Saturday, January 28, 2017
নষ্টমাথার নষ্টরাজনীতি --৩
Wednesday, January 25, 2017
নষ্টমাথার নষ্টরাজনীতি,১-২
নষ্ট মাথার নষ্ট রাজনীতি
১-পর্ব,
নষ্ট মাথার নষ্ট রাজনীতির শিকার আজ আমরা সাড়ে ষোল কুঠি বাঙ্গালী।আদর্শহীন আর আদর্শচ্চ্যুত রাজনৈতিক দলগুলির নষ্ট মাথার নষ্ট নেতারা স্বাধীনতার পর থেকেই আমাদের অগ্রযাত্রাকে স্তব্দ করে দেওয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।তাদের কোন সুনির্দিষ্ট কনসেপ্ট নেই।দুরদর্শিতা জ্ঞ্যন ও প্রজ্ঞা সম্পর্ন রাজনৈতিক কোন মেনোপেষ্ট নেই। তারা রাজনীতির নামে হরতাল, অবরোধ, ধর্মঘট, জ্বালাও পোড়াও অগ্নি সন্ত্রস, বোমা সন্ত্রাসের মাধ্যমে, দেশের মুল্যবান সম্পদ ধ্বংশ করে দিয়ে, মানুষ হত্যা করে, নৈরাজ্যবাদী ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। তাদের হাত থেকে নারী পুরুষ এমন কি শিশুরাও বাঁচতে পারেনি।তাদের হাত থেকে রক্ষা পায়নি পশুপক্ষি, এবং গাছপালাও।তারা নতুন প্রজন্মকে রাজনীতির নামে বিব্রান্ত করে তাদের মধ্যে রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষ ও হানাহানি সৃষ্টি করে সমগ্র দেশকে ভয়াবহ অরাজকতা, অশান্তি ও অন্ধকারাচ্ছন্ন করে রেখেছে ।
কেউ ধর্মের নামে, কেউ গনতন্ত্রের নামে কেউ সমাজতন্ত্রের নামে,কেউ জাতীয়তা বাদের নামে একটা দেশ একটা জাতি ও তার ভবিষ্যত প্রজন্মকে ধ্বংশ করে দিচ্ছে ।মহান স্বাধীনতার ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়েছে।বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় নেতাদেরকে জেলখানার অন্ধাকার প্রকোষ্টে নির্মম ভাবে হত্যা করে জাতীকে করা হয়েছে কলঙ্কিত ওবহুধা বিভক্ত।মুক্তি যুদ্ধের চেতনাকে ধুলির সাথে মিশায়ে দিয়ে তিরিশ লক্ষ শহীদের আত্মার সাথে বেঈমানী করে তারা নিলর্জভাবে আমাদের সকল গর্বকে সর্বোতভাবে খর্ব করে দিয়েছে ।
এই নষ্ট মাথার রাজনীতিবীদদের কোন সৎ উদ্যেশ্য নেই।তারা কোনদিন জাতির মঙ্গল চায়নি এবং চাচ্ছে না। দেশের অগ্রগতি চায়নি এবং চাচ্ছেও না।তারা সংসদিয় গনতন্ত্রের নামে কায়েম করেছে শ্বৈরতন্ত্র, সমাজতন্ত্রের নামে কায়েম করতে চায় আমলা তন্ত্র, শ্রেণী সংগ্রামের নামে এক অদ্ভূত ভিআইফি তন্ত্র, মানে নিজেদের একনায়কত্ব,ধর্মের নামে সৃষ্টি করেছে বিভিন্ন ফেরকা আর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ও জঙ্গিবাজ উগ্রবাদ ।মুক্তমনা লেখক ব্লগার বিদেশিকে হত্যা করে আন্তর্জাতিক ভাবে খুন্ন করছে দেশের মান সন্মান।
রাজনৈতিক দলের বাহিরেও আছে এক শ্রেণীর নষ্ট মাথার কিছু দুষ্ট চক্রের দল। আমরা যাদেরকে বুদ্ধিজিবী হিসেবে জানি।সমাজের এলিট শ্রেণী।কথিত স্বঘোষিত সুশিল সমাজ। এনজিওর কিছু হোমরা চোমরা।তারাও সরকারি সুজোগ সুবিধাও ক্ষমতার চিটে পোটা খাওয়ার জন্য উল্টাপাল্টা কথাবার্তা বলে দিন দিন আমাদেরকে বিব্রান্ত করে যাচ্ছে।
তাদের মুল উদ্যেশ্য লুটপাটতন্ত্র।জোট মহাজোট গঠন করে লুটপাট করে নিজেদের আখের গোছানো। সরকারি সকল সুজোগ সুবিধা,ধানমন্ডি গুলশান বনাণিতে বাড়ি, ক্ষমতার উচ্চিষ্ট খাওয়া তাদের চরিত্রের বৈশিষ্ট হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভোটচুরি করে ভোট ঝাল ও লুট করে, ভোট কিনে, ভয় দেখায়ে, অস্ত্র ঠেকায়ে,ভোট ইজ্ঞিনিয়ারিং সহ নানা অপকর্ম ও কুটকৌশলের মাধ্যমে শুধু ক্ষমতায় যাওয়া।বস যেতে পারলেই হলো।তাড়াতাড়ি পাল্টে যায় তাদের বাড়িগাঁড়ি, আসভাবপত্র হয় সব ইম্পোর্টেট।আবার ব্যংক বীমা লুটপাট করে ঘুষ দুর্নীতি করে কাড়ি কাড়ি টাকা বিদেশে পাচার করে বানায় সেইফ হোম।কুঠি কুঠি টাকা বিদেশি কম্পানিতে লগ্নি করে হচ্ছে এদেশের বুর্জ্যুয়া নব্য মিলিনিয়র।দেশিয় শিক্ষা সংস্কৃতি বাদ দিয়ে নিজের সন্তানকে বিদেশে পাঠায় অপসংষ্কৃতি শিক্ষার জন্য।
জনগনের করের টাকা মেরে ছোটখাটো অসুকের চিকিৎসার জন্যও চলে যায় আমেরিকা কানাডায় লন্ডন শিঙ্গাপুরের মত উন্নত দেশে।হারামের টাকা দিয়ে হজ্ব করতে যায় মক্কায়।ভ্রমন করতে যায় দেশ বিদেশে। অতচ জনগন সামান্য স্বদেশীয় চিকিৎসা থেকেও বঞ্চিত।সুশাসন থেকে বঞ্চিত। অন্ন বস্ত্র বাসস্হান বিদ্যুত গ্যস সুফেয় পানি সুশিক্ষা, এবং আধুনিকের সকল সুখ আহল্লাদ থেকেও বঞ্চিত।
আমরা অনেক দেখেছি, অনেক শুনেছি, তাদের কথার ফুলঝুরি।স্বাধিনতার পর থেকেই দেখে আসছি।মুখোশ পরা সাধু সয়তানের খেলাখেলি। নোংরা রাজনীতি, দুর্বৃত্যায়নের রাজনীতি,দল বদল ডিগবাজির রাজনীতি। নির্বাচনের আগে তারা গাধাকেও বাবা ডাকে, আবার নির্বাচিত হলে বাবাকে গাধাও মনে করে না।
তারা কেউ ব্যবহার করে ধর্মকে, কেউ ব্যবহার করে গনতন্ত্রকে, কেউ ব্যবহার করে সমাজ তন্ত্রকে, আবার কেউ জাতীয়তাবাদকে। অতচ ঔরা নিজেরাই নাস্তিক।গনতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রের কচুও তারা বু্ঝেনা।বিশ্বাস ও নেই শুধু ভাব করে, এটাই তাদের আদর্শ।এটাই তাদের ধর্ম।এটাই তাদের স্বভাব চরিত্রের বৈশিষ্ট।
তরুন প্রজন্ম আজ এই দুষ্ট চক্রের হাত থেকে মুক্তি চায়।তরুনরা আজ এই নষ্টমাথার নষ্ট রাজনীতির রোশানল থেকে বাঁচতে চায়,রক্ষা করতে চায় প্রিয় জন্মভূমিকে।তাদের অনিয়ন্ত্রিত স্বপ্নকে ওরা আজ রুদ্ধ করে রেখেছে। তরুনরা চায় আজ জাতির অগ্রগতি ও সম্বৃদ্ধ বাংলাদেশ।তারা চায় আজ শান্তি ও সুন্দর পরিবেশ।
আমরা আজ সন্মিলিত ভাবে প্রত্যাখ্যান করছি, নষ্টমাথার সব অপ ও অসুভ রাজনীতিক দল ও নেতাদেরকে।সাথে সাথে নিম্নে আলোচনার মাধ্যমে উন্মোচন করছি তাদের মুখোশ।
২য়-পর্ব,
কি চায় তারা, কি তাদের উদ্যেশ্য...?
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ....... ?
বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরানো ও ঐতিহ্যবাহি একমাত্র দল হলো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। সবুজ সতেজ বাংলার পানোরামা দুর দীগন্ত শ্যমল মাঠি ও কৃষক শ্রমিক জেলে তাঁতি কামার কুমার মেহনতি মানুষের কাপেলা থেকে উঠে আসা এই দলটি আশমান ছোঁওয়া বৃহত্তম একটি রাজনৈতিক দল।২৩শে জুন ১৯৪৯ ইং সালে দলটি পুর্ব পাকিস্তান মুসলিম আওয়ামী লীগ হিসেবে প্রতিষ্টিত হয়ে, নানা ঘাত প্রতিঘাত অতিক্রম করে ১৯৭২ ইং সালে স্বাধীন বাংলাদেশে দলটির নামকরন হয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। উপ মহাদেশের গনতন্ত্রের মানষ পুত্র হিসেবে খ্যত হোসেন শহীদ সোওরোয়ার্দীর নির্দেশে আসামের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে সদ্য স্বদেশ ফেরা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানি, ছাত্রনেতা শেখ মজিবর রহমান শামসুল হক ও এয়ার মোহাম্মদ খানের নেতৃত্বেই দলটির গোড়পত্তন হয়।
এখানে অবাক করার একটি বিষয় হলো যে তরুন ছাত্র নেতা শেখ মজিব কলকাতা থেকে ফিরে এসেই ঢাকা ইউনিভারসিটিতে ভর্তি হয়ে পাকিস্তান আজাদি হওয়ার মাত্র সাড়ে চার মাসেরও কম সময়ের মধ্যে ১৯৪৮ সালেই পাকিস্তান ছাত্রলীগ নামে একটি ছাত্র সংগঠন গড়ে তোলেন।তখনো মুসলিম আওয়ামী লীগ প্রতিষ্টাই হয়নি।এটা ইতিহাসে বিরল। যা আজ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নামে আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন।
তৎকালিন পুর্ব পাকিস্তান মুসলিম আওয়ামী লীগের প্রতিষ্টা লগ্নে মাওলা ভাসানি সভাপতি ও শামসুল হক সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হলেও জেল খানায় বন্দি অবস্হায় তরুন ছাত্র নেতা শেখ মজিব হন যুগ্ন সম্পাদক।১৯৫২ সালে তিনি হন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক। ১৯৫৩ সালে হন সাধারণ সম্পাদক।১৯৫৪ সালে শেখ মজিব দলের নাম থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দিয়ে, তিনি যুক্তপ্রন্ট গঠন করে মুসলিম লীগের বিরুদ্ধে নির্বাচনে লড়েন। বিপুল ভোটে বিজয় হয়ে যুক্তপ্রন্ট সরকার গঠনও করেন।কিন্তু মাত্র ৫৮দিনের মাথায় এসে যুক্তপ্রন্ট সরকারকে ভেঙে দেওয়া হয়।১৯৫৭ সালে এসে ভাসানি ন্যসানাল আওয়ামী লীগ নামে আরেকটি দল গঠন করে দলটিকে ভিবক্ত করে ফেলেন।
বাহান্নের ভাষা আন্দলন, ৬৬ইর ছয় দপা আন্দলন,৬৮,র, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, উনসত্তরে লৌহমানব শ্বৈরচারি আইয়ূব খানের মার্শাল, ল এর বিরুদ্ধে গন অভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচনের বিপুল বিজয় ও ৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়ে নয় মাসের রক্তক্ষয়ি যুদ্ধের মাধ্যমে বিজয় লাভ করে এই দলটিই গঠন করে স্বাধীন সার্বভৌমত্ব বাংলাদেশ।৩৪জন বুদ্ধিজীবিকে নিয়ে বঙ্গবন্ধু প্রণয়ন করে প্রবিত্র সংবিধান।যগান্তরকারি সেই সংবিধানের মুলনীতিই বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের মুলনীতি ও বা মতাদর্শ।
এই দলের মুলনীতি ও মতাদর্শঃ-- সংসদীয় গনতন্ত্র।জনগনই ক্ষমতার মালিক,জনগনের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই রাষ্ট্র পরিচালনা করবে।
সমাজতন্ত্র,---এটা মার্ক্স এঙ্গেলসের মতাদর্শের সমাজতন্ত্র নয়। তবে শোষন মুক্ত সামাজিক ন্যয় বিচার ও বৈশম্য দুর করে সাম্য মৈত্রির মাধ্যমে দেশটাকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলাই দলটির মুল উদ্যেশ্য।
ধর্মনিরপেক্ষতাঃ--- সকল ধর্মের অনুসারিরা যার যার মতে তার তার ধর্ম পালন করবে।
জাতীয়তা বাদঃ---বাঙ্গালী জাতির কৃষ্টি কার্লচার সমন্নুত রেখে ঐক্যবদ্ধ ভাবে দেশের সম্পদ ও স্বার্বভৌমত্ব রক্ষা করবে, এবং বাঙ্গালী জাতী হিসেবে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরবে।
কিন্তু আজ মিলিনিয়ন টাকার একটা প্রশ্ন করি আওয়ামী লীগের কাছে। আওয়ামী লীগ কি তাদের মুলনীতি অনুসারে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে পেরেছে বা করিতেছে ?
বি এন পি.......?
জাতীয় পার্টি,,,,?
জামায়াত....?
সিপিবি....?
সর্বহারা ও পুর্ববাংলা কমিনিষ্ট পার্টি,,,,,?
সমাতান্ত্রিক সমমনা দলগুলি...?
ইসলামী সমমনা দলগুলি..?
Subscribe to:
Posts (Atom)
অজ্ঞসব জনপ্রতিনীধি,
সত্যই শক্তি, সত্যই সুন্দর,
-
সমাজ তন্ত্রের প্রবক্তা কে ....? *সমাজতন্ত্রের প্রবক্তা কে? * সমাজতন্ত্র Sicialism কি? * মাক্সব...
-
ছবিটা মোমের, ম্যাডাম তুঁসো যাদু ঘরের । হিটলারের নাম শুনেনি এমন লোকের সংখ্যা পৃথিবীতে খুব কমই আছে।বিংশ শতাব্দির তিরিশের দশকের দিকে সা...
-
যত মত তত পথ, এই উধিৃটি সনাতান ধর্মের গুরু রামকৃষ্ণ পরমহংসের।শ্রী রামকুষ্ণ বাংলায় লেখা পড়া জানতেন অতি সামান্য। কোন রকমে ধর্মিয় বই পুস্তক পড়...