![]() |
খুনি জিয়া |
![]() |
বীর যোদ্ধা কর্নেল তাহের |
তাই গোপনে গোপনে ঐসব নিঃস্কর্মা নেতা আর জেনারেলরা ও একাত্তরের পরাজিত শক্তিরা মিলে জাতির জনককেই দুনিয়া থেকে সরে দেবার কঠিন ও মর্মান্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহন করে।বিশেষ করে স্বাধিনতা লাভের মাত্র অল্প কয়দিনের মাথায় এসে দ্বিতীয় বিপ্লবের লক্ষে বঙ্গবন্ধুর শিষ্য ছাত্রলীগ নেতা সিরাজুল আলম খান আ,স,ম, রব ও মেজর জলিল এর নেতৃত্বে জাতিয় সমাজতন্ত্রিক দল জাসদ নামে এক অদ্ভূত রাজনৈতিক দল গঠন করে বঙ্গবন্ধুকে তথা সমগ্র জাতিকে অস্হির করে তোলে।তাদেরকে সেনা ক্যম্প থেকে গোপনে সহযোগিতা করে মুক্তি যুদ্ধের কয়জন সেক্টর কমান্ডার ও সেনা অপিসার।তাদের মধ্যে কর্নেল তাহের মেজর জলিল, মেজর জিয়া উদ্দিন, মেজর জিয়াউর রহমান অন্যতম। তারা শুধু জাতির জনককে নয়, তাঁর পুরো পরিবার সহ ১৫ই আগস্ট সকালে কাক ডাকা ভোরে জাতির জনককে নিঃশংস ভাবে হত্যা করে তারা সফলও হয়ে যায়।তাদের হাত থেকে গর্ভের শিশু কাজের মেয়ে ছেলে বুড়ো নিরাপরাধ কেই রেহাই পায় নেই। দিন যতই যেতে লাগল ততই দিনের আলোর মত স্পষ্ট হতে লাগল ১৫ই আগস্টের এই নির্মম হত্যা কান্ডের নেপত্যে এবং চক্রান্তে ছিলেন জেনারেল জিয়া।তিনিই অবৈধ পন্থায় সর্বোময় ক্ষমতা ধখল করার জন্য গোপনে পরাজিত বলয়ের সাথে হাত মিলান।বৃটিশ সাংবাদিকের কাছে খুনি ফারুক রশিদের সাখ্যাতকারেই তা প্রমানিত হয়।
মানে ঠান্ডা মাথার খুনি জিয়াউর রহমান।
রহমান আল্লাহর দয়ার একটি নাম হলেও এই রহমানের মনে কোন দয়া মায়া ছিল না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তিনি হত্যা করলেন ২নং সেক্টর কমান্ডার জেনারেল খালেদ মোশারপকে। এক লোক দেখানো সামরিক আদালত বসায়ে হত্যা করলেন তারি বিশিষ্ট বন্ধু ৯নং সেক্টর কমান্ডার পঙ্গু বীর মুক্তি যোদ্ধা কর্নেল তাহেরকে।তারপর সুকৌশলে হত্যা করলেন জেলখানায় বন্দি অবস্হায় হাজার হাজার আর্মি অপিসার এবং সেনা বাহিনীকে।সর্বোপরি তিনি হত্যা করলেন মুক্তি যুদ্ধের চেতনাকে।
বেঈমান গাদ্দারেরও একটা সিমা বা ধর্ম থাকে,তার কোন ধর্ম ছিল না।তিনি প্রথমে স্বঘোষিত সেনা প্রধান হলেন, তার পর দুএক মাস যেতে না যেতে প্রেসিডেন্ট সায়েমকে বন্দুকের নল দেখায়ে সর্বময় ক্ষমতা ধখল করে জারি করলেন সামরিক আইন মার্শাল,ল।যা আয়ূব খান এর মার্শাল,ল কেও হার মানিয়েছিল।তারপর তিনি গোপনে জেলখানার ভিতর বন্দি অবস্হায় একে একে হত্যা করলেন জাতিয় চার নেতাকে ।
তারপর প্রতিপক্ষ হাজার হাজার জাতীয় বীর মুক্তি যোদ্ধাকে জেলখানায় বন্দি অবস্হায় পাখির মত জাল মেরে মেরে ধরে জবরদস্তি ফাঁসিতে ঝুলায়ে হত্যা করেও ক্ষ্যান্ত হননি।বিভিন্ন পরিসংখ্যানের হিসেব মতে তিনি প্রায় চৌদ্দ হাজার সেনা ও সেনা অফিসারকে হত্যা করলেন।
তারপর তিনি মার্শাল, ল আইন বলবৎ রেখেই হ্যাঁ- না ভোট দিয়ে নিজেই দেশের প্রেসিডেন্ট বনে গেলেন।প্রেসিডেন্ট হয়েই তো তিনি জনগনের রিলিফের পয়সা মেরে আর রাজ কোষের কুঠি কুঠি টাকা মেরে যা খুশি তা করতে লাগলেন।একের পর এক অদ্ভুত সব আজব দল গঠন করে হত্যা খুন রাহাজানি লুটপাট করে রাজাকার দেশদ্রোহী সয়তানদেরকে পুর্নবাসন করে জঙ্গীবাজ সৃষ্টি করে, মুক্তি যুদ্ধের আদর্শকে ভূলুন্ঠিত করে দেশটাকে নিয়ে গেলেন মৌলবাদীদের যুগে।আর শুরু করে দিলেন ইতিহাস বিকৃতির খেলা।
ঠান্ডা মাথার খুনি জিয়া জগন্য এবং নিঃকৃষ্ট যে কাজ গুলি করলেন, তন্মধ্যে-
এক নম্বার হলো, তিনি পর্দার আড়ালে তেকে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করায়েছেন।
দুই, তিনি জাতিয় চার নেতাকে জেলখানায় হত্যা করায়েছেন।
তিন, তিনি প্রতিপক্ষ এবং তারি বিশিষ্ট বন্ধু কর্নেল তাহেরকে প্ফাঁরহসনের বিচারের নামে ফাঁসিতে ঝুলায়ে হত্যা করেছেন।
চার, তিনি জেনারেল খালেদ মোশারপকে হত্যা করেছেন।
পাঁচ, তিনি বাংলার ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম নিসানা মুছে দিয়ে নিজেই নিজেকে মহা নায়ক বানানোর ঘৃন্য ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন।
ছয়, আমাদের গর্বের ধন মহান মুক্তি যুদ্ধের রক্তাত্ব ইতিহাসকে বিকৃত ও তামাসা করার মাধ্যমে পদদলিত করার চেষ্টা করেছেন।তিনি আমাদের প্রবিত্র সংবিধানের পাতা থেকে একে একে সমাজতন্ত্র, ও ধর্মনিরপেক্ষতা উঠিয়ে দিয়ে পুনরায় পাকিস্তানের সাথে পেডারেসন বানাবার চেষ্টা করেছিলেন।
সাত, যুদ্ধাপরাধি রাজাকার আলবদর, আলসামস, গোলাম আযম সহ জামাতি নেতাদেরকে পুর্নবাসিত করে রাজনিতি করার অধিকার দিয়েছেন।
আট, তিনি এনডেমনিটি আইন প্রনয়ন করে সংবিধানকে কলংকিত করেছিলেন।
তিনি যদি এতই ভাল হতেন, তাকে তো প্রতিপক্ষরা ২২ বার আর হত্যা করার চেষ্টা করা হতো না।২৩ বারের সময় সত্যিই এই ভয়ানক স্বৈরচারের নির্মম পতন হলো। কথায় বলেনা যেমন কর্ম তেমন ফল।
-----মোহাম্মেদ ফারুক, জার্মানী।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
alles gute