গান

                                                                                                             



 

মুখে নাই মোর হাসি, তবুও গান ভালবাসি। গান গাহিতে আমি পারিনা, গান চাড়া ভালও লাগেনা।



 
 
 

হাজার বছর পরে আজ হাজার কথা মনে পড়ে
 

 

 

১৫ই আগষ্টের শ্মরনে ............

হে জাতির জনক বঙ্গ বন্ধু শেখ মজিবর রহমান,
পনরই আগষ্ট সকালে তোমার রক্তে বাংলার
ইতিহাসে নতুন করে লিখা হলো কারবালারই
আরেক কাহিনী ।রাতের আঁধারে স্বপরিবারে
তোমাকে নির্মম ভাবে খুন করিল কিছু সীমার
বেশি খুনি। হে মজিবর তুমি শুধু আমার নয়,
তুমি হলে স্বদেশের নয়ন মণি।

জনম নিয়েছ তুমি, হাজার বছর পরে, হাজার
হাজার বছর বাঁচবে বলে/তোমার কথা শ্মরন
করবো আমরা অনন্ত কাল ধরে চোখের জলে//
হে জাতির জনক, তোমার কাছে আমরা
থাকবো হয়ে চিরদিন ‍ঋনি//

তুমি এসেছ মহামানব হয়ে, প্রমান করেছ কর্মকীর্তি
দিয়ে/ শ্বাসত স্বত্বারুপে মহামানবের আসনে বসেছ অমর হয়ে//,
হার মেনেছে পৃথিবীর সকল করুন কাহিনী/ হে
মজিবর আমরা তোমায় ভুলিনি, ভুলবনা কোনদিন
তোমার লক্ষ সেনা সেনানী//



২,আবার তো দেখা হলো বন্ধু,তবু তোর চোখে কেন
এত ব্যাথার জল।আমি তো মরে যাইনি বন্ধু করেছি
শুধু ছল।বল বন্ধু বল্ তোর চোখে কেন এত জল।

চোখের ফলকেই তো হয়ে গেল, এমন ভয়ানক
দুর্গঠনা।তোকে চেড়ে চলে যাবার আমার তো কোন
খেয়াল ছিলনা।মরন দিল উপহার নতুন জীবন সেতো
আনন্দের ফসল।

জানি বন্ধু আমি আজ মরে গেলে তোর বড় কস্ট হতো।
আজীবন তোকে  কঠিন ব্যদনার ভোজা বহিতে হতো।
হয়তো এই পৃথিবীতে নয় আকাশে তো আমাদের দেখা
হতো,সেকি নয় আসল।

*********************************


৩,--হাজার বছর পরে এসে আজ আমরা এ-কেমন বিশ্ব গড়েছি,

যেই তিমীরে ছিলাম মোরা আজো সেই তিমীরেই পড়ে আছি।


হাজার বছর পরে আজ  হাজার কথা মনে পড়ে/
কত ক্ষুদা তৃষ্ণাপৃথিবীর ঘরে ঘর/
বাসের যগ্য করে নতুন বিশ্ব আমরা কি গিড়িতে পেরেছি।

হাজার বছর পরে এসে আজ মানুষে মানুষে
বেড়েছে আজ কত ব্যবধান।/

অনাহুত মানুষ আজ মানুষকে করে
বলিদান/রক্তের হলি খেলায় এ ভূসর্ঘকে
আজ আমরা নরকে পরিণত করেছি।।
কোথাও প্রেম নেই, নেই কোন হাম দরদী,
অমানুষে ভরে গেছে - এই নিদারুন  পৃথিবী
চারিদিকে বেড়ে গেছে গরিবী,ভুখা ব্যতিতের মুখে
আমরা কি এক মুঠো ভাত তুলে দিতে পেরেছি--।।



প্রিয় বন্ধুরা আজ ৬ই আগষ্ট, ২০০৫ সালের এই দিনে আমার প্রিয়তমা মা জননী আমাদেরকে এতিম করে  এ পৃথিবীর মায়া ছেড়ে পৃথক পৃথিবীতে চলে গেছেন। তোমরা সবাই মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কছে আমার মা এর জন্য একটু দোওয়া করবে প্লিজ !


 ১, মা তুমি কোথায়,মা তুমি কোথায়?
যে দুটি হাতে আগলে ধরে রাখতে,
যে দুটি হাত মাথায় ভূলাতে,
সে দুটি হাতের পরশ পেতে
কাঁদছি গো মা তুমি কোথায়?// মা তুমি কোথায়---? 
মাগো পৌষ মাঘের শীতে-যে দুটি হাতে
বুকে জড়ায়ে রাখতে। যে দুটি হাতে
বারি বরষায় আগলে ধরে রাখতে, সে দুটি হাতের
পরশ পেতে কাঁদছি গো মা, তুমি কোথায় মা তুমি কোথায়---? 
মা গো কোন দিন কি একটুও ব্যথা করেনি
তোমার সে দুটি হাতে/ আপদে বিপদে রোগে
শোকে কেমন করে ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে রাখতে।
কোন দানবের শক্তি ছিল তোমার সে দুটি হাতে,
সে দুটি হাতের পরশ পেতে কাঁদছি গো মা তুমি কোথায়---?

২, দুঃখ তো সবাই দিতে পারে না গো মা/
দুঃখ দেওয়ার  মানুষই হয় আলাদা। দেখেছ মা
 কৃষ্ণের প্রেমে পড়ে জীবন ভরে কেমন কেদেঁছে রাধা।।
দরদীবিনে দুঃখ আসেনা কারো জীবনে/
ধমনীতে দম না থাকিলে প্রাণ থাকেনা প্রাণে।
তুমি আমার তেমনই একজন গো মা নাড়ির বাঁধনে বাধা।।
দীনহীনে তো দয়া করে সবাই,
পথহীনে তো পথ দেখায় সবাই,
হায়রে তবু কত কষ্টের এই দুনিয়ায়,
কত মানুষ ধরা খায় চৌকি থানায়.
মোহমায়ায় বাঁধা গো মা, সবি গোলক ধাঁধাঁ//


৩, মা আমার ভালবাসার কারখানা  রে--
মা আমার ভালবাসার কারখানা/
আমি মায়ের ভালবাসা ছাড়া কিছু চাইনা রে--
আমি কিছু চাইনা//
মা না হলে আমার জীবন চলেনা,
মা না হলে আমি পথঘাঁট কিছুই দেখিনা।
মা যে হলেন আমার সকল প্রেরণা রে--
সকল প্রেরণা//
 মা আমার কান্ডারি, মা আমার ভান্ডারি,
আমি তারে ভক্তি করি চরণ ধরে সালাম করি।
মা আমার মক্কা মদিনারে,
মা আমার মক্কা মদিনা//


৪, শুধু ডাকার মত মা নহে গো তুমি আমার
সত্যিকারের মা--মা --মা জননী।
তুমি আমার সর্ঘ নরক তুমি আমার
জীবন মরন বহ্নিশিখা নুরানী//
 মা গো --আমার মুখের প্রথম বুলি ছিল গো তোমার নাম,
শেষ বুলিও মা হবে ইশআল্লাহ তোমার নাম।
দমে দমে হরদমে চলে আসে তোমার নাম,
তুমি দোজাহানের পরশমণি//
মা গো--তুমিবীনা আমি কিছু না গো মা
আমি কিছু না।মটির মানুষ মাটির দেহ, মাটির
পুতুল খানা।দিবানিশী ডাকি তোমায় রুহের মত
বসে আৗ কলবখানায়। তোমায় আমি চিনি গো মা
তোমায় আমি জানি//


৫,মা তোমার স্নেহ সুধা দিয়ে আনন্দময় করে তোলো 
আমার জীবন/ স্নেহ মায়ার কুশুমে ভরে দাও আমার কুঞ্জবন//
মা গো-- যার জীবনে নেই কোন সুখ আনন্দ,
তার মত  কে আর আছে ভবে কপাল মন্দ/
মাগো তোমার মমতার মায়া আমার বড় প্রয়োজন//
মাগো-- স্নেহ মায়া ছায়া দিও--দিও ভালবাসা/
আমি তো বেঁচে আছি তোমার উপর করে ভরসা/
মাগো তোমার প্রেমে দেখি বাঁচার সূভলক্ষন//

৬,বিধাতার আসনে বসি, আমাকে মানুষ করেছে
যেই মহিষী, সেই আমার মা, সেই আমার মা,
আমি তারে ভালোবাসি প্রাণের চেয়ে বেশি//
মরে গিয়েও আমার মাঝে বেঁচে আছেন তিনি/
কতো যে স্নেহ মায়া মমতা করেন আমার মা-জননী/ 
শিশু থেকে সাধু, সাধু থেকে বানায়েছেন সন্যাসি//
কতযে করুণা করেছেন তিনি,তাই তো করি এত ভক্তি/
আমাকে প্রথম দিয়েছেন তিনি মানুষ নামের সিকৃতি/
কেমন মানুষ হলাম আমি এ জগত জাহান্নামে,
হাসতে হাসতে কাঁদি আমি আবার কাঁদতে কাঁদতে হাঁসি//

৭,মা তোমার বিরহে ব্যদনায় আমাকে করেছে
উদাস ফকির/একবার আওয়াজ তুলি ডুগডুগির,
আবার করি জিগীর//
মা-গো- তুমি রুদ্র, তুমি মহসমূদ্র, তুমি আমার বিশ্ব
ভ্রম্মান্ড/তুমি আমার সূখ যন্ত্রনা,হাসি কান্না আনন্দ//
তোমার সাধনায় আমি স্বাধ পাই অমর জিন্দিগীর//
মা-গো- তুমি অসিম তুমি শসিম, তুমি চাঁদ সুরুজ
তুমি রাতদিন/বুকের ভিতর তুমি বসত করো বলেই
আমি মনে করিনা দীনহীন/অভাগাকে করেছ তুমি
লাকির কি ফকির//

৮,মা তোমার স্নেহমায়া ছিল নিঃস্বার্থ,সতভাগ সত্য/
তোমার নিঃসর্ত ভালবাসা ছিল পাপ কালিমা মুক্ত//
 মা গো এ পৃথিবীর সব কিছুতেই আজ ভেজাল,
ভেজাল মণি মুক্তা/দাম্ভিকেরাই হলো আজ ধন্ধের
পটু বক্তা/তুমিবিনা আরাধনা উপাসনা সবি হলো মিথ্যা//
মা গো তুমি বিধাতার মত মহান/তোমার চরন তলে
মাথা রেখে করি সালাম/তুমি মঙ্গল পৃথিবী, তুমি সনিসূক্র/
তোমার সাথে আছে আমার রক্তনাড়ির যোগসুত্র/
আমার শুধু একটি সর্ত, চাই তোমার অমরত্ব//

৯,মা গো বড় কষ্ট করে জনম দিয়েছ আমারে/
কতো স্নেহমায়াআদর যতন করেছ অকাতরে//
মা গো  খাওয়ায়েছ মোরে তোমার বুকের
নিরর্ভেজাল দুধ/বুকের ভিতর হেফাজত করে
তাড়িয়েছ যমদুত/বিনিময়ে কিছুই তো দিতে
পারিনী তোমারে//
মা গো  তুমি নিজে কষ্ট করে আমাকে খাওয়ায়েছ/
নিজে না পড়ে আমাকে পরায়েছ/ শিশু থেকে
লালন করে সাধু বানালে মোরে//

১০,ভালো বাসতে বাসতে ভালোবসা ভরশা হয়ে যায়/
ভালোবেসে কেউ হারে কেউ জিতে,ভালোবাসার এ
লীলাখেলায়//
ভালোবাসতে বাসতে একদিন দুটি শরির এক হয়ে যায়/
প্রেমিকের মনের কথা প্রেমিকা অকপটে কয়/
প্রেয়সির কান্না দেখে আমি বুঝেছি রোগসজ্জায়//
প্রথমে ভাল লাগে প্রেমিকার রুপ যৌবন/
প্রণয়ের পরে অবিরাম চলে মান অভিমান//
কেউ সহে কেউ বহে কেউ আবার স্রোতের টানে হারিয়ে যায়//
সান্ত সাগরে হঠাৎ করে তুফান উঠে যায়/
বিরহ ব্যদনায় দুজন দুজনাকে হারায়/
কষ্ট কাতরে সাদা আকাশ নীল হয়ে যায়//

 কিছু দেশের গান---
১১.অনুপ দেশের অনুপমা, ও আমার বাংলা মা/
তুমি আমার সকল সূখের অপরুপ উপমা//

মা গো-তুমি আদর যতন করে বড় করেছো/
যুদ্ধ করে বাঁচার মন্ত্র তুমি প্রথম শিখায়েছ//
তোমার ছোঁয়ায় ভুলি গো মা, সকল দুঃখ ব্যদনা//--

মা গো তোমার খালেবিলে বনবাদাড়ে কত যে প্রাণের খেলা/
সব হারাদের বুকে ধরে  যতন করে বসায়েছ প্রেমের মেলা//
তোমার বুকে পাই গো মা আমরা শান্তির অনন্য ঠিকানা//

মা গো তুমি আমার ভূসর্ঘ পরম দেশ/
কি সুন্দর সবুজ শ্যামল মনোরম বেশ//
তোমায় ভালোবাসি, বেশি করে ভালোবাসি,
আমরা তোমার লক্ষকোটি পাগল সোনা//

১২, ও আমার জন্মভূমি সবুজ মমি দেশটা/
তোমার বুকে লুকিয়ে আছে আমার প্রিয় সুখটা//

মা গো তোমার বুকে মরতে পারি,পারি বাঁচতে/
তুমি আমায় পার গো মা আকাম সম স্বপ্ন দেখাতে//
তুমি আমার আঁধার রাতের প্রিয় আলোর শশীটা//

মা গো তুমি আমার আকন্দ ফুলের নকসী কাঁথা/
তুমি আমার রক্ত গোলাপ পাঁপড়ি পাতা//
স্বজন হারাদের সুজন তুমি,
তুমি জুড়াতে পার জীবনের জটা//

মাগো তুমি মোদের ঘরে জ্বেলেছ আলোর দ্বীপালী/
তোমায় পেয়ে ধণ্য হলাম মোরা সকল বাঙ্গালী//
গর্ব করি মোরা সবে সুখে দুঃখে পাশে রবে মা লক্ষীটা//

১৩,আমরা কত যে ভাগ্যবান/
পেয়েছি একজন রুপে রুপবান//
সে মায়েরই শুশীল ছায়ায় জুড়ায় মোদের 
মনোপ্রাণ//
কি অপরুপে ভরা আমার মায়ের সবুজ বন বনানী/
গাছে পাখি ডাকে, দৌড়ে বেড়ায় কত মায়া হরিনী//
তারি মাঝে বহে সুনীল হাওয়া যেন জান্নাতের বাগান//
মাযে মোদের রুপবতি  মমতাময়ি নারী/
সন্তানেরি সুখের তরে এলেন সর্ঘ ছাড়ি//
গড়িলেন এক ভূসর্ঘ,কত প্রাণের অর্ঘ/
সুখে আছি আমরা তোমার সতরকোটি সন্তান//

১৪, বাবা তোমাকে আমার  মনে পড়ে/
খুব বেশি করে মনে পড়ে/
 খুঁঝেছি তোমায়  হেতায় হোথায় ,
খুঁঝেছি সারাটা বিশ্ব গুরে//
কোথাও নেই তুমি আছ শুধু  সৃতিতে/
তুমি আছ খেয়ালে ধ্যায়ানে বুকেতে/
হয়না দেখা হয় তবু কত কথা,
বুকে বাড়ে ব্যথা চোখে অশ্রু ঝরে//
নিয়তি নিয়মে তুমি চলে গেছ আমাকে এতিম করে,
নিঠুর পৃথিবী  আরো নিঠুর হলো তুমি হলে পরপারে//
হিংসা প্রতিহিংসা এ পৃথিবীর নিত্য জিগাংসা/
হায়রে আজো হলো না মানবতার মিমাংসা//
বাবা তুমি ভেবনা আমাদের দেখা হবে হাসরে//










 

---চলবে 

No comments:

Post a Comment

অজ্ঞসব জনপ্রতিনীধি,

সত্যই শক্তি, সত্যই সুন্দর,