Wednesday, February 1, 2017

নষ্ট মাথার নষ্ট রাজনীতি,









                                জাতীয় পার্টি---?







 ১৯৮২ সালের ২৪ই মার্চ নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট বিচারপতি আবদুর ছাত্তারকে বন্দুকের নল দেখায়ে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে সামরিক আইন জারি করলেন জেনারেল এরশাদ । দীর্ঘদিন মার্শাল্ ল জারি রেখে  ১৯৮৬ সালেরে ১-লা জানুয়ারি স্বৈরশাসক হুসেন মোহাম্মদ এরশাদ জাতীয় পার্টি নামে একটি দল গঠন করেন। ঠিক তার পূর্বশুরি আরেক স্বৈরচার জিয়ার আদলেই। বর্তমানে দলটি ৫ ভাগে বিভক্ত।২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে বিরুধি দলের ভুমিকা রাখেন।এই নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহন না করাতে সংসদে এরশাদের স্ত্রি বিরুধি নেত্রি হন।




চলবে---

Tuesday, January 31, 2017

নষ্ট-মাথার নষ্ট-রানীতি-৫








                                        সি  পি  বি                     



















 

বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টির মুলনীতি বা মতাদর্শঃ-----

 

 

বাংলাদেশের বাম পণ্হি দলগুলির মধ্যে সবচেয়ে পুরানো  এবং প্রধান রাজনৈতিক দল হলো বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টি। সংখ্যেপে সিপিবি।সিপিবির মুল আদর্শ হলো মার্ক্সবাদ লেনিনবাদ।বস্তুগত ভাবে মুল আদর্শ হলো মহামতি কার্লমাক্স এবং এঙ্গেলসের আদর্শ।আর্ন্তজাতিক কমিউনিষ্ট পার্টির মেনোপেষ্টই বা ইশতেহার হলো সিপিবির মুল আদর্শ।১৯৪৮ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারী মার্ক্স এঙ্গেলস যৌতভাবেই কমিনিউস্ট পার্টির ইশতেহার প্রকাশ করেন। সে হিসেবেই দলটির গঠনতন্ত্র গঠিত হয়েছে,এবং পরিচালিতও হতেছে।বলা যায় এই দলটিই হলো বাংলাদেশে এক মাত্র মুলধারার সমাজতান্ত্রিক প্রধান একটি রাজনৈতিক দল।

 ১৯৪৭ সালে বর্তমান বাংলাদেশে আনুষ্টানিক ভাবে দলটির জয়যাত্রা শুরু হলেও কার্যক্রম পরিচালিত হতো পশ্চিম বঙ্গ থেকে।তাও আবার বেশির ভাগ গোপনে।বৃটিশ আমলে সমগ্র ভারত বর্ষেই কমিউনিষ্ট পার্টি একসময় নিষিদ্ধ ছিল বিদায় দলটি কোনদিন ঠিক মত বিকশিত হতে না পারলেও রাজপথে সক্রিয় ছিল সব সময়। মেহনতি মানুষের ন্যয্য দাবি আদায়ে অনড় ছিল কলে কারখানায় শিক্ষা প্রতিষ্টানে সর্বখেত্রে ।এমন কি আমাদের মহান স্বাধিনতা যুদ্ধেও অংশ গ্রহন করে বীরত্বের সাথে গুরুত্ব পূর্ন ভূমিকা পালন করেছে এই দলটি।সহীদ হয়েছে দলটির হাজার হাজার মেধাবি কর্মি সদস্য এবং নেতৃবর্গ।গেরিলা যুদ্ধ সম্পুর্নভাবে পরিচালনা করেছিল দলটির নেতা কর্মিরা।বর্তমান কমিনিষ্ট পার্টির সভাপতি জনাব মুজাহিদ ইসলাম সেলিম ও একজন বীর মুক্তি যোদ্ধা।তাঁর জন্য আমার সেলিউট সবসময়।

 আমরা যদি শুরুর দিকে তাকাই দেখি যে পাকিস্তান হবার পরে তৎকালিন অখন্ড পাকিস্তান সরকার দলটিকে ভাল চোখে দেখেনি।সব সময় কমিউনিষ্টদের উপর চালিয়েছিল ধর পাকড় জুলুম নিপিড়ন ও অমানুষিক অত্যাচার। প্রিতী লতার উপর বর্বতম নিপিড়নের কাহিনী এদেশের কে না জানে।  রবিন্দ্র নাথ ঠাকুর তার প্রশ্ন নামে একটি কবিতা লিখেছিলেন প্রিতি লতাকে উদ্দেশ্য করে।কমিউনিষ্ট নেতা কমরেড মণি সিং বাংলাদেশে দ্বিতীয় নেতা যিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর মত বহুবার কারা বরন করে নির্যাতিত হয়েছেন। যার কারণে দলটির প্রথম দিকের কয়েকটা কংগ্রেস সন্মেলন অতি গোপনে কেলকাটাতেই অনুষ্টিত হয়েছে। কমরেড ফরহাদ ছিলেন একজন বিচক্ষন নেতা।আমি ব্যক্তিগত ভাবে দুএকবার এই নেতার সানিধ্য পেয়েছি।এই বিপ্লবি নেতাকে বলা হতো বাংলার লেনিন।তিনি ছিলেন সামরাজ্য বাদী দুষ্ট চক্রের কড়া সমালোচক। আফচোস অসময়ে এই নেতা পরলোকে চলে গেছেন।

-----------------------------------------------
 

বর্তমান বাংলাদেশে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্টা প্রত্যাশি অনেক গুলো কমিউনিষ্ট দল আছে------

যেমন--১, বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টি সংখেপে (সিপিবি) 

২, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)

এই দুটি দল বর্তমানে জোট গঠন করে ১৫ দপা দাবি নিয়ে রাজপথে আন্দলনে সক্রিয় আছে।

 সমাজতন্ত্রকামী ২য় জোট হলো,---

১,জাতীয় মুক্তি কাউঞ্চিল,

২,জাতীয় মাজতান্ত্রিক গন মঞ্চ,

৩, নয়া গনতান্ত্রিক গনমোর্চা,

৪,জাতীয় গনফ্রন্ট,

সমাজতন্ত্র প্রত্যাশি ৩য় জোট হলো----

১, বাংলাদেশ ইউনাইটেড কমিনিষ্ট লীগ (ইউসিবিএল)

২,বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টি,

৩, গন সংহতি আন্দোলন,

৪, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল মার্ক্সবাদী,

৫,বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল বাসদ ( মাহবুব)

৬, গনতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি,

৭, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন,

৮, বাংলাদেশ শ্রমিক কৃষক সমাজ বাদী দল,

এই আটটি বাম ঘরানার দল নিয়ে গঠিত হয়েছে গনতান্ত্রিক বাম মোর্চা-----

বলা বাহুল্য ষাটের দশকে এসে গনচিন এবং কিউবা বিপ্লবের পর আন্তর্জাতিক কমিউনিষ্ট পার্টি বহুধাবিভক্ত হয়ে যায়। মতবেধ সৃষ্টি হয় সমাজতন্ত্রে মূল ভাবাদর্শের।সমাজতন্ত্রের আকাশে নেমে আসে অমানিশা।বিপ্লবী নেতারা হয়ে যায় দ্বিধাগ্রস্ত। কেউ হয়ে যান মস্কো পণ্হি বা লেনিন বাদী। কেউ হয়ে যান পিকিং পণ্হি বা মাওবাদী, আবার কেউ হয়ে যান লেটিন আমেরিকা পণ্হি মানে চে-বাদী। বাংলাদেশের কমিনিষ্ট পার্টিও তার ব্যতিক্রম নয়, সেই ষাটের দশকেই দলটি ভেঙে হয়েছে অনেক গুলো টুকরো।

বর্তমানে বাংলাদেশে মাওবাদী দলগুলির মধ্যেও এক রকম জোট বা ঐক্য আছে--

যেমন--১ সিপিএমএল এম বাংলাদেশ।

২, পূর্ব বাংলার সর্বহারা পার্টি (সসি) আনোয়ার কবির গ্রুপ

৩,পূরব বাংলার সর্বহারা পার্টি এমবিআরএম)

৪,পূর্ব বাংলার কমিউনিষ্ট পার্টি (এমএল)

৫,পূর্ব বাংলার কমিউনিষ্ট পার্টি (লাল পতাকা)

৬, পূর্ব বাংলার কমিউনিষ্ট পার্টি (এম এল জনযুদ্ধ)

এছাড়াও জাতীয় গনতান্ত্রিক গনফ্রন্ট  জাসদ রব, জাসদ ইনু, জাসদ আম্বিয়া আবার বাসদ রেজাউল করিম খান সাম্যবাদীদল দিলীপ বড়ুয়া কমিনিষ্ট গন আজাদী লীগ, গনতান্ত্রিক মজদুর লীগ, গনতান্ত্রিক পার্টি ন্যাপ মোজাফ্ফর সহ বাম ঘরানার প্রায় ৪৮ দল আছে বাংলাদেশে। যাদের প্রত্যেকেরই  প্রত্যাশা সমাজতন্ত্র প্রতিষ্টা করা।কিন্তু কি ভাবে তার কোন সঠিক দিক্ নির্দেশনা নাই,আন্দোলন সংগ্রাম বলতে কিছু নাই।দাবী দাবা দপা-রপা কিছুই নাই।বরঞ্চ দেখা গেছে যে বাম ঘরানার প্রগতিশিল কিছু দল বুর্জ্যোয়া ডান ঘরানার দলগুলির সাথে জোট গঠন করে ক্ষমতার চিটেফোটা খাচ্ছে। এটা অত্যান্ত পরিতাপের ও লজ্জার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বর্তমানে বাংলাদেশ কমিনিউষ্ট পার্টির ১০টি অঙ্গ সংঘঠন আছে।

যেমনঃ--১, বাংলাদেশ খেত মুজুর সমিতি,২,বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, ৩,বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন,৪, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন, ৫, বাংলাদেশ কৃষক সমিতি, ৬, বাংলাদেশ বস্তি বাসী ইউনিয়ন, ৭,বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি,৮, বাংলাদেশ উদিচী শিল্পী গোষ্টী, ৯, বাংলাদেশ মহিলা সমিতি,১০, বাংলাদেশ খেলাঘর আসর।

এত বড় সুসংঘটিত একটি আদর্শ ভিত্তিক প্রগতিশিল দল আজ শুধু সঠিক নেতৃত্ব ও দিক নির্দেশনার কারণে ভঙ্গুর একটি দলে পরিণত হয়েছে।বর্তমানে দলটির প্রধান কমরেড মুজায়দুল ইসলাম সেলিম।তিনি একজন বীর মুক্তি যোদ্ধা।তিনি একজন জ্ঞানি লোক, নিয়মিত কলম লেখেন।ছাত্র জীবন থেকেই তিনি সিপিবি এর সাথে জড়িত।৮৬ এর গন আন্দলনের সময় আওয়ামীগের বাজে একজন নেতার হাতে অপমানিত হন। অতচ তিনি কিংবা দল এইটার উপযুক্ত জবাব দিতে ব্যর্থ হন।এর আগে দলটির প্রধান ছিলেন কমরেড মঞ্জুরুল আহসান খান। সম্পর্কে তিনি জনাব সেলিমের ভগ্নিপতি।বাংলাদেশের প্রধান দলগুলির মত ধরা যায় দলটি অনেকটা পরিবার কেন্দ্রিক হয়ে পড়েছে।সে কারণেই দলটির হয়তো এমন ভঙ্গুর দশা। বর্তমানে অবশ্য সিপিবি বাসদের সাথে জোট গঠন করে যুগৎপত আন্দলনের ঘোষনা দিয়েছে।কিন্তু মনে রাখতে হবে বাসদ একটি আদর্শচ্যুত একটি দল।

 

বলা প্রয়োজন মুলত ৬০ এর দশকে চীন এবং কিউবা বিপ্লবের পর বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টি বহুধা ভিবক্ত হয়ে যায়। কেউ মাও বাদী কেউ বা আবার লের্টিন তথা চে- কাস্ত্রো পন্হি হয়ে যায়।তারপরও মস্কো পণ্হি বা লেনিন বাদীরা সবসময় সবদেশে শক্তিশালি ছিল।কারণ লেলিন বাদের মুল উৎস মাক্সবাদ।

যেহুতু মাক্সবাদ একটি বিজ্ঞান বিত্তিক মতাদর্শ। যেখানে বিজ্ঞান তার নিজের গড়া সত্যকে ভেঙে নতুন নিখুত সত্যকে পুর্নপ্রতিষ্টা করে।সেহুতু মাক্সবাদীদেরকেও মাক্স মতবাদের সাথে নতুন মতাদর্শ সংযক্ত করতে হবে বলে আমি মনে করি।যদিও কমিনিউষ্ট এর ইশতেহার ও মাক্সবাদ তাত্বিক ভাবে এখনও প্রযজ্য,তথাপিও কমিনিউষ্টদেরকে নতুন কর্মসুচি গ্রহন করে শ্রমজিবী মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।

 

 

Monday, January 30, 2017

নষ্টমাথার নষ্টরাজনীতি----৪










                                          বি এন পি---?   

বি এন পি----র--- আদর্শ বা মুলনীতিঃ-


বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মত   বিএনপির ও মুলনীতি হলো--৪টা, তবে একটু আলাদা ধর্মনিরপেক্ষর জায়গায় তারা আল্লাহর উপর বিশ্বাস জুড়ে দিয়েছে। যেমনঃ--১,আল্লাহর উপরবিশ্বাস ২,গনতন্ত্র। ৩,সমাজতন্ত্র।  ৪,জাতীয়তাবাদ।             

বাংলাদেশের সংবিধান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমানের নির্দেশে ১৯৭২ সালে ৩৪জন বুদ্ধিজিবী ও আইনজিবী মিলে খুবি অল্প সময়ের মধ্যেই প্রণিত হয়েছিল। আমরা সবাই একথা জানি যে ১৯৭২ সালের ১০ই জানুয়ারি পাকিস্তানের  কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে জাতির জনক স্বদেশের মাটিতেই ফিরে এসই ঘোষনা দেন যে তিনি জাতিকে একটি সংবিধান উপহার দিবেন।  সে কথা অনুযায়ি  বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে প্রণিত হয়েছিল আমাদের সংবিধান।

সেই সংধিানেরও মুলনীতিও ছিল চারটা। যেমন-- গনতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ, ও ধর্মনিরপেক্ষতা। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগেরও মুলনীতি হলো এই চারটি। জেনারেল জিয়াউর রহমান নতুন দল বিএনপি গঠন করার পর  সংধিানের ধর্মনিরপেক্ষতা সরিয়ে আল্লাহর উপর বিশ্বাস শব্দটি জুড়ে দিয়েছে।আর এই জিনিসটা বিএনপি করেছে সংবিধান রচিত হবার  সাত বছর পরে।অর্থ্যাৎ বিএপি নামে দলটি গঠিত হয়েছে ১৯৭৮ সালের ১-লা সেপ্টেম্বরে।তখন স্বৈরশাসক জেনারেল জিয়া সংবিধানে বিছমিল্লা ও জুড়ে দিয়েছিল।

এখানে একটু বিস্তারিত বলতে হচ্ছে আমাকে।বিএনপির প্রতিষ্টাতা জেনারেল জিয়াউর রহমান ছিল স্বাধিন বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম এবং নিকৃষ্ট একজন স্বৈরচার। বঙ্গবন্ধু হত্যার তিন মাস্টার মাইন্ডের একজন ছিল এই তথাকথিত জেনারেল জিয়াউর রহমান।

জাতির জনক স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেই বুঝতে পেরেছিলেন যে এই জিয়া উচ্চ বিলাশি আকাঙ্খা পোষন করেন। তার মতিগতি ভাব চক্কর খারাপ।তার চোখেমুখে ফুটে উঠে ক্ষমতার প্রতি লৌলপ দৃষ্টি বা লিপ্সা।দুরদৃষ্টি সম্পর্ন বঙ্গবন্ধু চিন্তা করলেন যে স্বাদিন বাংলাদেশে যেন পাকিস্তানের  আইয়ূব খানের মত কোন স্বৈরচারের উত্থান না হয়।তাই সিদ্ধান্ত নিলেন এই জেনারেল জিয়াকে বিদেশে রাষ্ট্রদুত করে পাঠিয়ে দিবেন।এই খবর শুনে জিয়া গিয়ে বঙ্গবন্ধুর সামনে প্রবিত্র কোরআন ছুয়ে কছম খেয়ে বললেন তিনি কোনদিন বঙ্গবন্ধুর সাথে বেঈমানী করবেন না।তাই জাতির জনক তাকে আর বিদেশে না পাঠিয়ে ডিপুটি চীপ জেনারেল করে দেশেই রেখে দিলেন।

আর সেনা বাহিনী প্রধান জেনারেল  করলেন জিয়া থেকে এক র‌্যাং জুনিয়র সফিউল্লাকে।তাই ভিতরে ভিতরে জিয়া ছিল অসন্তোশ।

বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার পরপরই জিয়া সফিউল্লাকে সরিয়ে চীপ জেনারেল হয়ে যান রাতারাতি।দুসপ্তাহ পরে তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যার অন্যতম মাস্টার মাইন্ড মোস্তাককে প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সরিয়ে  মার্শাল,ল জারি করে প্রধান বিচারপতি সায়েমকে রাষ্ট্রপতি ঘোষনা করলেন।

লৌহমানব নামে খ্যাত আরেক স্বৈরচার আইয়ুব খানের আদলে জিয়া সদ্য স্বাধীন দেশে রাতদিন কারফিউ আইন জারি করে স্তম্বিত করে দিয়েছিল পুরো জাতিকে।সব রাজনৈতিক দলকে নিশিদ্ধ করে দিয়ে মানুষের বাক স্বাধিনতাকে হরন করলেন তিনি।সে সময় দুজন যুবক এক সাথে চলাফেরা করতে পারতনা।সারা বাংলাদেশ যেন আবার সেই একাত্তরের  যুদ্ধের বিভিশিখাময় দিনে ফিরে গেল।

দেশের মানুষ তখন বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ে। ঢাকা শহরে কি হচ্ছে দেশের মানুষ কিছুই জানতে পারছে না।এরি মাঝে কারফিউর  অন্তরালে তার প্রতিধন্ধি সব জেনারেলকে কারাগারে বন্দি অবস্হায় নির্মম ভাবে হত্যা করে যাচ্ছে, বিশেষ করে বীর মুক্তি যোদ্ধাদেরকে,কেউই তা জানতে পারছেনা। ক্ষমতার পাদপ্রদিপে এসে হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধা ও মিলিটারি অফিসারকে নির্মম ভাবে হত্যা করলো এই খুনি জিয়া।তিনমাস দশদিন পরে আবার প্রেসিডেন্ট সায়েমকে অসুখের অজুহাত তুলে বন্দুকের নল দেখিয়ে জিয়া নিজেই সর্বময় ক্ষমতা দখল করে নিজে নিজেকে প্রেসিডেন্ট ঘোষনা করলেন। অপর দিকে তিনি নিজেই সেনা প্রধান হিসেবেও অধিষ্টিত।অবক বিশ্ময়ে জাতি শুধু নিরবে  চেয়েই রলো।সদ্য স্বাধিন দেশের মানুষ যেন আবার পরাধিন হয়ে পড়লো।

জিয়া নিজেকে স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট  ঘোষনা করে  হ্যাঁ--না.. নামে প্রহশনের একটা নির্বাচনের আয়োজন করলো।হ্যাঁ মানে জিয়া নিজে, আর না মানে ও জিয়া। কেউ ভোটের জন্য দাঁড়াতে পারে নাই।দাঁড়াবার কারো কোন অধিকারও ছিল না। এবার তিনি পাকাপাকি পরিশুদ্ধ প্রেসিডেন্ট হয়ে মসনদে বসলেন।গনতান্ত্রিক বিশ্বে এটা ছিল একটা নজিরবিহীন ঘঠনা।স্বাধিন দেশের মানুষ ও এই প্রথম দেখল এমন আজব ভোটাভুটির নির্বাচন।

 খালি মাঠে তিনি নিজে একাই গোল দিয়ে নিজেই জিতে গেলেন।ভোটের পার্সেন্ট দেখালেন ৯৭% ভোট।এই  বিপুল ভোটে নিজেকে বিজয় ঘোষনা করে উর্দি চেড়ে তিনি  কোট সাপারি পড়তে শুরু করলেন।অল্প  কিছুদিন পরেই তিনি রাজকোষের কাড়িকাড়ি টাকাকড়ি খরছ করে প্রথমে জাগদল নামে একিট রাজনৈতিক প্লাটফরম গঠন করলেন। পরে ১৯৭৮ সালের আগস্ট মাসে জাগদল বিলুপ্ত করে ১লা সেপ্টেম্বরে এসে রমনা রোস্তোঁরায় ১৮ সদস্য নিয়ে বিএনপি যাত্রা শুরু করলেও ১৯ তারিখে এসে আবার ৭৬ সদস্য নিয়ে  বিএনপিকে পুনঃঘটন করেন। 

বিএনপি গঠন করে তিনি রাজকোষের মোটা অঙ্কের লোভ দেখিয়ে, ক্ষমতার চিটেপোটার লোভ দেখিয়ে গুলশান বনানী ধানমন্ডিতে প্লট এপার্টমেন্টের লোভ দেখিয়ে আদর্শবাদী রাজনৈতিক দলগুলিকে ভেঙে নিজের গড়া দল বিএনপিতে ভিড়াতে লাগলেন।নিষিদ্ধ যুদ্ধাপরাধিদেরকে পুর্নবাসন করতে লাগলেন।প্রধান যুদ্ধাপরাধি গোলাম আযমকে দেশে ফিরায়ে এনে নাগরিকত্ত ফিরায়ে দিলেন।রাজাকার শাহা আজিজকে প্রধান মন্ত্রি বানালেন।আর অপর দিকে বঙ্গবন্ধুর খুনিদেরকে বিদেশে বাংলাদেশ দুতাবাসে চাকুরির সুবন্দোবস্ত করে দিলেন। এমন কি ১৯৭৯ সালের ৯ই এপ্রিল এক ফরমান জারি করে তিনি ইনডেমনিটি আইন সংসদে পাশ করে নেন।এই কুখ্যাত আইনের মাধ্যমে তিনি ১৫ই  আগষ্টের পর থেকে বঙ্গবন্ধু হত্যাসহ সকল খুন খারাবির কোন বিচার করা যাবেনা, এমন কি কোন কথা বলা যাবেনা।

তারপরে বিএনপি নামের কেন্টেরমেন্টে জন্ম নিওয়া দলটি অল্পকিছুদিনের মধ্যেই একে একে ১১টা দল গঠন করে ১২টা দলে হাত দিলেনিআর সেটা ছিল গ্রাম সরকার পদ্ধত্বি।১৯৮১ সালের ৩০শে মে জিয়ার নির্মম মৃর্ত্যু হলে সেটা ভেস্তে যায়।

 

--চলবে---

Saturday, January 28, 2017

নষ্টমাথার নষ্টরাজনীতি --৩














 

    

                                            জাসদ,    




নষ্ট মাথার নষ্ট রাজনীতির রোশানলে পড়ে আমাদের জন ও জাতীয় জীবনে যে বিপর্যয় নেমে আসে, তার সুচনা পর্ব শুরু হয বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া বাংলাদেশ ছাত্র লীগের কয়জন উশৃঙ্খল ছাত্র নেতা আর বঙ্গবন্ধুর বিশ্বস্ত কয়জন নেতার হাতেই।বলা বাহুল্য নির্বোধ অবিবেচক নেতারা সবাই আজ ইতিহাসের আবর্জনা হিসেবেই পরিণত হয়েছে।

আর বঙ্গবন্ধু হয়েছেন ইতিহাসের মহানায়ক।তিনিই বাঙ্গালী জাতীর ইতিহাসে হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙ্গালী। এটা আমার মুখের কথা নয় আন্তঃজাতিক ভাবেই সিকৃত ।বঙ্গবন্ধু থেকে জাতির পিতা, তার পরে আবার তিনি বিশ্ব নেতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন, এবং পেয়েছেন বিশ্বের স্বতন্ত্র স্বিকৃতি।

নিন্দুকেরা ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট খেয়ে আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাসকে বার বার বিভিন্ন ভাবে বিকৃত করেছে। তারা মহান নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমান ও তাঁর অবদানকে খাটো করার অপচেষ্টা করতে গিয়ে নিজেরাই খাটো কীটে পরিনত হয়েছে।নতুন প্রজন্ম আজ স্পষ্ট বুঝতে পেরেছে স্বাধীনতার সত্য ইতিহাস।চিনতে পেরেছে ইতিহাসের মহানায়ক বঙ্গবন্ধুকে।

১৯৪৭ সালের ১৪ই আগষ্ট পাকিস্তান ভারত দ্বিধাভিবক্ত হবার পরেই তরুন ছাত্র নেতা শেখ মজিব কেলকাটা থেকে ঢাকায় ফিরে এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে ভর্তি হন। মাত্র সাড়ে চার মাসের মাথায় অর্থ্যাৎ ১৯৪৮ সালের ২০ই জানুয়ারি তিনি গঠন করেন পাকিস্তান ছাত্র লীগ নামে একটি ছাত্র সংগঠন।দলে দলে ছাত্ররা যোগ দিতে লাগলেন নতুন এই সংগঠনে।তরুন নেতা শেখ মজিব নেতৃত্বের অগ্রভাগে।তিনি একদিকে ভাষা আন্দলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, আরেকদিকে ভার্সিটির তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারিদের দাবি দাওয়া নিয়ে।এই আন্দলনের কারণে তৎকালিন পাকিস্তান সরকার তাঁকে বন্দি করেন।যার কারণে ভার্সিটি কতৃপক্ষ তাঁকে বহিষ্কারও করেন।জেলখানায় বসেই তিনি আন্দলনের নেতৃত্ব দিতে থাকলেন।

১৯৪৯ এর ২৯ই জুন হোসেন শহীদ সরোয়ার্দীর নির্দেশে  মাওলানা ভাসানি  ও শামসুল হক ইয়ার মোহাম্ম খান মিলে ঢাকার রোজ গার্ডেনে পুর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ নামে  একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেন। ভাসানী হন দলের সভপতি, শামসুল হক হন সাধারন সম্পাদক, আর শেখ মজিব জেলে বন্দি অবস্হায় যুগ্ন সম্পাদক নির্বাচিত হন।জেল থেকে ছাড়া পেয়ে তিনি রিাজনীতিতে পুরোদমে সক্রিয় হয়ে  ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিতে লাগলেন।এরি মাঝে বার বার তিনি জেলে যান আবার ছাড়া পান, কিন্তু তাঁর হাতে গড়া  সংগঠনের নেতাদেরকে গোপনে দিক নির্দেশনা দিতে থাকলেন।মাত্র অল্প কয় বছরের মধ্যেই সমগ্র বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্টানে গড়ে উঠলো ছাত্র লীগ। সারা বাংলায় শুরু হলো ছাত্র আন্দলন।

১৯৬৩ সালে এসে সেই সুসংগঠিত ছাত্রলীগের একটি কাউঞ্চিল অধিবেশনে   সুস্পষ্ট হয়ে দেখা দিল কোন্দল।একদিকে অবস্হান নেয় ছাত্রলীগের সভাপতি কে এম ওবায়েদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল আলম খান ও শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন।

অন্যদিকে বঙ্গবন্ধুর আপন ভাগিনা তরুন ছাত্রনেতা শেখ ফজলুল হক মনির মধ্যে।শেখ মনির পছন্দের ছিল ফেরদৌস আহম্মেদ কোরেশীর প্রতি।পরে সাধারণ ছাত্রের সমর্থন থাকলেও কাউঞ্চিলদের ভোটে সিরাজুল আলম খানের প্যানেলই নির্বাচিত হয়।

১৯৬৩ সালের শেষের দিকে কথিত আছে যে  সিরাজুল আলম খান তৎকালিন ছাত্রলীগের কেন্দ্রিয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক ও ঢাকা মহানগরের সভাপতি কাজি আরেফ আহম্মদকে নিয়ে তিন বন্ধু আঙ্গুল কেটে সফত নেন যে পুর্ব বাংলা স্বাধীন না হওয়া পর্যন্ত তারা বিয়ে শাদীও করবেন না আন্দলন চালিয়ে যাবেন।

গন আন্দলনের মুখে   বঙ্গবন্ধু আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা থেকে ছাড়া পেয়ে ফিরে আসলে তারা তিন বন্ধু নাকি ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে গিয়ে বঙ্গবন্ধুকে এ ব্যপারে অবহিত করেন। স্বাধীন বাংলা বিপ্লবি পরিষদের ব্যপারে বঙ্গবন্ধু নাকি আগে থেকে জানতেন।এবং এটা নাকি ভারতের র এর তৈরি। চিত্য রঞ্জন সুতার ও কালিদাস বৈদ্যের মাধ্যমে এই পরিষদের সুত্রপাত হয়।ডাঃ কালিদাস বৈদ্যকে বঙ্গবন্ধু কবিরাজ নামেই ডাকতেন।

( উল্যেখ্য এই ডাঃ কালিদাস বৈদ্যের রচিত বাঙ্গালীদের মুক্তিযুদ্ধের অন্তরালে শেখ মজিব নামে একটি বই লিখেছেন বর্তমানে)

১৯৭০ সনের ২১শে আগষ্ট এক সন্ধ্যায় ঢাকার ৪২নং বলাকা বিল্ডিং এ সিরাজ পণ্হিদের এক মিটিং এ চট্ট্রগ্রামের ছেলে স্বপন কুমার চৌঃ নামে এক অখ্যাত ছাত্র স্বাধীন সমাজতান্ত্রিক বাংলাদেশ ইপস্তাপন করে কিছুক্ষন এর উপর আলোচনা করা হয়।পরে এক পর্যায়ে ভোটাভুটির আয়োজন করা হয়।সেখানে নাকি ৪৫ জন ছাত্রের মধ্যে ৩৬ জনই এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়।পরে সবাই মিলে ধানমন্ডি ৩২ নাম্বারে গিয়ে বঙ্গবন্ধুকে অবহিত করেন।

বঙ্গবন্ধু সবাইকে নাকি বললেন---- স্বাধীনতা চাস ভাল।কিন্তু রেজুলেশন নিয়ে তো স্বাধীনতা হয় না।গ্রামে যা, কাজ কর।

১৯৭২ সালের ১০ই জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে দেশে ফিরে আসেন।অল্প কিছু দিনের মাথায় এসে সিরাজুল আলম খান ও আবদুর রাজ্জাকের মধ্যে দন্ধ প্রতিধন্ধ দেখা দিল।সিরাজুল আলম খান নাকি লাল সালাম এবং সমাজ তন্ত্রের কথা বেশি বলতে লাগলো, এটা রাজ্জাক সাহেবের মোটেও পছন্দ হচ্ছে না।এরি মাঝে সংযুক্ত ছাত্রলীগের মাঝে এলো এক নতুন মতবাদ।আর সেটা হলো মজিববাদ।সিরাজুল আলম রব রাজ্জাক তোফায়েল, নুরে আলম সাজাহান সহ সবাই যেখানে সেখানে শ্লোগান দিত, আমার তোমার মতবাদ, মুজববাদ মুজববাদ।

কিন্তু কিছুদিন পরে সিরাজুল আলম পণ্হিরা  হঠাৎ এই শ্লোগান বন্ধ করে দিল।তাদের উদ্যেশ্য নাকি অন্যকিছু। তারা লাল বাহিনী তৈরির ঘোষনা দিল।সিরাজুল আলম খান বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘদিনের বিশ্বস্ত বুন্ধু  তাজউদ্দিনের সাথে গোপনে গোপনে সলাপরামর্শ করতে লগলো নতুন দল গঠনের ব্যপারে।তাজউদ্দিন আহম্মদও সমাজতন্ত্র প্রতিষ্টার পক্ষে ছিলেন।

১৯৭২ সালের ৩০ অক্টোবর তাজউদ্দিনের বাসায় সারারাত ধরে সিরাজুল আলম ও আবদুর রবের মধ্যে আলোচনার পর ফাইনাল সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তারা দল গঠন করবেই করবে।জনাব তাজউদ্দিন সাহেব তাদেরকে কথা দেন সর্বোত ভাবে সহযোগিতা করার।পরের দিন ৩১শে অক্টোবর মেজর জলিলকে সভাপতি আর রবকে সাধারণ সম্পাদক করে গঠিত হয় জাতিয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ।

হায়রে নষ্ট মাথার নেতারা হায়রে দুষ্টচক্র বেঈমানের দল বিশ্বাঘাতকের ও একটা সিমা আছে।যে ছাত্রলীগের ছাত্ররা ছিল ববঙ্গবন্ধুর অতি আদরের সন্তানের মত। যে ছাত্ররা এক বিছানায় গুমাতো, এক সাথে খেত, এক সাথে খেলত, পড়তো,সেই ছাত্ররা হয়ে গেল দ্বিধাভিবক্ত।তাও আবার এই সময়।দেশের এই ধংশযজ্ঞের উপর দাঁড়িয়ে?

সুচনা হলো বাঙ্গালীর দুর্বিসহ জীবনের নতুন অধ্যায়।জাসদ গঠন করেই তারা বৈজ্ঞানিক সমাজ তন্ত্র কায়েমের নামে শুরু করে দিল সারা বাংলাদেশে এক ভয়াবহ অরাজকতা।তাদের সন্ত্রাসি কর্মকান্ডে কায়েম হলো ত্রাসের রাজত্ব। মুক্তি যুদ্ধের সময় পাওয়া কোন অস্ত্র তারা জমা দেয়নি।একি বছর সেক্টর কমান্ডার কর্নেল তাহেরের নেতৃত্বে তারা গোপনে গঠন করলো বিপ্লবি গন বাহিনী।যা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।পৃথিবীর কোন দেশে নিয়মতান্ত্রিক সেনা বাহিনী থাকতে এরকম গন বাহিনী গঠিত হয়নি। জাসদ তাহাই করে দেখালো।সেই অস্ত্র নিয়ে তারা ব্যাংক লুট থানা লুট মিলকারখানায় পাঠের গুদামে আগুন দিতে লাগলো।তারা নির্বিচারে হত্যা করলো আওয়ামী লীগের নেতা কর্মি ও এমপিকে।

১৯৭৩ সালের ১৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে তারা হাজার হাজার কর্মি বাহিনী মিছিল নিয়ে স্বারষ্ট মন্ত্রি আবুল মনসুরের বাড়িতে আক্রমন করে বসে। সেখানে পুলিশ ও রক্ষিবাহিনীর সাথে তাদের গোলাগুলি হয় কয়েক ঘন্টা ধরে।সেখানে বিশ পোঁচিশ জন লোকের প্রাণ চলে যায়। পরে জাসদের ্হাবিবউল্লা নামে এক নেতা বলেছেন আজকের তত্ব মন্ত্রি হাসানুল হক ইনুই নাকি প্রথম গুলি চালায় ।তাদের মুল উদ্যেশ্য  যে কোন মুল্যে  বঙ্গবন্ধুকে উৎখাত করে   রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করা।

১৯৭৫ সালে এসে এই জাসদের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু তৎকালিন সকল গনতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল ও বাম দলের মনি মোজাফ্ফর গ্রুপের সাথে জাসদ ব্যতীত সর্বসন্মতিক্রমে গঠন করেন  বাকশাল।দেশ গড়ার উদ্যেশ্যে এই রাজনৈতিক প্লাটফরম গঠন করার পর কেউই প্রকাশ্যে এটার বিরুধিতা তো করেই নাই, বরঞ্চ জিয়া মওদুত মঞ্জু গনরা সদস্য হওয়ার জন্য ব্যকুল হয়ে পড়েন।

১৯৭৫ এর ১৫ই আগষ্ট জাসদের তাহের, জেনারেল জিয়া, আর বঙ্গবন্ধুর বিশ্বস্ত বন্ধু  মোস্তাক মিলে কর্নেল রশিদ ফারুককে দিয়ে স্বপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে নির্মম ভাবে হত্যা করে বাঙ্গালী জাতির ইতিহাসে রচনা করে এক কলঙ্কিত অধ্যায়।তাদের হাত থেকে রক্ষা পায়নি গর্বভতি নারি শিশু এমন কি বঙ্গবন্ধুর পোশা পাখিরাও।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সকাল ৯টা বাজেই কর্নেল তাহের খুনি রশিদ ডালিমকে নিয়ে বেতার কেন্দ্রে যান বিবৃতি দিতে। পরে জেনারেল জিয়াও সেখানে গিয়ে সামিল হন।একদিকে বঙ্গবন্ধুর রক্তাক্ত নিথর দেহ ৩২ নম্বর বাড়ির সিড়ির মাঝে পড়ে থাকে। অন্যদিকে খুনিরা বার বার বিবৃতি দিয়ে দেশের মানুষকে বিব্রান্ত করিতেছে।

দুদিন পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নঈম জাহাঙ্গির নামে এক ছাত্র নারায়ন গঞ্জে তাহেরে বাসায় জান।তাহের নাকি ক্ষুদ্ধ হয়ে বলেন, মজিবকে কবর দেওয়া ঠিক হয়নি, এখন সেখানে মাঝার হবে। উচিত ছিল মজিবের লাশটা বঙ্গপসাগরে ফেলে দেওয়া।

যে তাহেরকে বঙ্গবন্ধু অত্যান্ত স্নেহ করতেন। যে তাহেরকে বঙ্গবন্ধু জার্মানে পাঠিয়ে চিকিৎসা করিয়েছেন। সে তাহেরের মুখে এমন অকৃতজ্ঞ কুৎসিত কথা।

তাহের সিরাজ, রব, ইনু আরেফরা যে কুৎসিত খেলা খেলেছিল।সে খেলায় বুমেরুং হয়ে জাসদ ও তার হাজার হাজার কর্মি বাহিনীসহ হাজার হাজার প্রকৃত মুক্তি যোদ্ধাকেও প্রাণ দিয়ে দিতে হয়েছে চরম মুল্য।তাহেরকেও ফাঁসির কাস্টে ঝুলে কঠিন মুল্য দিতে হয়েছে।এটাই চরম সত্য। 

সেই ক্ষমতা লোভি জাসদ আজ আর সেই জাসদ নেই। এখন তারা ইতিহাসের আবর্জনা, ক্ষমতার উচ্চিষ্ট কাউয়া কিড়া।১৯৮০ সালে এসে জাসদ বেঙে বাসদ হলো।তার আবার জাসদ রব ইনু দুভাগে ভিবক্ত হলো। ১৯৮৮ সালে এসে জাসদ একদিনে আটভাগে ভিবক্ত হয়ে গেল।এটাই বোধ হয় রাজনৈতিক ইতিহাসে বিশ্ব রেকর্ড।

Wednesday, January 25, 2017

নষ্টমাথার নষ্টরাজনীতি,১-২


       


   নষ্ট মাথার নষ্ট রাজনীতি  

                                                   ১-পর্ব,
 নষ্ট মাথার  নষ্ট রাজনীতির শিকার আজ আমরা সাড়ে ষোল কুঠি বাঙ্গালী।আদর্শহীন আর আদর্শচ্চ্যুত রাজনৈতিক দলগুলির নষ্ট মাথার নষ্ট নেতারা স্বাধীনতার পর থেকেই আমাদের অগ্রযাত্রাকে স্তব্দ করে দেওয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।তাদের কোন সুনির্দিষ্ট কনসেপ্ট নেই।দুরদর্শিতা জ্ঞ্যন ও প্রজ্ঞা সম্পর্ন  রাজনৈতিক কোন মেনোপেষ্ট নেই। তারা রাজনীতির নামে হরতাল, অবরোধ, ধর্মঘট, জ্বালাও পোড়াও  অগ্নি সন্ত্রস, বোমা সন্ত্রাসের মাধ্যমে, দেশের মুল্যবান সম্পদ ধ্বংশ করে দিয়ে, মানুষ হত্যা করে, নৈরাজ্যবাদী ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। তাদের হাত থেকে নারী পুরুষ এমন কি শিশুরাও বাঁচতে  পারেনি।তাদের হাত থেকে রক্ষা পায়নি পশুপক্ষি, এবং গাছপালাও।তারা  নতুন  প্রজন্মকে  রাজনীতির নামে বিব্রান্ত করে তাদের মধ্যে রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষ ও হানাহানি সৃষ্টি করে সমগ্র দেশকে  ভয়াবহ  অরাজকতা,   অশান্তি ও অন্ধকারাচ্ছন্ন করে রেখেছে ।

কেউ ধর্মের নামে, কেউ গনতন্ত্রের নামে কেউ সমাজতন্ত্রের নামে,কেউ জাতীয়তা বাদের নামে একটা দেশ একটা জাতি ও তার ভবিষ্যত প্রজন্মকে ধ্বংশ করে দিচ্ছে ।মহান স্বাধীনতার ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়েছে।বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় নেতাদেরকে জেলখানার অন্ধাকার প্রকোষ্টে নির্মম ভাবে হত্যা করে জাতীকে করা হয়েছে কলঙ্কিত ওবহুধা বিভক্ত।মুক্তি যুদ্ধের চেতনাকে ধুলির সাথে মিশায়ে দিয়ে তিরিশ লক্ষ শহীদের আত্মার সাথে  বেঈমানী করে তারা নিলর্জভাবে আমাদের সকল  গর্বকে সর্বোতভাবে খর্ব করে দিয়েছে ।


 এই নষ্ট মাথার রাজনীতিবীদদের কোন সৎ উদ্যেশ্য নেই।তারা কোনদিন জাতির মঙ্গল চায়নি এবং চাচ্ছে না। দেশের অগ্রগতি চায়নি এবং চাচ্ছেও না।তারা সংসদিয় গনতন্ত্রের নামে কায়েম করেছে  শ্বৈরতন্ত্র, সমাজতন্ত্রের নামে কায়েম করতে চায় আমলা তন্ত্র, শ্রেণী সংগ্রামের নামে এক অদ্ভূত  ভিআইফি তন্ত্র, মানে নিজেদের একনায়কত্ব,ধর্মের নামে সৃষ্টি করেছে বিভিন্ন ফেরকা আর  সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ও জঙ্গিবাজ উগ্রবাদ ।মুক্তমনা লেখক ব্লগার বিদেশিকে হত্যা করে আন্তর্জাতিক ভাবে খুন্ন করছে দেশের মান সন্মান।

রাজনৈতিক দলের বাহিরেও আছে এক শ্রেণীর নষ্ট মাথার কিছু দুষ্ট চক্রের দল। আমরা যাদেরকে বুদ্ধিজিবী হিসেবে জানি।সমাজের এলিট শ্রেণী।কথিত  স্বঘোষিত সুশিল সমাজ। এনজিওর কিছু হোমরা চোমরা।তারাও সরকারি সুজোগ সুবিধাও ক্ষমতার চিটে পোটা খাওয়ার জন্য উল্টাপাল্টা কথাবার্তা বলে দিন দিন আমাদেরকে বিব্রান্ত করে যাচ্ছে।

  তাদের  মুল উদ্যেশ্য  লুটপাটতন্ত্র।জোট মহাজোট গঠন করে লুটপাট করে নিজেদের আখের গোছানো। সরকারি সকল সুজোগ সুবিধা,ধানমন্ডি গুলশান বনাণিতে বাড়ি, ক্ষমতার উচ্চিষ্ট খাওয়া  তাদের চরিত্রের বৈশিষ্ট হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভোটচুরি করে ভোট ঝাল ও লুট করে, ভোট কিনে, ভয় দেখায়ে, অস্ত্র ঠেকায়ে,ভোট ইজ্ঞিনিয়ারিং সহ নানা অপকর্ম ও কুটকৌশলের মাধ্যমে শুধু ক্ষমতায় যাওয়া।বস যেতে পারলেই হলো।তাড়াতাড়ি পাল্টে যায় তাদের বাড়িগাঁড়ি, আসভাবপত্র হয় সব ইম্পোর্টেট।আবার ব্যংক বীমা লুটপাট করে ঘুষ দুর্নীতি করে কাড়ি কাড়ি টাকা বিদেশে পাচার করে বানায় সেইফ হোম।কুঠি কুঠি টাকা বিদেশি কম্পানিতে লগ্নি করে হচ্ছে এদেশের বুর্জ্যুয়া নব্য মিলিনিয়র।দেশিয় শিক্ষা সংস্কৃতি বাদ দিয়ে নিজের সন্তানকে  বিদেশে পাঠায় অপসংষ্কৃতি শিক্ষার জন্য।

জনগনের করের টাকা মেরে ছোটখাটো অসুকের চিকিৎসার জন্যও  চলে যায় আমেরিকা কানাডায় লন্ডন শিঙ্গাপুরের মত উন্নত দেশে।হারামের টাকা দিয়ে হজ্ব করতে যায় মক্কায়।ভ্রমন করতে যায় দেশ বিদেশে। অতচ জনগন সামান্য স্বদেশীয় চিকিৎসা থেকেও বঞ্চিত।সুশাসন থেকে বঞ্চিত। অন্ন বস্ত্র বাসস্হান বিদ্যুত গ্যস সুফেয় পানি সুশিক্ষা, এবং আধুনিকের সকল সুখ আহল্লাদ থেকেও বঞ্চিত।

আমরা অনেক দেখেছি, অনেক শুনেছি, তাদের কথার ফুলঝুরি।স্বাধিনতার পর থেকেই দেখে আসছি।মুখোশ পরা সাধু সয়তানের খেলাখেলি। নোংরা রাজনীতি, দুর্বৃত্যায়নের রাজনীতি,দল বদল ডিগবাজির রাজনীতি।  নির্বাচনের আগে তারা গাধাকেও বাবা ডাকে, আবার নির্বাচিত হলে বাবাকে গাধাও মনে করে না। 

তারা কেউ ব্যবহার করে ধর্মকে, কেউ ব্যবহার করে গনতন্ত্রকে, কেউ ব্যবহার করে সমাজ তন্ত্রকে, আবার কেউ জাতীয়তাবাদকে। অতচ ঔরা নিজেরাই নাস্তিক।গনতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রের কচুও তারা বু্ঝেনা।বিশ্বাস ও নেই শুধু ভাব করে, এটাই তাদের আদর্শ।এটাই তাদের ধর্ম।এটাই তাদের স্বভাব চরিত্রের বৈশিষ্ট।

তরুন প্রজন্ম আজ এই দুষ্ট চক্রের হাত থেকে মুক্তি চায়।তরুনরা আজ এই নষ্টমাথার নষ্ট রাজনীতির রোশানল থেকে বাঁচতে চায়,রক্ষা করতে চায় প্রিয় জন্মভূমিকে।তাদের  অনিয়ন্ত্রিত স্বপ্নকে ওরা আজ রুদ্ধ করে রেখেছে। তরুনরা চায় আজ জাতির অগ্রগতি ও সম্বৃদ্ধ বাংলাদেশ।তারা  চায় আজ শান্তি ও সুন্দর পরিবেশ।

আমরা আজ সন্মিলিত ভাবে প্রত্যাখ্যান করছি, নষ্টমাথার সব অপ ও অসুভ রাজনীতিক দল ও নেতাদেরকে।সাথে সাথে নিম্নে আলোচনার মাধ্যমে উন্মোচন করছি তাদের মুখোশ।

 

                                                    ২য়-পর্ব,

                                 কি চায় তারা, কি তাদের উদ্যেশ্য...?                        


 


 


 


 

        বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ....... ?


 


 


বাংলাদেশের  সবচেয়ে পুরানো ও ঐতিহ্যবাহি  একমাত্র দল হলো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। সবুজ সতেজ বাংলার পানোরামা দুর দীগন্ত  শ্যমল মাঠি ও কৃষক শ্রমিক জেলে তাঁতি কামার কুমার  মেহনতি মানুষের কাপেলা থেকে উঠে আসা এই দলটি আশমান ছোঁওয়া বৃহত্তম একটি রাজনৈতিক দল।২৩শে জুন ১৯৪৯ ইং সালে দলটি পুর্ব পাকিস্তান মুসলিম আওয়ামী লীগ হিসেবে প্রতিষ্টিত হয়ে, নানা ঘাত প্রতিঘাত অতিক্রম করে ১৯৭২ ইং সালে স্বাধীন বাংলাদেশে দলটির নামকরন হয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। উপ মহাদেশের গনতন্ত্রের মানষ পুত্র হিসেবে খ্যত হোসেন শহীদ সোওরোয়ার্দীর নির্দেশে আসামের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে সদ্য স্বদেশ ফেরা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানি, ছাত্রনেতা শেখ মজিবর রহমান শামসুল হক ও এয়ার মোহাম্মদ খানের নেতৃত্বেই দলটির গোড়পত্তন হয়।

এখানে অবাক করার একটি বিষয় হলো যে তরুন ছাত্র নেতা শেখ মজিব কলকাতা থেকে ফিরে এসেই ঢাকা ইউনিভারসিটিতে ভর্তি হয়ে পাকিস্তান আজাদি হওয়ার মাত্র সাড়ে চার মাসেরও কম সময়ের মধ্যে ১৯৪৮ সালেই   পাকিস্তান ছাত্রলীগ নামে একটি ছাত্র সংগঠন গড়ে তোলেন।তখনো মুসলিম আওয়ামী লীগ প্রতিষ্টাই হয়নি।এটা ইতিহাসে বিরল। যা আজ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নামে আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন।

 তৎকালিন পুর্ব পাকিস্তান মুসলিম আওয়ামী  লীগের প্রতিষ্টা লগ্নে মাওলা ভাসানি সভাপতি ও শামসুল হক সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হলেও জেল খানায় বন্দি অবস্হায় তরুন ছাত্র নেতা শেখ মজিব হন যুগ্ন সম্পাদক।১৯৫২ সালে তিনি হন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক। ১৯৫৩ সালে হন সাধারণ সম্পাদক।১৯৫৪ সালে শেখ মজিব দলের নাম থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দিয়ে, তিনি যুক্তপ্রন্ট গঠন করে মুসলিম লীগের বিরুদ্ধে  নির্বাচনে লড়েন। বিপুল ভোটে বিজয় হয়ে যুক্তপ্রন্ট সরকার গঠনও করেন।কিন্তু মাত্র ৫৮দিনের মাথায় এসে যুক্তপ্রন্ট সরকারকে ভেঙে দেওয়া হয়।১৯৫৭ সালে এসে ভাসানি ন্যসানাল আওয়ামী লীগ নামে আরেকটি দল গঠন করে  দলটিকে ভিবক্ত করে ফেলেন।

বাহান্নের ভাষা আন্দলন, ৬৬ইর ছয় দপা আন্দলন,৬৮,র, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, উনসত্তরে লৌহমানব শ্বৈরচারি আইয়ূব খানের মার্শাল, ল এর বিরুদ্ধে গন অভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচনের বিপুল বিজয় ও ৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়ে নয় মাসের রক্তক্ষয়ি যুদ্ধের  মাধ্যমে বিজয়  লাভ করে এই দলটিই গঠন করে  স্বাধীন সার্বভৌমত্ব বাংলাদেশ।৩৪জন বুদ্ধিজীবিকে নিয়ে বঙ্গবন্ধু প্রণয়ন করে প্রবিত্র সংবিধান।যগান্তরকারি সেই সংবিধানের মুলনীতিই বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের মুলনীতি ও বা মতাদর্শ।

এই দলের মুলনীতি ও মতাদর্শঃ-- সংসদীয় গনতন্ত্র।জনগনই ক্ষমতার মালিক,জনগনের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই রাষ্ট্র পরিচালনা করবে।

সমাজতন্ত্র,---এটা মার্ক্স এঙ্গেলসের মতাদর্শের সমাজতন্ত্র নয়। তবে শোষন মুক্ত সামাজিক ন্যয় বিচার ও বৈশম্য দুর করে সাম্য মৈত্রির মাধ্যমে দেশটাকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলাই দলটির মুল উদ্যেশ্য।

ধর্মনিরপেক্ষতাঃ--- সকল ধর্মের অনুসারিরা যার যার মতে তার তার ধর্ম পালন করবে।

জাতীয়তা বাদঃ---বাঙ্গালী জাতির কৃষ্টি কার্লচার সমন্নুত রেখে  ঐক্যবদ্ধ ভাবে দেশের সম্পদ ও স্বার্বভৌমত্ব রক্ষা করবে, এবং বাঙ্গালী জাতী হিসেবে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরবে। 

কিন্তু আজ মিলিনিয়ন টাকার একটা প্রশ্ন করি আওয়ামী লীগের কাছে। আওয়ামী লীগ কি তাদের মুলনীতি অনুসারে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে পেরেছে বা করিতেছে ?

  বি এন পি.......?  

  জাতীয় পার্টি,,,,? 

                                                 
      জামায়াত....? 

     সিপিবি....?   

সর্বহারা ও পুর্ববাংলা কমিনিষ্ট পার্টি,,,,,?

 সমাতান্ত্রিক সমমনা দলগুলি...? 

  ইসলামী সমমনা দলগুলি..?

 

 

 

 

 

 

 

 

















































                                    

Sunday, February 28, 2016

শুধু গোস্ত হলে স্বাস্হ নয়








জেনে নিন মানব দেহের অঙ্গ প্রত্যঙ্গের ব্যপারে-মনে রাখবেন এই সবি বইপুস্তক ও অনলাইন থেকে সংগৃহিত।

মানব দেহে সর্বমোট ৭৮ অঙ্গ এবং ২০৪টি অস্হি আছে, তন্মধ্যে সবচেয়ে জটিল এবং প্রধান গুরুত্বপুর্ন অঙ্গ হলো -------
১, ব্রেইন বা মস্তিস্কো,
একজন প্রাপ্ত বয়স্কো মানুষের ব্রেইনটার ওজন হয় ১৩০০--থেকে ১৪০০ গ্রাম। আবার এর চেয়ে কমও হতে পারে। যেমন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট বিজ্ঞানি আর্লবার্ট আইনস্টাইনের মস্তিস্কো ছিল ১২৭৫ গ্রাম। আর একটি শিশুর  জন্মের পর মস্তিস্কো থাকে ৩০০ থেকে ৩৫০ গ্রাম। ১৮ বছর পরে মস্তিস্কো আর বাড়ে না।
পৃথিবীর সকল প্রাণীর মস্তিস্কের চেয়ে ( হাতি গন্ডার  নীল তিমী যাহাই বলেন না কেন ) মানুষের মস্তিস্কো ৩ ভাগ বড়।
মস্তিস্কের ৭৫ ভাগই পানি আর চর্বি দ্বারা গঠিত।
অতচ মস্তিস্কের কার্যক্ষমতা শুনলে আপনি অবাক হবেন। ডাঃওয়াল্টারের মতে মানুষের মস্তিস্কের সমপরিমান বৈদ্যুতিক  একটা ব্রেইন বানাতে গেলে খরছ পড়বে ১৫০০ শত ট্রিলিয়ন ইউ এস ডলার । যা দিয়ে বর্তমান বাজারে  ১০ কোটি সুপার কম্পিউটার কেনা সম্ভব। আর এটার আয়োতন হবে ১৮টি ১০০শত তলা বিল্ডিং এর সমান।আর এটাকে চালাতে ১০০০ হাজার কোটি কিলোওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন হবে। একবার ভেবে দেখুন  এটা কত বড় গুরুত্বপুর্ন একটা জিনিস।মানব মস্তিস্কে আছে ১০০ বিলিয়ন নিউরন বা নার্ভ।এটার  সর্বনিম্ন গতিবেগ ঘন্টায় ২৫৮.৪৯০ মাইল।তথ্য আদান প্রদান করতে পারে নুন্যতম ০,৫ মিটার প্রতি সেকেন্ডে, আর সর্বোচ্চ ১২০মিটার সেকেন্ডে। আবার এটার মধ্যে ১০০ মাইল লম্বা উপশিরা আছে। ৭০,০০০ বিষয়ে চিন্তা করতে পারলেও খেয়াল রাখতে পারে  ১০ থেকে ১৫টি শব্দ।আবার সঠিক ভাবে কাজ করে মাত্র ৩%; অবশ্য চিন্তাবিদদের একটু বেশি। তাদের  ১০% পর্যন্ত কাজ করে।একজন মানুষের শিরচ্ছেদের পরেও  ২০ সেকেন্ড মস্তিষ্কের চেতন থাকে।এক জন মানুষের দেহের তুলনায় মস্তিষ্কো হলো ২ভাগ, আর হাতির দেহের তুলনায় মাত্র ০,০৫ ভাগ মাত্র।
মানব দেহের মোট অক্সিজেনের প্রায় ২০%  মস্তিষ্কে ব্যবহার হয়ে থাকে।আবার ২০% ভাগ রক্তও মস্তিষ্কে আদান প্রদান করে থাকে।পুরো মস্তিষ্কের ওজনের দ্বিগুন তার আবরন বা চামড়া দিয়ে আবদ্ব থাকে।
জাগ্রত অবস্হায় একজন মানুষের মস্তিষ্কো ৪০ ওয়াট পাওয়ার সৃষ্টি করতে পারে। আবার জ্বরে আক্রান্ত হলে সর্বোচ্ছ সহনীয় থাকে ১১৫,৭ ডিগ্রি ফারেনহাইট, এবং ততক্ষন পর্যন্ত একজন মানুষ বাঁচতে পারে।
মানুসিক চাপ বেশি থাকলে কোষ গঠনে বাধাগ্রস্হ হয়। অক্সিজেনের ক্ষরন হয়।যদি মস্তিষ্কে ৮ থেকে ২০ সেকেন্ড রক্ত না পায় তাহলে মানুষ জ্ঞান হারায়।অক্সিজেন চাড়া একজন মানুষ মাত্র ৫ মিনিট টিকতে পারবে।
এবার জানুন ব্রেইনের রোগ সমূহ---
 ১,-- ব্রেইন স্ট্রোক, মানব মস্তিষ্কের কোন স্হানের রক্ত নালী হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে গেলে ঐ এলাকায়  রক্ত চলাচলে বাধাগ্রস্হ করে ঐ অংশকে বিকল করে দেয় বলে তাকে ব্রেইন স্ট্রোক বলে।মনে রাখতে হবে মস্তিষ্কের ডান দিকে এটাক হলে শরিরের বাম দিক বিকল হবে, আর মস্তিষ্কের বাম দিকে এটাক হলে শরীরের  ডান দিক বিকল হয়ে যাবে।এই বিকল বা অবশ বিবশ হলে এটা কিন্তু চিরতরে বিকল হয়ে যায় না। ধীরে ধীরে সুস্হ হয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে বেশি। উচ্চ রক্তচাপ ডায়বেটিস রক্তে অতিরিক্ত চর্বি,  এলকোহল,ও ধুমপানে স্ট্রোক হবার ঝুঁকি থাকে বেশি।এছাড়া শরীরের হার্ট বা অন্য কোন ধমনী থেকে জমাট বাঁধা রক্ত ছুটে গিয়ে মস্তিষ্কে আঘাত হানার কারনেও ব্রেইন স্ট্রোক হতে পারে।মনে রাখতে হবে ছোট ধরণের স্ট্রোক হলে বমি হওয়া শরীরের একদিক অবশ হওয়া বোধহীন ও বাকরুদ্ধ হওয়া, কথা জড়িয়ে আশা এবং জ্ঞান হারানোর মত উপসর্গগুলি দেখা দেয়। আর বড় ধরনের হলে হাত পাঁ চারটাই অচল অবশ হয়ে যাবে।স্ট্রোকের রোগিকে  কম্পিউটার টমোগ্রাপি, এঞ্জীওগ্রাম, ও ইকোকার্ডিও গ্রাম করে জেনে বুঝে সঠিক চিকিৎসা করাতে হয়।এটা অবশ্য স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ বা নিউরোলোজিস্ট এর কাছে চিকিৎসা করাতে হয়।এই রোগের তেমন কোন সুচিকিৎসা নাই যে এটা সাথে সাথে ভালো হয়ে যাবে।
২,-আলঝেইমার, ডিজিজ,

 



 
২,হার্ট বা হৃদপিন্ড---
মানব দেহে হৃদপিন্ড হলো একটা গুরত্বপুর্ন পেশীবহুল প্রত্যঙ্গ।এটা মাংশ পেশী দারা তৈরি একটি স্বয়ংক্রিয় পাম্প মেসিন।যার কাজ হলো আমাদের শরিরে বিরামহীন ভাবে রক্তকে পাম্পিং পক্রিয়ায় বিষুদ্ধ করে সমস্ত শরিরে সরবরাহ করা। সাধারণ পানির পাম্পের মত এই হৃদপিন্ডও  বৈদ্যুতিক শক্তিতে চলে, পার্থক্য শুধু এই যে এর বৈদ্যুতিক জেনেরেটরটা এর ভিতরেই থাকে, এবং তা হৃদপিন্ডের কোষ দিয়ে স্বয়ংক্রিয় ভাবে তৈরী।

আমাদের সবার ধারণা হৃৎপিন্ডটা বুকের বামদিকে থাকে।আসলে ব্যপারটা পুরোপুরি সত্য না।হৃৎপিন্ড থাকে বুকের মাঝ ভরাবর, তবে বাঁদিকে একটু বেশি।তাসের হর্তনের মত কিছুটা ত্রিভূজাকৃতির বাঁদিকের চুড়াটির মাথায় ধুক ধুক বা স্পন্দিত হয়।একজন পুরুষের হৃৎপিন্ড প্রায় ৩৪০ গ্রাম ওজন হয়,নারীদের একটু কম হয়।এই হৃৎপিন্ডটিকে আমরা বাংলায় বলি হৃদয় আর ইংরেজিতে বলে হার্ট।আবার ইংরেজিতে মাইন্ড নামে একটি শব্দ আছে, যার অর্থ হলো মন।এই হার্ট এবং মাইন্ড দুটি শব্দের প্রতিশব্দ হলো--হৃদয়।
 
হার্ট-কে আমরা ইমোশনাল অঙ্গ বলেই জানি। হার্ট ধুক ধুক করে স্পন্দিত হয়, আমরা প্রতিমুহুর্ত্যে তা অনুভব করি।আমরা মনে করি হার্টের মধ্যেই মন এবং আত্মা বসবাস করে যা অত্যান্ত স্পর্শকাতর জিনিস।আবার মস্তিষ্কো নামেও আরেকটি শব্দ আছে।এই তিনটা জিনিস মন,আত্মা, এবং মস্তিষ্কোকে কোন প্রত্যঙ্গ হিসেবে ধরতে পারিনা।ডাক্তারী বা শারীরবিদ্যা তা সমর্থন করেনা।

রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর তার এক কবিতায় মনকে খ্যাপা হৃদয়ের উল্যাস হিসেবে বলেছেন।মাংশপিন্ড দিয়ে তৈরি হৃদয়কে আমরা ভালোবাসার একমাত্র আসন বলে থাকি।কিন্তু অস্তিত্বহীন মন আত্মা ও মস্তিষ্কোকে আমরা কি বলবো কিভাবে বর্ণনা বিশ্লেষন করবো।এই তিনটি জিনিস কি চুম্বোক শক্তি নাকি অশরিরী অন্য কিছু।তা সঠিক ভাবে আজ পর্যন্ত কোন বৈজ্ঞানিক দার্শণিক বা মুনি ঋষি কেহই  ব্যাখ্যা করতে পারেনি।

ইংরেজি শব্দ হার্ট এবং মাইন্ড এর বাংলা প্রতিশব্দ হলো হৃদয়। হর্তনের পাতার মত দেখতে এই হৃদয় শব্দাটাকে এভাবে ভাগ করলে হৃ+দয় =হৃ শব্দের অর্থ দাঁড়ায় হরন করা, আর দয় শব্দের অর্থ হলো দেয় বা দেওয়া।ঠিক হৃদয়ের কাজও হলো নেওয়া এবং দেওয়া।আবার ইংরেজিতে ব্রেইন বলেও একটি শব্দ আছে যার প্রতি শব্দ হলো মস্তিষ্কো।আমরা জানি যে ব্রেইনেরও কোন অস্তিত্ব নাই।মাথায় আ্ছে কিছু মগজ ও রক্ত পানি।
 
 
ডাক্তারী মতে হৃৎপিন্ডের ভিতরে চারটি ভাগ আছে।দুটি বাম দিকে দুটি ডানদিকেিউপরিভাগে দুটি এট্রিয়াম ও নীচে দুটি ভেন্ট্রিকল থাকে।ডানদিকের দুটি মোটা এন্ট্রিয়াম শিরা দিয়ে রক্ত ঢোকে।এই রক্তে কম অক্সিজেন এবং কার্বনডাই অক্সাইড এবং অন্যান্য পদার্থ বেশি পরিমাণে ঢুকে।এই ডানদিকের এট্রিয়াম থেকে এবার রক্ত যায় ডানদিকে ভেন্ট্রিকলে। সেখান থেকে পালমোনিক ভাল্বের ভিতর দিয়ে রক্ত যায় ফুসফুসে বা লান্সে।এখানেই রক্ত অক্সিজেনে পরিশোধিত হয়।পরিশোধিত রক্ত যায় বামদিকে এন্ট্রিয়ামে। পরে বাম এট্রিয়াম থেকে বাম ভেন্ট্রিকলে।বাম ভেন্ট্রিকল জোরে সঙ্কুচিত হয়ে এওরটিকে ভাল্বের মাধ্যমে রক্ত বের করে চালান করে দেয় সর্ব প্রধান ধমনী এওরটায়।সেখান থেকে পরিশোধিত রক্ত ছড়িয়ে যায় দেহের সর্বত্রএন্ট্রিয়াম থেকে রক্ত ভেন্ট্রিকলে সঞ্চালিত হয় একমুখী ভাল্বের সাহায্যে।এই ভাল্ব একদিকেই খোলে যাতে পরিশ্রুত ও দুষিত রক্ত মিশে না যায়। শরীরের সব কোণ থেকে দুষিত রক্ত ইনফিরিয়র ভেরাকাভা নামক একটি ভেন বা ধমনীর মাধ্যমেএবং মস্তিষ্ক থেকে সুপিরিয়র ভেনাকাভার মাধামে আবার হৃদযন্ত্রে ডান এন্ট্রিয়ামে এসে ঢোকে।এটি সঙ্কুচিত হলে ট্রাই-কাস্পিড ভাল্ব খুলে যায়, এবং ঐ রক্ত ডান ভেন্ট্রিকলে চলে যায়।ডান ভেন্ট্রিকলের সঙ্কোচনের ফলে রক্ত পালমোনারি ভাল্ব খুলে পালমোনারি আর্টারির মাধ্যমে ফুসফুসে পরিশোধিত হতে চলে যায়।পরে শুদ্ধ রক্ত বাঁ এন্ট্রিয়ামে ফিরে আসে পালমোনারি ভেনের মাধ্যমে।এই প্রক্রিয়াটি ঘটতে থাকে প্রতি মিনিটে ৫০--৬০ বার।ডাক্তারী এবং শরীরবিদ্যার ভাষ্য মতে এটাই সত্য।
 
 
 
 বৈদ্যুতিক তারের মত  এক ধরনের টিসু বা কলা দিয়ে  হার্ট ঐ জেনারেটরের সাথে কোষের সংযোগ ঘটিয়ে থাকে। এই টিস্যুর নাম কন্ডাক্টিং টিস্যু, এবং কোথাও যদি এই টিস্যু বাধাপ্রাপ্ত হয় বা নষ্ট হয়ে যায় তাহলে এর পরবর্তি অংশে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হতে পারে না, আর একেই বলে হার্ট ব্লক। হার্ট ব্লক তিন প্রকার, ফাস্ট ডিগ্রী, সেকেন্ড ডিগ্রী, ও থার্ড ডিগ্রী। শেষের দু প্রকার হার্ট ফেইলুর এ হার্ট এর ভেতর পেস মেকার বসানো লাগতে পারে।
হার্টে বেশ কয়টা রোগ হতে পারে 
যেমনঃ-- ১,ইশকেমিক হার্ট ডিজিজ-- Ischaemic.
2,হাইপারটেনশন, এটা উচ্চরক্তচাপ জনিত রোগ।
৩,জন্মগত হৃদরোগ।
৪,ভাল্ভের রোগ।
৫,হার্ট ফেইলুর-- Heart Failure.

 
বাইপাস অপারেশনকরা রোগীদের জন্যে কয়টি পরামর্শঃ---
১, অপারেশনের  পর থেকে সার্জন এর পরামর্শ অনুযায়ি পানি পান করতে হবে। অতিরিক্ত পানি বা অন্য কোন তরল পদার্থ কোন ভাবেই পান করা যাবেনা।
২,পরামর্শ পত্র অনুযায়ী নিয়মিত ঔষুধ সেবন করতে হবে।
৩,অপারেশনের ৩-৪ দিন পর থেকে একটু একটু করে হাঁটা যাবে। বেশি হাঁটা যাবেনা।
৪,এক সাপ্তাহ পর ধীরে ধীরে হাঁটার অব্যেশ বাড়াতে পারেন, কিন্তু ক্লান্ত হলে বিশ্রাম নিতে হবে।
৫,ভারী কোন প্রকার পরিশ্রম করা এবং বহন করা  যাবেনা।
৬. ওজন নিয়ন্ত্রনের মধ্যে রাখতে হবে।
৭, ধুমপান, তামাক জাতীয় পদার্থ পরিহার করতে হবে।
৮, কমপক্ষে ২-৩ মাস পুরোপুরি সুস্হ হওয়া না পর্যন্ত সহবাস থেকে বিরত থাকতে হবে।
৯, বুকে ব্যথা অনুভব করলে সাথে সাথে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
১০,নিয়মিত ব্লাড টেস্ট করে কোলেস্টোরল চর্বি আয়রন ক্যালসিয়াম কত পরিমান আছে দেখে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
১১, মা বাবা কিংবা বড় ভাই বোনের হৃদ রোগ থাকলে নিজেরও সাধানে তাকতে হবে, নিয়মিত চ্যকাব করায়ে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
১২, মানসিক চাপ কমায়ে মেডিটেশনে মনোনিবেশ করতে হবে।
১৩, পরিমিত ঘুম ও বিশ্রাম নিতে হবে।বড় ছোট সবারই হৃদরোগ হতে পারে।সবার সাথে আড্ডা দিয়ে হাসিখুশি থাকতে হবে।
১৪,কোলেস্টেরল  সমৃদ্ধ ও চর্বিযুক্ত ্ এবং ফাস্টপুড জাতি খাবার পরিহার করে আঁশ যুক্ত খাবার খেতে হবে।হিসেব করে খেতে হবে শর্করা জাতিীয় সাধরণ খাবারও।

হার্ট এ্যটাক কি?
হার্ট এ্যটাক হলো, হার্ট ঠিকমত কাজ না করে বন্ধ হয়ে যাওয়াকেই হার্ট এ্যটাক বলে।হার্টের করোনারি আটারি নামে হৃৎপিন্ডের গায়ে থাকা ছোট দুটি ধমনি। এই দুটি ধমনী দিয়ে হৃৎপিন্ডেঅক্সিজেন রক্ত সরবরাহ ও পুষ্টি যোগান দেয়।কোন কারণে এই করোনারি আটারিতে যদি রক্তে জমাট বেঁধে ব্লক সৃষ্টি হয় তাহলে এই দুটি এলাকায় হৃৎপেশি আর কাজ করেনা।তখনই হার্ট অ্যাটাক হয়ে থাকে।এটার লক্ষন বুকে প্রচন্ড ব্যথা অনুভূত হয়।বেশির ভাগ খেত্রেই হার্ট এ্যাটাক রোগি হাসপাতালে নেয়ার আগেই মৃর্ত্যু বরন করে।

 


 
৩ --লিভার বা কলিজা--
মানব দেহের একটি গুরুত্বপুর্ন অঙ্গ হলো লিভার।লিভারকে ভালো রাখতে হলে পর্যাপ্ত পরিমানে পরিষ্কার পানি পান করতে হবে।পরিশোধিত খাবার পরিত্যগ করে  সব সময় প্রেস খাবার খেতে হবে।প্রটিন ও আমিষ জাতিয় স্বাস্হকর খাবার খেতে হবে। শাগ সবজি ফলমুল  ম্যাগনেসিয়াম ভিটামিন সি সমুদ্ধ খাবার বেশি খেতে হবে। সাদা চিনির বদলে ব্রাউন চিনি খেতে হবে।সালফার জাতিয় খাবার ডিম ব্রকলি রসুন পেঁয়াজ নিয়মিত খেতে হবে। এ্যালকোহল ধুমপান বাদ দিতে হবে।
লিভার খারাপ হবার লক্ষন-----শরীরে জ্বালযন্ত্রনা করা, পেশি বা গ্যঁটে ব্যথা করা, হজম ঠিকমত না হওয়া, মাথা ব্যথা করা, ব্রন ও ত্বকের সমস্যা দেখা দেওয়া, গ্যাস হওয়া পেট পোলা, পেটে ব্যথা, ডায়রিয়া  ও কোষ্টকাঠিন্য, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা , ওজন বেড়ে যাওয়া ও কমে যাওয়া হলো খারাপ বা অসুস্হ লিভারের লক্ষন।
 



৪, ফুসফুস বা lung ---ফুসফুস হলো মানব দেহের আরেকটি গুরত্বপুর্ন অঙ্গ। এই অঙ্গের দিকে যত্নবান বা খেয়াল রাখা প্রত্যেকের উচিত।কারণ দেহের অন্যান্য অঙ্গের চেয়ে এই অঙ্গে অর্থ্যাৎ ফুসফুসে কেন্সার হওয়ার ঝুঁকি থাকে বেশি। তার কারণ ধুমপান ও দুষিত বাতাস শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে ফুসফুসে প্রবেশ করে।তা ছাড়া শরিরের অন্য যে কোন অংশে ক্যন্সার হলে দ্রুত রক্তের মাধ্যমে ফুসফুসে এসে বাসা বাঁধে। ক্যন্সার ব্যতীত আরো বেশ কয়টি রোগ হতে পারে ফুসফুসে।

 
 যেমন!-১, হাঁপানী বা আজমা। এই রোগটি ইনফ্লামেশন জাতীয় একটি রোগ। অনেক সময় বাবা মা-র এই রোগ থাকিলে সন্তানের ও হতে পারে, আবার অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণেও হতে পারে। ঠান্ডায় ফুসফুসের আবরনি কোষ গুলির বর্ধিত সংবেদনশীলতার কারনে ।
২,লান্সে পানি জমা। আসলে পুরো ফুসফুসে পানি  জমে না ।পানি জমে ফুসফুসের  পাতলা আবরনি বা প্লুরাতে। যা সরানো অত্যান্ত কষ্ট সাধ্য ব্যপার।
৩, যক্ষা বা টিবি। এই রোগটি ইনফেকসান জাতীয় একটি রোগ, বা ছোঁয়াচ রোগ। কথায় বলে না যার হয় যক্ষা তার নাই রক্ষা। অবশ্য এই রোগের ঔষুধ এখন আবিষ্কার হয়েছে। মাইক্র ভেকটেরিয়া নামক জীবানুর কারণে এই রোগ হয়ে থাকে।
৪, ব্রণক্রাইটিস রোগ--বুড়োবুড়ির এই রোগটা হয় বেশি। অনবরত কাশি ও কপের সাথে রক্ত নির্গত হওয়া এই রোগের লক্ষন।
৫, নিউমেনিয়া-- বিভিন্ন ভাইরাস ভেকটেরিয়া ও অন্য যে কোন জীবানুর আক্রমনে এই রোগটা হতে পারে। হাঁপানী জ্বর, মাথা ব্যথা, বমি সমস্ত শরিরে ব্যথা রুচিহীনতা কাশির সাথে রক্ত যাওয়া এই রোগের লক্ষন।
৬. ফুসফুসের পোঁড়া বা lung adscess--ফুসফুসে টিউমার হয়ে পুজ জমা এই রোগের লক্ষন।
 
 
 
শরীরের ব্যপারে জেনে রাখা ভালো---

১,হৃৎপিন্ড  চার প্রকোষ্ট বিশিষ্ট।
২,রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমান কমে যাওয়কে রক্তশূন্যতা বলে।
৩,ল্যান্ড স্টিনার নামে জৈনক ব্যক্তি সর্ব প্রথম রক্তের গ্রুপ আবিষ্কার করেন।
৪,ডায়োবেটিস হয় শরীরে ইনসুলিনের অভাবে।
৫,মানব দেহে বৃহত্তম গ্রন্হি হলো যকৃত।
৬,চোখের পানি নিঃসৃত হয় লেকরিমাল গ্রন্হি থেকে।
৭, নার্ভের মাধ্যমে প্রবাহিত আবেগের গতি প্রতি সেকেন্ডে ১২৫ মিটার।
৮,একজন সুস্হ মানুষের প্রতি সেকেন্ডে হৃদকম্পন হয় ০,৪ সেকেন্ডে।
৯,বর্জ্য পদার্থ ইউরিয়া বাহির হয় কিডনি থেকে।মুত্রও তৈরি হয় কিডনিতে।
১০,একজন নারী প্রতিমাসে মাত্র একটি ডিম্বুনু তৈরি করে।
১১, চোখের মধ্যে সবচেয়ে সংবেদনশিল অংশের নাম হলো রেটিনা।
১২, জীবদেহের ওজনের প্রায় ২৪ ভাগ থাকে কার্বন।
১৩, আড্রনালিন হরমনের ভর লাগলে গায়ের লোম খাড়া হয়ে যায়।
১৪, দাঁড়ি গোঁপ গজায় টেস্টোরোল হরমনের কারণে।
১৫, জীবন রক্ষকারি হরমন হলো অ্যাল ভোস্টেরন।
১৬. ফসফরাস বেশি তাকে অস্তিতে।
১৭, খাদ্যদ্রব্য বেশি শোষিত হয় পোষ্টিক নালীর ক্ষুদ্রান্তে।
১৮,মানুষের করোটিতে অস্হি থাকে ২৪টি।
১৯, প্রতি মিনিটে হৃৎপিন্ডের স্বাভাবিক স্পন্দন হয় ৭২ বার।
২০, ধমনির শেষ হলো নাসিকায়।
২১, মানুষ সাদা এবং কালা হয় মেলানিল এর কারণে।
২২, মস্তিষ্কে প্রতি মিনিটে রক্ত সরবরাহ করে ৩৫০ মিলিলিটার।
২৩, পরিপাক তন্ত্রের সবচেয়ে শক্তিশালি অংশের নাম হলে পাকস্হলি।
২৪, পিন্ডের বর্ণের জন্য দায়ী বিলিরুবিন।
২৫, স্নায়ূ কলার প্রতিটি কোষকে নিউরন বলে।
২৬,মানব দেহের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম াস্হির নাম স্টেপিস।
২৭, রোগ জীবানু ধংশ করতে সাহায্য করে পিত্তরস।
২৮, রক্তে গ্লোকোজের পরিমাণ বাড়ায় গ্লোকাগন নামের হরমন।
২৯, একজন বয়োস্কো লোক প্রতি মিনিটে শ্বাস নেয় ১২--১৮ বার।
৩০,শরীরে সবচেয়ে বড় অস্হি হলো উরুর অস্হি।
৩১, রক্তে শ্বেতকণিকার পরিমান বেড়ে গেলে ব্রাড কেন্সার হয়।
৩২. চোখে আলো প্রবেশ করে কর্ণিয়ার মাধ্রমে।
৩৩, চোখের পেশির সংখ্যা হয় ৬টি।
৩৪, অশ্রুগ্রণ্হি থাকে ২টি।

জেনে রাখা ভালো...


                                            -----চলবে,
 
 
 
  
 
 
 
 
 


৫,পাকস্তলি বা স্টোমাক্---পাকস্তলি হলো মানব দেহের পরিপাক তন্ত্রের একটি গুরত্বপুর্ন অংশ। যাহা অন্ননালী ও ক্ষুদ্রান্তের মধ্যখানে অবস্হিত।পাকস্তলির উপরে থাকে খাদ্যনালী আর নীচের দিকের অংশকে বলা হয় ক্ষুদ্রান্ত।অন্ননালী ও ক্ষুদ্রান্তের মাঝখানে একটি থলির মত পাকস্তলি হল একটা একটি গুরত্বপুর্ন অঙ্গ।পাকস্তলির নীচের অংশকে পাইলস বলে। যেখান থেকে পাকস্তলির খাদ্য ক্ষুদ্রান্তে উন্মোচিত হয়।
 
পাকস্তলিতে পরিপাক কি ভাবে হয়?
পাকস্তলির প্রাচীরে অসংখ্য গ্যাস্ট্রিক গ্রণ্হি থাকে। এই গ্যাস্ট্রিকগ্রণ্হি থেকে নিঃসৃত রস খাদ্যকে পরিপাক করতে সহায়তা করে। পাকস্তলির পেশিগুলি সংকোচন ও প্রসারনের মাধ্যমে খাদ্যবস্তুকে পিশে মন্ডে পরিনত করে যেই খাদ্য রস নিঃসৃত হয় তাতে থাকে হাইড্রক্লোরিক এসিড। এই এসিড খাদ্যের মধ্যে কোন খতি কারক ভেকটেরিয়া থাকলে তা মেরে পেলে। এটা নিস্ত্রিয় পেপসিজেনকে সক্রিয় পেপসিনে পরিণত করে, এবং পাকস্হলিতে পেপসিনের সুষ্ট কাজের জন্য অম্লীয় পরিবেশ সৃষ্ট্রি করে। পেপসিন হলো একধরণের এনজাইম। যা আমিষকে ভেঙ্গে জ্যামাইনা এসিড দ্বারা তৈরি যৌগ গঠন করে। পাকস্হলি খাদ্য পোঁছামাত্র রসগুলো নিঃসৃত হয়ে অনেকটা সুপের মত কপটিকা ভেদ করে ক্ষুদ্রান্তে প্রবেশ করে।
পাকস্হলিতে শর্করা এবং স্নেহজাতীয় খাবার কখনো পরিপাক হয় না। এর কারণ হলো পরিপাকের জন্য গ্যাষ্ট্রিক রসে কোন এনজাইম থাকেনা। 
 
 
 
 
 
 

 










৬,--কিডনি




Wednesday, November 25, 2015

এক অজানা রোগে আক্রান্ত আমি,





              

                                                  এক অজানা রোগে আক্রান্ত আমি,


এক অজানা রোগে আক্রান্ত আমি। অবিশ্বাশ্য হলে সত্যি, গত দু সপ্তাহ  ধরে জার্মানীর মত একটা উচ্চ চিকিৎসার দেশে এলিজাবেত ক্লিনিক  নামে একটা অর্থপেডি হাসপাতালে থেকে সব ধরনের পরিক্ষা নিরীক্ষা করেও স্পেশালিষ্ট ডাক্তার গন আমার রোগটা সম্পর্কে সঠিক কোন ধারনাই দিতে পারেন নাই।

গত তিন মাস ধরে আমি পাঁয়ের যন্ত্রনায় ভুগছি।একবার ডান পাঁয়ে আবার বাম পাঁয়ে। এই ভাল আছি এই ভাল নেই অবস্হায়।এমনই অসহ্য ব্যথা যে আমি মাঝে মাঝে ক্রাচে ভর দিয়েও হাঁটতে পারি না। মাঝে মাঝে হুইল চ্যয়ারও ব্যবহার করতে হয়েছে।  ব্যথার কারনে  একদিন হাসপাতালে বেঁহুষ হয়ে পড়ে গেলাম।

এখন অবশ্য আমি বাসায় ফিরে এসেছি। তবে হাসপাতালের প্রধান ডাক্তার পিয়ারনেক এর প্রেসক্রাইপট মত নিয়ম মাপিক হাই পাওয়ারের ব্যথার টেবলেট কটিজন নিতেছি,কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। সেই আগের অবস্হা, এই প্রচন্ড ব্যথা এই আবার ব্যথা নেই।

এলিজাবেত ক্লিনিকে ডাক্তার পিয়ারনেক এর নেতৃত্বে সাত জনের পুরো টিম ১১দিন ধরে রেডিলোজি এমন কি মেগনেট রেডিলোজিকেলের  সব রকমের যন্ত্রদিয়ে বার বার পরিক্ষা নীরিক্ষা করে আমার দেহের ভিতর বাহিরের জটিল ও গুরুত্বপুর্ন অঙ্গের কোন দোষ ক্রুটি ধরতে পারে নাই।আমর  মল মুত্র সব কিছুই ওকে, কিন্তু ব্লাডে একটু সমস্যা আছে তবে রোগটা কি তাঁরা ধরতে পারে নাই।ডাঃ স্টেনসেল এবং ডাঃ হান্স ভাইষ্ট দুজনই ছিলেন অভিজ্ঞ সম্পর্ন  অর্থপেডি ডাক্তার, তাঁরা আগামি বছর পেনসানে যাবেন। আমি বার বার তাঁদেরকে জিজ্ঞেস করেছি তারা এটাকে বাত কিংবা গেঁটেবাত রয়মা বলতে নারাজ।
এখনো আমি এখানে কষ্ট হলেও মোটামুটি নিজে চলাফেরা করতে পারছি।নিজে ড্রাইব করে হাসপাতালে কিংবা ডাক্তারের কাছে যেতে পারছি। তেমন একটা অশুবিধা হচ্ছে না।কোন যায়গায় হয়রানি কিংবা ঘুষ দিতে বা কারো  তোষাম্মদি করতে হচ্ছে না। কারো সুপারিসের ও প্রয়োজন হয়নি। হাসপাতালে এক রকম যন্ত্র দানবের সাথেই আমাকে বসবাস করতে হয়েছে।দশ রকমের খেরাপি সহ নানা পরিক্ষা নিরীক্ষা তারা নিজ ইচ্ছায় নিজ তাগিদেই করেছেন।কোন জায়গায় আমাকে অযথা কোন পয়সা খরচ করতে বা হয়রানি হতে  হয়নি।আমি তাদের কাছে চির ঋনি ও কৃতজ্ঞ হয়েই থাকবো।
মনে মনে শুধু ভাবি, আজ যদি আমার প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশ হতো।তাহলে কারো না কারো সাহায্য সহযোগিতা, সুপারিশ, তোষাম্মদি ঘুষ চাড়া আমি এত গুলি পরিক্ষা নীরিক্ষার কাজ সম্পর্ন করতে পারতাম না।আমি মনে মনে এখানের পরিস্হিতির  সাথে বাংলাদেশের  সাথে মিলাইয়ে দেখি।কেমন যেন একটা আকাশ পাতাল ব্যবধান।
দেখি আগে কি হয়। আমি সব সময় আমার প্রার্থনার প্রতি রাতে, প্রতি প্রাতে আল্লাহর কাছে ছোট খাটো কোন একটা রোগের কামনা করেছি। যেন আমি সে রোগে পড়ে পানির মাঝে লবনের দ্রবনের মত আল্লাহর মাঝে বিলিন বা নির্বান হয়ে যেতে পারি। আল্লাহর সানিধ্য লাভ করতে পারি।এক মনে এক ধ্যনে সদা আমি ।আল্লাহকে ডাকতে পারি।যদি সে রকম কোন রোগ হয়ে থাকে তাহলে কোন সংশয় নেই,। বরঞ্চ জীবনটাকে ধন্য মনে করবো ।
 তবে আমার এই অজানা রোগের কারণে আমি মোটেই আতঙ্কিত বা হতাশাগ্রস্ত নয়।কোন প্রকার দুর্চিন্তা অবসাধ বলতে কিছুই নেই। সব কিছু মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের উপর চেড়ে দিলাম। আমি মনে করি মানুষের রোগ শোক সবি আল্লাহর হাতে। এখানে আল্লাহর ইচ্ছাই প্রতিপলিত  হবে। আমার কি করার আছে?তবে হ্যাঁ শুধু মুমিন লোকদের কাছে দোওয়া প্রার্থি।--আমিন!



Saturday, November 21, 2015

নব্য রাজাকারে ভরে গেছে দেশ,





সাকা মুজাহিদরা সত্যিকারের রাজাকার এটা প্রমানিত সত্য।এমন কি তারা স্বঘোষিত রাজাকার ও।তবু বাংলাদেশ সরকার এই সব কাফেরর, কুপর, মোনাফেক, খুনি, লম্পট, লুটতরাজ, যুদ্ধাপরাধি, মানবতা বিরুধি অপরাধিদেরকে ফাঁসিতে ঝুলায়ে হত্যা করতে কেন এত বিলম্ব করছে?এরা ধর্ম ব্যবসায়ি পাকিস্তানের পাঁ চাঁটা গোলাম।এরা আমাদের প্রবিত্র ধর্মকে শুধু ব্যবহার করছে।এরা নাস্তিক মওদুদির ফেরকা ওহাবী তাঈমীর ফেরকা কায়েম করতে চায়।এরা যেমনি বাঙ্গালীর কাছে অপরাধি, ঠিক তেমনি ইসলামের কাছেও অপরাধি।

এদের অপরাধ হিমালয়ের মত উঁচু।যেখানে স্বাধিন দেশের সর্বোচ্চ আদালত জগন্য অপরাধিকে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রধান করেছে।সেখানে ফাঁসি দিতে এত কালখেপন কেন?

তারা অপরাধ করনে করছে, তার উপর তারা এতদিন সিনাজুরি দেখায়েছে।দম্ভোক্তি করেছে।উদ্যত দেখায়েছে।  তারা তিরিশ লাখ সহীদের তাজা রক্তে ভেজা এই সবুজ বাংলাকে শুধু কটাক্ষ নয়, রিতিমত অশ্বিকার করে চলেছে।তারা দুলক্ষাধিক মা বোনের সম্ভ্রোম হানিকে অবমাননা করে ফতুয়া দিয়েছে।তারা ইসলামের নামে আমাদের রক্তে কেনা বাংলাকে পাকিস্তান বানাতে এখনো স্বপ্ন দেখে।বাংলাদেশকে তারা বাংলাস্তান বানাতে চায়।

খুনিরা কখনো তাদের অপরাধ শিকার করে না, এটা স্বাভাবিক।কিন্তু কোন কোন খুনিকে অনুতপ্ত ও অনুসোচনা করতে দেখা যায়। কিন্তু রাজাকার এমন এক ধরনের নিলর্জ জালেম,তারা তাদের কৃত কর্মের জন্য জাতির কাছে একটি বারের জন্যও ক্ষমা তো চায়নি একটু অনুসোচনা পর্যন্ত করেনি।তাদের পরিবারের সদস্যরাও উদ্যোত আচরন করে কথা বলছে।

তাদের ফাঁসি কার্যকর আজ জন দাবিতে পরিনত হয়েছে।সুতরাং রাস্ট্র পতির ক্ষমার কোন প্রশ্নই উঠেনা। সকল রাজাকারের ফাঁসি দিয়ে, নতুন রাজাকারদের ব্যপারেও ব্যবস্হা নিতে হবে।সাথে সাথে জামায়াত শিবিরকেও নিষিদ্ধ করে  রাজাকার মুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।এটাই জাতির প্রত্যাশা।


Sunday, November 8, 2015

ঢাকাকে ওরা এখনো মনে করে জঙ্গল,


ঢাকা আজ আর সেই আগের মত নেই,
দেখতে দেখতে বদলে গেছে স্বপ্নের ঢাকা শহর। 
ঢাকা আজ আন্তর্জাতিক মেট্রপলিটেন সিটি।

কোন খান থেকে শুরু করবো ঢাকাকে, ভেবেই কুল পাচ্ছি না।
ঢাকা আজ গুলিস্তান থেকে সদর ঘাট কিংবা টঙ্গি পর্যন্ত সিমাবদ্ধ নহে।
ঢাকা আজ মেঘনা ঘাট থেকে জয়দেব পুর,নারায়ন গঞ্জ থেকে সাবার 
মানিক গঞ্জ পর্যন্ত ঢাকার পরিধি।

প্রাচুর্য ঐতিহ্য, এতিহাস, ঐতিহাসিক গর্বময়, গৌরবজ্জল, স্বর্নখচিত, 
অবাক বিশ্ময় বিশালতায় ভরা  এই ঢাকা শহর।তিতুমির ইশা খাঁ এর 
বীর পদার্পনে প্রকম্পিত এই ঢাকা শহর।সালাম জাব্বার রফিক বরকতের 
বুকের তাজা রক্তে রক্তাক্ত এই ঢাকার মাটি।আসাদের রক্তে রঞ্জিত ঢাকার 
আরাদ্ধ রাজপথ।নুর হোসেন ডাঃ মিলনেরা বুকের তাজা রক্ত ডেলে রক্তিম 
করেছিল  ঢাকার এই পিজ ডালা কালো পথ।রাজার বাগ পুলিশ লাইনের 
হাজারো বিদ্রোহী হাজার মুক্তি সেনানীর রক্তে ভেজা এই ঢাকার মাটি।
২১, ৭১,কিংবা ২৬, ১৬ এর জন্মাধাত্রি এই ঢাকা শহর।

পাক-মার্কিনীর মত একটা পরা শক্তিকে পরাজিত করে ঢাকা যখন বীরদর্পে 
সমহিমায় মহিয়ান।ঢাকা যখন আজ বিশ্ব সভায় মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে।
ঢাকার কৃষ্টি কালচার যখন আজ সারা বিশ্বে সমাদৃত।ঢাকার উঁচেল উঁচেল দালান,
  ঢাকার স্কাই লাইন, প্রাচ্যের অক্সপোর্ড, শাপলা চত্তর, দোয়েল চত্তর, অপারেজয় বাংলা, 
সংসদ ভবন, কমলাপুর রেল স্টেশন, বিমান বন্দর, মনোমুগ্ধকর হাতির ঝিল লক্ষ লক্ষ 
যান বাহন ঢাকাকে আজ করে তুলেছে বিশ্ব মানের।

বিশ্ব বরন্য কতো শিল্পি সাহিত্যিক বিজ্ঞানি বুদ্ধিজিবী সভ্যচাচী নভেলিস্ট আর শান্তি 
কামি মানুষের পদভারে যখন ঢাকা আজ মুখরিত।ঠিক তখনি----

এই ঢাকা শহরকে জঙ্গল ভেবে মাঝে মধ্যে ডুকে পড়ে হিংস্র কিছু 
জংলী জানোয়ার।তারা অবাধে দিনে দুপুরে কোপায়ে, কিংবা জবাই 
করে নির্মম ভাবে হত্যা করে শিল্পি সাহিত্যিক বুদ্ধিজিবী মুক্তমনা 
ব্লগার প্রকাশককে।অবোধ শিশুর দল শোর তুলে তাড়া করে 
জঙ্গী জঙ্গী বলে----জানোয়াররা পালিয়ে যায়----নিরাপদে--নির্ভিগ্নে।


------ফারক,

Tuesday, October 20, 2015

সিরিয়ানদের জন্য দুঃখ হয়,

                                                                                                                                           


 সিরিয়া বাসীর জন্য আজ আমার বড়ই দুঃখ হয়,কষ্টও হয়।তার প্রথম কারন হলো আমার যাযাবর জীবনের প্রায় দুটা বছর আমি সিরিয়াতে অবস্হান করেছি। আমি সিরিয়াকে খুব কাছ থেকে গুরেফিরে দেখেছি।সিরিয়ার কৃষ্টি কার্লচার, সিরিয়ার  এক রোখা প্রকৃতি, সিরিয়ান  আসল নাগরিকদেরকে আমি প্রাণ ভরে ভালবেসেছি।সিরিয়া লেভানন এই দুটা দেশেই  আমার জীবনের দুটা বসন্ত কেটেছে।তবে বেশির ভাগ সময় সিরিয়াতেই কেটেছে আমার। দামেস্কের অদুরেই  সৈয়দা জনাব মাজার সন্মুখেই ছিল আমার বাসা।

দ্বিতীয় কারণ হলো সিরিয়া হলো প্রাচীন সভ্যতা গুলির সুতিকাগার।মেছোপটিনিয়ার পাশাপাশি সময়েই সিরিয়ায়  সভ্যতা গড়ে উঠে।যা খ্রিঃপুর্ব প্রায় দশ হাজার বছর পূর্বে।খালিফাদের আমলে সৌদিআরবের আল হেজাজ প্রদেশের মত বৃহত্তম এলাকা নিয়ে আল শাম প্রদেশ গঠিত হয়। উমাইয়া খলিফাদের  আমলে দামেস্কো হয়ে উঠে সমগ্র মুসলিম বিশ্বের রাজধানী। বহু জাতি ধর্ম বর্ণের মানুষ হাজার হাজার বছর ধরে শান্তি পুর্নভাবে বসবাস করে আসছিল।শিল্প সাহিত্যে দর্শণে বিজ্ঞানে দামেস্কো ছিল রোমানদের চেয়েও অগ্রগামি।রোমান সম্রাটরা সিরিয়া থেকেই আর্কিটেক্ট এনে কলোসিয়াম ও বিখ্যাত মন্দির গুলি নির্মান করেছেন।সভ্যতার সেই ঐতিহাসিক শহর আজ বোমা বারুদের আঘাতে ধংশস্তুপে পরিণত হয়েছে।


সৈয়দা জনাবে শিয়া মুসলমানদের  প্রসিদ্ধ বড় মাঝার শরিফ।।বিবি জয়নাবকে নাকি  এজিদের লোকেরা এনে ওখানে
বন্দি করে রেখেছিল, এবং বন্দিবস্হায় তাঁর ইন্তেকাল হয়।বিবি জয়নাবের কবরকে গিরেই শিয়ারা গড়ে তোলেছে এই মাঝার। প্রতিদিন হাজার হাজার ইরানি শিয়ারা  উন্নতমানের লাক্সারিয়াস টুরিষ্ট বাসে করে এসে মাঝার সামনে নামতো। মহিলারা কালো বোরকা পড়ে সমস্ত শরিরটাকে  ঢেকে রেখে,  মুখটা খোলা রেখে নামতো, আকাশের  চাঁদের মত ঝল ঝল করতো তাদের মুখ।, আর পুরুষরা মাথায় সপেদ পাগড়ি বেঁধে, গায়ে বড় বড় আছকান পড়ে থাকতো।বা


বাস থেকে নেমেই তারা ইয়া আলীেইয়া হোসেন, ইয়া জয়নাব বলে কেউ কেউ বুকে থাপরাইয়ে সাড়ি সাড়ি  মাঝারের ভিতরে প্রবেস করতো।তারা মাঝারের সোনা রুপার রেলিং এর মোটা মোটা পাইপে চুমা খেতে খেতে খয় করে চিকন করে ফেলেছে।মাঝারের সাথেই এডজাস্ট বড় মসজিদ। আমি অনেক বার শিয়াদের সাথে সেই মাঝার মসজিদে নামাজ পড়েছি।সেই ছৈয়দা জয়নাবের মাঝারকে আমি আজো মিস করি।


আমি সিরিয়া অবস্হান কালে  সিরিয়ার বেশ কয়েকটি এলাকা যেমন--  তারতুস, আলেপ্প, হোমস, আল নাবাক সহ বেশ কয়েকটা শহরে  গুরে ফিরে দেখেছি।তবে দর্ষণীয় স্হান গুলির মধ্যে দামেস্কোই অন্যতম।পুথি পুস্তকের লেখা আল শাম শহরই আজকের  আধুনিক দামেস্কো শহর।ধারনা করা হয় ফারাউ রাজা  টুটমুসুস এর নামানুসারে এই দামেস্কো শহরের নামকরণ করা হয়।আর আসুরা  জাতির নামানুসারে প্রাচীন গ্রীসিয় ভাষায় এই সিরিয়া নামকরন করা হয়।

সেই যাই হউক, এই দামেস্কো শহরেই এজিদের রাজ প্রসাদ, দাউদ (আঃ) এর হাতে নির্মিত উমাইয়া মসজিদ, হাবেসী বেল্লাল, সখিনা কুলছুম, জাকারিয়া নবীর মাঝার ঈমান হোসেন সহ আটারো জনের  কল্লার মাঝার, সম্রাট সালাউদ্দিনের সমাধি সহ অসংখ্য মাঝার শরিফ, ও ঐতিহাসিক স্তাপনা এই দামেস্কো শহরেই অবস্হিত। প্রাচীন ইতিহাস, ঐতিহ্য, শিল্প সাহিত্য,সাংস্কৃতি জ্ঞান গুনের ভান্ডার ছিল এই  দামেস্কো শহর।ঈমাম গাজ্জালী, ইবনে তাইমিয়ার, আলবেরুনী সহ অসংখ্য জ্ঞানি গুনি এই শহরেই জ্ঞান সাধনা করেছিলেন।





সিমিত সম্পদ, নানা দল মত, সুন্নি ,শিয়া, আলাওয়ি, দ্রুজ, খ্রিস্টান সম্প্রদায় নিয়ে সাবলম্বি সিরিয়া বেশ সুখে শান্তিতে ছিল।কিন্তু আজ সেই সিরিয়া  ইউরো মার্কিনীদের  রোসানলে পড়ে আই এস টেররিস্ট কতৃক ধুলির সাথে মিশে গেছে।শান্তি প্রিয় সিরিয়া বাসী আজ ইউরোপে উদভাস্তুু হতে যেয়ে  সমুদ্রে ডুবে মরছে হাজারে হাজার।যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছে পাঁচ লক্ষাধিক নিরীহ মানুষ। নারী শিশু বুড়ো, জোয়ান। পঙ্গু হয়েছে লক্ষ লক্ষ। তুর্কি. জর্ডান, লেভাননে অমানবিক ভাবে বসবাস করিতেছে লক্ষ লক্ষ উদ্ভাস্তু। ধুলির সাথে মিশে  গেছে পার্লমিরা সহা অসংখ্য ঐতিহাসিক স্তাপনা।


বিশ্ব বিবেক, মানবতা আজ কোথায়?বিশ্ব মাস্তান আর দুষ্ট চক্ররা আজো সিরায়াকে নিয়ে  নষ্ট রাজনিতীর খেলায় মেতেছে।জাতি সংগও আজ সিরিয়ার ব্যপারে নিরব দর্ষকের ভুমিকা পালন করিতেছে। মুসলিম মোড়ল ওহাবীরা ও আজ সিরীয়া বাসীর জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে না দিয়ে বরঞ্চ আই এস টেররিষ্টদেরকে সহযোগিতা করছে, নিরীহ মানুষের কল্লা কাটতে।ধনি আরব রাষ্ট্র গুলি সিরিয়ার দুর্গত মানুষদের পক্ষ না নিয়ে ইহুদী নাসরাদের পক্ষ নিয়েছে।




                                                                          ----চলবে

অজ্ঞসব জনপ্রতিনীধি,

সত্যই শক্তি, সত্যই সুন্দর,