নবাব সিরাজ দৌল্লা |
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান। |
বাংলার প্রথম নবাব সিরাজ উদ দৌলাঃ-
ধারনা করা হয় আলীবর্দি খাঁর তিন কন্যার মধ্যে সবচেয়ে কনিষ্ট কন্যা আমেনা বেগমের গর্ভে এবং জয়েনউদ্দিন এর ঔরোশে নবাব মির্জা মোহাম্মদ সিরাজ দ্দৌলার জন্ম হয় ১৭৩২ সালের কোন একদিনে। কারণ তার কোন সঠিক জন্ম তারিখ কোন ইতিহাসে পাওয়া যায়নি।আলীবর্দি খাঁর কোন পুত্র সন্তান ছিল না বিদায় তাঁর তিন কন্যাকে বড় ভাই হাজী আহম্মেদ এর তিন পুত্রের সাথে বিবাহ দেন।নবাব সিরাজ- উদ-দৌলার জন্মের সময় আলীবর্দি খাঁ পাটনার শাসনভার লাভ করেন।তাই সোভাগ্য ও আনন্দের বশে নাতি সিরাজকেই পৌষ্যপুত্রের ন্যায় আদর যত্নে লালন পালন করেতে থাকেন।
এখানে আগেই একটি সত্য কথা আমাকে বলতে হচ্ছে।ভারত বর্ষের ইতিহাস বেত্তারা তাদের লেখা ইতিহাসে নবাব সিরাজ উদ-দৌলার দোষ ক্রুটি তার চরিত্র হননের অপচেষ্টা করেছেন অনেক বেশি। রবার্ট ক্লাইবের জীবনীতে তো নবাবকে তুলেধুনো করে চেড়েছেন, স্যার ম্যাকলে।যেমন নবাব ছিলেন নেশাখোর, চরিত্রহীন, ঘরে স্ত্রি সন্তান থাকলেও উপপত্নি, বেশ্যা বাঈঝি নিয়ে পড়ে থাকতেন। তার নষ্ট চরিত্র এমন কি রুগ্ন দেহের অধিকারি ইত্যাদি।এই সব কথা একটিও আমার কাছে বিশ্বাস যোগ্য বলে মনে হয়নি। বরঞ্চ তাদের লেখাতেই ফুটে উঠেছে নবাবের বিচক্ষনতা, এবং বিরত্ব ও শাহসিকতা।
অনেকে আবার বলে থাকে নবাব কোন বাঙ্গালী ছিল না। এটা অত্যান্ত সত্যি কথা।নবাবরা বাঙ্গালী ছিল না, এবং তারা বা তার পূর্ব পুরুষরা ইরান তুরান বা আরবের কোথায় থেকে এসেছে, সেটাও কেউ সঠিক ভাবে বলতে পারেনা। সেটা যাই হউক নবাব যে বাংলা বিহার উড়িস্যার নবাব ছিল, এবং বাঙ্গালীদের যে প্রিয় নবাব ছিল এটা কেউ অশ্বিকার করতে পারে না এবং পারবে ও না।
যেমন ১৭৪৬ সালে নানা আলিবর্দী খাঁ যখন মারাঠাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যান, তখন সিরাজ তাঁর সাথে যুদ্ধে সামিল হয়ে বিরত্বের পরিচয় দিয়েছিলেন।তারপর সতের বছর বয়সের বালক সিরাজকে আলিবর্দী খাঁ পাঠনার শাসন কর্তাও নিযুক্ত করেছিলেন।তার বয়স কম ছিল বিদায় জানকিরামকে প্রতিনিধি নিযুক্তু করা হয়।অতচ বালক নবাব যুদ্ধ করে জানকিরামকে হঠিয়ে নিজেই সর্মবয় ক্ষমতার অধিকারি হন।সিরাজের বিরত্ব দেখেই আলিবর্দী খাঁ তাকে উত্তরাধিকারি হিসেবে ঘোষনা করেন।
মুলত এই ঘোষনাকেই অনেকেই মেনে নিতে পারে পারেনি।বিশেষ করে খালা ঘসেটি বেগম এবং তার স্বামি নোয়াজেশ ও তার বিশিষ্ট বন্ধু রাজবল্লভ ও তার পুত্র কৃষ্ণ বল্লভ।মির জাপর তার পুত্র মিরন এবং জামাতা মীর কাশেম। ঘসেটি বেগম স্বপ্ন দেখেছিলেন ষড়যন্ত্র করে যেমন করে হউক তার নাবালক পুত্রকেই বাংলা বিহার উড়িস্যার নবাব বানাবেন।এই রকম পরিস্হিতে হঠাৎ করে ১৭৫৬ সালের ১০ই এপ্রিল আলিবর্দী খাঁ মৃর্ত্যুবরন করলে সিরাজ সিরাজ সিংহাসনে আরোহন করেন।
সিরাজ মসনদে বসার সময় ইংরেজদের একটু বাড়তি প্রতাপ দেখে সিরাজ কুঠিয়াল ওয়াটসনকে ডেকে নির্দেশ দেন কলকাতার সব কুঠির ভেঙে ফেলতে।কিন্তু ইংরেজরা তার নির্দেশ অমান্য করলে সে নিজেই গিয়ে ইংরেজদের সব কুঠির ভেঙে দেয়।এখানেও তার বিরত্বের পরিচয় পাওয়া যায়।
---------অসমাপ্ত--