আবেগ এবং অনুভূতি
১,মানুষের আবেগ আর অনুভূতির জায়গা গুলির মধ্যে দেশ এবং ধর্মই হলো অন্যতম।আবেগের বসেই কবি লিখতে
পেরেছেন আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি।আর যদি সত্যিই কোন আবেগ থাকতো না, তাহলে হয় তো
কবি লিখতেন অন্যকিছু।দেশ এবং ধর্মকে নিয়ে যত গান কবিতা বা বই পুস্তোক রচনা হয়েছে, আমার মনে হয় আর অন্য কিছুর ব্যপারে এত বই পুস্তোক রচনা হয়নি।নিজ নিজ দেশ এবং ধর্মকে সবাই ভালোবাসে।নিজ সন্তানের মত নিজ
মাবাবার মত, নিজের কোন প্রিয় বস্তুর মত ভালোবাসে।জানপ্রাণ দিয়ে ভালোবাসে।
দেশকে ভালোবেসে যুগে যুগে আমাদের পুর্ব পুরুষরা রক্তদিয়েছে, হাসতে হাসতে শহীদ হয়েছে।শুধু আমাদের দেশ কেন পৃথিবীর সকল জাতিগোষ্টি নিজ নিজ দেশের জন্য যুদ্ধ গৃহযুদ্ধ করেছে। আবার দু একজন কুলাঙার ও স্বদেশের সাথে বেঈমানি করেছে।
সে অনাদি কাল থেকে, নিরন্তর করে যাচ্ছে আজো। নিজের ভাষা কৃষ্টি কার্লচার নিজের স্বাধিনতার জন্য নিজের ন্যার্য্য অধিকার আদায়ের জন্য রক্ত দিয়েছে শহীদ হয়েছে। এক সভ্যতাকে ধ্বংশ করে আরেক নতুন সভ্যতা গড়েছে।রক্তে ভিজে লালে লাল হয়েছে পৃথিবীর উর্বর মাটি। লালে লাল হয়েছে দেশদেশান্তর।রক্তে ভিজে লালে লাল হয়েছে আমাদের এই স্বদেশের শ্যমল মাটিও।এই রক্তে ভেজা সরস মাটির বুকে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে আছে লক্ষ লক্ষ বীর শহীদ।আমরা কৃতজ্ঞ চিত্বে নতশিরে শ্মরন করি তাদের।
আমরাও এক সাগর রক্ত আর লক্ষ লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে স্বাধীনতার ঐ রক্তিম সূর্য্যটা চিনিয়ে এনেছি কুখ্যাত পাক হায়েনাদের মুখ থেকে।আমরা আজ স্বাধীন,মুক্ত স্বদেশ আমাদের। একথা ভাবতেই গর্বে বুকটা পুলে উঠে।
স্বাধীনতা পেয়ে আমরা মোটেই অলস বসে থাকিনি। একাত্তরের ষোলই ডিসেম্বর আমরা চুড়ান্ত বিজয় লাভ করেছি।বাহাত্তরের ৮ই জানুয়ারি আমাদের জাতির জনককে পশ্চিম পাকিস্তানিরা পিন্ডির কারাগার থেকে নিঃসর্ত মুক্তি দিতে বাদ্য হয়েছে।মুক্তি পেয়ে বাংলার সাড়ে সাতকুঠি মানুষের নয়ন মনি, বাংলার অভিসংবাদিত নেতা মহামানব সর্বকালের শ্রেষ্ট বাঙ্গালী লন্ডন দিল্লী হয়ে প্রিয় স্বদেশের মাটিতে ফিরে আসেন।
আমরাও এক সাগর রক্ত আর লক্ষ লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে স্বাধীনতার ঐ রক্তিম সূর্য্যটা চিনিয়ে এনেছি কুখ্যাত পাক হায়েনাদের মুখ থেকে।আমরা আজ স্বাধীন,মুক্ত স্বদেশ আমাদের। একথা ভাবতেই গর্বে বুকটা পুলে উঠে।
স্বাধীনতা পেয়ে আমরা মোটেই অলস বসে থাকিনি। একাত্তরের ষোলই ডিসেম্বর আমরা চুড়ান্ত বিজয় লাভ করেছি।বাহাত্তরের ৮ই জানুয়ারি আমাদের জাতির জনককে পশ্চিম পাকিস্তানিরা পিন্ডির কারাগার থেকে নিঃসর্ত মুক্তি দিতে বাদ্য হয়েছে।মুক্তি পেয়ে বাংলার সাড়ে সাতকুঠি মানুষের নয়ন মনি, বাংলার অভিসংবাদিত নেতা মহামানব সর্বকালের শ্রেষ্ট বাঙ্গালী লন্ডন দিল্লী হয়ে প্রিয় স্বদেশের মাটিতে ফিরে আসেন।
এক আবেগঘন পরিবেশে এসে ধ্বংশস্তুপের উপর দাঁড়িয়ে তিনি দেশ গড়ার প্রস্তুতি গ্রহন করেন।
একটা নিঃস্ব ধ্বংশস্তুপ দেশের রাষ্ট্রকাঠামো পুর্নঘটন করতে হলে হওয়া চাই, সুদুর প্রসারি সমাজ দর্শন,রাষ্ট্র দর্শণ, এবং রাজনৈতিক দর্শণ ও সুনির্দিষ্ট চিন্তাধারা এবং পরিকল্পনা।সুনিপুন স্তপতি এবং বিজ্ঞ দার্শণিকের মত জাতির জনক সে পথেই আগাচ্ছিলেন।বায়াত্তর সনেই তিনি ৩৪জন বিজ্ঞ বুদ্ধিজিবীর সমন্বয়ে মাত্র ৮মাসের মধ্যেই প্রণয়ন করলেন আমাদের প্রবিত্র সংবিধান। যা পশ্চিম পাকিস্তানিরা এক যুগেও পারেনি।দিশেহারা জাতির জন্য এটাই ছিল আমাদের প্রথম আলোর দিশারি।এই প্রবিত্র সংবিধানেই সুনির্দিষ্ট করে লিখা আছে আমাদের চলার সকল দিক নির্দেশনা।সংবিধান হলো একটা রাষ্ট্রের মৌলিক আইন।এই সংবিধান মোতাবেক আমাদের এত কষ্টে অর্জিত দেশটা সুন্দর ভাবে সামনের দিকে চলার কথা।কিন্তু কুটি টাকার প্রশ্ন এই সংবিধান মোতাবেক কি আজ আমাদের দেশটা চলছে? উত্তর হবে না!
আমাদের সংবিধানে স্পষ্টভাবে মানবেধিকারের কথা বলা হয়েছে।মানুষের বাক স্বাধীনতার কথা বলা হয়েছে।আমাদের সংবিধানে মদ জুয়া গাঁজাসহ সকল নেশা জাতিয় দ্রব্য ঘনিকাবৃত্তি, ঘুষ দুর্নীতি সম্পুর্নভাবে নিসিদ্ধ করা হয়েছে।
আমাদের সংবিধানে সকল নাগরিকের কর্মসংস্হাসের সুব্যস্হার কথা বলা হয়েছে।আমাদের সংবিধানে সুস্পষ্টভাবে লেখা আছে প্রজাতন্ত্রের সকল কর্মচারি পিয়ন থেকে অফিসারগন সবাই সাধারণ নাগরিকের সাথে আদপ কায়দার সাথে ভদ্রতা বজায়ে রেখে বিহেব বা পেশ আসতে হবে।এই রকম অনেক ঐশি বাণীর মত দিকনির্দেশনা লিখা আছে আমাদের সংবিধানে।এই সংবিধানের মূলস্তম্ভ ছিল, গনতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ, ও ধর্মনিরপেক্ষতা।
আজ আমার প্রশ্ন শুধুই কি লেখার খাতিরেই লেখা হয়েছে এই সংবিধান?উত্তর হবে সম্পুর্ন না!
সংবিধান আজ আর সংবিধানের জায়গায় নাই।১৫ই আগষ্টের পর দীর্ঘদিন যাবত স্বৈরচারের কবলে পরে আমাদের গর্বের সংবিধানকে কাটসাট করে আমাদেরকে সুকৌশলে দীর্ঘমেয়াদি দুর্নীতির দাসত্বে পরিণত করেছে।পৃথিবীর সকল সোষিত মানুষের কপালে যা হয়েছে আমাদের কপালেও তা হয়েছে।আরো ভালো করে বললে বলতে হয় পৃথিবী সকল স্বৈরচাররা যা করেছে আমাদের দু-স্বৈরচার তারচেয়ে নিঃকৃষ্ট কাজটি করেছে।
একজন রক্ত মাংশের মানুষ হয়ে আজ আমার বড়ই কষ্ট হচ্ছে।আজ একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের সর্বত্র ঘুষ দুর্নীতিতে ছেঁয়ে গেছে।সাধারণ নাগরিকের নাভিস্বাস উঠেছে।আজ সাধারণ খেটে খাওয়া নাগরিকের উপর চলছে শারিরিক মানসিক জুলুম নির্যাতন নিপিড়ন।খুনগুম ধর্ষন আজ নিত্তনৈমত্তিক ব্যপার হয়ে উঠেছে।
আধুনিক পুঁজিবাদি গ্লোবাল বিশ্বের সাথে দেশ আজ এগিয়ে চলছে। শুধু আমাদের দেশ নয় পাল্লায় প্রতিযোগিতায় সকল দেশই এগিয়ে চলছে।অর্থনীতিতে, শিক্ষায়,দীক্ষায় জ্ঞান বিজ্ঞানে জ্ঞানিগুনিতে সবদিক দিয়েই এগিয়ে যাচ্ছে।বড় লোক আরো বড় হচ্ছে, গরিব আরো গরিব নয় শুধু ভিখারিও হচ্ছে কোথাও কোথাও।সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মানুষের পাশবিক বর্বরতা।গনতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মতন্ত্র, মানবতা, প্রেম ভালোবাসা, দয়ামায়া করুনা আজ কিছুই নাই তার স্বস্ব অবস্হানে। কোথাও আইনের বালাই নেই।এই সভ্যযুগে এসে মানুষ আজ আবার মেতে উঠেছে তার বর্বর আদিম উল্যাসে।দেশে দেশে আজ মানুষ নিঃস্ব নিঃশ্বেষ হচ্ছে মানুষের আধুনিক এক অসভ্য ইতর বর্বরতায়। দেশে দেশে মৌলবাদীদের উত্থান সেটাই দেখাচ্ছে।
বর্বরতার দিক দিয়ে আজ আমাদের এই বাংলাদেশও পিছিয়ে নেই।বরঞ্চ ভালো একটা পজিশনে আছে।ন্যায় বিচারের নামে অবিচার,সন্দেহাতীত ভাবে পিটিয়ে মানুষ হত্যা শিশু নিযাতন,ধর্ষন সিলেটে শিশু রাজন হত্যা নোয়াখালীতে তিন ভাইকে নির্মম ভাবে হত্যা সেই কথাই বলে।
দিন গড়িয়ে রাত হয় আমাদের অশান্ত পৃথিবীকে দুদন্ড শান্তি দেওয়ার জন্য।আমাদের কথিত সভ্য সমাজের শিক্ষিত সুশিল নধর ভদর লোকগুলি ঠিকই নিরাপদে এয়ার কন্ডিসান খুলে দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন কিংবা আরাম আয়েশ করেন।বাহিরে জেগে উঠে অন্ধ জগত। আমার আপনার সকলেরই জানাশুনা আছে সেই অন্ধ জগতের গুনি বাসিন্ধাদের।জেগে উঠে মদ জুয়া গাঁজার আসর, জেগে উঠে নিসিদ্ধ গল্লি কিংবা
পল্লি।চারিদিকে অন্যায় অনিয়মের সেকি এক বাজে পরিস্হিতি।
সমাজের এই সব অন্যায় অনিয়ম আমরা দেখে দেখিনা শুনেও শুনিনা।বিকালঙ্গ হয়ে গেছে আমাদের প্রধান ইন্দ্রিয় শক্তিগুলি।আমরা এসবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ প্রতিরোধ করতে পারিনা।বরঞ্চ মাঝে মধ্যে সভ্যরাই বর্বর হয়ে উঠি।এমনকি পুরো রাষ্ট্রটাই ভেঙে পরি সন্দেহভাজনের উপর।হয় গন ধোলাইয়ে হত্যা নাহয় ক্রসফায়ারে হত্যা, নয় তো আইনের আনুষ্টানিকতায় হত্যা। কেপিটেল পানিসমেন্টে, ডেথ পেলাল্টি,এক্সিউস্যান বা সর্বোচ্চ স্বাস্হি মৃর্ত্যুদন্ড আরো কত কত বর্বর আইনে মানুষের প্রাণ নাশ করি।আবার সভা সমাবেশ করে সোস্যাল মিডিয়ায় সেই বর্বরতা প্রকাশ করি। পত্রিকার হেডিং করি।মানুষ হয়ে মানুষকে হত্যা করে আমরা নিজেকে দাবি করি মানুষ।
আজ কোন এক অদৃশ্য আতঙ্কে আমাদের দিন কাটে রাত পোহায়।উন্নত সমাজ ব্যবস্হা একটি আদর্শ ও ন্যায় রাষ্ট্র আজো আমরা গড়ে তুলতে পারিনি।সংস্কারের কোন নাম গন্ধও নেই, সেই পুরানো গুনে ধরা সমাজে থাকতে থাকতে আমরা যেন অব্যস্হ হয়ে পড়েছি।সংবিধান বহিরভূত রাষ্ট্র পরিচালন স্বৈরতন্ত্র ছাড়া আর কি হতে পারে?
সরকার আর তার মন্ত্রিবর্গ প্রায়ই বলে থাকে, আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। আইনের চোখে সবাই সমান ইত্যাদি।
আরে ভাই এটা টোটালি একটি মিথ্যা কথা।আজ থেকে প্রায় ৩হাজার ৭শত বছর আগে সর্ব প্রথম আইন প্রণয়ন করেছেন ব্যবিলনের রাজা হাম্মারাব্বি।রাজার রাজ প্রসাদে পাওয়া গেছে আইনের ধারা খচিত ২৮৪টি শিলালিপী।তন্মধ্যে জগন্য অপরাধের জন্য ২৫টাই ছিল মৃর্ত্যুদন্ডের সাজা।সেই থেকেই আইনগুলি পরিচালিত হয়ে আসছে সেই একি নিয়মে। প্রকারভেদে আরো নতুন নতুন আইন সংযোযন হয়েছে তার সাথে। বদলেনি একটিও।বরঞ্চ আরো জগন্য ভাবে আজো মানুষ মানুষকে হত্যা করছে।
বেশি দুরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। এই সম্প্রতি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত যুদ্ধাপরাধি সাকা চৌধুরিকে ফাঁসির সাজা দিয়েছে।সেই রায়ে জাতি আজ খুশিতে আন্দলিত।গন জাগরন মঞ্চ আজ আনন্দে দোলা খাচ্ছে।এই সাকারা একাত্তরে হত্যা ধর্ষন লুটপাট করেছে। নিরপরাধ মানুষের ঘরে ঘরে আগুন দিয়েছে।এটাই তাদের কি একান্ত প্রাপ্য?
সাকারা সেই সময় মানুষকে হত্যা করেছে বারি ভারি অস্ত্র দিয়ে।আজ তাদের হত্যা হবে এক টুকরো রুমালের ইশারায়।সুসুজ্জীত মঞ্চ তৈরি করে চলবে তাদের মৃর্ত্যুর বা ফাঁসি কার্যকারিতার কি চমৎকার আনুষ্টানিকতা।কোরবানির বলদের মত ঘা-গোসল করিয়ে ধর্মিয় নিয়মনীতি সেরে,অন্তিম ইচ্ছা জানিয়ে পিচ্ছিল ম্যানিলা রোফ গলে লাগিয়ে জম টুপি পড়াবার পর আজরাইল নয়, রুমালটাই হয়ে পড়ে জমদুত।কালো জল্লাদ টানে হেসকা টান।অমনি মুহুর্ত্যেই সব খালাস।কি সুন্দর মানুষের এই সিস্টেম। মানুষের কি এক আধুনিক বর্বরতা।
---চলবে--
একটা নিঃস্ব ধ্বংশস্তুপ দেশের রাষ্ট্রকাঠামো পুর্নঘটন করতে হলে হওয়া চাই, সুদুর প্রসারি সমাজ দর্শন,রাষ্ট্র দর্শণ, এবং রাজনৈতিক দর্শণ ও সুনির্দিষ্ট চিন্তাধারা এবং পরিকল্পনা।সুনিপুন স্তপতি এবং বিজ্ঞ দার্শণিকের মত জাতির জনক সে পথেই আগাচ্ছিলেন।বায়াত্তর সনেই তিনি ৩৪জন বিজ্ঞ বুদ্ধিজিবীর সমন্বয়ে মাত্র ৮মাসের মধ্যেই প্রণয়ন করলেন আমাদের প্রবিত্র সংবিধান। যা পশ্চিম পাকিস্তানিরা এক যুগেও পারেনি।দিশেহারা জাতির জন্য এটাই ছিল আমাদের প্রথম আলোর দিশারি।এই প্রবিত্র সংবিধানেই সুনির্দিষ্ট করে লিখা আছে আমাদের চলার সকল দিক নির্দেশনা।সংবিধান হলো একটা রাষ্ট্রের মৌলিক আইন।এই সংবিধান মোতাবেক আমাদের এত কষ্টে অর্জিত দেশটা সুন্দর ভাবে সামনের দিকে চলার কথা।কিন্তু কুটি টাকার প্রশ্ন এই সংবিধান মোতাবেক কি আজ আমাদের দেশটা চলছে? উত্তর হবে না!
আমাদের সংবিধানে স্পষ্টভাবে মানবেধিকারের কথা বলা হয়েছে।মানুষের বাক স্বাধীনতার কথা বলা হয়েছে।আমাদের সংবিধানে মদ জুয়া গাঁজাসহ সকল নেশা জাতিয় দ্রব্য ঘনিকাবৃত্তি, ঘুষ দুর্নীতি সম্পুর্নভাবে নিসিদ্ধ করা হয়েছে।
আমাদের সংবিধানে সকল নাগরিকের কর্মসংস্হাসের সুব্যস্হার কথা বলা হয়েছে।আমাদের সংবিধানে সুস্পষ্টভাবে লেখা আছে প্রজাতন্ত্রের সকল কর্মচারি পিয়ন থেকে অফিসারগন সবাই সাধারণ নাগরিকের সাথে আদপ কায়দার সাথে ভদ্রতা বজায়ে রেখে বিহেব বা পেশ আসতে হবে।এই রকম অনেক ঐশি বাণীর মত দিকনির্দেশনা লিখা আছে আমাদের সংবিধানে।এই সংবিধানের মূলস্তম্ভ ছিল, গনতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ, ও ধর্মনিরপেক্ষতা।
আজ আমার প্রশ্ন শুধুই কি লেখার খাতিরেই লেখা হয়েছে এই সংবিধান?উত্তর হবে সম্পুর্ন না!
সংবিধান আজ আর সংবিধানের জায়গায় নাই।১৫ই আগষ্টের পর দীর্ঘদিন যাবত স্বৈরচারের কবলে পরে আমাদের গর্বের সংবিধানকে কাটসাট করে আমাদেরকে সুকৌশলে দীর্ঘমেয়াদি দুর্নীতির দাসত্বে পরিণত করেছে।পৃথিবীর সকল সোষিত মানুষের কপালে যা হয়েছে আমাদের কপালেও তা হয়েছে।আরো ভালো করে বললে বলতে হয় পৃথিবী সকল স্বৈরচাররা যা করেছে আমাদের দু-স্বৈরচার তারচেয়ে নিঃকৃষ্ট কাজটি করেছে।
একজন রক্ত মাংশের মানুষ হয়ে আজ আমার বড়ই কষ্ট হচ্ছে।আজ একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের সর্বত্র ঘুষ দুর্নীতিতে ছেঁয়ে গেছে।সাধারণ নাগরিকের নাভিস্বাস উঠেছে।আজ সাধারণ খেটে খাওয়া নাগরিকের উপর চলছে শারিরিক মানসিক জুলুম নির্যাতন নিপিড়ন।খুনগুম ধর্ষন আজ নিত্তনৈমত্তিক ব্যপার হয়ে উঠেছে।
আধুনিক পুঁজিবাদি গ্লোবাল বিশ্বের সাথে দেশ আজ এগিয়ে চলছে। শুধু আমাদের দেশ নয় পাল্লায় প্রতিযোগিতায় সকল দেশই এগিয়ে চলছে।অর্থনীতিতে, শিক্ষায়,দীক্ষায় জ্ঞান বিজ্ঞানে জ্ঞানিগুনিতে সবদিক দিয়েই এগিয়ে যাচ্ছে।বড় লোক আরো বড় হচ্ছে, গরিব আরো গরিব নয় শুধু ভিখারিও হচ্ছে কোথাও কোথাও।সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মানুষের পাশবিক বর্বরতা।গনতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মতন্ত্র, মানবতা, প্রেম ভালোবাসা, দয়ামায়া করুনা আজ কিছুই নাই তার স্বস্ব অবস্হানে। কোথাও আইনের বালাই নেই।এই সভ্যযুগে এসে মানুষ আজ আবার মেতে উঠেছে তার বর্বর আদিম উল্যাসে।দেশে দেশে আজ মানুষ নিঃস্ব নিঃশ্বেষ হচ্ছে মানুষের আধুনিক এক অসভ্য ইতর বর্বরতায়। দেশে দেশে মৌলবাদীদের উত্থান সেটাই দেখাচ্ছে।
বর্বরতার দিক দিয়ে আজ আমাদের এই বাংলাদেশও পিছিয়ে নেই।বরঞ্চ ভালো একটা পজিশনে আছে।ন্যায় বিচারের নামে অবিচার,সন্দেহাতীত ভাবে পিটিয়ে মানুষ হত্যা শিশু নিযাতন,ধর্ষন সিলেটে শিশু রাজন হত্যা নোয়াখালীতে তিন ভাইকে নির্মম ভাবে হত্যা সেই কথাই বলে।
দিন গড়িয়ে রাত হয় আমাদের অশান্ত পৃথিবীকে দুদন্ড শান্তি দেওয়ার জন্য।আমাদের কথিত সভ্য সমাজের শিক্ষিত সুশিল নধর ভদর লোকগুলি ঠিকই নিরাপদে এয়ার কন্ডিসান খুলে দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন কিংবা আরাম আয়েশ করেন।বাহিরে জেগে উঠে অন্ধ জগত। আমার আপনার সকলেরই জানাশুনা আছে সেই অন্ধ জগতের গুনি বাসিন্ধাদের।জেগে উঠে মদ জুয়া গাঁজার আসর, জেগে উঠে নিসিদ্ধ গল্লি কিংবা
পল্লি।চারিদিকে অন্যায় অনিয়মের সেকি এক বাজে পরিস্হিতি।
সমাজের এই সব অন্যায় অনিয়ম আমরা দেখে দেখিনা শুনেও শুনিনা।বিকালঙ্গ হয়ে গেছে আমাদের প্রধান ইন্দ্রিয় শক্তিগুলি।আমরা এসবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ প্রতিরোধ করতে পারিনা।বরঞ্চ মাঝে মধ্যে সভ্যরাই বর্বর হয়ে উঠি।এমনকি পুরো রাষ্ট্রটাই ভেঙে পরি সন্দেহভাজনের উপর।হয় গন ধোলাইয়ে হত্যা নাহয় ক্রসফায়ারে হত্যা, নয় তো আইনের আনুষ্টানিকতায় হত্যা। কেপিটেল পানিসমেন্টে, ডেথ পেলাল্টি,এক্সিউস্যান বা সর্বোচ্চ স্বাস্হি মৃর্ত্যুদন্ড আরো কত কত বর্বর আইনে মানুষের প্রাণ নাশ করি।আবার সভা সমাবেশ করে সোস্যাল মিডিয়ায় সেই বর্বরতা প্রকাশ করি। পত্রিকার হেডিং করি।মানুষ হয়ে মানুষকে হত্যা করে আমরা নিজেকে দাবি করি মানুষ।
আজ কোন এক অদৃশ্য আতঙ্কে আমাদের দিন কাটে রাত পোহায়।উন্নত সমাজ ব্যবস্হা একটি আদর্শ ও ন্যায় রাষ্ট্র আজো আমরা গড়ে তুলতে পারিনি।সংস্কারের কোন নাম গন্ধও নেই, সেই পুরানো গুনে ধরা সমাজে থাকতে থাকতে আমরা যেন অব্যস্হ হয়ে পড়েছি।সংবিধান বহিরভূত রাষ্ট্র পরিচালন স্বৈরতন্ত্র ছাড়া আর কি হতে পারে?
সরকার আর তার মন্ত্রিবর্গ প্রায়ই বলে থাকে, আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। আইনের চোখে সবাই সমান ইত্যাদি।
আরে ভাই এটা টোটালি একটি মিথ্যা কথা।আজ থেকে প্রায় ৩হাজার ৭শত বছর আগে সর্ব প্রথম আইন প্রণয়ন করেছেন ব্যবিলনের রাজা হাম্মারাব্বি।রাজার রাজ প্রসাদে পাওয়া গেছে আইনের ধারা খচিত ২৮৪টি শিলালিপী।তন্মধ্যে জগন্য অপরাধের জন্য ২৫টাই ছিল মৃর্ত্যুদন্ডের সাজা।সেই থেকেই আইনগুলি পরিচালিত হয়ে আসছে সেই একি নিয়মে। প্রকারভেদে আরো নতুন নতুন আইন সংযোযন হয়েছে তার সাথে। বদলেনি একটিও।বরঞ্চ আরো জগন্য ভাবে আজো মানুষ মানুষকে হত্যা করছে।
বেশি দুরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। এই সম্প্রতি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত যুদ্ধাপরাধি সাকা চৌধুরিকে ফাঁসির সাজা দিয়েছে।সেই রায়ে জাতি আজ খুশিতে আন্দলিত।গন জাগরন মঞ্চ আজ আনন্দে দোলা খাচ্ছে।এই সাকারা একাত্তরে হত্যা ধর্ষন লুটপাট করেছে। নিরপরাধ মানুষের ঘরে ঘরে আগুন দিয়েছে।এটাই তাদের কি একান্ত প্রাপ্য?
সাকারা সেই সময় মানুষকে হত্যা করেছে বারি ভারি অস্ত্র দিয়ে।আজ তাদের হত্যা হবে এক টুকরো রুমালের ইশারায়।সুসুজ্জীত মঞ্চ তৈরি করে চলবে তাদের মৃর্ত্যুর বা ফাঁসি কার্যকারিতার কি চমৎকার আনুষ্টানিকতা।কোরবানির বলদের মত ঘা-গোসল করিয়ে ধর্মিয় নিয়মনীতি সেরে,অন্তিম ইচ্ছা জানিয়ে পিচ্ছিল ম্যানিলা রোফ গলে লাগিয়ে জম টুপি পড়াবার পর আজরাইল নয়, রুমালটাই হয়ে পড়ে জমদুত।কালো জল্লাদ টানে হেসকা টান।অমনি মুহুর্ত্যেই সব খালাস।কি সুন্দর মানুষের এই সিস্টেম। মানুষের কি এক আধুনিক বর্বরতা।
---চলবে--
No comments:
Post a Comment