Sunday, February 18, 2018

আজ ২১শে ফেব্রুয়ারী---



২১শে ফেব্রুয়ারী আন্তঃজাতিক মাতৃভাষা দিবস।বাঙ্গালী জাতির গর্বের একটি দিন।প্রথমে বাংলা ভাষার উপর রচিত একটি সংগীত শুনুন।তারপর আলোচনায়--






লাল সবুজের ঝলোমলো মেলায়,হরিৎ মহুয়ায়,সবুজ ঘাঁসের ডোগায়,নদীর বুকে বুকে, শিশুর মুখে মুখে, পাখির সুরের মুর্চনায়,ফুলের অধর কোনায়,আকাশের সন্ধ্যা তারায়,রাতের জোসনায়,বাংলা বাঁচবে বাংলায়,আমাদের বাংলা ভাষা বাঁচবে বাংলায়//


করেছি কতো সংগ্রাম,করেছি কতো যুদ্ধ,এ বাংলার জন্য /দিয়েছি কতো রক্ত,মৃর্ত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়েছি শক্ত,আমরা অনিক অনন্য/বাংলা মোদের মায়ের ভাষা,বাংলা মোদের বাঁচার আশা,পলকে পলকে বাংলা মোদের দুর্বিনীত স্বপ্ন দেখায়//

বাংলা মোদের অমর ইতিহাস, বাংলা মোদের স্বপ্ন বিলাশ /বাংলায় মোরা লিখিপড়ি,বাংলায় করি হৈচৈ আনন্দ উল্যাস /কেঊ কভূ কেড়ে নিতে পারবেনা,কাউকে কেড়ে নিতে দিবনা, না-না-না দিবনা,বাংলাকে মোরা যতনে রাখবো মনের মনিকোঠায়//



অ       আ        ক     খ     গ   ঘ--আ-মরি বাংলা ভাষা,


১,বর্তমান পৃথিবীতে জাতিসংগের সদশ্যভূক্ত ১৯৫টি দেশের মধ্যে একমাত্র ভাষার উপর ভিত্তি করে জন্ম নেওয়া   স্বাধীন রাষ্ট্রের মধ্যে অন্যতম প্রধান রাষ্ট্র হলো আমাদের সবার প্রিয় এই বাংলাদেশ।আমাদের অফুরন্ত গর্বের কোন অন্তঃ নেই এই দেশকে নিয়ে।আমরা সবাই কি এবার সমশ্বরে বলতে পারি না- জয় বাংলা-!জয় হউক অমর ২১-!

জাতিগোষ্টির নামে, রাজা বাদশার নামে কিংবা দেবদেবির নামে কল্পনা প্রসুত অনেক দেশের নাম করন করা হয়েছে, কিন্তু আমাদের দেশটাই একমাত্র ব্যতিক্রম।ভাষার ভিত্তিতে,ভাষার নামে, ভাষার দেশ, মাতৃভাষার দেশ বাংলাদেশ।বলা যায় ভাষা রাষ্ট্র।

 আমাদের এই ভাষা আজ আন্তর্জাতিক ভাবে সিকৃত। আমরা কেউ সঠিক ভাবে জানিনা, কবে কিভাবে আমাদের এই বাংলা ভাষার উদ্ভব হয়েছিল।তবে নেপালের রাজ দরবারে আবিষ্কৃত বাংলা ভাষায় রচিত চর্চাপদ থেকে অনুপ্রানিত হয়ে ধারণা করতে পারি যে আমাদের বাংলা ভাষা অনেক অনেক পুরানো।ধারণা করা হয় আদি ব্রম্মালিপি থেকেই বাংলা ভাষার উদ্ভব হয়েছে।

সেই যাই হউক,বর্তমান বিশ্বে আধুনিক সভ্য দেশ এবং পূর্ন গনতান্ত্রিক দেশ গুলির অবস্হান হলো ইউরোপ মহাদেশে।প্রচীন গ্রীক হলো দার্শণিকদের চারণ ভূমি।গ্রীকের মত এত দার্শণিক পৃথিবীর আর কোন দেশে জন্ম গ্রহন করেননি।বর্তমান পৃথিবী আজো গ্রীক দার্শণিক মতবাদ ধারা প্রভাবিত।কিন্তু আশ্চার্যের ব্যপার হলো এই দার্শণিকরা বেশির ভাগই ছিল অশিক্ষিত, কিন্তু অসাধরণ জ্ঞানের অধিকারি।তার চেয়েও আশ্চার্যের ব্যপার হলো  প্রাচীন এবং বর্তমান সভ্যতা এবং দার্শণিকের তীর্থক্ষেত্র এই ইউরোপের তথা গ্রীক জাতি গোষ্টিকে ভাষা এবং কলম কালি কাগজের ব্যবহার শিখিয়েছিল ফিনিশীয় জাতি গোষ্টি।ফিনিশীয়রা ২২টা বর্ণ নিয়ে ব্যঞ্জনবর্ণ আবিষ্কার করলে গ্রীক দার্শণিকরা শ্বরবর্ণ জুড়ে দিয়েই আধুণিক ভাষালিপি পদ্ধতি শুরু করে।

এই গ্রীকদের কাছ থেকে বর্ণমালা  দ্বার করে আবার  ইতালীয়রা রোমান সভ্যতার বিস্তার ঘটায়।সভ্যতা বলি আর অসভ্যতা বলি একসময় ইতালী ছিল বিশ্বে প্রথম ক্ষমতাধর রাষ্ট্র।শুনতে অবাক বিশ্ময় লাগলেও ইতালী নামটাও গ্রীকদের দেওয়া।ইতালী শব্দের অর্থ চর্মাসার গরুর চারণভূমি।আবার গ্রীক নামটাও ইতালীয়দের দেওয়া।ইতালীয়ান শব্দ গ্রাসিয়া অর্থ ধন্যবাদ থেকে গ্রীক নামকরন হয়েছে।এটা নিয়ে অনেকেই কনফিউস বা দ্বিধাধন্ধে ভোগেন যে এই দুজাতির মধ্যে কোন সভ্যতা আগে বিকশিত হয়েছিল। রোমান সভ্যতা না গ্রীক সভ্যতা?এর যতাযত উত্তর হলো গ্রীক সভ্যতা।গ্রীক সভ্যতা আগে বিকশিত হলেও এই রোমানরা আবার দীর্ঘদিন গ্রীকদেরকে শাসন করেছে।এই সেদিন গ্রীকরা রোমানদের কাছ থেকে পুর্নস্বাধিনতা লাভ করেছে।আরো বিশ্ময়ের ব্যপার হলো প্রায় সারা দুনিয়া শাসন করা ব্রিটিশরাও রোমানদের কাছে একসময় পরাধিন ছিল। রোমানদের গড়া বস্তি লন্ডনিয়ম থেকেই আধুনিক লন্ডনের নাম করন হয়।

আমরা জানি যে প্রাচীন সভ্যতাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো মিশরীয় সভ্যতা। অর্থ্যাৎ ফ্যারাউনদের সভ্যতা।তারা ভাষা ব্যবহার করতো চিত্রলিপি ধারা।তারপর আসে সুমেরু সভ্যতাগুলোর নাম।এই অঞ্চলের ব্যবিলীয়রা ব্যবহার করতো কোণিকলিপি।ব্যবিলিয়ন রাজা হাম্মুরাবি সে যুগে কৌণিক শিলালিপিতে লিখা আবিষ্কিৃত ১৮০টি আইনের ধারা আধুনিক আইনেও তা প্রজয্য।

ক্যালডীয় সভ্যতার কর্নধার নেবুচাদ নেজার শূন্য আবিষ্কার করে আধুনিক ভাষা সাহিত্য ও বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রাকে তরান্মিত করে বিশ্ময় সৃষ্টি করে দিয়েছেন।ঘন্টা দিন সপ্তাহ পক্ষ মাস বৎসর সৌরজগতের মৌলিক ধারণা ও গ্রহ গুলি ক্যালডীয় সভ্যতারই আবিষ্কিৃত।তবে প্রচলিত বার মাসের ইংরেজি নামকরন করেন রোমানরা।

আমার কাছে সবচেয়ে আশ্চার্যের বিষয় হলো যে ইউরোপিয়ানরা কাগজ কলম কালির ব্যবহারই জানতো না, সে ইউরোপিয়রা কেমন করে আজ এত সভ্য হলো-? আমরা আরো দেখতে পাই যে রেনেসাঁর যুগে এসে আধুনিক সকল দার্শণিকের জন্ম হলো শুধু এই ইউরোপেই। বিশেষ করে ফ্রান্স, ইতালী এবং জার্মানীতেই।

আর আমরা বাঙ্গালী জাতি,আমাদের কৃষ্টি কালচার এত উন্যত থাকার পরেও আমরা পড়ে রলাম কোথায়-?আজ সমগ্র বিশ্বে আমরা অষ্টম বৃহত রাষ্ট্র হিসেবে সুপরিচিত।সারা বিশ্বে চড়িয়েচিটিয়ে আছে প্রায় ৩৫ কোটি বাঙ্গালী, কিংবা বাংলা ভাষাবাসি। আমাদের প্রতিবেশি রাষ্ট্রের অনেক ভাষার মধ্যে ব্যবহৃত হয় শুদ্ধ বাংলা শব্দ। আন্দামান নিকোভার লোকেরা বাংলা ভাষাবাসি।সমগ্র বিশ্বের বাংলা ভাষাবাসির মধ্যে অভিন্ন সোহর্দপুর্ন সম্প্রীতি অতি প্রয়োজন।এই বাংলা ভাষার জন্য আমরা রক্ত দিয়েছি যুদ্ধ করেছি এই ভাষার নামেই বাংলাদেশ নামকরণ করেছি। আসুন আমরা আমাদের প্রাণের প্রিয় এই বাংলা ভাষার প্রতি যতাযত সন্মানবোধ প্রদর্শন করি।সবাই সর্বক্ষেত্রে বাংলায় লিখিপড়ি কথা বলি।অমর হউক একুশ,অমর হউক আটই ফাল্গুন।জয় বাংলা।

                                                                                    ------ ফারুক

















Tuesday, February 13, 2018

রুপা ছিল আমাদেরই মেয়ে--!


সম্পর্ক-টা এল কিভাবে-?

আমি সব সময় নিজেকে প্রশ্ন করি, মানব সমাজের মাঝে এই যে পারিবারিক বন্দন বন্ধু বান্ধব রিস্তা কিংবা সম্পর্ক,এই সম্পর্কটা এল কি ভাবে? কেন বা এল? আসলেই কি দরকার ছিল সম্পর্কের?এই যে মা-বাবা, ভাই-বোন সন্তান সন্ততি, বিংবা স্বামী-স্ত্রির মত নৈসর্ঘিক একটা সুন্দর সম্পর্ক।
আমরা দেখতে পাই মানব সমাজে সম্পর্ক বা রিস্তা দু-রকমের হয়ে থাকে। একটা হলো রক্তের সম্পর্ক, আর অন্যটা হলো সম্প্রিতির মাধ্যমে। একে অপরকে দেখে শুনে ভালো লাগা থেকে ভালবাসা কিংবা প্রেম প্রিতীর মাধ্যমে সম্পর্ক হয়ে থাকে।মাঝে মধ্যে দেখা যায় রক্তের সম্পের্কের চেয়েও সম্প্রিতির সম্পর্কটা মহৎ হয়ে দাঁড়ায়।এমন কি সম্প্রিতির সম্পর্কের কাছে রক্তের সম্পর্ক তুচ্ছ প্রমাণিত হয়।অনেক সময় প্রচলিত আইনের উর্ধে উঠে আসে মানবিক সম্পর্ক।ভারতের সর্বোচ্চ আদালত এমন একটি বিশ্মকর ঘঠনার রায় দিয়েছে।

যে ভাবেই হউক সম্পর্কটা এসেছে মানব সমাজের মঙ্গলের জন্যই এসেছে।প্রেমপ্রিতী ভালবাসা পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা ও সন্মান করার এক অনন্য বহিপ্রকাশ হলো এই সম্পর্কটা।কিন্তু দুঃখের কথা হলো মানুষের এই সুন্দর সম্পর্কটা আজ আর অটুট নেই।এই সম্পর্কের সন্মান ধরে রাখতে মানুষ আজ চরম ভাবে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। মানুষের মাঝে আজ পরস্পরের প্রতি বিন্দু মাত্র সন্মান বোধ নেই।

যদি থাকতো আমাদের এই সমাজ ব্যবস্হাটা অন্যরকম হতো। প্রয়োজন হতো না গনতন্ত্রের সমাজ তন্ত্রের। প্রয়োজন হতো না আইন কানুন কোর্ট কাছারি পুলিশ থানা পাঁড়ির।মানব সমাজের মাঝে এই সম্পর্কের বৈশিষ্ট ভেঙে পড়ার কারণেই আজ সমাজের এই অবক্ষয়।এত খুন খারাবি ধর্ষন লুটের মত লোমহর্ষক ঘটনাবলি।
আজ টাঙ্গাইলের কালিহাতির মেয়ে রুপা হত্যার রায়ে চারজন ধর্ষককে আদালত সর্বচ্চ সাস্হি ফাঁসির  দিয়েছে। ফাঁসি কার্যকর অবশ্যই হবে।একটা জগন্য অপরাধের জন্য এই সাজাই তাদের প্রাপ্য।কিন্তু একটা সভ্য সমাজের জন্য এটা মোটেই কাম্য নয়।একটা প্রাণের জন্য চারজনের প্রাণ আজ চলে যাবে।এই পৃথিবীতে মানুষ আসেই বা কয়জনের জন্য।কেন মানুষ এমন কুৎসিত জগন্য ঘটনা গুলি ঘটায়?
সেদিন কি ঘটেছিল--?
ল-কলেজে পড়ুয়া মেয়েটি ঢাকা থেকে ছোঁয়া নামক পরিবহনের একটি বাসে করে বাড়ি ফিরছিল।পরিবারের অসচ্ছলাতার কারণে মেয়েটি একটি বিপনি বিতানে চাকুরি করে নিজের পড়ার খরচ চালাচ্ছিল,পাশাপাশি নিজের পরিবারকেও সহযোগতিা করে আসছিল।এমন সাহসি মেয়ে অবশ্যই প্রসংসার যোগ্য।পিতৃহার মেয়েটি বাসবর্তি বাসে করেই নির্ভয়ে যাচ্ছিল।কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস কালিহাতি পোঁছানোর আগ পর্যন্ত একে একে সব যাত্রি নেমে গেল মেয়েটি একা বসে আছে পিছনের সিটে।মেয়েটিকে একা পেয়ে বাসের ড্রাইবার হেলফার কন্ট্রাকটর পাঁচজন পুরুষ মিলে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে হত্যা করে জঙ্গলে লাশটি ফেলে চলে গেল। কি ভিবৎস একটি ঘটনা। পরদিন পুলিশ খবর পেয়ে বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে দাপন করে ফেলল।পত্রিকায় ছাবি দেখে রুপা নামের মেয়েটির ভাই তার বোন বলে সনাক্ত করে থানায় মামলা করলো।তারপর গন দাবিতে আদালত এই রায় দিল।
ধর্ষণের আগে মেয়েটি লম্পটদেরকে নিজের কাছেছ থাকা পাঁচ হাজার টাকা ও মোবাইল সেটটা দিয়ে বললো ভাই তোমরা এগুলি নিয়ে যাও, তবু তোমরা আমাকে অত্যাচার করোনা ভাই প্লিজ আমি খারাপ মেয়ে না। এই কুৎসিত লম্পটগুলি ভাই নামের রিস্তার দোহাইটার  একটুও মর্যাদা  রাখল না। ধিক্কার জানাই এই সব জানোয়ারদেরকে।
রুপা আমার আপনার মেয়ে, রুপা এই সমাজের এই রাষ্ট্রের মেয়ে। রুপাদের ইজ্জত  এই সমাজ রাষ্ট্রর ইজ্জত।রুপার ইজ্জত আমার আপনার সকলের ইজ্জত। সবার কর্তব্য রুপাদের ইজ্জত ও জীবন রক্ষা করার।এই সমাজ থেকে দুর করতে হবে।

 

ক্ষমতা ভয়ঙ্কর জয সঙ্কর--!



ক্ষমতা ভয়ঙ্কর জয় ভ্রাতা সঙ্কর--!তুমি আজ সর্বময় ক্ষমতার অধিকার,বঙ্গ-কে করতে পার ভঙ্গ ভঙ্গ আরেকবার। লোকে বলে বলুক তোমাকে কুলাঙ্গার, বলে বলুক দুর্নীতির বরপুত্র কিংবা খাম্বা চোর--তাতে কি ? ভ্রাতা সঙ্কর! রাজ তীলক লেগেছে তো কপোলে তোমার। অর্থে বীত্তে,সামর্থ্যে আদিপত্তে তুমি আজ স্বয়ম্ভর।জয় জয় ভ্রাতা সঙ্কর--!

সহীদের রক্তে ভেজা প্রবিত্র এই মাটির পরে আবার,অবাধে চলবে তোমার অবৈধ অস্ত্রের চোরা কারবার।হাওয়া ভবন খাওয়া ভবন কত বানাতে পারবে,ধ্বংশের নীল নকসা আরো কত আঁখবে।বেদাঁড়ার পক্ষে কি না সম্ভব?বৃকোদর পান্ডব,তুমি বড় ভয়ঙ্কর--!

১,বাংলাদেশে আজ চলছে ভয়ঙ্কর ক্ষমতার লড়াই। কিসের ক্ষমতা? রাষ্ট্র ক্ষমতা। শুধুই কি রাষ্ট্র ক্ষমতা? না না ভাই এর পিছনে আরো অন্য কিছু আছে। মানব সভ্যতার শুরু খেকেই মানব সমাজের মধ্যে যুগে ‍যুগে চলেছে এই ক্ষমতার লড়াই, ধন্ধ সংঘাত। রক্তাক্ত যুদ্ধ,রণক্ষেত্র কুরুক্ষেত্র কত কিছু আমরা পড়েছি দেখেছি শুনেছি, এমন কি দেখিতেছিও অবিরাম।

এখন মনে প্রশ্ন জাগা সাভাবিক যে এই লড়াই-টা কিসের জন্য--?

উত্তরটা হলো---লড়াইটা হলো তিন রকমের।১-,আদর্শের লড়াই, ২,- ক্ষমতার আদিপত্তের লড়াই।৩,সম্পদের লড়াই।

 

তিনটাই ভয়ঙ্কর জিনিস। এখানে মানুষের জান মালের সংসার সমাজ সম্পদ প্রতিষ্টান  রাষ্ট্রের এমন কি সভ্যতারও ভয়ঙ্কর পতন বা ধংশ হয়ে থাকে বেশি।

 

বাংলাদেশে আজ চলছে কেমন লড়াই-?

বাংলাদেশে আজ চলছে একদিকে আদর্শের লড়াই।অপর দিকে চলছে আদিপত্তের লড়াই। একদিকে চলছে হাসান হোসেনের সাথে সিমার এজিদের লড়াই। আদর্শ ও আদিপত্তের লড়াই।

১,--

বড় ভাই হাসান খালিফাত্ব  পেয়েও মাত্র ছয় মাসের মাথায় ক্ষমতাটা মুআবিয়ার হাতে চেড়ে দিলেন। কারণ ছিল হাসান দেখেতে পলেন সমগ্র আরব জুড়ে বহুর্মুখি লড়াই চলছে।মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর ইন্কোলের সাথে সাথে ঔনার দেহ মোবারকটার জানাজা ও দাপন ছাড়াই নব্য মুসলমানরা  নিজেদের মধ্যে নিজেরাই শুরু করছে এক ভয়ঙ্কর লড়াই।এই লড়াইয়ের কারণে হাসানের পিতা হযরত আলী রাঃ নিশংস ভাবে হত্যা হলেন । এক দিকে শিয়া বা আলী পক্ষ,অন্যদিকে শাশুড়ি আয়েশা পক্ষ,একদিকে খারেজি অন্য দিকে মুআবিয়া পক্ষ।চৌতুর্মুখি লড়াইয়ে প্রতিদিন হতাহত হচ্ছে অগনিত মানুষ।বিজ্ঞ ও বুদ্ধিমান হাসান ব্যপারটা বুঝে শুনে এই অনাঙ্খিত লড়াই থেকে দেশবাসিকে মুক্তি দেওয়ার জন্য ক্ষমতার মসনদটা চেড়ে দিলেন। কিন্তু ছোট ভাই হোসেন মোটেই মেনে নিতে পারলেন না। তার মধ্যে ছিল ক্ষমতা লাভের আকাঙ্খা।বড় ভাই হাসান অনেক বুঝালেন। তার পর ও হোসেন প্রায় দুআড়াইশ সাহাবী নিয়ে কুফা নগরির দিকে রওনা হলেন।মুআবিয়া পুত্র এজিদ এই খবর শুনে ঘোষনা করে দিলেন যে লোক হোসেনের কল্লা কেটে এনে দামেস্কের রাজ দরবারে  দিতে পারবে। তাকে একলক্ষ স্বর্নমুদ্রা উপহার দিবে। তার পরেরটা শুধু রক্তক্ষরণ আর রক্তাক্ত ইতিহাস।আমার সোভাগ্য হয়েছে দামেস্কো শহরে হোসেনের কল্লার মাঝার জিয়ারত করার ।

২,---উসমানি খালিফাত্ব প্রায় সাড়ে ছয়শত বছর জারি বা কায়েম ছিল।বর্তমান ৪০টি স্বাধিন রাষ্ট্র তৎকালীন উসমানি খালিফার অধিনে ছিল।৩০ জন খালিফা এই বিশাল খালিফাত্ব শাসন করেছিল।এই খালিফাদের মধ্যে সুলতান দ্বিতীয় মুরাদ শুধু ক্ষমতার লোভে তার  আঠার জন ভাইকে নির্মম ভাবে হত্যা করেছিল।আমার সোভাগ্য হয়েছে ইস্তানভুলে এই ১৮ ভা্ইয়ের  কবর জিয়ারত করার। সারি সারি হাতে বুনা কালিনে সাজিয়ে শোয়ায়ে  রাখা হয়েছে কবরগুলি।

৩,ক্ষমতার লোভে সোদিআরবের সবচেয়ে জনপ্রিয় বাদশাহ ফয়সলকে হত্যা করেছিল আপন ভাতিজা।

৪,ক্ষমতার লোভে নেফালের যুবরাজ আপন পিতামাতা সহ হত্যা করেছে পুরো রাজ পরিবারকে। এই তো সেই দিনের কথা। ২০০১ সালের জুন মাসের ঘটনা। রাজা বিরেন্দ্র ছিলেন নেপালের রাজতন্ত্রের ইতিহাসে সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজা। উত্রিশ বছরের যুবরাজ  গুলি করে নিজ পিতাকে হত্যা করে মৃতদেহের উপর বারবার লাথি মেরে ঘৃনা প্রকাশ করেছে জগন্য এই যুবরাজ।২০০৮ সালে এই রাজ পরিবারের বিলুপ্ত ঘোষনা করা হয়।এমন অসংখ ভুরি ভুলি ঘটনার কথা অকপটে বলা যায়।

৫,-শধু ক্ষমতার জন্যই ১৫ই আগষ্ট মোস্তাক জিয়া রশিদ ফারুক ডালিমচক্র জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে মানব ইতিহাসের সবচেয়ে ভিবৎস ঘটনার জন্ম দিয়েছে।এই হত্যাকান্ডের মাধ্যমে একটি গৌরবান্মিত জাতিকে চিরতরে কলঙ্কিত করা হয়েছে।এই হত্যা ছিল একটি আদর্শকে হত্যা করে ক্ষমতা দখল করার হত্যা।কিন্তু মুর্খরা কোনদিন ভাবেনি যে আদর্শের মৃর্ত্যু নেই।বঙ্গবন্ধু ছিলেন একটি পরিপূর্ন আদর্শ।এই আদর্শের একটি দার্শণিক ভিত্তি আছে।

 

আজ অনেকেই খুনি জিয়াকে বঙ্গবন্ধুর সাথে তুলনা করে। হায়রে  বেদাঁড়া বেত্তারা কোন নবী পয়গম্বরের সাথে যেমনি ফেরাউনের তুলনা করা চলেনা।তেমনি বঙ্গবন্ধুর সাথে জিয়ার মত একজন খুনির  তুলনা করা চলে না।

 

Saturday, February 10, 2018

বিএনপির নিষ্ঠুরতা রক্তাক্ত ২১ আগষ্ট!


খালেদা তারেক আর বিএনপির জগন্যতম নিষ্ঠুরতা, রক্তাক্ত ২১শে আগষ্ট--!
 
 
 
 
 

রক্তাক্ত ২১শে আগস্ট খালেদার নিষ্ঠুরতা

 পড়ে আছে লাশ আর লাশ!রক্তের মধ্যে ডুবে আছে ছিন্নভিন্ন হতাহত মানুষের লাশ,নারি-পুরুষ জোয়ান বুড়ো  হতভাগ্য মানুষের লাশ, বিশেষ করে তাদের পরিচয় ছিল তারা আওয়ামী লীগ নেতা কর্মিদের তাজা লাশ--!

বন্ধুরা কেন বলতে পারবে--?  কেন  মানব ইতিহাসের ভীবৎস এই নিশংস হত্যাযজ্ঞ?শুনলে তুমি অবাক্ হবে--!যেমনি সেদিন সমগ্র বিশ্ব অবাক্ হয়েছিল---!

কি ছিল আঃলীগের অপরাধ--?কেন এমন নির্মম হত্যাযজ্ঞ?

২০০৪ সালের ২১শে আগষ্ট বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার নেতৃত্ব দান কারি দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেত্রি জাতির জনকের কন্যা জননেত্রি শেখ হাসিনা সারা দেশে এক যোগে ৫০০শত বোমা হামলার প্রতিবাদে বিক্ষুব মিছিলের ডাক দিয়েছিলেন।তখন মিছিলের ডাকে সারা দিয়ে হাজার হাজার নেতাকর্মির সমাগম ঘটে প্রবিত্র মসজিদ বাইতুল মোকারমের সামনে। সেখানে শেখ হাসিনা ট্রাকের উপর দাঁড়িয়ে মাত্র ২০ মিঃ সংখিপ্ত বক্তৃতা দেন। বক্তুতা শেষে সবাই যখন মিছিলে যেতে উদ্যত ঠিক তখনই বিএনপি জামায়াত শিবিরের ক্যাডাররা পর পর ১৩টা অস্ট্রিয়ার তৈরি আর্সেস গ্রেনেট বোমা নিক্ষেপ করে। শক্তিশালি এই ১৩টা বোমার মধ্যে ১১টা বিস্ফোরিত হয়, বাকি ২টা  অবিস্ফোরিত পাওয়া যায়। সাথে সাথে বোমার বিস্ফোরণে প্রকম্পিত হয়ে রক্তাক্ত রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।তাদের উদ্দেশ্য ছিল শেখ হাসিনাকে হত্যা করে পুরো আওয়ামী লীগকেই নিশ্চিন্ন করে দেওয়া।মহান আল্লাহর কি অসাধরণ রহমতের কুদরৎ নেতা কর্মিরা মানব ডাল দিয়ে শেখ হাসিনাকে সেদিন বাঁচিয়ে রাখেন।কিন্তু ঘটনাস্হলেই প্রাণ হারান ১৪ জন জিন্দা মানুষ। বাকিরা সব পরে মারা যায়।প্রিয় বন্ধুরা তখন ঘড়ির কাঁটায় বাজছিল ৫টা২২ রোজ সনিবার।

সেদিন যারা মারা যান--তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রি আইভি রহমান।দেড় বছর পরে মারা যান ঢাকার প্রথম মেয়র হানিফ।মোট ২৪জন মারা যান আর আহত হন ৫শতাধিক।

 

 কেন তাদেরকে এমন নিষ্ঠুর ভাবে হত্যা করা হলো---!

বন্ধুরা তোমরা জানো নিশ্চয় ২০০১ সালে গনতান্ত্রিক পক্রিয়ায় জাতীয় নির্বাচনে কোন দলই একক ভাবে সংখ্যাগরিষ্ট লাভ করতে পারেনি। তাই আঃলীগ বা বিএনপি দুদলেরই জামায়াত এর সার্পটের দরকার পড়ে। অথ্যাৎ জামায়াত ছাড়া কেহই সরকার গঠন করতে পারেনা।তখন তথ্যাবধায়ক সরকারের রাষ্ট্রপতি ছিলেন বিচারপতি সাহাবউদ্দিন,এমন কি শেখ হাসিনা তাকে বিশ্বাস করে তাকে পাঁচ বছরের জন্য রাষ্ট্রপতি বানিয়েছিলেন। মফস্বলে বেড়ে উঠা জামায়াত ঘেঁসা এই রাষ্ট্রপতি তড়িগড়ি করে বিএপির সাথে জামায়াতের জোট গঠন করায়ে বিদায় নিলেন।তারপর জামায়াতের বড় বড় রাজাকারকে খালেদা জিয়া মন্ত্রি বানায়ে স্বাধিন বাংলাদেশের পতাকা উঠায়ে দিয়ে শুরু করে দিলেন সারা দেশে অরাজকতা।জঙ্গিবাদ জিএমবির উত্থান,দ্রব্যমুল্যের উর্দগতি,খালেদার কুপুত্র তারেক হাওয়া ভবন বানিয়ে

ক্ষমতাকে বিকেন্দ্রিয়  করে শুরু করে দিলেন লুটপাটের মহাউৎসব। স্বাধিন বাংলাদেশের শহীদের প্রবিত্র রক্তে ভেজা মাটি ব্যবহার করে শুরু করে দিল  অস্ত্রের চোরা ব্যবসা,১০ ট্রাক অস্ত্র এক ট্রাক বুলেট বারুদ  ধরা পড়া বোমাবাজি সারা দেশে এক অরাজকতা সৃষ্টি করলো তারা।  সমগ্র দেশে একদিনে ৫০০ শত বোমা হামালা করে হতাহত করেছে শত শত নিরীহ মানুষকে। বাংলা ভাই জিএমবি সবি এই জোট সরকারই সৃষ্টি করেছিল বিরোধি মতাদর্শের মানুষকে হত্যা করে নিঃশেষ করে দিতে।রাজাকার মন্ত্রি নিজামীকে সেদিন সাংবাদিকরা জিজ্ঞাস করলে সে উপহাস করে বলে বাংলা ভাই জঙ্গি এইসব মিডিয়ার সৃষ্টি।তারা সেসময় সার বিদ্যুতের দাবিতে ২৬জন মানুষকে গুলি করে হত্যা করলো এই রাজাকার জোট সরকার। মুলতঃ-এই সবের বিরুদ্ধে মানুষের জান মালের হেফাজত ও গনতন্ত্রের দাবিতে বিক্ষোব  মিছিলের ডাক দিয়েছিল মাটিও গন মানুষের দল আওয়ামী লীগ।

 

২১শে আগষ্টের হত্যাযজ্ঞ ডাইনী খালেদার বর্বরতা

 

 

 

 
 
 

 
 
 
 
 
 

 
 
 
 
 







Tuesday, February 6, 2018

পূর্নগনতন্ত্র প্রতিষ্টা করতে হলে---


বাংলাদেশে পূর্নগনতন্ত্র প্রতিষ্টা করতে হলে---

(১)  প্রথম  হলো সুশাসন প্রতিষ্টা করতে হবে---
একটা আদর্শ রাষ্ট্রে পূর্ন গনতন্ত্র প্রতিষ্টিত করতে হলে প্রথমেই সুশাসন প্রতিষ্টা করতে হবে।আইনের চোখে সবাই সমান এ কথাকে সত্য প্রমান করতে হবে স্বাধিন বিচার বিভাগের মাধ্যমে।এখানে দল প্রতিষ্টান ব্যক্তি বিশেষ কিংবা সরকার কেহই প্রভাব খাটাতে পারবে না।আইনজিবীরা আদালতের বারান্ধায় মিছিল মিটিং শ্লোগান কিংবা দৈহিক বল প্রয়োগের মাধ্যমে নয়,জ্ঞান প্রজ্ঞা বুদ্ধি খরচ করে যুক্তি তর্কের মাধ্যমে ভিকটিমকে ন্যায় বিচার দিয়েই গনতন্ত্রকে সমুন্নত করতে হবে।

(২)বাক্ স্বাধীনতা---
স্বাধীন দেশে দলমত ধর্ম গোত্র গোষ্টি সবার সার্বিক ভাবে বলা ও লেখার মধ্যে মত প্রকাশের স্বাধীনতা  থাকতে হবে। তবে কেউ কাউকে হেয় প্রতিপন্ন করে নয় কটুক্তি করে নয়,। কেউ কারো ধর্মানুভূতিতে আঘাত দিয়ে নয়।স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে পরস্পরের প্রতি সাম্যমৈত্রি সোহর্দ্যপুর্ন সন্মানবোধ থাকতে হবে।তবে সকল অন্যায় অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ প্রতিবাদ করা যাবে নিয়মতান্ত্রিক শান্তিপুর্ন ভাবে। আমাদের সংবিধানে বাকস্বাধিনতার কথা লেখা আছে।

(৩)জবাব দিহীতা----
সরকারি বেসরকারি প্রশাসন (থানা আদালত,) মিল কারখানা ব্যবসায়িক প্রতিষ্টান এমন কি ব্যক্তি বিশেষ সবাইকে তার কৃতকর্ম কিংবা তার উৎপাদন ভোগ্য পন্যের সুনির্দিষ্ট ও স্পষ্ট জবাব দিহীতা অত্যান্ত জরুরি।সাধারণ নাগরিকের সবকিছুর ভালো মন্দ জানার অধিকার আছে।

(৪) দ্বায়বদ্ধতা------
রাষ্ট্রিয় বা সরকারি সকল কর্মি কর্মকর্তা থেকে শুরু করে এমপি মন্ত্রি মিনিস্টার আমলা এমন কি প্রত্যেক নাগরিকের নিজ নিজ অবস্হান থেকে সুনির্দিষ্ট দ্বায়বদ্ধতা আছে রাষ্ট্রের কাছে। সবাই নিজ নিজ অবস্হান থেকে এই দ্বায়বদ্ধতা  পালন করে সুনাগরিক হয়ে দেশের সেবা ও সহযোগিতা করতে বাদ্য  থাকিবে।

(৫)ধর্মীয় স্বাধীনতা-----
ধর্ম একটা স্পর্শকাতর জিনিস। ধর্ম কি-?কেন--?কেমন করে এল--?ধর্মের পক্ষে বিপক্ষে অনেক যুক্তিতর্ক আছে, এটা সচেতন মানুষ সবাই কম বেশি জানে। পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষ জান প্রাণ দিয়ে ভালোবাসে নিজ নিজ ধর্মকে।সুতরাং কেউ কারো ধর্মানুভূতিতে আঘাত দেওয়া সমিচিন বা উচিৎ হবে না। প্রত্যেক ধর্মেরই নিজস্ব নিয়ম নীতি কায়দা কানুন আছে।সব ধর্মালম্বিদের খেয়াল রাখতে হবে বাংলাদেশ পরিচালিত হচ্ছে রোমান ও বৃটিশ ল-বা আইনের মাধ্যমে।ইসলাম ও হিন্দু ধর্মেরও মৌলিক বা প্রথাগত ওগ্রহনযগ্য দুতিনটি আইন সংযোগ করা হয়েছে। অবিশ্বাস্ব গোঁড়ামি কিংবা ফতুয়াবাজি সালিসি বিচার কোনমতেই গ্রহনযগ্য নয়।

(৬)সংবাদ মাধ্যমের স্বাধিনতা----
সংবাদ মাধ্যম সম্পুর্ন দেশ ও জনগন কেন্দ্রিক হয়ে স্বাধিন থাকার কথা,কিন্তু এই স্বাধিন সংবাদ মাধ্যম আজ দল ও বিজ্ঞাপন কেন্দ্রিক হয়ে  তার বিশ্বস্হতা হারিয়েছে। বস্তুনিষ্ট সংবাদ আজ কেউই প্রকাশ করে না। তাই কোন সংবাদকেই আজ আর বিশ্বাস করা যায় না। তাজা আর গরম গুরত্বপুর্ন যে ভাবেই হউক না কেন। এটা আমাদের একটা দুর্ভাগ্যও বটে।
 আজকাল শুধু বাংলাদেশে নয় সমগ্র বিশ্বেই সংবাদ মাধ্যম বেশির ভাগই মিডিয়া নিয়ন্ত্রিত বা নির্বরশিল। সরকার কিংবা রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত খুবি কম দু একটা। সে হিসেবে সংবাদ মাধ্যম যেমনি অনেক অনেক তেমনি সংবাদ কর্মি বা সংবাদিকের সংখ্যাও লাখ লাখ।এদের মধ্যে বেশির ভাগই কম শিক্ষিত যাদের কোন প্রকার সাংবাদিতার ডিগ্রি বা সার্টিপিকেট নাই।সংবাদিকরা একটি খবর পরিবেশন করে যেমনি দেশ ও জাতির মহৎ উপকার করতে পারে, তেমনি ছোট্ট একটি খবরের মাধ্যমে দেশে আগুন লাগিয়ে দিয়ে দেশ ও জনগনের ক্ষতি কিংবা অপকারও করে দিতে পারে।সুতরাং সেই দিকে সবার খেয়াল রাখতে হবে।
 

Thursday, February 1, 2018

হে দুর্ভাগা দেশ আমার---!

 হে দুর্ভাগা দেশ আমার, তোমার লাগি প্রাণ কাঁদে,
দুচোখ ভরে শুধু ব্যদনার অশ্রু ঝরে।
কোথায় নিয়ে এল তোমায় ঔরা, কোথায় নিয়ে যাচ্ছে বার চোরে//
উদভ্রান্তের দলেরা  সবাই আজ বিব্রান্ত তোমাকে নিয়ে।
অশান্তির কোপানলে তারা আজ সাম্যমৈত্রি আদর্শ হারিয়ে।
চারিদিকে অসনি সংকেত শুনতে পাই তোমাকে গিরে//
যে জাতি পৃথিবীতে দেখেছে স্বাধীনতার মুখ,
তাদের ঘরে ধরা দিয়েছে পৃথিবীর সকল সুখ।
অতচ আমরা আজ কত যে হতভাগ্য,তোমার বুকে দেখি
খঞ্জরের তাজা ঘা,রক্তাক্ত প্রান্তর বুলেট বোমা বারুদের গন্ধ।
রক্তেধোওয়া স্বাধিনতার পরপরই দেখতে লাগলাম দুঃখ আর দুঃখ্।
কতো ত্যাগ তিতীক্ষা প্রাণ আর ইজ্জতের বিনিময়ে-মুক্ত হলো,
স্বাধীনতা এলো,তার পর থেকেই দুর্ভাগা দেশ আমার হতে লাগল এলমেলো।
নোংরা খেলার খালি মাঠে সবাই জিতে যায় শুধু গোল করে করে//
 স্বাধিনতা এল সবাই নেতা বনে গেল, প্লাজো পেন্ট,লম্বা কলারের সার্ট,
লম্বা চুল মাঝখানে টিকটিকি শরির,উপোস নেতা চুঙ্গা ফুঁ নেতা কত কি দেখলাম?
নেতা মরে যাবার পরে এদেশে আজ নেতার জন্মই বন্ধ হয়ে গেল।
কি আজব হয়ে  গেল হায়! হে  দুর্ভাগা দেশ আমার!
কোথায় আজ গনতন্ত্র, কোথায় সমাজতন্ত্র,
কোথায় আজ ধর্মনিরপেক্ষতা,কোথায় জাতিয়বাদিতা?
কোথায় মানবতা--- সবি  যেন আজ ইতিহাসের আস্তাকুড়ে হারিয়ে গেল।
দিশেহারা জাতির সামনে আজ শুধু সয়তানের নগ্ন ভাওতা।
হে দুর্ভাগা দেশ আমার, তোমার ভবিষ্যত দেখতে পাই গভির অন্ধকারে//



 স্বাধিনতার পরবর্তি এবং ১৫ই আগষ্টের পুর্ববর্তি দিনগুলি------
আমরা সবাই জানি আমাদের এই দেশটা চুড়ান্ত বিজয় লাভ করেছিল ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেন্বরে। তখন আমরা বাংলার মুক্ত আকাশে কল্লোল কলরবে উড়িয়ে দিয়েছিলাম  স্বাধিনতার লাল সবুজের রক্তিম ঝান্ডা।কিন্তু তখনো যেন আমরা কিসের অভাব বোধ করছিলাম, আমাদের স্বাধিনতা যেন তখনো অসম্পুর্ন রয়ে গেল। কিসের জন্যে কার অভাবে এই অপুর্নতা?

হ্যাঁ তখনো আমাদের স্বাধিনতা অসম্পুর্ন রয়ে গেল কারণ, হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙ্গালী বাংলার অবিসংবাদিত নেতা ইতিহাসের মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমানের অনুপস্হিতে। জাতির জনক তখনো বর্বর পাকিস্তানীদের পিন্ডির কারাগারে বন্দি ছিলেন।

১৯৭২ সালের ১০ই জানুয়ারি জাতির জনক পিন্ডির কারগার থেকে মুক্তি লাভ করে লন্ডন দিল্লী হয়ে তার বহুদিনের লালিত স্বপ্নের বাংলাদেশে ফিরে এলেন এক ঘন আবেগ আপ্লুত পরিবেশে।নয়মাস রক্তক্ষয়ি যুদ্ধের পর ৩০লক্ষ শহীদের আত্মহুতি আর দুলক্ষাধিক মাবোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধিন বাংলাদেশের ধ্বংশজ্ঞের উপর দাঁড়িয়ে তিনি সোনার বাংলা গড়ে তোলার উদাত্ত আহব্বান জানালেন দেশ বাসির কাছে।
একটা সংসার কিংবা একটা ঘর তৈরি করতে যে কিছু নিয়ম নীতি এমন কি একটি আলপিনেরও যে প্রয়োজন পড়ে, এটা জাতির জনক ভালো করে জানতেন।তাই তো তিনি সুদুর প্রসারি চিন্তা ভাবনা করে প্রথমে প্রণয়ন করলেন সংবিধান। রাষ্ট্রের মুলনীতি  মৌলিক কায়দা কানুন লিপিবদ্ধ করা হয় এই সংবিধানে।
কিন্তু হায় বিধি বাম-- !
একিবছর বঙ্গবন্ধুর হাতেগড়া বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সন্তানরা দ্বিধাভিবক্ত হয়ে বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের নামে জাসদ নামে একটি আজব দল গঠন করে হায়েনার মত শুরু করে দিলেন ধ্বংশস্তুপের উপর নৈরাজ্য।এমনকি বঙ্গবন্ধুর বিশিষ্ট বন্ধু আমাদের মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দানকারি মরহুম তাজ উদ্দিন আহম্মেদও গোপনে এই জাসদকে দিক্ নির্দেশনা দিতে লাগলেন। উল্লেখ্য ১৯৭২ সালের ৩০শে অক্টোবর তাজ উদ্দিনের বাসায় পুরো রাত ধরে জাসদের মেনপেস্ট তৈরি হয়ে ৩১শে অক্টোবর স্বাধিন বাংলার মাটিতে নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে জাসদ ঘোষিত হয় । আগুনের মশাল ছিল এই দলের প্রতিক।মশালের আলো ঘরে ঘরে জ্বালো এটা ছিল তার শ্লোগান।বৈজ্ঞানীক সমাজতন্ত্র দলের মুল আদর্শ।

কি নির্মম করুন আমাদের ইতিহাস। শুধু তাজ উদ্দিন নয় খুনি মোস্তাক তাহের উদ্দিন ঠাকুর, স্বাধিনতা বিরোধি দেশি বিদেশি শক্তি কায়েমি সার্থবাদীরা জাসদের প্লাটফর্মে একত্রিত হয়ে শুধু বঙ্গবন্ধু নয় পুরো জাতিকে এক বিভ্রান্ত পরিস্হিতির মধ্যে ফেলে দেয়।পরিশেষে খুনি জিয়া মোস্তাক ডালিম রশিদ ফারুক চক্র জাতির জনককেই সপরিবারে নির্মম ভাবে চিরতরে সরিয়ে দেয়। মুলত এই জাসদই বঙ্গন্ধুকে হত্যার ক্ষেত্র তৈরি ও নষ্টের মুল। তারা কষ্টার্জিত স্বাধিনতাকে পুনরায় পাকিস্তানীদের হাতে তুলে দিতে ব্যর্থ হলেও কায়েম করে পাকিস্তানি ভাবধারার ইসলামি মৌলবাদি রাষ্ট্র।তারা বাংলাকে বানাতে চেয়েছিল বাংলাস্হান।চলতে লাগলো স্বাধিন বাংলা উল্ট পথে উল্ট রথে।
কি দুর্ভাগ দেশ আমার, কি দুর্ভাগ্য আমাদের!

হায়রে জাসদের উদভ্রান্ত দিকভ্রান্ত কুলাঙ্গার নেতারা তোমরা আজো ভাসছ  ইতিহাসের মহাসমূদ্রে তৃনলতার মত । কোথায় সাজাহান কোথায় রব ইনু আম্বিয়া বাদলরা কোথায় তোমাদের তাত্বিক গুরু সিরাজুল আলম খান।কোথায় কর্নেল তাহের মেজর জলিল।সবাই আজ ইতিহাসের আস্তাকুড়ে আবর্জনার স্তুপে। তোমাদের শক্তি সামর্থ জ্ঞান প্রজ্ঞা তুলে দিয়েছ মূর্খ আর অশিক্ষিত জালিমের হাতে। অতচ তোমরাই ছিলে ইতিহাসের মহা নায়কের পাশে প্রথম সারির নেতা সৈনিক কিংবা বীর মুক্তিযোদ্ধা।স্বৈরশাসক জিয়ার স্বাধিনতার ঘোষনা পাঠের চেয়েও  বিরত্তগাঁথা ছিল স্বাধিনতার ইশতেহার পাঠ আর পতাকা উত্তলন।


জাতীয় চার নেতা

১৫ই আগষ্টের পরবর্তি দৃশ্য-------
জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সকালের সোনালি সূর্যের মত স্পষ্ট হয়ে যায় বঙ্গবন্ধু হত্যার মুল নায়ক বা গডফাদার মোস্তাক জিয়া চক্র ।

বিদেশি সংবাদিকের কাছে দেওয়া  স্বঘোষিত খুনি ফারুক রশিদের শিকারোক্তি মুলক  ইন্টারভিউতেও তাহা প্রমানীত হয়।






খুনি মোস্তাক নিজেকে স্বঘোষিত রাষ্ট্রপতি ঘোষনা করলেও মুল বলয় শক্তি ছিল জিয়ার হাতে। রাতারাতি জিয়া সেনা বাহিনীর সামান্য একজন মেজর থেকে সেনা প্রধান বনে যান।তারপর হলেন  স্বঘোষিত রাষ্ট্রপতি।





বাংলাদেশ সেনা বাহিনীতে সবচেয় মুর্খ অশিক্ষিত ও অসভ্য ছিল এই জেনারেল জিয়া---
তৎকালিন পাকিস্তানি  আর্মির মধ্যে ২৩টা র‌্যাং এর মধ্যে নীচের সারির র‌্যাং গুলির মধ্যে বেশ কয়টা র‌্যাং ছিল মেজর র‌্যাং এর। যেমন হাবিলদার মেজর সুবেদার মেজর ইত্যাদি।এই সব মেজররা বেশিরভাগই ছিল নিম্ন শিক্ষিত।জিয়াও ছিল তেমনি একজন।এই জিয়ার শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং বয়স বংশ পরিবার সবকিছুই ভূয়াও ভূলভাবে উপস্হাপন করা হয়েছে।স্বাধিনতার পরে বঙ্গবন্ধুই জিয়াকে এক বছরে তিনবার প্রমোশন দিয়ে ডিপুটি মেজর জেনারেল বানাইয়েছিল।এই জিয়াই বঙ্গবন্ধুর সামনে কোরআন সফত করে বলেছিল কোনদিন বেঈমানী করবেনা জাতির পিতার সাথে । অতচ !
জাতির কি দুর্ভাগ্য !
এই জিয়াই মিরজাপরের মত জাতির সাথে বেঈমানী করে খুনের নেশায় মেতে উঠেছিল। বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে নির্মম ভাবে হত্যা করার পর তারই বিশিষ্ট বন্ধু এবং তার প্রাণ রক্ষাকারি  পাঁ হারানো পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা সেক্টর কমান্ডার কর্নেল তাহেরকে প্রহসনের বিচারে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করতে একটুও কুন্ঠাবোধ করলো না এই নিকৃষ্ট স্বৈরচার ।
মুর্খ এই জিয়া মাফিয়া সর্দারের মত চোখে কালো চশমা লাগিয়ে প্রতিপক্ষ ভেবে জল্লাদের মত একে একে হত্যা করলো নির্দোষ প্রায় দেড় হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধা অফিসারকে।তারপর নিজের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে বহুদলীয় গনতন্ত্রের নামে রাজকোষের কুঠি কুঠি টাকা খরচ করে ঘটন করলেন একটি রাজনৈতিক প্লাটফরম। কি ভয়ানক মুর্খ যার কাজ উর্দি পরে মাঠে লেপ রাইট লেপ রাইট করা, সেই নাকি আবার রাজনৈতিক দল ঘটন করলো। এটাও সম্ভব হলো সদ্য স্বাধিন হওয়া শিশু এই পলি মাটির বাংলাদেশে।তার এই প্লাটফরমেই স্হান হয় রাজনীতির সব পরিত্যক্ত পরিত্যজ্য আগাছা  আর আবর্জনাদের।তার সাথে আবার সংযুক্ত হয় লম্বা কানওলা কিছু গর্ধব।


মুর্খ জিয়া একাই সবকিছু। নিজে সেনা প্রধান নিজে রাষ্ট্রপতি।অতচ নিজে বাংলাভাষায় কথাই বলতে পারতনা। মশিউর রহমান যাদুমিঞা নামে এক স্বাধিনতা বিরোধি জিয়াকে বাংলায় বক্তিতা দেওয়া শিখায়েছেন।এবং তার নির্দেশেই শিঙ্গাপুর থেকে কুঠি কুঠি টাকা খরচ করে কালো চশমা ও বেলবর্টম টিসার্ট পরায়ে  ছবি তোলায়ে আনেন। যাতে বক্তিতার পরিবর্তে প্রচার প্রপাগান্ডা চালানো যায়।ধোকা দেওয়া যায় এদেশে হতভাগা নিরীহ মানুষদের । এই কালো চশমা পরে এই মাফিয়া ডন বিভিন্ন রাষ্ট্রিয় চপরেও যান।
অন্যদিকে জাতিকে ঘুম পাড়ায়ে রাখা হয় একজিবিসনের নামে যাত্রা সার্কাসে প্রিন্সেস লাকি খান আর জরিনার নগ্ন নাচ দেখায়ে।লুট করা হয় খেটে খাওয়া মানুষের জমানো দুচার পয়সা।এই গুলি ছিল স্বৈরচার জিয়ার বহুদলীয় গনতন্ত্রের মুল বৈশিষ্ট।কুঠি কুঠি টাকা পকেট মানি দিয়ে আমেরিকা থেকে নিগ্র মুষ্টিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলীকে বাংলাদেশে এনে গনতন্ত্রের প্রচার করা হয়। সেটাও ছিল খুনি জিয়ার প্রপাগান্ডা ।হ্যাঁ না ভোটের আয়োজন করে এই কুলাঙ্গার স্বৈরচার বিংশ শতাব্দীর ইতিহাসে নজির বিহীন দৃষ্টান্ত স্হাপন করলো ।লজ্জা শরম হায়া বলতে বিন্দুমাত্রও তার মধ্যে ছিল না।

মুলত ১৯৭৫ সালের পর থেকেই বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে আদর্শ উদারতা সাম্যমৈত্রি সমযোতা ভ্রাতৃত্ববোধ সুষ্ট ন্যায়নীতির রাজনীতি সব কিছুই বিলুপ্ত হয়ে গেছে।কায়েমি সার্থবাদী সুবিধাবাদী কালোবাজারি ঘুষখোর দুর্নীতিবাজ লুটেরা কৃত্তিম নকল বুদ্ধিজীবি আমলা কেরানি প্রফেসার ডাক্তার উকিল বারিষ্টার প্রকোশলি শিক্ষিত অশিক্ষিত গুষ্টি ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারি মুচি চামার মেথর মালিরাও কেন্টরমেন্টে জন্ম নেওয়া বিএনপি নামের প্লাটফর্মে জায়গা পেয়ে বহুদলীয় গনতন্ত্রের নামে  রাতারাতি অর্থবিত্ত বৈভবের মালিক হয়ে শক্তিও সামর্থ আহরন করে বানরের মত আদর্শের রাজনীতিকে লাল শিশ্ন দেখাতে লাগলো।

উন্নত আদর্শের রাজনীতি আর বিকশিত গনতন্ত্র বলতে আমার প্রিয় সোনার এই বাংলাদেশে কিছুই নাই।আছে শুধু দুর্বৃত্তের রাজনীতি।

মৌলবাদী যুদ্ধাপরাধি মানবতা বিরোধি অপরাধি স্বাধিনতার বিপক্ষ শক্তি সমবেত হয়ে তারা আজ এক অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে স্বাধিন বাংলার স্বপ্ন ও সম্ভাবনাময় সোনালী ভবিষ্যতকে। আজ বাংলার শিক্ষা শান্তি সংস্কৃতি প্রথা প্রিতি সভ্যতা ভদ্রতা নম্রতা ধর্মপরাণয়তা সবকিছুই সংকটের মুখে পতিত হয়েছে।সবকিছুতেই আজ ভূয়া আর ভেজালের চড়াচড়ি।ডাক্তার প্রফেসার আলিম ওলেমা প্রকৌশলি উকিল বারিষ্টার অনেকেরই সার্টিপিকেট ভেজাল আর ভূয়াতে ভরা, শিক্ষায় দীক্ষায় খাদ্যদ্রব্যে সব কিছুতেই ভেজাল।সর্বক্ষেত্রেই দুর্নীতি করপসান।

প্রগতিশীলরা আজ একরকম খচ্চরে পরিণত হয়েছে। না গাধা না ঘোড়া--তার নামই হলো খচ্চর ।কেউ কেউ অবশ্য জিয়ার বিষবৃক্ষের  মনোরম ছায়ায় গিয়ে বুর্জ্যোয় পেটি বুর্জ্যোয়া হয়ে মাথা মোটা করেছে।তাদের মাথায় দেখি আজ সুন্নাহর কারুকাজ করা টুপি। তারাও আজ আকবরি আর ওমরা হজ্বে যায়।

কি বৈচিত্র কত সুন্দর সৃজনশিল তারা, নাস্তিকের খেতাবে ভুসিত ছিল এক সময় যারা।




১৯৮১ সালের ৩০শে মে জিয়ার নির্মম হত্যার পরবর্তি সময়-----
লোকমুখে শুনা এবং প্রচলিত একটি সত্য কথা,

পার্থিব জীবনেই মানুষের কৃতকর্ম গুনাহ এবং অপরাধের বিচার হয়ে যায়।
তার জলন্ত প্রমান এই জেনারেল জিয়া।

চট্ট্রগ্রাম সার্কিট হাউজে ব্রাসফায়ারে নিহত জিয়ার লাশ নাকি ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। অজ্ঞাত কারো লাশের ছিন্নভিন্ন তুলে এনে নাকি ঢাকার চন্দ্রিমা উদ্যানে  দাপন করা হয়।
তারপর আবার পাল্টে যায় অন্য রকম এই  বাংলার দৃশ্যপট।

সে যাই হউক এক বছরের মাথায় বিচারপতি আব্দুর ছাত্তারকে বন্দুকের নল দেখায়ে জেনারেল এরশাদ ক্ষমতা দখল করে নিয়ে আবার জনজীবন দুর্বিসহ করে তুললো।জারি করলো সামরিক আইন মার্শাল ল ।
কি দুর্ভাগ্য স্বদেশ আমার।
এই স্বৈরশাসক খুনি জিয়ার পদাঙ্কনুসরণ করে জাতীয় পার্টি নামে আরেকটি পার্টি গঠন করে শুরু করে দিল বেলাল্লাপনা ও লম্পটাপনা।শুরু করে দিল দুর্বৃত্তায়নের পল্টি খাওয়া বি- রাজনীতি।আবার রাজকোষের কুঠি কুঠি টাকার অপচয়।জনগনের ফিৎরা জাকাত বিদেশ থেকে আগত রিলিপের টাকা নিয়ে লুটপাট বিরাজনীতির উত্থান পর্ব শুরু করে দিল এই বহিরাগত স্বৈরাচার। দীর্ঘ নয় বছর জগদ্দল পাথরের মত ক্ষমতার মসনদে  চেপে বসেছিল এই স্বৈরচার।এই স্বৈরচার এরশাদ পাকিস্তানের আরেক স্বৈরচার জিয়াউল হকের সাথে আঁতাত করে খোদ পাকিস্তানে নিশান খেতাবে ভূসিত হয়ে সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম জুড়ে দিয়ে শুরু করে দিল ইসলামী পক্রিয়াকরন ।
অতচ একটা মুসলিম প্রধান দেশে ঘরে নিজের স্ত্রি থাকতে সে নিজেই করতে থাকলো প্রকাশ্যে নারীবাজি। কি আজব কি দুর্ভাগ্য আমাদের! মধ্য ফেব্রুয়ারীতে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পানি বিক্রেতা বাদশা নামের এক কিশোরকে গুলি করে হত্যার পর থেকে শুরু করে শত শত নিরীহ মানুষকে হত্যা করে অবশেষে নুর হোসেন, ডাক্তার মিলনের হত্যার মাধ্যমে ১৯৯০ সালের ৬ই ডিসেম্বর  পতন হয় এই নিকৃষ্ট স্বৈরচারের।

বাংলাদেশে সর্বপ্রথম জঙ্গিবাজের উত্থান হয় এই স্বৈরচারের হাত ধরেই। এরশাদই প্রথম আফগানি মুজাহীদ কমান্ডার হেকমতিয়া গুলবদনকে বাংলাদেশে আসার সুজোগ করে দেয়।





তারপর উত্থান হয় খুনি জিয়ার বিধবা পত্নি খালেদার -----

জিয়ার চেয়েও মুর্খ অশিক্ষিত গৃহবধু এই খালেদা খানম ওরফে পুতুল । শিক্ষায় দীক্ষায় নাকি মাত্র অষ্ট শ্রেণী পাশ।হায় স্বদেশ ষোল কোটি মানুষ হতাশ! কিছু করার নাই!

কি দুর্ভাগ্য আমাদের হে দুর্ভাগা দেশ --!
ছবিতে খালেদার নোংরা বেলাল্লাপনা--হায় আল্লাহ-!একটা মুসলিম দেশে এটাও কি সম্ভব! কোথায় ফতুয়াবাজ ধর্ম ব্যবসায়িরা।কেন দোররা কিংবা পাথর মেরে হত্যা করা হচ্ছে না এই পাপিষ্ট নারীকে?

এক রকম অলৌকিক ভাবেই কেমন যেন এক দৈববলে ক্ষমতার পাদপ্রদিপে চলে এল খুনি জিয়ার ৩০-৩৫ বছরের জোয়ান বিধবা পত্নি খালেদা জিয়া।মুসলিম নরনারির বিয়েশাদি করে বৈধ ভাবে বাস করার বিধান থাকলেও তিনি তার তোয়ক্কা না করে ধর্মীয় বিধিবিধান না মেনে প্রকাশ না করেই একদিকে শুরু করে দিলেন বেলাল্লাপনা, পরপুরুষের সাথে অবৈধ মেলামেশা,যদিও ৯০ দশকের প্রথমদিকে ফালুর সাথে তার বিবাহের কাবিন নাম প্রকাশিত হয়েছি বিভিন্ন মেগাজিনে।

অপরদিকে শুরু করলেন দুর্বৃত্তায়নের রাজনীনীতি মানে বিরাজনীতি।
বিদেশের হোটেল রোস্তঁরায় ক্লিনারে চাকুরি করা কাজের লোকেরা জিয়ার রোপন করা বিষবৃক্ষের তলে সমবেত হয়ে রাতারাতি বনে গেলেন হাজার হাজার কুঠি টাকার মালিক। স্বাধিনতা বিরোধি চক্রও আজ  মন্ত্রি মিনিষ্টার হয়ে  অসুভ শক্তিও সামর্থের অধিকারি হয়ে দানবের মত মোটা হয়ে দাঁড়ায়েছে। কেরানী  আমলা পিয়ন বাজারের তোলা তোলার লোক ভাতমরা শিল্পি সংবাদিক কেউ কেউ আজ দোকান পাট সফিং মল উঁচেল বাড়ি দামি গাড়ির মালিক বনে গেছেন। সবাই আজ নামে-বেনামে অঢেল গাড়ি বাড়ি সহায় সম্পত্তির মালিক। সবাই আজ এদেশের হোমরা চোমরা।

ভাতে মরে জাতির বীর সন্তান মুক্তিযোদ্ধারা। গুলি খেয়ে মরে সারের দাবিতে রুগ্ন কৃষক।বিজলির দাবিতে মরে সাধারণ মানুষ।

খালেদার ছোট ছেলে কোকোও নাকি অস্ট্রেলিয়ায় হোটেলে ক্লিনারের কাজ করে জিবিকা নির্বাহ করতো।। আজ সেও হাজার কুঠি টাকার মালিক। কি আজব এই দেশ।কালোবাজারি ব্যবসায়ি আমলা ঠিকাদার দুষ্ট মাফিয়া চক্রের সবাই আজ রাষ্ট্রিয় মালিকানায় আমদানি রপ্তানি সর্বক্ষেত্রে লুটপাট করে কোড়পতি বনে গেছে। বাংলাদেশের সকল সম্ভাবনা আজ এই দুষ্ট মাফিয়া চক্রের হাতে কুক্ষিগত ও বন্দি হয়ে পড়েছে।তারা লুটপাট করে দুর্নীতিতে ৫বার বাংলাদেশকে চ্যম্পিয়ান বানিয়েছে।

খালেদার বড় ছেলে তারেক রহমান ও হাওয়া ভবন বানিয়ে হাজার হাজার কুঠি টাকার মালিক হয়ে দেশে বিদেশে অঢেল সম্পত্তি গড়ে তুলেছে কোন এক অদৃশ্য যাদুর বলে।হাওয়া ভবন বানিয়ে দুর্নীতির আখড়া বানিয়ে মাফিয়ার সর্ঘরাজ্য বানিয়েছিল এই দেশকে। ধরাপড়া ১০ ট্রাক অস্ত্র একট্রাক গুলি অস্ত্র ব্যবসায়িরা চোরাই পথে এদেশে আনতে সক্ষম হয়।যার সাথে তারেক জিয়া যে জড়িত তা প্রমাণিত সত্য।২১শে আগষ্টে গ্রেনেট বোমা হামলা করে কি তান্ডবই না তারা করেছিল। বিশ্বের ইতিহাসে তা নজির বিহিন ঘটনা।তার সাথেও এই হাওয়া ভবন জড়িত ছিল।




খালেদার পর এল শেখ হাসিনার পর্ব-----
অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে পিতামাতা ভাই সজন পরিজন হারিয়ে, দীর্ঘ ২১টি বছর পরে তিনি ক্ষমতায় এলেন।ততদিনে পাল্টে গেছে বাংলার পানোরমা।অসুভ শক্তির দানবরা তখন কোরবাণীর গরুর মত মোটাতাজা হয়ে গেছে।

আমাদের প্রতিবেশি দেশ ভারতের জনপ্রিয় প্রধান মন্ত্রি নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশে রাষ্ট্রিয় চপরে বেড়াতে এসে বললেন--

বঙ্গবন্ধু বাঙ্গালী জাতিকে স্বাধিনতা এনে দিয়ে গেলেন--আর সেই স্বাধিনতাকে রক্ষা করলেন বঙ্গবন্ধুরই রক্তের আত্মজা বঙ্গ কন্যা শেখ হাসিনা।

বঙ্গ কন্যা উপাধিটা আমি নিজ থেকেই দিলাম।

কারণ এই উপাধি--টা তার প্রপ্য। তিনি ইতি মধ্যে মাদার অব হিউমানিটি সহ দেশি বিদেশি অসংখ্য উপাধি ও পুরষ্কারে ভূসিত হয়েছেন,এটা বাঙ্গালী জাতির জন্য সোভাগ্য। ও গর্বের বিষয়।
খালেদা জিয়ার দুর্শাসনে এক মহা ঝঞ্জার্টের স্তুপ সৃষ্টি হয়েছিল আমাদের এই বাংলাদেশে।অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ছিল কম,রিজার্পের পরিমান৮-৯ হাজার কোটি টাকা মাত্র।গ্যাস বিদ্যুত পানি নিত্য পর্নদ্রর্বের দাম ছিল উর্দগতি।সর্বক্ষেত্রে অবাধে চলছিল দুর্নীতি।জঙ্গিাবাজ সন্ত্রাসি চাঁদাবাজরা দুর্বিসহ করে তুলেছিল জনজীবন।
 শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে শক্ত হাতে ও দৃঢ় চিত্বে এই সব ঝঞ্জার্ট সরানোর কাজে  মনোনিবেশ করলেন ।তিনি বঙ্গবন্ধুর হত্যায় জড়িত স্বঘোষিত খুনিদেরকে ধরে বিচারের আওতায় আনলেন । দ্বিতীয় মেয়াদে এসে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করলেন ফাঁসির কাষ্টে ঝুলিয়ে।। যুদ্ধাপরাধি ও মানবতা অপরাধিদেরকেও ফাঁসির  কাষ্টে ঝুলিয়ে বিচার করে জাতিকে কিছুটা হলেও কলঙ্কমুক্ত করলেন।তিনি শক্ত হাতে দমন করলেন জঙ্গিবাজ সন্ত্রাসবাজকে।অপশক্তি ও দুষ্টচক্ররা ষড়যন্ত্র করে বার বার চেষ্টা করেছিল দেশে অশান্তি সৃষ্টি করে তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করার।দুষ্কৃতি কারিরা পুরোপুরি সফল  না হলেও ক্ষতি হয়েছে অনেক। পিলখানার হত্যাযজ্ঞ গুলশান হোটেলে জঙ্গি হামলায় ২২জন বিদেশি নাগরিক হত্যা উল্লেকযোগ্য।

তিনি ক্ষমতায় এসে আন্তঃর্জাতিক আদালতে মামলা করে বার্মা ও ভারতের সাথে সমুদ্র সমস্যা সমাধান করলেন। ভারতের সাথে দীর্ঘ ৬০ বছর ঝুলে থাকা সিমান্ত সমস্যা মিমাংসা করে চিটমহল বাসির মুখে আনন্দ ফোটালেন।পুর্ববর্তি কোন সরকার এই সব ব্যাপারে কোনদিন একটু চিন্তা ভাবনা বা মুখেও তোলেননি। শেখ হাসিনা সুকৌশলে সুদুর প্রসারি চিন্তা ভাবনা করে তা করতে সক্ষম হলেন। তিনি জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা। জাতির জনক যেমনি দেশটা স্বাধিন হবার পরই মৌলিক অবকাঠামো স্হাপন করতে হাত দিলেন।কিন্তু ঘাতকের বুলেটের কারণে কিছু কাজ অসম্পুর্ন থেকে যায়।শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে জাতির জনকের অসম্পূর্ন কাজটি সম্পর্ন করে যাচ্ছেন।

বিশ্বব্যাংককে চ্যালেঞ্জ করে নিজস্ব অর্থে পদ্মা সেতু নির্মান কাজ শুরু করে দিয়ে বিশ্বকে তিনি তাক লাগায়ে দিলেন।রাশিয়ার সাথে রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্র হাই ওয়ে, প্লাইওভার, গভির সমুদ্র বন্দর মিলকারখানা ডিজিটেল বাংলাদেশ গড়া ও সামগ্রিক অবকাঠাম উন্নয়ের মহাসড়কে আজ বাংলাদেশ।কোন মতেই অশ্বিকার করা যায়না,সামাজিক সুচকেও সর্বক্ষেত্রে প্রতিবেশি রাষ্ট্রগুলির চেয়ে  বাংলাদেশ অনেক উপরে।
খালেদা জিয়ার রেখে আসা ৩হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত থেকে আজ প্রায় ১৭ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন হচ্ছে। রিজার্পের ৯ হাজার কোটি থেকে আজ প্রায় ৩৪ হাজার কোটি টাকা। মাথাপিচু ৪৫০ ডলার থেকে উন্নতি হয়ে আজ ১৬১০ টাকা।এই সবি আন্তঃর্জাতিক পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে। চাকুরি জীবিদের বেতন দ্বিগুন করা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা বাড়ানো বয়স্ক ভাতা  চালু করা শেখ হাসিনা সরকারের অনন্য দুষ্টান্ত।

শেখ হাসিনা সরকারের যেমন সাফল্য আছে  অনেক, তেমনি ব্যর্থতাও আছে অনেক।একথা অশ্বিকার করা যাবে না। আমি নিজেই নির্বাক হয়ে গিয়েছি।যখন শুনলাম বাংলাদেশ ব্যাং থেকে ৮১ মিলিয়ন ডলার হ্যাকাররা হ্যাক করে নিয়ে গেছে ফিলিপাইনে। আমি নির্বাক হয়েছি যখন শেয়ার মার্কেট থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়ে গেছে। বেসিক ব্যাং ও সোনালি ব্যাংকের একটি শাখা থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা তুলে নিয়ে গেল দুর্বুত্তরা । এই সব গঠনা গুলিই এই সরকারের চরম ব্যর্থতা হিসেবে আমি মনে করি।

পরিশেষে আমি বলবো, মাননীয় প্রধান মন্ত্রি জননেত্রি শেখ হাসিনা যাকিছু করেছেন তা ইতিহাসের পাতায় মাইল ফলক হয়ে থাকবে সত্যি ।তবে একটা আদর্শ রাষ্ট্র ও উন্নত সমাজ ব্যবস্হা গঠনের জন্য এটা মোটেও যতেষ্ট নয়।একটি আদর্শ রাষ্ট্র ও উন্নত সমাজ ব্যবস্হা গড়ে তুলতে হলে মৌলিক গনতন্ত্র প্রতিষ্টিত করতে হবে। সুশাসন,জবাবদিহীতা,সুচিকিৎসা সুশিক্ষা মানুষের জানমালের হেফাজত,অন্ন বস্ত্র বাসস্হান সুপেয় পানি সহ মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলি পুরণের মাধ্যমেই একমাত্র একটি আদর্শ রাষ্ট ও উন্নত সমাজ ব্যবস্হা গড়ে তোলা সম্ভব।

বলা বাহুল্য বাংলাদেশ আজ সেই লক্ষ থেকে অনেক দুরে।উল্টোপথে চলছে বাংলাদেশ। একদল চরিত্রহীন লোভি মাফিয়া চক্র ওদুর্বৃত্তের হাতে আজ বন্দি  হে আমার দুর্ভাগা দেশ! তোমার অনাগত ভবিষ্যৎ।

















 

Monday, January 1, 2018

কেমন কাটল ২০১৭ সাল?



কেমন কাটল ২০১৭ সাল--?

আমার ব্যক্তিগত ব্যপারে যদি বলি ২০১৭ সালটা শারিরিক ভাবে  মোটামুটি ভালই কেটেছিল।রীতিমত ডাক্তারের প্রেসক্রাইব নিয়েছি। একবার শুধু কিছুদিন চোখে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলাম, দুসপ্তাহের মধ্যে সেরে গেল, তেমন একটা অসুবিধা হয়নি।


আর যদি আন্তর্জাতিক ব্যপারে বলি,তাহলে বলতে হয়,২০১৭ সালটা মোটেই সুভকর ছিল না।দেশে দেশে মানবধিকার লঙ্গিত হয়েছে দেদারছে।জাতিগত সংঘাতে ধর্মের অজুহাতে বর্ণবাদে সন্ত্রাসি হামলায় নির্মম ভাবে হত্যা হয়েছে হাজার হাজার মানুষ। সিরিয়া ইয়েমেন,ইরাক সুমালিয়ানাইজেরিয়া আলজেরিয়া আফগানিস্তান পাকিস্তান, মায়ানমার আমেরিকা ও ইউরোপে প্রাণ গেল অসংখ্য নিরীহ মানুষের। একদিনে মিশরে জুম্মার জামাতে জঙ্গিরা ২৬৫ লোককে হত্যা করলো।কি জগন্য ব্যপার! এটা শুধু পরিতাপের বিষয় নয়, মানব সভ্যতার প্রতিও হুমকি সরুপ।


আর আমার প্রিয় বাংলাদেশের কথা যদি বলি, তা হলে ও আমাকে বলতে হচ্ছে বাংলাদেশে এখনো অস্হির অস্তিতি অবস্হার মধ্যে পরিস্হিতি বিরাজমান।মুলত স্বাধিনতার পর থেকেই এই অবস্হা শুরু হয়েছিল। মুক্তি যুদ্ধের মুল চেতনা সাম্য সমতা সুশাসন দুর্নীতিমুক্ত গনতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার অভিষ্ট লক্ষে আমরা এখনো পোঁছতে পারছিনা।প্রতিনিয়ত এখানে গুম খুন অপহরন ধর্ষন হচ্ছে।অহরহ এখানে মানবতা লঙ্গিত হচ্ছে।আমি অবাক নির্বাক হয়ে যাই যখন শুনি পুলিশ কাস্ট্ররিতে নিপিড়নে কাউকে হত্যা করা হয় কিংবা চোখ উপরে ফেলা হয়। ক্রসফায়ারে বা এনকাউন্টারে অনেক সময় দেখা যায় নিরীহকেও  দুদর্ষ সন্ত্রাসী বানিয়ে গুলি করে হত্যা  করে ফেলা হয়। স্বাধিন দেশের নাগরিক হয়ে এটা কোনমতেই মেনে নেওয়া যায় না।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ তো বাংলাদেশের স্হায়ি একটা গৃহ সত্রু। তার সাথে সংযুক্ত হয়েছে নব্য নব্য দুর্নীতিবাজ ঘুষখোর অপশক্তি জঙ্গিবাজ মৌলবাদীরা।তার উপর আবার রোহিঙা উদ্ভাস্তুরা।ব্যংক লুঠ, হাজার হাজার কুঠি টাকা খেলাফি ঋন এবং বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে,রাজনীতির দুবৃত্যায়ন তো লেগেই আছে। দ্রব্যমুল্যের উর্ধগতি এসব বিষয়ে আমাকে বিষ্মিত করে তুলেছে।

Thursday, December 14, 2017

এই দেশ আমার আপনার কিন্তু সকলের না--?

 

 

 

 

সত্যি কথা! যারা স্বাধীন বাংলা দেশের  লাল সবুজের এই পতাকাটিকে বুকে ধারণ করতে পারেনা শ্রদ্ধা করেনা।যারা জাতীয় সংগীত আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি, এই গানটিকে বিনম্র চিত্বে গাহিতে পারেনা।যারা এই শষ্য স্যামল সুজলা সুফলা সোনার বাংলাদেশেকে প্রাণভরে ভালোবাসতে পারে না।যারা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে মানতে পারেনা না। যারা জয় বাংলা বলতে পছন্দ করেনা।যারা তিরিশ লক্ষ সহীদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারেনা।যারা দুলক্ষাধিক সম্ভ্রম হারানো মা বোনদেরকে সন্মান জানাতে পারেনা, যারা আমাদের রক্তে ধোওয়া ইতিহাস নিয়ে বিতর্ক তোলে কিংবা অশ্বিকার করে, এই দেশ কোন মতেই তাদের হতে পারেনা।কোন মতেই তারা বলতে পারেনা এই দেশ তাদের!

 

 

এই দেশে বসবাস করার তাদের কোন মৌলিক অধিকার নেই।তবু তারা এখনো বসবাস করছে পরগাছার মত শুধুই পরগাছার মত।কেবল মাত্র আমাদের মহানুভবতায় ।পরাজয়ের পরপরই তাদের পাক দোশরদের সাথে পশ্চিম পাকিস্তানে চলে যাওয়া উচিত ছিল, কিন্তু তারা গেল না, তারা লাজ লজ্জা হায়াহীন বেশরমের মত এখনো বসবাস করছে আমাদের এই দেশে।আমাদের এই সোনার বাংলাদেশে।

 

আমরা এখনা তাদেরকে ক্ষমা করে দেইনি। তারা ভূলে গেছে এই কথা।তারা ভূলে গেছে তাদের ক্ষমাহীন অপরাদের কথা, যুদ্ধাপরাধ, মানবতা বিরোধি অপরাধের কথা। কাল সাঁপ কেউটের মত তারা আবার ফনা তোলার চেষ্টা করছে।তারা ভূলে গেছে পাক হায়েনাদেরকে হাত ধরে গ্রাম বাংলার মেঠ পথ দেখিয়ে খুন ধর্ষন আগুন লাগিয়ে গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে হত্যাযজ্ঞ ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। তারা ভূলে গেছে যে স্বাধীনতার উদিত সূর্য এর পুর্বক্ষনে জাতির হাজার হাজার সূর্য সন্তানদেরকে নির্মম ভাবে হত্যার কথা। তারা ভূলে গেছে তিরিশ লক্ষ নিরীহ মানুষকে হত্যা করা আর দুলক্ষাধিক মাবোনের সম্ভ্রম হানির কথা।

 

আমরা ভূলিনি, আমরা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই রাজাকার আলবদর আল সামছ। আমরা এখনো ভূলিনি, আমরা এখনো তোমাদের ক্ষমা করে দেইনি।তোমরা করেছ যে ক্ষমাহীন অপরাধ,যুগ যুগ ধরে তোমাদের বিচার চলবে। তোমাদের আন্ডাবাচ্ছা নাতিপুতিদেরকেও সাজা ভূগতে হবে। আমরা সকল অপরাধের বিচার করবো করবই এটা আমাদের দৃঢ় অঙ্গিকার।

 

এই দেশ আমার আপনার, শুধুই আমাদের ।যারা আমরা প্রাণভরে ভালোবাসি এই দেশকে এদেশের পতাকা,এদেশের ইতিহাস ঐসহ্যকে ঐতিহ্যকে।আমরা গর্বিত এদেশে জন্মেছি বলে, ধন্য হব প্রয়োজন বোধে সহীদ হয়ে ঘুমাতে পারলে এদেশের বুকে।

Monday, October 16, 2017

দুর্ভাগা সিনহা ও কুদ্দুছ বয়াতির পাগলা ঘোড়া-

 

 
 

প্রধান বিচারপতি বললেন-আমি অসূস্হ না আবার আসিব ফিরে---এটা কেমন কথা?

 
মাননীয় প্রধান বিচারপতি জনাব এস কে সিনহা  সাহেবকে নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে পুরো জাতি বিব্রত ও ধোঁয়াশার মধ্যে আছে।রাজনৈতিক ময়দানে পাল্টা পাল্টি বক্তব্য গুলি কোন ভাবেই গ্রহন যোগ্য হচ্ছেনা জাতির কাছে। স্বাভাবিক মনে প্রশ্ন জাগে আসলে হচ্ছেটা কি?
জনাব সিনহা ইতিমধ্যে জাপান ও কানাডাতে তিন সপ্তাহ গুরে এসে মেডিকেল ছুটি নিলেন।এই ছুটির দরখাস্তের বানান ভূলভ্রান্তি নিয়েও সারা দেশে চলছে তর্কবিতর্ক।অতচ কি আজব কান্ড  আমাদের বিতর্কিত মাননীয় প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা  সাহেব নির্শ্চুপ।তিনি আবার একমাসের ছুটি নিয়ে অষ্ট্রেলিয়া  যাওয়ার পূর্বে  সংবাদিকদের বলে গেলেন  আমি অসূস্হ না, আবার আসিব ফিরে। সংবাদিকদের হাতে স্বলিখিত একটা চিরকুট ধরিয়ে দিয়ে আবারও জাতিকে বিভ্রান্ত করে গেলেন তিনি। আসলে তিনি কি চাচ্ছেন? কেন তিনি মু খুলছেন না?জাতি এখনো বিভ্রান্ত।
তার পর আবার একমাস ছুটি শেষ হবার পর তিনি বাংলাদেশে ফিরে না এসে সিংগাপুরে ক্যন্সার চিকিতসার জন্য এসে বাংলাদেশ দুতাবাসের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি বরাবরে পদত্যগ পত্র দিয়ে জাতিকে আবারও ধোঁয়াশার মধ্যে ফেলে দিলেন। উনার পক্ষে বিপক্ষে অনেক কথাবার্তা শুনছি।অনেকেই অনেক রকমের বলাবলি করছে।কোনটা সত্য কোনটা মিথ্যা কিছুই বোধগম্য হচ্ছে না।
একদিকে আমরা হলাম বিভ্রান্ত, আরেক দিকে তিনি নিজেও নাকি বিব্রত। ব্যপারটা মোটেই বুঝে উঠতে পারছিনা।অবসরে যাওয়ার আগে সত্যিই কি তিনি অবসন্নতায় ভূগছেন কিংবা আছেন?
ব্যক্তিগত মতামত--যদি প্রধান বিচারপতিকে আওয়ামী লীগ বা আওয়ামী সরকার কৌশলে চাকুরিচ্যুত করে থাকে তাহলে মনে করবো এই সরকার অত্যান্ত বিচক্ষন ও প্রজ্ঞাবান রাজনৈতিক দল। আর যদি দুর্নীতির অভিযোগের ভয়ে জনাব সিনহা সাহেব পদত্যাগ করে থাকেন, তাহলে তিনি একজন সত্যিই দুর্নীতিবাজ চীপ জাস্টিজ ছিলেন। তার বিচার হওয়া জরুরি।
অবশেষে সাবেক বিচারপতি এস কে সিনহা আত্মজীবনি মুলক বই এ ব্রকেন ড্রিম লিখে প্রমান করলেন যে শেখ হাসিনাই লৌহ মানবি এবং শক্তিমান শাসক।একটা রাষ্ট্রের নির্বাহি বা সর্বময় ক্ষমতার অধিকারি যে রাষ্ট্র প্রধান,এবং তিনি যে ইচ্ছে করলেই রাষ্ট্রের আনুগত্য অশ্বিকার কারিকে থাপ্পর চড় লাথি উষ্টা দিতে পারেন. তা  সাবেক প্রধান বিচারপতি সিনহা ভূলেই গিয়েছিলেন।তিনি বাংলাদেশে একটা জাতীয় নিরবাচনের আগে বই লিখে জাতিকে বিভ্রান্ত করতে এবং শেখ হাসিনাকে ছোট করার অপচেষ্টা করছেন।যুক্তফ্রন্টের নেতারা ঠিক একই কাজ করছেন।আমার মনে হয় এতে শেখ হাসিনার কোন ক্ষতি হবে না।বরঞ্চ তারা সবাই শেখ হাসিনাকে আরো বড় ও মহান বানচ্ছেন।
জনাব সিনহা একজন বিতর্কিত ব্যক্তি হিসেবে যতেষ্ট খ্যাতি কুড়ায়েছেন।প্রধান বিচার পতি হয়ে তিনি পাব্লিক প্লেসে গিয়ে আবল তাবল বকতেন। যেটা বাংলাদেশের ইতিহাসে পুর্বের কোন বিচারপতি এভাবে যেতেন না বলতেনও না।তিনি একবার নিজেকে শান্তি বাহিনী অর্থ্যাৎ রাজাকারের সদস্য বলে দাবী করলেন।তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঘুষ দুর্নীতিতে জড়িয়ে নৈতিক ভাবে পদস্খলিত হয়েছেন।প্রধান বিচারপতির সন্মানিত পদকে অপমানিত করেছেন।তার সকল অপকর্মের জন্য বিচার হওয়া উচিত।তার এ ব্রকেন ড্রিম নামে বই প্রকাশ মানে তার দুর্ভাগ্যের বহিপ্রকাশ।


Saturday, March 11, 2017

ঐতিহাসিক ৭ই নভেম্বর---

                                          




 ঐতিহাসিক ৭ই  নভেম্বর-১৯১৭-১৯৭৫-রাশিয়া থেকে বাংলাদেশ

  

৭ই নভেম্বর যেমনি  আমরা বাঙ্গালীদের জন্য বিব্রান্ত ও বিতর্কিত একটা দিন।  ঠিক তেমনি আন্তর্জাতিক ভাবেও ১৯১৭ সালের  ৭ই নভেম্বরে রাশিয়ায় ঘটে যাওয়া বা সংগঠিত হওয়া  বিপ্লবও  বিব্রতকর এবং বিতর্কিত একটি দিন।

 আবার আন্তঃর্জাতিক কমিউনিষ্ট সমাজে ৭ই নভেম্বর গুরুত্বপুর্ন ও ঐতিহাসিক একটি দিন।বলা যায় লালপণ্হি কমিউনিষ্টদের জন্য এটা একটা  আনন্দ ও উৎসবের বড় একটা দিন।

 
 
 

 

মহামতি কার্লমাক্স মৃর্ত্যুর পুর্বে  অত্যান্ত  আত্মবিশ্বাসের সাথেই বলেছিলেন অচিরেই রুশদেশে বিপ্লব সংগঠিত হবে।তাঁর ভাষায় প্রলেতারিয়েতেরা ( শ্রমজিবী শোসিত সর্বহারা জনতা) ক্ষমতা দখল করবে। পুর্ন সমাজতন্ত্র কায়েম হবে সে দেশে,  ঠিক হয়েছিলও তাই।

তাহলে আমরা বলতে পারি  ৭ই নভেম্বর শুধু রাশিয়ার নয় দুনিয়ার শ্রমজীবি শোষিত মানুষেরও বড় একটি দিন। এবার সমগ্র বিশ্বের মত বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টি সহ লালপণ্হি সমাজতন্ত্রের সৈনিকরা মহা ধুমধামে ৭ই নভেম্বর উপলক্ষে শতবর্ষ ফুর্তি উদযাপন করবে। শহরের আনাচে কানাচে কাস্তে হাতুরা  সম্বলিত লাল পতাকায়  লালে লাল হয়ে যাবে দিগন্তবদী বাংলার পানোরমা । দুনিয়ার মজদুর এক হও শ্লোগানে মুখরিত হবে অলিগলি, ময়দান পার্ক উদ্যান।উদিচীর গন সংগীতে রক্তে আগুন জ্বলবে নিপিড়িত মানুষের মাথায় মস্তিষ্কে।

 

১৯১৭ সালের ৭ই নভেম্বর বিপ্লবী নেতা লেলিনের বলসেভিক পার্টির নেতৃত্বে স্বতস্ফুর্ত বিপ্লবের মাধ্যমে দীর্ঘদিনের শোসিত নিপীড়িত জনতারা স্বৈরচার জার সম্রাটের শীত কালিন প্রসাদ দখল করে  তার বুর্জোয়া স্বৈরচার  আলেক জান্ডার কেরেনাক্সি সরকারকে উৎখাত করে  সমগ্র বিশ্বের মাঝে প্রথম বারের মত উড়িয়ে দিয়েছিল  সমাজতন্ত্রের  লালে লাল লোহিত ঝান্ডা । তাই দিনটিকে ঐতিহাসিক ৭ই নভেম্বর কিংবা বলশেভিক বিপ্লব দিবস হিসেবে রুশ তথা আন্তঃর্জাতিক কমিউনিষ্টরা পালন করে  থাকে।কিন্তু এবারের ৭ই নভেম্বর পালন হবে শত বছর ফুর্তি হিসেবে।

 

আগে একটু বলে নেই, ৭ই নভেম্বর বাংলাদেশে কেন বিব্রান্ত ও বিতর্কিত?

 

বাংলাদেশে মুলত ৭ই নভেম্বর সৃষ্টি হয় ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট গভির রাতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমানকে ঘুমন্ত অবস্হায় স্বপরিবারে (দুকন্যা ব্যতীত) নির্মম ভাবে হত্যা করার পর। সেদিন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে সেনা বাহীনির কিছু উচ্চ বিলাশী কুলাঙ্গার খুনিচক্র বেকায়দায় পড়ে যায়।স্তম্ভিত হয়ে যায় সমগ্র বাঙ্গালী জাতি।অবাক বিশ্ময়ে তাকিয়ে রয় সমগ্র বিশ্ববাসি। 

বিশেষ করে তিন গডফাদার খুনি মোশতাক, জিয়া ও তাহের কেউ কাউকে বিশ্বাস করতে পারতেছিলনা ।এই তিন জনের কারো উপর কারো বিন্দু মাত্র আস্তাও বিশ্বাস ছিলনা।সবার অন্তরে কুমতলব।ক্ষমতার প্রতি শ্যৈনদৃষ্টি। 

 

যদিও বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরই ক্ষমতার পাদপ্রদিপে চলে আসেন প্রধান দুই গড ফাদার মোশতাক ও জিয়া। মোস্তাক হন রাষ্ট্র প্রধান, আর জিয়া হন সেনা প্রধান।

অপরদিকে পঙ্গু তাহের নাথিং।আর্টিপিসিয়াল একটা পাঁ হলেও মাথা তার অর্জিনাল সয়ংক্রিয়।বিপ্লবের জন্য প্রস্তুত। রাজ পথে গ্যরিসনে স্বস্তা জনপ্রিয়তায় অন্ধ তাহের।আদর্শ তার সমাজতন্ত্র কায়েম করা।বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র। যে ভাবে হউক, যে কোন ত্যাগের বিনিময়ে। যে কোন নৈরাজ্য পণ্হায়, জার্মানীর নাৎসী কিংবা রাশিয়ার বলশেভিক আদলে হলেও অশুবিধা নেই।সরকারি নিয়মিত বাহিনীর তোয়াক্কা না করে, লাল বাহিনীর আদলে গঠন ও করলেন বিপ্লবী গনবাহিনী।বেছেও নিলেন বলশেভিকের ন্যায় ৭ই নভেম্বরকে।  কিন্তু বিধি তার বাম।মানুষ ভাবে যা হয় তার বিপরিত, তার একটি জ্বলন্ত প্রমান প্রতি বিপ্লবি কর্নেল তাহেরের খেত্রে।

 

অপরদিকে অন্যান্ন খ্যাতিমান সেক্টর কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধারাও থেমে নাই।যারা জাতির জনকের আদেশে রণাঙ্গনে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করে বাংলাদেশের জন্ম দিয়েছে। যারা জোরপুর্বক আমাদের মহান স্বাধিনতাকে হায়েনাদের মুখ থেকে চিনিয়ে এনেছে।যারা স্বাধিনতার পর স্বপ্ন দেখেছিল একটা নতুন দিনের ।জাতীর জনকের এমন নির্মম হত্যার পরে  তারা কি ভাবে চুপ করে হাত গুটিয়ে বসে থাকতে পারে? কখনও না। 

৩শরা নভেম্বর বীর সেক্টর কমান্ডার খালেদ মোশারফের নেতৃত্বে পাল্টা অভ্যুত্থান ঘটিয়ে জিয়াকে ঘৃহবন্দি করে রাখা হয়। বন্দিদশা থেকে স্বৈরচার জিয়া তাহেরকে বেডরুমের গোপন টেলিফোন থেকে ফোন করে তাকে প্রাণে বাঁচানোর সাহায্য চায়। চতুর শিয়াল জিয়া জানতেন তার বিশিষ্ট বন্ধু একমাত্র কর্নেল তাহেরই তাকে বাঁচাতে পারেন। সে প্রেক্ষিতে তিনদিন পরে অথ্যাৎ ৭ই নভেম্বর তাহেরের নেতৃত্বে আরেকটি পাল্টা অভ্যুত্থান ঘটিয়ে খালেদ মোশারফ সহ শত শত সেনা ও সেনা অফিসারকে হত্যা করে জিয়াকে জিন্দা উদ্ধার করা হয়। সেই জিয়াই পরে তাহেরকে প্রহসনের বিচারের মাধ্যমে ১৯৭৬ সালের ২১শে জুলাই ফাঁসি দিয়ে হত্যা করে প্রাণে মেরে ফেলে।অবাক বিশ্ময়ে পৃথিবী তাকিয়ে রয়। হায়! হায়!  কি করুন কি নির্মম বাংলাদেশের ১৯৭৫ এর এই ৭ই নভেম্বরের ইতিহাস!

তার পর থেকে আজকে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ তথা আমাদের স্বাধিনতা যুদ্ধের নেতৃত্ব দানকারি দল ৭ই নভেম্বরকে পালন করে মুক্তি যোদ্ধা হত্যা দিবস হিসেবে।।

 অন্যদিকে খুনি জিয়ার গড়া দল বিএনপি নামে অদ্ভূত দলটি পালন করে  জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি  দিবস হিসেবে।

 আর জাসদ নামে দলটি পালন করে সিফাহি জনতা বিপ্লব দিবস হিসেবে।

হালার যাইতাম কই?ঘর পোড়ার ভিতর আলু পোড়া--

 

 

 

 এবার আসি রাশিয়ার বিপ্লবের কথায়--- 

৭ই নভেম্বর দিনটি সমগ্র বিশ্বে সমাজতন্ত্রকামি কমিউনিষ্ট ও মেহনতি মানুষের কাছে অত্যান্ত তাৎপর্য্য এবং গুরুত্বপুর্ন। হঠাৎ করে কোন দৈববলে ততকালিন রাশিয়ায় বিপ্লব ঘটে নাই।শ্রমজিবী মানুষের দীর্ঘদিনের আন্দলন সংগ্রাম বিপ্লবিদের আত্মাহুতি ও জ্ঞানভিত্তিক তত্ততাত্তিক এবং পরিশেষে স্বসস্ত্র যুদ্ধের ফসল হিসেবে ঐতিহাসিক বলশেভিক বিপ্লব ঘটে। ১৯০৫ থেকে জার সম্রাটের রক্তচক্ষুকে ফাঁকি দিয়ে গোপনে এবং নির্বাসনে  ধীর গতিতে চলা বিপ্লব ১৯০৫ সালের ফেব্রয়ারীতে এসে গতি পায়। ১৯১৭ সালের ৭েই নভেম্বরেই দুষ্টচক্র বুর্জ্যুয়া গনতন্ত্রের প্রতিপক্ষ হিসেবে সমগ্র বিশ্বে উন্মেষ ঘঠে বা পুর্নতা পায় সমাজতন্ত্র তথা নতুন রাষ্ট্রব্যবস্হার। কায়েম হয় প্রলেতারিয়েতের শাসন ব্যবস্হা ও ন্যয্য অধিকার। নারীর সামাজিক ও অর্থনৈতিক পুর্ন অধিকার।অন্ন বস্ত্র বাসস্হান চিকিতসা শিক্ষা শান্তি প্রগতির লক্ষে পিছিয়ে পড়া রাশিয়া দ্রুত এগিয়ে চলে অগ্রগামি বিশ্বকে টক্কর দিয়ে।অনেক বাধা বিপত্বি অতিক্রম করে ৪ বছরের গৃহযুদ্ধ ডিঙিয়ে রাশিয়া আগিয়ে ছিলও অনেক দুর।রাশিয়াই সর্বপ্রথম মহাশূন্যে মানুষ পাঠাতে সক্ষম হয়।

প্রথম বিশ্ব যুদ্ধ্যে জার্মানীর হাতে ভীষন ভাবে মার খেয়ে ক্ষুদাক্লান্ত খুদ্ধ রুশ জনতা দিশেহারা হয়ে পড়ে।   বাংলাদেশ থেকে ৬০গুন বড় এত বড় বিশাল একটা দেশ হওয়া সত্যেও সামরাজ্য বাদী পশ্চিমা ইউরোআমেরিকার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার শক্তি এবং সামর্থ কোনটাই ছিল না তাদের। 

যার সম্রাট নিকোলাস ছিল উচ্চ বিলাশি পশ্চিমাদের মদদপুষ্ট। সাধারন খেটে খাওয়া জনগন ছিল সম্রাটের উপর ক্ষুদ্ধ।১৯১৭ সালের ২৮শে ফেব্রয়ারী সম্রাট ২য় নিকোলাসকে বিপ্লবী জনতা বিলাশবহুল ট্রেন থেকে গ্রেপতার করে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করে, স্যোসালিষ্ট ডেমোক্রেটিক সহ সব কয়টি রাজনৈতিক দল মিলে একটি কোয়ালিসন গনতান্ত্রিক সরকার গঠন করে।

এই সময় আলেকজান্ডার গুচকভের প্রগ্রেসিভ ব্লক এবং স্যোসালিষ্টদের পেট্রোগ্রাড ব্লক(শ্রমিক কাউন্সিল) মার্চের পহেলা তারিখেই প্রথম অর্ডারে ক্ষমতা ভাগাভাগি করে নেয়।গুচকভরা সরকার প্রধান হলেও ডিপেন্স পাওয়ারটা তার হাতে আর থাকলনা।থাকল সোভিয়েট ব্লকের হাতে।অপরদিকে ১৯১৭ সালের ফেব্রয়য়ারী মাস থেকেই বিপ্লবী বলশেভিক পার্টি ছিল নিষিদ্ধ।এমন কি লেনিন ট্রটস্কি স্টার্লিনের মত ভাগাভাগা নেতারা ছিল নির্বাসিত।সোভিয়েত ব্লক  সুজোগ পেয়ে নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে লেলিনকে ফিরিয়ে আনেন।ট্রটস্কি ফেরার পথে বৃটেন পুলিশ তাকে গ্রেপতার করে।পরে অবশ্য তাকে সহ সব নেতাকেই দেশের মাটিতে ফিরিয়ে  আনা হয়।এরা সবাই বিপ্লবী রেভ্যুলেসন এর নেতা কর্মি।

দেশে ফিরেই লেনিন ঘোষনা করলো লিবারেল ডেমোক্রেট তথা মেনশেভিকদেরকে কোন মতেই ক্ষমতায় রাখা যাবেনা, সোভিয়েতের হাতে পুর্নক্ষমতা চাই। যদিও মৌলিক বিষয় গুলিতে মেনশেভিক এবং বলশেভিকদের মধ্যে কোন পার্থক্য ছিলনা। মুল উদ্দেশ্য আলেকজান্ডার কেরেনাস্কিকে ক্ষমতা থেকে হঠানো।একদিন হঠাৎ করে লেনিন কেরেনাস্কির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে বসলো। কেরেনাস্কি শক্ত হাতে সফল ভাবে বিদ্রোহ ধমন করতে সক্ষম হয়। লেনিন দেশ চেড়ে আবার ফিনল্যান্ডে পালাতে বাদ্য হন।অনেক নেতা কর্মি আন্ডার গ্রাউন্ডে চলে যান।বিপ্লবীদের আন্দলন চলতে থাকে গোপনে।যে কোন সময়ে ফুঁসে উঠতে পারে। 

ভাগাভাগি করে ক্ষমতায় থাকলেও বলশেভিকরা তখনও সাংগঠনিক ভাবে দুর্বল। ঠিক এই সময় আলেক জান্ডার কেরেনাস্কি একটি ভূল করে বসেন। তিনি কর্লিনভ নামে এক উচ্চবিলাশী সেনা অফিসারকে কমান্ডার ইন চীপ নিযুক্ত করে বসেন। এই কমান্ডার ক্ষমতার পাদপ্রদিপে আসতে উদ্যত। এই কুখ্যাত কমান্ডারের ভয়ে কেরেনাস্কি সোভিয়েত ব্লকের নেতাকর্মিদের হাতে অস্ত্র তুলে দিলেন। সোভিয়েত প্রধান সেই সুজোগটার সদব্যবহার করে রেড আর্মি গঠন করলেন। নভেম্বর বিপ্লবের পর বলশেভিক পার্টি থেকে কেরেনাস্কির সমাজবাদী পার্টি দ্বিগুন ভোট পেলেও পরে এই রেড আর্মির বন্দুকের জোরে লেনিন ট্রটস্কি ৭ই নভেম্বরে কেরেনাস্কিকে গদিচ্যুত করে পুর্ন ক্ষমতা ধকল করে নেয়। শুধু গদিচ্যুত নয় দেশ থেকেও এই কেরেনাস্কি বিতাড়িত হন।আর সমস্ত ডেমোক্রেটিক দলগুলিকে নিষিদ্ধ করা হয়।

উল্লেখ্য এই কেরেনাস্কি ১৯৭০ সালে আমেরিকায় মারা যান। তাকে সমাহিত করতে কোন পুরোহিত আসতে রাজি হন নাই। বলশেভিক পার্টির জন্ম হয় যে ভাবে---১৯০৩ সালে মার্ক্সবাদী স্যোসালিষ্ট ডেমোক্রেটিক ও লেবার পার্টির ২য় কংগ্রেসে মেনশেভিক ও বলশেভিক নামে দুদলে ভিবক্ত হয়ে যায়।

 ১৯০৫ সালে থেকে দলটি গনতান্ত্রিক নীতিতে চলতে থাকলেও পরে দলটি  সোভিয়েত ইউনিয়ন কমিনিষ্ট পার্টিতে রুপান্তরিত হয়।১৯১৭ সালে বলশেভিকরা ক্ষমতা নিয়ে ফেডারেটিব স্যোসালিষ্ট রাশিয়ার পত্তন করলেও পরবর্তিতে ১৯২২ সালে এসে সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রশাসনিক অঞ্চল ঘোষনা করে।

 ১৯২০ সাল থেকে১৯২৩ সালের মধ্যেই শুধু অনাহারে ৫০ লক্ষাধিক লোক প্রাণ হারায় তখন রাশিয়ায়।

 
 

  

                    

Wednesday, February 1, 2017

নষ্ট মাথার নষ্ট রাজনীতি,









                                জাতীয় পার্টি---?







 ১৯৮২ সালের ২৪ই মার্চ নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট বিচারপতি আবদুর ছাত্তারকে বন্দুকের নল দেখায়ে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে সামরিক আইন জারি করলেন জেনারেল এরশাদ । দীর্ঘদিন মার্শাল্ ল জারি রেখে  ১৯৮৬ সালেরে ১-লা জানুয়ারি স্বৈরশাসক হুসেন মোহাম্মদ এরশাদ জাতীয় পার্টি নামে একটি দল গঠন করেন। ঠিক তার পূর্বশুরি আরেক স্বৈরচার জিয়ার আদলেই। বর্তমানে দলটি ৫ ভাগে বিভক্ত।২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে বিরুধি দলের ভুমিকা রাখেন।এই নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহন না করাতে সংসদে এরশাদের স্ত্রি বিরুধি নেত্রি হন।




চলবে---

Tuesday, January 31, 2017

নষ্ট-মাথার নষ্ট-রানীতি-৫








                                        সি  পি  বি                     



















 

বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টির মুলনীতি বা মতাদর্শঃ-----

 

 

বাংলাদেশের বাম পণ্হি দলগুলির মধ্যে সবচেয়ে পুরানো  এবং প্রধান রাজনৈতিক দল হলো বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টি। সংখ্যেপে সিপিবি।সিপিবির মুল আদর্শ হলো মার্ক্সবাদ লেনিনবাদ।বস্তুগত ভাবে মুল আদর্শ হলো মহামতি কার্লমাক্স এবং এঙ্গেলসের আদর্শ।আর্ন্তজাতিক কমিউনিষ্ট পার্টির মেনোপেষ্টই বা ইশতেহার হলো সিপিবির মুল আদর্শ।১৯৪৮ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারী মার্ক্স এঙ্গেলস যৌতভাবেই কমিনিউস্ট পার্টির ইশতেহার প্রকাশ করেন। সে হিসেবেই দলটির গঠনতন্ত্র গঠিত হয়েছে,এবং পরিচালিতও হতেছে।বলা যায় এই দলটিই হলো বাংলাদেশে এক মাত্র মুলধারার সমাজতান্ত্রিক প্রধান একটি রাজনৈতিক দল।

 ১৯৪৭ সালে বর্তমান বাংলাদেশে আনুষ্টানিক ভাবে দলটির জয়যাত্রা শুরু হলেও কার্যক্রম পরিচালিত হতো পশ্চিম বঙ্গ থেকে।তাও আবার বেশির ভাগ গোপনে।বৃটিশ আমলে সমগ্র ভারত বর্ষেই কমিউনিষ্ট পার্টি একসময় নিষিদ্ধ ছিল বিদায় দলটি কোনদিন ঠিক মত বিকশিত হতে না পারলেও রাজপথে সক্রিয় ছিল সব সময়। মেহনতি মানুষের ন্যয্য দাবি আদায়ে অনড় ছিল কলে কারখানায় শিক্ষা প্রতিষ্টানে সর্বখেত্রে ।এমন কি আমাদের মহান স্বাধিনতা যুদ্ধেও অংশ গ্রহন করে বীরত্বের সাথে গুরুত্ব পূর্ন ভূমিকা পালন করেছে এই দলটি।সহীদ হয়েছে দলটির হাজার হাজার মেধাবি কর্মি সদস্য এবং নেতৃবর্গ।গেরিলা যুদ্ধ সম্পুর্নভাবে পরিচালনা করেছিল দলটির নেতা কর্মিরা।বর্তমান কমিনিষ্ট পার্টির সভাপতি জনাব মুজাহিদ ইসলাম সেলিম ও একজন বীর মুক্তি যোদ্ধা।তাঁর জন্য আমার সেলিউট সবসময়।

 আমরা যদি শুরুর দিকে তাকাই দেখি যে পাকিস্তান হবার পরে তৎকালিন অখন্ড পাকিস্তান সরকার দলটিকে ভাল চোখে দেখেনি।সব সময় কমিউনিষ্টদের উপর চালিয়েছিল ধর পাকড় জুলুম নিপিড়ন ও অমানুষিক অত্যাচার। প্রিতী লতার উপর বর্বতম নিপিড়নের কাহিনী এদেশের কে না জানে।  রবিন্দ্র নাথ ঠাকুর তার প্রশ্ন নামে একটি কবিতা লিখেছিলেন প্রিতি লতাকে উদ্দেশ্য করে।কমিউনিষ্ট নেতা কমরেড মণি সিং বাংলাদেশে দ্বিতীয় নেতা যিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর মত বহুবার কারা বরন করে নির্যাতিত হয়েছেন। যার কারণে দলটির প্রথম দিকের কয়েকটা কংগ্রেস সন্মেলন অতি গোপনে কেলকাটাতেই অনুষ্টিত হয়েছে। কমরেড ফরহাদ ছিলেন একজন বিচক্ষন নেতা।আমি ব্যক্তিগত ভাবে দুএকবার এই নেতার সানিধ্য পেয়েছি।এই বিপ্লবি নেতাকে বলা হতো বাংলার লেনিন।তিনি ছিলেন সামরাজ্য বাদী দুষ্ট চক্রের কড়া সমালোচক। আফচোস অসময়ে এই নেতা পরলোকে চলে গেছেন।

-----------------------------------------------
 

বর্তমান বাংলাদেশে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্টা প্রত্যাশি অনেক গুলো কমিউনিষ্ট দল আছে------

যেমন--১, বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টি সংখেপে (সিপিবি) 

২, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)

এই দুটি দল বর্তমানে জোট গঠন করে ১৫ দপা দাবি নিয়ে রাজপথে আন্দলনে সক্রিয় আছে।

 সমাজতন্ত্রকামী ২য় জোট হলো,---

১,জাতীয় মুক্তি কাউঞ্চিল,

২,জাতীয় মাজতান্ত্রিক গন মঞ্চ,

৩, নয়া গনতান্ত্রিক গনমোর্চা,

৪,জাতীয় গনফ্রন্ট,

সমাজতন্ত্র প্রত্যাশি ৩য় জোট হলো----

১, বাংলাদেশ ইউনাইটেড কমিনিষ্ট লীগ (ইউসিবিএল)

২,বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টি,

৩, গন সংহতি আন্দোলন,

৪, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল মার্ক্সবাদী,

৫,বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল বাসদ ( মাহবুব)

৬, গনতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি,

৭, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন,

৮, বাংলাদেশ শ্রমিক কৃষক সমাজ বাদী দল,

এই আটটি বাম ঘরানার দল নিয়ে গঠিত হয়েছে গনতান্ত্রিক বাম মোর্চা-----

বলা বাহুল্য ষাটের দশকে এসে গনচিন এবং কিউবা বিপ্লবের পর আন্তর্জাতিক কমিউনিষ্ট পার্টি বহুধাবিভক্ত হয়ে যায়। মতবেধ সৃষ্টি হয় সমাজতন্ত্রে মূল ভাবাদর্শের।সমাজতন্ত্রের আকাশে নেমে আসে অমানিশা।বিপ্লবী নেতারা হয়ে যায় দ্বিধাগ্রস্ত। কেউ হয়ে যান মস্কো পণ্হি বা লেনিন বাদী। কেউ হয়ে যান পিকিং পণ্হি বা মাওবাদী, আবার কেউ হয়ে যান লেটিন আমেরিকা পণ্হি মানে চে-বাদী। বাংলাদেশের কমিনিষ্ট পার্টিও তার ব্যতিক্রম নয়, সেই ষাটের দশকেই দলটি ভেঙে হয়েছে অনেক গুলো টুকরো।

বর্তমানে বাংলাদেশে মাওবাদী দলগুলির মধ্যেও এক রকম জোট বা ঐক্য আছে--

যেমন--১ সিপিএমএল এম বাংলাদেশ।

২, পূর্ব বাংলার সর্বহারা পার্টি (সসি) আনোয়ার কবির গ্রুপ

৩,পূরব বাংলার সর্বহারা পার্টি এমবিআরএম)

৪,পূর্ব বাংলার কমিউনিষ্ট পার্টি (এমএল)

৫,পূর্ব বাংলার কমিউনিষ্ট পার্টি (লাল পতাকা)

৬, পূর্ব বাংলার কমিউনিষ্ট পার্টি (এম এল জনযুদ্ধ)

এছাড়াও জাতীয় গনতান্ত্রিক গনফ্রন্ট  জাসদ রব, জাসদ ইনু, জাসদ আম্বিয়া আবার বাসদ রেজাউল করিম খান সাম্যবাদীদল দিলীপ বড়ুয়া কমিনিষ্ট গন আজাদী লীগ, গনতান্ত্রিক মজদুর লীগ, গনতান্ত্রিক পার্টি ন্যাপ মোজাফ্ফর সহ বাম ঘরানার প্রায় ৪৮ দল আছে বাংলাদেশে। যাদের প্রত্যেকেরই  প্রত্যাশা সমাজতন্ত্র প্রতিষ্টা করা।কিন্তু কি ভাবে তার কোন সঠিক দিক্ নির্দেশনা নাই,আন্দোলন সংগ্রাম বলতে কিছু নাই।দাবী দাবা দপা-রপা কিছুই নাই।বরঞ্চ দেখা গেছে যে বাম ঘরানার প্রগতিশিল কিছু দল বুর্জ্যোয়া ডান ঘরানার দলগুলির সাথে জোট গঠন করে ক্ষমতার চিটেফোটা খাচ্ছে। এটা অত্যান্ত পরিতাপের ও লজ্জার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বর্তমানে বাংলাদেশ কমিনিউষ্ট পার্টির ১০টি অঙ্গ সংঘঠন আছে।

যেমনঃ--১, বাংলাদেশ খেত মুজুর সমিতি,২,বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, ৩,বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন,৪, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন, ৫, বাংলাদেশ কৃষক সমিতি, ৬, বাংলাদেশ বস্তি বাসী ইউনিয়ন, ৭,বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি,৮, বাংলাদেশ উদিচী শিল্পী গোষ্টী, ৯, বাংলাদেশ মহিলা সমিতি,১০, বাংলাদেশ খেলাঘর আসর।

এত বড় সুসংঘটিত একটি আদর্শ ভিত্তিক প্রগতিশিল দল আজ শুধু সঠিক নেতৃত্ব ও দিক নির্দেশনার কারণে ভঙ্গুর একটি দলে পরিণত হয়েছে।বর্তমানে দলটির প্রধান কমরেড মুজায়দুল ইসলাম সেলিম।তিনি একজন বীর মুক্তি যোদ্ধা।তিনি একজন জ্ঞানি লোক, নিয়মিত কলম লেখেন।ছাত্র জীবন থেকেই তিনি সিপিবি এর সাথে জড়িত।৮৬ এর গন আন্দলনের সময় আওয়ামীগের বাজে একজন নেতার হাতে অপমানিত হন। অতচ তিনি কিংবা দল এইটার উপযুক্ত জবাব দিতে ব্যর্থ হন।এর আগে দলটির প্রধান ছিলেন কমরেড মঞ্জুরুল আহসান খান। সম্পর্কে তিনি জনাব সেলিমের ভগ্নিপতি।বাংলাদেশের প্রধান দলগুলির মত ধরা যায় দলটি অনেকটা পরিবার কেন্দ্রিক হয়ে পড়েছে।সে কারণেই দলটির হয়তো এমন ভঙ্গুর দশা। বর্তমানে অবশ্য সিপিবি বাসদের সাথে জোট গঠন করে যুগৎপত আন্দলনের ঘোষনা দিয়েছে।কিন্তু মনে রাখতে হবে বাসদ একটি আদর্শচ্যুত একটি দল।

 

বলা প্রয়োজন মুলত ৬০ এর দশকে চীন এবং কিউবা বিপ্লবের পর বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টি বহুধা ভিবক্ত হয়ে যায়। কেউ মাও বাদী কেউ বা আবার লের্টিন তথা চে- কাস্ত্রো পন্হি হয়ে যায়।তারপরও মস্কো পণ্হি বা লেনিন বাদীরা সবসময় সবদেশে শক্তিশালি ছিল।কারণ লেলিন বাদের মুল উৎস মাক্সবাদ।

যেহুতু মাক্সবাদ একটি বিজ্ঞান বিত্তিক মতাদর্শ। যেখানে বিজ্ঞান তার নিজের গড়া সত্যকে ভেঙে নতুন নিখুত সত্যকে পুর্নপ্রতিষ্টা করে।সেহুতু মাক্সবাদীদেরকেও মাক্স মতবাদের সাথে নতুন মতাদর্শ সংযক্ত করতে হবে বলে আমি মনে করি।যদিও কমিনিউষ্ট এর ইশতেহার ও মাক্সবাদ তাত্বিক ভাবে এখনও প্রযজ্য,তথাপিও কমিনিউষ্টদেরকে নতুন কর্মসুচি গ্রহন করে শ্রমজিবী মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।

 

 

অজ্ঞসব জনপ্রতিনীধি,

সত্যই শক্তি, সত্যই সুন্দর,