Friday, October 22, 2021

কুখ্যাত খুনি জিয়ার দল মানেই হুজোগ গুজোব আর মিথ্যাচারঃঃ!

         


 ঠান্ডা মাথার দু খুনি যারা বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট হয়েও হত্যার নীল নকশা আঁকেন



                                                                                                                                                                   
 বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি থেকে সামরাজ্য বাদী ইউরো মার্কিনীরা কমিউনিষ্ট ধমনের নামে বিশ্বব্যপি দেশে দেশে
বিশ্ব চ্যম্পিয়ান বক্সার মোহাম্মদ আলীকে মিলিয়ন ডলার দিয়ে দেশে
এনে সান্মানজনক নাগরিকত্ব দিয়ে ধর্ষিত গনতন্ত্রকে দোর রা মারলেন খুনি জিয়া...



রহস্যজনক ব্যপার হলো এই সব স্বৈরচাররা অনেকেই ছিল পিতৃমাতৃ পরিচয়হীন এমনকি কেউ কেউ জারত সন্তান বা বার্স্টেডও।
কঙ্গোর স্বৈরশাসক মবুটো কিংবা চিলির পিনোচেট পিলিপাইনের ইমানুয়েল মার্কোশ এর মত সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশেও নিম্ন শ্রেণীর দুই স্বৈরশাসকের উত্থান ঘটিয়েছে।বাঙ্গালীর ভাগ্যটা একটু ভালোই বলা যায়, এই কূখ্যাত বিখ্যাত দুই স্বৈরচার জিয়া এরশাদের যেভাবে উত্থান ঘটলো ঠিক সেই ভাবেই পতন ঘটে গেল। নিয়তির কি অসাধরন বিচার। তবে জনগনের ফিৎরা যাকাত ও রিলিপের টাকা মেরে তাদের গড়া দলগুলি আজ বাজারে জেলের ঢালায় টেংরা মাছের মত ক্যঁকূঁ ক্যঁকূঁ করছে।অদুর ভবিষ্যতে হয়ত বিশ্বের অন্যসব স্বৈরচারদের গড়া দলগুলির মতই বিলুপ্ত হতে বাদ্য হবে।সেদিন হয়তো বেশি দুরে নয়,।আল্লাহর গজব নামে তো একটি শব্দ আছে।
বেএনপির যত কূতর্ক...
(এক) নিম্ন শ্রেণীর স্বৈরচার জিয়ার মির্ত্যুর পর বিএনপির মাথা মোটা পরিত্যক্ত দলসুট যুদ্ধাপরাধি কুলাঙ্গার এবং নাস্তিক  নেতারা যারা কাফের ইহুদী নাসারার চেয়েও অধম্য এবং নিম্নমানের, তারাই প্রথামে কুতর্ক তোলে বাঙ্গালী না বাংলাদেশি?
(দুই)জিয়া স্বাধীনতার ঘোষক! জিয়া মরার দেড় যুগ পরে এসে তার এই শব্দটি শুধু ব্যবহার করছেনা বরঞ্চ অবলিলায় বলে বেড়াচ্ছে।
(তিন) মর্মান্তিক ১৫ই আগষ্ট খালেদার অনারম্বর ভূয়া জন্মদিবস পালন! এই ভূয়া জন্মদিন ১৯৯৬ সালের পর থেকে চালু করেছে, পরে প্রমান হলো তার জন্ম তারিখেরই ঠিক নাই। তিনটা জন্ম তারিখ পাওয়া গেছে, কি ভয়ঙ্কর হাস্যকান্ড!
(চার) জিয়াউর রহমানের নামের আগে একঘেঁয়েমি ভাবে শহীদ ব্যবহার করা!প্রকৃত শহীদকে শহীদ বলা ইসলাম ধর্মে জায়েজ আছে, কিন্তু একজন খুনিকে যদি আরেক খুনিরা খুন করে থাকে তাহলে তাকে শহীদ বলা কবিরা গুনাহের নামান্তর। এটা ইসলাম ধর্মের কোন কিতাবে নেই।
(পাঁচ)জিয়াউর রহমানের কবরকে মাঝার বলা! যদিও কবরে জিয়ার লাশ আছে কিনা তা নিয়ে অকাট্য বিতর্কের অবতারনা আছে।
তারপরে আছে নানা ধরণের প্রপাগান্ডা, তার উপর সকল মিথ্যা প্রপাগান্ডাকে সত্য প্রতিষ্টা করার জন্য কুতর্ক করা, ইসলামের লেভাস ধারি যুদ্ধাপরাধিকে সাথে নিয়ে জ্বালাও পোড়াও করে দেশের মূল্যবান সম্পদ নষ্ট করা নিরীহ  মানুষ হত্যা করেও তারা পার পেয়ে যায়।
 জোর করে  ক্ষমতা দখলদার স্বৈর জান্তা জিয়া শুরু থেকেই গুজব প্রপাগান্ড চড়িয়ে অসহায় জাতিকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রেখেছিল। তিন বছর তো জনগনকে কথাই বলতে দেয়নি, আয়ূবের আদলে মার্শাল, ল দিয়ে তিনজন মানুষকে একসাথে দেখলেই বেত্রাঘাত কিংবা জেলে ঢুকিয়েছে, নির্যাতন করেছে।রাজনৈতিক কার্য কলাপ সম্পূর্ন ভাবে নিষিদ্ধ করে দিয়ে নিজেই রাষ্ট্রপতি সায়েমকে বন্দুক ঠেকিয়ে গদি দখল করে হাঁ-না ভোট দিয়ে নিজেই রাষ্ট্রপতি বনে যান।তারপর তিনি পাকিস্তানি স্বৈরচার আয়ূবের পদাঙ্ক অনুসরন করে ভেসিক গনতন্ত্রের নামে শুরু করেন নানা প্রপাগান্ডা।

প্রথমে হ্যাঁ-না ভোট তারপর গনসংহতি, তারপর জাগদল, তারপর জাতীয়তাবাদী দল ঘটন করে উর্দুভাষি এই স্বৈরচার বাংলা না জানার কারণে যাদুর মিঞার নির্দেষে টি সার্ট ও কেপ পরে পাম মেশিনের পাশে বসে  ছবি তুলে জনগনকে বোকা বানালেন। তার পর সারা দেশে একজেবিশন চালু করে মাসের পর মাস প্রিন্সেস লাকী খান জরিনা খানের নর্তকী ও বেশ্যাদের দিয়ে নগ্ন অর্ধ নগ্ন নাচিয়ে  জুয়া মদ হাউজি চালু করে  জনগনকে ভুলিয়ে ভালিয়ে রাখলেন। তারপর মিলিয়ন ডলার দিয়ে বক্সার মোহাম্মদ আলীকে এনে ঢোল ডাল বাজিয়ে গনতন্ত্রের ফেরি করলেন। তারপর আবার তিনি প্রথমে হ্যাঁ না ভোটের আয়োজন করে নিজেই রাজা নিজেই রাষ্ট্রপতি আবার সেনাপতিও বনে গেলেন।
তার কিছুদিন পর আবার তিনি বহুদলিয় গনতন্ত্রের নামে নির্বাচন দিয়ে রাজকোষের কোটি  কোটি টাকা খরচ করে আলীম জালিম নকসাল সর্বাহারা ও যুদ্ধাপরাধির খুনিদের  ধরে এনে প্রেসিডেন্ট পদে আশি ৮০ জনকে দাঁড় করিয়ে দিলেন। তিনি জানতেন পাশ তো তিনি নিজেই করবেন।বিশ্বকে জানালেন তিনি বহুদলীয় গনতন্ত্রের প্রবক্তা।

জিয়ার করুন পরিণতির পর তার  অনাসারী বিভিন্ন দলচুট বেশ্যা ও বেয়াদপ শ্রেণী জিয়ার মতই হুজোগ গুজোব মিথ্যাচার ও কূতর্কে লিপ্ত হলো।  


                                         ...ক্রমশ

অজ্ঞসব জনপ্রতিনীধি,

সত্যই শক্তি, সত্যই সুন্দর,