মিথ্যা কথাকে মানুষ এমন ভাবে ইনিয়ে বিনিয়ে প্রকাশ করে যে আমরা সত্য বলে মেনে নিতে রিতিমত বাদ্য হয়ে যাই।বর্তমানে তো মিডিয়া আর নানা প্রচার মাধ্যম এমন ভাবে রঙ লাগিয়ে বলে যে সত্য না ভেবে পারা যায়না।আসলে সত্য জিনিসটা কি? সত্যের কি কোন সঠিক সংজ্ঞা আছে?
আমার মনে হয় জগতে সত্য বলতে কিছুই নেই।মনে প্রাণে অঘাধ বিশ্বাসই সত্যের মূল ভিত্তি।তত্ব তাত্বিক জ্ঞান বিজ্ঞানে ধ্রুব সত্য বলতে কিছু নেই।আমি যেটাকে সত্য বলে মনে করি, আপনি সেটাকে মিথ্যা বলে মনে করেন, এমন কি প্রমানও দিতে পারেন। আবার আপনি যেটাকে সত্য বলে মনে করেন সেটাকে আমি মিথ্যা বলে প্রমান করে দিতে পারবো।আমি না পারলেও অন্য কেউ পারবে। আপনি দেখবেন আপনার তত্ব বা আবিষ্কার অটোমেটিক মিথ্যা হিসেবে প্রমান হয়ে যাবে। এটাই চিরাচরিত স্বাভাবিক নিয়ম।
মানব জাতির ইতিহাসের শুরু থেকেই যুগেযুগে কত শত সভ্যতা বিকশিত হয়েছে, আবার কত শত সভ্যতা ধুলয় মিশে গেছে। কালজয়ি দার্শণিকরা জ্ঞান প্রজ্ঞায় কেউ ধর্মের মাধ্যমে আবার কেউ তত্বতাত্বিকের মাধ্যমে কত রকমের দর্শন এবং মতবাদ দিয়ে গেছেন তার বেশির ভাগই নতুন নতুন দর্শনের আবির্ভাবে মিথ্যা প্রমানিত হয়ে বিলিন হয়ে গেছে।একমাত্র ধর্মের নামে হাতেগনা কয়টা দর্শন টিকে আছে ভয়ানক সত্য হিসেবে।
নির্দশন স্বরুপ বলা যায় দু-নদের মধ্যস্হলের মেচোপটিনিয়া সভ্যতা, ব্যবিলন সভ্যতা, ফেরাউদের সভ্যতা, চেচেন ইৎজারকে গিরে মায়া সভ্যতা,ইমকার সভ্যতা প্যাটরা সভ্যতা, মহেনজুদারু সভ্যতা, গ্রীসিয়, রোমের মত আধুনিক সভ্যতা গুলোও বর্তমান আধুনিক মানুষের কাছে বাতিল মিথ্যা কথাবার্তা চাড়া কিছুই নয়।
মানুষ সৃজনশীল, মানুষ পরিবর্তনশীল এটাই প্রকৃতির নিয়ম ও স্বাভাবিক ধারা। অনাদিকাল থেকেই চলে আসছে এই ধারা, এবং হয়তো অনন্তকাল পর্যন্ত চলতে থাকবে এই ধারা। মানুষ জ্ঞান মেধা প্রজ্ঞা দিয়ে জয় করতে থাকবে কঠিন কঠিন সময়কে।
প্রত্যেক মানুষের মনেই চেতনে অবচেতনে ভাব আসে খেয়াল আসে।একটা শিশুও পাগলেরও আসে।ভাবটা হলো মুদ্রার এপিট ওপিট, যার একপিটে লেখা সত্য, আরেকপিটে লেখা মিথ্যা। সেই সত্য মিথ্যা ভাবটাকে সংসারে সমাজে কিংবা রাষ্টে ভাববাদিরা শুধু সত্যের বীজ হিসেবে জোর করে মানুষের মগজে বপে দেয় যে, পরে দেখা যায় সেখানে গজায়েছে এক বিরাট মিথ্যার নিষ্ফলা অটবি।আর সেই অটবির মগ ডালে বসে শুধু কাক পক্ষিরাই কা কা করে।
মিথ্যার বিভিন্ন প্রকারভেদ আছে, যেমন গুজবে মিথ্যা সত্য হিসেবে প্রকাশিত হয়ে ভিষন বিশ্বাসে পরিণত হয়। আবার হুজগে মিথা কথা সত্য কথা হিসেবে প্রকাশ হয়।আরেক রকম মানুষ নিজেকে ছালাক স্মার্ট ও জ্ঞানি হিসেবে প্রকাশ করার জন্য অকপটে শুধু মিথ্যাই বলে যায়,আর ভক্তরা তো সত্য হিসেবে বিশ্বাস করতে থাকে।
এক গবেশনায় দেখা গেছে যে শিক্ষিত মানুষরাই বেশি মিথ্যা কথা বলে।দৈনিক পাঁচ শতবার মিথ্যা কথা বলার রেকর্ডও নাকি আছে শিক্ষিত মানুষের। দালাল চাটুকার সাংবাদিক আর রাজনিতীবীদদের ব্যপারে কোন গবেশনা হয়েছে বলে আমার জানা নেই। তবে আমি নিশ্চিত তারাও মিথ্যা কথা সত্য কথা কম বলেন না।
চাকুরিজিবী সাংবাদিকরা তো মিডিয়ার মালিকের অনুমতি চাড়া কোন কথাই বলতে পারেন না। তাই তারা পিটও পেট বাঁচায়ে খবর পরিবেশন করেন।অনেকে আবার আগে দিয়ে সর্ত জুড়ে দেন এভাবে যে নাম না প্রকাশ করার সর্তে অমুক বলেছে যে ------বা গোপন সুত্রে জানা গেছে যে----ইত্যাদি। কি ভয়ানক গাঁজাখোরি ভয়ানক সত্য কথা।
চন্দ্রাভিযান মানব জাতির ইতিহাসে কি ভয়ানক সত্য কথা, ষাট বছর পরেও আমরা সত্য হিসেবে আজো কি গভির বিশ্বাস করি।
নিউইয়র্কের টুইন টাওয়ার হামলা ও বীন লাদেন হত্যা রহস্য কি ভয়ানক সত্য কথা কতভাবে কতরকম আমরা শুনতেছি।
সম্প্রতি সালাউদ্দিন গুম ও শিলং এ উদ্ধার নিয়ে কি ভয়ানক সত্য কথা গুলি শুনে যাচ্ছি, জানি না আরো কতো শুনতে হবে।
আসলে আমরা মানুষরাই অবিশ্বাসকে যত বেশি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি, অন্য কোন প্রাণি সে ভাবে করে না। আমরা মানুষরাই যে ভাবে অখাদ্যকে খাই সেভাবে অন্য কোন প্রাণি খায় না।
আমার কাছে কেন জানি মনে হয়, গনতন্ত্র, সমাজতন্ত্র,ধর্মতন্ত্র,মানবতা বাদি,পরিবার পরিজন তন্ত্র এমনকি ভালবাসাও এক একটি মিথ্যা শব্দ।ধ্রুব সত্য বলতে এই পৃথিবীতে দুটা জিনিস আছে, তা হলো মানুষের জন্ম ও মির্ত্যু।
----------------------------ফারুক,
আমার মনে হয় জগতে সত্য বলতে কিছুই নেই।মনে প্রাণে অঘাধ বিশ্বাসই সত্যের মূল ভিত্তি।তত্ব তাত্বিক জ্ঞান বিজ্ঞানে ধ্রুব সত্য বলতে কিছু নেই।আমি যেটাকে সত্য বলে মনে করি, আপনি সেটাকে মিথ্যা বলে মনে করেন, এমন কি প্রমানও দিতে পারেন। আবার আপনি যেটাকে সত্য বলে মনে করেন সেটাকে আমি মিথ্যা বলে প্রমান করে দিতে পারবো।আমি না পারলেও অন্য কেউ পারবে। আপনি দেখবেন আপনার তত্ব বা আবিষ্কার অটোমেটিক মিথ্যা হিসেবে প্রমান হয়ে যাবে। এটাই চিরাচরিত স্বাভাবিক নিয়ম।
মানব জাতির ইতিহাসের শুরু থেকেই যুগেযুগে কত শত সভ্যতা বিকশিত হয়েছে, আবার কত শত সভ্যতা ধুলয় মিশে গেছে। কালজয়ি দার্শণিকরা জ্ঞান প্রজ্ঞায় কেউ ধর্মের মাধ্যমে আবার কেউ তত্বতাত্বিকের মাধ্যমে কত রকমের দর্শন এবং মতবাদ দিয়ে গেছেন তার বেশির ভাগই নতুন নতুন দর্শনের আবির্ভাবে মিথ্যা প্রমানিত হয়ে বিলিন হয়ে গেছে।একমাত্র ধর্মের নামে হাতেগনা কয়টা দর্শন টিকে আছে ভয়ানক সত্য হিসেবে।
নির্দশন স্বরুপ বলা যায় দু-নদের মধ্যস্হলের মেচোপটিনিয়া সভ্যতা, ব্যবিলন সভ্যতা, ফেরাউদের সভ্যতা, চেচেন ইৎজারকে গিরে মায়া সভ্যতা,ইমকার সভ্যতা প্যাটরা সভ্যতা, মহেনজুদারু সভ্যতা, গ্রীসিয়, রোমের মত আধুনিক সভ্যতা গুলোও বর্তমান আধুনিক মানুষের কাছে বাতিল মিথ্যা কথাবার্তা চাড়া কিছুই নয়।
মানুষ সৃজনশীল, মানুষ পরিবর্তনশীল এটাই প্রকৃতির নিয়ম ও স্বাভাবিক ধারা। অনাদিকাল থেকেই চলে আসছে এই ধারা, এবং হয়তো অনন্তকাল পর্যন্ত চলতে থাকবে এই ধারা। মানুষ জ্ঞান মেধা প্রজ্ঞা দিয়ে জয় করতে থাকবে কঠিন কঠিন সময়কে।
প্রত্যেক মানুষের মনেই চেতনে অবচেতনে ভাব আসে খেয়াল আসে।একটা শিশুও পাগলেরও আসে।ভাবটা হলো মুদ্রার এপিট ওপিট, যার একপিটে লেখা সত্য, আরেকপিটে লেখা মিথ্যা। সেই সত্য মিথ্যা ভাবটাকে সংসারে সমাজে কিংবা রাষ্টে ভাববাদিরা শুধু সত্যের বীজ হিসেবে জোর করে মানুষের মগজে বপে দেয় যে, পরে দেখা যায় সেখানে গজায়েছে এক বিরাট মিথ্যার নিষ্ফলা অটবি।আর সেই অটবির মগ ডালে বসে শুধু কাক পক্ষিরাই কা কা করে।
মিথ্যার বিভিন্ন প্রকারভেদ আছে, যেমন গুজবে মিথ্যা সত্য হিসেবে প্রকাশিত হয়ে ভিষন বিশ্বাসে পরিণত হয়। আবার হুজগে মিথা কথা সত্য কথা হিসেবে প্রকাশ হয়।আরেক রকম মানুষ নিজেকে ছালাক স্মার্ট ও জ্ঞানি হিসেবে প্রকাশ করার জন্য অকপটে শুধু মিথ্যাই বলে যায়,আর ভক্তরা তো সত্য হিসেবে বিশ্বাস করতে থাকে।
এক গবেশনায় দেখা গেছে যে শিক্ষিত মানুষরাই বেশি মিথ্যা কথা বলে।দৈনিক পাঁচ শতবার মিথ্যা কথা বলার রেকর্ডও নাকি আছে শিক্ষিত মানুষের। দালাল চাটুকার সাংবাদিক আর রাজনিতীবীদদের ব্যপারে কোন গবেশনা হয়েছে বলে আমার জানা নেই। তবে আমি নিশ্চিত তারাও মিথ্যা কথা সত্য কথা কম বলেন না।
চাকুরিজিবী সাংবাদিকরা তো মিডিয়ার মালিকের অনুমতি চাড়া কোন কথাই বলতে পারেন না। তাই তারা পিটও পেট বাঁচায়ে খবর পরিবেশন করেন।অনেকে আবার আগে দিয়ে সর্ত জুড়ে দেন এভাবে যে নাম না প্রকাশ করার সর্তে অমুক বলেছে যে ------বা গোপন সুত্রে জানা গেছে যে----ইত্যাদি। কি ভয়ানক গাঁজাখোরি ভয়ানক সত্য কথা।
চন্দ্রাভিযান মানব জাতির ইতিহাসে কি ভয়ানক সত্য কথা, ষাট বছর পরেও আমরা সত্য হিসেবে আজো কি গভির বিশ্বাস করি।
নিউইয়র্কের টুইন টাওয়ার হামলা ও বীন লাদেন হত্যা রহস্য কি ভয়ানক সত্য কথা কতভাবে কতরকম আমরা শুনতেছি।
সম্প্রতি সালাউদ্দিন গুম ও শিলং এ উদ্ধার নিয়ে কি ভয়ানক সত্য কথা গুলি শুনে যাচ্ছি, জানি না আরো কতো শুনতে হবে।
আসলে আমরা মানুষরাই অবিশ্বাসকে যত বেশি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি, অন্য কোন প্রাণি সে ভাবে করে না। আমরা মানুষরাই যে ভাবে অখাদ্যকে খাই সেভাবে অন্য কোন প্রাণি খায় না।
আমার কাছে কেন জানি মনে হয়, গনতন্ত্র, সমাজতন্ত্র,ধর্মতন্ত্র,মানবতা বাদি,পরিবার পরিজন তন্ত্র এমনকি ভালবাসাও এক একটি মিথ্যা শব্দ।ধ্রুব সত্য বলতে এই পৃথিবীতে দুটা জিনিস আছে, তা হলো মানুষের জন্ম ও মির্ত্যু।
----------------------------ফারুক,