বারিষ্টার রুমিন ফারহানা ।বারিষ্টার শাকিলা ফারজানা।আর স্যামা ওবায়েদ।
টকশোতে ঝড় তোলা এই তিন কন্যা রাজনীতির নামে বিএনপির ব্যানারে পাকিস্তানি গোয়েন্ধা সংস্হা আইএসআই এর প্রতিনিধী হয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এক ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্রের মিশনে সামিল হলো।
আসুন জেনে নেই এই তিন বিষ কন্যাকে।
বাঃ শাকিলা গ্রেপ্তার |
১,বারিষ্টার শাকিলা ফারজানা---!কে এই শাকিলা ফারজানা--?
তিনি হলেন বিশিষ্ট ও বিতর্কিত চিটাগাং এর রাজনীতিবীদ সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমের কন্যা। সৈয়দ ওয়াহিদ আলম ছিলেন ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত সালউদ্দিনের পিতা ফকা চৌধুরির সহচর।বাংলাদেশের স্বাধিনতা যুদ্ধের সময় বিতর্কিত ভূমিকার জন্য যুদ্ধাপরাধি ট্রাইবুনালে তিনি একজন অভিযুক্ত আসামি।
সে বিতর্কিত বাপের কন্যা বারিষ্টার শাকিলা ফারজানা উচ্চতর পড়াশুনা করেও তিনি আজ র্যাবের হাতে বন্দি।শুধু বন্দি নয় তিনি আজ কারা অন্তরিন।তার বিচার চলছে।তিনি আইন কানুন ও আদালতের আড়ালে ভয়ঙ্কর জঙ্গি সংঘটন শহীদ আল হামজা বিগ্রেডের সাথে জড়িত।।তিনি দুই কিস্তিতে ৫২ লাখ টাকা এই হামজা বিগ্রেডকে দিয়েয়েছেন।তাতেই র্যাবের তদন্তে প্রমাণিত হলো যে তিনি জঙ্গি সংঘটন হামজা বিগ্রেডের সাথে জড়িত।সে কারণেই তিনি এরেষ্ট হয়েছেন।বাঃ শাকিলা চিটাগাং বেএনপির জেলা আহব্বায়িক কমিটির সদস্য,এবং আইনজীবি ফোরামের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক।
কে এই হামজা বিগ্রেড?জামায়াত, হেফাজত, আনসার আল ইসলাম জেএমবিসহ সব জঙ্গি সংঘটন মিলে শহীদ আল হামজা বিগ্রেড নামে একটি ভয়ঙ্কর জঙ্গি সংঘটন গঠন করেছে।আওয়ামী সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত ও বাংলাদেশকে ধংশ করে বাংলাস্হান বানানোই তাদের মুল উদ্দেশ্য।
পাকিস্তানি বয়প্রেন্ডের সাথে রুমিন ফারহানা |
২,- বারিষ্টার রুমিন ফারহানা-।সেদিন একটা টকশোতে মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রিয় সম্পাদিকা অধ্যাপিকাঅপু উকিল বারিষ্টার রুমিন ফারহানাকে বেয়াদপ বলল। লা-জবাব অপু উকিল। জাতীয় একটা টেলিভিনে বারিষ্টার রুমিন ফারহানার এই বেয়াদপ গালিটা কি রুমিনের প্রাপ্য ছিল?কে এই রুমিন ফারহানা--?টকশোতে বাগ-যুদ্ধের নামে এসে তার বাঘ যুদ্ধে মেতে উঠার কারণ কি--?
রুমিন ফারহানা আরেক বিশিষ্ট ও বিতর্কিত রাজনীতিতিবীদ জনাব মরহুম অলি আহাদের একমাত্র কন্যা।ভাষা আন্দলনের সময় অলি আহাদের কিছুটা ভূমিকা থাকলেও তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর খুনি মোস্তাক ও গোলাম আযম ও নুরুল আমিনের সহচর।জিন্নার সহচর নুরুল আমিন মুসলিম লীগের নেতা ছিলেন। জিন্নার মৃর্ত্যুর পর পাকিস্তানের প্রধান মন্ত্রি হয়েছিলেন।এই রাজাকারের কবরও হয়েছে পাকিস্তানের করাচি সদর এলাকাতে।
স্বাধিনতা যুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্হান কারি এই অলি আহাদ বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের সাথেও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন।যদিও বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৭৪ সালে তিনি জেলখানায় বন্দি ছিলেন।জেলখানায় বসেই তিনি মোস্তাকের সাথে যোগাযোগ রাখতেন।১৫ই আগষ্টের পরেই তিনি মুক্ত হয়ে খুনি মোস্তাকের দলে যোগ দেন।মোস্তাকের গড়া রাজনৈতিক দল ডেমক্রেটিক লীগের আমরন চ্যায়ারম্যান ছিলেন এই অলি আহাদ।শিক্ষায় দীক্ষায় সর্বচ্চ ডিগ্রি নিয়েও ভূল ও হঠকারি সিদ্ধান্তের কারণে তিনি ইউনিয়ন কাউঞ্চিলের মেম্বারও হতে পারেন নাই। ২০০৪ সালে খালেদা জিয়া তাকে স্বাধিনতা পুরষ্কার প্রদান করেন।সারা জীবনে এটাই তার প্রাপ্য।
অলি আহাদের মেয়ে বারিষ্টার রুমিন ফারহানার হঠাৎ করেই উত্থান হয় বিএনপির রাজনীতিতে। আসার সাথে সাথে তিনি বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পাদকের পদ পেয়ে যান।এক গোপন সুত্রমতে জানা যায় পাকিস্তানের গোয়েন্ধা সংস্হা আইএস আই নাকি টকশো কতৃপক্ষকে বড় অঙ্কের বিনিময়ে এই তিন কন্যাকে সুজোগ করে দিয়েছে।আইএসআই এর গুরুত্বপুর্ন ব্যক্তি বিগ্রেডিয়ার শেহজাদ নাকি এই মিশনের নেতৃত্ব দিচ্ছে।এই বিগ্রেডিয়ার শেহজাদের ছেলে হলো আবার রুমিন ফারহানার বয়ফ্রেন্ড সাইফ খান।
ডান থেকে শাকিলা,রুমিন ফাঃ ওস্যামা ওবায়েদ |
স্যামা ওবায়েদের মা শাহেদা ওবায়েদ সুপরিচিত বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপিকা ।তিনি মাঝেমধ্যে পত্রিকায় গুরুত্বপুর্ন কলামও লেখেন।রাজনৈতিক ভাবে তিনি আওয়ামী লীগকেই পছন্দ করেন বলে ধারনা করা হয়। একমাত্র মেয়ে স্যামার সাথে মোটেই তার বনিবনা নেই।মেয়েটা নিজের মাকে মা বলে শিকারও করেনা। সে ব্যপারে তিনি দুঃখ প্রকাশ করে পত্রিকায় বিস্তারিত লিখেছেন।
স্যামা ওবায়েদ টকশোতে বলে বেড়ান তিনি নাকি কম্পিউটার বিজ্ঞানী। শুনা যায় তিনিও নাকি এক কুটনীতিকের সাথে দীর্ঘদিন লীভটোগেদার করার পর আওয়ামীলীগের এক নেতার ছেলেকে বিয়ে করে সংসারি হয়েছেন।তার স্বশুর পরিবারের সবাই আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত হলেও তিনি নাটকিয় ভাবে হঠাৎ বিএনপিতে যোগ দিয়ে গুরুত্বপুর্ন পদ পেয়ে যান।আইএসআই নাকি তাকে এই পদ লয়ে দেন একটা মিশন বাস্তবায়িত করার উদ্দেশ্যে।আর সেইটা হলো আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করে বাংলাকে বাংলাস্হান বানানো।
No comments:
Post a Comment