বরাবরে,
বাংলাদেশ সরকারের সন্মানিত মাননীয়া শিক্ষামন্ত্রি ডা: দীপু মনি (এম পি) সমিপে.....শিক্ষা মন্ত্রনালয় গনপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার, ঢাকা, বাংলাদেশ।
মাননীয়া মন্ত্রি সাহেবা, আমি প্রথমে বলে নিচ্ছি, আমি একজন জার্মান প্রবাসি।আপনি এও জেনে খুশি হবেন যে আমি আপনার ও উপমন্ত্রি জনাব মহিবুল হাসান ভাইয়েরও একজন অনুরক্ত ভক্ত।আপনারা দুজনই ঐতিহ্যবাহি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠ কর্মি থেকে সফল মন্ত্রি হয়েছেন, তার জন্য আপনাদেরকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন,ও ভক্তিপুর্ন সালাম।
মাননীয়া মন্ত্রি সাহেবা,আমি আজ অত্যান্ত ভারাক্রান্ত হৃদয়ে কয়েকটি আরজি নিয়ে আপনার সমিপে হাজির হয়েছি।আশা করি আপনি সুনেক দৃষ্টিতে দেখবেন।
প্রথমে আমার প্রশ্ন:১, আমাদের শিশু সন্তান যারা আগামী দিনের জাতির ভবিষ্যত,তারা কেন আজ হাঁস মুরগির খোয়ারের মত সিমিত জায়গায় বিকশিত হচ্ছে...?
আমি মাইজদী শহরের সন্তান হিসেবে বলছি, আপনারা কমুনিটি ক্লিনিকের মত যেখানে সেখানে কেন এতগুলি প্রাইভেট শিক্ষা প্রতিষ্টানের অনুমতি দিচ্ছেন।দিন দিন ভেঙের ছাতার মত ছোট খাটো আবাসিক ভবনে গড়ে উঠেছে কত বাহারি নামের শিক্ষা প্রতিষ্টান।নাই কোন খেলার মাঠ নাই ল্যাব কিংবা ব্যায়ামাগার, নাই কোন আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্হা। অতচ তারা ক্লাশ সিক্সে ভর্তির জন্য একটা ছাত্রের কাছ থেকে নিচ্ছে ১২-১৫ হাজার টাকা, বেবি ক্লাশের একটা শিশুর জন্য নিতেছে ৫-৬ হাজার টাকা। আবার মাসিক বেতন নিচ্ছে ২-৩ হাজার টাকা। এটা কেমন জুলম।হাঁস মুরগি কিংবা গরুর বাচ্ছাকেও বিকশিত হতে একটা নির্দিষ্ট চরাচরের প্রয়োজন হয়।অতচ স্বাধীন দেশের মানব শিশুর জন্য সেই ব্যবস্হা নাই। এটা জাতির জন্য লজ্জাজনক নয় কি...?
২, আমাদের শিশু সন্তানকে বিশ্ব মানের মানব সম্পদে গড়ে তুলতে না পারলে এই শিক্ষা ব্যবস্হার প্রয়োজন কি...?
মাননীয়া মন্ত্রি সাহেবা,বর্তমান বিশ্বটাকে বলা হয় গ্লোবাল ভিলেজ।তাই প্রতিটি শিক্ষা ব্যবস্হাকেও (কারিগরি বলেন মাদরাসা বলেন,) বিশ্বমানের করে গড়ে তুলতে না পারলে, আমাদের সন্তানরা বর্তমান বিশ্বে প্রতিযোগিতায় কোন ভাবেই টিকতে পারবেনা।
৩,মাদরাসা বোর্ডে এ কেমন শিক্ষা ব্যবস্হা...?
মাননীয়া মন্ত্রি ডা: দীপু মনি,প্রতিবছর মাদরাসা বোর্ডের আন্ডারে প্রায় ১৪--১৫ লাখ আলিম ও দাখিল শিক্ষার্থি পাশ করে বাহির হচ্ছে।বেশির ভাগই জেনারেল গ্রুপের ছাত্র।মাদরাসা গুলোতে নাই কোন বি এড ডিগ্রিধারি কিংবা উচ্চ শিক্ষিত শিক্ষক। নাই কোন সাইন্স কমার্স বা অন্য কোন সাবজেক্ট।মাত্র তের বছর বয়সে একটা ছাত্র আলিম দাখিল পাশ করছে, ষোল বছর বয়সে মাস্টার্সসম সার্টিপিকেট দিতেছে।অতচ দেখা যায় বেশির ভাগ সার্টিফিকেটে একটা ছাত্রের জন্ম তারিখ লেখা হয়না।সে দিকে দয়া করে একটু মনোযোগ দিবেন।
মাননীয়া মন্ত্রি আপনার অবগতির জন্য বলছি:-জার্মানে গ্রাউন্ড স্কুলেই অর্থ্যাত প্রাইমারিতেই শিক্ষকরা সিলেক্ট করে দেয় শিশুরা কোন ধরনের স্কুলে কোন বিষয়ে পড়ালেখা করবে।সেই মোতাবেক অভিভাবকরা সন্তানদেরকে স্কুলে ভর্তি করায়।এখানে ভালো স্কুলে ভালো শিক্ষার্থিকে রাখা হয়, সে যদি ভাল করে তো তর তর করে উপরের দিকে উঠে আবার খারাপ করলে ২য় শ্রেণীর স্কুলে পাঠানো হয়।সেখানে ভালো করলে আবার প্রথম শ্রেণীর স্কুলে পড়ার সুজোগ পায়।উন্নত বিশ্বের দেশের মত আমাদের শিক্ষা ব্যস্হাকেও বিশ্বমানের করার জন্য বিনীত আবেদন করছি।
ইতি...জার্মান প্রবাসি, মোহাম্মেদ ফারুক,