বাঙ্গালীর কাছে গাধা আর গাধির কাছে পার্থক্য কি? স্টেনগান আর মেশিনগানকেও তো তারা দোনালা বন্ধুক মনে করে।পিস্তল আর রিভেলবারের পার্থক্য তো দুরকি বাত।
গাধাটি অবশ্যই আমি কিনবো।যতই দাম চুকাতে হয় আমি চুকাবো। প্রয়োজনবোধে জীবনটাকে বাজি ধরবো গর্ধব বাসীদের সাথে; তবুও আমি গাধাটি কিনবো।
আমি সে গাধাটিকে সাবান সেম্পু দিয়ে গা গোসল ধোওয়ায়ে; আতর পারফিউম মেখে; ভালো করে সাজায়ে গুছায়ে দু কান টেনে ধরে পিটে বসে পুরো মাইজদী শহরটা প্রদক্ষিন করতে চাই।সাগর কন্যা মাইজদীর অলিতে গলিতে গুরেফিরে দেখতে দেখবো।
প্রথমে মাইজদী পৌর ভবনের সামনে যাবো, বড় বিনয় ও শ্রদ্ধার সাথে মেয়র সাহেবকে লম্বা একটা সালাম জানাবো।তারপর আমি যাবো সুধারাম মডেল থানার সামনে। শ্রদ্ধেয় ওসি এসআই টিএসই সাহেবকে সহ সকল স্টাপকে সেই একি রকমের গর্ধবি সালাম জানিয়ে সিদা নির্বাচন অফিসের পাশে দিয়ে বড় দিঘীর পাড়ে পাড়ে গুরবো কিছুক্ষন। তারপর একটা দির্ঘ নিঃস্বাস চেড়ে আমরা দুজন রেজেষ্ট্রি অফিসের দিকে যাব। সেখানে আমরা দলিল বিশারদদের ভিড় ভেঙে গিয়ে পেশাব পায়খানা সেরে মুনসেফ কোর্টের সামনে গিয়ে গর্ধবি সালাম জানিয়ে সিদা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে দাঁড়াবো।খুব বিনয়ের সাথে তাকেও সালাম গর্ধবি সালাম জানাবো।
তারপর বড় দিঘীর পুর্ব পাশে দিয়ে সিদা গিয়ে প্রেস অফিসের সামনে গিয়ে দাঁড়াবো।সেখানে সালাম নয় নাম ধরে ধরে কয়টা সংবাদিকের মা-বোনকে বিশ কোটিবার গালি দিবো, বাংলা ইংরেজি আরবি কিছই বাদ থাকবেনা।তারপরে যাবো বার লাইব্রেরি হয়ে সিদা জর্জকোর্টের সামনে গিয়ে দাঁড়াবো।সেখানে আমরা শ্রদ্ধায় মাথা নত করে উকিল মোক্তার বারিষ্টার আর জজ সাহেবকে লম্বা একটি গর্ধবি সালাম জানায়ে জজ কোর্টের ভিতর দিয়ে যেখান দিয়ে সাজাহান একরামের কামলাগুলো দল বেঁধে যাতায়াত করে ঠিক সেখান দিয়ে গিয়ে জুডিসিয়াল ম্যিাজিষ্ট্রেট আদালতের সামনে গিয়ে বেশ কিছুক্ষন দাঁড়ায়ে থাকবো, তারপর কোন জজ ম্যাজিষ্ট্রেট নয়, ভবনটিকে লম্বা একটি সালাম জানিয়ে সিদা বড় মসজিদের সামনে দিয়ে মাইজদী শহর টাকে গুরে ফিরে দেখবো।
পরিশেষে ক্লান্ত হয়ে মাইজদী শহরের অরুচিকর নাম করা কোন হোটেলে বসে গর্ধবদের সাথে বসে লাঞ্চটা সারবোেআর গান্ধা নালি নর্দমার গন্ধগুলি নাকে লাগাবো আতরের মত।
------চলবে,