হ্যাঁ ভাই ঠিকই ধরেছেন, আমি বলছি আমাদের প্রিয় প্রধান মন্ত্রি জন নেত্রি শেখ হাছিনার কথা ।চোখের পলকে তিনি প্রিয় মা-বাবা আদরের তিন ভাই একে একে পরিবারের সবাইকে হারিয়ে নিঃস্ব এতিমের মত দীর্ঘ দিনের প্রবাসের নির্বাসিত কঠিন জীবন পার করে দৃঢ় মনোবল ও হিম্মত নিয়ে ফিরে এসেছিলেন স্বদেশের মাটিতে ।তখনো বত্রিশ নম্বর বাড়ির শিঁড়ি থেকে জাতির জনকের রক্তের ছোপ মুছে যায়নি ।তখনো বাংলার আকাশে উড়ছিল বন্য শকুনের দল ।তখনো বাংলার কাঁচা পথে পথে গুরছিল একাত্তরের পরাজিত জঙ্গলি হায়েনার দল । তখনো আমাদের প্রবিত্র স্বাধিনতা দখলদার বাহিনীর হাতে ।ঠিক তখনই তিনি সব ভয় ডরকে উপেক্ষা করে মির্ত্যুকে আলিঙ্গন করে সত্য প্রতিষ্টার সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন ।কারণ তাঁর মুখে ছিল ইতিবাচক নিতীকথা সত্যের বাণী, কারণ তাঁর বাবা সব সময় বলতেন,যে মরতে জানে তার কোন দিন মরন হয়না। পকৃত মানুষ মরে শুধু একবারই ।
উন্নিশ একাশি সালের কোন একদিন হবে, আজকের মাননীয় প্রধান মন্ত্রি শেখ হাছিনাকে আমি দেখেছিলাম খুব কাছে থেকে।তিনি এসেছিলেন সেদিন মাইজদী সহীদ ভূলু স্টোডিয়ামে বিরাট জনসভায় ভাসন দিতে।বিরাট বলতে কি, মানুষ হবে তিন চার কিংবা পাঁচ হাজার।অতচ বাহাত্তর সনে এই স্টোডিয়ামে এসেছিলেন জাতির জনক বঙ্গ বন্ধু শেখ মজিবর রহমান। সেদিন জাতির জনককে এক নজর দেখার জন্য লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড়ে চার পাঁচজন পদদলিত হয়েই মারা গিয়েছিল।
সেদিন সহীদ ভূলু স্টোডিয়ামে আজকের মত পাকা গেলারি ছিলনা, খেলা ঘর ছিল না।পাকা কোন দালান ছিল না।শেখ হাসিনা এসেছিলেন আকাশি রঙের একটা শাড়ি পরে। চিম চাম শরির গোল গাল চেহারা, দেখতে অবিকল আমার বড় বোন এর মত। যে বোনটার কোলে পিটে চড়ে আমি বড় হয়েছি,যে বোনটাকে আমি মা এর মত শ্রদ্ধা করি। আমি মনে মনে শেখ হাছিনার প্রতি শ্রদ্ধায় মাথা নত করি।
সেদিন শেখ হাসিনা যখন বক্তৃতা দিতে মাইক্রফোনের সামনে দাঁড়ালেন, তখন শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠল সমগ্র জনসভা।তিনি শোকার্ত কন্ঠে বললেন আমি এসেছি শুধু আপনাদের কাছে আমার মা বাবা ভাই বোন এর হত্যার বিচার চাইতে। কি অপরাধ করেছিল আমার ভাই শিশু রাসেল?কেন তাকে হত্যা করা হয়েছিল ?কি অপরাধ করেছিল আমার মা ?কি অপরাধ করেছিল আমার দু ভাবি যাদের হাতের মেন্দি তখনো শুকায়নি। কি অপরাধ করেছিল তাদের অনাগত শিশু? কেন তাদেরকে হত্যা করা হয়েছিল ?জানি এই সব প্রশ্নের সঠিক কোন উত্তর জাতির দুচারটি কুলঙ্গার সন্তানের কারনে আমরা কোনদিন দিতে পারিনি আর পারবনাও।
বিচার প্রাকৃতিক ভাবেই হয়েছে । এক দখলদার বাহিনী খতম হওয়ার পর আর এক উর্দিপরা দখলদার বাহিনী পুনরায় বন্দুক ঠেকিয়ে স্বাধিন বাংলার ক্ষমতা দখল করে, চলে বলে কলে কৌশলে দীর্ঘ নয় বছর অগ্রগামি এই জাতিকে ধাবিয়ে রাখে ।কত বড় বেহায়া আর নিলর্জ হলে তা সম্ভব,স্বৈরচারি এরশাদকেই আমরা তার জলন্ত প্রমান দেখেছি ।
জাতির জনকের কন্যা স্বৈরচারির রক্ত চক্ষু আর বন্দুকের নল বুলেট বুলডুজারকে ভয় না করে রাজপথে সংগ্রাম করে করে নব্বইর ছয়ই ডিসেম্বর স্বৈরচারের পতন ঘঠাতে সক্ষম হন ।কিন্তু রহস্য জনক ভাবে আবার পূর্বের প্রয়াত দখলদার বাহিনীর লাঠিয়ালরাই ক্ষমতা দখল করে ।তারা শুধু ক্ষমতা দখল করেই ক্ষ্যান্ত হয়নি, তারা ক্ষমতার মোহে অন্ধ হয়ে একটা অশূভ শক্তিকে নিয়ে শুরু করে দেয় রাজনিতীর নামে চিনিমিনি খেলা । তারা আমাদের প্রবিত্র ধর্মের অপব্যখ্যা করে প্রকাশ্যে অপ্রকাশ্যে ধর্ম প্রান মুসলমানকে নাস্তিক বলতে থাকে ।এমনকি আমাদের স্বাধিনতা যুদ্ধের নেতৃত্ব দানকারি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে তারা নাস্তিকের দল হিসেবে প্রকাশ করতে থাকে।তাদের মন্ত্রি মিনিস্টার পর্যন্ত সংসদে দাঁড়িয়ে মা ফাতেমা সমতূল্য শেখ হাসিনাকে কটুক্তি করে। তারা একের পর এক অশূভ শক্তি তথা জঙ্গিবাজ সৃষ্টি করে অগনিত সাধারণ নিরিহ মানুষকে নির্মম ভাবে হত্যা করে অবশেষে শেখ হাসিনাকেই প্রানে মারার জন্য একুশে আগষ্ট বায়তুল মোকারমের সামনে বিশাল জনসভায় গ্রেনেট হামলা ঘঠায়।
কিন্তু মহান আল্লাহর অলোকিক ইশারায় চব্বিশ জন নেতানেত্রি প্রান হারালেও আহত হয়েও ভাগ্যক্রমে শেখ হাসিনা বেঁচে যান।
হাজার হাজার শুকরিয়া মহান আল্লাহর দরবারে।আমাদের সোভাগ্য যে তিনি এখনও বেঁচে আছেন। তিনিই বাংলাদেশের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর পরে রাজনৈতিক ভাবে এবং রাস্টপ্রধান হিসেবে সফল মানুষ ।তিনি দেশ বিদেশে শুনাম কুড়ায়ে অনেক অনারারি ডক্টরেট ডিগ্রি প্রাপ্ত হয়ে জাতিসঙ্গে বিশ্ব শান্তির ইশতেহার পেশ করে বিশ্বের দরবারে নতুন বাঙ্গালী আর বাংলাদেশের উন্মেশ ঘঠান।
তিনিই পার্বত্য এলাকায় শান্তি চুক্তি করে বিশ্বের দরবারে এক অনন্য দৃস্টান্ত স্হাপন করেন।সিমান্ত চুক্তি নদির পানির সমবন্টন চুক্তি এবং প্রতিবেশি মায়ানমারের সাথে সান্তিপুর্ন ভাবে সমূদ্র সিমানা মিমাংসা করে নতুন ইতিহাস সৃস্ঠি করেন।তিনিই বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন। তিনিই সোনার বাংলাদেশের পাশাপাশি ডিজিটেল বাংলাদেশ গড়ার দিপ্ত সফত গ্রহন করেন।তিনি আজ দেশে উন্নতির ছোঁয়া লাগায়ে আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার জন্য আপ্রান চেস্টা করে যাচ্ছেন।
নিলর্জ শুশিল আর রক্ষনশীল সমাজিরা তো নিন্দুকরা চর্ম ঠোঁট নাড়বেই।তিনিই প্রথম ক্ষমতায় এসেই কবি সাহিত্যিক তথা বুদ্ধিজিবীকে গনভবনে দাওয়াত করে সন্মান করার প্রথা চালু করেন।দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি প্রধান মন্ত্রি হয়ে তরুনদেরকে নেতৃত্বে আনেন, কিন্তূ দুঃখ্যের বিষয় তরুনরা প্রায় সবাই বেয়াদপ এমন কি কেউ কেউ খুনি হিসেবে আবির্ভাব হয়েছে। তিনি নিজেও লেখা পড়া ও এবাদত বন্দেগী করে সময় কাঠান । আমি তার লেখা দুতিনটা বই পড়ে বুঝেছি তিনি যে কত বড় প্রজ্ঞাবান। আমি তার শুস্বাস্হ ও দীর্ঘ জীবন কামনা করছি।আল্লাহ যেন তাকে আরো অনেক দিন বাঁচিয়ে রাখেন। আমিন! জয় বাংলা, জয় বঙ্গ বন্ধু।
----ফারুক জার্মানী ।
No comments:
Post a Comment