সোমবার, ৩১ মার্চ, ২০২৫

ভিন্ন মতালম্বিকে হত্যা করা কি ইসলামে জায়েজ আছে?


গত কয় বছর ধরে বাংলাদেশে বেশ কয় জন মুক্তমনা তরুন  ব্লগার কবি সাহিত্যিক সাংবাদিক এমন কি ভিন্ন মতালম্বি ধর্মিয় কয়জন নেতাকে চাপাতির কোপে আর খঞ্জর কিংবা তলোয়ার দিয়ে নিজ গৃহে জবাই করে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছে।অনেককে আবার কোপায়ে রক্তাক্ত করা হয়েছে। তারা কেউ কেউ কোন ভাবে প্রাণে বেঁচে গেলেও জীবনের তরে পঙু হয়ে বেঁচে আছে।

সম্প্রতি জাগৃতি প্রকাশনার কর্নদার ঢাকা ইউনিভার্সিটির বাংলা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক জনাব আবুল কাশেম ফজলুল হকের একমাত্র ছেলে জনাব ফয়সল আরেফিন দীপনকে আজিজ সুপার মার্কেটের তৃতীয় তলায় নিজ অফিস কক্ষে নির্মম ভাবে খুন করা হয়েছে।শুদ্ধশ্বরের প্রকাশক সহ আরো তিন জনকেও কোপায়ে আহত করা হয়েছে।বেশ কয় বছর আগে একুশের বই মেলায় প্রথাবিরুধি বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিক অধ্যাপক হুমাউন আজাদকে কোপায়ে রক্তাক্ত করা হয়।তার কিছুদিন পরেই তিনি মৃর্ত্যুর কোলে ডলে পড়েন। ইসলামকে অবমাননা করে লেখালেখির কারনে লেখিকা তাসলিমা নাসরিনকে স্বদেশ চাড়তে হয়েছে প্রায় দুযুগ আগে।

এরকম খুন খারাবি যে শুধু বাংলাদেশে হচ্ছে, ঠিক তা না। বর্তমান বিশ্বের ৫৭টা মুসলিম দেশের মধ্যে প্রায় সব দেশেই সকল প্রথা বিরুধি প্রকৃতি বিরুধি, ধর্ম বিরুধি ভিন্ন মতালম্বি কবি সাহিত্যিক, সাংবাদিক মুক্তমনা ব্লগার শিল্পি নেতা নেত্রিরা নির্মম ভাবে খুন হচ্ছে।সকল দেশেই আজ উগ্রবাদি জঙ্গীবাজ সন্ত্রাসবাদী, চরম পন্থীর উত্থান ঘঠেছে।এমন কি অনেক দেশে নাস্তিকতা বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইনও প্রণয়ন করা হয়েছে।

এখন প্রশ্ন হলো, আসলে কি ভিন্ন মতালম্বিকে হত্যা করা ইসলামে জায়েজ বা অনুমোদন আছে?



উত্তর হলো, হ্যাঁ একশ পার্সেন্ট ইসলাম তা অনুমোদন করে।ভিন্ন মতালম্বি বলতে, কোরআন সুন্নাহ এবং আল্লাহ ও তাঁর  প্রিয় রাসুল হযরত মুহাম্মদ সঃ এর অবমাননা, অশ্বিকার,কারীকে হত্যা বা কতল করা ইসলামে জায়েজ আছে।প্রবিত্র কোরআনেও কিসাস নামে আইন আছে।খুনের বদলা খুন।

স্বয়ং আমাদের প্রিয় নবী নিজেই বলেছেন আমি তোমাদের  একদিকে দয়ার নবি, আরেক দিকে যুদ্ধের নবী।

ফিকাহ শরিফের রচয়িতা ঈমাম মালিকি রহঃ বলেছেন, যে ব্যক্তি আমাদের প্রিয় নবীর গায়ের জামার বোতামের অবমাননা করবে,তাকেও গর্দান কেটে হত্যা করা ইসলামে জায়েজ আছে।

এমনকি প্রবিত্র কোরআন শরিফের সুরা আযহাব সুরা ইমরান সহ কয়টি সুরাতে আল্লাহ সুবহান তাআলা কয়েকটি আয়াত নাযিল করেছেন সে ব্যপারে।

তাই আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ  স্বয়ং নিজে আব্দুল্লাহ ইবনে খাতাল ও তার দুই দাসীকে প্রকাশ্যে হত্যা করার আদেশ দিয়েছিলেন।এমনকি তারা যদি কাবার গিলাপ ধরে ঝুলেও থাকে তাহলেও হত্যা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

মক্কা বিজয়ের পর, মহা নবী বেশির ভাগ লোককে বিনা বিচারে মুক্ত করে দিলেও তাঁর নির্দেশে একটি ব্ল্যাকলিষ্ট তৈরি করা হয়েছিল।সেই লিষ্টে যার যার নাম ছিল প্রত্যেককে হত্যা করা হয়েছিল মহা নবীর নির্দেশেই।

সে সময় মক্কা নগরিতে কোন অপরাধি যদি কাবা শরিফের গিলাপ ধরে ঝুলে থাকতো, তবে তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হতো।কিন্তু আল্লাহর রাসুল সে ব্যপারে বলেন এটা মুসরিকদের আইন। তাদেরকে হত্যা করো, যদি তারা কাবার গিলাফ ধরে ঝুলেও থাকে তবুও।

ইসলামে নারী শিশু হত্যা নিসিদ্ধ করা হলেও স্বয়ং আল্লাহর রাসুল বেশ কয়জন নারীকে হত্যা করার আদেশ দিয়েছিলেন।তারা ছিল কোন ধরনের নারী, যারা মুসলমানের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরেছে, এবং ব্যবিচারে লিপ্ত থেকেছে, তাদেরকে।

এছাড়াও কাব বিন আশরাপ, আবু রাপে, উথবা, নাদার ইবনে আবি, হারিছ সহ অসংখ্য কবি সাহিত্যিক মুসরিক ও কোরআন সুন্নাহর অবমাননা কারী, তিরষ্কার কারি, অবিশ্বাস কারিকে প্রকাশ্যে হত্যা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন আল্লাহর প্রিয় নবী।

আমার কথা হলো, এখন চলছে একবিংশ শতাব্দি।ইসলাম ধর্ম হলো একটা প্রতিষ্টিত এবং পরিক্ষিত ধর্ম।সমগ্র বিশ্বের প্রায় দেড়শ কুঠি মুসলমান ৫৭টা দেশে মনে প্রানে ইসলামকে ভালবাসে।মানুষের ধর্মিয় অনুভূতি এখন তীব্র থেকে তীব্রতর হয়েছে। সে ধর্মকে অবমাননা তীরষ্কার করা কোন মতেই গ্রহন যোগ্য নয়।

আর জঙ্গীবাজ উগ্রবাদীদেরকে বুঝতে হবে এখন দেশে কোন খালিফা রাজত্ত বা ইসলামি শাসনতন্ত্র কায়েম নেই।দেশে চলছে একটা গনতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্হা।দেশের বেশির ভাগ মানুষই শান্তি কামি জনতা।সুতারাং দুচারজন সিমিত সংখ্যাক জঙ্গীবাজ মিলে গুপ্ত হামলা করে দুচার জন মুক্তমনা বা নাস্তিককে হত্যা করে ইসলামের তো কোন উপকার হবে না, বরং নিজেরাই থাকবে আইনের চোখে চরম অপরাধি।

----ফারক, জার্মানী।

মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ, ২০২৫

হে দুর্ভাগা দেশ আমার তুমি চলছো কোনদিকে---?

 হে দুর্ভাগা দেশ আমার, তোমার লাগি প্রাণ কাঁদে,
দুচোখ ভরে শুধু ব্যদনার অশ্রু ঝরে।
কোথায় নিয়ে এল তোমায় ঔরা, কোথায় নিয়ে যাচ্ছে বার চোরে//
উদভ্রান্তের দলেরা  সবাই আজ বিব্রান্ত তোমাকে নিয়ে।
অশান্তির কোপানলে তারা আজ সাম্যমৈত্রি আদর্শ হারিয়ে।
চারিদিকে অসনি সংকেত শুনতে পাই তোমাকে গিরে//
যে জাতি পৃথিবীতে দেখেছে স্বাধীনতার মুখ,
তাদের ঘরে ধরা দিয়েছে পৃথিবীর সকল সুখ।
অতচ আমরা আজ কত যে হতভাগ্য,তোমার বুকে দেখি
খঞ্জরের তাজা ঘা,রক্তাক্ত প্রান্তর বুলেট বোমা বারুদের গন্ধ।
রক্তেধোওয়া স্বাধিনতার পরপরই দেখতে লাগলাম দুঃখ আর দুঃখ্।
কতো ত্যাগ তিতীক্ষা প্রাণ আর ইজ্জতের বিনিময়ে-মুক্ত হলো,
স্বাধীনতা এলো,তার পর থেকেই দুর্ভাগা দেশ আমার হতে লাগল এলমেলো।
নোংরা খেলার খালি মাঠে সবাই জিতে যায় শুধু গোল করে করে//
 স্বাধিনতা এল সবাই নেতা বনে গেল, প্লাজো পেন্ট,লম্বা কলারের সার্ট,
লম্বা চুল মাঝখানে টিকটিকি শরির,উপোস নেতা চুঙ্গা ফুঁ নেতা কত কি দেখলাম?
নেতা মরে যাবার পরে এদেশে আজ নেতার জন্মই বন্ধ হয়ে গেল।
কি আজব হয়ে  গেল হায়! হে  দুর্ভাগা দেশ আমার!
কোথায় আজ গনতন্ত্র, কোথায় সমাজতন্ত্র,
কোথায় আজ ধর্মনিরপেক্ষতা,কোথায় জাতিয়বাদিতা?
কোথায় মানবতা--- সবি  যেন আজ ইতিহাসের আস্তাকুড়ে হারিয়ে গেল।
দিশেহারা জাতির সামনে আজ শুধু সয়তানের নগ্ন ভাওতা।
হে দুর্ভাগা দেশ আমার, তোমার ভবিষ্যত দেখতে পাই গভির অন্ধকারে//



 স্বাধিনতার পরবর্তি এবং ১৫ই আগষ্টের পুর্ববর্তি দিনগুলি------
আমরা সবাই জানি আমাদের এই দেশটা চুড়ান্ত বিজয় লাভ করেছিল ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেন্বরে। তখন আমরা বাংলার মুক্ত আকাশে কল্লোল কলরবে উড়িয়ে দিয়েছিলাম  স্বাধিনতার লাল সবুজের রক্তিম ঝান্ডা।কিন্তু তখনো যেন আমরা কিসের অভাব বোধ করছিলাম, আমাদের স্বাধিনতা যেন তখনো অসম্পুর্ন রয়ে গেল। কিসের জন্যে কার অভাবে এই অপুর্নতা?

হ্যাঁ তখনো আমাদের স্বাধিনতা অসম্পুর্ন রয়ে গেল কারণ, হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙ্গালী বাংলার অবিসংবাদিত নেতা ইতিহাসের মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমানের অনুপস্হিতে। জাতির জনক তখনো বর্বর পাকিস্তানীদের পিন্ডির কারাগারে বন্দি ছিলেন।

১৯৭২ সালের ১০ই জানুয়ারি জাতির জনক পিন্ডির কারগার থেকে মুক্তি লাভ করে লন্ডন দিল্লী হয়ে তার বহুদিনের লালিত স্বপ্নের বাংলাদেশে ফিরে এলেন এক ঘন আবেগ আপ্লুত পরিবেশে।নয়মাস রক্তক্ষয়ি যুদ্ধের পর ৩০লক্ষ শহীদের আত্মহুতি আর দুলক্ষাধিক মাবোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধিন বাংলাদেশের ধ্বংশজ্ঞের উপর দাঁড়িয়ে তিনি সোনার বাংলা গড়ে তোলার উদাত্ত আহব্বান জানালেন দেশ বাসির কাছে।
একটা সংসার কিংবা একটা ঘর তৈরি করতে যে কিছু নিয়ম নীতি এমন কি একটি আলপিনেরও যে প্রয়োজন পড়ে, এটা জাতির জনক ভালো করে জানতেন।তাই তো তিনি সুদুর প্রসারি চিন্তা ভাবনা করে প্রথমে প্রণয়ন করলেন সংবিধান। রাষ্ট্রের মুলনীতি  মৌলিক কায়দা কানুন লিপিবদ্ধ করা হয় এই সংবিধানে।
কিন্তু হায় বিধি বাম-- !
একিবছর বঙ্গবন্ধুর হাতেগড়া বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সন্তানরা দ্বিধাভিবক্ত হয়ে বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের নামে জাসদ নামে একটি আজব দল গঠন করে হায়েনার মত শুরু করে দিলেন ধ্বংশস্তুপের উপর নৈরাজ্য।এমনকি বঙ্গবন্ধুর বিশিষ্ট বন্ধু আমাদের মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দানকারি মরহুম তাজ উদ্দিন আহম্মেদও গোপনে এই জাসদকে দিক্ নির্দেশনা দিতে লাগলেন। উল্লেখ্য ১৯৭২ সালের ৩০শে অক্টোবর তাজ উদ্দিনের বাসায় পুরো রাত ধরে জাসদের মেনপেস্ট তৈরি হয়ে ৩১শে অক্টোবর স্বাধিন বাংলার মাটিতে নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে জাসদ ঘোষিত হয় । আগুনের মশাল ছিল এই দলের প্রতিক।মশালের আলো ঘরে ঘরে জ্বালো এটা ছিল তার শ্লোগান।বৈজ্ঞানীক সমাজতন্ত্র দলের মুল আদর্শ।

কি নির্মম করুন আমাদের ইতিহাস। শুধু তাজ উদ্দিন নয় খুনি মোস্তাক তাহের উদ্দিন ঠাকুর, স্বাধিনতা বিরোধি দেশি বিদেশি শক্তি কায়েমি সার্থবাদীরা জাসদের প্লাটফর্মে একত্রিত হয়ে শুধু বঙ্গবন্ধু নয় পুরো জাতিকে এক বিভ্রান্ত পরিস্হিতির মধ্যে ফেলে দেয়।পরিশেষে খুনি জিয়া মোস্তাক ডালিম রশিদ ফারুক চক্র জাতির জনককেই সপরিবারে নির্মম ভাবে চিরতরে সরিয়ে দেয়। মুলত এই জাসদই বঙ্গন্ধুকে হত্যার ক্ষেত্র তৈরি ও নষ্টের মুল। তারা কষ্টার্জিত স্বাধিনতাকে পুনরায় পাকিস্তানীদের হাতে তুলে দিতে ব্যর্থ হলেও কায়েম করে পাকিস্তানি ভাবধারার ইসলামি মৌলবাদি রাষ্ট্র।তারা বাংলাকে বানাতে চেয়েছিল বাংলাস্হান।চলতে লাগলো স্বাধিন বাংলা উল্ট পথে উল্ট রথে।
কি দুর্ভাগ দেশ আমার, কি দুর্ভাগ্য আমাদের!

হায়রে জাসদের উদভ্রান্ত দিকভ্রান্ত কুলাঙ্গার নেতারা তোমরা আজো ভাসছ  ইতিহাসের মহাসমূদ্রে তৃনলতার মত । কোথায় সাজাহান কোথায় রব ইনু আম্বিয়া বাদলরা কোথায় তোমাদের তাত্বিক গুরু সিরাজুল আলম খান।কোথায় কর্নেল তাহের মেজর জলিল।সবাই আজ ইতিহাসের আস্তাকুড়ে আবর্জনার স্তুপে। তোমাদের শক্তি সামর্থ জ্ঞান প্রজ্ঞা তুলে দিয়েছ মূর্খ আর অশিক্ষিত জালিমের হাতে। অতচ তোমরাই ছিলে ইতিহাসের মহা নায়কের পাশে প্রথম সারির নেতা সৈনিক কিংবা বীর মুক্তিযোদ্ধা।স্বৈরশাসক জিয়ার স্বাধিনতার ঘোষনা পাঠের চেয়েও  বিরত্তগাঁথা ছিল স্বাধিনতার ইশতেহার পাঠ আর পতাকা উত্তলন।


জাতীয় চার নেতা

১৫ই আগষ্টের পরবর্তি দৃশ্য-------
জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সকালের সোনালি সূর্যের মত স্পষ্ট হয়ে যায় বঙ্গবন্ধু হত্যার মুল নায়ক বা গডফাদার মোস্তাক জিয়া চক্র ।

বিদেশি সংবাদিকের কাছে দেওয়া  স্বঘোষিত খুনি ফারুক রশিদের শিকারোক্তি মুলক  ইন্টারভিউতেও তাহা প্রমানীত হয়।






খুনি মোস্তাক নিজেকে স্বঘোষিত রাষ্ট্রপতি ঘোষনা করলেও মুল বলয় শক্তি ছিল জিয়ার হাতে। রাতারাতি জিয়া সেনা বাহিনীর সামান্য একজন মেজর থেকে সেনা প্রধান বনে যান।তারপর হলেন  স্বঘোষিত রাষ্ট্রপতি।





বাংলাদেশ সেনা বাহিনীতে সবচেয় মুর্খ অশিক্ষিত ও অসভ্য ছিল এই জেনারেল জিয়া---
তৎকালিন পাকিস্তানি  আর্মির মধ্যে ২৩টা র‌্যাং এর মধ্যে নীচের সারির র‌্যাং গুলির মধ্যে বেশ কয়টা র‌্যাং ছিল মেজর র‌্যাং এর। যেমন হাবিলদার মেজর সুবেদার মেজর ইত্যাদি।এই সব মেজররা বেশিরভাগই ছিল নিম্ন শিক্ষিত।জিয়াও ছিল তেমনি একজন।এই জিয়ার শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং বয়স বংশ পরিবার সবকিছুই ভূয়াও ভূলভাবে উপস্হাপন করা হয়েছে।স্বাধিনতার পরে বঙ্গবন্ধুই জিয়াকে এক বছরে তিনবার প্রমোশন দিয়ে ডিপুটি মেজর জেনারেল বানাইয়েছিল।এই জিয়াই বঙ্গবন্ধুর সামনে কোরআন সফত করে বলেছিল কোনদিন বেঈমানী করবেনা জাতির পিতার সাথে । অতচ !
জাতির কি দুর্ভাগ্য !
এই জিয়াই মিরজাপরের মত জাতির সাথে বেঈমানী করে খুনের নেশায় মেতে উঠেছিল। বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে নির্মম ভাবে হত্যা করার পর তারই বিশিষ্ট বন্ধু এবং তার প্রাণ রক্ষাকারি  পাঁ হারানো পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা সেক্টর কমান্ডার কর্নেল তাহেরকে প্রহসনের বিচারে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করতে একটুও কুন্ঠাবোধ করলো না এই নিকৃষ্ট স্বৈরচার ।
মুর্খ এই জিয়া মাফিয়া সর্দারের মত চোখে কালো চশমা লাগিয়ে প্রতিপক্ষ ভেবে জল্লাদের মত একে একে হত্যা করলো নির্দোষ প্রায় দেড় হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধা অফিসারকে।তারপর নিজের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে বহুদলীয় গনতন্ত্রের নামে রাজকোষের কুঠি কুঠি টাকা খরচ করে ঘটন করলেন একটি রাজনৈতিক প্লাটফরম। কি ভয়ানক মুর্খ যার কাজ উর্দি পরে মাঠে লেপ রাইট লেপ রাইট করা, সেই নাকি আবার রাজনৈতিক দল ঘটন করলো। এটাও সম্ভব হলো সদ্য স্বাধিন হওয়া শিশু এই পলি মাটির বাংলাদেশে।তার এই প্লাটফরমেই স্হান হয় রাজনীতির সব পরিত্যক্ত পরিত্যজ্য আগাছা  আর আবর্জনাদের।তার সাথে আবার সংযুক্ত হয় লম্বা কানওলা কিছু গর্ধব।


মুর্খ জিয়া একাই সবকিছু। নিজে সেনা প্রধান নিজে রাষ্ট্রপতি।অতচ নিজে বাংলাভাষায় কথাই বলতে পারতনা। মশিউর রহমান যাদুমিঞা নামে এক স্বাধিনতা বিরোধি জিয়াকে বাংলায় বক্তিতা দেওয়া শিখায়েছেন।এবং তার নির্দেশেই শিঙ্গাপুর থেকে কুঠি কুঠি টাকা খরচ করে কালো চশমা ও বেলবর্টম টিসার্ট পরায়ে  ছবি তোলায়ে আনেন। যাতে বক্তিতার পরিবর্তে প্রচার প্রপাগান্ডা চালানো যায়।ধোকা দেওয়া যায় এদেশে হতভাগা নিরীহ মানুষদের । এই কালো চশমা পরে এই মাফিয়া ডন বিভিন্ন রাষ্ট্রিয় চপরেও যান।
অন্যদিকে জাতিকে ঘুম পাড়ায়ে রাখা হয় একজিবিসনের নামে যাত্রা সার্কাসে প্রিন্সেস লাকি খান আর জরিনার নগ্ন নাচ দেখায়ে।লুট করা হয় খেটে খাওয়া মানুষের জমানো দুচার পয়সা।এই গুলি ছিল স্বৈরচার জিয়ার বহুদলীয় গনতন্ত্রের মুল বৈশিষ্ট।কুঠি কুঠি টাকা পকেট মানি দিয়ে আমেরিকা থেকে নিগ্র মুষ্টিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলীকে বাংলাদেশে এনে গনতন্ত্রের প্রচার করা হয়। সেটাও ছিল খুনি জিয়ার প্রপাগান্ডা ।হ্যাঁ না ভোটের আয়োজন করে এই কুলাঙ্গার স্বৈরচার বিংশ শতাব্দীর ইতিহাসে নজির বিহীন দৃষ্টান্ত স্হাপন করলো ।লজ্জা শরম হায়া বলতে বিন্দুমাত্রও তার মধ্যে ছিল না।

মুলত ১৯৭৫ সালের পর থেকেই বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে আদর্শ উদারতা সাম্যমৈত্রি সমযোতা ভ্রাতৃত্ববোধ সুষ্ট ন্যায়নীতির রাজনীতি সব কিছুই বিলুপ্ত হয়ে গেছে।কায়েমি সার্থবাদী সুবিধাবাদী কালোবাজারি ঘুষখোর দুর্নীতিবাজ লুটেরা কৃত্তিম নকল বুদ্ধিজীবি আমলা কেরানি প্রফেসার ডাক্তার উকিল বারিষ্টার প্রকোশলি শিক্ষিত অশিক্ষিত গুষ্টি ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারি মুচি চামার মেথর মালিরাও কেন্টরমেন্টে জন্ম নেওয়া বিএনপি নামের প্লাটফর্মে জায়গা পেয়ে বহুদলীয় গনতন্ত্রের নামে  রাতারাতি অর্থবিত্ত বৈভবের মালিক হয়ে শক্তিও সামর্থ আহরন করে বানরের মত আদর্শের রাজনীতিকে লাল শিশ্ন দেখাতে লাগলো।

উন্নত আদর্শের রাজনীতি আর বিকশিত গনতন্ত্র বলতে আমার প্রিয় সোনার এই বাংলাদেশে কিছুই নাই।আছে শুধু দুর্বৃত্তের রাজনীতি।

মৌলবাদী যুদ্ধাপরাধি মানবতা বিরোধি অপরাধি স্বাধিনতার বিপক্ষ শক্তি সমবেত হয়ে তারা আজ এক অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে স্বাধিন বাংলার স্বপ্ন ও সম্ভাবনাময় সোনালী ভবিষ্যতকে। আজ বাংলার শিক্ষা শান্তি সংস্কৃতি প্রথা প্রিতি সভ্যতা ভদ্রতা নম্রতা ধর্মপরাণয়তা সবকিছুই সংকটের মুখে পতিত হয়েছে।সবকিছুতেই আজ ভূয়া আর ভেজালের চড়াচড়ি।ডাক্তার প্রফেসার আলিম ওলেমা প্রকৌশলি উকিল বারিষ্টার অনেকেরই সার্টিপিকেট ভেজাল আর ভূয়াতে ভরা, শিক্ষায় দীক্ষায় খাদ্যদ্রব্যে সব কিছুতেই ভেজাল।সর্বক্ষেত্রেই দুর্নীতি করপসান।

প্রগতিশীলরা আজ একরকম খচ্চরে পরিণত হয়েছে। না গাধা না ঘোড়া--তার নামই হলো খচ্চর ।কেউ কেউ অবশ্য জিয়ার বিষবৃক্ষের  মনোরম ছায়ায় গিয়ে বুর্জ্যোয় পেটি বুর্জ্যোয়া হয়ে মাথা মোটা করেছে।তাদের মাথায় দেখি আজ সুন্নাহর কারুকাজ করা টুপি। তারাও আজ আকবরি আর ওমরা হজ্বে যায়।

কি বৈচিত্র কত সুন্দর সৃজনশিল তারা, নাস্তিকের খেতাবে ভুসিত ছিল এক সময় যারা।




১৯৮১ সালের ৩০শে মে জিয়ার নির্মম হত্যার পরবর্তি সময়-----
লোকমুখে শুনা এবং প্রচলিত একটি সত্য কথা,

পার্থিব জীবনেই মানুষের কৃতকর্ম গুনাহ এবং অপরাধের বিচার হয়ে যায়।
তার জলন্ত প্রমান এই জেনারেল জিয়া।

চট্ট্রগ্রাম সার্কিট হাউজে ব্রাসফায়ারে নিহত জিয়ার লাশ নাকি ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। অজ্ঞাত কারো লাশের ছিন্নভিন্ন তুলে এনে নাকি ঢাকার চন্দ্রিমা উদ্যানে  দাপন করা হয়।
তারপর আবার পাল্টে যায় অন্য রকম এই  বাংলার দৃশ্যপট।

সে যাই হউক এক বছরের মাথায় বিচারপতি আব্দুর ছাত্তারকে বন্দুকের নল দেখায়ে জেনারেল এরশাদ ক্ষমতা দখল করে নিয়ে আবার জনজীবন দুর্বিসহ করে তুললো।জারি করলো সামরিক আইন মার্শাল ল ।
কি দুর্ভাগ্য স্বদেশ আমার।
এই স্বৈরশাসক খুনি জিয়ার পদাঙ্কনুসরণ করে জাতীয় পার্টি নামে আরেকটি পার্টি গঠন করে শুরু করে দিল বেলাল্লাপনা ও লম্পটাপনা।শুরু করে দিল দুর্বৃত্তায়নের পল্টি খাওয়া বি- রাজনীতি।আবার রাজকোষের কুঠি কুঠি টাকার অপচয়।জনগনের ফিৎরা জাকাত বিদেশ থেকে আগত রিলিপের টাকা নিয়ে লুটপাট বিরাজনীতির উত্থান পর্ব শুরু করে দিল এই বহিরাগত স্বৈরাচার। দীর্ঘ নয় বছর জগদ্দল পাথরের মত ক্ষমতার মসনদে  চেপে বসেছিল এই স্বৈরচার।এই স্বৈরচার এরশাদ পাকিস্তানের আরেক স্বৈরচার জিয়াউল হকের সাথে আঁতাত করে খোদ পাকিস্তানে নিশান খেতাবে ভূসিত হয়ে সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম জুড়ে দিয়ে শুরু করে দিল ইসলামী পক্রিয়াকরন ।
অতচ একটা মুসলিম প্রধান দেশে ঘরে নিজের স্ত্রি থাকতে সে নিজেই করতে থাকলো প্রকাশ্যে নারীবাজি। কি আজব কি দুর্ভাগ্য আমাদের! মধ্য ফেব্রুয়ারীতে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পানি বিক্রেতা বাদশা নামের এক কিশোরকে গুলি করে হত্যার পর থেকে শুরু করে শত শত নিরীহ মানুষকে হত্যা করে অবশেষে নুর হোসেন, ডাক্তার মিলনের হত্যার মাধ্যমে ১৯৯০ সালের ৬ই ডিসেম্বর  পতন হয় এই নিকৃষ্ট স্বৈরচারের।

বাংলাদেশে সর্বপ্রথম জঙ্গিবাজের উত্থান হয় এই স্বৈরচারের হাত ধরেই। এরশাদই প্রথম আফগানি মুজাহীদ কমান্ডার হেকমতিয়া গুলবদনকে বাংলাদেশে আসার সুজোগ করে দেয়।





তারপর উত্থান হয় খুনি জিয়ার বিধবা পত্নি খালেদার -----

জিয়ার চেয়েও মুর্খ অশিক্ষিত গৃহবধু এই খালেদা খানম ওরফে পুতুল । শিক্ষায় দীক্ষায় নাকি মাত্র অষ্ট শ্রেণী পাশ।হায় স্বদেশ ষোল কোটি মানুষ হতাশ! কিছু করার নাই!

কি দুর্ভাগ্য আমাদের হে দুর্ভাগা দেশ --!
ছবিতে খালেদার নোংরা বেলাল্লাপনা--হায় আল্লাহ-!একটা মুসলিম দেশে এটাও কি সম্ভব! কোথায় ফতুয়াবাজ ধর্ম ব্যবসায়িরা।কেন দোররা কিংবা পাথর মেরে হত্যা করা হচ্ছে না এই পাপিষ্ট নারীকে?

এক রকম অলৌকিক ভাবেই কেমন যেন এক দৈববলে ক্ষমতার পাদপ্রদিপে চলে এল খুনি জিয়ার ৩০-৩৫ বছরের জোয়ান বিধবা পত্নি খালেদা জিয়া।মুসলিম নরনারির বিয়েশাদি করে বৈধ ভাবে বাস করার বিধান থাকলেও তিনি তার তোয়ক্কা না করে ধর্মীয় বিধিবিধান না মেনে প্রকাশ না করেই একদিকে শুরু করে দিলেন বেলাল্লাপনা, পরপুরুষের সাথে অবৈধ মেলামেশা,যদিও ৯০ দশকের প্রথমদিকে ফালুর সাথে তার বিবাহের কাবিন নাম প্রকাশিত হয়েছি বিভিন্ন মেগাজিনে।

অপরদিকে শুরু করলেন দুর্বৃত্তায়নের রাজনীনীতি মানে বিরাজনীতি।
বিদেশের হোটেল রোস্তঁরায় ক্লিনারে চাকুরি করা কাজের লোকেরা জিয়ার রোপন করা বিষবৃক্ষের তলে সমবেত হয়ে রাতারাতি বনে গেলেন হাজার হাজার কুঠি টাকার মালিক। স্বাধিনতা বিরোধি চক্রও আজ  মন্ত্রি মিনিষ্টার হয়ে  অসুভ শক্তিও সামর্থের অধিকারি হয়ে দানবের মত মোটা হয়ে দাঁড়ায়েছে। কেরানী  আমলা পিয়ন বাজারের তোলা তোলার লোক ভাতমরা শিল্পি সংবাদিক কেউ কেউ আজ দোকান পাট সফিং মল উঁচেল বাড়ি দামি গাড়ির মালিক বনে গেছেন। সবাই আজ নামে-বেনামে অঢেল গাড়ি বাড়ি সহায় সম্পত্তির মালিক। সবাই আজ এদেশের হোমরা চোমরা।

ভাতে মরে জাতির বীর সন্তান মুক্তিযোদ্ধারা। গুলি খেয়ে মরে সারের দাবিতে রুগ্ন কৃষক।বিজলির দাবিতে মরে সাধারণ মানুষ।

খালেদার ছোট ছেলে কোকোও নাকি অস্ট্রেলিয়ায় হোটেলে ক্লিনারের কাজ করে জিবিকা নির্বাহ করতো।। আজ সেও হাজার কুঠি টাকার মালিক। কি আজব এই দেশ।কালোবাজারি ব্যবসায়ি আমলা ঠিকাদার দুষ্ট মাফিয়া চক্রের সবাই আজ রাষ্ট্রিয় মালিকানায় আমদানি রপ্তানি সর্বক্ষেত্রে লুটপাট করে কোড়পতি বনে গেছে। বাংলাদেশের সকল সম্ভাবনা আজ এই দুষ্ট মাফিয়া চক্রের হাতে কুক্ষিগত ও বন্দি হয়ে পড়েছে।তারা লুটপাট করে দুর্নীতিতে ৫বার বাংলাদেশকে চ্যম্পিয়ান বানিয়েছে।

খালেদার বড় ছেলে তারেক রহমান ও হাওয়া ভবন বানিয়ে হাজার হাজার কুঠি টাকার মালিক হয়ে দেশে বিদেশে অঢেল সম্পত্তি গড়ে তুলেছে কোন এক অদৃশ্য যাদুর বলে।হাওয়া ভবন বানিয়ে দুর্নীতির আখড়া বানিয়ে মাফিয়ার সর্ঘরাজ্য বানিয়েছিল এই দেশকে। ধরাপড়া ১০ ট্রাক অস্ত্র একট্রাক গুলি অস্ত্র ব্যবসায়িরা চোরাই পথে এদেশে আনতে সক্ষম হয়।যার সাথে তারেক জিয়া যে জড়িত তা প্রমাণিত সত্য।২১শে আগষ্টে গ্রেনেট বোমা হামলা করে কি তান্ডবই না তারা করেছিল। বিশ্বের ইতিহাসে তা নজির বিহিন ঘটনা।তার সাথেও এই হাওয়া ভবন জড়িত ছিল।




খালেদার পর এল শেখ হাসিনার পর্ব-----
অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে পিতামাতা ভাই সজন পরিজন হারিয়ে, দীর্ঘ ২১টি বছর পরে তিনি ক্ষমতায় এলেন।ততদিনে পাল্টে গেছে বাংলার পানোরমা।অসুভ শক্তির দানবরা তখন কোরবাণীর গরুর মত মোটাতাজা হয়ে গেছে।

আমাদের প্রতিবেশি দেশ ভারতের জনপ্রিয় প্রধান মন্ত্রি নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশে রাষ্ট্রিয় চপরে বেড়াতে এসে বললেন--

বঙ্গবন্ধু বাঙ্গালী জাতিকে স্বাধিনতা এনে দিয়ে গেলেন--আর সেই স্বাধিনতাকে রক্ষা করলেন বঙ্গবন্ধুরই রক্তের আত্মজা বঙ্গ কন্যা শেখ হাসিনা।

বঙ্গ কন্যা উপাধিটা আমি নিজ থেকেই দিলাম।

কারণ এই উপাধি--টা তার প্রপ্য। তিনি ইতি মধ্যে মাদার অব হিউমানিটি সহ দেশি বিদেশি অসংখ্য উপাধি ও পুরষ্কারে ভূসিত হয়েছেন,এটা বাঙ্গালী জাতির জন্য সোভাগ্য। ও গর্বের বিষয়।
খালেদা জিয়ার দুর্শাসনে এক মহা ঝঞ্জার্টের স্তুপ সৃষ্টি হয়েছিল আমাদের এই বাংলাদেশে।অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ছিল কম,রিজার্পের পরিমান৮-৯ হাজার কোটি টাকা মাত্র।গ্যাস বিদ্যুত পানি নিত্য পর্নদ্রর্বের দাম ছিল উর্দগতি।সর্বক্ষেত্রে অবাধে চলছিল দুর্নীতি।জঙ্গিাবাজ সন্ত্রাসি চাঁদাবাজরা দুর্বিসহ করে তুলেছিল জনজীবন।
 শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে শক্ত হাতে ও দৃঢ় চিত্বে এই সব ঝঞ্জার্ট সরানোর কাজে  মনোনিবেশ করলেন ।তিনি বঙ্গবন্ধুর হত্যায় জড়িত স্বঘোষিত খুনিদেরকে ধরে বিচারের আওতায় আনলেন । দ্বিতীয় মেয়াদে এসে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করলেন ফাঁসির কাষ্টে ঝুলিয়ে।। যুদ্ধাপরাধি ও মানবতা অপরাধিদেরকেও ফাঁসির  কাষ্টে ঝুলিয়ে বিচার করে জাতিকে কিছুটা হলেও কলঙ্কমুক্ত করলেন।তিনি শক্ত হাতে দমন করলেন জঙ্গিবাজ সন্ত্রাসবাজকে।অপশক্তি ও দুষ্টচক্ররা ষড়যন্ত্র করে বার বার চেষ্টা করেছিল দেশে অশান্তি সৃষ্টি করে তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করার।দুষ্কৃতি কারিরা পুরোপুরি সফল  না হলেও ক্ষতি হয়েছে অনেক। পিলখানার হত্যাযজ্ঞ গুলশান হোটেলে জঙ্গি হামলায় ২২জন বিদেশি নাগরিক হত্যা উল্লেকযোগ্য।

তিনি ক্ষমতায় এসে আন্তঃর্জাতিক আদালতে মামলা করে বার্মা ও ভারতের সাথে সমুদ্র সমস্যা সমাধান করলেন। ভারতের সাথে দীর্ঘ ৬০ বছর ঝুলে থাকা সিমান্ত সমস্যা মিমাংসা করে চিটমহল বাসির মুখে আনন্দ ফোটালেন।পুর্ববর্তি কোন সরকার এই সব ব্যাপারে কোনদিন একটু চিন্তা ভাবনা বা মুখেও তোলেননি। শেখ হাসিনা সুকৌশলে সুদুর প্রসারি চিন্তা ভাবনা করে তা করতে সক্ষম হলেন। তিনি জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা। জাতির জনক যেমনি দেশটা স্বাধিন হবার পরই মৌলিক অবকাঠামো স্হাপন করতে হাত দিলেন।কিন্তু ঘাতকের বুলেটের কারণে কিছু কাজ অসম্পুর্ন থেকে যায়।শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে জাতির জনকের অসম্পূর্ন কাজটি সম্পর্ন করে যাচ্ছেন।

বিশ্বব্যাংককে চ্যালেঞ্জ করে নিজস্ব অর্থে পদ্মা সেতু নির্মান কাজ শুরু করে দিয়ে বিশ্বকে তিনি তাক লাগায়ে দিলেন।রাশিয়ার সাথে রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্র হাই ওয়ে, প্লাইওভার, গভির সমুদ্র বন্দর মিলকারখানা ডিজিটেল বাংলাদেশ গড়া ও সামগ্রিক অবকাঠাম উন্নয়ের মহাসড়কে আজ বাংলাদেশ।কোন মতেই অশ্বিকার করা যায়না,সামাজিক সুচকেও সর্বক্ষেত্রে প্রতিবেশি রাষ্ট্রগুলির চেয়ে  বাংলাদেশ অনেক উপরে।
খালেদা জিয়ার রেখে আসা ৩হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত থেকে আজ প্রায় ১৭ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন হচ্ছে। রিজার্পের ৯ হাজার কোটি থেকে আজ প্রায় ৩৪ হাজার কোটি টাকা। মাথাপিচু ৪৫০ ডলার থেকে উন্নতি হয়ে আজ ১৬১০ টাকা।এই সবি আন্তঃর্জাতিক পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে। চাকুরি জীবিদের বেতন দ্বিগুন করা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা বাড়ানো বয়স্ক ভাতা  চালু করা শেখ হাসিনা সরকারের অনন্য দুষ্টান্ত।

শেখ হাসিনা সরকারের যেমন সাফল্য আছে  অনেক, তেমনি ব্যর্থতাও আছে অনেক।একথা অশ্বিকার করা যাবে না। আমি নিজেই নির্বাক হয়ে গিয়েছি।যখন শুনলাম বাংলাদেশ ব্যাং থেকে ৮১ মিলিয়ন ডলার হ্যাকাররা হ্যাক করে নিয়ে গেছে ফিলিপাইনে। আমি নির্বাক হয়েছি যখন শেয়ার মার্কেট থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়ে গেছে। বেসিক ব্যাং ও সোনালি ব্যাংকের একটি শাখা থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা তুলে নিয়ে গেল দুর্বুত্তরা । এই সব গঠনা গুলিই এই সরকারের চরম ব্যর্থতা হিসেবে আমি মনে করি।

পরিশেষে আমি বলবো, মাননীয় প্রধান মন্ত্রি জননেত্রি শেখ হাসিনা যাকিছু করেছেন তা ইতিহাসের পাতায় মাইল ফলক হয়ে থাকবে সত্যি ।তবে একটা আদর্শ রাষ্ট্র ও উন্নত সমাজ ব্যবস্হা গঠনের জন্য এটা মোটেও যতেষ্ট নয়।একটি আদর্শ রাষ্ট্র ও উন্নত সমাজ ব্যবস্হা গড়ে তুলতে হলে পুর্ন গনতন্ত্র প্রতিষ্টিত করতে হবে। সুশাসন,জবাবদিহীতা,সুচিকিৎসা সুশিক্ষা মানুষের জানমালের হেফাজত,অন্ন বস্ত্র বাসস্হান সুপেয় পানি সহ মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলি পুরণের মাধ্যমেই একমাত্র একটি আদর্শ রাষ্ট ও উন্নত সমাজ ব্যবস্হা গড়ে তোলা সম্ভব।

বলা বাহুল্য বাংলাদেশ আজ সেই লক্ষ থেকে অনেক দুরে।উল্টোপথে চলছে বাংলাদেশ। একদল চরিত্রহীন লোভি মাফিয়া চক্র ওদুর্বৃত্তের হাতে আজ বন্দি  হে আমার দুর্ভাগা দেশ! তোমার অনাগত ভবিষ্যৎ।

















 

ক্ষমতা লোভি দু কুলাঙ্গার,.



(এক) ডঃ কামাল হোসেন সাহেব!- যার পূর্ব পুরুষ এই উপমহাদেশে  ধর্ম প্রচারের নামে এসে জমিদারের কোঁৎপাল বা গোলামী হিসেবে চাকুরি করতেন।যাদের একমাত্র কাজ্ ছিল গরিব কৃষক প্রজার পিঠে চাবুক মেরে খাজনা উসুল করে জমিদারের তেজুরি ভর্তি করা।ইংরেজ বেনিয়াদেরও একটু সুনজর ছিল তাদের প্রতি।কারণ খাজনা টেক্সের একটি অংশ তাদের পকেটেও যেত।    
গনেশ উল্টে গেলে   জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হলে এরা এরা গিরগিটির মত রঙ পাল্টিয়ে ভালো মানুষের মুখোশে স্হানিয় জনগনের সাথে মিশে যায়।শহরের বসবাস করার কারণে এরা ধনিক উচ্চবিত্তের সাথে মিশে সখ্য গড়ে তোলে।যার ধরুন এরা লেখা পড়া করারও সুজো সুবিধা পায় একটু বেশি।




ডঃ কামাল হোসেন ও সে রকম একজন মেধাবি ছাত্র না হলেও খ্রিষ্টান মিশনারি স্কুলের প্রথম বেইছের ছাত্র হিসেবে বৃত্তি দিয়ে মিশনারি কতৃপক্ষ তাকে বিদেশে পাঠায়।আমেরিকা ও ইংল্যান্ডে তিনি উচ্চশিক্ষা ও আ্ইন পেশায় ডক্টরেট ডিগ্রি নিয়ে  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে বেশ কয় বছর অধ্যাপনা করেন।
পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রপতি আবু সায়িদ চৌধুরির সুপারিসে তাকে ভালো এবং মেধাবী মনে করে রাজনীতিতে টেনে আনেন। রাজনীতি শেখান।স্বাধীনতার পরে তরুন কামাল হোসেনকে জাতির পিতা পররাষ্ট্র মন্ত্রিও বানান। এমন কি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সংবিধান প্রণয়ের সময় ৩৪ জন বিজ্ঞ বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রধান নিযুক্ত করেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর বিশ্বস্হ হিসেবে শুধু বাঙ্গালী নয় বিশ্ববাসীর কাছেও  শুপরিচিত ছিলেন।
 সেই কামাল হোসেন নাকি বঙ্গবন্ধুর নিঃশংস হত্যার পর বঙ্গবন্ধুর এতিম দুকন্যার উপর থেকে মুক ফিরায়ে নিয়ে না চেনার বান করে থাকেন। তবু জাতির জনকের কন্যা পিতার সহকর্মি হিসেবে দলে আঁকড়ে ধরে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন।৮৬ সালে তাকে আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রেসিডেন্ট পদে দাঁড় করিয়ে ছিলেন।কিন্তু এই কামাল হোসেন শুধু আওয়ামীলীগের সাথে নয় অসহায় বঙ্গবন্ধু কন্যার সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করে আরেক পাপি রোহিঙা ডঃ ইউনুসের প্ররোচনায় ১৯৯২ সালের ১৮ই জুন গন ফোরাম নামে একটি দল গঠন করেন।আওয়ামী লীগের ত্যাগি নেতা মহসিন মন্টুসহ অসংখ্য নেতা কর্মিকে লোভ দেখিয়ে দলে ভিড়ান।
সেইদিন দলের মৌখিক গঠনতন্ত্র সংখিপ্তাকারে ডঃ কামাল হোসেন প্রকাশ করলেও লিখিত ভাবে ডঃ ইউনুস সাহেবই দীর্ঘক্ষন ভাষনের মাধ্যমে প্রকাশ করেন। মুলতঃ আওয়ামীলীগকে ভাঙ্গার নাটের গুরু ছিল এই রোহিঙ্গা বংশদ্ভুদ ইউনস। তাদের দুইজনেরই উচ্চাকাঙ্খা ছিল রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করা এবং রাষ্ট্রপ্রধান হওয়া।নিয়তির কি নির্মম পরিহাস ডঃ কামাল হোসেনের থুবড়ে পরা মুখের মতই আজ তার দল গন ফোরামও আজ থুবড়ে পড়েছে। দল ভেঙে টুকরো টুকরো হয়েছে। গনফ্রন্ট, জাতীয়ফ্রন্ট নামে কি কি দল উপদল নাকি সৃষ্টি হয়েছে।
আপছোসঃ এই গুনিন যদি আজ আওয়ামী লীগে থাকতেন, তাহলে হয় তো রাষ্ট্রপতি কিংবা গুরুত্ব পদে আসিন থাকতেন। জাতীও উপকৃত হতো।
বলা বাহুল্য তিনি আজ হায়! হায়! আর যায়! যায়! পার্টির নেতা।কাম্যনয় তবু যেন প্রস্হান হলেই জাতি বাঁচে...?













          

শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

রাজনীতির গুন্ডা বাহিনী,

                                                 সত্যই শক্তি, সত্যই সুন্দর,


 

                                                                    
এখন রাজনীতীবিদরাই রাজনীতি বুঝেনা, সাধারণ মানুষ বুঝবে কি করে? অবশ্য অনেক রাজনীতিবিদই পলিটিকেল সাইন্স ডিগ্রিদারী আছেন।কিন্তু পলি্টিকেল পিলোসপি বলে যে একটি বিষয় আছে এটা অনেকেই জানেন না।
মুনাফাখোর ব্যবসায়ি দুর্নীতিবাজ আমলা আলিয়ান্স গ্রোত্র রাজনীতিটাকে নিয়ন্ত্রন করছে।
আগে তাদের নিজের আখের গোঁছায়ে পরে দেশ কিংবা জনগন।জনগনের কথা ভাবার জন্য তাদের কাছে সময় কই?
সাধারণ পাব্লিকরা তো কলুর বলদের মত, মালিক চোখ বন্ধ করে ঘানিতে জুড়ে দিয়েছে, বস বোকাচোদা বলদ ঘানি টানতেই আছে।এলাকার মোটা তাজা মাস্তান সন্ত্রাসীরা সাধারণ মানুষকে নানা লোভ লালসা এবং অর্থের বিনিময়ে দলে ভিড়ায়, মিছিল মিটিং এ নিয়ে রাস্তা কাঁপায়, পরে আবার আপনি যদি রাষ্ট্রিয় মৌলিক সেবা প্রতিষ্টান সমূহে ঠেকায় পড়েন , অর্থ্যাৎ কোর্ট কাছারি গ্যাস বিদ্যুৎ পানির অফিসে এমন কি হাসপাতালে থানায়, বাজারে যে কোন জায়গা বাড়ি দখল জমিন দখল টেন্ডার বাজি, সব জায়গায় এই সব সন্ত্রাসী এলাকার মাথা মোটা নেতারা দুদিক থেকেই অর্থ্যাৎ আপনার কাছথেকেও খাবে, বড় কর্তার কাছ থেকে লামসাম   দালালী করে আপনার টাকা খাবে, আপনাকে জায়গায় জায়গায় দৌড়াবে, হয়রানি করবে।
এলাকাতে যত প্রকার অঘটন ঘটবে, মারামারি খুনখারাবি ধর্ষন সব কিছু িএই সব তৃণমুলের মাথা মোটা নেতাদের ধারাই সংঘটিত হয়।

শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

জাতির যত বিষপোঁড়া#

                                           
                                                                          সত্যই সুন্দর


(১) আ,স,ম আব্দুরব: মানে হলো আসল সয়তানের মুল,  চরাঞ্চলের লাঠিয়াল গোত্র থেকে উঠে আসা এই আসল সয়তানের মুল, জনাব  আস, স, ম আবদু রব।চরাঞ্চলের লাঠিয়ালরা হয়ে থাকে সাধারণত হাওলাদার এবং জোতদারদের গোলাম ।এরা  মেথর পট্টি, জেলে কিংবা দুর্দর্শ চোর ডাকাত থেকে উঠে এসে চালায় লুটতরাজ। নিরীহ কৃষকের ধান পাট  গবাধি পশু লুটকরা মারধর করাই এদের প্রধান কাজ। জনাব রব সাহেবও সেই গোত্রের লোক।বৃহত্তম নোয়াখালির সন্তান হিসেবে তিনি চৌমুহানি সালে আহম্মদ কলেজে পড়া কালে ্আওয়ামী ছাত্র সংঘটন ছাত্রলীগের সাথে জড়িত হয়ে  পরিচিতি পান। সয়তানের মহা গুরু জনাব সিরাজুল আলম খান এবং তোফায়েল আহম্মদের ঘনিষ্টতার সুবাধে তিনি জাতির জনকেরও সানিধ্যে লাভ করে স্নেহভাজন হয়েছিলেন।৭২ সালের অক্টোবর পর্যন্ত তিনি ছাত্রলীগেরই তুখোর নেতা ছিলেন।শুনা যায় তিনি নাকি প্রথম স্বাধীনতার পতাকা উত্তলন কারি। আসলে এগুলো সবি  ‍ভূয়া ও  প্রপাগান্ডা।
১৯৭২ সালের ১০ই জানুয়ারি জাতির জনক পিন্ডির কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে স্বদেশের মাটিতে ফিরে এসে আবেগে আফ্লুত হয়ে ধ্বংশস্তুপের উপর দাঁড়িয়ে স্বনির্ভর দেশ গড়ার আহব্বান জানান,  তখন যুদ্ধপরাধি স্বাধিনতা বিরোধি শুক্তিকে নিয়ে জার্মানী হিটলারের নাৎসী বাহিনীর আদলে এর ছাত্রলীগ থেকে বাহির হয়ে রাতারাতি জাসদ ঘটন করে নাৎসী বাহিনীর মতই সদ্য স্বাধিন দেশে ত্রাসের রাজত্ব করে এক ভয়ঙ্কর নৈরাজ্য সৃষ্টি করেন।এই জাসদই ছিল ঐক্যবদ্য জাতিকে বহুধাভিবক্ত করে স্বাধিন দেশে দুর্বৃত্তের  বিষবৃক্ষ বপনকারি।
এই জাসদের কারণেই স্বপরিবারে জাতির জনক নিহত হলেন, এই জাসদের কারণেই জেনারেল জিয়া এরশাদের উত্থান হলো, আরো বিষ বৃক্ষের আগাছার জন্ম হলে।
ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস! ৭২ এর ৩১শে আগষ্ট রাতারাতি যে জাসদের সৃষ্টি হলো, সেই জাসদ আবার এক রাতেই ভেঙে খান খান হয়ে আট ভাগ হলো।

(১)







































বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

সভ্যতার ব্যঙ্গহাসিতে মাইজদীর উকিল পাড়া...

                                                                         













 জানিনা এই লেখার কারণে ৫৪ ধারায় আমার নামে মামলা
 হয় কিনা?মামলা হউক আর না হউক আমি মাইজদীর সন্তান, আমি লিখে যাব অনিয়মের কথা!



আমাকে জন্ম দিয়েছে এই রুপসি গাঁ মাইজদী।মাইজদীর মান মর্যাদা রক্ষা করতে অন্যায় অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বলতে আমি দৃঢ় প্রতিজ্ঞা বদ্ধ।এবার  চাই আমার হউক ফাঁসি কিংবা মৃর্ত্যুদন্ড।
কোথায় থেকে শুরু করবো প্রিয় মাইজদী বাসী, আর কোথায় শেষ করবো, আমি খৈ হারিয়ে ফেলেছি আজ। তিনমাস দেশে অবস্হান করেছি, বেশ কয়বার আমাকে মাইজদীর কোর্ট কাছারিতে যেতে হয়েছে।
বাহ! কি অনিন্দ সুন্দর মাইজদীর বিখ্যাত বড় দিঘীকে গিরে হারিয়ে যাওয়া পম্পে নগরের আদলে গড়ে উঠা দালান কোঠা তথা বড় মসজিদ, মুনসেপ কোর্ট, জজকোর্ট এবং জুডিসিয়াল  ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট এর নির্মান শৈলি দেখলে যে কারো্রই মনে হবে এটা রন্ডন ফ্যারিস, কিংবা ভেনিসের কোন প্রসাদ।রোমিও জুলিয়েটরা নিশ্চয় এখানেই বসত করে।

না আপনি ভূল ভাবছেন। এটা হলো মাইজদীর উকিল পাড়া। এই কোর্ট কাছারিকে ঘিরে পাঁচ শতাধিক উকিল বারিষ্টার ছাড়াও এখানে অবস্হান করেন, শতে শতে জর্জ ম্যাজিস্ট্রেট, নাজির সেরস্তা্ টাইপ রাইটার হিসেব রক্ষক, বেঞ্চ সহকারি টেবিল সহকারি, চৌকিদার দারোয়ান মুহুরী ফেসকার ড্রাইবার হেলাপার,ইলেক্ট্রিকার মেকানিকার আরও কত কি কি।
দিঘীর দক্ষিন পাড়ে জজ কোর্ট এর পুর্বে মসজিদের সামনে গিয়ে মিসুক নামের আমার রিকসা থামতেই ফাইল হাতে নেমে রিকসাওলাকে ভাড়া দিয়ে দাঁড়ালাম। রঙবেরঙের  বেশ কয়টি মঠর সাইকেল দাঁড়িয়ে আছে উন্মমুক্ত পার্কে। উপরে ছাল আছে বেড়া নাই।রঙবেরঙের বাইক সবগুলিই ব্র্যান্ডেড।
একজন তরুন একটি মঠর সাইকেল বাহির করে পাঁ দিয়ে দুতিন বার লাথি মেরে স্টাট দিল। বাইকের সামনে এ্কটি সাইনবোর্ডে লিখা এডভোকেট।পিছনে আরেক তরুন এসে বললো, কিরে স্বশুরের দেওয়া বাইক স্টাট লয় না বুঝি।
আমি চেয়ে রলাম আনাড়ির মত তরুন ল-ইয়ার আমার সামনে দিয়ে বাইক চালায়ে চলে গেলেন।
ফাইল হাতে ভিতরে গেলাম, ভিতের একটা স্পেসে বসে মধ্য বয়সি এক লোক বই বিক্রি করছে। ভাবলাম ঘরে বুক সেল্পে রাখার জন্য কয়টা বই কিনবো।যদিও বই গুলি আমার ই রিডারে আছে।সব গুলিই আইনের বই। তিনটা বই ঠিক করে আলাদা করলাম কিনবো বলে। একজন পরিচিত উকিল এসে বললেন আরে এগুলো চটি বই কি কিনছেন? আপনাকে আইনের বই আমি কিনে দিব।
বই আর কেনা হলো না, হঠাৎ করে এম্বুলেন্সের শব্দ শুনে চমকে উঠলাম।দেখি দুজন লোক ধরে এম্বুলেন্সে বসাচ্ছে একজন হার্ট ফেল করা মুমুর্ষ েলোককে। কালো কসটিউম গায়ে লোকটির ধরে নিলাম সেও উকিল।
 তারপর জিজ্ঞাসিবার পালা, আমি যে উকিলের কাছে এসেছি তার  চ্যাম্পার কোথায়?একজন দেখায় এদিকে আরেক জন দেখায় ওদিকে। কমেডিয়ান বানুর অবস্হা হলো আমার। আধা ঘন্টা খোঁজার পর আমার সেই হবু উকিলের চ্যাম্পারের নাম্বারটা পেলাম। ৬- ৮ স্কোয়ার পিটের একটি রুম।বেশ কয়জন মক্কেল বসে দাঁড়িয়ে আছে।আমি অবাক হলাম কবুতরের খুপড়ির মত মাইজদীর বিখ্যাত বিখ্যাত উকিলদের চ্যাম্পার।
তাঁহারা সবাই সুশিক্ষিত আইনের রক্ষক এবং ভক্ষক।অযতনে পড়ে আছে ভুক্তভোগি মানুষের কোটি কোটি টাকার ফাইল দলিল পত্র। ফাইলের উপর ফাইল, পাঁচ সাত টাকার ফাইল সব এলোমেলো একটু সাজানো গোছানো নেই।
দেওয়ানি ফোজদারি, কত রকেমের আইনজ্ঞ তাঁহারা। প্রতিদিন আইনের সেবা নিতে আসেন চোর ডাকাত সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ, ব্যবসায়ি সওদাগর পকেট মার ধর্ষিতা নারী ভুমিগ্রাসি কত রকমের ভূক্তভোগি।
আইনের সেবা দান কারিরা হাতের ইশারায় শুধু বলেন মাল দেন খাড়ু পড়ায়ে দিমু, খাড়ু খুলে দিমু এটা কিছু পগতিশীল উকিলের সাংকেতিক ভাষা।
লাল চা হলো মাইজদী উকিল পাড়ার প্রধান পানিয় বস্তু।তাও আদা কাপ। একদিন এক মেসিয়ারকে জিজ্ঞেস করলাম কিরে এত কম চা দেস কারে? ছেলেটি ঝটাপট উত্তর দিলেন স্রারেরা কিছুক্ষন পর পর শুধু চা ই তো খান। আমার প্রশ্ন আর কিছু কান না? ছেলেটি বললো ইনকাম অনুযায়ি, বিস্কিট সিংগড়া চমুছাও খান।
যাঁহাদের ৬-৭ স্কোয়ার পিটের চ্যাম্পার আছে তাঁহারা মোটামুটি ধনি।আর যাঁহারা গাদাগাদি করে দশ বিশ জন এক সাথে বসেন তারা দরিদ্র প্রকৃতির।ষাট বছর দরে ওকালতি করেন এমন লোককেও আমি দেখেছি।যে রুমে বসেন তাঁহারা সেই রুমের টেবিলে সফেত যেই টেট্রন কাপড়ের চাদর বিছানো হয়েছে, তা কোন বেওয়ারিশ রাশের গায়েও দেওয়া হয় না। হত দরিদ্র উকিল দের গায়ে কালো কালো কসট্রিউম বা কোট প্যান্ট দেখলে গা ঘিন ঘিন করে। আ হারে মাইজদীর উকিল  শ্দেরদ্রদার কসটিউম।ডাম্পের মানে কয়লার ইস্তারি করতে করতে কসটিউম স্টিলের পাতের মত ঝক মক করছে।সিগেরেট ফুঁকতে ফুঁকতে তাদের দু হাতের আঙ্গুল নামাযি কোন মুমিনের কপোলের কালো ম্যাজের মত হয়ে গেছে।
অস্ট্রেলিয়ান কোটি কোটি টাকায় নির্মিত হয়েছে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট।দেখতে দৃষ্টি নন্দন স্হাপত্য হলেও  ভিতরে বাহিরে সামনে পিছনে ময়লার বাগাড়।যেখানে সেখানে ময়লা থুথু পানের পিছকি সিগারেটের পোঁধ পড়ে আছে।বালির দখল তো বহুদিনের।

সোমবার, ২৭ জুন, ২০২২

জিজ্ঞাসা???


(১) জিজ্ঞাসাঃ- এই সুন্দর পৃথিবী, চাঁদ সুরুজ আশমান জমিন পাহাড় পর্বত নদ নদী পশু পক্ষী গাছপালা জ্বীন ইনসান ফেরেশতা ভূতপ্রেত সবি তো একজন মহান সৃষ্টিকর্তা সৃষ্টি করেছেন, তাহলে সবকিছু আজ মানুষের হাতে নিদন বা ধংশ হচ্ছে কেন?

(২)জিজ্ঞাসাঃ- যদি আঠারো হাজার মাকলুকাতের মধ্যে মানুষ সৃষ্টির সেরা হয়ে থাকে তাহলে নিঃকৃষ্ট প্রাণী শুকুর আর কুকুর রা যে কাজ ভুলেও কোনদিন করে না, সৃষ্টির সেরা জীব হয়ে মানুষ কেন সেই নিঃকৃষ্ট কাজটি বেশি করে? পুরুষ কেন পুরুষের সাথে নারী কেন নারীর সাথে যেনা করে?

(৩)জিজ্ঞাসাঃ- পরিবার পৃথিবীর একটি আদি সংস্হা, মা-বাবা ভাই-বোন দাদা-দাদিকে নিয়ে এক সময় মানব জাতির মধ্যে গড়ে উঠেছিল একান্নবর্তি  পরিবার, আমরা যাকে বলে বেড়াতাম সোনার সংসার! সেই সংসারে আজ পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি অমান্তি কেন?


জিজ্ঞাসাঃ-

শনিবার, ২৫ জুন, ২০২২

স্বপ্নের পদ্মা সেতুকে নিয়ে গান..







(এক) দেখতে দেখতে হয়ে গেল স্বপ্নের পদ্মা সেতু/
বিশ্বাবাসী দেখলো আজ আমাদের উন্নতির ধুমকেতু//
জয়তু শেখ হাসিনা, জয় তু....

আজ আর কোন স্বপ্ন দেখা নয়, আজ হলো বাস্তবতা/
স্বাধীনতার পরে এ যেন আরেক অর্জিত স্বাধীনতা//
যৌগ্য পিতার যৌগ্য কন্যা, বঙ্গ মাতার বঙ্গ কন্যা,
শেখ হাসিনা শেখ হাসিনা- জয়তু শেখ হাসিনা জয়তু.....

হে নেত্রি তোমার অদম্য শাহস আর মনোবলে-
রাজনৈতিক প্রজ্ঞা আর কলা কৌশলে-
সর্বগ্রাসী পদ্মার সংজ্ঞা দিলে,
লক্ষকোটি মানুষের ভাগ্য বদলে -- 
অনন্যা তুমি অনন্যা, জয় তু শেখ হাসিনা, জয়তু.....




(দুই) মন জুড়ায়ে যায় রে আমার, প্রাণ জুড়ায়ে যায়/
সর্বনাশা কির্তীনাশী নদীর উপর আজ স্বপ্নের পদ্মা সোভা পায়//
ও রে ও নীচে করছে নীল জলে থৈ থৈ/
আমি উপরে বসে মুগ্ধ হয়ে রই//
বলাকারা মেলছে ডানা আকাশে/
শান্তির পায়রা পত পত উড়ছে বাতাসে//
চারিদিকে মানুষ আজ ভাসছে খুশির বণ্যায়....

কি সুন্দর অপূর্ব পানোরমা মনোরম পরিবেশ/
এ যেন বাংলার ভিতরে জন্ম নিল আরেকটি বাংলাদেশ//
প্রসাড়িত গর্ব আজ পোঁছেছে সুমহান উচ্চতায়/
মর্যাদার মুকুট আজ সোভা পায় বাঙ্গালীর মাথায় মাথায়...

শুক্রবার, ২২ অক্টোবর, ২০২১

কুখ্যাত খুনি জিয়ার দল মানেই হুজোগ গুজোব আর মিথ্যাচারঃঃ!

         


 ঠান্ডা মাথার দু খুনি যারা বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট হয়েও হত্যার নীল নকশা আঁকেন



                                                                                                                                                                   
 বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি থেকে সামরাজ্য বাদী ইউরো মার্কিনীরা কমিউনিষ্ট ধমনের নামে বিশ্বব্যপি দেশে দেশে
বিশ্ব চ্যম্পিয়ান বক্সার মোহাম্মদ আলীকে মিলিয়ন ডলার দিয়ে দেশে
এনে সান্মানজনক নাগরিকত্ব দিয়ে ধর্ষিত গনতন্ত্রকে দোর রা মারলেন খুনি জিয়া...



রহস্যজনক ব্যপার হলো এই সব স্বৈরচাররা অনেকেই ছিল পিতৃমাতৃ পরিচয়হীন এমনকি কেউ কেউ জারত সন্তান বা বার্স্টেডও।
কঙ্গোর স্বৈরশাসক মবুটো কিংবা চিলির পিনোচেট পিলিপাইনের ইমানুয়েল মার্কোশ এর মত সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশেও নিম্ন শ্রেণীর দুই স্বৈরশাসকের উত্থান ঘটিয়েছে।বাঙ্গালীর ভাগ্যটা একটু ভালোই বলা যায়, এই কূখ্যাত বিখ্যাত দুই স্বৈরচার জিয়া এরশাদের যেভাবে উত্থান ঘটলো ঠিক সেই ভাবেই পতন ঘটে গেল। নিয়তির কি অসাধরন বিচার। তবে জনগনের ফিৎরা যাকাত ও রিলিপের টাকা মেরে তাদের গড়া দলগুলি আজ বাজারে জেলের ঢালায় টেংরা মাছের মত ক্যঁকূঁ ক্যঁকূঁ করছে।অদুর ভবিষ্যতে হয়ত বিশ্বের অন্যসব স্বৈরচারদের গড়া দলগুলির মতই বিলুপ্ত হতে বাদ্য হবে।সেদিন হয়তো বেশি দুরে নয়,।আল্লাহর গজব নামে তো একটি শব্দ আছে।
বেএনপির যত কূতর্ক...
(এক) নিম্ন শ্রেণীর স্বৈরচার জিয়ার মির্ত্যুর পর বিএনপির মাথা মোটা পরিত্যক্ত দলসুট যুদ্ধাপরাধি কুলাঙ্গার এবং নাস্তিক  নেতারা যারা কাফের ইহুদী নাসারার চেয়েও অধম্য এবং নিম্নমানের, তারাই প্রথামে কুতর্ক তোলে বাঙ্গালী না বাংলাদেশি?
(দুই)জিয়া স্বাধীনতার ঘোষক! জিয়া মরার দেড় যুগ পরে এসে তার এই শব্দটি শুধু ব্যবহার করছেনা বরঞ্চ অবলিলায় বলে বেড়াচ্ছে।
(তিন) মর্মান্তিক ১৫ই আগষ্ট খালেদার অনারম্বর ভূয়া জন্মদিবস পালন! এই ভূয়া জন্মদিন ১৯৯৬ সালের পর থেকে চালু করেছে, পরে প্রমান হলো তার জন্ম তারিখেরই ঠিক নাই। তিনটা জন্ম তারিখ পাওয়া গেছে, কি ভয়ঙ্কর হাস্যকান্ড!
(চার) জিয়াউর রহমানের নামের আগে একঘেঁয়েমি ভাবে শহীদ ব্যবহার করা!প্রকৃত শহীদকে শহীদ বলা ইসলাম ধর্মে জায়েজ আছে, কিন্তু একজন খুনিকে যদি আরেক খুনিরা খুন করে থাকে তাহলে তাকে শহীদ বলা কবিরা গুনাহের নামান্তর। এটা ইসলাম ধর্মের কোন কিতাবে নেই।
(পাঁচ)জিয়াউর রহমানের কবরকে মাঝার বলা! যদিও কবরে জিয়ার লাশ আছে কিনা তা নিয়ে অকাট্য বিতর্কের অবতারনা আছে।
তারপরে আছে নানা ধরণের প্রপাগান্ডা, তার উপর সকল মিথ্যা প্রপাগান্ডাকে সত্য প্রতিষ্টা করার জন্য কুতর্ক করা, ইসলামের লেভাস ধারি যুদ্ধাপরাধিকে সাথে নিয়ে জ্বালাও পোড়াও করে দেশের মূল্যবান সম্পদ নষ্ট করা নিরীহ  মানুষ হত্যা করেও তারা পার পেয়ে যায়।
 জোর করে  ক্ষমতা দখলদার স্বৈর জান্তা জিয়া শুরু থেকেই গুজব প্রপাগান্ড চড়িয়ে অসহায় জাতিকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রেখেছিল। তিন বছর তো জনগনকে কথাই বলতে দেয়নি, আয়ূবের আদলে মার্শাল, ল দিয়ে তিনজন মানুষকে একসাথে দেখলেই বেত্রাঘাত কিংবা জেলে ঢুকিয়েছে, নির্যাতন করেছে।রাজনৈতিক কার্য কলাপ সম্পূর্ন ভাবে নিষিদ্ধ করে দিয়ে নিজেই রাষ্ট্রপতি সায়েমকে বন্দুক ঠেকিয়ে গদি দখল করে হাঁ-না ভোট দিয়ে নিজেই রাষ্ট্রপতি বনে যান।তারপর তিনি পাকিস্তানি স্বৈরচার আয়ূবের পদাঙ্ক অনুসরন করে ভেসিক গনতন্ত্রের নামে শুরু করেন নানা প্রপাগান্ডা।

প্রথমে হ্যাঁ-না ভোট তারপর গনসংহতি, তারপর জাগদল, তারপর জাতীয়তাবাদী দল ঘটন করে উর্দুভাষি এই স্বৈরচার বাংলা না জানার কারণে যাদুর মিঞার নির্দেষে টি সার্ট ও কেপ পরে পাম মেশিনের পাশে বসে  ছবি তুলে জনগনকে বোকা বানালেন। তার পর সারা দেশে একজেবিশন চালু করে মাসের পর মাস প্রিন্সেস লাকী খান জরিনা খানের নর্তকী ও বেশ্যাদের দিয়ে নগ্ন অর্ধ নগ্ন নাচিয়ে  জুয়া মদ হাউজি চালু করে  জনগনকে ভুলিয়ে ভালিয়ে রাখলেন। তারপর মিলিয়ন ডলার দিয়ে বক্সার মোহাম্মদ আলীকে এনে ঢোল ডাল বাজিয়ে গনতন্ত্রের ফেরি করলেন। তারপর আবার তিনি প্রথমে হ্যাঁ না ভোটের আয়োজন করে নিজেই রাজা নিজেই রাষ্ট্রপতি আবার সেনাপতিও বনে গেলেন।
তার কিছুদিন পর আবার তিনি বহুদলিয় গনতন্ত্রের নামে নির্বাচন দিয়ে রাজকোষের কোটি  কোটি টাকা খরচ করে আলীম জালিম নকসাল সর্বাহারা ও যুদ্ধাপরাধির খুনিদের  ধরে এনে প্রেসিডেন্ট পদে আশি ৮০ জনকে দাঁড় করিয়ে দিলেন। তিনি জানতেন পাশ তো তিনি নিজেই করবেন।বিশ্বকে জানালেন তিনি বহুদলীয় গনতন্ত্রের প্রবক্তা।

জিয়ার করুন পরিণতির পর তার  অনাসারী বিভিন্ন দলচুট বেশ্যা ও বেয়াদপ শ্রেণী জিয়ার মতই হুজোগ গুজোব মিথ্যাচার ও কূতর্কে লিপ্ত হলো।  


                                         ...ক্রমশ

শনিবার, ২৪ জুলাই, ২০২১

প্রবাসীর জীবন কথা...



প্রাণপ্রিয় জননেত্রি, সংগ্রামি বঙ্গ কন্যা, শেখ হাসিনা,
সুদুর প্রবাস জার্মানীর একটি ছোট্ট  শহর থেকে আপনাকে জানাচ্ছি আমার বাঙ্গালী সালাম, আশা করি আপনি সাদরে গ্রহন করিবেন।
প্রিয় নেত্রি পৈত্রিক সামর্থ্যে এবং নিজের দীর্ঘ জীবনের আন্দলনে সংগ্রামে যোগ্যতা এবং বহুবিদ অভিজ্ঞাতার আলোকে সামগ্রিক ভাবে সোনার বাংলাকে আপনি যেই সোনালী সোপানে নিয়ে গেছেন, তা বর্ণ সঙ্কর আর রক্ত সঙ্কর জাতি স্মরন রাখুক বা না রাখুক, আমি কিন্তু নিশ্চিত আপনি ইতিহাসের পাতায় অমর হয়ে থাকবেন।ইনশাল্লাহ!
মাননীয় নেত্রি জাতির জনকের অসমাপ্ত কাজকে সমাপ্ত করার লক্ষে আপনি অশুভ শক্তির সকল রক্ত চক্ষুকে উপেক্ষা করে দৃঢ় প্রত্যয়ে ইস্পাত কঠিন  মুষ্টিবদ্ধ হাতে জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তা আমাদের জন্য শিক্ষনিয় এবং অনুকরনিয় হয়ে থাকবে চিরদিন। যদিও কিছু গাঁজাখোর মদখোর এবং বিদেশী দালাল চক্র পিছনের দিকে টানছে অবিরত। 
প্রিয় নেত্রি, আমি আপনার অনুরক্ত ভক্ত। আপনি ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই আপনার লেখা বই গুলি পড়ে আমি জেনেছি যে আপনি  দুরদর্শি জ্ঞানের এবং অসাধরণ গুনের অধিকারি।
প্রিয় নেত্রি, আমি জীবনে প্রত্যক্ষ ভাবে আপনাকে একবারই দেখেছি মাইজদী শহীদ ভূলো স্টোডিয়ামে।একি স্টোডিয়ামে জাতির জনককেও আমি দেখেছি একবার। খুব কাছ থেকেই দেখেছি।সেদিন আপনার কষ্ট ভরা কথা শুনে যেমনি  আমার কিশোর দু চোখের কোনে দিয়ে গড়িয়ে পড়েছিল মোটা মোটা অশ্রু পানি,ঠিক তেমনি জাতির জনকের মুখে  সেই ৭২ সালে উচ্ছাসের কথা শুনেও আমার মত আফ্লুত হয়েছে লক্ষ লক্ষ মানুষের দু নয়ন।
 প্রিয় নেত্রি, আপনি এ যাবত বহু পুরুষ্কার এবং উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন,তন্মধ্য্যে আমার কাছে শ্রেষ্ট মনে হয়েছে মানবতার মা উপাধিটা।সত্যিই মানবতার সকল গুনাবলি আপনার মধ্যে নিহিত আছে।
পুরুষ্কার এবং উপাধি দুটো জিনিসই মানুষকে আরো বেশি মহত এবং উদার করে তোলে।সে খেত্রে আপনি হয়েছেনও আরো মহান।
প্রিয় নেত্রি এই রুঢ় সত্য কথা গুলি বলার মুল উদ্দেশ্য হলো প্রবাসীর জীবন কথা নিয়ে কিছু কথা আপনাকে শুনানোর অভিপ্রায়। আমার অন্তরের এই   হৃদয় নিগড়ায়ে বলা কথা গুলি নিশ্চয় দুদিন পরে হলেও আপনার কানে পোঁছবে। যদি কোন মতে আপনার কানে পোঁছে প্লিজ বিবেক দিয়ে একবার বিবেচনা করে দেখবেন, এবং যদি পারেন ব্যবস্হা নিবেন।মনে রাখবেন মানুষ কেবল হৃদয় দিয়েই সত্য বলতে পারে।
প্রিয় নেত্রি দীর্ঘদিন প্রবাস থেকে গত নভেম্বরে আমি দেশে গেলাম।উদ্দেশ্য ছিল কয়বছর পরে পেনশনে যাব দেশে গিয়ে বাঁকি জীবনটা কাটিয়ে দেব।যে দেশের মাটিতে ঘুমিয়ে আছেন মা বাবা স্বজন পরিজনসহ লক্ষ লক্ষ শহীদান,
সে দেশের সাথে তো আর বেঈমানী করা চলেনা।কিন্তু এবার আমি দেশে গিয়ে আমাদের প্রিয় বৈচিত্র ময় দেশের বাস্তব চিত্র   দেখে আমি বিশ্ময়ে হয়েছি বিমূঢ়।
মাননীয় প্রধান মন্ত্রি  একদিকে দেশের উন্নতি হয়েছে ঠিকই, আরেকদিকে হলো দেশের চরম অবনতি।সরকারি বাবুদের নৈতিক স্খলন।সমাজের অবক্ষয়, আইন শৃঙ্খলার অবনতি সেবা মুলক মৌলিক প্রতিষ্টান সমূহের ঘুষ দুর্নীতি, অসদ আচরন, অফিস আদালতে পিয়ন থেকে মেথর মালিরাও আজ সাধারন জনগন এবং প্রবাসিদের সাথে কি ভয়ঙ্কর দাম্ভিাকতা দেখায়। তার উপর গড়ে উঠেছে দালাল চক্র, তারও উপর আবার মাস্তান চক্র।এদেশে আজ খাবার রুটি কিনতে হলেও দালাল লাগে।
প্রিয় নেত্রি আমি ভূক্তভোগি হয়ে আজ একে একে কয়েকটি ঘটনার অবতারনা করছি, শুনুন---
প্রথমে আসি মাইজদী পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ব্যপারে।আমি গত নভেম্বরের বিশ তারিখে  বাংলাদেশে যাই।মাইজদী জেল রোডে আমাদের চৌদ্দ পুরুষের ভিটে বাড়ি।আমাদের এলাকার সাধারণ মানুষের বাড়ি এবং খেতি জমিনে নির্মিত হয়েছে মাইজদী পুলিশ লাইন জেল খানা আধুনিক সদর হাসপাতাল, বিদ্যুৎ অফিস হাউজিং সেটেলমেন্টর ভবন গুলো।
আয়ূব থেকে মেজর জিয়া পর্যন্ত সবাই আমাদের ভিটেমাঠি জবর দস্তি হুকুম দখল করে আমাদেরকে ভূমির ন্যর্য্য মূল্য নাদিয়ে এক বাড়ির মানুষকে চৌদ্দ বাড়ি করেছে।অনেকে হয়েছেন ভূমিহীন।যতটুকু দিয়েছেন তাও তিন কিস্তিতে দিয়ে শুধু মাত্র বাজার সদাই খাওয়াছেন।শহর প্রসাড়িত হয়েছে কিন্তু একটি মানুষকে পুর্নবাসন করা হয়নি। এমন কি এলাকার কোন ছেলেমেয়েকে চাকুরি বাকরির ব্যবস্হাও করা হয়নি।আমরা শান্তিপ্রিয় মানুষ চোখ বুঝে এতদিন সহ্য করে আসতেছি।
আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তিতে নির্মিত প্রতিষ্টান সমূহে আজ আমরা নিপিড়িত হচ্ছি কেন?    আমরা  আজ  এই সব প্রতিষ্টানের সেবা থেকে বঞ্চিত হব কেন? যা আমাদের মৌলিক অধিকার।
আমি দেশে যাবার এক সপ্তাহ পরেই বিদ্যুৎ অফিসের কয়েকজন লোক এসে আমার বাড়ির নিচ তলায় বিদ্যুতের দুটা মিটারে সিলগালা করে ভাঁড়াটিয়ার হাতে একটা ফোন নাম্বার ধরিয়ে দিয়ে মালিককে এক সাপ্তাহের মধ্যে যোগাযোগ করতে বলে চলে যায়।আমি ফোন করে টার্মিন নিয়ে গেলাম, কিন্তু সেই এসেসন্ট ইঞ্জিনিয়র সাহেব বিদ্যুৎ অফিসে উপস্হিত ছিলনা, পর পর আমি দশ বার গিয়েও উনার দেখা পেলাম না। এক সপ্তাহ পরে  উনি আবার সন্ত্রসি কায়দায় সাত আটজন লোক নিয়ে এসে আমার বাড়ির বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে চলে যায়।পাঁচদিন পরে তাদের পিছনে গুরে গুরে পরে যুবলীগের এক নেতার ফোনে তাও ঘুষ দেয়ার পরে তারা লাইন দিয়ে যায়।ছয়টা প্রিপেইড মিটারের দামসহ তারা সর্বমোট আমার কাছ থেকে একলক্ষ বিশ হাজার টাকা নেয়।এত টাকা নেয়ার পর ও ছয়টা  প্রিপেইড মিটার নাই বলে  মাত্র দুটা মিটারে ছয় ইউনিটের বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে চলে যায়।একদিন পর লোডশেডিং হয়ে মিটার এবং পানির মঠর জ্বলে যায়। তারপর আবারও অনেক টাকা ঘুষ দেয়ার পরে তারা লাইন ঠিক করে দিয়ে যায়। কিন্তু আর কোন প্রিপেইড মিটার আমাকে দেওয়া হয়নি।সরবমোট ওরা আমার দুলক্ষাধিক টাকা খেয়েছে, এবং ক্ষতি এবং কষ্ট হয়েছে অতুলনিয়।
এই পাঁচদিনে আমার বাসার বয়স্কো লোকেদের ইনজুলিনসহ নানা ঔষুধ পত্র ও প্রিজে থাকা জিনিস পত্র সব নষ্ট হয়ে যায়।পরিক্ষার্থি ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার অতুলনিয় ক্ষতি হয়।

দুই,তিনদিন কয়েক হাজার টাকা টেক্সি ভাড়া দিয়ে তহশিল অফিসে গেলাম আমার চরের জমিনের খাজনা দিতে, কিন্তু তহশিলদার শেষ বার আমার খাজনা না নিয়ে আমাকে বললো জমিনটা বিক্রি করে দেন ভালো হবে। মাননীয় প্রধান মন্ত্রি এটা কেমন ব্যবস্হা আপনিই বলুন। সেখানেও দালাল চক্রের ভিড়।
তিন, গেলাম এনআডি কার্ড বানাতে নিবন্দন অফিসে।অনেক ঝক্কিজামেলা পোহায়ে তাদের কথামত কাগজপত্র জমা দিলাম। ওরা ছয় সপ্তাহের কথা বলে এসএসএসে জানাবে, কিন্তু আড়াই মাসেও আর খবর আসেনা।পরে দালালের মাধ্যমে ঘুষ দিয়ে ছবি তুলে দিয়ে আসলাম।তাও  আবার তাদের ভয়ঙ্কর দম্বোউক্তি দেখে আমি অবাক হলাম।মাননীয় প্রধানমন্ত্রি এবার আপনি বলুন আমাদের কি করা।
চার,এবার আসুন থানার ব্যপারে।থানা ঘরের দেয়ালে সাইনবোর্ড টাঙ্গানো আছে সেবাই পুলিশের ধর্ম, এবং কাউকে ঘুষ দিবেন না ইত্যাদি দৈববাণী।কিন্তু সত্যিই কি তাই।সেখানেও দালাল চক্রের ভিড়।পুলিশের ঘুষ খাওয়ার ধরন পাল্টিয়েছে। তারা নিজের হাতে না খেয়ে দালাল চক্রের হাতেই ঘুষ খায়।এমন সমাজে সব অঘটনের মুলহোতা পুলিশেরাই।প্রতিটা অঘটনের সাথে তারা জড়িত।তাদের ইশারায় এবং আশকারায় চলে সব কিছু।
পাঁচ,গেলাম করোনা টেষ্ট করাবার জন্য। সেখানেও সঙ্গবদ্ধ দালাল চক্র সক্রিয়।

                      চলবে---

বুধবার, ১৪ জুলাই, ২০২১

জানোয়ার জেনারেলরা,

 















জগদিস চন্দ্র বসু
স্বৈরচার জিয়াউর রহমান

১,--একমাত্র বাঙ্গালী বিজ্ঞানী স্যার জগদিস চন্দ্র বসু। তিনি একসময় প্রথিবী বিখ্যাত বিজ্ঞানী ছিলেন। তিনি একাধারে পদার্থবিদ্যা, উদ্ভিদবিদ্যা, এবং কল্পোবিদ্যা বিশেষজ্ঞ  ছিলেন।তাকে বলা হয় রেডিও বিজ্ঞানের জনক।কারণ তিনিই প্রথম বিদ্যুতের মাধ্যমে তরঙ্গ সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছিলেন।







বাংলাদেশের ময়মনসিং জেলায় তার জন্ম হলেও পিতৃনিবাস ছিল ঢাকার বিক্রমপুরে।তিনি বহুবিদ প্রতিভার অধিকারি ছিলেন।বিজ্ঞান বিষয়ক গবেষনা ধর্মি অসংখ্য প্রবন্ধ লিখে এবং বিশ্বের নামিদামি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাসন বিবৃতি দিয়ে তিনি খ্যাতি কুড়ায়েছেন।সে যাই হঊক আমি তার ব্যাপারে বিস্তারিত না লিখে ছোট একটি গল্পের কথা শেয়ার করছি।

আমরা সবাই কম বেশি জানি স্যার জগদিস চন্দ্র বসু একজন উদ্ভিদ বিজ্ঞানী  হিসেবে।বৃক্ষ ব্রততী কিংবা গাছপালার ও যে  প্রাণ আছে, তা তিনিই প্রথম প্রমান করেন।গাছপালাকে তিনি নিজের সন্তানের মত ভালোবাসতেন।

গাছপালার উপর গবেষনা করতে গিয়ে তিনি তার ঘরের দু দিকের দুবারান্দায় কিছু গাছপালাকে দুভাগে ভাগ করে লালন পালন করতে লাগলেন। সার পানি যা যা দরকার উভয় দিকের গাছগুলিকে সমান ভাবে দিয়ে যাচ্ছিলেন ।কিন্তু সেবা যত্ন কিংবা ভালোবাসা দেননি সমানভাবে।

তিনি রোজ খাবার(পানি) দিতে গিয়ে এক বারান্দার গাছগুলিকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতেন।যেমনঃ-তোরা বেয়াদপ বদমাস,ছোট লোক,কুৎসিত কদাকার, কমবকত শরম হায়া নাই। খামাখা তোদের জন্য এত কষ্ট করতেছি,তোদের দিয়ে কিচ্ছু হবেনা, ইত্যাদি।

আর অন্যদিকের গাছপালা গুলিকে পানি দিয়ে আদর যত্ন করে রোজ বলতেন,তোদের মত এত সুন্দর সতেজ এত ভালো গাছ কি পৃথিবীতে আর আছে?তোদের দিয়েই সৃষ্টি হবে সুন্দর পরিবেশ, আমি তোদেরকে অনেক অনেক ভালোবাসি ইত্যাদি।

বেশ কিছুদিন পরে বিজ্ঞানী বসু দেখতে পেলেন গালিগালাজ খাওয়া গাছগুলি মরে শুকায়ে কাঠ হয়ে গেল।আর আদরযত্ন এবং ভালোবাসা পাওয়া গাছগুলি আরো বড়  সতেজ ও সুন্দর হয়ে উঠেছে।

তিনি অবাক বিশ্মিয়ে দেখলেন যে খোবে দুঃখে অভিমানে শরমে ভরমে গালি খাওয়া এক বারান্দার গাছগুলি মারা গেল। বলা যায় আত্মহত্যা করলো। আর অন্য বারন্দার গাছগুলি আদর যত্ন স্নেহ ভালবাসা পেয়ে মোটা তাজা ও সতেজ সুন্দর হয়ে উঠলো।

কি বিশ্ময় ঘটনা--!গাছপালার মধ্যেও প্রাণ আছে, লজ্জা শরম হায়া কিংবা খোব অভিমান দুঃখবোধ মান অভিমান আছে।বনের জংলী জানোয়ারের মধ্যে ও আছে। কিন্তু অকল্পনিয় হলেও সত্য,এই পৃথিবীতে কিছু মানুষের মধ্যে তা নাই। বিশেষ করে এই বাংলা দেশের কিছু বাঙ্গালীর  মধ্যে নাই। মোটেই নাই।

মহাভারতে দেখতে পাই আজ থেকে আড়াই হাজার বছর পূর্বে দ্বিতীয় পান্ডব ভীম মঘধ রাজাকে বধ করে এই জাতিকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছিল। পান্ডব ভীম তখন এই বঙ্গভূমির নাম রেখেছিল অঙ্গভূমি।

কিন্তু চাটুকার পরের তোষাম্মদি পাঁ লেহনকারির নিমক হারামীতে এই জাতি ধরে রাখতে পারেনি তাদের গর্বের স্বাধীনতা।বার বার এই জাতিকে পরতে হয়েছে পরাধিনের জোয়াল।বার বার এই নিমক হারাম নিকর্মা জাতি হারিয়েছিল তাদের কষ্টার্জিত স্বাধীনতা।

হাজার হাজার বছর ধরে এই বাঙ্গালী জাতি মঘ হার্মাদ ওলন্দাজদের হাতে নেড়ি কুত্তার মত লাথি উষ্টা অবহেলা অপমান চড় থাপ্পর মার খেয়েছে।লর্ড ক্লাইবের জীবনী থেকে জানতে পাই সুজলা সুফলা সুখি সমৃদ্ধ স্বাবলম্ভি বাঙ্গালীরা ভীনদেশি জলদস্যুদের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে নিজের সঞ্চিত সম্পদের কিঞ্চিত পরিমান সঙ্গে নিয়ে গাট্টিগোট্টা গুটায়ে বনের হিংস্র জানোয়ারের ভয় ডর উপেক্ষা করে জঙ্গলে লুকায়ে প্রাণ বাঁচাতো। প্রতিরোধ প্রতিবাদ করার মত কোন ক্ষমতা সামর্থ কিংবা শাহস ছিলনা এই জাতির।

দুশত বছর ইংরেজরা এই বাঙ্গালী জাতির উপর চালিয়েছে জুলুম অত্যাচার নিপিড়ন।জবরদস্তি করে দিনের পর দিন ঘানি টানিয়েছে, নীল চাষ করিয়েছে।কত ত্যাগ তিতীক্ষা ও রক্তের বিনিময়ে ইংরেজরা বিতারিত হলেও,দুর্ভাগা এই জাতির উপর জগদ্দল পাথরের মত চাপিয়ে বসলো পাক হায়েনা নামক পাকিস্তানীরা।ছলে বলে কৌশলে প্রায় চব্বিশ বছর তারা শুধু জুলম অত্যাচার নিপিড়ন চালিয়েছিল এই নিরিহ বাঙ্গালীর উপর।তারা সুজলা সুফলা বাংলার ধন সম্পদ লুন্ঠুন করে ঐ মরু পাকিস্তানের বেআবাদি জমিকে আবাদ করেছে। গড়ে তুলেছে উঁচু উঁচু দালান কোঠা। পরিত্যক্ত জায়গায় সুপরিকল্পিত ভাবে গড়ে তুলেছে বিশ্বমানের ইসলামা বাদের মত রাজধানী শহর।অতচ এই বাংলায় তারা একটা আলফিনের ফেক্টরি পর্যন্ত গড়ে তুলেনি। খাঁটি সোনার চেয়েও খাঁটি বাংলার মাটি, যে মাটিতে বছরে চার বার সোনালি ফসল ফলে, সে বাংলার মানুষ মরে ক্ষিদায় রোগে শোকে খরায় বন্যায় প্রাকৃতিক দুর্য্যগে। অতচ আবাল পাকিরা দেখেও দেখেনা।বরঞ্চ তারা কাজে কর্মে আচার আচরণে ঘৃণা প্রকাশ করতো এই বাঙ্গালী জাতিকে। উপহাস তাচ্ছিল্য করে বলতো বাঙ্গালী চুতিয়াকা জাত হ্যায়। চাউল মাছলি খানেওলা জাত।

অবশেষে  শত চেষ্টায় শত সহস্র বছরের অবিরাম যুদ্ধও ত্যাগের বিনিময়ে তিরিশ লাখ শহীদের তাজা প্রাণ আর দুলক্ষাধিক মাবোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে বাঙ্গালী জাতি পেল স্বাধিনতা।হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙ্গালী জাতির জনকের একক নেতৃত্বে বাঙ্গালী পেল মহান স্বাধিনতা।

মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যেই এই বাঙ্গালী জাতি তার জনককে নির্মম ভাবে স্বপরিবারে হত্যা করে  প্রমান করলো, তারা যে কত বড় জগন্য ও বেঈমান। খোবে দুঃখে অভিমানে মরে যাওয়া ঔ গাছপালা লতাপাতার চেয়েও নিঃকৃষ্ট এই বাঙ্গালী জাতির কিছু কুলাঙ্গার। গাছপালার লজ্জা শরম হায়া আছে, কিন্তু এই কুলাঙ্গার বাঙ্গালী জাতির লজ্জা শরম হায়া বলতে কিছু নেই। কিছু বাঙ্গালী আজো রাজাকারই রয়ে গেল, তারা  ইংরেজ আর পাকিদের গুনগান করে প্রমাণ করে তারা যে আসলেই গোলামের জাত গোলাম।পাছায় লাথি মারলেও তারা পেয়ারে পাকিস্তান বলে নেঁজ নাড়ে নেড়ি কুত্তার মত।

শিয়ালের ঘরে ১০০% শিয়ালের বাচ্ছাই জন্ম নেয়।কুত্তার ফয়দাসে ১০০% কুত্তার বাচ্চাই জন্ম নেয়। কিন্তু এই বাঙ্গালী জাতির ঘরে জন্ম নিয়েছে অসংখ্য জানোয়ারের বাচ্ছা।  অসংখ্য শিয়াল কুকুরের বাচ্চা।তারা আজো পাকিদের পাঁ চাটে। তারা আজো তিরিশ লাখ শহীদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তোলে, সন্ধেহ করে। আর যাই হউক,এরা কোনদিন মানুষ হতে পারেনা, এরাই জানোয়ারের বাচ্চা,এটাই প্রমাণিত সত্য।


২,-- জানোয়ার জেনারেল,রা ঁঁঁঁঁঁ 

মিশরের কর্নেল জামাল আব্দেল নাসের থেকে পাকিস্তানের জেনারেল আয়ূব খান, 

 জেনারেল জিয়াউল হক থেকে বাংলাদেশের জিয়া এরশাদ।

সর্বকালের শ্রেষ্ট  বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন তার এক প্রবন্ধে বলেছেন,উর্দি পরা জেনারেলরা মস্তক বিহীন জানোয়ারের মত এক আজব প্রাণী।














 

কর্নেল জামাল আব্দেল নাসের

মিশরের কর্নেল জামাল আব্দেল নাসেরকে কেউ বলে বিপ্লবি নেতা আবার কেউ বলে জগন্য স্বৈরচার।যে যাই বলুক নাসের ছিলেন  মিশরের প্রভাবশালী একজন সামরিক নেতা।পঞ্চাশ ষাট দশকে পুরো আরব এবং আফ্রিকায় এই নেতা অত্যান্ত প্রভাব বিস্তার করেন। তার শাসনামলে আরব জাতীয়তাবাদ ও প্যান আরাবিজম এবং প্যান আফ্রিকাজম এর সুচনা ঘটে।  ১৯৬৪ সালে পিলিস্তিনিদের সংঘটন পিলও ঘটনে এবং জোট নিরপেক্ষ আন্দলনে তার গুরত্বপুর্ন ভূমিকা ছিল।

স্বৈরশাসক কর্নেল গাদ্দাফি হাফিজুল আসাদ সাদ্দাম হোসেন উগান্ডার ইদি আমিন কঙ্গোর মুবাট্টো থেকে পাকিস্তানের আয়ূব খান এরা সবাই নাসেরের অনুসারি কিংবা  অনুরক্ত ভক্ত  ছিলেন।আবার নাসের ছিলেন ইসলামি ব্রাদার হুডের অনুসারি।

 তরুন বয়সে সব কাজে অযগ্য হয়ে এই নাসের এক মন্ত্রির সহযোগিতায় মিলিটারিতে ভর্তি হওয়ার চান্স পান। বস তারপর তাকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি। মিলিটারি এবং পুলিশ এমন কি ল কলেজেও ভর্তি হতে গিয়ে বাদ পড়ে যান নাসের।   মিলিটারিতে ভর্তি হওয়ার অল্প কয় বছরের মাথায় তার সিনিয়র আরেক জেনারেল মোহম্মদ নাজিবকে নিয়ে  প্রথমে ১৯৫২ সালের শুরুর দিকে  রাজা প্রথম ফারুককে গদিচ্যুত করে দেশ ত্যাগ করতে বাদ্য করেন।  দেড়শ বছরের ঐতিহ্যবাহি রাজতন্ত্রকে বিলুপ্ত করে জেনারেল নাজিব নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষনা করেন।অবশ্য রাজা ফারুকের শিশু পুত্র ফুয়াদকে নামকাওয়াস্তে রাজা ঘোষনা করলেও ১৯৫৩ সালে এসে রাজতন্ত্র সম্পুর্ন বিলুপ্ত করে রাজা ফারুকের ধন সম্পদ নিলাম করে দেন।



জেনারেল জিয়াউল হক

রাজতন্ত্র বিলুপ্ত করে তারা ঐতিহাসিক বিপ্লব বলে আখ্যায়িত করেন।তাদেরকে এই বিপ্লবেসহযোগিতা করে ১৯২৮ সালে হাসান আল বান্নার গঠিত ইসলামি ব্রাদারহুড সংঘটন।পরে এই ব্রাদারহুডকে নিয়েই জেনারেল নাজিব ও কর্নেল নাসেরের মধ্যে সংঘাত বাধে।এবং এক পর্যায়ে  নাসের জেনারেল নাজিবকে ক্ষমতাচ্যুত করে নিজেই সর্বময় ক্ষমতার অধিকারি হয়ে যান।আর অপরদিকে ঐ ব্রাদারহুডের শত শত সদস্যকে ফাঁসিতে ঝুলায়ে হত্যা করেন।হত্যা করেন জেনারেল নাজিবের শত শত অনুসারিকে এবং অসংখ্য শ্রমজীবি মানুষকে।

জেনারেল নাজিব এবং নাসের গং রাজা ফারুকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন, ফারুক বিলাস বহুল জীবন যাপন করেন এবং সে একজন  নারী লোভি। সে যৌনশক্তি বৃদ্ধির জন্য সপ্তাহে ৬০০টি কাঁছা ঝিনুক খান। বেন্টলি গাড়ি চালান। নাশপাতির মত হিরা ব্যবহার করেন ইত্যাদি।

১৯৬৪ সালের ১৮ই মার্চ রাজা ফারুক রোমে মারা যান।অভিযোগ উঠে নাসেরের গোয়েন্ধা বাহিনী বিষ প্রয়োগে রাজাকে হত্যা করে।মির্ত্যু পথযাত্রি রাজার অন্তিম ইচ্ছা ছিল কায়রোর আল্ রিফা মসজিদে অন্তিম শয়নের। কিন্তু নাসের রাজার লাশ মিশরে নিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ঔ সময় সৌদি বাদশা ফয়সল সৌদি আরবে রাজা ফারুকের লাশ দাপন করার জন্য বলে।পরে অবশ্য নাসের রাজি হয় এই সর্তে যে লাশ মিশর নেওয়া যাবে তবে আল রিফা মসজিদে দাপন করা যাবেনা।ইতিমধ্যে স্বজনরা রাজার লাশ রোমেই দাপন করে ফেলে।কিছুদিন পর গোপনে রোম থেকে রাজার লাশ মিশরে নিয়ে ইবরাহিম পাশা নামে গোরস্হানে দাপন করা হয়।নাসেরের মিত্যুর পর আনোয়ার সাদাত রাজা ফারুকের দেহাবশেষ তুলে নিয়ে সেই রিফা মসজিদেই দাপন করেন।

আমরা যদি ৫০-৬০ কিংবা ৭০-৮০ দশকের দিকে তাকাই। দেখতে পাই এই তিন চারটা দশক ছিল দেশে দেশে স্বৈরচার কিংবা জানোয়ার জেনারেলদের উত্থানের দশক। মার্কিন যুক্ত রাষ্ট্র ও ইউরোপের সামরাজ্যবাদী দুষ্ট চক্রের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ মদদে এই সব ডিক্টেটররা নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে কিংবা দেশের স্বনামধন্য রাজা বাদশাকে  হত্যা করে ক্ষমতা দখল করে।

১৯৫৮ইং সালে স্বৈরশাসক জেনারেল আয়ূব খান যে ভাবে অখন্ড পাকিস্তানে মার্শাল ল জারি করে ক্ষমতা দখল করেন,--

তখনকার সংসদের স্পিকার  জনাব আব্দুল হামিদ সরকারি চাকুরি করার অভিযোগে  সরকারি দলের ছয় সদস্যকে বহিষ্কার করেন।যার কারণে সংখ্যাগরিষ্ট হারায় সরকারি দল।তখন সরকারি দলের সাংসদরা স্পিকারকে মারার জন্য ধাওয়া করেন।পরে অধিবেশন বসলে ডেপুটি স্পিকার শাহেদ আলী স্পিকারের দায়িত্ব নেন।দায়িত্ব নিয়েই তিনি বহিস্কৃত ৬জনের সদস্যপদ পুনরায় বহাল করেন।এই কারণে বিরোধি দলের আবুল হাসান সরকার মাইকের স্টান্ডদিয়ে  শাহেদ আলীর মাথায় বাড়ি দিলে তিনি আহত হয়ে কোমায় চলে যান, এবং কিছুদিন পরে মারাও যান।এই অজুহাতেই আয়ূব খান মার্শাল ল জাড়ি করে ক্ষমতা দখল করেন।প্রায় দশ ব্ছর তিনি এই ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখেন।বিরোধি দল মতের উপর চালান স্টিমরোলার।আট বছর পরে বাংলার অভিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধুকে আগড় তলা ষড়যন্ত্র মামলায় জড়ানো হয়।যার কারণে প্রচুর গন আন্দলনের চাপে আয়ূব খান আরেক জেনারেল ইয়াহিয়া খানের হাতে ক্ষমতা চেড়ে পালাতে বাদ্য হন।

 মিশরের কর্নেল নাসের যে ভাবে ইসলামি ব্রাদার হুডের আদলে আরব জাতীয়তাবাদের সুচনা করেন।ঠিক তেমনি পাকিস্তানের স্বৈরশাসক জেনারেল জিয়াউল হক আফগানিস্তানের জঙ্গি নেতাদের প্ররোচনায় ইসলামি ব্রাদারহুডের মত হারকাত আল জিয়াদ আল ইসলাম  নামে দক্ষিন এশিয়ায় জুড়ে আন্তঃর্জাতিক ইসলামি একটি ভয়ঙ্কর সংঘটন গড়ে তোলেন।। ১৯৮৪ সালে জেনারেল জিয়াউল হক ইসলামি এটম বোম টেষ্ট করে সমগ্র বিশ্বকে চমকে দিয়ে শক্তি প্রদর্শন করেন।যার ধরুন ভারত এবং আমেরিকা জিয়াউল হকের উপর অসন্তুষ্ট হয়ে পড়েন।




 

১৯৮৮ সালের ১৭ই আগষ্ট এক মর্মান্তিক বিমান ক্রাসে প্রাণ হারান পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট জেনারেল জিয়াউল হক। তার সাথে আরো ছয়চল্লিশ জন লোক জলন্ত দগ্ধ হয়ে মারা যান। যাদের মধ্যে বেশির ভাগই ছিল সামরিক বাহিনীর বড় র‌্যাংকের অফিসার গন। বিমানটি পাকিস্তানের ভাওয়াল নগর থেকে ইসলামা বাদের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল।হঠাৎ করে মাঝ আকাশে বিমানটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে দাউ দাউ করে জলে খন্ডবিখন্ড হয়ে জমিনে আছরায়ে পড়লো।একটি যাত্রিও বাঁচল না।বাঁচার কথাও নয়।

আমি তখন পাকিস্তানের করাচি শহরে অবস্হান করছি।কি ভাবে বিমানটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ল,এবং কিভাবে জেনারেল জিয়া উল হকের দাপণ কাজ সম্পর্ন হলো টেলিভিশনে তা বিস্তারিত লাইপ কাস্টে দেখানো হয়েছিল সেদিন।আমি বসে বসে টিভির স্ক্রিনে দেখেছিলাম। সত্যিই ভয়াবহ একটি দুর্ঘটনা।

কে এই জেনারেল জিয়াউল হক?অখন্ড ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে জন্ম গ্রহন কারি জিয়াউল হক দিল্লী ভার্সিটি থেকে গেজুয়েসান করেই বৃটিশ সেনা বাহিনীতে ভর্তি হন।সাতচল্লিশের ভারত পাকিস্তান ভিবক্ত হলে জেনারেল জিয়াউল হক পাস্তিান সেনা বাহিনীতে যোগ দেন।মৃদু ভাষি জিয়াউল হক অত্যান্ত পরেজগার ছিলেন।পাকিস্তানে থাকা কালে লোক মুখে শুনেছি এই জেনারেল নাকি ফকির সন্যাসীর মত সব সময় সাথে একটা পানি ভর্তি লোটা রাখতেন।মসজিদে আযান হলেই নাকি তিনি অজু সেরে যে কোন জায়গায় নামাজে বসে পড়তেন। সে কারণে সেনা ছাউনীতে লোটা মেজর হিসেবেও নাকি তার বেশ পরিচিত ছিল।সে জন্যে তিনি সবার কাছে বিশ্বস্তও হয়ে উঠেন।

১৯৭৬ সালে  পাক সরকার প্রধান জুলফিকার আলী ভুট্ট্র জেনারেল জিয়াউল হক,কে জর্ডার্ন সেনা বাহিনীকে প্রশিক্ষন কাজে সহযোগিতা করার জন্য জর্ডানে পাঠান।জর্ডানের বাদশা ছিলেন তখন বাদশা হোসেন। জর্ডার্ন সেনা বাহিনী তখন একটা সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে বাদশা হোসেনকে গদিচ্যুত করার চেষ্টা করলে জিয়াউল হক সে অভ্যুত্থান রুখে দেন।জুলফিকার আলী ভূট্ট্র এই খবর শুনে খুশি হয়ে সেনা বাহিনীর পাঁচ জন জেনারেলকে ডিঙিয়ে এই জিয়াউল হককে সেনা বাহিনীর প্রধান করেন।কিন্তু এই লোটা মেজর তার প্রতিদান দিলেন মাত্র এক বছরের মাথায় নির্বাচিত রাষ্ট্র প্রধান জুলফিকার আলী ভূট্ট্রকে গদিচ্যুত করে ,এবং মার্শাল ল জারি করে দুবছরের মাথায় ভূট্ট্রকে ফাঁসির মাধ্যমে।

জেনারেল জিয়াউল হক সেদিন টেলিভিসনে এক দীর্ঘ বক্তিতায়  বার বার সফত করে বলেছিলেন,মাত্র তিন মাসের জন্য জারি করা হলো এই সামরিক আইন। তিন মাস পরে তিনি একটি সুষ্ট নির্বাচন অনুস্টান করে নির্বাচিত ব্যক্তির হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে  মার্শাল ল উড্র করে আবার বেরাকে ফিরে যাবেন।কিন্তু দুঃখের বিষয় বাস্তবে করলেন তার উল্টোটা।যে ভূট্ট্র তাকে সেনা প্রধান করলেন সে ভূট্ট্রকে ১৯৭৭ সালে রাজা কাসুরি নামে বিরোধি একজন রাজনীতিবীদকে হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত করে কারাগারে নিক্ষিপ্ত করেন। এমন কি মাত্র দু বছরের মাথায় এক প্রহশনের বিচারের মাধ্যমে ভূট্টকে ফাঁসি কাস্টে ঝুলিয়ে হত্যা করেন। সে সময় একমাত্র আমেরিকা ব্যতীত সমগ্র বিশ্বের রাজা বাদশা এবং রাষ্ট্র প্রধানরা জেনারেল জিয়াউল হকের কাছে অনুরোধ করেন,অনুরোধ করেন বিশ্বের মানবধিকার সংঘটন গুলো, ভূট্ট্রকে যেন ফাঁসি না দেওয়া হয়। ভূট্ট্রর দ্বিতীয় স্ত্রি নুসরাত ভুট্টু প্রাণ ভিক্ষা চেয়ে বলেছেন ভুট্টু আর কোনদিন রাজনীতি করবেন না, এমন কি তারা পাকিস্তান ছেড়ে চিরতরে চলে যাবেন। কিন্তু জেনারেল জিয়াউল হক কারো কথাই শুনেন নাই। লিবিয়ার স্বৈরচার কর্নেল গাদ্দাফি কমান্ড স্টাইলে ভুট্টকে বাঁচানোর প্রস্তাব করেন।ভুট্টু তা প্রত্যাখ্যান করে দেন।

এই স্বৈরচার জেনারেল মিশরের ইসলামি ব্রাদার হুডের আদলে আফগানি জঙ্গিদের সব কয়টা দল নিয়ে গঠন করলেন হারকাত আল জিয়াদ আল ইসলাম নামে একটি আন্তঃর্জাতিক ইসলামি জিয়াদী দল।এই জিয়াদী দলটি পুরো দক্ষিন এশিয়াকে অস্হির করে তোলে।বিশেষ করে বাংলাদেশকে।

বাংলাদেশে ১৫ই আগষ্টের পর স্বৈরচার জিয়া ক্ষমতা দখল করে।এই জিয়ার হাত ধরেই আফগানিস্তানের তালেবানের ন্যয় বাংলাদেশেও নতুন করে জন্ম নেয় ইসলামি ছাত্র শিবির।জন্ম নেয় একের পর এক জঙ্গী সংগঠন।জিয়ার মৃর্ত্যুর পর এই দায়িত্ব নেয় আরেক স্বৈরচার এরশাদ। এরশাদের পর দায়িত্ব নেয় জিয়াউর রহমানের বিধবা স্ত্রি খালেদা জিয়া।খালেদার আমলে স্বাধীন বাংলাদেশ জঙ্গিদের সর্ঘ রাজ্যে পরিণত হয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করে।সৃষ্টি হয় বাংলা ভাইয়ের মত কুখ্যাত জঙ্গিদের।অস্হির হয়ে উঠে জন জীবন।

স্বৈরচার এরশাদ স্বৈরচার জিয়াউল হকের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে পাকিস্তানের মত বাংলাদেশকেও ইসলামী প্রজাতন্ত্র হিসেবে ঘোষনা করে।জিয়াউল হককে এরশাদ বড় ভাই হিসেবে সন্মোধন করতো।জিয়াউল হক এরশাদকে খোদ পাকিস্তানি নিসান উপাধিতে ভূসিত করে।এরশাদের হাত ধরে আফগানি জঙ্গি নেতারা বাংলাদেশে এসে জেহাদের জন্য সদস্য সংগ্রহ করতে থাকে।প্রায় পাঁচ হাজার বাঙ্গালী আফগানি মুজাহিদে নাম লেখায়ে আফগানিস্তানে যায়।প্রকৃত অর্থে কেউই ইসলামের জন্য যায়নি।এদেরকে লোভ দেখানো হতো আফগানিস্তানের পাহাড়ে নাকি প্রচুর ডায়মন্ডে  আছ।একবার যেতে পারলেই হয় লাইপ বনে যায়গা।

--------চলবে---
















লম্পট স্বৈরচার এরশাদ

গীত লতা Lyricism. : কবিতা

গীত লতা Lyricism. : কবিতা :                                                                                               ...