( পরম সত্য )
দৃশ্যপট--১
পরিবারের একমাত্র টিনেজার মেয়ে।বয়স সবে মাত্র চৌদ্দ বছর। জার্মানীর ছোট একটি গ্রামীন শহরের হাই স্কুলে পড়ে।স্কুলটা বেশ বড়সড়। এলটাইপের চারতলা একটা বিল্ডিং।পুরো বাড়িধুসর ক্রিম কলারে আবৃত। সামনে বড় একটি কার পার্কিং এক সারিতে সাইকেল এবং অন্য এক সারিতে মটর বাইক পার্কিং। সামনে মেইন রোডের পাশে বড় বাস স্টপিজ।চারিদিকে ছোট ছোট পাহাড়ের গায়ে ঘাড় সবুজের বনাঞ্চল।নীল রঙে সাজিয়েছে আকাশ। খুবি সুন্দর মনোরম পরিবেশ। মেয়েটি দুষ্টোমির জন্য শিক্ষিকার বকুনি খেয়ে নিজের বই পুস্তোক ব্যাগ সবকিছু পেলে একদিন ক্লাশরুম থেকে পালিয়ে যায়।বকুনি নয় আসলে তাকে ক্লাশ থেকে বাহির করে দেওয়া হয়। মেয়েটির বাবা মা সেদিন অসুস্হ থাকার কারণে একটু দুরের বড় শহরে ডা: দেখাতে গিয়েছেন।বাবা তখন ড্রাইব করছিলেন।মা-বাবা দুজনই চল্লিশ পেরিয়ে।
স্কুল ডা্ইরেক্টরের ফোন এল। বার বার রিং হচ্ছে, কিন্তু বাবা ড্রাইব অবস্হায় রিসিভ করতে পারছেনা।পাশে বসা মেয়েটির মা, কিন্তু মা জার্মান ভাষা ভালো করে বুঝেনা, বিধায় তিনিও ফোনটা ধরতে পারছেনা। পরিশেষে বাবা গাঁড়িটাকে সাইড করে থামিয়ে ডিসপ্লে নাম্বারে রিকল করে জানতে চাইলেন।
বাবা: হ্যালো ম্যাডাম, আপনি কি আমাকে ফোন করেছেন?
ম্যাডাম:জ্বি!
বাবা: কেন?
ম্যা:ফোন করেছি এ জন্য যে আপনার মেয়ে তৃতীয় ঘন্টায় ক্লাশ থেকে পালিয়ে গেছে।সে ক্লাশে আর ফিরে আসে নাই, ব্যপারটা আপনাকে জানিয়ে রাখলাম।
বাবা: হেসে উঠে বললেন ও আচ্ছা, কই আর যাবে ম্যাডাম? বাসায়ই তো গিয়েছে বোধ হয় । আপনি টেনসন করেন না ম্যাডাম। তাহলে ব্যপারটা আমি বাসায় গিয়ে দেখছি। আমরা তো এখন জিগেন শহরে আছি ম্যাডাম।
ম্যা: আপনি খোঁজ নিয়ে আমাকে জানাবেন।
বাবা: অবশ্যই ম্যাডাম জানাবো।
ম্যা: ও কে ধন্যবাদ।
বাবা: ও কে ম্যাডাম বাই।
বাবা লাইন কেটে বাসায় ল্যান্ড ফোনে মেয়ের হ্যান্ডিতে বার বার ফোন করে দেখছে, রিং হচ্ছে কিন্তু মেয়েটি ফোন মোটেই ধরছেনা। ব্যপার কি? মেয়েটি কি করছে? গেল কোথায়? রাগে বাবা দাঁত কটমট করছে আর বলছে আজ বাসায় যাইয়ে লই, মাঁইয়া তোকে দেখাবো। তোর হাত পাঁ ভাঙবো, ইত্যাদি বুলি মুকে আওড়াচ্ছেন।
মেয়েটির মা-বাবা দুজনই হাইফার টেনসনের রোগি। ডাইবেটিজ, উচ্চ রক্ত চাপ, ব্লাড রয়মা বাত গেঁটে বাত ইত্যাদি।মধ্য বয়সি দুজনের শরিরে এসব রোগ এসে বাসা বেঁধেছে।বাসায় এসে বাবা মা দুজনে মিলে মেয়েটিকেেএইরুম সেইরুম নীচে স্টোর রুমে খুঁঝে দেখলো।সব কামড়া শূন্য মেয়েটি কোথাও নাই। মেয়েটির স্কুলের ব্যাগ নেই,মোবাইল পড়ে আছে,মেয়েটি নেই। মা পাগলের মত খুঁজছে, কিন্তু বাবা ধরে নিয়েছে মেয়েটি হয়তো মার্কের্টে গেছে কিছু কেনাকাটার জন্য, নিশ্চয় ফিরে আসবে।কিন্তু বিকেল গড়িয়ে প্রায় সন্ধ্যে মেয়েটি তখনও ঘরে পিরেনি।সময় যতই গড়াচ্ছে, চারিদিক ততই ভারি হচ্ছে।এক পর্যয়ে শুরু হলো খোঁজা খুঁজি।চৌদ্দ বছরের একটি মেয়ে এভাবে গেল কোথায়?এই প্রথম বারের মত ঘটলো ঘটনাটা।
বাবা গাঁড়ি নিয়ে সম্ভাব্য সন্ধেহ জনক সকল যায়গায় বার বার খুঁজলেন। আশেপাশের সকল শহরে খুঁজলেন, বন জঙ্গলে খুঁজলেন, কোথাও মেয়েটিকে পাওয়া যাচ্ছেনা। ধীরে ধীরে বাবা মা দুজনের চোখে মুখে আতঙ্ক স্পষ্ট হচ্ছে।সন্ধেহ আর হতাশা অন্তরে কুঠারের ঘা বসাচ্ছে।বাবা নিজেকে শক্ত রাখার চেষ্টা করছে।কিন্তু ভিতরে টেনসান বাড়ছে।একমাত্র মেয়ে।এই মেয়েটিকে নিয়েই বাবার অসমাপ্ত স্বপ্নগুলি উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে।
ইতিমধ্যে বাবা স্কুল কতৃপক্ষকে ব্যপারটি অবগত করলো।তারা শুনে বিশ্মিত হয়ে বিশেষ করে স্কুলের ডাইরেক্টর এবং শ্রেণী শিক্ষিকাও অপরাধির মত চারিদিক খুজতে লাগলেন।বাসায় ফোন করে খবরাখবর নিচ্ছে।মেয়েটির মা শতভাগ সন্ধেহ করছে স্কুল কতৃপক্ষকে।কারণ এভাবে মেয়েটির চলে যাবার কথা না।নিশ্চয় স্কুলে কিছু একটা ঘটেছে।তা না হলে স্কুল কতৃপক্ষের এমন অপরাধি ভাব কেন?বাবাও সন্ধেহ করে, কিন্তু মুখুলে কিছু বলছেনা।বরং স্ত্রিকে উল্টো বলছে।কারণ মেয়েটি তো আরো এক বছর ও স্কুলে পড়তে হবে।
বাবা জানে শ্যামবর্ণের মেয়েটিকে সফেত বাঁদর মার্কা পোলাপইনরা সব সময় মোবিং করে থাকে। হয়তো সে রকমই কিছু হয়ে থাকতে পারে।কি করবে নিরুপায় বাবা কিছু বুঝে উঠতে পারছেনা।।
অবশেষে বাবা নিরুপায় হয়ে পুলিশে খবর দিলেন।পুলিশ স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিলযে চব্বিশ ঘন্টার আগে তারা কিছু করতে পারবেনা।২৪ঘন্টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।এরি মধ্যে শিক্ষিকার ফেসবুক স্ট্যাটাসে সমগ্র বিশ্ব জেনে গেল মেয়েটি বয়ফ্রেন্ডের সাথে পালিয়ে গেছে।বিশেষ করে আত্মিয় স্বজনরাই নানা আকথা কুকথা ছড়াচ্ছে।কেউ বলছে নষ্ট মেয়ে কেউ বলছে দু:চরিত্রের মেয়ে, এতটুকুন বয়সেই এমন কান্ড! ইত্যাদি ইত্যদি!
এদিকে মেয়ের চিন্তায় মাবাবা দুজনই অসুস্হ হয়ে পড়েছে। মা- তো চিতকার দিয়ে কেঁদে উঠে ধপাস করে মাটিতে পড়ে গড়ায়ে গড়ায়ে কাঁদছে।বাবা মাথা গুরায়ে বমি করে কাহিল অবস্হা। জরুরী ভিত্তিতে এ্যম্বুলেন্স ডেকে নিয়ে বাবাকে স্হানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হলো।
তিনদিন পরে তিনশ কি:মি: দুরের শহরে পুলিশ মেয়েটির সন্ধান পেল। ততক্ষনে বাবার অবস্হা সিরিয়াস।
বাবার ডাইবেটিস ও হাইপার টেনসান বেড়ে গেছে তিন হাসপাতালের বেডে শোওয়া।বেশ বড় একটা রুম।এডযাস্ট বাতরুম ধুসর ক্রিম কলারে দুটা বেড সাজানো গোছানো।একটাতে বাবা শুয়ে আছেন অন্যটা খালি গ্লাস ফলি দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে।একদিকে একটা টেবিলকে গিরে দুটা শূন্য চ্যায়ার।
মেয়েটির সন্ধান পেয়েছে কিন্তু অত দুর থেকে আনবে কে।বাবার পক্ষে তো মোটেই সম্ভোব না ড্রাইব করা। অবশেষে স্কুল শিক্ষিকা নীজে ড্রাইব করে মেয়েটিকে বাসায় এনে দিয়ে গেলেন।তারপর মেয়েটিকে নিয়ে মা হাসপাতালে আসলেন বাবাকে দেথতে।
বাবা মুমুর্ষ রোগির মত বেডে শুয়ে আছেন।ধুসর লেফ গায়ে। হাতে সেলায়িং এর নল দিয়ে টপ টপ করে পানি ঢুকছে। নাকে অক্সিজেন পাইপ লাগানো। মা মেয়েকে রুমে ঢুকতে দেখে বাবা চমকিত ও আনন্দে উদ্ধেলিত হলেন। বাবা আদরের মেয়েটিকে।কোলদেশে টেনে নিয়ে বললেন:
কি রে মা তুই কেমন আছিস?
মেয়ে:ভালো আছি।
বাবা: কিরে মা এ ভাবে তুই কেন চলে গেলি আমাদেরকে ছেড়ে? আমরা কি তোর সাথে কোন খারাপ ব্যবহার করেছি? কেন তুই আমাদেরকে ছেড়ে চলে গেলি?মানুষ বলবে কি?তুই একটা টিনেজ মেয়ে!
মেয়ে: বাবা পৃথিবী আমাকে খারাপ ভাবে ভাবুক, তাই বলে তুমিও কি আমাকে খারাপ মেয়ে ভাবছ?
বাবা: কান্নার কোন ভাষা নেই, বাবার কন্ঠে উচ্ছারিত হচ্ছে শুধু বোবাকান্না!বাবা ঠুকরে ঠুকরে কাঁদছে।
মেয়ে: সরি বাবা সরি আমাকে ক্ষমা করে দাও! প্লিজ বাবা!
বাবা: কেন রে মা ক্ষমা করবো, কিসের ক্ষমা চাস তুই আমার কাছে?
মেয়ে:বাবা আমি যে তোমার অবাধ্য হয়ে স্কুল পালিয়ে চলে গেলাম!
(বাবা উঠে বসলেন)
বাবা: কেনরে মা কেন তুই আমাদেরকে চেড়ে এমন ভাবে চলে গেলি?জানিস তুই যাবার পরে পুরো সমাজটাই বর্জ্রের মত ভেঙে পড়েছে আমাদের মাথার উপর।মানুষ কতো কথাই না রটিয়েছে?তুই নাকি কারো সাথে পালিয়ে গিয়েছিস?তুই একটি খারাপ মেয়ে ইত্যাদি ইত্যাদি।
মেয়ে: তো কি হয়েছে বাবা? এই নোংরা সমাজের সবাইকে বলতে দাও।আমি পরমের সাথে গিয়েছি, তবে পালিয়ে নয়।ইচ্ছে করেই গিয়েছি
বাবা: মা তুই কি সত্যি একটি ছেলের সাথে পালিয়ে গিয়েছিস?এই পরম ছেলেটা আবার কে- রে?
মেয়ে: পরম নয় পরম সত্য।
(বাবা উঠে বসলেন)
বাবা: কেনরে মা কেন তুই আমাদেরকে চেড়ে এমন ভাবে চলে গেলি?জানিস তুই যাবার পরে পুরো সমাজটাই বর্জ্রের মত ভেঙে পড়েছে আমাদের মাথার উপর।মানুষ কতো কথাই না রটিয়েছে?তুই নাকি কারো সাথে পালিয়ে গিয়েছিস?তুই একটি খারাপ মেয়ে ইত্যাদি ইত্যাদি।
মেয়ে: তো কি হয়েছে বাবা? এই নোংরা সমাজের সবাইকে বলতে দাও।আমি পরমের সাথে গিয়েছি, তবে পালিয়ে নয়।ইচ্ছে করেই গিয়েছি
বাবা: মা তুই কি সত্যি একটি ছেলের সাথে পালিয়ে গিয়েছিস?এই পরম ছেলেটা আবার কে- রে?
মেয়ে: পরম নয় পরম সত্য।
বাবা: জাত ধর্ম বর্ণ গোত্রহীন একটা ছেলেকে তুই না জেনে শুনে কিভাবে ভালবাসিছ রে মা?তোর কি এখনো নিজের ভালমন্দ বিচার করার মত সেই বোধ বুদ্ধি হয়েছে?তুই কি এখনো তোর পারিপার্শিকতা জানতে পেরেছিস?এই পৃথিবীটা বড় জটিল রে মা।বুঝার বয়স এখনো তোর হয়নি। এই তো সেদিন জন্মেছিস,আমার ছোট্ট নান্নাছা গুড়িয়া।
মেয়ে: পারিপার্শিকতা আবার কি বাবা ?
বাবা:এই দেখ, আমাদের বালকনে যে নানা রঙের ফুল ফুটে আছে, বাহ! দেখতে কত সুন্দর।দেখ ভোঁ ভোঁ করে ছোট ছোট মৌমাছিরা এসে ফুলের উপর বসে আবার ফুরত করে উড়ে চলে যায়। যাবার সময় কি নিয়ে যায় জানিস?
মেয়ে: না !
বাবাঃ যাবার সময় ওরা ফুলের মধু চুরি করে নিয়ে যায়।এই যে দেখ আমাদের ফলন্ত গাছটা ফলের ভারে কেমন নুয়ে পড়ে গেছে। এই যে দেখ আমাদের কুত্তাটা শুকনো হাড্ডি আর সামান্য উচ্ছিষ্ট খেয়ে আমাদের বাড়ির চারিদিকে কেমন ঘুর ঘুর করে গুরে, আমাদেরকে ছেড়ে কোথাও চলে যায় না।এই যে দেখ আমাদের পুষি তুলতুলে বিঁড়ালটা সামান্য মাছের কাঁটা খেয়ে গা ঘেঁসে সারাক্ষন আমার পাশে থাকে আদর দেয়। আর ঐ দেখ আমাদের পাঁঠাটা রোজ রোজ হারিয়ে যায়।প্রাতিদিন ছাগলের পাল থেকে তাকে খূঁজে আনতে হয়!
( বাবার কথা শুনে মেয়ের মাথায় চক্কর এসে যায়।ডলে পড়ে যেতে চাইলে বাবা মেয়ের দু বাহু ধরে চ্যায়োরে বসায়। তার পর কিসিন থেকে পানি এনে মেয়ের মুখে ছিটকা দিয়ে ডান গালে আলতো করে থাপ্পর দিয়ে বলে)
বাবা: তুই কি ঠিক আছিস মা?
( একটু বড় টাইফের রুম, দুটা বেড, দুটা চ্যায়ার ও একটি টেবিল বাবাও বসলেন এক চ্যায়ারে)
( একটু বড় টাইফের রুম, দুটা বেড, দুটা চ্যায়ার ও একটি টেবিল বাবাও বসলেন এক চ্যায়ারে)
মেয়ে: হুঁ! বা-বা ঠিক আ ছি ত বে তোমার কথা কিচ্ছু বুঝি নাই, কি বলছ বাবা বুঝায়ে বলো না।
বাবা:আমি সে কথাটিই বলেছি রে মা,কোন কিছু বুঝার বয়স এখনো তোর হয়নি।
মেয়ে: কেন বাবা আমি কত বড় হয়ে গিয়েছি। দেখ দেখ প্রায় তোমার সমান!
বাবা:জানিস মানুষ বড় হয় কিসে?
মেয়ে: কিসে আবার বয়সে।
বাবা: নারে মা,না গুনি জনেরা বলে মানুষ বড় হয় তার কর্মে, বুঝলি।বাংলায় একটি প্রবাদ আছে জন্ম হউক যথাতথা, কর্ম হউক ভালো।
মেয়ে: বাবা পরম ছেলেটা খুবি ভালো।
বাবা: কি করে বুঝলি তুই ভালো? মিথ্যে কথা!ভালো মানুষ নেই এই পৃথিবীতে। ভালো মানুষরা সব মরে গেছে। আর জিন্দা যারা আছে ঐ যে কিলবিল করে গুরছে মানুষ গুলো, ঔরা সবাই খারাপ মানুষ। খারাপ মানুষে আজ ভরে গেছে সমগ্র বিশ্ব!
মেয়ে: কি বলছ বাবা! পৃথিবীর সকল মানুষই কি খারাপ?
বাবা; হ্যাঁ হ্যাঁ ঠিকি বলছি পৃথিবীর সকল মানুষ ই খারাপ!জিন্দা মানুষ সবাই খারাপ।সবে শুধু ভালো থাকার বান ধরে মাত্র।
মেয়ে: আমরাও খারাপ?
বাবা: হ্যাঁ হ্যাঁ আমরাও খারাপ।
মেয়ে: তাহলে হিটলার মুসোলিনি তৈমুর লং ওরা কি ভালো মানুষ ছিল বাবা?
বাবা: ঔরা ভালো মানুষ মোটেই ছিলনা। ঔরা মেরেছে মরেছেও কুত্তার মত।কিন্তু ঔরা তো এখন আর খারাপ কিছু করছেনা। এখন খারাপ কাজ গুলি করছে শুধু জিন্দা মানুষ গুলো।
মেয়ে: তাহলে হিটলার মুসোলিনি তৈমুর লং ওরা কি ভালো মানুষ ছিল বাবা?
বাবা: ঔরা ভালো মানুষ মোটেই ছিলনা। ঔরা মেরেছে মরেছেও কুত্তার মত।কিন্তু ঔরা তো এখন আর খারাপ কিছু করছেনা। এখন খারাপ কাজ গুলি করছে শুধু জিন্দা মানুষ গুলো।
মেয়ে: তাহলে জননেত্রি শেখ হাসিনাও কি খারাপ?
বাবা: খারাপ নয় শুধু খারাপের চেয়েও খারাপ।দুষ্টের শিরমণি!
মেয়ে: খারাপ মানুষ কি করে জননেত্রি হয়?
বাবা:আমি তাকে জননেত্রি হিসেবে মনে করিনা।
মেয়ে: খারাপ মানুষ কি করে জননেত্রি হয়?
বাবা:আমি তাকে জননেত্রি হিসেবে মনে করিনা।
মেয়ে: কি বলছ বাবা! তাকে তো আন্ত:র্জাতিক ভাবে সিকৃতি দিয়েছে মাদার ওফ হিউমেনিটি।
বাবা: ওগুলো সবি কথার কথা, অভিনয় স্টান্ডবাজি। রোহিঙাদের জন্য শেখ হাসিনা যা করেছে তা রাষ্ট্রিয় ক্ষমতায় আমাগো বাড়ির আশুবি হলেও করতো বুঝলি?
মেয়ে: আর যে বলছ দুষ্টের শিরমণি। সেটা কি সত্যি?আমি তো দেখছি তিনি প্রচুর জনসেবো করেন।দুস্হ মানুষদের সাহায্য সহযোগিতা করেন। ঘুরুতর অসুস্হ লোকদেরকে ব্যংকক সিংহাপুরে পাটিয়ে চিকিতসা করানোর জন্য মোটা দাগের অনুদান দেন।স্টোডিয়ামে বসে খেলা দেখেন।তাঁর মত জননেত্রি কি আর ছে পৃথিবীতে?
বাবা:এই সবি তার স্টান্ড বাজি, চাটুকারিতা।রাজকোষের অর্থ অনুদান দেওয়াই তো হলো স্বৈরতন্ত্র।
মেয়ে: তাহলে শেখ হাসিনা কি স্বৈরচারি?
বাবা: তাকে আমি স্বৈরচারিও বলবো না, জননেত্রি ও বলবো না, আবার মানবতার মাও বলবো না।তিনি চৌতুর চৌখোশ একজন সফল রাষ্ট্র প্রধান।কিন্তু তিনি মৃত পিতার ইমেজ নিয়ে পিতৃ হত্যার প্রতিশোধ নিয়েছেন।নিজের নিজস্ব কোন ইমেজ ছিল না। পিতাই তার সামর্খ। কিন্তু বৃদ্ধ জামায়াত নেতাদের ফাঁসি দিয়ে তিনি ভালো কাজ করেননি।প্রতিশোধ পরায়ণ হয়েই কাজটি তিনি করেছেন।
মেয়ে: কি বলছ বাবা!শুনেছি ঔরা নাকি ৭১ সালে অনেক জুলম অত্যাচার করেছে। মানুষ হত্যা করেছে নারী নির্যাতন করেছে।
বাবা: তা ঠিক আছে। নিত্য সত্য কথা।ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছে।কিন্তু এভাবে বুড়ো বুড়ো মানুষ গুলিকে ফাঁসি দেওয়াকে আমি সমর্থনও করিনারে মা।
মেয়ে: কেন বাবা দেশের জনগন তো তাই চাইছে।
বাবা: সেটাই শেখ হাসিনার বিচক্ষনতা।তাদেরকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে প্রতিপক্ষদেরকে নক আউট করা হয়েছে। দেখসিস না দেশে এখন কেমন রাজনীতি শূন্যতা বিরাজ করছে?
মেয়ে: তারা তো কেউ কৃত কর্মের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চায়নি বাবা।
বাবা: সেটা তাদের প্রাথমিক ভূল।
মেয়ে: আর দ্বিতীয়টি হলো---
বাবা: দ্বিতীয়টি হলো ইসলামি ছাত্র শিবিরের উতপাতি হরকত।তারা একাত্তরে দেশটা স্বাধীন হউক তা চায়নি।আবার এত ত্যাগ তিতীক্ষার পর দেশটা স্বাধীন হলে তার একদিকে দেশ প্রেমিক হয়ে গেল, অন্যদিকে জঙ্গিরুপে রাষ্ট্রিয় প্রতিষ্টানের উপর আঘাত হানতে শুরু করলো।অতচ তাদের নেতাদের ফাঁসির সময় তারা সবাই নিরব ছিল। মুখে তালা মেরে ঘরে বসে ছিল।
মেয়ে:আচ্ছা বলো বাবা তুমি সব সময় আমাকে মা মা বলে ডাকো কেন?ডয়েচ্ছারা শূনে হাঁসে।
বাবা: জানিস রে মা তোর জন্মের পর তোকে দেখে আমি গভীর গোপনে বলে উঠলাম, তোর এক গালে দেখি যেন আল্লাহর নাম, অন্যগালে দেখি মোহাম্মদের নাম। কপোলটা যেন ঈদের চাঁদ।তারপর তোকে যখন বুকের উপর ধরি, কিংবা শোয়াই, তোর তুলতুলে পাঁটা যখন বুকের উপর নাচতো, তখন পৃথিবীর সকল শান্তি এসে ভর করতো আমার বুকে। কি সুন্দর লাগতো পৃথিবীটাকে। আর এখন জানিস! এখন শুধু হতাশা হতাশা আর মনে হয় যেন আগুনের বাসা।দেখ ! দেখ মা! এখন যেন দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে আমার এই বিশাল বুকে।তোকে মা ডাকার পরে একটু শান্তি পাই,তাই তোকে ডাকি মা।
(২)
মেয়ে: আমি ওকে খুব ভালোবাসি।
বাবা: ভালোবাসা বেশি ভালো নয়রে মা ভালোবাসা একটি মিথ্যে শব্দ।
মেয়ে: কি বলছ বাবা? শুনেছি তুমিও নাকি আম্মুকে বালোবেসেই বিয়ে করেছে?
বাবা: মিথ্যে কথা। আমি তোর আম্মুকে কোনদিন ভালোবাসিনি।
মেয়ে: কি বলছ বাবা?আম্মু শুনলে তো তোমার সাথে ঝগড়া করবে।আর যদি তুমি আম্মুকে ভালোবেসে নাহি থাকো তো আমি হলাম কি করে?বাবা: হা হা করে হাঁসলেন।
মেয়ে: তাহলে শেখ হাসিনা কি স্বৈরচারি?
বাবা: তাকে আমি স্বৈরচারিও বলবো না, জননেত্রি ও বলবো না, আবার মানবতার মাও বলবো না।তিনি চৌতুর চৌখোশ একজন সফল রাষ্ট্র প্রধান।কিন্তু তিনি মৃত পিতার ইমেজ নিয়ে পিতৃ হত্যার প্রতিশোধ নিয়েছেন।নিজের নিজস্ব কোন ইমেজ ছিল না। পিতাই তার সামর্খ। কিন্তু বৃদ্ধ জামায়াত নেতাদের ফাঁসি দিয়ে তিনি ভালো কাজ করেননি।প্রতিশোধ পরায়ণ হয়েই কাজটি তিনি করেছেন।
মেয়ে: কি বলছ বাবা!শুনেছি ঔরা নাকি ৭১ সালে অনেক জুলম অত্যাচার করেছে। মানুষ হত্যা করেছে নারী নির্যাতন করেছে।
বাবা: তা ঠিক আছে। নিত্য সত্য কথা।ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছে।কিন্তু এভাবে বুড়ো বুড়ো মানুষ গুলিকে ফাঁসি দেওয়াকে আমি সমর্থনও করিনারে মা।
মেয়ে: কেন বাবা দেশের জনগন তো তাই চাইছে।
বাবা: সেটাই শেখ হাসিনার বিচক্ষনতা।তাদেরকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে প্রতিপক্ষদেরকে নক আউট করা হয়েছে। দেখসিস না দেশে এখন কেমন রাজনীতি শূন্যতা বিরাজ করছে?
মেয়ে: তারা তো কেউ কৃত কর্মের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চায়নি বাবা।
বাবা: সেটা তাদের প্রাথমিক ভূল।
মেয়ে: আর দ্বিতীয়টি হলো---
বাবা: দ্বিতীয়টি হলো ইসলামি ছাত্র শিবিরের উতপাতি হরকত।তারা একাত্তরে দেশটা স্বাধীন হউক তা চায়নি।আবার এত ত্যাগ তিতীক্ষার পর দেশটা স্বাধীন হলে তার একদিকে দেশ প্রেমিক হয়ে গেল, অন্যদিকে জঙ্গিরুপে রাষ্ট্রিয় প্রতিষ্টানের উপর আঘাত হানতে শুরু করলো।অতচ তাদের নেতাদের ফাঁসির সময় তারা সবাই নিরব ছিল। মুখে তালা মেরে ঘরে বসে ছিল।
মেয়ে:আচ্ছা বলো বাবা তুমি সব সময় আমাকে মা মা বলে ডাকো কেন?ডয়েচ্ছারা শূনে হাঁসে।
বাবা: জানিস রে মা তোর জন্মের পর তোকে দেখে আমি গভীর গোপনে বলে উঠলাম, তোর এক গালে দেখি যেন আল্লাহর নাম, অন্যগালে দেখি মোহাম্মদের নাম। কপোলটা যেন ঈদের চাঁদ।তারপর তোকে যখন বুকের উপর ধরি, কিংবা শোয়াই, তোর তুলতুলে পাঁটা যখন বুকের উপর নাচতো, তখন পৃথিবীর সকল শান্তি এসে ভর করতো আমার বুকে। কি সুন্দর লাগতো পৃথিবীটাকে। আর এখন জানিস! এখন শুধু হতাশা হতাশা আর মনে হয় যেন আগুনের বাসা।দেখ ! দেখ মা! এখন যেন দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে আমার এই বিশাল বুকে।তোকে মা ডাকার পরে একটু শান্তি পাই,তাই তোকে ডাকি মা।
(২)
মেয়ে: আমি ওকে খুব ভালোবাসি।
বাবা: ভালোবাসা বেশি ভালো নয়রে মা ভালোবাসা একটি মিথ্যে শব্দ।
মেয়ে: কি বলছ বাবা? শুনেছি তুমিও নাকি আম্মুকে বালোবেসেই বিয়ে করেছে?
বাবা: মিথ্যে কথা। আমি তোর আম্মুকে কোনদিন ভালোবাসিনি।
মেয়ে: কি বলছ বাবা?আম্মু শুনলে তো তোমার সাথে ঝগড়া করবে।আর যদি তুমি আম্মুকে ভালোবেসে নাহি থাকো তো আমি হলাম কি করে?বাবা: হা হা করে হাঁসলেন।
No comments:
Post a Comment