আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বানকে কেন্দ্র করে আজকাল ঝামেলাবাজদের ঝামেলার গতি তীব্রভাবে বেড়ে গেছে।বাংলাদেশের রাজনীতিতে পরিত্যক্ত মাথামোটা হেভিওয়েট রাজনীতিবিদ ডঃ কামাল হোসেন, ডাঃ বি চৌধুরী, ডাঃ জাফর উল্যা, বারিষ্টার মইনুল হেসেন আ,সম,রব মান্না মনসুর সবাই আজ উন্মাদ প্রায়।সারা জীবন নির্বাচনে বার বার দাঁড়িয়ে জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়া বা হারানো এই বিজ্ঞ রাজনীতিবিদরা আজ যুক্তফ্রন্ট ও ঐক্য প্রক্রিয়া নামে সংযুক্ত হয়ে ঝামেলা করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে।
জনগনের সামনে তাদের কোন ভবিষ্যত পরিকল্পনা কিংবা সুস্পষ্ট কনসেপ্ট নাই।তারা শুধু চাচ্ছে ঝামেলা সৃষ্টি করে শেখ হাসিনা সরকারকে উৎখাত করে আবার সেই জামাত বিএনপি সরকারকে ক্ষমতায় অধিষ্টিত করতে।তারা চায় দেশটা আবার দীর্ঘস্হায়ি দানব জঙ্গিবাজ মৌলবাদের কবলে পড়ে পিছনের দিকে দাবিত হউক।তারা দখলদার দল বিএনপি জামাতের সাথে মিলে গনতন্ত্রের কথা বলে জনগনকে বিভ্রান্ত করছে অগনতান্ত্রিক পণ্হায়ে।গনতন্ত্র সম্পর্কে তাদের কোন সুস্পস্ট ব্যখ্যা বিশ্লেষণ বা বক্তব্য নাই।রাজনীতির নামে তারা রাজনীতিকে কুলুষিত করে জনজীবনকে এক অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়ে অতিষ্ট করে তুলেছে।
একদিকে এইসব বুদ্ধিবাজ জ্ঞানপাপিরা ঝামেলা সৃষ্টি করিতেছে, আরেক দিকে ধর্মব্যবসায়ী মৌলবাদ চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে।তারা আজ যেমনি ধর্মকে রাজনীতির সাথে মিলায়ে মিশায়ে একাকার করে ফেলেছে, ঠিক তেমনি রাজনীতিকে ধর্মের সাথে মিশায়ে ভন্ডামি করিতেছে।জগতে এদের চেয়ে বড় মোনাফেক সয়তান আর কে হতে পারে?
রাজনীতি করতে হলে মিথ্যাচার করতে হয়, মিথ্যা না বললেও সত্যকে এড়িয়ে যেতে হয়।আবার সভা সমিতিতে মিটিং সেমিনারে সস্হা জনপ্রিয়তার জন্য আবোল তাবোল বলতে হয়।তখন কি কোন মুমিন বা ঈমানদার মুসলমানের আর ঈমান থাকে?ধার্মিক ব্যক্তিদের কাজ হলো ধর্ম প্রচার করা।মানুষকে ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়া।ইসলামের স্বর্নযুগে মসজিদকে বলা হতো বিশ্ববিদ্যালয়।সেই সময় মসজিদে ধর্মীয় শিক্ষা ছাড়াও পদার্থ রসায়ন বায়োলজি এমনকি সমাজ বিজ্ঞান শিক্ষা দেওয়া হতো।
আজ বাংলাদেশের কথিপয় ধর্ম ব্যবসায়িরা মিথ্যা গনতন্ত্রের লেভাস ধারি ঘুষখোর হারামখোর দুর্নীতিবাজদের সাথে মিলে ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট খাবার জন্য ব্যকুল হয়ে পড়েছে।তারা মহানবীর আদর্শ ইসলামের আদর্শকে ভুলুন্টিত করে মুখে মুখে বলছে ইসলামি শাসনতন্ত্র কায়েম করার কথা।আরে ভাই কিভাবে? তোমরা যেসব বেজন্মা মুসলমানদের সাথে রাজনীতি করে ইসলামী শাসনতন্ত্র কায়েম করতে চাচ্ছ।সেই বিএনপি এবং জাতীয় পার্টির বেশিরভাগ লোকই হলো নাস্তিক।তারা অনেকেই লোক দেখানো ওমরা বা আকবরি হজ্ব করেছে ঠিকই, ঘরে এক ওয়াক্ত নামাজও পড়ে না ঠিক মত।
এই সব ধর্মব্যবসায়ি ও ধর্মের লেভাস পড়া লোকরা সবসময় ধর্মান্ধ একগুঁয়েমী পরধর্মবিদ্ধেশী এবং সম্প্রদায়িক অ-অনুদার অসহিষ্ণু ও সঙ্কীর্ন মনের অধিকারি হয়ে থাকে।রাজনীতির নামে এরা সমাজে ঝামেলা সৃষ্টি করে অনাচার অরাজকতা ডেকে আনে।কারণ এদের জ্ঞানবুদ্ধি অত্যান্ত সীমাবদ্ধও সংকির্ন।
বাংলাদেশের মানুষ আজ জ্ঞানবুদ্ধিতে সবাই পরিণত।সবাই আজ সম্ভাবনাময় বাংলাদেশে বসে অনিয়ন্ত্রিত স্বপ্ন দেখে, সবাই সবার ভালো মন্দ কমবেশি বুঝে।তবু এই সব ঝামেলবাজদের ঝামেলা থেকে সতর্ক থাকতে হবে সবাইকে।ময়লা কাদামাটি ধুয়ে যেমনি সোনা বাহির করা হয়,ঠিক তেমনি খাঁটি সোনা হিসেবে আমাদের আগামী দিনের নেতা নির্বাচন করতে হবে।
আমাদের নিত্যসত্য অতিতের ইতিহাস এখন আর কারো অজানা নয়।আমরা জানি বঙ্গবন্ধুর স্বাধীন সামরাজ্যে এসে মিথ্যের অজুহাত তুলে গাদ্দারির করে ভাগ বসিয়েছে স্বৈরচার জিয়া।সত্যকে ঢেকে জিয়া প্রতিষ্টা করতে চেয়েছিল মিথ্যের বিকৃত ইতিহাস।কিছুটা সফল হলেও তার মসনদে আবার হানা দিয়ে ভাগ বসায়েছে আরেক স্বৈরচার এরশাদ।আজ সকল স্বৈরচারের সাঙ্গপাঙ্গরা আর যুদ্ধাপরাধি দুষ্টচক্র মিলে দেশে ঝামেলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করতেছে।প্রগতিবাদী সাবইকে একহয়ে প্রতিহত করতে হবে এসব ঝামেলাবাজদের।
বাংলাদেশের মানুষকে আজ জানতে হবে পৃথিবীর যে দেশেই স্বৈরচাররা জবরদস্তি ক্ষমতা গ্রহন করেছে, সেই দেশ ও জাতি রাষ্ট্রগুলি আজ এক একটি গরিব রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। সামরিক স্বৈরচাররা পৃথিবীর সকল দেশেই ক্ষমতায় বসে প্রথমে নেসানাল পার্টি গঠন করেছে।বাংরাদেশের দু স্বৈরচাররাও তাই করেছে।কিন্তু পরিশেষে সব স্বৈরচারের নির্মম পতন হয়েছে। সাথে সাথে বিলুপ্ত হয়েছে তাদের হাতে গড়া দলগুলিও।ইতিহাস তার সাক্ষি।
-----চলবে
বাংলাদেশের মানুষকে আজ জানতে হবে পৃথিবীর যে দেশেই স্বৈরচাররা জবরদস্তি ক্ষমতা গ্রহন করেছে, সেই দেশ ও জাতি রাষ্ট্রগুলি আজ এক একটি গরিব রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। সামরিক স্বৈরচাররা পৃথিবীর সকল দেশেই ক্ষমতায় বসে প্রথমে নেসানাল পার্টি গঠন করেছে।বাংরাদেশের দু স্বৈরচাররাও তাই করেছে।কিন্তু পরিশেষে সব স্বৈরচারের নির্মম পতন হয়েছে। সাথে সাথে বিলুপ্ত হয়েছে তাদের হাতে গড়া দলগুলিও।ইতিহাস তার সাক্ষি।
-----চলবে