Thursday, February 1, 2018

হে দুর্ভাগা দেশ আমার---!

 হে দুর্ভাগা দেশ আমার, তোমার লাগি প্রাণ কাঁদে,
দুচোখ ভরে শুধু ব্যদনার অশ্রু ঝরে।
কোথায় নিয়ে এল তোমায় ঔরা, কোথায় নিয়ে যাচ্ছে বার চোরে//
উদভ্রান্তের দলেরা  সবাই আজ বিব্রান্ত তোমাকে নিয়ে।
অশান্তির কোপানলে তারা আজ সাম্যমৈত্রি আদর্শ হারিয়ে।
চারিদিকে অসনি সংকেত শুনতে পাই তোমাকে গিরে//
যে জাতি পৃথিবীতে দেখেছে স্বাধীনতার মুখ,
তাদের ঘরে ধরা দিয়েছে পৃথিবীর সকল সুখ।
অতচ আমরা আজ কত যে হতভাগ্য,তোমার বুকে দেখি
খঞ্জরের তাজা ঘা,রক্তাক্ত প্রান্তর বুলেট বোমা বারুদের গন্ধ।
রক্তেধোওয়া স্বাধিনতার পরপরই দেখতে লাগলাম দুঃখ আর দুঃখ্।
কতো ত্যাগ তিতীক্ষা প্রাণ আর ইজ্জতের বিনিময়ে-মুক্ত হলো,
স্বাধীনতা এলো,তার পর থেকেই দুর্ভাগা দেশ আমার হতে লাগল এলমেলো।
নোংরা খেলার খালি মাঠে সবাই জিতে যায় শুধু গোল করে করে//
 স্বাধিনতা এল সবাই নেতা বনে গেল, প্লাজো পেন্ট,লম্বা কলারের সার্ট,
লম্বা চুল মাঝখানে টিকটিকি শরির,উপোস নেতা চুঙ্গা ফুঁ নেতা কত কি দেখলাম?
নেতা মরে যাবার পরে এদেশে আজ নেতার জন্মই বন্ধ হয়ে গেল।
কি আজব হয়ে  গেল হায়! হে  দুর্ভাগা দেশ আমার!
কোথায় আজ গনতন্ত্র, কোথায় সমাজতন্ত্র,
কোথায় আজ ধর্মনিরপেক্ষতা,কোথায় জাতিয়বাদিতা?
কোথায় মানবতা--- সবি  যেন আজ ইতিহাসের আস্তাকুড়ে হারিয়ে গেল।
দিশেহারা জাতির সামনে আজ শুধু সয়তানের নগ্ন ভাওতা।
হে দুর্ভাগা দেশ আমার, তোমার ভবিষ্যত দেখতে পাই গভির অন্ধকারে//



 স্বাধিনতার পরবর্তি এবং ১৫ই আগষ্টের পুর্ববর্তি দিনগুলি------
আমরা সবাই জানি আমাদের এই দেশটা চুড়ান্ত বিজয় লাভ করেছিল ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেন্বরে। তখন আমরা বাংলার মুক্ত আকাশে কল্লোল কলরবে উড়িয়ে দিয়েছিলাম  স্বাধিনতার লাল সবুজের রক্তিম ঝান্ডা।কিন্তু তখনো যেন আমরা কিসের অভাব বোধ করছিলাম, আমাদের স্বাধিনতা যেন তখনো অসম্পুর্ন রয়ে গেল। কিসের জন্যে কার অভাবে এই অপুর্নতা?

হ্যাঁ তখনো আমাদের স্বাধিনতা অসম্পুর্ন রয়ে গেল কারণ, হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙ্গালী বাংলার অবিসংবাদিত নেতা ইতিহাসের মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমানের অনুপস্হিতে। জাতির জনক তখনো বর্বর পাকিস্তানীদের পিন্ডির কারাগারে বন্দি ছিলেন।

১৯৭২ সালের ১০ই জানুয়ারি জাতির জনক পিন্ডির কারগার থেকে মুক্তি লাভ করে লন্ডন দিল্লী হয়ে তার বহুদিনের লালিত স্বপ্নের বাংলাদেশে ফিরে এলেন এক ঘন আবেগ আপ্লুত পরিবেশে।নয়মাস রক্তক্ষয়ি যুদ্ধের পর ৩০লক্ষ শহীদের আত্মহুতি আর দুলক্ষাধিক মাবোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধিন বাংলাদেশের ধ্বংশজ্ঞের উপর দাঁড়িয়ে তিনি সোনার বাংলা গড়ে তোলার উদাত্ত আহব্বান জানালেন দেশ বাসির কাছে।
একটা সংসার কিংবা একটা ঘর তৈরি করতে যে কিছু নিয়ম নীতি এমন কি একটি আলপিনেরও যে প্রয়োজন পড়ে, এটা জাতির জনক ভালো করে জানতেন।তাই তো তিনি সুদুর প্রসারি চিন্তা ভাবনা করে প্রথমে প্রণয়ন করলেন সংবিধান। রাষ্ট্রের মুলনীতি  মৌলিক কায়দা কানুন লিপিবদ্ধ করা হয় এই সংবিধানে।
কিন্তু হায় বিধি বাম-- !
একিবছর বঙ্গবন্ধুর হাতেগড়া বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সন্তানরা দ্বিধাভিবক্ত হয়ে বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের নামে জাসদ নামে একটি আজব দল গঠন করে হায়েনার মত শুরু করে দিলেন ধ্বংশস্তুপের উপর নৈরাজ্য।এমনকি বঙ্গবন্ধুর বিশিষ্ট বন্ধু আমাদের মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দানকারি মরহুম তাজ উদ্দিন আহম্মেদও গোপনে এই জাসদকে দিক্ নির্দেশনা দিতে লাগলেন। উল্লেখ্য ১৯৭২ সালের ৩০শে অক্টোবর তাজ উদ্দিনের বাসায় পুরো রাত ধরে জাসদের মেনপেস্ট তৈরি হয়ে ৩১শে অক্টোবর স্বাধিন বাংলার মাটিতে নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে জাসদ ঘোষিত হয় । আগুনের মশাল ছিল এই দলের প্রতিক।মশালের আলো ঘরে ঘরে জ্বালো এটা ছিল তার শ্লোগান।বৈজ্ঞানীক সমাজতন্ত্র দলের মুল আদর্শ।

কি নির্মম করুন আমাদের ইতিহাস। শুধু তাজ উদ্দিন নয় খুনি মোস্তাক তাহের উদ্দিন ঠাকুর, স্বাধিনতা বিরোধি দেশি বিদেশি শক্তি কায়েমি সার্থবাদীরা জাসদের প্লাটফর্মে একত্রিত হয়ে শুধু বঙ্গবন্ধু নয় পুরো জাতিকে এক বিভ্রান্ত পরিস্হিতির মধ্যে ফেলে দেয়।পরিশেষে খুনি জিয়া মোস্তাক ডালিম রশিদ ফারুক চক্র জাতির জনককেই সপরিবারে নির্মম ভাবে চিরতরে সরিয়ে দেয়। মুলত এই জাসদই বঙ্গন্ধুকে হত্যার ক্ষেত্র তৈরি ও নষ্টের মুল। তারা কষ্টার্জিত স্বাধিনতাকে পুনরায় পাকিস্তানীদের হাতে তুলে দিতে ব্যর্থ হলেও কায়েম করে পাকিস্তানি ভাবধারার ইসলামি মৌলবাদি রাষ্ট্র।তারা বাংলাকে বানাতে চেয়েছিল বাংলাস্হান।চলতে লাগলো স্বাধিন বাংলা উল্ট পথে উল্ট রথে।
কি দুর্ভাগ দেশ আমার, কি দুর্ভাগ্য আমাদের!

হায়রে জাসদের উদভ্রান্ত দিকভ্রান্ত কুলাঙ্গার নেতারা তোমরা আজো ভাসছ  ইতিহাসের মহাসমূদ্রে তৃনলতার মত । কোথায় সাজাহান কোথায় রব ইনু আম্বিয়া বাদলরা কোথায় তোমাদের তাত্বিক গুরু সিরাজুল আলম খান।কোথায় কর্নেল তাহের মেজর জলিল।সবাই আজ ইতিহাসের আস্তাকুড়ে আবর্জনার স্তুপে। তোমাদের শক্তি সামর্থ জ্ঞান প্রজ্ঞা তুলে দিয়েছ মূর্খ আর অশিক্ষিত জালিমের হাতে। অতচ তোমরাই ছিলে ইতিহাসের মহা নায়কের পাশে প্রথম সারির নেতা সৈনিক কিংবা বীর মুক্তিযোদ্ধা।স্বৈরশাসক জিয়ার স্বাধিনতার ঘোষনা পাঠের চেয়েও  বিরত্তগাঁথা ছিল স্বাধিনতার ইশতেহার পাঠ আর পতাকা উত্তলন।


জাতীয় চার নেতা

১৫ই আগষ্টের পরবর্তি দৃশ্য-------
জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সকালের সোনালি সূর্যের মত স্পষ্ট হয়ে যায় বঙ্গবন্ধু হত্যার মুল নায়ক বা গডফাদার মোস্তাক জিয়া চক্র ।

বিদেশি সংবাদিকের কাছে দেওয়া  স্বঘোষিত খুনি ফারুক রশিদের শিকারোক্তি মুলক  ইন্টারভিউতেও তাহা প্রমানীত হয়।






খুনি মোস্তাক নিজেকে স্বঘোষিত রাষ্ট্রপতি ঘোষনা করলেও মুল বলয় শক্তি ছিল জিয়ার হাতে। রাতারাতি জিয়া সেনা বাহিনীর সামান্য একজন মেজর থেকে সেনা প্রধান বনে যান।তারপর হলেন  স্বঘোষিত রাষ্ট্রপতি।





বাংলাদেশ সেনা বাহিনীতে সবচেয় মুর্খ অশিক্ষিত ও অসভ্য ছিল এই জেনারেল জিয়া---
তৎকালিন পাকিস্তানি  আর্মির মধ্যে ২৩টা র‌্যাং এর মধ্যে নীচের সারির র‌্যাং গুলির মধ্যে বেশ কয়টা র‌্যাং ছিল মেজর র‌্যাং এর। যেমন হাবিলদার মেজর সুবেদার মেজর ইত্যাদি।এই সব মেজররা বেশিরভাগই ছিল নিম্ন শিক্ষিত।জিয়াও ছিল তেমনি একজন।এই জিয়ার শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং বয়স বংশ পরিবার সবকিছুই ভূয়াও ভূলভাবে উপস্হাপন করা হয়েছে।স্বাধিনতার পরে বঙ্গবন্ধুই জিয়াকে এক বছরে তিনবার প্রমোশন দিয়ে ডিপুটি মেজর জেনারেল বানাইয়েছিল।এই জিয়াই বঙ্গবন্ধুর সামনে কোরআন সফত করে বলেছিল কোনদিন বেঈমানী করবেনা জাতির পিতার সাথে । অতচ !
জাতির কি দুর্ভাগ্য !
এই জিয়াই মিরজাপরের মত জাতির সাথে বেঈমানী করে খুনের নেশায় মেতে উঠেছিল। বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে নির্মম ভাবে হত্যা করার পর তারই বিশিষ্ট বন্ধু এবং তার প্রাণ রক্ষাকারি  পাঁ হারানো পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা সেক্টর কমান্ডার কর্নেল তাহেরকে প্রহসনের বিচারে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করতে একটুও কুন্ঠাবোধ করলো না এই নিকৃষ্ট স্বৈরচার ।
মুর্খ এই জিয়া মাফিয়া সর্দারের মত চোখে কালো চশমা লাগিয়ে প্রতিপক্ষ ভেবে জল্লাদের মত একে একে হত্যা করলো নির্দোষ প্রায় দেড় হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধা অফিসারকে।তারপর নিজের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে বহুদলীয় গনতন্ত্রের নামে রাজকোষের কুঠি কুঠি টাকা খরচ করে ঘটন করলেন একটি রাজনৈতিক প্লাটফরম। কি ভয়ানক মুর্খ যার কাজ উর্দি পরে মাঠে লেপ রাইট লেপ রাইট করা, সেই নাকি আবার রাজনৈতিক দল ঘটন করলো। এটাও সম্ভব হলো সদ্য স্বাধিন হওয়া শিশু এই পলি মাটির বাংলাদেশে।তার এই প্লাটফরমেই স্হান হয় রাজনীতির সব পরিত্যক্ত পরিত্যজ্য আগাছা  আর আবর্জনাদের।তার সাথে আবার সংযুক্ত হয় লম্বা কানওলা কিছু গর্ধব।


মুর্খ জিয়া একাই সবকিছু। নিজে সেনা প্রধান নিজে রাষ্ট্রপতি।অতচ নিজে বাংলাভাষায় কথাই বলতে পারতনা। মশিউর রহমান যাদুমিঞা নামে এক স্বাধিনতা বিরোধি জিয়াকে বাংলায় বক্তিতা দেওয়া শিখায়েছেন।এবং তার নির্দেশেই শিঙ্গাপুর থেকে কুঠি কুঠি টাকা খরচ করে কালো চশমা ও বেলবর্টম টিসার্ট পরায়ে  ছবি তোলায়ে আনেন। যাতে বক্তিতার পরিবর্তে প্রচার প্রপাগান্ডা চালানো যায়।ধোকা দেওয়া যায় এদেশে হতভাগা নিরীহ মানুষদের । এই কালো চশমা পরে এই মাফিয়া ডন বিভিন্ন রাষ্ট্রিয় চপরেও যান।
অন্যদিকে জাতিকে ঘুম পাড়ায়ে রাখা হয় একজিবিসনের নামে যাত্রা সার্কাসে প্রিন্সেস লাকি খান আর জরিনার নগ্ন নাচ দেখায়ে।লুট করা হয় খেটে খাওয়া মানুষের জমানো দুচার পয়সা।এই গুলি ছিল স্বৈরচার জিয়ার বহুদলীয় গনতন্ত্রের মুল বৈশিষ্ট।কুঠি কুঠি টাকা পকেট মানি দিয়ে আমেরিকা থেকে নিগ্র মুষ্টিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলীকে বাংলাদেশে এনে গনতন্ত্রের প্রচার করা হয়। সেটাও ছিল খুনি জিয়ার প্রপাগান্ডা ।হ্যাঁ না ভোটের আয়োজন করে এই কুলাঙ্গার স্বৈরচার বিংশ শতাব্দীর ইতিহাসে নজির বিহীন দৃষ্টান্ত স্হাপন করলো ।লজ্জা শরম হায়া বলতে বিন্দুমাত্রও তার মধ্যে ছিল না।

মুলত ১৯৭৫ সালের পর থেকেই বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে আদর্শ উদারতা সাম্যমৈত্রি সমযোতা ভ্রাতৃত্ববোধ সুষ্ট ন্যায়নীতির রাজনীতি সব কিছুই বিলুপ্ত হয়ে গেছে।কায়েমি সার্থবাদী সুবিধাবাদী কালোবাজারি ঘুষখোর দুর্নীতিবাজ লুটেরা কৃত্তিম নকল বুদ্ধিজীবি আমলা কেরানি প্রফেসার ডাক্তার উকিল বারিষ্টার প্রকোশলি শিক্ষিত অশিক্ষিত গুষ্টি ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারি মুচি চামার মেথর মালিরাও কেন্টরমেন্টে জন্ম নেওয়া বিএনপি নামের প্লাটফর্মে জায়গা পেয়ে বহুদলীয় গনতন্ত্রের নামে  রাতারাতি অর্থবিত্ত বৈভবের মালিক হয়ে শক্তিও সামর্থ আহরন করে বানরের মত আদর্শের রাজনীতিকে লাল শিশ্ন দেখাতে লাগলো।

উন্নত আদর্শের রাজনীতি আর বিকশিত গনতন্ত্র বলতে আমার প্রিয় সোনার এই বাংলাদেশে কিছুই নাই।আছে শুধু দুর্বৃত্তের রাজনীতি।

মৌলবাদী যুদ্ধাপরাধি মানবতা বিরোধি অপরাধি স্বাধিনতার বিপক্ষ শক্তি সমবেত হয়ে তারা আজ এক অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে স্বাধিন বাংলার স্বপ্ন ও সম্ভাবনাময় সোনালী ভবিষ্যতকে। আজ বাংলার শিক্ষা শান্তি সংস্কৃতি প্রথা প্রিতি সভ্যতা ভদ্রতা নম্রতা ধর্মপরাণয়তা সবকিছুই সংকটের মুখে পতিত হয়েছে।সবকিছুতেই আজ ভূয়া আর ভেজালের চড়াচড়ি।ডাক্তার প্রফেসার আলিম ওলেমা প্রকৌশলি উকিল বারিষ্টার অনেকেরই সার্টিপিকেট ভেজাল আর ভূয়াতে ভরা, শিক্ষায় দীক্ষায় খাদ্যদ্রব্যে সব কিছুতেই ভেজাল।সর্বক্ষেত্রেই দুর্নীতি করপসান।

প্রগতিশীলরা আজ একরকম খচ্চরে পরিণত হয়েছে। না গাধা না ঘোড়া--তার নামই হলো খচ্চর ।কেউ কেউ অবশ্য জিয়ার বিষবৃক্ষের  মনোরম ছায়ায় গিয়ে বুর্জ্যোয় পেটি বুর্জ্যোয়া হয়ে মাথা মোটা করেছে।তাদের মাথায় দেখি আজ সুন্নাহর কারুকাজ করা টুপি। তারাও আজ আকবরি আর ওমরা হজ্বে যায়।

কি বৈচিত্র কত সুন্দর সৃজনশিল তারা, নাস্তিকের খেতাবে ভুসিত ছিল এক সময় যারা।




১৯৮১ সালের ৩০শে মে জিয়ার নির্মম হত্যার পরবর্তি সময়-----
লোকমুখে শুনা এবং প্রচলিত একটি সত্য কথা,

পার্থিব জীবনেই মানুষের কৃতকর্ম গুনাহ এবং অপরাধের বিচার হয়ে যায়।
তার জলন্ত প্রমান এই জেনারেল জিয়া।

চট্ট্রগ্রাম সার্কিট হাউজে ব্রাসফায়ারে নিহত জিয়ার লাশ নাকি ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। অজ্ঞাত কারো লাশের ছিন্নভিন্ন তুলে এনে নাকি ঢাকার চন্দ্রিমা উদ্যানে  দাপন করা হয়।
তারপর আবার পাল্টে যায় অন্য রকম এই  বাংলার দৃশ্যপট।

সে যাই হউক এক বছরের মাথায় বিচারপতি আব্দুর ছাত্তারকে বন্দুকের নল দেখায়ে জেনারেল এরশাদ ক্ষমতা দখল করে নিয়ে আবার জনজীবন দুর্বিসহ করে তুললো।জারি করলো সামরিক আইন মার্শাল ল ।
কি দুর্ভাগ্য স্বদেশ আমার।
এই স্বৈরশাসক খুনি জিয়ার পদাঙ্কনুসরণ করে জাতীয় পার্টি নামে আরেকটি পার্টি গঠন করে শুরু করে দিল বেলাল্লাপনা ও লম্পটাপনা।শুরু করে দিল দুর্বৃত্তায়নের পল্টি খাওয়া বি- রাজনীতি।আবার রাজকোষের কুঠি কুঠি টাকার অপচয়।জনগনের ফিৎরা জাকাত বিদেশ থেকে আগত রিলিপের টাকা নিয়ে লুটপাট বিরাজনীতির উত্থান পর্ব শুরু করে দিল এই বহিরাগত স্বৈরাচার। দীর্ঘ নয় বছর জগদ্দল পাথরের মত ক্ষমতার মসনদে  চেপে বসেছিল এই স্বৈরচার।এই স্বৈরচার এরশাদ পাকিস্তানের আরেক স্বৈরচার জিয়াউল হকের সাথে আঁতাত করে খোদ পাকিস্তানে নিশান খেতাবে ভূসিত হয়ে সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম জুড়ে দিয়ে শুরু করে দিল ইসলামী পক্রিয়াকরন ।
অতচ একটা মুসলিম প্রধান দেশে ঘরে নিজের স্ত্রি থাকতে সে নিজেই করতে থাকলো প্রকাশ্যে নারীবাজি। কি আজব কি দুর্ভাগ্য আমাদের! মধ্য ফেব্রুয়ারীতে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পানি বিক্রেতা বাদশা নামের এক কিশোরকে গুলি করে হত্যার পর থেকে শুরু করে শত শত নিরীহ মানুষকে হত্যা করে অবশেষে নুর হোসেন, ডাক্তার মিলনের হত্যার মাধ্যমে ১৯৯০ সালের ৬ই ডিসেম্বর  পতন হয় এই নিকৃষ্ট স্বৈরচারের।

বাংলাদেশে সর্বপ্রথম জঙ্গিবাজের উত্থান হয় এই স্বৈরচারের হাত ধরেই। এরশাদই প্রথম আফগানি মুজাহীদ কমান্ডার হেকমতিয়া গুলবদনকে বাংলাদেশে আসার সুজোগ করে দেয়।





তারপর উত্থান হয় খুনি জিয়ার বিধবা পত্নি খালেদার -----

জিয়ার চেয়েও মুর্খ অশিক্ষিত গৃহবধু এই খালেদা খানম ওরফে পুতুল । শিক্ষায় দীক্ষায় নাকি মাত্র অষ্ট শ্রেণী পাশ।হায় স্বদেশ ষোল কোটি মানুষ হতাশ! কিছু করার নাই!

কি দুর্ভাগ্য আমাদের হে দুর্ভাগা দেশ --!
ছবিতে খালেদার নোংরা বেলাল্লাপনা--হায় আল্লাহ-!একটা মুসলিম দেশে এটাও কি সম্ভব! কোথায় ফতুয়াবাজ ধর্ম ব্যবসায়িরা।কেন দোররা কিংবা পাথর মেরে হত্যা করা হচ্ছে না এই পাপিষ্ট নারীকে?

এক রকম অলৌকিক ভাবেই কেমন যেন এক দৈববলে ক্ষমতার পাদপ্রদিপে চলে এল খুনি জিয়ার ৩০-৩৫ বছরের জোয়ান বিধবা পত্নি খালেদা জিয়া।মুসলিম নরনারির বিয়েশাদি করে বৈধ ভাবে বাস করার বিধান থাকলেও তিনি তার তোয়ক্কা না করে ধর্মীয় বিধিবিধান না মেনে প্রকাশ না করেই একদিকে শুরু করে দিলেন বেলাল্লাপনা, পরপুরুষের সাথে অবৈধ মেলামেশা,যদিও ৯০ দশকের প্রথমদিকে ফালুর সাথে তার বিবাহের কাবিন নাম প্রকাশিত হয়েছি বিভিন্ন মেগাজিনে।

অপরদিকে শুরু করলেন দুর্বৃত্তায়নের রাজনীনীতি মানে বিরাজনীতি।
বিদেশের হোটেল রোস্তঁরায় ক্লিনারে চাকুরি করা কাজের লোকেরা জিয়ার রোপন করা বিষবৃক্ষের তলে সমবেত হয়ে রাতারাতি বনে গেলেন হাজার হাজার কুঠি টাকার মালিক। স্বাধিনতা বিরোধি চক্রও আজ  মন্ত্রি মিনিষ্টার হয়ে  অসুভ শক্তিও সামর্থের অধিকারি হয়ে দানবের মত মোটা হয়ে দাঁড়ায়েছে। কেরানী  আমলা পিয়ন বাজারের তোলা তোলার লোক ভাতমরা শিল্পি সংবাদিক কেউ কেউ আজ দোকান পাট সফিং মল উঁচেল বাড়ি দামি গাড়ির মালিক বনে গেছেন। সবাই আজ নামে-বেনামে অঢেল গাড়ি বাড়ি সহায় সম্পত্তির মালিক। সবাই আজ এদেশের হোমরা চোমরা।

ভাতে মরে জাতির বীর সন্তান মুক্তিযোদ্ধারা। গুলি খেয়ে মরে সারের দাবিতে রুগ্ন কৃষক।বিজলির দাবিতে মরে সাধারণ মানুষ।

খালেদার ছোট ছেলে কোকোও নাকি অস্ট্রেলিয়ায় হোটেলে ক্লিনারের কাজ করে জিবিকা নির্বাহ করতো।। আজ সেও হাজার কুঠি টাকার মালিক। কি আজব এই দেশ।কালোবাজারি ব্যবসায়ি আমলা ঠিকাদার দুষ্ট মাফিয়া চক্রের সবাই আজ রাষ্ট্রিয় মালিকানায় আমদানি রপ্তানি সর্বক্ষেত্রে লুটপাট করে কোড়পতি বনে গেছে। বাংলাদেশের সকল সম্ভাবনা আজ এই দুষ্ট মাফিয়া চক্রের হাতে কুক্ষিগত ও বন্দি হয়ে পড়েছে।তারা লুটপাট করে দুর্নীতিতে ৫বার বাংলাদেশকে চ্যম্পিয়ান বানিয়েছে।

খালেদার বড় ছেলে তারেক রহমান ও হাওয়া ভবন বানিয়ে হাজার হাজার কুঠি টাকার মালিক হয়ে দেশে বিদেশে অঢেল সম্পত্তি গড়ে তুলেছে কোন এক অদৃশ্য যাদুর বলে।হাওয়া ভবন বানিয়ে দুর্নীতির আখড়া বানিয়ে মাফিয়ার সর্ঘরাজ্য বানিয়েছিল এই দেশকে। ধরাপড়া ১০ ট্রাক অস্ত্র একট্রাক গুলি অস্ত্র ব্যবসায়িরা চোরাই পথে এদেশে আনতে সক্ষম হয়।যার সাথে তারেক জিয়া যে জড়িত তা প্রমাণিত সত্য।২১শে আগষ্টে গ্রেনেট বোমা হামলা করে কি তান্ডবই না তারা করেছিল। বিশ্বের ইতিহাসে তা নজির বিহিন ঘটনা।তার সাথেও এই হাওয়া ভবন জড়িত ছিল।




খালেদার পর এল শেখ হাসিনার পর্ব-----
অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে পিতামাতা ভাই সজন পরিজন হারিয়ে, দীর্ঘ ২১টি বছর পরে তিনি ক্ষমতায় এলেন।ততদিনে পাল্টে গেছে বাংলার পানোরমা।অসুভ শক্তির দানবরা তখন কোরবাণীর গরুর মত মোটাতাজা হয়ে গেছে।

আমাদের প্রতিবেশি দেশ ভারতের জনপ্রিয় প্রধান মন্ত্রি নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশে রাষ্ট্রিয় চপরে বেড়াতে এসে বললেন--

বঙ্গবন্ধু বাঙ্গালী জাতিকে স্বাধিনতা এনে দিয়ে গেলেন--আর সেই স্বাধিনতাকে রক্ষা করলেন বঙ্গবন্ধুরই রক্তের আত্মজা বঙ্গ কন্যা শেখ হাসিনা।

বঙ্গ কন্যা উপাধিটা আমি নিজ থেকেই দিলাম।

কারণ এই উপাধি--টা তার প্রপ্য। তিনি ইতি মধ্যে মাদার অব হিউমানিটি সহ দেশি বিদেশি অসংখ্য উপাধি ও পুরষ্কারে ভূসিত হয়েছেন,এটা বাঙ্গালী জাতির জন্য সোভাগ্য। ও গর্বের বিষয়।
খালেদা জিয়ার দুর্শাসনে এক মহা ঝঞ্জার্টের স্তুপ সৃষ্টি হয়েছিল আমাদের এই বাংলাদেশে।অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ছিল কম,রিজার্পের পরিমান৮-৯ হাজার কোটি টাকা মাত্র।গ্যাস বিদ্যুত পানি নিত্য পর্নদ্রর্বের দাম ছিল উর্দগতি।সর্বক্ষেত্রে অবাধে চলছিল দুর্নীতি।জঙ্গিাবাজ সন্ত্রাসি চাঁদাবাজরা দুর্বিসহ করে তুলেছিল জনজীবন।
 শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে শক্ত হাতে ও দৃঢ় চিত্বে এই সব ঝঞ্জার্ট সরানোর কাজে  মনোনিবেশ করলেন ।তিনি বঙ্গবন্ধুর হত্যায় জড়িত স্বঘোষিত খুনিদেরকে ধরে বিচারের আওতায় আনলেন । দ্বিতীয় মেয়াদে এসে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করলেন ফাঁসির কাষ্টে ঝুলিয়ে।। যুদ্ধাপরাধি ও মানবতা অপরাধিদেরকেও ফাঁসির  কাষ্টে ঝুলিয়ে বিচার করে জাতিকে কিছুটা হলেও কলঙ্কমুক্ত করলেন।তিনি শক্ত হাতে দমন করলেন জঙ্গিবাজ সন্ত্রাসবাজকে।অপশক্তি ও দুষ্টচক্ররা ষড়যন্ত্র করে বার বার চেষ্টা করেছিল দেশে অশান্তি সৃষ্টি করে তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করার।দুষ্কৃতি কারিরা পুরোপুরি সফল  না হলেও ক্ষতি হয়েছে অনেক। পিলখানার হত্যাযজ্ঞ গুলশান হোটেলে জঙ্গি হামলায় ২২জন বিদেশি নাগরিক হত্যা উল্লেকযোগ্য।

তিনি ক্ষমতায় এসে আন্তঃর্জাতিক আদালতে মামলা করে বার্মা ও ভারতের সাথে সমুদ্র সমস্যা সমাধান করলেন। ভারতের সাথে দীর্ঘ ৬০ বছর ঝুলে থাকা সিমান্ত সমস্যা মিমাংসা করে চিটমহল বাসির মুখে আনন্দ ফোটালেন।পুর্ববর্তি কোন সরকার এই সব ব্যাপারে কোনদিন একটু চিন্তা ভাবনা বা মুখেও তোলেননি। শেখ হাসিনা সুকৌশলে সুদুর প্রসারি চিন্তা ভাবনা করে তা করতে সক্ষম হলেন। তিনি জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা। জাতির জনক যেমনি দেশটা স্বাধিন হবার পরই মৌলিক অবকাঠামো স্হাপন করতে হাত দিলেন।কিন্তু ঘাতকের বুলেটের কারণে কিছু কাজ অসম্পুর্ন থেকে যায়।শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে জাতির জনকের অসম্পূর্ন কাজটি সম্পর্ন করে যাচ্ছেন।

বিশ্বব্যাংককে চ্যালেঞ্জ করে নিজস্ব অর্থে পদ্মা সেতু নির্মান কাজ শুরু করে দিয়ে বিশ্বকে তিনি তাক লাগায়ে দিলেন।রাশিয়ার সাথে রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্র হাই ওয়ে, প্লাইওভার, গভির সমুদ্র বন্দর মিলকারখানা ডিজিটেল বাংলাদেশ গড়া ও সামগ্রিক অবকাঠাম উন্নয়ের মহাসড়কে আজ বাংলাদেশ।কোন মতেই অশ্বিকার করা যায়না,সামাজিক সুচকেও সর্বক্ষেত্রে প্রতিবেশি রাষ্ট্রগুলির চেয়ে  বাংলাদেশ অনেক উপরে।
খালেদা জিয়ার রেখে আসা ৩হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত থেকে আজ প্রায় ১৭ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন হচ্ছে। রিজার্পের ৯ হাজার কোটি থেকে আজ প্রায় ৩৪ হাজার কোটি টাকা। মাথাপিচু ৪৫০ ডলার থেকে উন্নতি হয়ে আজ ১৬১০ টাকা।এই সবি আন্তঃর্জাতিক পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে। চাকুরি জীবিদের বেতন দ্বিগুন করা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা বাড়ানো বয়স্ক ভাতা  চালু করা শেখ হাসিনা সরকারের অনন্য দুষ্টান্ত।

শেখ হাসিনা সরকারের যেমন সাফল্য আছে  অনেক, তেমনি ব্যর্থতাও আছে অনেক।একথা অশ্বিকার করা যাবে না। আমি নিজেই নির্বাক হয়ে গিয়েছি।যখন শুনলাম বাংলাদেশ ব্যাং থেকে ৮১ মিলিয়ন ডলার হ্যাকাররা হ্যাক করে নিয়ে গেছে ফিলিপাইনে। আমি নির্বাক হয়েছি যখন শেয়ার মার্কেট থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়ে গেছে। বেসিক ব্যাং ও সোনালি ব্যাংকের একটি শাখা থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা তুলে নিয়ে গেল দুর্বুত্তরা । এই সব গঠনা গুলিই এই সরকারের চরম ব্যর্থতা হিসেবে আমি মনে করি।

পরিশেষে আমি বলবো, মাননীয় প্রধান মন্ত্রি জননেত্রি শেখ হাসিনা যাকিছু করেছেন তা ইতিহাসের পাতায় মাইল ফলক হয়ে থাকবে সত্যি ।তবে একটা আদর্শ রাষ্ট্র ও উন্নত সমাজ ব্যবস্হা গঠনের জন্য এটা মোটেও যতেষ্ট নয়।একটি আদর্শ রাষ্ট্র ও উন্নত সমাজ ব্যবস্হা গড়ে তুলতে হলে মৌলিক গনতন্ত্র প্রতিষ্টিত করতে হবে। সুশাসন,জবাবদিহীতা,সুচিকিৎসা সুশিক্ষা মানুষের জানমালের হেফাজত,অন্ন বস্ত্র বাসস্হান সুপেয় পানি সহ মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলি পুরণের মাধ্যমেই একমাত্র একটি আদর্শ রাষ্ট ও উন্নত সমাজ ব্যবস্হা গড়ে তোলা সম্ভব।

বলা বাহুল্য বাংলাদেশ আজ সেই লক্ষ থেকে অনেক দুরে।উল্টোপথে চলছে বাংলাদেশ। একদল চরিত্রহীন লোভি মাফিয়া চক্র ওদুর্বৃত্তের হাতে আজ বন্দি  হে আমার দুর্ভাগা দেশ! তোমার অনাগত ভবিষ্যৎ।

















 

Monday, January 1, 2018

কেমন কাটল ২০১৭ সাল?



কেমন কাটল ২০১৭ সাল--?

আমার ব্যক্তিগত ব্যপারে যদি বলি ২০১৭ সালটা শারিরিক ভাবে  মোটামুটি ভালই কেটেছিল।রীতিমত ডাক্তারের প্রেসক্রাইব নিয়েছি। একবার শুধু কিছুদিন চোখে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলাম, দুসপ্তাহের মধ্যে সেরে গেল, তেমন একটা অসুবিধা হয়নি।


আর যদি আন্তর্জাতিক ব্যপারে বলি,তাহলে বলতে হয়,২০১৭ সালটা মোটেই সুভকর ছিল না।দেশে দেশে মানবধিকার লঙ্গিত হয়েছে দেদারছে।জাতিগত সংঘাতে ধর্মের অজুহাতে বর্ণবাদে সন্ত্রাসি হামলায় নির্মম ভাবে হত্যা হয়েছে হাজার হাজার মানুষ। সিরিয়া ইয়েমেন,ইরাক সুমালিয়ানাইজেরিয়া আলজেরিয়া আফগানিস্তান পাকিস্তান, মায়ানমার আমেরিকা ও ইউরোপে প্রাণ গেল অসংখ্য নিরীহ মানুষের। একদিনে মিশরে জুম্মার জামাতে জঙ্গিরা ২৬৫ লোককে হত্যা করলো।কি জগন্য ব্যপার! এটা শুধু পরিতাপের বিষয় নয়, মানব সভ্যতার প্রতিও হুমকি সরুপ।


আর আমার প্রিয় বাংলাদেশের কথা যদি বলি, তা হলে ও আমাকে বলতে হচ্ছে বাংলাদেশে এখনো অস্হির অস্তিতি অবস্হার মধ্যে পরিস্হিতি বিরাজমান।মুলত স্বাধিনতার পর থেকেই এই অবস্হা শুরু হয়েছিল। মুক্তি যুদ্ধের মুল চেতনা সাম্য সমতা সুশাসন দুর্নীতিমুক্ত গনতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার অভিষ্ট লক্ষে আমরা এখনো পোঁছতে পারছিনা।প্রতিনিয়ত এখানে গুম খুন অপহরন ধর্ষন হচ্ছে।অহরহ এখানে মানবতা লঙ্গিত হচ্ছে।আমি অবাক নির্বাক হয়ে যাই যখন শুনি পুলিশ কাস্ট্ররিতে নিপিড়নে কাউকে হত্যা করা হয় কিংবা চোখ উপরে ফেলা হয়। ক্রসফায়ারে বা এনকাউন্টারে অনেক সময় দেখা যায় নিরীহকেও  দুদর্ষ সন্ত্রাসী বানিয়ে গুলি করে হত্যা  করে ফেলা হয়। স্বাধিন দেশের নাগরিক হয়ে এটা কোনমতেই মেনে নেওয়া যায় না।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ তো বাংলাদেশের স্হায়ি একটা গৃহ সত্রু। তার সাথে সংযুক্ত হয়েছে নব্য নব্য দুর্নীতিবাজ ঘুষখোর অপশক্তি জঙ্গিবাজ মৌলবাদীরা।তার উপর আবার রোহিঙা উদ্ভাস্তুরা।ব্যংক লুঠ, হাজার হাজার কুঠি টাকা খেলাফি ঋন এবং বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে,রাজনীতির দুবৃত্যায়ন তো লেগেই আছে। দ্রব্যমুল্যের উর্ধগতি এসব বিষয়ে আমাকে বিষ্মিত করে তুলেছে।

Thursday, December 14, 2017

এই দেশ আমার আপনার কিন্তু সকলের না--?

 

 

 

 

সত্যি কথা! যারা স্বাধীন বাংলা দেশের  লাল সবুজের এই পতাকাটিকে বুকে ধারণ করতে পারেনা শ্রদ্ধা করেনা।যারা জাতীয় সংগীত আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি, এই গানটিকে বিনম্র চিত্বে গাহিতে পারেনা।যারা এই শষ্য স্যামল সুজলা সুফলা সোনার বাংলাদেশেকে প্রাণভরে ভালোবাসতে পারে না।যারা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে মানতে পারেনা না। যারা জয় বাংলা বলতে পছন্দ করেনা।যারা তিরিশ লক্ষ সহীদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারেনা।যারা দুলক্ষাধিক সম্ভ্রম হারানো মা বোনদেরকে সন্মান জানাতে পারেনা, যারা আমাদের রক্তে ধোওয়া ইতিহাস নিয়ে বিতর্ক তোলে কিংবা অশ্বিকার করে, এই দেশ কোন মতেই তাদের হতে পারেনা।কোন মতেই তারা বলতে পারেনা এই দেশ তাদের!

 

 

এই দেশে বসবাস করার তাদের কোন মৌলিক অধিকার নেই।তবু তারা এখনো বসবাস করছে পরগাছার মত শুধুই পরগাছার মত।কেবল মাত্র আমাদের মহানুভবতায় ।পরাজয়ের পরপরই তাদের পাক দোশরদের সাথে পশ্চিম পাকিস্তানে চলে যাওয়া উচিত ছিল, কিন্তু তারা গেল না, তারা লাজ লজ্জা হায়াহীন বেশরমের মত এখনো বসবাস করছে আমাদের এই দেশে।আমাদের এই সোনার বাংলাদেশে।

 

আমরা এখনা তাদেরকে ক্ষমা করে দেইনি। তারা ভূলে গেছে এই কথা।তারা ভূলে গেছে তাদের ক্ষমাহীন অপরাদের কথা, যুদ্ধাপরাধ, মানবতা বিরোধি অপরাধের কথা। কাল সাঁপ কেউটের মত তারা আবার ফনা তোলার চেষ্টা করছে।তারা ভূলে গেছে পাক হায়েনাদেরকে হাত ধরে গ্রাম বাংলার মেঠ পথ দেখিয়ে খুন ধর্ষন আগুন লাগিয়ে গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে হত্যাযজ্ঞ ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। তারা ভূলে গেছে যে স্বাধীনতার উদিত সূর্য এর পুর্বক্ষনে জাতির হাজার হাজার সূর্য সন্তানদেরকে নির্মম ভাবে হত্যার কথা। তারা ভূলে গেছে তিরিশ লক্ষ নিরীহ মানুষকে হত্যা করা আর দুলক্ষাধিক মাবোনের সম্ভ্রম হানির কথা।

 

আমরা ভূলিনি, আমরা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই রাজাকার আলবদর আল সামছ। আমরা এখনো ভূলিনি, আমরা এখনো তোমাদের ক্ষমা করে দেইনি।তোমরা করেছ যে ক্ষমাহীন অপরাধ,যুগ যুগ ধরে তোমাদের বিচার চলবে। তোমাদের আন্ডাবাচ্ছা নাতিপুতিদেরকেও সাজা ভূগতে হবে। আমরা সকল অপরাধের বিচার করবো করবই এটা আমাদের দৃঢ় অঙ্গিকার।

 

এই দেশ আমার আপনার, শুধুই আমাদের ।যারা আমরা প্রাণভরে ভালোবাসি এই দেশকে এদেশের পতাকা,এদেশের ইতিহাস ঐসহ্যকে ঐতিহ্যকে।আমরা গর্বিত এদেশে জন্মেছি বলে, ধন্য হব প্রয়োজন বোধে সহীদ হয়ে ঘুমাতে পারলে এদেশের বুকে।

Monday, October 16, 2017

দুর্ভাগা সিনহা ও কুদ্দুছ বয়াতির পাগলা ঘোড়া-

 

 
 

প্রধান বিচারপতি বললেন-আমি অসূস্হ না আবার আসিব ফিরে---এটা কেমন কথা?

 
মাননীয় প্রধান বিচারপতি জনাব এস কে সিনহা  সাহেবকে নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে পুরো জাতি বিব্রত ও ধোঁয়াশার মধ্যে আছে।রাজনৈতিক ময়দানে পাল্টা পাল্টি বক্তব্য গুলি কোন ভাবেই গ্রহন যোগ্য হচ্ছেনা জাতির কাছে। স্বাভাবিক মনে প্রশ্ন জাগে আসলে হচ্ছেটা কি?
জনাব সিনহা ইতিমধ্যে জাপান ও কানাডাতে তিন সপ্তাহ গুরে এসে মেডিকেল ছুটি নিলেন।এই ছুটির দরখাস্তের বানান ভূলভ্রান্তি নিয়েও সারা দেশে চলছে তর্কবিতর্ক।অতচ কি আজব কান্ড  আমাদের বিতর্কিত মাননীয় প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা  সাহেব নির্শ্চুপ।তিনি আবার একমাসের ছুটি নিয়ে অষ্ট্রেলিয়া  যাওয়ার পূর্বে  সংবাদিকদের বলে গেলেন  আমি অসূস্হ না, আবার আসিব ফিরে। সংবাদিকদের হাতে স্বলিখিত একটা চিরকুট ধরিয়ে দিয়ে আবারও জাতিকে বিভ্রান্ত করে গেলেন তিনি। আসলে তিনি কি চাচ্ছেন? কেন তিনি মু খুলছেন না?জাতি এখনো বিভ্রান্ত।
তার পর আবার একমাস ছুটি শেষ হবার পর তিনি বাংলাদেশে ফিরে না এসে সিংগাপুরে ক্যন্সার চিকিতসার জন্য এসে বাংলাদেশ দুতাবাসের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি বরাবরে পদত্যগ পত্র দিয়ে জাতিকে আবারও ধোঁয়াশার মধ্যে ফেলে দিলেন। উনার পক্ষে বিপক্ষে অনেক কথাবার্তা শুনছি।অনেকেই অনেক রকমের বলাবলি করছে।কোনটা সত্য কোনটা মিথ্যা কিছুই বোধগম্য হচ্ছে না।
একদিকে আমরা হলাম বিভ্রান্ত, আরেক দিকে তিনি নিজেও নাকি বিব্রত। ব্যপারটা মোটেই বুঝে উঠতে পারছিনা।অবসরে যাওয়ার আগে সত্যিই কি তিনি অবসন্নতায় ভূগছেন কিংবা আছেন?
ব্যক্তিগত মতামত--যদি প্রধান বিচারপতিকে আওয়ামী লীগ বা আওয়ামী সরকার কৌশলে চাকুরিচ্যুত করে থাকে তাহলে মনে করবো এই সরকার অত্যান্ত বিচক্ষন ও প্রজ্ঞাবান রাজনৈতিক দল। আর যদি দুর্নীতির অভিযোগের ভয়ে জনাব সিনহা সাহেব পদত্যাগ করে থাকেন, তাহলে তিনি একজন সত্যিই দুর্নীতিবাজ চীপ জাস্টিজ ছিলেন। তার বিচার হওয়া জরুরি।
অবশেষে সাবেক বিচারপতি এস কে সিনহা আত্মজীবনি মুলক বই এ ব্রকেন ড্রিম লিখে প্রমান করলেন যে শেখ হাসিনাই লৌহ মানবি এবং শক্তিমান শাসক।একটা রাষ্ট্রের নির্বাহি বা সর্বময় ক্ষমতার অধিকারি যে রাষ্ট্র প্রধান,এবং তিনি যে ইচ্ছে করলেই রাষ্ট্রের আনুগত্য অশ্বিকার কারিকে থাপ্পর চড় লাথি উষ্টা দিতে পারেন. তা  সাবেক প্রধান বিচারপতি সিনহা ভূলেই গিয়েছিলেন।তিনি বাংলাদেশে একটা জাতীয় নিরবাচনের আগে বই লিখে জাতিকে বিভ্রান্ত করতে এবং শেখ হাসিনাকে ছোট করার অপচেষ্টা করছেন।যুক্তফ্রন্টের নেতারা ঠিক একই কাজ করছেন।আমার মনে হয় এতে শেখ হাসিনার কোন ক্ষতি হবে না।বরঞ্চ তারা সবাই শেখ হাসিনাকে আরো বড় ও মহান বানচ্ছেন।
জনাব সিনহা একজন বিতর্কিত ব্যক্তি হিসেবে যতেষ্ট খ্যাতি কুড়ায়েছেন।প্রধান বিচার পতি হয়ে তিনি পাব্লিক প্লেসে গিয়ে আবল তাবল বকতেন। যেটা বাংলাদেশের ইতিহাসে পুর্বের কোন বিচারপতি এভাবে যেতেন না বলতেনও না।তিনি একবার নিজেকে শান্তি বাহিনী অর্থ্যাৎ রাজাকারের সদস্য বলে দাবী করলেন।তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঘুষ দুর্নীতিতে জড়িয়ে নৈতিক ভাবে পদস্খলিত হয়েছেন।প্রধান বিচারপতির সন্মানিত পদকে অপমানিত করেছেন।তার সকল অপকর্মের জন্য বিচার হওয়া উচিত।তার এ ব্রকেন ড্রিম নামে বই প্রকাশ মানে তার দুর্ভাগ্যের বহিপ্রকাশ।


Saturday, March 11, 2017

ঐতিহাসিক ৭ই নভেম্বর---

                                          




 ঐতিহাসিক ৭ই  নভেম্বর-১৯১৭-১৯৭৫-রাশিয়া থেকে বাংলাদেশ

  

৭ই নভেম্বর যেমনি  আমরা বাঙ্গালীদের জন্য বিব্রান্ত ও বিতর্কিত একটা দিন।  ঠিক তেমনি আন্তর্জাতিক ভাবেও ১৯১৭ সালের  ৭ই নভেম্বরে রাশিয়ায় ঘটে যাওয়া বা সংগঠিত হওয়া  বিপ্লবও  বিব্রতকর এবং বিতর্কিত একটি দিন।

 আবার আন্তঃর্জাতিক কমিউনিষ্ট সমাজে ৭ই নভেম্বর গুরুত্বপুর্ন ও ঐতিহাসিক একটি দিন।বলা যায় লালপণ্হি কমিউনিষ্টদের জন্য এটা একটা  আনন্দ ও উৎসবের বড় একটা দিন।

 
 
 

 

মহামতি কার্লমাক্স মৃর্ত্যুর পুর্বে  অত্যান্ত  আত্মবিশ্বাসের সাথেই বলেছিলেন অচিরেই রুশদেশে বিপ্লব সংগঠিত হবে।তাঁর ভাষায় প্রলেতারিয়েতেরা ( শ্রমজিবী শোসিত সর্বহারা জনতা) ক্ষমতা দখল করবে। পুর্ন সমাজতন্ত্র কায়েম হবে সে দেশে,  ঠিক হয়েছিলও তাই।

তাহলে আমরা বলতে পারি  ৭ই নভেম্বর শুধু রাশিয়ার নয় দুনিয়ার শ্রমজীবি শোষিত মানুষেরও বড় একটি দিন। এবার সমগ্র বিশ্বের মত বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টি সহ লালপণ্হি সমাজতন্ত্রের সৈনিকরা মহা ধুমধামে ৭ই নভেম্বর উপলক্ষে শতবর্ষ ফুর্তি উদযাপন করবে। শহরের আনাচে কানাচে কাস্তে হাতুরা  সম্বলিত লাল পতাকায়  লালে লাল হয়ে যাবে দিগন্তবদী বাংলার পানোরমা । দুনিয়ার মজদুর এক হও শ্লোগানে মুখরিত হবে অলিগলি, ময়দান পার্ক উদ্যান।উদিচীর গন সংগীতে রক্তে আগুন জ্বলবে নিপিড়িত মানুষের মাথায় মস্তিষ্কে।

 

১৯১৭ সালের ৭ই নভেম্বর বিপ্লবী নেতা লেলিনের বলসেভিক পার্টির নেতৃত্বে স্বতস্ফুর্ত বিপ্লবের মাধ্যমে দীর্ঘদিনের শোসিত নিপীড়িত জনতারা স্বৈরচার জার সম্রাটের শীত কালিন প্রসাদ দখল করে  তার বুর্জোয়া স্বৈরচার  আলেক জান্ডার কেরেনাক্সি সরকারকে উৎখাত করে  সমগ্র বিশ্বের মাঝে প্রথম বারের মত উড়িয়ে দিয়েছিল  সমাজতন্ত্রের  লালে লাল লোহিত ঝান্ডা । তাই দিনটিকে ঐতিহাসিক ৭ই নভেম্বর কিংবা বলশেভিক বিপ্লব দিবস হিসেবে রুশ তথা আন্তঃর্জাতিক কমিউনিষ্টরা পালন করে  থাকে।কিন্তু এবারের ৭ই নভেম্বর পালন হবে শত বছর ফুর্তি হিসেবে।

 

আগে একটু বলে নেই, ৭ই নভেম্বর বাংলাদেশে কেন বিব্রান্ত ও বিতর্কিত?

 

বাংলাদেশে মুলত ৭ই নভেম্বর সৃষ্টি হয় ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট গভির রাতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমানকে ঘুমন্ত অবস্হায় স্বপরিবারে (দুকন্যা ব্যতীত) নির্মম ভাবে হত্যা করার পর। সেদিন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে সেনা বাহীনির কিছু উচ্চ বিলাশী কুলাঙ্গার খুনিচক্র বেকায়দায় পড়ে যায়।স্তম্ভিত হয়ে যায় সমগ্র বাঙ্গালী জাতি।অবাক বিশ্ময়ে তাকিয়ে রয় সমগ্র বিশ্ববাসি। 

বিশেষ করে তিন গডফাদার খুনি মোশতাক, জিয়া ও তাহের কেউ কাউকে বিশ্বাস করতে পারতেছিলনা ।এই তিন জনের কারো উপর কারো বিন্দু মাত্র আস্তাও বিশ্বাস ছিলনা।সবার অন্তরে কুমতলব।ক্ষমতার প্রতি শ্যৈনদৃষ্টি। 

 

যদিও বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরই ক্ষমতার পাদপ্রদিপে চলে আসেন প্রধান দুই গড ফাদার মোশতাক ও জিয়া। মোস্তাক হন রাষ্ট্র প্রধান, আর জিয়া হন সেনা প্রধান।

অপরদিকে পঙ্গু তাহের নাথিং।আর্টিপিসিয়াল একটা পাঁ হলেও মাথা তার অর্জিনাল সয়ংক্রিয়।বিপ্লবের জন্য প্রস্তুত। রাজ পথে গ্যরিসনে স্বস্তা জনপ্রিয়তায় অন্ধ তাহের।আদর্শ তার সমাজতন্ত্র কায়েম করা।বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র। যে ভাবে হউক, যে কোন ত্যাগের বিনিময়ে। যে কোন নৈরাজ্য পণ্হায়, জার্মানীর নাৎসী কিংবা রাশিয়ার বলশেভিক আদলে হলেও অশুবিধা নেই।সরকারি নিয়মিত বাহিনীর তোয়াক্কা না করে, লাল বাহিনীর আদলে গঠন ও করলেন বিপ্লবী গনবাহিনী।বেছেও নিলেন বলশেভিকের ন্যায় ৭ই নভেম্বরকে।  কিন্তু বিধি তার বাম।মানুষ ভাবে যা হয় তার বিপরিত, তার একটি জ্বলন্ত প্রমান প্রতি বিপ্লবি কর্নেল তাহেরের খেত্রে।

 

অপরদিকে অন্যান্ন খ্যাতিমান সেক্টর কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধারাও থেমে নাই।যারা জাতির জনকের আদেশে রণাঙ্গনে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করে বাংলাদেশের জন্ম দিয়েছে। যারা জোরপুর্বক আমাদের মহান স্বাধিনতাকে হায়েনাদের মুখ থেকে চিনিয়ে এনেছে।যারা স্বাধিনতার পর স্বপ্ন দেখেছিল একটা নতুন দিনের ।জাতীর জনকের এমন নির্মম হত্যার পরে  তারা কি ভাবে চুপ করে হাত গুটিয়ে বসে থাকতে পারে? কখনও না। 

৩শরা নভেম্বর বীর সেক্টর কমান্ডার খালেদ মোশারফের নেতৃত্বে পাল্টা অভ্যুত্থান ঘটিয়ে জিয়াকে ঘৃহবন্দি করে রাখা হয়। বন্দিদশা থেকে স্বৈরচার জিয়া তাহেরকে বেডরুমের গোপন টেলিফোন থেকে ফোন করে তাকে প্রাণে বাঁচানোর সাহায্য চায়। চতুর শিয়াল জিয়া জানতেন তার বিশিষ্ট বন্ধু একমাত্র কর্নেল তাহেরই তাকে বাঁচাতে পারেন। সে প্রেক্ষিতে তিনদিন পরে অথ্যাৎ ৭ই নভেম্বর তাহেরের নেতৃত্বে আরেকটি পাল্টা অভ্যুত্থান ঘটিয়ে খালেদ মোশারফ সহ শত শত সেনা ও সেনা অফিসারকে হত্যা করে জিয়াকে জিন্দা উদ্ধার করা হয়। সেই জিয়াই পরে তাহেরকে প্রহসনের বিচারের মাধ্যমে ১৯৭৬ সালের ২১শে জুলাই ফাঁসি দিয়ে হত্যা করে প্রাণে মেরে ফেলে।অবাক বিশ্ময়ে পৃথিবী তাকিয়ে রয়। হায়! হায়!  কি করুন কি নির্মম বাংলাদেশের ১৯৭৫ এর এই ৭ই নভেম্বরের ইতিহাস!

তার পর থেকে আজকে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ তথা আমাদের স্বাধিনতা যুদ্ধের নেতৃত্ব দানকারি দল ৭ই নভেম্বরকে পালন করে মুক্তি যোদ্ধা হত্যা দিবস হিসেবে।।

 অন্যদিকে খুনি জিয়ার গড়া দল বিএনপি নামে অদ্ভূত দলটি পালন করে  জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি  দিবস হিসেবে।

 আর জাসদ নামে দলটি পালন করে সিফাহি জনতা বিপ্লব দিবস হিসেবে।

হালার যাইতাম কই?ঘর পোড়ার ভিতর আলু পোড়া--

 

 

 

 এবার আসি রাশিয়ার বিপ্লবের কথায়--- 

৭ই নভেম্বর দিনটি সমগ্র বিশ্বে সমাজতন্ত্রকামি কমিউনিষ্ট ও মেহনতি মানুষের কাছে অত্যান্ত তাৎপর্য্য এবং গুরুত্বপুর্ন। হঠাৎ করে কোন দৈববলে ততকালিন রাশিয়ায় বিপ্লব ঘটে নাই।শ্রমজিবী মানুষের দীর্ঘদিনের আন্দলন সংগ্রাম বিপ্লবিদের আত্মাহুতি ও জ্ঞানভিত্তিক তত্ততাত্তিক এবং পরিশেষে স্বসস্ত্র যুদ্ধের ফসল হিসেবে ঐতিহাসিক বলশেভিক বিপ্লব ঘটে। ১৯০৫ থেকে জার সম্রাটের রক্তচক্ষুকে ফাঁকি দিয়ে গোপনে এবং নির্বাসনে  ধীর গতিতে চলা বিপ্লব ১৯০৫ সালের ফেব্রয়ারীতে এসে গতি পায়। ১৯১৭ সালের ৭েই নভেম্বরেই দুষ্টচক্র বুর্জ্যুয়া গনতন্ত্রের প্রতিপক্ষ হিসেবে সমগ্র বিশ্বে উন্মেষ ঘঠে বা পুর্নতা পায় সমাজতন্ত্র তথা নতুন রাষ্ট্রব্যবস্হার। কায়েম হয় প্রলেতারিয়েতের শাসন ব্যবস্হা ও ন্যয্য অধিকার। নারীর সামাজিক ও অর্থনৈতিক পুর্ন অধিকার।অন্ন বস্ত্র বাসস্হান চিকিতসা শিক্ষা শান্তি প্রগতির লক্ষে পিছিয়ে পড়া রাশিয়া দ্রুত এগিয়ে চলে অগ্রগামি বিশ্বকে টক্কর দিয়ে।অনেক বাধা বিপত্বি অতিক্রম করে ৪ বছরের গৃহযুদ্ধ ডিঙিয়ে রাশিয়া আগিয়ে ছিলও অনেক দুর।রাশিয়াই সর্বপ্রথম মহাশূন্যে মানুষ পাঠাতে সক্ষম হয়।

প্রথম বিশ্ব যুদ্ধ্যে জার্মানীর হাতে ভীষন ভাবে মার খেয়ে ক্ষুদাক্লান্ত খুদ্ধ রুশ জনতা দিশেহারা হয়ে পড়ে।   বাংলাদেশ থেকে ৬০গুন বড় এত বড় বিশাল একটা দেশ হওয়া সত্যেও সামরাজ্য বাদী পশ্চিমা ইউরোআমেরিকার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার শক্তি এবং সামর্থ কোনটাই ছিল না তাদের। 

যার সম্রাট নিকোলাস ছিল উচ্চ বিলাশি পশ্চিমাদের মদদপুষ্ট। সাধারন খেটে খাওয়া জনগন ছিল সম্রাটের উপর ক্ষুদ্ধ।১৯১৭ সালের ২৮শে ফেব্রয়ারী সম্রাট ২য় নিকোলাসকে বিপ্লবী জনতা বিলাশবহুল ট্রেন থেকে গ্রেপতার করে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করে, স্যোসালিষ্ট ডেমোক্রেটিক সহ সব কয়টি রাজনৈতিক দল মিলে একটি কোয়ালিসন গনতান্ত্রিক সরকার গঠন করে।

এই সময় আলেকজান্ডার গুচকভের প্রগ্রেসিভ ব্লক এবং স্যোসালিষ্টদের পেট্রোগ্রাড ব্লক(শ্রমিক কাউন্সিল) মার্চের পহেলা তারিখেই প্রথম অর্ডারে ক্ষমতা ভাগাভাগি করে নেয়।গুচকভরা সরকার প্রধান হলেও ডিপেন্স পাওয়ারটা তার হাতে আর থাকলনা।থাকল সোভিয়েট ব্লকের হাতে।অপরদিকে ১৯১৭ সালের ফেব্রয়য়ারী মাস থেকেই বিপ্লবী বলশেভিক পার্টি ছিল নিষিদ্ধ।এমন কি লেনিন ট্রটস্কি স্টার্লিনের মত ভাগাভাগা নেতারা ছিল নির্বাসিত।সোভিয়েত ব্লক  সুজোগ পেয়ে নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে লেলিনকে ফিরিয়ে আনেন।ট্রটস্কি ফেরার পথে বৃটেন পুলিশ তাকে গ্রেপতার করে।পরে অবশ্য তাকে সহ সব নেতাকেই দেশের মাটিতে ফিরিয়ে  আনা হয়।এরা সবাই বিপ্লবী রেভ্যুলেসন এর নেতা কর্মি।

দেশে ফিরেই লেনিন ঘোষনা করলো লিবারেল ডেমোক্রেট তথা মেনশেভিকদেরকে কোন মতেই ক্ষমতায় রাখা যাবেনা, সোভিয়েতের হাতে পুর্নক্ষমতা চাই। যদিও মৌলিক বিষয় গুলিতে মেনশেভিক এবং বলশেভিকদের মধ্যে কোন পার্থক্য ছিলনা। মুল উদ্দেশ্য আলেকজান্ডার কেরেনাস্কিকে ক্ষমতা থেকে হঠানো।একদিন হঠাৎ করে লেনিন কেরেনাস্কির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে বসলো। কেরেনাস্কি শক্ত হাতে সফল ভাবে বিদ্রোহ ধমন করতে সক্ষম হয়। লেনিন দেশ চেড়ে আবার ফিনল্যান্ডে পালাতে বাদ্য হন।অনেক নেতা কর্মি আন্ডার গ্রাউন্ডে চলে যান।বিপ্লবীদের আন্দলন চলতে থাকে গোপনে।যে কোন সময়ে ফুঁসে উঠতে পারে। 

ভাগাভাগি করে ক্ষমতায় থাকলেও বলশেভিকরা তখনও সাংগঠনিক ভাবে দুর্বল। ঠিক এই সময় আলেক জান্ডার কেরেনাস্কি একটি ভূল করে বসেন। তিনি কর্লিনভ নামে এক উচ্চবিলাশী সেনা অফিসারকে কমান্ডার ইন চীপ নিযুক্ত করে বসেন। এই কমান্ডার ক্ষমতার পাদপ্রদিপে আসতে উদ্যত। এই কুখ্যাত কমান্ডারের ভয়ে কেরেনাস্কি সোভিয়েত ব্লকের নেতাকর্মিদের হাতে অস্ত্র তুলে দিলেন। সোভিয়েত প্রধান সেই সুজোগটার সদব্যবহার করে রেড আর্মি গঠন করলেন। নভেম্বর বিপ্লবের পর বলশেভিক পার্টি থেকে কেরেনাস্কির সমাজবাদী পার্টি দ্বিগুন ভোট পেলেও পরে এই রেড আর্মির বন্দুকের জোরে লেনিন ট্রটস্কি ৭ই নভেম্বরে কেরেনাস্কিকে গদিচ্যুত করে পুর্ন ক্ষমতা ধকল করে নেয়। শুধু গদিচ্যুত নয় দেশ থেকেও এই কেরেনাস্কি বিতাড়িত হন।আর সমস্ত ডেমোক্রেটিক দলগুলিকে নিষিদ্ধ করা হয়।

উল্লেখ্য এই কেরেনাস্কি ১৯৭০ সালে আমেরিকায় মারা যান। তাকে সমাহিত করতে কোন পুরোহিত আসতে রাজি হন নাই। বলশেভিক পার্টির জন্ম হয় যে ভাবে---১৯০৩ সালে মার্ক্সবাদী স্যোসালিষ্ট ডেমোক্রেটিক ও লেবার পার্টির ২য় কংগ্রেসে মেনশেভিক ও বলশেভিক নামে দুদলে ভিবক্ত হয়ে যায়।

 ১৯০৫ সালে থেকে দলটি গনতান্ত্রিক নীতিতে চলতে থাকলেও পরে দলটি  সোভিয়েত ইউনিয়ন কমিনিষ্ট পার্টিতে রুপান্তরিত হয়।১৯১৭ সালে বলশেভিকরা ক্ষমতা নিয়ে ফেডারেটিব স্যোসালিষ্ট রাশিয়ার পত্তন করলেও পরবর্তিতে ১৯২২ সালে এসে সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রশাসনিক অঞ্চল ঘোষনা করে।

 ১৯২০ সাল থেকে১৯২৩ সালের মধ্যেই শুধু অনাহারে ৫০ লক্ষাধিক লোক প্রাণ হারায় তখন রাশিয়ায়।

 
 

  

                    

Wednesday, February 1, 2017

নষ্ট মাথার নষ্ট রাজনীতি,









                                জাতীয় পার্টি---?







 ১৯৮২ সালের ২৪ই মার্চ নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট বিচারপতি আবদুর ছাত্তারকে বন্দুকের নল দেখায়ে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে সামরিক আইন জারি করলেন জেনারেল এরশাদ । দীর্ঘদিন মার্শাল্ ল জারি রেখে  ১৯৮৬ সালেরে ১-লা জানুয়ারি স্বৈরশাসক হুসেন মোহাম্মদ এরশাদ জাতীয় পার্টি নামে একটি দল গঠন করেন। ঠিক তার পূর্বশুরি আরেক স্বৈরচার জিয়ার আদলেই। বর্তমানে দলটি ৫ ভাগে বিভক্ত।২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে বিরুধি দলের ভুমিকা রাখেন।এই নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহন না করাতে সংসদে এরশাদের স্ত্রি বিরুধি নেত্রি হন।




চলবে---

Tuesday, January 31, 2017

নষ্ট-মাথার নষ্ট-রানীতি-৫








                                        সি  পি  বি                     



















 

বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টির মুলনীতি বা মতাদর্শঃ-----

 

 

বাংলাদেশের বাম পণ্হি দলগুলির মধ্যে সবচেয়ে পুরানো  এবং প্রধান রাজনৈতিক দল হলো বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টি। সংখ্যেপে সিপিবি।সিপিবির মুল আদর্শ হলো মার্ক্সবাদ লেনিনবাদ।বস্তুগত ভাবে মুল আদর্শ হলো মহামতি কার্লমাক্স এবং এঙ্গেলসের আদর্শ।আর্ন্তজাতিক কমিউনিষ্ট পার্টির মেনোপেষ্টই বা ইশতেহার হলো সিপিবির মুল আদর্শ।১৯৪৮ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারী মার্ক্স এঙ্গেলস যৌতভাবেই কমিনিউস্ট পার্টির ইশতেহার প্রকাশ করেন। সে হিসেবেই দলটির গঠনতন্ত্র গঠিত হয়েছে,এবং পরিচালিতও হতেছে।বলা যায় এই দলটিই হলো বাংলাদেশে এক মাত্র মুলধারার সমাজতান্ত্রিক প্রধান একটি রাজনৈতিক দল।

 ১৯৪৭ সালে বর্তমান বাংলাদেশে আনুষ্টানিক ভাবে দলটির জয়যাত্রা শুরু হলেও কার্যক্রম পরিচালিত হতো পশ্চিম বঙ্গ থেকে।তাও আবার বেশির ভাগ গোপনে।বৃটিশ আমলে সমগ্র ভারত বর্ষেই কমিউনিষ্ট পার্টি একসময় নিষিদ্ধ ছিল বিদায় দলটি কোনদিন ঠিক মত বিকশিত হতে না পারলেও রাজপথে সক্রিয় ছিল সব সময়। মেহনতি মানুষের ন্যয্য দাবি আদায়ে অনড় ছিল কলে কারখানায় শিক্ষা প্রতিষ্টানে সর্বখেত্রে ।এমন কি আমাদের মহান স্বাধিনতা যুদ্ধেও অংশ গ্রহন করে বীরত্বের সাথে গুরুত্ব পূর্ন ভূমিকা পালন করেছে এই দলটি।সহীদ হয়েছে দলটির হাজার হাজার মেধাবি কর্মি সদস্য এবং নেতৃবর্গ।গেরিলা যুদ্ধ সম্পুর্নভাবে পরিচালনা করেছিল দলটির নেতা কর্মিরা।বর্তমান কমিনিষ্ট পার্টির সভাপতি জনাব মুজাহিদ ইসলাম সেলিম ও একজন বীর মুক্তি যোদ্ধা।তাঁর জন্য আমার সেলিউট সবসময়।

 আমরা যদি শুরুর দিকে তাকাই দেখি যে পাকিস্তান হবার পরে তৎকালিন অখন্ড পাকিস্তান সরকার দলটিকে ভাল চোখে দেখেনি।সব সময় কমিউনিষ্টদের উপর চালিয়েছিল ধর পাকড় জুলুম নিপিড়ন ও অমানুষিক অত্যাচার। প্রিতী লতার উপর বর্বতম নিপিড়নের কাহিনী এদেশের কে না জানে।  রবিন্দ্র নাথ ঠাকুর তার প্রশ্ন নামে একটি কবিতা লিখেছিলেন প্রিতি লতাকে উদ্দেশ্য করে।কমিউনিষ্ট নেতা কমরেড মণি সিং বাংলাদেশে দ্বিতীয় নেতা যিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর মত বহুবার কারা বরন করে নির্যাতিত হয়েছেন। যার কারণে দলটির প্রথম দিকের কয়েকটা কংগ্রেস সন্মেলন অতি গোপনে কেলকাটাতেই অনুষ্টিত হয়েছে। কমরেড ফরহাদ ছিলেন একজন বিচক্ষন নেতা।আমি ব্যক্তিগত ভাবে দুএকবার এই নেতার সানিধ্য পেয়েছি।এই বিপ্লবি নেতাকে বলা হতো বাংলার লেনিন।তিনি ছিলেন সামরাজ্য বাদী দুষ্ট চক্রের কড়া সমালোচক। আফচোস অসময়ে এই নেতা পরলোকে চলে গেছেন।

-----------------------------------------------
 

বর্তমান বাংলাদেশে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্টা প্রত্যাশি অনেক গুলো কমিউনিষ্ট দল আছে------

যেমন--১, বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টি সংখেপে (সিপিবি) 

২, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)

এই দুটি দল বর্তমানে জোট গঠন করে ১৫ দপা দাবি নিয়ে রাজপথে আন্দলনে সক্রিয় আছে।

 সমাজতন্ত্রকামী ২য় জোট হলো,---

১,জাতীয় মুক্তি কাউঞ্চিল,

২,জাতীয় মাজতান্ত্রিক গন মঞ্চ,

৩, নয়া গনতান্ত্রিক গনমোর্চা,

৪,জাতীয় গনফ্রন্ট,

সমাজতন্ত্র প্রত্যাশি ৩য় জোট হলো----

১, বাংলাদেশ ইউনাইটেড কমিনিষ্ট লীগ (ইউসিবিএল)

২,বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টি,

৩, গন সংহতি আন্দোলন,

৪, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল মার্ক্সবাদী,

৫,বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল বাসদ ( মাহবুব)

৬, গনতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি,

৭, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন,

৮, বাংলাদেশ শ্রমিক কৃষক সমাজ বাদী দল,

এই আটটি বাম ঘরানার দল নিয়ে গঠিত হয়েছে গনতান্ত্রিক বাম মোর্চা-----

বলা বাহুল্য ষাটের দশকে এসে গনচিন এবং কিউবা বিপ্লবের পর আন্তর্জাতিক কমিউনিষ্ট পার্টি বহুধাবিভক্ত হয়ে যায়। মতবেধ সৃষ্টি হয় সমাজতন্ত্রে মূল ভাবাদর্শের।সমাজতন্ত্রের আকাশে নেমে আসে অমানিশা।বিপ্লবী নেতারা হয়ে যায় দ্বিধাগ্রস্ত। কেউ হয়ে যান মস্কো পণ্হি বা লেনিন বাদী। কেউ হয়ে যান পিকিং পণ্হি বা মাওবাদী, আবার কেউ হয়ে যান লেটিন আমেরিকা পণ্হি মানে চে-বাদী। বাংলাদেশের কমিনিষ্ট পার্টিও তার ব্যতিক্রম নয়, সেই ষাটের দশকেই দলটি ভেঙে হয়েছে অনেক গুলো টুকরো।

বর্তমানে বাংলাদেশে মাওবাদী দলগুলির মধ্যেও এক রকম জোট বা ঐক্য আছে--

যেমন--১ সিপিএমএল এম বাংলাদেশ।

২, পূর্ব বাংলার সর্বহারা পার্টি (সসি) আনোয়ার কবির গ্রুপ

৩,পূরব বাংলার সর্বহারা পার্টি এমবিআরএম)

৪,পূর্ব বাংলার কমিউনিষ্ট পার্টি (এমএল)

৫,পূর্ব বাংলার কমিউনিষ্ট পার্টি (লাল পতাকা)

৬, পূর্ব বাংলার কমিউনিষ্ট পার্টি (এম এল জনযুদ্ধ)

এছাড়াও জাতীয় গনতান্ত্রিক গনফ্রন্ট  জাসদ রব, জাসদ ইনু, জাসদ আম্বিয়া আবার বাসদ রেজাউল করিম খান সাম্যবাদীদল দিলীপ বড়ুয়া কমিনিষ্ট গন আজাদী লীগ, গনতান্ত্রিক মজদুর লীগ, গনতান্ত্রিক পার্টি ন্যাপ মোজাফ্ফর সহ বাম ঘরানার প্রায় ৪৮ দল আছে বাংলাদেশে। যাদের প্রত্যেকেরই  প্রত্যাশা সমাজতন্ত্র প্রতিষ্টা করা।কিন্তু কি ভাবে তার কোন সঠিক দিক্ নির্দেশনা নাই,আন্দোলন সংগ্রাম বলতে কিছু নাই।দাবী দাবা দপা-রপা কিছুই নাই।বরঞ্চ দেখা গেছে যে বাম ঘরানার প্রগতিশিল কিছু দল বুর্জ্যোয়া ডান ঘরানার দলগুলির সাথে জোট গঠন করে ক্ষমতার চিটেফোটা খাচ্ছে। এটা অত্যান্ত পরিতাপের ও লজ্জার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বর্তমানে বাংলাদেশ কমিনিউষ্ট পার্টির ১০টি অঙ্গ সংঘঠন আছে।

যেমনঃ--১, বাংলাদেশ খেত মুজুর সমিতি,২,বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, ৩,বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন,৪, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন, ৫, বাংলাদেশ কৃষক সমিতি, ৬, বাংলাদেশ বস্তি বাসী ইউনিয়ন, ৭,বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি,৮, বাংলাদেশ উদিচী শিল্পী গোষ্টী, ৯, বাংলাদেশ মহিলা সমিতি,১০, বাংলাদেশ খেলাঘর আসর।

এত বড় সুসংঘটিত একটি আদর্শ ভিত্তিক প্রগতিশিল দল আজ শুধু সঠিক নেতৃত্ব ও দিক নির্দেশনার কারণে ভঙ্গুর একটি দলে পরিণত হয়েছে।বর্তমানে দলটির প্রধান কমরেড মুজায়দুল ইসলাম সেলিম।তিনি একজন বীর মুক্তি যোদ্ধা।তিনি একজন জ্ঞানি লোক, নিয়মিত কলম লেখেন।ছাত্র জীবন থেকেই তিনি সিপিবি এর সাথে জড়িত।৮৬ এর গন আন্দলনের সময় আওয়ামীগের বাজে একজন নেতার হাতে অপমানিত হন। অতচ তিনি কিংবা দল এইটার উপযুক্ত জবাব দিতে ব্যর্থ হন।এর আগে দলটির প্রধান ছিলেন কমরেড মঞ্জুরুল আহসান খান। সম্পর্কে তিনি জনাব সেলিমের ভগ্নিপতি।বাংলাদেশের প্রধান দলগুলির মত ধরা যায় দলটি অনেকটা পরিবার কেন্দ্রিক হয়ে পড়েছে।সে কারণেই দলটির হয়তো এমন ভঙ্গুর দশা। বর্তমানে অবশ্য সিপিবি বাসদের সাথে জোট গঠন করে যুগৎপত আন্দলনের ঘোষনা দিয়েছে।কিন্তু মনে রাখতে হবে বাসদ একটি আদর্শচ্যুত একটি দল।

 

বলা প্রয়োজন মুলত ৬০ এর দশকে চীন এবং কিউবা বিপ্লবের পর বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টি বহুধা ভিবক্ত হয়ে যায়। কেউ মাও বাদী কেউ বা আবার লের্টিন তথা চে- কাস্ত্রো পন্হি হয়ে যায়।তারপরও মস্কো পণ্হি বা লেনিন বাদীরা সবসময় সবদেশে শক্তিশালি ছিল।কারণ লেলিন বাদের মুল উৎস মাক্সবাদ।

যেহুতু মাক্সবাদ একটি বিজ্ঞান বিত্তিক মতাদর্শ। যেখানে বিজ্ঞান তার নিজের গড়া সত্যকে ভেঙে নতুন নিখুত সত্যকে পুর্নপ্রতিষ্টা করে।সেহুতু মাক্সবাদীদেরকেও মাক্স মতবাদের সাথে নতুন মতাদর্শ সংযক্ত করতে হবে বলে আমি মনে করি।যদিও কমিনিউষ্ট এর ইশতেহার ও মাক্সবাদ তাত্বিক ভাবে এখনও প্রযজ্য,তথাপিও কমিনিউষ্টদেরকে নতুন কর্মসুচি গ্রহন করে শ্রমজিবী মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।

 

 

Monday, January 30, 2017

নষ্টমাথার নষ্টরাজনীতি----৪










                                          বি এন পি---?   

বি এন পি----র--- আদর্শ বা মুলনীতিঃ-


বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মত   বিএনপির ও মুলনীতি হলো--৪টা, তবে একটু আলাদা ধর্মনিরপেক্ষর জায়গায় তারা আল্লাহর উপর বিশ্বাস জুড়ে দিয়েছে। যেমনঃ--১,আল্লাহর উপরবিশ্বাস ২,গনতন্ত্র। ৩,সমাজতন্ত্র।  ৪,জাতীয়তাবাদ।             

বাংলাদেশের সংবিধান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমানের নির্দেশে ১৯৭২ সালে ৩৪জন বুদ্ধিজিবী ও আইনজিবী মিলে খুবি অল্প সময়ের মধ্যেই প্রণিত হয়েছিল। আমরা সবাই একথা জানি যে ১৯৭২ সালের ১০ই জানুয়ারি পাকিস্তানের  কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে জাতির জনক স্বদেশের মাটিতেই ফিরে এসই ঘোষনা দেন যে তিনি জাতিকে একটি সংবিধান উপহার দিবেন।  সে কথা অনুযায়ি  বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে প্রণিত হয়েছিল আমাদের সংবিধান।

সেই সংধিানেরও মুলনীতিও ছিল চারটা। যেমন-- গনতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ, ও ধর্মনিরপেক্ষতা। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগেরও মুলনীতি হলো এই চারটি। জেনারেল জিয়াউর রহমান নতুন দল বিএনপি গঠন করার পর  সংধিানের ধর্মনিরপেক্ষতা সরিয়ে আল্লাহর উপর বিশ্বাস শব্দটি জুড়ে দিয়েছে।আর এই জিনিসটা বিএনপি করেছে সংবিধান রচিত হবার  সাত বছর পরে।অর্থ্যাৎ বিএপি নামে দলটি গঠিত হয়েছে ১৯৭৮ সালের ১-লা সেপ্টেম্বরে।তখন স্বৈরশাসক জেনারেল জিয়া সংবিধানে বিছমিল্লা ও জুড়ে দিয়েছিল।

এখানে একটু বিস্তারিত বলতে হচ্ছে আমাকে।বিএনপির প্রতিষ্টাতা জেনারেল জিয়াউর রহমান ছিল স্বাধিন বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম এবং নিকৃষ্ট একজন স্বৈরচার। বঙ্গবন্ধু হত্যার তিন মাস্টার মাইন্ডের একজন ছিল এই তথাকথিত জেনারেল জিয়াউর রহমান।

জাতির জনক স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেই বুঝতে পেরেছিলেন যে এই জিয়া উচ্চ বিলাশি আকাঙ্খা পোষন করেন। তার মতিগতি ভাব চক্কর খারাপ।তার চোখেমুখে ফুটে উঠে ক্ষমতার প্রতি লৌলপ দৃষ্টি বা লিপ্সা।দুরদৃষ্টি সম্পর্ন বঙ্গবন্ধু চিন্তা করলেন যে স্বাদিন বাংলাদেশে যেন পাকিস্তানের  আইয়ূব খানের মত কোন স্বৈরচারের উত্থান না হয়।তাই সিদ্ধান্ত নিলেন এই জেনারেল জিয়াকে বিদেশে রাষ্ট্রদুত করে পাঠিয়ে দিবেন।এই খবর শুনে জিয়া গিয়ে বঙ্গবন্ধুর সামনে প্রবিত্র কোরআন ছুয়ে কছম খেয়ে বললেন তিনি কোনদিন বঙ্গবন্ধুর সাথে বেঈমানী করবেন না।তাই জাতির জনক তাকে আর বিদেশে না পাঠিয়ে ডিপুটি চীপ জেনারেল করে দেশেই রেখে দিলেন।

আর সেনা বাহিনী প্রধান জেনারেল  করলেন জিয়া থেকে এক র‌্যাং জুনিয়র সফিউল্লাকে।তাই ভিতরে ভিতরে জিয়া ছিল অসন্তোশ।

বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার পরপরই জিয়া সফিউল্লাকে সরিয়ে চীপ জেনারেল হয়ে যান রাতারাতি।দুসপ্তাহ পরে তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যার অন্যতম মাস্টার মাইন্ড মোস্তাককে প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সরিয়ে  মার্শাল,ল জারি করে প্রধান বিচারপতি সায়েমকে রাষ্ট্রপতি ঘোষনা করলেন।

লৌহমানব নামে খ্যাত আরেক স্বৈরচার আইয়ুব খানের আদলে জিয়া সদ্য স্বাধীন দেশে রাতদিন কারফিউ আইন জারি করে স্তম্বিত করে দিয়েছিল পুরো জাতিকে।সব রাজনৈতিক দলকে নিশিদ্ধ করে দিয়ে মানুষের বাক স্বাধিনতাকে হরন করলেন তিনি।সে সময় দুজন যুবক এক সাথে চলাফেরা করতে পারতনা।সারা বাংলাদেশ যেন আবার সেই একাত্তরের  যুদ্ধের বিভিশিখাময় দিনে ফিরে গেল।

দেশের মানুষ তখন বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ে। ঢাকা শহরে কি হচ্ছে দেশের মানুষ কিছুই জানতে পারছে না।এরি মাঝে কারফিউর  অন্তরালে তার প্রতিধন্ধি সব জেনারেলকে কারাগারে বন্দি অবস্হায় নির্মম ভাবে হত্যা করে যাচ্ছে, বিশেষ করে বীর মুক্তি যোদ্ধাদেরকে,কেউই তা জানতে পারছেনা। ক্ষমতার পাদপ্রদিপে এসে হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধা ও মিলিটারি অফিসারকে নির্মম ভাবে হত্যা করলো এই খুনি জিয়া।তিনমাস দশদিন পরে আবার প্রেসিডেন্ট সায়েমকে অসুখের অজুহাত তুলে বন্দুকের নল দেখিয়ে জিয়া নিজেই সর্বময় ক্ষমতা দখল করে নিজে নিজেকে প্রেসিডেন্ট ঘোষনা করলেন। অপর দিকে তিনি নিজেই সেনা প্রধান হিসেবেও অধিষ্টিত।অবক বিশ্ময়ে জাতি শুধু নিরবে  চেয়েই রলো।সদ্য স্বাধিন দেশের মানুষ যেন আবার পরাধিন হয়ে পড়লো।

জিয়া নিজেকে স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট  ঘোষনা করে  হ্যাঁ--না.. নামে প্রহশনের একটা নির্বাচনের আয়োজন করলো।হ্যাঁ মানে জিয়া নিজে, আর না মানে ও জিয়া। কেউ ভোটের জন্য দাঁড়াতে পারে নাই।দাঁড়াবার কারো কোন অধিকারও ছিল না। এবার তিনি পাকাপাকি পরিশুদ্ধ প্রেসিডেন্ট হয়ে মসনদে বসলেন।গনতান্ত্রিক বিশ্বে এটা ছিল একটা নজিরবিহীন ঘঠনা।স্বাধিন দেশের মানুষ ও এই প্রথম দেখল এমন আজব ভোটাভুটির নির্বাচন।

 খালি মাঠে তিনি নিজে একাই গোল দিয়ে নিজেই জিতে গেলেন।ভোটের পার্সেন্ট দেখালেন ৯৭% ভোট।এই  বিপুল ভোটে নিজেকে বিজয় ঘোষনা করে উর্দি চেড়ে তিনি  কোট সাপারি পড়তে শুরু করলেন।অল্প  কিছুদিন পরেই তিনি রাজকোষের কাড়িকাড়ি টাকাকড়ি খরছ করে প্রথমে জাগদল নামে একিট রাজনৈতিক প্লাটফরম গঠন করলেন। পরে ১৯৭৮ সালের আগস্ট মাসে জাগদল বিলুপ্ত করে ১লা সেপ্টেম্বরে এসে রমনা রোস্তোঁরায় ১৮ সদস্য নিয়ে বিএনপি যাত্রা শুরু করলেও ১৯ তারিখে এসে আবার ৭৬ সদস্য নিয়ে  বিএনপিকে পুনঃঘটন করেন। 

বিএনপি গঠন করে তিনি রাজকোষের মোটা অঙ্কের লোভ দেখিয়ে, ক্ষমতার চিটেপোটার লোভ দেখিয়ে গুলশান বনানী ধানমন্ডিতে প্লট এপার্টমেন্টের লোভ দেখিয়ে আদর্শবাদী রাজনৈতিক দলগুলিকে ভেঙে নিজের গড়া দল বিএনপিতে ভিড়াতে লাগলেন।নিষিদ্ধ যুদ্ধাপরাধিদেরকে পুর্নবাসন করতে লাগলেন।প্রধান যুদ্ধাপরাধি গোলাম আযমকে দেশে ফিরায়ে এনে নাগরিকত্ত ফিরায়ে দিলেন।রাজাকার শাহা আজিজকে প্রধান মন্ত্রি বানালেন।আর অপর দিকে বঙ্গবন্ধুর খুনিদেরকে বিদেশে বাংলাদেশ দুতাবাসে চাকুরির সুবন্দোবস্ত করে দিলেন। এমন কি ১৯৭৯ সালের ৯ই এপ্রিল এক ফরমান জারি করে তিনি ইনডেমনিটি আইন সংসদে পাশ করে নেন।এই কুখ্যাত আইনের মাধ্যমে তিনি ১৫ই  আগষ্টের পর থেকে বঙ্গবন্ধু হত্যাসহ সকল খুন খারাবির কোন বিচার করা যাবেনা, এমন কি কোন কথা বলা যাবেনা।

তারপরে বিএনপি নামের কেন্টেরমেন্টে জন্ম নিওয়া দলটি অল্পকিছুদিনের মধ্যেই একে একে ১১টা দল গঠন করে ১২টা দলে হাত দিলেনিআর সেটা ছিল গ্রাম সরকার পদ্ধত্বি।১৯৮১ সালের ৩০শে মে জিয়ার নির্মম মৃর্ত্যু হলে সেটা ভেস্তে যায়।

 

--চলবে---

Saturday, January 28, 2017

নষ্টমাথার নষ্টরাজনীতি --৩














 

    

                                            জাসদ,    




নষ্ট মাথার নষ্ট রাজনীতির রোশানলে পড়ে আমাদের জন ও জাতীয় জীবনে যে বিপর্যয় নেমে আসে, তার সুচনা পর্ব শুরু হয বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া বাংলাদেশ ছাত্র লীগের কয়জন উশৃঙ্খল ছাত্র নেতা আর বঙ্গবন্ধুর বিশ্বস্ত কয়জন নেতার হাতেই।বলা বাহুল্য নির্বোধ অবিবেচক নেতারা সবাই আজ ইতিহাসের আবর্জনা হিসেবেই পরিণত হয়েছে।

আর বঙ্গবন্ধু হয়েছেন ইতিহাসের মহানায়ক।তিনিই বাঙ্গালী জাতীর ইতিহাসে হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙ্গালী। এটা আমার মুখের কথা নয় আন্তঃজাতিক ভাবেই সিকৃত ।বঙ্গবন্ধু থেকে জাতির পিতা, তার পরে আবার তিনি বিশ্ব নেতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন, এবং পেয়েছেন বিশ্বের স্বতন্ত্র স্বিকৃতি।

নিন্দুকেরা ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট খেয়ে আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাসকে বার বার বিভিন্ন ভাবে বিকৃত করেছে। তারা মহান নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমান ও তাঁর অবদানকে খাটো করার অপচেষ্টা করতে গিয়ে নিজেরাই খাটো কীটে পরিনত হয়েছে।নতুন প্রজন্ম আজ স্পষ্ট বুঝতে পেরেছে স্বাধীনতার সত্য ইতিহাস।চিনতে পেরেছে ইতিহাসের মহানায়ক বঙ্গবন্ধুকে।

১৯৪৭ সালের ১৪ই আগষ্ট পাকিস্তান ভারত দ্বিধাভিবক্ত হবার পরেই তরুন ছাত্র নেতা শেখ মজিব কেলকাটা থেকে ঢাকায় ফিরে এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে ভর্তি হন। মাত্র সাড়ে চার মাসের মাথায় অর্থ্যাৎ ১৯৪৮ সালের ২০ই জানুয়ারি তিনি গঠন করেন পাকিস্তান ছাত্র লীগ নামে একটি ছাত্র সংগঠন।দলে দলে ছাত্ররা যোগ দিতে লাগলেন নতুন এই সংগঠনে।তরুন নেতা শেখ মজিব নেতৃত্বের অগ্রভাগে।তিনি একদিকে ভাষা আন্দলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, আরেকদিকে ভার্সিটির তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারিদের দাবি দাওয়া নিয়ে।এই আন্দলনের কারণে তৎকালিন পাকিস্তান সরকার তাঁকে বন্দি করেন।যার কারণে ভার্সিটি কতৃপক্ষ তাঁকে বহিষ্কারও করেন।জেলখানায় বসেই তিনি আন্দলনের নেতৃত্ব দিতে থাকলেন।

১৯৪৯ এর ২৯ই জুন হোসেন শহীদ সরোয়ার্দীর নির্দেশে  মাওলানা ভাসানি  ও শামসুল হক ইয়ার মোহাম্ম খান মিলে ঢাকার রোজ গার্ডেনে পুর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ নামে  একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেন। ভাসানী হন দলের সভপতি, শামসুল হক হন সাধারন সম্পাদক, আর শেখ মজিব জেলে বন্দি অবস্হায় যুগ্ন সম্পাদক নির্বাচিত হন।জেল থেকে ছাড়া পেয়ে তিনি রিাজনীতিতে পুরোদমে সক্রিয় হয়ে  ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিতে লাগলেন।এরি মাঝে বার বার তিনি জেলে যান আবার ছাড়া পান, কিন্তু তাঁর হাতে গড়া  সংগঠনের নেতাদেরকে গোপনে দিক নির্দেশনা দিতে থাকলেন।মাত্র অল্প কয় বছরের মধ্যেই সমগ্র বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্টানে গড়ে উঠলো ছাত্র লীগ। সারা বাংলায় শুরু হলো ছাত্র আন্দলন।

১৯৬৩ সালে এসে সেই সুসংগঠিত ছাত্রলীগের একটি কাউঞ্চিল অধিবেশনে   সুস্পষ্ট হয়ে দেখা দিল কোন্দল।একদিকে অবস্হান নেয় ছাত্রলীগের সভাপতি কে এম ওবায়েদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল আলম খান ও শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন।

অন্যদিকে বঙ্গবন্ধুর আপন ভাগিনা তরুন ছাত্রনেতা শেখ ফজলুল হক মনির মধ্যে।শেখ মনির পছন্দের ছিল ফেরদৌস আহম্মেদ কোরেশীর প্রতি।পরে সাধারণ ছাত্রের সমর্থন থাকলেও কাউঞ্চিলদের ভোটে সিরাজুল আলম খানের প্যানেলই নির্বাচিত হয়।

১৯৬৩ সালের শেষের দিকে কথিত আছে যে  সিরাজুল আলম খান তৎকালিন ছাত্রলীগের কেন্দ্রিয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক ও ঢাকা মহানগরের সভাপতি কাজি আরেফ আহম্মদকে নিয়ে তিন বন্ধু আঙ্গুল কেটে সফত নেন যে পুর্ব বাংলা স্বাধীন না হওয়া পর্যন্ত তারা বিয়ে শাদীও করবেন না আন্দলন চালিয়ে যাবেন।

গন আন্দলনের মুখে   বঙ্গবন্ধু আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা থেকে ছাড়া পেয়ে ফিরে আসলে তারা তিন বন্ধু নাকি ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে গিয়ে বঙ্গবন্ধুকে এ ব্যপারে অবহিত করেন। স্বাধীন বাংলা বিপ্লবি পরিষদের ব্যপারে বঙ্গবন্ধু নাকি আগে থেকে জানতেন।এবং এটা নাকি ভারতের র এর তৈরি। চিত্য রঞ্জন সুতার ও কালিদাস বৈদ্যের মাধ্যমে এই পরিষদের সুত্রপাত হয়।ডাঃ কালিদাস বৈদ্যকে বঙ্গবন্ধু কবিরাজ নামেই ডাকতেন।

( উল্যেখ্য এই ডাঃ কালিদাস বৈদ্যের রচিত বাঙ্গালীদের মুক্তিযুদ্ধের অন্তরালে শেখ মজিব নামে একটি বই লিখেছেন বর্তমানে)

১৯৭০ সনের ২১শে আগষ্ট এক সন্ধ্যায় ঢাকার ৪২নং বলাকা বিল্ডিং এ সিরাজ পণ্হিদের এক মিটিং এ চট্ট্রগ্রামের ছেলে স্বপন কুমার চৌঃ নামে এক অখ্যাত ছাত্র স্বাধীন সমাজতান্ত্রিক বাংলাদেশ ইপস্তাপন করে কিছুক্ষন এর উপর আলোচনা করা হয়।পরে এক পর্যায়ে ভোটাভুটির আয়োজন করা হয়।সেখানে নাকি ৪৫ জন ছাত্রের মধ্যে ৩৬ জনই এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়।পরে সবাই মিলে ধানমন্ডি ৩২ নাম্বারে গিয়ে বঙ্গবন্ধুকে অবহিত করেন।

বঙ্গবন্ধু সবাইকে নাকি বললেন---- স্বাধীনতা চাস ভাল।কিন্তু রেজুলেশন নিয়ে তো স্বাধীনতা হয় না।গ্রামে যা, কাজ কর।

১৯৭২ সালের ১০ই জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে দেশে ফিরে আসেন।অল্প কিছু দিনের মাথায় এসে সিরাজুল আলম খান ও আবদুর রাজ্জাকের মধ্যে দন্ধ প্রতিধন্ধ দেখা দিল।সিরাজুল আলম খান নাকি লাল সালাম এবং সমাজ তন্ত্রের কথা বেশি বলতে লাগলো, এটা রাজ্জাক সাহেবের মোটেও পছন্দ হচ্ছে না।এরি মাঝে সংযুক্ত ছাত্রলীগের মাঝে এলো এক নতুন মতবাদ।আর সেটা হলো মজিববাদ।সিরাজুল আলম রব রাজ্জাক তোফায়েল, নুরে আলম সাজাহান সহ সবাই যেখানে সেখানে শ্লোগান দিত, আমার তোমার মতবাদ, মুজববাদ মুজববাদ।

কিন্তু কিছুদিন পরে সিরাজুল আলম পণ্হিরা  হঠাৎ এই শ্লোগান বন্ধ করে দিল।তাদের উদ্যেশ্য নাকি অন্যকিছু। তারা লাল বাহিনী তৈরির ঘোষনা দিল।সিরাজুল আলম খান বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘদিনের বিশ্বস্ত বুন্ধু  তাজউদ্দিনের সাথে গোপনে গোপনে সলাপরামর্শ করতে লগলো নতুন দল গঠনের ব্যপারে।তাজউদ্দিন আহম্মদও সমাজতন্ত্র প্রতিষ্টার পক্ষে ছিলেন।

১৯৭২ সালের ৩০ অক্টোবর তাজউদ্দিনের বাসায় সারারাত ধরে সিরাজুল আলম ও আবদুর রবের মধ্যে আলোচনার পর ফাইনাল সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তারা দল গঠন করবেই করবে।জনাব তাজউদ্দিন সাহেব তাদেরকে কথা দেন সর্বোত ভাবে সহযোগিতা করার।পরের দিন ৩১শে অক্টোবর মেজর জলিলকে সভাপতি আর রবকে সাধারণ সম্পাদক করে গঠিত হয় জাতিয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ।

হায়রে নষ্ট মাথার নেতারা হায়রে দুষ্টচক্র বেঈমানের দল বিশ্বাঘাতকের ও একটা সিমা আছে।যে ছাত্রলীগের ছাত্ররা ছিল ববঙ্গবন্ধুর অতি আদরের সন্তানের মত। যে ছাত্ররা এক বিছানায় গুমাতো, এক সাথে খেত, এক সাথে খেলত, পড়তো,সেই ছাত্ররা হয়ে গেল দ্বিধাভিবক্ত।তাও আবার এই সময়।দেশের এই ধংশযজ্ঞের উপর দাঁড়িয়ে?

সুচনা হলো বাঙ্গালীর দুর্বিসহ জীবনের নতুন অধ্যায়।জাসদ গঠন করেই তারা বৈজ্ঞানিক সমাজ তন্ত্র কায়েমের নামে শুরু করে দিল সারা বাংলাদেশে এক ভয়াবহ অরাজকতা।তাদের সন্ত্রাসি কর্মকান্ডে কায়েম হলো ত্রাসের রাজত্ব। মুক্তি যুদ্ধের সময় পাওয়া কোন অস্ত্র তারা জমা দেয়নি।একি বছর সেক্টর কমান্ডার কর্নেল তাহেরের নেতৃত্বে তারা গোপনে গঠন করলো বিপ্লবি গন বাহিনী।যা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।পৃথিবীর কোন দেশে নিয়মতান্ত্রিক সেনা বাহিনী থাকতে এরকম গন বাহিনী গঠিত হয়নি। জাসদ তাহাই করে দেখালো।সেই অস্ত্র নিয়ে তারা ব্যাংক লুট থানা লুট মিলকারখানায় পাঠের গুদামে আগুন দিতে লাগলো।তারা নির্বিচারে হত্যা করলো আওয়ামী লীগের নেতা কর্মি ও এমপিকে।

১৯৭৩ সালের ১৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে তারা হাজার হাজার কর্মি বাহিনী মিছিল নিয়ে স্বারষ্ট মন্ত্রি আবুল মনসুরের বাড়িতে আক্রমন করে বসে। সেখানে পুলিশ ও রক্ষিবাহিনীর সাথে তাদের গোলাগুলি হয় কয়েক ঘন্টা ধরে।সেখানে বিশ পোঁচিশ জন লোকের প্রাণ চলে যায়। পরে জাসদের ্হাবিবউল্লা নামে এক নেতা বলেছেন আজকের তত্ব মন্ত্রি হাসানুল হক ইনুই নাকি প্রথম গুলি চালায় ।তাদের মুল উদ্যেশ্য  যে কোন মুল্যে  বঙ্গবন্ধুকে উৎখাত করে   রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করা।

১৯৭৫ সালে এসে এই জাসদের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু তৎকালিন সকল গনতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল ও বাম দলের মনি মোজাফ্ফর গ্রুপের সাথে জাসদ ব্যতীত সর্বসন্মতিক্রমে গঠন করেন  বাকশাল।দেশ গড়ার উদ্যেশ্যে এই রাজনৈতিক প্লাটফরম গঠন করার পর কেউই প্রকাশ্যে এটার বিরুধিতা তো করেই নাই, বরঞ্চ জিয়া মওদুত মঞ্জু গনরা সদস্য হওয়ার জন্য ব্যকুল হয়ে পড়েন।

১৯৭৫ এর ১৫ই আগষ্ট জাসদের তাহের, জেনারেল জিয়া, আর বঙ্গবন্ধুর বিশ্বস্ত বন্ধু  মোস্তাক মিলে কর্নেল রশিদ ফারুককে দিয়ে স্বপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে নির্মম ভাবে হত্যা করে বাঙ্গালী জাতির ইতিহাসে রচনা করে এক কলঙ্কিত অধ্যায়।তাদের হাত থেকে রক্ষা পায়নি গর্বভতি নারি শিশু এমন কি বঙ্গবন্ধুর পোশা পাখিরাও।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সকাল ৯টা বাজেই কর্নেল তাহের খুনি রশিদ ডালিমকে নিয়ে বেতার কেন্দ্রে যান বিবৃতি দিতে। পরে জেনারেল জিয়াও সেখানে গিয়ে সামিল হন।একদিকে বঙ্গবন্ধুর রক্তাক্ত নিথর দেহ ৩২ নম্বর বাড়ির সিড়ির মাঝে পড়ে থাকে। অন্যদিকে খুনিরা বার বার বিবৃতি দিয়ে দেশের মানুষকে বিব্রান্ত করিতেছে।

দুদিন পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নঈম জাহাঙ্গির নামে এক ছাত্র নারায়ন গঞ্জে তাহেরে বাসায় জান।তাহের নাকি ক্ষুদ্ধ হয়ে বলেন, মজিবকে কবর দেওয়া ঠিক হয়নি, এখন সেখানে মাঝার হবে। উচিত ছিল মজিবের লাশটা বঙ্গপসাগরে ফেলে দেওয়া।

যে তাহেরকে বঙ্গবন্ধু অত্যান্ত স্নেহ করতেন। যে তাহেরকে বঙ্গবন্ধু জার্মানে পাঠিয়ে চিকিৎসা করিয়েছেন। সে তাহেরের মুখে এমন অকৃতজ্ঞ কুৎসিত কথা।

তাহের সিরাজ, রব, ইনু আরেফরা যে কুৎসিত খেলা খেলেছিল।সে খেলায় বুমেরুং হয়ে জাসদ ও তার হাজার হাজার কর্মি বাহিনীসহ হাজার হাজার প্রকৃত মুক্তি যোদ্ধাকেও প্রাণ দিয়ে দিতে হয়েছে চরম মুল্য।তাহেরকেও ফাঁসির কাস্টে ঝুলে কঠিন মুল্য দিতে হয়েছে।এটাই চরম সত্য। 

সেই ক্ষমতা লোভি জাসদ আজ আর সেই জাসদ নেই। এখন তারা ইতিহাসের আবর্জনা, ক্ষমতার উচ্চিষ্ট কাউয়া কিড়া।১৯৮০ সালে এসে জাসদ বেঙে বাসদ হলো।তার আবার জাসদ রব ইনু দুভাগে ভিবক্ত হলো। ১৯৮৮ সালে এসে জাসদ একদিনে আটভাগে ভিবক্ত হয়ে গেল।এটাই বোধ হয় রাজনৈতিক ইতিহাসে বিশ্ব রেকর্ড।

Wednesday, January 25, 2017

নষ্টমাথার নষ্টরাজনীতি,১-২


       


   নষ্ট মাথার নষ্ট রাজনীতি  

                                                   ১-পর্ব,
 নষ্ট মাথার  নষ্ট রাজনীতির শিকার আজ আমরা সাড়ে ষোল কুঠি বাঙ্গালী।আদর্শহীন আর আদর্শচ্চ্যুত রাজনৈতিক দলগুলির নষ্ট মাথার নষ্ট নেতারা স্বাধীনতার পর থেকেই আমাদের অগ্রযাত্রাকে স্তব্দ করে দেওয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।তাদের কোন সুনির্দিষ্ট কনসেপ্ট নেই।দুরদর্শিতা জ্ঞ্যন ও প্রজ্ঞা সম্পর্ন  রাজনৈতিক কোন মেনোপেষ্ট নেই। তারা রাজনীতির নামে হরতাল, অবরোধ, ধর্মঘট, জ্বালাও পোড়াও  অগ্নি সন্ত্রস, বোমা সন্ত্রাসের মাধ্যমে, দেশের মুল্যবান সম্পদ ধ্বংশ করে দিয়ে, মানুষ হত্যা করে, নৈরাজ্যবাদী ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। তাদের হাত থেকে নারী পুরুষ এমন কি শিশুরাও বাঁচতে  পারেনি।তাদের হাত থেকে রক্ষা পায়নি পশুপক্ষি, এবং গাছপালাও।তারা  নতুন  প্রজন্মকে  রাজনীতির নামে বিব্রান্ত করে তাদের মধ্যে রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষ ও হানাহানি সৃষ্টি করে সমগ্র দেশকে  ভয়াবহ  অরাজকতা,   অশান্তি ও অন্ধকারাচ্ছন্ন করে রেখেছে ।

কেউ ধর্মের নামে, কেউ গনতন্ত্রের নামে কেউ সমাজতন্ত্রের নামে,কেউ জাতীয়তা বাদের নামে একটা দেশ একটা জাতি ও তার ভবিষ্যত প্রজন্মকে ধ্বংশ করে দিচ্ছে ।মহান স্বাধীনতার ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়েছে।বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় নেতাদেরকে জেলখানার অন্ধাকার প্রকোষ্টে নির্মম ভাবে হত্যা করে জাতীকে করা হয়েছে কলঙ্কিত ওবহুধা বিভক্ত।মুক্তি যুদ্ধের চেতনাকে ধুলির সাথে মিশায়ে দিয়ে তিরিশ লক্ষ শহীদের আত্মার সাথে  বেঈমানী করে তারা নিলর্জভাবে আমাদের সকল  গর্বকে সর্বোতভাবে খর্ব করে দিয়েছে ।


 এই নষ্ট মাথার রাজনীতিবীদদের কোন সৎ উদ্যেশ্য নেই।তারা কোনদিন জাতির মঙ্গল চায়নি এবং চাচ্ছে না। দেশের অগ্রগতি চায়নি এবং চাচ্ছেও না।তারা সংসদিয় গনতন্ত্রের নামে কায়েম করেছে  শ্বৈরতন্ত্র, সমাজতন্ত্রের নামে কায়েম করতে চায় আমলা তন্ত্র, শ্রেণী সংগ্রামের নামে এক অদ্ভূত  ভিআইফি তন্ত্র, মানে নিজেদের একনায়কত্ব,ধর্মের নামে সৃষ্টি করেছে বিভিন্ন ফেরকা আর  সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ও জঙ্গিবাজ উগ্রবাদ ।মুক্তমনা লেখক ব্লগার বিদেশিকে হত্যা করে আন্তর্জাতিক ভাবে খুন্ন করছে দেশের মান সন্মান।

রাজনৈতিক দলের বাহিরেও আছে এক শ্রেণীর নষ্ট মাথার কিছু দুষ্ট চক্রের দল। আমরা যাদেরকে বুদ্ধিজিবী হিসেবে জানি।সমাজের এলিট শ্রেণী।কথিত  স্বঘোষিত সুশিল সমাজ। এনজিওর কিছু হোমরা চোমরা।তারাও সরকারি সুজোগ সুবিধাও ক্ষমতার চিটে পোটা খাওয়ার জন্য উল্টাপাল্টা কথাবার্তা বলে দিন দিন আমাদেরকে বিব্রান্ত করে যাচ্ছে।

  তাদের  মুল উদ্যেশ্য  লুটপাটতন্ত্র।জোট মহাজোট গঠন করে লুটপাট করে নিজেদের আখের গোছানো। সরকারি সকল সুজোগ সুবিধা,ধানমন্ডি গুলশান বনাণিতে বাড়ি, ক্ষমতার উচ্চিষ্ট খাওয়া  তাদের চরিত্রের বৈশিষ্ট হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভোটচুরি করে ভোট ঝাল ও লুট করে, ভোট কিনে, ভয় দেখায়ে, অস্ত্র ঠেকায়ে,ভোট ইজ্ঞিনিয়ারিং সহ নানা অপকর্ম ও কুটকৌশলের মাধ্যমে শুধু ক্ষমতায় যাওয়া।বস যেতে পারলেই হলো।তাড়াতাড়ি পাল্টে যায় তাদের বাড়িগাঁড়ি, আসভাবপত্র হয় সব ইম্পোর্টেট।আবার ব্যংক বীমা লুটপাট করে ঘুষ দুর্নীতি করে কাড়ি কাড়ি টাকা বিদেশে পাচার করে বানায় সেইফ হোম।কুঠি কুঠি টাকা বিদেশি কম্পানিতে লগ্নি করে হচ্ছে এদেশের বুর্জ্যুয়া নব্য মিলিনিয়র।দেশিয় শিক্ষা সংস্কৃতি বাদ দিয়ে নিজের সন্তানকে  বিদেশে পাঠায় অপসংষ্কৃতি শিক্ষার জন্য।

জনগনের করের টাকা মেরে ছোটখাটো অসুকের চিকিৎসার জন্যও  চলে যায় আমেরিকা কানাডায় লন্ডন শিঙ্গাপুরের মত উন্নত দেশে।হারামের টাকা দিয়ে হজ্ব করতে যায় মক্কায়।ভ্রমন করতে যায় দেশ বিদেশে। অতচ জনগন সামান্য স্বদেশীয় চিকিৎসা থেকেও বঞ্চিত।সুশাসন থেকে বঞ্চিত। অন্ন বস্ত্র বাসস্হান বিদ্যুত গ্যস সুফেয় পানি সুশিক্ষা, এবং আধুনিকের সকল সুখ আহল্লাদ থেকেও বঞ্চিত।

আমরা অনেক দেখেছি, অনেক শুনেছি, তাদের কথার ফুলঝুরি।স্বাধিনতার পর থেকেই দেখে আসছি।মুখোশ পরা সাধু সয়তানের খেলাখেলি। নোংরা রাজনীতি, দুর্বৃত্যায়নের রাজনীতি,দল বদল ডিগবাজির রাজনীতি।  নির্বাচনের আগে তারা গাধাকেও বাবা ডাকে, আবার নির্বাচিত হলে বাবাকে গাধাও মনে করে না। 

তারা কেউ ব্যবহার করে ধর্মকে, কেউ ব্যবহার করে গনতন্ত্রকে, কেউ ব্যবহার করে সমাজ তন্ত্রকে, আবার কেউ জাতীয়তাবাদকে। অতচ ঔরা নিজেরাই নাস্তিক।গনতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রের কচুও তারা বু্ঝেনা।বিশ্বাস ও নেই শুধু ভাব করে, এটাই তাদের আদর্শ।এটাই তাদের ধর্ম।এটাই তাদের স্বভাব চরিত্রের বৈশিষ্ট।

তরুন প্রজন্ম আজ এই দুষ্ট চক্রের হাত থেকে মুক্তি চায়।তরুনরা আজ এই নষ্টমাথার নষ্ট রাজনীতির রোশানল থেকে বাঁচতে চায়,রক্ষা করতে চায় প্রিয় জন্মভূমিকে।তাদের  অনিয়ন্ত্রিত স্বপ্নকে ওরা আজ রুদ্ধ করে রেখেছে। তরুনরা চায় আজ জাতির অগ্রগতি ও সম্বৃদ্ধ বাংলাদেশ।তারা  চায় আজ শান্তি ও সুন্দর পরিবেশ।

আমরা আজ সন্মিলিত ভাবে প্রত্যাখ্যান করছি, নষ্টমাথার সব অপ ও অসুভ রাজনীতিক দল ও নেতাদেরকে।সাথে সাথে নিম্নে আলোচনার মাধ্যমে উন্মোচন করছি তাদের মুখোশ।

 

                                                    ২য়-পর্ব,

                                 কি চায় তারা, কি তাদের উদ্যেশ্য...?                        


 


 


 


 

        বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ....... ?


 


 


বাংলাদেশের  সবচেয়ে পুরানো ও ঐতিহ্যবাহি  একমাত্র দল হলো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। সবুজ সতেজ বাংলার পানোরামা দুর দীগন্ত  শ্যমল মাঠি ও কৃষক শ্রমিক জেলে তাঁতি কামার কুমার  মেহনতি মানুষের কাপেলা থেকে উঠে আসা এই দলটি আশমান ছোঁওয়া বৃহত্তম একটি রাজনৈতিক দল।২৩শে জুন ১৯৪৯ ইং সালে দলটি পুর্ব পাকিস্তান মুসলিম আওয়ামী লীগ হিসেবে প্রতিষ্টিত হয়ে, নানা ঘাত প্রতিঘাত অতিক্রম করে ১৯৭২ ইং সালে স্বাধীন বাংলাদেশে দলটির নামকরন হয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। উপ মহাদেশের গনতন্ত্রের মানষ পুত্র হিসেবে খ্যত হোসেন শহীদ সোওরোয়ার্দীর নির্দেশে আসামের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে সদ্য স্বদেশ ফেরা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানি, ছাত্রনেতা শেখ মজিবর রহমান শামসুল হক ও এয়ার মোহাম্মদ খানের নেতৃত্বেই দলটির গোড়পত্তন হয়।

এখানে অবাক করার একটি বিষয় হলো যে তরুন ছাত্র নেতা শেখ মজিব কলকাতা থেকে ফিরে এসেই ঢাকা ইউনিভারসিটিতে ভর্তি হয়ে পাকিস্তান আজাদি হওয়ার মাত্র সাড়ে চার মাসেরও কম সময়ের মধ্যে ১৯৪৮ সালেই   পাকিস্তান ছাত্রলীগ নামে একটি ছাত্র সংগঠন গড়ে তোলেন।তখনো মুসলিম আওয়ামী লীগ প্রতিষ্টাই হয়নি।এটা ইতিহাসে বিরল। যা আজ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নামে আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন।

 তৎকালিন পুর্ব পাকিস্তান মুসলিম আওয়ামী  লীগের প্রতিষ্টা লগ্নে মাওলা ভাসানি সভাপতি ও শামসুল হক সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হলেও জেল খানায় বন্দি অবস্হায় তরুন ছাত্র নেতা শেখ মজিব হন যুগ্ন সম্পাদক।১৯৫২ সালে তিনি হন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক। ১৯৫৩ সালে হন সাধারণ সম্পাদক।১৯৫৪ সালে শেখ মজিব দলের নাম থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দিয়ে, তিনি যুক্তপ্রন্ট গঠন করে মুসলিম লীগের বিরুদ্ধে  নির্বাচনে লড়েন। বিপুল ভোটে বিজয় হয়ে যুক্তপ্রন্ট সরকার গঠনও করেন।কিন্তু মাত্র ৫৮দিনের মাথায় এসে যুক্তপ্রন্ট সরকারকে ভেঙে দেওয়া হয়।১৯৫৭ সালে এসে ভাসানি ন্যসানাল আওয়ামী লীগ নামে আরেকটি দল গঠন করে  দলটিকে ভিবক্ত করে ফেলেন।

বাহান্নের ভাষা আন্দলন, ৬৬ইর ছয় দপা আন্দলন,৬৮,র, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, উনসত্তরে লৌহমানব শ্বৈরচারি আইয়ূব খানের মার্শাল, ল এর বিরুদ্ধে গন অভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচনের বিপুল বিজয় ও ৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়ে নয় মাসের রক্তক্ষয়ি যুদ্ধের  মাধ্যমে বিজয়  লাভ করে এই দলটিই গঠন করে  স্বাধীন সার্বভৌমত্ব বাংলাদেশ।৩৪জন বুদ্ধিজীবিকে নিয়ে বঙ্গবন্ধু প্রণয়ন করে প্রবিত্র সংবিধান।যগান্তরকারি সেই সংবিধানের মুলনীতিই বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের মুলনীতি ও বা মতাদর্শ।

এই দলের মুলনীতি ও মতাদর্শঃ-- সংসদীয় গনতন্ত্র।জনগনই ক্ষমতার মালিক,জনগনের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই রাষ্ট্র পরিচালনা করবে।

সমাজতন্ত্র,---এটা মার্ক্স এঙ্গেলসের মতাদর্শের সমাজতন্ত্র নয়। তবে শোষন মুক্ত সামাজিক ন্যয় বিচার ও বৈশম্য দুর করে সাম্য মৈত্রির মাধ্যমে দেশটাকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলাই দলটির মুল উদ্যেশ্য।

ধর্মনিরপেক্ষতাঃ--- সকল ধর্মের অনুসারিরা যার যার মতে তার তার ধর্ম পালন করবে।

জাতীয়তা বাদঃ---বাঙ্গালী জাতির কৃষ্টি কার্লচার সমন্নুত রেখে  ঐক্যবদ্ধ ভাবে দেশের সম্পদ ও স্বার্বভৌমত্ব রক্ষা করবে, এবং বাঙ্গালী জাতী হিসেবে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরবে। 

কিন্তু আজ মিলিনিয়ন টাকার একটা প্রশ্ন করি আওয়ামী লীগের কাছে। আওয়ামী লীগ কি তাদের মুলনীতি অনুসারে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে পেরেছে বা করিতেছে ?

  বি এন পি.......?  

  জাতীয় পার্টি,,,,? 

                                                 
      জামায়াত....? 

     সিপিবি....?   

সর্বহারা ও পুর্ববাংলা কমিনিষ্ট পার্টি,,,,,?

 সমাতান্ত্রিক সমমনা দলগুলি...? 

  ইসলামী সমমনা দলগুলি..?

 

 

 

 

 

 

 

 

















































                                    

অজ্ঞসব জনপ্রতিনীধি,

সত্যই শক্তি, সত্যই সুন্দর,