সেই শৈশব থেকেই আমি স্বপ্ন দেখে আসছি।চেতনে অবচেতনে চোখে মুখে বুকে কত যে স্বপ্ন।কোন দিন চিত্বের বিরাম ছিল না।ছিল না এই অবুজ মনের। মা-কে বানাবো প্রতিমার প্রতিমা,বাবাকে বানাবো ভগবানের ভগবান, ভাই বোন আত্মিয় অনাত্মিয় সবার জন্য আকির্ন করবো একটি অতসী প্রভাত।কিছুই কি বুঝি হলো না, কিছুই কি বুঝি আর হবে না।এই জীবনে বুঝি আর দেখিতে পাইবনা। আমার আহত স্বপ্নগুলি শুধু চিৎ হয়ে কাঁদবে আর কাঁদবে।কে যেন বলেছিল স্বপ্ন বিলশীরাই জগতে বেশি কাঁদে।তবে কি তা-ই সত্যি?
তরুন বয়সে আমি প্রথম যখন ইউরোপে আসি।যুগোস্লাবাকিয়া অস্ট্রিয়া হয়ে জার্মানীতে প্রবেস করি।তারপর কয়মাস যেতে না যেতে বেলজিয়াম, ফ্রান্সও দেখা হয়ে গেলো।আরো কিছুদিন পরে ইসপেন পর্তুগাল নেদারল্যান্ড ডেনমার্ক দেখা হলো।ওয়া! কি অপূর্ব সুন্দর ইউরোপ। আলপনা আঁকা পানোরমা।সত্যিই প্রসাদ চাড়া রাজ কুমরি ইউরোপা প্রকৃতির প্রেমে পড়ে নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে একাকার হয়ে আছে।কি সুন্দর তার পানোরমা দিগন্তবদি দুষ্টি মেলে দেখি, আর ভাবি, আপছোস করি, আহা সে গরমের দেশে আমার জন্ম না হয়ে এই সূভ্র বরপ পড়া শীতের দেশে যদি আমার জন্ম হতো। তো কি হতো? কি আর হতো, আমি মাতাল হতাম তার প্রেমে।
কি সুন্দর বাড়ি ঘর, কি সুন্দর ছবির মত প্রকৃতি।কি সুন্দর ঝকমকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন সব কিছু্।কোথাও কোন ময়লা আবর্জনা বলতে কিছুই নজরে পড়েনি।একটা পার্কে চকলেট খেয়ে কাগজটা পেলে দিলাম, আমার ড্রাইবার দেখে উঠায়ে নিয়ে ডাস্টবিনে পেলে দিল।আমি অবাক বিশ্মিত হলাম সেদিন।সাদা মানুষ, যাদেরকে আমার স্বদেশে রেড মানকি বলে চেঁতাতাম, তাদের দেশে এসে দেখি তারা কেমন সাদা দিলের মানুষ।কি অমায়িক আচার কানুন পুলিশের ব্যবহার।এডমিনিস্ট্রেশনে অফিসে সবখানে যাচাই বাছাইয়ের জন্য কিছু ব্যুরোক্র্যটি আছে কিন্তু স্বদেশের মত ঘুষ দুর্নিতী বলতে কিছুই নাই।ঘুষ কাকে বলে এরা চিনেনা।
সিনিয়র বড় ভাইদের সাথে বসলে তো্ ইউরোপের গুনগান শুনে আমি রিতিমত ডানা মেলে আকাশে উড়ার স্বপ্ন দেখতাম।বড় ভাইরা বলতেন, দ্যাখ এই দেশে কুকুরের জন্য পাঠশালা আছেে। আবার পায়খানা ও আছে।তা হলে চিন্তা করে দ্যাখ ইউরোপের তুলনায় আমাদের দেশ কত পিছে পড়ে আছে।কমপক্ষে দুশ বছর।
আমি ইউরোপের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে গুরে পিরে দেখেছি। নগরের পর কোলাহল নগরে নগরে কতো উঁচেল সাড়ি সাড়ি কনক্রিটের কানন, কলকারখানার কালো কালো ধোঁয়া ঢাকা কৃত্তিম মেঘলা আকাশ।চলন্ত ট্রেনের কম্পার্টমেন্টে অথবা কোন নির্জনে বসে বসে ভেবেছি,কল্পনায় কাতর হয়ে আমি স্বপ্ন দেখেছি একটি রাঙা সকালের।
বিশ বছর আগে আমি স্বপ্ন দেখেছি, ভেবেছি এখন যেই অবস্হানে আছে ইউরোপ, হয়তো আগামি বিশ, তিরিশ কিংবা চল্লিশ বছর পরে হলেও এই ইউরোপের দেখাদেখি বদলে যাবে সমগ্র বিশ্ব, বদলে যাবে মানুষের জীবন যাত্রার মান।মানুষ অনায়াসে গুরে বেড়াবে বিশ্বভ্রম্মান্ডে। আবিষ্কার করবে নতুন নতুন পৃথিবী। পৃথিবীতে থাকবেনা আর মানুষের কোন দুঃখ কষ্ট।থাকবেনা কোন রোগ শোক।থাকবেনা দেশে দেশে সিমানার কোন প্রাচির।সমগ্র বিশ্ব হবে শুধু একটি বিশ্ব।মানুষে মানুষে থাকবে না কোন মারামারি হানাহানি বৈরি বৈশম্য।
আমি স্বপ্ন দেখেছি এই অখন্ড বিশ্বে থাকবেনা কোন মসজিদ মন্দির গির্জা পাকুডা কিংবা ছিনাগগি।আমি স্বপ্ন দেখেছি এই বিশ্বে থাকবে না কোন প্রশাসন, থাকবেনা কোন থানা ফাঁড়ি। থাকবেনা কোন পুলিশ মিলিটেরি,কিংবা বোয়াডার গার্ড। কেন? কেন থাকবে মানুষের এই পৃথিবীতে এত সব কিছু।কেন? কেন এত ধর্ম কর্ম। কেন এত স্রষ্টা কেন এত ভ্রষ্টা।
মানুষের মাঝে কেন এত বর্বরতা্। কোথায় মানুষের মানবিক গুনাবলি, কোথায় মানুষের মানবতা?
আমি স্বপ্ন দেখি, এমন যদি হতো কাল সকালে ঘুম থেকে উঠেই দেখি আমার স্বপ্ন গুলি সবিই বাংলাদেশে বাস্তবায়িত হয়ে গেছে।আমার আহত স্বপ্নগুলি এখন আর কাঁদছে না।বাংলাদেশে আর নেই সন্ত্রাসি কোন কর্মকান্ড।পেট্রল বোমায় আর কেহ জ্বলেপুড়ে মরছেনা।মানুষে মানুষে নেই কোন ভেদাভেদ বৈরি বৈশম্য।
আধুনিক এই বর্বর যুগ পেরিয়ে সত্যিই একদিন মানুষ হবে প্রকৃত মানুষ।সেদিন থাকবেনা কোন প্রশাসন, থাকবেনা কোন উপাসনালয়।সেদিন স্রষ্টার সাথে মিলে আমরা করবো সৃষ্টির পরিচর্যা।কারন আমরাই স্রষ্টার শ্রেষ্ট সৃষ্টি।
------ফারুক।
তরুন বয়সে আমি প্রথম যখন ইউরোপে আসি।যুগোস্লাবাকিয়া অস্ট্রিয়া হয়ে জার্মানীতে প্রবেস করি।তারপর কয়মাস যেতে না যেতে বেলজিয়াম, ফ্রান্সও দেখা হয়ে গেলো।আরো কিছুদিন পরে ইসপেন পর্তুগাল নেদারল্যান্ড ডেনমার্ক দেখা হলো।ওয়া! কি অপূর্ব সুন্দর ইউরোপ। আলপনা আঁকা পানোরমা।সত্যিই প্রসাদ চাড়া রাজ কুমরি ইউরোপা প্রকৃতির প্রেমে পড়ে নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে একাকার হয়ে আছে।কি সুন্দর তার পানোরমা দিগন্তবদি দুষ্টি মেলে দেখি, আর ভাবি, আপছোস করি, আহা সে গরমের দেশে আমার জন্ম না হয়ে এই সূভ্র বরপ পড়া শীতের দেশে যদি আমার জন্ম হতো। তো কি হতো? কি আর হতো, আমি মাতাল হতাম তার প্রেমে।
কি সুন্দর বাড়ি ঘর, কি সুন্দর ছবির মত প্রকৃতি।কি সুন্দর ঝকমকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন সব কিছু্।কোথাও কোন ময়লা আবর্জনা বলতে কিছুই নজরে পড়েনি।একটা পার্কে চকলেট খেয়ে কাগজটা পেলে দিলাম, আমার ড্রাইবার দেখে উঠায়ে নিয়ে ডাস্টবিনে পেলে দিল।আমি অবাক বিশ্মিত হলাম সেদিন।সাদা মানুষ, যাদেরকে আমার স্বদেশে রেড মানকি বলে চেঁতাতাম, তাদের দেশে এসে দেখি তারা কেমন সাদা দিলের মানুষ।কি অমায়িক আচার কানুন পুলিশের ব্যবহার।এডমিনিস্ট্রেশনে অফিসে সবখানে যাচাই বাছাইয়ের জন্য কিছু ব্যুরোক্র্যটি আছে কিন্তু স্বদেশের মত ঘুষ দুর্নিতী বলতে কিছুই নাই।ঘুষ কাকে বলে এরা চিনেনা।
সিনিয়র বড় ভাইদের সাথে বসলে তো্ ইউরোপের গুনগান শুনে আমি রিতিমত ডানা মেলে আকাশে উড়ার স্বপ্ন দেখতাম।বড় ভাইরা বলতেন, দ্যাখ এই দেশে কুকুরের জন্য পাঠশালা আছেে। আবার পায়খানা ও আছে।তা হলে চিন্তা করে দ্যাখ ইউরোপের তুলনায় আমাদের দেশ কত পিছে পড়ে আছে।কমপক্ষে দুশ বছর।
আমি ইউরোপের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে গুরে পিরে দেখেছি। নগরের পর কোলাহল নগরে নগরে কতো উঁচেল সাড়ি সাড়ি কনক্রিটের কানন, কলকারখানার কালো কালো ধোঁয়া ঢাকা কৃত্তিম মেঘলা আকাশ।চলন্ত ট্রেনের কম্পার্টমেন্টে অথবা কোন নির্জনে বসে বসে ভেবেছি,কল্পনায় কাতর হয়ে আমি স্বপ্ন দেখেছি একটি রাঙা সকালের।
বিশ বছর আগে আমি স্বপ্ন দেখেছি, ভেবেছি এখন যেই অবস্হানে আছে ইউরোপ, হয়তো আগামি বিশ, তিরিশ কিংবা চল্লিশ বছর পরে হলেও এই ইউরোপের দেখাদেখি বদলে যাবে সমগ্র বিশ্ব, বদলে যাবে মানুষের জীবন যাত্রার মান।মানুষ অনায়াসে গুরে বেড়াবে বিশ্বভ্রম্মান্ডে। আবিষ্কার করবে নতুন নতুন পৃথিবী। পৃথিবীতে থাকবেনা আর মানুষের কোন দুঃখ কষ্ট।থাকবেনা কোন রোগ শোক।থাকবেনা দেশে দেশে সিমানার কোন প্রাচির।সমগ্র বিশ্ব হবে শুধু একটি বিশ্ব।মানুষে মানুষে থাকবে না কোন মারামারি হানাহানি বৈরি বৈশম্য।
আমি স্বপ্ন দেখেছি এই অখন্ড বিশ্বে থাকবেনা কোন মসজিদ মন্দির গির্জা পাকুডা কিংবা ছিনাগগি।আমি স্বপ্ন দেখেছি এই বিশ্বে থাকবে না কোন প্রশাসন, থাকবেনা কোন থানা ফাঁড়ি। থাকবেনা কোন পুলিশ মিলিটেরি,কিংবা বোয়াডার গার্ড। কেন? কেন থাকবে মানুষের এই পৃথিবীতে এত সব কিছু।কেন? কেন এত ধর্ম কর্ম। কেন এত স্রষ্টা কেন এত ভ্রষ্টা।
মানুষের মাঝে কেন এত বর্বরতা্। কোথায় মানুষের মানবিক গুনাবলি, কোথায় মানুষের মানবতা?
আমি স্বপ্ন দেখি, এমন যদি হতো কাল সকালে ঘুম থেকে উঠেই দেখি আমার স্বপ্ন গুলি সবিই বাংলাদেশে বাস্তবায়িত হয়ে গেছে।আমার আহত স্বপ্নগুলি এখন আর কাঁদছে না।বাংলাদেশে আর নেই সন্ত্রাসি কোন কর্মকান্ড।পেট্রল বোমায় আর কেহ জ্বলেপুড়ে মরছেনা।মানুষে মানুষে নেই কোন ভেদাভেদ বৈরি বৈশম্য।
আধুনিক এই বর্বর যুগ পেরিয়ে সত্যিই একদিন মানুষ হবে প্রকৃত মানুষ।সেদিন থাকবেনা কোন প্রশাসন, থাকবেনা কোন উপাসনালয়।সেদিন স্রষ্টার সাথে মিলে আমরা করবো সৃষ্টির পরিচর্যা।কারন আমরাই স্রষ্টার শ্রেষ্ট সৃষ্টি।
------ফারুক।