Wednesday, November 25, 2015

এক অজানা রোগে আক্রান্ত আমি,





              

                                                  এক অজানা রোগে আক্রান্ত আমি,


এক অজানা রোগে আক্রান্ত আমি। অবিশ্বাশ্য হলে সত্যি, গত দু সপ্তাহ  ধরে জার্মানীর মত একটা উচ্চ চিকিৎসার দেশে এলিজাবেত ক্লিনিক  নামে একটা অর্থপেডি হাসপাতালে থেকে সব ধরনের পরিক্ষা নিরীক্ষা করেও স্পেশালিষ্ট ডাক্তার গন আমার রোগটা সম্পর্কে সঠিক কোন ধারনাই দিতে পারেন নাই।

গত তিন মাস ধরে আমি পাঁয়ের যন্ত্রনায় ভুগছি।একবার ডান পাঁয়ে আবার বাম পাঁয়ে। এই ভাল আছি এই ভাল নেই অবস্হায়।এমনই অসহ্য ব্যথা যে আমি মাঝে মাঝে ক্রাচে ভর দিয়েও হাঁটতে পারি না। মাঝে মাঝে হুইল চ্যয়ারও ব্যবহার করতে হয়েছে।  ব্যথার কারনে  একদিন হাসপাতালে বেঁহুষ হয়ে পড়ে গেলাম।

এখন অবশ্য আমি বাসায় ফিরে এসেছি। তবে হাসপাতালের প্রধান ডাক্তার পিয়ারনেক এর প্রেসক্রাইপট মত নিয়ম মাপিক হাই পাওয়ারের ব্যথার টেবলেট কটিজন নিতেছি,কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। সেই আগের অবস্হা, এই প্রচন্ড ব্যথা এই আবার ব্যথা নেই।

এলিজাবেত ক্লিনিকে ডাক্তার পিয়ারনেক এর নেতৃত্বে সাত জনের পুরো টিম ১১দিন ধরে রেডিলোজি এমন কি মেগনেট রেডিলোজিকেলের  সব রকমের যন্ত্রদিয়ে বার বার পরিক্ষা নীরিক্ষা করে আমার দেহের ভিতর বাহিরের জটিল ও গুরুত্বপুর্ন অঙ্গের কোন দোষ ক্রুটি ধরতে পারে নাই।আমর  মল মুত্র সব কিছুই ওকে, কিন্তু ব্লাডে একটু সমস্যা আছে তবে রোগটা কি তাঁরা ধরতে পারে নাই।ডাঃ স্টেনসেল এবং ডাঃ হান্স ভাইষ্ট দুজনই ছিলেন অভিজ্ঞ সম্পর্ন  অর্থপেডি ডাক্তার, তাঁরা আগামি বছর পেনসানে যাবেন। আমি বার বার তাঁদেরকে জিজ্ঞেস করেছি তারা এটাকে বাত কিংবা গেঁটেবাত রয়মা বলতে নারাজ।
এখনো আমি এখানে কষ্ট হলেও মোটামুটি নিজে চলাফেরা করতে পারছি।নিজে ড্রাইব করে হাসপাতালে কিংবা ডাক্তারের কাছে যেতে পারছি। তেমন একটা অশুবিধা হচ্ছে না।কোন যায়গায় হয়রানি কিংবা ঘুষ দিতে বা কারো  তোষাম্মদি করতে হচ্ছে না। কারো সুপারিসের ও প্রয়োজন হয়নি। হাসপাতালে এক রকম যন্ত্র দানবের সাথেই আমাকে বসবাস করতে হয়েছে।দশ রকমের খেরাপি সহ নানা পরিক্ষা নিরীক্ষা তারা নিজ ইচ্ছায় নিজ তাগিদেই করেছেন।কোন জায়গায় আমাকে অযথা কোন পয়সা খরচ করতে বা হয়রানি হতে  হয়নি।আমি তাদের কাছে চির ঋনি ও কৃতজ্ঞ হয়েই থাকবো।
মনে মনে শুধু ভাবি, আজ যদি আমার প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশ হতো।তাহলে কারো না কারো সাহায্য সহযোগিতা, সুপারিশ, তোষাম্মদি ঘুষ চাড়া আমি এত গুলি পরিক্ষা নীরিক্ষার কাজ সম্পর্ন করতে পারতাম না।আমি মনে মনে এখানের পরিস্হিতির  সাথে বাংলাদেশের  সাথে মিলাইয়ে দেখি।কেমন যেন একটা আকাশ পাতাল ব্যবধান।
দেখি আগে কি হয়। আমি সব সময় আমার প্রার্থনার প্রতি রাতে, প্রতি প্রাতে আল্লাহর কাছে ছোট খাটো কোন একটা রোগের কামনা করেছি। যেন আমি সে রোগে পড়ে পানির মাঝে লবনের দ্রবনের মত আল্লাহর মাঝে বিলিন বা নির্বান হয়ে যেতে পারি। আল্লাহর সানিধ্য লাভ করতে পারি।এক মনে এক ধ্যনে সদা আমি ।আল্লাহকে ডাকতে পারি।যদি সে রকম কোন রোগ হয়ে থাকে তাহলে কোন সংশয় নেই,। বরঞ্চ জীবনটাকে ধন্য মনে করবো ।
 তবে আমার এই অজানা রোগের কারণে আমি মোটেই আতঙ্কিত বা হতাশাগ্রস্ত নয়।কোন প্রকার দুর্চিন্তা অবসাধ বলতে কিছুই নেই। সব কিছু মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের উপর চেড়ে দিলাম। আমি মনে করি মানুষের রোগ শোক সবি আল্লাহর হাতে। এখানে আল্লাহর ইচ্ছাই প্রতিপলিত  হবে। আমার কি করার আছে?তবে হ্যাঁ শুধু মুমিন লোকদের কাছে দোওয়া প্রার্থি।--আমিন!



Saturday, November 21, 2015

নব্য রাজাকারে ভরে গেছে দেশ,





সাকা মুজাহিদরা সত্যিকারের রাজাকার এটা প্রমানিত সত্য।এমন কি তারা স্বঘোষিত রাজাকার ও।তবু বাংলাদেশ সরকার এই সব কাফেরর, কুপর, মোনাফেক, খুনি, লম্পট, লুটতরাজ, যুদ্ধাপরাধি, মানবতা বিরুধি অপরাধিদেরকে ফাঁসিতে ঝুলায়ে হত্যা করতে কেন এত বিলম্ব করছে?এরা ধর্ম ব্যবসায়ি পাকিস্তানের পাঁ চাঁটা গোলাম।এরা আমাদের প্রবিত্র ধর্মকে শুধু ব্যবহার করছে।এরা নাস্তিক মওদুদির ফেরকা ওহাবী তাঈমীর ফেরকা কায়েম করতে চায়।এরা যেমনি বাঙ্গালীর কাছে অপরাধি, ঠিক তেমনি ইসলামের কাছেও অপরাধি।

এদের অপরাধ হিমালয়ের মত উঁচু।যেখানে স্বাধিন দেশের সর্বোচ্চ আদালত জগন্য অপরাধিকে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রধান করেছে।সেখানে ফাঁসি দিতে এত কালখেপন কেন?

তারা অপরাধ করনে করছে, তার উপর তারা এতদিন সিনাজুরি দেখায়েছে।দম্ভোক্তি করেছে।উদ্যত দেখায়েছে।  তারা তিরিশ লাখ সহীদের তাজা রক্তে ভেজা এই সবুজ বাংলাকে শুধু কটাক্ষ নয়, রিতিমত অশ্বিকার করে চলেছে।তারা দুলক্ষাধিক মা বোনের সম্ভ্রোম হানিকে অবমাননা করে ফতুয়া দিয়েছে।তারা ইসলামের নামে আমাদের রক্তে কেনা বাংলাকে পাকিস্তান বানাতে এখনো স্বপ্ন দেখে।বাংলাদেশকে তারা বাংলাস্তান বানাতে চায়।

খুনিরা কখনো তাদের অপরাধ শিকার করে না, এটা স্বাভাবিক।কিন্তু কোন কোন খুনিকে অনুতপ্ত ও অনুসোচনা করতে দেখা যায়। কিন্তু রাজাকার এমন এক ধরনের নিলর্জ জালেম,তারা তাদের কৃত কর্মের জন্য জাতির কাছে একটি বারের জন্যও ক্ষমা তো চায়নি একটু অনুসোচনা পর্যন্ত করেনি।তাদের পরিবারের সদস্যরাও উদ্যোত আচরন করে কথা বলছে।

তাদের ফাঁসি কার্যকর আজ জন দাবিতে পরিনত হয়েছে।সুতরাং রাস্ট্র পতির ক্ষমার কোন প্রশ্নই উঠেনা। সকল রাজাকারের ফাঁসি দিয়ে, নতুন রাজাকারদের ব্যপারেও ব্যবস্হা নিতে হবে।সাথে সাথে জামায়াত শিবিরকেও নিষিদ্ধ করে  রাজাকার মুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।এটাই জাতির প্রত্যাশা।


Sunday, November 8, 2015

ঢাকাকে ওরা এখনো মনে করে জঙ্গল,


ঢাকা আজ আর সেই আগের মত নেই,
দেখতে দেখতে বদলে গেছে স্বপ্নের ঢাকা শহর। 
ঢাকা আজ আন্তর্জাতিক মেট্রপলিটেন সিটি।

কোন খান থেকে শুরু করবো ঢাকাকে, ভেবেই কুল পাচ্ছি না।
ঢাকা আজ গুলিস্তান থেকে সদর ঘাট কিংবা টঙ্গি পর্যন্ত সিমাবদ্ধ নহে।
ঢাকা আজ মেঘনা ঘাট থেকে জয়দেব পুর,নারায়ন গঞ্জ থেকে সাবার 
মানিক গঞ্জ পর্যন্ত ঢাকার পরিধি।

প্রাচুর্য ঐতিহ্য, এতিহাস, ঐতিহাসিক গর্বময়, গৌরবজ্জল, স্বর্নখচিত, 
অবাক বিশ্ময় বিশালতায় ভরা  এই ঢাকা শহর।তিতুমির ইশা খাঁ এর 
বীর পদার্পনে প্রকম্পিত এই ঢাকা শহর।সালাম জাব্বার রফিক বরকতের 
বুকের তাজা রক্তে রক্তাক্ত এই ঢাকার মাটি।আসাদের রক্তে রঞ্জিত ঢাকার 
আরাদ্ধ রাজপথ।নুর হোসেন ডাঃ মিলনেরা বুকের তাজা রক্ত ডেলে রক্তিম 
করেছিল  ঢাকার এই পিজ ডালা কালো পথ।রাজার বাগ পুলিশ লাইনের 
হাজারো বিদ্রোহী হাজার মুক্তি সেনানীর রক্তে ভেজা এই ঢাকার মাটি।
২১, ৭১,কিংবা ২৬, ১৬ এর জন্মাধাত্রি এই ঢাকা শহর।

পাক-মার্কিনীর মত একটা পরা শক্তিকে পরাজিত করে ঢাকা যখন বীরদর্পে 
সমহিমায় মহিয়ান।ঢাকা যখন আজ বিশ্ব সভায় মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে।
ঢাকার কৃষ্টি কালচার যখন আজ সারা বিশ্বে সমাদৃত।ঢাকার উঁচেল উঁচেল দালান,
  ঢাকার স্কাই লাইন, প্রাচ্যের অক্সপোর্ড, শাপলা চত্তর, দোয়েল চত্তর, অপারেজয় বাংলা, 
সংসদ ভবন, কমলাপুর রেল স্টেশন, বিমান বন্দর, মনোমুগ্ধকর হাতির ঝিল লক্ষ লক্ষ 
যান বাহন ঢাকাকে আজ করে তুলেছে বিশ্ব মানের।

বিশ্ব বরন্য কতো শিল্পি সাহিত্যিক বিজ্ঞানি বুদ্ধিজিবী সভ্যচাচী নভেলিস্ট আর শান্তি 
কামি মানুষের পদভারে যখন ঢাকা আজ মুখরিত।ঠিক তখনি----

এই ঢাকা শহরকে জঙ্গল ভেবে মাঝে মধ্যে ডুকে পড়ে হিংস্র কিছু 
জংলী জানোয়ার।তারা অবাধে দিনে দুপুরে কোপায়ে, কিংবা জবাই 
করে নির্মম ভাবে হত্যা করে শিল্পি সাহিত্যিক বুদ্ধিজিবী মুক্তমনা 
ব্লগার প্রকাশককে।অবোধ শিশুর দল শোর তুলে তাড়া করে 
জঙ্গী জঙ্গী বলে----জানোয়াররা পালিয়ে যায়----নিরাপদে--নির্ভিগ্নে।


------ফারক,

Tuesday, October 20, 2015

সিরিয়ানদের জন্য দুঃখ হয়,

                                                                                                                                           


 সিরিয়া বাসীর জন্য আজ আমার বড়ই দুঃখ হয়,কষ্টও হয়।তার প্রথম কারন হলো আমার যাযাবর জীবনের প্রায় দুটা বছর আমি সিরিয়াতে অবস্হান করেছি। আমি সিরিয়াকে খুব কাছ থেকে গুরেফিরে দেখেছি।সিরিয়ার কৃষ্টি কার্লচার, সিরিয়ার  এক রোখা প্রকৃতি, সিরিয়ান  আসল নাগরিকদেরকে আমি প্রাণ ভরে ভালবেসেছি।সিরিয়া লেভানন এই দুটা দেশেই  আমার জীবনের দুটা বসন্ত কেটেছে।তবে বেশির ভাগ সময় সিরিয়াতেই কেটেছে আমার। দামেস্কের অদুরেই  সৈয়দা জনাব মাজার সন্মুখেই ছিল আমার বাসা।

দ্বিতীয় কারণ হলো সিরিয়া হলো প্রাচীন সভ্যতা গুলির সুতিকাগার।মেছোপটিনিয়ার পাশাপাশি সময়েই সিরিয়ায়  সভ্যতা গড়ে উঠে।যা খ্রিঃপুর্ব প্রায় দশ হাজার বছর পূর্বে।খালিফাদের আমলে সৌদিআরবের আল হেজাজ প্রদেশের মত বৃহত্তম এলাকা নিয়ে আল শাম প্রদেশ গঠিত হয়। উমাইয়া খলিফাদের  আমলে দামেস্কো হয়ে উঠে সমগ্র মুসলিম বিশ্বের রাজধানী। বহু জাতি ধর্ম বর্ণের মানুষ হাজার হাজার বছর ধরে শান্তি পুর্নভাবে বসবাস করে আসছিল।শিল্প সাহিত্যে দর্শণে বিজ্ঞানে দামেস্কো ছিল রোমানদের চেয়েও অগ্রগামি।রোমান সম্রাটরা সিরিয়া থেকেই আর্কিটেক্ট এনে কলোসিয়াম ও বিখ্যাত মন্দির গুলি নির্মান করেছেন।সভ্যতার সেই ঐতিহাসিক শহর আজ বোমা বারুদের আঘাতে ধংশস্তুপে পরিণত হয়েছে।


সৈয়দা জনাবে শিয়া মুসলমানদের  প্রসিদ্ধ বড় মাঝার শরিফ।।বিবি জয়নাবকে নাকি  এজিদের লোকেরা এনে ওখানে
বন্দি করে রেখেছিল, এবং বন্দিবস্হায় তাঁর ইন্তেকাল হয়।বিবি জয়নাবের কবরকে গিরেই শিয়ারা গড়ে তোলেছে এই মাঝার। প্রতিদিন হাজার হাজার ইরানি শিয়ারা  উন্নতমানের লাক্সারিয়াস টুরিষ্ট বাসে করে এসে মাঝার সামনে নামতো। মহিলারা কালো বোরকা পড়ে সমস্ত শরিরটাকে  ঢেকে রেখে,  মুখটা খোলা রেখে নামতো, আকাশের  চাঁদের মত ঝল ঝল করতো তাদের মুখ।, আর পুরুষরা মাথায় সপেদ পাগড়ি বেঁধে, গায়ে বড় বড় আছকান পড়ে থাকতো।বা


বাস থেকে নেমেই তারা ইয়া আলীেইয়া হোসেন, ইয়া জয়নাব বলে কেউ কেউ বুকে থাপরাইয়ে সাড়ি সাড়ি  মাঝারের ভিতরে প্রবেস করতো।তারা মাঝারের সোনা রুপার রেলিং এর মোটা মোটা পাইপে চুমা খেতে খেতে খয় করে চিকন করে ফেলেছে।মাঝারের সাথেই এডজাস্ট বড় মসজিদ। আমি অনেক বার শিয়াদের সাথে সেই মাঝার মসজিদে নামাজ পড়েছি।সেই ছৈয়দা জয়নাবের মাঝারকে আমি আজো মিস করি।


আমি সিরিয়া অবস্হান কালে  সিরিয়ার বেশ কয়েকটি এলাকা যেমন--  তারতুস, আলেপ্প, হোমস, আল নাবাক সহ বেশ কয়েকটা শহরে  গুরে ফিরে দেখেছি।তবে দর্ষণীয় স্হান গুলির মধ্যে দামেস্কোই অন্যতম।পুথি পুস্তকের লেখা আল শাম শহরই আজকের  আধুনিক দামেস্কো শহর।ধারনা করা হয় ফারাউ রাজা  টুটমুসুস এর নামানুসারে এই দামেস্কো শহরের নামকরণ করা হয়।আর আসুরা  জাতির নামানুসারে প্রাচীন গ্রীসিয় ভাষায় এই সিরিয়া নামকরন করা হয়।

সেই যাই হউক, এই দামেস্কো শহরেই এজিদের রাজ প্রসাদ, দাউদ (আঃ) এর হাতে নির্মিত উমাইয়া মসজিদ, হাবেসী বেল্লাল, সখিনা কুলছুম, জাকারিয়া নবীর মাঝার ঈমান হোসেন সহ আটারো জনের  কল্লার মাঝার, সম্রাট সালাউদ্দিনের সমাধি সহ অসংখ্য মাঝার শরিফ, ও ঐতিহাসিক স্তাপনা এই দামেস্কো শহরেই অবস্হিত। প্রাচীন ইতিহাস, ঐতিহ্য, শিল্প সাহিত্য,সাংস্কৃতি জ্ঞান গুনের ভান্ডার ছিল এই  দামেস্কো শহর।ঈমাম গাজ্জালী, ইবনে তাইমিয়ার, আলবেরুনী সহ অসংখ্য জ্ঞানি গুনি এই শহরেই জ্ঞান সাধনা করেছিলেন।





সিমিত সম্পদ, নানা দল মত, সুন্নি ,শিয়া, আলাওয়ি, দ্রুজ, খ্রিস্টান সম্প্রদায় নিয়ে সাবলম্বি সিরিয়া বেশ সুখে শান্তিতে ছিল।কিন্তু আজ সেই সিরিয়া  ইউরো মার্কিনীদের  রোসানলে পড়ে আই এস টেররিস্ট কতৃক ধুলির সাথে মিশে গেছে।শান্তি প্রিয় সিরিয়া বাসী আজ ইউরোপে উদভাস্তুু হতে যেয়ে  সমুদ্রে ডুবে মরছে হাজারে হাজার।যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছে পাঁচ লক্ষাধিক নিরীহ মানুষ। নারী শিশু বুড়ো, জোয়ান। পঙ্গু হয়েছে লক্ষ লক্ষ। তুর্কি. জর্ডান, লেভাননে অমানবিক ভাবে বসবাস করিতেছে লক্ষ লক্ষ উদ্ভাস্তু। ধুলির সাথে মিশে  গেছে পার্লমিরা সহা অসংখ্য ঐতিহাসিক স্তাপনা।


বিশ্ব বিবেক, মানবতা আজ কোথায়?বিশ্ব মাস্তান আর দুষ্ট চক্ররা আজো সিরায়াকে নিয়ে  নষ্ট রাজনিতীর খেলায় মেতেছে।জাতি সংগও আজ সিরিয়ার ব্যপারে নিরব দর্ষকের ভুমিকা পালন করিতেছে। মুসলিম মোড়ল ওহাবীরা ও আজ সিরীয়া বাসীর জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে না দিয়ে বরঞ্চ আই এস টেররিষ্টদেরকে সহযোগিতা করছে, নিরীহ মানুষের কল্লা কাটতে।ধনি আরব রাষ্ট্র গুলি সিরিয়ার দুর্গত মানুষদের পক্ষ না নিয়ে ইহুদী নাসরাদের পক্ষ নিয়েছে।




                                                                          ----চলবে

Friday, July 31, 2015

Capitel Punishment.



                           

              আবেগ এবং অনুভূতি




                                          



১,মানুষের আবেগ আর অনুভূতির জায়গা গুলির মধ্যে দেশ এবং ধর্মই হলো অন্যতম।আবেগের বসেই কবি লিখতে

পেরেছেন আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি।আর যদি সত্যিই কোন আবেগ থাকতো না, তাহলে হয় তো




কবি লিখতেন অন্যকিছু।দেশ এবং ধর্মকে নিয়ে যত গান কবিতা বা বই পুস্তোক রচনা হয়েছে, আমার মনে হয় আর অন্য কিছুর ব্যপারে এত বই পুস্তোক রচনা  হয়নি।নিজ নিজ দেশ এবং ধর্মকে সবাই ভালোবাসে।নিজ সন্তানের মত নিজ

মাবাবার মত, নিজের কোন প্রিয় বস্তুর মত ভালোবাসে।জানপ্রাণ দিয়ে ভালোবাসে।


দেশকে ভালোবেসে যুগে যুগে আমাদের পুর্ব পুরুষরা রক্তদিয়েছে, হাসতে হাসতে শহীদ হয়েছে।শুধু আমাদের দেশ কেন পৃথিবীর সকল জাতিগোষ্টি নিজ নিজ দেশের জন্য যুদ্ধ গৃহযুদ্ধ করেছে। আবার দু একজন কুলাঙার ও স্বদেশের সাথে বেঈমানি করেছে।

 সে অনাদি কাল থেকে, নিরন্তর করে যাচ্ছে আজো। নিজের ভাষা কৃষ্টি কার্লচার নিজের স্বাধিনতার জন্য নিজের ন্যার্য্য অধিকার আদায়ের জন্য রক্ত দিয়েছে শহীদ হয়েছে। এক সভ্যতাকে ধ্বংশ করে আরেক নতুন সভ্যতা গড়েছে।রক্তে ভিজে লালে লাল হয়েছে পৃথিবীর উর্বর মাটি। লালে লাল হয়েছে দেশদেশান্তর।রক্তে ভিজে লালে লাল হয়েছে আমাদের এই স্বদেশের শ্যমল মাটিও।এই রক্তে ভেজা সরস মাটির বুকে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে আছে লক্ষ লক্ষ বীর শহীদ।আমরা কৃতজ্ঞ চিত্বে নতশিরে শ্মরন করি তাদের।




আমরাও এক সাগর রক্ত আর লক্ষ লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে স্বাধীনতার ঐ রক্তিম সূর্য্যটা চিনিয়ে এনেছি কুখ্যাত পাক হায়েনাদের মুখ থেকে।আমরা আজ স্বাধীন,মুক্ত স্বদেশ আমাদের। একথা ভাবতেই গর্বে বুকটা পুলে উঠে।


স্বাধীনতা পেয়ে আমরা মোটেই অলস বসে থাকিনি। একাত্তরের ষোলই ডিসেম্বর আমরা চুড়ান্ত বিজয় লাভ করেছি।বাহাত্তরের ৮ই জানুয়ারি আমাদের জাতির জনককে পশ্চিম পাকিস্তানিরা পিন্ডির কারাগার থেকে নিঃসর্ত মুক্তি দিতে বাদ্য হয়েছে।মুক্তি পেয়ে বাংলার সাড়ে সাতকুঠি মানুষের নয়ন মনি, বাংলার অভিসংবাদিত নেতা মহামানব সর্বকালের শ্রেষ্ট বাঙ্গালী লন্ডন দিল্লী হয়ে প্রিয় স্বদেশের মাটিতে ফিরে আসেন।
এক আবেগঘন পরিবেশে এসে ধ্বংশস্তুপের উপর দাঁড়িয়ে তিনি দেশ গড়ার প্রস্তুতি গ্রহন করেন।

একটা নিঃস্ব ধ্বংশস্তুপ দেশের রাষ্ট্রকাঠামো পুর্নঘটন করতে হলে হওয়া চাই, সুদুর প্রসারি সমাজ দর্শন,রাষ্ট্র দর্শণ, এবং রাজনৈতিক দর্শণ ও সুনির্দিষ্ট চিন্তাধারা এবং পরিকল্পনা।সুনিপুন স্তপতি এবং বিজ্ঞ দার্শণিকের মত জাতির জনক সে পথেই আগাচ্ছিলেন।বায়াত্তর সনেই তিনি ৩৪জন বিজ্ঞ বুদ্ধিজিবীর সমন্বয়ে মাত্র ৮মাসের মধ্যেই প্রণয়ন করলেন আমাদের প্রবিত্র সংবিধান। যা পশ্চিম পাকিস্তানিরা এক যুগেও পারেনি।দিশেহারা জাতির জন্য এটাই ছিল আমাদের প্রথম আলোর দিশারি।এই প্রবিত্র সংবিধানেই সুনির্দিষ্ট করে লিখা আছে আমাদের চলার সকল দিক নির্দেশনা।সংবিধান হলো একটা রাষ্ট্রের মৌলিক আইন।এই সংবিধান মোতাবেক আমাদের এত কষ্টে অর্জিত দেশটা সুন্দর ভাবে সামনের দিকে চলার কথা।কিন্তু কুটি টাকার প্রশ্ন এই সংবিধান মোতাবেক কি আজ আমাদের দেশটা চলছে? উত্তর হবে না!



আমাদের সংবিধানে স্পষ্টভাবে মানবেধিকারের কথা বলা হয়েছে।মানুষের বাক স্বাধীনতার কথা বলা হয়েছে।আমাদের সংবিধানে মদ জুয়া গাঁজাসহ সকল নেশা জাতিয় দ্রব্য ঘনিকাবৃত্তি, ঘুষ দুর্নীতি সম্পুর্নভাবে নিসিদ্ধ করা হয়েছে।


আমাদের সংবিধানে সকল নাগরিকের কর্মসংস্হাসের সুব্যস্হার কথা বলা হয়েছে।আমাদের সংবিধানে সুস্পষ্টভাবে লেখা আছে প্রজাতন্ত্রের সকল কর্মচারি পিয়ন থেকে অফিসারগন সবাই সাধারণ নাগরিকের সাথে আদপ কায়দার সাথে ভদ্রতা বজায়ে রেখে বিহেব বা পেশ আসতে হবে।এই রকম অনেক ঐশি বাণীর মত দিকনির্দেশনা লিখা আছে আমাদের সংবিধানে।এই সংবিধানের মূলস্তম্ভ ছিল, গনতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ, ও ধর্মনিরপেক্ষতা।



আজ আমার প্রশ্ন শুধুই কি লেখার খাতিরেই লেখা হয়েছে এই সংবিধান?উত্তর হবে সম্পুর্ন না!

সংবিধান আজ আর সংবিধানের জায়গায় নাই।১৫ই আগষ্টের পর দীর্ঘদিন যাবত স্বৈরচারের কবলে পরে আমাদের গর্বের সংবিধানকে কাটসাট করে আমাদেরকে সুকৌশলে দীর্ঘমেয়াদি দুর্নীতির দাসত্বে পরিণত করেছে।পৃথিবীর সকল সোষিত মানুষের কপালে যা হয়েছে আমাদের কপালেও তা হয়েছে।আরো ভালো করে বললে বলতে হয় পৃথিবী সকল স্বৈরচাররা যা করেছে আমাদের দু-স্বৈরচার তারচেয়ে নিঃকৃষ্ট কাজটি করেছে।


একজন রক্ত মাংশের মানুষ হয়ে আজ আমার বড়ই কষ্ট হচ্ছে।আজ একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের সর্বত্র ঘুষ দুর্নীতিতে ছেঁয়ে গেছে।সাধারণ নাগরিকের নাভিস্বাস উঠেছে।আজ সাধারণ খেটে খাওয়া নাগরিকের উপর চলছে শারিরিক মানসিক জুলুম নির্যাতন নিপিড়ন।খুনগুম ধর্ষন আজ নিত্তনৈমত্তিক ব্যপার হয়ে উঠেছে।


আধুনিক পুঁজিবাদি গ্লোবাল বিশ্বের সাথে দেশ আজ এগিয়ে চলছে। শুধু আমাদের দেশ নয় পাল্লায় প্রতিযোগিতায় সকল দেশই এগিয়ে চলছে।অর্থনীতিতে, শিক্ষায়,দীক্ষায় জ্ঞান বিজ্ঞানে জ্ঞানিগুনিতে সবদিক দিয়েই এগিয়ে যাচ্ছে।বড় লোক আরো বড় হচ্ছে, গরিব আরো গরিব নয় শুধু ভিখারিও হচ্ছে কোথাও কোথাও।সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মানুষের পাশবিক বর্বরতা।গনতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মতন্ত্র, মানবতা, প্রেম ভালোবাসা, দয়ামায়া করুনা আজ কিছুই নাই তার স্বস্ব অবস্হানে। কোথাও আইনের বালাই নেই।এই সভ্যযুগে এসে মানুষ আজ আবার মেতে উঠেছে তার বর্বর আদিম উল্যাসে।দেশে দেশে আজ মানুষ নিঃস্ব নিঃশ্বেষ হচ্ছে মানুষের আধুনিক এক অসভ্য ইতর বর্বরতায়। দেশে দেশে মৌলবাদীদের উত্থান সেটাই দেখাচ্ছে।


বর্বরতার দিক দিয়ে আজ আমাদের এই বাংলাদেশও পিছিয়ে নেই।বরঞ্চ ভালো একটা পজিশনে আছে।ন্যায় বিচারের নামে অবিচার,সন্দেহাতীত ভাবে পিটিয়ে মানুষ হত্যা শিশু নিযাতন,ধর্ষন সিলেটে শিশু রাজন হত্যা নোয়াখালীতে তিন ভাইকে নির্মম ভাবে হত্যা সেই কথাই বলে।


দিন গড়িয়ে রাত হয় আমাদের অশান্ত পৃথিবীকে দুদন্ড শান্তি দেওয়ার জন্য।আমাদের কথিত সভ্য সমাজের শিক্ষিত সুশিল নধর ভদর লোকগুলি ঠিকই নিরাপদে এয়ার কন্ডিসান খুলে দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন কিংবা আরাম আয়েশ করেন।বাহিরে জেগে উঠে অন্ধ জগত। আমার আপনার সকলেরই জানাশুনা আছে সেই অন্ধ জগতের গুনি বাসিন্ধাদের।জেগে উঠে মদ জুয়া গাঁজার আসর, জেগে উঠে নিসিদ্ধ গল্লি কিংবা
 পল্লি।চারিদিকে অন্যায় অনিয়মের সেকি এক বাজে পরিস্হিতি।


সমাজের এই সব অন্যায় অনিয়ম আমরা দেখে দেখিনা শুনেও শুনিনা।বিকালঙ্গ হয়ে গেছে আমাদের প্রধান ইন্দ্রিয় শক্তিগুলি।আমরা এসবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ প্রতিরোধ করতে পারিনা।বরঞ্চ মাঝে মধ্যে সভ্যরাই বর্বর হয়ে উঠি।এমনকি পুরো রাষ্ট্রটাই ভেঙে পরি সন্দেহভাজনের উপর।হয় গন ধোলাইয়ে হত্যা নাহয় ক্রসফায়ারে হত্যা, নয় তো আইনের আনুষ্টানিকতায় হত্যা। কেপিটেল পানিসমেন্টে, ডেথ পেলাল্টি,এক্সিউস্যান বা সর্বোচ্চ স্বাস্হি মৃর্ত্যুদন্ড আরো কত কত বর্বর আইনে মানুষের প্রাণ নাশ করি।আবার সভা সমাবেশ করে সোস্যাল মিডিয়ায় সেই বর্বরতা প্রকাশ করি। পত্রিকার হেডিং করি।মানুষ হয়ে মানুষকে হত্যা করে আমরা নিজেকে দাবি করি মানুষ।


আজ কোন এক অদৃশ্য আতঙ্কে আমাদের দিন কাটে রাত পোহায়।উন্নত সমাজ ব্যবস্হা একটি আদর্শ ও ন্যায় রাষ্ট্র আজো আমরা গড়ে তুলতে পারিনি।সংস্কারের কোন নাম গন্ধও নেই, সেই পুরানো গুনে ধরা সমাজে থাকতে থাকতে আমরা যেন অব্যস্হ হয়ে পড়েছি।সংবিধান বহিরভূত রাষ্ট্র পরিচালন স্বৈরতন্ত্র ছাড়া আর কি হতে পারে?

সরকার আর তার মন্ত্রিবর্গ প্রায়ই বলে থাকে, আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। আইনের চোখে সবাই সমান ইত্যাদি।


আরে ভাই এটা টোটালি একটি মিথ্যা কথা।আজ থেকে প্রায় ৩হাজার ৭শত বছর আগে সর্ব প্রথম আইন প্রণয়ন করেছেন ব্যবিলনের রাজা হাম্মারাব্বি।রাজার রাজ প্রসাদে পাওয়া গেছে আইনের ধারা খচিত ২৮৪টি শিলালিপী।তন্মধ্যে জগন্য অপরাধের জন্য ২৫টাই ছিল মৃর্ত্যুদন্ডের সাজা।সেই থেকেই আইনগুলি পরিচালিত হয়ে আসছে সেই একি নিয়মে। প্রকারভেদে আরো নতুন নতুন আইন সংযোযন হয়েছে তার সাথে। বদলেনি একটিও।বরঞ্চ আরো জগন্য ভাবে আজো মানুষ মানুষকে হত্যা করছে।
বেশি দুরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। এই সম্প্রতি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত যুদ্ধাপরাধি সাকা চৌধুরিকে ফাঁসির সাজা দিয়েছে।সেই রায়ে জাতি আজ খুশিতে আন্দলিত।গন জাগরন মঞ্চ আজ আনন্দে দোলা খাচ্ছে।এই সাকারা একাত্তরে হত্যা ধর্ষন লুটপাট করেছে। নিরপরাধ মানুষের ঘরে ঘরে আগুন দিয়েছে।এটাই তাদের কি একান্ত প্রাপ্য?

সাকারা সেই সময় মানুষকে হত্যা করেছে বারি ভারি অস্ত্র দিয়ে।আজ তাদের হত্যা হবে এক টুকরো রুমালের ইশারায়।সুসুজ্জীত মঞ্চ তৈরি করে চলবে তাদের মৃর্ত্যুর বা ফাঁসি কার্যকারিতার কি চমৎকার আনুষ্টানিকতা।কোরবানির বলদের মত ঘা-গোসল করিয়ে ধর্মিয় নিয়মনীতি সেরে,অন্তিম ইচ্ছা জানিয়ে পিচ্ছিল ম্যানিলা রোফ গলে লাগিয়ে জম টুপি পড়াবার পর আজরাইল নয়, রুমালটাই হয়ে পড়ে জমদুত।কালো জল্লাদ টানে হেসকা টান।অমনি মুহুর্ত্যেই সব খালাস।কি সুন্দর মানুষের এই সিস্টেম। মানুষের কি এক আধুনিক বর্বরতা।




---চলবে--











Sunday, May 31, 2015

মুসলমানদের এমন দুরবস্হা কেন?

আজ দেশে দেশে মুসলমানদের এমন দুরবস্হা কেন?কেন এমন অধপতন?আজ পৃথিবীর কোথাও মুসলমানরা শান্তিতে নেই।সিরিয়া ,লেভানন, ইরান, ইরাক, পাকিস্তান, কাশ্মির, বার্মা, ফিলিপাইন, ইয়েমেন,সুমালিয়া নাইজেরিয়া, আলজেরিয়া, তুনিসিয়া,তুর্কি মিডেলিস্ট, ইউরোপ, আমেরিকা,ভারত, বাংলাদেশ, এশিয়া কন্টিনেন্টের কোথাও মুসলমানরা একটু ও শান্তিতে নাই।আজ বিশ্ব বাসি মুসলমান নাম শুনলেই আঁতকে উঠে।মুসলমান দেখলেই তারা জঙ্গি সন্ত্রাসি মনে করে।দেখে ঘৃনার চোখে। কিন্তু কেন?

এই কথাই বার বার মাথায় গুরপাক খাচ্ছে। প্রবাসে আসার পরে  প্রথম প্রথম একটা অপরাধ বোধ মাথায় ভোজা হয়ে চেপে বসেছিল, সাউত এশিয়ার  বাংলাদেশের মত একটা গরিব দেশে  জন্মেছি বলে।আর আজ আরেকটা অপরাধ বোধ মাথায় চেপে বসেছে,  আমি মুসলমান কোন দেশে জন্মেছি বলে।আমি বাঙ্গালী ছোট কদের মুসলমান হয়েছি বলে। আমার প্রথম নাম মোহাম্মদ বলে।

আজ আমার বড়ই দুঃখ হয়, কষ্টও হয়, মুসলমানদের এমন দুরবস্হা দেখে।আজ  ব্যদনার নোনা জলে আমার বুক ভেসে উঠে মুসল মানদের এমন অধপতন দেখে।যেই মুসলমাদেরকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে  আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সঃ) দেখায়ে দিয়ে গেছেন, শান্তি ও সাম্যের সুশৃংখল  সুমশৃন সঠিক সুন্দর  পথ। সেই পথ থেকে আজ আমরা কি সড়ে পড়েছি?কেন আমাদের এই দুরবস্হা, কেন আমাদের অধপতন হবে?

ভাবতে অবাক লাগে।যে ইসলাম আরবের মত একটা মরু বেদুঈনের দেশে আর্বিভূতত হয়ে মাত্র আশি বছরে মধ্যে  আধা বিশ্বে খালিফাত্ব কায়েম করে সমগ্র বিশ্বে চড়িয়ে পড়েছে।যে ইসলামের আর্বিভাবে সমগ্র বিশ্বের মুসলমানের হৃৎপিন্ড হয়ে গেছে মরুর মক্কা মদিনা শহর। যেই ইসলাম আমাদের প্রিয় নবীর ইন্তেকালের পরেও চার খালিফা এবং তার পরে হযরত মুআবিয়ার উমাইয়া খালিফাত্ব প্রায় ৯০ বছর, তার পর আব্বাসিয়া খালিফাত্ব ৭৫০ বছর এবং এই সেই দিন পর্যন্ত উসমানি খালিফাত্ব ৬৫০ বছর প্রায় আধা বিশ্ব শাস করেছিল বীর দর্পে। 


যেই ইসলামের সুশিল ছায়াতলে হুহু করে দলে দলে পৃথিবীর সুবিধা বঞ্চিত মানুষরা সমবেত হতে লাগল। যে ইসলাম মাত্র আশি বছরের মধ্যে পরিগনিত হয়ে উঠল একটা বিশ্ব ধর্ম, সমগ্র মানব জাতির নেতা, শিক্ষক গুরু, পথ প্রদর্শক। যে ইসলাম মানব জাতিকে দেখাতে লাগল আলোর পথ, যে ইসলাম মানব জাতিকে শিখাতে লাগল সভ্যতা ভদ্রতা নম্রতা, মানবতা, ন্যয্য অধিকার সাম্য সম্প্রিতী।সেই ইসলামের আজ কেন এমন দুরবস্হা হবে?কেন এমন অধ পতন হবে?


যে ইসলাম জনম দিয়েছে ঈমাম গাজ্জালী, জালাল উদ্দিন রুমি, আল ফারাবি, শেখ শাদী, ওমর খৈয়াম, সর্বকালের সেরা ডাঃ ইবনে সিনা, ইতিহাস বেত্তা আল বেরুনি,পর্যটক ইবনে বতুতা, ঈমাম বোখারী, তীরমিযি, ঈমাম হানিফির মত অগনন হীরের টুকরো,।যে ইসলাম জনম দিয়েছে বড় পীর আবদুল কাদের জিলানী, হাফেজ মহিনউদ্দিনের মত হাজার হাজার ওলি আল্লামা  আলেম গাউস কুতুব সেই ইসলামের কেন এমন দুরবস্হা হবে? কেন এমন অধপতন হবে?


আজ আমার ভাবতে খুব কষ্ট হচ্ছে। তাহলে কি আজ আমরা মুসলমানরা নবীর আদর্শ কোরআন সুন্নাহ থেকে দিন দিন দুরে সরে যাচ্ছি?কেন আজ আমরা  মুসলমান ভাই মুসলমান ভাইকে হত্যা করছি? কেন আজ আমাদের মধ্যে এত মতনৈক্য। কেন এত ভিবক্তি?কেন আজ মুসলমানের মধ্যে মিল্লাত নেই?কেন আজ মুসলিম উম্মা নেই? সম্প্রিতী নেই, ভাতৃত্ববোধ নেই? কেন আজ আমরা সবাই উম্মতে মোম্মদী হতে পারছি না? কেন আমরা আজ মোহাম্মদের লোক হতে পারছি না?।

একবার সুন্নি থেকে শিয়া, খারেজি, তার পর ইছমাইলী, তার পর আলাওয়ি, তার পর দ্রুজ, তারপর ওহাবী, তার পর আহম্মেদী, তার পর মদুদী হয়ে ইসলামের নব জাগরনের  নামে  বার বার  ইসলামকে কি ঔরা সংস্কার করে  এত গুলি ফিরকা তৈরি করে ইসলামের  সাত ঈমান,পাঁচ আকিদা এবং কোরআন সুন্নাহর বারটা বাজিয়ে দিচ্ছে না?

হে আল্লাহ! তুমি মুসলমানদেরকে সঠিক জ্ঞান দান করো।হেদায়েত করো, আর আমাকে ক্ষমা করো, আমিন!


 জার্মানী,









x

Wednesday, May 27, 2015

আমার মতামত,

                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                        দেশ যতই উন্নত হচ্ছে, ততই অন্যায় অনিয়ম বাড়ছে।
কেন আমাদের সমাজের এত অবক্ষয়,কেন  এত অসংঘতি, কেন এত বৈশম্য?স্বাধিনতার তেতাল্লিশ বছর পরে এসেও কেন আমরা স্বাধিনতার একটু স্বাধ গ্রহন করিতে পারিতেছি না?কেন স্বাধিন দেশে এত অন্যায় অনিয়ম? কেন আমরা আজো ন্যয় বিচার থেকে বঞ্চিত? কেন আইনের শাসন নেই আমাদের দেশে? কেন আজো আমরা ঘুষ দুর্নিতী বন্ধ করতে পারতেছি না? কেন কালো বাজারি বন্ধ হচ্ছে না?কেন আজো স্বাধিন দেশে যেখানে সেখানে নারি শিশু নির্যাতিত হচ্ছে? কেন আজো নিরপরাধ মানুষের অস্বাভাবিক মৃর্ত্যু হয়?এ রকম অনেক প্রশ্নই মাথায় আসে।
কিন্তু হক কথা বললে, আমাকে বলতে হবে, মাননীয় প্রধান মন্ত্রি শেখ হাসিনা আপ্রান চেষ্টা করে যাচ্ছেন সকল ঝঞ্জাট  দুর করে সোনার বাংলা হিসেবে আধুনিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে। ১৫ই আগষ্টের পর থেকে স্বৈরচার জিয়া এরশাদ, এবং হাউজ ওয়াইপ বিধবা নারি খালেদা জিয়া বার বার কুটকৌশল করে ক্ষমতায় এসে দেশটাকে কুলষিত করে দুর্নিতীর নর্দমায় ফেলে বার বার বিশ্ব চেম্পিয়ান করে এক আবর্জনার স্তুুপে পরিণত করেছে।দেশটার অবস্হা এখন হয়েছে এমন যে, এক ঠ্যাং দিলে মই চলে না , দুই ঠ্যাং দিলে গাই হাঁটে না।আজকে দেশের সুশিক্ষিত এবং সুস্বচেতনরা এগিয়ে না আসি, আমরা যদি সকল অন্যায় অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ প্রতিরোধ গড়ে না তুলি, তাহলে শেখ হাসিনার পক্ষে একা তা কোনদিন সম্ভব হবে না।
১,রাজনিতী---
বর্তমানে দেশে খাঁটি দেশ প্রেমি রাজনিতীবীদ বলতে আমার নজরে কেউ নেই।সবাই  পেশি বলে অর্থ বলে কুটকৌশলে শুধু ক্ষমতায় গিয়ে লুটে পুটে নিজের আখের ঘোচানোর জন্য ব্যতিব্যস্ত।কালো বিঁড়াল ধরতে গিয়ে নিজেরাই বন্য বিঁড়াল হয়ে দেখা দেয়।ক্ষমতায় গিয়ে অল্প কয়দিনের মাধ্যমেই দেশে বাড়ি গাড়ি করে সরকারি সকল সুজোগ সুবিধা ভোগ করেও দেশের সম্পধ বিদেশে পাচার করে বিদেশে বাড়ি কিনে সিঁদ চোরের মত পালানোর রাস্তা তৈরি করে।খুনি সন্ত্রাসি, চাঁদাবাজ ঘুষ দুর্নিতী,চাকুরি প্রমোশন টেন্ডার নিয়োগ,নিলাম কালোবাজারি সেন্ডিকেট, আন্ডার ওয়াল্ড নিয়ন্ত্রন আদম পাচার নারি পাচার, নারি বাজি, মিডিয়া টক শো সব কিছুতেই সবার সাথেই রাজনিতীবীদদের সুক্ষ কানেকশান আছে।তারা ইচ্ছা করলে গনেস উল্টিয়ে দিতে পারে আবার সিদা ও করে দিতে পারে।
জনগনের এত দুঃখ দুর্দশা দেখেও আমাদের দেশের কিছু শিক্ষিত সুশিল সমাজ এমন কি মানবতা বাদি নন গভর্নমেন্ট অরগাইনেজান গুলোও নিরব ভুমিকা পালন করে যাচ্ছে।নারি শিশু নির্যাতন, নিরপরাধ মানুষ হত্যা, এনকাউন্টারে হত্যা,বন্দিদশায় হত্যা ও নিপিড়ন দেখে মানবতা লজ্জা পাওয়ার কথা, কিন্তু আমাদের এখানে কারো কোন লজ্জা বোধ বলতে কোন কিছু নেই। ভেজালি মাল খেতে খেতে অন্যায় অনিয়ম সহিতে সহিতে সব সহ্য হয়ে গেছে।নিয়ম নিতী আইন কানুন এসব বাতিল কথা।
২, প্রশাসন--
একটা আদর্শ রাষ্ট ও উন্নত সমাজ ব্যবস্হা  গড়ে তুলতে হলে সরকারকে অবশ্যই প্রথমে সুশাসন প্রতিষ্টা করে জনগনকে সম্পূর্ন ভাবে পূর্ন গনতন্ত্র ও স্বাধিনতার সুখ উপভোগ করার সুজোগ করে দিতে হবে।সাথে সাথে সর্বস্তরের নাগরিককে সব কিছুর সঠিক জবাবদিহীতা এবং দায়বদ্ধতার আওতায় আনতে হবে। শুধু মানুষ নয় একটা পশু পাখির ও জানমালের হেফাজত করা প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য নয় শুধু  ন্যয় দাযিত্ব্‌ ও বটে।
প্রশাসনের প্রথম স্তর হলো, পুলিশ--সিভিল গভর্নমেন্ট বা সামরিক গভর্মন্টে যে সরকারই ক্ষমতায় অধিষ্ট থাকবে. কোন অপরাধিকে ধরে বিচারের সন্মুখিন করতে হলে পুলিশের মাধ্যমেই আসামিকে ধরে আনতে হবে।সাধারণ পুলিশ এবং গোয়েন্ধা পুলিশ উভয়ে এক সাথে কাজ করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আসামিকে ধরে আইনের হাতে সোপর্ধ করতে হবে।নারি এবং শিশুর কিডনেপিং সন্ত্রাসি হামলায় ও ডাকাতি দুর্গঠনার খেত্রে পুলিশকে যে কোন থানা চৌকি কিংবা পেট্রল ডিউটিরত পুলিশকে কারেন্ট একশান নিতে হবে।এখানে বিন্দু মাত্রও ঘাপলতি বা টালবাহানা করা সমিচিন হবে না।কারণ ভিকটিম বড় অসহায় ও তার জান খৎরায়।
পুলিশকে আসামি ধরে থানায় এনে আদালত থেকে রিমান্ড মনজুর করে কঠিন কোন নির্যাতন করা যাবে না। তার কাছ থেকে কৌশলে শিকারোক্তি আদায় করতে হবে,দাগি আসামি হলে পাতলা পুতলা দু একটা দেওয়া যাবে,দমকি দামকি দেওয়া যাবে, কিন্তু জানে মেরে ফেলার ক্ষমতা পুলিশের একতিয়ারে নেই।আর আসামি নারি হলে অবশ্যই তাকে নারি কর্মকর্তারাই ইজ্জতের সাথে জিজ্ঞাসা বাদ করতে হবে।
আমাদের দেশে দেখা যায় আজো পুলিশকে সেই সামন্ত বা সামরাজ্যবাদির আমলের মত পোশাক পরিচ্ছেদ হেলমেট গামবুট পড়ে ডান্ডা অস্ত্র এমনকি চাপাতির কোপে থানার ভিতরে আসামিকে নির্মম ভাবে হতাহত করতে।পুলিশকে স্মরন করিয়ে দিতে হবে তুমি শুধু আমাদের সেবক নয় , তুমি আমাদের খরিদা গোলামও বটে। তুমি পাবলিক চারভেন্ট। তোমার এই উর্দির ঠাঁটবাট সবি আমাদের কেনায়।আমাদের টাকায় তোমকে মোকত রেশন দেওয়া হয়, মাসের পহেলা তারিখে বেতন দেওয়া হয়।
আমাদের দেশে পুলিশের নিয়োগও দেওয়া হয় সেই ব্রিটিশ আমলের সিস্টেমে। শুধু লম্বা চোওরা ওজন মেপে তিন চার মাস শারিরিক কশরত শিখিয়ে ইউনিফরম দিয়ে অবৈধ পথে পয়সা কামানোর ধান্ধায় নামানো হয়।এখানে তাকে কোন প্রকার সামাজিক কুটকৌশল শিক্ষা দীক্ষা দেওয়া হয় না।সেই কারনেই মুর্খ পুলিশরা মুর্খ আচরন করেন জনগনের সাথে সব সময়।পুলিশকে দেখা যায় আসামিকে ধরতে এবং ধরে থানায়  এনে এমনকি মরা মানুষকে নিয়ে, এমনকি নিরপরাধি মানুষকে ধরে এনে লাখ লাখ টাকার চাঁদাবাজি করতে।আবার সব সরকারই পুলিশকে অঘোষিত কেডার হিসেবেও ব্যবহার করে থাকে। এটা অত্যান্ত দুঃখজনক ব্যাপার।আবার দেখা যায় মামলার আলামত এবং মুল্যবান শিকারোক্তি পুলিশ মোটা দানের বিনিময়ে উল্টিয়ে দিয়ে কিংবা অন্যরকম তৈরি করে আদালতের হাতে সোপর্দ করে।পরে আবার আদলতের লোক জন মুহুরি মোক্তার ফেশকার পিয়ন থেকে উকিল বারিষ্টার এমন কি জজ পর্যন্ত ভিকটিমকে রসাল ফলের মত শুশতে শুশতে চিটা করে আভর্জনার স্তুপে কিংবা ডাস্টবিনে ফেলে দেয়।আমাদের দেশের গনতন্ত্রও সেই রসাল ফলের বিচির মত আজ।
৩, অপিস আদালত--
 আমাদের দেশে অপিস আদালতে অবাধে চলে অন্যায় অনিয়ম আর মিথ্যার চর্চা।জনগন ঠিকমত ন্যায় বিচার পায় না।বাদি বিবাধি যে মিথ্যা বলে, জজ বারিষ্টার উকিল মোক্তার দুই পক্ষ অবলম্বন করে মোটা দান হাত করে মিথ্যাকেই সিকৃতি দিয়ে মোছে তা দেয়।সঠিক ভাবে সত্যকে উদঘাটন করে না,কোন পক্ষই, করলে ওমোটা দানের বিনিময়ে তা মিটয়ে দেওয়া হয়। পরে যাবত জীবন সাজা খাটার পর দেখা যায় আসামি নির্দোষ।
অপিস আদালতের সর্বস্তরে অবাধে চলা ঘুষ দুর্নিতী চিরতরে বন্ধ করতে হবে। আমাদের খরচে লেখা পড়া করে তোমাদেরকে কলম চোর হলে চলবে না।তোমাদেরকে ভাল কিছু করতে হবে।আমাদেরকে বিপদে পেলে পাশায়ে তোমরা লাখ লাখ টাকা কামাবে, অট্টালিকা বানাবে বিদেশ গিয়ে উন্নত চিকিৎসা করাবে, তোমাদের ছেলেমেয়েকে বিদেশে পড়াবে, তোমরা বিদেশ ভ্রমনে যাবে, হজ্ব করবে, তা হবে না, ধর্ম মতেও জায়েজ হয়না। এই সব বন্ধ করতে হবে।ঘুষ দর্নিতীকে চরম অপরাধ হিসেবে গন্য করতে হবে।মনে রাখতে হবে সকল অন্যায় অনিয়ম অপরাধ এমন কি মিথ্যা বলাও অপরাধ।পৃথিবীতে কোন ধর্ম ও সভ্যতা তাহা সমর্থন করে না।
৪,চিকৎসা ব্যবস্হা---
আমাদের দেশে ইদানিং দেখা যায় সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বেঙের ছাতার মত প্রাইভেট ক্লিনিক গড়ে উঠেছে।ভালো কথা, কিন্তু জনগনকে তো সুচিকিৎসা দিতে হবে।দেখা যায় ভূয়া ডাক্তারি চার্টিফিকেট নিয়ে অনেক প্রাইভেট অক্লিন ক্লিনিক চালানো হয়, এমন কি চুইপার মালি দিয়ে প্রসুতির সিজারিং বা বড় বড় জটিল রোগের অপারেশন করা হয়।আবার ডাইগোনেষ্টি সেন্টার গুলো মানুষের মল মুত্র ব্লাড স্পার্ম টেষ্ট করে ভূল রিপোর্ট দিয়ে মানুষকে বিব্রান্ত করে অপহরন চাঁদা বাজির মত লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। আবার এই সব বড় বড় সামাজিক অপরাধিরা সরকারে এডমিনিস্ট্রেশনের সহযোগিতাও পেয়ে যাচ্ছে।অপরদিকে ভুক্তভোগি মানুষরা সহায় সম্বল হারায়ে লেবরেটারির ইঁদুর কিংবা গিনিপিগের মত বলি হচ্ছে।
আজ মেইড ইন বাংলাদেশের ঔষোধ পৃথিবীর ৯০টা দেশে রপ্তানি হলেও  আমাদের দেশের মানুষ ভেজাল ঔষোধ খেতে খেতে মরছে।এই সব সামাজিক অপরাধিকে উচিত বিচার করে সমাজে দৃষ্টান্ত স্তাপন করতে হবে যে, ঔষোধ তৈরি হয় মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য, মানুষের মির্ত্যুর জন্য নয়, এবং এটাকে চরম অপরাধ হিসেবে গন্য করতে হবে।
৫, কালোবাজারি---
আমাদের দেশে দেখা যায় যে কিছু অসাধু ব্যবসায়ি  অসাধু ভাবে পয়সা কামাতে কামাতে এমন এক পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে যে তাদের মধ্যে সামাজিক মানবিক মুল্যবোধ ও আন্তরিকতা  বলতে  কিছুই নেই।প্রশাসনের সাথে তাদের একটি গোপন সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে। তারা এমনই সার্থপর যে নিজের সার্থ চাড়া কিছুই বুঝে না।খাদ্যদ্রব্য স্টক করা, খাদ্যে ফরমালিন মেশানো, ওজোন বাড়ানো কমানো, সিন্ডিকেটের ইশারায় দ্রব্য মুলের উর্দগতি নিম্নগতি করা এই সব জগন্য অপরাধ কে তারা কিছুই মনে করছে না।অতচ মানুষ আদিম যুগেও এত বর্বর ছিলনা।প্রয়োজনের তাগিদে সবাই সবার মাঝে সব কিছু সুসমবন্টন করতো। আর আমরা এই কোন আধুনিক বর্বর যুগে প্রবেস করলাম?
৬,শিক্ষাব্যবস্হা---
আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্হাকে আমার কাছে ডাল খিজুরির মত মনে হয়।আজকের ডিজিটেল যুগে ছেলে মেয়েরা বিদ্যালয়ের চেয়ে নানা সামাজিক অনলাইন মাধ্যমে অনেক কিছুই শিখে যায়। কিন্তু তাই বলে সবার জ্ঞান বুদ্ধি সমান না, সবাই সব কিছু সমান ভাবে  শিখতে ও বুঝতে পারে না।যদি পারতো তো পৃথিবীতে এত ধর্ম কর্ম মতবেদ সৃষ্টি হতো না, ধর্ম আর রাজনৈতিক মতবেদ মানুষ একটাকেই গ্রহন করে নিত।তাই যার যে দিকে জ্ঞান বেশি তাকে প্রাইমারি থেকেই সিলেকশান করে সে দিকে শিক্ষা দেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।
প্রাইমারি থেকেই ছেলে মেয়েদের সিলেবাসে সামাজিক শিক্ষা, ন্যায় অন্যায়, ভালো মন্দের পার্থক্য,নিজের দায় বদ্ধতা জবাব দিহীতা , সাবধানতা, যৌনতা, সিভিল কোরাজ সম্বন্ধে সম্যক জ্ঞান বা নুন্যতম ধারনা দিতে হবে।শিক্ষককে ছেলে মেয়েদের সাথে বন্ধুর ন্যয় আচরন করতে হবে।কড়া শাসন বা মারা যাবে না।
৭, ড্রাগ--
ড্রাগ বলতে নেশা জাতিয় সকল দ্রব্য মদ গাঁজা ধুম পান থেকে সব কিছু সরকারি ভাবে নিশিদ্ধ করতে হবে।কারণ এই সব বাজে জিনিসে আমাদের দেশের লাখ লাখ তরুন অকালে তার মুল্যবান জীবন প্রদিপটা নিভিয়ে দিচ্ছে।যে জিনিসে শরিরের কোন পয়দা নেই, যেই জিনিসে মানব জাতির কোন মঙ্গল নেই, সেই জিনিসকে সরকার সামন্য ট্যাক্স লাভের জন্য কি ভাবে বৈধ লাইসেন্স দেয়?আমার এই কথা ভাবতে অবাক লাগে কেমন করে হাজার হাজার গাঁজা হিরোইন সেবি আর বিক্রেতাকে পুলিশ আসামি ধরার জন্য ইমপরমার হিসেবে ব্যবহার করছে।
৮, নারী নির্যাতন---
আজ আমাদের দেশে নারী ও শিশু নির্যাতন এক জগন্য সামাজিক ব্যদিতে পরিণত হয়েছে।একদিকে সরকার বেশ্যা লয় খুলে বসেছে, আরেক দিকে কিছু নরপশু নারি শিশু দেখলেই হামলিয়ে পড়ে তার উপর।খবরা খবর দেখলে মনে হয় দিন দিন দেশে নারি শিশু নির্যাতন বেড়েই চলছে।নির্যাতনের পর আবার স্বাস রোধ করে নির্মম ভাবে হত্যাও করা হচ্ছে।নিরাপদে কোন মেয়ে ঠিক মত বিদ্যালয়ে যেতে পারে না, বখাটেরা উৎপাত করে। প্রেমে ব্যর্থ হয়ে কিংবা সামান্য মনোমালিন্য হলেই এসিড নিক্ষেপ করে ঝলসে নারিকে হত্যা বা চিরতরে পঙ্গু করে দেওয়া হচ্ছে।   এটাকে চরম অপরাধ হিসেবে গন্য করে ও সব নরপশুকে জানিয়ে দিতে হবে একজন নারী মানে বাংলাদেশের কলিজা, একজন নারী মানে আমাদের মা বোন।একজন নারী মানে আমাদের স্ত্রি, আমাদের আশা আখাঙ্কা আমাদের বেঁচে থাকা ভালবাসা সব কিছু।একজন নারীকে নির্যাতন নয় বরং সন্মান দেখাতে হবে।সবাইকে   মনে রাখতে হবে, আমরা বাঙ্গালী জতি মানব ইতিহাসে কোন সভ্যতার জন্ম তো দিতে পারি নেই, বর্বরতা দিতে যাব কেন?

আসলে এরকম প্রতিটা খেত্রে আমারা যদি প্রত্যেকে প্রত্যেকের জায়গা থেকে  প্রতিবাধ প্রতিরোধ করে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলি, তবেই সম্ভব একটি আদর্শ রাষ্ট ও উন্নত সমাজ ব্যবস্হা।তা হলেই বাংলাদেশ হতে পারে বিশ্বের মাঝে এক মাত্র রোল মডেল হিসেবে দেশ।তা হলেই আমরা স্বাধিনতার  সুখ পুরোদমে উপোভোগ করতে পারবো।তা না হলে এ দেশের শিক্ষিত সমাজ চিরদিন ইতিহাসের পাতায় অপরাধি হয়ে থাকবে।
আজ আমার ভাবতে খুবই কষ্ট হয়, বিশ্বে এক মাত্র আমরাই একটি জাতি, স্বসস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে আমরাই দেখেছি প্রকৃত স্বাধিনতার মুখ, অতচ আমাদের জীবন থেকে গেল না হায় কোন দুঃখ।

---ফারুক,  

Sunday, May 17, 2015

মিথ্যা কথা সত্য কথা, সত্য কথা মিথ্যা কথা,


মিথ্যা কথাকে মানুষ এমন ভাবে ইনিয়ে বিনিয়ে প্রকাশ করে যে আমরা সত্য বলে মেনে নিতে রিতিমত বাদ্য হয়ে যাই।বর্তমানে তো মিডিয়া আর নানা প্রচার মাধ্যম  এমন ভাবে রঙ লাগিয়ে বলে যে সত্য না ভেবে পারা যায়না।আসলে সত্য জিনিসটা কি? সত্যের কি কোন সঠিক সংজ্ঞা আছে?

আমার মনে হয়  জগতে সত্য বলতে কিছুই নেই।মনে প্রাণে অঘাধ  বিশ্বাসই সত্যের মূল ভিত্তি।তত্ব তাত্বিক জ্ঞান বিজ্ঞানে ধ্রুব সত্য বলতে কিছু নেই।আমি যেটাকে সত্য বলে মনে করি, আপনি সেটাকে মিথ্যা বলে  মনে করেন, এমন কি প্রমানও দিতে পারেন। আবার আপনি যেটাকে সত্য বলে মনে করেন সেটাকে আমি মিথ্যা বলে প্রমান করে দিতে পারবো।আমি না পারলেও অন্য কেউ পারবে। আপনি দেখবেন আপনার তত্ব বা আবিষ্কার অটোমেটিক মিথ্যা হিসেবে প্রমান হয়ে যাবে। এটাই চিরাচরিত স্বাভাবিক নিয়ম।

মানব জাতির ইতিহাসের শুরু থেকেই যুগেযুগে কত শত সভ্যতা বিকশিত হয়েছে, আবার কত শত সভ্যতা ধুলয় মিশে গেছে। কালজয়ি দার্শণিকরা জ্ঞান প্রজ্ঞায় কেউ ধর্মের মাধ্যমে আবার কেউ তত্বতাত্বিকের মাধ্যমে কত রকমের দর্শন এবং মতবাদ দিয়ে গেছেন তার  বেশির ভাগই নতুন নতুন দর্শনের আবির্ভাবে মিথ্যা প্রমানিত হয়ে বিলিন হয়ে গেছে।একমাত্র ধর্মের নামে হাতেগনা কয়টা দর্শন টিকে আছে ভয়ানক সত্য হিসেবে।

নির্দশন স্বরুপ বলা যায় দু-নদের মধ্যস্হলের মেচোপটিনিয়া সভ্যতা, ব্যবিলন সভ্যতা, ফেরাউদের সভ্যতা, চেচেন ইৎজারকে গিরে মায়া সভ্যতা,ইমকার সভ্যতা প্যাটরা সভ্যতা, মহেনজুদারু সভ্যতা, গ্রীসিয়, রোমের মত আধুনিক সভ্যতা গুলোও বর্তমান আধুনিক মানুষের কাছে বাতিল মিথ্যা কথাবার্তা চাড়া কিছুই নয়।

মানুষ সৃজনশীল, মানুষ পরিবর্তনশীল এটাই প্রকৃতির নিয়ম ও স্বাভাবিক ধারা। অনাদিকাল থেকেই চলে আসছে এই ধারা, এবং হয়তো অনন্তকাল পর্যন্ত চলতে থাকবে এই ধারা। মানুষ জ্ঞান মেধা প্রজ্ঞা দিয়ে জয় করতে থাকবে কঠিন কঠিন সময়কে।

প্রত্যেক মানুষের মনেই চেতনে অবচেতনে ভাব আসে খেয়াল আসে।একটা শিশুও পাগলেরও আসে।ভাবটা হলো মুদ্রার এপিট ওপিট, যার একপিটে লেখা সত্য, আরেকপিটে লেখা মিথ্যা। সেই সত্য মিথ্যা ভাবটাকে সংসারে সমাজে কিংবা রাষ্টে ভাববাদিরা শুধু সত্যের বীজ হিসেবে  জোর করে মানুষের মগজে বপে দেয় যে, পরে দেখা যায় সেখানে গজায়েছে এক বিরাট মিথ্যার নিষ্ফলা অটবি।আর সেই অটবির মগ ডালে বসে শুধু কাক পক্ষিরাই কা কা করে।

মিথ্যার বিভিন্ন প্রকারভেদ আছে, যেমন গুজবে মিথ্যা সত্য হিসেবে প্রকাশিত হয়ে ভিষন বিশ্বাসে পরিণত হয়। আবার হুজগে মিথা কথা সত্য কথা হিসেবে প্রকাশ হয়।আরেক রকম মানুষ নিজেকে ছালাক স্মার্ট ও জ্ঞানি হিসেবে প্রকাশ করার জন্য অকপটে শুধু মিথ্যাই বলে যায়,আর ভক্তরা তো সত্য হিসেবে বিশ্বাস করতে থাকে।

এক গবেশনায় দেখা গেছে যে শিক্ষিত মানুষরাই বেশি মিথ্যা কথা বলে।দৈনিক পাঁচ শতবার মিথ্যা কথা বলার রেকর্ডও নাকি আছে শিক্ষিত মানুষের। দালাল চাটুকার সাংবাদিক আর রাজনিতীবীদদের ব্যপারে কোন গবেশনা হয়েছে বলে আমার জানা নেই। তবে আমি নিশ্চিত তারাও মিথ্যা কথা সত্য কথা কম বলেন না।

চাকুরিজিবী সাংবাদিকরা তো মিডিয়ার মালিকের অনুমতি চাড়া কোন কথাই বলতে পারেন না। তাই তারা পিটও পেট বাঁচায়ে খবর পরিবেশন করেন।অনেকে আবার আগে দিয়ে সর্ত জুড়ে দেন এভাবে যে নাম না প্রকাশ করার সর্তে অমুক বলেছে যে ------বা গোপন সুত্রে জানা গেছে যে----ইত্যাদি। কি ভয়ানক গাঁজাখোরি ভয়ানক সত্য কথা।

চন্দ্রাভিযান মানব জাতির ইতিহাসে কি ভয়ানক সত্য কথা, ষাট বছর পরেও আমরা সত্য হিসেবে আজো কি গভির বিশ্বাস করি।
নিউইয়র্কের টুইন টাওয়ার হামলা ও বীন লাদেন হত্যা রহস্য কি ভয়ানক সত্য কথা কতভাবে কতরকম আমরা শুনতেছি।
সম্প্রতি সালাউদ্দিন গুম ও শিলং এ উদ্ধার নিয়ে কি ভয়ানক সত্য কথা গুলি শুনে যাচ্ছি, জানি না আরো কতো শুনতে হবে।

আসলে আমরা মানুষরাই অবিশ্বাসকে যত বেশি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি, অন্য কোন প্রাণি সে ভাবে করে না। আমরা মানুষরাই যে ভাবে অখাদ্যকে খাই সেভাবে অন্য কোন প্রাণি খায় না।

আমার কাছে কেন জানি মনে হয়, গনতন্ত্র, সমাজতন্ত্র,ধর্মতন্ত্র,মানবতা বাদি,পরিবার পরিজন তন্ত্র এমনকি ভালবাসাও এক একটি মিথ্যা শব্দ।ধ্রুব সত্য বলতে এই পৃথিবীতে দুটা জিনিস আছে, তা হলো মানুষের জন্ম ও মির্ত্যু।

----------------------------ফারুক,


Thursday, May 14, 2015

ঐতিহাসিক দ্বান্দ্বিক বস্ত্তুবাদ,





জার্মানী দার্শনিক মহামতি কার্ল মাক্স ঐতিহাসিক দ্বান্দ্বিক বস্ত্তুবাদের প্রবক্তা।বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রেরও প্রবক্তা তিনি।দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদ শুধু কল্পনাপ্রসূত  দুরদর্শিতা কোন দর্শণ নয়, এটার একটা বৈজ্ঞানিক ব্যখ্যা বা বিশ্লেষণও আছে। তাই এইটাকে বৈজ্ঞানিক বস্তুবাদও বলা হয়।মাক্স এর মতে মানব ইতিহাসের বিকাশ দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদ পক্রিয়ায় ঘটে থাকে। কোন কারণ ব্যতীত আপনা আপনি দৈব বলে সংঘঠিত হয় না।বস্ত্তুর  আভ্যন্তরেই  দ্বন্দ্ব বা বিরোধ তীব্র আকার ধারন করার পরে যে পরিস্হিতির সঙ্গে যে দ্বন্দ্ব তাহাই তার পরিণতি।

দ্বান্দ্বিক বস্ত্তুবাদ এমন এক প্রজ্ঞাবান দর্শণ যে এইটা দিয়ে পৃথিবীর সব বিষয়কে ব্যখ্যা বিশ্লেষণ করা সম্ভব।আর তাই তো মহামতি কার্লমাক্স এই বস্ত্তুবাদের মাধ্যমে  মানব জাতির ইতিহাস ও সমগ্র বিশ্বকে বড় জোরে একটা নাড়া দিতে সক্ষম হয়েছেন।তিনি প্রকৃতির লিলাখেলা থেকে দ্বান্দ্বিক বস্ত্তুবাদের সুত্রকে আমাদের সামনে খুব সুস্পষ্ট ভাবে তুলে ধরেছেন।
দার্শণিক হেগেল

কার্লমাক্স আইন, ইতিহাস, ও দর্শণের উপর বন ওবার্লিনের হমবল্ট ইউনিভারসিটি থেকে উচ্চতর ডিগ্রি নেওয়ার পর ১৯৪১ সালে ইউনিভারসিটি অফ জেনা থেকে পি এইচ ডি ডিগ্রি লাভ করেন।তাঁর পি এইচ ডির বিষয় ছিল, প্রকৃতি সম্বন্ধে গ্রিসীয় পিলোসপি দেমোক্রেতোসীয় ও এপিকুরোসীয়  দর্শনের মধ্যে পার্থক্য।তাচাড়া তিনি শৈশব থেকেই স্বভাব কবি ছিলেন, আর কবিকে প্রকৃতি থেকেই সঠিক শিক্ষা লাভ করতে হয়। না হয় কবিতার কঠিন ভাষা প্রয়োগ করা অসম্ভব।আবার গুরু মুর্শিদের কাছ থেকেও শিক্ষা গ্রহন করতে হয়। নতুবা তো কোন সাধনাই পরিপূর্ন হয় না।তেমনি মাক্সেরও ভাব গুরু ছিলেন অনেকেই। ফয়ারবাক হেগেল আরো অনেকে।

বিশেষ করে জার্মান দার্শণিক হেগেলের ভাববাদ ও নাস্তিকতাবাদ  থেকেই মাক্সবাদ ও নবভাববাদ বা স্বৈরতান্ত্রিক রাজনৈতিক মতবাদের উৎপত্তি হয়েছে।

এখানে সর্ব প্রথম আমাদেরকে বুঝতে হবে দ্বান্দ্বিক বস্ত্তুবাদ আসলে কি?সোজা কথায় বললে,দ্বন্দ্বটা হলো বিরোধ আর বস্ত্তুটা হলো একটা যে কোন জিনিস বা (Meterial বা  matter)।মুলত দ্বান্দ্বিকতা আসে আড়াই হাজার বছর পূর্বে মহামতি সক্রেটিসের দর্শণ থেকে।তিনি দ্বন্দ্বের মাধ্যমেই আলোচনা করে মানুষকে বুঝানোর চেষ্টা করতেন।যেমন তাঁর একটা উদ্ধৃতি-তারা জানে যে তারা জানে না, আমি জানি যে আমি জানি না।

দ্বান্দ্বিক বস্ত্তুবাদের  মুল উপাদান আসে হেগেলের ভাববাদি দর্শন থেকে। হেগেল পুরো দর্শণ বা জ্ঞানকান্ডকে দুই ভাগে     অর্থাৎ ভাববাদ  Idealism ও বস্ত্তুবাদ     Materialsm   বুঝায়েছেন।হেগেলের মতে সভ্যতার বিকাশ হয় দ্বান্দ্বিক প্রক্রিয়ায়।হেগেলের দ্বান্দ্বিকতাবাদ হলো তিনটি বিষয়ের উপর তিনটি প্রস্তাবের মধ্যে উত্তম প্রস্তাবটির সমন্বয় বা ফলাফল।যেমন একজনে প্রথমে একটা প্রস্তাব বা  থিসিস দিল, অন্যজন প্রতিপ্রস্তাব বা এ্ন্টিথিসিস দিল।আরেকজন এসে কথাটার প্রতিবাদ বা প্রতিপ্রস্তাব দিল।এই প্রস্তাব প্রতিপ্রস্তাব এর মধ্য দিয়ে যে যুক্তিটি অধিকতর গ্রহনযোগ্য তা হলো সিনথিসিস।আবার সিনথিসিসের মাধ্যমে পাওয়া নতুন যুক্তিটি নতুন প্রস্তাব প্রতিপ্রস্তাব হিসেবে আসবে। সেভাবেই নতুন প্রস্তাব তৈরি হতে থাকবে, এবং এই ভাবেই সভ্যতা বিকাশের দ্বান্দ্বিক প্রক্রিয়া অনির্দিষ্টকালের জন্য চলতে থাকবে, তাকেই মুলত বলা হয় দ্বান্দ্বিক বস্ত্তুবাদ।

হেগেলের মতে দ্বন্দ্বের মাধ্যমেই মানুষ পুরান সমাজ ভেঙে নতুন সমাজ গড়বে।সভ্যতার এক স্তর থেকে অন্য স্তরে উন্নীত হবে, এবং সব কিছু সম্ভব হবে নতুন নতুন ভাব বা আইডিয়ার মাধ্যমে।কিন্তু কার্ল মাক্স এর মতে প্রত্যেকটি বিষয়ের পিছনে একটা বস্ত্তু কাজ করে,প্রস্তাব, প্রতি প্রস্তাব আসবে ঠিক আছে, কিন্তু ভাব থেকে নয় বরং বস্ত্তু থেকে আসবে।মাক্স মনে করেন বস্তুবাদের এই দ্বান্দ্বিক প্রক্রিয়া  সম্পূর্ন ভাবে বৈজ্ঞানিক উপায়ে চলতে থাকবে, এবং নতুন নতুন সমাজ ও সভ্যতা বিকশিত হবে, এটাই হলো মাক্সিয় দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদ।

হেগেলের দ্বান্দ্বিক বস্ত্তুবাদ আর কার্ল মার্ক্সের দ্বান্দ্বিক বস্ত বাদের মধ্যে অনেক পার্থক্য।দুই মতবাদের এই পার্থক্য নির্ণয় করতে গিয়ে আমরা অনেকেই হোঁচটা খাই।এখানে কার্ল মার্ক্স নিজেই বলেছেন,হেগেলের দৃস্টিতে চিন্তা বা ধারনাই হলো জগত স্রষ্টা এবং প্রকৃত জগত হচ্ছে মন নির্ভর জগত।পক্ষান্তরে আমার কাছে মনে হয় বস্তু জগতই হচ্ছে একমাত্র জগত বা আদর্শ, এবং মানুষ তার মনের সাহায্যে এই বস্ত্তু জগতকে চিত্বের চিন্তার মাধ্যমে জানতে চেষ্টা করে।মার্ক্স মনে করেন বস্ত্তুই হলো একমাত্র সত্বা, এবং গতি হলো তার স্বাভাবিক ধর্ম।বস্ত্তুর অস্তিত্ব মনের উপর নির্ভরশীল নয় বরং মনের অস্তিত্বই বস্ত্তুর উপর নির্ভরশীল।



---- ফারুক,

x

Monday, May 4, 2015

সাম্যবাদ বা কমিউনিজম,

 

সাম্যবাদকে ইংরেজিতে Communism, বলা হয়।লাতিন শব্দ Communis  শব্দ থেকে কমিউনিজম এবং কমিনিষ্ট শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে। কমিউনিস এর মানে এজমালি বা সর্বজনীন।কমিউনিষ্ট মানেও হলো সর্বজনীন।কমিউনিষ্ট সমাজ  ব্যবস্হাটাই হলো সর্বজনীন,ভূমি,কলকরখানা, শ্রম,সমান অধিকার,কর্তব্যের অধিকার,এবং শ্রেণীহীন সমাজ।এই সব মিলেই হলো সাম্যবাদ।

 মোট কথা, সাম্যবাদ হলো সমাতন্ত্রের একটি উন্নত স্তর, বা চুরান্ত শিখড়।সেখানে যেতে হলে বা সাম্যবাদ সমাজ গড়তে হলে ধাপে ধাপে মানুষকে এগুতে হবে, অর্থাৎ সমাজের সকল অসংগতি এবং সকল বৈশম্য দুর করে,নাগরিকের সকল মৌলিক অধিকার পুরন করে, উন্নত জাতি ও সুসংগঠিত সমাজই হলো সাম্যবাদি সমাজ।

 সাম্যবাদ আর সমাজতন্ত্রের মধ্যে পার্থক্য হলোঃ----

 ১,সমাজতন্ত্রে শ্রেণী বিলোপের সুত্রপাত ও বৈরী শ্রেণীদের বিলোপ ( abolition of classes) আর কমিউনিজমে সমস্ত শ্রেণীর উচ্ছেদ ও লোপ (classes disappear)।

২, সমাজতন্ত্রে কিছুটা কাল যাবৎ বুর্জোয়া চেতনাগত অধিকারই শুধু নয়, রাষ্ট্র ও টিকে থাকে।আবশ্যিকতার রাজ্য। আর কমিউনিজমে বুর্জোয়া চেতনাগত অধিকার ও রাষ্ট কি‍ছুই থাকবে না।মুক্তির রাজ্য।

৩, সমাজতন্ত্রে প্রলেতারিয়েতের একনায়কত্ব থাকে আর কমিউনিজমে কোন শ্রেণীরই অস্তিত্ব থাকে না।শ্রেণীহীন সমাজ।

৪, সমাজতন্ত্রে বেতন ও মজুরির অনুপাত সমান থাকে এবং পরে কাগজি ভাউচার থাকে, আর কমিউনিজমে বেতন বা মজুরির কোন অস্তিত্বই থাকে না।

৫, সমাজতন্ত্রে স্হায়ী সেনাবাহিনীর বদলে গনমিলিশিয়া থাকে, আর কমিউনিজমে কোন বাহিনীনিরই অস্তিত্ব থাকে না।

৬, সমাজতন্ত্রে কায়িক ও মানসিক, শিল্প ও কৃষি, দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমের ভাগ থাকে, আর কমিউনিজমে কোন ভাগ থাকে না।

৭, সমাজতন্ত্রে মালিকানার দুই রুপঃ, সর্জবনীন ও সমবায় মূলক, আর কমিউনিজমে একরুপঃ সমাজের।

৮, সমাজতন্ত্রে শ্রম হলো, জীবন
ধারনের উপায়, আর কমিউনিজমে জীবনেরই প্রাথমিক প্রয়োজন হলো শ্রম।

 

 

সাম্যবাদের  দুটা স্তর আছেঃ

 

১, সমাজতন্ত্র নিম্নতম স্তর--এ পর্বে উৎপাদনের উপায়ে সমাজতান্ত্রিক মালিকানা হলো এর অর্থনৈতিক ভিত্তি। সমাজতন্ত্র উৎখাত ঘঠায় ব্যক্তিগত মালিকানার ও মানুষ মানুষের শোসনের বিলোপ ঘঠায় শ্রেণীর বিলোপ ঘঠায় অর্থনৈতিক সংকটের ও বেকারীর, উন্মুক্ত করে উৎপদনী শক্তির পরি কল্পিত বিকাশ ও উৎপাদন সম্পর্কের পূর্নতর রুপদানের প্রান্তর।

 

২,সম্পূর্ন কমিউনিজম উচ্চস্তরেএ- পর্বে শ্রম অনুসারে বন্টন চেড়ে সমাজ এগিয়ে যাবে চাহিদা অনুযায়ি বন্টনের দিকে।বাস্তবায়িত হবে কমিউনিজমের মুলনীতি, প্রত্যেকের কাচ থেকে সামর্থ অনুযায়ী, এবং প্রত্যেক চাহিদা অনুযায়ী।শ্রেণী লোপ পেয়ে  লোকদের সম্পূর্ণ সামাজিক সমতায় সমাজ হয়ে উঠবে শ্রেণীহীন।

 

 

 

 

------ফারুক।

Tuesday, April 28, 2015

সমাজতন্ত্রের প্রবক্তা কে?




                       সমাজ তন্ত্রের প্রবক্তা কে ....?









*সমাজতন্ত্রের প্রবক্তা কে?

* সমাজতন্ত্র   Sicialism কি?

* মাক্সবাদ কি?

* বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র কাকে বলে?

* সাম্যবাদ  Communism  কি? 


* কমিনিষ্ট  Communist  কি?






এ রকম  অনেক প্রশ্নই আমাদের  মাথায় মগজে মননে  আসা স্বাভাবিক।সমাজ তন্ত্রের সঠিক প্রবক্তা কে? আমার কাছে এটা একটা জটিল প্রশ্নই মনে হয়।আমরা সবাই জানি কার্লমাক্সই সমাজতন্তের প্রবক্তা, আসলে কি তাই?এখানে একটু বিশ্লেসন করা দরকার মনে করছি।



এঙ্গেলস
 
 
 
 
 
 
 
 
ফরাসি দার্শনিক রুসো
যেমনি প্রাচিন গ্রীসে খ্রিষ্টপূর্ব ৩০০শত থেকে ৬০০ শত সতাব্দীর মধ্যে ঘটে যায় এক নতুন সভ্যতার বিপ্লব।জন্ম নেন দার্শণিক মহামতি সক্রেটিস, প্লেটো, এরিস্টেটল, ঈশপ, ডেমোক্রেটাস ক্লাইদিনেস    সহ অসংখ্য দার্শণিক।তাঁদের সবারই লেখনে এবং বলনে ফুটে উঠেছে গনতন্ত্রের কথা।পরে প্লেটো এসে রিপাব্লিক নমে বই লিখে এটার সংজ্ঞা বা রুপরেখা প্রনোয়ন করেন।

ঠিক তেমনি ১৪০০ সালের পর থেকে একে একে  সমগ্র ইউরোপ জুড়ে বিশেষ করে ইটালি,ফ্রান্স,জার্মান ইসপেন, সুিইডেন ইংল্যান্ডে জন্ম নিতে থাকেন অসংখ্য বুদ্ধিজিবী তথা কবি সাহিত্যিক দার্শণিক,বিজ্ঞানি, শিল্পি এবং স্তপতি।তাঁদের মধ্যে আবার বেশ কয়জন হয়ে উঠেন কালজয়ি।সেই যুগ বা  সময়টাকে ইতিহাস রেনেসাাঁর যুগ বা নবজাগরণের যুগ বলে।




যেমনঃ-জার্মানী দার্শনিক হেগেল, ফয়ার বাক.কান্তা, গোতে, শিলা, কার্লমাক্স, এঙ্গেলস,বিজ্ঞানি কেপলার ফরাসি দার্শনিক, রুসো, কোঁত, রনি, সহ অনেকে।





১৭৭৯-১৭৯৯ সালের মধ্যে সাম্য, স্বাধিনতা, ভাতৃত্ব, নতুবা মির্ত্যু এই মন্ত্রে, ঘঠে যাওয়া ফরাসি  বিপ্লবের মাধ্যমে ইউরোপে গনতন্ত্র উত্তরনের এক নতুন অধ্যায়ের সুচনা হয়।বিশ্লেশকের মতে দার্শণিক রুসো, জঁ-জাক, রুসোর খুর ধার লেখনিতে সাম্য, সমাজবাদ ফুটে উঠলেও, সমাজবিদ্যা বা সমাজ বিজ্ঞানের প্রবক্তা ছিলেন ওগোস্ত কোঁত।

সে যাই হউক ইমানুয়েল কান্ত, হেগেল ফয়ার বাক সহ অনেকের লেখাতে বিশ্ব শান্তি সমাজবাদ বা সমাজতন্ত্রের কথা উঠে আসলে ও এটার আধুনিক রুপ রেখা প্রনয়ন করেন মহামতি কার্লমাক্স।তিনি এঙ্গেল্সের সাথে যৌতভাবে সমাজ তন্ত্রের বৈজ্ঞানিক ব্যখ্যা দিয়ে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখায়ে দিয়ে গেছেন।সমাজতন্ত্রের মুল রুপরেখা ও দ্বান্ধিক বস্তুবাদ ১৯৪৮ সালের দিকে কমিনিষ্ট পার্টির ইশতেহারে উপস্হাপন করার পর  বিশ্বব্যপি যে ঝড় তুলে, তা আজো সারা বিশ্বে তত্ব ও তাত্বিক ভাবে অত্যান্ত গুরুত্বপুর্ন।
এছাড়া মহামতি কার্লমাক্স দ্যাস ক্যাপিটেল বা পুঁজি নামে বই লিখে সমাজতন্ত্রের রুপরেখা সমাজ পরিবর্তনের উপায় গুলি দর্শণ দৃষ্টিতে বিশ্লেসন করে উপস্হাপন করে দেখিয়ে দিয়েছেন।তার জীবনের শেষ তেতাল্লিশ বছর তিনি ব্যয় করেছেন এই মহা মুল্যবান বইটি রচনার পিছে।জীবিতাবস্হায় মাত্র একখন্ড প্রকাশিত হয়েছিল,আর বাঁকি তিনখন্ড তার মৃর্ত্যুর পর তারি বিশিষ্ট বন্ধু এঙ্গেলস প্রকাশ করেছিলেন।
উনবিংশ শতাব্দী ধরে তো  মার্ক্সবাদের ভিত্তিতে দুনিয়ার মজদুর এক হও, এই শ্লোগানে  ভলশেবিক বিপ্লবের মাধ্যমে দেশে দেশে সমাজতন্ত্র কায়েমের লক্ষে স্বশস্ত্র বিপ্লব শুরু হতে লাগলো।সেই সময় জন্ম নিলেন বেশ কয়জন কালজয়ি বিপ্লবি নেতা।মহাবীর লেনিন, স্টালিন স্ট্রুটস্কোভ, মাও,চেগুয়েভারা, কাস্ত্রো, কিম জন ইল,হোচিমিন,  বাঙ্গালী মানবেন্দ্র রায় সহ অনেকে।

ফরাসি দার্শনিক কোঁত


* সমাজতন্ত্র কি?

এই প্রশ্নের উত্তর খুব সোজা ও স্বাভাবিক।আমরা সবাই শৈশবেই একপাকে জেনেছি যে সমাজতন্ত্রের মানে হলো, সমাজতন্ত্র সম্পুর্ন গনতন্ত্রের বিকল্প রাজনৈতিক অর্থনৈতিক এবং সামাজিক একটা জীবন ব্যবস্হা।আমরা আরো বুঝেছি যে মিলকারখানা প্রাকৃতিক সম্পদ সবকিছু থাকবে রাষ্ট মালিকানায়। পাবলিকের যার যা কিছু লাগবে,অন্ন বস্ত্র বাসস্হান কর্মস্হান, শিক্ষা শান্তি প্রগতি সবকিছু সমবায় ভিত্তিতে প্রয়োজন অনুসারে সুসমবন্টন হবে সবার মাঝে। থাকবেনা সমাজে কোন শ্রেণী বৈশম্য।এমনকি শিক্ষায় দীক্ষায় সুশিক্ষিত হয়ে প্রলেতারিয়েতরাই রাষ্ট ক্ষমতা পরিচালনা করবে।প্রলেতারিয়েত মানে শোসিত জনগন।খেত মুজুর শ্রমজিবী ইত্যাদি।  এটার একটা বৈজ্ঞানিক সমাধানও আছে, যাকে বলে ঐতিহাসিক দ্বান্ধিক বস্তুবাদ, এবং এটা একটা যুগান্তরকারি সমাধান ও।সমাজতন্ত্র কায়েমের পরে আবার সাম্যবাদি সমাজ ব্যবস্হার কথাও বলা হয়েছে।সাম্যবাদ হলো সামাজতন্ত্রে উপরের উন্নত স্তর।সাম্যমৈত্রির ভিত্তিতে সুন্দর শোসনহীন ঝগড়া বিবাধহীন সমাজ ব্যবস্হার কথাই বলা হয়েছে।

  সমাজতন্ত্র (Socialism) হলো দু ধরনেরঃ একটা হলো কল্পোলৌকিক বস্তুবাদি সমাজতন্ত্র, আরেকটা হলো বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র।
কল্পোলৌকিক বস্তুবাদি সমাজতন্ত্র হলো---পুর্ন সমাজতন্ত্র কায়েম করা যাক আর না যাক যতটুকু সম্ভোব শ্রমজিবী মানুষের মঙ্গল করা হবে।কার্লমাক্সের জন্মের আগেও রাজনীতি বীদরা শুধু মুখে মুখে বলে বেড়াত।হলে হলো, না হলে কি যায় আসে--এমন আর কি।

সমাজতেন্ত্রর অনেক গুলি বৈশিষ্টও আছে, যেমনঃ-

* সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্হায় প্যধান বৈশিষ্ট হলো মিল কারখানা খেত-খামার এর সব উপকরন সামাজিক রাষ্ট্রীয় মালিকানাধিন থাকবে।
* এর অর্থনৈতিক ব্যবস্হায় জাতীয় আয় সুষমভাবে বন্টিত হয়।এই অর্থব্যবস্হায় জাতীয় আয় বন্টনের মূলনীতি হলঃপ্রত্যেকে তার নিজ নিজ যোগ্যতা  অনুযায়ী কাজ করবে, এবং কাজ অনুযায়ী পারিশ্রমিক পাবে।এভাবে আয় ও সম্পদের সুষম বন্টন নিশ্চিতের মাধ্যমে ন্যয় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়।
* এই অর্থনৈতিক ব্যস্হায় ব্যক্তি মুনাফার কোন সযোগ থাকে না।
* এই অর্থনৈতিক ব্যবস্হায় দেশের উৎপাদন ও বন্টন ব্যবস্হা দেশ বা সমাজের কল্যানের দিকে লক্ষ রেখে করা হয়।
অর্থ্যাৎ সামাজিক কল্যান সাধনই এই অর্থ ব্যবস্হার মুল উদ্যেশ্য।
* সমাতান্ত্রিক ব্যবস্হায় উৎপাদন, বন্টন, বিনিয়োগ ইত্যাদি ব্যবস্হাপনার জন্য কেন্দ্রিয় পরিকল্পনা কতৃপক্ষ থাকে।
* সমাতান্ত্রিক ব্যবস্হায় শ্রমিকদের শোষনের কোন সুযোগ থাকেনা এবং প্রত্যেকেই সমান সমান সুবিধা ভোগ করে।
*সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতিতে মানুষের সকল মৌলিক প্রয়োজনিীয়তার নিশ্চয়তা করা হয়।
* সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্হায় কৃষি শিল্প শিক্ষা সাস্হ্য, যোগাযোগ প্রভৃতি খাতে যথাযত গুরত্ব সহকারে উন্নয়ন করা হয়।
* সমাজতান্ত্রিক অর্ব্যথবস্হায়  কেন্দ্রীয় কতৃপক্ষের পরিকল্পনা মাপিক সকল অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাই বেকারহীনতা ও মুদ্রাস্ফীতির সম্ভাবনা থাকে না।
* এই অর্থনৈতিক ব্যবস্হায় পরিকল্পিত উপায়ে উৎপাদন ও বন্টন ব্যবস্হা পরিচালিত হয় বিদায় অতিউৎপদন বা কম্ৎপাদন সন্কট দেখা দেয় না।
* সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্হায় দ্রব্যের মূল্য পুঁজিবাদের ন্যয় চাহিদা ও যোগানের ঘাত প্রতিঘাত অনুযায়ী নির্ধারিত হয় না। কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা কতৃপক্ষই দ্রব্যসাগ্রীর দাম নির্ধারন করে থাকে।


আজ বড় হয়ে যাহা বুঝেছি, আমার কাছে মনে হয়. গনতন্ত্র আর সমাজতন্ত্র আসমানের চাঁদ আর সুর্য এর মত দুটি গ্রহ বা নক্ষত্র।যা ধরা ছোঁয়ার বাহিরে কিংবা ক্রোশ ক্রোশ মাইল দুরে। সত্যিই সেটা আমাদের নাগালের অনেক অনেক দুরে।যেটা দেখা যায় অতচ কোন দিন ধরা যায় না ছোঁয়া যায় না, শুধু অনুভব উপভোগ করা যায়। পৃথিবীর কোথাও আজ পর্যন্ত গনতন্ত্র সমাজতন্ত্র বলতে যা বুঝায় তা বাস্তবায়িত হয়নি।  নেতারা শুধু এ দুটি শব্দকে নিজ স্বার্থে ব্যবহার করে যাচ্ছে। হত্যা ধর্ষন খুন গুম ভয় ভীতি ধর পাকর দেখায়ে গনতন্ত্র সমাজতন্ত্র কোনদিনও হয়না হতে পারেনা।কায়েম হয় শুধু একপ্রকার আজিব স্বৈরতন্ত্র। আজ পৃথিবীতে হচ্ছেও তাই।

আমাদের বাংলাদেশে আজ ছোট বড় প্রায় ৪৮টা সমাজ তন্ত্র বাদী বা বামদল আছে।কেউ রুশ পণ্হি, কেউ চিন পণ্হি, কেউ আবার ল্যাটিন আমেরিকা পন্হি। কেউ শ্রেণী সংগ্রামের মাধ্যমে স্বশস্ত্র বিপ্লব করে সমাজতন্ত্র কায়েম করতে চায়।আবার কেউ সমাজিক গন আন্দোলন বা বিপ্লবের মাধ্যমে বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র কায়েম করতে চায়।আবার আরেক দল আছে যারা বুর্জোয়াদের, ধনিদের কল্লা কেটে সমাজতন্ত্র কায়েম করতে চায়।
তাজ্জব ও অবাক হওয়ার ব্যপার হলো বাংলাদেশে বড় দুটা দলের মুলনীতি বা মতাদর্শ ও হলো সমাজতন্ত্র কায়েম করা।এবার যতটুকু সম্ভোব ততটুকু।
আঃ লীগের মুলনীতি হলে---গনতন্ত্র, সমাজ তন্ত্র,জাতীয়তাবাদ, ও ধর্মনিরপেক্ষ।
বিএনপি র মুল নীতি হলো--- আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস, গনতন্ত্র, সমাজ তন্ত্র, ও জাতীয়তাবাদ।

আসলে এটা হলো নষ্টমাথার নষ্ট রাজনিতী ছাড়া আর কিছুই নয়।রাজনীতির নামে ভন্ডামি  ভাওতাভিাজি ও প্রতারনা মাত্র।
 
 
 
 
 



মার্ক্সবাদ কি--?
মহামতি কার্লমাক্সের দৃষ্টিভঙ্গি তার লেখা দর্শণভিত্তিক বই এবং দিকনির্দেশনা সমূহই হচ্ছে মূলত মার্ক্সবাদ।তার নামানুসারে তারি বিশিষ্ট বুন্ধফেড্রিক এঙ্গেলস মাক্সবাদ শব্দটি ব্যবহার শুরু করেছিলেন।মার্ক্সবাদ হলো একটি সার্বিক ও সামগ্রিক চিন্তাধারা সমাজ বা রাষ্ট্র দর্শণ।মাক্সবাদ হলো দ্বান্দিক ও ঐতিহাসিক বস্তবাদের মুলভিত্তি বা স্তম্ভ।এটা একটি সামগ্রিক তত্ব উপাত্ত সম্বৃদ্ধ চিন্তাধারা।যা যে কোন জ্ঞান বিজ্ঞান শৃঙ্খলাতেই প্রয়োগ সম্ভোব।লেলিনের মতে মার্ক্সবাদ হলো মহাশক্তিমান স্বত্বা।এটি একটি বিশ্বাসযোগ্যও গ্রহন যোগ্য মতবাদ।জগতকে ব্যাখ্যা করা নয় তাকে বদলে দেওয়াই মার্ক্সবাদের মূল বৈশিষ্ট।

যখন তৎকালিন দার্শণিক আর সমাজপতিরা গরিবি এবং শ্রমজিবী মানুষের দুর্দশাকে নিয়তি আর ঈশ্বর কতৃক অবধারিত বলে প্রলেতারিয়েতের উপর জুলম নির্যাতন চালাতেন। তখন মার্ক্স এসে বললেন না এটা একটা সামাজিক এবং ঐতিহাসক বৈষম্য ছাড়া আর কিছুই নয়।মার্ক্সের উদ্দেশ্য হলো সমাজের এই অর্থনৈতিক সামাজিক বৈশম্য কমিয়ে সমতা ভিত্তিক সুসমবন্টনের মাধ্যমে নতুন সাম্যবাদী সমাজ ব্যবস্হা কায়েম করা।


---চলবে


-----ফারুক, জার্মানী।














Saturday, April 25, 2015

হিটলারের উত্থান পতন ও বাংলাদেশে জ্বীন ভূতের উৎপত্তি,

ছবিটা মোমের, ম্যাডাম তুঁসো যাদু  ঘরের ।

হিটলারের নাম শুনেনি এমন লোকের সংখ্যা পৃথিবীতে খুব কমই আছে।বিংশ শতাব্দির তিরিশের দশকের দিকে সারা বিশ্বে এডলফ হিটলার ছিল এক মহা আতঙ্কের নাম।
জন্ম সুত্রে জানা যায় হিটলারের বাবা এলিওস ছিলেন একজন জারত সন্তান।এলিওস ছিলেন একজন সরকারি চাকুরি জীবি।তার তিন স্ত্রির মধ্যে তৃতীয় স্ত্রির তৃতীয় সন্তান ছিলেন এডলফ হিটলার।তার জন্ম অসিট্রয়ার লিনসে নামে একটি ছোট্ট গ্রামে। হিটলার নামটি তার বাবা কোথায় থেকে পেয়েছেন তা আজো জানা যায়নি।বাল্যকালে হিটলার বাবার কাছ থেকে ছিলেন উপেক্ষিত,এবং বাবাকে সে প্রচুর ভয়ও করত । অল্প বয়সে বাবা মা দুজনকেই হারান।তার পর ফাইন আর্ট কলেজে ভর্তি হওয়ার চেস্টা করলেন,টিকলেন না।পরে গেলেন সেনা বাহিনীতে যোগ দিতে, কিন্তু দুর্বল স্বাস্হের কারনে সেখানেও টিকলেন না।

কি করে এক অসহায় এতিম শিশু থেকে জার্মান বাসীর অধিশ্বর হয়ে উঠলেন হিটলার? তা এক বিশ্ময়!যে শিশু নাকি কিশোর বয়সে ভিয়েনার ফুটপাতে নিজের আঁকা ছবি বিক্রি করে কোন ভাবে খেয়ে না খেয়ে জীবন যাপন করেছিল।কি করে যে কিশোরের বরফাচ্ছন্ন রাতে একটুখানি মাথা গুছাবার জন্য আশ্রয়স্হল ছিলনা।রাতের পর রাত সোসাল হাইমে আর স্টেশনের প্লাটপরমে উদভাস্তুর মত জীবন অতিবাহিত করেছিল। যে কিশোরের গায়ে ছিলনা গরম কাপড়, পাঁয়ে ছিলনা শিতের জুতা।যে কিশোর স্টেশনের প্লাটপরমে শুয়ে শুয়ে নিজকে মনে করত এ বিশাল জনসমূদ্রে এক খন্ড ভাসমান তৃন লতাসম।সে কিশোর কি করে  অস্ট্রিয়াতে জন্ম নেওয়া সত্বেও জার্মানের মত এত বড় একটা দেশের চ্যাঞ্চেলার হয়ে বিশ্ব জয়ের নেশায় উন্মাদ উনমত্ত্ব হয়ে উঠেছিল?যার নেতৃত্বে কেয়ামতের মত দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল এবং যার নিজস্ব নাৎসী বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়ে সত্তর মিলিয়ন এর মত লোককে হত্যা করা হয়েছিল।তার মধ্যে আশি লক্ষ ছিল নিরস্র নিরীহ ইহুদি। আর ধ্বংশস্তুপে পরিনত করেছিল জার্মান সহ পৃথিবীর অনেক দেশের মেট্রপলিটন সিটিগুলো।

সে বর্বর হিটলারে উত্থান হয়  এক অলৌকিক দানবীয় বলে।নতুবা গ্রোসা ফুরার  (মানে বড় নেতা)জার্মানের মত একটা সুসঙ্গঠিত রক্ষনশীল দেশে চ্যঞ্চেলার হওয়ার মত কোন রকম যোগ্যতা ছিলনা তার ।তার এই অসম্ভবকে সম্ভব করে দিয়েছিল সে সময়ের প্রজাতন্ত্রি শাসিত জার্মানের দুর্নিতীবাজ আমলা নেতা কবি সাহিত্যিক সংবাদিক চাপাবাজ চাটুকার বুদ্ধিজিবী এলিট সামাজ।আজকের  আধুনিক ওয়েস্ট মিনিস্ট্রির মতই সে সময় ছিল জার্মানের শাসন ব্যবস্হা।আজকে বাংলাদেশেও ঠিক হিটলারের সময়কার মত রাজনিতীতে  ভূত পেত্নি আর জ্বীনের বাদশার আবির্ভাব ঘটতে যাচ্ছে।

মুলতঃ হিটলারের উত্থান ঘটে জার্মানের শেষ  প্রয়েশেন সম্রাট কাইজার ভিলহেল্ম দ্বিতীয় এর শেষ সময়ে।১৮৭০ দশকে কাইজার ভিলহেল্ম প্রথম এর সময় চ্যঞ্চেলার অটো ফন বিসমার্ক এর রাজনৈতিক প্রজ্ঞার কারনে জার্মানে ঘটে যায় শিল্প বিপ্লব।মিল ইন্ডাস্ট্রি,অটো কার জাহাজ যুদ্ধ জাহাজ বিমান অস্র গোলাবারুদ
নির্মানে  সর্বোতভাবে জার্মান হয়ে উঠে সয়ংসম্পূর্ন ও সম্বৃদ্ধ একটা শক্তিশালি   স্বাভলম্বি রাষ্ট্র।সে সুজগে কাইজারের মাথায় ভূতের মত চেপে বসে আদিপত্ববাদ আর সামরাজ্যবাদ এর ভোজা।যদিও জার্মানির কাইজাররা সব সময় ইংল্যান্ড ইসপেন ও পর্তুগালের রাজাদের চেয়ে কম রাজ্যই ধখল করতে সক্ষম হয়েছিল।তাদের ধখলে ছিল সে সময় নামিভিয়া, পাপুয়া নিউঘিনি, আর টগোর মত ছোট একটা দেশ।মাত্র তিনটা দেশ হলেও  শুধু নামিভিয়াতেই পষ্ণাস হাজার হারেরে উপজাতিকে হত্যার অভিযোগ ছিল কাইজারের উপর।
কাইজার ভিলহেল্ম দ্বিতীয়  বিংশ সতাব্দির দ্বিতীয় দশকে জাগরিবে অস্ট্রিয়ার রাজা এক আততায়ির গুলেতে নিহত হলে  প্রথম বিশ্ব যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে।সে সময় বেকার হিটলার কাইজার আর্মিতে স্বেচ্ছাসেবি হিসেবে নাম লিখিয়ে স্বসস্র যুদ্ধে অংশ গ্রহন করে।জান প্রান উজার করে যুদ্ধ করেছেন জার্মানির জন্য।যুদ্ধের ময়দানে হিটলার স্বচোক্ষে দেখেছে যুদ্ধের লোমহর্ষক ভয়াবহ দৃষ্য আর নিজের সহপার্টির বিভতশ লাশ।লাশের সাথে তাকে থাকতে হয়েছে রাতের পর রাত দিনের পর দিন নোংরা ব্যংকারের ভিতর।হিটলার নিজেও আহত হয়ে বেশ কিছুদিন হাসপাতালেও ছিলেন।

জার্মান অস্ট্রিয়ার অন্যান্য রাজা যেমন রাজা হেরছগ, লুদভিক ফেড্রিক, সবাই ছিল কাইজার ভিলহেল্মের বংশধর।চার পাঁচ বছর যুদ্ধে বিপুল পরিমান ক্ষয় ক্ষতি প্রাণ হানি ও ধবংশের পর কাইজারের  মসনদ নড়েবড়ে হয়ে উঠে।কাইজার হয়ে উঠে দিশেহারা। যুদ্ধাশেষে হিটলার কাইজারের নিয়মিত সেনা বাহিনীতে চাকুরি পাওয়ার সুজোগ পায়।তখন থেকেই হিটলারের ক্যরিয়ার শুরু হয়ে যায়।
যুদ্ধ শেষে পরাজিত কাইজারকে ভার্সাই চুক্তিতে ২২৬বিলিয়ন মার্ক জরিমানা দিতে জবরদস্তি বাদ্য করা হয়।এই চুক্তি জার্মানির সাধারন নাগরিক কোন ভাবেই মেনে নিতে পারেনি।সারা দেশে নেমে এল অসান্তি অসন্তেস।নতুন পুরানো ছোট বড় রাজনৈতিক দলগুলির মাঝে সৃস্টি হলো বিবাধ বিশৃঙ্খলা।কোন ভাবেই কাইজার নিয়ন্ত্রন করতে পারছেনা তার দেশ বা রাজ্যকে।জনগনের মুখে মুখে উচ্ছারিত হতে লাগলো কাইজার গেলেই বাঁচি।কাইজার গেলেই দেশে শান্তি।দিশেহারা কাইজারকে পরে বলতে শুনা যায় দলমল বুঝিনা, বুঝি শুধু সংযুক্ত জার্মান বা জার্মানীর ঐক্য।। ১৯১৮ সালের শেষের দিকে কাইজারকে অপসারন করে  সর্বদলিয়   নেতা সোসাল ডেমোক্রেটিক লিগের ফেডরিক এবার্টকে চ্যঞ্চেলার বানিয়ে ভাইমা রিপাব্লিক গঠন করার পরও  শেষ রক্ষা হয়নি কাইজারের।গনভোটে তাকে হারাতে হয়েছে ক্ষমতা রাজবংশের ঐতিহ্য এবং উত্তরাধিকার আর কাইজারিত্ব।
কাইজারের এমন অবস্হা, এবং রাজনৈতিক দলগুলির বিবাধ বিশৃঙ্খলা মারা মারি হানাহানি অনৈক্য দেখে হিটলার সুজোগে সৎব্যবহার করার লক্ষ্যে একটা ক্যূ করে বসে।অবশ্য সে ক্যূতে হিটলার সফল হলো না,বরঞ্চ কিছুদিনের জন্য তাকে জেলে যেতে হয়। জেলে বসে হিটলার মাইনে ক্যাম্প নামে তার রাজনিতক বই লিখে নস্ট মাথার বুদ্ধিজিবী আর নস্ট চাটুকার নীতিহারা নেতাদের মাথা দেয় নস্ট করে।জেল থেকে চাড়া পেয়ে হিটলার ওয়ার্কাস পার্টি নামে একটি দলে যোগ দেয়, পরে মোহময়ি বক্তিতার কারনে এই দলের অধিপতি বনে যায়, এবং এদলকে নেসানাল সোসালিস্ট পার্টি হিসেবে গঠন করে, পরে আবার গঠন করে নাৎসী বাহিনী বা তার নতুন রাজতিক দল।

১৯১৭ সালে যখন যার সম্রাট নিকোলাইয়ের মসনদ তসনস করে দিয়ে মহাবীর লেনিন ভলসেবিক বিপ্লব গঠিয়ে পৃথিবীর বুকে সর্বপ্রথম কৃষক শ্রমিক মেহনতি মানুষের জন্য সমাজতন্ত্রিক রাস্ট ব্যবস্হা কায়েম করলেন।তখন সমগ্র বিশ্বের বুর্জ্যুয়া পুঁজিবাদি সামরাজ্যবাদি, সামন্তবাদি গনতন্ত্রের লেভাস ধারিদের গালে চপেটগাত পড়ে।দেশে দেশে গড়ে উঠে ভলসেবিক বা লেনিন বাদ।
যদিও সমাজতন্ত্রের জন্মভূমি এই জার্মান, কিন্তু তখন পর্যন্ত এই জার্মানে কমিনিস্ট পার্টি নামে কোন রাজনৈতিক দলই গড়ে উঠেনি।বিপ্লব তো দুরের কথা।কিন্তু সে সময় হিটলার তার এক বন্ধু দিয়েট্রিক এবার্ট কে দিয়ে ভলসেবিক বাদ মুসা থেকে লেনিন নামে বুক লেট লিখায়ে  কাজাখি লেনিন কে ইহুদী সন্বোধন করে প্রপাগান্ডা করতে থাকে।কারন সমাজতন্ত্রের জনক আধুনিক দার্শণিক কার্লমাক্স ছিলেন ইহুদী বংশোদ্ভুদ।ভলসেবিক বাদ আর মাক্সবাদকে হিটলার আর তার বুদ্ধিজিবী বন্ধুরা ভুতের মতবাদ হিসেবে জারি করতে শুরু করে দিয়েছিল।তখন লেনিন বাদের জয় জয়কারের হাওয়া বহিতেছিল ইউরোপ তথা জার্মানের ঘরে ঘরে।

 বাংলাদেশে যেমন মাহমুদুর রহমান প্রজন্ম চত্তর এবং ব্লগারদেরকে নাস্তিক আখ্যায়িত করে হেফাজতিদেরকে ক্ষ্যাপায়ে দিয়ে রাজনৈতিক মঞ্চটাকে গোলাটে করে দিয়েছে, অনেকটা ঠিক তেমনি।
এমন কি জার্মানের সব চেয়ে ঐতিহ্যবাহি এবং বড় দল এস পি ডি র কিছু নেতারা পর্যন্ত হিটলারের অনুসারিদের সাথে সুর মিলায়ে এটাকে ভূতের মতবাদ বলে জাহের করতে থাকে।পরে দেখা গেল সর্বোতভাবে সর্বদলিয় ভাইমা রিপাব্লিক গঠন করেও রিপাব্লিকে আরো বেশি অসান্তি নেমে এল।ঘরে বাহিরে দলগুলির মধ্যে অন্তঃকলহ দন্ধ লেগে গেল।কে কেমনে পারবে নতুন দল গঠন করবে কে কেমনে পারবে জোট মহাজোট গঠন করবে,--- 
একে বারে আজকের বাংলাদেশের অবস্হা আর কি, রোজার মাস আসলে একটু ভাল জমে।আজ অমুকের ঘরে কাল তমুকের ঘরে ইফতারের দাওয়াত এর নামে জোট গঠন করা দুর্নিতীর টাকার ভাগাভাগি,একটু শরম ভরম ও নেই হারাম জাদাদের।নিলর্জ্জের মত পাঞ্জাবি টুপির অপমান করতে।

এই অন্তঃকলহে জাতিয়তাবাদি সবচেয়ে বড় দল এস পি ডি থেকে একটা ছোট অংশ বাহির হয়ে গঠন করলো ইউ ডি পি।পরে এই  ইউ ডি পি, রোজা লুক্সেম বার্গ এবং কার্ল  লিভনেখট এর স্পাটাকার্স  দলের সাথে মিলে প্রথম গনতন্ত্রি ভাইমা রিপাব্লিক  সমাজতন্ত্রের জনক কার্ল মাক্সের জন্মভূমিতে কমিনিস্ট পার্টি নামে একটা  সোসালিস্ট দল গঠন করতে সক্ষম হয়।

আর এস পি ডির অপর সংখ্যাগরিস্ট  অংশটি কাইজার বাদি রক্ষনশীল দলগুলির সাথে গিয়ে জোট বাঁধল।অন্যদিকে সংগঠিত হতে লাগল যুদ্ধফেরত জেনারেলরা।হিটলার তো ইতি মধ্যে নস্ট মাতার এলিট শ্রেনির বুদ্ধিজিবীদের নিয়ে সুসংগঠিত।ভলসেবিক বাদ তথা ইহুদীবাদের ভূত,গেছ ভূত মেছভূত একেবারে যত প্রকারের ভূত আছে,সব ভূত দল আর নেতাদের উপর চাপিয়ে দিয়ে যুদ্ধ ফেরত উগ্রবাদি সৈনিকদের দিয়ে  বার্লিনের রাস্তায় প্রকাশ্যে রোজা লক্সেমবার্গ এবং কার্ল লিভনেখটকে  হত্যা করে, কমিনিস্ট পার্টিকে অঙ্কুরেই ধবংশ করে দিল।
এই পরাজিত অস্রধারি যুদ্ধফেরত ফ্রেইক পর্স  সৈনিক গুলিকে সবাই কোন না কোন ভাবে ব্যবহার করেছিল।
ঠিক বাংলাদেশে যেমন এত ত্যগ তিতিক্ষা আর নয়মাস স্বশস্ত্র যুদ্ধকরে তিরিশ লক্ষ সহিদ আর দু লক্ষ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অনাঙ্খাক্ষিত স্বাধিনতা অর্জনের পরই জাসদ সহ কিছু দল উপদল সৃস্টি হয়ে যুদ্ধ ফেরত সৈনিকদেরকে দিয়ে পনরই আগস্ট এ বাংলার প্রমিথিউস বঙ্গ বন্ধুকে স্ব পরিবারে নির্মম ভাবে হত্যা করে দিয়ে শান্ত বাংলাকে রাজনৈতিক কলহে জর্জরিত করে  অশান্ত করে তুললো।তারাই আজ বিষের মত করে তুলেছে  বাংলাদেশের রাজনীতিকে।আজ রাজনীতি এবং নেতা সাধারন মানুষের কাছে এক আতঙ্ক ও ঘৃনার বস্তুতে পরিনত হয়েছে।

জার্মানে ও তখন জাতিয়তা বাদী এস পি ডি এবং রক্ষন শীল কিছু দলের নেতা ও নস্ট মাথার বুদ্ধিজিবীদের ভুল দিক নির্দেশনা এবং নেতার ভূল রাজনীতির কারনেই মাত্র পাঁ ছয় বছরের মাথায় আধুনিক গনতন্ত্র এর আদলে গড়া সেই ভাইমা রিপাব্লিক ভেঙে খান খান হয়ে যায়।

১৯২৫ সালে ভাইমা রিপাব্লিকের চ্যঞ্চেলার ফ্রেডরিখ এভার্টের মিত্যুর পর রিপাব্লিকে  আবার রাজনৈতিক সংকট আরো তীব্র ভাবে দেখা দেয়।সবাই হন্যে হয়ে খুঁজছিল একজন যোগ্যতম রাস্টপতি।নাৎসীরা কিছু রক্ষনশীল ছোট দল নিয়ে দাঁড় করে দিয়েছিল মার্শাল হিনডেন বুর্গ কে।এস পি ডি ও লিভারেলরা  মিলে প্রার্থি দিল ভিলহেল্ম মাক্স কে, আর কমিনিস্টরা  প্রার্থি দিল এর্নস্ট থাইলম্যানকে।প্রথম ধাপে কেউই নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিস্ট পেয়ে সরকার গঠন করতে পারলনা। হলো দ্বিতীয় রাউন্ড।

অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি দ্বিতীয় রাউন্ডে হিটলারের নাৎসী সমর্থিত মার্শাল হিন্ডেন বুর্গ  ৪৮% ভোট পেয়ে বিজয়ি হলো। হিন্ডেনবুর্গ এর বিজয় মানেই হিটলারের বিজয়।কিছু দিন পরেই হিন্ডেন বুর্গকে হঠায়ে হিটলার নিজেই নিজকে  জার্মানের চ্যঞ্চেলার ঘোষনা করলো।ক্ষমতা ধখল করে হিটলার বসে থাকেনি। ভেঙে পড়া অর্থনিতিকে ঢেলে সাজালো।বেকার সমস্যা দুর করলো।   এমন কি ভার্সাই চুক্তি মুক্তি সব অস্বিকার করতে লাগলো।

অপরদিকে তার নিকটতম প্রতিধন্ধি  বড় দল এস পি ডি ও লিবারেলের প্রার্থি ভিলহেল্ম মাক্স ৪৫% ভোট পেয়ে পরাজয় বরন করল, আর কমিনিস্ট প্রার্থি থাইলম্যান পান ৬,৩% ভোট।শুধু ক্ষমতার লোভে ডানবাম নেতাদের ভুল নিতি ও ভুল সিদ্ধান্তের কারনেই নাৎসী ফুরার দানব হিটলারের উত্থান হলো।

যদি ডান বাম এক হয়ে  সে দিন ভিলহেল্ম মাক্সকে  সমর্থন করে যেতেন, তাহলে কেয়ামতের মত একটা বিশ্বযুদ্ধ হতোনা,হিটলারের মত একটা বর্বর স্যাটার বা দানবের ও উত্থান হতো না। আর হয়তো এর্নস্ট থাইলমানকে ও হিটলারের কনস্ট্রেশন লাগারে এমন নির্মম ভাবে মরতে হতো না।

ঠিক তেমন ভাবেই আজ বাংলাদেশের কনিনীস্ট পার্টির নেতারা ভুল করে যাচ্ছে, কেন করে যাচ্ছে?তার কচু আমার মাথায় মুন্ডে কিছু ধরছে না।অতচ একাত্তরে আওয়ামীলীগ তথা বঙ্গবন্ধুর বলিষ্ট আওয়াজে কমরেড মনি সিং, কমরেড ফরহাদের নেতৃত্বে কমিনিস্টরা ও ছাত্র ইউনিয়নের টগবগে তরুনরা   নিঃসর্ত এবং নিঃসার্থ ভাবে নয় মাসের রক্তাত্ত যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে অলিক স্বাধিনতাকে চিনিয়ে এনছে।অতচ আজ ভন্ড জুয়াড়ি মিথ্যাবাদি, যুদ্ধাপরাধির পক্ষে কথা বলা কিছু চাটুকার বুদ্ধিজিবীদের সাথে সুর মিলায়ে   কমিনিস্ট নেতাদের বকবকানি দেখলে মাথায় রক্ত উঠে যায়।কেন তারা বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনার হাতকে স্বাধিনতা রক্ষার জন্য এবং উন্নত বাংলাদেশ গড়ার জন্য শক্তিশালি করছেনা,বুঝতে পারছিনা।

এত বড় একটা প্রথম বিশ্ব যুদ্ধ এর উপর দাঁড়িয়ে গনতন্ত্র সমাজ তন্ত্র এবং পার্লামেন্ট রিপাব্লিক রক্ষা করা কোন সহজ ব্যপার ছিল না।যুদ্ধগ্রস্হ দেশে- দেশ গঠন অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন  বেকার সমস্যা দুরিকরণ, খাদ্য সমস্য সবি দুর করা ছিল কষ্টসাদ্য ব্যপার।

বাংলাদেশে ও স্বাধিনতার পর ধবংশস্তুপের উপর দিয়ে বঙ্গ বন্ধুকে হত্যা করে দিয়ে জেনারেল জিয়া আর সৈরচার এরশাদ শুরু করে দিয়েছে রাজনৈতিক বেহায়াপনা।জিয়াউর রহমানের উত্থানের পর তিনি উত্থান করে দিয়ে গেছেন পরাজিত শক্তি রাজাকার আলবদর আল সামসকে। যারা এই স্বাধিন বাংলা চায়নি, যারা এই আমাদের প্রিয় লাল সবুজের জিলিমিলি পতাকা চায়নি।যারা আমাদের মা বোনের ইজ্জত  পাক হায়েনাদের হাতে তুলে দিয়েছেন, যারা আমার তিরিশ লক্ষ ভাইকে নির্বিচারে হত্যা করেছেন,যারা আমাদের কুড়ে ঘরে আগুন দিয়েছেন, যারা হিটলারের পোড়ামাটি নিতী অনুসরন করে আমাদের জ্ঞ্যানি সুবুদ্ধিজিবীদের  হত্যা করে সোনার বাংলাকে সুশান নগরিতে পরিনত করেছিল।তাদের এ দেশে রাজনিতি করার কোন অধিকার নেই।
কে দিয়েছে তাদেরকে রাজতিক অধিকার? আমরা সবাই জানি জেনারেল জিয়াউর রহমান।
জেনারেল জিয়া শুধু রাজনৈতিক অধিকার দেননি, তিনি আমাদের প্রবিত্র পার্লামেন্টে ও ঠাঁই দিয়েছেন কুখ্যাত রাজাকারদেরকে।মন্ত্রি মিনিস্টার এমন কি প্রধান মন্ত্রি পর্যন্ত বানিয়েছেন।এখানেই জিয়ার রাজনৈতিক প্রজ্ঞার বিরাট অভাব এবং ভূল ছিল।
তার মর্মান্তিক পরিনতির পর তারি বিধবা পত্নি তারি গড়া জাতিয়তাবাদি একটা বড় দল (যদিও বন্দুকের নল আর রাজকোষের বিপুল অর্থের বিনিময়ে নস্টমাথার বাম আর মৌলবাদিদের নিয়ে গড়া)কি করে জামাতির মত একটা ভূতরে দলকে নিয়ে জোট গঠন করে? যে দলকে আপামার জনতা খেটে খাওয়া মানুষ সাদরে গ্রহন করে বুকের মনি কোটায় স্হান করে দিয়েছিল।কি করে সে দলের একজন জনপ্রিয় নেত্রি রাজাকারকে মন্ত্রি মিনিস্টার বানায়?ভাবতেই অবাক লাগে।
জিয়া যেমনি ভূল করেছেন, তেমনি খালেদা জিয়াও ভুল করে বসেছেন।এই ভূলের খেসারত বি এন পি এবং সাধারন পাব্লিককে দিতে হচ্ছে।আজ এই জামাতি ভূত যেমনি বি এন পির উপর চেপে বসেছে, তেমনি বসেছে জনগনের উপর।
কুৎসিত ভূতের মত এই জামাতিদের আবির্ভাব আজ আমাদের সোনার বাংলাদেশে।জঙ্গিবাজ তার আধুনিক রুপ।
এই জামাতি ভূত জোট সরকারে চারটা মন্ত্রির পদ পেয়ে বেসামাল হয়ে পড়ে।আরো বেশি ক্ষমতা চাই এই মর্মে।প্রথমে তারেক রহমানের উপর এই জামাতি ভূত সওয়ার হয়ে যায়। ঠিক যার সম্রাট নিকোলাইয়ের উপর যেমনি সওয়ার হয় রাজপুতিনের ভূত।প্রধান ভূতেরা কয়জন হাওয়া ভবনে গিয়ে তারেক রহমানকে তাদের একটা খসরা কনসেপ দেখায়ে বললো, দেখুন শাহাজাদা আপনাকে একেবারে ইরানের শাহরেজা পাহল্লিবির মত মহারাজা বানিয়ে দিবো।শাহ রেজার বাবাওেআপনার বাবার মত এক সময় একজন জেনারেল ছিল।
তারেক রহমান সভাব সূলভ ভাবে বললো, আরে বাবা কি কনসেপ নিয়ে এসেছেন সোজাসুজি বললেই তো পারেন।
আর না হয় সৌদ পরিবারের মত জিয়া পরিবারকেও বানিয়ে দিব বাদশা পরিবার।বাদশা কেন বাদশাহর বাদশাহ।ওহাবী বাদশাহ।
আরে ডাইরেক্ট বলুন।
জ্বি আমাদের প্রথম কনসেপ হলো দশট্রাক অস্র আনাতে হবে, আপনার এক পয়সাও দিতে হবে না।শুধু ভিতরে ডুকার অনুমতি দিলে হবে।
আরে হুজুর, কি কন? সেটা কি কোন ব্যপার হলো?গালের মাঝে ঢোল ফেলে মৃদু হেসে তারেক বললো্।
আর দ্বিতীয় কনসেপ হলো, একটু কানের কাছে গিয়ে ভূতের সর্দার বললো,তাইনারে শেষ করে দিতে পারলে আপনার মহারাজা হবার সব রাস্তা খোলসা হয়ে যাবে।
মানে?
শেখ হাছিনা।তাইনারে শেষ করতে পারলে আপনার রাস্তাও খোলাসা আমাদের রাস্তাও খোলাসা, বুঝলেন?

তারেক রহমান ভিজ্ঞ লোকের মত একটু ভেবেচিন্তে মুসকি হেসে দিয়ে বললো, হ বুঝছি, আর বুঝাতে হবেনা, তার পর  ডাক দিলেন কইরে বাবর, দুলু ভুলু,  এদিকে একটু আয়।
পাশের রুমে দর্জার পাঁকে উঁকি দিয়ে থাকা বাবর,রা তাড়াহুড়া করে ছুটে এসে বললো, জ্বি হুজুর ।
শুনো হুজুরদের দুটা কনসেপ্ট আছে, যে ভাবে যেমন করে হউক কনসেপ্ট দুটা বাস্তবায়ন করে দিবে।
জ্বি স্যার।আপনি কোন চিন্তা করতে হবেনা, ধরে নেন বাস্তবায়ন হয়ে গেছে।
বস এই প্রথম বারের মত জামাতি ভুতেরা সয়তানি বুদ্ধি চেলে একাত্তরে পরাজয়ের পর একটু বিজয়ের হাসি হাসল।তারা অনেকটা সফল হয়ে গিয়েছিল।দশ ট্রাক অস্রও আনা হলো, ২১শে আগস্টের মত একটা বিশাল জনতার
মহা সমাবেশে বোমা হামলা ঘঠায়ে  কতো গুলো নিরীহ মানুষকে জানেও মারল,আবার অনেকেরে চিরতরে পঙ্গুও করে দিল।কিন্তু তাদের তার্গেট সঠিক মত হলো না। কথায় বলে যে রাখে আল্লা মারে কে। অদেখা স্রস্ট্রার অলৌকিক কুদরতে বঙ্গ বন্ধুর সূযৌগ্য কন্যা জননেত্রি শেখ হাছিনা মারাত্বক ভাবে আহত হলে ও প্রাণে বেঁচে যান।আর বেঁচে গিয়েই সিদ্ধান্ত নেন এই জামাতি ভূতদেরকে বতলে ভরার।কিন্তু ততদিনে এই ভুতদের আন্ডা বাচ্ছার সংখ্যা এতই বেড়ে গেছে যে একটাকে বতলে ভরতে আরেকটা বাহির হয়ে যায়।
তার উপর আবার আবির্ভাব হয়েছে হেফাজতি পেত্নিদের।এই হেফাজতি পেত্নিরা পঁচা মাছের উপর যেমনি ভন ভন করে মাছি বসে ঠিক তেমনি পেত্নিরা চেপে বসলো একে একে সৈরচার এরশাদ কাদের সিদ্দকী বদরোদজা থেকে ছোট বড় নতুন প্রজন্মের নেতা মাহিবী প্রার্থ এর মাথায় পর্যন্ত।
আবার এই পেত্নির কাঁধে চড়ে আবির্ভাব হলো কিছু নস্ট  জ্বীনের।এই নস্ট জ্বীনরা চেপে বসল কিছু নস্ট মাথার বুদ্ধিজিবীর মাথায়।তারা বুদ্ধি দিয়ে আর জিবীকা নির্বাহ করতে পারেনা, তাই নস্ট জ্বীনের বাদশা সেজে আলাদীনের চেরাগ পেতে চায়।
এই সব জ্বীন আর ভূত পেত্নির নাম আমরা অনেক শুনেছি।আমি সবিনয়ে বলছি হে নস্ট ভূত পেত্নি আর জ্বীনের বাদশারা তোমাদেরকে বতলে ভরার আগে অন্তত পক্ষে বাংলা দেশ চেড়ে অন্য কোথাও চলে যাও,নতুবা তোমাদের শেষ পরিনতি হবে হিটলারের চেয়ে ভয়াবহ ও করুন।

হিটলারের উত্থান অতি সহজে হলেও পরিনতি হয় অত্যান্ত কঠিনও করুন ভাবে ।আত্ম হত্যার পূর্বক্ষন পর্যন্ত খুব কস্টে কাটে। বার্লিনে তার আত্ম রক্ষার জন্য নবনির্মত দুমিটার মাটির নীচে সাড়ে তিন মিটার  পুরো কনক্রিটের ছাদ  দুমিটার পুরো দেয়াল বিশিস্ট ব্যংকারের ভিতর।
না ভাইমা রিপাব্লিক টিকল না গনতন্ত্র না সমাজ তন্ত্র টিকল, বাংলাদেশের হায হায় কম্পানির মত জাতিয়তা বাদি নেতারা হারিয়ে গেল।নাই মামার পরিবর্তে কানা মামা নাৎসীরা এল ক্ষমতায়।ফুটফাতের হিটলার হয়ে গেল সর্ব ক্ষমতার অধিকারি।ধর মার  ইহুদী শুয়রদের মার, জ্বালাও পোড়াও নাৎসীদের গন সংগীতে পরিনত হলো।এবার হিটলারের মাথায় আরো বড় ভূত চেপে বসল, হয় বিশ্ব জয় নতুবা জার্মানের ধ্বংশ।
ধ্বংশের কথা তো পরে, আগে বিশ্ব জয় এর প্রস্তুতি শুরু করে  দিল  এডলপ হিটলার। সমগ্র বিশ্ব হবে একটা।নাম হবে গামানিয়া।আর গামানিয়ার রাজধানি হবে বার্লিন।চাই বিশ্বনেতাদের জন্য একটা আধুনিক মানের পার্লামেন্ট ভবন,নির্মান করা হলো ,চাই বিশ্ব মানের হাইওয়ে এয়ার পোর্টের মত করে নির্মান করা হলো অসংক্ষ হাইওয়ে।চাই উন্নতমানের মিল ইন্ড্রাস্ট্রি, নির্মান করা হলো, চাই যুদ্ধ করার মত গোলাবারুদ যুদ্ধ জাহাজ, বিমান,ট্রান্ক কামান, আন্ডার বোট,রকেট,পর্যাপ্ত পরিমান টাকা পয়সা, প্রয়োজন বোধে নকল টাকার মেশিন।সৈনিকদের ভরন পোসন খাবার দাবার।সত্রুদের জন্য কনট্রেনসেন ক্যাম্প।তার পরে চাই বিশ্বস্হ বন্ধু, যারা তাকে বিপদের দিনে দিক নির্দেসনা বা অন্তত পক্ষে পাশে থাকবে।
খুব অল্প সময়ের মধ্যে হিটলার সব কিছু প্রস্তুত করতে সক্ষম ও হলো।দেশেও বেকার সমস্যা দুর হয়ে গেল।ইউ বোট নির্মান করা হলো, রকেট নির্মানের কারিগর বিজ্ঞানি ভেরনা ব্রাউনকে পেয়ে গেল,যে ব্রাউনকে রকেটের জনক বলা হয়।যাকে পরে যুদ্ধশেষে জামাই বাবুর মত আমেরিকায় নিয়ে নাসার রকেট বানাবার কাজে লাগিয়ে দেয়।বিমান বাহিনী প্রধান হারমান গোয়রিং এর মত একজন বিশ্বস্হ বন্ধুও পেয়ে গেল।তাকেই হিটলার তার যোগ্যতম উত্তরসুরি মনে করতেন। এমনকি ১৯৪১ সালে এক ফরমান জারি করে তার ওসিয়ত নামায় করেও রাখলেন।পরে অবশ্য গোরিংকে না করে গোয়েবলসকেই করা হয়।আরো দুজন বিস্বস্হ বন্ধু পেয়ে গেল হাইনরিখ হিমলার আর যোসেপ গোবেলসকে।যে গোবেলস হিটলারের প্রপাগান্ডা মিনিস্টার ছিলেন, এমন কি শেষ সময়ে অল্প কিছু সময়ের জন্য কাগজে কলমে হিটলারের স্হলাভিশিক্ত হন। আর হাইনরিখ হিমলার  স্বরাস্ট মন্ত্রির পদে ছিলেন।
এডলপ হিটলার যুদ্ধের জন্য সম্পূর্ন প্রস্তুতি এমন ভাবে গ্রহন করলো যে পরবর্তি জেনারেশন নারি থেকে শিশু, যাদের বয়স দশের নীচে, তাদেরকেও সামরিক শিক্ষায় প্রসিক্ষন দিয়ে প্রস্তুত করে রাখলো।চারটা মৃত্যু শিবির বানায়ে রাখা হলো।আমি তার জাকসেন হাউজের মৃত্যু শিবিরটা গুরে দেখেছি।মৃত্যু শিবিরটা ছিল এ রকম।বিশাল এলাকা নিয়ে  হলের মত পাঁচটা ঘর,একটা ঘরে ছোট ছোট কামড়ায় বিরুধী দল মতের নেতাদের ধরে নিয়ে এসে বন্দি করে রাখা হতো,সেখানে তাদেরকে ঠিকমত খানা পিনা না দিয়ে উপাসে কাপাসে মারা হতো।আরেকটা বড় ঘরে তার প্রপা গান্ডার মেশিন যেমন নকল টাকার  ও প্রিন্ট মেসিন ইত্যাদি রাখা হতো। আরেকটা ঘর ছিল ফাঁসির কাজের জন্য। সেখানে একটানে চার থেকে পাঁজনকে ফাঁসি দেওয়া হতো।আরেকটা ঘরে ডাক্তারের প্রাক্সিস, সেখানে বিষাক্ত ইনজেকশান পুশিং আর বিষাক্ত কেপসুল খাওয়ায়ে মারা হতো।আরেকটা ঘর ছিল নাৎসী নেতাদের অফিস।আরেকটা বিশাল ঘর, দেখতে মিল পেক্টরির মত।সেই ঘরে যেখানেই ইহুদী নারী পুরুষ শিশু পেত ধরে ট্রেনে করে এনে পরনের কাপর চোপর সাথে সোনারুপা যাহা পেত খুলে নিয়ে রেখে দিত যুদ্ধের খরচ মিঠাবার জন্য। শুধু দাঁতের সোনা রুপাই নাকি টনে টনে হয়েছে। এসবের আমি ফটো দেখেছি।সে মৃর্ত্যু শিবিরটা এখন মিউজিয়ামের মত করে রাখা হয়েছে।আর সবাইকে সরু করিডোর দিয়ে নিয়ে জলন্ত আগুনের ওফেনে নিক্ষেপ করা হয়েছে।জ্বলে পুড়ে সবার ছাঁই অপরদিকে দিয়ে বাহির হয়েছে।আর সে ছাঁই ট্রাকে ভরে নিয়ে কৃষকের কাছে বিক্রি করা হয়েছে ভাইও সার হিসেবে।
চুড়ান্ত প্রস্ততির পর হিটলারের প্রপাগান্ডা মিনিস্টার গোবলস ডিকলার দিল আমারা চাই টোটাল যুদ্ধ।তার পরেই এক থাবায় পোলেনকে নিয়ে নিল, তারপর অস্ট্রিয়া ও চ্যকোস্লাভিকিয়া,তার পর  একে একে ইউরোপের প্রায় চাব্বিশটা দেশ ধখল করতে সক্ষম হয়।তন্মেধ্যে প্রান্সের মত এত বড় দেশের জেনারেলরা তো আগেবাগে হাত তুলে দাঁড়ায়ে গেল।শুধু ইংল্যান্ডকে জয় করতে হিটলারের হিমশিম খেতে হলো।একমাত্র কারন ইংল্যান্ড সাগরের ওপাড়ে তাই।সে কারনে ইংল্যান্ডকে আপাতত বাদ দিয়ে হিটলারের নাৎসী বাহিনী হামলা করে বসল সোভিয়েট ইউনিয়ন রাশিয়াকে।প্রায় ২২মিলিয়ন লোককে নির্বিচারে হত্যা করলো।ডকোমেন্টারিতে দেখেছি কতো জায়গায় লাশ দিয়ে ছোট ছোট খাল বিল কেনেল এর উপর বাঁধ দিয়ে নাৎসীরা ট্রান্ক চালিয়ে গেছে।যদিও প্রথমে রাশিয়ার নেতা স্টার্লিনের সাথে যুদ্ধ না করার চুক্তি করে রেখেছিল হিটলার।
অপর দিকে হিটলারের প্রধান প্রতিদন্ধি উইনস্টন সার্সিল আমেরিকার প্রেসিডেন্ট রোজভেল্ট ও স্টার্লিন সহ পঁছিশটা দেশ নিয়ে হিটলারের বিরুদ্ধে চুরান্ত যুদ্ধের ঘোষনা দিয়ে প্রতিরোধের যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়লো। রাশিয়ার রেড আর্মি প্রতিহত করে করে সামনের দিকে আগাতে থাকল।আমেরিকা ইংল্যান্ড প্রান্স হয়ে প্রতিহত করতে লাগল।মিত্র বাহিনীর আঘাতে নাৎসী বাহিনী এখন প্রায় দূর্বল নেড়ি কুত্তার মত হয়ে পড়েছে।











১৯৪৫ সালের ২০ই এপ্রিল ছিল হিটলারের ৫৬তম জন্ম দিবস।বড় ঘটা করে হিটলারের জন্ম দিবস পালন করা হলো ব্যংকারের ভিতর।ঐ রাতে হিঠলারের বিশ্বস্হ বড় বড় সব নাৎসী নেতারা এল তাকে জন্মদিনের সূভেচ্ছা জানাতে।পরে গভির রাতে চাটুকার নেতারা প্রানের ভয়ে তাদের প্রাণপ্রিয় নেতাকে পাতাল পুরির ব্যংকারে রেখে চলে গেল।হিটলার আঁছ করতে পেরেছে তার যে সময় ঘনিয়ে এসেছে।
এদিকে মিত্র বাহিনী একের পর এক বড় শহর ধ্বংশ ও ধখল করে বার্লিনের দ্বার প্রান্তে এসে পোঁছে গেছে।হিটলার আর গোয়বলস অবরুদ্ধ ব্যংকারে।কোন দিক নির্দেসনা দিতে পারছেনা।সে কারনে হারমান গোরিং তারবার্তায়  তার কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে কিনা হ্যাঁ এবং না দুটা শব্দের উত্তর চেয়ে বসল।সে কোন উত্তরই দিতে পারল না।তার পরেই খবর এল হিটলারের আরেক জন আস্তাভাজন বন্ধু হাইনরিখ হিমলার সুইডেস দুতাবাসে  আমেরিকার প্রতিনিধিদের সাথে স্বসন্মানে আর্তসমর্পন করার জন্য কথাবার্তা চালিয়ে যাচ্ছে।
সহ কর্মিদের  এমন কার্যকলাপ  দেখে  রাগে দুঃখে খোবে হিটলার পাগল উন্মাদের মত হয়ে গেল।ভেঙে গেল তার ধর্যের বাঁধ।সাথে সাথে  পদচ্যুত করে  এরেস্ট করার নির্দেশ দিল গোয়েরিংকে। উত্তরাধিকারি থেকে ও বাদ দেওয়া হলো। হিটলার তখন আর কাউকে বিশ্বাস করতে পারছিলনা।তার বান্ধবি ইভা ব্রাউন এর বোনের স্বামি  জেনারেল ফেগলিনকে বিশ্বাস ভঙ্গের অভিযোগে হত্যা করা হলো।ইভার অনেক অনুনয় বিনয় সত্বেও।প্রায় বারটি বছর যে হিটলারের সাথে বাস করছে,এখন যেন সে হিটলারকেই চিনতে পারছেনা।প্রেয়সির ভেঙে পড়া অবস্হা দেখে  এবং বিশ্বকে দেখানোর জন্য হিটলার ইভাকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিল।ব্যংকারে অবস্হান রত একজনকে পৌরহিত করে গোয়বলস তার সহকারিকে সাক্ষি করে বিয়ের অনুস্টানটা ও সেরে ফেললো।তার পর হিটলার তার মহিলা সেক্রেটারিকে দিয়ে তার শেষ ইচ্ছা ডিকটেট করতে বসল।সারা রাত ভর সেক্রেটারি গেট্রুট তার অসমাপ্ত যুদ্ধের দলিল লিপিব্ধ করলো।এই দলিলে বিশ্বাস ঘাতকতার দায়ে তার সহকর্মি গোয়বলস কে চাড়া সবাইকে পদচ্যুত করলো। গোয়বলসকে বানাল তার স্হলাভিশক্ত চ্যন্সেলার এবং সেনা বাহিনীর সুপ্রিম প্রধান।দলিলের শেষ প্রান্তে লিখল পরাজয়ের চেয়ে সদ্য বিবাহিত ইভাকে নিয়ে আত্ম হত্যাই তার জন্য শ্রেয়।পরদিন ২৯ই এপ্রিল সাকালেই  হিটলার খবর পেল ব্যংকারের অদুরেই লাল ফোজ অবস্হান করে আশেপাশে গোলাগুলি করছে।অবশ্য তখনও হিটলারের যুবনেতা  আরটুর কিশোর নাৎসী বাহিনী নিয়ে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।
কয়দিন আগে হিটলার এক কমান্ডারকে দিয়ে মির্ত্যু শিবির থেকে বিষাক্ত ক্যপসুল আনিয়ে রাখল।প্রথমে ইভা ব্রাউনের পোষা কুকুর ব্লন্ডিকে একটা ক্যপসুল খাওয়ায়ে টেস্ট করলো,  সাথে সাথে কুকুরটা মারা যায়।তখনও হিটলারের ব্যক্তিগত পাইলট বাওয়ার এসে শেষ বারের মত অনুরোধ করে বললো, আপনি ইভাকে নিয়ে আর্জেন্টিনা অথবা জাপান পালিয়ে যান।হিটলার জানিয়ে দিল তার পাদার ল্যান্ড জার্মান চেড়ে সে কোথাও যাবেনা।হিটলার জানে তার বন্ধু ও রাজনিতিক গুরু ইটালির ফ্যসিসট বনৈটো মুসোলিনির  নিহত হবার পরেও কপালে কি জুটেছিল।এরপর হিটলার তার দুজন ভৃত্য গুনসে ও হাইনছ কে  নির্দেশ এবং অনুরোধ করলো। তার মির্ত্যুর পর যেন তার ও ইভার লাশকে পুড়ে পেলে। সে চায় না তার লাশ নিয়ে ভলশোবিকরা মমি করে রাখুক বা নৃত্য করুক।


জেনারেল ভাইডেন কে নির্দেশ দিল সন্মুক যুদ্ধে না টিকতে পারলে বনে জঙ্গলে থেকে যুদ্ধ চালিয়ে যাও, তবু আত্মসমর্পন নয়।তারপর হিটলার একে একে ব্যংকারের সকল কর্মচারির কাছ থেকে বিদায় নিল।সেক্রিটারি গেট্রুটকে একটা রুপার শিায়াল , মহিলা নেত্রি গিজিলাকে দিল বাসর রাতের ইভার পোশাক জোড়া। সবাইকে কিছু না কিছু  উপহার দিয়ে হিটালার আর ইভা গিয়ে শোয়ার ঘরের সোপায় বসল।সারা ব্যংকার সুশান নিরব নিস্তব্দ।দেহ রক্ষি গুনসের পাশে গোয়বলেস এর স্ত্রি মাগদা নিরব দাঁড়িয়ে আছে।তখন দুপুর গড়িয়ে বিকেল,হঠাৎ কামড়ার ভিতর থেকে একটা মাত্র গুলির শব্দ ভেসে  এল।কর্মচারিরা গিয়ে দেখে সোপার উপর দুজনেরই নিথর দেহ পড়ে আছে।হিটলার আগে ইভাকে ক্যপসুল খাওয়ায়ে মির্ত্যু নিশ্চিত করে নিজেই নিজের পিস্তল মাথায় ঠেকায়ে গুলি করে আত্ম হত্যা করে।পরে গুনসে এবং হাইন লিঙে দু জনের লাশ ধরাধরি করে উপরে চ্যন্সেলারি বাগানে নিয়ে ড্রাইবার এরিক থেকে পেট্রোল নিয়ে তাড়াহুড়া করে পুড়ে পেলে।
পরদিন সকালে  পহেলা মে গোয়েবলস ও এডমিরাল ডোয়েনিভস হতাশ হয়ে রেডিওতে এ সংবাদ প্রচার করে পরাজয় শিকার করে নিল।তার পর গোবেলসও তার ছয়টা সন্তান সবাইর বয়স বার বছরের নিছে সবাইকে নিয়ে আত্ম হত্যা করে।পরে রাশিয়ান আর্মি এসে বংকারে প্রবেশ করে মনি মুক্তা সোনা দানা খুজতে লাগল।এলমেল পড়ে আছে এত গুলো তাজা লাশ সেদিকে সৈনিকদের কোন খেয়ালই নেই।পরে কে গে বি প্রধান সহ অফিসাররা এসে হিটলারের দন্ত সিকিৎসকের মাধ্যমে  হিটলারের লাশ সনাক্ত করে সর্বমোট এগারটা লাশ গোলা বারুদের খালি কক্সে ভরে মিলিটারি কনভয়ে উঠায়ে অজানার উদ্দেশ্যে লাশ গুলি নিয়ে গেল।আজ তক গোপন ই রয়ে গেল হিটলারের শেষ পরিনতির রহস্য।
                                                            ------মোহাম্মেদ ফারুক, জার্মানি ।














অজ্ঞসব জনপ্রতিনীধি,

সত্যই শক্তি, সত্যই সুন্দর,