Saturday, September 23, 2023

অজ্ঞসব জনপ্রতিনীধি,

সত্যই শক্তি, সত্যই সুন্দর,

রাজনীতির গুন্ডা বাহিনী,

                                                 সত্যই শক্তি, সত্যই সুন্দর,


 

                                                                    
এখন রাজনীতীবিদরাই রাজনীতি বুঝেনা, সাধারণ মানুষ বুঝবে কি করে? অবশ্য অনেক রাজনীতিবিদই পলিটিকেল সাইন্স ডিগ্রিদারী আছেন।কিন্তু পলি্টিকেল পিলোসপি বলে যে একটি বিষয় আছে এটা অনেকেই জানেন না।
মুনাফাখোর ব্যবসায়ি দুর্নীতিবাজ আমলা আলিয়ান্স গ্রোত্র রাজনীতিটাকে নিয়ন্ত্রন করছে।
আগে তাদের নিজের আখের গোঁছায়ে পরে দেশ কিংবা জনগন।জনগনের কথা ভাবার জন্য তাদের কাছে সময় কই?
সাধারণ পাব্লিকরা তো কলুর বলদের মত, মালিক চোখ বন্ধ করে ঘানিতে জুড়ে দিয়েছে, বস বোকাচোদা বলদ ঘানি টানতেই আছে।এলাকার মোটা তাজা মাস্তান সন্ত্রাসীরা সাধারণ মানুষকে নানা লোভ লালসা এবং অর্থের বিনিময়ে দলে ভিড়ায়, মিছিল মিটিং এ নিয়ে রাস্তা কাঁপায়, পরে আবার আপনি যদি রাষ্ট্রিয় মৌলিক সেবা প্রতিষ্টান সমূহে ঠেকায় পড়েন , অর্থ্যাৎ কোর্ট কাছারি গ্যাস বিদ্যুৎ পানির অফিসে এমন কি হাসপাতালে থানায়, বাজারে যে কোন জায়গা বাড়ি দখল জমিন দখল টেন্ডার বাজি, সব জায়গায় এই সব সন্ত্রাসী এলাকার মাথা মোটা নেতারা দুদিক থেকেই অর্থ্যাৎ আপনার কাছথেকেও খাবে, বড় কর্তার কাছ থেকে লামসাম   দালালী করে আপনার টাকা খাবে, আপনাকে জায়গায় জায়গায় দৌড়াবে, হয়রানি করবে।
এলাকাতে যত প্রকার অঘটন ঘটবে, মারামারি খুনখারাবি ধর্ষন সব কিছু িএই সব তৃণমুলের মাথা মোটা নেতাদের ধারাই সংঘটিত হয়।

সমাজের অসংঘতিগুলো,

সত্যই শক্তি, সত্যই সুন্দর,

Friday, September 22, 2023

মাইজদীর কর্তব্যহীন কর্মকর্তাগন###

জাতির যত বিষপোঁড়া#

                                           
                                                                          সত্যই সুন্দর


(১) আ,স,ম আব্দুরব: মানে হলো আসল সয়তানের মুল,  চরাঞ্চলের লাঠিয়াল গোত্র থেকে উঠে আসা এই আসল সয়তানের মুল, জনাব  আস, স, ম আবদু রব।চরাঞ্চলের লাঠিয়ালরা হয়ে থাকে সাধারণত হাওলাদার এবং জোতদারদের গোলাম ।এরা  মেথর পট্টি, জেলে কিংবা দুর্দর্শ চোর ডাকাত থেকে উঠে এসে চালায় লুটতরাজ। নিরীহ কৃষকের ধান পাট  গবাধি পশু লুটকরা মারধর করাই এদের প্রধান কাজ। জনাব রব সাহেবও সেই গোত্রের লোক।বৃহত্তম নোয়াখালির সন্তান হিসেবে তিনি চৌমুহানি সালে আহম্মদ কলেজে পড়া কালে ্আওয়ামী ছাত্র সংঘটন ছাত্রলীগের সাথে জড়িত হয়ে  পরিচিতি পান। সয়তানের মহা গুরু জনাব সিরাজুল আলম খান এবং তোফায়েল আহম্মদের ঘনিষ্টতার সুবাধে তিনি জাতির জনকেরও সানিধ্যে লাভ করে স্নেহভাজন হয়েছিলেন।৭২ সালের অক্টোবর পর্যন্ত তিনি ছাত্রলীগেরই তুখোর নেতা ছিলেন।শুনা যায় তিনি নাকি প্রথম স্বাধীনতার পতাকা উত্তলন কারি। আসলে এগুলো সবি  ‍ভূয়া ও  প্রপাগান্ডা।
১৯৭২ সালের ১০ই জানুয়ারি জাতির জনক পিন্ডির কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে স্বদেশের মাটিতে ফিরে এসে আবেগে আফ্লুত হয়ে ধ্বংশস্তুপের উপর দাঁড়িয়ে স্বনির্ভর দেশ গড়ার আহব্বান জানান,  তখন যুদ্ধপরাধি স্বাধিনতা বিরোধি শুক্তিকে নিয়ে জার্মানী হিটলারের নাৎসী বাহিনীর আদলে এর ছাত্রলীগ থেকে বাহির হয়ে রাতারাতি জাসদ ঘটন করে নাৎসী বাহিনীর মতই সদ্য স্বাধিন দেশে ত্রাসের রাজত্ব করে এক ভয়ঙ্কর নৈরাজ্য সৃষ্টি করেন।এই জাসদই ছিল ঐক্যবদ্য জাতিকে বহুধাভিবক্ত করে স্বাধিন দেশে দুর্বৃত্তের  বিষবৃক্ষ বপনকারি।
এই জাসদের কারণেই স্বপরিবারে জাতির জনক নিহত হলেন, এই জাসদের কারণেই জেনারেল জিয়া এরশাদের উত্থান হলো, আরো বিষ বৃক্ষের আগাছার জন্ম হলে।
ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস! ৭২ এর ৩১শে আগষ্ট রাতারাতি যে জাসদের সৃষ্টি হলো, সেই জাসদ আবার এক রাতেই ভেঙে খান খান হয়ে আট ভাগ হলো।

(১)







































Thursday, September 21, 2023

সভ্যতার ব্যঙ্গহাসিতে মাইজদীর উকিল পাড়া...

                                                                         













 জানিনা এই লেখার কারণে ৫৪ ধারায় আমার নামে মামলা
 হয় কিনা?মামলা হউক আর না হউক আমি মাইজদীর সন্তান, আমি লিখে যাব অনিয়মের কথা!



আমাকে জন্ম দিয়েছে এই রুপসি গাঁ মাইজদী।মাইজদীর মান মর্যাদা রক্ষা করতে অন্যায় অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বলতে আমি দৃঢ় প্রতিজ্ঞা বদ্ধ।এবার  চাই আমার হউক ফাঁসি কিংবা মৃর্ত্যুদন্ড।
কোথায় থেকে শুরু করবো প্রিয় মাইজদী বাসী, আর কোথায় শেষ করবো, আমি খৈ হারিয়ে ফেলেছি আজ। তিনমাস দেশে অবস্হান করেছি, বেশ কয়বার আমাকে মাইজদীর কোর্ট কাছারিতে যেতে হয়েছে।
বাহ! কি অনিন্দ সুন্দর মাইজদীর বিখ্যাত বড় দিঘীকে গিরে হারিয়ে যাওয়া পম্পে নগরের আদলে গড়ে উঠা দালান কোঠা তথা বড় মসজিদ, মুনসেপ কোর্ট, জজকোর্ট এবং জুডিসিয়াল  ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট এর নির্মান শৈলি দেখলে যে কারো্রই মনে হবে এটা রন্ডন ফ্যারিস, কিংবা ভেনিসের কোন প্রসাদ।রোমিও জুলিয়েটরা নিশ্চয় এখানেই বসত করে।

না আপনি ভূল ভাবছেন। এটা হলো মাইজদীর উকিল পাড়া। এই কোর্ট কাছারিকে ঘিরে পাঁচ শতাধিক উকিল বারিষ্টার ছাড়াও এখানে অবস্হান করেন, শতে শতে জর্জ ম্যাজিস্ট্রেট, নাজির সেরস্তা্ টাইপ রাইটার হিসেব রক্ষক, বেঞ্চ সহকারি টেবিল সহকারি, চৌকিদার দারোয়ান মুহুরী ফেসকার ড্রাইবার হেলাপার,ইলেক্ট্রিকার মেকানিকার আরও কত কি কি।
দিঘীর দক্ষিন পাড়ে জজ কোর্ট এর পুর্বে মসজিদের সামনে গিয়ে মিসুক নামের আমার রিকসা থামতেই ফাইল হাতে নেমে রিকসাওলাকে ভাড়া দিয়ে দাঁড়ালাম। রঙবেরঙের  বেশ কয়টি মঠর সাইকেল দাঁড়িয়ে আছে উন্মমুক্ত পার্কে। উপরে ছাল আছে বেড়া নাই।রঙবেরঙের বাইক সবগুলিই ব্র্যান্ডেড।
একজন তরুন একটি মঠর সাইকেল বাহির করে পাঁ দিয়ে দুতিন বার লাথি মেরে স্টাট দিল। বাইকের সামনে এ্কটি সাইনবোর্ডে লিখা এডভোকেট।পিছনে আরেক তরুন এসে বললো, কিরে স্বশুরের দেওয়া বাইক স্টাট লয় না বুঝি।
আমি চেয়ে রলাম আনাড়ির মত তরুন ল-ইয়ার আমার সামনে দিয়ে বাইক চালায়ে চলে গেলেন।
ফাইল হাতে ভিতরে গেলাম, ভিতের একটা স্পেসে বসে মধ্য বয়সি এক লোক বই বিক্রি করছে। ভাবলাম ঘরে বুক সেল্পে রাখার জন্য কয়টা বই কিনবো।যদিও বই গুলি আমার ই রিডারে আছে।সব গুলিই আইনের বই। তিনটা বই ঠিক করে আলাদা করলাম কিনবো বলে। একজন পরিচিত উকিল এসে বললেন আরে এগুলো চটি বই কি কিনছেন? আপনাকে আইনের বই আমি কিনে দিব।
বই আর কেনা হলো না, হঠাৎ করে এম্বুলেন্সের শব্দ শুনে চমকে উঠলাম।দেখি দুজন লোক ধরে এম্বুলেন্সে বসাচ্ছে একজন হার্ট ফেল করা মুমুর্ষ েলোককে। কালো কসটিউম গায়ে লোকটির ধরে নিলাম সেও উকিল।
 তারপর জিজ্ঞাসিবার পালা, আমি যে উকিলের কাছে এসেছি তার  চ্যাম্পার কোথায়?একজন দেখায় এদিকে আরেক জন দেখায় ওদিকে। কমেডিয়ান বানুর অবস্হা হলো আমার। আধা ঘন্টা খোঁজার পর আমার সেই হবু উকিলের চ্যাম্পারের নাম্বারটা পেলাম। ৬- ৮ স্কোয়ার পিটের একটি রুম।বেশ কয়জন মক্কেল বসে দাঁড়িয়ে আছে।আমি অবাক হলাম কবুতরের খুপড়ির মত মাইজদীর বিখ্যাত বিখ্যাত উকিলদের চ্যাম্পার।
তাঁহারা সবাই সুশিক্ষিত আইনের রক্ষক এবং ভক্ষক।অযতনে পড়ে আছে ভুক্তভোগি মানুষের কোটি কোটি টাকার ফাইল দলিল পত্র। ফাইলের উপর ফাইল, পাঁচ সাত টাকার ফাইল সব এলোমেলো একটু সাজানো গোছানো নেই।
দেওয়ানি ফোজদারি, কত রকেমের আইনজ্ঞ তাঁহারা। প্রতিদিন আইনের সেবা নিতে আসেন চোর ডাকাত সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ, ব্যবসায়ি সওদাগর পকেট মার ধর্ষিতা নারী ভুমিগ্রাসি কত রকমের ভূক্তভোগি।
আইনের সেবা দান কারিরা হাতের ইশারায় শুধু বলেন মাল দেন খাড়ু পড়ায়ে দিমু, খাড়ু খুলে দিমু এটা কিছু পগতিশীল উকিলের সাংকেতিক ভাষা।
লাল চা হলো মাইজদী উকিল পাড়ার প্রধান পানিয় বস্তু।তাও আদা কাপ। একদিন এক মেসিয়ারকে জিজ্ঞেস করলাম কিরে এত কম চা দেস কারে? ছেলেটি ঝটাপট উত্তর দিলেন স্রারেরা কিছুক্ষন পর পর শুধু চা ই তো খান। আমার প্রশ্ন আর কিছু কান না? ছেলেটি বললো ইনকাম অনুযায়ি, বিস্কিট সিংগড়া চমুছাও খান।
যাঁহাদের ৬-৭ স্কোয়ার পিটের চ্যাম্পার আছে তাঁহারা মোটামুটি ধনি।আর যাঁহারা গাদাগাদি করে দশ বিশ জন এক সাথে বসেন তারা দরিদ্র প্রকৃতির।ষাট বছর দরে ওকালতি করেন এমন লোককেও আমি দেখেছি।যে রুমে বসেন তাঁহারা সেই রুমের টেবিলে সফেত যেই টেট্রন কাপড়ের চাদর বিছানো হয়েছে, তা কোন বেওয়ারিশ রাশের গায়েও দেওয়া হয় না। হত দরিদ্র উকিল দের গায়ে কালো কালো কসট্রিউম বা কোট প্যান্ট দেখলে গা ঘিন ঘিন করে। আ হারে মাইজদীর উকিল  শ্দেরদ্রদার কসটিউম।ডাম্পের মানে কয়লার ইস্তারি করতে করতে কসটিউম স্টিলের পাতের মত ঝক মক করছে।সিগেরেট ফুঁকতে ফুঁকতে তাদের দু হাতের আঙ্গুল নামাযি কোন মুমিনের কপোলের কালো ম্যাজের মত হয়ে গেছে।
অস্ট্রেলিয়ান কোটি কোটি টাকায় নির্মিত হয়েছে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট।দেখতে দৃষ্টি নন্দন স্হাপত্য হলেও  ভিতরে বাহিরে সামনে পিছনে ময়লার বাগাড়।যেখানে সেখানে ময়লা থুথু পানের পিছকি সিগারেটের পোঁধ পড়ে আছে।বালির দখল তো বহুদিনের।

অজ্ঞসব জনপ্রতিনীধি,

সত্যই শক্তি, সত্যই সুন্দর,