Wednesday, November 25, 2015

এক অজানা রোগে আক্রান্ত আমি,





              

                                                  এক অজানা রোগে আক্রান্ত আমি,


এক অজানা রোগে আক্রান্ত আমি। অবিশ্বাশ্য হলে সত্যি, গত দু সপ্তাহ  ধরে জার্মানীর মত একটা উচ্চ চিকিৎসার দেশে এলিজাবেত ক্লিনিক  নামে একটা অর্থপেডি হাসপাতালে থেকে সব ধরনের পরিক্ষা নিরীক্ষা করেও স্পেশালিষ্ট ডাক্তার গন আমার রোগটা সম্পর্কে সঠিক কোন ধারনাই দিতে পারেন নাই।

গত তিন মাস ধরে আমি পাঁয়ের যন্ত্রনায় ভুগছি।একবার ডান পাঁয়ে আবার বাম পাঁয়ে। এই ভাল আছি এই ভাল নেই অবস্হায়।এমনই অসহ্য ব্যথা যে আমি মাঝে মাঝে ক্রাচে ভর দিয়েও হাঁটতে পারি না। মাঝে মাঝে হুইল চ্যয়ারও ব্যবহার করতে হয়েছে।  ব্যথার কারনে  একদিন হাসপাতালে বেঁহুষ হয়ে পড়ে গেলাম।

এখন অবশ্য আমি বাসায় ফিরে এসেছি। তবে হাসপাতালের প্রধান ডাক্তার পিয়ারনেক এর প্রেসক্রাইপট মত নিয়ম মাপিক হাই পাওয়ারের ব্যথার টেবলেট কটিজন নিতেছি,কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। সেই আগের অবস্হা, এই প্রচন্ড ব্যথা এই আবার ব্যথা নেই।

এলিজাবেত ক্লিনিকে ডাক্তার পিয়ারনেক এর নেতৃত্বে সাত জনের পুরো টিম ১১দিন ধরে রেডিলোজি এমন কি মেগনেট রেডিলোজিকেলের  সব রকমের যন্ত্রদিয়ে বার বার পরিক্ষা নীরিক্ষা করে আমার দেহের ভিতর বাহিরের জটিল ও গুরুত্বপুর্ন অঙ্গের কোন দোষ ক্রুটি ধরতে পারে নাই।আমর  মল মুত্র সব কিছুই ওকে, কিন্তু ব্লাডে একটু সমস্যা আছে তবে রোগটা কি তাঁরা ধরতে পারে নাই।ডাঃ স্টেনসেল এবং ডাঃ হান্স ভাইষ্ট দুজনই ছিলেন অভিজ্ঞ সম্পর্ন  অর্থপেডি ডাক্তার, তাঁরা আগামি বছর পেনসানে যাবেন। আমি বার বার তাঁদেরকে জিজ্ঞেস করেছি তারা এটাকে বাত কিংবা গেঁটেবাত রয়মা বলতে নারাজ।
এখনো আমি এখানে কষ্ট হলেও মোটামুটি নিজে চলাফেরা করতে পারছি।নিজে ড্রাইব করে হাসপাতালে কিংবা ডাক্তারের কাছে যেতে পারছি। তেমন একটা অশুবিধা হচ্ছে না।কোন যায়গায় হয়রানি কিংবা ঘুষ দিতে বা কারো  তোষাম্মদি করতে হচ্ছে না। কারো সুপারিসের ও প্রয়োজন হয়নি। হাসপাতালে এক রকম যন্ত্র দানবের সাথেই আমাকে বসবাস করতে হয়েছে।দশ রকমের খেরাপি সহ নানা পরিক্ষা নিরীক্ষা তারা নিজ ইচ্ছায় নিজ তাগিদেই করেছেন।কোন জায়গায় আমাকে অযথা কোন পয়সা খরচ করতে বা হয়রানি হতে  হয়নি।আমি তাদের কাছে চির ঋনি ও কৃতজ্ঞ হয়েই থাকবো।
মনে মনে শুধু ভাবি, আজ যদি আমার প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশ হতো।তাহলে কারো না কারো সাহায্য সহযোগিতা, সুপারিশ, তোষাম্মদি ঘুষ চাড়া আমি এত গুলি পরিক্ষা নীরিক্ষার কাজ সম্পর্ন করতে পারতাম না।আমি মনে মনে এখানের পরিস্হিতির  সাথে বাংলাদেশের  সাথে মিলাইয়ে দেখি।কেমন যেন একটা আকাশ পাতাল ব্যবধান।
দেখি আগে কি হয়। আমি সব সময় আমার প্রার্থনার প্রতি রাতে, প্রতি প্রাতে আল্লাহর কাছে ছোট খাটো কোন একটা রোগের কামনা করেছি। যেন আমি সে রোগে পড়ে পানির মাঝে লবনের দ্রবনের মত আল্লাহর মাঝে বিলিন বা নির্বান হয়ে যেতে পারি। আল্লাহর সানিধ্য লাভ করতে পারি।এক মনে এক ধ্যনে সদা আমি ।আল্লাহকে ডাকতে পারি।যদি সে রকম কোন রোগ হয়ে থাকে তাহলে কোন সংশয় নেই,। বরঞ্চ জীবনটাকে ধন্য মনে করবো ।
 তবে আমার এই অজানা রোগের কারণে আমি মোটেই আতঙ্কিত বা হতাশাগ্রস্ত নয়।কোন প্রকার দুর্চিন্তা অবসাধ বলতে কিছুই নেই। সব কিছু মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের উপর চেড়ে দিলাম। আমি মনে করি মানুষের রোগ শোক সবি আল্লাহর হাতে। এখানে আল্লাহর ইচ্ছাই প্রতিপলিত  হবে। আমার কি করার আছে?তবে হ্যাঁ শুধু মুমিন লোকদের কাছে দোওয়া প্রার্থি।--আমিন!



অজ্ঞসব জনপ্রতিনীধি,

সত্যই শক্তি, সত্যই সুন্দর,