Wednesday, February 4, 2015

রিজেক্ট লাইপ,

তারেক রহমানের জিন্দিগী রিজেক্ট হয়ে গেছে অনেক আগেই।ব্যক্তিগত ভাবে,স্বাস্হগত ভাবে, রাজনৈতিক ভাবে, সামাজিক ভাবে।তারেক রহমান নিজেই তার জীবনটাকে রিজেক্ট লাইপে পরিনত করেছেন। একজন জনপ্রিয়, ও সাবেক রাষ্টপতির জৈষ্ট ছেলে ও একটা জনপ্রিয় দলের নেতা হয়ে কোন জ্ঞান বুদ্ধি ও দুর দৃষ্টিসম্পর্ন প্রজ্ঞার পরিচয় না দিয়ে তারেক রহমান  হাওয়া ভবন সৃষ্টি করে মৌলবাদ ও ওহাবী বাদের প্ররোচনায় দুর্নিতীর বরপুত্তর হয়েই খ্যাতি কুড়িয়েছেন।তার রাজনিতীর ক্যারিয়ার শুরু হতেই শেষ।

পিতার  ভাঙ্গা সুটকেস  এর সততা, একজন জনপ্রিয় নেতার ছেলে হয়েও তিনি কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে দুর্নিতীর মাধ্যমে দেশের হাজার হাজার কুঠি টাকা নিজেতো আর্তসাথ করেছেন, বাবর গিয়াস মামুনদের মত অনেক গরু ছাগলকে ও  হাজার কুঠি টাকার মালিক বানিয়েছেন।আবার জঙ্গিবাজের ও উত্থান ঘঠিয়ে বিরোধি দলের জনপ্রিয় নেত্রি এবং বঙ্গবন্ধুর একমাত্র সাকসেসর কন্যা শেখ হাছিনা সহ বিরোধি দলের নেতা নেত্রি ও ভিন্ন দল মত ও ধর্মের
লোককে নিধনের প্রকল্প হাতে নিয়েছিলেন তিনি।

শুধু তিনি নন, মা  ভাই কোকো সহ তিন জন মিলে দুর্নিতী, জঙ্গিবাজ,ও ওহাবী মতবাদ প্রতিষ্টা করে জিয়া পরিবারকে সৌদি রাজপরিবারের আদলে বাংলাদেশের নবাব  পরিবার হিসেব প্রতিষ্টা করার প্রকল্প হাতে নিয়ে ছিলেন ।অনেক দিক দিয়ে কিছুটা সাকসেসও হয়েছেন তিনি। সে সময় পত্র পত্রিকায় দেখেছি তিনি কলেজে ভর্তি হয়েই নাকি সাবেক নৌ প্রধানের মেয়ে জোবেদাকে নিয়ে পালিয়ে যান।লেখা পড়ার ইতি সেখানে হলেও পরে শুনতেছি জোবেদা নাকি ডাক্তার হয়েছে, আর তারেক নাকি ইউনিতেও পড়েছে।

যাহাই হউক দেখতে দেখেতে অনাথ এতিম বালক সে তারেক নাকি এখন ৩৫হাজার কুঠি টাকার মালিক। আর তার ছোট ভাই কোকো পিচ্ছা দোকানের ক্লিনারে  চাকুরি করা কোকো হাজার হাজার কুঠি টাকার মালিক। যেন আলাদীনের চেরাগ তারা দুই ভাইয়ের হাতে। দেশে দুভাইয়ের একাধিক গাড়ি বাড়ি ব্যবসা প্রতিষ্টান জাহাজ জমিন থাকা সত্যেও এক ভাই লন্ডনে আর এক ভাই মালয়েশিয়া বাড়ি কিনেছেন ।

ফকরুল মহিন উদ্দিনের সরকার এর এক নাড়াতেই তা লাইপ রিজেক্ট হয়ে গেছে চিরকালের জন্য।সেই খাম্বা চোর, দুর্নিতীর বর পুত্তর, হাওয়া ভবনের নবাব এই চরিত্রহীন তারেকের পিছে যারা গুরছে, তাদের জিন্দিগীও রিজেক্ট হয়েছে, এবং যারা গুরবে তাদের জিন্দিগীও রিজেক্ট হয়ে যাবে।

বিএনপিকে অবশ্যই গুরে দাঁড়াতে হবে, কিন্তু প্রথমে তারেক রহমানকে বাদ দিয়ে,পরে দেখে দেখে আরো কিছু সিনিয়র নেতাকে বাদ দিয়ে।

------- মোহাম্মেদ ফারুক।

Monday, February 2, 2015

ইসলামের লেঁজ কাটা কুকুরেরা!

                                                                                                                                                             

আচ্ছালা মালাইকুম  ওবারা কাতুহু শুনো হে দুনিয়ার মানব সন্তানেরা!


      
প্রকৃত ইসলাম বলে কি? আর ইসলামের লেঁজ কাটা কুকুরেরা বলে কি? আমার প্রিয়  শান্তির ধর্ম এই ইসলাম সম্পর্কে লেঁজ কাটা নিলর্জ কুকুরদের মুখে আর কোন  ফতুয়া বা অপব্যখ্যা শুনতে চাই না।জীবন ভরে এই সব নেড়ি কুত্তাদের মুখে অনেক গেউ গেউ শুনেছি।অনেক দেখেছি তাদের ভন্ডামি,আজ তাদের পরিচালিত কোন মাদ্রাসা মসজিদে যেতে আমার ইচ্ছেই করে না। তাদের পিছনে বসে আমার দুরাকাত নামাজ পড়তে ইচ্ছে করে না।আমি শৈশব থেকেই ইসলামের প্রতি দুর্বল ছিলাম, আমি শৈশবেই  আমার মা এর কাছে প্রকৃত ইসলামের শিক্ষা ও দীক্ষা গ্রহন করেছি। আর এই দীর্ঘ প্রবাসে বসেও ইসলামি বইপুস্তক হাদিছ কিতাব পড়ে ইসলাম সম্পর্কে যতেষ্ট জেনেছি।ইসলামের আসল সত্য আজ আমার কাছে ধরা দিয়েছে।আর সেই কারনেই এই সব লেঁজ কাটা কুকুরদের বিরুদ্ধে কিছু লিখে এবং প্স্বরয়োজন বোধে স্বশস্ত্র যুদ্ধ করে জিয়াদের জন্য আমি দৃঢ় প্রতিজ্ঞা বদ্ধ হয়েছি।

ইসলাম বলে কি? আর লেঁজ কাটা কুকুরেরা বলে কি?
আরবি আল্ ইসলাম শব্দ দিয়ে শান্তির ধর্ম ইসলামের নাম করন করা হয়েছে। ইসলাম শব্দের প্রকৃত অর্থ হলো আত্মসমর্পন। আর ধর্মিয় ভাবে ব্যখ্যা করে বললে এর অর্থ হয়, অদেখা এবং নিরাকার সর্বশক্তিমান আল্লাহ এবং তার প্রেরিত ঐশি গ্রন্হ আল কোরআন ও তাঁর প্রিয় হাবিব আমাদের পেয়ারে মুহাম্মদ (সাঃ)ও তাঁর প্রচারিত সত্য ধর্ম ইসলামের আকিদা সমূহকে মনে প্রানে বিশ্বাস করে নিজেকে সমর্পন এবং বিশ্বাস করার নামই হলো ইসলাম, আর বিশ্বাস কারীকেই  প্রকৃত মুসলমান বলা হয়।

ওহে দুনিয়ার মানব সন্তান শুনো!
তোমরা মন দিয়ে আমার কথা শুনো! শুধু লম্বা কোর্তা লম্বা দাঁড়ি আর কারুকাজ করা গোল টুপি পড়লে প্রকৃত মুসলমান হওয়া যায় না, যাবেও না কোন দিন। ইসলামি মাদরাসায় বড় বড় হাদিছ কিতাব পড়ে বড় বড় টাইটেল লয়ে আলেম ওলেমা আল্লামা সেজে ভূল ভ্রান্তি ভরা ওয়াজ নছিহত করে বা ইসলামের অপব্যখ্যা করে ফতুয়া দিয়ে ঝোলা ভরলে হবেনা, প্রকৃত ইসলামের পথ থেকে তোমরা সরে গিয়ে কাপের হয়ে সেরেকি গুনাহ  করছ কিনা সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

মহা নবী জিবীতাবস্হায় ভবিষ্যত বাণি করে গেছেন যে আমার মির্ত্যুর পর ইসলামে ৭৩টা দলে ভিবক্ত হবে, কিন্তু আমার খাঁটি ইসলামি দল হবে একটাই, আর তারাই জান্নাতবাসি হবে। আর বাঁকি ৭২টাদলই হবে জাহন্নামী। নবিজীর আগাম বাণি অক্ষরে অক্ষরে সত্য প্রমানিত হয়েছে।আজ বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর ভিবিন্ন দেশে সত্যিই ৭৩টি ইসলামি দল গঠিত হয়েছে। খাঁটি মহা নবীর কোন দল সেটা চেনাই মুসকিল হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশে আজ কেউ জামাতি কেউ হেপাজতি,  কেউ আহলে হাদিছ, কেউ আবার আহলে সুন্নুা,কেউ মাইজভান্ডারি, কেউ আটরশির পীর কেউ আবার শাহাবগি কুতুববাগি মতাদর্শ জাহের করিতেছে, এরা সবাই ইসলামের দৃষ্টিতে এক একটি লেঁজ কাটা কুকুর। তারা ইসলামের অপব্যখ্যা দিয়ে প্রকৃত মুসলমানকে শেরেকি  ‍গুনাহর মধ্যে নিজ্জিত করাচ্ছে।

মুলত মহা নবীর ইন্তেকালের পরই তাঁর স্তলাভিসক্ত বা উত্তরাধিরী নিয়েই মুসলমানের মধ্যে দন্ধের সৃষ্টি হয়। সেই সময়ই মহান এই ইসলাম ধর্মের অনুসারিরা দ্বিধাভিবক্ত হয়ে পড়ে। এক দল সুন্নি আর একদল শিয়া-ই আলি, বা আলির গোস্টি নামে। সেই শিয়াতে আবার উগ্রবাদি চরমপন্হি নামে আরেক দল সৃষ্টি হয়ে খারেজি নামে আখ্যা পেল। সেই খারেজি থেকে পরবর্তিতে ইছমাইলী, আলাওয়ী,দ্রুজ, সালাফি , ওহাবী আহম্মেদী, মওদুদী,এবং সর্বশেষ গোলাম আজমীতে এসে ঠেঁকেছে।

সেই সময় খারেজিরা দুটা কারনে ফতুয়া দিত। এক,প্রবিত্র কোরা্নে মযিদে ৭০ হাজার আয়াত নাকি আল্লাহ পাক নাযিল করেছেন, কিন্তু সুন্নিরা মাত্র ৬৬৬৬টি প্রকাশ করেছেন।দুই,হযরত আলীই মহা নবীর প্রকৃত উত্তরাধিকারি বা উত্তরসরি, এবং তিনিই খালিফা হওয়ার যগ্য। আবুবক্কর নহে।

সেই খারেজির অনুসারিরা পর্যায়ক্রমে এসে ইবনে তাইমিয়ার নেতুত্বে সালাফি, ইবনে আবদুল ওহাবের নেতৃত্ ওহাবী এবং মওদুদীর নেতৃত্বে জামাতি মতবাদ গঠিত করেছে।উপমহাদেশে তথা বাংলাদেশে মওদুদীর একজন খাঁটি সাকসেসর হিসেবে গোলাম আজম দায়িত্ববার গ্রহন করলেও তাতে ভাগ বসান দেল্লা রাজাকার ওরফে দেলোয়ার হোসেন সায়েদি।

ইবনে তাইমিয়ার মনুষ্য আকৃত বিশিষ্ঠ আল্লাহ তাআলার আকৃতি হিসেবে ফতুয়া দিলেও,গেলাম আজম ফতুয়া দিয়েছিলেন প্রবিত্র কোরআনের প্রথম সুরা ফাতেয়া না হয়ে সুরা আল বাকেরা হওয়া উচিত ছিল বলে। দেখুন এবার  কত বড় নাস্তিক ও কাপের, খোদার উপর খোদাগিরি। এই সব নাস্তিক সয়তানরাই আজ বাংলাদেশে জ্বালাও পোড়াও, ভিন্ন ধর্ম মতের মাুষকে নির্বিচারে হত্যা করছে। এরাই ইসলামের লেঁজ কাটা কুকুর।এদেরকে বাংলার মাঠি থেকে চিরতরে বিতাড়িত করতে হবে।যেমনি ভাবে স্ব স্ব দেশ থেকে বিতাড়িত হয়েছে তাদের পুর্বসুরিরা।

তবেই মহা নবীর সুন্নাহ এবং আকিদা সুমুহ এক ও অদ্বিতীয় হয়ে থাকবে বাংলার মাটিতে,তবেই আমরা হানেফি মাযহাবের মুসলমানেরা আত্মায় শান্তি পাবো, ইনশআল্লা।


                                ------মোহাম্মেদ ফারুক, জার্মানী।

Sunday, February 1, 2015

বিএনপি জামাতের লক্ষ ওহাবী মতবাদ প্রতিষ্টা করা।

জেনারেল জিয়াউর রহমান ছিলেন ওহাবী মতবাদে বিশ্বাসি।সে হিসেবে খালেদা তারেকও তার অনুসারি, অর্থ্যাৎ ওহাবী মতবাদে বিশ্বাসি। বিএনপি বা জাতিয়বাদী দল নামটা তো শুধু লোক দেখানো ছিল। সাধারণ মানুষকে ধোকা ও বোকা বানানোর জন্যে। একথা বিএনপির ৯৯% লোক জানতো না এবং আদো জানেনা। জেনারেল জিয়া চেয়েছিলেন ওহাবী মতবাদে বিশ্বাসি ৭১এর যুদ্ধাপরাধি জামাত চক্রকে পুর্নবাসিত করে তাদের কাঁদে ভর করে আরবের এককালের দুদর্শ ডাকাত আবদুর রহমান সৌদ ও তার ডাকাত ছেলে আবদুল আজিজ এর মত বাংলাদেশে ও বাঙ্গালী সুন্নি মুসলমানের হাজার বছরের ধর্ম বিশ্বাসকে এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তি যুদ্ধের চেতনাকে ধুলিস্যাত করে রাজতন্ত্র কায়েম করে নিজেকে নিজে  বাদশা হিসেবে ঘোষনা করতে। শুধু ঘোষনা ও প্রকাশ করাই বাঁকি ছিল,কাগজে কলমে জেনারেল জিয়া নিজেকে নিজে নবাব বংশের নবাব হিসেবে সব মিথ্যে কাহিনী দালাল বুদ্ধিজিবী দ্বারা লিকে ঠিক করে ও রেখেছিলেন। সে কারনে তারেক ও খালেদা জিয়া চিকিৎসাও ওমরার নাম করে বারবার সৌদি আরব গিয়ে ওহাবী রাজার যুক্তিপরামর্শ ও সাহায্য নিয়ে আসেন, এবং সে কারনেই যুদ্ধাপরাধি জামাত শিবিরের সঙ্গ চাড়তে পারছেন না।সে কারনেই তাদের মধ্যে এমন আটা আটা ভাব।
এই ওহাবী মতবাদে বিশ্বাসি হয়ে তারেক রহমান এখন লন্ডনে বসে নিজেকে প্রিন্স বা যুবরাজ ভাবেন, আর খালেদা জিয়া নিজেকে ভাবেন রানী মহা রানী।ইতিমধ্যে তারেক রহমানের  একটা ওয়েব সাইটে তা প্রকাশিত ও হয়েছে। সমগ্র জাতি এখনো অন্ধকারে, বিএনপির লোকজন এখনো অন্ধকারে, ক্ষমতাসিন আওয়ামী লীগ এখনো অন্ধকারে,  সর্বপরি বাংলাদেশের সুন্নি আলেম সমাজ এখনো অন্ধকারে।অতচ তারা অনেক দুরে এগিয়ে গেছে। ওহাবী মতবাদের দালালরা টকশোতে কেমন নিলর্জের মত বলে বলে বুলি আওড়ায়, আর মাত্র কয়টা দিন বাঁকি, তারাইতো ক্ষমতায় যাবে, তারাইতো ইসলামি রাষ্টের নামে ওহাবী মতবাদ প্রতিষ্টা করবে। তারা তখন সুন্নিদের মসজিদ মাজার,হিন্দুদের মন্দির গীর্জা পাকোডা গুড়ো গুড়ো করে দিবে। ভিন্ন মতবাদ ও ভিন্ন ধর্মিয় সংখ্যা লগুদেরকে  আল্লাহু আকবর করে জবাই করে আবার টুকরো টুকরো করবে গানের তালে তালে। সেকুলার বাংলাতে তারা সরিয়া আইন বলবৎ করে নগ্ন পতুয়া দিয়ে মাবোনের পাছায় একশএক দোররা মারবে,মাটিতে অর্ধাঙ্গ গেঁড়ে পাথর মেরে হত্যা করবে।প্রকাশ্যে কিসসা করবে, আর মির্ত্যুর পুর্বে ভুক্তভোগি চিৎকার করে বলবে আনা মা! কিসাস! আনা মাও কিসাস!
ঠিক আঠারশ উন্নিশ এবং বিংশ শতাব্দির প্রথম দিকে আরবে যেমনি হাজার হাজার সুন্নি  আলেম ও তাদের নারী শিশুকে ওহাবীরা জবাই করে হত্যা করেছিল, এবং বর্তমানে যেমনি  মধ্রপ্রাচ্যে তালেবান ও আই এস আই এস টেররিস্টরা ইসলামি খালিফা  রাস্টের নামে নিরিহ মানুষকে কল্লাকেটে বলি দিচ্ছে ঠিক তেমনি বাংলাদেশেও হরতাল অবরোধের নামে গনতন্ত্রের কথা বলে নির্মম ভাবে পেট্রলবোমা মেরে নাশকতা করে  আজ সাধারন মানুষকে হত্যা করছে।সুজোগ পেলে তারাও কল্লা কাটে হাত পাঁয়ের রগ কাটে, জামাতিরাই তো ওহাবী সালাফির পুর্ন জাগরন, আধুনিক রুপ বা
মুখোশ।
এই জামাতি দুষ্ট চক্রের মুখোশ উন্মেষ করতে হলে  আজ আমাকে দুঃখের সহিত ইসলামের ইতিহাস থেকে তাদের উত্থান সম্পর্কে কিছু কথা তুলে ধরতে হচ্ছে। বারশ শতাব্দির প্রথমদিকে মঙ্গলরা তুর্কির উপর হামলা চালালে এক ঈমাম তার কিশোর ছেলে ইবনে তাইমিয়াকে সহ পুরো পরিবারেকে নিয়ে উদবাস্তের ন্যয় দামেস্কে গমন করেন। সেখানে তিনি জামে মসজিদে ঈমামেরই চাকুরি পান। বেশকয় বছর পর ঈমাম সাহেব মারা যাবার পর তাঁরি ছেলে ইবনে তাইমিয়ার তাঁর স্তলাভিসক্ত হন। এই ইবনে তাইমিয়ার পরবর্তিতে ইসলামের পাঁচ আকিদা এবং মুল ইসলামের বিরুদ্ধে ফতুয়া দিয়ে এবং বই পুস্তক লিখে ইসলামের অপব্যখ্যা শুরু করতে লাগলেন। তিনি একদিন মিম্বার থেকে নিজে নেমে দেখায়ে বললেন, আল্লাহ ঠিক এভাবে সাত আসমান থেকে নামেন, এভাবেই আল্লাহ সাত আসমানের উপর বিচরন করেন এবং জমিনে পায়চারি করেন। তিনিই সালাফি মতবাদ প্রতিষ্টা করে মাজারে  যাওয়া হারাম ও শেরেকি ফতুয়া দেন। এই তাইমিয়ার যুক্তি তর্ক ও পতুয়াতে অতিষ্ট হয়ে তৎকালিন সিরিয়া সরকার তাকে একবার মিশরে নির্বাসনে পাঠান আরেক বার কারাগারে নিক্ষেপ করেন, এবং সেখানেই তার মির্ত্যু হয়।

তার মির্তুর অনেক পরে এসে আঠার শতাব্দির শুরুতে   সৌদি আরবের নজদে জন্ম নেওয়া ইবনে আবদুল ওহাব নামে আরেক বকধার্মিক আলেম জন্ম নিয়ে ইবনে তাইমিয়ার আদর্শকে সমুন্নত রেখেই  ইসলমের অপব্যাখ্যা দিয়ে তিনি নিজের  ওহাবি মতবাদ  প্রকাশ করে ওহাবী আন্দলন শুরু করলেন ।তিনিই ওসমানি খেলাফত এর অংশ আরব মুল্রুকে লেবাননি বনিক নামি দস্যু আবদুর রহমান সৌদ এবং তার ভয়ানক দস্যু পুত্র আবদুল আজিজ বৃটিশ গুপ্তচর হ্যাম্পার ও লরেন্স এর মাধ্যমে ওহাবী আন্দলনের মাধ্যমে রাজতন্ত্র প্রতিস্টিত করে ওহাবী মতবাদকে রাজনৈতিক ভাবে সিকৃতি দেন।তারপর থেকেই তারা শিয়া সুন্নিদের মাঝার মসজিদ ভেঙে আলেম ওলেমাদেরকে কল্লা কেটে কিসাস আইন বলবৎ করেন। তাদের হাত থেকে ঈমাম হোসেনের প্রবিত্র মাঝার পর্যন্ত রক্ষা পেলনা।মহানবীর মাজার ততা মসজিদ নববী মদিনা বাসির প্রবল চাপে রক্ষা পেলো।তারা মহানবীর অনেক সৃতি বিজড়িত স্হাপনাকে ভেঙে গুড়ো গুড়ো করেমাঠির সাথে মিশেয়ে দিয়েছেন।তারা মুসলমানদের অনেক ঐতিহাসিক বাড়ি ঘর এমন কি ঐতিহাসি পাঠাগার পর্যন্ত আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছেন। যে পাঠাগারে মানব জাতির প্রায় ষাট হাজার বই পুস্তক দলিল সংরক্ষিত ছিল। তারা মুসলমানের মালামাল  গনিমতের মাল হিসেবে লুট করে দস্যুদের ভরন পোষন করতো।

এই ওহাবী মতবাদে বিশ্বাসি ভারতের এক নাস্তিক মাল আল মওদুদী জামাত ইসলামি প্রতিষ্টা করে বাংলা দেশের আরেক নাস্তিক গোলাম আজমকে দিয়ে মওদুদী বাদের কার্যক্রম চালান। যে গোলাম ছাত্র জীবনে মাওবাদি ও নকসালে আদর্শে বিশ্বাসি ছিলেন, সে  গোলাম আযম হঠাৎ করে ওহাবী বিশ্বাসি হয়ে গেলেন, আর সেই ভ্রান্তি বিশ্বাসের কারনে তারা একাত্তরে যুদ্ধাপরাধ এর মত জগন্য কাজ করেছে, মানবতা অপরাধির মত কুৎসিত কাজ করেছে। তারা হত্যা লুন্ঠন জ্বালাও পোড়া কি কাজ না করেছে।আজ আবার সেই খুনি জামাত বিএনপি দুষ্ট চক্র  বাঙ্গালীর নব জাগরনের সময়ে এসে তারা ইসলামের বিকল্প ইসলামের নবজাগরন ঘঠাতে চায়।তারা প্রবিত্র কোরাআনের বিকল্প কোরআন প্রকাশ করতে চায়। তারা ইসলামের মুল আকিদার বিকল্প আকিদা সৃষ্টি করতে চায়।তারা  জিয়া পরিবারকে  ওহাবী নবাব হিসেবে প্রতিষ্টিত করতে চায়। তারা মাঝার মন্দির গুড়ো করে ভিন্ন মত ও ধর্মের লোককে হত্যা করে নিঃশেষ করে দিতে চায়।সে কারণেই তারেক রহমান লন্ডনে বসে একর পর এক আমাদের স্বাধিনতার ইতিহাস বিকৃত করে যাচ্ছে।সে কারনেই তারেক বঙ্গবন্ধুকে পাকবন্দু বলছে। সে কারনেই তারেক নিজেকে নবাব ভাবছে,  আর সেই কারণেই খালেদা জিয়া নিজেকে আপষহীন নেত্রি ভাবে এবং সেই কারণেই তিনি নিজেকে ভাবেন ওহাবী মতাদর্শের মহারানি।
                        ------ মোহাম্মেদ ফারুক, জার্মানী।

 

অজ্ঞসব জনপ্রতিনীধি,

সত্যই শক্তি, সত্যই সুন্দর,