কোন দস্যু কিংবা ডাকাতকেই বুঝে।দ্বান্দিক বস্তুবাদ কি জিনিস তারা বুঝতেই চায় না।না বুঝে শুনেই তারা দেশে দেশে হাজার হাজার  কমরেডদেরকে গোপনে এবং বন্ধিখানায়ও নির্মম ভাবে হত্যা করতে থাকে।

গনতন্ত্র আর ধর্মের মুখোশ পরে সামরাজ্য আর সামন্তবাদিরা প্রভূর মত বছরের পর বছর যুগের পর যুগ এমন কি সতাব্দীর পর সতাব্দী ধরে দুনিয়ার মজদুরকে পদনত করে রেখেছিল।তারা মানুষকে কৃতদাস আর পন্যতে পরিনত করে ব্যবহার করতো। আফ্রিকান অনেক জাতিকে তার স্বজাতি থেকে বিচ্ছিন্ন করে জবরদস্তি  মানব বলে চালিত নৌকার পাটাতনে বেঁধে আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিয়ে দুই আমেরিকা কন্টিনেন্টে নিয়ে কঙ্কালসার মানুষকে দু চার ডলারের বিনিময়ে বিক্রি করে দিত।আর মালিকরা তো বছরের পর বছর বিনা মজুরিতে এমন কি ঠিক মতপেট পুরে খাবার না দিয়ে দৈনিক ১৪ থেকে ১৮ ঘন্টা অমানুষিক খাটাতো।সে সময় আমেরোপার মানুষ বর্বরের চেয়েও বর্বর জাতি ছিল।মানবতা তো দুরের কথা তাদের মধ্যে মনুষ্যবোধ বলতে ও কিছু ছিলনা।তারা মানুষের মাঝে  বর্ণবাদ বৈশম্য সৃষ্টি করে ভয়ানক রুপ ধারন করেছিল।কথায় কথায় তারা গুলি চালাতো কালো কৃতদাস কিংবা সাধারণ শ্রমিকের উপর।

কার্লমাক্সের আবির্ভাবের পর ঐ সব মুখোশ পরা স্যাটারদের ঘৃন্য  মুখোশ খশে পড়ে গেল।সামরাজ্যবাদি আর সামন্তবাদিদেরকে বিলাসিতা ও বাল্যখিল্য পরিত্যগ করে নিজ দেশের খুপড়িতে পিরে যেতে বাদ্য হলো।আর মৌলবাদি এবং বুর্জ্যুয়া পুঁজিপতিদের গালে পড়ল চপেটাঘাত।অবশেষে তাদের গনতন্ত্রই গনতন্ত্রের কাছে হুমকি স্বরুপ হয়ে দেখা দিল। কারণ খুন গুম  ধর্ষন ধর পাকর ভয়ভিতী বল প্রয়োগ করে কোন দিন গনতন্ত্র হয় না।আগে বাঁচতে হবে পাবলিক, তার পরে রিপাবলিক, তার পরে গিয়ে ডেমোক্রেটিক।

১৮৭৭ সালে সালে প্রথমবারের মত শ্রমিকরা একবার রেলপথ অবরোধ করে বসে। সেদিনও পুলিশ এবং ইউ এস আর্মি যৌতভাবে তাদের উপর বর্বরোচিত আক্রমন চালায়।সেখানেও অনেক শ্রমিক হতাহত হয়।

১৮৮০ সালের দিকে এসে শ্রমিকরা কোদ উত্তর আমেরিকাতে সর্ব প্রথম প্রতিষ্টা করে Federation of Orgenized, TRDADES  and Labor  union of the united states and Canada.
আবার ১৮৮৬ সালে এসে নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়, ‍American Federation of Labor.
এই সংঘঠনের মাধ্যমেই সেদিন শুধু শিকাগো শহরেই ৪০ হাজার শ্রমিক কাজ পেলে রাস্তায় নেমে এসে তারা জড়ো হয়েছিল।


কার্ল মাক্সের  বিশিষ্ট বন্ধু, ফ্রেডরিক এঙ্গেলস দিনটি স্মরনীয় করার জন্য  বিশ্বব্যপি আওয়াজ তুলেন, এবং তিনিই সর্ব প্রথম মে দিবসকে আন্তর্জাতিক ভাবে পালনের প্রস্তাব দেন। তারি নেতৃত্বে সারা বিশ্বে সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন  গড়ে উঠে।অবশেষে ১৮৮৯ সালে ফরাসি বিপ্লবের শতবর্ষ উদযাপনের সময় প্যারিসে ২য় আন্তর্জাতিক কংগ্রেসে সর্বসন্মতিক্রমে রেমন্ড লাভিনে দিনটিকে মে দিবস হিসেবে বা আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস হিসেবে  পালন করার জন্য ঘোষনা করেন।

আজ সমগ্র বিশ্বে জাতি ধর্ম বর্ণ দল মত নির্বিশেষে মে দিবস উদযাপিত হয়।শতাধিক দেশে রাষ্টিয়ভাবেও মে দিবস পালিত হয়।কিন্তূ একটি প্রশ্ন থেকে যায়, বিশ্ব ভিবেকের কাছেে আজো কি সর্বস্তরে ৮ ঘন্টা শ্রম বাদ্যতামুলক করা হয়েছে?
আজো দেখি শ্রমিক ১০, ১২ ঘন্টা কলে কারখানায় কাজ করে।আমার সহকর্মিরা প্রতিদিন গড়ে ১০ ঘন্টা কাজ করে।

আসুন এবারের মে দিবসে আমরা পহেলা মে-তে আত্মাহুতি দেওয়া শ্রকিদের বিদেহী আত্মার প্রতি শ্রদ্ধায় মাথ নত করে একটি একটি করে  লাল গোলাপ রেখে সপত করে বলি জয় হউক মেহনতি মানুষের , জয় হউক আমাদের,অমর হউক মহান মে দিবস।

অমর হউক মে দিবস




--------- মোহাম্মেদ ফারুক, জার্মানি,












         


































Sunday, April 19, 2015

রাজাকারের জন্য কেন এত মায়াকান্না?

আজকে ভিবিন্ন সামাজিক সাইডে পত্র পত্রিকায় দেখি কিছু মানুষ বদর বাহিনী কমান্ডার কামরুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকরের পর থেকে মায়াকান্না করেই যাচ্ছেন, করেই যাচ্ছেন।তারা কি সিত্যই মনে করেন  কামরুজ্জামন নির্দোষি, কাদের মোল্লা কিংবা গোলাম আজম  সায়েদি নিজামি সাকারা সবাই নির্দোষি? আজ বলতে আমার লজ্জা হচ্ছে অনেক বড় বড় মুক্তি যোদ্ধা কমান্ডর আর খেতাব ধারিরাও এই সব জগন্য নড়পশু রাজাকারদের পক্ষে চাপাই গেয়ে যাচ্ছে।কি আশ্চার্য আমাদের এই দেশ, আর কি আজব  আমরা বাঙ্গালী জাতি, কি উদার আমাদের অন্তরাত্মা।

ধরে নিলাম, গোলাম আজম সায়েদী নিজামী কামরুজ্জামন কাদের মোল্লা ওরা কেউ রাজাকার ছিল না।ধরে নিলাম ওরা কেউ খুন হত্যা দর্ষন করে নাই।ধরে নিলাম ওরা কেউ হিন্দুর বাড়িতে আগুন দেয় নাই। ধরে নিলাম ওরা কেউ যুদ্ধাপরাধি কিংবা মানবতা বিরোধি কোন অপরাধ কিছুই করে নাই। ধরে নিলাম ওরা সবাই দুধের মত সাদা কিংবা ওদের চরিত্র ফুলের  মত প্রবিত্র।ওদের কে জবরদস্তি বা অন্যায় ভাবে এই সরকার ফাঁসি দিচ্ছে, বা বিচার করছে।

তা হলে আমার জিজ্ঞাসা,উনাদের কাছে, ওরা কে ছিল আমি যে  শৈশবের একাত্তরে স্বচক্ষে দেখেছি আমাদের বাড়ির সামনে আধুনিক হাসপাতালে পাকিস্তানি আর্মি ক্যাম্পে পাঞ্জাবির সহযোগি পাঞ্জাবি টুপি পরিহিত কিছু মাওলানা গোছের বাঙ্গালী গোরাফেরা করতো । যারা কয়দিন পর পর গাঁও গেরাম থেকে সেন্টু গেঞ্জি পরিহিত চৌদ্দ পনর ষোল বছরের তরুনদেরকে ধরে এনে দুতিন দিন ধরে মুক্তি ধরা পড়ছে, মুক্তি ধরা পড়ছে শুদ্ধ বাংলা ভাষায় মাইকে পাবলিসিটি করে পরে নির্মম ভাবে হত্যা করে গলায় রসি বেঁধে খোয়া বিছানো রাস্তার উপর দিয়ে টেনে নিয়ে রাস্তার পাশে লাশ ফেলে রেখে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করতো। পরে শিয়াল কুকুরে খেত সেই লাশ।কে ছিল ওরা ? যারা যুবতি মেয়েদেরকে ধরে এনে পাঞ্জাবির ক্যাম্পে দিত,আমি গরু আনতে হাসতালের বাউন্ডারি ওয়ালের ভিতর চাব্বির চাচার সাথে গিয়ে যে দেখেছি মেয়েদের কান্না কাটি আর সম্ভ্রম হারানো চিৎকার। কে ছিল ওরা?কে ছিল মাওলানা লুতা কিংবা রাজকার সম্বল, মাইজদী বকেসনাল ইনিস্টিউটে  এবং মাইজদী পিটিআই তে যে কিছু কুলাঙ্গার বাঙ্গালী পাঞ্জাবীদের সাথে আস্ফালন দেখেত।কে ছিল ওরা রোজ যে আমাদের বাড়ির পাশে দিয়ে ভারি অস্ত্রধারি পাঞ্জাবীদেরকে পথ দেখায়ে গাঁয়ের দিকে নিয়ে যেত কে ছিল ওরা? এরকম অনেক অনর্থক প্রশ্ন করতে পারি আপনাদের কাছে, কিন্তূ করে লাভ নেই। শুধু এই টুকুই বলব আমি স্বাধিনতার যুদ্ধ দেখেছি, আমি যুদ্ধ ইতিহাসের একটি অবিচ্ছেদ্ধ পাতা।

শুধু রাজাকারের ফাঁসি নয় রাজাকারের বংশধরদেরেও বিচার হওয়া উচিত।জামাত শিবির পুরো দলটাই রাজাকার আল বদর আল সামস,পুরো দলটাই অপরাধি।এই দলটাকে নিসিদ্ধ করা  সময়ের দাবি।সুতরাং অপরাধির জন্য এত মায়া কান্না কেন?


--- ফারুক, জার্মান্

Monday, April 6, 2015

মাননীয় প্রধান মন্ত্রির কাছে প্রবাসির খোলা চিটি




                                                   মহান আল্লাহর নামে।

প্রিয়,  প্রধান মন্ত্রি জননেত্রি শেখ হাসিনা ওয়াজেদ,সুদুর প্রবাস থেকে অন্তরের অন্তরস্হল থেকে শ্রদ্ধা ও ভক্তি ভরে আপনাকে জানাচ্ছি আমার বাঙ্গালী সালাম।আশা করি অদেখা স্রষ্টার নেক কৃপায় আপনি কুশৌলেই আছেন।আমার কামনা ও তাই।
প্রিয় প্রধান মন্ত্রি আজ কিছু দাবিদাওয়া এবং প্রস্তাবনা নিয়েই আপনার কাছে আমার এই খোলা চিটি লেখা।   জানিনা এই পত্র কোনদিন আপনার দৃষ্টি গোচর হবে কিনা।

প্রিয় নেত্রি আসলে সত্যি কথা বলছি, আমি কোন দিনও কামনা করিনি আপনি বাংলাদেশে ফিরে আসুন।আর পিতা মাতা ভাইদের  মত নিসংশ ভাবে হত্যার শিখার হউন।আমার মনে ভয় ছিল বাঙ্গালীরা পিতার মত আপনাকেও মেরে ফেলবে।কারন আমি দেখেছি পৃথিবীর কোন জাতি যাহা করতে পারেনি, বাঙ্গালীর রাতের আঁধারে জাতির জনককে হত্যা করে তাহাই দেখায়ে দিয়েছে।বাঙ্গালীরা আরো জগন্য কাজ করতে পারে এবং পারবে। আমি চাইনি কারন আমি কিশোর বয়সে দেখেছি স্বাধিনতার মাত্র সাড়ে তিন চার বছরের ব্যবধানে পনরই আগষ্ট সকালে নেংটা পাগলকে চান তারা পতাকা হাতে দশহাত লাপাতে।

মাননীয় প্রধান মন্ত্রি, আমি সেই শৈশবে ১৫ই আগষ্ট দেখেছি।সেদিন কেমন যেন থমকে দাঁড়িয়েছিল সদ্য স্বাধিন বাংলাদেশ। মুহুর্তেই কেমন যেন নিদারুন মলিন মুখা হয়ে গিয়েছিল হেমন্তের প্রকৃতি পানোরমা।কেমন যেন ধুসর তামাটে রঙে চেয়ে গেছে বাংলার আকাশ বাতাস।মহুয়ায় সতেজ দেবদারু গুলো যেন ইউক্লিপিটাসে পরিনত হয়ে নিরবতা পালন করছিল, আর পাখির সুরের মুর্চনার বদলে ব্যঞ্জনাই প্রতিধ্বনিত হচ্ছিল চারিদিক।সে দিনের কথা মনে করে আমি আজো কাঁদি।

প্রিয় নেত্রি, আমি চাইনি আপনি দেশে ফিরে আসুন, কারন আমি দেখেছি সেদিন বাঙ্গালীরা, কেমন করে সত্যের মুখো মুখি দাঁড়িয়ে মিথ্যাবাদী সেজে তসবি জপতে শুরু করে দিল।কিছু কিছু বেজন্মা কুলাঙ্গার তো এখনো জপছে নিরন্তর।তবু আপিনি দৃঢ় মনোবল ও সাহস নিয়ে স্বদেশের মাটিতে ফিরে এসেছেন।পিতা হত্যার প্রতিশোধ নিতে নয়, বরঞ্চ সত্য প্রতিষ্টা করে অসূভ শক্তির হাত থেকে দেশকে রক্ষা করে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করে দেশকে সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে। আপনি স্বদেশের মাটিতে ফিরে এসেছেন বাংলার চির দুঃখি গরিব মানুষের ভাগ্যউন্নয়ন করতে। আপনি ফেরে এসেছেন অবহেলিত মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার ফিরিয়ে দিতে।আপনি সফল হয়েছেনও অনেকটা। আপনি পথহারা বাংলাদেশকে সঠিক পথে ফিরিয়ে এনেছেন।সে জন্য আপনাকে জানাই ধন্যবাদ।বঙ্গ বন্ধুর মত বাঙ্গালী জাতি হাজার বছর পরে হলেও আপনাকে মনে রাখতে হবে। আপনি বাঙ্গালী জাতির ইতিহাসে মাইল ফলক দৃষ্টান্ত স্হাপন করেছেন।

প্রিয় নেত্রি বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে বাঙ্গালীরা যেই কলঙ্ক তীলক কপোলে লাগিয়েছে তা কোনদিনও মুছে যাবেনা এবং মুছে যাবার মতও নয়। পৃথিবীর সমস্ত সাবান দিয়ে ধুলেও মুছা  যাবেনা এই কলঙ্কময় অধ্যায়।বাঙ্গালী সেজে বিশ্বে আজ যতই সুনাম কামাক না কেন বাঙ্গালী বেঈমানের জাত হয়েই থাকবে।

প্রিয় নেত্রি আপনার কাছে  আমার দাবিদাওয়া ও প্রস্তাবনা গুলোঃ-
১, আমার এক নাম্বার দাবি হলো প্রবাসিদের জন্য সকল প্রকার ব্যগেজ রুল উড্র করে নিন, এবং কাস্টমের নামে সকল প্রকার হয়রানি থেকে মুক্ত করুন।কারন একবার আপনি গভির ভাবে ভেবে দেখুন আমরা যে আশি নব্বই লাখ প্রবাসি প্রবাস নামের বনোবাসে থেকে হাঁড় ভাঁঙা পরিশ্রম করে দেশটাকে তীলে তীলে গড়ে এই পর্যায়ে নিয়ে এসেছি।আমাদের এই সফলতাকে খাটো করে দেখার কোন অবকাশ নেই।আমরা প্রিয় জনের স্নেহ মায়া মমতা বিসর্জন দিয়ে প্রবাসে হাঁড় ভাঙ্গা শ্রম দিয়ে আশি লাখ প্রবাসি আশি লাখ পরিবারকে সচ্ছল করেছি।পাকা বাড়ি ঘর দোকান পাট বানিয়ে লক্ষ লক্ষ বেকার লোকের কর্ম সংস্হান করেছি।সেই আমরা জাগ্রত বাংলার লড়াকু মুক্তি যোদ্ধারা পরিবার পরিজনের সুখের জন্য যদি বিদেশ থেকে রঙিন টিবি কিংবা সামর্থ থাকলে বিদেশ থেকে বিদেশি গাঁড়ি নেব, এবং দেশেই ব্যবহার করবো, তাতে কেন কাস্টম দিতে হবে কেন? কেন?????? এটাই আমার মাথায় ধরেনা, একটু ভেবে দেখবেন।

২,প্রশাসনের সকল প্রকার হয়রানি থেকে প্রবাসিদেরকে মুক্ত করে তাদের কাজকর্ম গুলি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আইন করে প্রয়োগ করুন।কারণ আমরা প্রবাসিরা সারা বছরে ছুটি পাই মাত্র এক মাসের।এই সল্প সময়ে প্রসাসনের ব্যুরোক্রেটির কারনে কোন কাজই সমাধা করা যায় না।তাড়াহুড়া করে আবার কর্মস্হলে ফিরে আসতে হয়।

৩, প্রধানত বাংলাদেশের চার প্রাকারের গৃহ সত্রু আছে। ১, সমুদ্র ও ঝড় বন্যা।২, ঘুষ ও দুর্নিতী।৩,জঙ্গিবাজ ও মৌলবাদ।৪,সন্ত্রাসি চাঁদাবাজ।
এই চার প্রকারের গৃহ সত্রু মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে দেশ বাসিকে নিয়ে এক যোগে কাজ করতে হবে। এখানে আমার প্রস্তাব হলো, প্রকৃতিক সত্রু থেকে মুক্ত হতে দেশি বিদেশি বিশেষ করে নেদাল্যান্ড কোছ থেকে পরামর্শ নিয়ে মোকাবেলা করতে হবে। আর ঘুষ দুর্নিতী জঙ্গিবাজ ও মৌলবাদ আইন করে নিসিদ্ধ করে কঠোর ব্যবস্তা গ্রহন করতে হবে। আর সন্ত্রাসি চাঁদাবাজকে প্রতি মহল্লায় বা গ্রামে বেসরকারি প্রতিনিধি কমিটি করে দায়িত্ব দিতে হবে যে তারা শুধু নিজ এলাকার উঠতি বয়সি অপরাধিদের খেয়াল ও খোঁজ খবর রেখে তাদেরকে সৎ পথে ফিরে আনার ব্যবস্হা করবে এবং ব্যর্থ হলে আইনের হাতে তুলে দিবে।
৪,সকল প্রকার যুদ্ধপরাধি ও মানবতা  অপরাধি দন্ডপ্রাপ্ত আসামিদেরকে ফাঁসি দিয়ে ফাঁসি দন্ড আইনটি চিরতরে তুলে ফেলুন বা বন্দ করে দিন।
৫,কম দামে ইন্টার নেট ও টেলিফো ব্যবস্হা চালু করে মোবাইল চিকিৎসা ব্যবস্হা চালু করেন। যাতে মোবাইলের মাধ্যমে ফোন করে স্হানিয় কোন ডাক্তারে পরামর্শে ছোট খাটো রোগের জন্য ফ্রি চিকিৎসা  নিতে পারে।

৬, সকল প্রকার ড্রাগ বা নেশা জাতিয় দ্রব্য নিসিদ্ধ করুন, এবং নেশাগ্রস্হদেরকে সৎপথে ফিরানোর ব্যস্হা গ্রহন করুন।
৭,পতিতা বৃত্তি চিরতরে নিসিদ্ধ করে দিন।
৮,বস্তি গুলি উচ্ছেদ করে ছিন্নমুল মানুষদের জন্য বাসস্হানের ব্যবস্হা করুন।
৯, নিরাপদ সড়ক এবং মানুষের জানমালের হেফাজত করার ব্যবস্হা করুন।
১০,শিক্ষা ব্যবস্হাকে ডেলে সাজাতে হবে। যেমন মাদ্রাসা এবং ইংলিশ স্কুলের ছাত্র ছাত্রিকে প্রাইমারিতেই বাছাই করে যার যে দিকে জোঁক বেশি সেদিকে বা সে লাইনে পাঠিয়ে দিয়ে সেই ভাবেই গড়ে তুলুন।
১১,আমার শেষ প্রস্তাব হলো বাংলাদেশ আওয়ামী ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সবার জন্য একটা দলিয় পরিচয় পত্রের ব্যবস্হা করুন।
আপনার দীর্গায়ু কামনা করে একানেই ইতি রেখা টানলাম---,
-------ফারুক, জার্মানি।
          ০৭,০৪,১৫

Tuesday, March 10, 2015

বাংলার প্রথম এবং শেষ নবাব,

নবাব সিরাজ দৌল্লা
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান।






বাংলার প্রথম নবাব সিরাজ উদ দৌলাঃ-
ধারনা করা হয় আলীবর্দি খাঁর তিন কন্যার মধ্যে সবচেয়ে কনিষ্ট কন্যা আমেনা বেগমের গর্ভে এবং জয়েনউদ্দিন এর ঔরোশে নবাব মির্জা মোহাম্মদ সিরাজ দ্দৌলার জন্ম হয় ১৭৩২ সালের কোন একদিনে। কারণ তার কোন সঠিক জন্ম তারিখ কোন ইতিহাসে পাওয়া যায়নি।আলীবর্দি খাঁর কোন পুত্র সন্তান ছিল না বিদায় তাঁর তিন কন্যাকে বড় ভাই হাজী আহম্মেদ এর তিন পুত্রের সাথে  বিবাহ দেন।নবাব সিরাজ- উদ-দৌলার জন্মের সময় আলীবর্দি খাঁ পাটনার শাসনভার লাভ করেন।তাই সোভাগ্য ও আনন্দের বশে নাতি সিরাজকেই পৌষ্যপুত্রের ন্যায় আদর যত্নে লালন পালন করেতে থাকেন।

এখানে আগেই একটি সত্য কথা আমাকে বলতে হচ্ছে।ভারত বর্ষের ইতিহাস বেত্তারা তাদের লেখা ইতিহাসে নবাব সিরাজ উদ-দৌলার দোষ ক্রুটি তার চরিত্র হননের অপচেষ্টা করেছেন অনেক বেশি। রবার্ট ক্লাইবের জীবনীতে তো নবাবকে তুলেধুনো করে চেড়েছেন, স্যার ম্যাকলে।যেমন নবাব ছিলেন নেশাখোর, চরিত্রহীন, ঘরে স্ত্রি সন্তান থাকলেও উপপত্নি, বেশ্যা বাঈঝি নিয়ে পড়ে থাকতেন। তার নষ্ট চরিত্র এমন কি রুগ্ন দেহের অধিকারি ইত্যাদি।এই সব কথা একটিও আমার কাছে বিশ্বাস যোগ্য বলে মনে হয়নি। বরঞ্চ তাদের লেখাতেই ফুটে উঠেছে নবাবের বিচক্ষনতা, এবং বিরত্ব ও শাহসিকতা।

অনেকে আবার বলে থাকে নবাব কোন বাঙ্গালী ছিল না। এটা অত্যান্ত সত্যি কথা।নবাবরা বাঙ্গালী ছিল না, এবং তারা বা তার পূর্ব পুরুষরা ইরান তুরান বা আরবের  কোথায় থেকে এসেছে, সেটাও কেউ সঠিক ভাবে বলতে পারেনা। সেটা যাই হউক নবাব যে বাংলা বিহার উড়িস্যার নবাব ছিল, এবং বাঙ্গালীদের যে প্রিয় নবাব ছিল এটা কেউ অশ্বিকার করতে পারে না এবং পারবে ও না।

যেমন ১৭৪৬ সালে নানা আলিবর্দী খাঁ যখন মারাঠাদের  বিরুদ্ধে যুদ্ধে যান, তখন সিরাজ তাঁর সাথে যুদ্ধে সামিল হয়ে বিরত্বের পরিচয় দিয়েছিলেন।তারপর সতের বছর বয়সের বালক সিরাজকে আলিবর্দী খাঁ পাঠনার শাসন কর্তাও নিযুক্ত করেছিলেন।তার বয়স কম ছিল বিদায় জানকিরামকে প্রতিনিধি নিযুক্তু করা হয়।অতচ বালক নবাব যুদ্ধ করে জানকিরামকে হঠিয়ে নিজেই সর্মবয় ক্ষমতার অধিকারি হন।সিরাজের বিরত্ব দেখেই আলিবর্দী খাঁ তাকে উত্তরাধিকারি হিসেবে ঘোষনা করেন।

মুলত এই ঘোষনাকেই অনেকেই মেনে নিতে পারে পারেনি।বিশেষ করে খালা ঘসেটি বেগম এবং তার স্বামি নোয়াজেশ ও তার বিশিষ্ট বন্ধু  রাজবল্লভ ও তার পুত্র কৃষ্ণ বল্লভ।মির জাপর তার পুত্র মিরন এবং জামাতা মীর কাশেম। ঘসেটি বেগম স্বপ্ন দেখেছিলেন ষড়যন্ত্র করে যেমন করে হউক তার নাবালক পুত্রকেই বাংলা বিহার উড়িস্যার নবাব বানাবেন।এই রকম পরিস্হিতে হঠাৎ করে ১৭৫৬ সালের ১০ই এপ্রিল আলিবর্দী খাঁ মৃর্ত্যুবরন করলে সিরাজ সিরাজ সিংহাসনে আরোহন করেন।

সিরাজ মসনদে  বসার সময় ইংরেজদের একটু বাড়তি প্রতাপ দেখে সিরাজ কুঠিয়াল ওয়াটসনকে ডেকে নির্দেশ দেন কলকাতার সব কুঠির ভেঙে ফেলতে।কিন্তু ইংরেজরা  তার নির্দেশ অমান্য করলে সে নিজেই গিয়ে ইংরেজদের সব কুঠির ভেঙে দেয়।এখানেও তার বিরত্বের পরিচয় পাওয়া যায়।



---------অসমাপ্ত--













অজ্ঞসব জনপ্রতিনীধি,

সত্যই শক্তি, সত্যই সুন্দর,