Tuesday, February 13, 2018

রুপা ছিল আমাদেরই মেয়ে--!


সম্পর্ক-টা এল কিভাবে-?

আমি সব সময় নিজেকে প্রশ্ন করি, মানব সমাজের মাঝে এই যে পারিবারিক বন্দন বন্ধু বান্ধব রিস্তা কিংবা সম্পর্ক,এই সম্পর্কটা এল কি ভাবে? কেন বা এল? আসলেই কি দরকার ছিল সম্পর্কের?এই যে মা-বাবা, ভাই-বোন সন্তান সন্ততি, বিংবা স্বামী-স্ত্রির মত নৈসর্ঘিক একটা সুন্দর সম্পর্ক।
আমরা দেখতে পাই মানব সমাজে সম্পর্ক বা রিস্তা দু-রকমের হয়ে থাকে। একটা হলো রক্তের সম্পর্ক, আর অন্যটা হলো সম্প্রিতির মাধ্যমে। একে অপরকে দেখে শুনে ভালো লাগা থেকে ভালবাসা কিংবা প্রেম প্রিতীর মাধ্যমে সম্পর্ক হয়ে থাকে।মাঝে মধ্যে দেখা যায় রক্তের সম্পের্কের চেয়েও সম্প্রিতির সম্পর্কটা মহৎ হয়ে দাঁড়ায়।এমন কি সম্প্রিতির সম্পর্কের কাছে রক্তের সম্পর্ক তুচ্ছ প্রমাণিত হয়।অনেক সময় প্রচলিত আইনের উর্ধে উঠে আসে মানবিক সম্পর্ক।ভারতের সর্বোচ্চ আদালত এমন একটি বিশ্মকর ঘঠনার রায় দিয়েছে।

যে ভাবেই হউক সম্পর্কটা এসেছে মানব সমাজের মঙ্গলের জন্যই এসেছে।প্রেমপ্রিতী ভালবাসা পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা ও সন্মান করার এক অনন্য বহিপ্রকাশ হলো এই সম্পর্কটা।কিন্তু দুঃখের কথা হলো মানুষের এই সুন্দর সম্পর্কটা আজ আর অটুট নেই।এই সম্পর্কের সন্মান ধরে রাখতে মানুষ আজ চরম ভাবে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। মানুষের মাঝে আজ পরস্পরের প্রতি বিন্দু মাত্র সন্মান বোধ নেই।

যদি থাকতো আমাদের এই সমাজ ব্যবস্হাটা অন্যরকম হতো। প্রয়োজন হতো না গনতন্ত্রের সমাজ তন্ত্রের। প্রয়োজন হতো না আইন কানুন কোর্ট কাছারি পুলিশ থানা পাঁড়ির।মানব সমাজের মাঝে এই সম্পর্কের বৈশিষ্ট ভেঙে পড়ার কারণেই আজ সমাজের এই অবক্ষয়।এত খুন খারাবি ধর্ষন লুটের মত লোমহর্ষক ঘটনাবলি।
আজ টাঙ্গাইলের কালিহাতির মেয়ে রুপা হত্যার রায়ে চারজন ধর্ষককে আদালত সর্বচ্চ সাস্হি ফাঁসির  দিয়েছে। ফাঁসি কার্যকর অবশ্যই হবে।একটা জগন্য অপরাধের জন্য এই সাজাই তাদের প্রাপ্য।কিন্তু একটা সভ্য সমাজের জন্য এটা মোটেই কাম্য নয়।একটা প্রাণের জন্য চারজনের প্রাণ আজ চলে যাবে।এই পৃথিবীতে মানুষ আসেই বা কয়জনের জন্য।কেন মানুষ এমন কুৎসিত জগন্য ঘটনা গুলি ঘটায়?
সেদিন কি ঘটেছিল--?
ল-কলেজে পড়ুয়া মেয়েটি ঢাকা থেকে ছোঁয়া নামক পরিবহনের একটি বাসে করে বাড়ি ফিরছিল।পরিবারের অসচ্ছলাতার কারণে মেয়েটি একটি বিপনি বিতানে চাকুরি করে নিজের পড়ার খরচ চালাচ্ছিল,পাশাপাশি নিজের পরিবারকেও সহযোগতিা করে আসছিল।এমন সাহসি মেয়ে অবশ্যই প্রসংসার যোগ্য।পিতৃহার মেয়েটি বাসবর্তি বাসে করেই নির্ভয়ে যাচ্ছিল।কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস কালিহাতি পোঁছানোর আগ পর্যন্ত একে একে সব যাত্রি নেমে গেল মেয়েটি একা বসে আছে পিছনের সিটে।মেয়েটিকে একা পেয়ে বাসের ড্রাইবার হেলফার কন্ট্রাকটর পাঁচজন পুরুষ মিলে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে হত্যা করে জঙ্গলে লাশটি ফেলে চলে গেল। কি ভিবৎস একটি ঘটনা। পরদিন পুলিশ খবর পেয়ে বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে দাপন করে ফেলল।পত্রিকায় ছাবি দেখে রুপা নামের মেয়েটির ভাই তার বোন বলে সনাক্ত করে থানায় মামলা করলো।তারপর গন দাবিতে আদালত এই রায় দিল।
ধর্ষণের আগে মেয়েটি লম্পটদেরকে নিজের কাছেছ থাকা পাঁচ হাজার টাকা ও মোবাইল সেটটা দিয়ে বললো ভাই তোমরা এগুলি নিয়ে যাও, তবু তোমরা আমাকে অত্যাচার করোনা ভাই প্লিজ আমি খারাপ মেয়ে না। এই কুৎসিত লম্পটগুলি ভাই নামের রিস্তার দোহাইটার  একটুও মর্যাদা  রাখল না। ধিক্কার জানাই এই সব জানোয়ারদেরকে।
রুপা আমার আপনার মেয়ে, রুপা এই সমাজের এই রাষ্ট্রের মেয়ে। রুপাদের ইজ্জত  এই সমাজ রাষ্ট্রর ইজ্জত।রুপার ইজ্জত আমার আপনার সকলের ইজ্জত। সবার কর্তব্য রুপাদের ইজ্জত ও জীবন রক্ষা করার।এই সমাজ থেকে দুর করতে হবে।

 

ক্ষমতা ভয়ঙ্কর জয সঙ্কর--!



ক্ষমতা ভয়ঙ্কর জয় ভ্রাতা সঙ্কর--!তুমি আজ সর্বময় ক্ষমতার অধিকার,বঙ্গ-কে করতে পার ভঙ্গ ভঙ্গ আরেকবার। লোকে বলে বলুক তোমাকে কুলাঙ্গার, বলে বলুক দুর্নীতির বরপুত্র কিংবা খাম্বা চোর--তাতে কি ? ভ্রাতা সঙ্কর! রাজ তীলক লেগেছে তো কপোলে তোমার। অর্থে বীত্তে,সামর্থ্যে আদিপত্তে তুমি আজ স্বয়ম্ভর।জয় জয় ভ্রাতা সঙ্কর--!

সহীদের রক্তে ভেজা প্রবিত্র এই মাটির পরে আবার,অবাধে চলবে তোমার অবৈধ অস্ত্রের চোরা কারবার।হাওয়া ভবন খাওয়া ভবন কত বানাতে পারবে,ধ্বংশের নীল নকসা আরো কত আঁখবে।বেদাঁড়ার পক্ষে কি না সম্ভব?বৃকোদর পান্ডব,তুমি বড় ভয়ঙ্কর--!

১,বাংলাদেশে আজ চলছে ভয়ঙ্কর ক্ষমতার লড়াই। কিসের ক্ষমতা? রাষ্ট্র ক্ষমতা। শুধুই কি রাষ্ট্র ক্ষমতা? না না ভাই এর পিছনে আরো অন্য কিছু আছে। মানব সভ্যতার শুরু খেকেই মানব সমাজের মধ্যে যুগে ‍যুগে চলেছে এই ক্ষমতার লড়াই, ধন্ধ সংঘাত। রক্তাক্ত যুদ্ধ,রণক্ষেত্র কুরুক্ষেত্র কত কিছু আমরা পড়েছি দেখেছি শুনেছি, এমন কি দেখিতেছিও অবিরাম।

এখন মনে প্রশ্ন জাগা সাভাবিক যে এই লড়াই-টা কিসের জন্য--?

উত্তরটা হলো---লড়াইটা হলো তিন রকমের।১-,আদর্শের লড়াই, ২,- ক্ষমতার আদিপত্তের লড়াই।৩,সম্পদের লড়াই।

 

তিনটাই ভয়ঙ্কর জিনিস। এখানে মানুষের জান মালের সংসার সমাজ সম্পদ প্রতিষ্টান  রাষ্ট্রের এমন কি সভ্যতারও ভয়ঙ্কর পতন বা ধংশ হয়ে থাকে বেশি।

 

বাংলাদেশে আজ চলছে কেমন লড়াই-?

বাংলাদেশে আজ চলছে একদিকে আদর্শের লড়াই।অপর দিকে চলছে আদিপত্তের লড়াই। একদিকে চলছে হাসান হোসেনের সাথে সিমার এজিদের লড়াই। আদর্শ ও আদিপত্তের লড়াই।

১,--

বড় ভাই হাসান খালিফাত্ব  পেয়েও মাত্র ছয় মাসের মাথায় ক্ষমতাটা মুআবিয়ার হাতে চেড়ে দিলেন। কারণ ছিল হাসান দেখেতে পলেন সমগ্র আরব জুড়ে বহুর্মুখি লড়াই চলছে।মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর ইন্কোলের সাথে সাথে ঔনার দেহ মোবারকটার জানাজা ও দাপন ছাড়াই নব্য মুসলমানরা  নিজেদের মধ্যে নিজেরাই শুরু করছে এক ভয়ঙ্কর লড়াই।এই লড়াইয়ের কারণে হাসানের পিতা হযরত আলী রাঃ নিশংস ভাবে হত্যা হলেন । এক দিকে শিয়া বা আলী পক্ষ,অন্যদিকে শাশুড়ি আয়েশা পক্ষ,একদিকে খারেজি অন্য দিকে মুআবিয়া পক্ষ।চৌতুর্মুখি লড়াইয়ে প্রতিদিন হতাহত হচ্ছে অগনিত মানুষ।বিজ্ঞ ও বুদ্ধিমান হাসান ব্যপারটা বুঝে শুনে এই অনাঙ্খিত লড়াই থেকে দেশবাসিকে মুক্তি দেওয়ার জন্য ক্ষমতার মসনদটা চেড়ে দিলেন। কিন্তু ছোট ভাই হোসেন মোটেই মেনে নিতে পারলেন না। তার মধ্যে ছিল ক্ষমতা লাভের আকাঙ্খা।বড় ভাই হাসান অনেক বুঝালেন। তার পর ও হোসেন প্রায় দুআড়াইশ সাহাবী নিয়ে কুফা নগরির দিকে রওনা হলেন।মুআবিয়া পুত্র এজিদ এই খবর শুনে ঘোষনা করে দিলেন যে লোক হোসেনের কল্লা কেটে এনে দামেস্কের রাজ দরবারে  দিতে পারবে। তাকে একলক্ষ স্বর্নমুদ্রা উপহার দিবে। তার পরেরটা শুধু রক্তক্ষরণ আর রক্তাক্ত ইতিহাস।আমার সোভাগ্য হয়েছে দামেস্কো শহরে হোসেনের কল্লার মাঝার জিয়ারত করার ।

২,---উসমানি খালিফাত্ব প্রায় সাড়ে ছয়শত বছর জারি বা কায়েম ছিল।বর্তমান ৪০টি স্বাধিন রাষ্ট্র তৎকালীন উসমানি খালিফার অধিনে ছিল।৩০ জন খালিফা এই বিশাল খালিফাত্ব শাসন করেছিল।এই খালিফাদের মধ্যে সুলতান দ্বিতীয় মুরাদ শুধু ক্ষমতার লোভে তার  আঠার জন ভাইকে নির্মম ভাবে হত্যা করেছিল।আমার সোভাগ্য হয়েছে ইস্তানভুলে এই ১৮ ভা্ইয়ের  কবর জিয়ারত করার। সারি সারি হাতে বুনা কালিনে সাজিয়ে শোয়ায়ে  রাখা হয়েছে কবরগুলি।

৩,ক্ষমতার লোভে সোদিআরবের সবচেয়ে জনপ্রিয় বাদশাহ ফয়সলকে হত্যা করেছিল আপন ভাতিজা।

৪,ক্ষমতার লোভে নেফালের যুবরাজ আপন পিতামাতা সহ হত্যা করেছে পুরো রাজ পরিবারকে। এই তো সেই দিনের কথা। ২০০১ সালের জুন মাসের ঘটনা। রাজা বিরেন্দ্র ছিলেন নেপালের রাজতন্ত্রের ইতিহাসে সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজা। উত্রিশ বছরের যুবরাজ  গুলি করে নিজ পিতাকে হত্যা করে মৃতদেহের উপর বারবার লাথি মেরে ঘৃনা প্রকাশ করেছে জগন্য এই যুবরাজ।২০০৮ সালে এই রাজ পরিবারের বিলুপ্ত ঘোষনা করা হয়।এমন অসংখ ভুরি ভুলি ঘটনার কথা অকপটে বলা যায়।

৫,-শধু ক্ষমতার জন্যই ১৫ই আগষ্ট মোস্তাক জিয়া রশিদ ফারুক ডালিমচক্র জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে মানব ইতিহাসের সবচেয়ে ভিবৎস ঘটনার জন্ম দিয়েছে।এই হত্যাকান্ডের মাধ্যমে একটি গৌরবান্মিত জাতিকে চিরতরে কলঙ্কিত করা হয়েছে।এই হত্যা ছিল একটি আদর্শকে হত্যা করে ক্ষমতা দখল করার হত্যা।কিন্তু মুর্খরা কোনদিন ভাবেনি যে আদর্শের মৃর্ত্যু নেই।বঙ্গবন্ধু ছিলেন একটি পরিপূর্ন আদর্শ।এই আদর্শের একটি দার্শণিক ভিত্তি আছে।

 

আজ অনেকেই খুনি জিয়াকে বঙ্গবন্ধুর সাথে তুলনা করে। হায়রে  বেদাঁড়া বেত্তারা কোন নবী পয়গম্বরের সাথে যেমনি ফেরাউনের তুলনা করা চলেনা।তেমনি বঙ্গবন্ধুর সাথে জিয়ার মত একজন খুনির  তুলনা করা চলে না।

 

অজ্ঞসব জনপ্রতিনীধি,

সত্যই শক্তি, সত্যই সুন্দর,