Friday, March 12, 2021

একটি গাধার সন্ধানে আমি---


প্রিয় মাইজদী বাসি; আমি একজন প্রবাসি। খুবি শিঘ্রই দেশে ফিরে আসছি।আমার একটি গাধার জরুরি প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।আমি উপযুক্ত দাম দিয়ে একটি স্বদেশি গাধা কিনতে চাই।অবশ্য গাধি হলেও চরবে।
বাঙ্গালীর কাছে গাধা আর গাধির কাছে পার্থক্য কি? স্টেনগান আর মেশিনগানকেও তো তারা দোনালা বন্ধুক মনে করে।পিস্তল আর রিভেলবারের পার্থক্য তো দুরকি বাত।
যে ভাই জন্তুটির সন্ধান দিতে পারবেন; অবশ্যই তাকে পুরুষ্কিত করা হবে।
গাধাটি অবশ্যই আমি কিনবো।যতই দাম চুকাতে হয় আমি চুকাবো। প্রয়োজনবোধে জীবনটাকে বাজি  ধরবো গর্ধব বাসীদের সাথে; তবুও আমি গাধাটি কিনবো।

আমি সে গাধাটিকে সাবান সেম্পু দিয়ে গা গোসল ধোওয়ায়ে; আতর পারফিউম মেখে; ভালো করে সাজায়ে গুছায়ে দু কান টেনে ধরে পিটে বসে পুরো মাইজদী শহরটা প্রদক্ষিন করতে চাই।সাগর কন্যা মাইজদীর অলিতে গলিতে গুরেফিরে দেখতে দেখবো।
প্রথমে মাইজদী পৌর ভবনের সামনে যাবো, বড় বিনয় ও শ্রদ্ধার সাথে মেয়র সাহেবকে লম্বা একটা সালাম জানাবো।তারপর আমি যাবো সুধারাম মডেল থানার সামনে। শ্রদ্ধেয় ওসি এসআই টিএসই সাহেবকে সহ সকল স্টাপকে সেই একি রকমের গর্ধবি সালাম জানিয়ে সিদা নির্বাচন অফিসের পাশে দিয়ে বড় দিঘীর পাড়ে পাড়ে গুরবো কিছুক্ষন। তারপর একটা দির্ঘ নিঃস্বাস চেড়ে আমরা দুজন রেজেষ্ট্রি অফিসের দিকে যাব। সেখানে আমরা দলিল বিশারদদের ভিড় ভেঙে গিয়ে পেশাব পায়খানা সেরে মুনসেফ কোর্টের সামনে গিয়ে গর্ধবি সালাম জানিয়ে সিদা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে দাঁড়াবো।খুব বিনয়ের সাথে তাকেও সালাম গর্ধবি সালাম জানাবো।

তারপর বড় দিঘীর পুর্ব পাশে দিয়ে সিদা গিয়ে প্রেস অফিসের সামনে গিয়ে দাঁড়াবো।সেখানে সালাম নয় নাম ধরে ধরে কয়টা সংবাদিকের মা-বোনকে বিশ কোটিবার গালি দিবো, বাংলা ইংরেজি আরবি কিছই বাদ থাকবেনা।তারপরে যাবো বার লাইব্রেরি হয়ে সিদা জর্জকোর্টের সামনে গিয়ে দাঁড়াবো।সেখানে আমরা শ্রদ্ধায় মাথা নত করে উকিল মোক্তার বারিষ্টার আর জজ সাহেবকে লম্বা একটি গর্ধবি সালাম জানায়ে জজ কোর্টের ভিতর দিয়ে যেখান দিয়ে সাজাহান একরামের কামলাগুলো দল বেঁধে যাতায়াত করে ঠিক সেখান দিয়ে গিয়ে জুডিসিয়াল ম্যিাজিষ্ট্রেট আদালতের সামনে গিয়ে বেশ কিছুক্ষন দাঁড়ায়ে থাকবো, তারপর কোন জজ ম্যাজিষ্ট্রেট নয়, ভবনটিকে লম্বা একটি সালাম জানিয়ে সিদা বড় মসজিদের সামনে দিয়ে মাইজদী শহর টাকে গুরে ফিরে দেখবো।
পরিশেষে ক্লান্ত হয়ে মাইজদী শহরের অরুচিকর নাম করা কোন হোটেলে বসে গর্ধবদের সাথে বসে লাঞ্চটা সারবোেআর গান্ধা নালি নর্দমার গন্ধগুলি নাকে লাগাবো আতরের মত।


                ------চলবে,  

Tuesday, March 9, 2021

রাজনৈতিক দুনিয়ায় হত দরিদ্র কয়জন ভিখারী,


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ইতিহাসে বেশ কয়জন হত দরিদ্র ভিখারী।যারা বর্তমানে বাজারে জেলের ঢালার টেংরা মাছের মত একুল ওকুল হারিয়ে শুধু কেঁতুর কুঁতুর করছে।


অবশ্য জামাতি বামাতি অনেক নেতা দল বদল করে বিএনপিতে যোগ দিয়ে ভীষন লাভবান হয়েছে।বার বার এমপি নির্বাচিত হয়ে কেউ কেউ মন্ত্রি মিনিষ্টার ও হয়েছেন।গাড়ি বাড়ি কাড়ি কাড়ি টাকার মালিকও হয়েছেন।
হত দরিদ্র ভিখারী হয়েছেন, যারা আঃলীগ ছেড়ে অন্য দলে গেছেন।রাজনীতির আবর্জনার স্তুপে গান্ধা নর্দমার পাশে তাদের বসবাস।তবু তারা এখনও টকশোতে বসি দুর্গন্ধ চড়াচ্ছে।তাদের তালিকা খুবি দীর্ঘ।ডাকসুর ডাক সাইটে নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না, সুলতান মনসুর, হাবিবুর রহমান হাবিব, আ.স.ম রব, সংবিধান প্রনেতা ডঃ কামাল হোসেন, ডঃ আবু সায়িদ, টাইগার কাদের ছিদ্দিকী, মহসিন মন্টু, আয় হায় রে কত বড় মাপের মানুষ আজ বুঝি বাজারের গোল আলুর মত পঁচে গেল।

এক কুস্তিগীরকে প্রতিপক্ষ মাটিতে চিৎ করে পালায়ে  দশবার বুকের উপর উঠে বসলো, পরাজিত কুস্তিগীর দশবারই টাং উঁচু করে বললো আমার ঠাং উপরে আছে, সুতরাং আমি হারিনী। সেই রকম অবস্হা আর কি।

এই সব ভিখারীদের দল নেতা হলেন, জনাব ডঃ কামাল হোসেন।সন্মানী ব্যক্তি, বিশষ্ট আইনজ্ঞ ব্যক্তিও।আবার বিতর্কিতও কম নন।তিনি কয়দিন একেবারে চুপ থাকেন, আবার হঠাৎ করে একটা মণ্হব্য করে আলোচিত সমালো্চিত হন। তিনি জবাব টেবাব দেন না।








অজ্ঞসব জনপ্রতিনীধি,

সত্যই শক্তি, সত্যই সুন্দর,