উপন্যাস--

                                

                                     মর্মভেদী  

                                                 একটি সম্পূর্ন  উপন্যাস

                                

                                                     

                             

  

 

 

                                                                (এক)

 শীত কাল,--

বৈশ্বিক আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশে এখন শীত কালে প্রচন্ড শীত আর গরম কালে প্রচন্ড গরম পড়িতেছে।শীত কালে যেমনি কন্ কনে শীতে অস্তি মজ্জায় সুড়সুড়ি লেগে কাঁপুনি ধরে, তেমনি গরম কালে শিরায় উপশিরায় শিড়শিড় করে খবর হয়ে যায়। কড়কড়ে গরমে মনে হয় যেন শরিরটা গলে গেল, এমন বীড় বীড় অবস্হা।

এমন খর তাপে কত মানুষ যে মরেও যায়। কে তার হিসেব রাখে--?

সরকার কিংবা স্বাস্হ অধিদপ্তরের কাছে কি আছে তার সঠিক পরিসংখ্যান?

উত্তর হলো নাই। থাকলে তো খবর পাওয়া যেত।

ঠিক এই সময় সংঘঠিত হলো একটা ভয়ানক দুর্গঠনা!

অন্যায় অনিয়ম অশৃঙ্খলের এ দেশে প্রতিদিন প্রতিক্ষন কতই না দুর্গঠনা ঘঠে। জঙ্গিবাজ চাঁদাবাজ চোর ডাকাত, সন্ত্রাস, রাজনৈতিক সন্ত্রাস, আগুন পেট্রল বোমায় প্রতারক খুনি নব্য মলম পার্টির হাতে  আর সড়ক দুর্গঠনায় কত যে নিরীহ মানুষ অকালে অসময়ে  প্রাণ হারাচ্ছে।আহা-! কত অশ্বাভাবিক অপমর্ত্যু হচ্ছে আমাদের এই বাস যোগ্য সুন্দর পৃথিবীতে।আমাদের এই সহজ সজিব শ্যামল সোনার বাংলাদেশে।আজ সমগ্র বিশ্বেই বড় নিদারুন করুন মর্মভেদীতে আক্রান্ত মানব জাতি। উহু-! কি কষ্টের এ মানব জীবন।

কিন্তু আজ বাংলাদেশে সংঘঠিত এই দুর্গঠনাটি অত্যান্ত মর্মভেদী।আলোচিত এই দুর্গঠনার কবলে পড়েন একজন ইটালিয়ান নাগরিক।বিমানের ব্ল্যাক বক্সের মত অকুস্হলে ভিকটিমের পাশেই পাওয়া গেল একটি ছোট স্মার্ট ফোন।তত্ত্ব ও  রহস্য  উদঘাটনের একমাত্র উপাত্তই হলো এ ফোনটি।বাংলাদেশ ক্রাইম ব্রাঞ্চ সে সুত্র ধরেই ইনভেষ্টিগেসেন শুরু করলো।

দিনটি ছিল একদিকে ঘুষমুক্ত থানার উদ্ভোধনের জন্য সুনির্দিষ্ট একটি দিন, অন্যদিকে আমেরিকা ফেরত মিস রানিয়া চৌধুরির পুলিশ ইন্নিসপেক্টর হিসেবে চাকুরিতে জয়েন্ডের নির্ধারিত প্রথম দিন।

 

 

 

-----চলবে--