Saturday, February 10, 2018

বিএনপির নিষ্ঠুরতা রক্তাক্ত ২১ আগষ্ট!


খালেদা তারেক আর বিএনপির জগন্যতম নিষ্ঠুরতা, রক্তাক্ত ২১শে আগষ্ট--!
 
 
 
 
 

রক্তাক্ত ২১শে আগস্ট খালেদার নিষ্ঠুরতা

 পড়ে আছে লাশ আর লাশ!রক্তের মধ্যে ডুবে আছে ছিন্নভিন্ন হতাহত মানুষের লাশ,নারি-পুরুষ জোয়ান বুড়ো  হতভাগ্য মানুষের লাশ, বিশেষ করে তাদের পরিচয় ছিল তারা আওয়ামী লীগ নেতা কর্মিদের তাজা লাশ--!

বন্ধুরা কেন বলতে পারবে--?  কেন  মানব ইতিহাসের ভীবৎস এই নিশংস হত্যাযজ্ঞ?শুনলে তুমি অবাক্ হবে--!যেমনি সেদিন সমগ্র বিশ্ব অবাক্ হয়েছিল---!

কি ছিল আঃলীগের অপরাধ--?কেন এমন নির্মম হত্যাযজ্ঞ?

২০০৪ সালের ২১শে আগষ্ট বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার নেতৃত্ব দান কারি দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেত্রি জাতির জনকের কন্যা জননেত্রি শেখ হাসিনা সারা দেশে এক যোগে ৫০০শত বোমা হামলার প্রতিবাদে বিক্ষুব মিছিলের ডাক দিয়েছিলেন।তখন মিছিলের ডাকে সারা দিয়ে হাজার হাজার নেতাকর্মির সমাগম ঘটে প্রবিত্র মসজিদ বাইতুল মোকারমের সামনে। সেখানে শেখ হাসিনা ট্রাকের উপর দাঁড়িয়ে মাত্র ২০ মিঃ সংখিপ্ত বক্তৃতা দেন। বক্তুতা শেষে সবাই যখন মিছিলে যেতে উদ্যত ঠিক তখনই বিএনপি জামায়াত শিবিরের ক্যাডাররা পর পর ১৩টা অস্ট্রিয়ার তৈরি আর্সেস গ্রেনেট বোমা নিক্ষেপ করে। শক্তিশালি এই ১৩টা বোমার মধ্যে ১১টা বিস্ফোরিত হয়, বাকি ২টা  অবিস্ফোরিত পাওয়া যায়। সাথে সাথে বোমার বিস্ফোরণে প্রকম্পিত হয়ে রক্তাক্ত রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।তাদের উদ্দেশ্য ছিল শেখ হাসিনাকে হত্যা করে পুরো আওয়ামী লীগকেই নিশ্চিন্ন করে দেওয়া।মহান আল্লাহর কি অসাধরণ রহমতের কুদরৎ নেতা কর্মিরা মানব ডাল দিয়ে শেখ হাসিনাকে সেদিন বাঁচিয়ে রাখেন।কিন্তু ঘটনাস্হলেই প্রাণ হারান ১৪ জন জিন্দা মানুষ। বাকিরা সব পরে মারা যায়।প্রিয় বন্ধুরা তখন ঘড়ির কাঁটায় বাজছিল ৫টা২২ রোজ সনিবার।

সেদিন যারা মারা যান--তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রি আইভি রহমান।দেড় বছর পরে মারা যান ঢাকার প্রথম মেয়র হানিফ।মোট ২৪জন মারা যান আর আহত হন ৫শতাধিক।

 

 কেন তাদেরকে এমন নিষ্ঠুর ভাবে হত্যা করা হলো---!

বন্ধুরা তোমরা জানো নিশ্চয় ২০০১ সালে গনতান্ত্রিক পক্রিয়ায় জাতীয় নির্বাচনে কোন দলই একক ভাবে সংখ্যাগরিষ্ট লাভ করতে পারেনি। তাই আঃলীগ বা বিএনপি দুদলেরই জামায়াত এর সার্পটের দরকার পড়ে। অথ্যাৎ জামায়াত ছাড়া কেহই সরকার গঠন করতে পারেনা।তখন তথ্যাবধায়ক সরকারের রাষ্ট্রপতি ছিলেন বিচারপতি সাহাবউদ্দিন,এমন কি শেখ হাসিনা তাকে বিশ্বাস করে তাকে পাঁচ বছরের জন্য রাষ্ট্রপতি বানিয়েছিলেন। মফস্বলে বেড়ে উঠা জামায়াত ঘেঁসা এই রাষ্ট্রপতি তড়িগড়ি করে বিএপির সাথে জামায়াতের জোট গঠন করায়ে বিদায় নিলেন।তারপর জামায়াতের বড় বড় রাজাকারকে খালেদা জিয়া মন্ত্রি বানায়ে স্বাধিন বাংলাদেশের পতাকা উঠায়ে দিয়ে শুরু করে দিলেন সারা দেশে অরাজকতা।জঙ্গিবাদ জিএমবির উত্থান,দ্রব্যমুল্যের উর্দগতি,খালেদার কুপুত্র তারেক হাওয়া ভবন বানিয়ে

ক্ষমতাকে বিকেন্দ্রিয়  করে শুরু করে দিলেন লুটপাটের মহাউৎসব। স্বাধিন বাংলাদেশের শহীদের প্রবিত্র রক্তে ভেজা মাটি ব্যবহার করে শুরু করে দিল  অস্ত্রের চোরা ব্যবসা,১০ ট্রাক অস্ত্র এক ট্রাক বুলেট বারুদ  ধরা পড়া বোমাবাজি সারা দেশে এক অরাজকতা সৃষ্টি করলো তারা।  সমগ্র দেশে একদিনে ৫০০ শত বোমা হামালা করে হতাহত করেছে শত শত নিরীহ মানুষকে। বাংলা ভাই জিএমবি সবি এই জোট সরকারই সৃষ্টি করেছিল বিরোধি মতাদর্শের মানুষকে হত্যা করে নিঃশেষ করে দিতে।রাজাকার মন্ত্রি নিজামীকে সেদিন সাংবাদিকরা জিজ্ঞাস করলে সে উপহাস করে বলে বাংলা ভাই জঙ্গি এইসব মিডিয়ার সৃষ্টি।তারা সেসময় সার বিদ্যুতের দাবিতে ২৬জন মানুষকে গুলি করে হত্যা করলো এই রাজাকার জোট সরকার। মুলতঃ-এই সবের বিরুদ্ধে মানুষের জান মালের হেফাজত ও গনতন্ত্রের দাবিতে বিক্ষোব  মিছিলের ডাক দিয়েছিল মাটিও গন মানুষের দল আওয়ামী লীগ।

 

২১শে আগষ্টের হত্যাযজ্ঞ ডাইনী খালেদার বর্বরতা

 

 

 

 
 
 

 
 
 
 
 
 

 
 
 
 
 







Tuesday, February 6, 2018

পূর্নগনতন্ত্র প্রতিষ্টা করতে হলে---


বাংলাদেশে পূর্নগনতন্ত্র প্রতিষ্টা করতে হলে---

(১)  প্রথম  হলো সুশাসন প্রতিষ্টা করতে হবে---
একটা আদর্শ রাষ্ট্রে পূর্ন গনতন্ত্র প্রতিষ্টিত করতে হলে প্রথমেই সুশাসন প্রতিষ্টা করতে হবে।আইনের চোখে সবাই সমান এ কথাকে সত্য প্রমান করতে হবে স্বাধিন বিচার বিভাগের মাধ্যমে।এখানে দল প্রতিষ্টান ব্যক্তি বিশেষ কিংবা সরকার কেহই প্রভাব খাটাতে পারবে না।আইনজিবীরা আদালতের বারান্ধায় মিছিল মিটিং শ্লোগান কিংবা দৈহিক বল প্রয়োগের মাধ্যমে নয়,জ্ঞান প্রজ্ঞা বুদ্ধি খরচ করে যুক্তি তর্কের মাধ্যমে ভিকটিমকে ন্যায় বিচার দিয়েই গনতন্ত্রকে সমুন্নত করতে হবে।

(২)বাক্ স্বাধীনতা---
স্বাধীন দেশে দলমত ধর্ম গোত্র গোষ্টি সবার সার্বিক ভাবে বলা ও লেখার মধ্যে মত প্রকাশের স্বাধীনতা  থাকতে হবে। তবে কেউ কাউকে হেয় প্রতিপন্ন করে নয় কটুক্তি করে নয়,। কেউ কারো ধর্মানুভূতিতে আঘাত দিয়ে নয়।স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে পরস্পরের প্রতি সাম্যমৈত্রি সোহর্দ্যপুর্ন সন্মানবোধ থাকতে হবে।তবে সকল অন্যায় অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ প্রতিবাদ করা যাবে নিয়মতান্ত্রিক শান্তিপুর্ন ভাবে। আমাদের সংবিধানে বাকস্বাধিনতার কথা লেখা আছে।

(৩)জবাব দিহীতা----
সরকারি বেসরকারি প্রশাসন (থানা আদালত,) মিল কারখানা ব্যবসায়িক প্রতিষ্টান এমন কি ব্যক্তি বিশেষ সবাইকে তার কৃতকর্ম কিংবা তার উৎপাদন ভোগ্য পন্যের সুনির্দিষ্ট ও স্পষ্ট জবাব দিহীতা অত্যান্ত জরুরি।সাধারণ নাগরিকের সবকিছুর ভালো মন্দ জানার অধিকার আছে।

(৪) দ্বায়বদ্ধতা------
রাষ্ট্রিয় বা সরকারি সকল কর্মি কর্মকর্তা থেকে শুরু করে এমপি মন্ত্রি মিনিস্টার আমলা এমন কি প্রত্যেক নাগরিকের নিজ নিজ অবস্হান থেকে সুনির্দিষ্ট দ্বায়বদ্ধতা আছে রাষ্ট্রের কাছে। সবাই নিজ নিজ অবস্হান থেকে এই দ্বায়বদ্ধতা  পালন করে সুনাগরিক হয়ে দেশের সেবা ও সহযোগিতা করতে বাদ্য  থাকিবে।

(৫)ধর্মীয় স্বাধীনতা-----
ধর্ম একটা স্পর্শকাতর জিনিস। ধর্ম কি-?কেন--?কেমন করে এল--?ধর্মের পক্ষে বিপক্ষে অনেক যুক্তিতর্ক আছে, এটা সচেতন মানুষ সবাই কম বেশি জানে। পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষ জান প্রাণ দিয়ে ভালোবাসে নিজ নিজ ধর্মকে।সুতরাং কেউ কারো ধর্মানুভূতিতে আঘাত দেওয়া সমিচিন বা উচিৎ হবে না। প্রত্যেক ধর্মেরই নিজস্ব নিয়ম নীতি কায়দা কানুন আছে।সব ধর্মালম্বিদের খেয়াল রাখতে হবে বাংলাদেশ পরিচালিত হচ্ছে রোমান ও বৃটিশ ল-বা আইনের মাধ্যমে।ইসলাম ও হিন্দু ধর্মেরও মৌলিক বা প্রথাগত ওগ্রহনযগ্য দুতিনটি আইন সংযোগ করা হয়েছে। অবিশ্বাস্ব গোঁড়ামি কিংবা ফতুয়াবাজি সালিসি বিচার কোনমতেই গ্রহনযগ্য নয়।

(৬)সংবাদ মাধ্যমের স্বাধিনতা----
সংবাদ মাধ্যম সম্পুর্ন দেশ ও জনগন কেন্দ্রিক হয়ে স্বাধিন থাকার কথা,কিন্তু এই স্বাধিন সংবাদ মাধ্যম আজ দল ও বিজ্ঞাপন কেন্দ্রিক হয়ে  তার বিশ্বস্হতা হারিয়েছে। বস্তুনিষ্ট সংবাদ আজ কেউই প্রকাশ করে না। তাই কোন সংবাদকেই আজ আর বিশ্বাস করা যায় না। তাজা আর গরম গুরত্বপুর্ন যে ভাবেই হউক না কেন। এটা আমাদের একটা দুর্ভাগ্যও বটে।
 আজকাল শুধু বাংলাদেশে নয় সমগ্র বিশ্বেই সংবাদ মাধ্যম বেশির ভাগই মিডিয়া নিয়ন্ত্রিত বা নির্বরশিল। সরকার কিংবা রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত খুবি কম দু একটা। সে হিসেবে সংবাদ মাধ্যম যেমনি অনেক অনেক তেমনি সংবাদ কর্মি বা সংবাদিকের সংখ্যাও লাখ লাখ।এদের মধ্যে বেশির ভাগই কম শিক্ষিত যাদের কোন প্রকার সাংবাদিতার ডিগ্রি বা সার্টিপিকেট নাই।সংবাদিকরা একটি খবর পরিবেশন করে যেমনি দেশ ও জাতির মহৎ উপকার করতে পারে, তেমনি ছোট্ট একটি খবরের মাধ্যমে দেশে আগুন লাগিয়ে দিয়ে দেশ ও জনগনের ক্ষতি কিংবা অপকারও করে দিতে পারে।সুতরাং সেই দিকে সবার খেয়াল রাখতে হবে।
 

অজ্ঞসব জনপ্রতিনীধি,

সত্যই শক্তি, সত্যই সুন্দর,