Monday, June 27, 2022

জিজ্ঞাসা???


(১) জিজ্ঞাসাঃ- এই সুন্দর পৃথিবী, চাঁদ সুরুজ আশমান জমিন পাহাড় পর্বত নদ নদী পশু পক্ষী গাছপালা জ্বীন ইনসান ফেরেশতা ভূতপ্রেত সবি তো একজন মহান সৃষ্টিকর্তা সৃষ্টি করেছেন, তাহলে সবকিছু আজ মানুষের হাতে নিদন বা ধংশ হচ্ছে কেন?

(২)জিজ্ঞাসাঃ- যদি আঠারো হাজার মাকলুকাতের মধ্যে মানুষ সৃষ্টির সেরা হয়ে থাকে তাহলে নিঃকৃষ্ট প্রাণী শুকুর আর কুকুর রা যে কাজ ভুলেও কোনদিন করে না, সৃষ্টির সেরা জীব হয়ে মানুষ কেন সেই নিঃকৃষ্ট কাজটি বেশি করে? পুরুষ কেন পুরুষের সাথে নারী কেন নারীর সাথে যেনা করে?

(৩)জিজ্ঞাসাঃ- পরিবার পৃথিবীর একটি আদি সংস্হা, মা-বাবা ভাই-বোন দাদা-দাদিকে নিয়ে এক সময় মানব জাতির মধ্যে গড়ে উঠেছিল একান্নবর্তি  পরিবার, আমরা যাকে বলে বেড়াতাম সোনার সংসার! সেই সংসারে আজ পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি অমান্তি কেন?


জিজ্ঞাসাঃ-

Saturday, June 25, 2022

হায়ঃহায়ঃ পার্টির যত নেতা...



(এক) ডঃ কামাল হোসেন সাহেব!- যার পূর্ব পুরুষ এই উপমহাদেশে  ধর্ম প্রচারের নামে এসে জমিদারের কোঁৎপাল বা গোলামী হিসেবে চাকুরি করতো।যাদের একমাত্র কাজ্ ছিল গরিব কৃষক প্রজার পিঠে চাবুক চালিয়ে খাজনা উসুল করে জমিদারের তেজুরি ভর্তি করা।ইংরেজ বেনিয়াদেরও একটু সুনজর ছিল এদের প্রতি।কারণ খাজনা টেক্সের একটি অংশ তাদের পকেটেও যেত।    
কালের বিবর্তনে  জমিদারি প্রথা বিলুপ হলে এরা ভালো মানুষের মুখোশে স্হানিয় জনগনের সাথে মিশে যায়।শহরের বসবাস করার কারণে এরা ধনিক উচ্চবিত্তের সাথে মিশে সখ্য গড়ে তোলে।যার ধরুন এরা লেখা পড়া করারও


সুজোগসুবিধা পায় একটু বেশি।
ডঃ কামাল হোসেন ও সে রকম একজন। মেধাবি ছাত্র না হলেও খ্রিষ্টান মিশনারি স্কুলের প্রথম বেইছের ছাত্র হিসেবে বৃত্তি দিয়ে মিশনারি কতৃপক্ষ তাকে বিদেশে পাঠায়।আমেরিকা ও ইংল্যান্ডে তিনি উচ্চশিক্ষা ও আ্ইন পেশায় ডক্টরেট ডিগ্রি নিয়ে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে কয় বছর প্রফেসারিও করেন।পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু তাকে ভালো এবং মেধাবী মনে করে রাজনীতিতে টেনে আনেন। রাজনীতি শেখান।স্বাধীনতার পরে তরুন কামাল হোসেনকে জাতির পিতা পররাষ্ট্র মন্ত্রিও বানান। এমন কি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সংবিধান প্রণয়ের সময় ৩৪ জন বিজ্ঞ বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রধান নিযুক্ত করেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর বিশ্বস্হ হিসেবে শুধু বাঙ্গালী নয় বিশ্ববাসীর কাছেও পরিচিত ছিলেন।
 সেই কামাল হোসেন নাকি বঙ্গবন্ধুর নিঃশংস হত্যার পর বঙ্গবন্ধুর এতিম দুকন্যার উপর থেকে মুক ফিরায়ে নিয়ে না চেনার বান করেন। তবু জাতির জনকের কন্যা পিতার সহকর্মি হিসেবে দলে আঁকড়ে ধরে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন।৮৬ সালে তাকে প্রেসিডেন্ট পদে দাঁড় করিয়ে ছিলেন।কিন্তু এই কামাল হোসেন শুধু আওয়ামীলীগের সাথে নয় অসহায় বঙ্গবন্ধু কন্যার সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করে আরেক পাপি ডঃ ইউনুসের প্ররোচনায় ১৯৯২ সালের ১৮ই জুন গন ফোরাম নামে একটি দল গঠন করেন।আওয়ামী লীগের ত্যাগি নেতা মহসিন মন্টুসহ অসংখ্য নেতা কর্মিকে লোভ দেখিয়ে দলে ভিড়ান।
সেইদিন দলের মৌখিক গঠনতন্ত্র কামাল হোসেন প্রকাশ করলেও লিখিত ভাবে ডঃ ইউনুস সাহেবই অনেক কিছু প্রকাশ করে দেন।তাদের দুইজনেরই উচ্চাকাঙ্খা ছিল রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করা এবং রাষ্ট্রপ্রধান হওয়া।নিয়তির কি নির্মম পরিহাস ডঃ কামাল হোসেনের থুবড়ে পরা মুখের মতই আজ তার দল গন ফোরামও আজ থুবড়ে পড়েছে। দল ভেঙে টুকরো টুকরো হয়েছে। গনফ্রন্ট, জাতীয়ফ্রন্ট নামে কি কি দল উপদল নাতি সৃষ্টি হয়েছে।
আপছোসঃ এই গুনিন যদি আজ আওয়ামী লীগে থাকতেন, তাহলে হয় তো রাষ্ট্রপতি কিংবা গুরুত্ব পদে আসিন থাকতেন। জাতীও উপকৃত হতো।
বলা বাহুল্য তিনি আজ হায়! হায়! আর যায়! যায়! পার্টির নেতা।কাম্যনয় তবু যেন প্রস্হান হলেই জাতি বাঁচে...?











(দুই) বঙ্গবীর কাদের ছিদ্দিকীঃ-

          ক্রমশঃ

স্বপ্নের পদ্মা সেতুকে নিয়ে গান..







(এক) দেখতে দেখতে হয়ে গেল স্বপ্নের পদ্মা সেতু/
বিশ্বাবাসী দেখলো আজ আমাদের উন্নতির ধুমকেতু//
জয়তু শেখ হাসিনা, জয় তু....

আজ আর কোন স্বপ্ন দেখা নয়, আজ হলো বাস্তবতা/
স্বাধীনতার পরে এ যেন আরেক অর্জিত স্বাধীনতা//
যৌগ্য পিতার যৌগ্য কন্যা, বঙ্গ মাতার বঙ্গ কন্যা,
শেখ হাসিনা শেখ হাসিনা- জয়তু শেখ হাসিনা জয়তু.....

হে নেত্রি তোমার অদম্য শাহস আর মনোবলে-
রাজনৈতিক প্রজ্ঞা আর কলা কৌশলে-
সর্বগ্রাসী পদ্মার সংজ্ঞা দিলে,
লক্ষকোটি মানুষের ভাগ্য বদলে -- 
অনন্যা তুমি অনন্যা, জয় তু শেখ হাসিনা, জয়তু.....




(দুই) মন জুড়ায়ে যায় রে আমার, প্রাণ জুড়ায়ে যায়/
সর্বনাশা কির্তীনাশী নদীর উপর আজ স্বপ্নের পদ্মা সোভা পায়//
ও রে ও নীচে করছে নীল জলে থৈ থৈ/
আমি উপরে বসে মুগ্ধ হয়ে রই//
বলাকারা মেলছে ডানা আকাশে/
শান্তির পায়রা পত পত উড়ছে বাতাসে//
চারিদিকে মানুষ আজ ভাসছে খুশির বণ্যায়....

কি সুন্দর অপূর্ব পানোরমা মনোরম পরিবেশ/
এ যেন বাংলার ভিতরে জন্ম নিল আরেকটি বাংলাদেশ//
প্রসাড়িত গর্ব আজ পোঁছেছে সুমহান উচ্চতায়/
মর্যাদার মুকুট আজ সোভা পায় বাঙ্গালীর মাথায় মাথায়...

Friday, October 22, 2021

কুখ্যাত খুনি জিয়ার দল মানেই হুজোগ গুজোব আর মিথ্যাচারঃঃ!

         


 ঠান্ডা মাথার দু খুনি যারা বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট হয়েও হত্যার নীল নকশা আঁকেন



                                                                                                                                                                   
 বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি থেকে সামরাজ্য বাদী ইউরো মার্কিনীরা কমিউনিষ্ট ধমনের নামে বিশ্বব্যপি দেশে দেশে
বিশ্ব চ্যম্পিয়ান বক্সার মোহাম্মদ আলীকে মিলিয়ন ডলার দিয়ে দেশে
এনে সান্মানজনক নাগরিকত্ব দিয়ে ধর্ষিত গনতন্ত্রকে দোর রা মারলেন খুনি জিয়া...



রহস্যজনক ব্যপার হলো এই সব স্বৈরচাররা অনেকেই ছিল পিতৃমাতৃ পরিচয়হীন এমনকি কেউ কেউ জারত সন্তান বা বার্স্টেডও।
কঙ্গোর স্বৈরশাসক মবুটো কিংবা চিলির পিনোচেট পিলিপাইনের ইমানুয়েল মার্কোশ এর মত সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশেও নিম্ন শ্রেণীর দুই স্বৈরশাসকের উত্থান ঘটিয়েছে।বাঙ্গালীর ভাগ্যটা একটু ভালোই বলা যায়, এই কূখ্যাত বিখ্যাত দুই স্বৈরচার জিয়া এরশাদের যেভাবে উত্থান ঘটলো ঠিক সেই ভাবেই পতন ঘটে গেল। নিয়তির কি অসাধরন বিচার। তবে জনগনের ফিৎরা যাকাত ও রিলিপের টাকা মেরে তাদের গড়া দলগুলি আজ বাজারে জেলের ঢালায় টেংরা মাছের মত ক্যঁকূঁ ক্যঁকূঁ করছে।অদুর ভবিষ্যতে হয়ত বিশ্বের অন্যসব স্বৈরচারদের গড়া দলগুলির মতই বিলুপ্ত হতে বাদ্য হবে।সেদিন হয়তো বেশি দুরে নয়,।আল্লাহর গজব নামে তো একটি শব্দ আছে।
বেএনপির যত কূতর্ক...
(এক) নিম্ন শ্রেণীর স্বৈরচার জিয়ার মির্ত্যুর পর বিএনপির মাথা মোটা পরিত্যক্ত দলসুট যুদ্ধাপরাধি কুলাঙ্গার এবং নাস্তিক  নেতারা যারা কাফের ইহুদী নাসারার চেয়েও অধম্য এবং নিম্নমানের, তারাই প্রথামে কুতর্ক তোলে বাঙ্গালী না বাংলাদেশি?
(দুই)জিয়া স্বাধীনতার ঘোষক! জিয়া মরার দেড় যুগ পরে এসে তার এই শব্দটি শুধু ব্যবহার করছেনা বরঞ্চ অবলিলায় বলে বেড়াচ্ছে।
(তিন) মর্মান্তিক ১৫ই আগষ্ট খালেদার অনারম্বর ভূয়া জন্মদিবস পালন! এই ভূয়া জন্মদিন ১৯৯৬ সালের পর থেকে চালু করেছে, পরে প্রমান হলো তার জন্ম তারিখেরই ঠিক নাই। তিনটা জন্ম তারিখ পাওয়া গেছে, কি ভয়ঙ্কর হাস্যকান্ড!
(চার) জিয়াউর রহমানের নামের আগে একঘেঁয়েমি ভাবে শহীদ ব্যবহার করা!প্রকৃত শহীদকে শহীদ বলা ইসলাম ধর্মে জায়েজ আছে, কিন্তু একজন খুনিকে যদি আরেক খুনিরা খুন করে থাকে তাহলে তাকে শহীদ বলা কবিরা গুনাহের নামান্তর। এটা ইসলাম ধর্মের কোন কিতাবে নেই।
(পাঁচ)জিয়াউর রহমানের কবরকে মাঝার বলা! যদিও কবরে জিয়ার লাশ আছে কিনা তা নিয়ে অকাট্য বিতর্কের অবতারনা আছে।
তারপরে আছে নানা ধরণের প্রপাগান্ডা, তার উপর সকল মিথ্যা প্রপাগান্ডাকে সত্য প্রতিষ্টা করার জন্য কুতর্ক করা, ইসলামের লেভাস ধারি যুদ্ধাপরাধিকে সাথে নিয়ে জ্বালাও পোড়াও করে দেশের মূল্যবান সম্পদ নষ্ট করা নিরীহ  মানুষ হত্যা করেও তারা পার পেয়ে যায়।
 জোর করে  ক্ষমতা দখলদার স্বৈর জান্তা জিয়া শুরু থেকেই গুজব প্রপাগান্ড চড়িয়ে অসহায় জাতিকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রেখেছিল। তিন বছর তো জনগনকে কথাই বলতে দেয়নি, আয়ূবের আদলে মার্শাল, ল দিয়ে তিনজন মানুষকে একসাথে দেখলেই বেত্রাঘাত কিংবা জেলে ঢুকিয়েছে, নির্যাতন করেছে।রাজনৈতিক কার্য কলাপ সম্পূর্ন ভাবে নিষিদ্ধ করে দিয়ে নিজেই রাষ্ট্রপতি সায়েমকে বন্দুক ঠেকিয়ে গদি দখল করে হাঁ-না ভোট দিয়ে নিজেই রাষ্ট্রপতি বনে যান।তারপর তিনি পাকিস্তানি স্বৈরচার আয়ূবের পদাঙ্ক অনুসরন করে ভেসিক গনতন্ত্রের নামে শুরু করেন নানা প্রপাগান্ডা।

প্রথমে হ্যাঁ-না ভোট তারপর গনসংহতি, তারপর জাগদল, তারপর জাতীয়তাবাদী দল ঘটন করে উর্দুভাষি এই স্বৈরচার বাংলা না জানার কারণে যাদুর মিঞার নির্দেষে টি সার্ট ও কেপ পরে পাম মেশিনের পাশে বসে  ছবি তুলে জনগনকে বোকা বানালেন। তার পর সারা দেশে একজেবিশন চালু করে মাসের পর মাস প্রিন্সেস লাকী খান জরিনা খানের নর্তকী ও বেশ্যাদের দিয়ে নগ্ন অর্ধ নগ্ন নাচিয়ে  জুয়া মদ হাউজি চালু করে  জনগনকে ভুলিয়ে ভালিয়ে রাখলেন। তারপর মিলিয়ন ডলার দিয়ে বক্সার মোহাম্মদ আলীকে এনে ঢোল ডাল বাজিয়ে গনতন্ত্রের ফেরি করলেন। তারপর আবার তিনি প্রথমে হ্যাঁ না ভোটের আয়োজন করে নিজেই রাজা নিজেই রাষ্ট্রপতি আবার সেনাপতিও বনে গেলেন।
তার কিছুদিন পর আবার তিনি বহুদলিয় গনতন্ত্রের নামে নির্বাচন দিয়ে রাজকোষের কোটি  কোটি টাকা খরচ করে আলীম জালিম নকসাল সর্বাহারা ও যুদ্ধাপরাধির খুনিদের  ধরে এনে প্রেসিডেন্ট পদে আশি ৮০ জনকে দাঁড় করিয়ে দিলেন। তিনি জানতেন পাশ তো তিনি নিজেই করবেন।বিশ্বকে জানালেন তিনি বহুদলীয় গনতন্ত্রের প্রবক্তা।

জিয়ার করুন পরিণতির পর তার  অনাসারী বিভিন্ন দলচুট বেশ্যা ও বেয়াদপ শ্রেণী জিয়ার মতই হুজোগ গুজোব মিথ্যাচার ও কূতর্কে লিপ্ত হলো।  


                                         ...ক্রমশ

Saturday, July 24, 2021

প্রবাসীর জীবন কথা...



প্রাণপ্রিয় জননেত্রি, সংগ্রামি বঙ্গ কন্যা, শেখ হাসিনা,
সুদুর প্রবাস জার্মানীর একটি ছোট্ট  শহর থেকে আপনাকে জানাচ্ছি আমার বাঙ্গালী সালাম, আশা করি আপনি সাদরে গ্রহন করিবেন।
প্রিয় নেত্রি পৈত্রিক সামর্থ্যে এবং নিজের দীর্ঘ জীবনের আন্দলনে সংগ্রামে যোগ্যতা এবং বহুবিদ অভিজ্ঞাতার আলোকে সামগ্রিক ভাবে সোনার বাংলাকে আপনি যেই সোনালী সোপানে নিয়ে গেছেন, তা বর্ণ সঙ্কর আর রক্ত সঙ্কর জাতি স্মরন রাখুক বা না রাখুক, আমি কিন্তু নিশ্চিত আপনি ইতিহাসের পাতায় অমর হয়ে থাকবেন।ইনশাল্লাহ!
মাননীয় নেত্রি জাতির জনকের অসমাপ্ত কাজকে সমাপ্ত করার লক্ষে আপনি অশুভ শক্তির সকল রক্ত চক্ষুকে উপেক্ষা করে দৃঢ় প্রত্যয়ে ইস্পাত কঠিন  মুষ্টিবদ্ধ হাতে জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তা আমাদের জন্য শিক্ষনিয় এবং অনুকরনিয় হয়ে থাকবে চিরদিন। যদিও কিছু গাঁজাখোর মদখোর এবং বিদেশী দালাল চক্র পিছনের দিকে টানছে অবিরত। 
প্রিয় নেত্রি, আমি আপনার অনুরক্ত ভক্ত। আপনি ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই আপনার লেখা বই গুলি পড়ে আমি জেনেছি যে আপনি  দুরদর্শি জ্ঞানের এবং অসাধরণ গুনের অধিকারি।
প্রিয় নেত্রি, আমি জীবনে প্রত্যক্ষ ভাবে আপনাকে একবারই দেখেছি মাইজদী শহীদ ভূলো স্টোডিয়ামে।একি স্টোডিয়ামে জাতির জনককেও আমি দেখেছি একবার। খুব কাছ থেকেই দেখেছি।সেদিন আপনার কষ্ট ভরা কথা শুনে যেমনি  আমার কিশোর দু চোখের কোনে দিয়ে গড়িয়ে পড়েছিল মোটা মোটা অশ্রু পানি,ঠিক তেমনি জাতির জনকের মুখে  সেই ৭২ সালে উচ্ছাসের কথা শুনেও আমার মত আফ্লুত হয়েছে লক্ষ লক্ষ মানুষের দু নয়ন।
 প্রিয় নেত্রি, আপনি এ যাবত বহু পুরুষ্কার এবং উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন,তন্মধ্য্যে আমার কাছে শ্রেষ্ট মনে হয়েছে মানবতার মা উপাধিটা।সত্যিই মানবতার সকল গুনাবলি আপনার মধ্যে নিহিত আছে।
পুরুষ্কার এবং উপাধি দুটো জিনিসই মানুষকে আরো বেশি মহত এবং উদার করে তোলে।সে খেত্রে আপনি হয়েছেনও আরো মহান।
প্রিয় নেত্রি এই রুঢ় সত্য কথা গুলি বলার মুল উদ্দেশ্য হলো প্রবাসীর জীবন কথা নিয়ে কিছু কথা আপনাকে শুনানোর অভিপ্রায়। আমার অন্তরের এই   হৃদয় নিগড়ায়ে বলা কথা গুলি নিশ্চয় দুদিন পরে হলেও আপনার কানে পোঁছবে। যদি কোন মতে আপনার কানে পোঁছে প্লিজ বিবেক দিয়ে একবার বিবেচনা করে দেখবেন, এবং যদি পারেন ব্যবস্হা নিবেন।মনে রাখবেন মানুষ কেবল হৃদয় দিয়েই সত্য বলতে পারে।
প্রিয় নেত্রি দীর্ঘদিন প্রবাস থেকে গত নভেম্বরে আমি দেশে গেলাম।উদ্দেশ্য ছিল কয়বছর পরে পেনশনে যাব দেশে গিয়ে বাঁকি জীবনটা কাটিয়ে দেব।যে দেশের মাটিতে ঘুমিয়ে আছেন মা বাবা স্বজন পরিজনসহ লক্ষ লক্ষ শহীদান,
সে দেশের সাথে তো আর বেঈমানী করা চলেনা।কিন্তু এবার আমি দেশে গিয়ে আমাদের প্রিয় বৈচিত্র ময় দেশের বাস্তব চিত্র   দেখে আমি বিশ্ময়ে হয়েছি বিমূঢ়।
মাননীয় প্রধান মন্ত্রি  একদিকে দেশের উন্নতি হয়েছে ঠিকই, আরেকদিকে হলো দেশের চরম অবনতি।সরকারি বাবুদের নৈতিক স্খলন।সমাজের অবক্ষয়, আইন শৃঙ্খলার অবনতি সেবা মুলক মৌলিক প্রতিষ্টান সমূহের ঘুষ দুর্নীতি, অসদ আচরন, অফিস আদালতে পিয়ন থেকে মেথর মালিরাও আজ সাধারন জনগন এবং প্রবাসিদের সাথে কি ভয়ঙ্কর দাম্ভিাকতা দেখায়। তার উপর গড়ে উঠেছে দালাল চক্র, তারও উপর আবার মাস্তান চক্র।এদেশে আজ খাবার রুটি কিনতে হলেও দালাল লাগে।
প্রিয় নেত্রি আমি ভূক্তভোগি হয়ে আজ একে একে কয়েকটি ঘটনার অবতারনা করছি, শুনুন---
প্রথমে আসি মাইজদী পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ব্যপারে।আমি গত নভেম্বরের বিশ তারিখে  বাংলাদেশে যাই।মাইজদী জেল রোডে আমাদের চৌদ্দ পুরুষের ভিটে বাড়ি।আমাদের এলাকার সাধারণ মানুষের বাড়ি এবং খেতি জমিনে নির্মিত হয়েছে মাইজদী পুলিশ লাইন জেল খানা আধুনিক সদর হাসপাতাল, বিদ্যুৎ অফিস হাউজিং সেটেলমেন্টর ভবন গুলো।
আয়ূব থেকে মেজর জিয়া পর্যন্ত সবাই আমাদের ভিটেমাঠি জবর দস্তি হুকুম দখল করে আমাদেরকে ভূমির ন্যর্য্য মূল্য নাদিয়ে এক বাড়ির মানুষকে চৌদ্দ বাড়ি করেছে।অনেকে হয়েছেন ভূমিহীন।যতটুকু দিয়েছেন তাও তিন কিস্তিতে দিয়ে শুধু মাত্র বাজার সদাই খাওয়াছেন।শহর প্রসাড়িত হয়েছে কিন্তু একটি মানুষকে পুর্নবাসন করা হয়নি। এমন কি এলাকার কোন ছেলেমেয়েকে চাকুরি বাকরির ব্যবস্হাও করা হয়নি।আমরা শান্তিপ্রিয় মানুষ চোখ বুঝে এতদিন সহ্য করে আসতেছি।
আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তিতে নির্মিত প্রতিষ্টান সমূহে আজ আমরা নিপিড়িত হচ্ছি কেন?    আমরা  আজ  এই সব প্রতিষ্টানের সেবা থেকে বঞ্চিত হব কেন? যা আমাদের মৌলিক অধিকার।
আমি দেশে যাবার এক সপ্তাহ পরেই বিদ্যুৎ অফিসের কয়েকজন লোক এসে আমার বাড়ির নিচ তলায় বিদ্যুতের দুটা মিটারে সিলগালা করে ভাঁড়াটিয়ার হাতে একটা ফোন নাম্বার ধরিয়ে দিয়ে মালিককে এক সাপ্তাহের মধ্যে যোগাযোগ করতে বলে চলে যায়।আমি ফোন করে টার্মিন নিয়ে গেলাম, কিন্তু সেই এসেসন্ট ইঞ্জিনিয়র সাহেব বিদ্যুৎ অফিসে উপস্হিত ছিলনা, পর পর আমি দশ বার গিয়েও উনার দেখা পেলাম না। এক সপ্তাহ পরে  উনি আবার সন্ত্রসি কায়দায় সাত আটজন লোক নিয়ে এসে আমার বাড়ির বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে চলে যায়।পাঁচদিন পরে তাদের পিছনে গুরে গুরে পরে যুবলীগের এক নেতার ফোনে তাও ঘুষ দেয়ার পরে তারা লাইন দিয়ে যায়।ছয়টা প্রিপেইড মিটারের দামসহ তারা সর্বমোট আমার কাছ থেকে একলক্ষ বিশ হাজার টাকা নেয়।এত টাকা নেয়ার পর ও ছয়টা  প্রিপেইড মিটার নাই বলে  মাত্র দুটা মিটারে ছয় ইউনিটের বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে চলে যায়।একদিন পর লোডশেডিং হয়ে মিটার এবং পানির মঠর জ্বলে যায়। তারপর আবারও অনেক টাকা ঘুষ দেয়ার পরে তারা লাইন ঠিক করে দিয়ে যায়। কিন্তু আর কোন প্রিপেইড মিটার আমাকে দেওয়া হয়নি।সরবমোট ওরা আমার দুলক্ষাধিক টাকা খেয়েছে, এবং ক্ষতি এবং কষ্ট হয়েছে অতুলনিয়।
এই পাঁচদিনে আমার বাসার বয়স্কো লোকেদের ইনজুলিনসহ নানা ঔষুধ পত্র ও প্রিজে থাকা জিনিস পত্র সব নষ্ট হয়ে যায়।পরিক্ষার্থি ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার অতুলনিয় ক্ষতি হয়।

দুই,তিনদিন কয়েক হাজার টাকা টেক্সি ভাড়া দিয়ে তহশিল অফিসে গেলাম আমার চরের জমিনের খাজনা দিতে, কিন্তু তহশিলদার শেষ বার আমার খাজনা না নিয়ে আমাকে বললো জমিনটা বিক্রি করে দেন ভালো হবে। মাননীয় প্রধান মন্ত্রি এটা কেমন ব্যবস্হা আপনিই বলুন। সেখানেও দালাল চক্রের ভিড়।
তিন, গেলাম এনআডি কার্ড বানাতে নিবন্দন অফিসে।অনেক ঝক্কিজামেলা পোহায়ে তাদের কথামত কাগজপত্র জমা দিলাম। ওরা ছয় সপ্তাহের কথা বলে এসএসএসে জানাবে, কিন্তু আড়াই মাসেও আর খবর আসেনা।পরে দালালের মাধ্যমে ঘুষ দিয়ে ছবি তুলে দিয়ে আসলাম।তাও  আবার তাদের ভয়ঙ্কর দম্বোউক্তি দেখে আমি অবাক হলাম।মাননীয় প্রধানমন্ত্রি এবার আপনি বলুন আমাদের কি করা।
চার,এবার আসুন থানার ব্যপারে।থানা ঘরের দেয়ালে সাইনবোর্ড টাঙ্গানো আছে সেবাই পুলিশের ধর্ম, এবং কাউকে ঘুষ দিবেন না ইত্যাদি দৈববাণী।কিন্তু সত্যিই কি তাই।সেখানেও দালাল চক্রের ভিড়।পুলিশের ঘুষ খাওয়ার ধরন পাল্টিয়েছে। তারা নিজের হাতে না খেয়ে দালাল চক্রের হাতেই ঘুষ খায়।এমন সমাজে সব অঘটনের মুলহোতা পুলিশেরাই।প্রতিটা অঘটনের সাথে তারা জড়িত।তাদের ইশারায় এবং আশকারায় চলে সব কিছু।
পাঁচ,গেলাম করোনা টেষ্ট করাবার জন্য। সেখানেও সঙ্গবদ্ধ দালাল চক্র সক্রিয়।

                      চলবে---

Wednesday, July 14, 2021

জানোয়ার জেনারেলরা,

 















জগদিস চন্দ্র বসু
স্বৈরচার জিয়াউর রহমান

১,--একমাত্র বাঙ্গালী বিজ্ঞানী স্যার জগদিস চন্দ্র বসু। তিনি একসময় প্রথিবী বিখ্যাত বিজ্ঞানী ছিলেন। তিনি একাধারে পদার্থবিদ্যা, উদ্ভিদবিদ্যা, এবং কল্পোবিদ্যা বিশেষজ্ঞ  ছিলেন।তাকে বলা হয় রেডিও বিজ্ঞানের জনক।কারণ তিনিই প্রথম বিদ্যুতের মাধ্যমে তরঙ্গ সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছিলেন।







বাংলাদেশের ময়মনসিং জেলায় তার জন্ম হলেও পিতৃনিবাস ছিল ঢাকার বিক্রমপুরে।তিনি বহুবিদ প্রতিভার অধিকারি ছিলেন।বিজ্ঞান বিষয়ক গবেষনা ধর্মি অসংখ্য প্রবন্ধ লিখে এবং বিশ্বের নামিদামি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাসন বিবৃতি দিয়ে তিনি খ্যাতি কুড়ায়েছেন।সে যাই হঊক আমি তার ব্যাপারে বিস্তারিত না লিখে ছোট একটি গল্পের কথা শেয়ার করছি।

আমরা সবাই কম বেশি জানি স্যার জগদিস চন্দ্র বসু একজন উদ্ভিদ বিজ্ঞানী  হিসেবে।বৃক্ষ ব্রততী কিংবা গাছপালার ও যে  প্রাণ আছে, তা তিনিই প্রথম প্রমান করেন।গাছপালাকে তিনি নিজের সন্তানের মত ভালোবাসতেন।

গাছপালার উপর গবেষনা করতে গিয়ে তিনি তার ঘরের দু দিকের দুবারান্দায় কিছু গাছপালাকে দুভাগে ভাগ করে লালন পালন করতে লাগলেন। সার পানি যা যা দরকার উভয় দিকের গাছগুলিকে সমান ভাবে দিয়ে যাচ্ছিলেন ।কিন্তু সেবা যত্ন কিংবা ভালোবাসা দেননি সমানভাবে।

তিনি রোজ খাবার(পানি) দিতে গিয়ে এক বারান্দার গাছগুলিকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতেন।যেমনঃ-তোরা বেয়াদপ বদমাস,ছোট লোক,কুৎসিত কদাকার, কমবকত শরম হায়া নাই। খামাখা তোদের জন্য এত কষ্ট করতেছি,তোদের দিয়ে কিচ্ছু হবেনা, ইত্যাদি।

আর অন্যদিকের গাছপালা গুলিকে পানি দিয়ে আদর যত্ন করে রোজ বলতেন,তোদের মত এত সুন্দর সতেজ এত ভালো গাছ কি পৃথিবীতে আর আছে?তোদের দিয়েই সৃষ্টি হবে সুন্দর পরিবেশ, আমি তোদেরকে অনেক অনেক ভালোবাসি ইত্যাদি।

বেশ কিছুদিন পরে বিজ্ঞানী বসু দেখতে পেলেন গালিগালাজ খাওয়া গাছগুলি মরে শুকায়ে কাঠ হয়ে গেল।আর আদরযত্ন এবং ভালোবাসা পাওয়া গাছগুলি আরো বড়  সতেজ ও সুন্দর হয়ে উঠেছে।

তিনি অবাক বিশ্মিয়ে দেখলেন যে খোবে দুঃখে অভিমানে শরমে ভরমে গালি খাওয়া এক বারান্দার গাছগুলি মারা গেল। বলা যায় আত্মহত্যা করলো। আর অন্য বারন্দার গাছগুলি আদর যত্ন স্নেহ ভালবাসা পেয়ে মোটা তাজা ও সতেজ সুন্দর হয়ে উঠলো।

কি বিশ্ময় ঘটনা--!গাছপালার মধ্যেও প্রাণ আছে, লজ্জা শরম হায়া কিংবা খোব অভিমান দুঃখবোধ মান অভিমান আছে।বনের জংলী জানোয়ারের মধ্যে ও আছে। কিন্তু অকল্পনিয় হলেও সত্য,এই পৃথিবীতে কিছু মানুষের মধ্যে তা নাই। বিশেষ করে এই বাংলা দেশের কিছু বাঙ্গালীর  মধ্যে নাই। মোটেই নাই।

মহাভারতে দেখতে পাই আজ থেকে আড়াই হাজার বছর পূর্বে দ্বিতীয় পান্ডব ভীম মঘধ রাজাকে বধ করে এই জাতিকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছিল। পান্ডব ভীম তখন এই বঙ্গভূমির নাম রেখেছিল অঙ্গভূমি।

কিন্তু চাটুকার পরের তোষাম্মদি পাঁ লেহনকারির নিমক হারামীতে এই জাতি ধরে রাখতে পারেনি তাদের গর্বের স্বাধীনতা।বার বার এই জাতিকে পরতে হয়েছে পরাধিনের জোয়াল।বার বার এই নিমক হারাম নিকর্মা জাতি হারিয়েছিল তাদের কষ্টার্জিত স্বাধীনতা।

হাজার হাজার বছর ধরে এই বাঙ্গালী জাতি মঘ হার্মাদ ওলন্দাজদের হাতে নেড়ি কুত্তার মত লাথি উষ্টা অবহেলা অপমান চড় থাপ্পর মার খেয়েছে।লর্ড ক্লাইবের জীবনী থেকে জানতে পাই সুজলা সুফলা সুখি সমৃদ্ধ স্বাবলম্ভি বাঙ্গালীরা ভীনদেশি জলদস্যুদের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে নিজের সঞ্চিত সম্পদের কিঞ্চিত পরিমান সঙ্গে নিয়ে গাট্টিগোট্টা গুটায়ে বনের হিংস্র জানোয়ারের ভয় ডর উপেক্ষা করে জঙ্গলে লুকায়ে প্রাণ বাঁচাতো। প্রতিরোধ প্রতিবাদ করার মত কোন ক্ষমতা সামর্থ কিংবা শাহস ছিলনা এই জাতির।

দুশত বছর ইংরেজরা এই বাঙ্গালী জাতির উপর চালিয়েছে জুলুম অত্যাচার নিপিড়ন।জবরদস্তি করে দিনের পর দিন ঘানি টানিয়েছে, নীল চাষ করিয়েছে।কত ত্যাগ তিতীক্ষা ও রক্তের বিনিময়ে ইংরেজরা বিতারিত হলেও,দুর্ভাগা এই জাতির উপর জগদ্দল পাথরের মত চাপিয়ে বসলো পাক হায়েনা নামক পাকিস্তানীরা।ছলে বলে কৌশলে প্রায় চব্বিশ বছর তারা শুধু জুলম অত্যাচার নিপিড়ন চালিয়েছিল এই নিরিহ বাঙ্গালীর উপর।তারা সুজলা সুফলা বাংলার ধন সম্পদ লুন্ঠুন করে ঐ মরু পাকিস্তানের বেআবাদি জমিকে আবাদ করেছে। গড়ে তুলেছে উঁচু উঁচু দালান কোঠা। পরিত্যক্ত জায়গায় সুপরিকল্পিত ভাবে গড়ে তুলেছে বিশ্বমানের ইসলামা বাদের মত রাজধানী শহর।অতচ এই বাংলায় তারা একটা আলফিনের ফেক্টরি পর্যন্ত গড়ে তুলেনি। খাঁটি সোনার চেয়েও খাঁটি বাংলার মাটি, যে মাটিতে বছরে চার বার সোনালি ফসল ফলে, সে বাংলার মানুষ মরে ক্ষিদায় রোগে শোকে খরায় বন্যায় প্রাকৃতিক দুর্য্যগে। অতচ আবাল পাকিরা দেখেও দেখেনা।বরঞ্চ তারা কাজে কর্মে আচার আচরণে ঘৃণা প্রকাশ করতো এই বাঙ্গালী জাতিকে। উপহাস তাচ্ছিল্য করে বলতো বাঙ্গালী চুতিয়াকা জাত হ্যায়। চাউল মাছলি খানেওলা জাত।

অবশেষে  শত চেষ্টায় শত সহস্র বছরের অবিরাম যুদ্ধও ত্যাগের বিনিময়ে তিরিশ লাখ শহীদের তাজা প্রাণ আর দুলক্ষাধিক মাবোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে বাঙ্গালী জাতি পেল স্বাধিনতা।হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙ্গালী জাতির জনকের একক নেতৃত্বে বাঙ্গালী পেল মহান স্বাধিনতা।

মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যেই এই বাঙ্গালী জাতি তার জনককে নির্মম ভাবে স্বপরিবারে হত্যা করে  প্রমান করলো, তারা যে কত বড় জগন্য ও বেঈমান। খোবে দুঃখে অভিমানে মরে যাওয়া ঔ গাছপালা লতাপাতার চেয়েও নিঃকৃষ্ট এই বাঙ্গালী জাতির কিছু কুলাঙ্গার। গাছপালার লজ্জা শরম হায়া আছে, কিন্তু এই কুলাঙ্গার বাঙ্গালী জাতির লজ্জা শরম হায়া বলতে কিছু নেই। কিছু বাঙ্গালী আজো রাজাকারই রয়ে গেল, তারা  ইংরেজ আর পাকিদের গুনগান করে প্রমাণ করে তারা যে আসলেই গোলামের জাত গোলাম।পাছায় লাথি মারলেও তারা পেয়ারে পাকিস্তান বলে নেঁজ নাড়ে নেড়ি কুত্তার মত।

শিয়ালের ঘরে ১০০% শিয়ালের বাচ্ছাই জন্ম নেয়।কুত্তার ফয়দাসে ১০০% কুত্তার বাচ্চাই জন্ম নেয়। কিন্তু এই বাঙ্গালী জাতির ঘরে জন্ম নিয়েছে অসংখ্য জানোয়ারের বাচ্ছা।  অসংখ্য শিয়াল কুকুরের বাচ্চা।তারা আজো পাকিদের পাঁ চাটে। তারা আজো তিরিশ লাখ শহীদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তোলে, সন্ধেহ করে। আর যাই হউক,এরা কোনদিন মানুষ হতে পারেনা, এরাই জানোয়ারের বাচ্চা,এটাই প্রমাণিত সত্য।


২,-- জানোয়ার জেনারেল,রা ঁঁঁঁঁঁ 

মিশরের কর্নেল জামাল আব্দেল নাসের থেকে পাকিস্তানের জেনারেল আয়ূব খান, 

 জেনারেল জিয়াউল হক থেকে বাংলাদেশের জিয়া এরশাদ।

সর্বকালের শ্রেষ্ট  বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন তার এক প্রবন্ধে বলেছেন,উর্দি পরা জেনারেলরা মস্তক বিহীন জানোয়ারের মত এক আজব প্রাণী।














 

কর্নেল জামাল আব্দেল নাসের

মিশরের কর্নেল জামাল আব্দেল নাসেরকে কেউ বলে বিপ্লবি নেতা আবার কেউ বলে জগন্য স্বৈরচার।যে যাই বলুক নাসের ছিলেন  মিশরের প্রভাবশালী একজন সামরিক নেতা।পঞ্চাশ ষাট দশকে পুরো আরব এবং আফ্রিকায় এই নেতা অত্যান্ত প্রভাব বিস্তার করেন। তার শাসনামলে আরব জাতীয়তাবাদ ও প্যান আরাবিজম এবং প্যান আফ্রিকাজম এর সুচনা ঘটে।  ১৯৬৪ সালে পিলিস্তিনিদের সংঘটন পিলও ঘটনে এবং জোট নিরপেক্ষ আন্দলনে তার গুরত্বপুর্ন ভূমিকা ছিল।

স্বৈরশাসক কর্নেল গাদ্দাফি হাফিজুল আসাদ সাদ্দাম হোসেন উগান্ডার ইদি আমিন কঙ্গোর মুবাট্টো থেকে পাকিস্তানের আয়ূব খান এরা সবাই নাসেরের অনুসারি কিংবা  অনুরক্ত ভক্ত  ছিলেন।আবার নাসের ছিলেন ইসলামি ব্রাদার হুডের অনুসারি।

 তরুন বয়সে সব কাজে অযগ্য হয়ে এই নাসের এক মন্ত্রির সহযোগিতায় মিলিটারিতে ভর্তি হওয়ার চান্স পান। বস তারপর তাকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি। মিলিটারি এবং পুলিশ এমন কি ল কলেজেও ভর্তি হতে গিয়ে বাদ পড়ে যান নাসের।   মিলিটারিতে ভর্তি হওয়ার অল্প কয় বছরের মাথায় তার সিনিয়র আরেক জেনারেল মোহম্মদ নাজিবকে নিয়ে  প্রথমে ১৯৫২ সালের শুরুর দিকে  রাজা প্রথম ফারুককে গদিচ্যুত করে দেশ ত্যাগ করতে বাদ্য করেন।  দেড়শ বছরের ঐতিহ্যবাহি রাজতন্ত্রকে বিলুপ্ত করে জেনারেল নাজিব নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষনা করেন।অবশ্য রাজা ফারুকের শিশু পুত্র ফুয়াদকে নামকাওয়াস্তে রাজা ঘোষনা করলেও ১৯৫৩ সালে এসে রাজতন্ত্র সম্পুর্ন বিলুপ্ত করে রাজা ফারুকের ধন সম্পদ নিলাম করে দেন।



জেনারেল জিয়াউল হক

রাজতন্ত্র বিলুপ্ত করে তারা ঐতিহাসিক বিপ্লব বলে আখ্যায়িত করেন।তাদেরকে এই বিপ্লবেসহযোগিতা করে ১৯২৮ সালে হাসান আল বান্নার গঠিত ইসলামি ব্রাদারহুড সংঘটন।পরে এই ব্রাদারহুডকে নিয়েই জেনারেল নাজিব ও কর্নেল নাসেরের মধ্যে সংঘাত বাধে।এবং এক পর্যায়ে  নাসের জেনারেল নাজিবকে ক্ষমতাচ্যুত করে নিজেই সর্বময় ক্ষমতার অধিকারি হয়ে যান।আর অপরদিকে ঐ ব্রাদারহুডের শত শত সদস্যকে ফাঁসিতে ঝুলায়ে হত্যা করেন।হত্যা করেন জেনারেল নাজিবের শত শত অনুসারিকে এবং অসংখ্য শ্রমজীবি মানুষকে।

জেনারেল নাজিব এবং নাসের গং রাজা ফারুকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন, ফারুক বিলাস বহুল জীবন যাপন করেন এবং সে একজন  নারী লোভি। সে যৌনশক্তি বৃদ্ধির জন্য সপ্তাহে ৬০০টি কাঁছা ঝিনুক খান। বেন্টলি গাড়ি চালান। নাশপাতির মত হিরা ব্যবহার করেন ইত্যাদি।

১৯৬৪ সালের ১৮ই মার্চ রাজা ফারুক রোমে মারা যান।অভিযোগ উঠে নাসেরের গোয়েন্ধা বাহিনী বিষ প্রয়োগে রাজাকে হত্যা করে।মির্ত্যু পথযাত্রি রাজার অন্তিম ইচ্ছা ছিল কায়রোর আল্ রিফা মসজিদে অন্তিম শয়নের। কিন্তু নাসের রাজার লাশ মিশরে নিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ঔ সময় সৌদি বাদশা ফয়সল সৌদি আরবে রাজা ফারুকের লাশ দাপন করার জন্য বলে।পরে অবশ্য নাসের রাজি হয় এই সর্তে যে লাশ মিশর নেওয়া যাবে তবে আল রিফা মসজিদে দাপন করা যাবেনা।ইতিমধ্যে স্বজনরা রাজার লাশ রোমেই দাপন করে ফেলে।কিছুদিন পর গোপনে রোম থেকে রাজার লাশ মিশরে নিয়ে ইবরাহিম পাশা নামে গোরস্হানে দাপন করা হয়।নাসেরের মিত্যুর পর আনোয়ার সাদাত রাজা ফারুকের দেহাবশেষ তুলে নিয়ে সেই রিফা মসজিদেই দাপন করেন।

আমরা যদি ৫০-৬০ কিংবা ৭০-৮০ দশকের দিকে তাকাই। দেখতে পাই এই তিন চারটা দশক ছিল দেশে দেশে স্বৈরচার কিংবা জানোয়ার জেনারেলদের উত্থানের দশক। মার্কিন যুক্ত রাষ্ট্র ও ইউরোপের সামরাজ্যবাদী দুষ্ট চক্রের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ মদদে এই সব ডিক্টেটররা নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে কিংবা দেশের স্বনামধন্য রাজা বাদশাকে  হত্যা করে ক্ষমতা দখল করে।

১৯৫৮ইং সালে স্বৈরশাসক জেনারেল আয়ূব খান যে ভাবে অখন্ড পাকিস্তানে মার্শাল ল জারি করে ক্ষমতা দখল করেন,--

তখনকার সংসদের স্পিকার  জনাব আব্দুল হামিদ সরকারি চাকুরি করার অভিযোগে  সরকারি দলের ছয় সদস্যকে বহিষ্কার করেন।যার কারণে সংখ্যাগরিষ্ট হারায় সরকারি দল।তখন সরকারি দলের সাংসদরা স্পিকারকে মারার জন্য ধাওয়া করেন।পরে অধিবেশন বসলে ডেপুটি স্পিকার শাহেদ আলী স্পিকারের দায়িত্ব নেন।দায়িত্ব নিয়েই তিনি বহিস্কৃত ৬জনের সদস্যপদ পুনরায় বহাল করেন।এই কারণে বিরোধি দলের আবুল হাসান সরকার মাইকের স্টান্ডদিয়ে  শাহেদ আলীর মাথায় বাড়ি দিলে তিনি আহত হয়ে কোমায় চলে যান, এবং কিছুদিন পরে মারাও যান।এই অজুহাতেই আয়ূব খান মার্শাল ল জাড়ি করে ক্ষমতা দখল করেন।প্রায় দশ ব্ছর তিনি এই ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখেন।বিরোধি দল মতের উপর চালান স্টিমরোলার।আট বছর পরে বাংলার অভিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধুকে আগড় তলা ষড়যন্ত্র মামলায় জড়ানো হয়।যার কারণে প্রচুর গন আন্দলনের চাপে আয়ূব খান আরেক জেনারেল ইয়াহিয়া খানের হাতে ক্ষমতা চেড়ে পালাতে বাদ্য হন।

 মিশরের কর্নেল নাসের যে ভাবে ইসলামি ব্রাদার হুডের আদলে আরব জাতীয়তাবাদের সুচনা করেন।ঠিক তেমনি পাকিস্তানের স্বৈরশাসক জেনারেল জিয়াউল হক আফগানিস্তানের জঙ্গি নেতাদের প্ররোচনায় ইসলামি ব্রাদারহুডের মত হারকাত আল জিয়াদ আল ইসলাম  নামে দক্ষিন এশিয়ায় জুড়ে আন্তঃর্জাতিক ইসলামি একটি ভয়ঙ্কর সংঘটন গড়ে তোলেন।। ১৯৮৪ সালে জেনারেল জিয়াউল হক ইসলামি এটম বোম টেষ্ট করে সমগ্র বিশ্বকে চমকে দিয়ে শক্তি প্রদর্শন করেন।যার ধরুন ভারত এবং আমেরিকা জিয়াউল হকের উপর অসন্তুষ্ট হয়ে পড়েন।




 

১৯৮৮ সালের ১৭ই আগষ্ট এক মর্মান্তিক বিমান ক্রাসে প্রাণ হারান পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট জেনারেল জিয়াউল হক। তার সাথে আরো ছয়চল্লিশ জন লোক জলন্ত দগ্ধ হয়ে মারা যান। যাদের মধ্যে বেশির ভাগই ছিল সামরিক বাহিনীর বড় র‌্যাংকের অফিসার গন। বিমানটি পাকিস্তানের ভাওয়াল নগর থেকে ইসলামা বাদের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল।হঠাৎ করে মাঝ আকাশে বিমানটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে দাউ দাউ করে জলে খন্ডবিখন্ড হয়ে জমিনে আছরায়ে পড়লো।একটি যাত্রিও বাঁচল না।বাঁচার কথাও নয়।

আমি তখন পাকিস্তানের করাচি শহরে অবস্হান করছি।কি ভাবে বিমানটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ল,এবং কিভাবে জেনারেল জিয়া উল হকের দাপণ কাজ সম্পর্ন হলো টেলিভিশনে তা বিস্তারিত লাইপ কাস্টে দেখানো হয়েছিল সেদিন।আমি বসে বসে টিভির স্ক্রিনে দেখেছিলাম। সত্যিই ভয়াবহ একটি দুর্ঘটনা।

কে এই জেনারেল জিয়াউল হক?অখন্ড ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে জন্ম গ্রহন কারি জিয়াউল হক দিল্লী ভার্সিটি থেকে গেজুয়েসান করেই বৃটিশ সেনা বাহিনীতে ভর্তি হন।সাতচল্লিশের ভারত পাকিস্তান ভিবক্ত হলে জেনারেল জিয়াউল হক পাস্তিান সেনা বাহিনীতে যোগ দেন।মৃদু ভাষি জিয়াউল হক অত্যান্ত পরেজগার ছিলেন।পাকিস্তানে থাকা কালে লোক মুখে শুনেছি এই জেনারেল নাকি ফকির সন্যাসীর মত সব সময় সাথে একটা পানি ভর্তি লোটা রাখতেন।মসজিদে আযান হলেই নাকি তিনি অজু সেরে যে কোন জায়গায় নামাজে বসে পড়তেন। সে কারণে সেনা ছাউনীতে লোটা মেজর হিসেবেও নাকি তার বেশ পরিচিত ছিল।সে জন্যে তিনি সবার কাছে বিশ্বস্তও হয়ে উঠেন।

১৯৭৬ সালে  পাক সরকার প্রধান জুলফিকার আলী ভুট্ট্র জেনারেল জিয়াউল হক,কে জর্ডার্ন সেনা বাহিনীকে প্রশিক্ষন কাজে সহযোগিতা করার জন্য জর্ডানে পাঠান।জর্ডানের বাদশা ছিলেন তখন বাদশা হোসেন। জর্ডার্ন সেনা বাহিনী তখন একটা সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে বাদশা হোসেনকে গদিচ্যুত করার চেষ্টা করলে জিয়াউল হক সে অভ্যুত্থান রুখে দেন।জুলফিকার আলী ভূট্ট্র এই খবর শুনে খুশি হয়ে সেনা বাহিনীর পাঁচ জন জেনারেলকে ডিঙিয়ে এই জিয়াউল হককে সেনা বাহিনীর প্রধান করেন।কিন্তু এই লোটা মেজর তার প্রতিদান দিলেন মাত্র এক বছরের মাথায় নির্বাচিত রাষ্ট্র প্রধান জুলফিকার আলী ভূট্ট্রকে গদিচ্যুত করে ,এবং মার্শাল ল জারি করে দুবছরের মাথায় ভূট্ট্রকে ফাঁসির মাধ্যমে।

জেনারেল জিয়াউল হক সেদিন টেলিভিসনে এক দীর্ঘ বক্তিতায়  বার বার সফত করে বলেছিলেন,মাত্র তিন মাসের জন্য জারি করা হলো এই সামরিক আইন। তিন মাস পরে তিনি একটি সুষ্ট নির্বাচন অনুস্টান করে নির্বাচিত ব্যক্তির হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে  মার্শাল ল উড্র করে আবার বেরাকে ফিরে যাবেন।কিন্তু দুঃখের বিষয় বাস্তবে করলেন তার উল্টোটা।যে ভূট্ট্র তাকে সেনা প্রধান করলেন সে ভূট্ট্রকে ১৯৭৭ সালে রাজা কাসুরি নামে বিরোধি একজন রাজনীতিবীদকে হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত করে কারাগারে নিক্ষিপ্ত করেন। এমন কি মাত্র দু বছরের মাথায় এক প্রহশনের বিচারের মাধ্যমে ভূট্টকে ফাঁসি কাস্টে ঝুলিয়ে হত্যা করেন। সে সময় একমাত্র আমেরিকা ব্যতীত সমগ্র বিশ্বের রাজা বাদশা এবং রাষ্ট্র প্রধানরা জেনারেল জিয়াউল হকের কাছে অনুরোধ করেন,অনুরোধ করেন বিশ্বের মানবধিকার সংঘটন গুলো, ভূট্ট্রকে যেন ফাঁসি না দেওয়া হয়। ভূট্ট্রর দ্বিতীয় স্ত্রি নুসরাত ভুট্টু প্রাণ ভিক্ষা চেয়ে বলেছেন ভুট্টু আর কোনদিন রাজনীতি করবেন না, এমন কি তারা পাকিস্তান ছেড়ে চিরতরে চলে যাবেন। কিন্তু জেনারেল জিয়াউল হক কারো কথাই শুনেন নাই। লিবিয়ার স্বৈরচার কর্নেল গাদ্দাফি কমান্ড স্টাইলে ভুট্টকে বাঁচানোর প্রস্তাব করেন।ভুট্টু তা প্রত্যাখ্যান করে দেন।

এই স্বৈরচার জেনারেল মিশরের ইসলামি ব্রাদার হুডের আদলে আফগানি জঙ্গিদের সব কয়টা দল নিয়ে গঠন করলেন হারকাত আল জিয়াদ আল ইসলাম নামে একটি আন্তঃর্জাতিক ইসলামি জিয়াদী দল।এই জিয়াদী দলটি পুরো দক্ষিন এশিয়াকে অস্হির করে তোলে।বিশেষ করে বাংলাদেশকে।

বাংলাদেশে ১৫ই আগষ্টের পর স্বৈরচার জিয়া ক্ষমতা দখল করে।এই জিয়ার হাত ধরেই আফগানিস্তানের তালেবানের ন্যয় বাংলাদেশেও নতুন করে জন্ম নেয় ইসলামি ছাত্র শিবির।জন্ম নেয় একের পর এক জঙ্গী সংগঠন।জিয়ার মৃর্ত্যুর পর এই দায়িত্ব নেয় আরেক স্বৈরচার এরশাদ। এরশাদের পর দায়িত্ব নেয় জিয়াউর রহমানের বিধবা স্ত্রি খালেদা জিয়া।খালেদার আমলে স্বাধীন বাংলাদেশ জঙ্গিদের সর্ঘ রাজ্যে পরিণত হয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করে।সৃষ্টি হয় বাংলা ভাইয়ের মত কুখ্যাত জঙ্গিদের।অস্হির হয়ে উঠে জন জীবন।

স্বৈরচার এরশাদ স্বৈরচার জিয়াউল হকের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে পাকিস্তানের মত বাংলাদেশকেও ইসলামী প্রজাতন্ত্র হিসেবে ঘোষনা করে।জিয়াউল হককে এরশাদ বড় ভাই হিসেবে সন্মোধন করতো।জিয়াউল হক এরশাদকে খোদ পাকিস্তানি নিসান উপাধিতে ভূসিত করে।এরশাদের হাত ধরে আফগানি জঙ্গি নেতারা বাংলাদেশে এসে জেহাদের জন্য সদস্য সংগ্রহ করতে থাকে।প্রায় পাঁচ হাজার বাঙ্গালী আফগানি মুজাহিদে নাম লেখায়ে আফগানিস্তানে যায়।প্রকৃত অর্থে কেউই ইসলামের জন্য যায়নি।এদেরকে লোভ দেখানো হতো আফগানিস্তানের পাহাড়ে নাকি প্রচুর ডায়মন্ডে  আছ।একবার যেতে পারলেই হয় লাইপ বনে যায়গা।

--------চলবে---
















লম্পট স্বৈরচার এরশাদ

হামজা বিগ্রেড ও বিএনপির তিন বিষ কন্যার মিশন----

  বারিষ্টার রুমিন ফারহানা ।বারিষ্টার শাকিলা ফারজানা।আর স্যামা ওবায়েদ।

টকশোতে ঝড় তোলা এই তিন কন্যা  রাজনীতির নামে বিএনপির ব্যানারে পাকিস্তানি গোয়েন্ধা সংস্হা আইএসআই এর প্রতিনিধী হয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এক ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্রের মিশনে সামিল হলো।

আসুন জেনে নেই এই তিন বিষ কন্যাকে।



বাঃ শাকিলা গ্রেপ্তার


১,বারিষ্টার শাকিলা ফারজানা---!কে এই শাকিলা ফারজানা--?
তিনি হলেন বিশিষ্ট ও বিতর্কিত চিটাগাং এর রাজনীতিবীদ সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমের কন্যা।  সৈয়দ ওয়াহিদ আলম ছিলেন  ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত সালউদ্দিনের পিতা ফকা চৌধুরির সহচর।বাংলাদেশের স্বাধিনতা যুদ্ধের সময় বিতর্কিত ভূমিকার জন্য যুদ্ধাপরাধি ট্রাইবুনালে তিনি একজন অভিযুক্ত আসামি।

সে বিতর্কিত বাপের কন্যা বারিষ্টার শাকিলা ফারজানা উচ্চতর পড়াশুনা করেও তিনি আজ র‌্যাবের হাতে বন্দি।শুধু বন্দি নয় তিনি আজ কারা অন্তরিন।তার বিচার চলছে।তিনি আইন কানুন ও আদালতের আড়ালে  ভয়ঙ্কর জঙ্গি সংঘটন শহীদ আল হামজা বিগ্রেডের সাথে জড়িত।।তিনি দুই কিস্তিতে ৫২ লাখ টাকা এই হামজা বিগ্রেডকে দিয়েয়েছেন।তাতেই র‌্যাবের তদন্তে প্রমাণিত হলো যে তিনি জঙ্গি সংঘটন হামজা বিগ্রেডের সাথে জড়িত।সে কারণেই তিনি এরেষ্ট হয়েছেন।বাঃ শাকিলা চিটাগাং বেএনপির জেলা আহব্বায়িক কমিটির সদস্য,এবং আইনজীবি ফোরামের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক।
কে এই হামজা বিগ্রেড?জামায়াত, হেফাজত, আনসার আল ইসলাম জেএমবিসহ সব জঙ্গি সংঘটন মিলে শহীদ আল হামজা বিগ্রেড নামে একটি ভয়ঙ্কর জঙ্গি সংঘটন গঠন করেছে।আওয়ামী সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত ও বাংলাদেশকে ধংশ করে বাংলাস্হান বানানোই তাদের মুল উদ্দেশ্য।



পাকিস্তানি বয়প্রেন্ডের সাথে রুমিন ফারহানা


২,- বারিষ্টার রুমিন ফারহানা-।সেদিন একটা টকশোতে মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রিয় সম্পাদিকা অধ্যাপিকাঅপু উকিল বারিষ্টার রুমিন ফারহানাকে বেয়াদপ বলল। লা-জবাব অপু উকিল। জাতীয় একটা টেলিভিনে  বারিষ্টার রুমিন ফারহানার এই বেয়াদপ গালিটা কি রুমিনের প্রাপ্য ছিল?কে এই রুমিন ফারহানা--?টকশোতে বাগ-যুদ্ধের নামে এসে তার বাঘ যুদ্ধে মেতে উঠার কারণ কি--?
রুমিন ফারহানা আরেক বিশিষ্ট ও বিতর্কিত রাজনীতিতিবীদ জনাব মরহুম অলি আহাদের একমাত্র কন্যা।ভাষা আন্দলনের সময় অলি আহাদের কিছুটা ভূমিকা থাকলেও তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর খুনি মোস্তাক ও গোলাম আযম ও নুরুল আমিনের সহচর।জিন্নার সহচর নুরুল আমিন মুসলিম লীগের নেতা ছিলেন। জিন্নার মৃর্ত্যুর পর পাকিস্তানের প্রধান মন্ত্রি হয়েছিলেন।এই রাজাকারের কবরও হয়েছে পাকিস্তানের করাচি সদর এলাকাতে।
স্বাধিনতা যুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্হান কারি এই অলি আহাদ বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের সাথেও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন।যদিও বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৭৪ সালে তিনি জেলখানায় বন্দি ছিলেন।জেলখানায় বসেই তিনি মোস্তাকের সাথে যোগাযোগ রাখতেন।১৫ই আগষ্টের পরেই তিনি মুক্ত হয়ে খুনি মোস্তাকের দলে যোগ দেন।মোস্তাকের গড়া রাজনৈতিক দল ডেমক্রেটিক লীগের আমরন চ্যায়ারম্যান ছিলেন এই অলি আহাদ।শিক্ষায় দীক্ষায় সর্বচ্চ ডিগ্রি নিয়েও  ভূল ও হঠকারি সিদ্ধান্তের কারণে তিনি ইউনিয়ন কাউঞ্চিলের মেম্বারও হতে পারেন নাই। ২০০৪ সালে খালেদা জিয়া তাকে স্বাধিনতা পুরষ্কার প্রদান করেন।সারা জীবনে এটাই তার প্রাপ্য।
অলি আহাদের মেয়ে বারিষ্টার রুমিন  ফারহানার হঠাৎ করেই উত্থান হয় বিএনপির রাজনীতিতে। আসার সাথে সাথে তিনি বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পাদকের পদ পেয়ে যান।এক গোপন সুত্রমতে জানা যায় পাকিস্তানের গোয়েন্ধা সংস্হা আইএস আই নাকি টকশো কতৃপক্ষকে বড় অঙ্কের বিনিময়ে এই তিন কন্যাকে সুজোগ করে দিয়েছে।আইএসআই এর গুরুত্বপুর্ন ব্যক্তি বিগ্রেডিয়ার শেহজাদ নাকি এই মিশনের নেতৃত্ব দিচ্ছে।এই  বিগ্রেডিয়ার শেহজাদের ছেলে হলো আবার রুমিন ফারহানার বয়ফ্রেন্ড সাইফ খান।


ডান থেকে শাকিলা,রুমিন ফাঃ ওস্যামা ওবায়েদ
৩,- স্যামা ওবায়েদ এর বিএনপির রাজনীতিতে হঠাৎ করে নাটকিয় ভাবে উত্থান হয়। তিনি বিএনপির সাবেক মহাসচিব কে এম ওবায়েদুর রহমানের এক মাত্র কন্যা।তার বাবার রাজনৈতিক হাতেখড়ি হয় বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে।দীর্ঘদিন তিনি আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত থাকলেও ৭৫ এর পরে পল্টি খেয়ে বিএনপিতে যোগ দেন।বর্তমানে তিনি প্রয়াত।
স্যামা ওবায়েদের মা শাহেদা ওবায়েদ সুপরিচিত বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপিকা ।তিনি মাঝেমধ্যে পত্রিকায় গুরুত্বপুর্ন কলামও লেখেন।রাজনৈতিক ভাবে তিনি আওয়ামী লীগকেই পছন্দ করেন বলে ধারনা করা হয়। একমাত্র মেয়ে স্যামার সাথে মোটেই তার বনিবনা নেই।মেয়েটা নিজের মাকে মা বলে শিকারও করেনা। সে ব্যপারে তিনি দুঃখ প্রকাশ করে পত্রিকায় বিস্তারিত লিখেছেন।
স্যামা ওবায়েদ টকশোতে বলে বেড়ান তিনি নাকি কম্পিউটার বিজ্ঞানী। শুনা যায় তিনিও নাকি এক কুটনীতিকের সাথে দীর্ঘদিন লীভটোগেদার করার পর আওয়ামীলীগের এক নেতার ছেলেকে বিয়ে করে সংসারি হয়েছেন।তার স্বশুর পরিবারের সবাই আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত হলেও তিনি নাটকিয় ভাবে হঠাৎ বিএনপিতে যোগ দিয়ে গুরুত্বপুর্ন পদ পেয়ে যান।আইএসআই  নাকি তাকে এই পদ লয়ে দেন একটা মিশন বাস্তবায়িত করার উদ্দেশ্যে।আর সেইটা হলো আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করে বাংলাকে বাংলাস্হান বানানো।






 









Saturday, May 29, 2021

রাজধানীর আকাশ আজ মেঘমুক্ত,

এক,  
রাজধনীর আকাশ আজ মেঘমুক্ত, 

যদিও পরিবেশটা এখনও কুলোষিত যুক্ত।
রাজপথে আজকাল আর তুফান উঠছেনা, 
ঝলঝলা নেই, টর্নাডো নেই, সাক্লোন সুনামি নেই,
বোমা ভল্ডুজারের শব্দে কেঁপে কেঁপে উঠছেনা-
এই শহরের সুনিপুন কংক্রিটের দালান গুলো,
শোরগোল নেই, শব্দ নেই, গ্রীসের মীথ নগরি এথেন্সের 
মত সোনশান নিরবতা ঢাকা নগরি,
 কি সুন্দর চারিদিকে শান্তির সুনিল হাওয়া বহিছে, 
আরাধ্য রাজপথের উপরদিয়ে নিনির্মিত হচ্ছে 
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েে, উড়াল সেতু সড়ক মহাসড়ক,
হাজার হাজার কোটি টাকায়  নির্মিত হচ্ছে মেট্রোরেল,
অবাধ্য নয়াপল্টনে নির্মিত হচ্ছে নতুন অডিটরিয়ম,
রক্তাক্ত সংঘাত, উত্তপ্ত সংগ্রামে উত্তাল পাত্তাল জনসমূদ্রের ঢেউ 
আর নেই আগের মত, রেসকোর্স ময়দান আজ ফাঁকা,
রেস নেই ‍দুরন্ত অশ্বের!
ঢাকার পথে পথে নুর হোসেনের মত হয় তো বা আর কেহ গায়ে  
লিখে নামবেনা, স্বৈরচার নিপাত যাক, গনতন্ত্র মুক্তি পাক,
রক্তে ভেজা মাঠে হয়তো বা আর কোনদিন লাশের 
উপর নৃত্যপরিবেশন হবে না।আসাদের রক্তে ভেজা সফেত সার্ট,
জনাকির্ন আসাদ গেট,

ডাঃ মিলনের রক্তাক্ত শব শোকের মিছিল, হয়তো আর 
কোনদিন দেখবেনা অব্যস্হ এই ঢাকাবাসি।
 বিপ্লবীরা আজ এ শহরে কুলুপ আঁটা বড় বড় ভাঁড়,
প্রগতি আজ এখানে ক্ষতিগ্রস্হ কালাহারি, 
বিপ্লব আজ এখানে একটি বাতুল শব্দ।
হাজার ইষু থাকলেও সামাজিক বিপ্লবের কোন সম্ভাবনা নেই এদেশে।
যে বিপ্লব হওয়ার কথা ছিল, তা হয়ে গেছে নিরবে অতি গোপনে,
স্বস্ফুর্তঃ এবং শান্তিপূর্নভাবেই হয়েছে।
এদেশর কৃষক,এদেশের শ্রমিক, অগনিত মেহনতী মানুষ,
রেমিটেন্স যোদ্ধা, গার্মেন্টসের লাখো তরুনী সবাইকে লাল সালাম,
কলুর বলদের মত ঘানি টানা বলদ মানুষ যারা,
ঘানি টানছে আর টানছে তারা,
 ডান চোখে চামড়ার পট্টি বাঁধা।
অবাক হওয়ার কিছু নেই, যদিও আমদানি হচ্ছে 
নিত্যনতুন আরো কিছু গাধা।

***********************************

দুই,
সর্বত্রই চলছে মহা ক্রান্তিকাল,

আধুনিক এই বর্বর যুগে পৃথিবীর কোনায় কোনায় 
সর্বত্রই চলছে  মহা ক্রান্তিকাল।
উত্তর মেরু থেকে দক্ষিন মেরু, তেল আবিব থেকে টোকিও,
সানডাইগো থেকে ঢাকা, সর্বত্রই আজ সভ্যতার আকাল।

এডেনে চলছে আজ ক্রান্তিকাল, বেনুবনে, তপবনে,
কাঞ্চন জজ্ঞায় কাবা কৈলাশে সবখানে সবদেশে
চলছে আজ রুদ্রের মহা ক্রান্তিকাল।

বুধ বৃহশপতিতে ক্রান্তি, সুক্কর সনিতে ক্রান্তি, 
কর্কটে ক্রান্তি, মক্করে ক্রান্তি, বক্কর চক্কর ক্রান্তি,
চোদর বোদর ক্রান্তি,রাজনীতিতে ক্রান্তি, ধর্মে ক্রান্তি,
সমাজে ক্রান্তি, সংসারে ক্রান্তি, প্রেম ভালোবাসায় 
সর্বত্রই চলছে মহা ক্রান্তিকাল।

প্রশাসনে ক্রান্তি, গনতন্ত্রে ক্রান্তি, সমাজতন্ত্রে ক্রান্তি,
চিকিৎসায় ক্রান্তি, শিক্ষালয়ে ক্রান্তি, মাদরাসায় 
মসজিদ মন্দির পাকোডা সিনাগোগিতে ক্রান্তি,
সর্বত্রই চলছে আজ মহাক্রান্তিকাল।
প্রশ্ন হলো একটাই,পৃথিবীর কোথায় ছিলনা,
অথবা কবেই বা থাকবেনা আর ক্রান্তিকাল,
মহামারির এই করোনাকে অতিক্রম করেই 
মানব জাতিকে এগিয়ে যেতে হবে, 
অজানা অচেনা কোন গন্হব্যের দিকে।
ধ্বংশ নয়, সৃষ্টির উল্যাসে মেতে থাকুক মানব জাতি,
হাসি মুখে পার করুক সকল ক্রান্তিকাল।

**********************************
তিন,
           বিপ্লব,
বিপ্লব মানে রক্তাক্ত পরিবর্তন,
বিপ্লব মানে স্বশস্ত্র যুদ্ধ গৃহযদ্ধ,
বিপ্লব মানে লাখো কোটি জনতার স্বতস্ফুর্ত গনঅভ্যুত্থান,
বিপ্লব মানে গগন বিধারি বজ্রের  বিস্ফোরন, 
বিপ্লব মানে মূহমূহ শ্লোগান। বিপ্লব মানে একশআশি ডিগ্রি
গুরে দাঁড়ানো।

বিপ্লব মানে সমবন্টন, বিপ্লব মানে শান্তি প্রগতি,
বিপ্লব মানে রক্তে দোওয়া উর্বর শ্যামল মাটি,
বিপ্লব মানে স্বৈরচারের যবনিকা দুঃশাসনের অবসান।
বিপ্লব মানে গান ফাউডার বোমা বারুদের বিকট শব্দ 
আগুনের লেলিহান। 
বিপ্লবের জন্য  এখন ই উপযুক্ত সময় ,
হে অবগুন্ঠিত যুদ্ধপ্রেমি স্বদেশ বাসী,
হে স্বদেশের যত অরুন্তদী জোয়ান বুড়ো,
হাতে হাতে লও ভয়ঙ্কর হাতিয়ার সব উঠায়ে--

ঐ চেয়ে দেখ এদেশে কেমন বেড়ে গেছে 
দুর্নীতিবাজদের সিমাহীন দৌরাত্য।
কালো টাকার পাহাড় মালোয়শিয়া কানাডায় বেগম ভিলা,
ঐ দেখ কেমন বেড়ে গেছে  মেহনতি মানুষের 
রক্ত শোষা জানোয়ারের উৎপাত,
ঐ দেখ এদেশে এখনও একবেলা খাবারের জন্য 
যুবতি বিছ বাজারে 
বিক্রি করছে তার প্রবিত্র শরীর।
ঐ চেয়ে দেখ এদেশে দুর্গতদের রিলিপের টাকা 
মজদুরের ভাগ্য
হারামখোররা কেমন লুটেপুটে খাচ্ছে,ঐ দেখ রাজকোষের 
লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে কেমন করে পাচার হয়ে যাচ্ছে।
পল্লীর দ্বীপ আজ নিবু নিবু, কিষানের গোয়াল আজ শূন্য্
শ্রমিকের ঘরে আজ অন্য নেই বস্ত্র নেই..
রোগা শোকা মানুষ গুলির জন্য চিকিৎসা সেবা নেই,
কলুর বলদের মত ওরা এখনও ঘানি টানছে, স্বাধীন দেশে।
আধুনিকের সুখ আহল্লাদ থেকে এখনও তারা বঞ্চিত।
আর নহে চুল পরিমান ছাড়, 
রুখে দাঁড়াও, প্রতিহত করো, যুদ্ধকে ভালোবাসলেই কেবল 
বিপ্লব  সম্ভোব।আমরা চাই হয় শান্তিপূর্ন না হয় রক্তাক্ত বিপ্লব!

চার,
**********************************
চাই রক্তাক্ত অমর মৃর্ত্যু....
যে কিশোর হাসতে হাসতে ইংরেজ বেনিয়াদের 
ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়েছিল, আমি সেই ক্ষুদিরামের
উত্তরসুরি, চাই শহীদি শাহাদাত! রক্তাক্ত মৃর্ত্যু!
শ্বশান খোলায় বসে সামরাজ্যবাদীদের মসনদ 
চুর্নবিচুর্ন করার নীল নকসা এঁকেছিল যে সূর্যসেন,
আমি তার বংশধর।স্বসস্ত্র যুদ্ধে শহীদ হয়ে স্বদেশের 
মাটিতে ঘুমাতে চাই, চাই রক্তাক্ত মৃর্ত্যু!
আমি সালাম জাব্বার রফিক বরকতের জ্ঞাতি ভাই।
আমি শহীদ আসাদের রক্তাক্ত আত্মিয়। আমি তিরিশ
লক্ষ শহীদের রক্তের উত্তরাধিকারি।আমি অকূতভয় নুর
হোসেনের জাগ্রত প্রেতাত্মা,আমি সংগ্রাম এবং যুদ্ধকে ভালোসি
প্রেয়সীর তনুর মত। চাই রক্তাক্ত যুদ্ধ এবং মৃর্ত্যু!
স্বাভাবিক মৃর্ত্যু আমার অপছন্দ।


*********************************************
                                 পাঁচ,
তুমি আমার প্রকৃত ভালোবাসা....
                             ....ফারুক,

প্রেয়সী, তুমিই আমার প্রকৃত ভালোবাসা।
তুমি আমার প্রথম, তুমি আমার শেষ-
তুমি আমার আশা নিরাশা কিংবা 
আস্হা অনাস্হার দোলাচাল ানন্ত ভরসা,
তুমিই আমার প্রকৃত ভালোবাসা।

প্রতিদিন তোমাকে দেখি অন্তঃচোখে অপলকে,
প্রতিক্ষন তোমাতে খুঁজি  তোমাকে  পলকে পলকে।তুমি দুনদীর জল, তুমি খুশির ফোয়ারা,
তুমি আলো আঁধারের খেলা, তুমি অমানীশা।
তুমিই আমার প্রকৃত ভালোবাসা।

তোমাকে দেখি ধ্যায়ানে, তোমাক দেখি প্রজ্ঞায় জ্ঞানে।
তোমাকে সাজাই সৃতির ক্যানভাসে,দক্ষ শিল্পীর মতন,
তুমি আমার সুন্দরতম অনুপম প্রিয়তম,
জীবনান্দের সারথি, তুমিই আমার প্রকৃত ভালোবাসা।

তুমি আমার সুখ দুঃখ কিংবা অনাবিল শান্তি।
তুমি আমার সঠিক কিংবা ভূলভ্রান্তি।
হয়তো তুমি যন্ত্রনা, না হয় তুমি শান্তনা।
হয়তো বা তুমি আশির্বাদ, হয়তো বা তুমি অভিসাপ।
হয়তো বা তোমাকে নিয়ে আমি সন্তুষ্ট,
না হয় তো বা ঠিক অসুন্তুষ্টও নয়।
তুমি আমার মিঠে কড়া কিংবা খাট্টা ভালোবাসা।
কিন্তু সত্যি করে যদি বলি, 
প্রেয়সী, তুমিই আমার প্রকৃত ভালোবাসা।

বিশ্বস্হ কুকুরের মত পোষমানা প্রেয়সী আমার!
 ঘুর ঘুর করে গুরছো সারাটা জীবন আমার পাশে পাশে,
তুমি প্রহেলিকা কিংবা আলেয়ার মত জিগাংসা।
তোমাতে আস্হা তোমাতে বিশ্বাস, তোমাতে ভালোবাসা।
ইহকালে পেয়েছি তোমায়, পরকালেও চাই পাশে, 
তুমিবিনা আমি অদুরা, তুমিই আমার প্রকৃত ভালোবাসা।
                                        ......২৫,০৭,২১, স্মলেনবার্গ।








Sunday, April 18, 2021

এ ভাবে হাঁটতে হাঁটতে একদিন...

                    


আজ আঠরই এপ্রিল, রোজ রবিবার।
ইউরোপ জুড়ে বন্ধের দিন, সপ্তাহিক ছুটির দিন,
দোকানপাট সব বন্ধ, প্রায় নিঃষ্প্রাণ নিরব নিস্তব্দ-
 চারিদিকে পশু পক্ষি  জনমানব হীন।
ঘরে বসে বসে ভোর হচ্ছি,একটু বাহিরে 
হেঁটে আসলাম।বেশ কিছুক্ষন হাঁটতে হাঁটতে নীল 
আকাশের গায়ে একপাশে দেখলাম দুরন্ত মেঘ বালিকারা 
খেলা করছে।আরেক পাশে দেখলাম অবোধ শিশুর মত সাদা মেঘেরা 
ঘুমাচ্ছে। মাঠে মাঠে সবুজ ঘাঁসেরা সতেজ হয়ে উঠছে।
গাছে গাছে নতুন কুঁড়ি, বুঝি বসন্তের আগমনি গানের সাজানো মঞ্চ,
 গ্যালারি খালি দর্ষক হীন। 
এভাবেই হাঁটতে হাঁটতে ফিরে এলাম ঘরে।
সময় কাটছে তুমিবিনা বিমূর্ত্যু এক পরিবেশে।
বিশাল এক এপার্টমেন্ট, চারদেয়ালের বন্দিখানা,
বড় বড় সাতটি কাঁচের জানালা, একটি কাচের  
বাঁকি সাতটি কাঠের দর্জা, ভিতরে বসে মূর্তমান 
আমি একা,দোলনা  কেদারায় বসে গ্লাসের ভিতর দিয়ে 
দেখছি প্রাণোবন্ত দুরের দিগন্তকে।
এভাবেই দেখতে দেখতে--
হয়তো বা কোন একদিন নিভে যাবে দু নদীর আলো।
হয়তো বা বিবর্ণ হবে লাবণ্য অবয়বের জ্যোতি,
হয় তো বা বন্ধ হয়ে যাবে অনবদ্য জীবনের জলপ্রপাত।
সেদিন কেউ আর আমাকে দুঃখ কষ্ট যন্ত্রনা দিতে আসবেনা,
দুহাতে ঝড়ায়ে ধরে তুমি ও আর ভালোবাসবেনা।
ভূলে যাব অকারণে গত জীবনের যত মান অভিমান,
ভুলে যাব যাপিত জীবনের সকল গিতী কবিতা।
ভুলে যাব চেনা জানা শুনা সকল মুকগুলো। 
ভুলে যাব নৈঃসর্গের সকল সোন্দর্যকে।
এ ভাবে হাঁটতে হাঁটতে একদিন হঠাৎ করে চলে যাব
অচেনা অজানা কোন পৃথিবীতে।
বিশ্বাস করো, কছম খেয়ে বলছি,
একদিকে আমার তাড়া করছে করোনা,
আরেক দিকে তাড়া করছে দুষ্ট সমাজের যত যন্ত্রনা,
বোধ হয় এবার মরে গেলেই বাঁচি।
না না বাবা না-
একদল নাস্তিক আছে- তারা বলবে মৃর্ত্যু কামনা,
কবিরা গুনাহ।হায় হায় কবি-রা কি বুঝে,
কি জিনিস কবিরা গুনাহ?
                    ১৮,০৪.২১, জার্মানী,

কুলাঙ্গারদেরকে বলছি...

                                                              






আমরা সব কিছু দেখছি এবং শুনছি।
হ্যেই স্বদেশের যতসব কুলাঙ্গার গভেটের দল,
হ্যাঁ তোদেরকেই বলছি।শোন মিরজাফরের বংশধর,
গাদ্দার রাজাকারের আন্ডা বাচ্চারা শুন তোদেরকে বলছি।
শহীদের রক্তে ভেজা স্বদেশের প্রবিত্র মাটি নিয়ে তোরা যারা ষড়যন্ত্র 
করছিস,  তোদের একটিকেও আমরা ছাড়বোনা।
আমরা জানি এবং বুঝি  স্যোসাল মিডিয়ায় দেখছি-
তোরা বৃটেনে বসে স্বদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছিস 
একদল বিলাতি খানকির পোলারা।
আমেরিকায় বসে গাদ্দারী করছিস একদল মার্কিনী মাদার চোদে রা।
কানাডায় বসে নিমকহারামি করছিস একদল ভিকিংগাদের 
জারত সন্তান। অষ্ট্রেলিয়ায় নিউজিল্যান্ড জাপান কোরিয়া
দেশে বিদেশে রক্ত সঙ্কর বর্ণ সঙ্কর আর্যমার্য পাকি রাজাকার 
যে রক্তই তোদের রক্তের সাথে মিশে থাকুক না, 
আমাদের রক্ত মাথায় উঠলে, খোদার কছম, তোদের একটাকেও ছাড়বো না।
তোরা সব শুনে রাখ জেনে রাখ!
পাকিস্তানি হায়েনা কে আমরা ছাড়িনী,
রাজাকার আলবদর কে ছাড়িনী,
তোদেরকেও ছাড়ার প্রশ্নই উঠেনা।
সবাধান! হুষিয়ার! এখনও ধর্য্য ধেরেই আছি।
ধর্য্যচ্যুতি হলে একটিরও রক্ষা নাই।
শুন ধর্মের জল্লাদ বাহিনীরা শুন!
যে ধর্মে উগ্রবাদীতা হিংসা বিদ্বেশ শেখায়, 
সেই ধর্মকে আমরা ঘৃনা করি।
যে ধর্মে শেখায়না, সহিষ্ণুতা বিনয় নম্রতা ভদ্রতা 
সে ধর্মকে আমরা প্রত্যাখ্যান করি।
 যে ধর্ম বিধানে লেখা নেই সাম্য মৈত্রি, প্রেম ভালোবাসা,
 সে বিধানকে আমরা চিড়ে ফেলবো।
বোকা আর বিবেকহীন মানবতহীন মানুষেরা কোনদিন
ঈশ্বর প্রেমিক হতে পারেনা।
নির্মোহ সত্য আমরা জাতিকে জানিয়ে দেবো।
 তোমাদোর মুখোশ উন্মেচন করে দেবা।
ফাঁসি কিংবা এনকাউন্টারে তোমাদের মৃর্ত্যু আমরা 
নিশ্চিত করবোই করবো।
                              ১৮,০৪,২১, জার্মানী,

সব কিছু লিখে রাখছি ...



সব কিছু লিখে রাখছি নিপুন হাতে,  

আমার  এই ডায়েরিতে,
  আমার এই নষ্ট কলমে।
তোমাদের সকল জুলম অত্যাচার অবিচার,
কথা লিবো,অন্যায় অরিয়মের কথা  লিখছি,
তোমাদের নির্যাতন নিপিড়নের কথা লিখছি,
ভূক্তভোগি জাতিকে উসকে দিতে  লিখছি,
আগামি প্রজন্মকে সব জানিয়ে দিতে আমি লিখছি,
নিপুন হাতে, আমার ডায়েরিতে, আমার এই নষ্ট কলমে।

তোমাদের উশৃঙ্খল উন্মাদনার কথা আমি লিখছি।
হরতাল অবরোধ, মিছিল মিটিং জ্বালাও পোড়াও,
নিরীহ মানুষ হত্যা, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কথা আমি লিখছি।
রাষ্ট্রিয় সম্পদের ধবংশ লীলার কথা আমি লিখছি।
রাজকোষের কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার,
ব্যাংক  লুট হরি লুট ঘুষ দুর্নীতি ভুমি দস্যুদের বিরুদ্ধে আমি লিখছি।
তোমাদের  অশুভ-আর অপশক্তির বিরুদ্ধে এটাই আমার মোক্ষম অস্ত্র।
তোমাদের রাক্ষস খোক্কোস দজ্জালের বংশকে ধংশ করেতেই আমি লিখছি।
তোমাদের ভাঁড়াটিয়া লাখো শ্রমিকের মিছিলের সামনে দাঁড়িয়ে 
প্রতিরোধ প্রতিহত করা আমার একার পক্ষে সম্ভব নয়।
তাই বিস্তারিত লিখে রাখছি।
আমি ঘোট ঘোট অক্ষরে লিখে রাখছি,
তোমাদের সকল অপকর্মের কথা।
আমি লিখে রাখছি  ভন্ড লুইচ্ছা লাফাঙ্কা ধর্মব্যপারি মামুনুলের 
রিসোর্ট কান্ডের কথা।আমি লিখছি ধর্মের অপব্যখ্যা অপব্যবহারকারী 
ফতুয়া বাজদের কথা।আমি লিখে রাখছি, বোরকায় আবৃত নারীর 
অপমানের কথা। আমি লিখছি পায়জামা পাঞ্জাবি দাঁড়ি টুপির অপমানের কথা।
আশি লিখে রাখছি ইসলাম ও মুসলমানের অপমানের কথা।
আমি লিখে রাখছি তোমাদের সকল কৃতকর্ম গুলি।
এগুলি লিখে রাখা দরকার বলেই লিখছি।
কারণ আমি জানি তোমাদের সকল অপকর্ম নিয়ে একদিন সিরিয়াল নাটক
সিনেমা হবে।গল্প হবে, গান হবে, কত কবিতা আ-কবিতা রচিত হবে।
আমি জানি তোমাদের কাপুরষতা নিয়ে,
সারকেসের ক্লাউন বানর হনুমানের মত তোমাদের দাঁড়ি ধরে টানবে,
টুপি খুলবে, সেরোয়ানি চিঁড়ে তামাসা করবে।
আমি েলিখে রাখছি গাদ্দার রাজাকার আলবদর আলসামছের  ধংশলীলার কথা।
রগকাটা গলাকাটা রক্তাক্ত ধর্মের জল্লাদ বাহিনীর কথা।
 আমি লিখছি হেফাজতি হিজরাদের রাসলীলার কথা।
আমি লিখছি ওয়াজিদের যতসব আকথা কুকথা ভাওতার কথা।
এগুলি সব লিখে রাখা দরকার বলেই আমি লিখছি।
কমরে দুধার খঞ্জর,হাতে উঁচু করে তলোয়ার 
ঘোঁড়ির পিঠে চড়ে ওরা রণহুঙ্কার দিয়ে ঘোষনা করছে মানুষ জবাইয়ের।
মাদ্রাসা মক্তব গুলিকে ওরা বানিয়েছে গ্যারিশন, অস্ত্রের গুদাম।
প্রবিত্র পোষাক পড়ে ওরা করছে শিশু বলাৎকার।নারী শিশু নির্যাতন নিপিড়ন।
বলাৎকারী বাবাদের মুখোশ উন্মেচন করেতেই আমি লিখছি।
আমি লিখছি সমৃদ্ধির  শান্তিময় সমধিকার সমবন্টনের একটি বাংলাদেশের জন্যে।
আমি লিখছি সম্ভাবনাময় অনিয়ন্ত্রিত একটি স্বপ্নের বাংলাদেশের।
রক্তে দিয়ে নয় আমার এই নষ্ট কলমের কালি দিয়েই আমি লিখছি
বিপ্লবের নতুন ইতিহাস।
আমি লিখছি পরম শ্রদ্ধায় মাথা নত করে মমতাময়ি মহিষী 
নারীকে ভালোবেসে। 
                              ১৮,০৪,২১, জার্মানী,



Friday, April 16, 2021

১০ই মে বাবার বিদায় বেলার দিনঃঃ---



বাবা তোমাকে আজ আমার  মনে পড়ছে,খুব করে মনে পড়ছে। 
জানি তুমি আজ পৃথক পৃথিবীর একজন শান্তসিষ্ট বাসিন্ধা।
যত দুরেই তুমি থাকো না কেন,বাবা মায়ে রা তো সন্তানের মাঝেই বেঁচে থাকে অনন্তকাল ধরে।তুমিও বেঁচে আছ আমাদের মাঝে। আমাদের অন্তর আত্মায়।  যত দুরেই তুমি থাকো না কেন মনে হয় যেন ঔ দুর আকাশে প্রদীপ্ত একটি সন্ধ্যা তারার মত   তোমাকে আমি দেখছি। আমার অন্তর আত্মায় এসে পড়ছে তোমার নিহন আলোর বিকিরন, ঐ দেখা যায়,  সত্যিই তুমি ঝল ঝল করে জ্বলছো।

 ঐ দুরের  আকাশগঙ্গা কিংবা নিহারীকা কুঞ্জের কোন এক গ্রহ-গৃহের 
দর্জার সামনে রাতুল ভরা গ্লাস হাতে আরাম কেদারায় বসে  জোসনা রাতে
  উচ্চ শব্দে বার বার যেন তুমি কাউকে বকছো,যেমনি এই পৃথিবীতে থাকতে
প্রতি সন্ধ্যায় উঠোনে বসে বসে  পাইপ টানতে টানতে  বকতে- ঠিক তেমনি
বাবা তুমি বকছ ,এমনি করে--
জগতে  মিথ্যাবাদীরা সব কুত্তার বাচ্ছা,
উপকারের নামে ছোবাড় (চড়)
জীবনে কারো উপকার করতে নেই---
কুত্তার বাচ্ছারা সব দড়িবাজ, নিমক হারাম, শুয়োরের বাচ্ছারা সব কিছু ভূলে গেছে।
 এই মসজিদের পাশেই আমার বাবা-মা দুজনই চির নিদ্রায় শায়িত, এই মসজিদের জায়গাও আমার বাবা দান
করে গেছেন, আপনারা আমার বাবা মায়ের জন্য দোয়া করবেন, আল্লাহ যেন তাদেরকে জান্নাত দান করেন, আমিন,



বাবা তোমার মুখে গালি গুলি শুনে শুনে আমরা সবাই  ঘুমিয়ে পড়তাম, আর নির্ঘুমে পোহাত 
প্রায় তোমার প্রতিটা দীর্ঘ দীর্ঘ রজনি।ভালো করে বুঝতাম না তুমি কাকে এমন কর্কশ ভাষায় গালি দিতে।
আমরা না বুঝলেও মা যেন সবি বুঝতেন।

বড় হবার সাথে সাথে আমরাও বুঝতে থাকি।  বাবা তুমি কাদেরকে এমন অশ্রাব্য  ভাষায় গালি দিতে?
তোমার অতি আপনজন, যাদের সাথে তোমার রক্তের সম্পর্ক,  আশে পাশের
 সেই  নিমক হারামদের তুমি গালি দিতে।ওরা নেড়ি কুত্তার মত নেতিয়ে বেহায়ার মত তোমার গালি শুনতো।কারুর মুখে কোনদিন রা শব্দ সরেনি।

কেন গালি দিতে? বড় হবার সাথে সাথে সে গল্প তুমি আমাকে শুনায়েছ অনেক বার।কোর্টের বারান্ধায় খেতের আলে বসে বসে অথবা হাঁটে বাজারে যেতে যেতে।কারণ আমিই তো ছিলাম তোমার একমাত্র হাতের লাঠি।যে সন্তান বাবার কোলে পিঠে বড় হয়ে বাবার হাতের লাঠি হতে পারে,তার চেয়ে সৌভাগ্যবান সন্তান জগতে আর কে হতে পারে।এ কথা ভাবতেই অসম্ভব ভালো লাগায় মন ভরে উঠে । বাবা নিশ্চয় আমি খুবি ভাগ্যবান।আমিই  তোমার সেই হাতের লাঠি সৌভাগ্যবান সন্তান।
বাবা আমি তোমার রক্তের সন্তান, আমি তোমার আদর্শের সন্তান।প্রতিদিন প্রতিক্ষন তোমাকে ধারণ করি,লালন করি অন্তর আত্মায়।জীবন চলার পথে প্রান্তরে, দুঁদে এই অলিতে গলিতে, আমার কালো কালো আকাশে, তুমি প্রতি প্রভাতে উঠো সোনালি  সূর্য্যএর মত, রাতে উঠো পুর্নিমার শশীর মত।তোমার আলোতে উদভাসিত হয়ে হাঁটছি এ জটিল পৃথিবীর আঁকা বাঁকা পথে, ছায়া পথ ধরে উহ্য কুকুরের মত।

বাবা তোমার মুখে শুনেছি তোমার জীবনের গল্প্টা--


সাত ভাইয়ের মধ্যে তুমি ছিলে তৃতীয়, আর আমিও হলাম চার ভাইয়ের মধ্যে তৃতীয়, দেখ তোমার আমার মাঝে কি অসম্ভব মিল। মানে আমিও তোমার মত সংসারে সেঝ।তোমার একটি বোনও ছিল, আমাদের অদেখা পুফু।ছোট দু ভাইকে উলঙ্গ  রেখে তোমার পিতা না ফেরার দেশে পাড়ি জমান। তোমার বাবা মানে আমাদের দাদার নাকি কলিজার বিমার(ব্যদনা) ছিল।  ছোট একটি সনের ঘর( কুড়ে ঘর) তার ভিতরে তোমরা আট ভাই বোনকে নিয়ে তোমার বৈধব্যা মা, আমাদের প্রিয় দাদি, মাকড়সার মত এতগুলো সন্তানকে আঁকড়ে ধরে বড়ই হিমশিম খেত।ঝাউ আর ভাতের মাড় নিয়ে মারামারি  নিত্য দিনের ব্যপার ছিল তোমাদের সংসারে।রক্তাক্ত হত তোমাদের কুড়ে ঘর হাঁড়ি বাসনপাতি।আজ এর গাল ছুলত তো কাল ওর।টগবার বাড়িতে মাথা পাঠতো।নুন্যতম  বেঁচে থাকার এই নির্মম লড়াই সংগ্রাম তোমার সহ্য হতো না বিধায় একদিন গোপনে মাত্র বার বছর বয়সে তুমি হয়ে গেলে বিভাগী।তোমার কিশোর জীবনের সুন্দর সাম্পান ভাসিয়ে দিলে অন্তহীন মহা সমূদ্রে।

তোমার সেই সুসৌভিত সাম্পান তোমার স্বপ্নের বহু বহু পৃথিবী গুরে অবশেষে প্রাচ্যের পম্পে নগরিতে গিয়ে নোঙ্গার ফেললো।(সন্দীপ হাতিয়া সহ নোয়াখালীর উপকুল অঞ্চল নিয়ে সমূদ্র গর্ভে বিলীন হওয়া নোয়াখালীর আদি শহরকে বলা হয়েছে পম্পে নগর)নতুন দেশ নতুন শহর, নানা বর্ণের মানুষ জনে,নানা রঙের জাহাজ, তার উপর সাগরের উত্থাল ঢেউ এর সাথে আছড়িয়ে পড়ছে প্রাণের স্পন্দন।ভীষন খুদার্থ ছিলে তুমি।পকেটে তোমার একটি পয়সাও ছিল না।পকেট থাকবে কোত্থেকে? গায়ে তো জামাই ছিলনা। চেঁড়া একটি লুঙ্গি পরনে, গায়ে একটি চিন্ন চাদর পাঁ-জোড়া খালি।পেটে অকুতভয় ক্ষিদা, খুদার্থ কাকের মত গুরছো এদিক ওদিক।
অনেক খোঁজার পর অবশেষে কোন এক সুহৃদ খান সাহেবের কাপড়ের দোকানে মিললো তোমার একটা চাকুরি।তাও আবার পেটে ভাতে। বেতন ছিলনা।শুধুই বেঁচে থাকার লড়াই। অজানা অচেনা নগরে সেটাও বড় প্রাপ্য।চার পাঁচ বছর সেখানে থাকার পর পম্পে নগরি সাগর গর্ভে বিলীন হবার পুর্বেই তোমার জীবন সাম্পান নোঙ্গর তুলে আবার ভাসতে ভাসতে গিয়ে ভিড়লো কলিকাতার বন্দরে।সেখানে একটি দোকানে দুবছর চাকুরি করে দশটাকা জমিয়ে তুমি জাহাজের নলি বানিয়ে চাকুরী নিয়ে বিদেশী জাহাজে উঠে পাড়ি জমালে  সমূদ্রের পথে দিগ্বিজয়ি কলম্বাসের মত।পৃথিবীর পথে পথে বন্দরে বন্দরে, তোমার স্বপ্নের নোঙর ফেলে, উত্তর মেরু দক্ষিন মেরু প্রদক্ষিন করে অবশেষে বহুদিন পর ঘরে ফিরেছ।ধুমধামে  ঘরে তুলেছ আমাদের প্রিয়তমা মাকে।

বলা বাহুল্য তোমাদের বিশাল বংশে আমার মা-ই ছিল আরবি বাংলা জানা একজন শিক্ষিত মানুষ।মা যখন তোমাদের পরিবারে এসেছিল তখনও তোমাদের সনের একটি মাত্র ঘর ছিল।তখনও তোমাদের দারিদ্রতা দুর হয়নি।অভাব অনটন লেগেই ছিল।মায়ের মুখে শুনেছি তোমার ছোট দু ভাইকে মা এসে ন্যাংটা গোছল করাতো।মায়ের কাছেই তাদের লেখাপড়ার হাতে খড়ি হয়েছে।তাও আবার একজনের অন্যজন  তো মাস্তান হলো।  তখনও রক্তাক্ত হতো তোমাদের কুড়ে ঘর।ডাস্টবিনের উচ্ছিস্ট নিয়ে কুকুরেরা যেমনি করে।

মাকে রেখে কিছুদিন পরে তুমি তোমার তিন ভাইকে কলিকাতা নিয়ে জাহাজে চাকুরি দিয়েছ।বড় দুভাই কয়বছর চাকুরি করে আর  যায় নাই মাথা গুরার ওঝুহাত তুলে।ছোট এক ভাইকে নিয়ে দীর্ঘদিন ভেসেছো গভির অগভির সাগরের  অথৈ জলে।অনেক টাকা কামায়েছ দু ভাই মিলে, অনেক সম্পত্তি জোড়ায়েছ। কিন্তু সব  ভাইকে সমান ভাগ করে বেঁটে দিয়েছে। কিছুদিন পরে তোমার সেই ছোট ভাইটি আর যায়নি জাহাজে। তুমি একাই ভাসায়েছ তোমার স্বপ্নের সাম্পান।সেই ব্রিটিশ পিরিয়ড থোকে পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ পিরিয়ডেও তুমি একাই ভেসেছ।

অনেক টাকা কামায়েছ অনেক সম্পত্তি জোড়ায়েছ।আশে পাশের মানুষেরা মনে করতো জাহাজে চাকুরি করে নয় তোমার কাছে গুপ্ত টাকা বানানোর মেশিন আছে।ঘরে বাহিরে উপছে পড়তো তোমার টাকা পয়সা। বাবা তুমি যত সম্পত্তি জোড়ায়েছ, আজ আমরা চার ভাই ইউরোপ আমেরিকা থেকেও এত সম্পত্তি জোড়াতে পারিনি।এক জীবন প্রায় শেষ ।আমরা চার ভাই তোমার খরিদা সম্পত্তিতেই বাড়ি করেছি।

 বাবা তুমি তো দেশ দেশান্তরে ছুটে বেড়াতে, দরিয়া দরিয়ায় ভাসতে। এদিকে মা একা বাড়িতে ছোট ছোচ সন্তানদেরকে আগলে ধরে বাড়ি থাকতেন। মায়ের মুখে শুনেছি তিন বার আমাদের ঘর ডাকাতি হয়েছিল। মুখোশ পড়ে তোমার ভাইয়েরাই  নাকি ডাকাতি করেছে। মায়ের চিতকারে অন্য বাড়ি থেকে লোক এসে ডাকাত দৌড়ায়েছে, কিন্তু তোমার হিংসুটে ভাইয়েরা কেউ আসেনি। মা বলেছেন নগদ টাকা পয়সা সহ সেরে সেরে সোনারুপা ডাকাতেরা নিয়ে গেছে।

বাবা তোমার ছোট যে ভাইকে তুমি লেখা পড়া শিখায়ে মোক্তার বানাতে চেয়েছ, সেই ভাইটিই আমাদেরকে বেশি হিংসা করেছে।মোক্তার তো হতে পারেনি তিনবার মেট্রিক দিয়ে ফেল হরে কৃষ্ণ স্যারের মুখে শুনেছি। মোক্তার তো হয়নি সে হলো বর্ডার গার্ড।ভূয়া মুক্তি যোদ্ধা। বাবা সাতাত্তর সালের দিকের কথা একাবার মিন্টু আমাদের চরের দুদাগ জমিন  চাষ করেছিল। ধান যখন পেকেছিল তখন তোমার সেই হিংসুটে ভাই মুক্তি ফোজের অস্ত্র তাক করে আমাদের দুদাগ জমিনের ধান কবিরা হাওলাদের সাথে মিলে লুটায়ে দিয়েছে।সে সময় তুমি না কষ্ট পেয়েছ। আর আজ সে ভাইয়ের সন্তানরাই ্ একি কায়দায় তোমার বাবার সম্পত্তি ও তোমার কেনা সম্পত্তি জোর করে দখল করে রেখেছে।তারা এখনও দেখ কেমন ভাবে খুনের নেশায়  মেতে উঠেছে।

  বাবা তুমি আমার বাড়িটা দেখে গেছ। আমি যে তোমাকে বলেছিলাম তোমার চার ছেলেরা  একদিন বড় বড় বাড়ি করবে। দেখ আজ তোমার সনানেরা তোমার জায়াগায় উঁচু উঁচু বাড়ি করেছে। তোমার মসজিদের জন্য দান করা জায়গায় আজ বিশাল মসজিদ হয়েছে।  আর তুমি চলে গেছ ও পারে খালি হাতে সাড়ে তিন হাত জায়গা লয়ে, শুয়ে আছ মসজিদেরই পাশে। ভালো থেকো বাবা সে পাড়ে।



                                                         .....ফারুক, জার্মান প্রবাসি,


অজ্ঞসব জনপ্রতিনীধি,

সত্যই শক্তি, সত্যই সুন্দর,