Showing posts with label মা-বাবাকে কুব মনে পড়ে. Show all posts
Showing posts with label মা-বাবাকে কুব মনে পড়ে. Show all posts

Saturday, April 25, 2015

হিটলারের উত্থান পতন ও বাংলাদেশে জ্বীন ভূতের উৎপত্তি,

ছবিটা মোমের, ম্যাডাম তুঁসো যাদু  ঘরের ।

হিটলারের নাম শুনেনি এমন লোকের সংখ্যা পৃথিবীতে খুব কমই আছে।বিংশ শতাব্দির তিরিশের দশকের দিকে সারা বিশ্বে এডলফ হিটলার ছিল এক মহা আতঙ্কের নাম।
জন্ম সুত্রে জানা যায় হিটলারের বাবা এলিওস ছিলেন একজন জারত সন্তান।এলিওস ছিলেন একজন সরকারি চাকুরি জীবি।তার তিন স্ত্রির মধ্যে তৃতীয় স্ত্রির তৃতীয় সন্তান ছিলেন এডলফ হিটলার।তার জন্ম অসিট্রয়ার লিনসে নামে একটি ছোট্ট গ্রামে। হিটলার নামটি তার বাবা কোথায় থেকে পেয়েছেন তা আজো জানা যায়নি।বাল্যকালে হিটলার বাবার কাছ থেকে ছিলেন উপেক্ষিত,এবং বাবাকে সে প্রচুর ভয়ও করত । অল্প বয়সে বাবা মা দুজনকেই হারান।তার পর ফাইন আর্ট কলেজে ভর্তি হওয়ার চেস্টা করলেন,টিকলেন না।পরে গেলেন সেনা বাহিনীতে যোগ দিতে, কিন্তু দুর্বল স্বাস্হের কারনে সেখানেও টিকলেন না।

কি করে এক অসহায় এতিম শিশু থেকে জার্মান বাসীর অধিশ্বর হয়ে উঠলেন হিটলার? তা এক বিশ্ময়!যে শিশু নাকি কিশোর বয়সে ভিয়েনার ফুটপাতে নিজের আঁকা ছবি বিক্রি করে কোন ভাবে খেয়ে না খেয়ে জীবন যাপন করেছিল।কি করে যে কিশোরের বরফাচ্ছন্ন রাতে একটুখানি মাথা গুছাবার জন্য আশ্রয়স্হল ছিলনা।রাতের পর রাত সোসাল হাইমে আর স্টেশনের প্লাটপরমে উদভাস্তুর মত জীবন অতিবাহিত করেছিল। যে কিশোরের গায়ে ছিলনা গরম কাপড়, পাঁয়ে ছিলনা শিতের জুতা।যে কিশোর স্টেশনের প্লাটপরমে শুয়ে শুয়ে নিজকে মনে করত এ বিশাল জনসমূদ্রে এক খন্ড ভাসমান তৃন লতাসম।সে কিশোর কি করে  অস্ট্রিয়াতে জন্ম নেওয়া সত্বেও জার্মানের মত এত বড় একটা দেশের চ্যাঞ্চেলার হয়ে বিশ্ব জয়ের নেশায় উন্মাদ উনমত্ত্ব হয়ে উঠেছিল?যার নেতৃত্বে কেয়ামতের মত দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল এবং যার নিজস্ব নাৎসী বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়ে সত্তর মিলিয়ন এর মত লোককে হত্যা করা হয়েছিল।তার মধ্যে আশি লক্ষ ছিল নিরস্র নিরীহ ইহুদি। আর ধ্বংশস্তুপে পরিনত করেছিল জার্মান সহ পৃথিবীর অনেক দেশের মেট্রপলিটন সিটিগুলো।

সে বর্বর হিটলারে উত্থান হয়  এক অলৌকিক দানবীয় বলে।নতুবা গ্রোসা ফুরার  (মানে বড় নেতা)জার্মানের মত একটা সুসঙ্গঠিত রক্ষনশীল দেশে চ্যঞ্চেলার হওয়ার মত কোন রকম যোগ্যতা ছিলনা তার ।তার এই অসম্ভবকে সম্ভব করে দিয়েছিল সে সময়ের প্রজাতন্ত্রি শাসিত জার্মানের দুর্নিতীবাজ আমলা নেতা কবি সাহিত্যিক সংবাদিক চাপাবাজ চাটুকার বুদ্ধিজিবী এলিট সামাজ।আজকের  আধুনিক ওয়েস্ট মিনিস্ট্রির মতই সে সময় ছিল জার্মানের শাসন ব্যবস্হা।আজকে বাংলাদেশেও ঠিক হিটলারের সময়কার মত রাজনিতীতে  ভূত পেত্নি আর জ্বীনের বাদশার আবির্ভাব ঘটতে যাচ্ছে।

মুলতঃ হিটলারের উত্থান ঘটে জার্মানের শেষ  প্রয়েশেন সম্রাট কাইজার ভিলহেল্ম দ্বিতীয় এর শেষ সময়ে।১৮৭০ দশকে কাইজার ভিলহেল্ম প্রথম এর সময় চ্যঞ্চেলার অটো ফন বিসমার্ক এর রাজনৈতিক প্রজ্ঞার কারনে জার্মানে ঘটে যায় শিল্প বিপ্লব।মিল ইন্ডাস্ট্রি,অটো কার জাহাজ যুদ্ধ জাহাজ বিমান অস্র গোলাবারুদ
নির্মানে  সর্বোতভাবে জার্মান হয়ে উঠে সয়ংসম্পূর্ন ও সম্বৃদ্ধ একটা শক্তিশালি   স্বাভলম্বি রাষ্ট্র।সে সুজগে কাইজারের মাথায় ভূতের মত চেপে বসে আদিপত্ববাদ আর সামরাজ্যবাদ এর ভোজা।যদিও জার্মানির কাইজাররা সব সময় ইংল্যান্ড ইসপেন ও পর্তুগালের রাজাদের চেয়ে কম রাজ্যই ধখল করতে সক্ষম হয়েছিল।তাদের ধখলে ছিল সে সময় নামিভিয়া, পাপুয়া নিউঘিনি, আর টগোর মত ছোট একটা দেশ।মাত্র তিনটা দেশ হলেও  শুধু নামিভিয়াতেই পষ্ণাস হাজার হারেরে উপজাতিকে হত্যার অভিযোগ ছিল কাইজারের উপর।
কাইজার ভিলহেল্ম দ্বিতীয়  বিংশ সতাব্দির দ্বিতীয় দশকে জাগরিবে অস্ট্রিয়ার রাজা এক আততায়ির গুলেতে নিহত হলে  প্রথম বিশ্ব যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে।সে সময় বেকার হিটলার কাইজার আর্মিতে স্বেচ্ছাসেবি হিসেবে নাম লিখিয়ে স্বসস্র যুদ্ধে অংশ গ্রহন করে।জান প্রান উজার করে যুদ্ধ করেছেন জার্মানির জন্য।যুদ্ধের ময়দানে হিটলার স্বচোক্ষে দেখেছে যুদ্ধের লোমহর্ষক ভয়াবহ দৃষ্য আর নিজের সহপার্টির বিভতশ লাশ।লাশের সাথে তাকে থাকতে হয়েছে রাতের পর রাত দিনের পর দিন নোংরা ব্যংকারের ভিতর।হিটলার নিজেও আহত হয়ে বেশ কিছুদিন হাসপাতালেও ছিলেন।

জার্মান অস্ট্রিয়ার অন্যান্য রাজা যেমন রাজা হেরছগ, লুদভিক ফেড্রিক, সবাই ছিল কাইজার ভিলহেল্মের বংশধর।চার পাঁচ বছর যুদ্ধে বিপুল পরিমান ক্ষয় ক্ষতি প্রাণ হানি ও ধবংশের পর কাইজারের  মসনদ নড়েবড়ে হয়ে উঠে।কাইজার হয়ে উঠে দিশেহারা। যুদ্ধাশেষে হিটলার কাইজারের নিয়মিত সেনা বাহিনীতে চাকুরি পাওয়ার সুজোগ পায়।তখন থেকেই হিটলারের ক্যরিয়ার শুরু হয়ে যায়।
যুদ্ধ শেষে পরাজিত কাইজারকে ভার্সাই চুক্তিতে ২২৬বিলিয়ন মার্ক জরিমানা দিতে জবরদস্তি বাদ্য করা হয়।এই চুক্তি জার্মানির সাধারন নাগরিক কোন ভাবেই মেনে নিতে পারেনি।সারা দেশে নেমে এল অসান্তি অসন্তেস।নতুন পুরানো ছোট বড় রাজনৈতিক দলগুলির মাঝে সৃস্টি হলো বিবাধ বিশৃঙ্খলা।কোন ভাবেই কাইজার নিয়ন্ত্রন করতে পারছেনা তার দেশ বা রাজ্যকে।জনগনের মুখে মুখে উচ্ছারিত হতে লাগলো কাইজার গেলেই বাঁচি।কাইজার গেলেই দেশে শান্তি।দিশেহারা কাইজারকে পরে বলতে শুনা যায় দলমল বুঝিনা, বুঝি শুধু সংযুক্ত জার্মান বা জার্মানীর ঐক্য।। ১৯১৮ সালের শেষের দিকে কাইজারকে অপসারন করে  সর্বদলিয়   নেতা সোসাল ডেমোক্রেটিক লিগের ফেডরিক এবার্টকে চ্যঞ্চেলার বানিয়ে ভাইমা রিপাব্লিক গঠন করার পরও  শেষ রক্ষা হয়নি কাইজারের।গনভোটে তাকে হারাতে হয়েছে ক্ষমতা রাজবংশের ঐতিহ্য এবং উত্তরাধিকার আর কাইজারিত্ব।
কাইজারের এমন অবস্হা, এবং রাজনৈতিক দলগুলির বিবাধ বিশৃঙ্খলা মারা মারি হানাহানি অনৈক্য দেখে হিটলার সুজোগে সৎব্যবহার করার লক্ষ্যে একটা ক্যূ করে বসে।অবশ্য সে ক্যূতে হিটলার সফল হলো না,বরঞ্চ কিছুদিনের জন্য তাকে জেলে যেতে হয়। জেলে বসে হিটলার মাইনে ক্যাম্প নামে তার রাজনিতক বই লিখে নস্ট মাথার বুদ্ধিজিবী আর নস্ট চাটুকার নীতিহারা নেতাদের মাথা দেয় নস্ট করে।জেল থেকে চাড়া পেয়ে হিটলার ওয়ার্কাস পার্টি নামে একটি দলে যোগ দেয়, পরে মোহময়ি বক্তিতার কারনে এই দলের অধিপতি বনে যায়, এবং এদলকে নেসানাল সোসালিস্ট পার্টি হিসেবে গঠন করে, পরে আবার গঠন করে নাৎসী বাহিনী বা তার নতুন রাজতিক দল।

১৯১৭ সালে যখন যার সম্রাট নিকোলাইয়ের মসনদ তসনস করে দিয়ে মহাবীর লেনিন ভলসেবিক বিপ্লব গঠিয়ে পৃথিবীর বুকে সর্বপ্রথম কৃষক শ্রমিক মেহনতি মানুষের জন্য সমাজতন্ত্রিক রাস্ট ব্যবস্হা কায়েম করলেন।তখন সমগ্র বিশ্বের বুর্জ্যুয়া পুঁজিবাদি সামরাজ্যবাদি, সামন্তবাদি গনতন্ত্রের লেভাস ধারিদের গালে চপেটগাত পড়ে।দেশে দেশে গড়ে উঠে ভলসেবিক বা লেনিন বাদ।
যদিও সমাজতন্ত্রের জন্মভূমি এই জার্মান, কিন্তু তখন পর্যন্ত এই জার্মানে কমিনিস্ট পার্টি নামে কোন রাজনৈতিক দলই গড়ে উঠেনি।বিপ্লব তো দুরের কথা।কিন্তু সে সময় হিটলার তার এক বন্ধু দিয়েট্রিক এবার্ট কে দিয়ে ভলসেবিক বাদ মুসা থেকে লেনিন নামে বুক লেট লিখায়ে  কাজাখি লেনিন কে ইহুদী সন্বোধন করে প্রপাগান্ডা করতে থাকে।কারন সমাজতন্ত্রের জনক আধুনিক দার্শণিক কার্লমাক্স ছিলেন ইহুদী বংশোদ্ভুদ।ভলসেবিক বাদ আর মাক্সবাদকে হিটলার আর তার বুদ্ধিজিবী বন্ধুরা ভুতের মতবাদ হিসেবে জারি করতে শুরু করে দিয়েছিল।তখন লেনিন বাদের জয় জয়কারের হাওয়া বহিতেছিল ইউরোপ তথা জার্মানের ঘরে ঘরে।

 বাংলাদেশে যেমন মাহমুদুর রহমান প্রজন্ম চত্তর এবং ব্লগারদেরকে নাস্তিক আখ্যায়িত করে হেফাজতিদেরকে ক্ষ্যাপায়ে দিয়ে রাজনৈতিক মঞ্চটাকে গোলাটে করে দিয়েছে, অনেকটা ঠিক তেমনি।
এমন কি জার্মানের সব চেয়ে ঐতিহ্যবাহি এবং বড় দল এস পি ডি র কিছু নেতারা পর্যন্ত হিটলারের অনুসারিদের সাথে সুর মিলায়ে এটাকে ভূতের মতবাদ বলে জাহের করতে থাকে।পরে দেখা গেল সর্বোতভাবে সর্বদলিয় ভাইমা রিপাব্লিক গঠন করেও রিপাব্লিকে আরো বেশি অসান্তি নেমে এল।ঘরে বাহিরে দলগুলির মধ্যে অন্তঃকলহ দন্ধ লেগে গেল।কে কেমনে পারবে নতুন দল গঠন করবে কে কেমনে পারবে জোট মহাজোট গঠন করবে,--- 
একে বারে আজকের বাংলাদেশের অবস্হা আর কি, রোজার মাস আসলে একটু ভাল জমে।আজ অমুকের ঘরে কাল তমুকের ঘরে ইফতারের দাওয়াত এর নামে জোট গঠন করা দুর্নিতীর টাকার ভাগাভাগি,একটু শরম ভরম ও নেই হারাম জাদাদের।নিলর্জ্জের মত পাঞ্জাবি টুপির অপমান করতে।

এই অন্তঃকলহে জাতিয়তাবাদি সবচেয়ে বড় দল এস পি ডি থেকে একটা ছোট অংশ বাহির হয়ে গঠন করলো ইউ ডি পি।পরে এই  ইউ ডি পি, রোজা লুক্সেম বার্গ এবং কার্ল  লিভনেখট এর স্পাটাকার্স  দলের সাথে মিলে প্রথম গনতন্ত্রি ভাইমা রিপাব্লিক  সমাজতন্ত্রের জনক কার্ল মাক্সের জন্মভূমিতে কমিনিস্ট পার্টি নামে একটা  সোসালিস্ট দল গঠন করতে সক্ষম হয়।

আর এস পি ডির অপর সংখ্যাগরিস্ট  অংশটি কাইজার বাদি রক্ষনশীল দলগুলির সাথে গিয়ে জোট বাঁধল।অন্যদিকে সংগঠিত হতে লাগল যুদ্ধফেরত জেনারেলরা।হিটলার তো ইতি মধ্যে নস্ট মাতার এলিট শ্রেনির বুদ্ধিজিবীদের নিয়ে সুসংগঠিত।ভলসেবিক বাদ তথা ইহুদীবাদের ভূত,গেছ ভূত মেছভূত একেবারে যত প্রকারের ভূত আছে,সব ভূত দল আর নেতাদের উপর চাপিয়ে দিয়ে যুদ্ধ ফেরত উগ্রবাদি সৈনিকদের দিয়ে  বার্লিনের রাস্তায় প্রকাশ্যে রোজা লক্সেমবার্গ এবং কার্ল লিভনেখটকে  হত্যা করে, কমিনিস্ট পার্টিকে অঙ্কুরেই ধবংশ করে দিল।
এই পরাজিত অস্রধারি যুদ্ধফেরত ফ্রেইক পর্স  সৈনিক গুলিকে সবাই কোন না কোন ভাবে ব্যবহার করেছিল।
ঠিক বাংলাদেশে যেমন এত ত্যগ তিতিক্ষা আর নয়মাস স্বশস্ত্র যুদ্ধকরে তিরিশ লক্ষ সহিদ আর দু লক্ষ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অনাঙ্খাক্ষিত স্বাধিনতা অর্জনের পরই জাসদ সহ কিছু দল উপদল সৃস্টি হয়ে যুদ্ধ ফেরত সৈনিকদেরকে দিয়ে পনরই আগস্ট এ বাংলার প্রমিথিউস বঙ্গ বন্ধুকে স্ব পরিবারে নির্মম ভাবে হত্যা করে দিয়ে শান্ত বাংলাকে রাজনৈতিক কলহে জর্জরিত করে  অশান্ত করে তুললো।তারাই আজ বিষের মত করে তুলেছে  বাংলাদেশের রাজনীতিকে।আজ রাজনীতি এবং নেতা সাধারন মানুষের কাছে এক আতঙ্ক ও ঘৃনার বস্তুতে পরিনত হয়েছে।

জার্মানে ও তখন জাতিয়তা বাদী এস পি ডি এবং রক্ষন শীল কিছু দলের নেতা ও নস্ট মাথার বুদ্ধিজিবীদের ভুল দিক নির্দেশনা এবং নেতার ভূল রাজনীতির কারনেই মাত্র পাঁ ছয় বছরের মাথায় আধুনিক গনতন্ত্র এর আদলে গড়া সেই ভাইমা রিপাব্লিক ভেঙে খান খান হয়ে যায়।

১৯২৫ সালে ভাইমা রিপাব্লিকের চ্যঞ্চেলার ফ্রেডরিখ এভার্টের মিত্যুর পর রিপাব্লিকে  আবার রাজনৈতিক সংকট আরো তীব্র ভাবে দেখা দেয়।সবাই হন্যে হয়ে খুঁজছিল একজন যোগ্যতম রাস্টপতি।নাৎসীরা কিছু রক্ষনশীল ছোট দল নিয়ে দাঁড় করে দিয়েছিল মার্শাল হিনডেন বুর্গ কে।এস পি ডি ও লিভারেলরা  মিলে প্রার্থি দিল ভিলহেল্ম মাক্স কে, আর কমিনিস্টরা  প্রার্থি দিল এর্নস্ট থাইলম্যানকে।প্রথম ধাপে কেউই নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিস্ট পেয়ে সরকার গঠন করতে পারলনা। হলো দ্বিতীয় রাউন্ড।

অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি দ্বিতীয় রাউন্ডে হিটলারের নাৎসী সমর্থিত মার্শাল হিন্ডেন বুর্গ  ৪৮% ভোট পেয়ে বিজয়ি হলো। হিন্ডেনবুর্গ এর বিজয় মানেই হিটলারের বিজয়।কিছু দিন পরেই হিন্ডেন বুর্গকে হঠায়ে হিটলার নিজেই নিজকে  জার্মানের চ্যঞ্চেলার ঘোষনা করলো।ক্ষমতা ধখল করে হিটলার বসে থাকেনি। ভেঙে পড়া অর্থনিতিকে ঢেলে সাজালো।বেকার সমস্যা দুর করলো।   এমন কি ভার্সাই চুক্তি মুক্তি সব অস্বিকার করতে লাগলো।

অপরদিকে তার নিকটতম প্রতিধন্ধি  বড় দল এস পি ডি ও লিবারেলের প্রার্থি ভিলহেল্ম মাক্স ৪৫% ভোট পেয়ে পরাজয় বরন করল, আর কমিনিস্ট প্রার্থি থাইলম্যান পান ৬,৩% ভোট।শুধু ক্ষমতার লোভে ডানবাম নেতাদের ভুল নিতি ও ভুল সিদ্ধান্তের কারনেই নাৎসী ফুরার দানব হিটলারের উত্থান হলো।

যদি ডান বাম এক হয়ে  সে দিন ভিলহেল্ম মাক্সকে  সমর্থন করে যেতেন, তাহলে কেয়ামতের মত একটা বিশ্বযুদ্ধ হতোনা,হিটলারের মত একটা বর্বর স্যাটার বা দানবের ও উত্থান হতো না। আর হয়তো এর্নস্ট থাইলমানকে ও হিটলারের কনস্ট্রেশন লাগারে এমন নির্মম ভাবে মরতে হতো না।

ঠিক তেমন ভাবেই আজ বাংলাদেশের কনিনীস্ট পার্টির নেতারা ভুল করে যাচ্ছে, কেন করে যাচ্ছে?তার কচু আমার মাথায় মুন্ডে কিছু ধরছে না।অতচ একাত্তরে আওয়ামীলীগ তথা বঙ্গবন্ধুর বলিষ্ট আওয়াজে কমরেড মনি সিং, কমরেড ফরহাদের নেতৃত্বে কমিনিস্টরা ও ছাত্র ইউনিয়নের টগবগে তরুনরা   নিঃসর্ত এবং নিঃসার্থ ভাবে নয় মাসের রক্তাত্ত যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে অলিক স্বাধিনতাকে চিনিয়ে এনছে।অতচ আজ ভন্ড জুয়াড়ি মিথ্যাবাদি, যুদ্ধাপরাধির পক্ষে কথা বলা কিছু চাটুকার বুদ্ধিজিবীদের সাথে সুর মিলায়ে   কমিনিস্ট নেতাদের বকবকানি দেখলে মাথায় রক্ত উঠে যায়।কেন তারা বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনার হাতকে স্বাধিনতা রক্ষার জন্য এবং উন্নত বাংলাদেশ গড়ার জন্য শক্তিশালি করছেনা,বুঝতে পারছিনা।

এত বড় একটা প্রথম বিশ্ব যুদ্ধ এর উপর দাঁড়িয়ে গনতন্ত্র সমাজ তন্ত্র এবং পার্লামেন্ট রিপাব্লিক রক্ষা করা কোন সহজ ব্যপার ছিল না।যুদ্ধগ্রস্হ দেশে- দেশ গঠন অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন  বেকার সমস্যা দুরিকরণ, খাদ্য সমস্য সবি দুর করা ছিল কষ্টসাদ্য ব্যপার।

বাংলাদেশে ও স্বাধিনতার পর ধবংশস্তুপের উপর দিয়ে বঙ্গ বন্ধুকে হত্যা করে দিয়ে জেনারেল জিয়া আর সৈরচার এরশাদ শুরু করে দিয়েছে রাজনৈতিক বেহায়াপনা।জিয়াউর রহমানের উত্থানের পর তিনি উত্থান করে দিয়ে গেছেন পরাজিত শক্তি রাজাকার আলবদর আল সামসকে। যারা এই স্বাধিন বাংলা চায়নি, যারা এই আমাদের প্রিয় লাল সবুজের জিলিমিলি পতাকা চায়নি।যারা আমাদের মা বোনের ইজ্জত  পাক হায়েনাদের হাতে তুলে দিয়েছেন, যারা আমার তিরিশ লক্ষ ভাইকে নির্বিচারে হত্যা করেছেন,যারা আমাদের কুড়ে ঘরে আগুন দিয়েছেন, যারা হিটলারের পোড়ামাটি নিতী অনুসরন করে আমাদের জ্ঞ্যানি সুবুদ্ধিজিবীদের  হত্যা করে সোনার বাংলাকে সুশান নগরিতে পরিনত করেছিল।তাদের এ দেশে রাজনিতি করার কোন অধিকার নেই।
কে দিয়েছে তাদেরকে রাজতিক অধিকার? আমরা সবাই জানি জেনারেল জিয়াউর রহমান।
জেনারেল জিয়া শুধু রাজনৈতিক অধিকার দেননি, তিনি আমাদের প্রবিত্র পার্লামেন্টে ও ঠাঁই দিয়েছেন কুখ্যাত রাজাকারদেরকে।মন্ত্রি মিনিস্টার এমন কি প্রধান মন্ত্রি পর্যন্ত বানিয়েছেন।এখানেই জিয়ার রাজনৈতিক প্রজ্ঞার বিরাট অভাব এবং ভূল ছিল।
তার মর্মান্তিক পরিনতির পর তারি বিধবা পত্নি তারি গড়া জাতিয়তাবাদি একটা বড় দল (যদিও বন্দুকের নল আর রাজকোষের বিপুল অর্থের বিনিময়ে নস্টমাথার বাম আর মৌলবাদিদের নিয়ে গড়া)কি করে জামাতির মত একটা ভূতরে দলকে নিয়ে জোট গঠন করে? যে দলকে আপামার জনতা খেটে খাওয়া মানুষ সাদরে গ্রহন করে বুকের মনি কোটায় স্হান করে দিয়েছিল।কি করে সে দলের একজন জনপ্রিয় নেত্রি রাজাকারকে মন্ত্রি মিনিস্টার বানায়?ভাবতেই অবাক লাগে।
জিয়া যেমনি ভূল করেছেন, তেমনি খালেদা জিয়াও ভুল করে বসেছেন।এই ভূলের খেসারত বি এন পি এবং সাধারন পাব্লিককে দিতে হচ্ছে।আজ এই জামাতি ভূত যেমনি বি এন পির উপর চেপে বসেছে, তেমনি বসেছে জনগনের উপর।
কুৎসিত ভূতের মত এই জামাতিদের আবির্ভাব আজ আমাদের সোনার বাংলাদেশে।জঙ্গিবাজ তার আধুনিক রুপ।
এই জামাতি ভূত জোট সরকারে চারটা মন্ত্রির পদ পেয়ে বেসামাল হয়ে পড়ে।আরো বেশি ক্ষমতা চাই এই মর্মে।প্রথমে তারেক রহমানের উপর এই জামাতি ভূত সওয়ার হয়ে যায়। ঠিক যার সম্রাট নিকোলাইয়ের উপর যেমনি সওয়ার হয় রাজপুতিনের ভূত।প্রধান ভূতেরা কয়জন হাওয়া ভবনে গিয়ে তারেক রহমানকে তাদের একটা খসরা কনসেপ দেখায়ে বললো, দেখুন শাহাজাদা আপনাকে একেবারে ইরানের শাহরেজা পাহল্লিবির মত মহারাজা বানিয়ে দিবো।শাহ রেজার বাবাওেআপনার বাবার মত এক সময় একজন জেনারেল ছিল।
তারেক রহমান সভাব সূলভ ভাবে বললো, আরে বাবা কি কনসেপ নিয়ে এসেছেন সোজাসুজি বললেই তো পারেন।
আর না হয় সৌদ পরিবারের মত জিয়া পরিবারকেও বানিয়ে দিব বাদশা পরিবার।বাদশা কেন বাদশাহর বাদশাহ।ওহাবী বাদশাহ।
আরে ডাইরেক্ট বলুন।
জ্বি আমাদের প্রথম কনসেপ হলো দশট্রাক অস্র আনাতে হবে, আপনার এক পয়সাও দিতে হবে না।শুধু ভিতরে ডুকার অনুমতি দিলে হবে।
আরে হুজুর, কি কন? সেটা কি কোন ব্যপার হলো?গালের মাঝে ঢোল ফেলে মৃদু হেসে তারেক বললো্।
আর দ্বিতীয় কনসেপ হলো, একটু কানের কাছে গিয়ে ভূতের সর্দার বললো,তাইনারে শেষ করে দিতে পারলে আপনার মহারাজা হবার সব রাস্তা খোলসা হয়ে যাবে।
মানে?
শেখ হাছিনা।তাইনারে শেষ করতে পারলে আপনার রাস্তাও খোলাসা আমাদের রাস্তাও খোলাসা, বুঝলেন?

তারেক রহমান ভিজ্ঞ লোকের মত একটু ভেবেচিন্তে মুসকি হেসে দিয়ে বললো, হ বুঝছি, আর বুঝাতে হবেনা, তার পর  ডাক দিলেন কইরে বাবর, দুলু ভুলু,  এদিকে একটু আয়।
পাশের রুমে দর্জার পাঁকে উঁকি দিয়ে থাকা বাবর,রা তাড়াহুড়া করে ছুটে এসে বললো, জ্বি হুজুর ।
শুনো হুজুরদের দুটা কনসেপ্ট আছে, যে ভাবে যেমন করে হউক কনসেপ্ট দুটা বাস্তবায়ন করে দিবে।
জ্বি স্যার।আপনি কোন চিন্তা করতে হবেনা, ধরে নেন বাস্তবায়ন হয়ে গেছে।
বস এই প্রথম বারের মত জামাতি ভুতেরা সয়তানি বুদ্ধি চেলে একাত্তরে পরাজয়ের পর একটু বিজয়ের হাসি হাসল।তারা অনেকটা সফল হয়ে গিয়েছিল।দশ ট্রাক অস্রও আনা হলো, ২১শে আগস্টের মত একটা বিশাল জনতার
মহা সমাবেশে বোমা হামলা ঘঠায়ে  কতো গুলো নিরীহ মানুষকে জানেও মারল,আবার অনেকেরে চিরতরে পঙ্গুও করে দিল।কিন্তু তাদের তার্গেট সঠিক মত হলো না। কথায় বলে যে রাখে আল্লা মারে কে। অদেখা স্রস্ট্রার অলৌকিক কুদরতে বঙ্গ বন্ধুর সূযৌগ্য কন্যা জননেত্রি শেখ হাছিনা মারাত্বক ভাবে আহত হলে ও প্রাণে বেঁচে যান।আর বেঁচে গিয়েই সিদ্ধান্ত নেন এই জামাতি ভূতদেরকে বতলে ভরার।কিন্তু ততদিনে এই ভুতদের আন্ডা বাচ্ছার সংখ্যা এতই বেড়ে গেছে যে একটাকে বতলে ভরতে আরেকটা বাহির হয়ে যায়।
তার উপর আবার আবির্ভাব হয়েছে হেফাজতি পেত্নিদের।এই হেফাজতি পেত্নিরা পঁচা মাছের উপর যেমনি ভন ভন করে মাছি বসে ঠিক তেমনি পেত্নিরা চেপে বসলো একে একে সৈরচার এরশাদ কাদের সিদ্দকী বদরোদজা থেকে ছোট বড় নতুন প্রজন্মের নেতা মাহিবী প্রার্থ এর মাথায় পর্যন্ত।
আবার এই পেত্নির কাঁধে চড়ে আবির্ভাব হলো কিছু নস্ট  জ্বীনের।এই নস্ট জ্বীনরা চেপে বসল কিছু নস্ট মাথার বুদ্ধিজিবীর মাথায়।তারা বুদ্ধি দিয়ে আর জিবীকা নির্বাহ করতে পারেনা, তাই নস্ট জ্বীনের বাদশা সেজে আলাদীনের চেরাগ পেতে চায়।
এই সব জ্বীন আর ভূত পেত্নির নাম আমরা অনেক শুনেছি।আমি সবিনয়ে বলছি হে নস্ট ভূত পেত্নি আর জ্বীনের বাদশারা তোমাদেরকে বতলে ভরার আগে অন্তত পক্ষে বাংলা দেশ চেড়ে অন্য কোথাও চলে যাও,নতুবা তোমাদের শেষ পরিনতি হবে হিটলারের চেয়ে ভয়াবহ ও করুন।

হিটলারের উত্থান অতি সহজে হলেও পরিনতি হয় অত্যান্ত কঠিনও করুন ভাবে ।আত্ম হত্যার পূর্বক্ষন পর্যন্ত খুব কস্টে কাটে। বার্লিনে তার আত্ম রক্ষার জন্য নবনির্মত দুমিটার মাটির নীচে সাড়ে তিন মিটার  পুরো কনক্রিটের ছাদ  দুমিটার পুরো দেয়াল বিশিস্ট ব্যংকারের ভিতর।
না ভাইমা রিপাব্লিক টিকল না গনতন্ত্র না সমাজ তন্ত্র টিকল, বাংলাদেশের হায হায় কম্পানির মত জাতিয়তা বাদি নেতারা হারিয়ে গেল।নাই মামার পরিবর্তে কানা মামা নাৎসীরা এল ক্ষমতায়।ফুটফাতের হিটলার হয়ে গেল সর্ব ক্ষমতার অধিকারি।ধর মার  ইহুদী শুয়রদের মার, জ্বালাও পোড়াও নাৎসীদের গন সংগীতে পরিনত হলো।এবার হিটলারের মাথায় আরো বড় ভূত চেপে বসল, হয় বিশ্ব জয় নতুবা জার্মানের ধ্বংশ।
ধ্বংশের কথা তো পরে, আগে বিশ্ব জয় এর প্রস্তুতি শুরু করে  দিল  এডলপ হিটলার। সমগ্র বিশ্ব হবে একটা।নাম হবে গামানিয়া।আর গামানিয়ার রাজধানি হবে বার্লিন।চাই বিশ্বনেতাদের জন্য একটা আধুনিক মানের পার্লামেন্ট ভবন,নির্মান করা হলো ,চাই বিশ্ব মানের হাইওয়ে এয়ার পোর্টের মত করে নির্মান করা হলো অসংক্ষ হাইওয়ে।চাই উন্নতমানের মিল ইন্ড্রাস্ট্রি, নির্মান করা হলো, চাই যুদ্ধ করার মত গোলাবারুদ যুদ্ধ জাহাজ, বিমান,ট্রান্ক কামান, আন্ডার বোট,রকেট,পর্যাপ্ত পরিমান টাকা পয়সা, প্রয়োজন বোধে নকল টাকার মেশিন।সৈনিকদের ভরন পোসন খাবার দাবার।সত্রুদের জন্য কনট্রেনসেন ক্যাম্প।তার পরে চাই বিশ্বস্হ বন্ধু, যারা তাকে বিপদের দিনে দিক নির্দেসনা বা অন্তত পক্ষে পাশে থাকবে।
খুব অল্প সময়ের মধ্যে হিটলার সব কিছু প্রস্তুত করতে সক্ষম ও হলো।দেশেও বেকার সমস্যা দুর হয়ে গেল।ইউ বোট নির্মান করা হলো, রকেট নির্মানের কারিগর বিজ্ঞানি ভেরনা ব্রাউনকে পেয়ে গেল,যে ব্রাউনকে রকেটের জনক বলা হয়।যাকে পরে যুদ্ধশেষে জামাই বাবুর মত আমেরিকায় নিয়ে নাসার রকেট বানাবার কাজে লাগিয়ে দেয়।বিমান বাহিনী প্রধান হারমান গোয়রিং এর মত একজন বিশ্বস্হ বন্ধুও পেয়ে গেল।তাকেই হিটলার তার যোগ্যতম উত্তরসুরি মনে করতেন। এমনকি ১৯৪১ সালে এক ফরমান জারি করে তার ওসিয়ত নামায় করেও রাখলেন।পরে অবশ্য গোরিংকে না করে গোয়েবলসকেই করা হয়।আরো দুজন বিস্বস্হ বন্ধু পেয়ে গেল হাইনরিখ হিমলার আর যোসেপ গোবেলসকে।যে গোবেলস হিটলারের প্রপাগান্ডা মিনিস্টার ছিলেন, এমন কি শেষ সময়ে অল্প কিছু সময়ের জন্য কাগজে কলমে হিটলারের স্হলাভিশিক্ত হন। আর হাইনরিখ হিমলার  স্বরাস্ট মন্ত্রির পদে ছিলেন।
এডলপ হিটলার যুদ্ধের জন্য সম্পূর্ন প্রস্তুতি এমন ভাবে গ্রহন করলো যে পরবর্তি জেনারেশন নারি থেকে শিশু, যাদের বয়স দশের নীচে, তাদেরকেও সামরিক শিক্ষায় প্রসিক্ষন দিয়ে প্রস্তুত করে রাখলো।চারটা মৃত্যু শিবির বানায়ে রাখা হলো।আমি তার জাকসেন হাউজের মৃত্যু শিবিরটা গুরে দেখেছি।মৃত্যু শিবিরটা ছিল এ রকম।বিশাল এলাকা নিয়ে  হলের মত পাঁচটা ঘর,একটা ঘরে ছোট ছোট কামড়ায় বিরুধী দল মতের নেতাদের ধরে নিয়ে এসে বন্দি করে রাখা হতো,সেখানে তাদেরকে ঠিকমত খানা পিনা না দিয়ে উপাসে কাপাসে মারা হতো।আরেকটা বড় ঘরে তার প্রপা গান্ডার মেশিন যেমন নকল টাকার  ও প্রিন্ট মেসিন ইত্যাদি রাখা হতো। আরেকটা ঘর ছিল ফাঁসির কাজের জন্য। সেখানে একটানে চার থেকে পাঁজনকে ফাঁসি দেওয়া হতো।আরেকটা ঘরে ডাক্তারের প্রাক্সিস, সেখানে বিষাক্ত ইনজেকশান পুশিং আর বিষাক্ত কেপসুল খাওয়ায়ে মারা হতো।আরেকটা ঘর ছিল নাৎসী নেতাদের অফিস।আরেকটা বিশাল ঘর, দেখতে মিল পেক্টরির মত।সেই ঘরে যেখানেই ইহুদী নারী পুরুষ শিশু পেত ধরে ট্রেনে করে এনে পরনের কাপর চোপর সাথে সোনারুপা যাহা পেত খুলে নিয়ে রেখে দিত যুদ্ধের খরচ মিঠাবার জন্য। শুধু দাঁতের সোনা রুপাই নাকি টনে টনে হয়েছে। এসবের আমি ফটো দেখেছি।সে মৃর্ত্যু শিবিরটা এখন মিউজিয়ামের মত করে রাখা হয়েছে।আর সবাইকে সরু করিডোর দিয়ে নিয়ে জলন্ত আগুনের ওফেনে নিক্ষেপ করা হয়েছে।জ্বলে পুড়ে সবার ছাঁই অপরদিকে দিয়ে বাহির হয়েছে।আর সে ছাঁই ট্রাকে ভরে নিয়ে কৃষকের কাছে বিক্রি করা হয়েছে ভাইও সার হিসেবে।
চুড়ান্ত প্রস্ততির পর হিটলারের প্রপাগান্ডা মিনিস্টার গোবলস ডিকলার দিল আমারা চাই টোটাল যুদ্ধ।তার পরেই এক থাবায় পোলেনকে নিয়ে নিল, তারপর অস্ট্রিয়া ও চ্যকোস্লাভিকিয়া,তার পর  একে একে ইউরোপের প্রায় চাব্বিশটা দেশ ধখল করতে সক্ষম হয়।তন্মেধ্যে প্রান্সের মত এত বড় দেশের জেনারেলরা তো আগেবাগে হাত তুলে দাঁড়ায়ে গেল।শুধু ইংল্যান্ডকে জয় করতে হিটলারের হিমশিম খেতে হলো।একমাত্র কারন ইংল্যান্ড সাগরের ওপাড়ে তাই।সে কারনে ইংল্যান্ডকে আপাতত বাদ দিয়ে হিটলারের নাৎসী বাহিনী হামলা করে বসল সোভিয়েট ইউনিয়ন রাশিয়াকে।প্রায় ২২মিলিয়ন লোককে নির্বিচারে হত্যা করলো।ডকোমেন্টারিতে দেখেছি কতো জায়গায় লাশ দিয়ে ছোট ছোট খাল বিল কেনেল এর উপর বাঁধ দিয়ে নাৎসীরা ট্রান্ক চালিয়ে গেছে।যদিও প্রথমে রাশিয়ার নেতা স্টার্লিনের সাথে যুদ্ধ না করার চুক্তি করে রেখেছিল হিটলার।
অপর দিকে হিটলারের প্রধান প্রতিদন্ধি উইনস্টন সার্সিল আমেরিকার প্রেসিডেন্ট রোজভেল্ট ও স্টার্লিন সহ পঁছিশটা দেশ নিয়ে হিটলারের বিরুদ্ধে চুরান্ত যুদ্ধের ঘোষনা দিয়ে প্রতিরোধের যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়লো। রাশিয়ার রেড আর্মি প্রতিহত করে করে সামনের দিকে আগাতে থাকল।আমেরিকা ইংল্যান্ড প্রান্স হয়ে প্রতিহত করতে লাগল।মিত্র বাহিনীর আঘাতে নাৎসী বাহিনী এখন প্রায় দূর্বল নেড়ি কুত্তার মত হয়ে পড়েছে।











১৯৪৫ সালের ২০ই এপ্রিল ছিল হিটলারের ৫৬তম জন্ম দিবস।বড় ঘটা করে হিটলারের জন্ম দিবস পালন করা হলো ব্যংকারের ভিতর।ঐ রাতে হিঠলারের বিশ্বস্হ বড় বড় সব নাৎসী নেতারা এল তাকে জন্মদিনের সূভেচ্ছা জানাতে।পরে গভির রাতে চাটুকার নেতারা প্রানের ভয়ে তাদের প্রাণপ্রিয় নেতাকে পাতাল পুরির ব্যংকারে রেখে চলে গেল।হিটলার আঁছ করতে পেরেছে তার যে সময় ঘনিয়ে এসেছে।
এদিকে মিত্র বাহিনী একের পর এক বড় শহর ধ্বংশ ও ধখল করে বার্লিনের দ্বার প্রান্তে এসে পোঁছে গেছে।হিটলার আর গোয়বলস অবরুদ্ধ ব্যংকারে।কোন দিক নির্দেসনা দিতে পারছেনা।সে কারনে হারমান গোরিং তারবার্তায়  তার কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে কিনা হ্যাঁ এবং না দুটা শব্দের উত্তর চেয়ে বসল।সে কোন উত্তরই দিতে পারল না।তার পরেই খবর এল হিটলারের আরেক জন আস্তাভাজন বন্ধু হাইনরিখ হিমলার সুইডেস দুতাবাসে  আমেরিকার প্রতিনিধিদের সাথে স্বসন্মানে আর্তসমর্পন করার জন্য কথাবার্তা চালিয়ে যাচ্ছে।
সহ কর্মিদের  এমন কার্যকলাপ  দেখে  রাগে দুঃখে খোবে হিটলার পাগল উন্মাদের মত হয়ে গেল।ভেঙে গেল তার ধর্যের বাঁধ।সাথে সাথে  পদচ্যুত করে  এরেস্ট করার নির্দেশ দিল গোয়েরিংকে। উত্তরাধিকারি থেকে ও বাদ দেওয়া হলো। হিটলার তখন আর কাউকে বিশ্বাস করতে পারছিলনা।তার বান্ধবি ইভা ব্রাউন এর বোনের স্বামি  জেনারেল ফেগলিনকে বিশ্বাস ভঙ্গের অভিযোগে হত্যা করা হলো।ইভার অনেক অনুনয় বিনয় সত্বেও।প্রায় বারটি বছর যে হিটলারের সাথে বাস করছে,এখন যেন সে হিটলারকেই চিনতে পারছেনা।প্রেয়সির ভেঙে পড়া অবস্হা দেখে  এবং বিশ্বকে দেখানোর জন্য হিটলার ইভাকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিল।ব্যংকারে অবস্হান রত একজনকে পৌরহিত করে গোয়বলস তার সহকারিকে সাক্ষি করে বিয়ের অনুস্টানটা ও সেরে ফেললো।তার পর হিটলার তার মহিলা সেক্রেটারিকে দিয়ে তার শেষ ইচ্ছা ডিকটেট করতে বসল।সারা রাত ভর সেক্রেটারি গেট্রুট তার অসমাপ্ত যুদ্ধের দলিল লিপিব্ধ করলো।এই দলিলে বিশ্বাস ঘাতকতার দায়ে তার সহকর্মি গোয়বলস কে চাড়া সবাইকে পদচ্যুত করলো। গোয়বলসকে বানাল তার স্হলাভিশক্ত চ্যন্সেলার এবং সেনা বাহিনীর সুপ্রিম প্রধান।দলিলের শেষ প্রান্তে লিখল পরাজয়ের চেয়ে সদ্য বিবাহিত ইভাকে নিয়ে আত্ম হত্যাই তার জন্য শ্রেয়।পরদিন ২৯ই এপ্রিল সাকালেই  হিটলার খবর পেল ব্যংকারের অদুরেই লাল ফোজ অবস্হান করে আশেপাশে গোলাগুলি করছে।অবশ্য তখনও হিটলারের যুবনেতা  আরটুর কিশোর নাৎসী বাহিনী নিয়ে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।
কয়দিন আগে হিটলার এক কমান্ডারকে দিয়ে মির্ত্যু শিবির থেকে বিষাক্ত ক্যপসুল আনিয়ে রাখল।প্রথমে ইভা ব্রাউনের পোষা কুকুর ব্লন্ডিকে একটা ক্যপসুল খাওয়ায়ে টেস্ট করলো,  সাথে সাথে কুকুরটা মারা যায়।তখনও হিটলারের ব্যক্তিগত পাইলট বাওয়ার এসে শেষ বারের মত অনুরোধ করে বললো, আপনি ইভাকে নিয়ে আর্জেন্টিনা অথবা জাপান পালিয়ে যান।হিটলার জানিয়ে দিল তার পাদার ল্যান্ড জার্মান চেড়ে সে কোথাও যাবেনা।হিটলার জানে তার বন্ধু ও রাজনিতিক গুরু ইটালির ফ্যসিসট বনৈটো মুসোলিনির  নিহত হবার পরেও কপালে কি জুটেছিল।এরপর হিটলার তার দুজন ভৃত্য গুনসে ও হাইনছ কে  নির্দেশ এবং অনুরোধ করলো। তার মির্ত্যুর পর যেন তার ও ইভার লাশকে পুড়ে পেলে। সে চায় না তার লাশ নিয়ে ভলশোবিকরা মমি করে রাখুক বা নৃত্য করুক।


জেনারেল ভাইডেন কে নির্দেশ দিল সন্মুক যুদ্ধে না টিকতে পারলে বনে জঙ্গলে থেকে যুদ্ধ চালিয়ে যাও, তবু আত্মসমর্পন নয়।তারপর হিটলার একে একে ব্যংকারের সকল কর্মচারির কাছ থেকে বিদায় নিল।সেক্রিটারি গেট্রুটকে একটা রুপার শিায়াল , মহিলা নেত্রি গিজিলাকে দিল বাসর রাতের ইভার পোশাক জোড়া। সবাইকে কিছু না কিছু  উপহার দিয়ে হিটালার আর ইভা গিয়ে শোয়ার ঘরের সোপায় বসল।সারা ব্যংকার সুশান নিরব নিস্তব্দ।দেহ রক্ষি গুনসের পাশে গোয়বলেস এর স্ত্রি মাগদা নিরব দাঁড়িয়ে আছে।তখন দুপুর গড়িয়ে বিকেল,হঠাৎ কামড়ার ভিতর থেকে একটা মাত্র গুলির শব্দ ভেসে  এল।কর্মচারিরা গিয়ে দেখে সোপার উপর দুজনেরই নিথর দেহ পড়ে আছে।হিটলার আগে ইভাকে ক্যপসুল খাওয়ায়ে মির্ত্যু নিশ্চিত করে নিজেই নিজের পিস্তল মাথায় ঠেকায়ে গুলি করে আত্ম হত্যা করে।পরে গুনসে এবং হাইন লিঙে দু জনের লাশ ধরাধরি করে উপরে চ্যন্সেলারি বাগানে নিয়ে ড্রাইবার এরিক থেকে পেট্রোল নিয়ে তাড়াহুড়া করে পুড়ে পেলে।
পরদিন সকালে  পহেলা মে গোয়েবলস ও এডমিরাল ডোয়েনিভস হতাশ হয়ে রেডিওতে এ সংবাদ প্রচার করে পরাজয় শিকার করে নিল।তার পর গোবেলসও তার ছয়টা সন্তান সবাইর বয়স বার বছরের নিছে সবাইকে নিয়ে আত্ম হত্যা করে।পরে রাশিয়ান আর্মি এসে বংকারে প্রবেশ করে মনি মুক্তা সোনা দানা খুজতে লাগল।এলমেল পড়ে আছে এত গুলো তাজা লাশ সেদিকে সৈনিকদের কোন খেয়ালই নেই।পরে কে গে বি প্রধান সহ অফিসাররা এসে হিটলারের দন্ত সিকিৎসকের মাধ্যমে  হিটলারের লাশ সনাক্ত করে সর্বমোট এগারটা লাশ গোলা বারুদের খালি কক্সে ভরে মিলিটারি কনভয়ে উঠায়ে অজানার উদ্দেশ্যে লাশ গুলি নিয়ে গেল।আজ তক গোপন ই রয়ে গেল হিটলারের শেষ পরিনতির রহস্য।
                                                            ------মোহাম্মেদ ফারুক, জার্মানি ।














Monday, March 9, 2015

অপশক্তির হাত থেকে দেশকে বাঁচাও,

                                                                                                                                                         













অপশক্তি কারা, স্বাধিনতার চল্লিশ বছর পরে এসে আজ বাঙ্গালী জাতিকে  নতুন করে একবার ভাবতে হবে, এই অপশক্তি কারা।কে বাংলা মায়ের গৃহ সত্রু। তাদেরকে আগে চিহ্নিত করতে হবে, তারপর ভাবতে হবে কেন আজ স্বাধিন বাংলার মাটিতে  এত গৃহানল।কেন এত অস্বাভাবিক মৃর্ত্যু? কেন এত লাশের মিছিল।কেন পেট্রলবোমা মেরে জীবন্ত মানুষকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দগ্ধ করে মারা হচ্ছে।কেন কে ওরা ? কি চায় তারা?

এই সব অপশক্তিকে দেখি শুধু মানুষের মুখোশ পরা সাধারণ মানুষ হিসেবে।আসলে কিন্তু ওরা সবে সয়তান।ওরা গোঁড়া মুর্খ।ওরা  অসৎ উদ্দেশ্যে ধর্ম ব্যবহারকারি।ওরা শুধু গনতন্ত্র ব্যবহারকারি। ওরা ধর্মপ্রাণ সাধারন মানুষকে শুধু ধোকা দিয়ে যাচ্ছে। বাঙ্গালীর উত্থান এবং নব জাগরনের সময় ওরা আজ বাধার বেদি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ওদেরকে ভাল করে চিনতে হলে আমাদেরকে পরাধিন বাংলার  ইতিহাসের দিকে একটু চোখ ভুলাতে হবে।

মুলতঃ ১৭০৭ সালে সম্রাট সাজাহানের বিদ্রোহী এবং সুযোগ্য পুত্র সম্রাট আওরঙ্গজেবের মৃর্ত্যুর চল্লিশ বছরের মধ্যে যেমনি তৈমুর লঙ্গের বংশধর বাবরের গড়া বিশাল মোঘল সামরাজ্যে ধস ধরে অবশেষে ভেঙে ঝুর ঝুর হয়ে পড়ে।সেই সুজোগে ধনে জনে ভরা সমবৃদ্ধ বাংলা তথা পুরো ভারত উপমহাদেশে চারিদিক থেকে বহিঃসত্রুরা ডুকে পড়ে।যে সব বন দস্যু জলদস্যু,পর্বত দস্যু যারা এতদিন আওরঙ্গজেবের ভয়ে আত্মগোপন করে প্রাণ রক্ষা করেছিল।যাদের নজর পড়েছিল এতদিন বাংলার ধন সম্পদ আর দিল্লীর ময়ূর সিংহাসন, মাউন্টেন অফ লাইট কিংবা হিরা জহরত মণিমুক্তার প্রতি।সেই অপশক্তিকে ভিতরে প্রবেশ করার সুজোগ করে দেয় দেশিয় কিছু কুলাঙ্গাররা।


সম্রাট আওরঙ্গজেবের উত্তর সুরিরা নামে মাত্র দিল্লীর মসনদে বসে রাজ্য পরিচালনা করতো। তারা আরবীয় কায়দায় উপপত্নি বেশ্যা বার বনিতা পতিতা  বাঈঝী নিয়ে সরাব গাঁজার নেশায় নাচ গানে বুঁধ হয়ে পড়ে থাকতো।সেই সুজোগে  হিন্দু রাজপুতেরাও বিদ্রোহী হয়ে উঠে।সেই সুজোগেই ডুকে পড়ে পার্সি ফরাসি  জাট মারাঠা  মগ ওলন্দাজ হার্মাদ, বেনিয়া সহ আরো ছোট বড় নাম না জানা অপশক্তি সত্রুরা। তারা প্রথমেই লুটে নেয় হিরা মণি মুক্তায় খচিত মহা মুল্যবান ময়ূর সিংহাসন। তারপরে তারা লুটপাঠ করে নিতে শুরু করে নিরিহ মানুষের জান মাল ধন সম্পদ।মারাঠারা তো বিরাট একটা রাজ্য ধখল করে নেওয়ার পরও তাদের পুরানো বদ অভ্যাস  দস্যুপনা  চাড়তে পারেনি কোন দিন।যার কারণে ইংরেজদের হাতে মোখ্যম সুজোগ এসে যায়, এবং তারা অনায়াসেই বাংলা তথা সমগ্র ভারত বর্ষের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারি হয়ে জগদ্দল পাথরের মত চেপে বসে দুশ বছরের জন্য।

ভারতীয় আর ইংরেজ ইতিহাসবীদরা তো বাংলার তুরুন নবাব সিরাজদৌল্লার দোষ ক্রুটি দেখেছেন,বেশি। কিন্তু তাদের লেখা ভারত বর্ষের ইতহাসেই পুটে উঠেছে বিশ বছর বয়সি নবাবের বিচক্ষতা এবং বিরত্ব ও শাহসিকতা।কি করবে তরুন নবাব একা, ঘরেই তার গৃহ দুষমন, ঘসেটি বেগম, মির জাপর।ঠিক যেমন আজ খালেদা মান্নারা। উর্মি চাঁদ, জগত সেটেরা না হয় বাহিরের।অসহায় নবাব মুর্সিদাবাদে মৃর্ত্যুর পুর্বক্ষন পর্যন্ত বাংলার স্বাধিনতা টিকিয়ে রাখার জন্য সংকল্পবদ্ধ ছিলেন।
এটাই ধ্রুব সত্য।

ঠিক তেমনি ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট বঙ্গবন্ধুকে সহপরিবারে নির্মম ভাবে হত্যার পর দেশীয় কিছু কুলাঙ্গাররা কিছু অপশক্তিকে সদ্য স্বাধিন বাংলাদেশে ডুকার সুজোগ করে দেয়।যারা এই দেশ চায়নি, যারা আমাদের স্বাধিনতা চায়নি। যারা আমার তিরিশ লক্ষ ভাইকে হত্যা করেছে, যারা আমার দুলক্ষাধিক মা বোনের ইজ্জত লুন্ঠন করেছে। যারা খুন হত্যা ধর্ষন করে আমাদের ঘর বাড়িকে পুড়ে ভষ্ম করে দিয়েছে। যারা আমাদের জাতিয়তা বোধ, যারা আমাদের ধর্মবোধকে ধুলিস্যাত করে ওহাবী, মদুদী মতবাদ আর পাকিস্তানি  জাতিয়তা বাদ প্রতিষ্টা করতে চেয়েছিল।তারা আজ বন জঙ্গল তথা ইঁদুরের গর্ত থেকে বাহির হয়ে ইসলামের মুখোশ পড়ে ফোঁসফাঁস করিতেছে।তারাই আজ বি এন পির কাঁধে বসে নিঃসংস সন্ত্রাসি কর্মকান্ড করে নির্বিচারে পেট্রল বোমা মেরে নিরীহ মানুষকে হত্যা করছে।তারাই আজ মুক্ত মনের মানুষকে হত্যা করছে, তারাই আজ চাপাতির কোপে ক্ষতবিক্ষত করছে আমার সোনার বাংলাকে।     


এই সব অপশক্তিকে এখনই বাংলার মাটি থেকে চিরতরে বিতাড়িত করে দিতে হবে।তা না হলে আমাদের ভাইয়ের রক্ত দিয়ে কেনা মহান স্বাধিনতাকে হারাতে হবে।ঠিক যেমনি আওরঙ্গজেবের মৃর্ত্যুর মাত্র চল্লিশ বছর পরে, তার উত্তরসুরিদের খামখেয়ালিপনায় বাংলা বিহার উড়িস্যা তথা সমগ্র ভারত উপমাদেশের স্বাধিনতাকে হারাতে হয়েছে দুশ বছরের জন্য, ঠিক তেমনি আমাদের খামখেয়ালিপনায় হারাতে হবে চিরতরে আমাদের মহান স্বাধিনতাকে। হারাতে হবে আমাদের প্রিয় লাল সবুজের পতাকাকে।মনে রাখবা এবার হারালে আবার বঙ্গবন্ধু দিতীয় বার জন্ম নিবেনা তোমাদেরকে স্বাধিনতা ফিরিয়ে দিতে।

ওরা আমাদের সোনার বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানাতে চায়। ওরা আমাদের লাল সবুজের পতাকাকে বদলে দিয়ে চানতারা পতাকা বানাতে চায়। ওরা আমাদের সুন্নি বাদ ধর্মকে পাল্টিযে ওহাবী মদুদী বাদ বানাতে চায়।ওরা নবীর আকিদা মানেনা।ওরা নবীর বিদায় হজ্ব,নবীর মদিনা সনদ কিছুই মানেনা। ওরা কোরআন হাদিছ কিছুই মানেনা।ওরা সরিয়া পতুয়া আর কিসাস আইন বলবৎ করে মানুষ হত্যা করে আনন্দ লুঠে।ওরা আল্লাহু আকবর বলে মানুষকে বলি করে।ওদের হাত থেকে সোনার বাংলাকে বাঁচাও।ওদের হাত থেকে আমাদের মহান স্বাধিনতাকে বাঁচাও।

ধর্মকে আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি, প্রবিত্র গ্রন্হগুলি পড়লে সত্যিই মনে হয় সব কিছুই যেন ঐশি বাণী, কিন্তু ধর্ম ব্যবসায়িদের কান্ডকির্তী দেখলে মনে হয় ধর্মগুলি সব মিথ্যা।


------ফারুক। 

Monday, March 2, 2015

আমার পরম শ্রদ্ধেয় মা- বাবা



“আমার মা-বাবা,, 





 
আমার বাবা 













(এক) 
মারহাবা মা মারহাবা, মারাহাবা মা মারহাবা/
তুমি  আমার গঙ্গা যমুনা,তুমি
আমার মক্কা মদিনা,
তুমি আমার কৈলাশ কাবা//
আমি ঘরে বসে হজ্ব করি মা তোমার চরন ধরি/
আমার বুকের ঘরে বসত তোমার কে বলেগো গেছ মরি/



আমার প্রিয় জান্নাত বাসি মা-বাবা
দেখগো মা আজ কত গন্ধ বিলায় তোমার রক্তজবা//
মা হয়েই এলে তুমি আরশেরই পরশ মণি/
যার জীবনে এলে তুমি তারেই করেছ ধনি/
নিজে না দেখা দিয়া তোমাকে দেখালেন দয়াল রাব্বা//



  ১০ই মে খ্রিষ্টান বিশ্ব পালন করছে  Father Day আর ১৩ই মে পালন হলো Mother Day.
খ্রিষ্টানরা পালন করে এই কারণে যে ঈশ্বর পুত্র  যিষুখ্রিষ্ট নাকি এই দিনে তার পিতা মহান ঈশ্বরের সাথে দেখা করতে আকাশে পাড়ি জমান।আর মাদার ডে একেক দেশে একেক দিন পালন করে থাকে।কেন করে থাকে তার বর্ণনাও আছে নানা রকমের।আসলে সত্য ঘটনা হলোগ্রীক পৌরানে পাওয়া যায় প্রাচীন গ্রিসীয়রা তাদের দেবী মায়ের নামে মাদার ডে পালন করতো।
সে যাই হউক ফাদার মানে পিতা,আর পিতা মানে বুঝায় প্রতিপালক।অনুরুপ জনক শব্দের অর্থ বুঝায় জন্মদাতা। এই জগত সংসারে রক্তমাংসের পিতাই আমাদের প্রতিপালক এবং জন্মদাতা।এই পিতাকে আমরা আদর করে আব্বা বা আব্বু বলে থাকি।মর্ডার্ন ছেলেমেয়েরা অবশ্য পাপা পাপি কিম্বা ড্যাড ও বলে থাকে।আমরা ভাই বোনেরা সবাই আমাদের পিতাকে বাবা বলেই ডাকতাম।
 আবার ইংরেজি মাদার মানে মাতা হলেও মাতাকে আমরা বাঙ্গালীরা বেশির ভাগ মা,বা আম্মু বলেই বেশি ডেকে থাকি।এখনকার ছেলেমেয়েরা মামা মামি বলেও ডেকে  থাকে।আসলে এই মামা বা মামি পশ্চিমা বিশ্বে মৃত মমিকেই বলা হয়।            

১০ই মে আন্তঃর্জাতিক ফাদার ডে হলেও ১০ই মে ২০০৫ সালে আমার বাবা এই পৃথিবীর মায়া মমতা ছেড়ে আকাশের পথে পাড়ি দিয়েছেন। সেই থেকে আমরা সকল  ভাই বোন চিরদিনের মত এতিম হয়ে যাই।
আজ বাবার ১৯তম প্রয়ান দিবস। আমি মহান আল্লাহর দরবারে  দুহাত তুলে আমার বাবার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি,হে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমার বাবার সকল গুনা মাপ করে তাঁকে জান্নাত বাসি করুন আমিন!


আজ আমাকে নষ্টাল জিয়ায় পেয়ে বসেছে। মা-বাবার কথা মনে করে পলাতক সৃতিগুলি বারবার উথলি উঠছে হৃদয় মোক্তবে।মোটা মোটা জলে চোখ দুটি ঝাপসা ঝাপসা হয়ে গেছে নিজের অজান্তেই।এই মুহুর্তে আমি কাঁদছি বোবা কান্না, এই অজানা অচেনা  পাষান প্রবাসে বসে। এখানে নেই  কোন মাতা পিতা স্বজন পরিজনের আদর মমতা স্নেহ প্রেম ভালবাসা।আগুন্তক সৃতিগুলিই তো শুধু বেঁচে থাকার একমাত্র প্রেরণা ও শান্তনা।
 


পৃথিবীর সব সন্তানের মতই আমার মা-বাবা ও আমার কাছে সবার চেয়ে বেশি প্রিয়।শুধু প্রিয় বললে কম বলা হয়। আমার মা-বাবা আমার আদর্শ ও চিত্ব শক্তির প্রধান উৎস। তাঁরা আমার জীবনের অন্ধগলির ঝলমল আলোক রশ্মি।

সত্যিই আমার মা-বাবা দুজনই ছিলেন আদর্শ পিতা-মাতা।আমাকে চিরতরে এতিম করে অনেক আগেই তাঁরা দুজনই  এই  পৃথিবী চেড়ে চলে গেছেন কোন এক পৃথক  পৃথিবীতে। এই নিদারুন প্রবাসে অবস্হানের কারনে তাঁদেরকে শেষ বারের মত দেখার  সুজোগ হয়নি আমার। একমুটো শুকনো মাটি তাঁদের কবরে দেওয়ার সৌভাগ্য বা তৌফিক  হয়নি আমার।সে কথা মনে পড়লে শোকে দুঃখে কষ্টে কলিজাটা পেটে যেতে চায়।  আমার প্রিয় মা.বাবাকে মনে করে আমি প্রায়ই ঠুকরে ঠুকরে কাঁদি অবুঝ শিশুটির মত।
 



 
আমার বাবা কোন রাজনীতিবীদ কিংবা তেমন কোন বিদ্যানী ব্যক্তি ছিলেন না। কিন্তু তিনি স্বশিক্ষিত সহজ সরল প্রজ্ঞাবান  জ্ঞানি একজন অসাধারণ মানুষ  ছিলেন।আমি তাঁকে বলি এ যুগের সক্রেটিস কিংবা কনফুসিয়াস।মায়ের কাছ থেকেই তাঁর অক্ষরজ্ঞান দস্তখত ও সুরা কেরাত নামাজ শিক্ষা।কারণ আমার প্রিয় মা মনি বাংলা আরবি ভালো লেকাপড়া জানতেন।বাবা দেশ বিদেশের জটিলতা ও জায়গা জমিনের হিসেবের ব্যপারে ছিল তাঁর প্রচুর অভিজ্ঞতা।ফরিন শিপে চাকুরি করার সুবাধে তিনি অনেক দেশে ভ্রমন করার সুজোগ পেয়েছেন।অনেক জাতি অনেক ভাষা বাসির মানুষের সাথে মিশেছেন,হয়তো সেই কারণেই এত অভিজ্ঞ হতে পেরেছিলেন।

 
আমার জীবনে যত টুকু শিক্ষাদীক্ষা, বা যত টুকু নিজেকে  পৃথিবীকে  প্রকৃতিকেও নিজের পারিপার্শিকতাকে চিনেছি সব টুকুই মা-বাবার কাছেই শিখেছি।আমার লেখাপড়ার হাতে খড়িও মা এর কাছে হয়েছে।গৃহ শিক্ষক স্কুল শিক্ষক কিংবা বড় ভাই বোনেরা কেউ আমাকে অক্ষরজ্ঞান শিক্ষা দিতে পারেনি।মা এর কোলে বসে বসে আমি শিখেছি।মা আমাকে একবার যে টা পড়াতেন সেটা আমার সাথে সাথে মুখাস্ত হয়ে যেত।মা-বাবাই আমার প্রকৃত শিক্ষাগুরু।মা-বাবাই আমার পীর-মোরশেদ।শুধু আমার কাছে নয় অনেকের কাছেই আমার মা ছিলেন দৃস্টান্ত সরুপ তেমনই একজন।

 
আমার মা মপস্বলে জন্ম গ্রহন করলেও তিনি আরবি এবং বাংলাতে ভালো লেখা পড়া জানতেন। নগরের এক ব্যস্ততম সংসারে এসেও তিনি আজীবন জ্ঞ্যন চর্চা করে গেছেন, এবং তার নাড়ি চেঁড়া সন্তানদেরকে নিয়মিত জ্ঞ্যান দান করে গেছেন।শুধু সন্তানদেরকে নয়, আমাদের পুড়ো বংশের এবং প্রতিবেশি ছেলে মেয়েদেরকে  সুশিক্ষা দিয়ে গেছেন।প্রতিদিন আমাদের উঠোনে বাড়ির এবং প্রতিবেশির প্রায় পন্সাশ ষাটটি ছেলে মেয়ে এসে আমার মা এর কাছে আরবি শিক্ষা গ্রহন করতো। আমি নিজেও খুব অল্প বয়সে আমার মায়ের কাছেই  প্রবিত্র কোরআন সরিফ শিক্ষা গ্রহন করেছি।
 
অনেক মুরুব্বির মুখে অনেকবার শুনেছি সংসারে একজন পুরুষ শিক্ষিত হলে নাকি কিছু যায় আসেনা, কিন্তু একজন নারি শিক্ষীত হলে নাকি পুরো সমাজই শিক্ষিত হয়ে উঠে। আমার মা ছিলেন সেই রকমই এক দৃষ্টান্ত কারি মহিষী।

 
আমার মা এর সংগ্রহে ছিল বাংলা আরবি মিলায়ে অনেক গুলি বই পুস্তোক,তন্মধ্যে কয়টা গল্পের বই এবং পুঁথিরও ছিল।এই বই গুলিকে আমার মা বিশেষ সম্পদ হিসেবে যত্ন করে রাখতেন।কোন ভাবে কারো অবহেলা করা দেখলে বা অযতনে পড়ে থাকা দেখলে বকেচকে উঠায়ে সালাম করে ‍চুমো খেয়ে যত্ন করে রেখে দিতেন।সেই সমস্ত বই পুস্তক সেই সময় বাংলাদেশে পাওয়া যেতনা।বেশির ভাগ বই আমার নিরক্ষর বাবা কলিকাতা থেকে কিনে এনে মাকে উপহার দিয়েছিলন।মা অবসরে মনের আনন্দে পড়তেন, অনেক সময় রাত জেগে জেগে পড়ে বাবাকে শুনাতেন এবং বুঝাতেন।মাঝে মধ্যে বাড়ির অনেক লোক এসে মাকে গিরে ধরতেন, গল্প কবিতা, আর পুঁথি শুনতেন।আর আমি যখন পড়তে শিখেছি, তখন আমাকেও পড়তে  দিতেন। আমাকে দিয়ে পড়াতেন।আমি মা এর অনুকরনে শব্দ করে সুর ধরে পড়তাম। অনেক সময় বড়দের সামনে পড়তে  লজ্জাবোধ করতাম,কারন পুঁথি বা কবিতায় মানব জন্মের পুরো বর্ননা তুলে ধরা হতো, যেটা আমারা বড় হয়ে বাইয়োলজিতে প্রজনন তন্ত্রে পড়েছি একেবারেই সে রকম।
(এখানে কবিতা বলতে সেই সময় দ্রৌপদি ত্রেপদি বা চৌপদি সুরে আট বা ষোল পৃষ্টার কবিতা পাওয়া যেত, তাকেই সবাই কবিতা বলতো)

 
ঠাকুরমার ঝুলির গল্পগুলি তো মা এর কোলে থেকে শিশু বেলা থেকে শুনছিলাম। মা ওরকম গল্পগুলি শুনায়ে শুনায়ে আমাকে গুম পাড়াতেন।একটু বড় হবার পরে  একদিন তাকের মধ্যে মলাট বিহিন ঠাকুর মার ঝুলি বইটা আমি আবিষ্কার করি।তখন বুঝতে পারি মা এর ছালাকি। মা এই সব গল্প কত্থেকে শিখেছেন। আরেক দিন সিলিং এর উপর পুরানো টিনের সুটকেসের ভিতর আবিষ্কার করি গুনে ধরা বিষাধ সিন্ধু এবং নকসি কাঁথার মাঠ সহ আরো বেশ কয়টা টা বই।আগের দিনের গল্পের বা উপন্যাস গুলির কি ধারুন কাব্যিক ভাষায় লিখা হতো।ঠিক গদ্যকেই মনে হত পদ্য। পয়ার দোপদি তৃপদি চৌতুসপদি মিলে কি সুন্দর চন্দের ঝংকার।নকসী কাঁথার মাঠ মা তো পড়তেন একেবারে পুঁতির সুরে।  মা এর কাছ থেকে সর্বশেষ আমার বই পড়া হয়েছে সম্ভবত মনোয়ারা উপনাসটি। আর বইটি লিখেছেন বোধ হয় ফরিদুর রেজা সাগরের মা সুলেখিকা রাবেয়া খাতুন।
 

আমার বাবা ছিলেন নিরক্ষর, কিন্তু তিনি ছিলেন অসাধরন জ্ঞ্যানের অধিকারি এক জন মানুষ। আমি বাবাকে যতটুকু কাছ থেকে জেনেছি, তার চেয়ে বেশি শুনেছি অন্যের কাছ থেকে।আটানব্বেই সালে আমি দেশে যাবার পর জমিন সংক্রান্ত ব্যপারে মাইজদীতে একজন  বিজ্ঞ উকিলের  সাথে আলাপ করতে যাই।তাঁর নাম ছিল সম্ভোবত সামছুল হক উকিল, ঠিক নামটা মনে নেই। তখন বাবাও জিবীত ছিলেন।অবশ্য  আমার বড় ভগ্নিপতি সাজাহান তহশিলদারই আমাকে নিয়ে যান তাঁর কাছে।উকিল সাহেব আমার বাবাকে খুব কাছ থেকে জানতেন।তিনি বললেন, আপনার বাবার মত এমন এক জন জ্ঞ্যানী লোক আমি আর দেখি নাই। উনি অসাধরন জ্ঞানী।বেশ কিছু দিন ধরে উনাকে দেখিনা, উনি কি এখনো বেঁচে আছেন?

সামছুল হক উকিলের বিশ্ময়কর প্রশ্নের জবাবে বললাম, হ্যাঁ বাবা এখনো বেঁচে আছেন।বেশ সুস্হও আছেন।
তিনি বললেন, আপনার বাবার বয়স শত বছরের উপরে হবে।
হ্যাঁ সত্যিই এই রকম বয়সেই আমার বাবা এ পৃথিবী চেড়ে চলে গেছেন।কিন্তু শেষ দিন পর্যন্ত উনার স্মরন শক্তি ছিল তরুন বয়সের মত।

এরকম অনেক দৃষ্টান্ত আমার বাবাকে নিয়ে দেওয়া যায়, যা মানুষের মুখে শুনেছি।এক কথায় বলতে গেলে পৃথিবীর সব মানুষের মতই তিনি ছিলেন দোষগুনে মিলে একজন মানুষ,আমার আদর্শ পিতা।

আমার বাবা ধন সম্পদের দিক দিয়েও সফল মানুষ ছিলেন।তিনি সারা জীবন ফরিন সিপে চাকুরি করেছিলেন।তিনি যত সম্পদ রেখে গেছেন তার সন্তানদের জন্য, আমরা চার ভাই আজ ইউরোপ আমেরিকা আফ্রিকাতে যুগের পর যুগ কাটিয়েও তার সমপরিমান  জোড়াতে পারছিনা। তার কেনা জমিনেই আমরা চার ভাইকে পাকা বাড়ি বানাতে হয়েছে।আমি শুনে বিশ্মিত হয়েছি,আমার জন্মেরও পুর্বে আমার বাবা নাকি একবার এরেষ্ট হন।তাঁকে অভিযুক্ত করা হয় তাঁর কাছে নাকি টাকা বানানোর মেশিন আছে এই বলে।

আমার মা-বাবাকে নিয়ে লিখলে বিশাল একটা বই হয়ে যাবে,কোন দিন সুযোগ হলে পারিবারিক সংগ্রহের জন্য হলেও লিখার আশা রাখি। আমার মা-বাবার কাছে যা কিছু শিখেছি  আজ পরিপুর্ণ বয়সে এসে সে সব কথা মহামানব বা দার্শণিকের জীবনীতে খুঁঝে পাই।মা তো সব সময় ছড়া ক্ষনার বচন,এবং সোল্লক দিয়ে আমাদেরকে শাসন করতেন।

আমার মা-বাবার দুজনেরই মন ছিল স্নেহ মমতায় পরিপুর্ন।বলা যায় দুজনই ছিলেন ভালবাসার কারখানা।  আমরা ছোট তিন ভাই বোনকে চাড়া বাবাতো খেতেই বসতেন না, বা খেতেই পারতেন না।দিদার আর মায়া ছিল আমার ছোট, তাদের নাক দিয়ে পানি পড়ছে, মাঝে মধ্যে মা চাপ করে দিচ্ছে, বাবা ভাতের লোকমা ছোট করে করে তাদের  মুখে তুলে দিচ্ছে আর নিজেও খাচ্ছে।আমার অবশ্য বসা কমই হতো। মা অনেক সময় বলতো,অত কুয়ারা করার দরকার নাই তুমি খাও, তবুও বাবা বসাতেন খাওয়াতেন।আবার সাথে নিয়ে গোসল করাতেন।

একবার তো বাবা গোসল করাতে নিয়ে গিয়ে ডুবেই মরতে বসেছিলেন। আমার খুব মনে পড়ছে। আমি দিদার তখন খুব ছোট।তখনও নেংটা বাঁদর। আমাদের বাড়ির সামনে এবং পিছনে দিগীর মত বড় দুটা পুকুর ছিল।বর্তমানে জেলখানার সিমানায় পড়ায় বেশি অংশ ভরাট হয়ে গেছে।বাবা আমাকে এবং দিদারকে দু পাঁজরের কোলে  বসায়ে  সে পুকুরে  গোসল করাতে নিয়ে গেলেন।বাবা আমাকে আর দিদারকে গোসল করায়ে উপরে রেখে তিনি নিজে গোসল করতে ছিলেন।এমন সময় আমার চোখ পড়ল পুকুরের স্বচ্ছ জলের উপর একটা লাল পদ্ম ফুটে আছে।শুধু একটাই ফুল।
আমি ঠ্যাং নাচিয়ে নাচিয়ে বায়না ধরলাম বাবা ফুলটা  আমাকে লয়ে  দাও।বাবা ছিলেন মোটা মানুষ, সাঁতার জানতেন না, তাই  ফুলটা তুলতে গিয়েই ডুবে যাচ্ছেলেন।তবু ফুলটি চাড়েননী কয়ডোক পানি খেয়ে ফুলটা লয়ে ঠিকই উপরে এসে আমার হাতে দিলেন।আমার চোখে মুখে সেকি আনন্দ। পরে বাড়িতে   এসে মাকে বললেন যে তিনি ফুল উঠাতে গিযে পানি খেয়ে মরেতে যাচ্ছিলেন।মা তো শুনে অবাক হলেন।

আমার মা- বাবা সব সময় সৎ পথে চলার জন্য প্রেরনা দিতেন।হারামে কোন দিন আরাম নাই, পরের সম্পদ কোন দিন লুটে পুটে খেয়না।,বিদ্যাবুদ্ধির কোন দিন ভাগ বাটোয়ারা  হয়না, ইত্যাদি।তরুন বয়সে একবার প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে  গিয়ে নিশী রাতে চোরের উপর বাটপারি করে কিছু চুরি বা ডাকাতির মাল  ঘরে নিয়ে আসি।আমার মা-বাবা এবং বড় ভাই তিন জনই আমাকে মারতে আসলেন, এই বলে যে, আমি নাকি চুরি করে নিয়ে এসেছি।আমার কথা কিছুতেই তারা বিশ্বাস করতে চাননি। বিস্তারিত বলার পর  তারা বললেন, জিনিস গুলি যেখানে পেয়েছ,ঠিক সেখানে গিয়ে পেলে আস।আমি তাই করলাম।পরে শুনলাম পুলিশ লাইনের আরাই সাহেবের বাসা নাকি চুরি হয়েছিল।হয়তো ওগুলো আরাই সাহেবের মালামাল ছিল।

আজ সংসারে, সমাজে,রাষ্টে এমন কি পৃথিবীতে আদর্শবান মা-বাবার সংখ্যা অতি নগন্য।আর সে কারনেই সমাজে হচ্ছে এমন অন্যায় অনিয়ম অশৃঙ্খল। সে কারনেই  নিত্য নতুন হচ্ছে ভয়াবহ খুন খারাবি ধর্ষন লুটপাট।সে কারনেই সমাজের এত অবক্ষয়।

আজ সারা বাংলাদেশে যে ভাবে সন্ত্রাসিরা রাজনিতীর নামে সাধারন নিরীহ মানুষকে পেট্রল বোমা মেরে জালিয়ে পুড়িয়ে মারছে, সন্ত্রাসির বাবা মা ভাই বোনরা কি কিছুই জানেনা ?তার সন্তানের চরিত্র কেমন,? জানে সবাই জানে অল্প বিস্তর।কিন্ত তারা সন্তানদের সেরকম শিক্ষা দেননা বোধ হয়।
আসলে মা-বাবা কোথাও চলে যান না,কিম্বা মারা যান না। মা-বাবা চিরদিনই বেঁচে থাকেন তাঁদের সন্তানের
মাঝে।
 
আজ মা দিবসে মাকে নিয়ে গান---
১,আমার বেঁচে থাকার কোন মানে নেই,
আমার বেঁচে থাকার অনেক মানে আছে।
আমার জীবনে কত স্নেহমায়া মমতা
দিয়ে আমার মা চলে গেছে//
এ জীবন তো তারি দেওয়া, এ দুটি চোখে চাওয়া/
এ সুন্দর পৃথিবীতে এখনো তো বহে সুনিল হাওয়া/
আমার শ্বাসেপ্রশ্বাসে শরিরে শিরায় মাতৃগন্ধ মিশে আছে//
স্বশরিরে মা নেই অশিরিরে তিনি আছেন আমার মাঝে/
চিত্বের চেতনায়, বিপুল ভাবনায় ছুটে যাই সদা তাঁর কাছে/
আমার বুকের বিবরে আমার মা বেঁচে আছে//
২, মা তোমার বিরহ ব্যদনা আমাকে করেছে উদাসী ফকির/
একবার আওয়াজ তুলি ডুগডুগির, আবার করি জিগির//
মা-গো তুমি রুদ্র তুমি সমূদ্র তুমি আমার বিশ্ব ভ্রম্মান্ড/
তুমি আমার সুখ দুঃখ ব্যদনা,তুমি হাসি কান্না আনন্দ/
তোমার সাধনায় আমি স্বাধ পাই গো মা অমর জিন্দিগীর//
মা-গো তুমি অসিম তুমি সশীম তুমি চাঁদ সুরুজ তুমি রাতদিন/
বুকের ভিতরে তুমি বসত কর বলেই মনে হয়না দিনহীন/
অভাগাকে করেছ তুমি লাকির কি ফকির//


মানুষ হত্যা করে যদি রাজনিতী করতে হয় তবে সে রাজনিতীর নেতাকে আমি ঘৃনা করি।
মানুষ হত্যা করে যদি পুলছেরাত পার হয়ে জান্নাত যেতে হয়, তবে সে জান্নাত এর চেয়ে 
নড়কই আমার কাছে উত্তম,যেখানে যেতে কোন পুলছেরাত  পড়ে না।
 
--------ফারুক,
 



অজ্ঞসব জনপ্রতিনীধি,

সত্যই শক্তি, সত্যই সুন্দর,