কবিতা

                                                                                                                               



                        
                                                                                   





















ফেরা, (দুই)

কষ্টের প্রবাস থেকে প্রথম বার যখন ঘরে ফিরলাম,
সম্ভবত ১৯৯৮ ইং সালের দিকে হবে--
বিমানটি প্রিয় জন্মভূমির মাটি ছুঁতেই-
 নিজের অজান্তেই আনন্দ বিহ্বলতায় গেয়ে উঠলাম
আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি।

সহযাত্রিদের আনন্দ ঊচ্ছাসে মূখোরিত হয়ে উঠলো বিমানের
ককপিট।যাত্রিরা গাইতে গাইতে নাচতে নাচতে

  

নীচে নেমেই কেউ লুটে পড়ে সেজদার ভঙ্গিতে শহীদের রক্তে ভেজা 
বাংলার প্রবিত্র মাটিতে চুমো খেতেছিল, আবার কেউ দুহাত তুলে আল্লাহর কাছে সুকরিয়া আদায় করছে।শ্রদ্ধায় আমারও মাথা নত হলো।আমার মা, আমারই প্রিয় স্বদেশের প্রতি।
আমি অবাক বিশ্ময়ে অপলকে চেয়ে চেয়ে ঘরে ফেরা 
প্রবাসিদের তামশা দেখছিলাম।আর ভাবছি হেতে-রা
 বোধ হয় অনেক মাল কামায়ে আসছে তাই এমন করছে।
পরে জানতে পারলাম বেদুঈনের না মরুর দেশ থেকে অনেকে 
শূন্য হাতেও ফিরে এসছে।কয়জনকে দেখলাম বেশ 
উত্তেজিত কন্ঠে আরবিদের চৌদ্দ গুষ্টি উদ্ধার করছে।
আবার কছম খেয়ে বলছে, দেশে না খেয়ে মরবে তবু প্রবাসের 
নাম আর মুখে আনবেনা।নবীর দেশ থেকে অনেকে নিপিড়ন নির্যাতন এমন কি ধর্ষনেরও স্বীকার হয়েছে।

আমি যখন বাড়ি ফিরলাম, তখন মৃতপ্রায় বাবা মা দুজনই 
বেঁচে ছিলেন।বাবা প্রায় শত বছরের তরুন।হুষ জ্ঞান সবি ঠিক আছে।হিসেব কিতাব সবকিছুই ঠিক রাখতে পারেন।এলাকার বাবার ছোট ভাই বেরাদর সবাই এ পৃথিবীর মায়া ছেড়ে পৃথক পৃথিবীতে চলে গেছেন অনেক আগে।কেবল যেন আমার বাবাই ছাড়তে চান না এই পৃথিবীর মায়া, হয়তো বা আমাদের ভালোবাসার মোহে।














ভালোবাসা চাই,



প্রেয়সী--এই মুহুর্ত্যে আমি  তোমার ভালোবাসা চাই
শুধু ভালোবাসা আর ভালোবাসা,দুহাতে জড়িয়ে ধরে
 তোমার নরম হাতের আদর , এক পশলা ওষ্টের উষ্ণতা 
একটি দীর্ঘ চুমোর জন্য তৃষ্ণায় আমি  মুন্ডুকের মত
 ডুবতে চাই তোমার অতল কুপে,। 

প্রেয়সী শুধুই 
 


 

  ঘুঁষখোর     ২১

 
শীতের দেশে জন্ম নিলে হয়তো ঔরা সবাই হতো মদ খোর,গরমের দেশ এই বাংলাদেশে জন্ম নিয়েছে বলে
ঔরা সবাই হলো আজ ঘুষ খোর।
 
বরফের দেশে জন্ম নিলে হয়তো ঔরা হতো সাদা ভাল্লুক,
বাংলাদেশে জন্ম নিয়েছে বলে  ঔরা সবাই আজ হয়েছে  উল্লুক।
 
বরফের দেশে জন্ম নিলে হয়তো ঔরা বসত করতো
ঈগলো ঘরে,বাংলাদেশে জন্ম নিয়ে তারা আজ
বসত করে উঁচেল উঁচেল শীতল ঘরে।
 
অনেক অনেক ভালো মদ খোর।
ঘুঁষ খোররা সবাই হলো হারাম খোর,
লেখাপড়া শিখে সালারা সবাই হলো কলম চোর।
 

 

                                      পৃথিবী তোমার মুল্য কত?--২০      

 
পৃথিবী তোমার মুল্য কত?
কানা কড়ি? নাকি ওযুত নিযুত নিখর্ব
নাকি অগনন হিসেব নিকেসের বাহিরে
তোমার অবস্হান?
 
শুনেছি বিধাতা তোমাকে বড় যতনে
ভেসিক তিন রঙে সাজায়েছে,এই আসমান
জমিন চাঁদ সুরুজ,সাগর নদী খাল বিল
 পাহাড় পর্বত ,সুন্দর এই রোমাঞ্চিত ম্যানগ্রোভ,
পানোরমা দিগন্ত এত প্রাণের সঞ্চার।
আসলে আমার জানতে ইচ্ছে করে
পৃথিবী তোমার মুল্য কত? 
হে অবাক পৃতিবী!
আমার কাছে মনে হয় তোমার কোন কানাকড়ি
মুল্য নেই। তোমার মুল্য শূন্য শূন্য শূন্য ০০০।--!
মানুষ আছে বলেই তো মানুষের কাছে তুমি মহামুল্যবান।
মানুষ আছে বলেই তো তুমি এত সুন্দর। মানুষ আছে বলেই তো
তোমার এত সোর্যবির্য্য।মানুষ নেই তোমার কিছুই নেই।
তোমার মুল্য শূন্য শূন্য শূন্য ০০০!
অগণিত অশ্ব ডিম!
মানুষ আছে বলেই তো তুমি এত বেশি অর্থবহ!
মানুষ আছে বলে স্রষ্টা আছে সৃষ্টি আছে।
জান্নাত জাহান্নাম আছে।মানুষ নাই তোমার
কোন মূল্য নাই, তুমি শূন্য শূন্য মহা শূন্য তুমি ০০০।

মানুষ আছে বলেই তো এত যুদ্ধ গৃহ যুদ্ধ।
এত মারা মারি এত কাটাকাটি হানাহানি।
এত লাশ এত রক্ত এত ভৈরব বৈরি, মানুষ নাই
তোমার কিছুই নাই, তুমি শূন্য শূন্য শূন্য ০০০।

মানুষ আছে বলেই তো এত ধর্ম কর্ম,
এত তন্ত্র মন্ত্র, মানুষ আছে বলেই তো
এত প্রেম ভালবাসা প্রনয় বিরহ বিচ্ছেদ ঘৃনা।
মানুষ আছে বলেই তো ডিজনীল্যান্ড আছে,
ডিজিটেল পার্ক আছে, জোরাসিক পার্ক আছে।
ইন্টারনেট আছে ফেসবুক আছে কম্পিউটার স্মার্ট ফোন আছে।
মানুষ নেই তোমার কিছুই নেই। তুমি শূন্য শূন্য শূন্য-০০০!
 
 
 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 


                                         মানুষ তোমার মুক্তি নেই--  ১৯         

 

 

মানুষ তোমার মুক্তি নেই,
মুক্তি নেই,
ছিল না কোন কালেও।
পরাধীনের শৃঙ্খলে আবদ্ধ তুমি,
পরাভব জিঞ্জির পরে টানছ ঘানি,
কলুর বলদের মত।
মুক্তির দুত ভাবছ যাদের,
তারাই তো সবাই ছিল ভূল মানুষ।
ভূল মানুষের  প্রবঞ্চনায় তুমি 
নি:শ্বেষ হচ্ছ দিন দিন,
মানুষ তোমার মুক্তি নেই,
ছিল না কোন কালেও।
নিছক খুনি জগন্য রাক্ষস
রক্ত চোষা ড্রাকুলা তারা্
 তাদের দীর্ঘ দীর্ঘ নখরে আজো দেখ
তোমার রক্তের দাগ শুকিয়ে আছে।
ঐ দেখ তাদের দীর্ঘ দন্তে তোমাদের
মাংশের টুকরো লেগে আছে।
তরা সবাই ছিল মানবরুপি দানব।
তারা সবাই ছিল ভূল মানুষ।
ভূল মানুষের হাত থেকে তোমাদের কোন
নিস্তার নেই।
নিস্তার নেই ছিল না কোন কালেও।
যিষু বৌদ্ধ মুহাম্মদ, রাম কৃষ্ণ লেনিন স্টালিন 
মা চে ফিদেল  হোচিমিন কিম ইল সুং 
হিটলার মুসোলিনি তৈমর লং চেঙ্গিস হালাকু সুলতান
 ওয়াসিংটন লিংঙ্কন কেনেডি ক্লিনটন বুশ
ওবামা রাজা বাদশা সুলতান খলিফা  আমাদের
দেশেরই দেখনা জিয়া এরশাদ খালেদা হাসিনা
সবারই রক্তাক্ত হাত।যুগে যুগে তোমার আমার নিরীহ
নির্দোষ মানুষের রক্তে রক্তাক্ত হয়েছে কোন না  
কোন অনাহুত অযুহাতে।আসলে ওরা সবাই ছিল
ভূল মানুষ।ভূল মানুষের হাত থেকে মানুষ তোমার
নিস্তার নেই। ছিল না কোন কালেও।মানুষ তোমার মুক্তি
নেই।তোমাকে বাতাসে খায়, পানিতে খায়, মাটিতে খায়।
তোমাকে বৃক্ষে খায়,পশুতে খায় পোকা মাকড়ে খায়
কিট পতঙ্গে খায়।শ্যাওলায় খায় ব্যকটেরিয়ায় খায় 
সুজোগ পেলে মানুষ তোমাকে দুমড়ে মুচরে খায়।
তারপরেও বাঁচার আকুতিতে এত অহঙ্কার কেন দেখাও।
বাঁচতে হলে এলিয়ানের দেশে চলে যাও। ন
চেত তোমার কোন মুক্তি নেই। ছিল না কোন কালেও।
 

 

 

 

 

 

কেয়ামত------১৮           

 
এই মুহুর্ত্যে যদি কেয়ামত ঘটে যায়
তাকে আমি উচ্চসিত কন্ঠে স্বাগত জানাবো
যদিও নিমীশে ধ্বংশ হয়ে যাবে কুলমাকলুকাতের
 মায়াময় স্বপ্নীল পৃথিবী,যদিও শুনি কান পাঠা
বর্জ্রের গর্জন ধ্বনি যদিও খান খান
করে ভেঙে পড়ে আশমান আমার মাথার উপর!
,যদি শুনি সকল প্রাণীর করুন আর্তচিতকার!
তবুও আমি একটুও অবাক বিশ্মিত হবনা।
নিজের নিশ্চিত মির্ত্যুর দৃশ্য দেখেও
বরঞ্চ আমি আনন্দ উল্যাসে মেতে উঠবো।
মৃর্ত্যুর আনন্দই তো আলাদা।
 
ধীরে ধীরে পৃথিবীটা ধংশ হয়ে যাক
আমি চাইনা। দু:খে কষ্টে অনাহারে
রোগে শোকে যুদ্ধে গৃহ যুদ্ধে ধুকে ধুকে
মানুষ মরুক আমি চাই না।
কষ্ট ক্লেশে দু:সহ যন্ত্রনায় মানুষ মরুক
আমি দেখতে চাই না।
মরতে যখন হবেই মরে যাই সবাই মিলে এক সাথে।
এক সাথে মরার আনন্দই আলাদা।
 
সেই অনাদি কাল থেকেই মরছে মানুষ!
ধর্ম দর্শণের দাবানলে মরছে মানুষ!
রাজনীতির নামে মরছে মানুষ!
জাতি গোষ্টির দন্ধে মরছে মানুষ!
সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় মরছে মানুষ!
সত্য অসত্যের প্রমান দিতেই ব্যতিব্যস্হ মানুষ।
 
মৃতপ্রায় প্রাচীন সকল সভ্যতা,
ধ্বংশ হয়ে গেছে চেচেন ইতজার
ইনকা, মাচুপিচু, ভ্যবিলন মহেঞ্জদারু
পিরামিডের সভ্যতা।
ভ্যক্টেরিয়া আর শেওলা আজ দখল করেছে
 মানব সভ্যতার উঁচু উচু টাওয়ার।
মানব জাতির ফসিলে ফসফরাস
জমে বন্ধা জমিন হয়েছে উর্বর।
কেউ কি রেখেছে তার খবর?
এখনো ক্ষুদার্থ চর্মসার শিশুর দিকে শকুনের শ্যোন দৃষ্টি।
ইরাক সিরিয়া লিভিয়া লেবানন  আলজিরিয়া
আফগানিস্হান সুমালিয়ায় চলছে কলঙ্কময় যুদ্ধ,
মসজিদ মন্দির গীর্জা পাকুডা সিনাগগি, অক্ষত,
বোমা বিস্ফোরিত হয় ভূমিহীন বস্তিতে।
কেউ কি শুনছে আজ রোহিজ্ঞাদের আর্তনাদ?
বুর্জ্যোয়া পুঁজিবাদের হাতে আজ মানবতা বধ!
কেউ দেখছেনা কেউ শুনছেনা 
মানুষের আর্তচিতকার।
তার চেয়ে উত্তম
ধ্বংশ হয়ে যাক এই বিশ্বভ্যমান্ড জগত চরাচর।
মরব সবাই আমরা এক সাথে মরবো,
এক সাথে মরার আনন্দই আলাদা,
কেয়ামত তোমাকে স্বাগতম!
 
 


          সম্পদ এবং সম্পত্তি---১৭    

কোন-টা বড়?
সম্পদ না সম্পত্তি----?
মা-বাবা কিংবা শিক্ষা গুরু বলতেন-
বিদ্যা বড় অমূল্য সম্পদ!
 

 

                                                                                                                                               সম্পর্ক এবং সম্মন্ধ--১৬

 
কিছু কিছু সম্পর্ক অদেখা স্রষ্টার স্বমহিমায় সৃষ্টি
আবার কিছু কিছু সম্পর্ক মানুষ গড়ে তোলে,
আরো ভালো করে বললে বলতে হয় মানুষের
ইচ্ছায় সৃষ্টি।
প্রবাহমান কাল ধরে চলে আসা মানুষের
এই সম্পর্ক কিংবা সম্মন্ধ,
কোনটা হয় রক্তের, আবার কোনটা হয় প্রেমের।
এবার কোনটাকে আমি প্রধান্য দিব সেটা তো দুরের কথা।
আমার কাছে পুরো বিষয়টাকেই মনে হয় দুর্বল সুতার বন্ধন মাত্র।
অথবা, মাটির তৈরি কোন খেলনা জাতীয় বাসনপত্র।
যা, যে কোন সময়ে ছিঁড়ে যেতে পারে,
কিংবা ভেঙে খান খান হয়ে যেতে পারে।
 স্রষ্টা এবং মানুষের গড়া এই সম্পর্ক এবং সম্মন্ধ,
দুটো জিনিসই আমার কাছে মনে হয় কেমন আজব আজব!
কেন? কেন মানুষের মাঝে এমন আজব গজব তন্ত্র?
ভেঙে যদি খান খান হয়েই যাবেই?
মানুষ গর্বে বলে আমার মা-বাবা,
আমার ভাই বোন,আমার স্বামী কিংবা স্ত্রি,
আমার বন্ধু বান্দব, আমার ভাঘিনা ভাঘনী ইত্যাদি।
আমার কাছে মনে হয় এই সবি অনর্থক,
এই সবি সব নষ্টের হোতা,
ভালোবাসা কিংবা প্রেমের নামে প্রতারনা মাত্র।
শুধু মাত্র সত্রুর সাথেই গড়ে তোলা যায় সম্পর্ক,
প্রেমের কিংবা ভালোবাসা!
আজ আমি আহব্বান করছি--
হে আমার জগতের সকল সত্রুরা,
ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখ আজ আমাকে,
আমি দু হাত বাড়িয়ে  তোমাদের ডাকছি,
মরে তো যাবই দুজনে একদিন!
আহ! গলে মিলি, মিলে মিশে আমরা প্রেম করি,
প্রেমের নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করি।
 
 
 
 
 
                    কাপুরুষ---১৫
                          -------মোহাম্মেদ ফারুক।
 
সত্যিকারের মুক্তি যুদ্ধের হিরুদের
আমার গান সেলিউট।স্বশ্রদ্ধায় মাথা
নত করি তাদের বিদেহী আত্মার প্রতি,
যারা প্রাণের বিনিময়ে ভালবেসে 
 দিয়ে গেছে মুক্ত স্বদেশটাকে ।

আর ভূয়া ভন্ড ভীরুদের জানাই তিরষ্কার।
তাদেরকে জানাই ঘৃনা বোধ।
আবার কিছু বীর উত্তম,বীর 
প্রতিক খেতাব ধারি চতুর শেয়ালেরা,
আজকাল কুকুরের সাথে বসে এক 
ঘাঁটে পানি খায়, আবার  কেউটের মত
এক থালিতে খায় দুধ ভাত।
 
আজ সেই ভীরু কাফেরর আর গভেটেরা মিলে   
করিতেছে উৎপাত।জন্মের পূর্বেই সোনার ছেলেদের 
হচ্ছে গর্ভাপাত।

-----অসমাপ্ত----










 


                     মাকড়সার মত আমার মা---১৪


ছোট একটি মাকড়সার মত
আমার মা ।এতই ছোট যে--
তার ছোট ছোট আঠটা পাঁ,
শ্রেপ ছুঁতে পারে সাড়ে ছাপ্পান্ন
হাজার বর্গমাইল ।আর এতই লম্বা
যে-- শুধু টেকনাপ থেকে
তেতুলিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত ।
আধা তার ধড়, আধা উদর,
মাঝখানে সুতার মত সরু ।
তার উপর দাঁড়িয়ে আছে কতো
সতেজ সজিব আকন্দ তরু ।
আবার তার বুকে বহে গেছে শত
নদির স্রোত ধারা ।কতো প্লাবন প্রাদুর্ভাব
কতো জলউচ্ছাস গুর্নিঝড় আসে যায়
 কত হায়েনা শকুন   হাঙ্গর  বারে বারে
হানা দেয় । তবু আমার মা বেঁচে
আছেন দিগ্বিজয়ি হয়ে, ষোল কুঠি
সন্তানেরে বুকে ধরে ।
অন্ন নেই বস্র নেই, নেই পর্যাপ্ত খাবার।
রোগা শোকা সন্তান গুলো নিয়ে আমার 
মা- এর নিত্য হাহাকার ।
ক্ষিদার জ্বালায় তারা কামড়ে
কামড়ে খায় মায়ের বদন ।মায়ের পেটে
জন্ম তাদের মায়ের পেটে মরন ।
বড়ই শোকার্থ আমার মা  হীমশীম খাচ্ছে ।
তার কুলাঙ্গার সন্তান গুলো তবু লজ্জা নাহি
পাচ্ছে ।

                    -----ফারুক, জার্মানী






 মুর্খ গর্ধব----১৩


তারেক রহমান,তুই একটি মুর্খ গর্ধব।
 আজ যদি একান্তে 
তোর দেখা পেতাম, তো তোর 
নিলর্জ্জ আচরনের জন্য প্রথমে আমার 
এই ব্লুজিন্স পেন্টের চেইন খুলে তোর 
মুখে পস্রাব করতাম।
তার পর তোর দুগালে দুটা থাপ্পর 
দিয়ে কান টেনে ধরে জিজ্ঞেস করতাম,
সালা খুনির পোলা হারাম জাদা, খাম্বা 
চোর তুই আমাকে বাংলার স্বাধিনতার 
ইতিহাস শিখাস।
আমি তো নিজেই বাংলার ইতিহাসের এক
অবিচ্ছেদ্য পাতা।আমি বাংলার স্বাধিনতা
যুদ্ধ স্বচক্ষে দেখেছি।আমি রুদ্র বঙ্গবন্ধুকে খুব-
কাছ থেকে দেখেছি, প্রমিউথিউস রুপে।
সালা তুই আমাকে ইতিহাস শিখাস!

সালা তুই দুস্টচক্র জামাতির কাঁদে চড়ে
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ আর তিরিশ লাখ সহিদের 
চেতনা আর লক্ষ লক্ষ সুন্নি মুসলমানের 
ধর্মিয় বিশ্বাসকে ভূলুন্ঠিত করে ওহাবী 
মতবাদ প্রতিস্টা করে তুই নবাব হতে 
চাস।
বাংলার নবাব! সালা তোকে আমি 
কেটে কুটে শিয়াল কুকুরকে খাওয়ায়ে 
দিব।নবাব তো দুরের কথা নেতা 
হওয়ার যোগ্যতাও তোর কাছে নেই।
মুর্খ গর্ধব কোথাকার।
---------ফারুক জার্মানী।




                শকুনি---১২
********************
শকুনি তোর মরন হবে কবে? বল?
বয়স তো অনেক হয়েছে, মনে হয় 
সত্তর পেরিয়ে।বড় জোর বাঁচবি না হয় আর 
পাঁচ, সাত,  আট
কিংবা দশ,এর বেশি তো নয়।
বল শকুনি!
কেন এখনো তোর 
হচ্ছেনা মরন?বল!

তুই কি কচ্ছপ না কুমিরের হায়াত 
নিয়ে জন্মেছিস? বল? কেন এখনো তোর 
হচ্ছে
না মরন?
তোর ধারালো নখের আঁচরে
আর কত ক্ষতবিক্ষত করবি এদেশের 
মানচিত্র।
বল শকুনি বল, তোর মরন হবে কবে
বল?
আর কতো খামচায়ে খামচায়ে
খাবি তাজা মানুষ।শিশু নারি বুড়ো
কেহই তোর রাক্ষুশি থাবা থেকে রেহাই 
পাচ্ছে না।

শকুনি বল! তোর মরন হবে কবে? বল? 
একাত্তরে খেয়েছিস তুই লক্ষ লক্ষ মরা 
মানুষের লাশ।আর আজ দেখি তুই 
খাচ্ছিস জ্যান্ত মানুষ।

শকুনি বল!তোর মরন হবে কবে বল?

তোর আতঙ্কে আজ বাংলাদেশের ষোল 
কুঠি মানুষ।শিশু নারি পুরুষ, বুড়ো,
কামার কুমার ক্ষেত মুজুর, শ্রমিক
স্কুলের ফুটন্ত ফুল গুলো, মায়ের কোলের
শিউলি বকুল, রক্তজবা, পলাশ, টগর 
কৃষ্ঞচুড়া গুলো, আজ সবাই আতঙ্কিত!
আজ সবাই কি ভীষন ভয়ার্ত!

বল! শকুনি বল! তোর মরন হবে কবে? 
বল?শকুনি তোর মরন হলেই বেঁচে যায়
ষোল কুঠি মানুষ।তোর মরন হলেই 
ষোল কুঠি মানুষের নিস্তার।তোর এত 
অন্যায় আচরনের পরও, আমি তোর 
স্বাভাবিক মির্ত্যু কামনা করছি।শকুনি 
তুই জলদি মর।মুক্তি দে বাঙ্গালী জাতিকে।
খালেদা তোকেই বলছি!





           চাই আরেকটি জনযুদ্ধ---১১

আজো অনলাইনে দেখলাম কক্স 
বাজার থেকে চেড়ে আসা ঢাকা 
গামি একটা চলন্ত বাসে আগুনে 
দগ্ধ হয়ে সাতজন ছাঁই হলো। 
আরো জ্বলছে অসংখ মানুষ।
ভোর তখন তিন কি সাড়ে তিনটা বাজে,
যাত্রিগুলো তখন গুমিয়ে গুমিয়ে 
স্বপ্ন দেখছিল একটি অতসি রঙের 
সকালের।
প্রতিক্ষার প্রহর গুনছিল স্বজনরা।
প্রিয়তম আসছে, অনেকদিন পরে 
দেখা হবে।কতো কথা বলা হবে 
কতো কথা শুনা হবে।
কিচ্ছুই আর শুনা হলো না,কিচ্ছুই আর 
বলা হলো না।এখন শুধু ধু ধু স্বপ্নিল
আকাশ,মলিন পানোরমা, নিদারুন
দিগন্ত।
এখন শুধু প্রিয়তমার 
জ্বলন্ত ছাঁই পত পত করে উড়ছে 
আকাশে বাতাসে।স্বাধিন বাংলার 
আকাশে বাতাসে।উড়ছে আর উড়ছে 
আমার ভাইয়ের ছাঁই।আমার শিশুর 
ছাঁই।পত পত করে উড়ছে আমার 
মা বোনের পোড়া শরীরের ছাঁই।
সুদুর প্রবাসে বসে এই তরুন কবি বার বার-
হচ্ছে হতাস।হায়! হায়! সোনা সোহাগায় 
ভরা আমার স্বদেশের কেন এমন নির্মম 
পরিহাস?কেন কেন স্যাটারদের এমন 
তান্ডব,কেন এমন নৃসংস হত্যা কান্ড।
কেন এমন মির্ত্যুর মিছিলে স্যাটারদের
এমন নগ্ন নৃত্য উল্যাস?
ধয্যের একটা সিমা আছে, এই জামাতি 
স্যাটারদের বিরুদ্ধে চাই আরেকটি 
স্বসস্ত্র জনযুদ্ধ।

**********************************************



 ক্রোদ---১০
মোহাম্মেদ  ফারুক।


ক্রোধ, শ্বেত হাতের মাত্র একটা  
ধাক্কা খেয়ে,
মহাত্মা গান্ধি স্বদেশের মাটি থেকে 
তাড়িয়ে দিয়েছে লক্ষ লক্ষ শ্বেতাঙ্গকে।
অতচ আমি প্রবাসের অলিতে গলিতে 
বিশটা লাথি খেয়েও স্বদেশের মাটি 
থেকে মাত্র সাড়ে তিনশ গরুকে তাড়াতে 
পারিনি।
আমি পারিনি অল্পকিছু ক্লাউন আর 
ভাঁড়দের দম্ভোক্তি চিরতরে বন্ধকরে 
দিতে।
আমি পারিনি কিছু দুর্নিতিবাজ আমলাকে
ফাঁসির রসিতে ঝুলাতে।আমি পারিনি
আজো কিছু ঘুষ খোরের নগ্ন পাছায় 
বেত্রাঘাত করতে। 
আমি পারিনি! কিছুই করতে পারিনি 
স্বদেশের ষোলকুঠী দুঃখি মানুষের জন্য।
এখনো তারা ঘানি টানে, এখনো তারা 
নৌকার গুনা টানে। এখনো কিষান সোনার 
ফসল ফলায় বোঁতা নাঙ্গল আর চর্মসার 
গরু দিয়ে। এখনো এদেশে মজদুর ক্ষুদার 
শ্রম বিকায়।এখনো এদেশে রিকসাওলা 
রিকসা টানে গায়ের বলে।
আমি পারিনি নগরের এই বস্তিগুলি 
সব ধ্বংশ করে বস্তিবাসির জন্য 
একটি মনোরম আবাসিক এলাকা গড়তে।
আমি পারিনি একটি সুন্দর সমাজ গড়তে।
আমি পারিনি! কিচ্ছুই করতে পারিনি,
আমার প্রিয় এই স্বদেশের জন্যে।ক্রোধে 
বারবার আমার হাতের মুষ্টি কষে আসে। 





                      অঙ্গিকার,---৯ 
                       -----------মোহাম্মেদ আল্ ফারুক।
ওগো প্রিয় স্বদেশবাসি,
দয়া করে আমার হাতে চেড়ে দাও 
এ বাংলার শাসন ভার।তোমাদের 
আমি পুর্ন গনতন্ত্র দিতে পারি আর 
না পারি, অন্ততপক্ষে ঘুষ খোর দুর্নিতি 
বাজ আমলার করবো উচিৎ বিচার,
তোমাদের কাছে এই আমার দৃঢ় 
অঙ্গিকার।
ওগো প্রিয় স্বদেশ বাসি,তোমাদেরকে 
আমি কথা দিলাম, স্বাধিন বাংলার 
কোন শীতল ঘরে বসতে দিবনা 
কোন রাজাকারকে।কোন রাজাকারের 
গাড়িতে উড়বেনা আর স্বাধিন দেশের 
পতাকা।রাজাকারের বংশ আমি করবো 
নির্মূল, নাই নিস্তার।এই আমার দৃঢ় 
অঙ্গিকার।
ওগো প্রিয় স্বদেশবাসি, অন্যায় অনিয়মের 
বিরুদ্ধে আমার এই দুটি হাতকে কর শক্ত।
তোমাদের আমি কথা দিলাম, এ বাংলাকে 
করবো আমি সন্ত্রাস মুক্ত। এ আমার দৃঢ় 
অঙ্গিকার।
ওগো প্রিয় স্বদেশ বাসি,বাংলাদেশে 
আজ গনতন্ত্রের নামে সবি হচ্ছে
ভাওতাবাজি।দোহায় তোমাদের 
কারো কথায় আর হইওনা রাজি।
সোনার বাংলাকে আর করিওনা 
ছারখার।দয়া করে আমার উপর 
চেড়ে দাও এ বাংলার শাসন ভার।




               আমার প্রিয় জন্মভূমি----৮
               -------মোহাম্মেদ  ফারুক।

আমার প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশ!
তুমি আজ কেমন আছ?আমার 
 জানতে খুব ইচ্ছে করে।
তুমি কেমন আছ প্রিয় জন্মভূমি?
বিশ্ব আজ একবিংশ শতাব্দিতে 
করেছে পদার্পন।আমেরুপায় 
চলছে মঙ্গলে অভিযান।
আর তুমি কাঙ্গালিনী অনেক পিছে 
পড়ে আছ।তোমার বুকে দেখছি 
এখনো  খঞ্জরের তাজা ঘা।ছোপ ছোপ 
রক্তের দাগ।একি! তোমার 
বুকে দেখছি এখনো চলছে
স্যাটারের  নির্মম তান্ডব।
মুমুর্ষ নরনারির করুন আর্তনাদ।
এখনো দেখছি লাশের মিছিল!
একি! তাহলে তুমি কি বেশি ভালো
নেই? আমার প্রিয় জন্মভূমি।
প্রিয় জন্ম ভূমি জননী, তোমার 
বুকে আজ ভয়ে শিশু গুমায়, আবার
ভয়ে জেগে উঠে।একাত্তরের পরাজিত 
হায়েনা শকুনের ভয়ে চারিদিকে
কেমন ভয়ার্থ আতঙ্ক।সে আতঙ্কের 
মধ্যেই জন্ম নিচ্ছে মানব শিশু,
আতঙ্কের মধ্যেই উঠছে তোমার 
আকাশে আগামী দিনের সুর্য।
অতচ তোমার সোনার ছেলেরা 
এখনো আছে গুমিয়ে। জাগিয়ে দে 
মা চিৎকার করে জাগিয়ে দে মা 
তোর সোনার 
ছেলেদেরকে,জাগিয়ে দে মা 
ঐ হায়েনা শকুন,বেহায়া বন্য 
কুকুরদেরকে তাড়িয়ে দিতে।





              নেতারা সবাই অন্ধকারে--৭
               -------- ফারুক।
বিএনপির নেত্রী বসে আছেন শীষ মহলে।
আর বিএনপির সিনিয়র নেতারা চারপাঁয়ি 
ভৃত্তের ন্যায় চারি পাশে গুরে পিরে দলে দলে।

হায়রে তাদের নামি দামি সব খ্যতাবি,
ডাক্তারি প্রপেসারি, বারিষ্টারি 
আর এডভোকেটি  সার্টিফিকেটের মূল্য 
বুঝি আজ শুধু দু -পয়সা কিংবা দুটাকা।জমলনা বুঝি 
আর রাজনিতীর বাড়তি ব্যবসা।

যুবরাজ আজ নবাবের গদিতে আশিন।
দুর্নিতীর বর পুত্ররা থাকেই 
বুঝি সদা এমন নির্বাসিন।

মওদুদ আজ প্রয়াত,ফকরুল হলো সেলপ কেয়ার
টেকার।খোকা আব্বাস অঘোষিত মাস্তান 
ঢাকার।
আক্তারুজ্জামান একটু আলাদা।সৎ বাপের 
সৎ সন্তান সদা বলে সত্য কথা।

তারেক রহমান হলো নৈরাজ্যবাদি 
ওহাবী মতবাদে বিশ্বাসি।অন্ধকারে 
বসে বিএনপির কুলঙ্গার নেতারা বাজায় 
অনাহুত গনতন্ত্রের ভাঙ্গা বাঁশি।
জামাতি আর হেফাজতির কাদেঁ বসে হবে না বৈতরনি পার,
দেশদ্রোহী মীর জাফরের বংশ গাদ্দার সবাই হুঁষিয়ার।





           স্বপ্ন---৬
              --------ফারুক।

চষা ক্ষেতে বীজ বপি,
পাখিরা  টুখে ঠুখে খায়।
পবনে পতঙ উড়াই, 
ডুরি চিরে যায়।
তবু আমি বপি আর উড়াই।

মন বলে তাই উড়াই।
মন বলে এ মাঠি উর্বর খুব।
মন বলে ঐ আকাশ মুক্ত প্রচুর।
ঐখানে পতঙ উড়বে- উড়বেই।
এখানে ফলাধিবৃক্ষ গজাবে-গজাবেই।
ফুল ফুটবে, ফল ধরবে,
সবুজে আরো সবুজ হবে,
প্রাণের সমারোহে ভরে যাবে, 
আমাদের এই সতেজ ভূসর্ঘ।
চারিদিকে পাখিরা গোহিবে,
ফুলেরা হাসিবে,বহিবে 
সাম্যের সুনিল বাতাস।
তাই আমি শুন্য খেতে বসে,
সে শুসময়ের স্বপ্ন দেখি।
আখের দেখি কি হয়?
কোথায় গিয়ে দাঁড়াই।






             উর্বর----৫
            ----------আল্ ফারুক।

বাংলার মাটি গুলি খুবি উর্বর।
তাই তো পরগাছায় এমন 
ভরে গেছে।সমূলে বিনাশ 
করে দাও আগাছা গুলো,
তাহলেই দারিদ্রতা গুছবে।
আজব এই আগাছারা,
এ মাটির রসকস সবি চুষে 
খাচ্ছে।তাই তো সবাই দিন 
দিন এমন আঙ্গুল পুলে কলা-
গাছ হচ্ছে।
এখুনি যথার্থ সময় ভাই,
সাবাল চালাও সাবধানে।
তাদের সুক্ষশিখড় শুদ্ধ
উপড়ে ফেল।বিনাশ করে 
দাও তাদের আন্ডা বাচ্চা,
নিঃশেষ করে দাও তাদের 
বংশ বিস্তার।
তার পর মনের আনন্দে বুনে
দাও এক মুঠো শুকনো বীজ।
তাহলেই দেখবে সোনালি ফসল
ফলবে তোমাদের এই উর্বর 
মাটিতে।ফসলেআবার ভরে 
যাবে তোমাদের শুন্য গোলাগুলো।
আবার ফুটবে তোমাদের মুখে
অপুরন্ত সজিব হাসি।আবার 
তোমাদের অন্ধকুঠিরে জ্বলবে
আলোর বাতি।



 

               জন্ম হলো মোর বঙ্গে,---৪
                 --------- ফারুক।

জন্ম হলো মোর বঙ্গে,
সে দেশেরই মাটির গন্ধ
আছে আমার সর্ব অঙ্গে,
জন্ম হলো মোর বঙ্গে।

যার হরীৎ পানোরমা,
আকাশ হলো নীল।
যেতায় উড়ে বেড়ায়
গাঙ্গচিল হরেক রঙ্গে।

যে মাটিতে ফলে 
সোনাদানা।
যেতায় কত বর্গি 
করে আনাগোনা।
সে মাটির গন্ধ আমার
অঙ্গে।
যে দেশেতে সদা শুনি 
করুন হাহাকার।
যেথায় নিত্য হয় খুন 
খারাবি জুলুম অত্যাচার।
যেথায় প্রতিক্ষন যমদুত 
রয় সঙ্গে।
যার মাটিতে আমরা ফসল 
ফলাই। যার মাটি দিয়ে ঘর 
বানাই।সে মাটির গন্ধ 
আছে আমার সর্ব অঙ্গে।
যার অগনন সন্তান 
গরিবীর ভোজা বহে মাথায়।
কন কনে শীতে যারা 
নরক যন্ত্রনা পোহায়।
অপনল, বায়ূ মাটি 
আছে যাদের সঙ্গে।
জন্ম হলো মোর বঙ্গে।


              বকধার্মিক,---৩
            ------- মোহাম্মেদ  ফারুক।

ওদের কাছে তোমরা কিছুই শিখতে
পারবে না।ওরা সবাই ভন্ড, বকধার্মিক।
ওরা লম্বা জুব্বা, দাঁড়ি টুপি পড়ে ভ্রান্তি 
ফতুয়ার গাট্টি লয়ে ফেরি করে পিরে, 
নগরের অলিতে গলিতে গাঁ গঞ্জে।

ওদের কাছে তোমরা কিছুই শিখতে 
পারবেনা।ওরা সবাই সাধু বেশি 
সয়তান কাফের নাস্তিক।ওদের 
খুপড়িতে কিছু নেই।ওরা সবাই 
বকধার্মিক।
তোমাকে যদি সত্যিই কিছু শিখতে
হয়,তবে যাও সতেজ প্রকৃতির কাছে।
ফুলের সাথে হাসো খেল,কথা বলো।
তবু ওদের কাছে যেওনা, কারণ ওরা 
সবাই বকধার্মিক।
তোমাকে যদি কিছু শিখতেই হয়, তবে 
যাও কোন জ্ঞানির কাছে।যে জ্ঞ্যানে 
প্রজ্ঞা আছে,জ্ঞ্যয়,অজ্ঞ্যয়, বিশ্ব ব্রম্মান্ডের।
তবু ওদের কাছে তোমরা যেওনা।কারণ
ওরা সবাই বকধার্মিক।

তোমাদেরকে যদি কিছু শিখতেই হয়,
তবে আমি দেখায়ে দিতে পারি একটি 
সঠিক পথ।যুগে যুগে মহা মানব রুপে 
যারা এসেছিল এই ধরায়, যারা উজালা 
করেছিল সমগ্র জগত।যাদেরকে আমি 
দার্শণিকের দার্শণিক বলি,যাদের এক
একটি বাণি ঐশি বাণীর মত প্রবিত্র,
তাদের কাছে যাও, কিচু শিখতে পারবে।
তবু ওদের কাছে যেওনা, কারন ওরা 
সবাই বকধার্মিক।






                           বঙ্গবন্ধুর প্রথম ভূল,---২
                   -------মোহাম্মেদ  ফারুক।

আসলে বাঙ্গালীরা 
স্বাধিনতা চায়নি,
চেয়েছিল এক থালা হুদা  ভাত।
নিদেন পক্ষে লবন মরিচ হলেও চলতো।
বঙ্গবন্ধু সেই খুদার্তু মানুষের সামনে
এনে দিলেন কোর্মা পোলাও দেশি ঘি-এ ভাজা প্ররোটা
 স্বাধিনতার
রক্তিম সূর্যটা।
বাঙ্গালীরা চায়নি খরা বৃষ্টি বান বন্যা
কবলিত বাংলাদেশ।তারা চেয়েছিল 
অখন্ড পাকিস্তান, ধু ধু বালুর বেলুচিস্হান।
বঙ্গবন্ধু কেন 
দ্বিখন্ডিত করলেন?
লাল সূর্য এর মর্ম  বাঙ্গালীরা
বুঝিবে কি করে।কঙ্কালসার 
লোকেরা তো ধানের চড়া দেখলেই
মুখে টস টস করে পানি ঝরে।
 অভাবে স্বভাব নষ্ট,
স্বাধিনতার ভোজা বহা বাঙ্গালীর
পক্ষে ছিল বড়ই কষ্ট।বঙ্গবন্ধু 
বুঝেননি, না বুঝেই করেছিলেন অ-শোংধনিয় 
প্রথম ভূল।

---অসামাপ্ত,






             মা বলে দে,--১
               -------ফারুক।

মা প্রতিদিন প্রভাতে তোর 
সন্তানের মাথায় স্নেহের হাত 
ভুলাতে ভুলাতে বলে দে--
বেটা সদা সৎ পথে চলি ও
সদা সত্য কথা বলিও,
মিথ্যা কথা বলিও না।
মিথ্যা বলা মহা পাপ।
বলে দে ঘুষ খেয় না,
হারাম খেয়না।দুর্নিতী করিও 
না। চাঁদাবাজি করিও না।
মা বলে দে, গুম খুন করিও না।
কারো সম্পদ লুটেপুটে খেয়না।
বলে দে ঐ নেতা নামের 
সয়তানদের  পিছে দৌড়িও না।
কালোবাজারি করোনা।
ইবটিজিং করো না।কারো প্রতি 
এসিড নিক্ষেপ করোনা।
মা বলে দে-পেট্রলবোমা, 
গানপাউডার মেরে নিরীহ 
মানুষকে পুড়ে মেরনা।
কারো প্রতি এসিড নিক্ষেপ করো 
না।মা বলে দে- তোরা যদি
সবাই আমার সন্তান হয়ে থাকিস।
তবে তোরা তো সবাই ভাই ভাই।
কেন ভাই হয়ে ভাইকে মারিস?
কেন তোদের মাঝে এত বৈরি 
বৈশম্য।তোরা কি মানুষ নামে 
হতে পারিস না গন্য।










No comments:

Post a Comment

অজ্ঞসব জনপ্রতিনীধি,

সত্যই শক্তি, সত্যই সুন্দর,