আমি কোন ইতহাসের ছাত্র নই, আর ইতিহাসবীদ ও নই । তবে ইতিহাসবীদদের লেখা ইতিহাস পড়ে যা বুঝেছি, এবং আমার ক্ষুদ্র জীবনে বাংলার স্বাধিনতা যুদ্ধ দেখে যতটুকু জেনেছি তাতে আমি গর্ববোধ করে বলি আমি বাংলার ইতিহাসের একটা অবিচ্ছেদ্ধ পাতা ।আর সে কারনেই আমি বার বার ইসলামের শুরুর ইতিহাস এর সাথে স্বাধিন বাংলাদেশের ইতিহাস মিলিয়ে দেখেছি ।আমার কাছে জানিনা কেন যেন মনে হয় বেশ কিছু দিক দিয়ে ইসলামের ইতিহাস আর বাংলাদেশের ইতিহাস প্রায় একি রকম ।
সে চৌদ্দশ বছর আগে প্রাতাপ শালি আবু জাহেলের যুগে মুখে শাহাদাতের বাণী নিয়ে মহা নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর আগমন ঘঠে বর্তমান সোদি আরবের মক্কা নগরিতে ।মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নির্দেশে জিবরাইল (আঃ) ওহীর মাধ্যমে মহা নবী (সঃ)কে সত্যের ধর্ম ইসলাম প্রচারের জন্য প্রেরনা ও সাহস যোগায় ।মহান আল্লাহর ইচ্ছায় মহা নবী হযরত মুহাম্মদ(সঃ) নানা বাধা বিপত্বি অতিক্রম করে সমগ্র আরব জাহানে ইসলাম প্রচার করে দোজাহানের বাদশাহের মত আরব বিশ্বকে পরিচালিত করেন ।তাই আজ সারা বিশ্বের জ্ঞ্যানি গুনি এখনও এক বাক্যে শিকার করে মানব ইতিহাসে একমাত্র তিনিই এমন এক একক ব্যক্তি যিনি রাজনৈতিক ভাবে ধার্মিক ভাবে সামাজিক ভাবে এবং মানবিক ভাবে সফল ও সার্থক ব্যক্তি ।সুবহান আল্লা ।
মহানবী (সঃ) ইসলাম ধর্মকে পূর্নাঙ্গ রুপে প্রচার ও প্রকাশ করে ইসলামের মূল পাঁচ ভিত্তি কালেমা, রোজা, নামাজ, হজ্ব, জাকাত,এর উপর দাঁড় করিয়ে প্রবিত্র কোরআনে করিম সাহাবীদের হাতে নির্ভূল লিখিত আকারে রেখে এবং শত শত হাফেজদের দ্বারায় মুখাস্ত করায়ে বিশ্বস্ত কয়জন সাহাবীর হত্যার বদলা নিতে সঙ্গী সাথি নিয়ে সিরিয়ার উদ্যেশ্যে রওানা হন, কিন্তু যাত্রার পথে তিনি অসুস্হ হয়ে পড়েন ।সাহাবীরা পথে তাঁবু টানায়ে অনেক সেবা শুস্রসা করলে ও এই মহা মানবকে আর বাঁচাতে পারেননি ।
তাঁর ওফাতের পরে যদিও তাঁর অসমাপ্ত কোন কাজই আর অসমাপ্ত পড়ে থাকেনি, তথাপি তাঁর ইন্তেকালের পর তাঁর জায়নামাজ এবং দাপন কাজ সম্পর্ন না হতেই তাঁরি কিছু সাহাবি এবং নব্য মুসলমানেরা নানা মতবেধে ও মতনৈক্য সৃস্টি করে ধন্দে লিপ্ত হল যে কে মহা নবীর স্তলাভিসক্ত হবেন ।কেউ বলছে ইসলাম ধর্ম প্রচারে আমাদের অবধান বেশি, আমাদের মধ্য থেকেই একজন হবেন ।কেউ বলছে আমাদের গোত্রই সুশিল সমাজ শিক্ষায় দীক্ষায় আমরাই বড় সুতারাং আমাদের গোত্র থেকেই হবেন খালিফা । ঈমামদের মধ্যে কেউ কেউ আবার নবীত্ব দাবী করে বসলেন । আবার ধর্মান্তরিত নব্য মুসলিমরা ধর্ম ত্যগ করে নিজের পুরানা ধর্মে ফিরে যেতে উদ্যত হলেন ।
এমতা অবস্হায় হট্রগোলের মধ্যে কে একজন বলে উঠল, আবু বক্কর ছিদ্দিক কোথায়, তাঁকে ডাকা হউক ।সেই পারবে সঠিক ভাবে সমাধান করতে ।আবু বক্কর ছিদ্দিক তখন বেটি আয়েশার ঘরে মহা নবী (সঃ) এর লাশের পাশে ব্যদনায় বিধির্ন হয়ে কাঁদছেন ।
হযরত আবু বক্কর ছিদ্দিক মহা নবী (সঃ) এর চেয়ে তিন বছরের ছোট হলেও তিনি শৈশব থেকেই ছিলেন মহা নবী (সঃ) এর বিশ্বস্ত বন্ধু এবং পরে এসে বিবি খাদিজার মির্তুর পর আয়েশাকে বিয়ে দিয়ে হন শ্বশুর ।বিশ্বস্ত এবং অগাধ বিশ্বাসের কারনেই তিনি ছিদ্দিক উপাধিকে ভূশিত হন । জিবিত অবস্হায় দুজন এক সাথে বসে যুক্তি পরামর্শ করে দীনি কাজ কর্ম সমাধা করতেন এবং আগামী দিনের ইসলামের দিক নির্দেশনা ঠিক করতেন ।
ঠিক বাংলাদেশে যেমনি একাত্তরের পূর্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমান আর তাজ উদ্দিন একে অপরের ঘৃহে গিয়ে বসে বসে সলা পরামর্শ করে স্বাধিনতা সংগ্রামের নীল নকসা আঁকতেন,আর দিক নির্দেশনা ঠিক করতেন ।বিদ্যাবুদ্ধি জ্ঞ্যান গরিমায় তাজ উদ্দিন ছিলেন হযরত আবু ব্ক্কর ছিদ্দিক (রাঃ) এর মতনই । তিনি আমাদের স্বাধিনতা যুদ্ধের সফল নেতৃত্ব দিয়ে মাত্র নয়মাসের মধ্যে বিজয়ের রক্তিম সূর্য্টা ছিনিয়ে এনেছেন ।যদি বঙ্গবন্ধুর সাভাবিক ভাবে মির্ত্যু হতো,আর তাজ উদ্দিন বেঁচে থাকতেন, তাহলে নিশ্চিত তিনিই বঙ্গবন্ধুর স্হলাভিশিক্ত হতেন ।
হযরত আবু বক্কর ছিদ্দিক ছিলেন অত্যান্ত ব্যক্তিত্বশীল ব্যক্তি । জ্ঞ্যান বিদ্যা বুদ্ধি যুক্তি তর্কে ছিলেন পরিপক্ষ ও সবার ছেয়ে অগ্রগামি ।তিনি প্রধানত ব্যবসা করে জিবিকা নির্বাহ করলে ও কাব্য চর্চা করতেন সব সময় ।হযরত ওমর ফারুক নানা মতের ধন্ধকে তলোয়ার দিয়ে যেখানে মিমাংশা করতে চাইলেন, সেখানে হযরত আবু বক্কর ছিদ্দিক এসে যুক্তি ও বুদ্ধি মত্বায় তা নিমিশে মিমাংসা করে দিলেন ।সাথে সাথে উপস্হিত সবাই সব ধন্ধ ভুলে তাঁকেই খালিফার দায়িত্ব গ্রহন করতে অনুরোধ করতে লাগলেন ।অবশেষে অনিচ্ছাকৃত সত্যেও সবার অনুরোধে তিনি খালিাফার দায়িত্ব গ্রহন করে সবার উদ্যেশ্যে যে ভাসন দান করেন তা আজোবদি সরকার প্রধানদের অনুকরনিয় হয়ে আছে । এই জন্যই তাঁকে বলা হয় খালিফাতুন রাসুলুল্লাহ ।
মাত্র দুবছর তিন মাস এই মহান খালিফা দায়িত্ব পালন করে রোগে আক্রান্ত হয়ে কিছুদিন রোগ সর্যায় থেকে তিনি শাহাদাত বরন করেন । শাহাদাতের আগেই সবার সন্মতিক্রমে তিনি তাঁর উত্তরসরি হযরত ওমর (রাঃ)কে খালিফা নিযুক্ত করে গেলেন ।এই মহাবীর খলিফা দায়িত্ব গ্রহন করার পর চারিদিকে উগ্রবাদি মুসলমানরা মাথা চাড়া দিয়ে উঠলেও তিনি কঠোর হস্তে ধমন করতে সক্ষম হন । তিনি সব সময় দোররা ও চড়ি হাতে ঘোড়ার পিটে চলাফেরা করতেন প্রকৃত শাসকের মত ।কথিত আছে তাঁকে দেখলে নাকি সয়তানও পালিয়ে যেত ।ইসলামে তাঁর অবধান অনেক বেশি । তিনি মদ জুয়া জেনা সব কিছু নিশিদ্ধ করে অপরাধিকে আশি দোররা মারার শরিয়া আইন জারি করলেন । প্রকৃত মুসলমানদের জন্ম নিবন্দন করে সবার জন্য পরিচয় পত্রের ব্যবস্হা করলেন । তারাবির নামাজ জামাতে পড়ার প্রচলন করলেন ।একহাজার চত্রিশটা বড় বড় শহর ধখল করে রাজ্যভিত্বিক আধুনিক ইসলামিক রাস্ট কায়েম করলেন ।তিনিই সর্ব প্রথম মুসলমানদেরকে প্রবিত্র কাবা শরিফে জামাতে নামাজ পড়ার ব্যবস্হা করেন ।তিনিই হারাম হালালের পার্থক্য নির্নয় এবং আজানের প্রচলন করেন ।মহা নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) তাঁকে ফারুক উপাধিতে ভূসিত করেন ।তাঁকেই বলা হয় আমেরুল মুমেনিন ।
অতচ এই মহান খালিফাকে ফজরের নামাজ পড়া অবস্হায় উগ্রবাদি মুসলমানদের নির্দেশে আবু লুলু ফিরোজ নামে এক মুসলমান তালেবান নির্মম ভাবে হত্যা করেন ।তিনি শাহাদাত বরন করার পূর্বে সবার সন্মতিক্রমে ইসলামের তৃতিয় খালিফা সত্তর বয়স্ক হযরত উসমান গনি (রাঃ)কে নির্বাচিত করে যান ।
গনি শব্দের অর্থ হলো ধনি ।তিনি ছিলেন তৎকালে আরবের মাঝে একজন শেরা ধনি ।খালিফাত্ব লাভের পর তিনি তাঁর ধনের অর্ধেকই ইসলামের নামে ওয়াকফা করে দিয়ে দেন ।তিনিই ইহুদীদের কাছ থেকে মুসলমানদেরকে সুপেয় পানি খাবার জন্য বীরে রুমা নামে একটা গভির কূপ খরিদ করে দান করে দেন ।অতচ উগ্রবাদি খারেজি মুসলমানরা এই মহান খালিফাকেই ঐ কূপের পানি থেকে বঞ্চিত করে উপাসে কাপাশে কষ্ট দিয়ে শেষ পর্য্ন্ত কোরআন পড়া অবস্হায় রোজা মুখে নিজের গৃহে ডুকে আশি বছরের বৃদ্ধকে আছরের নামাজের একটু পরে নির্মম ভাবে হত্যা করে ।এই মহান খালিফা ছিলেন হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর দুমেয়ে রোকেয়া ও কুলসুমের জামাতা । তাঁকে হত্যার পরে উগ্রবাদি খারেজিদের ডরে ভয়ে রাতের আঁধারে মাত্র সতের জন লোক কোন রকমে তাঁর জায়নামাজে শরিখ হয়ে দাপন কাজ সম্পর্ন করেন ।
হযরত উসমান গনি (রাঃ) এর নির্মম হত্যার পর মুসলমানদের মধ্যে নানা মতবেদ ও ধন্ধ ক্রমেই চরম পর্যায়ের দিকে যেতে লাগল ।হযরত উসমান গনি (রাঃ) উমাইয়া বংশের হওয়াতে দামেস্কো তথা সিরিয়ার গভর্নার হযরত মুআবিয়ার নেতৃত্বে একদল মুসলান উগ্রবাদিরা ক্ষুদ্ধ হয়ে আন্দলন শুরু করল উসমান গনি (রাঃ) এর হত্যার শুস্ট বিচার অথবা প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য ।আবার হযরত আয়েশার নেতৃত্বে আরেক দল হযরত আলি (রাঃ) এর বিপক্ষে অবস্হান নিল ।আবার কোরেশী এবং হাঁসেমী বংশের মধ্যে তো একটা ধন্ধ লেগেই আছে ।তার উপর উগ্রবাদি খারেজি মুসলমান গ্রুপ তো প্রবিত্র কোরআনে মজিদ নিয়ে আগে থেকে ধন্ধে লিপ্ত ছিল ।উগ্রবাদিদের প্রধান দাবি ছিল আল্লাহ পাক নাকি প্রবিত্র কোরআনে সত্তর হাজার আয়াত নাযিল করেছিলেন ।কিন্তু পূর্বের খালিফারা অন্যায় ভাবে কেটে চিঁড়ে ৬৬৬৬টি আয়াত নির্ধারন করে বাঁকি আয়াত গুলি বাদ দিয়েছেন ।সেই কারনেই খারেজি মুসলমানেরা দুজন মহান খালিফাকে নির্মম ভাবে হত্যা করে ।
হযরত উসমান গনি (রাঃ) জিবিত অবস্হায় পরবর্তি খালিফা নির্বাচিত করে যেতে না পারলেও তাঁর হত্যার সুষ্ট তদন্ত করে খুনির উপযুক্ত বিচার করার প্রতিশ্রিুতি দিয়ে মেজরেটি পার্সেন্ট মান্ডাট নিয়ে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এরই আপন চাচাত ভাই ও আপন কনিস্ট মেয়ে ফাতেমার জামাতা আবু তালেবের ছেলে হযরত আলি (রাঃ)খালিফার দায়িত্ব গ্রহন করেন ।তিনি দায়িত্ব ভার গ্রহন করেই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে মুআভিয়াকেই গভর্নারের পদ থেকে বরখাস্ত করে দেন ।যার পরিনামে দু-দুটা যুদ্ধে লক্ষাধিক নিরিহ মুসলমান সহীদ হন ।শুরু্তেই মুসলমান এর হাতে মুসলমান নিদনে ইসলামের কত বড় ক্ষতি হলো তা বলার প্রয়োজন নেই ।তারপরে শুশিল সমাজের মুসলমানেরা গোপনে সলা পরামর্শ করে ঠিক করেন হযরত আলি (রাঃ) এবং মু আভিয়া দুজনকেই যে ভাবেই হউক হত্যা করা হলেই দেশে শান্তি ফিরে আসবে ।পরে তারা পুরাপুরি সফল না হলেও ফজরের নামাজের জন্য মুসল্লিকে আহব্বান রত অবস্হায় পিছন থেকে চাপাতির কোপে এই মহা বীর হযরত আলী (রাঃ)কে নির্মম ভাবে হত্যা করতে সক্ষম হন ।
এই চার জন খালিফা শুধু শ্রেষ্ট খালিফাই ছিলেন না, তাঁরা চার জন তৎকালে আরব জাহানে শ্রেষ্ট মানুষ কেন মহা মানব ছিলেন । চারজনই ছিলেন ভাববাদি ও আল্লাহর অস্তিতে অঘাধ বিশ্বসি ।বিদ্যা বুদ্ধি জ্ঞ্যান গরিমায় আচরন আকলাখে ছিলেন সবার সেরা । চার জনই কাব্য চর্চা করতেন ।তাদের ন্যয়ের বাণিগুলি সর্বকালের মনিষীদের বাণীর চেয়ে অন্যতম ।অতচ এই চার জন খালিফার মধ্যে তিন জনকেই বর্বর মুসলমানেরা নির্মম ভাবে হত্যা করে ।
খারেজিরা হযরত আলী (রাঃ)কে হত্যার পরে উত্তরাধিকারি সুত্রে তাঁরই জৈস্ট পুত্র ঈমান হাসান খালিফার দায়িত্ব লাভ করলেও মুসলমানদের মধ্যে এত হানাহানি বিবাধ দেখে ইসলামের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তিনি মাত্র ছয় মাসের মাথায় শান্তির লক্ষে মুআবিয়ার হাতে খালিফার দায়িত্ব ভার দিয়ে ইসলামকে রক্ষা করেন ।কিন্তু তারপরও খারেজিদের ক্যূ থেমে থাকেনি । তারা সর্বশেষ কারবালার মরুপ্রান্তরে ফোরাতের উপকুলে কুপা নগরির দ্বার প্রান্তে এসে মুআবিয়ার ছেলে এজিদের নেতৃত্বে সীমার নামে এক খারেজি মহা নবী (সাঃ)এর আদরের দৌহিত্র হোসেনের শিরচ্ছেদ করে আনন্দ উল্যাশে মেতে উঠেন,এবং খন্ডিত মাথা নিয়ে এজিদের রাজ দরবারে উপহার দেন ।সে মাথার মাঝার জিয়ারত করার সৌভাগ্য হয়েছে আমার ।সে সময় এজিদের বংশ এর লোকেরা নবীর বংশের আরো সত্তর জন লোককে নির্মম ভাবে হত্যা করে ।
আপছোশ তারা সবাই ছিল কোন না কোন ক্রমে মুসলমান ।মুসলমানরাই মুসলমানকে নির্মম ভাবে কল্লা কেটে জবাই করে হাত পাঁয়ের রগ কেটে সেল বল্লম খঞ্জর মেরে তলোয়ার চাপাতি দিয়ে কোপায়ে সেই চৌদ্দশ বছর আগ থেকে আজঅবধি হত্যা করে যাইতেছে আর যাইতেছে নিরন্তর । অন্য কোন ধর্মের লোকের ক্রুসেড যুদ্ধ ব্যতিত এত বড় সাহস হয়নি একজন মুসলমানকে এমন নির্মম ভাবে মারার ।
আজ আমাকে দুঃখের সাথে বলতে হয়েছে, একাত্তর সালে বাঙ্গালী মুসলমানরা কি অপরাধ করেছিল?কেন আমার মুসলমান বাঙ্গালী আর মুসলমান পাকিস্তানি ভায়েরা কেন এত জুলুম অত্যাচার করে মাত্র নয় মাসের ব্যবধানে তিরিশ লক্ষ মুসলমানকে নির্মম ভাবে হত্যা করল ? কেন দু তিন লক্ষ মা বোনের ইজ্জত লুটা হলো ।কেন মুসলমানেরা অসহায় মুসলমান ভাইয়ের বাড়িতে আগুন দিয়ে লুটপাট করলো?কেন কই তারা তো কোন খারেজি ছিল না । তারা তো ইসলাম বা প্রবিত্র কোরআন নিয়ে কোন কটুক্তি করেনি ?কেন এত ধ্বংশযজ্ঞ?
কারবালার মরুপ্রান্তরে যে লোম হর্ষক ঘঠনা মুসলমানরা ঘঠাল,চৌদ্দশ বছর পরে এসে ঠিক সেই রকম ঘঠনাই পঁচাত্তরের পনরই আগস্ট গঠালো ধান মন্ডির বত্রিশ নাম্বার বাড়িতে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মম ভাবে হত্যার মাধ্যমে ।সে ইতিহাস সবাইরই জানা ।তারপর আবার বন্দি অবস্হায় হত্যা করা হলো খালিফার সমতুল্য আমাদের জাতিয় চার নেতাকে ।তারা সবাই ছিল মুসলমান ।খুনিরা শুধু মুসলমানের আগে ব্যবহার করে খাঁটি ।
-----ফারুক, জার্মানী ।
সে চৌদ্দশ বছর আগে প্রাতাপ শালি আবু জাহেলের যুগে মুখে শাহাদাতের বাণী নিয়ে মহা নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর আগমন ঘঠে বর্তমান সোদি আরবের মক্কা নগরিতে ।মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নির্দেশে জিবরাইল (আঃ) ওহীর মাধ্যমে মহা নবী (সঃ)কে সত্যের ধর্ম ইসলাম প্রচারের জন্য প্রেরনা ও সাহস যোগায় ।মহান আল্লাহর ইচ্ছায় মহা নবী হযরত মুহাম্মদ(সঃ) নানা বাধা বিপত্বি অতিক্রম করে সমগ্র আরব জাহানে ইসলাম প্রচার করে দোজাহানের বাদশাহের মত আরব বিশ্বকে পরিচালিত করেন ।তাই আজ সারা বিশ্বের জ্ঞ্যানি গুনি এখনও এক বাক্যে শিকার করে মানব ইতিহাসে একমাত্র তিনিই এমন এক একক ব্যক্তি যিনি রাজনৈতিক ভাবে ধার্মিক ভাবে সামাজিক ভাবে এবং মানবিক ভাবে সফল ও সার্থক ব্যক্তি ।সুবহান আল্লা ।
মহানবী (সঃ) ইসলাম ধর্মকে পূর্নাঙ্গ রুপে প্রচার ও প্রকাশ করে ইসলামের মূল পাঁচ ভিত্তি কালেমা, রোজা, নামাজ, হজ্ব, জাকাত,এর উপর দাঁড় করিয়ে প্রবিত্র কোরআনে করিম সাহাবীদের হাতে নির্ভূল লিখিত আকারে রেখে এবং শত শত হাফেজদের দ্বারায় মুখাস্ত করায়ে বিশ্বস্ত কয়জন সাহাবীর হত্যার বদলা নিতে সঙ্গী সাথি নিয়ে সিরিয়ার উদ্যেশ্যে রওানা হন, কিন্তু যাত্রার পথে তিনি অসুস্হ হয়ে পড়েন ।সাহাবীরা পথে তাঁবু টানায়ে অনেক সেবা শুস্রসা করলে ও এই মহা মানবকে আর বাঁচাতে পারেননি ।
তাঁর ওফাতের পরে যদিও তাঁর অসমাপ্ত কোন কাজই আর অসমাপ্ত পড়ে থাকেনি, তথাপি তাঁর ইন্তেকালের পর তাঁর জায়নামাজ এবং দাপন কাজ সম্পর্ন না হতেই তাঁরি কিছু সাহাবি এবং নব্য মুসলমানেরা নানা মতবেধে ও মতনৈক্য সৃস্টি করে ধন্দে লিপ্ত হল যে কে মহা নবীর স্তলাভিসক্ত হবেন ।কেউ বলছে ইসলাম ধর্ম প্রচারে আমাদের অবধান বেশি, আমাদের মধ্য থেকেই একজন হবেন ।কেউ বলছে আমাদের গোত্রই সুশিল সমাজ শিক্ষায় দীক্ষায় আমরাই বড় সুতারাং আমাদের গোত্র থেকেই হবেন খালিফা । ঈমামদের মধ্যে কেউ কেউ আবার নবীত্ব দাবী করে বসলেন । আবার ধর্মান্তরিত নব্য মুসলিমরা ধর্ম ত্যগ করে নিজের পুরানা ধর্মে ফিরে যেতে উদ্যত হলেন ।
এমতা অবস্হায় হট্রগোলের মধ্যে কে একজন বলে উঠল, আবু বক্কর ছিদ্দিক কোথায়, তাঁকে ডাকা হউক ।সেই পারবে সঠিক ভাবে সমাধান করতে ।আবু বক্কর ছিদ্দিক তখন বেটি আয়েশার ঘরে মহা নবী (সঃ) এর লাশের পাশে ব্যদনায় বিধির্ন হয়ে কাঁদছেন ।
হযরত আবু বক্কর ছিদ্দিক মহা নবী (সঃ) এর চেয়ে তিন বছরের ছোট হলেও তিনি শৈশব থেকেই ছিলেন মহা নবী (সঃ) এর বিশ্বস্ত বন্ধু এবং পরে এসে বিবি খাদিজার মির্তুর পর আয়েশাকে বিয়ে দিয়ে হন শ্বশুর ।বিশ্বস্ত এবং অগাধ বিশ্বাসের কারনেই তিনি ছিদ্দিক উপাধিকে ভূশিত হন । জিবিত অবস্হায় দুজন এক সাথে বসে যুক্তি পরামর্শ করে দীনি কাজ কর্ম সমাধা করতেন এবং আগামী দিনের ইসলামের দিক নির্দেশনা ঠিক করতেন ।
ঠিক বাংলাদেশে যেমনি একাত্তরের পূর্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমান আর তাজ উদ্দিন একে অপরের ঘৃহে গিয়ে বসে বসে সলা পরামর্শ করে স্বাধিনতা সংগ্রামের নীল নকসা আঁকতেন,আর দিক নির্দেশনা ঠিক করতেন ।বিদ্যাবুদ্ধি জ্ঞ্যান গরিমায় তাজ উদ্দিন ছিলেন হযরত আবু ব্ক্কর ছিদ্দিক (রাঃ) এর মতনই । তিনি আমাদের স্বাধিনতা যুদ্ধের সফল নেতৃত্ব দিয়ে মাত্র নয়মাসের মধ্যে বিজয়ের রক্তিম সূর্য্টা ছিনিয়ে এনেছেন ।যদি বঙ্গবন্ধুর সাভাবিক ভাবে মির্ত্যু হতো,আর তাজ উদ্দিন বেঁচে থাকতেন, তাহলে নিশ্চিত তিনিই বঙ্গবন্ধুর স্হলাভিশিক্ত হতেন ।
হযরত আবু বক্কর ছিদ্দিক ছিলেন অত্যান্ত ব্যক্তিত্বশীল ব্যক্তি । জ্ঞ্যান বিদ্যা বুদ্ধি যুক্তি তর্কে ছিলেন পরিপক্ষ ও সবার ছেয়ে অগ্রগামি ।তিনি প্রধানত ব্যবসা করে জিবিকা নির্বাহ করলে ও কাব্য চর্চা করতেন সব সময় ।হযরত ওমর ফারুক নানা মতের ধন্ধকে তলোয়ার দিয়ে যেখানে মিমাংশা করতে চাইলেন, সেখানে হযরত আবু বক্কর ছিদ্দিক এসে যুক্তি ও বুদ্ধি মত্বায় তা নিমিশে মিমাংসা করে দিলেন ।সাথে সাথে উপস্হিত সবাই সব ধন্ধ ভুলে তাঁকেই খালিফার দায়িত্ব গ্রহন করতে অনুরোধ করতে লাগলেন ।অবশেষে অনিচ্ছাকৃত সত্যেও সবার অনুরোধে তিনি খালিাফার দায়িত্ব গ্রহন করে সবার উদ্যেশ্যে যে ভাসন দান করেন তা আজোবদি সরকার প্রধানদের অনুকরনিয় হয়ে আছে । এই জন্যই তাঁকে বলা হয় খালিফাতুন রাসুলুল্লাহ ।
মাত্র দুবছর তিন মাস এই মহান খালিফা দায়িত্ব পালন করে রোগে আক্রান্ত হয়ে কিছুদিন রোগ সর্যায় থেকে তিনি শাহাদাত বরন করেন । শাহাদাতের আগেই সবার সন্মতিক্রমে তিনি তাঁর উত্তরসরি হযরত ওমর (রাঃ)কে খালিফা নিযুক্ত করে গেলেন ।এই মহাবীর খলিফা দায়িত্ব গ্রহন করার পর চারিদিকে উগ্রবাদি মুসলমানরা মাথা চাড়া দিয়ে উঠলেও তিনি কঠোর হস্তে ধমন করতে সক্ষম হন । তিনি সব সময় দোররা ও চড়ি হাতে ঘোড়ার পিটে চলাফেরা করতেন প্রকৃত শাসকের মত ।কথিত আছে তাঁকে দেখলে নাকি সয়তানও পালিয়ে যেত ।ইসলামে তাঁর অবধান অনেক বেশি । তিনি মদ জুয়া জেনা সব কিছু নিশিদ্ধ করে অপরাধিকে আশি দোররা মারার শরিয়া আইন জারি করলেন । প্রকৃত মুসলমানদের জন্ম নিবন্দন করে সবার জন্য পরিচয় পত্রের ব্যবস্হা করলেন । তারাবির নামাজ জামাতে পড়ার প্রচলন করলেন ।একহাজার চত্রিশটা বড় বড় শহর ধখল করে রাজ্যভিত্বিক আধুনিক ইসলামিক রাস্ট কায়েম করলেন ।তিনিই সর্ব প্রথম মুসলমানদেরকে প্রবিত্র কাবা শরিফে জামাতে নামাজ পড়ার ব্যবস্হা করেন ।তিনিই হারাম হালালের পার্থক্য নির্নয় এবং আজানের প্রচলন করেন ।মহা নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) তাঁকে ফারুক উপাধিতে ভূসিত করেন ।তাঁকেই বলা হয় আমেরুল মুমেনিন ।
অতচ এই মহান খালিফাকে ফজরের নামাজ পড়া অবস্হায় উগ্রবাদি মুসলমানদের নির্দেশে আবু লুলু ফিরোজ নামে এক মুসলমান তালেবান নির্মম ভাবে হত্যা করেন ।তিনি শাহাদাত বরন করার পূর্বে সবার সন্মতিক্রমে ইসলামের তৃতিয় খালিফা সত্তর বয়স্ক হযরত উসমান গনি (রাঃ)কে নির্বাচিত করে যান ।
গনি শব্দের অর্থ হলো ধনি ।তিনি ছিলেন তৎকালে আরবের মাঝে একজন শেরা ধনি ।খালিফাত্ব লাভের পর তিনি তাঁর ধনের অর্ধেকই ইসলামের নামে ওয়াকফা করে দিয়ে দেন ।তিনিই ইহুদীদের কাছ থেকে মুসলমানদেরকে সুপেয় পানি খাবার জন্য বীরে রুমা নামে একটা গভির কূপ খরিদ করে দান করে দেন ।অতচ উগ্রবাদি খারেজি মুসলমানরা এই মহান খালিফাকেই ঐ কূপের পানি থেকে বঞ্চিত করে উপাসে কাপাশে কষ্ট দিয়ে শেষ পর্য্ন্ত কোরআন পড়া অবস্হায় রোজা মুখে নিজের গৃহে ডুকে আশি বছরের বৃদ্ধকে আছরের নামাজের একটু পরে নির্মম ভাবে হত্যা করে ।এই মহান খালিফা ছিলেন হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর দুমেয়ে রোকেয়া ও কুলসুমের জামাতা । তাঁকে হত্যার পরে উগ্রবাদি খারেজিদের ডরে ভয়ে রাতের আঁধারে মাত্র সতের জন লোক কোন রকমে তাঁর জায়নামাজে শরিখ হয়ে দাপন কাজ সম্পর্ন করেন ।
হযরত উসমান গনি (রাঃ) এর নির্মম হত্যার পর মুসলমানদের মধ্যে নানা মতবেদ ও ধন্ধ ক্রমেই চরম পর্যায়ের দিকে যেতে লাগল ।হযরত উসমান গনি (রাঃ) উমাইয়া বংশের হওয়াতে দামেস্কো তথা সিরিয়ার গভর্নার হযরত মুআবিয়ার নেতৃত্বে একদল মুসলান উগ্রবাদিরা ক্ষুদ্ধ হয়ে আন্দলন শুরু করল উসমান গনি (রাঃ) এর হত্যার শুস্ট বিচার অথবা প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য ।আবার হযরত আয়েশার নেতৃত্বে আরেক দল হযরত আলি (রাঃ) এর বিপক্ষে অবস্হান নিল ।আবার কোরেশী এবং হাঁসেমী বংশের মধ্যে তো একটা ধন্ধ লেগেই আছে ।তার উপর উগ্রবাদি খারেজি মুসলমান গ্রুপ তো প্রবিত্র কোরআনে মজিদ নিয়ে আগে থেকে ধন্ধে লিপ্ত ছিল ।উগ্রবাদিদের প্রধান দাবি ছিল আল্লাহ পাক নাকি প্রবিত্র কোরআনে সত্তর হাজার আয়াত নাযিল করেছিলেন ।কিন্তু পূর্বের খালিফারা অন্যায় ভাবে কেটে চিঁড়ে ৬৬৬৬টি আয়াত নির্ধারন করে বাঁকি আয়াত গুলি বাদ দিয়েছেন ।সেই কারনেই খারেজি মুসলমানেরা দুজন মহান খালিফাকে নির্মম ভাবে হত্যা করে ।
হযরত উসমান গনি (রাঃ) জিবিত অবস্হায় পরবর্তি খালিফা নির্বাচিত করে যেতে না পারলেও তাঁর হত্যার সুষ্ট তদন্ত করে খুনির উপযুক্ত বিচার করার প্রতিশ্রিুতি দিয়ে মেজরেটি পার্সেন্ট মান্ডাট নিয়ে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এরই আপন চাচাত ভাই ও আপন কনিস্ট মেয়ে ফাতেমার জামাতা আবু তালেবের ছেলে হযরত আলি (রাঃ)খালিফার দায়িত্ব গ্রহন করেন ।তিনি দায়িত্ব ভার গ্রহন করেই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে মুআভিয়াকেই গভর্নারের পদ থেকে বরখাস্ত করে দেন ।যার পরিনামে দু-দুটা যুদ্ধে লক্ষাধিক নিরিহ মুসলমান সহীদ হন ।শুরু্তেই মুসলমান এর হাতে মুসলমান নিদনে ইসলামের কত বড় ক্ষতি হলো তা বলার প্রয়োজন নেই ।তারপরে শুশিল সমাজের মুসলমানেরা গোপনে সলা পরামর্শ করে ঠিক করেন হযরত আলি (রাঃ) এবং মু আভিয়া দুজনকেই যে ভাবেই হউক হত্যা করা হলেই দেশে শান্তি ফিরে আসবে ।পরে তারা পুরাপুরি সফল না হলেও ফজরের নামাজের জন্য মুসল্লিকে আহব্বান রত অবস্হায় পিছন থেকে চাপাতির কোপে এই মহা বীর হযরত আলী (রাঃ)কে নির্মম ভাবে হত্যা করতে সক্ষম হন ।
এই চার জন খালিফা শুধু শ্রেষ্ট খালিফাই ছিলেন না, তাঁরা চার জন তৎকালে আরব জাহানে শ্রেষ্ট মানুষ কেন মহা মানব ছিলেন । চারজনই ছিলেন ভাববাদি ও আল্লাহর অস্তিতে অঘাধ বিশ্বসি ।বিদ্যা বুদ্ধি জ্ঞ্যান গরিমায় আচরন আকলাখে ছিলেন সবার সেরা । চার জনই কাব্য চর্চা করতেন ।তাদের ন্যয়ের বাণিগুলি সর্বকালের মনিষীদের বাণীর চেয়ে অন্যতম ।অতচ এই চার জন খালিফার মধ্যে তিন জনকেই বর্বর মুসলমানেরা নির্মম ভাবে হত্যা করে ।
খারেজিরা হযরত আলী (রাঃ)কে হত্যার পরে উত্তরাধিকারি সুত্রে তাঁরই জৈস্ট পুত্র ঈমান হাসান খালিফার দায়িত্ব লাভ করলেও মুসলমানদের মধ্যে এত হানাহানি বিবাধ দেখে ইসলামের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তিনি মাত্র ছয় মাসের মাথায় শান্তির লক্ষে মুআবিয়ার হাতে খালিফার দায়িত্ব ভার দিয়ে ইসলামকে রক্ষা করেন ।কিন্তু তারপরও খারেজিদের ক্যূ থেমে থাকেনি । তারা সর্বশেষ কারবালার মরুপ্রান্তরে ফোরাতের উপকুলে কুপা নগরির দ্বার প্রান্তে এসে মুআবিয়ার ছেলে এজিদের নেতৃত্বে সীমার নামে এক খারেজি মহা নবী (সাঃ)এর আদরের দৌহিত্র হোসেনের শিরচ্ছেদ করে আনন্দ উল্যাশে মেতে উঠেন,এবং খন্ডিত মাথা নিয়ে এজিদের রাজ দরবারে উপহার দেন ।সে মাথার মাঝার জিয়ারত করার সৌভাগ্য হয়েছে আমার ।সে সময় এজিদের বংশ এর লোকেরা নবীর বংশের আরো সত্তর জন লোককে নির্মম ভাবে হত্যা করে ।
আপছোশ তারা সবাই ছিল কোন না কোন ক্রমে মুসলমান ।মুসলমানরাই মুসলমানকে নির্মম ভাবে কল্লা কেটে জবাই করে হাত পাঁয়ের রগ কেটে সেল বল্লম খঞ্জর মেরে তলোয়ার চাপাতি দিয়ে কোপায়ে সেই চৌদ্দশ বছর আগ থেকে আজঅবধি হত্যা করে যাইতেছে আর যাইতেছে নিরন্তর । অন্য কোন ধর্মের লোকের ক্রুসেড যুদ্ধ ব্যতিত এত বড় সাহস হয়নি একজন মুসলমানকে এমন নির্মম ভাবে মারার ।
আজ আমাকে দুঃখের সাথে বলতে হয়েছে, একাত্তর সালে বাঙ্গালী মুসলমানরা কি অপরাধ করেছিল?কেন আমার মুসলমান বাঙ্গালী আর মুসলমান পাকিস্তানি ভায়েরা কেন এত জুলুম অত্যাচার করে মাত্র নয় মাসের ব্যবধানে তিরিশ লক্ষ মুসলমানকে নির্মম ভাবে হত্যা করল ? কেন দু তিন লক্ষ মা বোনের ইজ্জত লুটা হলো ।কেন মুসলমানেরা অসহায় মুসলমান ভাইয়ের বাড়িতে আগুন দিয়ে লুটপাট করলো?কেন কই তারা তো কোন খারেজি ছিল না । তারা তো ইসলাম বা প্রবিত্র কোরআন নিয়ে কোন কটুক্তি করেনি ?কেন এত ধ্বংশযজ্ঞ?
কারবালার মরুপ্রান্তরে যে লোম হর্ষক ঘঠনা মুসলমানরা ঘঠাল,চৌদ্দশ বছর পরে এসে ঠিক সেই রকম ঘঠনাই পঁচাত্তরের পনরই আগস্ট গঠালো ধান মন্ডির বত্রিশ নাম্বার বাড়িতে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মম ভাবে হত্যার মাধ্যমে ।সে ইতিহাস সবাইরই জানা ।তারপর আবার বন্দি অবস্হায় হত্যা করা হলো খালিফার সমতুল্য আমাদের জাতিয় চার নেতাকে ।তারা সবাই ছিল মুসলমান ।খুনিরা শুধু মুসলমানের আগে ব্যবহার করে খাঁটি ।
-----ফারুক, জার্মানী ।
No comments:
Post a Comment