আচ্ছালা মালাইকুম ওবারা কাতুহু শুনো হে দুনিয়ার মানব সন্তানেরা!
প্রকৃত ইসলাম বলে কি? আর ইসলামের লেঁজ কাটা কুকুরেরা বলে কি? আমার প্রিয় শান্তির ধর্ম এই ইসলাম সম্পর্কে লেঁজ কাটা নিলর্জ কুকুরদের মুখে আর কোন ফতুয়া বা অপব্যখ্যা শুনতে চাই না।জীবন ভরে এই সব নেড়ি কুত্তাদের মুখে অনেক গেউ গেউ শুনেছি।অনেক দেখেছি তাদের ভন্ডামি,আজ তাদের পরিচালিত কোন মাদ্রাসা মসজিদে যেতে আমার ইচ্ছেই করে না। তাদের পিছনে বসে আমার দুরাকাত নামাজ পড়তে ইচ্ছে করে না।আমি শৈশব থেকেই ইসলামের প্রতি দুর্বল ছিলাম, আমি শৈশবেই আমার মা এর কাছে প্রকৃত ইসলামের শিক্ষা ও দীক্ষা গ্রহন করেছি। আর এই দীর্ঘ প্রবাসে বসেও ইসলামি বইপুস্তক হাদিছ কিতাব পড়ে ইসলাম সম্পর্কে যতেষ্ট জেনেছি।ইসলামের আসল সত্য আজ আমার কাছে ধরা দিয়েছে।আর সেই কারনেই এই সব লেঁজ কাটা কুকুরদের বিরুদ্ধে কিছু লিখে এবং প্স্বরয়োজন বোধে স্বশস্ত্র যুদ্ধ করে জিয়াদের জন্য আমি দৃঢ় প্রতিজ্ঞা বদ্ধ হয়েছি।
ইসলাম বলে কি? আর লেঁজ কাটা কুকুরেরা বলে কি?
আরবি আল্ ইসলাম শব্দ দিয়ে শান্তির ধর্ম ইসলামের নাম করন করা হয়েছে। ইসলাম শব্দের প্রকৃত অর্থ হলো আত্মসমর্পন। আর ধর্মিয় ভাবে ব্যখ্যা করে বললে এর অর্থ হয়, অদেখা এবং নিরাকার সর্বশক্তিমান আল্লাহ এবং তার প্রেরিত ঐশি গ্রন্হ আল কোরআন ও তাঁর প্রিয় হাবিব আমাদের পেয়ারে মুহাম্মদ (সাঃ)ও তাঁর প্রচারিত সত্য ধর্ম ইসলামের আকিদা সমূহকে মনে প্রানে বিশ্বাস করে নিজেকে সমর্পন এবং বিশ্বাস করার নামই হলো ইসলাম, আর বিশ্বাস কারীকেই প্রকৃত মুসলমান বলা হয়।
ওহে দুনিয়ার মানব সন্তান শুনো!
তোমরা মন দিয়ে আমার কথা শুনো! শুধু লম্বা কোর্তা লম্বা দাঁড়ি আর কারুকাজ করা গোল টুপি পড়লে প্রকৃত মুসলমান হওয়া যায় না, যাবেও না কোন দিন। ইসলামি মাদরাসায় বড় বড় হাদিছ কিতাব পড়ে বড় বড় টাইটেল লয়ে আলেম ওলেমা আল্লামা সেজে ভূল ভ্রান্তি ভরা ওয়াজ নছিহত করে বা ইসলামের অপব্যখ্যা করে ফতুয়া দিয়ে ঝোলা ভরলে হবেনা, প্রকৃত ইসলামের পথ থেকে তোমরা সরে গিয়ে কাপের হয়ে সেরেকি গুনাহ করছ কিনা সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
মহা নবী জিবীতাবস্হায় ভবিষ্যত বাণি করে গেছেন যে আমার মির্ত্যুর পর ইসলামে ৭৩টা দলে ভিবক্ত হবে, কিন্তু আমার খাঁটি ইসলামি দল হবে একটাই, আর তারাই জান্নাতবাসি হবে। আর বাঁকি ৭২টাদলই হবে জাহন্নামী। নবিজীর আগাম বাণি অক্ষরে অক্ষরে সত্য প্রমানিত হয়েছে।আজ বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর ভিবিন্ন দেশে সত্যিই ৭৩টি ইসলামি দল গঠিত হয়েছে। খাঁটি মহা নবীর কোন দল সেটা চেনাই মুসকিল হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশে আজ কেউ জামাতি কেউ হেপাজতি, কেউ আহলে হাদিছ, কেউ আবার আহলে সুন্নুা,কেউ মাইজভান্ডারি, কেউ আটরশির পীর কেউ আবার শাহাবগি কুতুববাগি মতাদর্শ জাহের করিতেছে, এরা সবাই ইসলামের দৃষ্টিতে এক একটি লেঁজ কাটা কুকুর। তারা ইসলামের অপব্যখ্যা দিয়ে প্রকৃত মুসলমানকে শেরেকি গুনাহর মধ্যে নিজ্জিত করাচ্ছে।
মুলত মহা নবীর ইন্তেকালের পরই তাঁর স্তলাভিসক্ত বা উত্তরাধিরী নিয়েই মুসলমানের মধ্যে দন্ধের সৃষ্টি হয়। সেই সময়ই মহান এই ইসলাম ধর্মের অনুসারিরা দ্বিধাভিবক্ত হয়ে পড়ে। এক দল সুন্নি আর একদল শিয়া-ই আলি, বা আলির গোস্টি নামে। সেই শিয়াতে আবার উগ্রবাদি চরমপন্হি নামে আরেক দল সৃষ্টি হয়ে খারেজি নামে আখ্যা পেল। সেই খারেজি থেকে পরবর্তিতে ইছমাইলী, আলাওয়ী,দ্রুজ, সালাফি , ওহাবী আহম্মেদী, মওদুদী,এবং সর্বশেষ গোলাম আজমীতে এসে ঠেঁকেছে।
সেই সময় খারেজিরা দুটা কারনে ফতুয়া দিত। এক,প্রবিত্র কোরা্নে মযিদে ৭০ হাজার আয়াত নাকি আল্লাহ পাক নাযিল করেছেন, কিন্তু সুন্নিরা মাত্র ৬৬৬৬টি প্রকাশ করেছেন।দুই,হযরত আলীই মহা নবীর প্রকৃত উত্তরাধিকারি বা উত্তরসরি, এবং তিনিই খালিফা হওয়ার যগ্য। আবুবক্কর নহে।
সেই খারেজির অনুসারিরা পর্যায়ক্রমে এসে ইবনে তাইমিয়ার নেতুত্বে সালাফি, ইবনে আবদুল ওহাবের নেতৃত্ ওহাবী এবং মওদুদীর নেতৃত্বে জামাতি মতবাদ গঠিত করেছে।উপমহাদেশে তথা বাংলাদেশে মওদুদীর একজন খাঁটি সাকসেসর হিসেবে গোলাম আজম দায়িত্ববার গ্রহন করলেও তাতে ভাগ বসান দেল্লা রাজাকার ওরফে দেলোয়ার হোসেন সায়েদি।
ইবনে তাইমিয়ার মনুষ্য আকৃত বিশিষ্ঠ আল্লাহ তাআলার আকৃতি হিসেবে ফতুয়া দিলেও,গেলাম আজম ফতুয়া দিয়েছিলেন প্রবিত্র কোরআনের প্রথম সুরা ফাতেয়া না হয়ে সুরা আল বাকেরা হওয়া উচিত ছিল বলে। দেখুন এবার কত বড় নাস্তিক ও কাপের, খোদার উপর খোদাগিরি। এই সব নাস্তিক সয়তানরাই আজ বাংলাদেশে জ্বালাও পোড়াও, ভিন্ন ধর্ম মতের মাুষকে নির্বিচারে হত্যা করছে। এরাই ইসলামের লেঁজ কাটা কুকুর।এদেরকে বাংলার মাঠি থেকে চিরতরে বিতাড়িত করতে হবে।যেমনি ভাবে স্ব স্ব দেশ থেকে বিতাড়িত হয়েছে তাদের পুর্বসুরিরা।
তবেই মহা নবীর সুন্নাহ এবং আকিদা সুমুহ এক ও অদ্বিতীয় হয়ে থাকবে বাংলার মাটিতে,তবেই আমরা হানেফি মাযহাবের মুসলমানেরা আত্মায় শান্তি পাবো, ইনশআল্লা।
------মোহাম্মেদ ফারুক, জার্মানী।
No comments:
Post a Comment