ধর্ম




                 হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর কয়টি ছবি,






মুসলমানরা হরহামেসা বলে থাকেন হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর কোন ছবি নাই।তারা এও বলে থাকেন ছবি তোলা বা অঙ্কন করাও নাকি হারাম।যদিও আমাদের দেশের আলেম ওলেমারা ওয়াজে টকশোতে সেজেগুজে এসে পোস দেন। কেসেট এলবামে ছবি দেন, টিবি কিংবা প্রজেক্ট মনিটরে প্রদর্শিত হয়ে থাকেন।
ইসলামের নবী হযরত মুহাম্মদ সঃ এর জীবিতাবস্হায় কোন ছবি অঙ্কিত না হলেও খেলাফতে রাশেদিনের যুগে অর্থ্যাৎ আব্বাসিয় এবং ওসমানি খেলাফতের আমলে শিল্পিরা কিছু ছবি এঁকেছেন। যা আজো ইরান তুর্কি ও লন্ডনের জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে।সৌদি আরবে ওহাবী ইসলাম কায়েম হবার পর হযরত মুহাম্মদের সকল ছবি প্রদর্শন করা নিশিদ্ধ করা হয়।




পাশে দেয়া ছবি গুলি হযরত মুহাম্মদ সঃ কে ইঙ্গিত বা অনুমান করেই অঙ্কিত করা হয়েছে।



....চলবে,













   ধর্ম অধর্ম ও ধর্মের গোঁড়ামি,
আমরা সবাই জানি ধর্মকে ইংরেজিতে বলে রিলিজিয়ন।ধর্মের ব্যপারে গভির ভাবে আলোচনা করতে গেলে আমাদের মনে স্বাভাবিক ভাবে কিছু প্রশ্নের উদ্রেক হয়।যেমনঃ- ধর্মটা আসলে কি?ধর্ম কাকে বলে? কেন এল ধর্ম? আমরা কেন ধর্ম পালন করি?ধর্ম নিয়ে কেন এত মারামারি খুনাখুনি?কেন এত ধর্ম বিদ্যেষ? কেন এত ধর্ম যুদ্ধ? ইত্যাদি!

ধর্ম সাধারণ দুই প্রকার। যেমনঃ- কল্পিত ধর্ম, ও স্বভাবগত ধর্ম।
ধর্ম বলতে আমরা সাধারণত ঈশ্বর আজ্ঞা ও তার ঐশী বাণী বা প্রত্যাদেশ সমূহ সংশ্লিষ্ট কিতাব গুলিকে বুঝে থাকি।স্রষ্টা কিংবা দেব দেবির প্রতি নতশিরে আধ্রাত্মিক ধ্যান ধারণা কল্পনা বিশ্বাস উপাসনা প্রার্থনা প্রথা ধর্মীয় উৎসব সমাধিস্হ শেষ কৃত্য সৎকার অনুস্টান আত্মত্যগ আচার কানুন উপোবাস ধর্মীয় পুস্তোক ও মন্ত্র পাঠ এবং প্রবিত্র বা তীর্থস্হান পরিভ্রমন করাকেই ধর্ম পালন বলে তাকি।এই সবই হলো মানুষের কল্পিত ধর্মের মৌলিক বৈশিষ্ট।। যার মধ্যে অন্তঃনিহিত আছে মানুষের ইহকাল ও পরকালের সূখ শান্তিও ঈশ্বরের সানিধ্য লাভের আশা আকাঙ্খা কামনা বাসনা ও মহিমান্মিত অন্তহীন আস্হা ও ভরসাস্হলের অন্তিম কেন্দ্রবিন্দু।
এখানে ঈশ্বর আছে কি বা নাই সেটা বড় বিষয় নয়, ঈশ্বর ধারণা ও অন্ধ বিশ্বাসই এখানে মূখ্য বিষয়।কেন না ঈশ্বর বিহিন মানব অন্তর ব্লাকহোলের অতল গহব্বরের মত অন্তসার শূন্য।স্বপ্নহীন শূন্য অন্তর নিয়ে মানুষ নিঃসঙ্গ বাঁচতে পারে না।মানুষের ান্তহীন আশা এবং স্বপ্ন ইচ্ছা আকাঙ্খা এক জীবনে পুরন হয় না বলেই পুর্ন জনমের স্বপ্ন দেখে দেখে আশার বুক বাঁধে।
আর স্বভাব গত ধর্ম হলো জীব বা যে কোন বস্তুর চারিত্রিক বৈশিষ্ট।যেমনঃ- আগুনের ধর্ম হলো পোড়ানো, পানির ধর্ম হলো বহে চলা, চুম্বকের ধর্ম হলো আকর্ষন করা।জীবের ধর্ম হলো খানাপিনা ও ঘুমানা ইত্যাদি।

ধর্মের ানেকগুলো ডাইমেনশন বা দিক আছে। তন্মমধ্যে জগন্যতম ডাইমেনশন হলো রাজনীতি।আজকাল একশ্রেণীর কায়েমী স্বার্থবাদী রাজনীতিবিদ আছে,তাদের কাজই হলো ধর্মকে রাজনীতির সাথে মিলানো, এবং রাজনীতিকে ধর্মের সাথে মিলায়ে সমাজে অশান্তি সৃষ্টি করা।তাদের চেয়ে বড় মোনাফেক জগতে আর কেহ হতে পারে না।ভাইয়ের সাথে ভাইয়ের যুদ্ধ, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগায়ে নিজের স্বার্থ হাসিল করাই তাদের মুল উদ্যেশ্য।কারণ সাধারণ মানুষের ধর্ম বিশ্বাস হলো স্পর্শকাতর একটি বিষয়।
রাজনীতি করতে হলে মিথ্যাচার করতে হয়।মিথ্যাচার না করলেও সত্যকে এড়িয়ে যেতে হয়।আবার সভা সমিতিতে বক্তৃতায় স্বস্হা জনপ্রিয়তার জন্য আবোল তাবোল বলতে হয়।তখন কি আর কোন মুমিন বা ঈমানদার বান্দার আর ঈমান বলতে কিছু বাঁকি থাকে?
ধর্মান্ধ ব্যক্তিরা সবসময় সাম্প্রদায়িক,অসহিষ্ণু অনুদার,ও সঙ্কীর্ন মনের মানুষ হয়ে থাকে।ধর্মান্ধরা রাজনীতি করা মানেই সমাজে বিপদ ডেকে আনা।ধর্মান্ধদের নূন্যতম বুদ্ধি থাকলেও তাদের জ্ঞান প্রজ্ঞার পরিধি অত্যান্ত সীমিত।
ইসলামের নবী জ্ঞানার্জন প্রত্যেক নরনারীর জন্য অবশ্যই কর্তব্য বলে প্রচার করেছিলেন।জ্ঞানচর্চা উপাসনা উপোবাস ও ধর্ম যুদ্ধের চেয়ে পূর্ণের বলে অবিহিত করেছেন।জ্ঞানের অন্বেষনে দুনিয়ায়ার যে প্রান্তে যেতে হয় যেতে বলেছেন।জ্ঞান বিস্তারে কলমই হলো পরাক্রমশালী মিত্রশক্তি, এটাই ইসলামের প্রথম সংবাদ।জ্ঞানার্জন  সমাজে উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য খুবি গুরুত্বপুর্ন ও শক্তিশালি মাধ্যম।দারালো তরবারি কখনও অন্ধকারকে পরাভূত করতে পারে না, কিন্তু এক মাত্র কলমই পারে অন্ধকারকে পরাভূত করতে।তাই তো হাদীছে এসেছে শহীদের রক্তের চেয়েও বিদ্যানের কলমের কালি অধিক প্রবিত্র।তরবারি কিংবা গলাবাজি মারামারি খুনাখুনির মাধ্যমে মানুষের মন মানসিকতা পরিবর্তন করতে পারে না, পারে শুধু কলমের শক্তিশালি লেখনির মাধ্যমে।
জ্ঞানহীন অজ্ঞ মানুষেরা হয় বেশি অন্ধ।অজ্ঞ লোকেরা বেশি বেশি উপাসনা করলেও তা সঠিক হয় না।ধর্মান্ধরা যাদু টোনা বান মন্ত্র ঝাড়ফুঁক তাবিজ তুমারে বেশি বিশ্বাসী। এই সবে মানুষের কোন মুক্তি তো আসেই না, বরঞ্চ বাড়ে দুর্গতি।
ইসলাম ধর্মে এই সব নিশেধ সত্বেও কিছু মানুষ এই সব করে মানুষকে ধোকা দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে তাকে।

ধর্মের আরেকটি দুর্বল দিক হলো অলৌকিতায় বিশ্বাস।এই সব ধর্মান্ধদের ব্যপারে প্রবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে যে ওদের অন্তর ও দুকানের মধ্যে পেরেগ মারা রয়েছে।আর তাদের চোকের উপর ছাউনি পড়ে আছে।তারা অন্ধ মূর্খ ও বদির।প্রবিত্র কোরআন এখানে অন্ধ বরতে মানুসের জ্ঞানচক্ষু ও বিবেক বুদ্ধিকে বুঝায়েছে।কোরআন আরো বলে যে লোক ইহকালে অন্ধ সে পরকালেও অন্ধ। যারা জানেনা, যাদের জ্ঞান বুদ্ধি কম তাদের অনুসর করতেও নিষেধ করা হয়েছে।


                                    ধর্মীয় কুসংস্কার ও ধর্মান্ধতা---
বর্মান যুগকে আমি সব সময় বলি ্এটা একটা আধুনিক বর্বর যুগ।যদিও পশ্চিমা বিশ্বে আধুনিকের সুচনা হয়েছিল বেশ কয়টা শতাব্দী আগে।এখন চলছে আধুনিক ডিজিটেল যুগ।পাঁচ হাজার বছর ধরে মানব জাতি যা আবিষ্কার করতে পারেনি, গত পঞ্চাস বছরে মানুষ তা আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছে।বিজ্ঞানের বদলোতে আজ মানুষ বিশ্ব ভ্রম্মান্ড প্রায়ই জয় করতে অনেকটা সফল হয়েছে।মানুষ আজ আসমান ছুঁয়েছে চাঁদ আর মঙ্গল গ্রহকে তো টুরিষ্ট স্পটে পরিণত করে তুলতেছে।
দর্শনে বিজ্ঞানে জ্ঞান প্রজ্ঞায় মানুষ আজ উন্নতির চরম শিকড়ে পোঁছলেও ধর্মের অন্ধত্ব ও গোঁড়ামি থেকে মুক্ত হতে পারেনি।কায়েমি স্বার্থবাদীরা আজ দেশে দেশে ধর্মের অপব্যখ্যা দিয়ে ধর্মকে হীন স্বার্থে ব্যবহার করে মানুষ হত্যা করছে।মৌলবাদী আর প্রগতীবাদীরা আজ ধর্ম ব্যবসায় নেমেছে।আস্তিক নাস্তিকের ধুয়া তুলে মানুষ মানুষকে নির্মম ভাবে হত্যা করছে।যা মধ্য যুগের ক্রুসেড যুদ্ধ থেকেও ভয়ঙ্কর। ধর্ম বিদ্যেষ অ-সহিষ্ণুতা নির্দয়া  সেকালের বর্বর যুগকেও হার মানায়।ধর্মবাদীরা বহুধাভিবক্ত হয়ে সবাই বলছে নিজ নিজ ধর্মই শ্রেষ্ট ও সত্য।তাদের মত আজ বিজ্ঞানি দার্শণিক কবি সাহিত্যিক তারাও বহুদা ভিবক্ত হয়ে দিনের পর দিন সমাজে শুধুই অনাচার অবিচার সৃষ্টি করে তুলছে।

মধ্যযুগে আজকের আধুনিক ও উন্নতিশিল ইউরোপে প্রায় এক হাজার বছর ধরে চলতো ধর্মীয় অনুশাসন ইনকুইজেশন।ধর্মীয় কুসংস্কার গোঁড়ামি ও ধর্মান্ধতার জাঁতাকলে পিষ্ট হয়েছে অগনিত মানব শরীর। শুধু সত্য বলার অপরাধে দার্শণিক জর্দানো ব্রুনোকে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে পুড়ে হত্যা করা হয়েছে।আশি বছরের বৃদ্ধ গ্যালিলিওকে বছরের পর বছর জেল খানার অন্ধ প্রকোষ্টে হত্যা করা হয়েছে।অসংখ্য নির্দোষ নারীকে ডাইনী ্অপবাদ দিয়ে ধর্মবাদীরা প্রকাশ্যে নিপিড়ন করে পাথর মেরে হত্যা করেছে।জার্মানী নাৎসী নেতা হিটলার হলোকষ্ট মৃর্ত্যু শিবিরে হত্যা করেছে প্রায় আট কোটি মানুষ।

মধ্য যুগকে ইউরোপে বলে ডার্কএইজ(Darkeage)  অন্ধযুগ বা কালো অধ্যায়।পাঁচশত শতাব্দী থেকে প্রায় পনরশত শতাব্দী পর্যন্ত এই কালো অধ্যায় জারি ছিল।রোম থেকে লন্ডন লিসবন থেকে ওয়ার্স প্যারিস বার্লিন পুর্ব পশ্চিম কোন এলাকা বাদ ছিলনা। রোমের কলোসিয়াম অডিটরিয়ামে বন্দি ক্লাদিয়াতরের সাথে হিংস্র বাঘ সিংহের সাথে মরণপন লড়াই তো মানব জাতির ইতিহাসে শ্রেষ্ট সার্বজনিন বর্বরতার মহা উৎসব ছিল।অত্যাচারি সম্রাট আর সম্রাজ্ঞির পাশের আসনে বসে উপভোগ করতেন ধর্মগুরু পাপ বিশপ পুরোহিতরা। সাথে বসতেন ধনি শিল্পপতি শিল্পি সাহিত্যক দার্শনিক পন্ডিতরা।াডিয়্যান্স ছিলেন তৎকালিন রোমের এলিট কুলিন সমাজ।

পাঁচ শত শতাব্দীতে যখন ইউরোপে শুরু হয়েছিল বর্বর যুগ, তখন মরুর দেশ আরবে চলতেছিল আইয়ামে জাহেলিয়াতের যুগ।সেটাও অন্ধ এবং ভয়ঙ্কর বর্বর যুগ।আফ্রিকা মহাদেশের মিশর সুডান ইতিওপিয়ার সভ্যতা অনেক পুরানো হলেও সেখানেও জন্ম নিয়েছে মনগড়া ধর্মের গোঁড়ামি ধর্মান্ধতা ও বহবিদ ধর্মীয় বর্বরতা।উত্তর আমেরিকা ও দক্ষিন আমেরিকার ধর্মের গোঁড়ামি আমাদের ইতিহাসে বইপুস্তোকে তেমন একটা উঠে না আসলেও আজকে আমরা আধুনিকের বদৌলতে অনেকটাই জানতে সক্ষম হয়েছি।মায়া মন্দিরে িইঙ্কার পর্বত গুহায়, চেচেন ইৎজার মন্দিরে প্রতিদিন যে মানুষ বলি হতো ঈশ্বরের সন্তুষ্ট লাভের জন্য

অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের অ্যাবারোজিনিদের ধর্মীয় প্রথা রিতি নীতি কিংবা গোঁড়ামি বিশ্ববাসীর অজানাই ছিল।আমাদের ভারত উপমহাদেশে তো এখনও প্রকট আকার ধারণ করে আছে ধর্মের গোঁড়ামি,ধর্মান্ধতা ও বর্বরতা।ধর্মের ধুয়া তুলে হিন্দু মারছে মুসলমানকে আবার মুসলমান মারছে হিন্দুকে।

ধর্ম বিদ্যেষ,পরধর্ম নিন্দা ধর্মীয় ঘৃনা অসহিষ্ণুতা নির্দয়া ও অনুদারতা ্ অমানবিক কোন মতেই মানুষের ধর্ম বিশ্বাস হতে পারেনা।এই সব ধর্ম কখনও ঈশ্বর প্রেরিত ধর্ম হতে পারে না।স্রষ্ট্রা তার সকল সৃষ্টিকেই ভালোবাসেন।অমানুষদের এটা বুঝা উচিত।


                                                                         ------নুর হোসেন ফারুক, জার্মান প্রবাসি,











  • ধর্ম নিয়ে আমার ভাবনা,...


দূনিয়াতে প্রচলিত ধর্মের মধ্যে ঠিক কতটা ধর্ম আছে  তা সঠিক ভাবে আমার জানা নেই।তবে বর্তমানে প্রধান পাঁচটি ধর্ম সম্পর্কে আমরা সবাই কম বেশি জানি।আমি ব্যক্তিগত ভাবে ইসলাম ধর্মের অনুসারি এক জন মুসলমান হিসেবে  যতটুকু জানি তা আমার প্রয়াত মা জননির কাছ থেকে এবং ইসলামের খেলাফায়ে রাশেদিন ও বুঝর্গ মাওলানা ঈমাম আল্লামা আলিমের লেখা বিভিন্ন বই পুঁতি পুস্তুক পড়ে এবং বর্তমানের ইন্টারনেটের মাধ্যমে শিক্ষা।
আজ পৃথিবীতে সাড়ে সাত শত কুঠি মানুষের মাঝে প্রচলিত প্রায় পাঁচ ছয় শত ধর্মের মধ্যে ধর্মলম্বি হিসেবে প্রধান দশটি ধর্ম হলো যথাক্রমে-
এক, খ্রিস্টান ধর্ম।
দুই, বৌদ্ধ ধর্ম।
তিন, ইসলাম ধর্ম।

চার, হিন্দু ধর্ম,
পাঁচ, ইহুদী ধর্ম।
ছয়-শিখ ধর্ম,
সাত--যিহোবা উইৎনেস ধর্ম,
আট--বাহাই ধর্ম,
নয়--জরস্খুরো ধর্ম,
দশ--ইয়াজিদি ধর্ম,
আমি সব সময় নিজে নিজেকে প্রশ্ন করি, আসলে ধর্ম কি? কাকে বলে ধর্ম? আমি কেন মুসলমান হলাম।কেমন মুসলমান হলাম? আমি কেন মানুষ হলাম?ইত্যাদী।
উত্তরও খুঁজে নিজে নিজেকে দেওয়ার চেষ্টা করি।
ধর্ম হলো আসলে একটা জটিল জিনিস।সোজা কথায় বললে ধর্মটা হলো অঘাধ আত্মবিশ্বাস।হাজার হাজার বছর ধরে ধর্মগুলি কুঠি কুঠি মানুষের চিন্তায় চেতনায় মন মননে মাথায় মগজে  অস্হি মজ্জায় মিশে স্হায়িভাবে বিশ্বাসিত ও প্রতিষ্টিত হয়ে আছে।
সহজ কথায় বললে হয় ধারণ করার নামই হলো ধর্ম।
প্রতিটা ধর্ম প্রচার হওয়ার শুরু থেকেই কম বাড়াবাড়ি হয়নি।খুনাখুনি হানাহানি মারামারি কম হযনি।কম রক্ত ঝরেনি।যুগে যুগে এই ধর্মকে নিয়েই কুঠি কুঠি মানুষকে স্রষ্টার নামে হত্যা করা হয়েছে।আজো নিরন্তর হচ্ছে।নিঃস্পাপ মানুষের রক্ত আর ফসিলের ফসফরাসে পৃথিবীর মাটি উর্বর হলেও আজো মানুষ আমরা এই ধর্মের কাছে বড়  অসহায় হয়ে পড়ে আছি।
আমার প্রশ্ন, কেন একজন সৃস্টি কর্তার জন্য এত গুলি ধর্ম সৃস্টি হলো? আর কেন এত গুলি ধর্ম সৃস্টি করে আমারা মনুষ্য একটা মাত্র মানব জাতিকে বিভাজন করে রাখা হলো।আমরা মানুষ একি ভাষায় হাসি কাঁদি, একি রকম আমাদের আকার আকৃতি।কেন  স্রস্টা আমাদের মাঝে এতগুলি ধর্ম নাযেল করে আমরা মানুষকে পরশ্পরের কাছ থেকে  আলাদা বা দূরে সরায়ে রেখেছেন।কেন একজন নিরাকার স্রস্টার জন্য বা স্রস্টার নামে এত পূজা অর্চনা, কেন এত এবাদত বন্দেগী।কেন এত উৎসর্গ উপসর্গ?
তিনি সমগ্র কূল মাকলুকাতের মহান স্রস্টা হলে হয়েছেন।আমি ক্ষুদ্র একটি মানুষ আমার এত সময় কই তাঁকে
সিজদা দেওয়ার ।আর তাঁকে সিজদা দেওয়া কি এতই জরুরি।তিনি তো কোন দিন আমাকে বলেনি হে মানব তোমাকে আমি অনাবৃত করে সৃস্টি করেছি তুমি সর্বদা আমাকে  আবৃত হয়ে সিজদা কর।
আমাকে তো তিনি সম্পদ বলতে দুটা হাত দুটা পাঁ আর দুটা চোখ দিয়ে এ জটিল পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন মাত্র দুদিনের জন্য।ছোট একটি জীবন দিয়ে আবার তার ভিতর কতো রোগ শোক কতো বড় একটা কঠিন মরন ডুকায়ে দিয়েছেন।তার উপর আবার সংসারের কত কঠিন যন্ত্রনা কত ব্যথা বেদনা।প্রাত্যহিক মালিকের আর,সংসারের কাজ কর্ম,দেন দরবার স্ত্রি সন্তানের চাহিদা মিঠানো, প্রিয়তমার মান ভাঙানো  নিত্যদিনের আহার জোটানো, বিদ্যুৎ পানি তেল গ্যাস টেলি ফোন ইন্টারনেট এর বিল দেওয়া, আর সামাজিক রাজনিতিক কুষংস্কারে জীবনাটা এতই অতিস্ট যে আমি কি করে তাঁকে ডাকি।আমার এত সময় কই, সামর্থ কই তাঁকে ডাকার।
আদিম যুগে নিয়ান্ড্রাতালা আর হোম জাপিয়ান কিংবা তারও পরে মানুষ যখন প্রকিৃতিক দূর্যগে  খরা বন্যায় ঝড় তুপানে বিজলী বজ্রে অশুখ বিশুখ মহা মারি বন্য হিংস্র জানোয়ারের ভয়ে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে গুহায় লুকাতো, তখন অসহায় মানুষ ভাবতো  নিশ্চয় এসব কোন শক্তিবান অদৃষ্ট দেবতার কাজ।নিরুপায় মানুষ সে অদেখা দেবতাকে পুজা অর্চনা করে মুক্তি লাভের চেস্টা করতো।অনেক সময় দেখা যেত মানুষ সফল ও হয়ে যেত।কথায় আছে না বিশ্বাসে মুক্তি।তাই মানুষের বিশ্বাস দিন দিন আরো মজবুত হয়ে আধুনিক থেকে আধুনিকতর হয়ে আজকের এ  জটিল পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে।
আদিম যুগে মানুষ শুধু সমসাময়িক বিপদ আপদ থেকে মুক্তি লাভের আশায় দেবতা বা স্রস্টাকে স্মরন করত।আর আজকের মডার্ন মানুষ ইহকাল এবং পরকালের মুক্তি লাভের  আশায় স্রস্টাকে স্মরন করে।পুজা অর্চনা ইবাদত বন্দেগী করে।
মনে প্রশ্ন আসা সাভাবিক কেমন আজকের ধর্মগুলি?
আজ আমি  দুচোখে সমগ্র বিশ্বময় যা দেখছি তা আমাকে নিঃদ্বিধায় বলতে হচ্ছে, সনাতন এবং পৌরানিক প্রধান পাঁচটি ধর্মের নিত্যদিন নতুন নতুন শাখা প্রশাখা গজায়ে এবং ফতুয়া ও নানা মতালম্বিতে ধর্ম গুলির বারটা বাজিয়ে গেছে।ধর্মগুলি ভিত্তী আজ খুব দূর্বল ও নড়েবড়ে হয়ে গেছে।
আমার নিজের প্রিয় ধর্ম হলো ইসলাম। আমি ইসলাম ধর্মের একজন অনুসারি বা মুসলান হয়ে সবসময় নিজেকে গর্ববোধ করি।অতচ আজ সেই ইসলাম ধর্মের কত শাখা প্রশাখা দল ও মতালম্বি জন্ম নিয়েছে যে আমি রিতিমত বিস্মিত । আমি যাব কোন দলে।কাকে বিশ্বাস করবো।এই দ্বিধাধন্ধে আজ আমি নিজেও ভিবক্ত।
মহা নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) বলে গেছেন ইসলামে তিয়াত্তর দল হবে কিন্তু আমার দল থাকবে একটাই, আর সে দলই হবে সত্যিকারের আমার দল। নিশ্চয় আমার দলের লোকরাই হবেন জান্নাত বাসি। আর বাঁকি বায়াত্তর দল হবে মিথ্যাবাদি। তারা সবাই যাবে জাহান্নামে।
এবার আমি মহা নবী, যাঁরনাম নিতে দুরুদ সরিফ পড়তে হয়, যিনি সর্ব কালের সর্ব শ্রেস্ট মানব যিনি ধার্মিক ভাবে মানবিক ভাবে রাজতিক ভাবে  সেনাপতি হিসেবে রাস্ট পরিচালনা হিসেবে সফল ব্যক্তিত্বের অধিকারি, সেই মহা নবী হযরত মুহাম্মদ  (সঃ) এর কথা মানব। না আজকের খারিজি, ওহাবি , সালাফি মার্ডারেট ইসলাম জামাতি হেফাজতি, আহম্মেদি মদুদিদের কথা মানব।
এখন চিন্তা করে দেখুন সাধারণত, আমারা বাংলাদেশে এক জাতি এক ভাষাবাসি অতচ আমাদের মধ্যে ইসলামের নামে  আজ কত দল শাখা প্রশাখা হয়েছে । ইসলামের নামে আমরা আজ নিজের ভাইকে নিজে হত্যা করছি, রগ কাটছি ফতুয়া দিয়ে নিজের বোনকে পাথর মেরে হত্যা করছি।সুন্নি শিয়া  আলাওয়ি ইছমা্‌ইলি, ওহাবি, আহাম্মদী, মদুদি, খারিজি, সালাফি, জামাতি,মর্ডারেট ইসলাম, আরো কত দল।আমরা যাব কোন দলে।
প্রতিটি ধর্মই যদি নাযেল হয়ে থাকে মানবের সান্তি বা কল্যানের জন্য।পুরোহিত আর মাজহাব বা ঈমামরাও বলে থাকেন  ধর্মগুলি শান্তির জন্য নাযেল হয়েছে। তবে কেন আজ পৃতিবীতে এত অসান্তি।কেন মানুষের মাঝে এত ভেদাভেদ?
আজ মূর্খ ভন্ড পূরোহিত এবং মক্কর মাওলানা আর তাদের সাথে এক শ্রেনির শুবিধাবাদীরা ধর্মকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ভাবে পয়দা লুটতেছে।
আমি বাংলাদেশ সরকারের কাছে অনুরোধ করছি  মহা নবীর বিদায়ি হজ্বের ভাসন এবং মদিনা সনদের সর্তগুলি বিবেচনা করে, আমাদের প্রধান চার মাজহাব বা ঈমামের  শাস্ত্র বা সরিফ গুলিকে সমুন্নত রেখে বা বিবেচনা করে আমাদের প্রধান চার খলিফার আদর্শকে সন্মান দিয়ে মহা নবীর একমাত্র দলকে সিকৃতি দিয়ে বাঁকি বায়াত্তর ইসলামের খারিজি দলকে নিসিদ্ধ করা হউক।


                                                         ইসলাম ধর্ম,
ইসলাম ধর্ম বলতে কি বুঝায়?বা ইসলাম ধর্মটা কি? সত্যিই নবী মুহাম্মদ সঃ কি আল্লাহর প্রেরিত নবী?তিনি কি সত্যিই আল্লাহর দোস্ত?তিনি কি সত্যিই আখেরি নবী?পূর্ববর্তি এত নবী  এত ধর্ম থাকতে কেন ইসরাম ধর্ম এল দুনিয়ায়?সত্যিই কি আল্লাহ নামে মহা শক্তিবান কোন স্রষ্টা আছে?যদি থেকেই থাকেন তিনি কেন সব িনবী পয়গয়ম্বর কেন আরব মুল্লকে পাঠালেন?তিনি কি বাদবাঁকি বিশ্ববাসির কথা ভূলে গেছেন? এ রকম হাজারো প্রশ্ন দ্বীধা বা সংশয়বাদীদের মনে প্রশ্নের উদ্রেক হয়।
সহজ ভাবে বলতে গেলে ইসলাম হলো একটি আরবি শব্দ।ইসলাম শব্দের বাংলা অর্থ করলে হয় আত্মসমর্পন।এক আল্লাহ যিনি এক এবং অদ্বিতীয় এবং সর্বশক্তিমান।তাঁহার কোন শরিক নাই, তিনি লা-শরিক মাবুদ আল্লাহ। তিনি কাউকে জন্ম দেন নাই এবং তাঁকেও কেউ জন্ম দেন নাই।তিনি আসমান জমিন সাগর পর্বত আটার হাজার মতান্তরে আঠার লক্ষ মাকলুকাত সৃষ্টি করেছেন।ইসলামের নবী খ্রিষ্টান ইহুদীদের সকল নবীগন এভাবেই প্রচার করেছেন।

নবীদের প্রচারিত ইসলাম  ধর্ম  মতে সেই মহান স্বত্বার বা আল্লাহর উপর আত্মসমর্পন করার নামই হলো ইসলাম।তিনি সমগ্র বিশ্ব ভ্রম্মান্ডর সৃষ্টিকর্তা।তার বিধি বিধান মেনে চলা এবং তার প্রেরিত রাসুলগন আদর্শগত যে সঠিক জীবন ব্যবস্হার শিক্ষা ও পথ দেখায়েছেন সে পথপাথেয়ে চলার নামই হলো ইসলাম।ইসলামর অনুসারিদেরকে বলে মুসলমান।
যার ফলে আল্লাহ সুবহানতাআলা মানুষের জীবনে সূখ শান্তি ও নিরাপত্তার সুনিশ্চীত ব্যবস্হা করেন।

ইসলাম ধর্মের মূল ভিত্তি বা স্তম্ব,বা আকিদা হলো মোট পাঁচটিঃ--ঈমান, সালাত, সাওয়ম, হজ্ব, ও যাকাত।
এই পাঁচটি আকিদা মেনে চলতে হলে মানতে এবং জানতে হবে কুরআন এবং সুন্নাহ।জানতে হবে পাঁচ কালেমা।এগুলো হলো ইসলামের আনুষাঙ্গিক বিষয়।সুন্নাহ বলতে রাসুলের বয়ান বা হাদিসকে বুঝায়, আর কুরআন তো আল্লাহর প্রেরিত প্রবিত্র গ্রণ্হ।যা নির্ভূল ১০৪ খানার মধ্যে অন্যতম একটি আসমানী কিতাব।

ইসলাম শান্তির ধর্ম, আর মুসলিমরা হলো শান্তির দুর স্বরুপ।তাই দুনিয়ার সব মুসলমানকে মার্জিত ও সঃস্বভাবের সহনশীল উদার মনোবাবের হতে হবে।ক্ষমতা দখল কিংবা নিজেকে শ্রেষ্ট ভাবা খোদার উপর খোদাগিরি ইসলামের আদর্শ নয়।সন্ত্রাস নাশকতা বোমাবাজি জঙ্গীপনা ইসলাম সমর্থন করে না, এবং এসব প্রকৃত মুসলমানের কাজ হতে পারে না।

প্রকৃত মুসলমানের কাজ হলো প্রবিত্র কুরআন ও ইসলামের দাওয়াত শান্তিপূর্নভাবে মানুষের দ্বারে দ্বারে পোঁছায়ে দেওয়া।মানুষ কে কি করেন নিশ্চয় আল্লাহ সব কিছু অবগত আছেন।

সকল মুসলমানকে অবশ্যই জানতে হবে যে আইয়্যামে জাহেলিয়াতের যুগে বা মুর্খতার যুগে আরব দুনিয়ায় ইসলামের আবির্ভাব ঘটেছে।সে সময় বহুধা ভিবক্ত দিশেহারা ছিল আরবের বেদঈন জাতি।কিছু লোক পালন করতো ইহুদী ধর্ম কিছু লোক পালন করতো খ্রিষ্টান ধর্ম, আবার বেশ কিছু লোক ছিলেন অগ্নি এবং মুর্তি পুজারি।এদের মধ্যে আবার বেশ কিছু লোক ইব্রাহীম আঃ এর প্রদর্শিত পথে চলতে অবস্হ্যছিল।

সামাজিকভাবে সর্বত্রই সর্ব গোত্রে বিরাজমান ছিল জুলুম অত্যাচার।দুর্বলের ছিল না নূন্যতম বাঁচার অধিকার।মেয়ে হেলে জীবন্ত কবর দেয়া হত।মান ইজ্জত সন্মান বরতে কিছু ছিলনা।সবলরা দুর্বলের াধিকার হরন করা ছিল নিত্যনৈমত্তিক ব্যপার।অবাধে চলতো ভ্যবিচার।বহু বিবাহ প্রথা তার উপর রক্তের আত্মিয় স্বজনের মধ্যেও ব্যদবিচার ছিলনা।তুচ্ছ কারণেও গোত্রে গোত্রে এবং আত্মিয় স্বজনের মধ্যে রক্তাক্ত যুদ্ধ লেগে যেত।এক কথায় ভয়াবহ অবস্হা ছিল তৎকালিন আরব সমাজ।ইসলামের প্রদীপ্ত বাণী মুখে সেই অন্ধযুগেই মাহা নবীর আবির্ভাব ঘটে।

মহানবী হযরত মুহাম্মসঃ এর জন্ম পরিচয় দেবার আগে তার পিতামহের ব্যপারে কিছু বলতে হয়।নবীর দাদার নাম ছিল আবদুল মুতালেব।মুতালিবের বাবার নাম ছিল আবদুল হাসিম।আবদুল হাসিম ছিলেন বাক্কা শরিফের(এখনকার মক্কা শরিফের নাম ছিল বাক্কা শরিফ)খাদেম।হাসিম শব্দের অর্থ শুরবা বিতরন কারি।আবদুল হাসিম বাক্কা শরিফে আগত অতিথিদের মধে শুরবা পরিবেশন করতেন সুকনো রুটি দিয়ে কাবার জন্য।তাই তাকে হাসিম বলা হতো।

সে যাই হউক,আবদুল মুতালিবের সাথে কুরাইশ ধনিরা ধন সম্পদ ও সন্তান সন্তুতি নিয়ে গর্ব  বা অহঙ্কার করতো।তাদের গর্ব দেখে আবদুল মুতাল্লিব ঈশ্বরের নামে মান্নত করলেন যে যদি কোনদিন ঈশ্বর তাকে দশটি পুত্র সন্তান দান করেন, তা হলে তিনি ঈশ্বরের নৈকঠ্য লাভের জন্য বলিদান করবেন।মহান ঈশ্বরের কৃপায় তার সেই আশা পূর্ন হলো। একে একে তার ঘরে জন্ম নিল দশিটি পুত্র সন্তান।তার মধ্যে একটি ছিল আমাদের নবীর পিতা আব্দুল্লাহ।কথামত পরে আব্দুল মুতালিব তার  পুত্র আবদুল্লাহকে জবাই করতে গেলে সবাই বাধা প্রধান করে এই বলে যে,বংশ পরম্পরায় তা প্রথা হয়ে যাবে।পরে আব্দুল্লার নামের সাথে লটারির মাধ্যমে তীর নিক্ষেপ করে সমাধানের সিদ্ধান্ত করা হয়।যতবার তীর আব্দুল্লার নামের উপর পড়বে, ততবার নিক্ষেপ করা হবে, এবং প্রতিবারের জন্য দশটি উট কোরবানি হবে।পর পর দশবার পড়েছিল তীর, তার বিনিময়ে ১০০টি উটকে কোরবানি না করে রেহাই করে দেয়া হয়, এবং আব্দুল্রাহ ও প্রাণে বেঁচে যায়।

হযরত মুহাম্মদ (সঃ) বর্তমান সৌদি আরবের মক্কা নগরিতে কুরাইশ বংশের বনু হাশিম গোত্রে ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দে জন্ম গ্রহন করেন, এবং ৬৩২ সালে ইন্কোল করেন।তিনি ছিলেন এবং আছেন ইসলামের প্রদান ব্যক্তিত্ব। তিনি ছিলেন মহান আল্লাহর আখেরি নবী এবং বার্তাবহক।তার উপর ওহীর মাধ্যমে আল্লাহপাক সর্বশেষ আসমানি কিতাব আল কোরআন অবতীর্ন করেন।আল্লাহ তাকে আধ্রাত্মিক জাগতিক রাজনৈতিক এবং সরবতোভাবে প্রস্তুত করে মানব কল্রাণের জন্য এই পৃথিবীতে পাটিয়েছেন।তিনি শুধু আরব এর পতিকৃত নয় সমগ্র বিশ্বের জাগরনের পতিকৃত হয়ে এসেছেন।তার আগমনের পর বিবাধমান আরব জাতি একিভূত হয়, এবং তার আদর্শ এবং ইসরামের বাণী খুবি দ্রুত সমগ্র বিশ্বে চড়িয়ে পড়ে।আজ আরব জাতি থেকে প্রায় আশিভাগ বেশি মুসলমান সারা বিশ্বে বসবাস করে।

হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর বংশ পরিচয়।পিতা, আব্দুল্লাহ, মাতা, আমিনা বিনতে ওহাব,দাদা, আব্দুল মুতালেব,চাচা, আবুতালেব, যিনি আলীর পিতা এবং এতিম মুহাম্মদকে লালন পালন করেন।আর দুধ মাতা হালিমা বিনতে আবু যুবায়ের।

হযরত মুহাম্মদ সঃ সর্বমোট সাত সন্তানের জনক ছিলেন।এর মধ্যে ছয় সন্তান দুই ছেলে চার মেয়ে প্রথম স্ত্রি খাদিজার গর্ভেই জন্ম হয়। একটি পুত্র হয় দাসী মারিয়া কিবতিয়ার গর্ভে।দুছেলের নাম আব্দুল্লাহ ও কাশেম, দুজনই শিশু বয়সেই মারা যায়।চার মেয়ে হলো রুকাইয়া,যয়ন্ব,উম্মে কুলছুম, ও ফাতেমা।ফাতেমা ব্যতিত তিন মেয়ে নবীর জীবদশায় মারা যায়।নবীর জন্মের পুর্বেই তার পিতা আব্দুল্রাহ মদিনায় ব্যবসার উদ্দেশ্যে গিয়ে মৃর্ত্যবরন করেন।

নবীর নবুয়ত প্রাপ্তি, নবী পঁছিশ বছর বয়সে কাদিজাকে বিয়ে করেন। তিরিশ বছর বয়সে তিনি হেরা পর্বতের গুহায় গিয়ে ধ্যায়ানে মগ্ন থাকতেন।চর্লিশ বছর বয়সে তিনি নবুয়ত রাভ করেন।দীর্ঘ দশ বছর কঠিন সাধনার পর একদিন ধ্যায়ানে মগ্ন অবস্হায় ফেরেশতা জিব্রাইল আঃ তার কাছে আল্রাহর প্রেরিত বাণী নিয়ে এসে তাকে বললেন পড়!পাঠ করুন আপনার পালন কর্তার নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন মানুষকে জমাট বাঁধা রক্তপিন্ড থেকে।আপনার পালন কর্তা মহা দয়ালু, যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন মানুষ যাহা জানতো না।

উত্তরে মুহাম্মদ জানালেন যে তিনি পড়তে জানেন না।এতে জিব্রাইল ক্সিপ্ত হয়ে তাকে চেপে দরে পুনরায় পড়তে বললেন।েএবারও তিনি অপরাগতার কথা প্রকাশ করলেন।এভাবে তিনবার চাপ দেয়ার পর তিনি পড়তে সমর্থ হন।
বাণী রাভের পর মুহাম্মদ কাঁপতে কাঁপতে নিজ গৃহে ফিরে এসে খাদিজাকে বললেন যে তার শরিরটা কম্বল দিয়ে ডেকে দেয়ার জন্য।পরে কাদিজা নবীর মুখে সব কতা শুনে ঈমান এনে মুসলমান হন।তারপর তিনি তার চাচাতো ভাই নওফেলের কাছে যান এবং সবকিছু খুলে বলেন। নওফেল সবকিছু শুনে তাকে নবী হিসেবে আখ্রায়িত করেন্।তার বেশ কিছুদিন পরে নবীর নিকট ওহী আসতে শুরু করে।সাথে সাথে তিনি ইসলাম প্রচারও শুরু করেন।
                                                 

                                                                                                             ----চলবে,

                                                                                             -------নুর হোসেন ফারুক,






                


No comments:

Post a Comment

অজ্ঞসব জনপ্রতিনীধি,

সত্যই শক্তি, সত্যই সুন্দর,