জেনারেল জিয়াউর রহমান ছিলেন ওহাবী মতবাদে বিশ্বাসি।সে হিসেবে খালেদা তারেকও তার অনুসারি, অর্থ্যাৎ ওহাবী মতবাদে বিশ্বাসি। বিএনপি বা জাতিয়বাদী দল নামটা তো শুধু লোক দেখানো ছিল। সাধারণ মানুষকে ধোকা ও বোকা বানানোর জন্যে। একথা বিএনপির ৯৯% লোক জানতো না এবং আদো জানেনা। জেনারেল জিয়া চেয়েছিলেন ওহাবী মতবাদে বিশ্বাসি ৭১এর যুদ্ধাপরাধি জামাত চক্রকে পুর্নবাসিত করে তাদের কাঁদে ভর করে আরবের এককালের দুদর্শ ডাকাত আবদুর রহমান সৌদ ও তার ডাকাত ছেলে আবদুল আজিজ এর মত বাংলাদেশে ও বাঙ্গালী সুন্নি মুসলমানের হাজার বছরের ধর্ম বিশ্বাসকে এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তি যুদ্ধের চেতনাকে ধুলিস্যাত করে রাজতন্ত্র কায়েম করে নিজেকে নিজে বাদশা হিসেবে ঘোষনা করতে। শুধু ঘোষনা ও প্রকাশ করাই বাঁকি ছিল,কাগজে কলমে জেনারেল জিয়া নিজেকে নিজে নবাব বংশের নবাব হিসেবে সব মিথ্যে কাহিনী দালাল বুদ্ধিজিবী দ্বারা লিকে ঠিক করে ও রেখেছিলেন। সে কারনে তারেক ও খালেদা জিয়া চিকিৎসাও ওমরার নাম করে বারবার সৌদি আরব গিয়ে ওহাবী রাজার যুক্তিপরামর্শ ও সাহায্য নিয়ে আসেন, এবং সে কারনেই যুদ্ধাপরাধি জামাত শিবিরের সঙ্গ চাড়তে পারছেন না।সে কারনেই তাদের মধ্যে এমন আটা আটা ভাব।
এই ওহাবী মতবাদে বিশ্বাসি হয়ে তারেক রহমান এখন লন্ডনে বসে নিজেকে প্রিন্স বা যুবরাজ ভাবেন, আর খালেদা জিয়া নিজেকে ভাবেন রানী মহা রানী।ইতিমধ্যে তারেক রহমানের একটা ওয়েব সাইটে তা প্রকাশিত ও হয়েছে। সমগ্র জাতি এখনো অন্ধকারে, বিএনপির লোকজন এখনো অন্ধকারে, ক্ষমতাসিন আওয়ামী লীগ এখনো অন্ধকারে, সর্বপরি বাংলাদেশের সুন্নি আলেম সমাজ এখনো অন্ধকারে।অতচ তারা অনেক দুরে এগিয়ে গেছে। ওহাবী মতবাদের দালালরা টকশোতে কেমন নিলর্জের মত বলে বলে বুলি আওড়ায়, আর মাত্র কয়টা দিন বাঁকি, তারাইতো ক্ষমতায় যাবে, তারাইতো ইসলামি রাষ্টের নামে ওহাবী মতবাদ প্রতিষ্টা করবে। তারা তখন সুন্নিদের মসজিদ মাজার,হিন্দুদের মন্দির গীর্জা পাকোডা গুড়ো গুড়ো করে দিবে। ভিন্ন মতবাদ ও ভিন্ন ধর্মিয় সংখ্যা লগুদেরকে আল্লাহু আকবর করে জবাই করে আবার টুকরো টুকরো করবে গানের তালে তালে। সেকুলার বাংলাতে তারা সরিয়া আইন বলবৎ করে নগ্ন পতুয়া দিয়ে মাবোনের পাছায় একশএক দোররা মারবে,মাটিতে অর্ধাঙ্গ গেঁড়ে পাথর মেরে হত্যা করবে।প্রকাশ্যে কিসসা করবে, আর মির্ত্যুর পুর্বে ভুক্তভোগি চিৎকার করে বলবে আনা মা! কিসাস! আনা মাও কিসাস!
ঠিক আঠারশ উন্নিশ এবং বিংশ শতাব্দির প্রথম দিকে আরবে যেমনি হাজার হাজার সুন্নি আলেম ও তাদের নারী শিশুকে ওহাবীরা জবাই করে হত্যা করেছিল, এবং বর্তমানে যেমনি মধ্রপ্রাচ্যে তালেবান ও আই এস আই এস টেররিস্টরা ইসলামি খালিফা রাস্টের নামে নিরিহ মানুষকে কল্লাকেটে বলি দিচ্ছে ঠিক তেমনি বাংলাদেশেও হরতাল অবরোধের নামে গনতন্ত্রের কথা বলে নির্মম ভাবে পেট্রলবোমা মেরে নাশকতা করে আজ সাধারন মানুষকে হত্যা করছে।সুজোগ পেলে তারাও কল্লা কাটে হাত পাঁয়ের রগ কাটে, জামাতিরাই তো ওহাবী সালাফির পুর্ন জাগরন, আধুনিক রুপ বা
মুখোশ।
এই জামাতি দুষ্ট চক্রের মুখোশ উন্মেষ করতে হলে আজ আমাকে দুঃখের সহিত ইসলামের ইতিহাস থেকে তাদের উত্থান সম্পর্কে কিছু কথা তুলে ধরতে হচ্ছে। বারশ শতাব্দির প্রথমদিকে মঙ্গলরা তুর্কির উপর হামলা চালালে এক ঈমাম তার কিশোর ছেলে ইবনে তাইমিয়াকে সহ পুরো পরিবারেকে নিয়ে উদবাস্তের ন্যয় দামেস্কে গমন করেন। সেখানে তিনি জামে মসজিদে ঈমামেরই চাকুরি পান। বেশকয় বছর পর ঈমাম সাহেব মারা যাবার পর তাঁরি ছেলে ইবনে তাইমিয়ার তাঁর স্তলাভিসক্ত হন। এই ইবনে তাইমিয়ার পরবর্তিতে ইসলামের পাঁচ আকিদা এবং মুল ইসলামের বিরুদ্ধে ফতুয়া দিয়ে এবং বই পুস্তক লিখে ইসলামের অপব্যখ্যা শুরু করতে লাগলেন। তিনি একদিন মিম্বার থেকে নিজে নেমে দেখায়ে বললেন, আল্লাহ ঠিক এভাবে সাত আসমান থেকে নামেন, এভাবেই আল্লাহ সাত আসমানের উপর বিচরন করেন এবং জমিনে পায়চারি করেন। তিনিই সালাফি মতবাদ প্রতিষ্টা করে মাজারে যাওয়া হারাম ও শেরেকি ফতুয়া দেন। এই তাইমিয়ার যুক্তি তর্ক ও পতুয়াতে অতিষ্ট হয়ে তৎকালিন সিরিয়া সরকার তাকে একবার মিশরে নির্বাসনে পাঠান আরেক বার কারাগারে নিক্ষেপ করেন, এবং সেখানেই তার মির্ত্যু হয়।
তার মির্তুর অনেক পরে এসে আঠার শতাব্দির শুরুতে সৌদি আরবের নজদে জন্ম নেওয়া ইবনে আবদুল ওহাব নামে আরেক বকধার্মিক আলেম জন্ম নিয়ে ইবনে তাইমিয়ার আদর্শকে সমুন্নত রেখেই ইসলমের অপব্যাখ্যা দিয়ে তিনি নিজের ওহাবি মতবাদ প্রকাশ করে ওহাবী আন্দলন শুরু করলেন ।তিনিই ওসমানি খেলাফত এর অংশ আরব মুল্রুকে লেবাননি বনিক নামি দস্যু আবদুর রহমান সৌদ এবং তার ভয়ানক দস্যু পুত্র আবদুল আজিজ বৃটিশ গুপ্তচর হ্যাম্পার ও লরেন্স এর মাধ্যমে ওহাবী আন্দলনের মাধ্যমে রাজতন্ত্র প্রতিস্টিত করে ওহাবী মতবাদকে রাজনৈতিক ভাবে সিকৃতি দেন।তারপর থেকেই তারা শিয়া সুন্নিদের মাঝার মসজিদ ভেঙে আলেম ওলেমাদেরকে কল্লা কেটে কিসাস আইন বলবৎ করেন। তাদের হাত থেকে ঈমাম হোসেনের প্রবিত্র মাঝার পর্যন্ত রক্ষা পেলনা।মহানবীর মাজার ততা মসজিদ নববী মদিনা বাসির প্রবল চাপে রক্ষা পেলো।তারা মহানবীর অনেক সৃতি বিজড়িত স্হাপনাকে ভেঙে গুড়ো গুড়ো করেমাঠির সাথে মিশেয়ে দিয়েছেন।তারা মুসলমানদের অনেক ঐতিহাসিক বাড়ি ঘর এমন কি ঐতিহাসি পাঠাগার পর্যন্ত আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছেন। যে পাঠাগারে মানব জাতির প্রায় ষাট হাজার বই পুস্তক দলিল সংরক্ষিত ছিল। তারা মুসলমানের মালামাল গনিমতের মাল হিসেবে লুট করে দস্যুদের ভরন পোষন করতো।
এই ওহাবী মতবাদে বিশ্বাসি ভারতের এক নাস্তিক মাল আল মওদুদী জামাত ইসলামি প্রতিষ্টা করে বাংলা দেশের আরেক নাস্তিক গোলাম আজমকে দিয়ে মওদুদী বাদের কার্যক্রম চালান। যে গোলাম ছাত্র জীবনে মাওবাদি ও নকসালে আদর্শে বিশ্বাসি ছিলেন, সে গোলাম আযম হঠাৎ করে ওহাবী বিশ্বাসি হয়ে গেলেন, আর সেই ভ্রান্তি বিশ্বাসের কারনে তারা একাত্তরে যুদ্ধাপরাধ এর মত জগন্য কাজ করেছে, মানবতা অপরাধির মত কুৎসিত কাজ করেছে। তারা হত্যা লুন্ঠন জ্বালাও পোড়া কি কাজ না করেছে।আজ আবার সেই খুনি জামাত বিএনপি দুষ্ট চক্র বাঙ্গালীর নব জাগরনের সময়ে এসে তারা ইসলামের বিকল্প ইসলামের নবজাগরন ঘঠাতে চায়।তারা প্রবিত্র কোরাআনের বিকল্প কোরআন প্রকাশ করতে চায়। তারা ইসলামের মুল আকিদার বিকল্প আকিদা সৃষ্টি করতে চায়।তারা জিয়া পরিবারকে ওহাবী নবাব হিসেবে প্রতিষ্টিত করতে চায়। তারা মাঝার মন্দির গুড়ো করে ভিন্ন মত ও ধর্মের লোককে হত্যা করে নিঃশেষ করে দিতে চায়।সে কারণেই তারেক রহমান লন্ডনে বসে একর পর এক আমাদের স্বাধিনতার ইতিহাস বিকৃত করে যাচ্ছে।সে কারনেই তারেক বঙ্গবন্ধুকে পাকবন্দু বলছে। সে কারনেই তারেক নিজেকে নবাব ভাবছে, আর সেই কারণেই খালেদা জিয়া নিজেকে আপষহীন নেত্রি ভাবে এবং সেই কারণেই তিনি নিজেকে ভাবেন ওহাবী মতাদর্শের মহারানি।
------ মোহাম্মেদ ফারুক, জার্মানী।
No comments:
Post a Comment