সিরিয়া বাসীর জন্য আজ আমার বড়ই দুঃখ হয়,কষ্টও হয়।তার প্রথম কারন হলো আমার যাযাবর জীবনের প্রায় দুটা বছর আমি সিরিয়াতে অবস্হান করেছি। আমি সিরিয়াকে খুব কাছ থেকে গুরেফিরে দেখেছি।সিরিয়ার কৃষ্টি কার্লচার, সিরিয়ার এক রোখা প্রকৃতি, সিরিয়ান আসল নাগরিকদেরকে আমি প্রাণ ভরে ভালবেসেছি।সিরিয়া লেভানন এই দুটা দেশেই আমার জীবনের দুটা বসন্ত কেটেছে।তবে বেশির ভাগ সময় সিরিয়াতেই কেটেছে আমার। দামেস্কের অদুরেই সৈয়দা জনাব মাজার সন্মুখেই ছিল আমার বাসা।
দ্বিতীয় কারণ হলো সিরিয়া হলো প্রাচীন সভ্যতা গুলির সুতিকাগার।মেছোপটিনিয়ার পাশাপাশি সময়েই সিরিয়ায় সভ্যতা গড়ে উঠে।যা খ্রিঃপুর্ব প্রায় দশ হাজার বছর পূর্বে।খালিফাদের আমলে সৌদিআরবের আল হেজাজ প্রদেশের মত বৃহত্তম এলাকা নিয়ে আল শাম প্রদেশ গঠিত হয়। উমাইয়া খলিফাদের আমলে দামেস্কো হয়ে উঠে সমগ্র মুসলিম বিশ্বের রাজধানী। বহু জাতি ধর্ম বর্ণের মানুষ হাজার হাজার বছর ধরে শান্তি পুর্নভাবে বসবাস করে আসছিল।শিল্প সাহিত্যে দর্শণে বিজ্ঞানে দামেস্কো ছিল রোমানদের চেয়েও অগ্রগামি।রোমান সম্রাটরা সিরিয়া থেকেই আর্কিটেক্ট এনে কলোসিয়াম ও বিখ্যাত মন্দির গুলি নির্মান করেছেন।সভ্যতার সেই ঐতিহাসিক শহর আজ বোমা বারুদের আঘাতে ধংশস্তুপে পরিণত হয়েছে।
সৈয়দা জনাবে শিয়া মুসলমানদের প্রসিদ্ধ বড় মাঝার শরিফ।।বিবি জয়নাবকে নাকি এজিদের লোকেরা এনে ওখানে
বন্দি করে রেখেছিল, এবং বন্দিবস্হায় তাঁর ইন্তেকাল হয়।বিবি জয়নাবের কবরকে গিরেই শিয়ারা গড়ে তোলেছে এই মাঝার। প্রতিদিন হাজার হাজার ইরানি শিয়ারা উন্নতমানের লাক্সারিয়াস টুরিষ্ট বাসে করে এসে মাঝার সামনে নামতো। মহিলারা কালো বোরকা পড়ে সমস্ত শরিরটাকে ঢেকে রেখে, মুখটা খোলা রেখে নামতো, আকাশের চাঁদের মত ঝল ঝল করতো তাদের মুখ।, আর পুরুষরা মাথায় সপেদ পাগড়ি বেঁধে, গায়ে বড় বড় আছকান পড়ে থাকতো।বা
বাস থেকে নেমেই তারা ইয়া আলীেইয়া হোসেন, ইয়া জয়নাব বলে কেউ কেউ বুকে থাপরাইয়ে সাড়ি সাড়ি মাঝারের ভিতরে প্রবেস করতো।তারা মাঝারের সোনা রুপার রেলিং এর মোটা মোটা পাইপে চুমা খেতে খেতে খয় করে চিকন করে ফেলেছে।মাঝারের সাথেই এডজাস্ট বড় মসজিদ। আমি অনেক বার শিয়াদের সাথে সেই মাঝার মসজিদে নামাজ পড়েছি।সেই ছৈয়দা জয়নাবের মাঝারকে আমি আজো মিস করি।
আমি সিরিয়া অবস্হান কালে সিরিয়ার বেশ কয়েকটি এলাকা যেমন-- তারতুস, আলেপ্প, হোমস, আল নাবাক সহ বেশ কয়েকটা শহরে গুরে ফিরে দেখেছি।তবে দর্ষণীয় স্হান গুলির মধ্যে দামেস্কোই অন্যতম।পুথি পুস্তকের লেখা আল শাম শহরই আজকের আধুনিক দামেস্কো শহর।ধারনা করা হয় ফারাউ রাজা টুটমুসুস এর নামানুসারে এই দামেস্কো শহরের নামকরণ করা হয়।আর আসুরা জাতির নামানুসারে প্রাচীন গ্রীসিয় ভাষায় এই সিরিয়া নামকরন করা হয়।
সেই যাই হউক, এই দামেস্কো শহরেই এজিদের রাজ প্রসাদ, দাউদ (আঃ) এর হাতে নির্মিত উমাইয়া মসজিদ, হাবেসী বেল্লাল, সখিনা কুলছুম, জাকারিয়া নবীর মাঝার ঈমান হোসেন সহ আটারো জনের কল্লার মাঝার, সম্রাট সালাউদ্দিনের সমাধি সহ অসংখ্য মাঝার শরিফ, ও ঐতিহাসিক স্তাপনা এই দামেস্কো শহরেই অবস্হিত। প্রাচীন ইতিহাস, ঐতিহ্য, শিল্প সাহিত্য,সাংস্কৃতি জ্ঞান গুনের ভান্ডার ছিল এই দামেস্কো শহর।ঈমাম গাজ্জালী, ইবনে তাইমিয়ার, আলবেরুনী সহ অসংখ্য জ্ঞানি গুনি এই শহরেই জ্ঞান সাধনা করেছিলেন।
সিমিত সম্পদ, নানা দল মত, সুন্নি ,শিয়া, আলাওয়ি, দ্রুজ, খ্রিস্টান সম্প্রদায় নিয়ে সাবলম্বি সিরিয়া বেশ সুখে শান্তিতে ছিল।কিন্তু আজ সেই সিরিয়া ইউরো মার্কিনীদের রোসানলে পড়ে আই এস টেররিস্ট কতৃক ধুলির সাথে মিশে গেছে।শান্তি প্রিয় সিরিয়া বাসী আজ ইউরোপে উদভাস্তুু হতে যেয়ে সমুদ্রে ডুবে মরছে হাজারে হাজার।যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছে পাঁচ লক্ষাধিক নিরীহ মানুষ। নারী শিশু বুড়ো, জোয়ান। পঙ্গু হয়েছে লক্ষ লক্ষ। তুর্কি. জর্ডান, লেভাননে অমানবিক ভাবে বসবাস করিতেছে লক্ষ লক্ষ উদ্ভাস্তু। ধুলির সাথে মিশে গেছে পার্লমিরা সহা অসংখ্য ঐতিহাসিক স্তাপনা।
বিশ্ব বিবেক, মানবতা আজ কোথায়?বিশ্ব মাস্তান আর দুষ্ট চক্ররা আজো সিরায়াকে নিয়ে নষ্ট রাজনিতীর খেলায় মেতেছে।জাতি সংগও আজ সিরিয়ার ব্যপারে নিরব দর্ষকের ভুমিকা পালন করিতেছে। মুসলিম মোড়ল ওহাবীরা ও আজ সিরীয়া বাসীর জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে না দিয়ে বরঞ্চ আই এস টেররিষ্টদেরকে সহযোগিতা করছে, নিরীহ মানুষের কল্লা কাটতে।ধনি আরব রাষ্ট্র গুলি সিরিয়ার দুর্গত মানুষদের পক্ষ না নিয়ে ইহুদী নাসরাদের পক্ষ নিয়েছে।
----চলবে
সৈয়দা জনাবে শিয়া মুসলমানদের প্রসিদ্ধ বড় মাঝার শরিফ।।বিবি জয়নাবকে নাকি এজিদের লোকেরা এনে ওখানে
বন্দি করে রেখেছিল, এবং বন্দিবস্হায় তাঁর ইন্তেকাল হয়।বিবি জয়নাবের কবরকে গিরেই শিয়ারা গড়ে তোলেছে এই মাঝার। প্রতিদিন হাজার হাজার ইরানি শিয়ারা উন্নতমানের লাক্সারিয়াস টুরিষ্ট বাসে করে এসে মাঝার সামনে নামতো। মহিলারা কালো বোরকা পড়ে সমস্ত শরিরটাকে ঢেকে রেখে, মুখটা খোলা রেখে নামতো, আকাশের চাঁদের মত ঝল ঝল করতো তাদের মুখ।, আর পুরুষরা মাথায় সপেদ পাগড়ি বেঁধে, গায়ে বড় বড় আছকান পড়ে থাকতো।বা
বাস থেকে নেমেই তারা ইয়া আলীেইয়া হোসেন, ইয়া জয়নাব বলে কেউ কেউ বুকে থাপরাইয়ে সাড়ি সাড়ি মাঝারের ভিতরে প্রবেস করতো।তারা মাঝারের সোনা রুপার রেলিং এর মোটা মোটা পাইপে চুমা খেতে খেতে খয় করে চিকন করে ফেলেছে।মাঝারের সাথেই এডজাস্ট বড় মসজিদ। আমি অনেক বার শিয়াদের সাথে সেই মাঝার মসজিদে নামাজ পড়েছি।সেই ছৈয়দা জয়নাবের মাঝারকে আমি আজো মিস করি।
আমি সিরিয়া অবস্হান কালে সিরিয়ার বেশ কয়েকটি এলাকা যেমন-- তারতুস, আলেপ্প, হোমস, আল নাবাক সহ বেশ কয়েকটা শহরে গুরে ফিরে দেখেছি।তবে দর্ষণীয় স্হান গুলির মধ্যে দামেস্কোই অন্যতম।পুথি পুস্তকের লেখা আল শাম শহরই আজকের আধুনিক দামেস্কো শহর।ধারনা করা হয় ফারাউ রাজা টুটমুসুস এর নামানুসারে এই দামেস্কো শহরের নামকরণ করা হয়।আর আসুরা জাতির নামানুসারে প্রাচীন গ্রীসিয় ভাষায় এই সিরিয়া নামকরন করা হয়।
সেই যাই হউক, এই দামেস্কো শহরেই এজিদের রাজ প্রসাদ, দাউদ (আঃ) এর হাতে নির্মিত উমাইয়া মসজিদ, হাবেসী বেল্লাল, সখিনা কুলছুম, জাকারিয়া নবীর মাঝার ঈমান হোসেন সহ আটারো জনের কল্লার মাঝার, সম্রাট সালাউদ্দিনের সমাধি সহ অসংখ্য মাঝার শরিফ, ও ঐতিহাসিক স্তাপনা এই দামেস্কো শহরেই অবস্হিত। প্রাচীন ইতিহাস, ঐতিহ্য, শিল্প সাহিত্য,সাংস্কৃতি জ্ঞান গুনের ভান্ডার ছিল এই দামেস্কো শহর।ঈমাম গাজ্জালী, ইবনে তাইমিয়ার, আলবেরুনী সহ অসংখ্য জ্ঞানি গুনি এই শহরেই জ্ঞান সাধনা করেছিলেন।
সিমিত সম্পদ, নানা দল মত, সুন্নি ,শিয়া, আলাওয়ি, দ্রুজ, খ্রিস্টান সম্প্রদায় নিয়ে সাবলম্বি সিরিয়া বেশ সুখে শান্তিতে ছিল।কিন্তু আজ সেই সিরিয়া ইউরো মার্কিনীদের রোসানলে পড়ে আই এস টেররিস্ট কতৃক ধুলির সাথে মিশে গেছে।শান্তি প্রিয় সিরিয়া বাসী আজ ইউরোপে উদভাস্তুু হতে যেয়ে সমুদ্রে ডুবে মরছে হাজারে হাজার।যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছে পাঁচ লক্ষাধিক নিরীহ মানুষ। নারী শিশু বুড়ো, জোয়ান। পঙ্গু হয়েছে লক্ষ লক্ষ। তুর্কি. জর্ডান, লেভাননে অমানবিক ভাবে বসবাস করিতেছে লক্ষ লক্ষ উদ্ভাস্তু। ধুলির সাথে মিশে গেছে পার্লমিরা সহা অসংখ্য ঐতিহাসিক স্তাপনা।
বিশ্ব বিবেক, মানবতা আজ কোথায়?বিশ্ব মাস্তান আর দুষ্ট চক্ররা আজো সিরায়াকে নিয়ে নষ্ট রাজনিতীর খেলায় মেতেছে।জাতি সংগও আজ সিরিয়ার ব্যপারে নিরব দর্ষকের ভুমিকা পালন করিতেছে। মুসলিম মোড়ল ওহাবীরা ও আজ সিরীয়া বাসীর জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে না দিয়ে বরঞ্চ আই এস টেররিষ্টদেরকে সহযোগিতা করছে, নিরীহ মানুষের কল্লা কাটতে।ধনি আরব রাষ্ট্র গুলি সিরিয়ার দুর্গত মানুষদের পক্ষ না নিয়ে ইহুদী নাসরাদের পক্ষ নিয়েছে।
----চলবে