Monday, October 1, 2018

চরিত্র নিয়ে কথা--



 

 
চরিত্র নিয়ে কথা----
ইংরেজিতে একটি প্রবাদ আছে,

Money is lost nathing is lost.Helth is lost something is lost.But,Character is lost evrything is lost.

এখানে মূল কথা হলো মানুষ চরিত্র হারালে সবকিছুই হারায়।চরিত্র মানব জীবনের সবচেয়ে মুল্যবান এক সম্পদ।প্রকারাভেদে চরিত্রের অনেক রকম বৈশিষ্ট হতে পারে।আমার দৃষ্টে মিথ্যা কথা বলা সুদ ঘুষ খাওয়া  দুর্নীতি কালো বাজারি চুরি ডাকাতি বেশ্যাবৃত্তি থেকে উপরের লেভেলের সকল অনৈতিক ও নিয়মবহির্ভূত কাজই চরিত্রহীনের লক্ষন।এদের মধ্যে শ্রেণী বিভাগ আছে যেমন উত্তম মধ্যম, এবং অধম প্রকৃতির লোক।
 
দোষে গুনে মানুষ এ কথা চিরন্তন সত্য।এই পৃথিবীতে সাধারণত দুপ্রকারের ব্যক্তিত্বশিল মানুষের উপস্হিতি আমরা দেখতে পাই।একটা হলো অ্যাভারেজড বা গড়পড়তা, আর অন্যটা হলো রিজার্ভড লোক।রিজার্ভ লোকের সংখ্যা খুবি নগন্য, এরা সেকেলে টাইপের হয়ে থাকে।মাথা ভিজা বা মোটা মাথার মানুষ যারা।তারা।

আর অ্যাভারেজড বা গড়পড়তা লোক হলাম আমরা সাধারণ মানুষেরা।পৃথিবীতে সাধারণ মানুষের সংখ্যাই হলো বেশি।সমাজে কিংবা রাষ্টের সকল বিষয়ে আমরা মাথা ঘামাই বেশি। পক্ষে বিপক্ষে আন্দোলন সংগ্রাম করে নিজেরাই হতাহত হই।আর রিজার্ভ লোকেরা মরুভূমির উটের মত মাথা গুঁজে পড়ে থাকে।সামজে কি হলো না হলো তাদের কিছু যায় আসেনা।আবার সুজোগে সদব্যবহার করতেও ভূলে না।সুজোগ পেলেই তারা সবাই সমাজে রোল মডেল হতে চায় বেশিরভাগ।
 ইসলাম ধর্মে উত্তম চরিত্রের মানুষকে মুমিন বলা হয়।মুমিন  হতে হলে মুসলমানকে অনেক গুলো আনুসাঙ্গিক বিষয় অতিক্রম করে আসতে হয়।যেমন-ইসলামের সকল আকিদা ও ঈমানকে মনে প্রাণে কায়মনে বিশ্বাস করে বা পালন করে কেবল একজন সাচ্চা মুসলমানই হতে পারে মুমিন।মুমিন লোক একজন পারপেক্ট মানুষও বটে।

মুমিন হওয়ার পরেও আবার বুঝর্গ মুমিন হওয়ার রাস্তা আছে।যাদেরকে আমরা আলেম ওলেমা আল্লামা হিসেবে জেনে থাকি।মুমিন মুসলমানরা হলেন সমাজের বাতি ঘর।তারা সমাজের অবাঞ্চিত অসহায় এবং পথভ্রষ্ট মানুষকে আলোর পথ দেখায়।মানুষের সুখ দু:খের সাথি হয়।



                                              ------  চলবে
 
 
 
 



 

Friday, September 28, 2018

ঝামেলাবাজদের ঝামেলা

 

আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বানকে কেন্দ্র করে আজকাল ঝামেলাবাজদের ঝামেলার গতি তীব্রভাবে বেড়ে গেছে।বাংলাদেশের রাজনীতিতে পরিত্যক্ত মাথামোটা হেভিওয়েট রাজনীতিবিদ ডঃ কামাল হোসেন, ডাঃ বি চৌধুরী, ডাঃ জাফর উল্যা, বারিষ্টার মইনুল হেসেন আ,সম,রব মান্না মনসুর সবাই আজ উন্মাদ প্রায়।সারা জীবন নির্বাচনে বার বার দাঁড়িয়ে জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়া বা হারানো এই বিজ্ঞ রাজনীতিবিদরা আজ যুক্তফ্রন্ট ও ঐক্য প্রক্রিয়া নামে সংযুক্ত হয়ে ঝামেলা করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে।

জনগনের সামনে তাদের কোন ভবিষ্যত পরিকল্পনা কিংবা সুস্পষ্ট কনসেপ্ট নাই।তারা শুধু চাচ্ছে ঝামেলা সৃষ্টি করে শেখ হাসিনা সরকারকে উৎখাত করে  আবার সেই জামাত বিএনপি সরকারকে ক্ষমতায় অধিষ্টিত করতে।তারা চায় দেশটা আবার দীর্ঘস্হায়ি দানব জঙ্গিবাজ মৌলবাদের কবলে পড়ে পিছনের দিকে দাবিত হউক।তারা দখলদার দল বিএনপি জামাতের  সাথে মিলে গনতন্ত্রের কথা বলে জনগনকে বিভ্রান্ত করছে অগনতান্ত্রিক পণ্হায়ে।গনতন্ত্র সম্পর্কে তাদের কোন সুস্পস্ট  ব্যখ্যা বিশ্লেষণ বা বক্তব্য নাই।রাজনীতির নামে তারা রাজনীতিকে কুলুষিত করে জনজীবনকে এক অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়ে অতিষ্ট করে তুলেছে।
 
একদিকে এইসব বুদ্ধিবাজ জ্ঞানপাপিরা ঝামেলা সৃষ্টি করিতেছে, আরেক দিকে ধর্মব্যবসায়ী মৌলবাদ চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে।তারা আজ যেমনি ধর্মকে  রাজনীতির সাথে মিলায়ে মিশায়ে একাকার করে ফেলেছে, ঠিক তেমনি রাজনীতিকে ধর্মের সাথে মিশায়ে ভন্ডামি করিতেছে।জগতে এদের চেয়ে বড় মোনাফেক সয়তান আর কে হতে পারে?
 
রাজনীতি করতে হলে  মিথ্যাচার করতে হয়, মিথ্যা না বললেও সত্যকে এড়িয়ে যেতে হয়।আবার সভা সমিতিতে মিটিং সেমিনারে সস্হা জনপ্রিয়তার জন্য আবোল তাবোল বলতে হয়।তখন কি কোন মুমিন বা ঈমানদার মুসলমানের আর ঈমান থাকে?ধার্মিক ব্যক্তিদের কাজ হলো ধর্ম প্রচার করা।মানুষকে ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়া।ইসলামের স্বর্নযুগে মসজিদকে বলা হতো বিশ্ববিদ্যালয়।সেই সময় মসজিদে ধর্মীয় শিক্ষা ছাড়াও পদার্থ রসায়ন বায়োলজি এমনকি সমাজ বিজ্ঞান শিক্ষা দেওয়া হতো।
আজ বাংলাদেশের কথিপয় ধর্ম ব্যবসায়িরা মিথ্যা গনতন্ত্রের লেভাস ধারি ঘুষখোর হারামখোর দুর্নীতিবাজদের সাথে মিলে ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট খাবার জন্য ব্যকুল হয়ে পড়েছে।তারা মহানবীর আদর্শ ইসলামের আদর্শকে ভুলুন্টিত করে মুখে মুখে বলছে ইসলামি শাসনতন্ত্র কায়েম করার কথা।আরে ভাই কিভাবে? তোমরা যেসব বেজন্মা মুসলমানদের সাথে রাজনীতি করে ইসলামী শাসনতন্ত্র কায়েম করতে চাচ্ছ।সেই বিএনপি এবং জাতীয় পার্টির বেশিরভাগ লোকই হলো নাস্তিক।তারা অনেকেই লোক দেখানো ওমরা বা আকবরি হজ্ব করেছে ঠিকই, ঘরে এক ওয়াক্ত নামাজও পড়ে না ঠিক মত।
এই সব ধর্মব্যবসায়ি ও ধর্মের লেভাস পড়া লোকরা সবসময় ধর্মান্ধ একগুঁয়েমী পরধর্মবিদ্ধেশী এবং সম্প্রদায়িক অ-অনুদার অসহিষ্ণু ও সঙ্কীর্ন মনের অধিকারি হয়ে থাকে।রাজনীতির নামে এরা সমাজে ঝামেলা সৃষ্টি করে অনাচার অরাজকতা ডেকে আনে।কারণ এদের জ্ঞানবুদ্ধি অত্যান্ত সীমাবদ্ধও সংকির্ন।
 
বাংলাদেশের মানুষ আজ  জ্ঞানবুদ্ধিতে  সবাই পরিণত।সবাই আজ সম্ভাবনাময় বাংলাদেশে বসে অনিয়ন্ত্রিত স্বপ্ন দেখে, সবাই সবার ভালো মন্দ কমবেশি বুঝে।তবু এই সব ঝামেলবাজদের ঝামেলা থেকে সতর্ক থাকতে হবে সবাইকে।ময়লা কাদামাটি ধুয়ে যেমনি সোনা বাহির করা হয়,ঠিক তেমনি খাঁটি সোনা হিসেবে আমাদের আগামী দিনের নেতা নির্বাচন করতে হবে।
 
আমাদের নিত্যসত্য অতিতের ইতিহাস এখন আর কারো অজানা নয়।আমরা জানি বঙ্গবন্ধুর স্বাধীন সামরাজ্যে এসে মিথ্যের অজুহাত তুলে গাদ্দারির করে ভাগ বসিয়েছে স্বৈরচার জিয়া।সত্যকে ঢেকে জিয়া প্রতিষ্টা করতে চেয়েছিল মিথ্যের বিকৃত ইতিহাস।কিছুটা সফল হলেও তার মসনদে আবার হানা দিয়ে ভাগ বসায়েছে আরেক স্বৈরচার এরশাদ।আজ সকল স্বৈরচারের সাঙ্গপাঙ্গরা আর যুদ্ধাপরাধি দুষ্টচক্র মিলে দেশে ঝামেলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করতেছে।প্রগতিবাদী সাবইকে একহয়ে প্রতিহত করতে হবে এসব ঝামেলাবাজদের।

বাংলাদেশের মানুষকে আজ জানতে হবে পৃথিবীর যে দেশেই স্বৈরচাররা জবরদস্তি ক্ষমতা গ্রহন করেছে, সেই দেশ ও জাতি রাষ্ট্রগুলি আজ এক একটি গরিব রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। সামরিক স্বৈরচাররা পৃথিবীর সকল দেশেই ক্ষমতায় বসে প্রথমে নেসানাল পার্টি গঠন করেছে।বাংরাদেশের দু স্বৈরচাররাও তাই করেছে।কিন্তু পরিশেষে সব স্বৈরচারের নির্মম পতন হয়েছে। সাথে সাথে বিলুপ্ত হয়েছে তাদের হাতে গড়া দলগুলিও।ইতিহাস তার সাক্ষি।


-----চলবে
 

Sunday, April 22, 2018

বাদাম্মার রাজনীতি এবং প্লেটোর দ্যা রিপাব্লিক--

 

            বাংলাদেশে বাদাম্মার রাজনীতি এবং প্লেটোর দ্যা রিপাব্লিক।




মহামতি সক্রেটিস


১, আজ থেকে প্রায় আড়াই হাজার বছর পূর্বে দার্শণিক মহামতি সক্রেটিসের প্রধান শিষ্য প্লেটো দ্যা রিপাব্লিক বা গনরাজ্য নামে একটি বই লিখেছেন।বলা বাহুল্য প্লেটো অনেক গুলি বই রচনা করেছেন, তার মধ্যে অন্যতম হলো দুটি বই। একটি হলো দ্যা রিপাব্লিক, অন্যটি হলো ল,স, ইংরেজিতে যাকে বলে Low,s. ল,স বইটিই তার শেষ লেখা।এই বই দুটির ব্যপারে প্লেটোর একটা কনপিডেন্স ছিল।তিনি বলেছিলেন আমার বই দুটি সর্বকালের জন্য  প্রযোজ্য বা সর্বাধুণিক হবে।যার নতুনত্ব কখনো পুরিয়ে যাবেনা।আসলে হয়েছেও তাই। আড়াই হাজার বছর আগের লেখা বই, এই যেন কালকের লেখা।

বাংলাদেশের বাদাইম্মা রাজনীতিবীদদের বইটা পড়ে দেখা উচিত।বাদাইম্মা রজনীতিবীদ আমি বলছি তাদেরকে,যাদের রাজনীতি সম্পর্কে বিন্দুমাত্র কোন অভিজ্ঞতা নাই।খামাকা রাজনীতি নিয়ে হাম্বিতুম্বি বা বকোয়াজ করিতেছে।

বকোয়াজের কোন শেষ নাই।সামনে আসছে জাতীয় নির্বাচন।নির্বাচনকে গিরেই বকোয়াজ চলছে।জোট মহাজোট গড়ে ক্ষমতায় যেতে সবাই ব্যতিব্যস্ত।কিন্তু ক্ষমতায় গিয়ে এইসব বাদাইম্মা ভাঁড়রা আসলে করবে টা কি? তার কোন কনসেপ্ট নেই প্রতিশ্রুতি নেই।
জোট বাঁধার মহা ধুম---

মহামতি প্লাটো
রুলার পার্টির তো ১৪-১৫ দল নিয়ে একটা মহাজোট আছেই।তার পর বিএনপি ওয়ান ম্যান টুম্যান বিশিষ্ট দল নিয়ে গঠন করলো বিশ দলীয় জোট।জাতীয় পার্টির চ্যায়ারম্যান এরশাদ সাহেব ৫৪টি ইসলামী দল নিয়ে গঠন করলেন আরেকটি বিশাল জোট। তারপরে বিএনপির সাবেক নেতা বারিষ্টার নাজমুল হুদা একত্রিশটি দল নিয়ে গঠন করলেন আরেকটি মহাজোট।দলগুলির কোন নাম গন্ধ আছে কিনা আমার জানা নেই।তারপরে সাবেক জাসদের প্রভাব শালি নেতা রব মান্না,কাদের ছিদ্দিকী, ডাঃ কামাল,ও সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরোজ্জা সাহেবেরা সমমনা আটদল নিয়ে গঠন করলেন যুক্তফ্রন্ট।আবার প্রগতিশীল সমাজতান্ত্রিক আট দল মিলে গঠন করলেন বাম গনতান্ত্রিক জোট।তাদের পিছে আবার জড়ো হয় গাদ্দার মাক্কার সহ কথিত শুশিল সমাজের কিছু বুড়ো ছাগলের দল।
খেলাটা জমে উঠেছে দেখার বিষয়।আমার বিশ্বাস যদি দৈবক্রমে শুধু আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি মিলে একটি জোট গঠন করে।তাহলে বাঁকি দলগুলিকে দুর্বীন দিয়েও আর খুঁজে পাওয়া যাবে না।কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো বিএনপি এখনো একটি সঠিক রাজনৈতিক দল হিসেবে গড়ে উঠতে পারেনি।বিএনপি এখনো একটি রাজনৈতিক প্লাটফরমই রয়ে গেল।সুতরাং আওয়ামী লীগের সাথে সংলাম এবং সমযোতা কোনদিনই সম্ভোব নয়।
বাদাইম্মাদের কমেডি আপাতত চলছে চলুক,ভালো লাগার মানুষ গুলির কাছে তো ভালোই লাগছে, আমার কি যায় আসে। পরলে তো বলতাম হেই চুদির পুতেরা দেশ ছাড়।

দ্যা রিপাব্লিক বইটিতে গুরু সক্রেটিসের কথোপকথন বা তার বক্তৃতা বিবৃতি গুলিই শিষ্য প্লাটো তুলে ধরেছেন।সক্রেটিস ছিলেন স্বল্প শিক্ষিত অসাধরণ একজন মানুষ।কিন্তু তিনি ছিলেন প্রখর প্রজ্ঞাবান জ্ঞানি মানুষ।প্রাচীন গ্রীসে অসংখ্য দার্শণিকের জন্ম হয়েছে বটে, তবে দার্শণিকের  শিরমণি বলা হয় একমাত্র সক্রেটিসকে।অবাক করার মত ব্যপার হলো যে সক্রেটিস নিজে তার কোন কথা বা মতবাদ লিখে প্রকাশই করে গেলেন না।তবু দু-আড়াই বছর ধরে সে সক্রেটিসের এত প্রভাব কেন গোটা বিশ্বে?আজো দর্শণ স্বাস্ত্রে তাকে কেন পড়ানো হয়। সক্রেটিসের শিষ্য প্লেটো এবং প্লেটোর শিষ্য এরিস্টটল,এই তিনজনই দর্শণের তিন মহারতি।গুরু থেকে শিষ্যের প্রভাব বেশি হলেও কেহই গুরু কে অতিক্রম করে যেতে পারেনি।অন্তত খ্যাতির ব্যপারে।


সক্রেটিস নিজে লেখাপড়া জানতেন কম, কিন্তু তিনি জিবীকা নির্বাহ করতেন জ্ঞান দান বা শিক্ষা দান করেই। তার মুখের কথা শুনার জন্য বড় বড় শিক্ষিত লোকেরা লাইন ধরে বসে থাকতো।এমনকি শিক্ষিত ধনি লোকেরা তাকে দাওয়াত করে নিয়ে যেত নিজ নিজ প্রসাদে।প্রশ্নবানে তাকে জর্জরিত করতো এবং সমাধান চাইত।সক্রেটিস যুক্তি সহকারে প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর এবং যুতসই সমাধান  দিতেন।এতে কেউ সন্তুষ্ট হলেও কেই আবার সন্তুষ্ট হতে পারতেন না।দ্বন্ধে জড়িয়ে যেতেন।মুলতঃ সক্রেটিস ছিলেন দ্বান্দিক মতবাদে বিশ্বসি।


মহামতি এরিস্টেটল
সক্রেটিস এবং প্লেটোর মধ্যে বয়সের ব্যবধান ছিল কমপক্ষে বিশ বছরের। প্লেটো ছিলেন শিক্ষিত রক্ষনশীল পরিবারের সন্তান।মা-বাবা শিক্ষিত নিজেও শিক্ষিত।ঠিক যেমনি ভারতের রামকৃষ্ণ পরমহংশ ছিলেন কমশিক্ষিত,কিন্তু তার শিষ্যরা বেশির ভাগিই ছিল স্বামী বিবেনানন্দের মত পিএসডি ধারি।এথেন্সে প্লেটোর একাডেমিকে বলা হয় মানব জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে পুরানো বিদ্যাপীট।
দ্যা রিপাব্লিক বইটিতে গুরু সক্রেটিসের বক্তৃতা বিবৃতি ও ডাইলগ গুলিকেই তুলে ধরেছেন।তারা একটি কল্পিত রাজ্য বা রাষ্টের রুপ রেখা নিপুনভাবে অঙ্কিত করেছেন।যা হবে একটি সর্বাধুণিক ন্যায় রাষ্ট্র বা ন্যায় রাজ্য।একটা ন্যায় রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট কি হবে।রাষ্ট্র প্রধান মন্ত্রিবর্গ কেমন হবে।বিদেশনীতি ব্যবসা বানিজ্য থেকে ধর্মনীতি কেমন হবে সবকিছুরই বিষদ বর্ণনা আছে।ন্যায় ও অন্যায়  এর ব্যাখ্যা নিয়েই বইটি সামনের দিকে এগুতে থাকে।
বইটির বিষদ বর্ণনার দিকে না যেয়ে আমি শুধু মুল কথাটিই বলছি।কল্পনার ন্যায় রাষ্ট্রের ব্যাপারে তারা বলেছেন, একটি আধুনিক ন্যায় রাষ্ট্রে জনগনের প্রতিটি মৌলিক চাহিদা পুরন করতে সরকার বাদ্য থাকিবে।রাষ্ট্র প্রধান এবং তার মন্ত্রিবর্গেরা হতে হবে দার্শণিকের মত জ্ঞানি।তাদেরকে থাকতে হবে দিগম্বর।তাদের মধ্যে আমার তোমার বলে কোন কিছু থাকবেনা।তারা জনগকে পরিচালনা করবে, আর জানগন তাদের ভরন পোষন সব কিছু বহন করবে।ইত্যাদি--

আমি আগেই বলেছি সক্রেটিস ছিলেন দ্বন্ধবাদী মানুষ। এই দ্বন্ধবাদের কারণে তার বিচার হয়েছিল।৫০০শত বিচারপতি তার বিচার করে সর্বোচ্চ রায় প্রধান করলেন ৩০০ বনাম ২০০ বিচারপতি তাকে দিলেন মৃর্ত্যুদন্ড।মানব জাতির ইতিহাসে এত বেশি বিচারপতি আর কোন বিচার কার্য নিয়োগ করা হয়নি।অবশ্য বিজ্ঞ বিচারপতিরা দুটা অফসন রেখেছিল তার সামনে। হয় দেশ ছাড়. নতুবা বিষপান করে আত্ম হত্যা করো। সক্রেটিস আত্মহত্যাকেই শ্রেয় মনে করে হেমলক গাছের বিষাক্ত রস পান করে প্রকাশ্যে হাসতে হাসতে আত্মহত্যা করলেন।অবাক বিশ্ময়ে চেয়ে রইলো তৎকালীন সরকার ও সভ্যসমাজ।তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে সে নাকি গ্রীসের দেব দেবিকে অবজ্ঞা এবং যুবসমাজকে বিগড়ানোর।



২,মহানবী হযরম মুহাম্মদ (সাঃ) এর ওফাত বা ইন্তেকালের অল্প কয় বছরের মাথায় খালিাফা ওসমান গনির হত্যার মধ্যদিয়েই সুচনা হয় উমাইয়া খালিফাত্বের।যদিও এরিমধ্যে স্বল্প সময়ের জন্য আলী রাঃ ও তার জৈষ্ট সন্তান ঈমাম হাসান রাঃ খালিফার দায়িত্ব পান।মুআবিয়ার খালিফাত্ব কালে ইসলাম অনেকটা সুসংগঠিত  শক্তিশালি ও প্রসারিত হলেও ভোগবাদিত্বের দিকে দাবিত হতে থাকে।উমইয়ারা নব্য মুসলিমদেরকে ভাবত মাওয়ালী তথা দ্বিতীয় শ্রেণীর মুসলমান।দাসরা হলো তৃতীয় শ্রেণীর।এইভাবে তারা এক মুসলমানকে বারটি জাতে ভিবক্ত করেন। এই  বর্ণবৈশম্যের কারণে উমাইয়ারা খালিফাত্ব হারান এবং এক ক্রান্তিকালে পড়ে যায় ইসলাম ধর্মটাও। তারপরও উমাইয়াদের যুগকে বলা হয় আরব যুগ।

ইসলামি ইতিহাস পর্যলোচনা করলে দেখা যায় হানবী হযরত মুহাম্ম (সাঃ) এর ইন্তেকালের পর থেকে আজ পর্যন্ত গোটা আরব মুল্লুকে আর কোন বুজর্গ কিংবা দার্শণিকের জন্ম হয়নি।তবে হ্যাঁ অসংখ্য সাহাবীর জন্ম হয়েছে।যারা বেশির ভাগই ধর্মান্তরিত সাহাবি।আরব জাতি যে মূর্খ বেদুইন বর্বর জালিম জাতি ছিল, ঠিক আজো তাই রয়ে গেছে।ভোগ বিলাশ আর প্রভূত্বগিরিতে তারা আজো উন্মাদ এবং মসগুল।   প্রাচীন গ্রীক দার্শণিকদের যুগের শত শত বছর পর ফার্সি ভাষাবাসি ইরানে জন্ম নিলেন অসংখ্য কবি সাহিত্যিক এবং দার্শণিক। হাফিজ সাদি ফেরদুসি ঈমাম আবু হানিফা,রুমি বায়েজিদ বোস্তামী, ওমর খৈয়াম,ইবনে সিনহা মোল্লা নাসির উদ্দিন হোজ্জা সামস তিবরিজ, আল ফারাবি, ফরিদ উদ্দিন আত্তার, নিজামী, আল গাজ্জালি আল মনসুর সহ অগনিত দার্শণিক।এমন কি ঈমাম বোকারি সাহেব বোকারাতে জন্ম হলেও তিনি ছিলেন পারসিক ভাষি।এই সব পারসিক মহরতিরা আব্বাসিয় খালিফাত্ব কায়েম করতে সর্বাত্বক সহযোগিতা করে।এমনকি প্রায় সাড়ে সাতশত বছর এই পারসিক পন্ডিতরাই ছিল আব্বাসিয় খালিফাদের ন্যায়পাল দিকপাল উপদেষ্টা সেক্রেটারি এমন কি মন্ত্রিবর্গও।পারসিক পন্ডিতের যুগকে বলে ইসলামের সোনালী যুগ, আর আব্বাসিয় খালিফাদের যুগকে বলা হয় ইসলামি যুগ।
আব্বাসিয় খালিফাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি যিনি ইসলামি শিক্ষা সংস্কৃতির প্রসার ঘটান তার নাম হলো খালিফা আল মামুন।তার মা এবং স্ত্রি ছিলেন ফার্সি ভাষি।তৎকালিন ফার্সি এই সব রতি মহারতিরা রিতিমতগ্রিীক দার্শণিকদের মতাদর্শকে খন্ডন করে ইসলামি মতাদর্শের প্রতি সমগ্র মানবজাতিকে অনুপ্রানিত করে।ইরানের কবি হাফিজের যেমনি কনফিডেন্স ছিল তার কবিতা বা সৃষ্টি কর্মের প্রতি, তেমনি আবুল কাশেম ফেরদুসিরও শাহানামার প্রতি।শেখ শাদির ও আত্মবিশ্বাস ছিল তার রচনাবলির প্রতি।দুরুদ সরিফ এয়া হাবে সালামালইকা, ইয়ানাবি সালামালাইকা তো শাদিরই রচনা।এক একটি যেন হীরের টুকরা।এরা সবাই নিজ ক্ষেত্র থেকে যেমন ইসলামকে সম্বৃদ্ধ করেছিল, তেমনি জ্ঞান বিজ্ঞানকও সাহিত্যকেও সমান ভাবে সম্বৃদ্ধ করেছিল।এদের এক একজন আজকের দিনের নোবেল লরিয়েটদের চেয়েও অধিক জ্ঞানি ছিলেন।তারা প্রত্যেকে আজকের দিনে হলে নোবেল পাওয়ার যোগ্য ছিল।
এদের মধ্যে ইবনে সিনা মেডেসিনে অগ্রনি ভূমিকা রাখলেও তিনিও দেড়শটির মত পুস্তোক রচনা করেছিলেন।আর আল মনসুর, আমরা যাকে মনসুর হাল্লাজি বলে চিনি।তিনিও ছিলেন সক্রেটিসের মত মহা দার্শণিক ও কবি।সক্রেটিসের চেয়েও জগন্য এবং করুন ভিবৎস মৃর্ত্যু আল মনসুরকে বরন করতে হয়েছিল।ফরেজগার বার বার হজ্ব করা আল্লাহর প্রেমে দিওয়ানা এই কবি কবিতায় উচ্চারন করেছিলেন আইনাল হাক্ক।আইনাল হাক্ক আল্লাহর নিরানব্বই নামের একটি।  সিদা কথাকে উল্টো করে বলাই কবিদের স্বভাব।যারা বুঝে তারা হয় খুশি আর যারা বুঝেনা তারা হয় বেজার।আল মনসুরের বেরায়ও হয়েছে তাই তাকে আব্বাসিয় খলিফা মুকতাদির নির্দেশে প্রকাশ্যে হত্যা করেছিল বাগদাদের ময়দানে।সূফি মতাদর্শের প্রবক্তা আল মনুসুরকে টুকরো টুকরো করে উল্রাস করে হত্যা করেছিল তৎকালিন মুমিন মুসলমানেরা।প্রথমে তার দুপাঁ কেটেছিল, তখনও তিনি বলেছিনে আমিই পরম স্বত্বা, যখন হাত কেটেছিলেন তখনও তিনি বলেছিনে আমিই পরম সত্য।রক্তদিয়ে তিনি ওজু করে বলেছিলেন আমিই প্রেম।জনৈক ব্যক্তি তাকে প্রশ্ন করেছিল প্রেম কি? তিনি বলেছিলেন আমার মৃর্ত্যুর পরে দেখতে পাবে প্রেম জিনিসটা কি।মুসলমানরা তার দাঁত গুলি একটি একটি করে ভাঙলো। তারপর জিব্বা টেনে কাটলো, তারপর মাথা কেটে টুকরো গুলি জড়ো করে আগুন দিয়ে পুড়ে ফেললো।তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হলো সে খ্রিষ্টানদের অনুচর।সে নিজকে খোদার সাথে তুলনা করেছিল।
আমাদের দেশের মাওলানা মৌলুবিরা আবু হানিফাকে নির্যাতন করে জেলখানায় হত্যা করেছে বলে কান্নাকাটি করে।আমাদের দেশের পন্ডিতরা সক্রেটিসের কথা বলে অশ্রুশিক্ত করে। কিন্তু মনসুর হাল্লাজির কথা কেউ মুখে উচ্চারন করতে ভয় পায়, রহস্য জনক ভাবে সবাই এড়িয়ে যায়।

৩, দার্শণিক এরিস্টেটল বলেছিলেন----
                                                  যাদের অসংখ্য বন্ধু আছে, আসলে তাদের কোন প্রকৃত বন্ধু নাই।

মহামতি এরিস্টেটলের এই দৈব বাণীটি ধ্রুব সত্য হিসেবে প্রমানিত হলো জাতরি জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমানের বেলায়।বাঙ্গালী জাতি গর্ব



করে তাঁকে বঙ্গবন্ধু উপাধি দিয়েছিল।জাতির জনক আবেগে আফ্লুত হয়ে একধাপ বাড়িয়ে বলেছিল তোমরা আমার ভাই।বন্ধুর চেয়ে অবশ্যই  অনেক উপরে স্হান হলো ভাইয়ের।সেই বর্ণচোরা বাঙ্গালী ভাই বন্ধুরাই নিশংসভাবে স্বপরিবারে হত্যা করলো সর্বকালের সর্বসেরা বাঙ্গালী জাতির জনককে।বাঙ্গালীর নিজেই নেজেকে প্রমান করলো তারা যে মির জাফরের বংশধর, তারা যে গাদ্দার মাক্কার কলঙ্কিত জাতি।বিজয় হলো বঙ্গবন্ধুরই।তিনি হলেন মহত ও মহান। মহামানবরা কখনও হত্যা হন না। একতা কুখ্যাত খুনিরা জানতো না।মহামানবরা বেঁচে থাকেন তাদের সৃজন শীলতায়,দিকদর্শণে লাখো কুঠি ভক্ত অনুরাগির আত্মায় প্রেম ভালোবাসায়।বঙ্গবন্ধু আজো আমাদের মাঝে বেঁচে আছেন এবং অনন্ত কাল ধরে বেঁচে থাকবেন।


বাদাইম্মা রাজনীতির উত্থান পর্ব---
স্বঘোষিত স্বৈরচার আইয়ূব খানের বেসিক ডেমোক্রেসি বা মৌলিক গনতন্ত্র,স্বৈরচার জিয়ার বহুদলীয় গনতন্ত্র বনাম পতিত স্বৈরচার এরশাদের অদ্ভূদ গনতন্ত্র।
যুক্তফ্রন্টের পার্লামেন্টের ভিতরে একটি মারামারিকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলার অজুহাত তুলে জেনারেল আইয়ূব খান রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে মার্শাল,ল জারি করে তিনি সর্বেসর্বা হয়ে বসলেন।ক্ষমতায় বসে তিনি নানা চলচাতুরির আশ্রয় নিলেন।প্রথমে তিনি একটি বই লিখলেন, প্রভূ নয় বন্ধু, নামে।তারপর তিনি বেসিক গনতন্ত্র জারি করে সারা বিশ্বে হাস্যের পাত্র হলেন।বিশ্ববাসি জানতে চাইল বেসিক গনতন্ত্র আবার কোন ধরনের গনতন্ত্র?তিনি ব্যাখ্যা দিলেন এভাবে,গনতান্ত্রিক নিয়মে ভোটাভুটি সবকিছুই ঠিকঠাকমত  হবে, কিন্তু ক্ষমতায় থাকবো আমরাই।তিনি একদিকে উন্নতির নামে পুঁষে উঠা বাঙ্গালীকে সান্তনা দিতে লাগলেন, আরেকদিকে তার বইতে বাঙ্গালীকে লেঙ্গুয়েজ ওয়েফনের হুমকি দিলেন। তিনি তার বইতে প্রকাশ করলেন বাঙ্গালীরা হিন্দু কতৃক প্রবাবিত পিছিয়ে পড় অনগ্রসর একটি জাতি।এই জাতিকে ইসলামি আদর্শের মাধ্যমেই পাকিস্তানিদের সমপর্যায়ে নিয়ে আসা সম্ভোব।তিনি বাংলা উর্দু ভাষাকে মিলিয়ে চায়না ভাষার মত একটি অদ্ভূদ ভাষা সৃষ্টিরও উদ্দেগ নিলেন।যার নাম হবে সম্ভোবত বাংউর্দু। বাংউর্দু এই ভাষাটির লেখা শুরু হবে চিনা ভাষার মত উপর থেকে নীচের দিকে। বাম দিক থেকেও লেখা যাবেনা  ডান দিক থেকেও ন।অবাক করার বিষয় হলো যে আইয়ূব খানকে এ ব্যপারে সহযোগিতা করেছিল  কবি ফররুখ আহম্মেদ কবি গোলাম মোস্তফা ও সাহিত্যিক সৈয়দ আহসান হাবিবের মত বর্ণচোরা কিছু বাঙ্গালীরা। এই স্বৈরচারই প্রথম অখন্ড পাকিস্তানের রাজনীতিতে বাদাইম্মাদের উত্থান ঘটান। এই স্বৈরচার পরে প্রচুর গনচাপের মুখেই ক্ষমতা চাড়তে বাদ্য হলেন।

স্বৈরচার জিয়ার উত্থান ও বহুদলীয় গনতন্ত্রের নামে অগনতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্হা---
স্বৈরচার আইয়ূব খানের ভাবশিষ্য ও অনুসারি  স্বাধীন বাংলাদেশের সেনা বাহিনীতে ঘাপটি মেরে থাকা খর্বাকার জিয়া একাত্তরের গাদ্দার আর মাক্কারদের সহযোগিতায় পঁচাত্তরের ১৫ই আগষ্ট জাতির জনককে নিশংসভাবে হত্যা করার পর ৭ই নভেম্বরে এসে নিজস্ব মুখোশ উন্মেষ করে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে সর্বেসর্বা হয়ে বসলেন।তিনি শধু গনেশ নয়,তিনি বাংলার আকাশে সদ্য উদিত সূর্যকেও ডুবিয়ে দিতে উদ্যত হলেন।তিনি বাংলার ইতিহাস লেখাতে শুরু করলেন উল্টোভাবে।স্বাধীনতার ইতিহাসের পাতা থেকে বাংলার ইতিহাসের মহানায়কের নাম নিসানা মুছে দিলেন।উনডেমনিটি নামে কালো আইন জারি করে খুনিদের বিচার পক্রিয়াকে বন্ধ করে দিলেন।রাজাকার আলবদরকে পুর্নবাতি করে চীপ রাজাকার সাহইজজকে প্রধান মন্ত্রি বানিয়ে প্রধান রাজাকার নেতা গোলাম আজমকে নাগরিক্ত ফিরিয়ে দিলেন। তিনি সংবিধানের চার মুলনীতিকে গুরিয়ে দিয়ে জুড়ে দিলেন বিছমিল্লাহ। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশে বসে বাঙ্গালীর বাঙ্গালীত্বকে অর্থ্যাৎ বাঙ্গালী জাতীয়বাদকে বানিয়ে দিলেন বাংলাদেশি জাতীয়বাদ।জাতীয় সংগীত আমার সোনার বাংলাকে পাল্টিয়ে প্রথম বাংলাদেশ শেষ বাংলাদেশ করার উদ্যেগ নিলেন।একাত্তরের পরাজিত শক্তিকে রাজনীতিতে শুধু পুর্নবাসন করেননি, রিতিমত মন্ত্রিমিনিষ্টার বানিয়ে বাংলাদেশকে পাকিস্তানের আদলে বাংলাস্তান বানাবার প্রচেষ্টাও অব্যাহত রাখলেন।এই স্বৈরচার  শুধু পঙ্গু মুক্তি যোদ্ধা সেক্টর কমান্ডার কর্নেল তাহেরকে হত্যা করে খ্যান্ত হননি, জেলখানার অন্ধ প্রকোষ্টে নির্বিচারে হত্যা করেছেন হাজার হাজার সেনা বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধা অফিসারকে।তার পরে নিজ ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করার জন্য বাদাইম্মা আর আঁধুনিবাঁধুনির পোলাপাইনকে নিয়ে গঠন করলেন একটি রাজনৈতিক প্লাটফর্ম।আখের শেষ রক্ষা হলো না শ্বশানের মাটি দিয়ে গড়া এই স্বৈরচারের। নিজ কার্যকলাপের কারণে নিঃশংস ভাবে খুন হলো এই স্বৈরচার। শুনেছি তার লাশও খুঁজে পায়নি। ব্রাসফায়ারে চিড়েবিড়ে গেছে এই স্বৈরচারের দেহের মাংশ।


পতিত স্বৈরচার এরশাদের অদ্ভূত গনতন্ত্র---
ভারতে জন্ম নেওয়া বাংলাদেশে অভিবাসিত এই স্বৈরচার বন্দুকের নল ঠেকিয়ে নির্বাচিত সরকারকে হঠিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে আইয়ূব জিয়ার মতই মার্শাল,ল জারি করে নিজেই সর্বেসর্বা হয়ে বসলেন। ক্ষমতায় বসে এই স্বৈরচার জিয়ার অসামাপ্ত কাজকে সমাপ্ত করার উদ্যেগ নিলেন।তিনি পাকিস্তানের আদলে বাংলাদেশকে ইসলামী রাষ্ট্র হিসেবেও ঘোষনা দিলেন।এবার তিনি শুধু রাজাকরকে নয় বঙ্গবন্ধুর স্বঘোষিত খুনিদেরকেও পার্লামেন্টে নিয়ে আসলেন।রাজনৈতিক দল গঠন করার সুজোগ করে দিলেন।বিদেশে বাংলাদেশ দুতাবাসে চাকুরি দিলেন। ব্যবসা বানিজ্য করার সুজোগ করে দিলেন।১৯৮২ সালে এরশাদ ক্ষমতা দখল করে তিনি বাংলাদেশে প্রতিষ্টিত কয়জন কবির সহযোগিতায় ১৯৮৩ সালে -কনক প্রদীপ জ্বালো, নামে স্ত্রি রৌশনকে দিয়ে একটি কাব্যগ্রন্হও প্রকাশ করে পেলেনে।এই স্বৈরচার কুটকৌশল করে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য জিয়ার মতই পতিত বাদাইম্মা ও আঁধুনি বাঁধুনির পোলাপাইনকে নিয়ে একটি প্লাটফরম তৈরি করলেন।এই স্বৈরচার পাকিস্তানি স্বৈরচার জিয়াউল হকের কাছ থেকে খোদ পাকিস্তানি নিসানে খেতাবে ভূসিত হলেন।আর বাঙ্গালীদের কাছ থেকে বিশ্ব বেহায়া, বিশ্ব বেয়াদপ, বিশ্ব লম্পট, পতিত স্বৈরচার,সহ অসংখ্য উপাধি।নব্বইয়ের গনচাপে এই স্বৈরচার শুধু উৎখাত নয় জেলখানায় থাকতে হয়েছে ৬টি বছর।পৃথিবীর সমস্ত স্বৈরচারের নির্মম মৃর্ত্যু হলেও এই কুখ্যাত স্বৈরচার সুকৌশলে এখনও বেঁচে আছেন।

চলবে---


 




Wednesday, April 11, 2018

দেশে দেশে গনতন্ত্রের মাতা---?

 
 









আরে ভাই! কেন এত হৈ হাল্লা ?
মানির মানতো রাখেন আল্লা !
ছিলেন তিনি রুপসি, ছিলেন অতি ভালা,
মিলিটারিকে বিয়ে করে অল্প বয়সে হলেন বিধবা।
দুঃখ ছিল কষ্ট ছিল,ছিল তার বুক ভরা জ্বালা,
তার পরেও ছিল তা মন্দের চেয়ে ভালা,
রাজনীতি করতে এসে আজ তিনি কারাবন্দি অবলা।
পাশে নাই নেতানেত্রি,নাই আদরের পোলা,
একেলা রে ভাই তিনি আজ বড় একেলা।

১,দুর্নীতির দায়ে পাঁচ বছরের সাজা প্রাপ্ত বিএনপির নেত্রি এবং বাংলাদেশের প্রথম স্বৈরচার জেনারেল জিয়ার সহধর্মীনী বেগম খালেদা জিয়াকে বিনপির নেতা নেত্রিরা বলে বেড়ান, খালেদা নাকি গনতন্ত্রের মাতা।আবার দেশ মাতাও বলে থাকেন।বোধ বিলুপ্ত মানুষ আবেগ এবং কৌতুহলের বসে পাগলের প্রলাপ বকে বেশি এটাই সাভাবিক।

আমার বোধগম্য হয়না পৃথিবীর ইতিহাসে একজন নিকৃষ্ট ও জগন্য স্বৈরচারের বৈধব্য স্ত্রি কি করে গনতন্ত্রের মাতা হতে পারেন।যিনি নাকি যুবতি বয়সে বিধবা হয়ে নানা কুকর্মের জন্ম দিয়েছেন, সেই তিনি কি করে গনতন্ত্রের মাতা আর দেশ মাতা হন? আমি বুঝতে পারছিনা।মাতা শব্দটি আমার কাছে অতি মানবি, শ্রদ্ধাভাজন এবং স্পর্শকাতর বস্তু।কোন নিকৃষ্ট খুনি চরিত্রহীন স্বৈরচারের দুঃচরিত্রা স্ত্রিকে গনতন্ত্র তো দুরের কথা মা ডাকাও মানব জাতির জন্য লজ্জাজনক ব্যপার।

২,নব্বই দশকের মাঝামাঝি সময়ে আমেরিকার পপ সংগিত শিল্পি মেডোনার কন্ঠে একটি গান আমি খুব বেশি বেশি শুনতাম।গানটি হলো এরকম--ডন্ট ক্রাই ফর মি আর্জেন্টিনা, দি ট্রুথ ইজ লাই নেভার লেপ্ট ইউ, অল দিস মাই ওয়াইল্ড ডেজ, মাই ম্যাড এক্সিসটেন্স,আই কেপ্ট মাই প্রমিজ ডন্ট কিপ ইউর ডিসটেন্স।
উল্লেখ্য এই বিখ্যাত গানটি রচিত হয়েছে আর্জেন্টিনার স্বৈরশাসক জোহান পেরনের স্ত্রি ইভাপেরনকে উদ্দেশ্য করে।যে ইভাপেরন নাকি ছিলেন একজন বেশ্যা।অবশ্য এই ইভাপেরন বেশ্যা হলেও তিনি ফাস্ট লেডি হয়ে জনকল্যানমুলক কাজ করার কারণে এবং অল্প বয়সে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মরার কারণে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন।মৃর্ত্যুর পরেও তার লাশ নিয়ে পরবর্তি স্বৈরচাররা অনেক টানাহিচরা করেছেন।তার লাশ ইটালী স্পেনসহ বেশ কয়বার দাপন করা হয়। অবশেষে প্রচুর গনচাপে আর্জেন্টিনাতেই তাকে দাপন করা হয়।এই ইভা পেরনকেও তার অনুসারিরা গনতন্ত্রের মাতা বলে সন্বোধন করতেন।
৩, ইন্দোনেশিয়ার কুখ্যাত স্বৈরচার সুহার্তো।তার কর্মজীবন শুরু হয়েছিল ব্যাংকের চাকুরি দিয়ে।সাইকেল চুরির অপরাধে চাকুরিচ্যুত হয়ে আর্মিতে ভর্তি হত।যোগ্যবলে এবং ইন্দোনেশিয়ার জাতির পিতা সুকোর্নের সোহানুভূতিতে তিনি মেজর পদে উন্নতি লাভ করেন।পরে বৃদ্ধ জাতির পিতাকে ক্ষমতাচ্যুত করে নিজেই সর্বেসর্বা হয়ে দীর্ঘ ৩১ বছর জেঁকে বসেন রাষ্ট্রক্ষমতায়।পরে জাপানী বংশদ্ভূত হোটেল কন্যা সিতিকে দেখে নাকি উন্মাদ হয়ে পড়েন।পরে বিয়ে করে দীর্গদিন ঘর সংসার করেন।এই স্বৈরচার হাজার হাজার কুঠি টাকা আত্মসাত করে দেশটার অবকাঠামো প্রায় ধংশ করে দেন।অবশেষে গনঅর্ভ্যুত্থানে তার পতন ঘটে। তার হোটেল গার্ল স্ত্রি সিতিকেও গানতন্ত্রের মাতা বলা হতো।
এরকম অসংখ্য স্বৈরচাররা যুগের পর যুগ জবরদস্তি রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে একটা জাতি ও রাষ্ট্রকে আজ পৃথিবীর দরিদ্রতম দেশে পরিণত করেছে। এদরে মধ্যে অনেক স্বৈরচার আছে যাদের কোন বংশ পরিচয় নাই যারা নাকি জারত সন্তানও ছিলেন।এদের মধ্যে অনেকর ঘরে স্ত্রি থাকলেও এরা বেশ্যার সাথে আয়েশি করতেন অবাধে। 









 
বর্তমানে সমগ্র বিশ্বের রাজনীতির ধারা পাল্টিয়ে গেছে।এখন বিশ্বের বেশির ভাগ জাতি গোষ্টি আর পরাধিন নয়।গনতন্ত্র সমাজতন্ত্র কিংবা কোন ধর্মতন্ত্র প্রতিষ্টা করা রাজনীতিবীদদের কোন নৈতিক আদর্শ নয়। গনতন্ত্র ও ধর্মতন্ত্র জিবিত থাকলেও সমাজতন্ত্র এখন মৃত একটি শব্দ।কোমায় থাকা রুগি মৃতের মতই।কমিনিউষ্টরা এখন অনেকটা কোমার  রুগির মত।
এখন দেশে দেশে চলছে খটাস রাজনীতি।প্রতিপক্ষকে হাতে মারা ভাতে মারা রক্তাক্ত রাজনীতি।হিংসা প্রতিহিংসার রাজনীতি।কে কাকে মেরে নিজে খাবে,কে কাকে ছোট করে নিজে বড় হবে সেই প্রতিযোগিতা চলছে নেতানেত্রিদের মধ্যে।নেতা হওয়ার নুন্যতম যোগ্যতা নেই যে খটাসের, সেই আজ বড় রাজনীতিবীদ বনে গেছে।অর্থ বলে পেশি বলে কেডার বলে সে যোগ্যতা হাচিঁল করে নেয়। নিজের আখের গোচায়, বিত্ত ভৈববে আঙুল পুলে কলা গাছ নয় রিতিমত তালগাছ হয়ে যায়।
এই সব কথিত রাজনীতিবীদরা যদি সত্যিকার অর্থে নিজের দেশকে ভালোবাসতো, যদি সত্যিকার অর্থে নিজ দেশের জনগনকে ভালবাসতো, কিংবা যদি সত্যিকার অর্থে নিজ নিজ দলের আদর্শ বা মুলনীতি মেনে চলতো, তাহলে অন্তত একটি স্বাধীন দেশে এত অশান্তি হতো না।এত মারামারি কাটাকাটি হতো না।জঙ্গিবাজের উত্থান হতো না।
আজ বাংলাদেশে অনেক গুলি রাজনৈতিক দল আছে।কার কোথায় কিভাবে জন্ম হয়েছে সবারই জানা।কার কি আদর্শ বা মূলনীতি তা আমাদের কাছে সুস্পষ্ট নয়।কে দেশের জন্য কি করেছে বিবেক বোধ বুদ্ধি দিয়ে বিচার করতে গেলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অবস্হা সবার উপরে।

বাঙ্গালী জাতির জন্য আল্লাহর রহমত হয়ে আওয়ামী লীগের আবির্ভাব হয়েছে।এটা কারো কারো কাছে অপ্রিয় হলেও ধ্রুব সত্য।
বিনএনপি নামে এবং জাতীয় পার্টি নামে কেন্টের্মেন্টে জন্ম নেওয়া দল দুটি হলো বাঙ্গালী জাতির জন্য একটি অভিশপ্ত বিষবৃক্ষ ও কলঙ্ক। কারো কারো কাছে এটা অপ্রিয় হলেও এটাই বাস্তব সত্য।
জাতিয় পার্টি নামে কেন্টের্মেন্টে জন্ম নেওয়া এই দলটি শুধু বিষবৃক্ষ নয় জাতির বিষ ফোঁড়া সরুপ দেখা দিয়েছে আজ।পৃথিবীর সকল স্বৈরচারের মত তিন মাসের জন্য অজুহাত তুলে মার্শাল্ ল জারি করে পরে পুরো রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে নেসানাল পার্টি ঘটন করা হয়েছে।আদর্শ উদ্দেশ্য বলতে কিছু নেই, শুধু নিজে আরাম আয়েশ করে একটা জাতিকে ভিখারির জাতিতে পরিণত করাই মুল লক্ষ।
জাসদ নামে একটি বিতর্কিত দল সদ্য স্বাধীন যুদ্ধাগ্রস্হ দেশের উপর গঠিত হলেও ১৯৮৮ সালে এসে দলটি গুটি বসন্ত আকারে দেখা দিয়েছে বাঙ্গালী জাতির ভিতরে। এই দলটি আজ ক্লেদ ক্লেদাক্ত আবর্জনার স্তুপে পরিণত হয়েছে।

যুদ্ধাপরাধি জামায়াত ইসলামী দলটি ১৫ই আগষ্টের পরে বোলবাল রংঢং পাল্টিয়ে পুর্নজনম নিয়ে কেন্সারের মত আবির্ভাব হয়েছে বাঙ্গালী জাতির জন্য।ইসলামের নাম ভাঙিয়ে দলটি কুপুরি বিদআতের রাজনীতি শুরু করেছে।একাত্তরে যেমনি হত্যা ধর্ষন লুটপাট অগ্নি সংযোগ করেছে। ঠিক একি কায়দায় স্বাধীনতার পরেও স্বাধীন দেশে অরাজকতা চালিয়ে যাচ্ছে।রগকাটা মানুষ পুড়িয়ে মারা,সংখালগুদের উপর জুলুম নিপিড়ন হত্যা ধর্ষন আজো তাদের অব্যাহত আছে।
  বাম ঘরানার সোসালিষ্ট দল গুলি ঘোড়া মাছের মত।এটা এখন দেখার বিষয়। ঘোড়া মাছ পুরুষরা গর্ভবতি হয়,কিন্তু লেঁজটা কুকুরের মত বাঁকা করে রাখে।কেন গবেষনা করছি। বিস্তারিত বলবো পরে। 

এখন সবাই বলে শিক্ষার্থি--


প্লেটো



এখন সবাই ছাত্র ছাত্রীকে বলে শিক্ষার্থী। মেধাবী শিক্ষার্থীও বলে কেউ কেউ।বিদ্যার্থী কিংবা বিদ্যান বলেনা কেউ।অতচ এক সময় শিক্ষার্থীকে বিদ্যান বলা হতো। সে সময়ে সমাজে বিদ্যান ব্যক্তির সন্মানই ছিল আলাদা। মুরুব্বিরা বলে থাকেন আগের জমানার ক্লাশ ফাইভ পাস আর এখনকার এম এ পাশ সমান।কথাটা একেবারে উড়িয়ে ফেলে দেওয়া যায়না।
এখন বিদ্যালয়ে শুধু শিক্ষা দেওয়া হয়, দীক্ষা দেওয়া হয় না।এক সময় শিক্ষার সাথে সাথে দীক্ষাও দেওয়া হতো।বহুমুখি দীক্ষা।
বি সি পুর্বে প্রাচীন গ্রীসে জন্ম নিয়েছিলেন অসংখ্য দার্শণিক।তাদের মধ্যে তিন জনের নাম সবার আগে। সেই তিন মহারথি হলেন সক্রেটিস,তার শিষ্য প্লেটো,এবং প্লেটোর শিষ্য এরিস্টেটল।এই তিন দার্শনিকের দর্শণ স্বাস্ত্র আজো সমগ্র পৃথিবীতে প্রভাব বিস্তার করে আছে । এদের মধ্যে সক্রেটিস কোন বই পুস্তোক না লিখলেও তার শিষ্য প্লেটো অনেক বই পুস্তোক লিখে গেছেন। তিনি গ্রীসে একাদেমি নামে একটি বিদ্যালয়ও প্রতিষ্টা করেছিলেন।তার লেখা বগিুলির মধ্যে অন্যতম হলো the Republic এবং  Laws পুস্তোকটি।এই বই দুটি বাংলা অনুবাদ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শণ স্বাস্ত্রের অধ্যাপক প্রয়াত সরদার ফজলুল করিম।  



এরিস্টেটল
প্লেটো তার রিপাব্লিক গ্রন্থে লিখেছেন একটা দেশে কোন শিক্ষা ব্যবস্হাই রাখা উচিত নয়। সাধারণ পাব্লিকের লেখা পড়া বা শিক্ষার কোন প্রয়োজন নেই।স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় বানিয়ে শুধু ফাল্টু খরছ করা হয়।জন সাধারণের দরকার শুধু কাজ করা।তারা কাজ করে সুখে স্বাচ্ছন্ধে বসবাস করবে।
 লেখা পড়া শিক্ষাদীক্ষা করা প্রয়োজন আছে শুধু সরকার প্রধান আর মন্ত্রি বর্গের।তাদেরকে ও গৃহে বসে শিক্ষা দীক্ষা গ্রহন করতে হবে। পাঠশালার কোন প্রয়োজন নেই।তাদের নির্দেশেই রাষ্ট্র এবং জনগন চলবে।
গুরুর এই বাণীকে সমর্থন করেছেন শিষ্য এরিস্টেটল।আমাদেরকে মনে রাখতে হবে যেমন তেমন শিষ্য নয়, এই শিষ্য মহাবীর আলেকজান্ডারকে শিক্ষা ও দীক্ষা দিয়েছেন।







রুসো
তারপর রেনেসাঁর যুগের রুসোও প্লেটোর এই বাণীকে সমর্থন করলেন।ফ্রান্স বিপ্লবের জনক এবং সমাজ বিজ্ঞানের প্রবক্তা ভাবা হয় এই জা জাঁক রুসোকে।তিনিও অনেক বই পুস্তোক লিখে গেছেন।তার মধ্যে সমাজিক চুক্তি বইটি অন্যতম। এই বইটিও অধ্যাপক সরদার ফজলুল করিম বাংলায় অনুবাদ করেছেন। রুসো বললেন লেখাপড়া করার উদ্দেশ্য হলো একটু নিষ্টাবান হওয়া আর কিছু নয়।নিষ্ঠাবান হতে না পারলে  লেখা পড়ার তেমন একটা প্রয়োজন নেই।
দার্শণিকদের দন্ধের কথাবার্তা বুঝা মুশকিল।এই রকম কথাবার্তার জন্য অনেক দার্শণিককে মৃর্ত্যুর মুখোমুখিও হতে হয়েছে।আমি নিজেও অনেক দার্শণিকের সাথে অনেক সময় একমত হতে পারি না।তবে এটাও সত্য যে বিসি ৪-৫শত শতাব্দির কিংবা তারও আগের অনেক দার্শণিকের মতবাদ আজো রুঢ় সত্য এবং আধুণিক সমাজে প্রযোজ্য।
দার্শণিকের কাজ মানুষকে দিক নির্দেশনা দেওয়া।পৃথিবীর অনেক দেশে অনেক জাতির মধ্যেই বিখ্যাত বিখ্যাত দার্শণিকের জন্ম হয়েছে,কিন্তু একমাত্র বাংলাদেশে কিংবা বৃহত বাঙ্গালী জাতির মধ্যে তেমন কোন বিখ্যাত দার্শণিকের জন্ম হলো না।নোবেল পেয়ে রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর বিশ্ব বিখ্যাত হলেও তাকে দার্শণিক বলা যায় না।তিনি আপাদ মস্তক অস্তিত্ববাদী সারা জীবন নিজে নিজেরই গুনগান করেছেন।সেই গুনগানেই আমরা মুগ্ধ ও ধন্য,এবং সে কারণেই আমরা তাকে ভালবাসি।
স্বাধীনতার পর গত সাতচল্লিশ বছরে বাংলাদেশে অনেক স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্টিত হয়েছে।সমগ্র বাংলাদেশে যেখানে মাত্র ছয়টা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল, আজ সেখানে প্রায় ছিয়াশিটা বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষার হার বেড়েছে শিক্ষর্থীর হার বেড়েছে কিন্তু শিক্ষার মান বাড়েনি মোটেও, বরঞ্চ কমেছে।আজ সবাই ভার্সিটির সর্বোচ্চ ডিগ্রি নেয় শুধু একটা ভালো চাকুরি নেওয়ার জন্য। সরকারি আমলা সচিব হওয়ার জন্য।ডাক্তার ডাক্তারি পাশ করে শুধুই চাকুরি করার জন্য।ইঞ্জিনিয়ার ইঞ্জিনিয়ারি পাশ করে শুধুই চাকুরি করে কাড়ি কাড়ি পয়সা কামানোর জন্য।তারা নিয়ম নীতি ন্যয় সৎ সততার তোয়াক্কা মোটেই করেনা।লেখা পড়া করে মানুষ যে নিষ্টাবান হয়,নিষ্টাবান কি জিনিস তা তারা মোটেই যেন জানেনা।
শিক্ষিত মানুষরা সব সময় অনগ্রসর কিংবা নিরক্ষর মানুষকে জ্ঞানের আলো বিদ্যার বাণী দেখায়।সমাজকে জাতিকে দিক নির্দেশনা দেয়।কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো স্বাধীনতার এত বছরেও আমাদের দেশে তেমন শিক্ষীত সমাজ গড়ে উঠেনি।এখানেই আমাদের দুঃখ।
যে সব বৈশম্য ও দুর্নীতির কারণে আমরা পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়েছি।সে সব বৈশম্য ও দুর্নীতি আজ বাংলাদেশ ও পাকিস্তান দুটি দেশেই বিদ্যমান। বরং প্রচন্ড আকারে বিদ্যমান।দুটি দেশেই গনতন্ত্র নাই এ কথা মিথ্য হলেও দুটা দেশই যে দুর্নীতিগ্রস্ত তা শত ভাগ সত্য।দুই দেশকেই সমান ভাবেই লজ্জা করা উচিত।






















Sunday, February 18, 2018

আজ ২১শে ফেব্রুয়ারী---



২১শে ফেব্রুয়ারী আন্তঃজাতিক মাতৃভাষা দিবস।বাঙ্গালী জাতির গর্বের একটি দিন।প্রথমে বাংলা ভাষার উপর রচিত একটি সংগীত শুনুন।তারপর আলোচনায়--






লাল সবুজের ঝলোমলো মেলায়,হরিৎ মহুয়ায়,সবুজ ঘাঁসের ডোগায়,নদীর বুকে বুকে, শিশুর মুখে মুখে, পাখির সুরের মুর্চনায়,ফুলের অধর কোনায়,আকাশের সন্ধ্যা তারায়,রাতের জোসনায়,বাংলা বাঁচবে বাংলায়,আমাদের বাংলা ভাষা বাঁচবে বাংলায়//


করেছি কতো সংগ্রাম,করেছি কতো যুদ্ধ,এ বাংলার জন্য /দিয়েছি কতো রক্ত,মৃর্ত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়েছি শক্ত,আমরা অনিক অনন্য/বাংলা মোদের মায়ের ভাষা,বাংলা মোদের বাঁচার আশা,পলকে পলকে বাংলা মোদের দুর্বিনীত স্বপ্ন দেখায়//

বাংলা মোদের অমর ইতিহাস, বাংলা মোদের স্বপ্ন বিলাশ /বাংলায় মোরা লিখিপড়ি,বাংলায় করি হৈচৈ আনন্দ উল্যাস /কেঊ কভূ কেড়ে নিতে পারবেনা,কাউকে কেড়ে নিতে দিবনা, না-না-না দিবনা,বাংলাকে মোরা যতনে রাখবো মনের মনিকোঠায়//



অ       আ        ক     খ     গ   ঘ--আ-মরি বাংলা ভাষা,


১,বর্তমান পৃথিবীতে জাতিসংগের সদশ্যভূক্ত ১৯৫টি দেশের মধ্যে একমাত্র ভাষার উপর ভিত্তি করে জন্ম নেওয়া   স্বাধীন রাষ্ট্রের মধ্যে অন্যতম প্রধান রাষ্ট্র হলো আমাদের সবার প্রিয় এই বাংলাদেশ।আমাদের অফুরন্ত গর্বের কোন অন্তঃ নেই এই দেশকে নিয়ে।আমরা সবাই কি এবার সমশ্বরে বলতে পারি না- জয় বাংলা-!জয় হউক অমর ২১-!

জাতিগোষ্টির নামে, রাজা বাদশার নামে কিংবা দেবদেবির নামে কল্পনা প্রসুত অনেক দেশের নাম করন করা হয়েছে, কিন্তু আমাদের দেশটাই একমাত্র ব্যতিক্রম।ভাষার ভিত্তিতে,ভাষার নামে, ভাষার দেশ, মাতৃভাষার দেশ বাংলাদেশ।বলা যায় ভাষা রাষ্ট্র।

 আমাদের এই ভাষা আজ আন্তর্জাতিক ভাবে সিকৃত। আমরা কেউ সঠিক ভাবে জানিনা, কবে কিভাবে আমাদের এই বাংলা ভাষার উদ্ভব হয়েছিল।তবে নেপালের রাজ দরবারে আবিষ্কৃত বাংলা ভাষায় রচিত চর্চাপদ থেকে অনুপ্রানিত হয়ে ধারণা করতে পারি যে আমাদের বাংলা ভাষা অনেক অনেক পুরানো।ধারণা করা হয় আদি ব্রম্মালিপি থেকেই বাংলা ভাষার উদ্ভব হয়েছে।

সেই যাই হউক,বর্তমান বিশ্বে আধুনিক সভ্য দেশ এবং পূর্ন গনতান্ত্রিক দেশ গুলির অবস্হান হলো ইউরোপ মহাদেশে।প্রচীন গ্রীক হলো দার্শণিকদের চারণ ভূমি।গ্রীকের মত এত দার্শণিক পৃথিবীর আর কোন দেশে জন্ম গ্রহন করেননি।বর্তমান পৃথিবী আজো গ্রীক দার্শণিক মতবাদ ধারা প্রভাবিত।কিন্তু আশ্চার্যের ব্যপার হলো এই দার্শণিকরা বেশির ভাগই ছিল অশিক্ষিত, কিন্তু অসাধরণ জ্ঞানের অধিকারি।তার চেয়েও আশ্চার্যের ব্যপার হলো  প্রাচীন এবং বর্তমান সভ্যতা এবং দার্শণিকের তীর্থক্ষেত্র এই ইউরোপের তথা গ্রীক জাতি গোষ্টিকে ভাষা এবং কলম কালি কাগজের ব্যবহার শিখিয়েছিল ফিনিশীয় জাতি গোষ্টি।ফিনিশীয়রা ২২টা বর্ণ নিয়ে ব্যঞ্জনবর্ণ আবিষ্কার করলে গ্রীক দার্শণিকরা শ্বরবর্ণ জুড়ে দিয়েই আধুণিক ভাষালিপি পদ্ধতি শুরু করে।

এই গ্রীকদের কাছ থেকে বর্ণমালা  দ্বার করে আবার  ইতালীয়রা রোমান সভ্যতার বিস্তার ঘটায়।সভ্যতা বলি আর অসভ্যতা বলি একসময় ইতালী ছিল বিশ্বে প্রথম ক্ষমতাধর রাষ্ট্র।শুনতে অবাক বিশ্ময় লাগলেও ইতালী নামটাও গ্রীকদের দেওয়া।ইতালী শব্দের অর্থ চর্মাসার গরুর চারণভূমি।আবার গ্রীক নামটাও ইতালীয়দের দেওয়া।ইতালীয়ান শব্দ গ্রাসিয়া অর্থ ধন্যবাদ থেকে গ্রীক নামকরন হয়েছে।এটা নিয়ে অনেকেই কনফিউস বা দ্বিধাধন্ধে ভোগেন যে এই দুজাতির মধ্যে কোন সভ্যতা আগে বিকশিত হয়েছিল। রোমান সভ্যতা না গ্রীক সভ্যতা?এর যতাযত উত্তর হলো গ্রীক সভ্যতা।গ্রীক সভ্যতা আগে বিকশিত হলেও এই রোমানরা আবার দীর্ঘদিন গ্রীকদেরকে শাসন করেছে।এই সেদিন গ্রীকরা রোমানদের কাছ থেকে পুর্নস্বাধিনতা লাভ করেছে।আরো বিশ্ময়ের ব্যপার হলো প্রায় সারা দুনিয়া শাসন করা ব্রিটিশরাও রোমানদের কাছে একসময় পরাধিন ছিল। রোমানদের গড়া বস্তি লন্ডনিয়ম থেকেই আধুনিক লন্ডনের নাম করন হয়।

আমরা জানি যে প্রাচীন সভ্যতাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো মিশরীয় সভ্যতা। অর্থ্যাৎ ফ্যারাউনদের সভ্যতা।তারা ভাষা ব্যবহার করতো চিত্রলিপি ধারা।তারপর আসে সুমেরু সভ্যতাগুলোর নাম।এই অঞ্চলের ব্যবিলীয়রা ব্যবহার করতো কোণিকলিপি।ব্যবিলিয়ন রাজা হাম্মুরাবি সে যুগে কৌণিক শিলালিপিতে লিখা আবিষ্কিৃত ১৮০টি আইনের ধারা আধুনিক আইনেও তা প্রজয্য।

ক্যালডীয় সভ্যতার কর্নধার নেবুচাদ নেজার শূন্য আবিষ্কার করে আধুনিক ভাষা সাহিত্য ও বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রাকে তরান্মিত করে বিশ্ময় সৃষ্টি করে দিয়েছেন।ঘন্টা দিন সপ্তাহ পক্ষ মাস বৎসর সৌরজগতের মৌলিক ধারণা ও গ্রহ গুলি ক্যালডীয় সভ্যতারই আবিষ্কিৃত।তবে প্রচলিত বার মাসের ইংরেজি নামকরন করেন রোমানরা।

আমার কাছে সবচেয়ে আশ্চার্যের বিষয় হলো যে ইউরোপিয়ানরা কাগজ কলম কালির ব্যবহারই জানতো না, সে ইউরোপিয়রা কেমন করে আজ এত সভ্য হলো-? আমরা আরো দেখতে পাই যে রেনেসাঁর যুগে এসে আধুনিক সকল দার্শণিকের জন্ম হলো শুধু এই ইউরোপেই। বিশেষ করে ফ্রান্স, ইতালী এবং জার্মানীতেই।

আর আমরা বাঙ্গালী জাতি,আমাদের কৃষ্টি কালচার এত উন্যত থাকার পরেও আমরা পড়ে রলাম কোথায়-?আজ সমগ্র বিশ্বে আমরা অষ্টম বৃহত রাষ্ট্র হিসেবে সুপরিচিত।সারা বিশ্বে চড়িয়েচিটিয়ে আছে প্রায় ৩৫ কোটি বাঙ্গালী, কিংবা বাংলা ভাষাবাসি। আমাদের প্রতিবেশি রাষ্ট্রের অনেক ভাষার মধ্যে ব্যবহৃত হয় শুদ্ধ বাংলা শব্দ। আন্দামান নিকোভার লোকেরা বাংলা ভাষাবাসি।সমগ্র বিশ্বের বাংলা ভাষাবাসির মধ্যে অভিন্ন সোহর্দপুর্ন সম্প্রীতি অতি প্রয়োজন।এই বাংলা ভাষার জন্য আমরা রক্ত দিয়েছি যুদ্ধ করেছি এই ভাষার নামেই বাংলাদেশ নামকরণ করেছি। আসুন আমরা আমাদের প্রাণের প্রিয় এই বাংলা ভাষার প্রতি যতাযত সন্মানবোধ প্রদর্শন করি।সবাই সর্বক্ষেত্রে বাংলায় লিখিপড়ি কথা বলি।অমর হউক একুশ,অমর হউক আটই ফাল্গুন।জয় বাংলা।

                                                                                    ------ ফারুক

















Tuesday, February 13, 2018

রুপা ছিল আমাদেরই মেয়ে--!


সম্পর্ক-টা এল কিভাবে-?

আমি সব সময় নিজেকে প্রশ্ন করি, মানব সমাজের মাঝে এই যে পারিবারিক বন্দন বন্ধু বান্ধব রিস্তা কিংবা সম্পর্ক,এই সম্পর্কটা এল কি ভাবে? কেন বা এল? আসলেই কি দরকার ছিল সম্পর্কের?এই যে মা-বাবা, ভাই-বোন সন্তান সন্ততি, বিংবা স্বামী-স্ত্রির মত নৈসর্ঘিক একটা সুন্দর সম্পর্ক।
আমরা দেখতে পাই মানব সমাজে সম্পর্ক বা রিস্তা দু-রকমের হয়ে থাকে। একটা হলো রক্তের সম্পর্ক, আর অন্যটা হলো সম্প্রিতির মাধ্যমে। একে অপরকে দেখে শুনে ভালো লাগা থেকে ভালবাসা কিংবা প্রেম প্রিতীর মাধ্যমে সম্পর্ক হয়ে থাকে।মাঝে মধ্যে দেখা যায় রক্তের সম্পের্কের চেয়েও সম্প্রিতির সম্পর্কটা মহৎ হয়ে দাঁড়ায়।এমন কি সম্প্রিতির সম্পর্কের কাছে রক্তের সম্পর্ক তুচ্ছ প্রমাণিত হয়।অনেক সময় প্রচলিত আইনের উর্ধে উঠে আসে মানবিক সম্পর্ক।ভারতের সর্বোচ্চ আদালত এমন একটি বিশ্মকর ঘঠনার রায় দিয়েছে।

যে ভাবেই হউক সম্পর্কটা এসেছে মানব সমাজের মঙ্গলের জন্যই এসেছে।প্রেমপ্রিতী ভালবাসা পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা ও সন্মান করার এক অনন্য বহিপ্রকাশ হলো এই সম্পর্কটা।কিন্তু দুঃখের কথা হলো মানুষের এই সুন্দর সম্পর্কটা আজ আর অটুট নেই।এই সম্পর্কের সন্মান ধরে রাখতে মানুষ আজ চরম ভাবে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। মানুষের মাঝে আজ পরস্পরের প্রতি বিন্দু মাত্র সন্মান বোধ নেই।

যদি থাকতো আমাদের এই সমাজ ব্যবস্হাটা অন্যরকম হতো। প্রয়োজন হতো না গনতন্ত্রের সমাজ তন্ত্রের। প্রয়োজন হতো না আইন কানুন কোর্ট কাছারি পুলিশ থানা পাঁড়ির।মানব সমাজের মাঝে এই সম্পর্কের বৈশিষ্ট ভেঙে পড়ার কারণেই আজ সমাজের এই অবক্ষয়।এত খুন খারাবি ধর্ষন লুটের মত লোমহর্ষক ঘটনাবলি।
আজ টাঙ্গাইলের কালিহাতির মেয়ে রুপা হত্যার রায়ে চারজন ধর্ষককে আদালত সর্বচ্চ সাস্হি ফাঁসির  দিয়েছে। ফাঁসি কার্যকর অবশ্যই হবে।একটা জগন্য অপরাধের জন্য এই সাজাই তাদের প্রাপ্য।কিন্তু একটা সভ্য সমাজের জন্য এটা মোটেই কাম্য নয়।একটা প্রাণের জন্য চারজনের প্রাণ আজ চলে যাবে।এই পৃথিবীতে মানুষ আসেই বা কয়জনের জন্য।কেন মানুষ এমন কুৎসিত জগন্য ঘটনা গুলি ঘটায়?
সেদিন কি ঘটেছিল--?
ল-কলেজে পড়ুয়া মেয়েটি ঢাকা থেকে ছোঁয়া নামক পরিবহনের একটি বাসে করে বাড়ি ফিরছিল।পরিবারের অসচ্ছলাতার কারণে মেয়েটি একটি বিপনি বিতানে চাকুরি করে নিজের পড়ার খরচ চালাচ্ছিল,পাশাপাশি নিজের পরিবারকেও সহযোগতিা করে আসছিল।এমন সাহসি মেয়ে অবশ্যই প্রসংসার যোগ্য।পিতৃহার মেয়েটি বাসবর্তি বাসে করেই নির্ভয়ে যাচ্ছিল।কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস কালিহাতি পোঁছানোর আগ পর্যন্ত একে একে সব যাত্রি নেমে গেল মেয়েটি একা বসে আছে পিছনের সিটে।মেয়েটিকে একা পেয়ে বাসের ড্রাইবার হেলফার কন্ট্রাকটর পাঁচজন পুরুষ মিলে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে হত্যা করে জঙ্গলে লাশটি ফেলে চলে গেল। কি ভিবৎস একটি ঘটনা। পরদিন পুলিশ খবর পেয়ে বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে দাপন করে ফেলল।পত্রিকায় ছাবি দেখে রুপা নামের মেয়েটির ভাই তার বোন বলে সনাক্ত করে থানায় মামলা করলো।তারপর গন দাবিতে আদালত এই রায় দিল।
ধর্ষণের আগে মেয়েটি লম্পটদেরকে নিজের কাছেছ থাকা পাঁচ হাজার টাকা ও মোবাইল সেটটা দিয়ে বললো ভাই তোমরা এগুলি নিয়ে যাও, তবু তোমরা আমাকে অত্যাচার করোনা ভাই প্লিজ আমি খারাপ মেয়ে না। এই কুৎসিত লম্পটগুলি ভাই নামের রিস্তার দোহাইটার  একটুও মর্যাদা  রাখল না। ধিক্কার জানাই এই সব জানোয়ারদেরকে।
রুপা আমার আপনার মেয়ে, রুপা এই সমাজের এই রাষ্ট্রের মেয়ে। রুপাদের ইজ্জত  এই সমাজ রাষ্ট্রর ইজ্জত।রুপার ইজ্জত আমার আপনার সকলের ইজ্জত। সবার কর্তব্য রুপাদের ইজ্জত ও জীবন রক্ষা করার।এই সমাজ থেকে দুর করতে হবে।

 

ক্ষমতা ভয়ঙ্কর জয সঙ্কর--!



ক্ষমতা ভয়ঙ্কর জয় ভ্রাতা সঙ্কর--!তুমি আজ সর্বময় ক্ষমতার অধিকার,বঙ্গ-কে করতে পার ভঙ্গ ভঙ্গ আরেকবার। লোকে বলে বলুক তোমাকে কুলাঙ্গার, বলে বলুক দুর্নীতির বরপুত্র কিংবা খাম্বা চোর--তাতে কি ? ভ্রাতা সঙ্কর! রাজ তীলক লেগেছে তো কপোলে তোমার। অর্থে বীত্তে,সামর্থ্যে আদিপত্তে তুমি আজ স্বয়ম্ভর।জয় জয় ভ্রাতা সঙ্কর--!

সহীদের রক্তে ভেজা প্রবিত্র এই মাটির পরে আবার,অবাধে চলবে তোমার অবৈধ অস্ত্রের চোরা কারবার।হাওয়া ভবন খাওয়া ভবন কত বানাতে পারবে,ধ্বংশের নীল নকসা আরো কত আঁখবে।বেদাঁড়ার পক্ষে কি না সম্ভব?বৃকোদর পান্ডব,তুমি বড় ভয়ঙ্কর--!

১,বাংলাদেশে আজ চলছে ভয়ঙ্কর ক্ষমতার লড়াই। কিসের ক্ষমতা? রাষ্ট্র ক্ষমতা। শুধুই কি রাষ্ট্র ক্ষমতা? না না ভাই এর পিছনে আরো অন্য কিছু আছে। মানব সভ্যতার শুরু খেকেই মানব সমাজের মধ্যে যুগে ‍যুগে চলেছে এই ক্ষমতার লড়াই, ধন্ধ সংঘাত। রক্তাক্ত যুদ্ধ,রণক্ষেত্র কুরুক্ষেত্র কত কিছু আমরা পড়েছি দেখেছি শুনেছি, এমন কি দেখিতেছিও অবিরাম।

এখন মনে প্রশ্ন জাগা সাভাবিক যে এই লড়াই-টা কিসের জন্য--?

উত্তরটা হলো---লড়াইটা হলো তিন রকমের।১-,আদর্শের লড়াই, ২,- ক্ষমতার আদিপত্তের লড়াই।৩,সম্পদের লড়াই।

 

তিনটাই ভয়ঙ্কর জিনিস। এখানে মানুষের জান মালের সংসার সমাজ সম্পদ প্রতিষ্টান  রাষ্ট্রের এমন কি সভ্যতারও ভয়ঙ্কর পতন বা ধংশ হয়ে থাকে বেশি।

 

বাংলাদেশে আজ চলছে কেমন লড়াই-?

বাংলাদেশে আজ চলছে একদিকে আদর্শের লড়াই।অপর দিকে চলছে আদিপত্তের লড়াই। একদিকে চলছে হাসান হোসেনের সাথে সিমার এজিদের লড়াই। আদর্শ ও আদিপত্তের লড়াই।

১,--

বড় ভাই হাসান খালিফাত্ব  পেয়েও মাত্র ছয় মাসের মাথায় ক্ষমতাটা মুআবিয়ার হাতে চেড়ে দিলেন। কারণ ছিল হাসান দেখেতে পলেন সমগ্র আরব জুড়ে বহুর্মুখি লড়াই চলছে।মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর ইন্কোলের সাথে সাথে ঔনার দেহ মোবারকটার জানাজা ও দাপন ছাড়াই নব্য মুসলমানরা  নিজেদের মধ্যে নিজেরাই শুরু করছে এক ভয়ঙ্কর লড়াই।এই লড়াইয়ের কারণে হাসানের পিতা হযরত আলী রাঃ নিশংস ভাবে হত্যা হলেন । এক দিকে শিয়া বা আলী পক্ষ,অন্যদিকে শাশুড়ি আয়েশা পক্ষ,একদিকে খারেজি অন্য দিকে মুআবিয়া পক্ষ।চৌতুর্মুখি লড়াইয়ে প্রতিদিন হতাহত হচ্ছে অগনিত মানুষ।বিজ্ঞ ও বুদ্ধিমান হাসান ব্যপারটা বুঝে শুনে এই অনাঙ্খিত লড়াই থেকে দেশবাসিকে মুক্তি দেওয়ার জন্য ক্ষমতার মসনদটা চেড়ে দিলেন। কিন্তু ছোট ভাই হোসেন মোটেই মেনে নিতে পারলেন না। তার মধ্যে ছিল ক্ষমতা লাভের আকাঙ্খা।বড় ভাই হাসান অনেক বুঝালেন। তার পর ও হোসেন প্রায় দুআড়াইশ সাহাবী নিয়ে কুফা নগরির দিকে রওনা হলেন।মুআবিয়া পুত্র এজিদ এই খবর শুনে ঘোষনা করে দিলেন যে লোক হোসেনের কল্লা কেটে এনে দামেস্কের রাজ দরবারে  দিতে পারবে। তাকে একলক্ষ স্বর্নমুদ্রা উপহার দিবে। তার পরেরটা শুধু রক্তক্ষরণ আর রক্তাক্ত ইতিহাস।আমার সোভাগ্য হয়েছে দামেস্কো শহরে হোসেনের কল্লার মাঝার জিয়ারত করার ।

২,---উসমানি খালিফাত্ব প্রায় সাড়ে ছয়শত বছর জারি বা কায়েম ছিল।বর্তমান ৪০টি স্বাধিন রাষ্ট্র তৎকালীন উসমানি খালিফার অধিনে ছিল।৩০ জন খালিফা এই বিশাল খালিফাত্ব শাসন করেছিল।এই খালিফাদের মধ্যে সুলতান দ্বিতীয় মুরাদ শুধু ক্ষমতার লোভে তার  আঠার জন ভাইকে নির্মম ভাবে হত্যা করেছিল।আমার সোভাগ্য হয়েছে ইস্তানভুলে এই ১৮ ভা্ইয়ের  কবর জিয়ারত করার। সারি সারি হাতে বুনা কালিনে সাজিয়ে শোয়ায়ে  রাখা হয়েছে কবরগুলি।

৩,ক্ষমতার লোভে সোদিআরবের সবচেয়ে জনপ্রিয় বাদশাহ ফয়সলকে হত্যা করেছিল আপন ভাতিজা।

৪,ক্ষমতার লোভে নেফালের যুবরাজ আপন পিতামাতা সহ হত্যা করেছে পুরো রাজ পরিবারকে। এই তো সেই দিনের কথা। ২০০১ সালের জুন মাসের ঘটনা। রাজা বিরেন্দ্র ছিলেন নেপালের রাজতন্ত্রের ইতিহাসে সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজা। উত্রিশ বছরের যুবরাজ  গুলি করে নিজ পিতাকে হত্যা করে মৃতদেহের উপর বারবার লাথি মেরে ঘৃনা প্রকাশ করেছে জগন্য এই যুবরাজ।২০০৮ সালে এই রাজ পরিবারের বিলুপ্ত ঘোষনা করা হয়।এমন অসংখ ভুরি ভুলি ঘটনার কথা অকপটে বলা যায়।

৫,-শধু ক্ষমতার জন্যই ১৫ই আগষ্ট মোস্তাক জিয়া রশিদ ফারুক ডালিমচক্র জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে মানব ইতিহাসের সবচেয়ে ভিবৎস ঘটনার জন্ম দিয়েছে।এই হত্যাকান্ডের মাধ্যমে একটি গৌরবান্মিত জাতিকে চিরতরে কলঙ্কিত করা হয়েছে।এই হত্যা ছিল একটি আদর্শকে হত্যা করে ক্ষমতা দখল করার হত্যা।কিন্তু মুর্খরা কোনদিন ভাবেনি যে আদর্শের মৃর্ত্যু নেই।বঙ্গবন্ধু ছিলেন একটি পরিপূর্ন আদর্শ।এই আদর্শের একটি দার্শণিক ভিত্তি আছে।

 

আজ অনেকেই খুনি জিয়াকে বঙ্গবন্ধুর সাথে তুলনা করে। হায়রে  বেদাঁড়া বেত্তারা কোন নবী পয়গম্বরের সাথে যেমনি ফেরাউনের তুলনা করা চলেনা।তেমনি বঙ্গবন্ধুর সাথে জিয়ার মত একজন খুনির  তুলনা করা চলে না।

 

Saturday, February 10, 2018

বিএনপির নিষ্ঠুরতা রক্তাক্ত ২১ আগষ্ট!


খালেদা তারেক আর বিএনপির জগন্যতম নিষ্ঠুরতা, রক্তাক্ত ২১শে আগষ্ট--!
 
 
 
 
 

রক্তাক্ত ২১শে আগস্ট খালেদার নিষ্ঠুরতা

 পড়ে আছে লাশ আর লাশ!রক্তের মধ্যে ডুবে আছে ছিন্নভিন্ন হতাহত মানুষের লাশ,নারি-পুরুষ জোয়ান বুড়ো  হতভাগ্য মানুষের লাশ, বিশেষ করে তাদের পরিচয় ছিল তারা আওয়ামী লীগ নেতা কর্মিদের তাজা লাশ--!

বন্ধুরা কেন বলতে পারবে--?  কেন  মানব ইতিহাসের ভীবৎস এই নিশংস হত্যাযজ্ঞ?শুনলে তুমি অবাক্ হবে--!যেমনি সেদিন সমগ্র বিশ্ব অবাক্ হয়েছিল---!

কি ছিল আঃলীগের অপরাধ--?কেন এমন নির্মম হত্যাযজ্ঞ?

২০০৪ সালের ২১শে আগষ্ট বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার নেতৃত্ব দান কারি দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেত্রি জাতির জনকের কন্যা জননেত্রি শেখ হাসিনা সারা দেশে এক যোগে ৫০০শত বোমা হামলার প্রতিবাদে বিক্ষুব মিছিলের ডাক দিয়েছিলেন।তখন মিছিলের ডাকে সারা দিয়ে হাজার হাজার নেতাকর্মির সমাগম ঘটে প্রবিত্র মসজিদ বাইতুল মোকারমের সামনে। সেখানে শেখ হাসিনা ট্রাকের উপর দাঁড়িয়ে মাত্র ২০ মিঃ সংখিপ্ত বক্তৃতা দেন। বক্তুতা শেষে সবাই যখন মিছিলে যেতে উদ্যত ঠিক তখনই বিএনপি জামায়াত শিবিরের ক্যাডাররা পর পর ১৩টা অস্ট্রিয়ার তৈরি আর্সেস গ্রেনেট বোমা নিক্ষেপ করে। শক্তিশালি এই ১৩টা বোমার মধ্যে ১১টা বিস্ফোরিত হয়, বাকি ২টা  অবিস্ফোরিত পাওয়া যায়। সাথে সাথে বোমার বিস্ফোরণে প্রকম্পিত হয়ে রক্তাক্ত রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।তাদের উদ্দেশ্য ছিল শেখ হাসিনাকে হত্যা করে পুরো আওয়ামী লীগকেই নিশ্চিন্ন করে দেওয়া।মহান আল্লাহর কি অসাধরণ রহমতের কুদরৎ নেতা কর্মিরা মানব ডাল দিয়ে শেখ হাসিনাকে সেদিন বাঁচিয়ে রাখেন।কিন্তু ঘটনাস্হলেই প্রাণ হারান ১৪ জন জিন্দা মানুষ। বাকিরা সব পরে মারা যায়।প্রিয় বন্ধুরা তখন ঘড়ির কাঁটায় বাজছিল ৫টা২২ রোজ সনিবার।

সেদিন যারা মারা যান--তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রি আইভি রহমান।দেড় বছর পরে মারা যান ঢাকার প্রথম মেয়র হানিফ।মোট ২৪জন মারা যান আর আহত হন ৫শতাধিক।

 

 কেন তাদেরকে এমন নিষ্ঠুর ভাবে হত্যা করা হলো---!

বন্ধুরা তোমরা জানো নিশ্চয় ২০০১ সালে গনতান্ত্রিক পক্রিয়ায় জাতীয় নির্বাচনে কোন দলই একক ভাবে সংখ্যাগরিষ্ট লাভ করতে পারেনি। তাই আঃলীগ বা বিএনপি দুদলেরই জামায়াত এর সার্পটের দরকার পড়ে। অথ্যাৎ জামায়াত ছাড়া কেহই সরকার গঠন করতে পারেনা।তখন তথ্যাবধায়ক সরকারের রাষ্ট্রপতি ছিলেন বিচারপতি সাহাবউদ্দিন,এমন কি শেখ হাসিনা তাকে বিশ্বাস করে তাকে পাঁচ বছরের জন্য রাষ্ট্রপতি বানিয়েছিলেন। মফস্বলে বেড়ে উঠা জামায়াত ঘেঁসা এই রাষ্ট্রপতি তড়িগড়ি করে বিএপির সাথে জামায়াতের জোট গঠন করায়ে বিদায় নিলেন।তারপর জামায়াতের বড় বড় রাজাকারকে খালেদা জিয়া মন্ত্রি বানায়ে স্বাধিন বাংলাদেশের পতাকা উঠায়ে দিয়ে শুরু করে দিলেন সারা দেশে অরাজকতা।জঙ্গিবাদ জিএমবির উত্থান,দ্রব্যমুল্যের উর্দগতি,খালেদার কুপুত্র তারেক হাওয়া ভবন বানিয়ে

ক্ষমতাকে বিকেন্দ্রিয়  করে শুরু করে দিলেন লুটপাটের মহাউৎসব। স্বাধিন বাংলাদেশের শহীদের প্রবিত্র রক্তে ভেজা মাটি ব্যবহার করে শুরু করে দিল  অস্ত্রের চোরা ব্যবসা,১০ ট্রাক অস্ত্র এক ট্রাক বুলেট বারুদ  ধরা পড়া বোমাবাজি সারা দেশে এক অরাজকতা সৃষ্টি করলো তারা।  সমগ্র দেশে একদিনে ৫০০ শত বোমা হামালা করে হতাহত করেছে শত শত নিরীহ মানুষকে। বাংলা ভাই জিএমবি সবি এই জোট সরকারই সৃষ্টি করেছিল বিরোধি মতাদর্শের মানুষকে হত্যা করে নিঃশেষ করে দিতে।রাজাকার মন্ত্রি নিজামীকে সেদিন সাংবাদিকরা জিজ্ঞাস করলে সে উপহাস করে বলে বাংলা ভাই জঙ্গি এইসব মিডিয়ার সৃষ্টি।তারা সেসময় সার বিদ্যুতের দাবিতে ২৬জন মানুষকে গুলি করে হত্যা করলো এই রাজাকার জোট সরকার। মুলতঃ-এই সবের বিরুদ্ধে মানুষের জান মালের হেফাজত ও গনতন্ত্রের দাবিতে বিক্ষোব  মিছিলের ডাক দিয়েছিল মাটিও গন মানুষের দল আওয়ামী লীগ।

 

২১শে আগষ্টের হত্যাযজ্ঞ ডাইনী খালেদার বর্বরতা

 

 

 

 
 
 

 
 
 
 
 
 

 
 
 
 
 







Tuesday, February 6, 2018

পূর্নগনতন্ত্র প্রতিষ্টা করতে হলে---


বাংলাদেশে পূর্নগনতন্ত্র প্রতিষ্টা করতে হলে---

(১)  প্রথম  হলো সুশাসন প্রতিষ্টা করতে হবে---
একটা আদর্শ রাষ্ট্রে পূর্ন গনতন্ত্র প্রতিষ্টিত করতে হলে প্রথমেই সুশাসন প্রতিষ্টা করতে হবে।আইনের চোখে সবাই সমান এ কথাকে সত্য প্রমান করতে হবে স্বাধিন বিচার বিভাগের মাধ্যমে।এখানে দল প্রতিষ্টান ব্যক্তি বিশেষ কিংবা সরকার কেহই প্রভাব খাটাতে পারবে না।আইনজিবীরা আদালতের বারান্ধায় মিছিল মিটিং শ্লোগান কিংবা দৈহিক বল প্রয়োগের মাধ্যমে নয়,জ্ঞান প্রজ্ঞা বুদ্ধি খরচ করে যুক্তি তর্কের মাধ্যমে ভিকটিমকে ন্যায় বিচার দিয়েই গনতন্ত্রকে সমুন্নত করতে হবে।

(২)বাক্ স্বাধীনতা---
স্বাধীন দেশে দলমত ধর্ম গোত্র গোষ্টি সবার সার্বিক ভাবে বলা ও লেখার মধ্যে মত প্রকাশের স্বাধীনতা  থাকতে হবে। তবে কেউ কাউকে হেয় প্রতিপন্ন করে নয় কটুক্তি করে নয়,। কেউ কারো ধর্মানুভূতিতে আঘাত দিয়ে নয়।স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে পরস্পরের প্রতি সাম্যমৈত্রি সোহর্দ্যপুর্ন সন্মানবোধ থাকতে হবে।তবে সকল অন্যায় অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ প্রতিবাদ করা যাবে নিয়মতান্ত্রিক শান্তিপুর্ন ভাবে। আমাদের সংবিধানে বাকস্বাধিনতার কথা লেখা আছে।

(৩)জবাব দিহীতা----
সরকারি বেসরকারি প্রশাসন (থানা আদালত,) মিল কারখানা ব্যবসায়িক প্রতিষ্টান এমন কি ব্যক্তি বিশেষ সবাইকে তার কৃতকর্ম কিংবা তার উৎপাদন ভোগ্য পন্যের সুনির্দিষ্ট ও স্পষ্ট জবাব দিহীতা অত্যান্ত জরুরি।সাধারণ নাগরিকের সবকিছুর ভালো মন্দ জানার অধিকার আছে।

(৪) দ্বায়বদ্ধতা------
রাষ্ট্রিয় বা সরকারি সকল কর্মি কর্মকর্তা থেকে শুরু করে এমপি মন্ত্রি মিনিস্টার আমলা এমন কি প্রত্যেক নাগরিকের নিজ নিজ অবস্হান থেকে সুনির্দিষ্ট দ্বায়বদ্ধতা আছে রাষ্ট্রের কাছে। সবাই নিজ নিজ অবস্হান থেকে এই দ্বায়বদ্ধতা  পালন করে সুনাগরিক হয়ে দেশের সেবা ও সহযোগিতা করতে বাদ্য  থাকিবে।

(৫)ধর্মীয় স্বাধীনতা-----
ধর্ম একটা স্পর্শকাতর জিনিস। ধর্ম কি-?কেন--?কেমন করে এল--?ধর্মের পক্ষে বিপক্ষে অনেক যুক্তিতর্ক আছে, এটা সচেতন মানুষ সবাই কম বেশি জানে। পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষ জান প্রাণ দিয়ে ভালোবাসে নিজ নিজ ধর্মকে।সুতরাং কেউ কারো ধর্মানুভূতিতে আঘাত দেওয়া সমিচিন বা উচিৎ হবে না। প্রত্যেক ধর্মেরই নিজস্ব নিয়ম নীতি কায়দা কানুন আছে।সব ধর্মালম্বিদের খেয়াল রাখতে হবে বাংলাদেশ পরিচালিত হচ্ছে রোমান ও বৃটিশ ল-বা আইনের মাধ্যমে।ইসলাম ও হিন্দু ধর্মেরও মৌলিক বা প্রথাগত ওগ্রহনযগ্য দুতিনটি আইন সংযোগ করা হয়েছে। অবিশ্বাস্ব গোঁড়ামি কিংবা ফতুয়াবাজি সালিসি বিচার কোনমতেই গ্রহনযগ্য নয়।

(৬)সংবাদ মাধ্যমের স্বাধিনতা----
সংবাদ মাধ্যম সম্পুর্ন দেশ ও জনগন কেন্দ্রিক হয়ে স্বাধিন থাকার কথা,কিন্তু এই স্বাধিন সংবাদ মাধ্যম আজ দল ও বিজ্ঞাপন কেন্দ্রিক হয়ে  তার বিশ্বস্হতা হারিয়েছে। বস্তুনিষ্ট সংবাদ আজ কেউই প্রকাশ করে না। তাই কোন সংবাদকেই আজ আর বিশ্বাস করা যায় না। তাজা আর গরম গুরত্বপুর্ন যে ভাবেই হউক না কেন। এটা আমাদের একটা দুর্ভাগ্যও বটে।
 আজকাল শুধু বাংলাদেশে নয় সমগ্র বিশ্বেই সংবাদ মাধ্যম বেশির ভাগই মিডিয়া নিয়ন্ত্রিত বা নির্বরশিল। সরকার কিংবা রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত খুবি কম দু একটা। সে হিসেবে সংবাদ মাধ্যম যেমনি অনেক অনেক তেমনি সংবাদ কর্মি বা সংবাদিকের সংখ্যাও লাখ লাখ।এদের মধ্যে বেশির ভাগই কম শিক্ষিত যাদের কোন প্রকার সাংবাদিতার ডিগ্রি বা সার্টিপিকেট নাই।সংবাদিকরা একটি খবর পরিবেশন করে যেমনি দেশ ও জাতির মহৎ উপকার করতে পারে, তেমনি ছোট্ট একটি খবরের মাধ্যমে দেশে আগুন লাগিয়ে দিয়ে দেশ ও জনগনের ক্ষতি কিংবা অপকারও করে দিতে পারে।সুতরাং সেই দিকে সবার খেয়াল রাখতে হবে।
 

অজ্ঞসব জনপ্রতিনীধি,

সত্যই শক্তি, সত্যই সুন্দর,