বাংলাদেশে পূর্নগনতন্ত্র প্রতিষ্টা করতে হলে---
(১) প্রথম হলো সুশাসন প্রতিষ্টা করতে হবে---
একটা আদর্শ রাষ্ট্রে পূর্ন গনতন্ত্র প্রতিষ্টিত করতে হলে প্রথমেই সুশাসন প্রতিষ্টা করতে হবে।আইনের চোখে সবাই সমান এ কথাকে সত্য প্রমান করতে হবে স্বাধিন বিচার বিভাগের মাধ্যমে।এখানে দল প্রতিষ্টান ব্যক্তি বিশেষ কিংবা সরকার কেহই প্রভাব খাটাতে পারবে না।আইনজিবীরা আদালতের বারান্ধায় মিছিল মিটিং শ্লোগান কিংবা দৈহিক বল প্রয়োগের মাধ্যমে নয়,জ্ঞান প্রজ্ঞা বুদ্ধি খরচ করে যুক্তি তর্কের মাধ্যমে ভিকটিমকে ন্যায় বিচার দিয়েই গনতন্ত্রকে সমুন্নত করতে হবে।
(২)বাক্ স্বাধীনতা---
স্বাধীন দেশে দলমত ধর্ম গোত্র গোষ্টি সবার সার্বিক ভাবে বলা ও লেখার মধ্যে মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকতে হবে। তবে কেউ কাউকে হেয় প্রতিপন্ন করে নয় কটুক্তি করে নয়,। কেউ কারো ধর্মানুভূতিতে আঘাত দিয়ে নয়।স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে পরস্পরের প্রতি সাম্যমৈত্রি সোহর্দ্যপুর্ন সন্মানবোধ থাকতে হবে।তবে সকল অন্যায় অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ প্রতিবাদ করা যাবে নিয়মতান্ত্রিক শান্তিপুর্ন ভাবে। আমাদের সংবিধানে বাকস্বাধিনতার কথা লেখা আছে।
(৩)জবাব দিহীতা----
সরকারি বেসরকারি প্রশাসন (থানা আদালত,) মিল কারখানা ব্যবসায়িক প্রতিষ্টান এমন কি ব্যক্তি বিশেষ সবাইকে তার কৃতকর্ম কিংবা তার উৎপাদন ভোগ্য পন্যের সুনির্দিষ্ট ও স্পষ্ট জবাব দিহীতা অত্যান্ত জরুরি।সাধারণ নাগরিকের সবকিছুর ভালো মন্দ জানার অধিকার আছে।
(৪) দ্বায়বদ্ধতা------
রাষ্ট্রিয় বা সরকারি সকল কর্মি কর্মকর্তা থেকে শুরু করে এমপি মন্ত্রি মিনিস্টার আমলা এমন কি প্রত্যেক নাগরিকের নিজ নিজ অবস্হান থেকে সুনির্দিষ্ট দ্বায়বদ্ধতা আছে রাষ্ট্রের কাছে। সবাই নিজ নিজ অবস্হান থেকে এই দ্বায়বদ্ধতা পালন করে সুনাগরিক হয়ে দেশের সেবা ও সহযোগিতা করতে বাদ্য থাকিবে।
(৫)ধর্মীয় স্বাধীনতা-----
ধর্ম একটা স্পর্শকাতর জিনিস। ধর্ম কি-?কেন--?কেমন করে এল--?ধর্মের পক্ষে বিপক্ষে অনেক যুক্তিতর্ক আছে, এটা সচেতন মানুষ সবাই কম বেশি জানে। পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষ জান প্রাণ দিয়ে ভালোবাসে নিজ নিজ ধর্মকে।সুতরাং কেউ কারো ধর্মানুভূতিতে আঘাত দেওয়া সমিচিন বা উচিৎ হবে না। প্রত্যেক ধর্মেরই নিজস্ব নিয়ম নীতি কায়দা কানুন আছে।সব ধর্মালম্বিদের খেয়াল রাখতে হবে বাংলাদেশ পরিচালিত হচ্ছে রোমান ও বৃটিশ ল-বা আইনের মাধ্যমে।ইসলাম ও হিন্দু ধর্মেরও মৌলিক বা প্রথাগত ওগ্রহনযগ্য দুতিনটি আইন সংযোগ করা হয়েছে। অবিশ্বাস্ব গোঁড়ামি কিংবা ফতুয়াবাজি সালিসি বিচার কোনমতেই গ্রহনযগ্য নয়।
(৬)সংবাদ মাধ্যমের স্বাধিনতা----
সংবাদ মাধ্যম সম্পুর্ন দেশ ও জনগন কেন্দ্রিক হয়ে স্বাধিন থাকার কথা,কিন্তু এই স্বাধিন সংবাদ মাধ্যম আজ দল ও বিজ্ঞাপন কেন্দ্রিক হয়ে তার বিশ্বস্হতা হারিয়েছে। বস্তুনিষ্ট সংবাদ আজ কেউই প্রকাশ করে না। তাই কোন সংবাদকেই আজ আর বিশ্বাস করা যায় না। তাজা আর গরম গুরত্বপুর্ন যে ভাবেই হউক না কেন। এটা আমাদের একটা দুর্ভাগ্যও বটে।
আজকাল শুধু বাংলাদেশে নয় সমগ্র বিশ্বেই সংবাদ মাধ্যম বেশির ভাগই মিডিয়া নিয়ন্ত্রিত বা নির্বরশিল। সরকার কিংবা রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত খুবি কম দু একটা। সে হিসেবে সংবাদ মাধ্যম যেমনি অনেক অনেক তেমনি সংবাদ কর্মি বা সংবাদিকের সংখ্যাও লাখ লাখ।এদের মধ্যে বেশির ভাগই কম শিক্ষিত যাদের কোন প্রকার সাংবাদিতার ডিগ্রি বা সার্টিপিকেট নাই।সংবাদিকরা একটি খবর পরিবেশন করে যেমনি দেশ ও জাতির মহৎ উপকার করতে পারে, তেমনি ছোট্ট একটি খবরের মাধ্যমে দেশে আগুন লাগিয়ে দিয়ে দেশ ও জনগনের ক্ষতি কিংবা অপকারও করে দিতে পারে।সুতরাং সেই দিকে সবার খেয়াল রাখতে হবে।