হে দুর্ভাগা দেশ আমার, তোমার লাগি প্রাণ কাঁদে,
দুচোখ ভরে শুধু ব্যদনার অশ্রু ঝরে।
কোথায় নিয়ে এল তোমায় ঔরা, কোথায় নিয়ে যাচ্ছে বার চোরে//
উদভ্রান্তের দলেরা সবাই আজ বিব্রান্ত তোমাকে নিয়ে।
অশান্তির কোপানলে তারা আজ সাম্যমৈত্রি আদর্শ হারিয়ে।
চারিদিকে অসনি সংকেত শুনতে পাই তোমাকে গিরে//
দুচোখ ভরে শুধু ব্যদনার অশ্রু ঝরে।
কোথায় নিয়ে এল তোমায় ঔরা, কোথায় নিয়ে যাচ্ছে বার চোরে//
উদভ্রান্তের দলেরা সবাই আজ বিব্রান্ত তোমাকে নিয়ে।
অশান্তির কোপানলে তারা আজ সাম্যমৈত্রি আদর্শ হারিয়ে।
চারিদিকে অসনি সংকেত শুনতে পাই তোমাকে গিরে//
যে জাতি পৃথিবীতে দেখেছে স্বাধীনতার মুখ,
তাদের ঘরে ধরা দিয়েছে পৃথিবীর সকল সুখ।
অতচ আমরা আজ কত যে হতভাগ্য,তোমার বুকে দেখি
খঞ্জরের তাজা ঘা,রক্তাক্ত প্রান্তর বুলেট বোমা বারুদের গন্ধ।
খঞ্জরের তাজা ঘা,রক্তাক্ত প্রান্তর বুলেট বোমা বারুদের গন্ধ।
রক্তেধোওয়া স্বাধিনতার পরপরই দেখতে লাগলাম দুঃখ আর দুঃখ্।
কতো ত্যাগ তিতীক্ষা প্রাণ আর ইজ্জতের বিনিময়ে-মুক্ত হলো,
স্বাধীনতা এলো,তার পর থেকেই দুর্ভাগা দেশ আমার হতে লাগল এলমেলো।
নোংরা খেলার খালি মাঠে সবাই জিতে যায় শুধু গোল করে করে//
স্বাধিনতা এল সবাই নেতা বনে গেল, প্লাজো পেন্ট,লম্বা কলারের সার্ট,
লম্বা চুল মাঝখানে টিকটিকি শরির,উপোস নেতা চুঙ্গা ফুঁ নেতা কত কি দেখলাম?
নেতা মরে যাবার পরে এদেশে আজ নেতার জন্মই বন্ধ হয়ে গেল।
কি আজব হয়ে গেল হায়! হে দুর্ভাগা দেশ আমার!
কোথায় আজ গনতন্ত্র, কোথায় সমাজতন্ত্র,
কোথায় আজ ধর্মনিরপেক্ষতা,কোথায় জাতিয়বাদিতা?
কোথায় মানবতা--- সবি যেন আজ ইতিহাসের আস্তাকুড়ে হারিয়ে গেল।
দিশেহারা জাতির সামনে আজ শুধু সয়তানের নগ্ন ভাওতা।
হে দুর্ভাগা দেশ আমার, তোমার ভবিষ্যত দেখতে পাই গভির অন্ধকারে//
স্বাধিনতার পরবর্তি এবং ১৫ই আগষ্টের পুর্ববর্তি দিনগুলি------
আমরা সবাই জানি আমাদের এই দেশটা চুড়ান্ত বিজয় লাভ করেছিল ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেন্বরে। তখন আমরা বাংলার মুক্ত আকাশে কল্লোল কলরবে উড়িয়ে দিয়েছিলাম স্বাধিনতার লাল সবুজের রক্তিম ঝান্ডা।কিন্তু তখনো যেন আমরা কিসের অভাব বোধ করছিলাম, আমাদের স্বাধিনতা যেন তখনো অসম্পুর্ন রয়ে গেল। কিসের জন্যে কার অভাবে এই অপুর্নতা?
হ্যাঁ তখনো আমাদের স্বাধিনতা অসম্পুর্ন রয়ে গেল কারণ, হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙ্গালী বাংলার অবিসংবাদিত নেতা ইতিহাসের মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমানের অনুপস্হিতে। জাতির জনক তখনো বর্বর পাকিস্তানীদের পিন্ডির কারাগারে বন্দি ছিলেন।
১৯৭২ সালের ১০ই জানুয়ারি জাতির জনক পিন্ডির কারগার থেকে মুক্তি লাভ করে লন্ডন দিল্লী হয়ে তার বহুদিনের লালিত স্বপ্নের বাংলাদেশে ফিরে এলেন এক ঘন আবেগ আপ্লুত পরিবেশে।নয়মাস রক্তক্ষয়ি যুদ্ধের পর ৩০লক্ষ শহীদের আত্মহুতি আর দুলক্ষাধিক মাবোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধিন বাংলাদেশের ধ্বংশজ্ঞের উপর দাঁড়িয়ে তিনি সোনার বাংলা গড়ে তোলার উদাত্ত আহব্বান জানালেন দেশ বাসির কাছে।
একটা সংসার কিংবা একটা ঘর তৈরি করতে যে কিছু নিয়ম নীতি এমন কি একটি আলপিনেরও যে প্রয়োজন পড়ে, এটা জাতির জনক ভালো করে জানতেন।তাই তো তিনি সুদুর প্রসারি চিন্তা ভাবনা করে প্রথমে প্রণয়ন করলেন সংবিধান। রাষ্ট্রের মুলনীতি মৌলিক কায়দা কানুন লিপিবদ্ধ করা হয় এই সংবিধানে।
কিন্তু হায় বিধি বাম-- !
একিবছর বঙ্গবন্ধুর হাতেগড়া বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সন্তানরা দ্বিধাভিবক্ত হয়ে বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের নামে জাসদ নামে একটি আজব দল গঠন করে হায়েনার মত শুরু করে দিলেন ধ্বংশস্তুপের উপর নৈরাজ্য।এমনকি বঙ্গবন্ধুর বিশিষ্ট বন্ধু আমাদের মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দানকারি মরহুম তাজ উদ্দিন আহম্মেদও গোপনে এই জাসদকে দিক্ নির্দেশনা দিতে লাগলেন। উল্লেখ্য ১৯৭২ সালের ৩০শে অক্টোবর তাজ উদ্দিনের বাসায় পুরো রাত ধরে জাসদের মেনপেস্ট তৈরি হয়ে ৩১শে অক্টোবর স্বাধিন বাংলার মাটিতে নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে জাসদ ঘোষিত হয় । আগুনের মশাল ছিল এই দলের প্রতিক।মশালের আলো ঘরে ঘরে জ্বালো এটা ছিল তার শ্লোগান।বৈজ্ঞানীক সমাজতন্ত্র দলের মুল আদর্শ।
কি নির্মম করুন আমাদের ইতিহাস। শুধু তাজ উদ্দিন নয় খুনি মোস্তাক তাহের উদ্দিন ঠাকুর, স্বাধিনতা বিরোধি দেশি বিদেশি শক্তি কায়েমি সার্থবাদীরা জাসদের প্লাটফর্মে একত্রিত হয়ে শুধু বঙ্গবন্ধু নয় পুরো জাতিকে এক বিভ্রান্ত পরিস্হিতির মধ্যে ফেলে দেয়।পরিশেষে খুনি জিয়া মোস্তাক ডালিম রশিদ ফারুক চক্র জাতির জনককেই সপরিবারে নির্মম ভাবে চিরতরে সরিয়ে দেয়। মুলত এই জাসদই বঙ্গন্ধুকে হত্যার ক্ষেত্র তৈরি ও নষ্টের মুল। তারা কষ্টার্জিত স্বাধিনতাকে পুনরায় পাকিস্তানীদের হাতে তুলে দিতে ব্যর্থ হলেও কায়েম করে পাকিস্তানি ভাবধারার ইসলামি মৌলবাদি রাষ্ট্র।তারা বাংলাকে বানাতে চেয়েছিল বাংলাস্হান।চলতে লাগলো স্বাধিন বাংলা উল্ট পথে উল্ট রথে।
কি দুর্ভাগ দেশ আমার, কি দুর্ভাগ্য আমাদের!
হায়রে জাসদের উদভ্রান্ত দিকভ্রান্ত কুলাঙ্গার নেতারা তোমরা আজো ভাসছ ইতিহাসের মহাসমূদ্রে তৃনলতার মত । কোথায় সাজাহান কোথায় রব ইনু আম্বিয়া বাদলরা কোথায় তোমাদের তাত্বিক গুরু সিরাজুল আলম খান।কোথায় কর্নেল তাহের মেজর জলিল।সবাই আজ ইতিহাসের আস্তাকুড়ে আবর্জনার স্তুপে। তোমাদের শক্তি সামর্থ জ্ঞান প্রজ্ঞা তুলে দিয়েছ মূর্খ আর অশিক্ষিত জালিমের হাতে। অতচ তোমরাই ছিলে ইতিহাসের মহা নায়কের পাশে প্রথম সারির নেতা সৈনিক কিংবা বীর মুক্তিযোদ্ধা।স্বৈরশাসক জিয়ার স্বাধিনতার ঘোষনা পাঠের চেয়েও বিরত্তগাঁথা ছিল স্বাধিনতার ইশতেহার পাঠ আর পতাকা উত্তলন।
১৫ই আগষ্টের পরবর্তি দৃশ্য-------
জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সকালের সোনালি সূর্যের মত স্পষ্ট হয়ে যায় বঙ্গবন্ধু হত্যার মুল নায়ক বা গডফাদার মোস্তাক জিয়া চক্র ।
বিদেশি সংবাদিকের কাছে দেওয়া স্বঘোষিত খুনি ফারুক রশিদের শিকারোক্তি মুলক ইন্টারভিউতেও তাহা প্রমানীত হয়।
খুনি মোস্তাক নিজেকে স্বঘোষিত রাষ্ট্রপতি ঘোষনা করলেও মুল বলয় শক্তি ছিল জিয়ার হাতে। রাতারাতি জিয়া সেনা বাহিনীর সামান্য একজন মেজর থেকে সেনা প্রধান বনে যান।তারপর হলেন স্বঘোষিত রাষ্ট্রপতি।
বাংলাদেশ সেনা বাহিনীতে সবচেয় মুর্খ অশিক্ষিত ও অসভ্য ছিল এই জেনারেল জিয়া---
তৎকালিন পাকিস্তানি আর্মির মধ্যে ২৩টা র্যাং এর মধ্যে নীচের সারির র্যাং গুলির মধ্যে বেশ কয়টা র্যাং ছিল মেজর র্যাং এর। যেমন হাবিলদার মেজর সুবেদার মেজর ইত্যাদি।এই সব মেজররা বেশিরভাগই ছিল নিম্ন শিক্ষিত।জিয়াও ছিল তেমনি একজন।এই জিয়ার শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং বয়স বংশ পরিবার সবকিছুই ভূয়াও ভূলভাবে উপস্হাপন করা হয়েছে।স্বাধিনতার পরে বঙ্গবন্ধুই জিয়াকে এক বছরে তিনবার প্রমোশন দিয়ে ডিপুটি মেজর জেনারেল বানাইয়েছিল।এই জিয়াই বঙ্গবন্ধুর সামনে কোরআন সফত করে বলেছিল কোনদিন বেঈমানী করবেনা জাতির পিতার সাথে । অতচ !
জাতির কি দুর্ভাগ্য !
এই জিয়াই মিরজাপরের মত জাতির সাথে বেঈমানী করে খুনের নেশায় মেতে উঠেছিল। বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে নির্মম ভাবে হত্যা করার পর তারই বিশিষ্ট বন্ধু এবং তার প্রাণ রক্ষাকারি পাঁ হারানো পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা সেক্টর কমান্ডার কর্নেল তাহেরকে প্রহসনের বিচারে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করতে একটুও কুন্ঠাবোধ করলো না এই নিকৃষ্ট স্বৈরচার ।
মুর্খ এই জিয়া মাফিয়া সর্দারের মত চোখে কালো চশমা লাগিয়ে প্রতিপক্ষ ভেবে জল্লাদের মত একে একে হত্যা করলো নির্দোষ প্রায় দেড় হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধা অফিসারকে।তারপর নিজের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে বহুদলীয় গনতন্ত্রের নামে রাজকোষের কুঠি কুঠি টাকা খরচ করে ঘটন করলেন একটি রাজনৈতিক প্লাটফরম। কি ভয়ানক মুর্খ যার কাজ উর্দি পরে মাঠে লেপ রাইট লেপ রাইট করা, সেই নাকি আবার রাজনৈতিক দল ঘটন করলো। এটাও সম্ভব হলো সদ্য স্বাধিন হওয়া শিশু এই পলি মাটির বাংলাদেশে।তার এই প্লাটফরমেই স্হান হয় রাজনীতির সব পরিত্যক্ত পরিত্যজ্য আগাছা আর আবর্জনাদের।তার সাথে আবার সংযুক্ত হয় লম্বা কানওলা কিছু গর্ধব।
মুর্খ জিয়া একাই সবকিছু। নিজে সেনা প্রধান নিজে রাষ্ট্রপতি।অতচ নিজে বাংলাভাষায় কথাই বলতে পারতনা। মশিউর রহমান যাদুমিঞা নামে এক স্বাধিনতা বিরোধি জিয়াকে বাংলায় বক্তিতা দেওয়া শিখায়েছেন।এবং তার নির্দেশেই শিঙ্গাপুর থেকে কুঠি কুঠি টাকা খরচ করে কালো চশমা ও বেলবর্টম টিসার্ট পরায়ে ছবি তোলায়ে আনেন। যাতে বক্তিতার পরিবর্তে প্রচার প্রপাগান্ডা চালানো যায়।ধোকা দেওয়া যায় এদেশে হতভাগা নিরীহ মানুষদের । এই কালো চশমা পরে এই মাফিয়া ডন বিভিন্ন রাষ্ট্রিয় চপরেও যান।
অন্যদিকে জাতিকে ঘুম পাড়ায়ে রাখা হয় একজিবিসনের নামে যাত্রা সার্কাসে প্রিন্সেস লাকি খান আর জরিনার নগ্ন নাচ দেখায়ে।লুট করা হয় খেটে খাওয়া মানুষের জমানো দুচার পয়সা।এই গুলি ছিল স্বৈরচার জিয়ার বহুদলীয় গনতন্ত্রের মুল বৈশিষ্ট।কুঠি কুঠি টাকা পকেট মানি দিয়ে আমেরিকা থেকে নিগ্র মুষ্টিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলীকে বাংলাদেশে এনে গনতন্ত্রের প্রচার করা হয়। সেটাও ছিল খুনি জিয়ার প্রপাগান্ডা ।হ্যাঁ না ভোটের আয়োজন করে এই কুলাঙ্গার স্বৈরচার বিংশ শতাব্দীর ইতিহাসে নজির বিহীন দৃষ্টান্ত স্হাপন করলো ।লজ্জা শরম হায়া বলতে বিন্দুমাত্রও তার মধ্যে ছিল না।
মুলত ১৯৭৫ সালের পর থেকেই বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে আদর্শ উদারতা সাম্যমৈত্রি সমযোতা ভ্রাতৃত্ববোধ সুষ্ট ন্যায়নীতির রাজনীতি সব কিছুই বিলুপ্ত হয়ে গেছে।কায়েমি সার্থবাদী সুবিধাবাদী কালোবাজারি ঘুষখোর দুর্নীতিবাজ লুটেরা কৃত্তিম নকল বুদ্ধিজীবি আমলা কেরানি প্রফেসার ডাক্তার উকিল বারিষ্টার প্রকোশলি শিক্ষিত অশিক্ষিত গুষ্টি ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারি মুচি চামার মেথর মালিরাও কেন্টরমেন্টে জন্ম নেওয়া বিএনপি নামের প্লাটফর্মে জায়গা পেয়ে বহুদলীয় গনতন্ত্রের নামে রাতারাতি অর্থবিত্ত বৈভবের মালিক হয়ে শক্তিও সামর্থ আহরন করে বানরের মত আদর্শের রাজনীতিকে লাল শিশ্ন দেখাতে লাগলো।
উন্নত আদর্শের রাজনীতি আর বিকশিত গনতন্ত্র বলতে আমার প্রিয় সোনার এই বাংলাদেশে কিছুই নাই।আছে শুধু দুর্বৃত্তের রাজনীতি।
মৌলবাদী যুদ্ধাপরাধি মানবতা বিরোধি অপরাধি স্বাধিনতার বিপক্ষ শক্তি সমবেত হয়ে তারা আজ এক অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে স্বাধিন বাংলার স্বপ্ন ও সম্ভাবনাময় সোনালী ভবিষ্যতকে। আজ বাংলার শিক্ষা শান্তি সংস্কৃতি প্রথা প্রিতি সভ্যতা ভদ্রতা নম্রতা ধর্মপরাণয়তা সবকিছুই সংকটের মুখে পতিত হয়েছে।সবকিছুতেই আজ ভূয়া আর ভেজালের চড়াচড়ি।ডাক্তার প্রফেসার আলিম ওলেমা প্রকৌশলি উকিল বারিষ্টার অনেকেরই সার্টিপিকেট ভেজাল আর ভূয়াতে ভরা, শিক্ষায় দীক্ষায় খাদ্যদ্রব্যে সব কিছুতেই ভেজাল।সর্বক্ষেত্রেই দুর্নীতি করপসান।
প্রগতিশীলরা আজ একরকম খচ্চরে পরিণত হয়েছে। না গাধা না ঘোড়া--তার নামই হলো খচ্চর ।কেউ কেউ অবশ্য জিয়ার বিষবৃক্ষের মনোরম ছায়ায় গিয়ে বুর্জ্যোয় পেটি বুর্জ্যোয়া হয়ে মাথা মোটা করেছে।তাদের মাথায় দেখি আজ সুন্নাহর কারুকাজ করা টুপি। তারাও আজ আকবরি আর ওমরা হজ্বে যায়।
কি বৈচিত্র কত সুন্দর সৃজনশিল তারা, নাস্তিকের খেতাবে ভুসিত ছিল এক সময় যারা।
১৯৮১ সালের ৩০শে মে জিয়ার নির্মম হত্যার পরবর্তি সময়-----
লোকমুখে শুনা এবং প্রচলিত একটি সত্য কথা,
পার্থিব জীবনেই মানুষের কৃতকর্ম গুনাহ এবং অপরাধের বিচার হয়ে যায়।
তার জলন্ত প্রমান এই জেনারেল জিয়া।
চট্ট্রগ্রাম সার্কিট হাউজে ব্রাসফায়ারে নিহত জিয়ার লাশ নাকি ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। অজ্ঞাত কারো লাশের ছিন্নভিন্ন তুলে এনে নাকি ঢাকার চন্দ্রিমা উদ্যানে দাপন করা হয়।
তারপর আবার পাল্টে যায় অন্য রকম এই বাংলার দৃশ্যপট।
সে যাই হউক এক বছরের মাথায় বিচারপতি আব্দুর ছাত্তারকে বন্দুকের নল দেখায়ে জেনারেল এরশাদ ক্ষমতা দখল করে নিয়ে আবার জনজীবন দুর্বিসহ করে তুললো।জারি করলো সামরিক আইন মার্শাল ল ।
কি দুর্ভাগ্য স্বদেশ আমার।
এই স্বৈরশাসক খুনি জিয়ার পদাঙ্কনুসরণ করে জাতীয় পার্টি নামে আরেকটি পার্টি গঠন করে শুরু করে দিল বেলাল্লাপনা ও লম্পটাপনা।শুরু করে দিল দুর্বৃত্তায়নের পল্টি খাওয়া বি- রাজনীতি।আবার রাজকোষের কুঠি কুঠি টাকার অপচয়।জনগনের ফিৎরা জাকাত বিদেশ থেকে আগত রিলিপের টাকা নিয়ে লুটপাট বিরাজনীতির উত্থান পর্ব শুরু করে দিল এই বহিরাগত স্বৈরাচার। দীর্ঘ নয় বছর জগদ্দল পাথরের মত ক্ষমতার মসনদে চেপে বসেছিল এই স্বৈরচার।এই স্বৈরচার এরশাদ পাকিস্তানের আরেক স্বৈরচার জিয়াউল হকের সাথে আঁতাত করে খোদ পাকিস্তানে নিশান খেতাবে ভূসিত হয়ে সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম জুড়ে দিয়ে শুরু করে দিল ইসলামী পক্রিয়াকরন ।
অতচ একটা মুসলিম প্রধান দেশে ঘরে নিজের স্ত্রি থাকতে সে নিজেই করতে থাকলো প্রকাশ্যে নারীবাজি। কি আজব কি দুর্ভাগ্য আমাদের! মধ্য ফেব্রুয়ারীতে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পানি বিক্রেতা বাদশা নামের এক কিশোরকে গুলি করে হত্যার পর থেকে শুরু করে শত শত নিরীহ মানুষকে হত্যা করে অবশেষে নুর হোসেন, ডাক্তার মিলনের হত্যার মাধ্যমে ১৯৯০ সালের ৬ই ডিসেম্বর পতন হয় এই নিকৃষ্ট স্বৈরচারের।
বাংলাদেশে সর্বপ্রথম জঙ্গিবাজের উত্থান হয় এই স্বৈরচারের হাত ধরেই। এরশাদই প্রথম আফগানি মুজাহীদ কমান্ডার হেকমতিয়া গুলবদনকে বাংলাদেশে আসার সুজোগ করে দেয়।
তারপর উত্থান হয় খুনি জিয়ার বিধবা পত্নি খালেদার -----
জিয়ার চেয়েও মুর্খ অশিক্ষিত গৃহবধু এই খালেদা খানম ওরফে পুতুল । শিক্ষায় দীক্ষায় নাকি মাত্র অষ্ট শ্রেণী পাশ।হায় স্বদেশ ষোল কোটি মানুষ হতাশ! কিছু করার নাই!
কি দুর্ভাগ্য আমাদের হে দুর্ভাগা দেশ --!
ছবিতে খালেদার নোংরা বেলাল্লাপনা--হায় আল্লাহ-!একটা মুসলিম দেশে এটাও কি সম্ভব! কোথায় ফতুয়াবাজ ধর্ম ব্যবসায়িরা।কেন দোররা কিংবা পাথর মেরে হত্যা করা হচ্ছে না এই পাপিষ্ট নারীকে?
এক রকম অলৌকিক ভাবেই কেমন যেন এক দৈববলে ক্ষমতার পাদপ্রদিপে চলে এল খুনি জিয়ার ৩০-৩৫ বছরের জোয়ান বিধবা পত্নি খালেদা জিয়া।মুসলিম নরনারির বিয়েশাদি করে বৈধ ভাবে বাস করার বিধান থাকলেও তিনি তার তোয়ক্কা না করে ধর্মীয় বিধিবিধান না মেনে প্রকাশ না করেই একদিকে শুরু করে দিলেন বেলাল্লাপনা, পরপুরুষের সাথে অবৈধ মেলামেশা,যদিও ৯০ দশকের প্রথমদিকে ফালুর সাথে তার বিবাহের কাবিন নাম প্রকাশিত হয়েছি বিভিন্ন মেগাজিনে।
অপরদিকে শুরু করলেন দুর্বৃত্তায়নের রাজনীনীতি মানে বিরাজনীতি।
বিদেশের হোটেল রোস্তঁরায় ক্লিনারে চাকুরি করা কাজের লোকেরা জিয়ার রোপন করা বিষবৃক্ষের তলে সমবেত হয়ে রাতারাতি বনে গেলেন হাজার হাজার কুঠি টাকার মালিক। স্বাধিনতা বিরোধি চক্রও আজ মন্ত্রি মিনিষ্টার হয়ে অসুভ শক্তিও সামর্থের অধিকারি হয়ে দানবের মত মোটা হয়ে দাঁড়ায়েছে। কেরানী আমলা পিয়ন বাজারের তোলা তোলার লোক ভাতমরা শিল্পি সংবাদিক কেউ কেউ আজ দোকান পাট সফিং মল উঁচেল বাড়ি দামি গাড়ির মালিক বনে গেছেন। সবাই আজ নামে-বেনামে অঢেল গাড়ি বাড়ি সহায় সম্পত্তির মালিক। সবাই আজ এদেশের হোমরা চোমরা।
ভাতে মরে জাতির বীর সন্তান মুক্তিযোদ্ধারা। গুলি খেয়ে মরে সারের দাবিতে রুগ্ন কৃষক।বিজলির দাবিতে মরে সাধারণ মানুষ।
খালেদার ছোট ছেলে কোকোও নাকি অস্ট্রেলিয়ায় হোটেলে ক্লিনারের কাজ করে জিবিকা নির্বাহ করতো।। আজ সেও হাজার কুঠি টাকার মালিক। কি আজব এই দেশ।কালোবাজারি ব্যবসায়ি আমলা ঠিকাদার দুষ্ট মাফিয়া চক্রের সবাই আজ রাষ্ট্রিয় মালিকানায় আমদানি রপ্তানি সর্বক্ষেত্রে লুটপাট করে কোড়পতি বনে গেছে। বাংলাদেশের সকল সম্ভাবনা আজ এই দুষ্ট মাফিয়া চক্রের হাতে কুক্ষিগত ও বন্দি হয়ে পড়েছে।তারা লুটপাট করে দুর্নীতিতে ৫বার বাংলাদেশকে চ্যম্পিয়ান বানিয়েছে।
খালেদার বড় ছেলে তারেক রহমান ও হাওয়া ভবন বানিয়ে হাজার হাজার কুঠি টাকার মালিক হয়ে দেশে বিদেশে অঢেল সম্পত্তি গড়ে তুলেছে কোন এক অদৃশ্য যাদুর বলে।হাওয়া ভবন বানিয়ে দুর্নীতির আখড়া বানিয়ে মাফিয়ার সর্ঘরাজ্য বানিয়েছিল এই দেশকে। ধরাপড়া ১০ ট্রাক অস্ত্র একট্রাক গুলি অস্ত্র ব্যবসায়িরা চোরাই পথে এদেশে আনতে সক্ষম হয়।যার সাথে তারেক জিয়া যে জড়িত তা প্রমাণিত সত্য।২১শে আগষ্টে গ্রেনেট বোমা হামলা করে কি তান্ডবই না তারা করেছিল। বিশ্বের ইতিহাসে তা নজির বিহিন ঘটনা।তার সাথেও এই হাওয়া ভবন জড়িত ছিল।
খালেদার পর এল শেখ হাসিনার পর্ব-----
অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে পিতামাতা ভাই সজন পরিজন হারিয়ে, দীর্ঘ ২১টি বছর পরে তিনি ক্ষমতায় এলেন।ততদিনে পাল্টে গেছে বাংলার পানোরমা।অসুভ শক্তির দানবরা তখন কোরবাণীর গরুর মত মোটাতাজা হয়ে গেছে।
আমাদের প্রতিবেশি দেশ ভারতের জনপ্রিয় প্রধান মন্ত্রি নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশে রাষ্ট্রিয় চপরে বেড়াতে এসে বললেন--
বঙ্গবন্ধু বাঙ্গালী জাতিকে স্বাধিনতা এনে দিয়ে গেলেন--আর সেই স্বাধিনতাকে রক্ষা করলেন বঙ্গবন্ধুরই রক্তের আত্মজা বঙ্গ কন্যা শেখ হাসিনা।
বঙ্গ কন্যা উপাধিটা আমি নিজ থেকেই দিলাম।
কারণ এই উপাধি--টা তার প্রপ্য। তিনি ইতি মধ্যে মাদার অব হিউমানিটি সহ দেশি বিদেশি অসংখ্য উপাধি ও পুরষ্কারে ভূসিত হয়েছেন,এটা বাঙ্গালী জাতির জন্য সোভাগ্য। ও গর্বের বিষয়।
খালেদা জিয়ার দুর্শাসনে এক মহা ঝঞ্জার্টের স্তুপ সৃষ্টি হয়েছিল আমাদের এই বাংলাদেশে।অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ছিল কম,রিজার্পের পরিমান৮-৯ হাজার কোটি টাকা মাত্র।গ্যাস বিদ্যুত পানি নিত্য পর্নদ্রর্বের দাম ছিল উর্দগতি।সর্বক্ষেত্রে অবাধে চলছিল দুর্নীতি।জঙ্গিাবাজ সন্ত্রাসি চাঁদাবাজরা দুর্বিসহ করে তুলেছিল জনজীবন।
শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে শক্ত হাতে ও দৃঢ় চিত্বে এই সব ঝঞ্জার্ট সরানোর কাজে মনোনিবেশ করলেন ।তিনি বঙ্গবন্ধুর হত্যায় জড়িত স্বঘোষিত খুনিদেরকে ধরে বিচারের আওতায় আনলেন । দ্বিতীয় মেয়াদে এসে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করলেন ফাঁসির কাষ্টে ঝুলিয়ে।। যুদ্ধাপরাধি ও মানবতা অপরাধিদেরকেও ফাঁসির কাষ্টে ঝুলিয়ে বিচার করে জাতিকে কিছুটা হলেও কলঙ্কমুক্ত করলেন।তিনি শক্ত হাতে দমন করলেন জঙ্গিবাজ সন্ত্রাসবাজকে।অপশক্তি ও দুষ্টচক্ররা ষড়যন্ত্র করে বার বার চেষ্টা করেছিল দেশে অশান্তি সৃষ্টি করে তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করার।দুষ্কৃতি কারিরা পুরোপুরি সফল না হলেও ক্ষতি হয়েছে অনেক। পিলখানার হত্যাযজ্ঞ গুলশান হোটেলে জঙ্গি হামলায় ২২জন বিদেশি নাগরিক হত্যা উল্লেকযোগ্য।
তিনি ক্ষমতায় এসে আন্তঃর্জাতিক আদালতে মামলা করে বার্মা ও ভারতের সাথে সমুদ্র সমস্যা সমাধান করলেন। ভারতের সাথে দীর্ঘ ৬০ বছর ঝুলে থাকা সিমান্ত সমস্যা মিমাংসা করে চিটমহল বাসির মুখে আনন্দ ফোটালেন।পুর্ববর্তি কোন সরকার এই সব ব্যাপারে কোনদিন একটু চিন্তা ভাবনা বা মুখেও তোলেননি। শেখ হাসিনা সুকৌশলে সুদুর প্রসারি চিন্তা ভাবনা করে তা করতে সক্ষম হলেন। তিনি জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা। জাতির জনক যেমনি দেশটা স্বাধিন হবার পরই মৌলিক অবকাঠামো স্হাপন করতে হাত দিলেন।কিন্তু ঘাতকের বুলেটের কারণে কিছু কাজ অসম্পুর্ন থেকে যায়।শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে জাতির জনকের অসম্পূর্ন কাজটি সম্পর্ন করে যাচ্ছেন।
বিশ্বব্যাংককে চ্যালেঞ্জ করে নিজস্ব অর্থে পদ্মা সেতু নির্মান কাজ শুরু করে দিয়ে বিশ্বকে তিনি তাক লাগায়ে দিলেন।রাশিয়ার সাথে রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্র হাই ওয়ে, প্লাইওভার, গভির সমুদ্র বন্দর মিলকারখানা ডিজিটেল বাংলাদেশ গড়া ও সামগ্রিক অবকাঠাম উন্নয়ের মহাসড়কে আজ বাংলাদেশ।কোন মতেই অশ্বিকার করা যায়না,সামাজিক সুচকেও সর্বক্ষেত্রে প্রতিবেশি রাষ্ট্রগুলির চেয়ে বাংলাদেশ অনেক উপরে।
খালেদা জিয়ার রেখে আসা ৩হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত থেকে আজ প্রায় ১৭ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন হচ্ছে। রিজার্পের ৯ হাজার কোটি থেকে আজ প্রায় ৩৪ হাজার কোটি টাকা। মাথাপিচু ৪৫০ ডলার থেকে উন্নতি হয়ে আজ ১৬১০ টাকা।এই সবি আন্তঃর্জাতিক পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে। চাকুরি জীবিদের বেতন দ্বিগুন করা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা বাড়ানো বয়স্ক ভাতা চালু করা শেখ হাসিনা সরকারের অনন্য দুষ্টান্ত।
শেখ হাসিনা সরকারের যেমন সাফল্য আছে অনেক, তেমনি ব্যর্থতাও আছে অনেক।একথা অশ্বিকার করা যাবে না। আমি নিজেই নির্বাক হয়ে গিয়েছি।যখন শুনলাম বাংলাদেশ ব্যাং থেকে ৮১ মিলিয়ন ডলার হ্যাকাররা হ্যাক করে নিয়ে গেছে ফিলিপাইনে। আমি নির্বাক হয়েছি যখন শেয়ার মার্কেট থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়ে গেছে। বেসিক ব্যাং ও সোনালি ব্যাংকের একটি শাখা থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা তুলে নিয়ে গেল দুর্বুত্তরা । এই সব গঠনা গুলিই এই সরকারের চরম ব্যর্থতা হিসেবে আমি মনে করি।
পরিশেষে আমি বলবো, মাননীয় প্রধান মন্ত্রি জননেত্রি শেখ হাসিনা যাকিছু করেছেন তা ইতিহাসের পাতায় মাইল ফলক হয়ে থাকবে সত্যি ।তবে একটা আদর্শ রাষ্ট্র ও উন্নত সমাজ ব্যবস্হা গঠনের জন্য এটা মোটেও যতেষ্ট নয়।একটি আদর্শ রাষ্ট্র ও উন্নত সমাজ ব্যবস্হা গড়ে তুলতে হলে মৌলিক গনতন্ত্র প্রতিষ্টিত করতে হবে। সুশাসন,জবাবদিহীতা,সুচিকিৎসা সুশিক্ষা মানুষের জানমালের হেফাজত,অন্ন বস্ত্র বাসস্হান সুপেয় পানি সহ মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলি পুরণের মাধ্যমেই একমাত্র একটি আদর্শ রাষ্ট ও উন্নত সমাজ ব্যবস্হা গড়ে তোলা সম্ভব।
বলা বাহুল্য বাংলাদেশ আজ সেই লক্ষ থেকে অনেক দুরে।উল্টোপথে চলছে বাংলাদেশ। একদল চরিত্রহীন লোভি মাফিয়া চক্র ওদুর্বৃত্তের হাতে আজ বন্দি হে আমার দুর্ভাগা দেশ! তোমার অনাগত ভবিষ্যৎ।
নোংরা খেলার খালি মাঠে সবাই জিতে যায় শুধু গোল করে করে//
স্বাধিনতা এল সবাই নেতা বনে গেল, প্লাজো পেন্ট,লম্বা কলারের সার্ট,
লম্বা চুল মাঝখানে টিকটিকি শরির,উপোস নেতা চুঙ্গা ফুঁ নেতা কত কি দেখলাম?
নেতা মরে যাবার পরে এদেশে আজ নেতার জন্মই বন্ধ হয়ে গেল।
কি আজব হয়ে গেল হায়! হে দুর্ভাগা দেশ আমার!
কোথায় আজ গনতন্ত্র, কোথায় সমাজতন্ত্র,
কোথায় আজ ধর্মনিরপেক্ষতা,কোথায় জাতিয়বাদিতা?
কোথায় মানবতা--- সবি যেন আজ ইতিহাসের আস্তাকুড়ে হারিয়ে গেল।
দিশেহারা জাতির সামনে আজ শুধু সয়তানের নগ্ন ভাওতা।
হে দুর্ভাগা দেশ আমার, তোমার ভবিষ্যত দেখতে পাই গভির অন্ধকারে//
স্বাধিনতার পরবর্তি এবং ১৫ই আগষ্টের পুর্ববর্তি দিনগুলি------
আমরা সবাই জানি আমাদের এই দেশটা চুড়ান্ত বিজয় লাভ করেছিল ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেন্বরে। তখন আমরা বাংলার মুক্ত আকাশে কল্লোল কলরবে উড়িয়ে দিয়েছিলাম স্বাধিনতার লাল সবুজের রক্তিম ঝান্ডা।কিন্তু তখনো যেন আমরা কিসের অভাব বোধ করছিলাম, আমাদের স্বাধিনতা যেন তখনো অসম্পুর্ন রয়ে গেল। কিসের জন্যে কার অভাবে এই অপুর্নতা?
হ্যাঁ তখনো আমাদের স্বাধিনতা অসম্পুর্ন রয়ে গেল কারণ, হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙ্গালী বাংলার অবিসংবাদিত নেতা ইতিহাসের মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমানের অনুপস্হিতে। জাতির জনক তখনো বর্বর পাকিস্তানীদের পিন্ডির কারাগারে বন্দি ছিলেন।
১৯৭২ সালের ১০ই জানুয়ারি জাতির জনক পিন্ডির কারগার থেকে মুক্তি লাভ করে লন্ডন দিল্লী হয়ে তার বহুদিনের লালিত স্বপ্নের বাংলাদেশে ফিরে এলেন এক ঘন আবেগ আপ্লুত পরিবেশে।নয়মাস রক্তক্ষয়ি যুদ্ধের পর ৩০লক্ষ শহীদের আত্মহুতি আর দুলক্ষাধিক মাবোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধিন বাংলাদেশের ধ্বংশজ্ঞের উপর দাঁড়িয়ে তিনি সোনার বাংলা গড়ে তোলার উদাত্ত আহব্বান জানালেন দেশ বাসির কাছে।
একটা সংসার কিংবা একটা ঘর তৈরি করতে যে কিছু নিয়ম নীতি এমন কি একটি আলপিনেরও যে প্রয়োজন পড়ে, এটা জাতির জনক ভালো করে জানতেন।তাই তো তিনি সুদুর প্রসারি চিন্তা ভাবনা করে প্রথমে প্রণয়ন করলেন সংবিধান। রাষ্ট্রের মুলনীতি মৌলিক কায়দা কানুন লিপিবদ্ধ করা হয় এই সংবিধানে।
কিন্তু হায় বিধি বাম-- !
একিবছর বঙ্গবন্ধুর হাতেগড়া বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সন্তানরা দ্বিধাভিবক্ত হয়ে বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের নামে জাসদ নামে একটি আজব দল গঠন করে হায়েনার মত শুরু করে দিলেন ধ্বংশস্তুপের উপর নৈরাজ্য।এমনকি বঙ্গবন্ধুর বিশিষ্ট বন্ধু আমাদের মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দানকারি মরহুম তাজ উদ্দিন আহম্মেদও গোপনে এই জাসদকে দিক্ নির্দেশনা দিতে লাগলেন। উল্লেখ্য ১৯৭২ সালের ৩০শে অক্টোবর তাজ উদ্দিনের বাসায় পুরো রাত ধরে জাসদের মেনপেস্ট তৈরি হয়ে ৩১শে অক্টোবর স্বাধিন বাংলার মাটিতে নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে জাসদ ঘোষিত হয় । আগুনের মশাল ছিল এই দলের প্রতিক।মশালের আলো ঘরে ঘরে জ্বালো এটা ছিল তার শ্লোগান।বৈজ্ঞানীক সমাজতন্ত্র দলের মুল আদর্শ।
কি নির্মম করুন আমাদের ইতিহাস। শুধু তাজ উদ্দিন নয় খুনি মোস্তাক তাহের উদ্দিন ঠাকুর, স্বাধিনতা বিরোধি দেশি বিদেশি শক্তি কায়েমি সার্থবাদীরা জাসদের প্লাটফর্মে একত্রিত হয়ে শুধু বঙ্গবন্ধু নয় পুরো জাতিকে এক বিভ্রান্ত পরিস্হিতির মধ্যে ফেলে দেয়।পরিশেষে খুনি জিয়া মোস্তাক ডালিম রশিদ ফারুক চক্র জাতির জনককেই সপরিবারে নির্মম ভাবে চিরতরে সরিয়ে দেয়। মুলত এই জাসদই বঙ্গন্ধুকে হত্যার ক্ষেত্র তৈরি ও নষ্টের মুল। তারা কষ্টার্জিত স্বাধিনতাকে পুনরায় পাকিস্তানীদের হাতে তুলে দিতে ব্যর্থ হলেও কায়েম করে পাকিস্তানি ভাবধারার ইসলামি মৌলবাদি রাষ্ট্র।তারা বাংলাকে বানাতে চেয়েছিল বাংলাস্হান।চলতে লাগলো স্বাধিন বাংলা উল্ট পথে উল্ট রথে।
কি দুর্ভাগ দেশ আমার, কি দুর্ভাগ্য আমাদের!
হায়রে জাসদের উদভ্রান্ত দিকভ্রান্ত কুলাঙ্গার নেতারা তোমরা আজো ভাসছ ইতিহাসের মহাসমূদ্রে তৃনলতার মত । কোথায় সাজাহান কোথায় রব ইনু আম্বিয়া বাদলরা কোথায় তোমাদের তাত্বিক গুরু সিরাজুল আলম খান।কোথায় কর্নেল তাহের মেজর জলিল।সবাই আজ ইতিহাসের আস্তাকুড়ে আবর্জনার স্তুপে। তোমাদের শক্তি সামর্থ জ্ঞান প্রজ্ঞা তুলে দিয়েছ মূর্খ আর অশিক্ষিত জালিমের হাতে। অতচ তোমরাই ছিলে ইতিহাসের মহা নায়কের পাশে প্রথম সারির নেতা সৈনিক কিংবা বীর মুক্তিযোদ্ধা।স্বৈরশাসক জিয়ার স্বাধিনতার ঘোষনা পাঠের চেয়েও বিরত্তগাঁথা ছিল স্বাধিনতার ইশতেহার পাঠ আর পতাকা উত্তলন।
জাতীয় চার নেতা |
১৫ই আগষ্টের পরবর্তি দৃশ্য-------
জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সকালের সোনালি সূর্যের মত স্পষ্ট হয়ে যায় বঙ্গবন্ধু হত্যার মুল নায়ক বা গডফাদার মোস্তাক জিয়া চক্র ।
বিদেশি সংবাদিকের কাছে দেওয়া স্বঘোষিত খুনি ফারুক রশিদের শিকারোক্তি মুলক ইন্টারভিউতেও তাহা প্রমানীত হয়।
খুনি মোস্তাক নিজেকে স্বঘোষিত রাষ্ট্রপতি ঘোষনা করলেও মুল বলয় শক্তি ছিল জিয়ার হাতে। রাতারাতি জিয়া সেনা বাহিনীর সামান্য একজন মেজর থেকে সেনা প্রধান বনে যান।তারপর হলেন স্বঘোষিত রাষ্ট্রপতি।
বাংলাদেশ সেনা বাহিনীতে সবচেয় মুর্খ অশিক্ষিত ও অসভ্য ছিল এই জেনারেল জিয়া---
তৎকালিন পাকিস্তানি আর্মির মধ্যে ২৩টা র্যাং এর মধ্যে নীচের সারির র্যাং গুলির মধ্যে বেশ কয়টা র্যাং ছিল মেজর র্যাং এর। যেমন হাবিলদার মেজর সুবেদার মেজর ইত্যাদি।এই সব মেজররা বেশিরভাগই ছিল নিম্ন শিক্ষিত।জিয়াও ছিল তেমনি একজন।এই জিয়ার শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং বয়স বংশ পরিবার সবকিছুই ভূয়াও ভূলভাবে উপস্হাপন করা হয়েছে।স্বাধিনতার পরে বঙ্গবন্ধুই জিয়াকে এক বছরে তিনবার প্রমোশন দিয়ে ডিপুটি মেজর জেনারেল বানাইয়েছিল।এই জিয়াই বঙ্গবন্ধুর সামনে কোরআন সফত করে বলেছিল কোনদিন বেঈমানী করবেনা জাতির পিতার সাথে । অতচ !
জাতির কি দুর্ভাগ্য !
এই জিয়াই মিরজাপরের মত জাতির সাথে বেঈমানী করে খুনের নেশায় মেতে উঠেছিল। বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে নির্মম ভাবে হত্যা করার পর তারই বিশিষ্ট বন্ধু এবং তার প্রাণ রক্ষাকারি পাঁ হারানো পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা সেক্টর কমান্ডার কর্নেল তাহেরকে প্রহসনের বিচারে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করতে একটুও কুন্ঠাবোধ করলো না এই নিকৃষ্ট স্বৈরচার ।
মুর্খ এই জিয়া মাফিয়া সর্দারের মত চোখে কালো চশমা লাগিয়ে প্রতিপক্ষ ভেবে জল্লাদের মত একে একে হত্যা করলো নির্দোষ প্রায় দেড় হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধা অফিসারকে।তারপর নিজের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে বহুদলীয় গনতন্ত্রের নামে রাজকোষের কুঠি কুঠি টাকা খরচ করে ঘটন করলেন একটি রাজনৈতিক প্লাটফরম। কি ভয়ানক মুর্খ যার কাজ উর্দি পরে মাঠে লেপ রাইট লেপ রাইট করা, সেই নাকি আবার রাজনৈতিক দল ঘটন করলো। এটাও সম্ভব হলো সদ্য স্বাধিন হওয়া শিশু এই পলি মাটির বাংলাদেশে।তার এই প্লাটফরমেই স্হান হয় রাজনীতির সব পরিত্যক্ত পরিত্যজ্য আগাছা আর আবর্জনাদের।তার সাথে আবার সংযুক্ত হয় লম্বা কানওলা কিছু গর্ধব।
মুর্খ জিয়া একাই সবকিছু। নিজে সেনা প্রধান নিজে রাষ্ট্রপতি।অতচ নিজে বাংলাভাষায় কথাই বলতে পারতনা। মশিউর রহমান যাদুমিঞা নামে এক স্বাধিনতা বিরোধি জিয়াকে বাংলায় বক্তিতা দেওয়া শিখায়েছেন।এবং তার নির্দেশেই শিঙ্গাপুর থেকে কুঠি কুঠি টাকা খরচ করে কালো চশমা ও বেলবর্টম টিসার্ট পরায়ে ছবি তোলায়ে আনেন। যাতে বক্তিতার পরিবর্তে প্রচার প্রপাগান্ডা চালানো যায়।ধোকা দেওয়া যায় এদেশে হতভাগা নিরীহ মানুষদের । এই কালো চশমা পরে এই মাফিয়া ডন বিভিন্ন রাষ্ট্রিয় চপরেও যান।
অন্যদিকে জাতিকে ঘুম পাড়ায়ে রাখা হয় একজিবিসনের নামে যাত্রা সার্কাসে প্রিন্সেস লাকি খান আর জরিনার নগ্ন নাচ দেখায়ে।লুট করা হয় খেটে খাওয়া মানুষের জমানো দুচার পয়সা।এই গুলি ছিল স্বৈরচার জিয়ার বহুদলীয় গনতন্ত্রের মুল বৈশিষ্ট।কুঠি কুঠি টাকা পকেট মানি দিয়ে আমেরিকা থেকে নিগ্র মুষ্টিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলীকে বাংলাদেশে এনে গনতন্ত্রের প্রচার করা হয়। সেটাও ছিল খুনি জিয়ার প্রপাগান্ডা ।হ্যাঁ না ভোটের আয়োজন করে এই কুলাঙ্গার স্বৈরচার বিংশ শতাব্দীর ইতিহাসে নজির বিহীন দৃষ্টান্ত স্হাপন করলো ।লজ্জা শরম হায়া বলতে বিন্দুমাত্রও তার মধ্যে ছিল না।
মুলত ১৯৭৫ সালের পর থেকেই বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে আদর্শ উদারতা সাম্যমৈত্রি সমযোতা ভ্রাতৃত্ববোধ সুষ্ট ন্যায়নীতির রাজনীতি সব কিছুই বিলুপ্ত হয়ে গেছে।কায়েমি সার্থবাদী সুবিধাবাদী কালোবাজারি ঘুষখোর দুর্নীতিবাজ লুটেরা কৃত্তিম নকল বুদ্ধিজীবি আমলা কেরানি প্রফেসার ডাক্তার উকিল বারিষ্টার প্রকোশলি শিক্ষিত অশিক্ষিত গুষ্টি ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারি মুচি চামার মেথর মালিরাও কেন্টরমেন্টে জন্ম নেওয়া বিএনপি নামের প্লাটফর্মে জায়গা পেয়ে বহুদলীয় গনতন্ত্রের নামে রাতারাতি অর্থবিত্ত বৈভবের মালিক হয়ে শক্তিও সামর্থ আহরন করে বানরের মত আদর্শের রাজনীতিকে লাল শিশ্ন দেখাতে লাগলো।
উন্নত আদর্শের রাজনীতি আর বিকশিত গনতন্ত্র বলতে আমার প্রিয় সোনার এই বাংলাদেশে কিছুই নাই।আছে শুধু দুর্বৃত্তের রাজনীতি।
মৌলবাদী যুদ্ধাপরাধি মানবতা বিরোধি অপরাধি স্বাধিনতার বিপক্ষ শক্তি সমবেত হয়ে তারা আজ এক অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে স্বাধিন বাংলার স্বপ্ন ও সম্ভাবনাময় সোনালী ভবিষ্যতকে। আজ বাংলার শিক্ষা শান্তি সংস্কৃতি প্রথা প্রিতি সভ্যতা ভদ্রতা নম্রতা ধর্মপরাণয়তা সবকিছুই সংকটের মুখে পতিত হয়েছে।সবকিছুতেই আজ ভূয়া আর ভেজালের চড়াচড়ি।ডাক্তার প্রফেসার আলিম ওলেমা প্রকৌশলি উকিল বারিষ্টার অনেকেরই সার্টিপিকেট ভেজাল আর ভূয়াতে ভরা, শিক্ষায় দীক্ষায় খাদ্যদ্রব্যে সব কিছুতেই ভেজাল।সর্বক্ষেত্রেই দুর্নীতি করপসান।
প্রগতিশীলরা আজ একরকম খচ্চরে পরিণত হয়েছে। না গাধা না ঘোড়া--তার নামই হলো খচ্চর ।কেউ কেউ অবশ্য জিয়ার বিষবৃক্ষের মনোরম ছায়ায় গিয়ে বুর্জ্যোয় পেটি বুর্জ্যোয়া হয়ে মাথা মোটা করেছে।তাদের মাথায় দেখি আজ সুন্নাহর কারুকাজ করা টুপি। তারাও আজ আকবরি আর ওমরা হজ্বে যায়।
কি বৈচিত্র কত সুন্দর সৃজনশিল তারা, নাস্তিকের খেতাবে ভুসিত ছিল এক সময় যারা।
১৯৮১ সালের ৩০শে মে জিয়ার নির্মম হত্যার পরবর্তি সময়-----
লোকমুখে শুনা এবং প্রচলিত একটি সত্য কথা,
পার্থিব জীবনেই মানুষের কৃতকর্ম গুনাহ এবং অপরাধের বিচার হয়ে যায়।
তার জলন্ত প্রমান এই জেনারেল জিয়া।
চট্ট্রগ্রাম সার্কিট হাউজে ব্রাসফায়ারে নিহত জিয়ার লাশ নাকি ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। অজ্ঞাত কারো লাশের ছিন্নভিন্ন তুলে এনে নাকি ঢাকার চন্দ্রিমা উদ্যানে দাপন করা হয়।
তারপর আবার পাল্টে যায় অন্য রকম এই বাংলার দৃশ্যপট।
সে যাই হউক এক বছরের মাথায় বিচারপতি আব্দুর ছাত্তারকে বন্দুকের নল দেখায়ে জেনারেল এরশাদ ক্ষমতা দখল করে নিয়ে আবার জনজীবন দুর্বিসহ করে তুললো।জারি করলো সামরিক আইন মার্শাল ল ।
কি দুর্ভাগ্য স্বদেশ আমার।
এই স্বৈরশাসক খুনি জিয়ার পদাঙ্কনুসরণ করে জাতীয় পার্টি নামে আরেকটি পার্টি গঠন করে শুরু করে দিল বেলাল্লাপনা ও লম্পটাপনা।শুরু করে দিল দুর্বৃত্তায়নের পল্টি খাওয়া বি- রাজনীতি।আবার রাজকোষের কুঠি কুঠি টাকার অপচয়।জনগনের ফিৎরা জাকাত বিদেশ থেকে আগত রিলিপের টাকা নিয়ে লুটপাট বিরাজনীতির উত্থান পর্ব শুরু করে দিল এই বহিরাগত স্বৈরাচার। দীর্ঘ নয় বছর জগদ্দল পাথরের মত ক্ষমতার মসনদে চেপে বসেছিল এই স্বৈরচার।এই স্বৈরচার এরশাদ পাকিস্তানের আরেক স্বৈরচার জিয়াউল হকের সাথে আঁতাত করে খোদ পাকিস্তানে নিশান খেতাবে ভূসিত হয়ে সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম জুড়ে দিয়ে শুরু করে দিল ইসলামী পক্রিয়াকরন ।
অতচ একটা মুসলিম প্রধান দেশে ঘরে নিজের স্ত্রি থাকতে সে নিজেই করতে থাকলো প্রকাশ্যে নারীবাজি। কি আজব কি দুর্ভাগ্য আমাদের! মধ্য ফেব্রুয়ারীতে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পানি বিক্রেতা বাদশা নামের এক কিশোরকে গুলি করে হত্যার পর থেকে শুরু করে শত শত নিরীহ মানুষকে হত্যা করে অবশেষে নুর হোসেন, ডাক্তার মিলনের হত্যার মাধ্যমে ১৯৯০ সালের ৬ই ডিসেম্বর পতন হয় এই নিকৃষ্ট স্বৈরচারের।
বাংলাদেশে সর্বপ্রথম জঙ্গিবাজের উত্থান হয় এই স্বৈরচারের হাত ধরেই। এরশাদই প্রথম আফগানি মুজাহীদ কমান্ডার হেকমতিয়া গুলবদনকে বাংলাদেশে আসার সুজোগ করে দেয়।
তারপর উত্থান হয় খুনি জিয়ার বিধবা পত্নি খালেদার -----
জিয়ার চেয়েও মুর্খ অশিক্ষিত গৃহবধু এই খালেদা খানম ওরফে পুতুল । শিক্ষায় দীক্ষায় নাকি মাত্র অষ্ট শ্রেণী পাশ।হায় স্বদেশ ষোল কোটি মানুষ হতাশ! কিছু করার নাই!
কি দুর্ভাগ্য আমাদের হে দুর্ভাগা দেশ --!
ছবিতে খালেদার নোংরা বেলাল্লাপনা--হায় আল্লাহ-!একটা মুসলিম দেশে এটাও কি সম্ভব! কোথায় ফতুয়াবাজ ধর্ম ব্যবসায়িরা।কেন দোররা কিংবা পাথর মেরে হত্যা করা হচ্ছে না এই পাপিষ্ট নারীকে?
এক রকম অলৌকিক ভাবেই কেমন যেন এক দৈববলে ক্ষমতার পাদপ্রদিপে চলে এল খুনি জিয়ার ৩০-৩৫ বছরের জোয়ান বিধবা পত্নি খালেদা জিয়া।মুসলিম নরনারির বিয়েশাদি করে বৈধ ভাবে বাস করার বিধান থাকলেও তিনি তার তোয়ক্কা না করে ধর্মীয় বিধিবিধান না মেনে প্রকাশ না করেই একদিকে শুরু করে দিলেন বেলাল্লাপনা, পরপুরুষের সাথে অবৈধ মেলামেশা,যদিও ৯০ দশকের প্রথমদিকে ফালুর সাথে তার বিবাহের কাবিন নাম প্রকাশিত হয়েছি বিভিন্ন মেগাজিনে।
অপরদিকে শুরু করলেন দুর্বৃত্তায়নের রাজনীনীতি মানে বিরাজনীতি।
বিদেশের হোটেল রোস্তঁরায় ক্লিনারে চাকুরি করা কাজের লোকেরা জিয়ার রোপন করা বিষবৃক্ষের তলে সমবেত হয়ে রাতারাতি বনে গেলেন হাজার হাজার কুঠি টাকার মালিক। স্বাধিনতা বিরোধি চক্রও আজ মন্ত্রি মিনিষ্টার হয়ে অসুভ শক্তিও সামর্থের অধিকারি হয়ে দানবের মত মোটা হয়ে দাঁড়ায়েছে। কেরানী আমলা পিয়ন বাজারের তোলা তোলার লোক ভাতমরা শিল্পি সংবাদিক কেউ কেউ আজ দোকান পাট সফিং মল উঁচেল বাড়ি দামি গাড়ির মালিক বনে গেছেন। সবাই আজ নামে-বেনামে অঢেল গাড়ি বাড়ি সহায় সম্পত্তির মালিক। সবাই আজ এদেশের হোমরা চোমরা।
ভাতে মরে জাতির বীর সন্তান মুক্তিযোদ্ধারা। গুলি খেয়ে মরে সারের দাবিতে রুগ্ন কৃষক।বিজলির দাবিতে মরে সাধারণ মানুষ।
খালেদার ছোট ছেলে কোকোও নাকি অস্ট্রেলিয়ায় হোটেলে ক্লিনারের কাজ করে জিবিকা নির্বাহ করতো।। আজ সেও হাজার কুঠি টাকার মালিক। কি আজব এই দেশ।কালোবাজারি ব্যবসায়ি আমলা ঠিকাদার দুষ্ট মাফিয়া চক্রের সবাই আজ রাষ্ট্রিয় মালিকানায় আমদানি রপ্তানি সর্বক্ষেত্রে লুটপাট করে কোড়পতি বনে গেছে। বাংলাদেশের সকল সম্ভাবনা আজ এই দুষ্ট মাফিয়া চক্রের হাতে কুক্ষিগত ও বন্দি হয়ে পড়েছে।তারা লুটপাট করে দুর্নীতিতে ৫বার বাংলাদেশকে চ্যম্পিয়ান বানিয়েছে।
খালেদার বড় ছেলে তারেক রহমান ও হাওয়া ভবন বানিয়ে হাজার হাজার কুঠি টাকার মালিক হয়ে দেশে বিদেশে অঢেল সম্পত্তি গড়ে তুলেছে কোন এক অদৃশ্য যাদুর বলে।হাওয়া ভবন বানিয়ে দুর্নীতির আখড়া বানিয়ে মাফিয়ার সর্ঘরাজ্য বানিয়েছিল এই দেশকে। ধরাপড়া ১০ ট্রাক অস্ত্র একট্রাক গুলি অস্ত্র ব্যবসায়িরা চোরাই পথে এদেশে আনতে সক্ষম হয়।যার সাথে তারেক জিয়া যে জড়িত তা প্রমাণিত সত্য।২১শে আগষ্টে গ্রেনেট বোমা হামলা করে কি তান্ডবই না তারা করেছিল। বিশ্বের ইতিহাসে তা নজির বিহিন ঘটনা।তার সাথেও এই হাওয়া ভবন জড়িত ছিল।
খালেদার পর এল শেখ হাসিনার পর্ব-----
অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে পিতামাতা ভাই সজন পরিজন হারিয়ে, দীর্ঘ ২১টি বছর পরে তিনি ক্ষমতায় এলেন।ততদিনে পাল্টে গেছে বাংলার পানোরমা।অসুভ শক্তির দানবরা তখন কোরবাণীর গরুর মত মোটাতাজা হয়ে গেছে।
আমাদের প্রতিবেশি দেশ ভারতের জনপ্রিয় প্রধান মন্ত্রি নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশে রাষ্ট্রিয় চপরে বেড়াতে এসে বললেন--
বঙ্গবন্ধু বাঙ্গালী জাতিকে স্বাধিনতা এনে দিয়ে গেলেন--আর সেই স্বাধিনতাকে রক্ষা করলেন বঙ্গবন্ধুরই রক্তের আত্মজা বঙ্গ কন্যা শেখ হাসিনা।
বঙ্গ কন্যা উপাধিটা আমি নিজ থেকেই দিলাম।
কারণ এই উপাধি--টা তার প্রপ্য। তিনি ইতি মধ্যে মাদার অব হিউমানিটি সহ দেশি বিদেশি অসংখ্য উপাধি ও পুরষ্কারে ভূসিত হয়েছেন,এটা বাঙ্গালী জাতির জন্য সোভাগ্য। ও গর্বের বিষয়।
খালেদা জিয়ার দুর্শাসনে এক মহা ঝঞ্জার্টের স্তুপ সৃষ্টি হয়েছিল আমাদের এই বাংলাদেশে।অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ছিল কম,রিজার্পের পরিমান৮-৯ হাজার কোটি টাকা মাত্র।গ্যাস বিদ্যুত পানি নিত্য পর্নদ্রর্বের দাম ছিল উর্দগতি।সর্বক্ষেত্রে অবাধে চলছিল দুর্নীতি।জঙ্গিাবাজ সন্ত্রাসি চাঁদাবাজরা দুর্বিসহ করে তুলেছিল জনজীবন।
শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে শক্ত হাতে ও দৃঢ় চিত্বে এই সব ঝঞ্জার্ট সরানোর কাজে মনোনিবেশ করলেন ।তিনি বঙ্গবন্ধুর হত্যায় জড়িত স্বঘোষিত খুনিদেরকে ধরে বিচারের আওতায় আনলেন । দ্বিতীয় মেয়াদে এসে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করলেন ফাঁসির কাষ্টে ঝুলিয়ে।। যুদ্ধাপরাধি ও মানবতা অপরাধিদেরকেও ফাঁসির কাষ্টে ঝুলিয়ে বিচার করে জাতিকে কিছুটা হলেও কলঙ্কমুক্ত করলেন।তিনি শক্ত হাতে দমন করলেন জঙ্গিবাজ সন্ত্রাসবাজকে।অপশক্তি ও দুষ্টচক্ররা ষড়যন্ত্র করে বার বার চেষ্টা করেছিল দেশে অশান্তি সৃষ্টি করে তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করার।দুষ্কৃতি কারিরা পুরোপুরি সফল না হলেও ক্ষতি হয়েছে অনেক। পিলখানার হত্যাযজ্ঞ গুলশান হোটেলে জঙ্গি হামলায় ২২জন বিদেশি নাগরিক হত্যা উল্লেকযোগ্য।
তিনি ক্ষমতায় এসে আন্তঃর্জাতিক আদালতে মামলা করে বার্মা ও ভারতের সাথে সমুদ্র সমস্যা সমাধান করলেন। ভারতের সাথে দীর্ঘ ৬০ বছর ঝুলে থাকা সিমান্ত সমস্যা মিমাংসা করে চিটমহল বাসির মুখে আনন্দ ফোটালেন।পুর্ববর্তি কোন সরকার এই সব ব্যাপারে কোনদিন একটু চিন্তা ভাবনা বা মুখেও তোলেননি। শেখ হাসিনা সুকৌশলে সুদুর প্রসারি চিন্তা ভাবনা করে তা করতে সক্ষম হলেন। তিনি জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা। জাতির জনক যেমনি দেশটা স্বাধিন হবার পরই মৌলিক অবকাঠামো স্হাপন করতে হাত দিলেন।কিন্তু ঘাতকের বুলেটের কারণে কিছু কাজ অসম্পুর্ন থেকে যায়।শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে জাতির জনকের অসম্পূর্ন কাজটি সম্পর্ন করে যাচ্ছেন।
বিশ্বব্যাংককে চ্যালেঞ্জ করে নিজস্ব অর্থে পদ্মা সেতু নির্মান কাজ শুরু করে দিয়ে বিশ্বকে তিনি তাক লাগায়ে দিলেন।রাশিয়ার সাথে রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্র হাই ওয়ে, প্লাইওভার, গভির সমুদ্র বন্দর মিলকারখানা ডিজিটেল বাংলাদেশ গড়া ও সামগ্রিক অবকাঠাম উন্নয়ের মহাসড়কে আজ বাংলাদেশ।কোন মতেই অশ্বিকার করা যায়না,সামাজিক সুচকেও সর্বক্ষেত্রে প্রতিবেশি রাষ্ট্রগুলির চেয়ে বাংলাদেশ অনেক উপরে।
খালেদা জিয়ার রেখে আসা ৩হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত থেকে আজ প্রায় ১৭ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন হচ্ছে। রিজার্পের ৯ হাজার কোটি থেকে আজ প্রায় ৩৪ হাজার কোটি টাকা। মাথাপিচু ৪৫০ ডলার থেকে উন্নতি হয়ে আজ ১৬১০ টাকা।এই সবি আন্তঃর্জাতিক পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে। চাকুরি জীবিদের বেতন দ্বিগুন করা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা বাড়ানো বয়স্ক ভাতা চালু করা শেখ হাসিনা সরকারের অনন্য দুষ্টান্ত।
শেখ হাসিনা সরকারের যেমন সাফল্য আছে অনেক, তেমনি ব্যর্থতাও আছে অনেক।একথা অশ্বিকার করা যাবে না। আমি নিজেই নির্বাক হয়ে গিয়েছি।যখন শুনলাম বাংলাদেশ ব্যাং থেকে ৮১ মিলিয়ন ডলার হ্যাকাররা হ্যাক করে নিয়ে গেছে ফিলিপাইনে। আমি নির্বাক হয়েছি যখন শেয়ার মার্কেট থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়ে গেছে। বেসিক ব্যাং ও সোনালি ব্যাংকের একটি শাখা থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা তুলে নিয়ে গেল দুর্বুত্তরা । এই সব গঠনা গুলিই এই সরকারের চরম ব্যর্থতা হিসেবে আমি মনে করি।
পরিশেষে আমি বলবো, মাননীয় প্রধান মন্ত্রি জননেত্রি শেখ হাসিনা যাকিছু করেছেন তা ইতিহাসের পাতায় মাইল ফলক হয়ে থাকবে সত্যি ।তবে একটা আদর্শ রাষ্ট্র ও উন্নত সমাজ ব্যবস্হা গঠনের জন্য এটা মোটেও যতেষ্ট নয়।একটি আদর্শ রাষ্ট্র ও উন্নত সমাজ ব্যবস্হা গড়ে তুলতে হলে মৌলিক গনতন্ত্র প্রতিষ্টিত করতে হবে। সুশাসন,জবাবদিহীতা,সুচিকিৎসা সুশিক্ষা মানুষের জানমালের হেফাজত,অন্ন বস্ত্র বাসস্হান সুপেয় পানি সহ মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলি পুরণের মাধ্যমেই একমাত্র একটি আদর্শ রাষ্ট ও উন্নত সমাজ ব্যবস্হা গড়ে তোলা সম্ভব।
বলা বাহুল্য বাংলাদেশ আজ সেই লক্ষ থেকে অনেক দুরে।উল্টোপথে চলছে বাংলাদেশ। একদল চরিত্রহীন লোভি মাফিয়া চক্র ওদুর্বৃত্তের হাতে আজ বন্দি হে আমার দুর্ভাগা দেশ! তোমার অনাগত ভবিষ্যৎ।
No comments:
Post a Comment