(এক) ডঃ কামাল হোসেন সাহেব!- যার পূর্ব পুরুষ এই উপমহাদেশে ধর্ম প্রচারের নামে এসে জমিদারের কোঁৎপাল বা গোলামী হিসেবে চাকুরি করতো।যাদের একমাত্র কাজ্ ছিল গরিব কৃষক প্রজার পিঠে চাবুক চালিয়ে খাজনা উসুল করে জমিদারের তেজুরি ভর্তি করা।ইংরেজ বেনিয়াদেরও একটু সুনজর ছিল এদের প্রতি।কারণ খাজনা টেক্সের একটি অংশ তাদের পকেটেও যেত।
কালের বিবর্তনে জমিদারি প্রথা বিলুপ হলে এরা ভালো মানুষের মুখোশে স্হানিয় জনগনের সাথে মিশে যায়।শহরের বসবাস করার কারণে এরা ধনিক উচ্চবিত্তের সাথে মিশে সখ্য গড়ে তোলে।যার ধরুন এরা লেখা পড়া করারও
সুজোগসুবিধা পায় একটু বেশি।
সুজোগসুবিধা পায় একটু বেশি।
ডঃ কামাল হোসেন ও সে রকম একজন। মেধাবি ছাত্র না হলেও খ্রিষ্টান মিশনারি স্কুলের প্রথম বেইছের ছাত্র হিসেবে বৃত্তি দিয়ে মিশনারি কতৃপক্ষ তাকে বিদেশে পাঠায়।আমেরিকা ও ইংল্যান্ডে তিনি উচ্চশিক্ষা ও আ্ইন পেশায় ডক্টরেট ডিগ্রি নিয়ে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে কয় বছর প্রফেসারিও করেন।পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু তাকে ভালো এবং মেধাবী মনে করে রাজনীতিতে টেনে আনেন। রাজনীতি শেখান।স্বাধীনতার পরে তরুন কামাল হোসেনকে জাতির পিতা পররাষ্ট্র মন্ত্রিও বানান। এমন কি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সংবিধান প্রণয়ের সময় ৩৪ জন বিজ্ঞ বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রধান নিযুক্ত করেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর বিশ্বস্হ হিসেবে শুধু বাঙ্গালী নয় বিশ্ববাসীর কাছেও পরিচিত ছিলেন।
সেই কামাল হোসেন নাকি বঙ্গবন্ধুর নিঃশংস হত্যার পর বঙ্গবন্ধুর এতিম দুকন্যার উপর থেকে মুক ফিরায়ে নিয়ে না চেনার বান করেন। তবু জাতির জনকের কন্যা পিতার সহকর্মি হিসেবে দলে আঁকড়ে ধরে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন।৮৬ সালে তাকে প্রেসিডেন্ট পদে দাঁড় করিয়ে ছিলেন।কিন্তু এই কামাল হোসেন শুধু আওয়ামীলীগের সাথে নয় অসহায় বঙ্গবন্ধু কন্যার সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করে আরেক পাপি ডঃ ইউনুসের প্ররোচনায় ১৯৯২ সালের ১৮ই জুন গন ফোরাম নামে একটি দল গঠন করেন।আওয়ামী লীগের ত্যাগি নেতা মহসিন মন্টুসহ অসংখ্য নেতা কর্মিকে লোভ দেখিয়ে দলে ভিড়ান।
সেইদিন দলের মৌখিক গঠনতন্ত্র কামাল হোসেন প্রকাশ করলেও লিখিত ভাবে ডঃ ইউনুস সাহেবই অনেক কিছু প্রকাশ করে দেন।তাদের দুইজনেরই উচ্চাকাঙ্খা ছিল রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করা এবং রাষ্ট্রপ্রধান হওয়া।নিয়তির কি নির্মম পরিহাস ডঃ কামাল হোসেনের থুবড়ে পরা মুখের মতই আজ তার দল গন ফোরামও আজ থুবড়ে পড়েছে। দল ভেঙে টুকরো টুকরো হয়েছে। গনফ্রন্ট, জাতীয়ফ্রন্ট নামে কি কি দল উপদল নাতি সৃষ্টি হয়েছে।
আপছোসঃ এই গুনিন যদি আজ আওয়ামী লীগে থাকতেন, তাহলে হয় তো রাষ্ট্রপতি কিংবা গুরুত্ব পদে আসিন থাকতেন। জাতীও উপকৃত হতো।
বলা বাহুল্য তিনি আজ হায়! হায়! আর যায়! যায়! পার্টির নেতা।কাম্যনয় তবু যেন প্রস্হান হলেই জাতি বাঁচে...?
(দুই) বঙ্গবীর কাদের ছিদ্দিকীঃ-
ক্রমশঃ
No comments:
Post a Comment