Tuesday, April 28, 2015

সমাজতন্ত্রের প্রবক্তা কে?




                       সমাজ তন্ত্রের প্রবক্তা কে ....?









*সমাজতন্ত্রের প্রবক্তা কে?

* সমাজতন্ত্র   Sicialism কি?

* মাক্সবাদ কি?

* বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র কাকে বলে?

* সাম্যবাদ  Communism  কি? 


* কমিনিষ্ট  Communist  কি?






এ রকম  অনেক প্রশ্নই আমাদের  মাথায় মগজে মননে  আসা স্বাভাবিক।সমাজ তন্ত্রের সঠিক প্রবক্তা কে? আমার কাছে এটা একটা জটিল প্রশ্নই মনে হয়।আমরা সবাই জানি কার্লমাক্সই সমাজতন্তের প্রবক্তা, আসলে কি তাই?এখানে একটু বিশ্লেসন করা দরকার মনে করছি।



এঙ্গেলস
 
 
 
 
 
 
 
 
ফরাসি দার্শনিক রুসো
যেমনি প্রাচিন গ্রীসে খ্রিষ্টপূর্ব ৩০০শত থেকে ৬০০ শত সতাব্দীর মধ্যে ঘটে যায় এক নতুন সভ্যতার বিপ্লব।জন্ম নেন দার্শণিক মহামতি সক্রেটিস, প্লেটো, এরিস্টেটল, ঈশপ, ডেমোক্রেটাস ক্লাইদিনেস    সহ অসংখ্য দার্শণিক।তাঁদের সবারই লেখনে এবং বলনে ফুটে উঠেছে গনতন্ত্রের কথা।পরে প্লেটো এসে রিপাব্লিক নমে বই লিখে এটার সংজ্ঞা বা রুপরেখা প্রনোয়ন করেন।

ঠিক তেমনি ১৪০০ সালের পর থেকে একে একে  সমগ্র ইউরোপ জুড়ে বিশেষ করে ইটালি,ফ্রান্স,জার্মান ইসপেন, সুিইডেন ইংল্যান্ডে জন্ম নিতে থাকেন অসংখ্য বুদ্ধিজিবী তথা কবি সাহিত্যিক দার্শণিক,বিজ্ঞানি, শিল্পি এবং স্তপতি।তাঁদের মধ্যে আবার বেশ কয়জন হয়ে উঠেন কালজয়ি।সেই যুগ বা  সময়টাকে ইতিহাস রেনেসাাঁর যুগ বা নবজাগরণের যুগ বলে।




যেমনঃ-জার্মানী দার্শনিক হেগেল, ফয়ার বাক.কান্তা, গোতে, শিলা, কার্লমাক্স, এঙ্গেলস,বিজ্ঞানি কেপলার ফরাসি দার্শনিক, রুসো, কোঁত, রনি, সহ অনেকে।





১৭৭৯-১৭৯৯ সালের মধ্যে সাম্য, স্বাধিনতা, ভাতৃত্ব, নতুবা মির্ত্যু এই মন্ত্রে, ঘঠে যাওয়া ফরাসি  বিপ্লবের মাধ্যমে ইউরোপে গনতন্ত্র উত্তরনের এক নতুন অধ্যায়ের সুচনা হয়।বিশ্লেশকের মতে দার্শণিক রুসো, জঁ-জাক, রুসোর খুর ধার লেখনিতে সাম্য, সমাজবাদ ফুটে উঠলেও, সমাজবিদ্যা বা সমাজ বিজ্ঞানের প্রবক্তা ছিলেন ওগোস্ত কোঁত।

সে যাই হউক ইমানুয়েল কান্ত, হেগেল ফয়ার বাক সহ অনেকের লেখাতে বিশ্ব শান্তি সমাজবাদ বা সমাজতন্ত্রের কথা উঠে আসলে ও এটার আধুনিক রুপ রেখা প্রনয়ন করেন মহামতি কার্লমাক্স।তিনি এঙ্গেল্সের সাথে যৌতভাবে সমাজ তন্ত্রের বৈজ্ঞানিক ব্যখ্যা দিয়ে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখায়ে দিয়ে গেছেন।সমাজতন্ত্রের মুল রুপরেখা ও দ্বান্ধিক বস্তুবাদ ১৯৪৮ সালের দিকে কমিনিষ্ট পার্টির ইশতেহারে উপস্হাপন করার পর  বিশ্বব্যপি যে ঝড় তুলে, তা আজো সারা বিশ্বে তত্ব ও তাত্বিক ভাবে অত্যান্ত গুরুত্বপুর্ন।
এছাড়া মহামতি কার্লমাক্স দ্যাস ক্যাপিটেল বা পুঁজি নামে বই লিখে সমাজতন্ত্রের রুপরেখা সমাজ পরিবর্তনের উপায় গুলি দর্শণ দৃষ্টিতে বিশ্লেসন করে উপস্হাপন করে দেখিয়ে দিয়েছেন।তার জীবনের শেষ তেতাল্লিশ বছর তিনি ব্যয় করেছেন এই মহা মুল্যবান বইটি রচনার পিছে।জীবিতাবস্হায় মাত্র একখন্ড প্রকাশিত হয়েছিল,আর বাঁকি তিনখন্ড তার মৃর্ত্যুর পর তারি বিশিষ্ট বন্ধু এঙ্গেলস প্রকাশ করেছিলেন।
উনবিংশ শতাব্দী ধরে তো  মার্ক্সবাদের ভিত্তিতে দুনিয়ার মজদুর এক হও, এই শ্লোগানে  ভলশেবিক বিপ্লবের মাধ্যমে দেশে দেশে সমাজতন্ত্র কায়েমের লক্ষে স্বশস্ত্র বিপ্লব শুরু হতে লাগলো।সেই সময় জন্ম নিলেন বেশ কয়জন কালজয়ি বিপ্লবি নেতা।মহাবীর লেনিন, স্টালিন স্ট্রুটস্কোভ, মাও,চেগুয়েভারা, কাস্ত্রো, কিম জন ইল,হোচিমিন,  বাঙ্গালী মানবেন্দ্র রায় সহ অনেকে।

ফরাসি দার্শনিক কোঁত


* সমাজতন্ত্র কি?

এই প্রশ্নের উত্তর খুব সোজা ও স্বাভাবিক।আমরা সবাই শৈশবেই একপাকে জেনেছি যে সমাজতন্ত্রের মানে হলো, সমাজতন্ত্র সম্পুর্ন গনতন্ত্রের বিকল্প রাজনৈতিক অর্থনৈতিক এবং সামাজিক একটা জীবন ব্যবস্হা।আমরা আরো বুঝেছি যে মিলকারখানা প্রাকৃতিক সম্পদ সবকিছু থাকবে রাষ্ট মালিকানায়। পাবলিকের যার যা কিছু লাগবে,অন্ন বস্ত্র বাসস্হান কর্মস্হান, শিক্ষা শান্তি প্রগতি সবকিছু সমবায় ভিত্তিতে প্রয়োজন অনুসারে সুসমবন্টন হবে সবার মাঝে। থাকবেনা সমাজে কোন শ্রেণী বৈশম্য।এমনকি শিক্ষায় দীক্ষায় সুশিক্ষিত হয়ে প্রলেতারিয়েতরাই রাষ্ট ক্ষমতা পরিচালনা করবে।প্রলেতারিয়েত মানে শোসিত জনগন।খেত মুজুর শ্রমজিবী ইত্যাদি।  এটার একটা বৈজ্ঞানিক সমাধানও আছে, যাকে বলে ঐতিহাসিক দ্বান্ধিক বস্তুবাদ, এবং এটা একটা যুগান্তরকারি সমাধান ও।সমাজতন্ত্র কায়েমের পরে আবার সাম্যবাদি সমাজ ব্যবস্হার কথাও বলা হয়েছে।সাম্যবাদ হলো সামাজতন্ত্রে উপরের উন্নত স্তর।সাম্যমৈত্রির ভিত্তিতে সুন্দর শোসনহীন ঝগড়া বিবাধহীন সমাজ ব্যবস্হার কথাই বলা হয়েছে।

  সমাজতন্ত্র (Socialism) হলো দু ধরনেরঃ একটা হলো কল্পোলৌকিক বস্তুবাদি সমাজতন্ত্র, আরেকটা হলো বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র।
কল্পোলৌকিক বস্তুবাদি সমাজতন্ত্র হলো---পুর্ন সমাজতন্ত্র কায়েম করা যাক আর না যাক যতটুকু সম্ভোব শ্রমজিবী মানুষের মঙ্গল করা হবে।কার্লমাক্সের জন্মের আগেও রাজনীতি বীদরা শুধু মুখে মুখে বলে বেড়াত।হলে হলো, না হলে কি যায় আসে--এমন আর কি।

সমাজতেন্ত্রর অনেক গুলি বৈশিষ্টও আছে, যেমনঃ-

* সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্হায় প্যধান বৈশিষ্ট হলো মিল কারখানা খেত-খামার এর সব উপকরন সামাজিক রাষ্ট্রীয় মালিকানাধিন থাকবে।
* এর অর্থনৈতিক ব্যবস্হায় জাতীয় আয় সুষমভাবে বন্টিত হয়।এই অর্থব্যবস্হায় জাতীয় আয় বন্টনের মূলনীতি হলঃপ্রত্যেকে তার নিজ নিজ যোগ্যতা  অনুযায়ী কাজ করবে, এবং কাজ অনুযায়ী পারিশ্রমিক পাবে।এভাবে আয় ও সম্পদের সুষম বন্টন নিশ্চিতের মাধ্যমে ন্যয় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়।
* এই অর্থনৈতিক ব্যস্হায় ব্যক্তি মুনাফার কোন সযোগ থাকে না।
* এই অর্থনৈতিক ব্যবস্হায় দেশের উৎপাদন ও বন্টন ব্যবস্হা দেশ বা সমাজের কল্যানের দিকে লক্ষ রেখে করা হয়।
অর্থ্যাৎ সামাজিক কল্যান সাধনই এই অর্থ ব্যবস্হার মুল উদ্যেশ্য।
* সমাতান্ত্রিক ব্যবস্হায় উৎপাদন, বন্টন, বিনিয়োগ ইত্যাদি ব্যবস্হাপনার জন্য কেন্দ্রিয় পরিকল্পনা কতৃপক্ষ থাকে।
* সমাতান্ত্রিক ব্যবস্হায় শ্রমিকদের শোষনের কোন সুযোগ থাকেনা এবং প্রত্যেকেই সমান সমান সুবিধা ভোগ করে।
*সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতিতে মানুষের সকল মৌলিক প্রয়োজনিীয়তার নিশ্চয়তা করা হয়।
* সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্হায় কৃষি শিল্প শিক্ষা সাস্হ্য, যোগাযোগ প্রভৃতি খাতে যথাযত গুরত্ব সহকারে উন্নয়ন করা হয়।
* সমাজতান্ত্রিক অর্ব্যথবস্হায়  কেন্দ্রীয় কতৃপক্ষের পরিকল্পনা মাপিক সকল অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাই বেকারহীনতা ও মুদ্রাস্ফীতির সম্ভাবনা থাকে না।
* এই অর্থনৈতিক ব্যবস্হায় পরিকল্পিত উপায়ে উৎপাদন ও বন্টন ব্যবস্হা পরিচালিত হয় বিদায় অতিউৎপদন বা কম্ৎপাদন সন্কট দেখা দেয় না।
* সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্হায় দ্রব্যের মূল্য পুঁজিবাদের ন্যয় চাহিদা ও যোগানের ঘাত প্রতিঘাত অনুযায়ী নির্ধারিত হয় না। কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা কতৃপক্ষই দ্রব্যসাগ্রীর দাম নির্ধারন করে থাকে।


আজ বড় হয়ে যাহা বুঝেছি, আমার কাছে মনে হয়. গনতন্ত্র আর সমাজতন্ত্র আসমানের চাঁদ আর সুর্য এর মত দুটি গ্রহ বা নক্ষত্র।যা ধরা ছোঁয়ার বাহিরে কিংবা ক্রোশ ক্রোশ মাইল দুরে। সত্যিই সেটা আমাদের নাগালের অনেক অনেক দুরে।যেটা দেখা যায় অতচ কোন দিন ধরা যায় না ছোঁয়া যায় না, শুধু অনুভব উপভোগ করা যায়। পৃথিবীর কোথাও আজ পর্যন্ত গনতন্ত্র সমাজতন্ত্র বলতে যা বুঝায় তা বাস্তবায়িত হয়নি।  নেতারা শুধু এ দুটি শব্দকে নিজ স্বার্থে ব্যবহার করে যাচ্ছে। হত্যা ধর্ষন খুন গুম ভয় ভীতি ধর পাকর দেখায়ে গনতন্ত্র সমাজতন্ত্র কোনদিনও হয়না হতে পারেনা।কায়েম হয় শুধু একপ্রকার আজিব স্বৈরতন্ত্র। আজ পৃথিবীতে হচ্ছেও তাই।

আমাদের বাংলাদেশে আজ ছোট বড় প্রায় ৪৮টা সমাজ তন্ত্র বাদী বা বামদল আছে।কেউ রুশ পণ্হি, কেউ চিন পণ্হি, কেউ আবার ল্যাটিন আমেরিকা পন্হি। কেউ শ্রেণী সংগ্রামের মাধ্যমে স্বশস্ত্র বিপ্লব করে সমাজতন্ত্র কায়েম করতে চায়।আবার কেউ সমাজিক গন আন্দোলন বা বিপ্লবের মাধ্যমে বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র কায়েম করতে চায়।আবার আরেক দল আছে যারা বুর্জোয়াদের, ধনিদের কল্লা কেটে সমাজতন্ত্র কায়েম করতে চায়।
তাজ্জব ও অবাক হওয়ার ব্যপার হলো বাংলাদেশে বড় দুটা দলের মুলনীতি বা মতাদর্শ ও হলো সমাজতন্ত্র কায়েম করা।এবার যতটুকু সম্ভোব ততটুকু।
আঃ লীগের মুলনীতি হলে---গনতন্ত্র, সমাজ তন্ত্র,জাতীয়তাবাদ, ও ধর্মনিরপেক্ষ।
বিএনপি র মুল নীতি হলো--- আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস, গনতন্ত্র, সমাজ তন্ত্র, ও জাতীয়তাবাদ।

আসলে এটা হলো নষ্টমাথার নষ্ট রাজনিতী ছাড়া আর কিছুই নয়।রাজনীতির নামে ভন্ডামি  ভাওতাভিাজি ও প্রতারনা মাত্র।
 
 
 
 
 



মার্ক্সবাদ কি--?
মহামতি কার্লমাক্সের দৃষ্টিভঙ্গি তার লেখা দর্শণভিত্তিক বই এবং দিকনির্দেশনা সমূহই হচ্ছে মূলত মার্ক্সবাদ।তার নামানুসারে তারি বিশিষ্ট বুন্ধফেড্রিক এঙ্গেলস মাক্সবাদ শব্দটি ব্যবহার শুরু করেছিলেন।মার্ক্সবাদ হলো একটি সার্বিক ও সামগ্রিক চিন্তাধারা সমাজ বা রাষ্ট্র দর্শণ।মাক্সবাদ হলো দ্বান্দিক ও ঐতিহাসিক বস্তবাদের মুলভিত্তি বা স্তম্ভ।এটা একটি সামগ্রিক তত্ব উপাত্ত সম্বৃদ্ধ চিন্তাধারা।যা যে কোন জ্ঞান বিজ্ঞান শৃঙ্খলাতেই প্রয়োগ সম্ভোব।লেলিনের মতে মার্ক্সবাদ হলো মহাশক্তিমান স্বত্বা।এটি একটি বিশ্বাসযোগ্যও গ্রহন যোগ্য মতবাদ।জগতকে ব্যাখ্যা করা নয় তাকে বদলে দেওয়াই মার্ক্সবাদের মূল বৈশিষ্ট।

যখন তৎকালিন দার্শণিক আর সমাজপতিরা গরিবি এবং শ্রমজিবী মানুষের দুর্দশাকে নিয়তি আর ঈশ্বর কতৃক অবধারিত বলে প্রলেতারিয়েতের উপর জুলম নির্যাতন চালাতেন। তখন মার্ক্স এসে বললেন না এটা একটা সামাজিক এবং ঐতিহাসক বৈষম্য ছাড়া আর কিছুই নয়।মার্ক্সের উদ্দেশ্য হলো সমাজের এই অর্থনৈতিক সামাজিক বৈশম্য কমিয়ে সমতা ভিত্তিক সুসমবন্টনের মাধ্যমে নতুন সাম্যবাদী সমাজ ব্যবস্হা কায়েম করা।


---চলবে


-----ফারুক, জার্মানী।














অজ্ঞসব জনপ্রতিনীধি,

সত্যই শক্তি, সত্যই সুন্দর,