মিথ্যাবাদির দল বিএনপি লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
মিথ্যাবাদির দল বিএনপি লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

সোমবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

ইসলামের লেঁজ কাটা কুকুরেরা!

                                                                                                                                                             

আচ্ছালা মালাইকুম  ওবারা কাতুহু শুনো হে দুনিয়ার মানব সন্তানেরা!


      
প্রকৃত ইসলাম বলে কি? আর ইসলামের লেঁজ কাটা কুকুরেরা বলে কি? আমার প্রিয়  শান্তির ধর্ম এই ইসলাম সম্পর্কে লেঁজ কাটা নিলর্জ কুকুরদের মুখে আর কোন  ফতুয়া বা অপব্যখ্যা শুনতে চাই না।জীবন ভরে এই সব নেড়ি কুত্তাদের মুখে অনেক গেউ গেউ শুনেছি।অনেক দেখেছি তাদের ভন্ডামি,আজ তাদের পরিচালিত কোন মাদ্রাসা মসজিদে যেতে আমার ইচ্ছেই করে না। তাদের পিছনে বসে আমার দুরাকাত নামাজ পড়তে ইচ্ছে করে না।আমি শৈশব থেকেই ইসলামের প্রতি দুর্বল ছিলাম, আমি শৈশবেই  আমার মা এর কাছে প্রকৃত ইসলামের শিক্ষা ও দীক্ষা গ্রহন করেছি। আর এই দীর্ঘ প্রবাসে বসেও ইসলামি বইপুস্তক হাদিছ কিতাব পড়ে ইসলাম সম্পর্কে যতেষ্ট জেনেছি।ইসলামের আসল সত্য আজ আমার কাছে ধরা দিয়েছে।আর সেই কারনেই এই সব লেঁজ কাটা কুকুরদের বিরুদ্ধে কিছু লিখে এবং প্স্বরয়োজন বোধে স্বশস্ত্র যুদ্ধ করে জিয়াদের জন্য আমি দৃঢ় প্রতিজ্ঞা বদ্ধ হয়েছি।

ইসলাম বলে কি? আর লেঁজ কাটা কুকুরেরা বলে কি?
আরবি আল্ ইসলাম শব্দ দিয়ে শান্তির ধর্ম ইসলামের নাম করন করা হয়েছে। ইসলাম শব্দের প্রকৃত অর্থ হলো আত্মসমর্পন। আর ধর্মিয় ভাবে ব্যখ্যা করে বললে এর অর্থ হয়, অদেখা এবং নিরাকার সর্বশক্তিমান আল্লাহ এবং তার প্রেরিত ঐশি গ্রন্হ আল কোরআন ও তাঁর প্রিয় হাবিব আমাদের পেয়ারে মুহাম্মদ (সাঃ)ও তাঁর প্রচারিত সত্য ধর্ম ইসলামের আকিদা সমূহকে মনে প্রানে বিশ্বাস করে নিজেকে সমর্পন এবং বিশ্বাস করার নামই হলো ইসলাম, আর বিশ্বাস কারীকেই  প্রকৃত মুসলমান বলা হয়।

ওহে দুনিয়ার মানব সন্তান শুনো!
তোমরা মন দিয়ে আমার কথা শুনো! শুধু লম্বা কোর্তা লম্বা দাঁড়ি আর কারুকাজ করা গোল টুপি পড়লে প্রকৃত মুসলমান হওয়া যায় না, যাবেও না কোন দিন। ইসলামি মাদরাসায় বড় বড় হাদিছ কিতাব পড়ে বড় বড় টাইটেল লয়ে আলেম ওলেমা আল্লামা সেজে ভূল ভ্রান্তি ভরা ওয়াজ নছিহত করে বা ইসলামের অপব্যখ্যা করে ফতুয়া দিয়ে ঝোলা ভরলে হবেনা, প্রকৃত ইসলামের পথ থেকে তোমরা সরে গিয়ে কাপের হয়ে সেরেকি গুনাহ  করছ কিনা সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

মহা নবী জিবীতাবস্হায় ভবিষ্যত বাণি করে গেছেন যে আমার মির্ত্যুর পর ইসলামে ৭৩টা দলে ভিবক্ত হবে, কিন্তু আমার খাঁটি ইসলামি দল হবে একটাই, আর তারাই জান্নাতবাসি হবে। আর বাঁকি ৭২টাদলই হবে জাহন্নামী। নবিজীর আগাম বাণি অক্ষরে অক্ষরে সত্য প্রমানিত হয়েছে।আজ বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর ভিবিন্ন দেশে সত্যিই ৭৩টি ইসলামি দল গঠিত হয়েছে। খাঁটি মহা নবীর কোন দল সেটা চেনাই মুসকিল হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশে আজ কেউ জামাতি কেউ হেপাজতি,  কেউ আহলে হাদিছ, কেউ আবার আহলে সুন্নুা,কেউ মাইজভান্ডারি, কেউ আটরশির পীর কেউ আবার শাহাবগি কুতুববাগি মতাদর্শ জাহের করিতেছে, এরা সবাই ইসলামের দৃষ্টিতে এক একটি লেঁজ কাটা কুকুর। তারা ইসলামের অপব্যখ্যা দিয়ে প্রকৃত মুসলমানকে শেরেকি  ‍গুনাহর মধ্যে নিজ্জিত করাচ্ছে।

মুলত মহা নবীর ইন্তেকালের পরই তাঁর স্তলাভিসক্ত বা উত্তরাধিরী নিয়েই মুসলমানের মধ্যে দন্ধের সৃষ্টি হয়। সেই সময়ই মহান এই ইসলাম ধর্মের অনুসারিরা দ্বিধাভিবক্ত হয়ে পড়ে। এক দল সুন্নি আর একদল শিয়া-ই আলি, বা আলির গোস্টি নামে। সেই শিয়াতে আবার উগ্রবাদি চরমপন্হি নামে আরেক দল সৃষ্টি হয়ে খারেজি নামে আখ্যা পেল। সেই খারেজি থেকে পরবর্তিতে ইছমাইলী, আলাওয়ী,দ্রুজ, সালাফি , ওহাবী আহম্মেদী, মওদুদী,এবং সর্বশেষ গোলাম আজমীতে এসে ঠেঁকেছে।

সেই সময় খারেজিরা দুটা কারনে ফতুয়া দিত। এক,প্রবিত্র কোরা্নে মযিদে ৭০ হাজার আয়াত নাকি আল্লাহ পাক নাযিল করেছেন, কিন্তু সুন্নিরা মাত্র ৬৬৬৬টি প্রকাশ করেছেন।দুই,হযরত আলীই মহা নবীর প্রকৃত উত্তরাধিকারি বা উত্তরসরি, এবং তিনিই খালিফা হওয়ার যগ্য। আবুবক্কর নহে।

সেই খারেজির অনুসারিরা পর্যায়ক্রমে এসে ইবনে তাইমিয়ার নেতুত্বে সালাফি, ইবনে আবদুল ওহাবের নেতৃত্ ওহাবী এবং মওদুদীর নেতৃত্বে জামাতি মতবাদ গঠিত করেছে।উপমহাদেশে তথা বাংলাদেশে মওদুদীর একজন খাঁটি সাকসেসর হিসেবে গোলাম আজম দায়িত্ববার গ্রহন করলেও তাতে ভাগ বসান দেল্লা রাজাকার ওরফে দেলোয়ার হোসেন সায়েদি।

ইবনে তাইমিয়ার মনুষ্য আকৃত বিশিষ্ঠ আল্লাহ তাআলার আকৃতি হিসেবে ফতুয়া দিলেও,গেলাম আজম ফতুয়া দিয়েছিলেন প্রবিত্র কোরআনের প্রথম সুরা ফাতেয়া না হয়ে সুরা আল বাকেরা হওয়া উচিত ছিল বলে। দেখুন এবার  কত বড় নাস্তিক ও কাপের, খোদার উপর খোদাগিরি। এই সব নাস্তিক সয়তানরাই আজ বাংলাদেশে জ্বালাও পোড়াও, ভিন্ন ধর্ম মতের মাুষকে নির্বিচারে হত্যা করছে। এরাই ইসলামের লেঁজ কাটা কুকুর।এদেরকে বাংলার মাঠি থেকে চিরতরে বিতাড়িত করতে হবে।যেমনি ভাবে স্ব স্ব দেশ থেকে বিতাড়িত হয়েছে তাদের পুর্বসুরিরা।

তবেই মহা নবীর সুন্নাহ এবং আকিদা সুমুহ এক ও অদ্বিতীয় হয়ে থাকবে বাংলার মাটিতে,তবেই আমরা হানেফি মাযহাবের মুসলমানেরা আত্মায় শান্তি পাবো, ইনশআল্লা।


                                ------মোহাম্মেদ ফারুক, জার্মানী।

রবিবার, ১১ জানুয়ারী, ২০১৫

মিথ্যাবাদির দল বিএনপি

সদ্য স্বাধিন হওয়া  বাংলাদেশের প্রথম আমাদের প্রবিত্র সংবিধান প্রনয়ের সময়, বঙ্গবন্ধুর দিক নির্দেশনায়  প্রধানত মুল  চারটি স্তম্ভের উপর ভিত্তি করেই সংবিধানটি রচিত হয়।যেমনঃ- গনতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, জাতিয়তাবাদ,এবং ধর্ম নিরপেক্ষতা।পৃথিবীর কোন দেশে এমন আধুনিক, এবং যুগান্তকারি সংবিধান রচিত হয়েছে  কিনা আমার জানা নেই।

তবু অবৈধ ভাবে রাষ্ট ক্ষমতা ধখল করে জেনারেল জিয়া আমাদের সেই প্রবিত্র সংবিধানের পাতায় বিসমিল্লা জুড়ে দিয়ে আরো প্রবিত্রতার নামে প্রপাগান্ডা ও ভাওতাভাজির জালজালিয়াতি শুরু করে দিলেন।বঙ্গবন্ধু ও  জেলখানায় বন্দী অবস্হায় আমাদের জাতিয় চার নেতাকে নির্মম ভাবে হত্যা করে তিনি ইনডেমেনেটিব নামে এক কালো আইন ও জুড়ে দিলেন সংবিধানের পাতায়।তার মানে খুনিদের কোনদিন বিচার করা যাবেনা।

তারপর তিনি হ্যাঁ না ভোট দিয়ে নিজেকে নিজেই বিজয়ি ঘোষনা করে নিজের ক্ষমতা আরো পাকা পোক্ত করে তিরিশ লাখ শহিদের রক্ত  আর দুলক্ষাধিক মা বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমাদের শ্রেষ্ট অর্জন স্বাধিনতা ও সংবিধানকে খন্ডবিখন্ড করতে লাগলেন।একে একে তিনি সংধিানের পাতা থেকে সমাজ তন্ত্র, গনতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, উঠিয়ে দিয়ে তিনি জাতিয়তা বাদির নামে রাজ কোষের কুঠি কুঠি টাকা খরচ করে এবং জনগনের রিলিপের টাকা  মেরে  জাতিয়তাবাদি দল নামে একটা অদ্ভূদ রাজনৈতিক প্লাটপরম গঠন করেন।অবশ্য পৃথিবীর সব সৈরচাররাই এমনটাই করেন বা করেছেন।যেমন, হিটলার, মুসোলিনি, পিনোসেট,মুভরতো, সুকোর্ন,সাদ্দাম, গাদ্দাপি, আতাতুর্ক আরো অনেক।

জেনারেল জিয়া এই প্লাটপরমের মাধ্যমে সর্বমোট এগারটা দল গঠন করার পর ও আবার গ্রাম সরকার গ্রাম চৌকিদার এমন কি ডান বাম দলের প্রগতি শিল এবং প্রতিভাবান নেতাদেরকে লোভ লালসা দেখিয়ে চরিত্র হরন করার লক্ষে মন্ত্রি মিনিস্টারের পদ পদবি দিয়ে অতবা রাজকোষের কুঠি কুঠি টাকা দিয়ে কিনতে লাগলেন। আর যুদ্ধা অপরাধিদেরকে পুর্নবাসিত করে করে  তিরিশ লাখ শহিদের আত্মাকে কষ্ট দিতে লাগলেন।

মিথ্যাচার দিয়ে শুরু করা স্বৈরচার জিয়ার সেই জাতিয়তা বাদী প্লাটপরম আজ অবধি মিথ্যাচারই করে যাচ্ছে।তারা একের পর এক মিথ্যাচার করে জাতিকে বিভ্রান্ত ও ভিবক্ত করার অপচেস্টা করছে।এই প্লাটপরমের প্রথম সারির সব নেতাই মিথ্যাবাদি ও প্রপাগান্ডা কারি। তন মধ্যে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান তো জগন্য মিথ্যাবাদি। 

জাতিয়তা বাদী নাম ধারি এই ধখল দার দল, নব্বই দশকের শুরুতে বাংলাদেশি না বাঙ্গালী এই  বিতর্ক তুলে পুরো জাতিকে ভিবক্ত করার পাঁয়তারা করে।তার পরে হঠাৎ করে একদিন তুললো জেনারেল জিয়াই স্বাধিনতার প্রকৃত ঘোষক।আজব কথা মুক্তি যুদ্ধের নয় মাস আমরা রেডিও বুকে লয়ে গুমাতাম, কোনদিন স্বাধিনতা ঘোষনা তো দুরের কথা কোনদিন আত্মগোপন কারি জিয়া নামে এই মুক্তি যোদ্ধার নামও শুনিনি।স্বাধিনতার পঁচিশ বছর পরে এসে এই অদভূত পঁচা কথা জাতিকে শুনতে হলো।

তারপর ১৫ই আগস্ট সকালে জাতির কিছু কুলাঙ্গার ছেলে বাংলাদেশের স্তপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানকে পরিবারের ১৭জন সদস্যসহ নির্মম ভাবে স্বপরিবারে হত্যা করে।যে মর্মান্তিক ঘঠনা কারবালার ইতিহাসকে পর্যন্ত হার মানিয়েছিল। আর সেই ১৫ই আগস্ট আসলেই বেগম জিয়া ভূয়া জন্মদিনের কি মহা উৎসব পালন করেন।কেক কাটেন,গান বাজনা করেন মদ খান, আরো কতো কিছু করেন।


আর এখন আবার তাদের অপকর্ম ঢাকা দেওয়ার জন্য নতুন করে তুলছে জিয়াই ছিল বাংলাদেশের প্রথম রাষ্টপতি।মিথ্যা বাদীদের মুখে কি জগন্য আজব কথা। স্বাধিনতার অনেক পরে এসে জানতে পেরেছি জেনারেল জিয়া ছিলেন আমাদের স্বাধিনতা যুদ্ধের পিছের সারির ২১ নাম্বার ব্যক্তি।আর সেই ২১ নাম্বার ব্যক্তিকে এতদিন ২১ থেকে ১ বাদ দিয়ে ২ নাম্বার বানানোর চেস্টো করা হয়েছে, আর আজ দেখি আবার ২১ থেকে ২ বাদ দিয়ে ১ নাম্বার বানানোর চেস্টা করা হচ্ছে।কি আজব অবিশ্বাস্ব কথা!

                                   ----------মোহাম্মেদ ফারুক, জার্মানি।

ভিন্ন মতালম্বিকে হত্যা করা কি ইসলামে জায়েজ আছে?

গত কয় বছর ধরে বাংলাদেশে বেশ কয় জন মুক্তমনা তরুন  ব্লগার কবি সাহিত্যিক সাংবাদিক এমন কি ভিন্ন মতালম্বি ধর্মিয় কয়জন নেতাকে চাপাতির কোপে আর খঞ...