আজ আঠরই এপ্রিল, রোজ রবিবার।
ইউরোপ জুড়ে বন্ধের দিন, সপ্তাহিক ছুটির দিন,
দোকানপাট সব বন্ধ, প্রায় নিঃষ্প্রাণ নিরব নিস্তব্দ-
চারিদিকে পশু পক্ষি জনমানব হীন।
ঘরে বসে বসে ভোর হচ্ছি,একটু বাহিরে
হেঁটে আসলাম।বেশ কিছুক্ষন হাঁটতে হাঁটতে নীল
আকাশের গায়ে একপাশে দেখলাম দুরন্ত মেঘ বালিকারা
খেলা করছে।আরেক পাশে দেখলাম অবোধ শিশুর মত সাদা মেঘেরা
ঘুমাচ্ছে। মাঠে মাঠে সবুজ ঘাঁসেরা সতেজ হয়ে উঠছে।
গাছে গাছে নতুন কুঁড়ি, বুঝি বসন্তের আগমনি গানের সাজানো মঞ্চ,
গ্যালারি খালি দর্ষক হীন।
এভাবেই হাঁটতে হাঁটতে ফিরে এলাম ঘরে।
সময় কাটছে তুমিবিনা বিমূর্ত্যু এক পরিবেশে।
বিশাল এক এপার্টমেন্ট, চারদেয়ালের বন্দিখানা,
বড় বড় সাতটি কাঁচের জানালা, একটি কাচের
বাঁকি সাতটি কাঠের দর্জা, ভিতরে বসে মূর্তমান
আমি একা,দোলনা কেদারায় বসে গ্লাসের ভিতর দিয়ে
দেখছি প্রাণোবন্ত দুরের দিগন্তকে।
এভাবেই দেখতে দেখতে--
হয়তো বা কোন একদিন নিভে যাবে দু নদীর আলো।
হয়তো বা বিবর্ণ হবে লাবণ্য অবয়বের জ্যোতি,
হয় তো বা বন্ধ হয়ে যাবে অনবদ্য জীবনের জলপ্রপাত।
সেদিন কেউ আর আমাকে দুঃখ কষ্ট যন্ত্রনা দিতে আসবেনা,
দুহাতে ঝড়ায়ে ধরে তুমি ও আর ভালোবাসবেনা।
ভূলে যাব অকারণে গত জীবনের যত মান অভিমান,
ভুলে যাব যাপিত জীবনের সকল গিতী কবিতা।
ভুলে যাব চেনা জানা শুনা সকল মুকগুলো।
ভুলে যাব নৈঃসর্গের সকল সোন্দর্যকে।
এ ভাবে হাঁটতে হাঁটতে একদিন হঠাৎ করে চলে যাব
অচেনা অজানা কোন পৃথিবীতে।
বিশ্বাস করো, কছম খেয়ে বলছি,
একদিকে আমার তাড়া করছে করোনা,
আরেক দিকে তাড়া করছে দুষ্ট সমাজের যত যন্ত্রনা,
বোধ হয় এবার মরে গেলেই বাঁচি।
না না বাবা না-
একদল নাস্তিক আছে- তারা বলবে মৃর্ত্যু কামনা,
কবিরা গুনাহ।হায় হায় কবি-রা কি বুঝে,
কি জিনিস কবিরা গুনাহ?
১৮,০৪.২১, জার্মানী,