Showing posts with label সত্যের সাক্ষ্য. Show all posts
Showing posts with label সত্যের সাক্ষ্য. Show all posts

Monday, February 2, 2015

ইসলামের লেঁজ কাটা কুকুরেরা!

                                                                                                                                                             

আচ্ছালা মালাইকুম  ওবারা কাতুহু শুনো হে দুনিয়ার মানব সন্তানেরা!


      
প্রকৃত ইসলাম বলে কি? আর ইসলামের লেঁজ কাটা কুকুরেরা বলে কি? আমার প্রিয়  শান্তির ধর্ম এই ইসলাম সম্পর্কে লেঁজ কাটা নিলর্জ কুকুরদের মুখে আর কোন  ফতুয়া বা অপব্যখ্যা শুনতে চাই না।জীবন ভরে এই সব নেড়ি কুত্তাদের মুখে অনেক গেউ গেউ শুনেছি।অনেক দেখেছি তাদের ভন্ডামি,আজ তাদের পরিচালিত কোন মাদ্রাসা মসজিদে যেতে আমার ইচ্ছেই করে না। তাদের পিছনে বসে আমার দুরাকাত নামাজ পড়তে ইচ্ছে করে না।আমি শৈশব থেকেই ইসলামের প্রতি দুর্বল ছিলাম, আমি শৈশবেই  আমার মা এর কাছে প্রকৃত ইসলামের শিক্ষা ও দীক্ষা গ্রহন করেছি। আর এই দীর্ঘ প্রবাসে বসেও ইসলামি বইপুস্তক হাদিছ কিতাব পড়ে ইসলাম সম্পর্কে যতেষ্ট জেনেছি।ইসলামের আসল সত্য আজ আমার কাছে ধরা দিয়েছে।আর সেই কারনেই এই সব লেঁজ কাটা কুকুরদের বিরুদ্ধে কিছু লিখে এবং প্স্বরয়োজন বোধে স্বশস্ত্র যুদ্ধ করে জিয়াদের জন্য আমি দৃঢ় প্রতিজ্ঞা বদ্ধ হয়েছি।

ইসলাম বলে কি? আর লেঁজ কাটা কুকুরেরা বলে কি?
আরবি আল্ ইসলাম শব্দ দিয়ে শান্তির ধর্ম ইসলামের নাম করন করা হয়েছে। ইসলাম শব্দের প্রকৃত অর্থ হলো আত্মসমর্পন। আর ধর্মিয় ভাবে ব্যখ্যা করে বললে এর অর্থ হয়, অদেখা এবং নিরাকার সর্বশক্তিমান আল্লাহ এবং তার প্রেরিত ঐশি গ্রন্হ আল কোরআন ও তাঁর প্রিয় হাবিব আমাদের পেয়ারে মুহাম্মদ (সাঃ)ও তাঁর প্রচারিত সত্য ধর্ম ইসলামের আকিদা সমূহকে মনে প্রানে বিশ্বাস করে নিজেকে সমর্পন এবং বিশ্বাস করার নামই হলো ইসলাম, আর বিশ্বাস কারীকেই  প্রকৃত মুসলমান বলা হয়।

ওহে দুনিয়ার মানব সন্তান শুনো!
তোমরা মন দিয়ে আমার কথা শুনো! শুধু লম্বা কোর্তা লম্বা দাঁড়ি আর কারুকাজ করা গোল টুপি পড়লে প্রকৃত মুসলমান হওয়া যায় না, যাবেও না কোন দিন। ইসলামি মাদরাসায় বড় বড় হাদিছ কিতাব পড়ে বড় বড় টাইটেল লয়ে আলেম ওলেমা আল্লামা সেজে ভূল ভ্রান্তি ভরা ওয়াজ নছিহত করে বা ইসলামের অপব্যখ্যা করে ফতুয়া দিয়ে ঝোলা ভরলে হবেনা, প্রকৃত ইসলামের পথ থেকে তোমরা সরে গিয়ে কাপের হয়ে সেরেকি গুনাহ  করছ কিনা সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

মহা নবী জিবীতাবস্হায় ভবিষ্যত বাণি করে গেছেন যে আমার মির্ত্যুর পর ইসলামে ৭৩টা দলে ভিবক্ত হবে, কিন্তু আমার খাঁটি ইসলামি দল হবে একটাই, আর তারাই জান্নাতবাসি হবে। আর বাঁকি ৭২টাদলই হবে জাহন্নামী। নবিজীর আগাম বাণি অক্ষরে অক্ষরে সত্য প্রমানিত হয়েছে।আজ বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর ভিবিন্ন দেশে সত্যিই ৭৩টি ইসলামি দল গঠিত হয়েছে। খাঁটি মহা নবীর কোন দল সেটা চেনাই মুসকিল হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশে আজ কেউ জামাতি কেউ হেপাজতি,  কেউ আহলে হাদিছ, কেউ আবার আহলে সুন্নুা,কেউ মাইজভান্ডারি, কেউ আটরশির পীর কেউ আবার শাহাবগি কুতুববাগি মতাদর্শ জাহের করিতেছে, এরা সবাই ইসলামের দৃষ্টিতে এক একটি লেঁজ কাটা কুকুর। তারা ইসলামের অপব্যখ্যা দিয়ে প্রকৃত মুসলমানকে শেরেকি  ‍গুনাহর মধ্যে নিজ্জিত করাচ্ছে।

মুলত মহা নবীর ইন্তেকালের পরই তাঁর স্তলাভিসক্ত বা উত্তরাধিরী নিয়েই মুসলমানের মধ্যে দন্ধের সৃষ্টি হয়। সেই সময়ই মহান এই ইসলাম ধর্মের অনুসারিরা দ্বিধাভিবক্ত হয়ে পড়ে। এক দল সুন্নি আর একদল শিয়া-ই আলি, বা আলির গোস্টি নামে। সেই শিয়াতে আবার উগ্রবাদি চরমপন্হি নামে আরেক দল সৃষ্টি হয়ে খারেজি নামে আখ্যা পেল। সেই খারেজি থেকে পরবর্তিতে ইছমাইলী, আলাওয়ী,দ্রুজ, সালাফি , ওহাবী আহম্মেদী, মওদুদী,এবং সর্বশেষ গোলাম আজমীতে এসে ঠেঁকেছে।

সেই সময় খারেজিরা দুটা কারনে ফতুয়া দিত। এক,প্রবিত্র কোরা্নে মযিদে ৭০ হাজার আয়াত নাকি আল্লাহ পাক নাযিল করেছেন, কিন্তু সুন্নিরা মাত্র ৬৬৬৬টি প্রকাশ করেছেন।দুই,হযরত আলীই মহা নবীর প্রকৃত উত্তরাধিকারি বা উত্তরসরি, এবং তিনিই খালিফা হওয়ার যগ্য। আবুবক্কর নহে।

সেই খারেজির অনুসারিরা পর্যায়ক্রমে এসে ইবনে তাইমিয়ার নেতুত্বে সালাফি, ইবনে আবদুল ওহাবের নেতৃত্ ওহাবী এবং মওদুদীর নেতৃত্বে জামাতি মতবাদ গঠিত করেছে।উপমহাদেশে তথা বাংলাদেশে মওদুদীর একজন খাঁটি সাকসেসর হিসেবে গোলাম আজম দায়িত্ববার গ্রহন করলেও তাতে ভাগ বসান দেল্লা রাজাকার ওরফে দেলোয়ার হোসেন সায়েদি।

ইবনে তাইমিয়ার মনুষ্য আকৃত বিশিষ্ঠ আল্লাহ তাআলার আকৃতি হিসেবে ফতুয়া দিলেও,গেলাম আজম ফতুয়া দিয়েছিলেন প্রবিত্র কোরআনের প্রথম সুরা ফাতেয়া না হয়ে সুরা আল বাকেরা হওয়া উচিত ছিল বলে। দেখুন এবার  কত বড় নাস্তিক ও কাপের, খোদার উপর খোদাগিরি। এই সব নাস্তিক সয়তানরাই আজ বাংলাদেশে জ্বালাও পোড়াও, ভিন্ন ধর্ম মতের মাুষকে নির্বিচারে হত্যা করছে। এরাই ইসলামের লেঁজ কাটা কুকুর।এদেরকে বাংলার মাঠি থেকে চিরতরে বিতাড়িত করতে হবে।যেমনি ভাবে স্ব স্ব দেশ থেকে বিতাড়িত হয়েছে তাদের পুর্বসুরিরা।

তবেই মহা নবীর সুন্নাহ এবং আকিদা সুমুহ এক ও অদ্বিতীয় হয়ে থাকবে বাংলার মাটিতে,তবেই আমরা হানেফি মাযহাবের মুসলমানেরা আত্মায় শান্তি পাবো, ইনশআল্লা।


                                ------মোহাম্মেদ ফারুক, জার্মানী।

Sunday, January 25, 2015

কুকুরের ব্যর্থ লেঁজ।

              






                                                                                                                                                            কুকুরের লেঁজটাই ব্যর্থ।না জানি ইশ্বর কেন কুকুরকে এরকম একটা উদ্ভট লেঁজ দিয়েছেন? যে লেঁজ দিয়ে না পারে নিজের কান খোঁছাতে, না পারে মশা মাছি তাড়াতে, আবার না পারে নিজের লজ্জা স্হানকে ঢাকতে।সব সময় বাঁকা করে রাখে, বাঁকা করে খায় গুমায়। বাঁকা করে হাঁটে আবার বাঁকা করেই দৌড়ায়।সবাই বলতো কুকুরের লেঁজ নাকি বার বছর  ‍চুঙ্গার ভিতর ভরে রাখলেও শিদা হয় না।আবার কেউ কেউ বলতো লেঁজে নাকি আগুন ধরিয়ে দিলে শিদা হয়ে যায়। আমি শৈশবে বহুবার কুকুরের লেঁজে আগুন ধরিয়ে দেখেছি, কোন দিন সিদা হতে দেখিনি, এটাই ধ্রুব সত্য।

বাংলাদেশে আবার অনেককে দেখেছি, বিরক্ত হয়ে পোশা কুকুরের লেঁজের গোড়া দিয়ে কেটে দিতে। সেই কাটা অংশটুকুও কুকুর বাঁকা করে রাখার চেষ্টা করতো।উচ্ছিষ্ট বিস্টা পোলাপানের পায়খানা খেয়ে সারা রাত জেগে গৃহ পাহারা দিয়ে   মনিবের যতই  বিশ্বস্হ হওয়ার চেষ্টা করুক না কেন কুকুরকে মুসলমানেরা সব সময় ঘৃনার চোখেই দেখে।কুকুর দেখলে ছোটরা যেমনি ডিল চুড়ে,বড়রা তেমনি লাথি মারে।

বাংলাদেশে  বিএনপি নামে জাতিয়তা বাদী দলটা আজ, জামাত শিবির নামক এক ধরনের বন্য কুকুর পুশে পড়েছে এক মহা বিপদে। যারা একাত্তরে আমাদের মহান মুক্তি যুদ্ধে পাকিদের পাঁ চেটে কুলশিত হয়েছে।যারা নিজেদের কৃত কর্মের জন্য একটুও অনুতপ্ত অনুসোচনা বা দুঃখ প্রকাশ  না করে পুরনো সভাবেই লেঁজ বাঁকা করে আছে।তাদেরকে নিয়ে বিএনপি না পারছে মশা মাছি তাড়াতে, না পারছে লজ্জা স্হান ঢাকতে।

এই বর্বর জামাতি কুকুর পুশে আজ বিএনপি জাতিয়তা বাদী আদর্শ থেকে নৈরাজ্য বাদী দল বা ( Anarchism ) এ পরিনত হয়েছে।নৈরাজ্যবাদীরা যেমনি সব সময় রাষ্ট, সমাজ,ও তার জনগনকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য মনে করে।ঠিক তেমনি আজ বিএনপিও বদ চরিত্রের কুকুরদের প্ররোচনায় পড়ে রাষ্ট সমাজ ও তার জনগনকে পেট্রল বোমা ও ককটেল মেরে নিঃশেষ করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে।

আজ আমাদের সোনার বাংলার উত্থান ও বাঙ্গালী জাতির নব জাগরনের সময় তারা ইসলামের অপব্যাখ্যা দিয়ে আমাদের জাগরনকে ধমিয়ে দিতে চাচ্ছে।তারা একাত্তরের নয়টি মাস নিরীহ বাঙ্গালীর উপর যেমনি হত্যা ধর্ষন লুটপাট চালিয়েছে, আজ আবার ঠিক একি কায়দায়  নিরীহ মানুষ হত্যা শুরু করে দিয়েছে।এই জামাতি কুত্তাদেরকে পাথর মেরে  এখনি বাংলার মাঠি থেকে চির তরে বিদায় করতে হবে।

প্রবাসে বসে টিভি বা ফেসবুক ইউটুবে অবরোধের নামে বাংলাদেশে চলন্ত যাত্রি ভোজাই বাসে পেট্রল বোমায় জীবন্ত মানুষকে জ্বলতে দেখে, ঢাকা বার্ন ইউনিটে জ্বলন্ত মানুষের আর্তনাদ দেখে আমি বিএনপি নামের  জাতিয়তা বাদী এই দলকে সন্ত্রাসী জঙ্গীবাজ চাড়া আর কিছু ভাবতেই পারছিনা।সত্যিই বিএনপি  আজ একটি নৈরাজ্য বাদী দলে পরিনত হয়েছে।


                                          --------মোহাম্মেদ ফারুক।


                    

Sunday, January 11, 2015

মিথ্যাবাদির দল বিএনপি

সদ্য স্বাধিন হওয়া  বাংলাদেশের প্রথম আমাদের প্রবিত্র সংবিধান প্রনয়ের সময়, বঙ্গবন্ধুর দিক নির্দেশনায়  প্রধানত মুল  চারটি স্তম্ভের উপর ভিত্তি করেই সংবিধানটি রচিত হয়।যেমনঃ- গনতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, জাতিয়তাবাদ,এবং ধর্ম নিরপেক্ষতা।পৃথিবীর কোন দেশে এমন আধুনিক, এবং যুগান্তকারি সংবিধান রচিত হয়েছে  কিনা আমার জানা নেই।

তবু অবৈধ ভাবে রাষ্ট ক্ষমতা ধখল করে জেনারেল জিয়া আমাদের সেই প্রবিত্র সংবিধানের পাতায় বিসমিল্লা জুড়ে দিয়ে আরো প্রবিত্রতার নামে প্রপাগান্ডা ও ভাওতাভাজির জালজালিয়াতি শুরু করে দিলেন।বঙ্গবন্ধু ও  জেলখানায় বন্দী অবস্হায় আমাদের জাতিয় চার নেতাকে নির্মম ভাবে হত্যা করে তিনি ইনডেমেনেটিব নামে এক কালো আইন ও জুড়ে দিলেন সংবিধানের পাতায়।তার মানে খুনিদের কোনদিন বিচার করা যাবেনা।

তারপর তিনি হ্যাঁ না ভোট দিয়ে নিজেকে নিজেই বিজয়ি ঘোষনা করে নিজের ক্ষমতা আরো পাকা পোক্ত করে তিরিশ লাখ শহিদের রক্ত  আর দুলক্ষাধিক মা বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমাদের শ্রেষ্ট অর্জন স্বাধিনতা ও সংবিধানকে খন্ডবিখন্ড করতে লাগলেন।একে একে তিনি সংধিানের পাতা থেকে সমাজ তন্ত্র, গনতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, উঠিয়ে দিয়ে তিনি জাতিয়তা বাদির নামে রাজ কোষের কুঠি কুঠি টাকা খরচ করে এবং জনগনের রিলিপের টাকা  মেরে  জাতিয়তাবাদি দল নামে একটা অদ্ভূদ রাজনৈতিক প্লাটপরম গঠন করেন।অবশ্য পৃথিবীর সব সৈরচাররাই এমনটাই করেন বা করেছেন।যেমন, হিটলার, মুসোলিনি, পিনোসেট,মুভরতো, সুকোর্ন,সাদ্দাম, গাদ্দাপি, আতাতুর্ক আরো অনেক।

জেনারেল জিয়া এই প্লাটপরমের মাধ্যমে সর্বমোট এগারটা দল গঠন করার পর ও আবার গ্রাম সরকার গ্রাম চৌকিদার এমন কি ডান বাম দলের প্রগতি শিল এবং প্রতিভাবান নেতাদেরকে লোভ লালসা দেখিয়ে চরিত্র হরন করার লক্ষে মন্ত্রি মিনিস্টারের পদ পদবি দিয়ে অতবা রাজকোষের কুঠি কুঠি টাকা দিয়ে কিনতে লাগলেন। আর যুদ্ধা অপরাধিদেরকে পুর্নবাসিত করে করে  তিরিশ লাখ শহিদের আত্মাকে কষ্ট দিতে লাগলেন।

মিথ্যাচার দিয়ে শুরু করা স্বৈরচার জিয়ার সেই জাতিয়তা বাদী প্লাটপরম আজ অবধি মিথ্যাচারই করে যাচ্ছে।তারা একের পর এক মিথ্যাচার করে জাতিকে বিভ্রান্ত ও ভিবক্ত করার অপচেস্টা করছে।এই প্লাটপরমের প্রথম সারির সব নেতাই মিথ্যাবাদি ও প্রপাগান্ডা কারি। তন মধ্যে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান তো জগন্য মিথ্যাবাদি। 

জাতিয়তা বাদী নাম ধারি এই ধখল দার দল, নব্বই দশকের শুরুতে বাংলাদেশি না বাঙ্গালী এই  বিতর্ক তুলে পুরো জাতিকে ভিবক্ত করার পাঁয়তারা করে।তার পরে হঠাৎ করে একদিন তুললো জেনারেল জিয়াই স্বাধিনতার প্রকৃত ঘোষক।আজব কথা মুক্তি যুদ্ধের নয় মাস আমরা রেডিও বুকে লয়ে গুমাতাম, কোনদিন স্বাধিনতা ঘোষনা তো দুরের কথা কোনদিন আত্মগোপন কারি জিয়া নামে এই মুক্তি যোদ্ধার নামও শুনিনি।স্বাধিনতার পঁচিশ বছর পরে এসে এই অদভূত পঁচা কথা জাতিকে শুনতে হলো।

তারপর ১৫ই আগস্ট সকালে জাতির কিছু কুলাঙ্গার ছেলে বাংলাদেশের স্তপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানকে পরিবারের ১৭জন সদস্যসহ নির্মম ভাবে স্বপরিবারে হত্যা করে।যে মর্মান্তিক ঘঠনা কারবালার ইতিহাসকে পর্যন্ত হার মানিয়েছিল। আর সেই ১৫ই আগস্ট আসলেই বেগম জিয়া ভূয়া জন্মদিনের কি মহা উৎসব পালন করেন।কেক কাটেন,গান বাজনা করেন মদ খান, আরো কতো কিছু করেন।


আর এখন আবার তাদের অপকর্ম ঢাকা দেওয়ার জন্য নতুন করে তুলছে জিয়াই ছিল বাংলাদেশের প্রথম রাষ্টপতি।মিথ্যা বাদীদের মুখে কি জগন্য আজব কথা। স্বাধিনতার অনেক পরে এসে জানতে পেরেছি জেনারেল জিয়া ছিলেন আমাদের স্বাধিনতা যুদ্ধের পিছের সারির ২১ নাম্বার ব্যক্তি।আর সেই ২১ নাম্বার ব্যক্তিকে এতদিন ২১ থেকে ১ বাদ দিয়ে ২ নাম্বার বানানোর চেস্টো করা হয়েছে, আর আজ দেখি আবার ২১ থেকে ২ বাদ দিয়ে ১ নাম্বার বানানোর চেস্টা করা হচ্ছে।কি আজব অবিশ্বাস্ব কথা!

                                   ----------মোহাম্মেদ ফারুক, জার্মানি।

Sunday, September 14, 2014

সত্যের সাক্ষ্য,

 হে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমান!
আজ  আমি সাক্ষ্য দিতেছি যে হে মহান নেতা, এই বঙ্গ বাসি সর্বসন্মতিক্রমে তোমাকেই বঙ্গবন্ধু উপাদিতে ভূষিত করেছিল, সুতরাং তুমিই বঙ্গবন্ধু,তুমিই এই অসহায় জাতির স্বাধিনতার ঘোষক এবং রুপক, সুতরাং তুমিই জাতির পিতা।তুমি হাজার বছরের শ্রেস্ট বাঙালি এটা আজ সারা বিশ্বে সিকৃত।সুতরাং তুমি ছাড়া অদ্বিতীয় কোন বাঙালী আজ পর্যন্ত জন্ম নেয় নেই এই বাংলার বুকে, এবং যতদিন পর্যন্ত এই বাংলাদেশ ও এই দেশের স্বাধিনতা টিকে থাকেবে ততদিন পর্যন্ত কেহই জন্ম নিবেনা, অর্থাৎ অপর কেহই তোমার স্হান ধখল করিতে  পারিবে না।না না না কোন দিনও না............কুঠি কুঠি বার না।

হে জাতির জনক!
তুমি তো নিশ্চয় জানতে, চৌদ্দশ বছর আগে আমাদের প্রবিত্র গ্রন্থ কোরআনে মজিদ নাযিল হওয়ার পর মহা নবীর আদেশকে অমান্য করে নব্য খারেজি মুসলমানেরা বিকৃত কোরআন শরিফ প্রকাশ করে মুসলমানকে ধোকা ও ইসলামকে অবমাননা করিতে লাগিল।সেই সময় খারিজিরা বলতে লাগল প্রবিত্র কোরআনে নাকি আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সত্তর হাজার আয়াত নাযিল করেছিলেন, আর মহানবী মাত্র সাতহাজার সাতশ সাতাত্তরটি আয়াতের কথা বলছেন।যাক অবশেষে অনেক হানাহানি খুনাখুনি ও জানমালের ক্ষয়খতির পরে সত্যের জয় হয়ে সাত হাজার সাতশ সাতাত্তর আয়াত বিশিস্ট কোরআনে মযিদ নেয়ামত স্বরুপ সমগ্র মুসলিম জাহানের মুমিন মুসলমানের জন্য নির্ভুল ভাবেই আজ অবদি রয়ে গেছে, এবং কেয়ামত পর্যন্ত একটি ঝের জবরও কেউ বদলাতে পারিবেনা।ঠিক তেমনি থাকিবে, যেমনি আছে। মহা নবী তাঁর জীবদশায় তাঁর অমর বিদায় হজ্বের ভাসন এবং মদীনা সনদের মাধ্যমে দুনিয়ার মুসলমানদেকে সঠিক দিক নির্দেশনা দিয়ে গেছেন।আমরা তার অনুসারি লক্স কুঠি সুন্নি মুসলমানেরা কেয়ামত পর্যন্ত তাঁর আদর্শে অনুপ্রানিত হয়ে তার দেখানো পথেই চলবো ইন্শআল্লাহ।

হে বাংলার অবিসংবাদিত মহান নেতা!
তুমি তো জানতে, তিব্বত হিমালয় আর প্রবিত্র কৈলাশের ধুলাবালি নিয়ে শত নদির অববাহিকায় জন্ম নেওয়া এই ব-দ্বীপ বাসী কত ভীরু নিরীহ ও সরল প্রকৃতির সাড়ে সাত কুঠি বাঙালীকে  তীলে তীলে কি কঠিন ও জগন্য নিউক্লিয়াস বোমে পরিনত করেছ।যে বাঙালী শত শত বছর ধরে মগ ওলন্দাজ আর হার্মাদ জল দস্যুদের ভয়ে ভাঘ বল্লুকের ভয় উপেক্ষা করে নিজের পোটলা পাটলি লয়ে জঙ্গলে লুকায়ে যেত।সেই বাঙালিকে তুমি মহান স্বাধিনতার মন্ত্র শিখায়ে কতো অল্প সময়ে বিশ্বের প্রথম শক্তিধর বলয়ের কাছ থেকে বাংলার স্বাধিনতা ছিনিয়ে এনেছ।

হে জাতির জনক !
অতচ আজ তোমার আনুগত তোমারই সেই ভালবাসার বন্ধুরা তোমারি দেওয়া উপাদি খেতাবি প্রাপ্ত লোকেরাই তোমাকে  এমন নির্মম ভাবে স্বপরিবারে হত্যা করার এত বছর পরও তোমকে অবমাননা করে তোমার সৃষ্টি ইতিহাসকে একের পর এক বিকৃত করে যাচ্ছে।ঠিক যেমনি মহা নবীর বংশকে নিঃশ্বেষ করে দিয়ে মহা নবী আর তার আদর্শ ধর্ম ইসলামকে নিয়ে করেছিল, ঠিক তেমনি।

হে মহান নেতা !
একটা পাগল আর নির্বোধ ও বুঝতে পারবে, ৭ই মার্চ এর ভাসনে তুমি জয় বাংলার পরে জয় পাকিস্তান বা জিয়ে পাকিস্তান বলতে পারনা। কোন দিনও না। কারন সব কিছুর মত ভাসনের ও তো একটা পিনিসিং আছে, একটা সোভা আছে।তুমি জানতে সেই ছিল হয়তো তোমার জীবনের শেষ ভাসন। তুমি জানতে এটাই হবে তোমার জন্য আব্রাহাম লিংকনের গেটেসবার্গের ভাসন আর মহা নবীর বিদায়ী হজ্বের ভাসনের মত। তুমি নিশ্চয় জানতে তুমি শুধু পাকিস্তানি একটা বিশৃঙ্খল হায়েনার সাথে যুদ্ধের জন্য বাঙালীকে প্রস্তুত করছনা। বরনঞ্চ বিশ্বের প্রধান শক্তিধর বলয়ের  সাথে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করছ।তাই তো তুমি যখন বলেছ আমরা ভাতে মারব, আমরা পানিতে মারব,তখন বাংলার আকাশ বাতাস প্রকম্পিত হয়ে বাংলার নদীনালা খালবিলে ধ্বনিত হলো কল্লোল। বাংলার হরিৎ মহুয়ায় সালিক খঞ্জনা দোয়েল কোয়েল আবাবিলের মত রনোসাজে মেতে উঠল।তুমি যখন বলেছ রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেব,আমি যদি হুকুম দিবার নাহি পারি প্রত্যেক ঘরে ঘরে দূর্ঘ গড়ে তুলো।তখন লাখো কুঠি তরুনের মাথায় রক্ত উৎরায়ে উঠল, হয় প্রান নয় তো মায়ের মান, মানে বাংলার স্বাধিনতা।তুমি শেষ বলেছ এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধিনতার সংগ্রাম,আর সর্বশেষ  ভরাট কন্ঠে বলেছ জয় বাংলা।এই ভরাট কন্ঠি জয় বাংলার মানে আমি বুঝেছি তুমি নিরীহ নিরস্র বাঙালীর মাঝে টর্নাডো, সুনামি বা নিউক্লিয়াস বোমের মত কোন দৈব শক্তি প্রয়োগ করেছ।

হে জাতির জনক !
তুমি জানতে এই বাঙালী জাতির  অনেক দুর্নাম আছে।তুমি নিজেই বলেছ বাঙালীরা পরশ্রিকাতর।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন রেখেছ বাঙালী করে মানুষ করোনি।পাকিরা বলতো বাঙালীরা চুতিয়া।আজ তোমার সেই বাঙালীর মধ্যে সত ও সত্য বলার মানুষের বড়ই অভাব।কিছু কিছু মুখোশ ধারি সয়তান বাঙালীকে অকৃতজ্ঞ ও মিথ্যা বাদী বানিয়ে সত্যের মুখোমুখি বসিয়ে রেখেছে এবং চিরদিন রাখতে চায়।তোমাকে নিয়ে তোমার সৃষ্টি করা ইাতহাস বিকৃত করে খন্দকারের মত আরো লাখো কোড় বই লেখা হবে, এখানেই তোমার সার্থকতা, তুমি যে জাতির জনক, তুমি যে বঙ্গের বন্ধু, তুমি যে হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙালী।প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম সত্যিই একদিন জেনে নিবে তোমাকে।কারন তুমি শুধু জাতির জনক, আর বঙ্গ বন্ধু নয়, তুমি বাঙালী জাতির চির অহঙ্কারও।

হে জাতির জনক!
আজ আর আমি জয় বাংলা বলবো না, বলবো শুধু জয় বঙ্গবন্ধু, আর জয় বঙ্গ বন্ধু।আমার জবিনে আমি জিবিত এবং স্বশরিরে কোন নবী পয়গম্বরকে দেখিনি।আমি যিষু বৌদ্ধা রামের মত কোন মহামানবকে দেখিনি।আমি লেলিন মাও চেগুয়েভারার মত কালজয়ি কোন মহাপুরুষকে দেখিনি।আমি আমার ক্ষুদ্র জীবনে প্রমিথিউস এর মত বাংলার বুকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমানের মত মহান নেতা তোমাকে জিবিত অবস্হায়  দেখেছি।তুমিই অন্ধাকারে নিমজ্জিত একটা জাতিকে প্রমিউথিউসের মত সর্ঘ থেকে একটি ছোট অতি ছোট আগুনের স্ফুলিঙ্গ এনে সেই আগুনের পরশমনিতে সমগ্র বাংলাকে আলোকিত করে নাম দিয়েছ বাংলাদেশ।আমি তোমাকে ব-দ্বিপ বঙ্গবাসির পক্ষ থেকে নয়,সমগ্র বিশ্বের সত্যবাদি মানব জাতির পক্ষ থেকেই বিনম্র শ্রদ্ধায় তোমাকে জানাই বাঙ্গালী সালাম, জয় বঙ্গ বন্ধু। জয় হবে নিশ্চয় সত্যের।
                                                 ---------------- মোহাম্মেদ ফারুক, জার্মানী।

Wednesday, May 22, 2013

বুকে আগুন জ্বলে ধাউ ধাউ করে,

                                                                                                        
                                                         






 হে আমার প্রিয় স্বদেশ বাসি ।শুনো আজ আমার হৃদয়ে  আগ্নি গিরীর অগ্নি লাভার মত জ্বলছে  যে আগুন ।এই পৃথিবীর কোন ফায়ার বিগ্রেডে  সে  ধগ ধগে জলন্ত আগুন নিভাতে পারিতেছেনা।তোমরা সবে শুনো সে কাহিনী।এখনও জ্বলছে ধাউ ধাউ করে ।আমার প্রাণো প্রিয় জন্মভূমির এমন করুন অবস্হা দেখে ।শুনো সোনার বাংলার সোনা বন্ধুরা শুনো, সেই শৈশব থেকেই  আমার বুকের মধ্যখানে গোলাপের পাঁপড়ির মত ছোট্ট হৃদয় টাতে ধা্‌উ ধাউ করে আগুন জ্বলতে শুরু করেছে।আজো অবধি জ্বলিতেছে নিভিতেছেনা।জ্বলতে আছে শুধু  জ্বলতে আছে পিয়তমা জননীর এমন দুরাবস্হা দেখে জ্বলতে আছে বুঝি ।


 দুঃসহ যন্ত্রনায় আজ আমার হৃদয় ক্ষত বিক্ষত।আমি বন্দি প্রবাস নামের নির্মম কারাগারে।আজ আমার জীবন প্রদীপ নিভূ নিভূ।এরি মাঝে হারালাম কতো স্বজন পরিজন, বন্ধু বান্ধব, ভাই বোন বাবা।শেষ সম্বল বলতে আমার ছিল মাত্র একটি দুঃখিনী মা।কয় বছর আগে আমাকে এতিম করে আমার সে দুঃখিনী মা ও পাড়ি দিলেন আকাশের পথে।আমি বিমানের ককপিটে বসে বসে  ইউরোআমেরিকা, আফ্রিকা থেকে এশিয়ার আকাশে বাতাসে অনেক খুজেছি আমার মাকে, কোথাও পেলাম না আমার সে রক্ত মাংশের মাকে।প্রবাসের নির্জন কুঠিরে বসে নিশীরাত অবধি কেঁধে কেঁধে আমি হই মাতাল নেশাখোরের মত চিন্নভিন্ন।কি ধারুন নেশাই না ছিল আমার সেই প্রান প্রিয় মায়ের বুকের দুধে। এমন যদি জানিতাম আগে, মায়ের বুকের দুধে এত নেশা লাগে, আরো বেশি খেয়ে নিতাম সে সুযোগে ।

পাশের রুমে আমার  স্ত্রি কন্যা গুমে অচেতন আমি মাতাল, নেশার চোটে আমার রুমে বেঁহুষ হয়ে পড়ে রই।হঠাৎ একটি কোয়েল এসে  গুন গুন করে আমার কানে কানে চির চেনা বাংলার সেই মেঠো সূরে একটি মেলডি শুনাতে থাকে।দুস্ট বালকের হাত থেকে প্রান বাঁচাবার জন্য খরগোস যেমনি  দুকান খাড়া করে  দুপাঁয়ে ভর করে দাঁড়িয়ে এদিক ওদিক দেখে, আমিও ঠিক তেমনি কান খাড়া করে সজাগ হই। মোটা মোটা জলে ভরা  ঝাপসা ঝাপসা দু চোখে আমি দৃষ্টি দেই বাহিরে, দুরে অদুরে পানোরমায়।আমি দুনয়ন ভরে দেখি আমার রঙিন ঘর দুয়ার ইঁদিরা উঠান, ডোবা পুকুর,নোয়াবাড়ির আঙিনা পারিজাত সবুজ সতেজ গাছগাছালি,সবুজ ঘাঁস, সোনালি ধানের ক্ষ্যত,শৈশবের ইকিড়ি মিকিড়ি খেলার মাঠ।দেখি অসংখ ল্যাংটা শিশুর দল। দেখি নাঙ্গল কান্ধেঁ কয়জন কৃষক।দেখি খেয়া পাড়ে কয়জন মাঝি বসে আছে ক্ষ্যপের অপেক্ষায়।তার পর দেখি আমার শৈশবের সেই সাথি গুলি,রহিম করিম কিরন, মানিক পলাশ বকুল পারুল চির সবুজ  রুপসি বাংলার স্যামল মাটি অঙ্গে মাখি হাত ছানি দিয়ে ডাকছে আমাকে, আয় আয় বন্ধু অনেক দিন পরে  হলো তোর সাথে মোলাকাত,আয় বন্ধু একটু খেলি তোর সাথ। আমি আমার অক্ষমতার কন্ঠে গেয়ে উঠি।আগে দে মা মোরে এক মুঠো মাটি, পরে দিস মা এক মুঠো ভাত, আমি একটু খেলে আসি আমার সাথিদের সাথ।

তার পর  কয়েকটি শালিক টিয়া ঘু ঘু বুলবুলি মাছরাঙা ডাহুক ছবা বক সমবেত কন্ঠে গেয়ে উঠলো  একটি দেশাত্ব বোধক গান, এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি, সকল দেশের রানি সে যে আমার জন্ম ভূমি।সে যে আমার জন্মভূমি।তাদের কন্ঠে  এ মধুর গান শেষ হতে না হতে একটি দোয়েল এসে করুন সুরে গেয়ে উঠলো, আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি।চিরদিন তোমার আকাশ তোমার বাতাস আমার প্রানে বাজায় বাঁশি, ওমা আমার প্রানে বাজায় বাঁশি।আমি তোমায় ভাল বাসি।
বাংলার চির চেনা সে দোয়েলের সাথে আমি কন্ঠ মিলাই। সাথে সাথে আমি আমার রক্ত মাংশের  সে দুঃখিনী মা কে হারানোর দুঃখ ব্যদনা শোখ সব কিছু ভুলে সবুজ স্যামল মাটির  মাকে আমি মা ডাকতে শুরু করে দেই।একটু খানি স্নেহ মায়া মমতা পাওয়ার জন্য আমি আমার এতিম শরিরটাকে তার লাল সবুজ শাড়ির  আঁচলের নীচে লুকাই।সে থেকে আর কোন দিন আমি আমাকে আর একটুও এতিম মনে করিনা।আমার বাবা নেই তো কি হয়েছে, আমার তো একজন মা আছে। আমার মা নেই আমার মা আছে আমার পরম মা, আমার বাংলা মা। এই মাটির বাংলা মাকে পেয়ে আমি আমার সকল দুঃখ যন্ত্রনা ভুলে গিয়েছি, ভূলে গেছি স্বজন পরিজন ভাই বোন বাবা মা হারানোর শোখ।
আজ অবিশ্বাস  হলে ও সত্যি আমার সে মাটির মা যাকে আমি পরম মা বলে ডাকি, সে মায়ের দেখি করুন হাহাকার।ছোট একটি মাকড়সার মত আমার সে মাটির দুঃখিনী মা।এতই ছোট যে তার ছোট ছোট আটটা পাঁ ছুতে পারে শুধু টেকনাপ থেকে তেতুলিলিয়া পর্যন্ত।মাঝখানে সুতার মত চিকন,আধা ধড় আধা পেট, তারি মাঝে পনর কুঠি সন্তান কে আঁকড়ে ধরে কত দুঃখে কস্টে  কোনরকমে খেয়ে না খেয়ে হিমশিম খেয়ে বেঁচে আছে।বারে বারে কত হায়েনা শকুন দিয়েছিল থাবা,চিন্নভিন্ন করেছিল মায়ের শরির বিষাক্ত নখের আঁচরে করেছিল ক্ষত বিক্ষত।এসে ছিল কতো বেনিয়া গোলাম হার্মাদ ওলন্দাজ, মগ আরো কতো জলদস্যু ভূমি দস্যু, তার উপর দুর্দশ্য ডাকাতের মত  বারে বারে হানা দেয় কত গৃহ দুষমন খরা বন্যা  জল উছস্যাস।চিরতরে  খতম করে দিতে চেয়েছিল আমার মাকে, তবু কিন্ত  অসম্ভব হলেও  সত্যি আমার মা দিগ্বীজয়ি হয়ে বেঁচে আছে পনর কুঠি সন্তানেরে আঁকড়ে ধরে।

আজ আমার সেই পরম করুনা ময়ি মাটির মা এর বুকে  এ সব হচ্ছে কি? আমরা নয় মাস  স্বশস্র যুদ্ধ করে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে  পাক বর্বরদেরকে চিরতরে তাড়িয়ে দিয়ে আমার মায়ের মান রেখেছি।আজ সে মায়ের মান সন্মান নিয়ে সে একাত্তরের পরাজিত  সত্রু স্বদেশি রাজাকাররা কি করে পারে এমন অরাজকতা সৃস্টি করতে।কেমন  করে হেপাজতি আর জংলী জংগীবাজের উত্থান হয় স্বাধিন বাংলার মাটিতে।কেমন করে আজ একজন বাঙালি ভাই বাঙালিকে প্রকাশ্যে পথে প্রান্তরে নির্মম ভাবে কুপিয়ে গুলি করে হত্যা করতে পারে? কেমন করে একজন খাঁটি মুসলমান তার প্রিয় মুসলমান ভাইকে জবাইকরে  হত্যা করতে পারে? আজ কেন আমার মায়ের বুক হয় এত রক্তে রঞ্জিত?  আমার ভাইয়েরা কেন এত খুন আর গুম হয়? আজ কেন রাজনিতীর এত ধন্ধ কলহ? কেন এত হরতাল ধর্মঘট কেন এত জ্বালাও পোড়াও  আর  তীলে তীলে  গড়া আমার মায়ের সম্পদ ধ্বংশ করা?
আজ আমার সেই দুঃখিনী মায়ের শরির কামড়ায়ে কামড়ায়ে খাচ্ছে তারি উদরে জনম নেওয়া তারি কতো গুলি কূলাঙ্গার ছেলে।আজ ভয়ে বাঁচে মানুষ ভয়ে মরে, ভয়ে আগামি প্রজন্মের শিশু জন্ম নেয়। ঠিক মাকড়সার মতো আমার মায়ের এই করুন পরিনতি দেখে আমার বুকে আজ আরো বেশি করে আগুন জ্বলে, শুধু ধাউ ধাউ করে।
শুনো বন্ধু শুনো, আজ আমার হৃদয়ে আগুন জ্বলে এক সাগর রক্তের দামে কেনা আমাদের প্রবিত্র স্বাধিনতার ইতিহাস বিকৃত দেখে।আজ আমার বুকে আগুন জ্বলে স্বাধিন দেশে আমাকে পরাধিন বলে মনে হয় বলে।আজ আমার বুকে আগুন জ্বলে স্বাধিন সোনার বাংলার মাটিতে আমার সাভাবিক মির্ত্যুর ঘেরান্টি নেই বলে।আজ আমার বুকে আগুন জ্বলে তিরিশ লাখ সহীদের রক্তের সাথে বেঈমানি দেখে। আজ আমার বুকে আগুন জ্বলে স্বাধিনতার ঘোষনা নিয়ে এ হেন তুচ্ছ ঘঠনা  এত বিবেধ বিশৃন্খলা দেখে।আজ আমার বুকে আগুন জ্বলে সচেতন বুদ্ধিজিবীদের মুখে কান্ডজ্ঞ্যন হীন কথা শুনে।আজ আমার বুকে আগুন জ্বলে বীর  খেতাব দারি মুক্তি যুদ্ধাদের মুখে অযোক্তিক আর রাজাকারের পক্ষে কথা বলা দেখে।আজ আমার বুকে  আগুন জ্বলে মিডিয়াতে জাতিকে বিব্রান্ত করার অপপ্রচার দেখে।আজ আমার বুকে আগুন জলে টিভিতে নস্ট মাথাদের টকশো দেখে।আজ আমার বুকে আগুন জ্বলে আমাদের জাতিয় নেতা,যারা আমাদের মহান স্বাধিনতা যুদ্ধের সফল নেতুত্ব দিয়েছিল,যাদেরকে আমরা আর আমাদের পরবর্তি প্রজন্ম আদর্শ ভাববে তাদের খামোশি নস্ট চরিত্র দেখে।আজ আমার বুকে আগুন জ্বলে রাজাকার আর হেফাজতিদের আস্ফালন দেখে।আজ আমার বুকে আগুন জ্বলে পৃথিবীর শ্রেস্ট ধর্ম আমার সকল বিশ্বাস ভালবাসার ধর্ম ইসলামের অপব্যাখ্যা ও অপব্যবহার দেখে।
শুনো বন্ধু শুনো অনেক দুঃখে কস্টে খোবে অভিমানে আজ আমি জ্বলে পুড়ে দগ্ধ হচ্ছি।দেখো বন্ধু আমরা সবাই অদলিয় মুক্ত ভোটার আমরা সাধারন মানুষ, আমরাই সকল ক্ষমতার উৎসহ।আমরাই নিজ হাতে সরকারি দল তথা এই কূবের সরকারকে আমাদের মহান মূলবান ভোট দিয়ে আমাদের প্রবিত্র সংসদে পাঠিয়েছি পাঁচটি বছরের জন্য।যে সরকার আমাদের জীবন যাত্রার মান উন্যত করে আমাদের মৌলিক চাহিদা গুলি গ্যাস বিদ্যুৎ পানির চাহিদা গুলি পুরন করবে।যুদ্ধা অপরাধির  বিচার করবে।সন্ত্রাসি চাঁদা বাজ নির্মূল করবে, ঘুষ দূর্নিতি বন্ধ করবে।দ্রব্য মূল্যের উর্দগতি রোধ করবে।কিন্থু এ সরকার আমাদের মহান সংসদ ভবনে বসেই আছে ভারি ভোজার মত, অতচ পাঁচটি বছর প্রায় শেষ হয়ে যাচ্ছে।
আমরা সাধারন জনগন বিরুধি দলকে আমাদের মহা মূল্যবান মান্ডাট দিয়ে পার্লামেন্ট এবং রাজপথ দুটাই দিয়েছি, যে বিরুধি দল আমাদের পক্ষে থেকে আমাদের কথা বলবে।আমাদের জন্য হক কথা বলবে, এমন কি আমারদের সাথে লড়বে।সে বিরুধি দল রাজপথ পার্লামেন্ট দুটাই বাদ দিয়ে বেছে নিয়েছে কারাগার।অতচ আমাদের মূল্যবান পাঁচটি বছর গত হয়ে গেছে।
শুনো বন্ধু সরকারি বেসরকারি দুটা দলেরই কান্ডকির্তী দেখে আজ আমার বুকে আরো বেশি আগুন জ্বলে। ধাউ ধাউ করে জ্বলে।তোমরা যদি পারো জ্বালিয়ে পুড়িয়ে আমাকে ভস্ম করে নিঃস্বেশ করে দাও। আমি আর এভাবে জ্বলতে চাইনা।
                                                                                                                ..........ফারুক,  ------ফারুক, জার্মানী





         

অজ্ঞসব জনপ্রতিনীধি,

সত্যই শক্তি, সত্যই সুন্দর,