Sunday, January 11, 2015

মিথ্যাবাদির দল বিএনপি

সদ্য স্বাধিন হওয়া  বাংলাদেশের প্রথম আমাদের প্রবিত্র সংবিধান প্রনয়ের সময়, বঙ্গবন্ধুর দিক নির্দেশনায়  প্রধানত মুল  চারটি স্তম্ভের উপর ভিত্তি করেই সংবিধানটি রচিত হয়।যেমনঃ- গনতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, জাতিয়তাবাদ,এবং ধর্ম নিরপেক্ষতা।পৃথিবীর কোন দেশে এমন আধুনিক, এবং যুগান্তকারি সংবিধান রচিত হয়েছে  কিনা আমার জানা নেই।

তবু অবৈধ ভাবে রাষ্ট ক্ষমতা ধখল করে জেনারেল জিয়া আমাদের সেই প্রবিত্র সংবিধানের পাতায় বিসমিল্লা জুড়ে দিয়ে আরো প্রবিত্রতার নামে প্রপাগান্ডা ও ভাওতাভাজির জালজালিয়াতি শুরু করে দিলেন।বঙ্গবন্ধু ও  জেলখানায় বন্দী অবস্হায় আমাদের জাতিয় চার নেতাকে নির্মম ভাবে হত্যা করে তিনি ইনডেমেনেটিব নামে এক কালো আইন ও জুড়ে দিলেন সংবিধানের পাতায়।তার মানে খুনিদের কোনদিন বিচার করা যাবেনা।

তারপর তিনি হ্যাঁ না ভোট দিয়ে নিজেকে নিজেই বিজয়ি ঘোষনা করে নিজের ক্ষমতা আরো পাকা পোক্ত করে তিরিশ লাখ শহিদের রক্ত  আর দুলক্ষাধিক মা বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমাদের শ্রেষ্ট অর্জন স্বাধিনতা ও সংবিধানকে খন্ডবিখন্ড করতে লাগলেন।একে একে তিনি সংধিানের পাতা থেকে সমাজ তন্ত্র, গনতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, উঠিয়ে দিয়ে তিনি জাতিয়তা বাদির নামে রাজ কোষের কুঠি কুঠি টাকা খরচ করে এবং জনগনের রিলিপের টাকা  মেরে  জাতিয়তাবাদি দল নামে একটা অদ্ভূদ রাজনৈতিক প্লাটপরম গঠন করেন।অবশ্য পৃথিবীর সব সৈরচাররাই এমনটাই করেন বা করেছেন।যেমন, হিটলার, মুসোলিনি, পিনোসেট,মুভরতো, সুকোর্ন,সাদ্দাম, গাদ্দাপি, আতাতুর্ক আরো অনেক।

জেনারেল জিয়া এই প্লাটপরমের মাধ্যমে সর্বমোট এগারটা দল গঠন করার পর ও আবার গ্রাম সরকার গ্রাম চৌকিদার এমন কি ডান বাম দলের প্রগতি শিল এবং প্রতিভাবান নেতাদেরকে লোভ লালসা দেখিয়ে চরিত্র হরন করার লক্ষে মন্ত্রি মিনিস্টারের পদ পদবি দিয়ে অতবা রাজকোষের কুঠি কুঠি টাকা দিয়ে কিনতে লাগলেন। আর যুদ্ধা অপরাধিদেরকে পুর্নবাসিত করে করে  তিরিশ লাখ শহিদের আত্মাকে কষ্ট দিতে লাগলেন।

মিথ্যাচার দিয়ে শুরু করা স্বৈরচার জিয়ার সেই জাতিয়তা বাদী প্লাটপরম আজ অবধি মিথ্যাচারই করে যাচ্ছে।তারা একের পর এক মিথ্যাচার করে জাতিকে বিভ্রান্ত ও ভিবক্ত করার অপচেস্টা করছে।এই প্লাটপরমের প্রথম সারির সব নেতাই মিথ্যাবাদি ও প্রপাগান্ডা কারি। তন মধ্যে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান তো জগন্য মিথ্যাবাদি। 

জাতিয়তা বাদী নাম ধারি এই ধখল দার দল, নব্বই দশকের শুরুতে বাংলাদেশি না বাঙ্গালী এই  বিতর্ক তুলে পুরো জাতিকে ভিবক্ত করার পাঁয়তারা করে।তার পরে হঠাৎ করে একদিন তুললো জেনারেল জিয়াই স্বাধিনতার প্রকৃত ঘোষক।আজব কথা মুক্তি যুদ্ধের নয় মাস আমরা রেডিও বুকে লয়ে গুমাতাম, কোনদিন স্বাধিনতা ঘোষনা তো দুরের কথা কোনদিন আত্মগোপন কারি জিয়া নামে এই মুক্তি যোদ্ধার নামও শুনিনি।স্বাধিনতার পঁচিশ বছর পরে এসে এই অদভূত পঁচা কথা জাতিকে শুনতে হলো।

তারপর ১৫ই আগস্ট সকালে জাতির কিছু কুলাঙ্গার ছেলে বাংলাদেশের স্তপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানকে পরিবারের ১৭জন সদস্যসহ নির্মম ভাবে স্বপরিবারে হত্যা করে।যে মর্মান্তিক ঘঠনা কারবালার ইতিহাসকে পর্যন্ত হার মানিয়েছিল। আর সেই ১৫ই আগস্ট আসলেই বেগম জিয়া ভূয়া জন্মদিনের কি মহা উৎসব পালন করেন।কেক কাটেন,গান বাজনা করেন মদ খান, আরো কতো কিছু করেন।


আর এখন আবার তাদের অপকর্ম ঢাকা দেওয়ার জন্য নতুন করে তুলছে জিয়াই ছিল বাংলাদেশের প্রথম রাষ্টপতি।মিথ্যা বাদীদের মুখে কি জগন্য আজব কথা। স্বাধিনতার অনেক পরে এসে জানতে পেরেছি জেনারেল জিয়া ছিলেন আমাদের স্বাধিনতা যুদ্ধের পিছের সারির ২১ নাম্বার ব্যক্তি।আর সেই ২১ নাম্বার ব্যক্তিকে এতদিন ২১ থেকে ১ বাদ দিয়ে ২ নাম্বার বানানোর চেস্টো করা হয়েছে, আর আজ দেখি আবার ২১ থেকে ২ বাদ দিয়ে ১ নাম্বার বানানোর চেস্টা করা হচ্ছে।কি আজব অবিশ্বাস্ব কথা!

                                   ----------মোহাম্মেদ ফারুক, জার্মানি।

অজ্ঞসব জনপ্রতিনীধি,

সত্যই শক্তি, সত্যই সুন্দর,