Sunday, February 28, 2016

শুধু গোস্ত হলে স্বাস্হ নয়








জেনে নিন মানব দেহের অঙ্গ প্রত্যঙ্গের ব্যপারে-মনে রাখবেন এই সবি বইপুস্তক ও অনলাইন থেকে সংগৃহিত।

মানব দেহে সর্বমোট ৭৮ অঙ্গ এবং ২০৪টি অস্হি আছে, তন্মধ্যে সবচেয়ে জটিল এবং প্রধান গুরুত্বপুর্ন অঙ্গ হলো -------
১, ব্রেইন বা মস্তিস্কো,
একজন প্রাপ্ত বয়স্কো মানুষের ব্রেইনটার ওজন হয় ১৩০০--থেকে ১৪০০ গ্রাম। আবার এর চেয়ে কমও হতে পারে। যেমন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট বিজ্ঞানি আর্লবার্ট আইনস্টাইনের মস্তিস্কো ছিল ১২৭৫ গ্রাম। আর একটি শিশুর  জন্মের পর মস্তিস্কো থাকে ৩০০ থেকে ৩৫০ গ্রাম। ১৮ বছর পরে মস্তিস্কো আর বাড়ে না।
পৃথিবীর সকল প্রাণীর মস্তিস্কের চেয়ে ( হাতি গন্ডার  নীল তিমী যাহাই বলেন না কেন ) মানুষের মস্তিস্কো ৩ ভাগ বড়।
মস্তিস্কের ৭৫ ভাগই পানি আর চর্বি দ্বারা গঠিত।
অতচ মস্তিস্কের কার্যক্ষমতা শুনলে আপনি অবাক হবেন। ডাঃওয়াল্টারের মতে মানুষের মস্তিস্কের সমপরিমান বৈদ্যুতিক  একটা ব্রেইন বানাতে গেলে খরছ পড়বে ১৫০০ শত ট্রিলিয়ন ইউ এস ডলার । যা দিয়ে বর্তমান বাজারে  ১০ কোটি সুপার কম্পিউটার কেনা সম্ভব। আর এটার আয়োতন হবে ১৮টি ১০০শত তলা বিল্ডিং এর সমান।আর এটাকে চালাতে ১০০০ হাজার কোটি কিলোওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন হবে। একবার ভেবে দেখুন  এটা কত বড় গুরুত্বপুর্ন একটা জিনিস।মানব মস্তিস্কে আছে ১০০ বিলিয়ন নিউরন বা নার্ভ।এটার  সর্বনিম্ন গতিবেগ ঘন্টায় ২৫৮.৪৯০ মাইল।তথ্য আদান প্রদান করতে পারে নুন্যতম ০,৫ মিটার প্রতি সেকেন্ডে, আর সর্বোচ্চ ১২০মিটার সেকেন্ডে। আবার এটার মধ্যে ১০০ মাইল লম্বা উপশিরা আছে। ৭০,০০০ বিষয়ে চিন্তা করতে পারলেও খেয়াল রাখতে পারে  ১০ থেকে ১৫টি শব্দ।আবার সঠিক ভাবে কাজ করে মাত্র ৩%; অবশ্য চিন্তাবিদদের একটু বেশি। তাদের  ১০% পর্যন্ত কাজ করে।একজন মানুষের শিরচ্ছেদের পরেও  ২০ সেকেন্ড মস্তিষ্কের চেতন থাকে।এক জন মানুষের দেহের তুলনায় মস্তিষ্কো হলো ২ভাগ, আর হাতির দেহের তুলনায় মাত্র ০,০৫ ভাগ মাত্র।
মানব দেহের মোট অক্সিজেনের প্রায় ২০%  মস্তিষ্কে ব্যবহার হয়ে থাকে।আবার ২০% ভাগ রক্তও মস্তিষ্কে আদান প্রদান করে থাকে।পুরো মস্তিষ্কের ওজনের দ্বিগুন তার আবরন বা চামড়া দিয়ে আবদ্ব থাকে।
জাগ্রত অবস্হায় একজন মানুষের মস্তিষ্কো ৪০ ওয়াট পাওয়ার সৃষ্টি করতে পারে। আবার জ্বরে আক্রান্ত হলে সর্বোচ্ছ সহনীয় থাকে ১১৫,৭ ডিগ্রি ফারেনহাইট, এবং ততক্ষন পর্যন্ত একজন মানুষ বাঁচতে পারে।
মানুসিক চাপ বেশি থাকলে কোষ গঠনে বাধাগ্রস্হ হয়। অক্সিজেনের ক্ষরন হয়।যদি মস্তিষ্কে ৮ থেকে ২০ সেকেন্ড রক্ত না পায় তাহলে মানুষ জ্ঞান হারায়।অক্সিজেন চাড়া একজন মানুষ মাত্র ৫ মিনিট টিকতে পারবে।
এবার জানুন ব্রেইনের রোগ সমূহ---
 ১,-- ব্রেইন স্ট্রোক, মানব মস্তিষ্কের কোন স্হানের রক্ত নালী হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে গেলে ঐ এলাকায়  রক্ত চলাচলে বাধাগ্রস্হ করে ঐ অংশকে বিকল করে দেয় বলে তাকে ব্রেইন স্ট্রোক বলে।মনে রাখতে হবে মস্তিষ্কের ডান দিকে এটাক হলে শরিরের বাম দিক বিকল হবে, আর মস্তিষ্কের বাম দিকে এটাক হলে শরীরের  ডান দিক বিকল হয়ে যাবে।এই বিকল বা অবশ বিবশ হলে এটা কিন্তু চিরতরে বিকল হয়ে যায় না। ধীরে ধীরে সুস্হ হয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে বেশি। উচ্চ রক্তচাপ ডায়বেটিস রক্তে অতিরিক্ত চর্বি,  এলকোহল,ও ধুমপানে স্ট্রোক হবার ঝুঁকি থাকে বেশি।এছাড়া শরীরের হার্ট বা অন্য কোন ধমনী থেকে জমাট বাঁধা রক্ত ছুটে গিয়ে মস্তিষ্কে আঘাত হানার কারনেও ব্রেইন স্ট্রোক হতে পারে।মনে রাখতে হবে ছোট ধরণের স্ট্রোক হলে বমি হওয়া শরীরের একদিক অবশ হওয়া বোধহীন ও বাকরুদ্ধ হওয়া, কথা জড়িয়ে আশা এবং জ্ঞান হারানোর মত উপসর্গগুলি দেখা দেয়। আর বড় ধরনের হলে হাত পাঁ চারটাই অচল অবশ হয়ে যাবে।স্ট্রোকের রোগিকে  কম্পিউটার টমোগ্রাপি, এঞ্জীওগ্রাম, ও ইকোকার্ডিও গ্রাম করে জেনে বুঝে সঠিক চিকিৎসা করাতে হয়।এটা অবশ্য স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ বা নিউরোলোজিস্ট এর কাছে চিকিৎসা করাতে হয়।এই রোগের তেমন কোন সুচিকিৎসা নাই যে এটা সাথে সাথে ভালো হয়ে যাবে।
২,-আলঝেইমার, ডিজিজ,

 



 
২,হার্ট বা হৃদপিন্ড---
মানব দেহে হৃদপিন্ড হলো একটা গুরত্বপুর্ন পেশীবহুল প্রত্যঙ্গ।এটা মাংশ পেশী দারা তৈরি একটি স্বয়ংক্রিয় পাম্প মেসিন।যার কাজ হলো আমাদের শরিরে বিরামহীন ভাবে রক্তকে পাম্পিং পক্রিয়ায় বিষুদ্ধ করে সমস্ত শরিরে সরবরাহ করা। সাধারণ পানির পাম্পের মত এই হৃদপিন্ডও  বৈদ্যুতিক শক্তিতে চলে, পার্থক্য শুধু এই যে এর বৈদ্যুতিক জেনেরেটরটা এর ভিতরেই থাকে, এবং তা হৃদপিন্ডের কোষ দিয়ে স্বয়ংক্রিয় ভাবে তৈরী।

আমাদের সবার ধারণা হৃৎপিন্ডটা বুকের বামদিকে থাকে।আসলে ব্যপারটা পুরোপুরি সত্য না।হৃৎপিন্ড থাকে বুকের মাঝ ভরাবর, তবে বাঁদিকে একটু বেশি।তাসের হর্তনের মত কিছুটা ত্রিভূজাকৃতির বাঁদিকের চুড়াটির মাথায় ধুক ধুক বা স্পন্দিত হয়।একজন পুরুষের হৃৎপিন্ড প্রায় ৩৪০ গ্রাম ওজন হয়,নারীদের একটু কম হয়।এই হৃৎপিন্ডটিকে আমরা বাংলায় বলি হৃদয় আর ইংরেজিতে বলে হার্ট।আবার ইংরেজিতে মাইন্ড নামে একটি শব্দ আছে, যার অর্থ হলো মন।এই হার্ট এবং মাইন্ড দুটি শব্দের প্রতিশব্দ হলো--হৃদয়।
 
হার্ট-কে আমরা ইমোশনাল অঙ্গ বলেই জানি। হার্ট ধুক ধুক করে স্পন্দিত হয়, আমরা প্রতিমুহুর্ত্যে তা অনুভব করি।আমরা মনে করি হার্টের মধ্যেই মন এবং আত্মা বসবাস করে যা অত্যান্ত স্পর্শকাতর জিনিস।আবার মস্তিষ্কো নামেও আরেকটি শব্দ আছে।এই তিনটা জিনিস মন,আত্মা, এবং মস্তিষ্কোকে কোন প্রত্যঙ্গ হিসেবে ধরতে পারিনা।ডাক্তারী বা শারীরবিদ্যা তা সমর্থন করেনা।

রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর তার এক কবিতায় মনকে খ্যাপা হৃদয়ের উল্যাস হিসেবে বলেছেন।মাংশপিন্ড দিয়ে তৈরি হৃদয়কে আমরা ভালোবাসার একমাত্র আসন বলে থাকি।কিন্তু অস্তিত্বহীন মন আত্মা ও মস্তিষ্কোকে আমরা কি বলবো কিভাবে বর্ণনা বিশ্লেষন করবো।এই তিনটি জিনিস কি চুম্বোক শক্তি নাকি অশরিরী অন্য কিছু।তা সঠিক ভাবে আজ পর্যন্ত কোন বৈজ্ঞানিক দার্শণিক বা মুনি ঋষি কেহই  ব্যাখ্যা করতে পারেনি।

ইংরেজি শব্দ হার্ট এবং মাইন্ড এর বাংলা প্রতিশব্দ হলো হৃদয়। হর্তনের পাতার মত দেখতে এই হৃদয় শব্দাটাকে এভাবে ভাগ করলে হৃ+দয় =হৃ শব্দের অর্থ দাঁড়ায় হরন করা, আর দয় শব্দের অর্থ হলো দেয় বা দেওয়া।ঠিক হৃদয়ের কাজও হলো নেওয়া এবং দেওয়া।আবার ইংরেজিতে ব্রেইন বলেও একটি শব্দ আছে যার প্রতি শব্দ হলো মস্তিষ্কো।আমরা জানি যে ব্রেইনেরও কোন অস্তিত্ব নাই।মাথায় আ্ছে কিছু মগজ ও রক্ত পানি।
 
 
ডাক্তারী মতে হৃৎপিন্ডের ভিতরে চারটি ভাগ আছে।দুটি বাম দিকে দুটি ডানদিকেিউপরিভাগে দুটি এট্রিয়াম ও নীচে দুটি ভেন্ট্রিকল থাকে।ডানদিকের দুটি মোটা এন্ট্রিয়াম শিরা দিয়ে রক্ত ঢোকে।এই রক্তে কম অক্সিজেন এবং কার্বনডাই অক্সাইড এবং অন্যান্য পদার্থ বেশি পরিমাণে ঢুকে।এই ডানদিকের এট্রিয়াম থেকে এবার রক্ত যায় ডানদিকে ভেন্ট্রিকলে। সেখান থেকে পালমোনিক ভাল্বের ভিতর দিয়ে রক্ত যায় ফুসফুসে বা লান্সে।এখানেই রক্ত অক্সিজেনে পরিশোধিত হয়।পরিশোধিত রক্ত যায় বামদিকে এন্ট্রিয়ামে। পরে বাম এট্রিয়াম থেকে বাম ভেন্ট্রিকলে।বাম ভেন্ট্রিকল জোরে সঙ্কুচিত হয়ে এওরটিকে ভাল্বের মাধ্যমে রক্ত বের করে চালান করে দেয় সর্ব প্রধান ধমনী এওরটায়।সেখান থেকে পরিশোধিত রক্ত ছড়িয়ে যায় দেহের সর্বত্রএন্ট্রিয়াম থেকে রক্ত ভেন্ট্রিকলে সঞ্চালিত হয় একমুখী ভাল্বের সাহায্যে।এই ভাল্ব একদিকেই খোলে যাতে পরিশ্রুত ও দুষিত রক্ত মিশে না যায়। শরীরের সব কোণ থেকে দুষিত রক্ত ইনফিরিয়র ভেরাকাভা নামক একটি ভেন বা ধমনীর মাধ্যমেএবং মস্তিষ্ক থেকে সুপিরিয়র ভেনাকাভার মাধামে আবার হৃদযন্ত্রে ডান এন্ট্রিয়ামে এসে ঢোকে।এটি সঙ্কুচিত হলে ট্রাই-কাস্পিড ভাল্ব খুলে যায়, এবং ঐ রক্ত ডান ভেন্ট্রিকলে চলে যায়।ডান ভেন্ট্রিকলের সঙ্কোচনের ফলে রক্ত পালমোনারি ভাল্ব খুলে পালমোনারি আর্টারির মাধ্যমে ফুসফুসে পরিশোধিত হতে চলে যায়।পরে শুদ্ধ রক্ত বাঁ এন্ট্রিয়ামে ফিরে আসে পালমোনারি ভেনের মাধ্যমে।এই প্রক্রিয়াটি ঘটতে থাকে প্রতি মিনিটে ৫০--৬০ বার।ডাক্তারী এবং শরীরবিদ্যার ভাষ্য মতে এটাই সত্য।
 
 
 
 বৈদ্যুতিক তারের মত  এক ধরনের টিসু বা কলা দিয়ে  হার্ট ঐ জেনারেটরের সাথে কোষের সংযোগ ঘটিয়ে থাকে। এই টিস্যুর নাম কন্ডাক্টিং টিস্যু, এবং কোথাও যদি এই টিস্যু বাধাপ্রাপ্ত হয় বা নষ্ট হয়ে যায় তাহলে এর পরবর্তি অংশে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হতে পারে না, আর একেই বলে হার্ট ব্লক। হার্ট ব্লক তিন প্রকার, ফাস্ট ডিগ্রী, সেকেন্ড ডিগ্রী, ও থার্ড ডিগ্রী। শেষের দু প্রকার হার্ট ফেইলুর এ হার্ট এর ভেতর পেস মেকার বসানো লাগতে পারে।
হার্টে বেশ কয়টা রোগ হতে পারে 
যেমনঃ-- ১,ইশকেমিক হার্ট ডিজিজ-- Ischaemic.
2,হাইপারটেনশন, এটা উচ্চরক্তচাপ জনিত রোগ।
৩,জন্মগত হৃদরোগ।
৪,ভাল্ভের রোগ।
৫,হার্ট ফেইলুর-- Heart Failure.

 
বাইপাস অপারেশনকরা রোগীদের জন্যে কয়টি পরামর্শঃ---
১, অপারেশনের  পর থেকে সার্জন এর পরামর্শ অনুযায়ি পানি পান করতে হবে। অতিরিক্ত পানি বা অন্য কোন তরল পদার্থ কোন ভাবেই পান করা যাবেনা।
২,পরামর্শ পত্র অনুযায়ী নিয়মিত ঔষুধ সেবন করতে হবে।
৩,অপারেশনের ৩-৪ দিন পর থেকে একটু একটু করে হাঁটা যাবে। বেশি হাঁটা যাবেনা।
৪,এক সাপ্তাহ পর ধীরে ধীরে হাঁটার অব্যেশ বাড়াতে পারেন, কিন্তু ক্লান্ত হলে বিশ্রাম নিতে হবে।
৫,ভারী কোন প্রকার পরিশ্রম করা এবং বহন করা  যাবেনা।
৬. ওজন নিয়ন্ত্রনের মধ্যে রাখতে হবে।
৭, ধুমপান, তামাক জাতীয় পদার্থ পরিহার করতে হবে।
৮, কমপক্ষে ২-৩ মাস পুরোপুরি সুস্হ হওয়া না পর্যন্ত সহবাস থেকে বিরত থাকতে হবে।
৯, বুকে ব্যথা অনুভব করলে সাথে সাথে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
১০,নিয়মিত ব্লাড টেস্ট করে কোলেস্টোরল চর্বি আয়রন ক্যালসিয়াম কত পরিমান আছে দেখে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
১১, মা বাবা কিংবা বড় ভাই বোনের হৃদ রোগ থাকলে নিজেরও সাধানে তাকতে হবে, নিয়মিত চ্যকাব করায়ে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
১২, মানসিক চাপ কমায়ে মেডিটেশনে মনোনিবেশ করতে হবে।
১৩, পরিমিত ঘুম ও বিশ্রাম নিতে হবে।বড় ছোট সবারই হৃদরোগ হতে পারে।সবার সাথে আড্ডা দিয়ে হাসিখুশি থাকতে হবে।
১৪,কোলেস্টেরল  সমৃদ্ধ ও চর্বিযুক্ত ্ এবং ফাস্টপুড জাতি খাবার পরিহার করে আঁশ যুক্ত খাবার খেতে হবে।হিসেব করে খেতে হবে শর্করা জাতিীয় সাধরণ খাবারও।

হার্ট এ্যটাক কি?
হার্ট এ্যটাক হলো, হার্ট ঠিকমত কাজ না করে বন্ধ হয়ে যাওয়াকেই হার্ট এ্যটাক বলে।হার্টের করোনারি আটারি নামে হৃৎপিন্ডের গায়ে থাকা ছোট দুটি ধমনি। এই দুটি ধমনী দিয়ে হৃৎপিন্ডেঅক্সিজেন রক্ত সরবরাহ ও পুষ্টি যোগান দেয়।কোন কারণে এই করোনারি আটারিতে যদি রক্তে জমাট বেঁধে ব্লক সৃষ্টি হয় তাহলে এই দুটি এলাকায় হৃৎপেশি আর কাজ করেনা।তখনই হার্ট অ্যাটাক হয়ে থাকে।এটার লক্ষন বুকে প্রচন্ড ব্যথা অনুভূত হয়।বেশির ভাগ খেত্রেই হার্ট এ্যাটাক রোগি হাসপাতালে নেয়ার আগেই মৃর্ত্যু বরন করে।

 


 
৩ --লিভার বা কলিজা--
মানব দেহের একটি গুরুত্বপুর্ন অঙ্গ হলো লিভার।লিভারকে ভালো রাখতে হলে পর্যাপ্ত পরিমানে পরিষ্কার পানি পান করতে হবে।পরিশোধিত খাবার পরিত্যগ করে  সব সময় প্রেস খাবার খেতে হবে।প্রটিন ও আমিষ জাতিয় স্বাস্হকর খাবার খেতে হবে। শাগ সবজি ফলমুল  ম্যাগনেসিয়াম ভিটামিন সি সমুদ্ধ খাবার বেশি খেতে হবে। সাদা চিনির বদলে ব্রাউন চিনি খেতে হবে।সালফার জাতিয় খাবার ডিম ব্রকলি রসুন পেঁয়াজ নিয়মিত খেতে হবে। এ্যালকোহল ধুমপান বাদ দিতে হবে।
লিভার খারাপ হবার লক্ষন-----শরীরে জ্বালযন্ত্রনা করা, পেশি বা গ্যঁটে ব্যথা করা, হজম ঠিকমত না হওয়া, মাথা ব্যথা করা, ব্রন ও ত্বকের সমস্যা দেখা দেওয়া, গ্যাস হওয়া পেট পোলা, পেটে ব্যথা, ডায়রিয়া  ও কোষ্টকাঠিন্য, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা , ওজন বেড়ে যাওয়া ও কমে যাওয়া হলো খারাপ বা অসুস্হ লিভারের লক্ষন।
 



৪, ফুসফুস বা lung ---ফুসফুস হলো মানব দেহের আরেকটি গুরত্বপুর্ন অঙ্গ। এই অঙ্গের দিকে যত্নবান বা খেয়াল রাখা প্রত্যেকের উচিত।কারণ দেহের অন্যান্য অঙ্গের চেয়ে এই অঙ্গে অর্থ্যাৎ ফুসফুসে কেন্সার হওয়ার ঝুঁকি থাকে বেশি। তার কারণ ধুমপান ও দুষিত বাতাস শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে ফুসফুসে প্রবেশ করে।তা ছাড়া শরিরের অন্য যে কোন অংশে ক্যন্সার হলে দ্রুত রক্তের মাধ্যমে ফুসফুসে এসে বাসা বাঁধে। ক্যন্সার ব্যতীত আরো বেশ কয়টি রোগ হতে পারে ফুসফুসে।

 
 যেমন!-১, হাঁপানী বা আজমা। এই রোগটি ইনফ্লামেশন জাতীয় একটি রোগ। অনেক সময় বাবা মা-র এই রোগ থাকিলে সন্তানের ও হতে পারে, আবার অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণেও হতে পারে। ঠান্ডায় ফুসফুসের আবরনি কোষ গুলির বর্ধিত সংবেদনশীলতার কারনে ।
২,লান্সে পানি জমা। আসলে পুরো ফুসফুসে পানি  জমে না ।পানি জমে ফুসফুসের  পাতলা আবরনি বা প্লুরাতে। যা সরানো অত্যান্ত কষ্ট সাধ্য ব্যপার।
৩, যক্ষা বা টিবি। এই রোগটি ইনফেকসান জাতীয় একটি রোগ, বা ছোঁয়াচ রোগ। কথায় বলে না যার হয় যক্ষা তার নাই রক্ষা। অবশ্য এই রোগের ঔষুধ এখন আবিষ্কার হয়েছে। মাইক্র ভেকটেরিয়া নামক জীবানুর কারণে এই রোগ হয়ে থাকে।
৪, ব্রণক্রাইটিস রোগ--বুড়োবুড়ির এই রোগটা হয় বেশি। অনবরত কাশি ও কপের সাথে রক্ত নির্গত হওয়া এই রোগের লক্ষন।
৫, নিউমেনিয়া-- বিভিন্ন ভাইরাস ভেকটেরিয়া ও অন্য যে কোন জীবানুর আক্রমনে এই রোগটা হতে পারে। হাঁপানী জ্বর, মাথা ব্যথা, বমি সমস্ত শরিরে ব্যথা রুচিহীনতা কাশির সাথে রক্ত যাওয়া এই রোগের লক্ষন।
৬. ফুসফুসের পোঁড়া বা lung adscess--ফুসফুসে টিউমার হয়ে পুজ জমা এই রোগের লক্ষন।
 
 
 
শরীরের ব্যপারে জেনে রাখা ভালো---

১,হৃৎপিন্ড  চার প্রকোষ্ট বিশিষ্ট।
২,রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমান কমে যাওয়কে রক্তশূন্যতা বলে।
৩,ল্যান্ড স্টিনার নামে জৈনক ব্যক্তি সর্ব প্রথম রক্তের গ্রুপ আবিষ্কার করেন।
৪,ডায়োবেটিস হয় শরীরে ইনসুলিনের অভাবে।
৫,মানব দেহে বৃহত্তম গ্রন্হি হলো যকৃত।
৬,চোখের পানি নিঃসৃত হয় লেকরিমাল গ্রন্হি থেকে।
৭, নার্ভের মাধ্যমে প্রবাহিত আবেগের গতি প্রতি সেকেন্ডে ১২৫ মিটার।
৮,একজন সুস্হ মানুষের প্রতি সেকেন্ডে হৃদকম্পন হয় ০,৪ সেকেন্ডে।
৯,বর্জ্য পদার্থ ইউরিয়া বাহির হয় কিডনি থেকে।মুত্রও তৈরি হয় কিডনিতে।
১০,একজন নারী প্রতিমাসে মাত্র একটি ডিম্বুনু তৈরি করে।
১১, চোখের মধ্যে সবচেয়ে সংবেদনশিল অংশের নাম হলো রেটিনা।
১২, জীবদেহের ওজনের প্রায় ২৪ ভাগ থাকে কার্বন।
১৩, আড্রনালিন হরমনের ভর লাগলে গায়ের লোম খাড়া হয়ে যায়।
১৪, দাঁড়ি গোঁপ গজায় টেস্টোরোল হরমনের কারণে।
১৫, জীবন রক্ষকারি হরমন হলো অ্যাল ভোস্টেরন।
১৬. ফসফরাস বেশি তাকে অস্তিতে।
১৭, খাদ্যদ্রব্য বেশি শোষিত হয় পোষ্টিক নালীর ক্ষুদ্রান্তে।
১৮,মানুষের করোটিতে অস্হি থাকে ২৪টি।
১৯, প্রতি মিনিটে হৃৎপিন্ডের স্বাভাবিক স্পন্দন হয় ৭২ বার।
২০, ধমনির শেষ হলো নাসিকায়।
২১, মানুষ সাদা এবং কালা হয় মেলানিল এর কারণে।
২২, মস্তিষ্কে প্রতি মিনিটে রক্ত সরবরাহ করে ৩৫০ মিলিলিটার।
২৩, পরিপাক তন্ত্রের সবচেয়ে শক্তিশালি অংশের নাম হলে পাকস্হলি।
২৪, পিন্ডের বর্ণের জন্য দায়ী বিলিরুবিন।
২৫, স্নায়ূ কলার প্রতিটি কোষকে নিউরন বলে।
২৬,মানব দেহের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম াস্হির নাম স্টেপিস।
২৭, রোগ জীবানু ধংশ করতে সাহায্য করে পিত্তরস।
২৮, রক্তে গ্লোকোজের পরিমাণ বাড়ায় গ্লোকাগন নামের হরমন।
২৯, একজন বয়োস্কো লোক প্রতি মিনিটে শ্বাস নেয় ১২--১৮ বার।
৩০,শরীরে সবচেয়ে বড় অস্হি হলো উরুর অস্হি।
৩১, রক্তে শ্বেতকণিকার পরিমান বেড়ে গেলে ব্রাড কেন্সার হয়।
৩২. চোখে আলো প্রবেশ করে কর্ণিয়ার মাধ্রমে।
৩৩, চোখের পেশির সংখ্যা হয় ৬টি।
৩৪, অশ্রুগ্রণ্হি থাকে ২টি।

জেনে রাখা ভালো...


                                            -----চলবে,
 
 
 
  
 
 
 
 
 


৫,পাকস্তলি বা স্টোমাক্---পাকস্তলি হলো মানব দেহের পরিপাক তন্ত্রের একটি গুরত্বপুর্ন অংশ। যাহা অন্ননালী ও ক্ষুদ্রান্তের মধ্যখানে অবস্হিত।পাকস্তলির উপরে থাকে খাদ্যনালী আর নীচের দিকের অংশকে বলা হয় ক্ষুদ্রান্ত।অন্ননালী ও ক্ষুদ্রান্তের মাঝখানে একটি থলির মত পাকস্তলি হল একটা একটি গুরত্বপুর্ন অঙ্গ।পাকস্তলির নীচের অংশকে পাইলস বলে। যেখান থেকে পাকস্তলির খাদ্য ক্ষুদ্রান্তে উন্মোচিত হয়।
 
পাকস্তলিতে পরিপাক কি ভাবে হয়?
পাকস্তলির প্রাচীরে অসংখ্য গ্যাস্ট্রিক গ্রণ্হি থাকে। এই গ্যাস্ট্রিকগ্রণ্হি থেকে নিঃসৃত রস খাদ্যকে পরিপাক করতে সহায়তা করে। পাকস্তলির পেশিগুলি সংকোচন ও প্রসারনের মাধ্যমে খাদ্যবস্তুকে পিশে মন্ডে পরিনত করে যেই খাদ্য রস নিঃসৃত হয় তাতে থাকে হাইড্রক্লোরিক এসিড। এই এসিড খাদ্যের মধ্যে কোন খতি কারক ভেকটেরিয়া থাকলে তা মেরে পেলে। এটা নিস্ত্রিয় পেপসিজেনকে সক্রিয় পেপসিনে পরিণত করে, এবং পাকস্হলিতে পেপসিনের সুষ্ট কাজের জন্য অম্লীয় পরিবেশ সৃষ্ট্রি করে। পেপসিন হলো একধরণের এনজাইম। যা আমিষকে ভেঙ্গে জ্যামাইনা এসিড দ্বারা তৈরি যৌগ গঠন করে। পাকস্হলি খাদ্য পোঁছামাত্র রসগুলো নিঃসৃত হয়ে অনেকটা সুপের মত কপটিকা ভেদ করে ক্ষুদ্রান্তে প্রবেশ করে।
পাকস্হলিতে শর্করা এবং স্নেহজাতীয় খাবার কখনো পরিপাক হয় না। এর কারণ হলো পরিপাকের জন্য গ্যাষ্ট্রিক রসে কোন এনজাইম থাকেনা। 
 
 
 
 
 
 

 










৬,--কিডনি




অজ্ঞসব জনপ্রতিনীধি,

সত্যই শক্তি, সত্যই সুন্দর,