Tuesday, March 10, 2015

বাংলার প্রথম এবং শেষ নবাব,

নবাব সিরাজ দৌল্লা
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান।






বাংলার প্রথম নবাব সিরাজ উদ দৌলাঃ-
ধারনা করা হয় আলীবর্দি খাঁর তিন কন্যার মধ্যে সবচেয়ে কনিষ্ট কন্যা আমেনা বেগমের গর্ভে এবং জয়েনউদ্দিন এর ঔরোশে নবাব মির্জা মোহাম্মদ সিরাজ দ্দৌলার জন্ম হয় ১৭৩২ সালের কোন একদিনে। কারণ তার কোন সঠিক জন্ম তারিখ কোন ইতিহাসে পাওয়া যায়নি।আলীবর্দি খাঁর কোন পুত্র সন্তান ছিল না বিদায় তাঁর তিন কন্যাকে বড় ভাই হাজী আহম্মেদ এর তিন পুত্রের সাথে  বিবাহ দেন।নবাব সিরাজ- উদ-দৌলার জন্মের সময় আলীবর্দি খাঁ পাটনার শাসনভার লাভ করেন।তাই সোভাগ্য ও আনন্দের বশে নাতি সিরাজকেই পৌষ্যপুত্রের ন্যায় আদর যত্নে লালন পালন করেতে থাকেন।

এখানে আগেই একটি সত্য কথা আমাকে বলতে হচ্ছে।ভারত বর্ষের ইতিহাস বেত্তারা তাদের লেখা ইতিহাসে নবাব সিরাজ উদ-দৌলার দোষ ক্রুটি তার চরিত্র হননের অপচেষ্টা করেছেন অনেক বেশি। রবার্ট ক্লাইবের জীবনীতে তো নবাবকে তুলেধুনো করে চেড়েছেন, স্যার ম্যাকলে।যেমন নবাব ছিলেন নেশাখোর, চরিত্রহীন, ঘরে স্ত্রি সন্তান থাকলেও উপপত্নি, বেশ্যা বাঈঝি নিয়ে পড়ে থাকতেন। তার নষ্ট চরিত্র এমন কি রুগ্ন দেহের অধিকারি ইত্যাদি।এই সব কথা একটিও আমার কাছে বিশ্বাস যোগ্য বলে মনে হয়নি। বরঞ্চ তাদের লেখাতেই ফুটে উঠেছে নবাবের বিচক্ষনতা, এবং বিরত্ব ও শাহসিকতা।

অনেকে আবার বলে থাকে নবাব কোন বাঙ্গালী ছিল না। এটা অত্যান্ত সত্যি কথা।নবাবরা বাঙ্গালী ছিল না, এবং তারা বা তার পূর্ব পুরুষরা ইরান তুরান বা আরবের  কোথায় থেকে এসেছে, সেটাও কেউ সঠিক ভাবে বলতে পারেনা। সেটা যাই হউক নবাব যে বাংলা বিহার উড়িস্যার নবাব ছিল, এবং বাঙ্গালীদের যে প্রিয় নবাব ছিল এটা কেউ অশ্বিকার করতে পারে না এবং পারবে ও না।

যেমন ১৭৪৬ সালে নানা আলিবর্দী খাঁ যখন মারাঠাদের  বিরুদ্ধে যুদ্ধে যান, তখন সিরাজ তাঁর সাথে যুদ্ধে সামিল হয়ে বিরত্বের পরিচয় দিয়েছিলেন।তারপর সতের বছর বয়সের বালক সিরাজকে আলিবর্দী খাঁ পাঠনার শাসন কর্তাও নিযুক্ত করেছিলেন।তার বয়স কম ছিল বিদায় জানকিরামকে প্রতিনিধি নিযুক্তু করা হয়।অতচ বালক নবাব যুদ্ধ করে জানকিরামকে হঠিয়ে নিজেই সর্মবয় ক্ষমতার অধিকারি হন।সিরাজের বিরত্ব দেখেই আলিবর্দী খাঁ তাকে উত্তরাধিকারি হিসেবে ঘোষনা করেন।

মুলত এই ঘোষনাকেই অনেকেই মেনে নিতে পারে পারেনি।বিশেষ করে খালা ঘসেটি বেগম এবং তার স্বামি নোয়াজেশ ও তার বিশিষ্ট বন্ধু  রাজবল্লভ ও তার পুত্র কৃষ্ণ বল্লভ।মির জাপর তার পুত্র মিরন এবং জামাতা মীর কাশেম। ঘসেটি বেগম স্বপ্ন দেখেছিলেন ষড়যন্ত্র করে যেমন করে হউক তার নাবালক পুত্রকেই বাংলা বিহার উড়িস্যার নবাব বানাবেন।এই রকম পরিস্হিতে হঠাৎ করে ১৭৫৬ সালের ১০ই এপ্রিল আলিবর্দী খাঁ মৃর্ত্যুবরন করলে সিরাজ সিরাজ সিংহাসনে আরোহন করেন।

সিরাজ মসনদে  বসার সময় ইংরেজদের একটু বাড়তি প্রতাপ দেখে সিরাজ কুঠিয়াল ওয়াটসনকে ডেকে নির্দেশ দেন কলকাতার সব কুঠির ভেঙে ফেলতে।কিন্তু ইংরেজরা  তার নির্দেশ অমান্য করলে সে নিজেই গিয়ে ইংরেজদের সব কুঠির ভেঙে দেয়।এখানেও তার বিরত্বের পরিচয় পাওয়া যায়।



---------অসমাপ্ত--













Monday, March 9, 2015

অপশক্তির হাত থেকে দেশকে বাঁচাও,

                                                                                                                                                         













অপশক্তি কারা, স্বাধিনতার চল্লিশ বছর পরে এসে আজ বাঙ্গালী জাতিকে  নতুন করে একবার ভাবতে হবে, এই অপশক্তি কারা।কে বাংলা মায়ের গৃহ সত্রু। তাদেরকে আগে চিহ্নিত করতে হবে, তারপর ভাবতে হবে কেন আজ স্বাধিন বাংলার মাটিতে  এত গৃহানল।কেন এত অস্বাভাবিক মৃর্ত্যু? কেন এত লাশের মিছিল।কেন পেট্রলবোমা মেরে জীবন্ত মানুষকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দগ্ধ করে মারা হচ্ছে।কেন কে ওরা ? কি চায় তারা?

এই সব অপশক্তিকে দেখি শুধু মানুষের মুখোশ পরা সাধারণ মানুষ হিসেবে।আসলে কিন্তু ওরা সবে সয়তান।ওরা গোঁড়া মুর্খ।ওরা  অসৎ উদ্দেশ্যে ধর্ম ব্যবহারকারি।ওরা শুধু গনতন্ত্র ব্যবহারকারি। ওরা ধর্মপ্রাণ সাধারন মানুষকে শুধু ধোকা দিয়ে যাচ্ছে। বাঙ্গালীর উত্থান এবং নব জাগরনের সময় ওরা আজ বাধার বেদি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ওদেরকে ভাল করে চিনতে হলে আমাদেরকে পরাধিন বাংলার  ইতিহাসের দিকে একটু চোখ ভুলাতে হবে।

মুলতঃ ১৭০৭ সালে সম্রাট সাজাহানের বিদ্রোহী এবং সুযোগ্য পুত্র সম্রাট আওরঙ্গজেবের মৃর্ত্যুর চল্লিশ বছরের মধ্যে যেমনি তৈমুর লঙ্গের বংশধর বাবরের গড়া বিশাল মোঘল সামরাজ্যে ধস ধরে অবশেষে ভেঙে ঝুর ঝুর হয়ে পড়ে।সেই সুজোগে ধনে জনে ভরা সমবৃদ্ধ বাংলা তথা পুরো ভারত উপমহাদেশে চারিদিক থেকে বহিঃসত্রুরা ডুকে পড়ে।যে সব বন দস্যু জলদস্যু,পর্বত দস্যু যারা এতদিন আওরঙ্গজেবের ভয়ে আত্মগোপন করে প্রাণ রক্ষা করেছিল।যাদের নজর পড়েছিল এতদিন বাংলার ধন সম্পদ আর দিল্লীর ময়ূর সিংহাসন, মাউন্টেন অফ লাইট কিংবা হিরা জহরত মণিমুক্তার প্রতি।সেই অপশক্তিকে ভিতরে প্রবেশ করার সুজোগ করে দেয় দেশিয় কিছু কুলাঙ্গাররা।


সম্রাট আওরঙ্গজেবের উত্তর সুরিরা নামে মাত্র দিল্লীর মসনদে বসে রাজ্য পরিচালনা করতো। তারা আরবীয় কায়দায় উপপত্নি বেশ্যা বার বনিতা পতিতা  বাঈঝী নিয়ে সরাব গাঁজার নেশায় নাচ গানে বুঁধ হয়ে পড়ে থাকতো।সেই সুজোগে  হিন্দু রাজপুতেরাও বিদ্রোহী হয়ে উঠে।সেই সুজোগেই ডুকে পড়ে পার্সি ফরাসি  জাট মারাঠা  মগ ওলন্দাজ হার্মাদ, বেনিয়া সহ আরো ছোট বড় নাম না জানা অপশক্তি সত্রুরা। তারা প্রথমেই লুটে নেয় হিরা মণি মুক্তায় খচিত মহা মুল্যবান ময়ূর সিংহাসন। তারপরে তারা লুটপাঠ করে নিতে শুরু করে নিরিহ মানুষের জান মাল ধন সম্পদ।মারাঠারা তো বিরাট একটা রাজ্য ধখল করে নেওয়ার পরও তাদের পুরানো বদ অভ্যাস  দস্যুপনা  চাড়তে পারেনি কোন দিন।যার কারণে ইংরেজদের হাতে মোখ্যম সুজোগ এসে যায়, এবং তারা অনায়াসেই বাংলা তথা সমগ্র ভারত বর্ষের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারি হয়ে জগদ্দল পাথরের মত চেপে বসে দুশ বছরের জন্য।

ভারতীয় আর ইংরেজ ইতিহাসবীদরা তো বাংলার তুরুন নবাব সিরাজদৌল্লার দোষ ক্রুটি দেখেছেন,বেশি। কিন্তু তাদের লেখা ভারত বর্ষের ইতহাসেই পুটে উঠেছে বিশ বছর বয়সি নবাবের বিচক্ষতা এবং বিরত্ব ও শাহসিকতা।কি করবে তরুন নবাব একা, ঘরেই তার গৃহ দুষমন, ঘসেটি বেগম, মির জাপর।ঠিক যেমন আজ খালেদা মান্নারা। উর্মি চাঁদ, জগত সেটেরা না হয় বাহিরের।অসহায় নবাব মুর্সিদাবাদে মৃর্ত্যুর পুর্বক্ষন পর্যন্ত বাংলার স্বাধিনতা টিকিয়ে রাখার জন্য সংকল্পবদ্ধ ছিলেন।
এটাই ধ্রুব সত্য।

ঠিক তেমনি ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট বঙ্গবন্ধুকে সহপরিবারে নির্মম ভাবে হত্যার পর দেশীয় কিছু কুলাঙ্গাররা কিছু অপশক্তিকে সদ্য স্বাধিন বাংলাদেশে ডুকার সুজোগ করে দেয়।যারা এই দেশ চায়নি, যারা আমাদের স্বাধিনতা চায়নি। যারা আমার তিরিশ লক্ষ ভাইকে হত্যা করেছে, যারা আমার দুলক্ষাধিক মা বোনের ইজ্জত লুন্ঠন করেছে। যারা খুন হত্যা ধর্ষন করে আমাদের ঘর বাড়িকে পুড়ে ভষ্ম করে দিয়েছে। যারা আমাদের জাতিয়তা বোধ, যারা আমাদের ধর্মবোধকে ধুলিস্যাত করে ওহাবী, মদুদী মতবাদ আর পাকিস্তানি  জাতিয়তা বাদ প্রতিষ্টা করতে চেয়েছিল।তারা আজ বন জঙ্গল তথা ইঁদুরের গর্ত থেকে বাহির হয়ে ইসলামের মুখোশ পড়ে ফোঁসফাঁস করিতেছে।তারাই আজ বি এন পির কাঁধে বসে নিঃসংস সন্ত্রাসি কর্মকান্ড করে নির্বিচারে পেট্রল বোমা মেরে নিরীহ মানুষকে হত্যা করছে।তারাই আজ মুক্ত মনের মানুষকে হত্যা করছে, তারাই আজ চাপাতির কোপে ক্ষতবিক্ষত করছে আমার সোনার বাংলাকে।     


এই সব অপশক্তিকে এখনই বাংলার মাটি থেকে চিরতরে বিতাড়িত করে দিতে হবে।তা না হলে আমাদের ভাইয়ের রক্ত দিয়ে কেনা মহান স্বাধিনতাকে হারাতে হবে।ঠিক যেমনি আওরঙ্গজেবের মৃর্ত্যুর মাত্র চল্লিশ বছর পরে, তার উত্তরসুরিদের খামখেয়ালিপনায় বাংলা বিহার উড়িস্যা তথা সমগ্র ভারত উপমাদেশের স্বাধিনতাকে হারাতে হয়েছে দুশ বছরের জন্য, ঠিক তেমনি আমাদের খামখেয়ালিপনায় হারাতে হবে চিরতরে আমাদের মহান স্বাধিনতাকে। হারাতে হবে আমাদের প্রিয় লাল সবুজের পতাকাকে।মনে রাখবা এবার হারালে আবার বঙ্গবন্ধু দিতীয় বার জন্ম নিবেনা তোমাদেরকে স্বাধিনতা ফিরিয়ে দিতে।

ওরা আমাদের সোনার বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানাতে চায়। ওরা আমাদের লাল সবুজের পতাকাকে বদলে দিয়ে চানতারা পতাকা বানাতে চায়। ওরা আমাদের সুন্নি বাদ ধর্মকে পাল্টিযে ওহাবী মদুদী বাদ বানাতে চায়।ওরা নবীর আকিদা মানেনা।ওরা নবীর বিদায় হজ্ব,নবীর মদিনা সনদ কিছুই মানেনা। ওরা কোরআন হাদিছ কিছুই মানেনা।ওরা সরিয়া পতুয়া আর কিসাস আইন বলবৎ করে মানুষ হত্যা করে আনন্দ লুঠে।ওরা আল্লাহু আকবর বলে মানুষকে বলি করে।ওদের হাত থেকে সোনার বাংলাকে বাঁচাও।ওদের হাত থেকে আমাদের মহান স্বাধিনতাকে বাঁচাও।

ধর্মকে আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি, প্রবিত্র গ্রন্হগুলি পড়লে সত্যিই মনে হয় সব কিছুই যেন ঐশি বাণী, কিন্তু ধর্ম ব্যবসায়িদের কান্ডকির্তী দেখলে মনে হয় ধর্মগুলি সব মিথ্যা।


------ফারুক। 

অজ্ঞসব জনপ্রতিনীধি,

সত্যই শক্তি, সত্যই সুন্দর,