Sunday, April 18, 2021

এ ভাবে হাঁটতে হাঁটতে একদিন...

                    


আজ আঠরই এপ্রিল, রোজ রবিবার।
ইউরোপ জুড়ে বন্ধের দিন, সপ্তাহিক ছুটির দিন,
দোকানপাট সব বন্ধ, প্রায় নিঃষ্প্রাণ নিরব নিস্তব্দ-
 চারিদিকে পশু পক্ষি  জনমানব হীন।
ঘরে বসে বসে ভোর হচ্ছি,একটু বাহিরে 
হেঁটে আসলাম।বেশ কিছুক্ষন হাঁটতে হাঁটতে নীল 
আকাশের গায়ে একপাশে দেখলাম দুরন্ত মেঘ বালিকারা 
খেলা করছে।আরেক পাশে দেখলাম অবোধ শিশুর মত সাদা মেঘেরা 
ঘুমাচ্ছে। মাঠে মাঠে সবুজ ঘাঁসেরা সতেজ হয়ে উঠছে।
গাছে গাছে নতুন কুঁড়ি, বুঝি বসন্তের আগমনি গানের সাজানো মঞ্চ,
 গ্যালারি খালি দর্ষক হীন। 
এভাবেই হাঁটতে হাঁটতে ফিরে এলাম ঘরে।
সময় কাটছে তুমিবিনা বিমূর্ত্যু এক পরিবেশে।
বিশাল এক এপার্টমেন্ট, চারদেয়ালের বন্দিখানা,
বড় বড় সাতটি কাঁচের জানালা, একটি কাচের  
বাঁকি সাতটি কাঠের দর্জা, ভিতরে বসে মূর্তমান 
আমি একা,দোলনা  কেদারায় বসে গ্লাসের ভিতর দিয়ে 
দেখছি প্রাণোবন্ত দুরের দিগন্তকে।
এভাবেই দেখতে দেখতে--
হয়তো বা কোন একদিন নিভে যাবে দু নদীর আলো।
হয়তো বা বিবর্ণ হবে লাবণ্য অবয়বের জ্যোতি,
হয় তো বা বন্ধ হয়ে যাবে অনবদ্য জীবনের জলপ্রপাত।
সেদিন কেউ আর আমাকে দুঃখ কষ্ট যন্ত্রনা দিতে আসবেনা,
দুহাতে ঝড়ায়ে ধরে তুমি ও আর ভালোবাসবেনা।
ভূলে যাব অকারণে গত জীবনের যত মান অভিমান,
ভুলে যাব যাপিত জীবনের সকল গিতী কবিতা।
ভুলে যাব চেনা জানা শুনা সকল মুকগুলো। 
ভুলে যাব নৈঃসর্গের সকল সোন্দর্যকে।
এ ভাবে হাঁটতে হাঁটতে একদিন হঠাৎ করে চলে যাব
অচেনা অজানা কোন পৃথিবীতে।
বিশ্বাস করো, কছম খেয়ে বলছি,
একদিকে আমার তাড়া করছে করোনা,
আরেক দিকে তাড়া করছে দুষ্ট সমাজের যত যন্ত্রনা,
বোধ হয় এবার মরে গেলেই বাঁচি।
না না বাবা না-
একদল নাস্তিক আছে- তারা বলবে মৃর্ত্যু কামনা,
কবিরা গুনাহ।হায় হায় কবি-রা কি বুঝে,
কি জিনিস কবিরা গুনাহ?
                    ১৮,০৪.২১, জার্মানী,

কুলাঙ্গারদেরকে বলছি...

                                                              






আমরা সব কিছু দেখছি এবং শুনছি।
হ্যেই স্বদেশের যতসব কুলাঙ্গার গভেটের দল,
হ্যাঁ তোদেরকেই বলছি।শোন মিরজাফরের বংশধর,
গাদ্দার রাজাকারের আন্ডা বাচ্চারা শুন তোদেরকে বলছি।
শহীদের রক্তে ভেজা স্বদেশের প্রবিত্র মাটি নিয়ে তোরা যারা ষড়যন্ত্র 
করছিস,  তোদের একটিকেও আমরা ছাড়বোনা।
আমরা জানি এবং বুঝি  স্যোসাল মিডিয়ায় দেখছি-
তোরা বৃটেনে বসে স্বদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছিস 
একদল বিলাতি খানকির পোলারা।
আমেরিকায় বসে গাদ্দারী করছিস একদল মার্কিনী মাদার চোদে রা।
কানাডায় বসে নিমকহারামি করছিস একদল ভিকিংগাদের 
জারত সন্তান। অষ্ট্রেলিয়ায় নিউজিল্যান্ড জাপান কোরিয়া
দেশে বিদেশে রক্ত সঙ্কর বর্ণ সঙ্কর আর্যমার্য পাকি রাজাকার 
যে রক্তই তোদের রক্তের সাথে মিশে থাকুক না, 
আমাদের রক্ত মাথায় উঠলে, খোদার কছম, তোদের একটাকেও ছাড়বো না।
তোরা সব শুনে রাখ জেনে রাখ!
পাকিস্তানি হায়েনা কে আমরা ছাড়িনী,
রাজাকার আলবদর কে ছাড়িনী,
তোদেরকেও ছাড়ার প্রশ্নই উঠেনা।
সবাধান! হুষিয়ার! এখনও ধর্য্য ধেরেই আছি।
ধর্য্যচ্যুতি হলে একটিরও রক্ষা নাই।
শুন ধর্মের জল্লাদ বাহিনীরা শুন!
যে ধর্মে উগ্রবাদীতা হিংসা বিদ্বেশ শেখায়, 
সেই ধর্মকে আমরা ঘৃনা করি।
যে ধর্মে শেখায়না, সহিষ্ণুতা বিনয় নম্রতা ভদ্রতা 
সে ধর্মকে আমরা প্রত্যাখ্যান করি।
 যে ধর্ম বিধানে লেখা নেই সাম্য মৈত্রি, প্রেম ভালোবাসা,
 সে বিধানকে আমরা চিড়ে ফেলবো।
বোকা আর বিবেকহীন মানবতহীন মানুষেরা কোনদিন
ঈশ্বর প্রেমিক হতে পারেনা।
নির্মোহ সত্য আমরা জাতিকে জানিয়ে দেবো।
 তোমাদোর মুখোশ উন্মেচন করে দেবা।
ফাঁসি কিংবা এনকাউন্টারে তোমাদের মৃর্ত্যু আমরা 
নিশ্চিত করবোই করবো।
                              ১৮,০৪,২১, জার্মানী,

সব কিছু লিখে রাখছি ...



সব কিছু লিখে রাখছি নিপুন হাতে,  

আমার  এই ডায়েরিতে,
  আমার এই নষ্ট কলমে।
তোমাদের সকল জুলম অত্যাচার অবিচার,
কথা লিবো,অন্যায় অরিয়মের কথা  লিখছি,
তোমাদের নির্যাতন নিপিড়নের কথা লিখছি,
ভূক্তভোগি জাতিকে উসকে দিতে  লিখছি,
আগামি প্রজন্মকে সব জানিয়ে দিতে আমি লিখছি,
নিপুন হাতে, আমার ডায়েরিতে, আমার এই নষ্ট কলমে।

তোমাদের উশৃঙ্খল উন্মাদনার কথা আমি লিখছি।
হরতাল অবরোধ, মিছিল মিটিং জ্বালাও পোড়াও,
নিরীহ মানুষ হত্যা, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কথা আমি লিখছি।
রাষ্ট্রিয় সম্পদের ধবংশ লীলার কথা আমি লিখছি।
রাজকোষের কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার,
ব্যাংক  লুট হরি লুট ঘুষ দুর্নীতি ভুমি দস্যুদের বিরুদ্ধে আমি লিখছি।
তোমাদের  অশুভ-আর অপশক্তির বিরুদ্ধে এটাই আমার মোক্ষম অস্ত্র।
তোমাদের রাক্ষস খোক্কোস দজ্জালের বংশকে ধংশ করেতেই আমি লিখছি।
তোমাদের ভাঁড়াটিয়া লাখো শ্রমিকের মিছিলের সামনে দাঁড়িয়ে 
প্রতিরোধ প্রতিহত করা আমার একার পক্ষে সম্ভব নয়।
তাই বিস্তারিত লিখে রাখছি।
আমি ঘোট ঘোট অক্ষরে লিখে রাখছি,
তোমাদের সকল অপকর্মের কথা।
আমি লিখে রাখছি  ভন্ড লুইচ্ছা লাফাঙ্কা ধর্মব্যপারি মামুনুলের 
রিসোর্ট কান্ডের কথা।আমি লিখছি ধর্মের অপব্যখ্যা অপব্যবহারকারী 
ফতুয়া বাজদের কথা।আমি লিখে রাখছি, বোরকায় আবৃত নারীর 
অপমানের কথা। আমি লিখছি পায়জামা পাঞ্জাবি দাঁড়ি টুপির অপমানের কথা।
আশি লিখে রাখছি ইসলাম ও মুসলমানের অপমানের কথা।
আমি লিখে রাখছি তোমাদের সকল কৃতকর্ম গুলি।
এগুলি লিখে রাখা দরকার বলেই লিখছি।
কারণ আমি জানি তোমাদের সকল অপকর্ম নিয়ে একদিন সিরিয়াল নাটক
সিনেমা হবে।গল্প হবে, গান হবে, কত কবিতা আ-কবিতা রচিত হবে।
আমি জানি তোমাদের কাপুরষতা নিয়ে,
সারকেসের ক্লাউন বানর হনুমানের মত তোমাদের দাঁড়ি ধরে টানবে,
টুপি খুলবে, সেরোয়ানি চিঁড়ে তামাসা করবে।
আমি েলিখে রাখছি গাদ্দার রাজাকার আলবদর আলসামছের  ধংশলীলার কথা।
রগকাটা গলাকাটা রক্তাক্ত ধর্মের জল্লাদ বাহিনীর কথা।
 আমি লিখছি হেফাজতি হিজরাদের রাসলীলার কথা।
আমি লিখছি ওয়াজিদের যতসব আকথা কুকথা ভাওতার কথা।
এগুলি সব লিখে রাখা দরকার বলেই আমি লিখছি।
কমরে দুধার খঞ্জর,হাতে উঁচু করে তলোয়ার 
ঘোঁড়ির পিঠে চড়ে ওরা রণহুঙ্কার দিয়ে ঘোষনা করছে মানুষ জবাইয়ের।
মাদ্রাসা মক্তব গুলিকে ওরা বানিয়েছে গ্যারিশন, অস্ত্রের গুদাম।
প্রবিত্র পোষাক পড়ে ওরা করছে শিশু বলাৎকার।নারী শিশু নির্যাতন নিপিড়ন।
বলাৎকারী বাবাদের মুখোশ উন্মেচন করেতেই আমি লিখছি।
আমি লিখছি সমৃদ্ধির  শান্তিময় সমধিকার সমবন্টনের একটি বাংলাদেশের জন্যে।
আমি লিখছি সম্ভাবনাময় অনিয়ন্ত্রিত একটি স্বপ্নের বাংলাদেশের।
রক্তে দিয়ে নয় আমার এই নষ্ট কলমের কালি দিয়েই আমি লিখছি
বিপ্লবের নতুন ইতিহাস।
আমি লিখছি পরম শ্রদ্ধায় মাথা নত করে মমতাময়ি মহিষী 
নারীকে ভালোবেসে। 
                              ১৮,০৪,২১, জার্মানী,



অজ্ঞসব জনপ্রতিনীধি,

সত্যই শক্তি, সত্যই সুন্দর,